ঠাকুরদার সারাদিনের খরচ ছিল এক টাকা। সকালে এক কাপ চা—বিকালে আরেক কাপ চা। হনু ময়রায় দোকান থেকে কিনতেন একটি সন্দেশ। একটুকরো ভেঙে আমার মুখে দিতেন। বলতেন, কেমন লাগছে? অমৃত সমান।
চৌরঙ্গীতেই মন্টুদের বাসা। ওদের উঠোনে মন্টু দাঁড়িয়ে থাকত। ওর হাতে এক টুকরো। শব্দ শুনে রূপকুমার এসে গেছে। ওর জন্যও এক টুকরো। ওর ছোট বোনটি কেবলই হাঁটতে শিখেছে। মায়ের কোল থেকে বলে উঠেছে—আমালে দাও। আমালে দাও। ওকে সন্দেশ না দিয়ে পারা যায়?
আমাদের বাড়ি যেতে তিনটে গলি। সন্দেশ বিলিয়ে যেতে যেতে সন্ধ্যে ঘুরে যেত। আমার ঠাকুরদার সন্দেশ তখনো ফুরোয় নি। এক টুকরো আমার পাগলী ঠাকুরমাও পেত। সে তখন পিঁপড়ের আহার। আহা, তবু তো অমৃত।
ঠাকুরদা মারা যাওয়ার পরে এক আত্মীয় আমাদেরকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছিল। সেদিন জানা গেল—ঠাকুরদা ছিলেন নিঃস্ব। নিঃস্ব মানুষ ছাড়া অমৃত বিতরণ করতে পারে আর কে?
২.
অমৃত পাঠ আমার প্রিয়। অমৃত পাঠে আমার চোখে আরাম আসে। আনন্দ জাগে মনে। আত্মার শান্তি হয়। এই অমৃত একা খেতে নেই। মনে হয় পিঁপড়ের আহারের মত দেই না বিলিয়ে অমৃত পাঠ—পথে যেতে যেতে সন্ধ্যে ফুরোবার আগেই।
৩.
অমৃত পাঠের মত কবিতা পাঠও আমার প্রিয়। কোনো ভাল লেখা পেলে সবাইকে পড়াতে ইচ্ছে করে। এইভাবে অনেক কবিতা ভাগ করে পড়েছি। এখনো মাঝে মাঝে পড়ি। এক্ষেত্রে কবিদের কাছ থেকে অনুমতি নেই নি। নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি নি। শুধু একজন আপত্তি তুলেছিলেন।
এভাবে অনেক কবিতার সঙ্গে জানাশোনা হয়েছে। কবি সৌনক দত্তের কবিতার পোস্ট দিতে পারি নি। ওর ভাল কবিতার জন্য ওৎ পেতে আছি। পাব।
৪.
যিনি কবিতা পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন—রীতিমত ধমক দিয়েছিলেন, তিনি কবি সোহেল হাসান গালিব। একটি মতাদর্শিক কারণে উনি গালিটি দিয়েছিলেন পরে বুঝেছি। এ বিষয়ে কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ ব্যতিক্রম। তাঁর সঙ্গে অনেক বাহাস হয়েছে ঠিকই—কিন্তু কবিতা প্রদানের ব্যাপারে উনি ব্যক্তিগত ক্ষোভ পুষে রাখেন নি। এজন্য সুব্রতকে প্রকৃত কবি বলেই মনে হয়েছে।
৫.
এই কবিতা পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে দুজন কবি শ্লেষ বর্ষণ করেছেন। একজন কবি গালিব। তিনি বলেছিলেন—কুলদা বৃষ্টির মত কবিতার পোস্ট দেন। আশেপাশের বাক্যে শ্লেষটি প্রকট হয়েছিল। আরেকজন নিউ ইয়র্কের কবি—হাসানাল আব্দুল্লাহ। তার কবিতায় কবিতা আছে কিনা একজন পাঠক হিসাবে একদিন প্রশ্ন করেছিলাম—তারপর উনি সস্ত্রীক গালিগালাজের বর্ষণ ঝরিয়ে আমাকে রিমুভ করেছেন সখাতালিকা থেকে। তিনিও আমার কবিতা পোস্ট দেওয়াটাকে খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন।
এবং কবি তুষার গায়েন আগে এত কবিতার পোস্ট দেওয়াটাকে ভাল সম্পদক হওয়ার অন্তরায় বলে মনে করতেন। বলেছেন একজন কবির কবিতা পোস্ট দেওয়ার পরে বেশ কিছুটা সময় দেওয়া দরকার। পাঠকদের জন্য। না হলে পাঠক মনোযোগ হারাবেন। হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। যখন যা পাই তাই ভাগ করে নেই। তার অসময় অসময় বলে আমার কাছে কোনো বিধি নেই। আমার মতটি মানতে হবে এর কোনো কথা নেই। আর আমি তো কবিতার সম্পাদক নই। হওয়ার ইচ্ছেও নেই।
কবিতা যখন অমৃত পাঠ—তখন কবিতার জন্য কোনো ঘেরাবেড়ার দরকার নেই। নদীর হাওয়ার জন্য কি পুলিশি আইন করার উপায় আছে?
৬.
আমার প্রয়াত পিসির একটি ছবি পেয়েছিলাম আমার এলবাম খুঁজে। আমার বাবার শ্রাদ্ধের দিনে পিসি বসে আছেন মন্দিরের সামনে।মাথার উপরে একটি চেরি ফুল গাছ। তিনি নেই। অনেক শোকের মধ্যে ছবিটি তুলেছিলাম। বাবা পিসিরা হারিয়ে যাচ্ছেন। তাদের ছবিও থাকছে না। এটার জন্য মনে খেদ থেকে যায়। তাঁর ছেলে মেয়েরা অনেক কৃতি। তাঁদেরকে মনে করে আমাদের বাড়ির লোকজন বড় হয়।
এই পিসির ছবিটি আমি একদিন বোনটির ওয়ালে দিয়েছিলাম। অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু ছবিটিকে তাঁদের কাছে পৌঁছানো।
পিসি ছিলেন দেবী মুর্তির মত। আমি তো তাই-ই মনে করেছি চিরকাল। তাঁর সঙ্গে বুদ্ধদেব বসুর গল্প নিয়ে আলোচনা হত। বিভূতি ভূষণকে আমরা দুজনেই ভালবাসতাম। কিন্তু ছবিটা দেখে এক ভাই মন্তব্য করলেন—মায়ের মত এমন পবিত্র ছবিটিকে কেন আপনি পোস্ট দিলেন?
–আমার অপরাধ কি?
–আপনার মত বিতর্কিত লোক এভাবে পবিত্র ছবি দিলে সমস্যা হয়।
ঠিকই তো। পবিত্রতাকে প্রকাশের জন্য পবিত্রতা অর্জন পূর্ব শর্ত। অমৃতকে প্রকাশের জন্য অমৃতপাঠের অধিকারী হওয়া পূর্বশর্ত। অনধিকারীর কানে শিসে ঢেলে দাও।
@আকাশ মালিক,
সব কিছু পড়েই বা শুনেই বিশ্বাস করা ঠিক নয় । প্রেম বাণিজ্যের গোপন বনিতা পতিতারা চিৎকার করে এটা জানতাম না 🙂 আর তাদের চিৎকার শুনে খদ্দের ছাড়াও রাব-পুলিশদেরও আগ্রহী হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। পতিতাদের পয়সা দেয়া হয় খদ্দেরদের আনন্দ দেয়ার জন্য , চিৎকার করে নিজেই আনন্দ নেয়ার জন্য নিশ্চয়ই না।
প্রিয় কুলদা রায়,
কবি তুষার গায়েনকে খুঁজতে গিয়ে পথের বাঁকে বাঁকে আপনাকেই বারবার দেখেছি। কবির কবিতাগুলো পড়ে আপনি নিজের মনের মাধুরী দিয়ে যে ভাবার্থ প্রকাশ করলেন, কবি নিজেও বোধ হয় সেভাবে কল্পনা করেন নি।
তুষারের কাহিনী কোনো পাথুরে ভাষ্কর্য নয়- জলরঙে আঁকা একটি মহত্তম ছবি,যেখানে অনেক কিছুই সুপ্ত,ইঙ্গিতময়। পাঠককে শব্দের বাঁকে বাঁকে সে ইঙ্গিতকে দেখতে হয় শুধু চোখ দিয়ে নয়- চৈতন্য দিয়ে।
একদম কোরানের মর্মকথা। সে সুপ্ত ইঙ্গিত খুঁজতে খুঁজতেই বেলা শেষ। কারবালা আর কুরুক্ষেত্রে পড়ে রইলো ছোপ ছোপ মানবের রক্তদাগ।
আর এই লেখার মাধ্যমে যে অন্তর্নিহিত গভীর ভাবনার প্রতিফলন হয়, তাই হল ভাববস্তু।
আহা লালন! জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আসমানে।
মৃত রাজপুত্রের সঙ্গে মালঞ্চমালাকেও চিতায় তোলা হল। আগুন জ্বলে উঠল। বৃষ্টি এসে নিভিয়ে দিল সে আগুন। বেঁচে গেল মেয়েটি সতীদাহ থেকে। প্রকৃতি ঘোষণা করল মেয়েটি ডাইনি নয়, সতী নারী। সতী নারীর কোলে শিশু স্বামী- মৃত রাজকুমার।
এই রূপকথা এখানেও একই রকম। ইব্রাহিমের অগ্নিকুন্ড হয় পুষ্পকানন, ইব্রাহিম আগুনে পুড়েনা। আর উত্তরাধুনিক কবিতায় সতী নারী! মুহাম্মদের হাদিসে একবার দেখেছি। এতো এখন অচল শব্দ।
এই বন সহজ সরল, স্বাভাবিক, সপ্রাণ ও সবুজ। এখানে গাছপালা, পশুপাখি, নদীজল- আকাশবাতাস, মেঘ ও মাটি- একীভূত। অখণ্ড সত্তা। স্বার্থের দ্বন্দ্ব নেই। নেই বিভাজন। আছে উদার ঐক্য। অখণ্ড একাকার হয়ে যাওয়ার টান। শুভর সঙ্গে মিলনের বোধ।
আর আমি দেখি কাকের বাসায় কোকিলের ডাকাতি, হত্যাযজ্ঞ। শুভটা কে?
আমি ব্রহ্মপুত্রের কাছে। চারিদিকে শালগাছ। হাওয়ায় হাওয়ায় পুষ্প রেণু। ফুল ফোটে। পথ ছেড়ে মাঠ দিয়ে হাঁটি। পুষ্প পায়ে দলা ঠিক নয়।
পুষ্প পায়ে দলা ঠিক নয় কেন? কোন বৈজ্ঞানিক মারেফতি?
বনে মালঞ্চমালার সাথে বাঘের আলাপ!
রূপভান-রহিম বাদশা তো দূরের কথা, শাহজালাল ফেইল্ড। তার সাথে বাঘের আলাপই মানুষকে গিলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে।
এই ভাবে পাবনায় আমাদের দুজনের অনেক সময় কেটে গেছে হেঁটে হেঁটে। ওখানে ছাদের উপরে বসে বসে, দুজনে এষার আজান শুনি। আমার মরমে পশিয়া যায়। বুঝতে পারি, ঈশ্বর আমাদের ডাকছেন।
আর আমার মনে হয় এষার আজান যেন কোন পতিতার চিৎকার। নাহ দাদা, চৈতন্য দিয়ে আমার দ্বারা জলরঙে আঁকা কবিতার সুপ্ত,ইঙ্গিতময় মহত্তম ছবি আর বুঝি কোনদিন দেখা যাবেনা।
স্বাধীনভাই, ফরিদভাই
আসলেই অবাক হয়েছি। এঁরা কেউই জাস্ট পাঁচবছরের কাহিনী নন। মুক্তমনায় লেখেন না বলেই যাদেরকে না-চেনারই কথা, অন্তত সুব্রত এবং গায়েন তাদের মধ্যে পড়েন কি না আমার সন্দেহ আছে। এর আগে কুলদা রায়েরই একটা লেখা মুক্তমনাতে প্রকাশিত হয়েছে: একটি কবিতার ভেতরকার কলকব্জা, সেইখানে তুষার গায়েনের লেখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি অবশ্য পাঠক খুব একটা পান নি।
আপনারা দুজনেই পেট্রোল ঢেলেছেন, এইটা বোধহয় স্পষ্ট করেই বলা উচিত।
@এন্টাইভণ্ড,
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে এরা বেশ নামকরা কেউ হবেন। এঁদেরকে না চিনতে পারার জন্য খুবই লজ্জিত এবং দুঃখিত। কুয়ার ব্যাঙ হবার কারণে অনেক নামকরা লোকেরই খোঁজখবর রাখা হয় না সেরকমভাবে।
আগেই বলেছি যে, কবিতার বিষয়ে আমার পছন্দের তালিকা খুবই সীমিত। আবার সেই পছন্দও একটা নির্দিষ্ট দশকের পরে আর এগোতে পারে নি। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে আশির দশকের পরে যাঁরা কবিতা লিখেছেন তাঁদের কোনো খোজখবরই রাখি নি আমি। এর আগের সব কবির খবরও যে রাখতাম তাও নয়। জীবনে হাতে গোনা খুব সামান্য সংখ্যক কবিতাই পড়েছি আমি।
কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ-র সাথে উত্তরাধুনিক কবিতা নিয়ে একবার একটা তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল এই লেখায় । উনি বলেছিলেন যে, পঞ্চাশের দশকের কবিতার নাকি বাঁক ঘুরিয়ে দিয়েছেন উত্তরাধুনিক কবিরা। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে এই বাঁক ঘোরানোর দিকপাল কারা। তিনি তিনজন কবির নাম উল্লেখ করেছিলেন। কবি রহমান হেনরী, কবি বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং কবি টোকন ঠাকুরের। দুর্ভাগ্য আমার যে এর আগে তাঁদের নাম কখনোই শুনি নি আমি। কবি হাসানআল আব্দুল্লাহ-র লেখাটাই ছিল কবি রহমান হেনরীর উত্তরাধুনিক কবিতায় শব্দগুচ্ছ পুরস্কার পাওয়া নিয়ে। সেকারণে তাঁর নাম জানা হয়েছিল। বাকী দুজনকে জানার জন্যে আমার গুগল সার্চ করতে হয়েছিল। সেটা বড় বিব্রতকর বিষয় ছিল আমার জন্যে। বাংলা কবিতার বাঁক ঘুরিয়ে দেওয়া কবিদের নামও আমি জানি না। এর থেকে বড় লজ্জা আর কী হতে পারে।
সুব্রত এবং গায়েনকে না চিনতে পারার জন্যেও একই ধরনের লজ্জা অনুভব করছি এখন আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি খুবই দু:খিত আমার কথাগুলো এভাবে বলার জন্য। আমার এভাবে বলা ঠিক হয়-নি। তুষার গায়েন কিংবা সুব্রত (কোনো সন্দেহ নেই দুজনেই তারা ভালো কবি) যতবড় কবিই হন না কেন, তাদের-কে এমনকী সমুদ্রের তিমি/হাঙরও না-ও চিনতে পারে।
অনুগ্রহ করে লজ্জা অনুভব করবেন না।
যাকগে, রহমান হেনরীর কথা তুললেন, চলেন দুটো পংক্তি শোনা যাক:
দেখা
রহমান হেনরী
___________________
এই যে আপনাকে দেখছি! এই দেখা ধারণাসম্মত;
আপনি মানে অন্য কেউ, তিনি হয়তো আপনারই মতো।
_____________________________________________
বহুকাল আগে পড়া এই দুটো লাইন আমাকে এখনো ভাবালুতায় ফেলে দেয়।
@এন্টাইভণ্ড,
এবার আমার নিজের অবাক হওয়ার পালা। আমার শেষ মন্তব্যে উল্লেখ করেছি কেন তাঁদের নাম শুনিনি। এর প্রধান কারণ কবিতা পড়া হয় না। কবিতা পড়া কিছু জীবনানন্দ আর মূলত সুকান্তের কবিতার মাঝেই সীমাবদ্ধা ছিল। এই না পারা আমার অক্ষমতা স্বীকার করি। তাই কুলদা রায়ের কবিতা নিয়ে লেখাও এড়িয়ে গিয়েছিলাম। মুক্তমনায় অনেক লেখা আসে, সব যে পড়ি বা পড়তে হবে সেটা কে বললো আপনাকে। একেক জনের একেক রকম পছন্দ। আমি যেমন ইতিহাস অথবা দর্শনের বইয়ে আনন্দ পাই অনেকের কাছে হয়তো সেটা মহা বিরক্তিকর। তিনি হয়তো থেলিস, ডেমোক্রিটাস, হেগেল, এদের নামই শুনে থাকেন নি কোন কালে। এর জন্য কি আমি সেটাকে অষ্টমাশ্চর্য হিসেবে ধরে নিবো। ভাই এবার আসলেই আমার অবাক হওয়ার পালা।
আর ঘি ঢালার ব্যাপারে যা বলেছেন সেটা আপনার দৃষ্টভঙ্গির ব্যাপার, এখানে আমার বলার কিছু নেই। আমার মন্তব্যটি কুলদা রায়ের মন্তব্যের বিপরীতে। উনি যদি ফরিদ ভাইয়ের প্রতি ব্যক্তি আক্রমনজনিত মন্তব্য না করতেন তবে আমার মন্তব্যটিও হতো না। আপনার কি মনে হয় না ফরিদ ভাইয়ের প্রতি করা মন্তব্য কিংবা উনার মূল লেখায় কয়েকজন কবির প্রতি বিষেদগার করে লেখা আপত্তিকর? যেমন হাসনাত ভাই এবং উনার স্ত্রী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন সেই বক্তব্যের বিপরীতেই সাক্ষ্য পাওয়া যাচ্ছে সাইফুল ভাইয়ের মন্তব্যে। কুলদা রায়কে দেখছি না সাইফুল ভাইয়ের মন্তব্যের জবাবে কিছু লিখতে, যদিও এর মাঝে উনি আরো মন্তব্য করেছেন। আমার মন্তব্যে যদি কোন ভুল কিছু বলে থাকি দয়া করে সেটি দেখিয়ে দিন, না হলে ঘি ঢালার মত মন্তব্য বন্ধ করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
@স্বাধীন,
ফরিদভাই বলেছিলেন,
এইটির জবাবে আমি বলেছি,
এই দুজন বলতে আমি কুলদা রায়, ফরিদভাই এই দুইজনকে বুঝিয়েছি। ভুল বোঝার কারণটা আমারই কারণে ঘটেছে। সরি বলছি।
কুলদা রায়ের কিছু কথা যে ভালো লাগে-নি, এমনকী সেই ভালো-না-লাগা কথার পক্ষে তার দেয়া যুক্তিও যে ভালো লাগে-নি, সেইটা তাকে বলা হয়েছে। বরং সেইটা দিয়েই আমার বক্তব্য শুরু করেছিলাম।
[সেই কথা আপনার/ফরিদভাই দুজনেরই চোখ এড়িয়ে গেল!]
________________
আমি শুধু অবাক হয়েছিলাম। অবাক কি আমি হতেই পারি না???
@এন্টাইভণ্ড,
মন্তব্য করেছিলেন আমাদের দু’জনকে উদ্দেশ্য করে তাই আমিও অবাক হয়েছিলাম যে কেন আমাকে টানা হচ্ছে। এখন পরিষ্কার হল, তার জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই অবাক হতে পারেন, যে কারণে একটি ব্যাখ্যাও দেওয়ার চেষ্টা করেছি। না হলে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করতাম না। কোন ব্যক্তি যখন কবিতা বেশি না পড়ে সে ক্ষেত্রে অনেক কবির নাম না জানতে পারে – সেটা যে অস্বাভাবিক কিছু নয় সেটাই বলার চেষ্টা করেছি মাত্র। কবিতা না পড়া নিশ্চয়ই অস্বাভাবিক কিছু নয়? কি বলেন?
আমি কবিতা কেন যেন বুঝি না, তার চেয়ে প্রবন্ধ অনেক সহজ বুঝা। অথচ পাঁচ বছর আগে আমি কোনদিন চিন্তা করতে পারতাম না কোন মানুষ প্রবন্ধ বুঝি পড়ে 😀 । সেই আমি এখন গল্পও পড়ার মত ধৈর্য্য পাই না, উপন্যাস তো দূরের কথা। সময় কত বদলে দেওয় মানুষকে সেটাই ভাবি। একদিন হয়তো শুধু ধর্মীয় বই পড়বো 😉 , কোন কিছুই অসম্ভব নয়- এই অসম্ভবের দুনিয়ায় 😥 ।
@স্বাধীন,
না, অস্বাভাবিক না। আপনি ঠিকই বলেছেন।
সমস্যা হলো, অস্বাভাবিক যে না, সেইটা বুঝতে বুঝতেই অবাক-ও হইলাম, সেই অবাকত্বের আগুণে পেট্রোলও “ঢালিত” হইলো। যাইহোক, সেই আগুণে মনে হয় এখন পানি পড়তেছে। অবাকত্ব কমতেছে।
আপনার কি ধারণা আমি খুব ভালো বুঝি? মোটেও না। কিন্তু আমি কেন কবিতা পড়ি সেইটা সম্ভবত রহমান হেনরীর পংক্তিদুটো দেখলে হয়তো টের পাবেন।
কিছু কিছু পংক্তি পড়তে পড়তে হঠাৎ এই যে ভালো লাগা, এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। সম্ভবত এই ভালোলাগাই খোঁজ করি অন্য কবিতায়। অধিকাংশ সময়ই পাই না, কিন্তু মাঝে মাঝে যে পাই, আমি তাতেই এখনো পর্যন্ত কবিতাদেবীর উপর খোশ।
[লাইনদুটো কেমন লাগলো সে ব্যাপারে আপনি যদি কিছু বলতেন…]
@এন্টাইভণ্ড,
শুধু লাইন দু’টো পড়ে মনের ভাব প্রকাশ করা কঠিন, তার উপর যদি হয় কবিতা। ছোটবেলায় ভাব সম্প্রসারণে সবচেয়ে কঠিন কাজ মনে হতো, এখনো তাই 😥 । তারপরেও পুরো কবিতাটি দিলে ভাল হতো। পুরো কবিতাটা পড়লে সেই দু’টি লাইনের মানে আরো পরিষ্কার হতো, হয়তো বা ।
@এন্টাইভণ্ড,
স্বাধীনের বিষয় জানি না, তবে কুলদা রায়ের বিষয়ে আপনার কথাগুলো আমার চোখ এড়ায় নি। তবে কথা হচ্ছে যে, আপনি আমাকে আর স্বাধীনকে এক ব্রাকেটের মধ্যে ফেলে দিয়ে মন্তব্য করেছেন, সেখানে কুলদা রায় প্রসঙ্গ এসেছে, কিন্তু তাঁকে আলাদা করে কিছু বলার প্রয়োজন বা গুরুত্ব বোধ করেন নি। আপনার প্রথম মন্তব্যের শেষ লাইনটা দেখি আবার।
এখানে কুলদা রায় একেবারেই অনুপস্থিত, যদিও পরে আপনি বলেছেন যে দুজনকেই স্পষ্ট করে বলা উচিত, কিন্তু ভাষা এবং বাক্যের গঠন দেখে সেটা কিন্তু মনে হয় নি। আপনি আমাকে এককভাবেই পেট্রোল ঢালার বিষয়ে দায়ী করেছিলেন। উচিত কাজটা সঠিক সময়ে করতে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন আপনি।
আরেকটা বিষয়। পুরো থ্রেডের মন্তব্যগুলো খুব সম্ভবত আপনি ক্রমানুসারে পড়েন নি। কাজেই জানেন না যে, আসলে আপনার অবাকত্বে আগে কে পেট্রোল ঢেলেছিল। সেক্ষেত্রে হয়তো আপনি এখানে যেমন ভুল করে শুধু আমাকে দায়ী করেছেন পেট্রোল ঢালার কারণে, হয়তো বা তখন কুলদা রায়কেই এককভাবে পেট্রোল ঢালার জন্যে দায়ী করে বসে থাকতেন।
@ফরিদ আহমেদ,
পেট্রোল প্রসঙ্গটা এখন রাখতেছি।
আপনি কি আমাকে জানাবেন রাহমান হেনরীর লাইন দুইটা আপনার কেমন লাগলো?
কুলদা রায়,
খুব সুন্দর একটা লেখার মধ্যে কিছু কথা এসেছে, যার অসুন্দর-ত্ব নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা না। কিন্তু সে-প্রসঙ্গে আপনি যুক্তি দেখিয়েছেন; সেই যুক্তি প্রসঙ্গে বলি, অনেকেরই মতো আমারো কাছে ভালো লাগে-নি। আপনার প্রায-লেখাই ভালো লাগে, সেইজন্য এই না-ভালো-লাগাটিও জানিয়ে গেলাম।
কিন্তু ফরিদভাই আপনি আমাকে অবাক করেছেন সবথেকে বেশি।
বহুদিন এত অবাক -করা মন্তব্য শুনি-নি।
[এই মন্তব্যের পাশাপাশি আপনার ক্ষিপ্তকথাগুলো তো অবাকত্বের আগুণে পেট্রোল ঢালিলো]
@এন্টাইভণ্ড,
আপনি হয়তো আরো অবাক হবেন যে আমিও উনাদের নাম আগে শুনিনি, উনাদের কবিতার সংস্পর্সে আসা তো আরো দূরের কথা। অবশ্য কবিতা সব সময়ই পড়া হয়/হয়েছে সবচেয়ে কম। তাই উত্তরাধুনিক কবিদের নাম না শুনে থাকাটি কি খুব বেশি অবাক করা? বাংলা নাটক/হিন্দি সিনেমা দেখা হয় না, প্রায় পাঁচ বছর। এখনকার নুতন শিল্পীদের অনেকেরই নামই জানি না, কয়েকজন ব্যতীত। অথচ এক সময় কাকে না চিনতাম না 🙂 ।
@এন্টাইভণ্ড,
এটা এত অবাক করা মন্তব্য কি করে হলো সেটা ভেবেই আমি অবাক হচ্ছি। সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, সোহেল গালিব আর তুষার গায়েন কি মুক্তমনায় লেখেন?
কবিতার বিষয়ে আমার পছন্দ খুবই সীমিত। আন্তর্জালে বা পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতার কোনো কিছুই আমি পড়ি না। ফলে, বেশিরভাগ কবির নামই আমি জানি না। কিন্তু এটা কি অবাক হবার মত কিছু? মুক্তমনায় আমার অন্য একটা ভূমিকা আছে বলে মুক্তমনায় প্রকাশিত কবিতাগুলো বাধ্য হয়ে পড়তে হয়। তা না হলে সেগুলোও হয়তো পড়া হতো না।
আপনার অবাকত্বে পেট্রোল ঢালার কারণে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবে, ওখানে অন্য কারো ক্ষিপ্ত কথায় পেট্রোল টেট্রোল কিছু ছিল কি না সেটা অবশ্য জানা হলো না। 🙁
‘চোখ মুছিলে জল মোছে না’ -জটিল সুন্দর এক নাম। নামটি দিয়েই বোঝা যায়, লেখক কিছু আত্মখেদের খিস্তি দিয়েছে। লেখক অবশ্যই অত্যন্ত সুন্দর ও মার্জিত করে বর্ননা দিয়েছেন। সবার দৃষ্টিভঙ্গি তো এক হবে না। এই জন্য দু-চার দৃষ্টিভঙ্গির দু-চারজন পরষ্পরের উপর চড়াও হবে, তাও মেনে নিতে পারছি না।
ফরিদ আহমদ বলেছেন–
প্রথম বাক্য, চতুর্থ বাক্য এবং শেষ বাক্যটি ভাল লাগল। যা শিখলাম–
প্রথম বাক্য থেকে বুঝতে পারছি–যুক্তিবাদিরা আজকাল ভাগ্যেও বিশ্বাস করতে ভালবাসেন।
চতুর্থ বাক্য থেকে বুঝতে পারছি–ইচ্ছে করলে কারো নাম নিশানাও মুছে দেওয়া যায়।
পঞ্চম বাক্য থেকে বোঝা গেল–লেখকের স্বাধীনতা নামে যে মতটি আছে—তাকে ব্যক্তিগত কাজে অকার্যকর করা জায়েজ।
গুড লেসনস।
যেহেতু গুপ্ত মডারেটরের অমৃত বানী –এটা ব্যানারে ঝোলানোর প্রস্তাব করছি।
এজন্য তিনবার ধন্যবাদ।
অন্যগুলো নিয়ে কথা বলার আর সাহস নেই। আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
লেখাটি আগে পড়া হয়নি বলে মন্তব্য করা হয়নি। লেখকের অবশ্যই স্বাধীনতা আছে কি লিখবেন, আবার একটি ফোরামেরও স্বাধীনতা রয়েছে কোন লেখা ফোরাম ধারণ করবে। আপনার এই লেখাটি নিজের সাথে কথোপকথন হিসেবে ঠিক আছে, কিন্তু মুক্তমনার মত ফোরামের জন্য ঠিক নেই বলে মনে করি। কোথায় কোন কোন কবির সাথে আপনার ব্যক্তিগত বিরোধ রয়েছে সেটার ঝাল এখানে ঝারার জন্য পাব্লিক ফোরাম নয়, সেই লেখা ফেইসুবকে নোট হতে পারে। আর উপরে সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের বক্তব্যের সাথে আপনার বক্তব্যের আকাশ পাতাল তফাৎও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই আপনার কোন বক্তব্য গ্রহন করবো আমি সন্দিহান।
আপনার সম্পর্কে আসলে তেমন কিছু বলার নেই। ফেইসবুক, সচলায়তন, এবং মুক্তমনায় আপনার করা নানান মন্তব্য দেখে আমার ধারণা আপনি নিজেই পাবলিক ফোরামের জন্য একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি। আপনি নিজে বিতর্কের মাঝেই থাকতে পছন্দ করেন বলেই মনে হয়। একটি ব্লগে এসে, একজন মানুষ সম্পর্কে ভাল ভাবে না জেনেই তার সম্পর্কে উলটাপালটা মন্তব্য করে দিলেন। ফরিদ ভাইয়ের প্রতি করা এই মন্তব্যটি একটি বড় উদাহরণ। ফরিদ ভাইয়ের করা মন্তব্য, আপত্তি এবং প্রশ্নগুলো যথেষ্ট যৌক্তিক। কিন্তু যেভাবে আপনি উনাকে আক্রমন করলেন সেটা কোনমতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। আমি এই মন্তব্যটিকে আপত্তিকর হিসেবে অভিযযুক্ত করলাম।
আমি অন্যান্য এডমিনদের অনুরোধ করবো, লেখককে একজন সহব্লগারের প্রতি এরূপ ভাষা ব্যবহারের জন্য সতর্ক করা হোক। এবং ভবিষ্যতেও যেন একই কাজ হতে নিজেকে বিরত রাখেন সেজন্য অনুরোধ জানানো হোক। একই অনুরোধ ব্যক্তিগতভাবে নিজেও রেখে গেলাম।
ফরিদ ভাই একজন মডারেটর হতে পারেন, কিন্তু উনি মন্তব্য করেছেন একজন ব্লগার হিসেবেই। নিজে আক্রান্ত হওয়াতে উনি যদি এডমিনের কাজ করতে অস্বস্থিবোধ করেন সে ক্ষেত্রে অন্যন্য এডমিনদের উনাকে রক্ষার্থে আরো আগেই এগিয়ে আসা উচিত ছিল। আশা করি বাকি এডমিনেরা দ্রুত নিজেরা আলোচনা করে এই ব্যাপারে একটি তরিৎ সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।
মুক্তমনার পরিবেশ রক্ষায় সকলে সচেষ্ট থাকি এই আবেদন রেখে গেলাম।
চমৎকার ভাবনা। তবে আমি ও বলব –
কবি হাসানআল ভাইয়ের সাথে আপনার আলাপচারিতা আমি দেখেছি বলেই জানি আপনার দাবী করা “অঝগরাটে” আপনি তো ননই বরঞ্চ আপনি পারলে আগ বাড়িয়ে ঝগরা শুরু করেন।
এবং
@ফরিদ আহমেদ, আপনি খুবই জটিল প্রকৃতির মানুষ। সেজা কথায়—ছিদ্রান্বেষী। কোনো পাবলিক ফোরাম পরিচালনার জন্য বিপজ্জনক। বক্তব্যকে টুইস্ট করে ফেলেন।
এমন ঢালাও বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এমন ভাবে উন্মুক্ত করা কি শোভনীয়? লেখকের কাছে আমার না সকলের জিজ্ঞাস্য। ফরিদ ভাই হোন ,হাসান ভাই হোন নাম ধরে কিছু লেখা – কি জানি আমার কেন অনেকের কাছেই রুচিশীল মনে হবে না।
কবি হাসানআল ভাইয়ের সাথে আপনার আলাপচারিতা আমি দেখেছি বলেই জানি আপনার দাবী করা “অঝগরাটে” আপনি তো ননই বরঞ্চ আপনি পারলে আগ বাড়িয়ে ঝগরা শুরু করেন। আপনি যদি ঝগরাটে নাই হতেন তাহলে ফরিদ ভাইয়ের অকপট কথা শুনে আপনার এত রেগে যাওয়া মানায় না। ফরিদ ভাই কে কি সেই কথা আমরা যারা অনেক দিন মুক্তমনার সাথে জড়িত আছি তারা ভালো ভাবেই জানি। এই একজন ফরিদ ভাই আমাদের মুক্তমনাকে অনেক কিছুই দিয়েছে যা হয়ত আপনি আমি যারা নিজেদের অঝগরাটে হিসেবে দাবী করি তারা কোন দিনও দিতে পারব না।
আপনার কথায় আভাস পাওয়া যায় বা আপনি হয়ত সরাসরিই বলতে চান যা আপনার কাছে সত্যি সেটা বলতে আপনি দ্বিধা করেন না। কিন্তু ফরিদ ভাই যখন আপনাকে তার কাছে যা সঠিক মনে হয়েছে বলেছে আপনি কেন রেগে গেলেন? ফরিদ ভাইয়ের কথা আমার কাছে সম্পুর্ন সঠিক মনে হয়েছে। আপনি যদি নিজের সাথে কথা বলে মজা পান তাহলে তা নিজের সাথেই বলুন, মুক্ত-মনাকে এর সাথে টেনে আনা কেন? আপনার লেখনী চমৎকার বলে এই লেখাটাকে অনেকের কাছে ভালো মনে হয়েছে। আমি কিন্তু এই লেখার কিছুই বুঝিনি। এই লেখার আসলেই কি কোন অর্থ আছে? থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। এটা সম্পুর্নই ব্যক্তিগত উপলব্ধি। তাছাড়া আমি সেই দিনের ছোকরা, আমার উপলব্ধি বোধই সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু আপনাদের মত পরিণত মানুষেরা যখন ফরিদ ভাই কিংবা হাসানআল ভাইয়ের মত লোকেদের সাথে কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করেন তখন আমার কাছে নিজেকে পরিণত আর আপনাদের অপরিণত মনে হলে সেটা কি খুব অস্বাভাবিক হবে? আমার মন্তব্য স্বাভাবিকভাবে নেয়ার জন্যেই অনুরোধ করব। নইলে ফরিদ ভাইয়ের সাথে যেভাবে কথা বলেছেন সেভাবে বললে উত্তর দেয়ার নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। উনি অনেক বড় মনের মানুষ, আপনার মন্তব্য দেখেও হাসিমুখে কথা বলতে পারেন, আমি তত ভালো না।
ধন্যবাদ।
কুলদা রায়,
অসাধারণ! :rose:
আপনি যা-ই লেখেন, তা-ই এতো প্রাণবন্ত করে তোলেন কী করে? লেখার স্টাইল, স্পষ্ট ভাষণ, অন্তর্নিহিত বেদনাটুকু মন ছুঁয়ে গেল।
চলকু। :yes:
@বিপ্লব রহমান, ধন্যবাদ বিপ্লব। এই অন্তর্নিহিত বিষয়টি আপনি যে বললেন–তাতেই বোঝা যায় মধুমর্মে আপনার অনায়াস অধিকার আছে।
কথাটা খুব ভাল লাগল!
মনে হয় সবখানেই তা প্রযোজ্য!
কোথায় যেন পড়েছিলাম-
“Don’t use telephone,use poetry”!
এজন্যই হয়ত নজরুলের কবিতা নিষিদ্ধ হয়েছিল!
নির্মলেন্দু গুণ এ্যারেষ্ট হয়েছিলেন!
@লাইজু নাহার, ধন্যবাদ।
শব্দটা কি অমৃত হবে?
আমাদের মত সাধারণ পাঠকেরা আপনাদের লেখা পড়ে কিছু জানতে চায়, নতুন কিছু শিখতে চায়। তো এখান থেকে – তারপর উনি সস্ত্রীক গালিগালাজের বর্ষণ ঝরিয়ে আমাকে রিমুভ করেছেন সখাতালিকা থেকে আমাদের শেখার কী রইলো?
মাঝে মাঝে মনে হয় কী জানেন দাদা, আজিকার দিনে যত বড় সাহিত্যিক, যত বড় কবি বা লেখক হন, সাধারণ মানুষের সাথে তাদের দুরত্ব হয় তত বেশী।
ওটা বোধ হয় নির্ভর করে, এ অমৃত সঞ্চয় নিজের জন্যে না অপরের জন্যে, সেই উদ্দেশ্যের উপর।
@আকাশ মালিক,
আপনি আমার লেখাটির মূল সুরটি ধরতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
কুলদা রায়,
আপনার লেখা পড়ে মনে হয় যে আপনি বড় আবেগ প্রবন ও নরম মনের মানুষ। এই কঠিন পৃথিবীতে আবেগের নরম কাদামাটির সাথে কিছু চুন,সুরকি ইত্যাদি না মেশালে টিকে থাকাই তো মুশকিল! সবার সাথে বন্ধুত্ব যেমনি সম্ভব নয় , সবার কথায় গুরত্ব দিয়ে তেমনি চলা যায় না। মন খারাপ লাগলে নিজের হাতে পছন্দের কিছু রান্না করে খান , মন ভালো হয়ে যাবে। এতে কাজ হয় – আমি দেখেছি। কোটি মানুষের মাঝে দুই একজন কি বলে না বলে তাতে কি আসে যায় ?
@সংশপ্তক,
অশনি সংকেত দেখছি। তাই মূল লেখার উপর কিছু বলছি না। বলছি আপনার সুগঠিত মন্তব্যের উপর।
এই জায়গাটা বার কয়েক পড়লাম। ভাল কমপজিশন। কবিতার মত। কুলদা রায়ের লেখার মত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি কখনও কবিতা লিখি না , তবে আবেগ সংগ্রহ করা আমার শখ। জীবন নামের মহাকাব্যের ছন্দ মেলাতেই আমি বেশী ভালবাসি।
আমি খুবই দুঃখিত যে, বেশিরভাগ সময় অপ্রিয় বিষয়গুলো সব আমাকেই বলতে হয়। একারণে এর মধ্যেই মুক্তমনায় অনেকেরই বিরাগভাজন হয়ে গিয়েছি আমি।
আপনার এই লেখা কী অন্য কোনো জায়গায় আপনার ঝগড়াঝাটির ইতিবৃত্ত? তাই যদি হয়, তবে মুক্তমনায় এই বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেওয়াটা মোটেই সমীচীন নয়। এই লেখাটা কেউ পড়লে মনে করে নেবে যে, মুক্তমনায় আপনাকে কবিতা পোস্ট করতে দেয় নি কবি সোহেল হাসান গালিব এবং কবি সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, সোহেল হাসান গালিব আপনাকে ধমকে দিয়েছে, আপনাকে বৃষ্টির মত গালাগাল দিয়েছেন হাসানআল আবদুল্লাহ আর তাঁর স্ত্রী। কিংবা কবি তুষার গায়েনও আপনার কবিতা পোস্ট দেওয়া নিয়ে কী সব যেন বলেছেন।
অথচ এগুলোর কিছুই মুক্তমনায় ঘটে নি। কোথায় ঘটেছে সে বিষয়টা আপনার লেখাতে আসেই নি। এমন কি সেই স্থানের বা ফোরামের নাম উল্লেখ করলেও বিষয়টি মুক্তমনায় টেনে নিয়ে আসার যৌক্তিকতা দেখি না।
আপনি যাঁদের নাম নিয়েছেন একমাত্র হাসানআল আব্দুল্লাহ ছাড়া আর কারো নামই আমার পরিচিত নয়। কে এই কবি সোহেল হাসান গালিব, কবি অগাস্টিন গোমেজ আর কবি তুষার গায়েন কে জানে? এই ধরনের লেখা পাঠকের জন্য বিভ্রান্তি তৈরি করবে সেই সাথে মুক্তমনা সম্পর্কেও একটা ভুল ধারণাও গড়ে উঠার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার কারো সাথে যদি কোথাও কোনো ঝামেলা থাকে, তবে সেই ঝামেলা উপযুক্ত জায়গাতেই গিয়ে মিটালেই মনে হয় ভালো। অযথাই মুক্তমনায় সেই ঝগড়াঝাটি টেনে আনার কোনো মানে দেখি না।
@ফরিদ আহমেদ, আমি সন্দেহবাতিক নই এবং সংশয়বাদিও নই।
এটা আমার একধরনের নিজের সঙ্গে কথা বলা। আমার সময়কে দেখা।
আমরা যখন কারো সংগে কথা বলি তার একটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থাকে বটে, হয়তো কারো কারো ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াটি দীর্ঘস্থায়ীত্ব পায়–আমি সে রকম করে ভাবি না। আমি দেখার চেষ্টা করি একটা সময়ের সঙ্গে কিভাবে চলি–সময় কিভাবে প্রতিক্রিয়া করে।
এখানে নামগুলো না দিলেও পারতাম। তাতে হয়তো আপনি এভাবে বলতেন না। কিন্তু নামগুলো না দিলে সময়ের সত্যকে অস্বীকার করা হত। আমাদের জানা প্রয়োজন আছে–আমরা যারা যখন একটা যুথবদ্ধতার কথা বলছি–তখনও আমাদের ভেতরে অহংবোধ গোপনে গোপনে সর্পের মতো ফোস করে। এভাবে যুথবদ্ধতা একটা খেলো ব্যাপার হয়ে ওঠে। যেখানে সৌন্দর্য সৃষ্টিই শিল্পের মূল শর্ত হয়ে ওঠে, সেখানে ব্যক্তি প্রভুত্বের আকাঙ্ক্ষা সুন্দরের গলা টিপে ধরে। এটা দেখতে দেখতে আমাদের চোখ মুছলেও জল মোছে না।
এটা কোনো পূর্ব ঝগড়ার জের টানা নয়। কে কার সঙ্গে ঝগড়া করে? ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির ঝগড়া হতে পারে। আমি সে রকম ব্যক্তি নই। শুধু সময়ের বার্তবাহক মাত্র।
সব কিছু গজকাঠি নিয়ে মাপতে বসলে বিপদ।
@কুলদা রায়,
এ বিষয়টা আসলো কেন? আমি কি আপনাকে এর কোনোটা বলেছি?
মুক্তমনা একটা পাবলিক ফোরাম। আমি নিজেও নিজের সঙ্গে সারাদিন অসংখ্য কথা বলি। সেগুলোর সব মুক্তমনায় ছাপাই না। ছাপানো যায়ও না তার সবকিছু। এর নিজস্ব একটা নীতিমালা আছে। সেটা মেনেই লেখা পোস্ট করতে হয় মুক্তমনায়।
আবারও সেই ভিন্ন বিষয় নিয়ে এলেন। এগুলোর সাথে মুক্তমনার সম্পর্কটা কী? যেখানে এই লোকগুলো তাঁদের অহংবোধ দেখিয়েছে বা ব্যক্তি প্রভুত্বের আকাঙ্ক্ষা সুন্দরের গলা টিপে ধরেছে সেখানে গিয়েইতো এগুলো বলতে পারেন আপনি। মুক্তমনায় এসে চোখ মুছে জল না মোছার কারণোটাতো বুঝতে পারলাম না।
হুম, বুঝলাম যে আপনি ঝগড়া করার লোক নন এবং সময়ের বার্তাবাহকমাত্র। কিন্তু যাঁদের নাম নিয়েছেন তাঁরা হয়তো আপনার মতন নন। ঝগড়াবাজ লোক হয়তো তাঁরা। এখন তাঁরা যদি এসে এখানে কোমর বেঁধে ঝগড়ায় নামে তখন কে সেটা সামলাবে? আপনিতো ঝগড়া করার মত লোক নন। কাজেই হয়তো উত্তর দেবেন না তাঁদের ঝগড়ার। কিন্তু মুক্তমনা নিয়ে তাঁরা কিছু বললেতো আমাদেরকেও ঝগড়া করতে হবে। আমরাতো আর আপনার মত নির্বিবাদী লোক নই। কেউ ইট মারলে পাটকেল ছুড়তে দ্বিধা করি না। তো আপনার মত একজন অঝগড়াটে লোকের অহেতুক আমাদেরকে ঝগড়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়াটা কি ঠিক হলো?
বিপদেরতো কিছু নেই। মুক্তমনার নিজস্ব আঙিনায়, মুক্তমনার নিজস্ব গজকাঠি থাকবে সেটাইতো স্বাভাবিক। এখানে আমরা যারা লিখি তাঁরা সকলেই সেটা জেনেই লিখি। যাঁরা এই গজকাঠিকে বিপদ মনে করেন তাঁরা তাঁদের নিজস্ব আঙিনাতেই আসর জমাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আর অন্যের গজকাঠির মাপ তাঁদের সইতে হবে না।
আর আপনি নিজেতোও দেখলাম নিজেকে সময়ের বার্তাবাহক নাম দিয়ে নিজের গজকাঠি দিয়ে সোহেল হাসান গালিব, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, হাসানআল আব্দুলাহ আর তাঁর স্ত্রীকে মেপে দিলেন।
অন্যকে মাপার ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব গজকাঠি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তাহলে কোনো বিপদ নেই বলতে চাচ্ছেন। সব বিপদ হয় শুধু আপনাকে কেউ তাঁদের গজকাঠি দিয়ে মাপতে গেলে?
@ফরিদ আহমেদ, আপনি খুবই জটিল প্রকৃতির মানুষ। সেজা কথায়—ছিদ্রান্বেষী। কোনো পাবলিক ফোরাম পরিচালনার জন্য বিপজ্জনক। বক্তব্যকে টুইস্ট করে ফেলেন।
মুক্তমনাকে রক্ষার দায়িত্ব একা আপনার ঘাড়ে–এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিল? আমি কি লিখব আর কি লিখব না সেটা কি আপনার কাছ থেকে পরাশর্ম নিয়ে লিখতে হবে? কোনটি ব্যক্তিগত লেখা আর কোনটি অব্যক্তিগত লেখা সেটা সম্পর্কে আমি এখানে স্পষ্টভাবে বলেছি।
গজকাঠির বোধ আপনার নেই। থাকলে আমার ইঙ্গিতটা বুঝতে পারতেন।
ধন্যবাদ।
আপনিও খুবই অঝগড়াটে এবং শান্তিপ্রিয় একজন সহজ সরল মানুষ। এই মন্তব্যই তার প্রমাণ। 🙂
মুক্তমনা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা জিনিস। সন্তানের মতন। পরম মমতায় একে যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করেন তাঁদের মধ্যে আমিও একজন, একা নই এটুকু নিশ্চিত থাকতে পারেন।
@ফরিদ আহমেদ,
দুঃখিত, এ পর্যায়ে মন্তব্য না করে পারছি না। আপনি মনে হয় কুলদা রায়ের লেখার স্পিরিটটি ঠিক ধরতে পারেননি; তাই শুধুই আগাম ঝগড়ার সম্ভাবনাই দেখছেন। একই সঙ্গে লেখকের স্বাধীনতার বিষয়টিও খুব হাল্কা করে দেখার জো নেই।
কোনো লেখা যদি মুক্তমনার নীতিমালা বিরোধীই হয়, তাহলে মডারেটররা সেটি প্রথম পাতা, এমন কি এই সাইট থেকেও সরিয়ে দিতে পারেন, তাই না? কিন্তু লেখা প্রকাশ হওয়ার দীর্ঘ সময় পরে ব্লগারের নিকে নীতিমালার প্রসঙ্গ টানা খুব শোভন নয়।
এরপরেও বলি, এই লেখাটির জের ধরে ঝগড়াবাজরা ঝাঁপিয়ে না পড়লেও অন্য যে কোনো লেখায় তারা যে ঝাঁপিয়ে পড়বে না, তারই বা গ্যারান্টি কী?
আপনার পুরো মন্তব্যের শ্লেষাত্নক উপস্থাপনাটুকু ভালো লাগেনি। :no:
@বিপ্লব রহমান,
লেখার স্পিরিট হয়তো ধরতে পারি নি, এটা সত্যি কথা। ওনার শুধু লেখা না, মন্তব্যের স্পিরিট ধরতেও প্রায়শই সমস্যা হয় আমার। কিছুই করার নেই, স্থূল বুদ্ধি নিয়ে জন্মেছি আমি। আমার আপত্তির জায়গাটা আমি জানিয়েছি আমার প্রথম মন্তব্যেই পরিষ্কার করে। ঝগড়ার আগাম আশংকা বাদই দিলাম, এই সুব্রত অগাস্টিন, সোহেল গালিব বা তুষার গায়েন এঁনারা কে? এদের প্রসঙ্গে হঠাৎ করে কুলদা রায় মুক্তমনায় লিখছেন কেন? পরিষ্কার যে অন্য কোনো ব্লগ বা ফোরামে তাঁর সাথে এদের কোনো বাতচিৎ হয়েছে, সেই বিষয়ের জের কেন মুক্তমনাকে টানতে হবে? সেখানে কেন লিখছেন না তিনি?
লেখকের স্বাধীনতা মানে কি তাঁর সাথে কার কার কোথায় কোন ব্যক্তিগত গোলমাল হয়েছে, গালাগাল বর্ষণ হয়েছে সেগুলোকে টেনে আনা? এখন যদি কেউ একজন পোস্ট দেয় যে, আমার পাশের বাড়ির দুষ্টু রহিমুদ্দিন আমার মুরগি চুরি করে খেয়ে ফেলেছে, সেটার প্রতিবাদ করাতে রহিমুদ্দিন আর তার বউ আমাকে গালিগালাজ করেছে আর আমাকে তাদের সখাতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে তাহলেও কি সেটাকে লেখকের স্বাধীনতা বলবেন?
হাসানআল আব্দুল্লাহ আমাদের একজন সম্মানিত সদস্য। তাঁর লেখার বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কে আমি কোনো আপত্তি দেখি না, কিন্তু কোথায় কোন ফেসবুকে তিনি আর তাঁর স্ত্রী কুলদা রায়ের সাথে কী করেছেন সেই বিষয়টা এরকম কদর্যভাবে মুক্তমনায় আসাটা কি লেখকের স্বাধীনতা? নীচে দেখুন তিনি কী লিখেছেন। তারপর আমাকে বলুন যে এটা লেখকের স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে কি না?
এরকম স্বাধীনতা দিলে এধরনের বিষয় যে, আপনার বা অন্য কারো নামেও আসবে না সে বিষয়ে গ্যারান্টিটা কী? এই যে ধরুন কুলদা রায় যে আমাকে জটিল প্রকৃতির লোক বললো, ছিদ্রান্বেষী বললো, পাবলিক ফোরাম পরিচালনার জন্য বিপজ্জনক বললো সেটা কি লেখকের স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে?
অবশ্য মডারেটররা তা পারেন। হয়তো করবেনও। কিন্তু মডারেটররা করেন নি বলেই যে অন্য কোনো সদস্য আপত্তি জানাতে পারবে না নীতিমালা উল্লেখ করে, এমন কোনো কথা কী আছে? আর আমি খুব দীর্ঘ সময় পরে নীতিমালার প্রসঙ্গ টানি নি। আপনি খেয়াল করে দেখলে দেখবেন যে, মন্তব্য করার তালিকায় আমার নাম তিন নম্বরে।
আপনার এই যুক্তি মানতে গেলে অনেক কিছুই মানতে হয়। কোনো কিছুকেই তাহলে আর বাঁধা দিয়ে লাভ নেই। আজ আমি না গালি দিলে, আরেকদিন যে আরেকজন দিবে না তারই বা নিশ্চয়তা কি, আজকে স্বৈরাচারকে বাধা দিলেও আরেকদিন যে আরেক স্বৈরাচার আসবে না তার নিশ্চয়তা কি, ইত্যাদি অনেক কিছুই বলা যায়। ভবিষ্যতে কি হবে না হবের চেয়ে বর্তমানে কী হচ্ছে সেটাকে সঠিক পথে রাখাটাই কী গুরুত্বপূর্ণ না?
আমার শ্লেষাত্মক মন্তব্য আপনি দেখেন নি মনে হয় কোনোদিন। 😀 তাই খুব সাদামাটা এবং সহজ সরল অকপটভাবে করা আমার মন্তব্যটাকে আপনার কাছে শ্লেষাত্মক মনে হয়েছে। কুলদা রায়ের সাথে কোনো ধরনের ঝামেলায় যাবো না বলে পণ করে রেখেছি, সেকারণে আমার প্রথম বা দ্বিতীয় মন্তব্য কোনোটাতে শ্লেষের কোনো বিষ ঢালি নি আমি। কিন্তু তিনি যেভাবে এবং যে ভাষায় আমাকে পালটা উত্তর দিয়েছেন, সেই ভাষাটাও আমার জানা আছে। ইচ্ছে করলেই সেই ভাষাতেও উত্তর দিতে পারতাম আমি। কিন্তু দেই নি।
কুলদা রায়ের অনেক ভাগ্য যে আমি কিছু নীতি মেনে চলি। মুক্তমনায় আমার সাথে কারো কোনো ঝামেলা হলে আমি কখনোই মডারেটরের ক্ষমতা প্রয়োগ করি না। ফলে, মুক্তমনায় আমাকে গালি দেওয়াটা সবচেয়ে সহজ কাজ। যে গালিগুলো কুলদা রায় আমাকে দিয়েছেন, সেই একই গালিগালাজ যদি তিনি আমার অন্য কোনো সহব্লগারকে দিতেন, এতক্ষনে মুক্তমনা থেকে তাঁর নাম নিশানাও মুছে দিতাম আমি। লেখকের স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলেও কোনো লাভ হতো না সেখানে। 🙂
এই সিরিজটা হিট হবার চান্স দেখতে পাচ্ছি। ধারাবাহকতা বজায় থাকুক এই কামনা রইলো।
কার কবিতায় যেন কবিতা পাননি…… আবার কোন মারামারির আলামত নাতো ?
আসলে মূল প্রসঙ্গ ছেড়ে উপপ্রসঙ্গ যখন সামনে চলে আসে তখন খারাপ লাগে। আশাকরি এখানে সেরকম কিছু হবেনা।
আপনার লেখায় যে এত ঝাঁঝ আছে এই প্রথম দেখলাম।