রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আমাদের দেশে অনেক অপপ্রচার রয়েছে। এগুলো নেড়ে চেড়ে দেখার উদ্দেশ্যে অন্য আলোয় দেখা রবীন্দ্রনাথ শিরোণামে একটি সিরিজ শুরু করি। একটি একটি করে অপপ্রচারের ভেতরের আলো ও অন্ধকারে প্রবেশ করার স্টাইলটা এ লেখায় গ্রহণ করি।
লেখাটি প্রথমে সচলায়তনে এবং পরবর্তীতে ফেসবুকে প্রকাশ করা হয়।
মুক্তমনায় লক্ষ করেছি–অন্যত্র প্রকাশিত নোট কোনো কোনো বন্ধু প্রকাশ করেন। সেগুলো নিয়ে কোনো আপত্তি হয়েছে–চোখে পড়ে নি। বরঞ্চ যুক্তিবাদীদের ব্লগ হওয়ায় এখানে ভীন্ন ধারায় আলোচনা জমে উঠেছে। আমি সে উদাহরণটি অনুসরণ করেছি মাত্র। এবং এক পর্যায়ে চোখে পড়েছে মুক্তমনার নীতিমালাটি–যেখানে বলা হয়েছে অন্য ব্লগে প্রকাশিত লেখা এখানে প্রকাশে নিরুৎসাহিত করা হয়। নিরুৎসাহিত শব্দটির মধ্যে কঠোর সিদ্ধান্ত নেই। বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হলে সেটা রাখলেও রাখা যেতে পারে এ ধরনের একটি ঝোঁক শব্দটির মধ্যে আছে।
অন্য আলোয় দেখা রবীন্দ্রনাথ সিরিজটির প্রথম পর্ব শুরু হলে কোনো বন্ধু এটা সরিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করেন। বন্যা আহমেদ পরামর্শ দেন–লেখাটি সংযোজন-বিয়োজন করে পোস্ট দিতে। ওনার পরামর্শটির থেকে বোঝা গেল লেখাটির উদ্দেশ্য উনি বুঝতে পেরেছেন এবং লোখাটির চলুক তিনি চেয়েছেন। সেজন্য ওনাকে ধন্যবাদ। ওনার পরামর্শ মোতাবেক–দ্বিতীয় পর্বটিতে একটি অংশ সংযোজন করি, লেখাটির টাইটেলটাও পাল্টে দেই এবং কিছু অংশ সম্পাদনাওও করা হয়। দ্বিতীয় পর্বটিতে রবীন্দ্রনাথের জমিদারিত্ব মিথটিতে প্রবেশ করা হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিথ।
এবং লক্ষ করি তিনটি মন্তব্য পড়ার পর পরই এডমিন লেখাটিকে প্রথম পাতা থেকে ঘোষণা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। এবং আইনটি নিরুৎসাহিত নীতিমালার আলোকেই এটা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যারা নোটটি প্রথম পাতায় থাকুক বলে অনুরোধ করেছিলেন—তাঁদের ইচ্ছের কোনো মুল্য দেওয়া হল না।
এ প্রসঙ্গে মনে পড়ল আমার আরেকটি নোটে মুক্তমনার অন্যতম মডারেটর ফরিদ আহমেদের মন্তব্য–
কুলদা রায়ের অনেক ভাগ্য যে আমি কিছু নীতি মেনে চলি। মুক্তমনায় আমার সাথে কারো কোনো ঝামেলা হলে আমি কখনোই মডারেটরের ক্ষমতা প্রয়োগ করি না। ফলে, মুক্তমনায় আমাকে গালি দেওয়াটা সবচেয়ে সহজ কাজ। যে গালিগুলো কুলদা রায় আমাকে দিয়েছেন, সেই একই গালিগালাজ যদি তিনি আমার অন্য কোনো সহব্লগারকে দিতেন, এতক্ষনে মুক্তমনা থেকে তাঁর নাম নিশানাও মুছে দিতাম আমি। লেখকের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলেও কোনো লাভ হতো না সেখানে।
ফরিদ আহমদের মন্তব্য থেকে যা শিখেছিলাম–
প্রথম বাক্য থেকে—-যুক্তিবাদিরা আজকাল ভাগ্যেও বিশ্বাস করতে ভালবাসেন।
চতুর্থ বাক্য থেকে—-ইচ্ছে করলে কারো নাম নিশানাও মুছে দেওয়া যায়।
পঞ্চম বাক্য থেকে—-লেখকের স্বাধীনতা নামে যে মতটি আছে—তাকে ব্যক্তিগত কাজে অকার্যকর করা জায়েজ।
মনে পড়ছে–এই নোটে মুক্তমনার একজন সদস্য সাদ কামালীর রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে একটি লেখার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছিল। সাদ কামালী লেখেন মন্দ নয়। তবে সেটা নেগেটিভ লেখা। উদ্দেশ্য রবীন্দ্রনাথকে সাম্প্রদায়িক, শোষক, প্রতিক্রিয়াশীল ইত্যাদি অভিধান প্রচার দেওয়া। এটি তাঁর মগজ থেকে উৎপন্ন নয়। পাকিস্তান আমলে এ কাজগুলি পাকিস্তানপন্থীরা করেছিলেন এবং বর্তমানে তাদের অনুসরণকারীরা করছেন। সিরিজটিতে এ বিষয়গুলিকে কেঁচো খুড়ে দেখার মত একটি প্রচেষ্টা আছে। রবীন্দ্রনাথকে মানুষ রবীন্দ্রনাথ হিসাবেই দেখার ইচ্ছে আমার। দেবতা বা নবী হিসাবে নয়।
কদিন আগে সাদ কামালী টরেন্টোতে আমার এক স্বজনকে হুমকী দিয়েছেন আমাকে কুলাঙ্গার বলে। তাকে বলেছেন–আমার সঙ্গে স্বজনতা ত্যাগ করতে হবে। এটা একজন সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি করতেই পারেন। তাঁর বানী প্রকাশের স্বাধীনতাকে সাধুবাদ দেই। তার হুমকীর খবর শুনে মজা পেয়েছি। এর বিপরীতে আমার যা কিছু বলার আমি আমার লেখাতেই বলব। আর ব্যক্তিমানুষের ক্ষোভ নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। আমি ব্যক্তির বিরুদ্ধে লড়ি না। তাঁর বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলি। কারণ সাদ কামালী, ফরিদ আহমেদ, বা অভিজিৎ রায় এরা ব্যক্তিগত বন্ধু হতেই পারেন–ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সঙ্গে আমার কোনো বন্ধুতা বা শত্রুতা নেই। তাঁদের বিশ্বাস নিয়ে আমার শ্রদ্ধা বা সন্দেহ আছে। সেখানেই কথা বলা প্রয়োজন মনে করি। তাই-ই করেছি।
এই ব্যক্তিগত বিদ্বেষ বা বন্ধুতার দায় দায়িত্ব ব্লগের মত একটি সামাজিক গ্রুপে কেন প্রতিফলিত কেন হবে? কিভাবে একজন মডারেটর আমার লেখা নাই করে দেওয়ার হুমকী দেন? ব্যক্তির কাছে সমষ্টি কেন পরাজিত হবে মুক্তমনায়? এই প্রশ্নগুলো ভাবছি। ভাবছি–তাহলে ফরিদ আহমেদের হুমকীটাই বাস্তবায়িত হল মুক্তমনায়। কারো কারো বন্ধু সাদ কামালীর ইচ্ছেটাকেই প্রকারন্তরে প্রতিফলিত হল মুক্তমনাতে।
২.
দুঃখ কষ্টের প্যাঁচাল বাদ দেই। আসুন মজা করি। বটতলার সাহিত্য থেকে একটি উদ্ধৃতি উপভোগ করি–
ছাগল কিন্তু জলে নামতে ভয় পায়। এ কারণে ছাগলগণ স্মাতক হতে পারে না। ফলে তারা ব্যাচেলর ডিগ্রী পায় না। এই বিষয়টি খুব গভীরভাবে আমি ভেবে দেখেছি। খুব দুঃখিত হয়ে দেখেছি–তারা মাঝে মাঝে বিড়ি টানে– মৎকারধ্বনিসহযোগে স্নাতক হতে পারে না। তারা বলে ডিগ্রী দিয়ে কী হবে। ডিগ্রী কি আমাদের ভাত দেয়? ভাত খেলে কি বিপ্লব হয়?
বিপ্লব হতে পারে এই আনন্দে ছাগলগণ জলে নামে না। তাদের চুলও ভেজে না। যেমন বেনী তেমনই রয়ে যায়।
৩.
টিকা :
আসলে পাঁচ সিকার ছাগলে লাখ টাকার বাগান খেয়ে ফেলে–এই প্রবাদটি আমাদের দেশে কী করে যেন মাঝে মাঝে সত্য হয়ে ওঠে।
যেহেতু পাঠকদের অনেকেই দাবী করছেন, তাদের অভিমতকে গুরুত্ব দিয়ে এই পোস্টে মন্তব্য করার অপশন বন্ধ করে দেওয়া হল।
কুলদা রায়, মুক্তমনা ও সচলায়তনকে নিয়মিত কলহকাকলিমুখর রাখার দায়িত্বটি ত্যাগ করে আপনি বরং নিজে “ক্যাচালমনা” বা “ক্যাচালায়তন” নামে কলহবাদীদের কমিউনিটি ব্লগ খুলে মনের আনন্দে অহোরাত্র ব্যাপৃত থাকুন না প্রিয় কাজে! আপনিও তৃপ্তি পাবেন, শান্তি পাবো আমরাও।
জানি, আমার মন্তব্যটিতে স্পষ্টতই ব্যক্তিগত আক্রমণ ফুটে উঠেছে। এই পোস্টের বক্তব্য এবং পোস্টদাতার মন্তব্য পড়ে নিজের ভাব এর চেয়ে কোমল করে প্রকাশ করতে না পারাটা আমারই সীমাবদ্ধতা, সেটা জানি। তবে তা নিয়ে আমি অনুতপ্ত নই। মডারেটররা চাইলে নির্দ্বিধায় এই মন্তব্যটি সরিয়ে দিতে পারেন। আমার পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র অনুযোগ থাকবে না।
প্রচন্ড বিরক্ত ও দূঃখিত হয়েছি মুক্তমনার মত যায়গায় এমন ফালতু সময়ের অপচয় দেখে।
কুলদা রায়ের সাহিত্যিক প্রতিভা নিয়ে বলার কিছু নেই, তাঁর থেকে আমাদের সাধারন পাঠকদের অনেক কিছুই পাবার প্রত্যাশা আছে, তবে সব সদস্য যেসব সাধারন নিয়ম মেনে চলেন তিনিও তাই মেনে চলবেন এইটুকু সামান্য প্রত্যাশা আমাদের করতে দোষ নেই। এই সামান্য ব্যাপারকে মহিরূহ পর্যায়ে নিয়ে আসার কোন মানে নেই।
মুক্তমনায় অন্তত আমরা যা কোন মতেই দেখতে চাই না তা হল ব্যাক্তিগত ইগোর লড়াই। যুক্তিবাদীদের নিয়ে লোকে হাসাহাসি করুক এমন আমরা কেউই চাইতে পারি না।
তবে এডমিনের কাছে আমার সামান্য নিবেদন এই যে অন্য সাইটে আগে প্রকাশিত হয়ে গেলেই সে লেখাকে মুক্তমনার মূল পেযে নিরুতসাহিত করার নিয়মটি একটু রিফর্ম করা যায় কিনা? সাইটের স্বকীয়তার যুক্তি খুবই ভাল, তবে খুব ভাল কোন লেখা অন্য সাইটে প্রকাশিত হয়ে গেছে শুধু এই যুক্তিতে মুক্তমনার অনেক পাঠক তা থেকে বঞ্চিত হবেন সেটা কি ভাল হবে? মুক্তমনার অনেক সদস্য/পাঠকই অন্য ব্লগে যান না।
@আদিল মাহমুদ,
আমি দ্বিমত প্রকাশ করছি। ‘খুব ভাল কোন লেখা’ – কার বিবেচনায়? যে কোন লেখক তার লেখাকে খুব ভাল লেখা ভাবতেই পারেন। মুক্তমনার অনেক পাঠক বঞ্চিত হবেন কেন ঠিক বুঝতে পারলাম না। আপনি কি বঞ্চিত হচ্ছেন? আপনার বা মুক্তমনার কোন পাঠক/সদস্যের ওপরে কি কোন অদৃশ্য নিষেধাজ্ঞা কেউ এই মর্মে জারি করেছে যে অন্য কোন ব্লগের লেখা তাঁরা পড়তে পারবেন না? মুক্তমনার অনেক সদস্য অন্য ব্লগে যান না কারণ তাঁরা ঐ লেখাগুলো স্বেচ্ছায় পড়তে চান না বলেই; তাঁদেরকে জোর করে ঐগুলো গেলানোর কোন মানে হয় না।
আর যে লেখক নিজের ‘খুব কোন ভাল লেখা’ মুক্তমনার পাঠকদের পড়াতে আগ্রহী তাঁর উচিৎ লেখাটা মুক্তমনায় এবং শুধু মুক্তমনায় প্রকাশ করা।
@ইরতিশাদ,
খুব ভাল কোন লেখা বলতে কি বোঝায় তার অবশ্যই কোন বাধা ধরা ক্রাইটেরিয়া নেই। তবে শুধু মুক্তমনায় দিলে আর অন্য ব্লগে না দিলে সেটাই ভাল হয়ে যাবে, বা মুক্তমনায় না দিয়ে অন্য ব্লগে প্রকাশ করে থাকলে সেটার মান ভাল হবে না এমন ভাবনা ঠিক নয়।
ব্যাপারটা মনে হয় অন্যভাবে চিন্তা করলেন। মুক্তমনার পাঠকরা আর দশ জন মানুষেরর মতই সাধারন মানুষ। সময়ের অভাবেই তারা অনেকে হয়ত অন্য ব্লগগুলিতে নিয়মিত যেতে পারেন না। এর মাঝে জোর জবরদস্তির কোন কথা নেই। জানি না আপনার মনে কেন সময় স্বল্পতার সোজা কারন বাদ দিয়ে জোরাজুরির কথা মনে এলো। তার মানেই কিন্তু এই না যে অন্য ব্লগে তাদের ভাল লাগতে পারে এমন কোন লেখা প্রকাশ হয় না বা হতে পারে না। এ ধরনের ভাবনা মনে আনায় মনে হয় কিছুটা অহংকারের ছাপ আছে। আমি বিশ্বাস করি না যে মুক্তমনার সদস্যরা এ ধারনার বশবর্তী হয়ে অন্য সাইটে যান না। তাদের অনেকের অজান্তেই হয়ত অন্য ব্লগেও কিছু ভাল লেখা বের হচ্ছে যা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। অসংখ্য উদাহরন দিতে পারি, আকাশ মালিক ভাইও ভাল জানেন। সোজা কথায় মুক্তমনা বাদে অন্য ব্লগে ভাল বা মুক্তমনার পাঠকদের জন্য উতসাহ ব্যাঞ্জক কোন লেখা বের হয় না এমন ধারনা করা কি সঠিক? নিশ্চিত নই যদিও ঠিক এমনই বোঝাচ্ছেন কিনা। বোঝায় ভুল থাকলে অগ্রীম ক্ষমাপ্রার্থী।
একজন লেখক চাইতেই পারেন যে তার লেখা বেশী লোকে পড়ুক। সেটাই স্বাভাবিক। মুক্তমনার সদস্য বা পাঠকরা যেমন অন্য ব্লগে হয়ত যেতে পারেন না, তেমনি অন্য ব্লগের সদস্যরাও কেউ কেউ মুক্তমনায় হয়ত নিয়মিত আসতে পারেন না। এটা চিন্তা করেই লেখক একই লেখা বিভিন্ন ব্লগে দিতে পারেন। একই লেখায় বিভিন্ন সাইটে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষন করাও কিন্তু বেশ ইন্টারেষ্টিং হতে পারে। কোন লেখক যদি শুধু মুক্তমনার পাঠক টার্গেট করে লেখেন তবে সে স্বাধীনতা তার অবশ্যই আছে, তবে আমি বলব যে এর মাঝে এক ধরনের কুপমন্ডুকতাও আছে। পাঠকদের মাঝেও যদি এমন মানসিকতা গড়ে ওঠে যে আমি কেবল মুক্তমনার পাঠক, আমি কেবল আমার ব্লগের পাঠক সেটাও এক ধরনের কুপমন্ডুক চিন্তা বলেই মনে করি।
আপনার প্রশ্নের জবাব পরিষ্কার করেই দেই। আমি মুক্তমনা বাদে অন্য সাইটে না গেলে অবশ্যই ভাল অনেক লেখা থেকে বঞ্চিত হতাম। এটা ঠিক যে অতি অবশ্যই সেসব লেখা অন্য অনেকের হয়ত ভাল লাগবে না। আবার অনেকেরই ভাল লাগত সেটাও আমি ভাল জানি। যে কোন লেখার ক্ষেত্রেই এমনটা হতে পারে।
প্রত্যেক ব্লগেরই কিছু নিজস্ব নিয়ম থাকে। আমরা মডারেশন বোর্ড থেকে আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, মুক্তমনায় অন্য ব্লগে প্রকাশিত পুরোন লেখা দেওয়াকে এখানে নিরুৎসাহিত করা হবে। সাইটের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্যই এটি করা হয়েছে। ব্লগ কর্তৃপক্ষ চাইলে পোস্টটি ব্লগ থেকে মুছে দিতে পারেন কিংবা প্রথম পাতা থেকে লেখকের নিজস্ব পাতায় সরিয়ে দিতে পারেন। এ ধরণের লেখার ক্ষেত্রে ঠিক কি বিহিত করা হবে, সেটাও মডারেশন বোর্ড এর সদস্যরা আলোচনার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে (যেমন, কোন জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে পোস্ট, মানবতার পক্ষে প্রচারণা পোস্ট কিংবা জরুরী আহ্বানমূলক পোস্টের ক্ষেত্রে, ইত্যাদি) বিশেষ বিবেচনায় ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিয়মটি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। যেমন, নিশ্চয় খেয়াল করেছেন যে, আরিফের মাকে সাহায্যের আবেদনটি অন্য ব্লগে প্রকাশিত হলেও বিষয়বস্তুর গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা সেটাকে প্রথম পাতা থেকে সরানো হয়নি। তবে অনেক সময় মডারেশনের চোখ এড়িয়ে ডুয়েল পোস্টিং হতে পারে, এগুলো যেন কম ঘটে সে জন্য পাঠক এবং লেখকদের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। ডুয়েল পোস্টিং-এর ক্ষেত্রে মডারেশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে।
আমরা আশা করব যে মুক্তমনার সদস্যরা আমাদের নীতিমালা মেনেই এখানে লিখবেন।
প্রচন্ড বিরক্ত হলাম। আরো বিরক্ত হচ্ছি একই ঘটনা বারংবার গঠছে, লেখক নিজের যুক্তিতেই থাকছেন, উনার মাঝে কোন প্রকার অনুশোচনা নেই উনার কর্মকান্ডের জন্য, কিন্তু মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ বারংবার কেন উদারমনের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে?
লেখাকে নয়, কেন লেখককে মডারেশনে আনা হচ্ছে না? একই ব্যক্তিগত বিদ্বেষপূর্ণ লেখা কেন বারবার আমাদেরকে পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে? এই প্রশ্নটুকু রেখে গেলাম এডমিনদের প্রতি।
অনিতা দাসের একটি গান শোনা যেতে পারে–
httpv://www.youtube.com/watch?v=JL3DfVbdlQU&feature=player_embedded#!
সকলের মন্তব্য পড়ে আমার ভাল লেগেছে। এ ধরনের নৈতিক অবস্থানটা আশাবাদি। কুলদা রায় কেন– কলহ রায় বা অভিজিৎ রায় যেই হোক –সকলের বিচ্যূতিকে আঙল তুলে দেখানোই জরুরী। এ ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকা ফরজ। আমি সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমিও কুলদা রায় ওরফে কলহ রায়কে নিন্দা জানালাম। রায়মশাই, আপনার বোঝনের দরকার–বেশি বাড়লে ঝড়ে ভাইঙা যায়। এই ব্যাপারে আপনের একটু ঘাটতি আছে।
সবাই আশা করছি খুশি।
কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকে যায়–ফরিদ আহমেদ যে রায় মশাইকে অত্যন্ত শোভন এবং সাহেবী ভাষায় তর্জনী তুলে ধমক দিয়েছিলেন সেটা সম্পর্কে কেউ কোন মন্তব্য করেন নি। ধরে নিচ্ছি ওটা বোধ হয় খুব নীরিহ ভাষ্য ছিল। না হলে কারো কোনো নৈতিক বোধটি দেগে উঠল না! ফরিদ আহমেদের ভাষ্যটি দেখুন–
আরেকটি বিষয়–আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক নৃপেন্দ্র সরকারের উপরে উষ্মা প্রকাশ করা হচ্ছে কেন? আমি উদো হতে পারি যুক্তিবাদের আলোকে–কিন্তু ওনাকে বুধো বানানো কতটা সঙ্গত জনাব ফরিদ আহমেদ?
ঈশ্বর গুপ্তের একটা লাইন মনে পড়ছে–
আমার মলে সাহেব হবো।
ফরিদদা আপনার কোন মন্তব্যের জন্য ধমক দিয়েছিলেন সেটা তুলে দিলেন না কেন?
দেখুন অহেতুক গায়ে পড়ে ঝগড়া-ঝাটির অভ্যাস বন্ধ করতে না পারলে মুক্তমনা আপনার জন্য সঠিক প্লাটফর্ম নয়।
@রামগড়ুড়ের ছানা, আপনার পর্যবেক্ষণটা সঠিক মনে হচ্ছে! গ্রেট।
আপনার কর্মকান্ড দেখতে দেখতে হাপায় গেলাম কুলদা রায়। এত্তোগুলা অফেন্স করছেন আপনি তারপরও আপনার কোন রিমোর্স নাই? প্রত্যেকটা উইকেন্ডে এসে দেখি আপনি একটা না একটা কোন ইস্যু নিয়ে এক কোনায় গাগাগুগু করছেন। অভিযোগ, অনুযোগ করে চারপাশ বিষিয়ে রাখাটা কোন কাজের কথা না। আপনি একজন সাহিত্যঘেঁষা মানুষ, অনেক কিছু শেখার আশা করি আপনার কাছ থেকে। আপনি এইসব করবেন না। আপনার আগের থ্রেডে ফরিদ আহমেদ যতোই আপনার সাথে বিনয়ী আচরণ করছিলো, আপনি ততোই বেশী বিষ ছড়াচ্ছিলেন। ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে এতো অভিযোগ অনুযোগ করার আগে আপনার এটা চিন্তা করা উচিত যে, ফরিদ আহমেদ ছাড়া অন্য কেউ ওই জাগায় থাকলে আপনাকে শক্ত ধমক দিতো। যাই হোক মডারেটরের কাছে আবেদন জানাই কুলদার এই ফাউচুকি পোস্টটা মন্তব্য-টন্তব্য বন্ধ করে দিয়ে কোনভাবে বিলুপ্ত করে, হাপিস করে দেওয়া সম্ভব হলে সেটা করতে। আমরা অন্য কিছুর দিকে মন দেই।
পোস্টটিকে মডারেশনের আওতায় নিয়ে আসা হল। এখন থেকে যে সমস্ত পোস্ট এ ধরণের অনাকাংক্ষিত পরিবেশ তৈরি করবে, পাঠকদের দাবী/অভিমতকে মূল্য দিয়ে সেগুলো এভাবে মডারেশনের আওতায় নেয়া যেতে পারে।
আল্লাচালাইনা,
ইচ্ছে করে তার পক্ষ থেকে নিজেই বলে ফেলি আমি দুঃখিত আমি ভুল করেছি।
:yes:
আক্রমনাত্বক আচরণ পরিহার করা উচিত। পাঠকরাও লেখকের কাছ থেকে সম্মান আশা করে।
আমার মনে হয় তার ধারণা ,মুক্তমনায় শুধু তার লেখারই সমালোচনা করা হয়।
কুলদা রায় হয়তো জানেন না ,বিপ্লবদার ছোট-খাটো ভুল মন্তব্যগুলোও বড় আকারে সমালোচনা করা হয়,কিন্ত তাকে কখনো আক্রমণাত্বক হতে দেখিনি। ফরিদ আহমেদের কোন লেখায় বা মন্তব্যে হিংসাত্বক বা আক্রোশমূলক কখনো পাইনি। কুলদা রায়ের ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
@ কুলদা রায়,
আপনার লেখার দারুণ ভক্ত আমি। তবু এই লেখাটি আমাকে খুবই হতাশ করেছে।
আমার মনে হয়, কোনো লেখার আনন্দ-বেদনা ওই লেখাটির মন্তব্যের ঘরেই নিস্পত্তি হওয়া উচিৎ। আর নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রেখেই কোনো ব্লগে লেখালেখি করা ভালো। এর অন্যথা মোটেই শোভন নয়। লক্ষ্যনীয়, ‘শৃঙ্খলা’ কথাটির মধ্যে ‘শৃঙ্খল’ কথাটিও আছে।
এ পর্যায়ে জানতে চাই, আপনার এই লেখাটির আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কী? :no:
ইস আবার! কুলদা রায়ের কান্নাকাটি দেখলে মাঝে মাঝে আমার নিজেরই লজ্জায় গা শিরশির করে। ইচ্ছে করে তার পক্ষ থেকে নিজেই বলে ফেলি আমি দুঃখিত আমি ভুল করেছি।
বড্ড বিরক্ত হলাম কুলদা রায়। আপনি প্রথম দিকে এখানে যখন একটা লেখা দিয়েছিলেন তখন আমি প্রবল উৎসাহ দেখাই । আপনার লেখার ক্ষমতা আছে বলেই হয়ত তা করেছিলাম। কিন্তু না, আপনি অনবরত মুক্ত-মনার প্রতি ও আপনার নিজের লেখার ক্ষমতার প্রতি বে-ইনসাফি করে চলেছেন।
মুক্তমনা কর্তৃপক্ষকে তাদের নীতিমালা প্রয়োগ করে ব্লগে সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানাই। আমার মনে হয় ইতিপূর্বে নীতিমালা প্রয়োগে শৈথিল্য প্রদর্শন করার জন্যই এই ধরনের একটা আবর্জনা-পোস্ট মুক্তমনার পাঠক/সদস্যদের সহ্য করতে হচ্ছে। মুক্তমনার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
@ইরতিশাদ, @সৈকত চৌধুরী,
দুজনের সাথেই একমত।
আপনি আপনার এই লেখায় অহেতুক আমার নাম নিয়ে এসেছেন তাই উত্তর দিতে বাধ্য হচ্ছি, না হলে আপনার এই ধরণের বালখিল্য পোষ্টে উত্তর দিয়ে সময় নষ্ট করতাম না। আমি আপনাকে কোথাও সংযোজন বা বিয়োজন করতে বলিনি, হয় আপনি বোঝেননি (যেটার সম্ভাবনা শূন্য বলেই ধরে নিচ্ছি) আমি কি বলেছি বা ইচ্ছা করেই তা বিকৃত করছেন অযথা ঝগড়া সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে। আসুন দেখি আমি কি বলেছিঃ
আমি এখানে খুব সোজা বাংলায় আপনাকে মৌলিক লেখা দিতে বলেছি, সেটা আপনার না বোঝার কথা নয়। এও বলেছি যে আপনাকে মুক্তমনার এডমিনরা যে সম্মান দেখিয়েছে আপনিও সেটাকে মূল্যায়ন করে মুক্তমনার স্বকীয়তা বজায় রাখতে চেষ্টা করবেন। আপনাকে আমি কোথাও লেখার উপরে দুই চার লাইন কথা যোগ করে আরেক ব্লগে প্রকাশিত পুরোনো লেখা মুক্তমনায় উগড়ে দিতে বলিনি। মুক্তমনার এডমিনরা খুব পরিষ্কারভাবেই আপনাকে বলেছিল যে এই সিরিজের অন্যান্য লেখা অন্য ব্লগে প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা আর প্রথম পাতায় রাখা হবে না। সেটা মুক্তমনার পরিচালকদের সিদ্ধান্ত, এটাকে বারবার চ্যালেঞ্জ করে কলহ তৈরি করে আপনি আনন্দ পেতেই পারেন, কিন্তু তা তে তো আসলে কিছুই এসে যায় না। এক্ষেত্রে মুক্তমনার এডমিনদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, আপনি বা আমি কি বললাম তা তে কিছুই এসে যায় না।
আপনাকে মুক্তমনায় রবীন্দ্রনাথ নিয়ে লেখা প্রথম পর্বটায় আমিসহ অনেকেই অনেক প্রশ্ন করেছেন, আপনি সেগুলোর উত্তর না দিয়ে কাটিয়ে তগেছেন। স্বাধীনের মন্তব্যে দেখলাম অন্য কোন ব্লগেও একই কাজ করেছেন। আগেও দেখেছি যুক্তি দিয়ে প্রশ্নের উত্তর না দিতে পারলেই আপনি হয় বিমূর্ত কিছু কথাবার্তা বলে এড়িয়ে যান বা আক্রমণ করে বসেন। মুক্তমনায় যদি রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আলোচনা করতেই চান তাহলে মৌলিক লেখা নিয়ে আসুন, বিভিন্ন বিষয়ে তার বিশ্ব দৃষ্টিভংগী নিয়ে আলোচনা করুন। এতদিনে যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আরেকবার বলি, মুক্তমনায় আপনার লেখাগুলো যুক্তি দিয়ে একাডেমিকভাবেই খন্ডন করার লোকের অভাব নেই, ‘কেঁচো বা সাপ’ কোনটার ভয়ে ব্যক্তিগত ক্যাচাল করার দরকার এই ব্লগে কারো নেই।
হ্যা, আসলেই তো! ঠিকই বলেছেন, কিন্তু আপনার কথাটা আপনাকেই উলটে জিজ্ঞেস করি, সামাজিক গ্রুপে ব্যক্তিগতভাবে সাদ কামালী কোথায় আপনার কোন আত্মীয়কে কি বলেছেন তা মুক্তমনায় তুলে আনছেন কেন? মুক্তমনার আর কোন সদস্যকে তো এগুলো করতে দেখি না। আপনি কোথায় সাদ কামালী, ফরিদ আহমেদ এবং অভিজিতের মধ্যে বন্ধুত্বের সার্টিফিকেটটা দেখেছেন, বলতে পারবেন কি? আর সাদ কামালী বা হাসান আল আব্দুল্লাহ কোথায় কি বললো তা এখানে কিভাবে প্রাসঙ্গিক? আপনি তো ভাই খুবই ক্যাচালের লোক, এধরণের কথা মুক্তমনায় তুলে আনাটাই তো আসলে আপত্তিকর।
আপনি বোধ হয় খেয়াল করে দেখেননি যে অন্যান্য ব্লগের চেয়ে এখানে ব্যক্তিগত ক্যাচাল কত কম হয়, আপনার মনে হয় মুক্তমনার এই ক্যাচালবিহীন পরিবেশ দেখতে ভালো লাগছে না। এটার বোধ হয় একটাই সামাধান আছে, ক্যাচাল করা ব্লগের তো আজকাল আর অভাব নেই, আপনার যদি এগুলো করতেই ভালো লাগে তাহলে আপনি বরং সেগুলোতেই লিখুন অযথা এখানে এসে আপনার নিজের এবং সবার সময় নষ্ট না করাই বোধ হয় ভালো হবে।
@বন্যা আহমেদ,
এরকমই থাকুক; যুক্তি-বুদ্ধি-রহিত, প্রতিক্রিয়াশীল লেখা-মন্তব্য বর্জিত হোক, এই কামনা।
ওহ উল্লেখ করতে ভুলে গেছি, একই পাতায় পর পর দুইটা লেখাও নীতিমালা বিরোধী। আর আপনার লেখার দরকারই বা কি। এতে করে তো আপনার লেখার পাঠক কমে যাবে। মানুষ তো বৈচিত্র চায়। তাই না ? একটু সময় নিয়ে প্রকাশ করুন পাঠক বেশী পড়বে , তাদের যেমন উপকার হবে , আপনারও তেমনি প্রসার হবে। অর্থনীতিতে চাহিদা সূত্র কি বলে – মার্কেটে মালের আমদানী বেশী হলে মালের চাহিদা কমে যায় , দামও কমে যায়।
লেখকের সমস্যাটা বুঝলাম না। যেখানে সাইটের বিধিতে স্পষ্ট বর্নিত আছে যে অন্য সাইটে নিবন্ধ প্রকাশ করা হলে তা এখানে ছাপানো যাবে না , এর পরেও পাঠকদের বিশেষ বিবেচনায় একটা লেখা ছাপানো অবস্থায় রাখা হয়েছিল, তখনও বিষয়টা সেখানে উঠেছিল। এর পরেও আপনি একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। এখন মডারেটর তার নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম পাতা থেকে সেটা সরিয়ে দিতেই পারে। এটা নিয়ে আবার ক্যাচাল কেন ? এ জন্যেই তো বাঙালীদের নামে প্রবাদ হয়েছে-ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। ভাই আপনাকে অনুরোধ করি ,নীতি মালার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এসব ক্যাচাল বাদ দিন। মডারেটর যদি কোন অন্যায় করে আমরাও আপনার সাথে যোগ দিয়ে কঠিন সমালোচনা করব , দরকার হলে এ ব্লগ ছেড়ে চলে যাব, কিন্তু অন্যায় আব্দার করলে তো কিছুই করার নাই।
খুবই দুঃখজনক!
আপনি যেভাবে আমার চরিত্র হননের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তাতে আশংকিত বোধ করছি। আপনার মত একজন পরিণত মানুষকে বোঝাতে ব্যর্থ হচ্ছি যে, মুক্তমনায় এককভাবে আমি সিদ্ধান্ত নেই না। সেই ক্ষমতা থাকলেও সেটাকে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার না করার মত নীতিবোধটুকু যে আমি মেনে চলতে পারি সেটাও মনে হয় আপনি বুঝতে পারছেন না। মুক্তমনায় একটা মডারেশন কমিটি আছে তাঁরাই মুক্তমনার নীতিমালা অনুযায়ী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
আপনি আমার যে উদ্ধৃতিটিকে ব্যবহার করে আপনার কজকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন সেটির মূল কন্টেক্সট ভিন্ন। সহব্লগারদের প্রতি আমার গভীর মমত্ব, শ্রদ্ধা, ভালবাসা এবং বিপদের সময় তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ানোর প্রত্যয়টুকুই ওখানে প্রকাশিত হয়েছে, কারো প্রতি হিংসাত্বক কোনো হুমকি ধামকি সেখানে ছিল না।
সাদ কামালীকে কেন বার বার এখানে টেনে আনছেন সেটাও বুঝতে পারছি না। সাদ কামালীর ভুত কি অহর্নিশ আপনাকে তাড়া করে ফেরে? এর আগেও এক লেখায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে সাদ কামালীকে টেনে এনেছিলেন আপনি আপনার এক মন্তব্যে। এখানেও তাই দেখছি। আগেও বলেছি, আবারো বলছি সাদ কামালীর সাথে আমার কোনো পরিচয়ই নেই, বন্ধুত্বতোও অনেক দূরের ব্যাপার। সাদ কামালীর সাথে মুক্তমনারও কোনো সংস্রব নেই বহু বছর। অথচ আপনি সবকিছুতেই সাদ কামালী আর ফরিদ আহমেদের বন্ধুত্বের মত অলীক জুজুর ভয় পাচ্ছেন। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, একটি পাবলিক ফোরামে লেখার জন্যে যে ধরনের মানসিক স্থিরতা থাকা প্রয়োজন, তা আপনার মধ্যে বিপুল পরিমাণে অনুপস্থিত।
প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেরই কিছু নীতিমালা থাকে। লেখকের স্বাধীনতা সেখানে অবান্তর প্রশ্ন। মুক্তমনার প্রথম পাতায় এক লেখকের একাধিক লেখা প্রকাশে বারণ করা আছে, এখন কেউ যদি বলে যে এতে তাঁর লেখক স্বাধীনতা অক্ষুন্ন হচ্ছে তাহলে যেরকম সেটা অনুচিত, ঠিক তেমনি অন্য ব্লগের লেখাকে মুক্তমনা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানানোটাও লেখকের স্বাধীনতার কোনো হস্তক্ষেপ নয়। প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই অধিকার মুক্তমনা সংরক্ষণ করে। লেখকেরাও এটা মেনে নিয়েই এখানে লিখতে আসেন। মুক্তমনার নীতিমালা পছন্দ না হলে অনায়াসে তাঁরা তাঁদের পছন্দের জায়গাতে গিয়ে লিখতে পারেন। মুক্তমনা বিন্দুমাত্রও বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না তাঁদের সেই স্বাধীনতায়। ধরুন, গুপ্তবাবুও যদি লেখকের স্বাধীনতার কথা বলে তাঁর চটিগুলোকে মুক্তমনায় প্রকাশ করতে চায়, আমরা কি সেটা করতে দেবো? দেবো না নিশ্চয়ই।
আপনাকে বার বার এডমিন থেকে সতর্ক করার পরেও সেগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাতে উপেক্ষা করাকে মুক্তমনা কর্তৃপক্ষ যদি তাঁদের অস্তিত্বের স্বপক্ষে হুমকি বলে বিবেচনা করে তাহলে কি মুক্তমনাকে দোষ দেওয়া যায়?
পরিণত একজন মানুষের কাছ থেকে পরিণত আচরণই আশা করি আমরা, এরকম কলহপ্রবনতা নয়। এই বোধটুকু আপনার মধ্যে দ্রুত জাগ্রত হোক সেই আশাবাদটাই রইলো।
@ফরিদ আহমেদ,
মুক্তমনার এই সিদ্ধান্তকে আমি ধিক্কার জানাই 😥 ।
কুলাদা রায় ওরফে কলহ রায় ১০০% বাঙালী। উনার বাঙালীসুলভ কলহপ্রিয়তা উপভোগ্য। তাই আমার বলার কিছু নেই-শুধু এটাই বলি
এই সমস্যাটার মূলে না গিয়ে ব্যাক্তিগত নালাতে নামছেন কেন?
আসল ব্যাপারটা হচ্ছে সচলে সাহিত্যপাঠক বেশী-তাই উনি ওখানে ছাপাতে চেয়েছেন। কুলাদা রায় এর বলা উচিত ছিল, সচল এবং মুক্তমনার মধ্যে একটা চুক্তি থাকলে ভাল হয়-যে দুটো ব্লগেই লেখা ছাপালে ভাল হয়। মুক্তমনাতে বিজ্ঞান পাঠক বেশী-সচলে সাহিত্য পাঠক।
আসল সমাধানে না গিয়ে বাঙালী যাতে ওস্তাদ-কুলাদা রায়, সেটাই করছেন। একদম, ব্যাক্তিগত আক্রমনে গেলেন।
@বিপ্লব পাল,
এটা আপনি কী লিখলেন? পিতামাতা প্রদত্ত একটি নাম নিয়ে এরকম মশকরা করাটা অশোভন, অন্যায়। নিশ্চয় এটি মুক্তমনা নীতিমালা পরিপন্থী।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কুলদা রায়ের এই লেখাটি সুশোভন না অশোভন, ন্যায় না অন্যায়, মুক্তমনা নীতিমালার নিশ্চিত পরিপন্থী নাকি অপরিপন্থী, সে বিষয়ে আপনার মতামতটা পেলে বেশ ভালো লাগতো।
@ফরিদ আহমেদ,
কুলদা রায়ের এই “ব্লগাড্ডা”টির কিছু কিছু বিষয় আমার পছন্দ হয়নি। আপনারা মডারেটররা সংযমের সাথে আলোচনা করেছেন। এটা ভাল। এর পর বিলম্ব না করে লেখাটি উঠিয়ে নিতে পারতেন। আমার ধারনা ছিল আজ সকালে লেখাটি দেখব না।
আমি বুঝলাম না কেন ‘আমার মতামতটা পেলে আপনার ভাল লাগতো।’
হোক উত্তর দিতে হবে না। পোস্টটি উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে দেখলেই ভাল লাগবে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
কেন দাদা?
এ ছাগল নিশ্চয়ই এই ব্লগেরই কেউ না কেউ। এমন অমৃতসুধা এই ব্লগে আর কে বিতরণ করবে? ছিদ্রান্বেষী, কুয়োর বেঙদের আরো অনেক শুনার বাকি আছে। সুতরাং এই লেখাটি কিছুদিনের জন্যে স্টিকি করা হউক।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে কুলদা রায়ের লেখাটিরর বেশিরভাগ ব্যাপারই আপনার পছন্দ হয়েছে, কেবল “কিছু কিছু বিষয়” আপনার পছন্দ হয়নি! 🙂
যাতে উনি আবার কাল সকালে আরেকটি ‘প্যানপানানি’ পোস্ট দিতে পারেন এই বলে যে, তার “পাঁচ সিকার ছাগলে লাখ টাকার বাগান খেয়ে ফেলে। ছাগল জলে নামতে ভয় পায়” পদাবলী সমৃদ্ধ অসামান্য লেখাটা – যেখানে শস্যের চেয়ে ছাগল বেশি – আর যা কিনা তঁর শ্রদ্ধেয় স্যারের হৃদয় মন তুলকালাম স্পর্শ করে গিয়েছিলো, আর বেশিরভাগ অংশই ছিলো পছন্দনীয়, সেটি অন্যায় ভাবে সরানো হয়েছে!
আকাশ মালিক ঠিকই বলেছেন, লেখাটি বরং কিছুদিনের জন্যে স্টিকি করা হলেই বরং মঙ্গল। পাঠকেরা আরো কিছু অমৃতসুধা পান করার সুযোগ পাবেন! আমি স্টিকির পক্ষে! 🙂
@অভিজিৎ,
আমিও স্টিকি করার পক্ষে। সেই সাথে এই লেখাটি যেন কুলদা রায় নিজেই মুছে দিতে না পারেন, সেই ব্যবস্থাও করা প্রয়োজন।
@অভিজিৎ,
প্রথম দুটো প্যারাগ্রাফে আগের লেখাটা উঠিয়ে নেওয়ার প্রেক্ষিতে ব্লগাড্ডা হিসেবে কিছু বলেছেন। আপত্তিকর তেমন কিছু লক্ষ্য করিনি। সেখানে আপনার বা আমার কারও পছন্দেরও কিছু নেই। আমার পছন্দ হয়েছে আপনি কেন ভাবলেন! লেখাটা ওখানে শেষ হলে হলে নিশ্চয়ই ঝামেলা শুরু হত না। লেখাটাকে আমি দুভাগে ভাগ করে দেখেছি। আমার মনে হয় আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।
স্টিকি হয়েই থাকুক। অসুবিধা কী। আমরা সাধারণ সদস্যরা ক্যাচাল কমানো চাইতেই পারি। দায়িত্ব তো আপনাদের।
মনে হচ্ছে আমাকেও এর মধ্যে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। আমাকে জড়িয়ে কারও ভাল লাগলে লাগান। আমার প্রতিটি শব্দ নিয়েও যদি কারও কিছু যদি বলতে ইচ্ছে করে, বলতে পারেন। আমি উত্তর দেব না। আমি কেটে পড়ছি ভাই। এসব ক্যাচাল চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার মত সামর্থ্য আমার নেই।
সবাই ভাল থাকুন। মুক্তমনা কালিমামুক্ত থাকুক। এর অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক। মুক্তমনা দীর্ঘজীবি হউক।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
মাফ করবেন, আমারও মনে হয়েছে আপনি বরাবরই কুলদা রায়ের নিরপেক্ষ সমালোচনায় অপারগ। কুলদা ভাল লেখেন, কিন্তু তাই বলে উপমার আড়ালে সহ-ব্লগারদের যা খুশী বলতে পারেন না। তাকে ব্যক্তিগত ঝগড়া ব্লগে না আনার অনুরোধ জানাই।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
যাক, এটুকু জেনেই ভালো লাগলো যে, এই ব্লগাড্ডাটির পুরোটা না হলেও অন্তত ‘কিছু কিছু বিষয়’ আপনার অপছন্দ হয়েছে। 🙂
কারণটা খুব সহজবোধ্য। বিপ্লবের করা ছোট্ট একটা অশোভন মন্তব্যের বিষয়ে আপনি আপনার সুস্পষ্ট মতামত দিলেন, অশোভন বললেন, নীতিমালা পরিপন্থী বললেন, অথচ যে লেখার উপর বিপ্লব এই মন্তব্যটা করেছে সেই লেখাটি নিয়ে আপনি একটা টু শব্দও করলেন না। অথচ বাকি সবাই সেই লেখাটাকেই বেশি অশোভন বলছে, মুক্তমনা নীতিমালার ঘোর পরিপন্থী বলছে। সে কারণেই বিস্ময় জাগলো। মশাকে বুক চিতিয়ে আটকালেন দেখেই আসলে কৌতুহলটা জাগলো, ক্ষুদ্র মশা যে বিশাল হাতির লেজ ধরে এসেছিল সেই হাতিটাকে আপনি দেখেছিলেন কি না। এখন বুঝলাম যে, গোটা হাতিটাকে না দেখলেও তার ‘কিছু কিছু’ অংশ দেখেছিলেন। তবে, ‘কিছু কিছু’ হলেও যে দেখেছেন তাতেই খুশি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,যদিও আমার এমন্তব্যে নাক গলানো উচিৎ নয় , তবুও মন্তব্য করলাম বলে কিছু মনে করবেন না আশা করি।
মন্তব্যের শেষে একথাগুলো অহেতুক না লিখলেই মনে হয় ভাল ছিল। আপনার পুরো ভাল মন্তব্যটি একফোটা চেনা পড়ার দোষে দুষ্ট হলো। কাউকে অহেতুক আঘাত করার মানে হয় না। তবে আপনি যদি বন্ধুকে শোধরানোর জন্য বলে থাকেন , তাহলে আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিলাম।
@ফারুক,
বিন্দুমাত্রও কিছুই মনে করি নি। এখানে আমরা কেউ-ই বিশুদ্ধ নই, নই দোষ-ত্রুটির উর্ধ্বে। একজন আরেকজনের ত্রুটিগুলোকে শোভনভাবে চিহ্নিত করে দিলে ক্ষতির চেয়ে লাভই বরং বেশি। ওই লাইনটার জন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করছি এবং মুছে দিচ্ছি আমার মন্তব্য থেকে।
আপনার মন্তব্যটা বেশ পছন্দ হয়েছে আমার।
@ফরিদ আহমেদ,
ভালো লাগল ফারুকের সুন্দর করে ভূল ধরিয়ে দেয়া আর ফরিদদার একবাক্য দোষ স্বীকার করা। ফরিদদার এই আচরণের মধ্যে অনেক কিছু শিখার আছে। :yes:
ক্যাচাল না কইরাত্তো দেখি থাকবারই পারেন্না আপ্নে। ফেসবুক, সচলায়তন, মুক্তমনা সব জায়গাতেই দেহি খালি ক্যাচাল বাধান। ঘটনাডা কি দাদা? কলহ বিবাদে এত আনন্দ পাইলে কি চলে? কয়দিন পরেতো আপ্নেরে হগগলে কুলদা রায় বাদ দিয়া কলহ রায় কইয়া ডাকবো। 🙂
@ফাহিম রেজা, :lotpot:
@ফাহিম রেজা,
কুলদা রায় হয়তো এটাই চান। তিনি শুরু করবেন রবীন্দ্রনাথ দিয়ে আর ভেতরে যত্তসব ব্যক্তিগত ঝগড়া। তার লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ থাকেনা, ভুমিকাতেই তা বন্ধ করে দেন। কে কোথায় তাকে মন্দ বললো, গালি দিল তা প্রবন্ধে আসে কী ভাবে? আমরাই বা তা পড়তে যাবো কেন? তবে কি ধরে নেবো কুলদা রায়ের লেখা মা’নেই **** টির কেচ্ছা?
সিনিয়র মডারেটররা আপনার লেখার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত এই উস্কানিমূলক এই লেখাটি ১ম পেজে রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে না পারলে সে ব্লগে আপনার লেখালেখি না করাই ভালো।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
একমত। আমি জানি যে, সচলায়তন থেকেও উনার লেখা সরিয়ে দেয়া হয়েছিলো, তখন তিনি নানা নানা ক্যাচাল করে চলে গিয়েছিলেন। তার কয় দিন পরেই দেখি ঠিকি তিনি সেখানকার নিয়ম নীতি মেনেই নতুন লেখা দিচ্ছেন।
মুক্তমনা কি বানের জলে ভেসে এসেছে যে, সচলায়তনে আগে পোস্ট করা রদ্দি জিনিস এখানে ঢালতে হবে? উনি যদি মুক্তনামার সাথে সংশ্লিষ্ট বোধ করেন, তা হলে নতুন লেখা দিলেই পারেন। নাকি নিজের পুরোন লেখা পোস্টের প্রচার চালাতেই তার উৎসাহ বেশি? মুক্তমনা যদিও কোন গার্বেজ ডিস্পোজালের জায়গা নয়, তারপরেও পুরোন লেখা কেউ রাখতেই পারেন, তার নিজস্ব পাতায়, নীড় পাতায় প্রকাশ না করে। তা হলেই তো সমস্যা মিটে। মুক্তমনা মডেরেটরেরা কিন্তু বারবার উনাকে সতর্ক করছেন প্রথম পাতায় তার পুরোন লেখা প্রকাশের ব্যাপারে। তারপরেও তার কোন ভাবান্তর নেই। কেন যেন মনে হচ্ছে ব্যাপার গুলোর গুরুত্ব না বুঝে কেবল ক্যাচাল করতেই তার আগ্রহ বেশি।
এটি একটি মিথ্যে কথা। অতীতে বহু লেখকের লেখাই সরিয়ে নেয়া হয়েছে একই অভিযোগে। কয়েক দিন আগেও তো আব্দুর রহমান আবিদের একটি লেখা সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো সদালাপে প্রকাশের কারণে। আরো অনেকের লেখাই এইভাবে সরানো হয়ছে সামহোয়্যার ইন বা অন্য ব্লগে ছাপানোর কারনে। কুলদা রায়ও ব্যতিক্রম নন। সবার ক্ষেত্রে যা নিয়ম, তা উনাকেও মানতে হবে।
কে কার বন্ধু – তা পুরোটাই কুলদা রায়ের অনুমান। সাদ কামালীর সাথে মিলে একটি বই লেখার কারণে আমার একটি ‘ওয়ার্কিং রিলেশনশিপ’ গড়ে উঠেছিলো, কোন বন্ধুত্ব নয়। সাদ কামালীর সব বিশ্লেষণের সাথেও আমি একমত নেই। বহুদিন ধরে সাথে সাদ কামালীর কোন যোগাযোগও আমার নেই। কুলদারও তো বিপ্লব রহমান সহ অনেকের সাথেই বন্ধত্বের সম্পর্ক আছে। সেজন্য কি তার প্রতিটি কাজকর্মের জন্য বিপ্লব রহমানকেও আমরা দায়ী করব? তা কিন্তু করছি না।
যা হোক, সব ব্লগেরই কিছু নীতি আছে, নিয়ম আছে।কেউ সেগুলোর সাথে একমত না পোষণ করলে সেখানে না লিখলেও পারেন। আমিও তো বহু ব্লগে লিখি না, তাদের নীতির সাথে একমত না হওয়াতেই কিংবা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করাতেই লিখি না। সেরকম আবার অনেকেই আছেন যারা মুক্তমনাতেও লেখেন না। যার যেখানে পছন্দ সেখানেই লিখুন না। এতে এতো তুলকালাম করার কি আছে?