পশ্চিমাকাশে রবি পতনের সময়ে
একজন খুঁজতে বেরিয়েছিল রবীন্দ্রনাথকে
আকাশে বাতাসে নক্ষত্ররাজিতে।
পাড়ি দিযে পুরো পৃথিবী
সৌরজগত ছায়াপথ মহাবিশ্ব সমান্তরাল মহাবিশ্ব
ক্লান্ত বিধ্বস্ত সে অবশেষে বলল,
“পাইনি তো কোথাও তাকেঁ!”
আমরা অবিশ্বাসভরা দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালাম;
বুঝতে পারলাম অবশেষে, রবীন্দ্রনাথ হারিয়েই গেছেন, চিরতরে!
(২১/৮/০৬)
সে তো বটেই, আমি এখানে তার শারীরিকভাবে (অথবা, আত্মিকভাবে!) চলে যাওয়ার কথাই বোঝাতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ কবিতাটি ভালো লাগায়।
আরো বেশি ধন্যবাদ নামের ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ায়; এতদিনেও এই ভুলটা চোখে পড়ল না কেন সেটাই ভাবছি!
@ সূর্য
শরিরীকভাবে তিনি চলে গেছেন, হারিয়ে গেছেন ঠিকই; কিন্তু সাহিত্য কর্মাদী দ্বারা তিনি আজও জীবন্ত। তিনি অমর হয়ে আছেন আমাদের মাঝে।
তারপরও ভালো লাগলো এই কবিতাটি। আপনার আগের কবিতা “অপার্থিবতার সূচনা” ভালো লেগেছিল।
আর একটি বিষয়- আপনার নামের বানানটি এরূপ কেন? দন্তস্য এর উপরে রেফ কেন? রেফ হবে অন্তস্থ য এর উপরে।
সূর্য ভাই, কবিতাটি অসাধারন..একটু অন্যরকম, অনেকেরই গায়ে লাগতে পারে বিশেষত: ‘ভয় নেই ভয় নেই ছোট হে তরী/ আমার সোনার ধানে গিয়াছে ভরী’ কিংবা এককথায়, সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টা বেঁচে থাকে বলে একটা কথা আছে। তবে ভাই, আপনার ‘উদ্দীপনা’ কথাটুকু ভালো বলেছেন, মনে হয় মুক্তমনা সবারই এরকম সমস্যা হয়। তবে আপনার এ কথার পরে আর কোন বিতর্ক চলে না।
আপনার নতুন কোন সৃষ্টির অপেক্ষায় রইলাম।
@শ্রাবন মনজুর,
ধন্যবাদ।
@সূর্য ভাই: মাথার উপরে দিয়ে গেল 🙁
@রামগড়ুড়ের ছানা,
হে হে। কি বলতে চাইলা বুঝতে পারলাম না :-/ :-/
@রামগড়ুড়ের ছানা,
সূর্যকে ভাই বলে ডাকাতে একটু আপত্তি জানাচ্ছি। এতদিন তো সূয্যি মামা সূয্যি মামা বলে ডেকে এসেছি, হঠাৎ করে এমন করে ভাই বলে ডাকার হেতু জানতে ইচ্ছে করে।
এক কবির একটি কবিতার চরণ তুলে দিচ্ছি-
“ভাই ব’লে ডাকো যদি দেবো গলা টিপে।”
র্সূযকে এখানে দেখে ভাল লাগল। নিয়মিত অংশগ্রহণ কাম্য।
@সৈকতদা,
চেষ্টা করব।
ভালো লাগল।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ।
অসাধারন কইছেন মিয়া ভাই। 😀
এই কবিতাটির ‘উদ্দীপনা’ টা কোথা থেকে এসেছে এটা বলা দরকার মনে হচ্ছে।
ততদিনে (২০০৬ এর শেষ দিকে) আমি পুরোপুরি নাস্তিক হয়ে গিয়েছি। আমি তখন অনুধাবন করতে পেরেছিলাম যে মৃত্যুর সাথে সাথেই আমাদের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। ব্যাপারটা মেনে নেওয়া আমার জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে উঠল, আমি কিছুটা হতাশাবাদী হয়ে পড়লাম। তো হতাশাক্রান্ত হলে আমি সাধারণতঃ যেটা করি, সেটা হচ্ছে হতাশাটাকে কবিতার উপর আপতিত করার চেষ্টা করি। কবিতার মাধ্যমে হতাশা দূর করা যায় না ঠিকই, কিন্তু কিছুটা হলেও স্বস্তি লাভ করা যায়।
মৃত্যু পরবর্তী শূন্যতাকে এখনও পুরোপুরি মেনে নিতে কষ্ট হয় বটে, কিন্তু মিথ্যা বিশ্বাসের থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত সত্যকে বরণ করতেই আমি স্বচ্ছন্দ বোধ করি।
হুফ, আফনে আইলেন অবশেষে।
আপনার ব্লগে আগেই পড়ছিলাম। 🙂
@সাইফুল মিয়া,
ধন্যবাদ, ভাই।
মুক্তমনা ছাড়া কি থাকা সম্ভব না কি? প্রতিদিনই এখানে ঢুঁ মারা হয়, লেখাটা একটু কম হয় আর কি।