নীরব নির্যাতন (domestic violence)
আফরোজা আলম
আধুনিক এবং চরম সভ্যতার যুগে বসবাস করেও চলছে এক নীরব নির্যাতন। আর সে নির্যাতন চলছে একান্ত নিভৃতে,গৃহে চার দেয়ালের ভেতরে।
নির্যাতন শব্দের সাথে দৈহিক নির্যাতনের কথা স্বভাবতই মনে আসে। কিন্তু,না এই নির্যাতন যতটুকু মানসিক ততটুকু শারিরীক নয়।শারিরীক নির্যাতনের শিকার হন যিনি,ডাক্তারের ওষুধে ভালো হয়ে উঠার সুযোগ রয়েছে। মানসিক নির্যাতন ক্ষয় করে মনকে,পঙ্গু করে দেয় এবং অথর্ব করে দেয় তার চিন্তা চেতনাকে।
এর শিকার হচ্ছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর নারী। উচ্চবিত্তেও আছে,নিন্মবিত্তেও অনেক আছে। তবে সেক্ষেত্রে দেখা যায় সামাজিক দায়বদ্ধতা তাঁদের অনেক কম থাকে।
এই নির্যাতনের নাম ‘পরকীয়া প্রেম” ইংরাজিতে যাকে বলে extra-marital affair.
এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে পারি ব্যাপারটাকে।
অতীতের নির্যাতন, ধর্মীয় প্রভাব , সামাজিক প্রেক্ষাপট সর্বদায় নারীর বিপক্ষে অবস্থান, এবং পরিত্রানের পথ ইত্যাদি।
অতীতে মানসিক নির্যাতন পর্যালোচনা দেখা যায় জমিদার প্রথা,রাজা বাদশাহ বা এইসব উচ্চপদে আসীন ব্যক্তিগন মনোরঞ্জনের জন্য কর্মকাণ্ড করতেন বহির্বিশ্বে বা নিজ দেশে এ জন্য তাঁদেরকে কোন অপরাধি বলে গন্য করা হতনা। তাদের এক বা একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাদের মনোরঞ্জনের জন্য ছিল বাগানবাড়ি। ছিল রক্ষিতা ইত্যাদি।
অবধারিত ভাবে তাদের স্ত্রীরাও এই সব বিষয়কে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন সারাজীবন।যেনো তারা ধরেই নিয়েছিলেন নারী মাত্রই সম্ভোগের বস্তু। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও তাই তারা স্বামীগনের বহুগামীতাকে মন্দ চোখে দেখার সাহস করেননি।
অতীতে এইরকম ভাবে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করে রক্ষিতা বা বাঈজী রাখা হত।রাজা বাদশাহ বা জমিদারগন তাঁদের মনোরঞ্জনের জন্য অধিক সময় সেখানেই ব্যয় করতেন।
রাজা বাদশাহর স্ত্রীরা একপ্রকার জড়বস্তুর মতই নানান সাজসজ্জায় নিজেদের ব্যাস্ত রাখতেন।একসময় তাদের রাজত্বের অবসান ঘটে। অবিভক্ত ভারতে ইংরেজ রাজত্ব শুরু হয়। সেই সাথে সভ্যতার আলো প্রবেশ করতে শুরু করে। একদিকে ইংরেজ রাজত্ব দমন নীতি চালিয়েছিল,কিন্তু কিছু সভ্যতার আলো আমাদেরকে ছড়িয়ে দিয়েছিল তা অতি সত্য কথা।
বর্তমান সভ্যতার আলোকে এই আলোচ্য বিষয়টা প্রকট আকার ধারণ করেছে। স্বামী অফিসে যান বা কর্ম ক্ষেত্র যার যেখানে অবস্থান। সেখানে নারী সহকর্মী থাকেন অথবা যেখানে থাকেন না সেখানেও দেখা যায় অনেকক্ষেত্রে পরোকীয়া প্রেমে আষক্ত হন। হয়তো প্রশ্ন হবে ব্যপারটা তো একররফা হয় না। দুই বা ততোধিক জনের জড়িত হয়েই ঘটনা ঘটে থাকে। মেনে নেয়া যায় যুক্তি।
স্বামী ঘরে ফেরেন কিন্তু অশান্তির কালো মেঘ ধীরে ধীরে ঘনীভূত হতে থাকে। স্ত্রীর নানা কারণে অবহেলা শুরু হয়। চার দেয়ালে আবদ্ধ গৃহবধুটা নিষ্পেসিত হতে থাকেন। তাদের মাঝে কলহ বিদ্বেষ শুরু হয়। আর স্ত্রী যদি হন স্বামীর উপার্জনে নির্ভরশীল তাহলে তো কথাই নেই। অশান্তি এমন চরম আকার ধারণ করে যে স্ত্রীকে একসময় বাধ্য করা হয় গৃহ ত্যাগে।
ফলশ্রুতিতে আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেখা যায় সম্পূর্ণ দোষ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর উপরে। বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে সন্তানদের মাঝে দেখা যায় এক ধরণের অনিশ্চয়তাবোধ। তারা মাদকাষক্ত হয়ে পড়ে। স্ত্রীরাও সামাজিক ভাবে হেয় হতে থাকেন। শোনা যায় নানা কথা।একান থেকে সে কান।স্ত্রীরাই নাকি স্বামীকে সন্তুষ্ট করতে পারেন না তাই তারা হন বহির্মূখি।
এই দিকে হুমায়ুন আজাদ কী বলেছেন তা পর্যালোচনা করে দেখা যাক।
“ পুরুষ নারীকে গৃহে বন্দী করেছে,তাকে সতিত্ব শিখিয়েছে,সতিত্ব নারীর জীবনের মুকুট করে তুলেছে, যদিও লাম্পট্যকে করে তুলেছে নিজের গৌরব। পুরুষ উদ্ভাবন করেছে নারী সম্পর্কে একটি বড় মিথ্যে, যাকে সে বলেছে চিরন্তন নার। তাকে বলেছে দেবী,শ্বাশ্বতী,কল্ল্যানী,গৃহলক্ষী,অর্ধেক কল্পনা ;
কিন্তু,পুরুষ চেয়েছে “চিরন্তন দাসী”।পশ্চিমে নারীরা শোষিত ,তবে মানুষ-পুরুষ দ্বারা শোষিত; আমাদের অঞ্চলে নারীরা শোষিত পশু-পুরুষ দ্বারা। এক্ষানে পুরুষেরা পশুরই গোত্রীয়,তাই বঙ্গীয়,ভারতীয়,আর পূর্বাঞ্চলীয় নারীরা যে শোষনপিড়নের শিকার হয়েছে, পশ্চিমের নারীরা তা কল্পনাও করতে পারবে না।“
[নারী- হুমায়ুন আজাদ-পৃঃ১৫]
ধর্মীয় কারণগুলো আলোচনায় আনতে গেলে অনেক বিষয় এসে পড়ে অবধারিত ভাবে।ইসলাম ধর্মের বা হিন্দু যে কোনো ধর্মের পরিপ্রেক্ষিতেই বলা যেতে পারে বহুগামীতা, দাসীর সাথে সহবাসে সম্মতি প্রদান,একের অধিক বিবাহে অনুমতি,নারীর মানসিক নির্যাতনের সাথে ওৎপ্রোত ভাবে জড়িত।
প্রশ্ন আসতে পারে যে অনেক পূরানো আমলে বা ১৪০০ সালে কী হয়েছিল তা ছিল ভিন্ন কথা।এখনকার পটভূমিতে আসেনা।
কিন্তু,এ কথা কেউ অস্বীকার করতে পারিনা যে শিশুটি ধর্মীয় ভাবে অনূশীলন করেছে এসেছে তার ছায়া বা তার প্রভাব বড় হয়ে উঠা যুবকের উপরে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পড়বে না। যে দেশে ধর্মের উপরে ভিত্তি করে সংবিধান রচনা করা হয় সে দেশে কেন প্রভাবে পড়বেনা? নিশ্চয় বলা যেতে পারে ষোলোআনা প্রভাব পড়বে। ধর্মীয় ভাবে মাথার চুল থেকে পায়ের নোখ পর্যন্ত নারীকে কি ভাবে দমন করে রাখা হবে সেই নির্দেশ দেয়া আছে।
এই প্রসঙ্গে কিছু কথায় আসা যাক-
“ বাঙ্গালি সমাজকে অবদমমিত কাম-দিয়ে ঘেরা সমাজও বলা যায়; এবং ওই অবদমন নিয়মিতভাবে প্রকাশ পায় ধর্ষণরুপে। তবে শয্যায় তাদের আচরন সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। বাঙ্গালি নারীপুরুষের কাম জীবন সম্পর্কে কিন্সে ও অন্যান্য পুরুষের যৌন আচরণ(১৯৪৮) নারীর সাড়ার(১৯৫৩) বা মাস্টার্স জনসনের মানুষের যৌন সাড়ার(১৯৬৬) মতো বই লেখা হওয়ার কোন সম্ভনবা নেই, তবে এ বিষয়ে যে কিছুই লেখা হয়নি, তাতে বোঝা যায় বাঙ্গালির কাম জীবন সুস্থ নয়। যা গোপন করে রাখা হয়, তা সাধারণত অসুস্থ হয়ে থাকে।
এটা নিষিদ্ধ বিষয়; আর এর পীড়ন ভোগ করে নারী। বাঙ্গালি নারীর যৌনজীবন বলৎকার ও চরম বিরক্তির অবসাদের সমষ্টি। উচ্চ শিক্ষিত কিছু নারী আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা পূলক সম্পর্কে কিছু জানেন না তাদের স্বামীরা লাফ দিয়ে উপসংহারে পৌঁছেন, এই তাদের চাঞ্চল্যকর কামজীবন।দরিদ্র অশিক্ষিত নারীরা সাধারনত ভোগ করে স্বামীর বলৎকার। বাংলাদেশের প্রতিটি শয্যাকক্ষ যদি থাকে,নারীর জন্য অবসাদ কক্ষ বা বিরক্তিকর অবসাদ কক্ষ। [নারী-হুমায়ুন আজাদ পৃঃ২২৭]
এই থেকে আমরা জানতে পারি একান্ত ভেতরের গোপন কথা যা বাইরে কম প্রকাশ পায়। পেলেও ছিঃছিঃ রব উঠবে।জানামতে একজনের কাহিনি তুলে ধরা যাক –
স্বামী বহুগামী।এবং স্ত্রী স্বামীকে অত্যান্ত ভালো বাসেন। স্বামী গৃহ পরিচারিকার সাথে শয়ন করতে বা সহবাস করতে পছন্দ করতেন(অবশ্যই অগোচরে)। তাই স্বামীকে কাছে পাবার জন্য স্ত্রীটি গৃহ পরিচারিকার কাপড় পরিধান করে স্বামীর কাছে নিজকে উন্মোচিত হতেন। কেননা ঐ গৃহ পরিচারিকার কাপড়ের গন্ধ ছাড়া স্বামীর কাম উদ্রেক হয় না।
বিয়ের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক বিয়ের পরে হয় পড়ে অতি ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর। অথচ ভালোবাসার প্রথম শর্তই হচ্ছে বিশ্বাস।
ভালোবাসা বোধকরি একটা আভিধানিক শব্দ হয়ে গিয়েছে।পরিশেষে এই বলে শেষ করি-
‘তুমি আমায় বিশ্বাস দাও
আমি তোমায় রঙ্গীন জীবন দেব”
[শেষ]
আপনি তো দারুন লিখেন! ভালবাসা ও শুভকামনা দিলাম গ্রহন করবেন।
@mashiur,
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
প্রেমের মূলভিত্তি পারস্পরিক ভালবাসা, শ্রদ্ধাবোধ ও বিশ্বাস। এর অনুপস্থিতি নারী বা পুরুষ যে কাউকে পরনারী/ পুরুষ গমনে উৎসাহিত করতে পারে। লেখায় ভালবাসার এই গুঢ় দর্শনটির অনুপস্থিতি পীড়াদায়ক। লেখা হিসেবে এটি দুর্বল ও একপেশে। :deadrose:
@বিপ্লব রহমান,
আগামিতে ভালো করার চেষ্টা করব। আপনার ফুল স্বযত্নে রেখে দিলাম। 🙂
পরকীয়া প্রেম এবং তা থেকে উদ্ভূত পারিবারিক অশান্তির উপর এটি একটা মূল্যবান ভাল লেখা।
প্রসংগক্রমে একটি মূল্যবান কথা বলেছেন যা আমরা দেশ প্রেমের উচ্ছ্বাসে স্বীকার করি না –
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ইতিহাস যারাই জানে তারা এই কথা অস্বীকার করতে পারেনা। আপনি ভেতরের গুঢ় কথাগুলো বলেছেন ভালো লাগল ভাই।
@ আফরোজা আলম,
সুন্দর একটি বিষয়ের উপর সামান্য আলোকপাত করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তবে লেখাটি আরো বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো। লেখার শেষে শেষ কথাটি লিখে হতাশ করে দিলেন। অবশ্য মন্তব্যর মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি ভীষণ যুগোপযোগী।
লেখাটি পড়ার পর এক ছড়াকারের কথা মনে পড়লো-
পরকীয়া করে মজা পাস তো
পরকীয়া ঠিক রাখে স্বাস্থ্য।
ছড়াকার কেন যে এই ছড়াটি লিখেছিলেন জানি না। আমাদের সমাজে এই পরকীয়া প্রেমের বলী হতে হয়েছে অনেক। স্বাস্থ্য ঠিক রাখা তো দূরের কথা, পরিবার, সমাজের স্বাস্থ্য পর্যন্ত বিনষ্ট হয়। এটা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। ইদানিং চাকুরে জীবনে নগর জীবনে এগুলোর হার বাড়লেও, সন্দেহ কাজ করে বেশী।
@মাহফুজ,
ফালতু লেখা বাজে টপিক এর উপরে ভিত্তি করে লিখেছি।
এমতবস্থায় আপনার কি করে লেখা ভাল লাগল জানিনা,।যদি সত্যি ভালো লেগে থাকে তবে ধন্যবাদ।
ডঃ বিপ্লব লিখলেন–
এই কথার সাথে আমি একমত। সন্তানের প্রতি অগ্রাধিকার পড়লে মনে হয় পরকীয়া প্রেমের লিপ্সা অনেক কমে যেতে পারে। এটা স্বামী ও স্ত্রঈ দুজনের উপর প্রযোজ্য।
আমার মনে হয় প্রচুর পরিবার আছে যেখানে স্বামী স্ত্রঈ নামে মাত্র বিবাহিত কিন্তু তাদেরকে ধরে রেখেছে একমাত্র সন্তানেরা। এটা মন্দের ভাল। বিবাহ বিচ্ছেদের কথা অনেকে বলে থাকেন—কিন্তু আমাদের মত স্থবির ও বেজায় রক্ষণশীল সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ অত সহজ নয়। বাসতবতাকে স্বীকার করে অনেক পরিবারকেই চলতে হয় প্রহসনের মত্রায়।
এতদিন আফরোজার কবিতাই পড়েছি। এখন ্দেখছি আফরোজার গদ্যের হাত ভাল। চালিয়ে যান।
@আবুল কাশেম,
আমার মনে হয়না সন্তানের প্রতি অগ্রাধিকার পড়লেই শুধু পরকীয়া প্রেমের লিপ্সা কমে যাবে, সেক্ষেত্রে পরকীয়া প্রেমের ফসল বিয়ে পর্য্যন্ত হয়তো গড়াবেনা। সন্তান এবং স্বামী/স্ত্রীর প্রতি পুর্ন দায়িত্ববান হয়েও অনেক সময় পরকীয়া প্রেম চলে। সেক্ষেত্রে নামে মাত্র বিবাহিত দম্পতি যে তাদের সন্তানদের প্রতি প্রতিনিয়ত প্রতারনা করে যাচ্ছে সে সম্পর্কে তারা সবিশেষ ওয়াকিবহাল থাকেনা এবং তার একটা সুদুর প্রসারি খারাপ প্রভাব সন্তানদের উপর পরতে বাধ্য।
@আবুল কাশেম,
সহমত :yes:
বিবাহ বিচ্ছেদে সমস্যা কমে না বরং আরো বাড়ে। সন্তানের বন্ধনে স্বামী স্ত্রী থাকলে সংসার সুন্দর আর শান্তি বজায় থাকে। সন্তান উভয়ের জন্য একটা নাড়ির বন্ধন,আর রক্তের বন্ধন। তাই সন্তান সহ সুখি জীবন আনন্দ আর শান্তির প্রতীক।
কাশেম ভাই,আপনার বক্তব্য আমাকে মুগ্ধ করল।
@আফরোজা আলম,
এমন বিকৃত রুচির স্বামীর সাথে একমাত্র বিকৃত রুচির স্ত্রীরই বসবাস করা সম্ভব বলে আমার মনে হয়। অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করার সামর্থ্য বা উপায় থাকার পরও এভাবে জেনে শুনে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়ার মানেই হলো অন্যায়কারীকে অন্যায় করতে উদবুদ্ব করা এবং নীরব নির্যাতনের নীরব সমর্থন দিয়ে যাওয়া যেটা অন্যায়কারীর মতোই সমান অপরাধ। আমাদের সমাজের কিছু স্ত্রীদের এই ধরনের মনোভাবের জন্যই কিন্তু আপনার কথিত “নীরব নির্যাতন”-এর অবসান ঘটানো সুদুর পরাহত।
@ব্রাইট স্মাইল্,
স্বামী ত্যাগ করলে সমাজে সবার আগে নারীকেই দোষ দেবে। এমন নজির ভূরি ভূরি। ভেবে দেখুন।
@আফরোজা আলম,
দেখুন, সমাজের ফুল চন্দন পাবার লোভ করে স্বামী ত্যাগ না করলে স্ত্রীটিকে সারা জীবন ঐ গৃহ পরিচারিকার কাপড় পরিধান করেই স্বামীর কাছে নিজকে উন্মোচন করতে হবে। এটা বুঝতে পারছেন তো?
হয়ত খুব অল্প সংখ্যক বিবাহিত পুরুষরা নির্যাতিত হন।
তবে নারীদের তুলনায় তা কিছুই না।
বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে!
এখানে একবার নারীদিবস উপলক্ষে এক বক্তার বক্তব্য শুনে অবাক হয়েছি।
তিনি সমাজবিষয়ক বিশেষজ্ঞ।
বলেছিলেন ৭৫% বিবাহিত পুরুষরা নিয়মিত ব্রথেলে যায়!
ইউরোপের এই সবদিক দিয়ে মুক্ত সমাজে যখন এই অবস্থা তখন
আমাদের মত সমাজের অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়।
হলিউডের অনেক মুভিতে পরকীয়ায় মেয়েরা অতিষ্ঠ হয়ে অবিশ্বস্ত স্বামী বা বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলে..Men are ..g!
(পাঠক ক্ষমা করবেন!)
তখন তা বিশ্বাস করব কিনা দোলাচলে ভুগি!
মেয়েরাও যে করেনা তা নয়!তবে সংখ্যায় উল্লেখ করার মত নয়।
বিবাহিত পুরুষরা যদি সন্তানের কথাই ভাবত তাহলে হয়ত ঘরে ঘরে
এত অশান্তির জন্ম হোতনা!
আফরোজা সময়োপযোগী লেখা!
ধন্যবাদ!
@লাইজু নাহার,
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী নির্যাতন এইটা নতূন কোনো কথা নয়।পুরুষ নির্যাতিত হলে (অকারণে,অর্থাৎ তাঁর পরকীয়ার কারনে যদি না হয়) তার একটা সঠিক পরিসংখ্যন হোক আমরা চাই। তাতে বিচারও হবে। যারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা সোচ্চার হোন প্রতিবাদে। আরো দেখতে চাই ক’জন পুরুষ এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন,কজন স্কুল কলেজ ফেরত অবস্থায় নারী দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন, যৌতুকের দাবীতে ক’জন পুরুষ নির্যাতিত হয়েছেন। দেখতে চাই। আর সেই সাথে চাই তাদেরও বিচার হোক,যারা পুরুষ নির্যাতন করছেন।
এই বিষয়ে আমার আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে। সময় সুযোগ করে লিখব।
আপনাকে ধন্যবাদ লাইজুন নাহার। 🙂
পুরুষ মানুষ নৃতাত্ত্বিক ও জেনেটিক কারনে বহুগামী। নারীরা হলো তার বিপরীত। পুরুষ ঘর ভেঙ্গে মজা পায়, বহুগামীতার উল্লাস উপভোগ করে; পক্ষান্তরে নারী ঘর তৈরী করে সুখ ভোগ করে, কিছু ব্যাতিক্রম বাদে বহুগমীতাকে ঘৃণা করে। এমন অবস্থায়, আপনার বর্নিত সমস্যা কিভাবে দুর করা যায় তা নিয়ে মনে হয় শুধুমাত্র সমাজ বিজ্ঞানী নয়, জীব বিজ্ঞানীদেরও কিছু গবেষণা দরকার আছে।
@ভবঘুরে,
পুরুষ মানুষ নৃতাত্ত্বিক ও জেনেটিক কারনে বহুগামী। নারীরা হলো তার বিপরীত। পুরুষ ঘর ভেঙ্গে মজা পায়, বহুগামীতার উল্লাস উপভোগ করে; পক্ষান্তরে নারী ঘর তৈরী করে সুখ ভোগ করে, কিছু ব্যাতিক্রম বাদে বহুগমীতাকে ঘৃণা করে
আপনার বক্তব্য আমার লেখার আরো সমৃদ্ধি বাড়ালো। পুরুষের মাঝে আপনার মত সুন্দর আর উদার করেও অনেকেই ভাবেন।আর ভাবেন বলেই ডঃ হুমায়ুন আজাদের মত লেখক কালজয়ি বই “নারী” রচনা করে গিয়েছেন।এই রচনা কোনো নারীর নয়। নারী যে অত্যাচার ,হিংস্রতায় জর্জরিত তা একজন পুরুষ রচয়িতা কি করে পাতায় পাতায় লিখে গিয়েছেন তা সত্যই বিস্ময়কর ব্যপার।
@আফরোজা আলম,
আচ্ছা এত ঝামেলার কি দরকার ? বিবাহ প্রথা উচ্ছেদ করে দিয়ে, ল্যাবরেটরিতে বাচ্চা উৎপাদন করে সরকারী তত্ত্বাবধানে মানুষ করলেই তো লেঠা চুকে যায়। তাহলে নারী আর কোন পুরুষের অধীনে থাকল না , তাই কেউ নির্যাতিতও হলো না। যতদিন এরা এক সাথে বাস করবে ততদিনই এরা যে সুযোগ পাবে অন্যের ওপর নির্যাতন করবেই। এটা একটা হিউম্যান ন্যচার।
@ভবঘুরে,
এইটা কি সমস্যার সমাধান হল ভাই। কি যে বলেন। 😛
খুবই দুর্বল একটা লেখা।
পরিবারে নীরব নির্যাতনের স্বীকার যে এক তরফাভাবে মেয়েরা হয় তা কিন্তু মোটেও নয়, পুরুষেরাও হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মেয়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় বলেই হয়তো নির্যাতন করার পরিমাপে তারা পিছিয়ে আছে। তবে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জানি যে, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী না হয়েও বহু মহিলা তাদের স্বামীদের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালায়। নির্যাতিত পুরুষেরা তাদের সম্মান বাঁচানোর স্বার্থে এই সমস্ত বিষয় ঘরের বাইরে আনতে চায় না বলেই এগুলো নিয়ে আলোচনাও অনেক কম শোনা যায়।
পরকীয়াও শুধু পুরুষদের একার বিষয় নয়, বহু নারীও পরকীয়ায় যুক্ত থাকে। লেখক পরকীয়ায় লিপ্ত একজন পুরুষ ঘরে ফেরার পরে কী কী সমস্যা তৈরি হয় এবং সেখান থেকে কীভাবে নারী নির্যাতন হয় তা দেখিয়েছেন, কিন্তু পরকীয়ায় লিপ্ত একজন নারীর ঘরে কী ঘটে সে বিষয়ে নিশ্চুপ থেকেছেন। এই পক্ষপাতিত্বের কারণটা বুঝতে পারলাম না।
লেখক হুমায়ুন আজাদের উক্তি তুলে ধরে বলার চেষ্টা করেছেন যে ,বাঙালি সমাজের অবদমিত কামের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ধর্ষণরূপে। কাম সমাজে নিষিদ্ধ বলে তার পীড়ন সইতে হয় স্ত্রীদের স্বামীর বলাৎকারের মাধ্যমে। বেশিরভাগ স্বামীরা উচ্চশিক্ষিত স্ত্রীদের পুলকের কথা বিবেচনা না করে শুরুতেই উপসংহারে পৌঁছে যায়।
এই ধারণার সাথে আমি খুব একটা দ্বিমত পোষণ করছি না। আমাদের সমাজে যৌনশিক্ষার অভাব আর পুরো বিষয়টাকে নিয়ে লুকোছাপার কারণে সঠিক যৌনশিক্ষা বেশিরভাগ পুরুষেরই থাকে না। কিন্তু কথা হচ্ছে যে, পুরুষদের তবুও না হয় শেখার কিছু সুযোগ আছে আমাদের সমাজে, নারীদের যে সেটাও নেই। তাহলে তারাই যে যৌনজীবনে সঠিক আচরণ করছে সেটাই বা বুঝবো কী করে? বাঙালি নারীদের কামশীতলতা নিয়ে কী কোনো গবেষণা হয়েছে? বিয়ে মানেতো শুধু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা, পার্কে গিয়ে চানাচুর ভাজা খাওয়া, পহেলা ফাগুনে বকুল ফুলের মালা কিনে খোঁপায় গুঁজে দেওয়া, নিত্য নতুন শাড়ি কিনে দেওয়া, আর বিভিন্ন পার্টিতে সাজিয়ে গুজিয়ে নিয়ে যাওয়া নয়। বিয়ে কোনো প্লেটোনিক প্রেমও নয়, শারীরিক সম্পর্ক এবং চাহিদারও একটা বিষয় সেখানে আছে। কয়জন শিক্ষিত বাঙালি নারী স্বামীদের এই বিষয়টার প্রতি খেয়াল রাখে? একটা দুটো বাচ্চা জন্ম দিয়েইতো তারা মনে করে থাকে যে তাদের দায়িত্ব শেষ।
আমার পুরুষবাদী মন এখানে স্বামীটির চেয়েও স্ত্রীটিকেই বেশি দায়ী মনে করছে। পরিচারিকায় উপগত হওয়া যেমন স্বামীর জন্যে রুচিহীন, অনৈতিক এবং বিকৃত কাজ, ঠিক তেমনি স্বামীর এই অনৈতিক কাজে বাধা না দেওয়াটাও মেরুদণ্ডহীনতারই লক্ষণ। আর স্বামীর ইচ্ছা চরিতার্থ করার জন্যে পরিচারিকার কাপড় পরিধান করে স্বামীকে আনন্দ দিতে যাওয়াটা পুরোপুরি দাসীমনোবৃত্তিরই বহিঃপ্রকাশ। অপরাধের পর্যায়েই পড়ে এই দাস্যতুল্য আচরণ।
লেখাটি আরো বড় হতে পারতো। বিষয়টি এমন যে এর উপর অনেক লেখা এবং গবেষণা হয়েছে, তাই স্বল্প পরিসরে লেখার সুযোগ কম বলে আমি মনে করি। বিশ্লেষণ আরো বড় আকারের হলে আরো ভাল লাগতো। তবে শিরোনামে প্রবন্ধ উল্লেখ না করে ট্যাগে প্রবন্ধ অপশন সিলেক্ট করে নিতে পারেন।
আপনার লেখার দু’টি বাক্য নিয়ে কথা বলবো।
স্ত্রীর এই নির্ভরশীলতা কমিয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে হবে নীরব নির্যাতন বন্ধে। এটাই আমার মতে মূল কারণ। যখন স্ত্রী স্বামী বা বাবা বা ভাইয়ের উপর নির্ভরশীল হবে না তখন তার যে কোন সিদ্ধান্ত সে নিজেই নিতে পারবে। তাই মেয়েদের শিক্ষা এবং চাকুরী করাটাকে আমি অনেক বেশি প্রয়োজনীয় বলে মনে করি। আপনি নীরব নির্যাতন শুধু স্বামীর পরকীয়ার মাঝে রেখেছেন, কিন্তু বাবা অথবা ভাই অথবা মা অথবা শাশুড়ী তাঁদের দাড়াও যে নীরব নির্যাতন চলে সে বিষয়ে কোন উল্লেখ করেননি যা এই লেখার একটি বড় দুর্বলতা বলে মনে করি।
এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করবো। উপরে বিপ্লব’দা বলেছেন যে কিভাবে সন্তানের প্রতি দায়িত্ববোধ কিংবা ভালবাসা বাব/মা দু’জনকে বেঁধে রাখতে পারে। আমার কাছে সংসার নামক বস্তুটি চলে বিবর্তনের সুত্র মতে পরস্পরের
উপকারের বিনিময়ে। জগতে কোন নিঃস্বার্থ পরোপকার বলে কিছু নেই। বিয়ের মাধ্যমেও দুজনেই লাভবান হতে হবে। যদি একজন শুধু নিয়ে যায় এবং অন্যজন শুধু কষ্ট করে যায় সে ক্ষেত্রে সে সংসার টিকবে না সেটাই স্বাভাবিক। এখন নির্যাতিত/তা বাবাও হতে পারে অথবা মাও হতে পারে। অনেক সংসারও আছে যেখানে বাবা শুধুওই খেটে যায় কিন্তু ডিসিশন মেকিং এ কোন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে না, এটাও এক প্রকার নির্যাতন। তাই নির্যাতন শুধু সেক্সই নয়, দৈহিক নয়, অনেক ভাবেই হতে পারে। আমাদের দেশের প্রক্ষাপটে এরকম অনেক আনহেপি ম্যারেজ টিকে থাকে শুধু সন্তানের কথা চিন্তা করে, যদিও সেই সন্তান বড় হয়ে সেই ত্যাগ মনে রাখে না। কিন্তু কি করা যাবে, এটাই সেলফিশনেস অফ জিন।
যা হোক লেখাটিতে এত সব বিবর্তন টেনে না আনলেও চলতো, তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি লেখকের কাছে। লিখে চলুন আরো।
@স্বাধীন,
শিরোনামে প্রবন্ধ আমার মূল লেখায় থাকাতে এসে গিয়েছিল।তুলে দিয়েছি।
আপনি বলেছেন
বিষয়টি এমন যে এর উপর অনেক লেখা এবং গবেষণা হয়েছে, তাই স্বল্প পরিসরে লেখার সুযোগ কম বলে আমি মনে করি। বিশ্লেষণ আরো বড় আকারের হলে আরো ভাল লাগতো।
ঠিক সেই কারণেই আর বাড়াইনি ইচ্ছে করে। তাই পূরনো বিষয় নতূন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করে গেলাম।আপনার মতামতকে গুরুত্ত্ব সহকারে নিলাম। আর এই লেখায় আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@স্বাধীন,
শিরোনামে প্রবন্ধ আমার মূল লেখায় থাকাতে এসে গিয়েছিল।তুলে দিয়েছি।
আপনি বলেছেন
ঠিক সেই কারণেই আর বাড়াইনি ইচ্ছে করে। তাই পূরনো বিষয় নতূন আঙ্গিকে লেখার চেষ্টা করে গেলাম।আপনার মতামতকে গুরুত্ত্ব সহকারে নিলাম। আর এই লেখায় আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আগের মন্তব্যে কোড করা হয়নি তাই একই মন্তব্য দুইবার করতে হল। দুঃখিত।
@আফরোজা আলম,
domestic violence এর বাংলা কি নীরব নির্যাতন করলেন? silent violence কিন্তু অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। আর domestic violence কে বলা হচ্ছে গৃহ অভ্যন্তরে সহিংসতা, যেখানে নারীরা সহিংসতার শিকার অচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা ও আলোচনা হওয়া উচিত।
যাহোক, নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতা (violence against women / VAW) আলোচনা হলেই কেউ কেউ বলতে চেষ্টা করেন যে পুরুষরাই নারী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যদি হয় তবে পরিসংখ্যানসহ চিত্র তুলে ধরুন। আমরা আপনাদের সাথে পুরুষ নির্যাতন বন্ধে সোচ্চার হব। কারণ আমরা মানবাধিকারের পক্ষে। আর পরিসংখ্যান যদি বলে নারীরাই সাধারনত নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে তবে এর প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।
@গীতা দাস,
দিদি,
পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘প্যারিটি’ নামের একটা গবেষণা গ্রুপ দাবি করেছে যে, সারা বিশ্বেই পুরুষ নির্যাতন ক্রমশ বাড়ছে। ব্রিটেনে প্রতি পাঁচটি পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনার দুটির শিকার পুরুষ। অর্থাৎ ৪০ শতাংশ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে পুরুষের ওপর। তাঁদের মতে, স্ত্রী বা বান্ধবীর হাতে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। পুরুষেরা পুলিশের কাছে গেলে খুব একটা পাত্তা পায় না, আর গণমাধ্যমও পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টিকে উপেক্ষা করে যায়। প্যারিটির রিপোর্টটি বিস্তারিত দেখার জন্যে এখানে ক্লিক করতে পারেন।
বাংলাদেশে অবশ্য এই ধরনের পরিসংখ্যান পাওয়াটা বেশ কঠিন। আমাদের সমাজ বাস্তবতায় কোনো পুরুষ কী সহজে স্বীকার করবে যে, সে বউয়ের হাতে নিয়মিত পিটুনি টিটুনি খায়? 😛
ক্যানাডিয়ান নির্যাতিত পুরুষেরা তাদের উপর নির্যাতন বন্ধের দাবি আদায়ের জন্যে অটোয়াতে একটা আলোচনা সভা করতে চেয়েছিল। ভিডিও দেখুন। নারীবাদীরা সেখানেও তাদেরকে মুক্তি দেয় নি। হই হুল্লোড়, চিল্লাফাল্লা আর গালিগালাজ করে বেচারাদের সেই শান্তিপূর্ণ সভাটাকেও পণ্ড করে দিয়েছে তারা। বেচারা পুরষেরা!! ঘরেও মার খায়, বাইরে এসেও যে সেটা নিয়ে একটু মন খুলে কথা বলবে তারও উপায় নেই। সেখানেও দাঙ্গাবাজ নারীবাদীরা এসে হাজির। 😀
httpv://www.youtube.com/watch?v=qodygTkTUYM
পুরুষ নির্যাতনকে শুধু যে মিডিয়াই উপেক্ষা করে তা নয়, সাধারণ লোকজন বা সমাজও এটাকে উপেক্ষাই করে যায়। মহিলাদের সহিংসতাকে যে কোনো কারণেই হোক না কেন দেখেও না দেখার ভান করার একটা প্রবনতা সব সমাজেরই রয়েছে। নীচের গবেষণা ভিডিওটি দেখতে পারেন। এর প্রমাণ পাবেন। 🙂
httpv://www.youtube.com/watch?v=LlFAd4YdQks&feature=related
@ফরিদ আহমেদ,
কোন সন্দেহ নেই ঘরে মেয়েরাই বেশী দাঙ্গাবাজ। সবার ঘরেই সেটা প্রায় সত্য। যেগুলো ব্যাতিক্রম হয় -অর্থাৎ যেখানে ছেলেরা দাঙ্গাবাজ, সেখানেই নিউজ হয়। আমার ধারনে যদি ২০ টা পুরুষ নির্যাতিত হয় তাহলে একটি নির্যাতিত মেয়ে পাওয়া যাবে।
সেই জন্যেই পাস্পেক্টিভ খুব গুরুত্বপূর্ন।
@বিপ্লব পাল,
পাশ্চাত্যে যেহেতু মেয়েরা পরনির্ভরশীল নয় সে ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কে কার ওপর ডমিনেন্ট হবে সেটার জন্য দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। সংসারে কোনটা কেনা হবে, বাচ্চাকে কোথায় রাখা হবে, এই সব দৈনন্দিন বিষয় নিয়ে মতভেদে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কিন্তু সব কিছুকে নির্যাতন হিসেবে বলে দিতে পারি না। নির্যতন হতে পারে যদি ক্রমাগত এক পক্ষ অন্য পক্ষকে শোষণ করে চলে। সে রকম ক্ষেত্রে পুরুষ নির্যাতন আপনার ধারণা মত এত বেশি হবে না। পুরুষ নির্যাতনের হার কম হত বাধ্য। আর অনুন্নত দেশে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে নারী নির্যাতনের হারই বেশি পুরুষ নির্যাতনের তুলনায়। আপানার মন্তব্যটি বেশি সরলীকরণ হয়ে গেছে আমার মত।
@বিপ্লব পাল,
এটা আপনার নিছক ধারণাই যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।
@গীতা দাস,
:yes:
@গীতা দাস,
“এটা আপনার নিছক ধারণাই যার সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।”
ঠিক বলেছেন দিদি (Y)
@বিপ্লব পাল,
” আমার ধারনে যদি ২০ টা পুরুষ নির্যাতিত হয় তাহলে একটি নির্যাতিত মেয়ে পাওয়া যাবে।”
সরি মানতে পারলাম না। (N)
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ, তোমার দেওয়া guardian.co.uk এর The Observer এর লিংকটি পড়লাম। এর ভেতরের লিংকগুলোও পড়লাম। পড়ে আমি সারমর্ম পেলাম উন্নত বিশ্বে ৪০% পুরুষ গৃহ অভ্যন্তরে নির্যাতনের শিকার হয় এবং পুলিশ পর্যন্ত পুরুষ নির্যাতীত হলে আমলে নেয় না।
আমি লিংক দেওয়ায় পারদর্শী নই বলে উন্নয়নশীল দেশের নারীদের অবস্থা ও অবস্থানের চিত্র দিতে পারছি না । তবে আমি শুধু পুরুষ নির্যাতন নয় যে কোন নির্যাতনের বিপক্ষে। কাজেই নির্যাতনের শিকার পুরুষদের প্রতি সমবেদনা রইল এবং এর নিন্দাও করছি। ,
কিন্তু আমাদের দেশে নারী প্রতি যে সহিবগসতা ঘটছে এর কী হবে?
@গীতা দাস,
দিদি,
লিংক দিতে হবে না। আসল কথাটাই আপনি বলে দিয়েছেন। শুধু নারী না, যে কারো উপরে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোটাই মনুষ্যত্বের লক্ষণ। উন্নয়নশীল দেশে নারীর অবস্থা বা অবস্থানকে আমি অস্বীকার করছি না। এ বিষয়টা সম্পর্কে আমি জ্ঞাত। আমাদের দেশে নিম্নশ্রেণীর পিছিয়ে পড়া নারীদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতন হয় তা প্রতিহত করার ব্যবস্থা নেওয়াটা সকলেরই কর্তব্য। এঁদের প্রতি আমার সহমর্মিতা রয়েছে পূর্ণ মাত্রায়।
কিন্তু একশ্রেণীর মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরগাছা নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে যে ধোঁয়া তোলা হয় তার প্রতি বিন্দুমাত্রও সহানুভূতি নেই আমার। এরা শিক্ষিত, কিন্তু নিজেরা কোনো অর্থ উপার্জনের কাজ করে না। স্বামীর পয়সাতে দামি শাড়ি কাপড় পরে সারা গায়ে সোনার গহনা জড়িয়ে খাটে পালংকে শুয়ে বসে থাকে দিনরাত। সংসারের সব কাজ করে গৃহপরিচারিকারা। তারপর স্বামী যখন গৃহপরিচারিকার সাথে শোয়, এরা আতংকিত হয়ে পড়ে আশ্রয় হারানোর ভয়ে। পরিচারিকার পরিধেয় বস্ত্র পড়ে স্বামীর মনোরঞ্জনে নেমে পড়ে আশ্রিত কুকুরের মতন। আবার অভিযোগ তুলতে থাকে গৃহ নির্যাতনের বা নীরব নির্যাতনের। স্বামীর সাথে এদের সম্পর্ক মূলত প্রভু আর স্বেচ্ছাক্রীতদাসীর। তো এই স্বেচ্ছাক্রীতদাসীদের নির্যাতনের কথা বলার অধিকার আছে কি না সেটাই দেখা প্রয়োজন আগে।
যে লিংক এবং ভিডিওগুলো আপনাকে দিয়েছি সেগুলো মূলত মজা করার জন্যে। সিরিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই। 🙂
তবে একটা বিষয়ে আমি সত্যি সত্যি খুবই দুশ্চিন্তিত। মুক্তমনায় নারীবাদ ট্যাগ দিয়ে যে লেখাগুলো আসছে তার লেখকেরা আদৌ নারীবাদ বোঝেন কি না সে বিষয়ে আমার ঘোরতর সন্দেহ জাগা শুরু হয়েছে। যাঁরা সুগৃহিনী হতে চান, বা বলেন যে, বিবাহ বিচ্ছেদে সমস্যা কমে না বরং আরো বাড়ে। সন্তানের বন্ধনে স্বামী স্ত্রী থাকলে সংসার সুন্দর আর শান্তি বজায় থাকে। সন্তান উভয়ের জন্য একটা নাড়ির বন্ধন,আর রক্তের বন্ধন। তাই সন্তান সহ সুখি জীবন আনন্দ আর শান্তির প্রতীক, তাঁরা কি নারীবাদের কথা বলেন নাকি পুরুষতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গান, সেটা আমাকে একটু আগে বোঝানতো দিদি। পুরুষতন্ত্রতো নারীকে এই ভূমিকাতেই দেখতে চায়। এঁরা পুরুষদের হাতে নির্যাতিত হবার কথা বলেন ঠিকই, কিন্তু পুরুষতন্ত্রকে ভেঙে বেরিয়ে যাবার মত সাহস, সামর্থ বা ইচ্ছেটুকুও তাঁদের নেই। তাহলে যে আর পরগাছার ভাবনাবিহীন জীবনটা পাওয়া যাবে না। নির্যাতনবিহীন পুরুষতন্ত্র পাওয়াটাই মনে হয় তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য। পিটুনি না দিয়ে স্বামী আদর সোহাগ করে তাঁদের খাওয়াবে পরাবে, অন্য নারীর দিকে ফিরেও তাকাবে না, এটাই তাঁদের একমাত্র দাবি। কী বিভ্রান্ত নারীকূল!!
এঁরা বিভ্রমে থাকতে পারেন তাঁদের মানসিক চেতনার অপরিপক্কতার কারণে। কিন্তু আপনারা যাঁরা সত্যিকার অর্থে পুরুষতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে নারী পুরুষের সমতাভিত্তিক একটি সমাজ চান, তাঁরা কেন প্রতিবাদ করেন না এই সব নিজের অজান্তেই পুরুষতন্ত্রের প্রতিভূ হিসাবে কাজ করা বিভ্রান্ত নারীকূলের কর্মকাণ্ডকে?
@ফরিদ আহমেদ,
বাংলাদেশের ফৌজদারী আইন ব্যভিচারের ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গী ধারণ করে যা পুরুষদের বিরদ্ধে বৈষম্যমূলক বলেই প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশের ফৌজদারী দন্ডবিধি-১৮৬০ এর ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী :
“Whoever has sexual intercourse with a person who is and whom he knows or has reason to believe to be the wife of anther man, without the consent or connivance of that man, such sexual intercourse not amounting to the offence of rape, is guilty of the offence of adultery, and shall be punished with
imprisonment of either description for a term which may extend to five years, or with fine, or with both. In such case the wife shall not be punished as an abettor.”
এখানে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে তা হলো , কোন বিবাহিত মহিলার স্বামীর বিনা- অনুমতিতে গোপনে সে মহিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে আইনের চোখে তা ব্যভিচার তুল্য অপরাধ ( ধর্ষণ নয়) কিন্তু স্বামীর অনুমতি থাকলে তা অপরাধ নয়।
এখানে দোষী ব্যক্তি হিসেবে পুরুষকে সাব্যস্ত করা হবে যার সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারদন্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড। কিন্তু ঐ বিবাহিতা মহিলাকে ব্যভিচারে অংশ বা উৎসাহ নেয়ার জন্য কোন সাজা দেয়া হবে না।
@ফরিদ আহমেদ,
আদর্শ গৃহিনীর বিপক্ষে কথা বলতে গেলে সমাজে আদর্শচ্যুত হবার সম্ভাবনা থাকে, সেটারও একটা ভয় আছে বৈকি!
সে ভয়তো থাকবেই। তসলিমাই হচ্ছে আদর্শচ্যুতি এবং সমাজচ্যুতির জ্বলন্ত উদাহরণ। পুরুষতন্ত্র কি আর এত সহজে এর হাজার হাজার বছরের দখলদারিত্ব এমনিতেই ছেড়ে দেবে? প্রথার বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত প্রথাকে ভাঙা যায় না কখনো। পরিবর্তন হয়তো করা যায় ভিতর থেকে। কিন্তু ভিত উপড়াতে গেলে আদর্শের সীমারেখার বাইরে বের হতেই হবে আপনাকে।
@ফরিদ আহমেদ,
সমাজ কর্তৃক সংজ্ঞায়িত আদর্শ গৃহিনীর পক্ষে কখনওই নারীবাদী হওয়া সম্ভব নয়, যেমন সম্ভব নয় ধর্ম মেনে নারীবাদী হওয়া। আমি হিন্দু, ইসলাম ও খ্রীষ্টান কোন ধর্মেই নারীর কোন সম্মানজনক অবস্থান দেখতে পাইনি।
কাকের ময়ূর পুচ্ছ লাগানোর মত সমাজ কর্তৃক সংজ্ঞায়িত আদর্শ গৃহিনীদের নারীবাদী হওয়ার যে প্রচেষ্টা তা নিয়ে তোমার কাছ থেকে একটা লেখা আশা করছি।
বিঃদ্রঃ আমার মন্তব্যটি পোষ্ট দিয়ে তোমার মন্তব্য দেওয়ার মধ্যে যে সময়টুকু ছিল তখন আমি বি বি সি বাংলায় নাজিয়া খানম নামে একজন গবেষকের সাক্ষাৎকার শুনলাম। তিনি দেখিয়েছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী অনেক বয়স্ক, অনেক সময় বিবাহিত, কারো কারো গার্ল ফ্রেন্ডও আছে এমন পুরুষ সিলেটে গিয়ে তার থেকে অপেক্ষাকৃত কম স্বচ্ছ্ল পরিবারের মেয়েদের বিয়ে করে এনে মেইড হিসেবে ব্যবহার করে। অথবা স্ত্রী হিসেবে রাখলেও গার্ল ফ্রেন্ডই তাদের আসল সাথী । এসব তথাকথিত স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার সিলেটি মেয়েদের করুণ কাহিনীর কথা শুনলাম। মুক্তমনার কয়েকজন তো ইংল্যান্ডে থাকেন । তারা নাজিয়া খানমের গবেষণা বিষয়ে নিশ্চয়ই জানেন। তাদের মুক্তমনায় নাজিয়া খানমের একটি সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করছি। অথবা নাজিয়া খানমের গবেষণা বিষয়ে লেখা।
@গীতা দাস,
আপনি বলেছেন
হাঁ,দরকার আছে বলে আমিও মনে করছি। পরে বিস্তারিত আলোচনা করে লেখার ইচ্ছে থাকল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমিও সেটাই ভাবছিলাম। পুরুষ ই বেশী নির্যাতিত-কিন্ত মিডিয়া কাঁদে যখন মহিলা নির্যাতিত হয়। সে যাক-গৃহস্থলীর নির্যাতন খুব কমপ্লেক্স ব্যাপার। পরকীয়াও সভ্যতার সমান পুরাতন। যেটা দরকার সেটা হচ্ছে নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি-যাতে অত্যাচার অসহ্য লাগলে সে ডিভোর্স করতে পারে। তবে সেই সিদ্ধান্তটা সন্তান নেওয়ার আগে করলেই ভাল। পরে অনেক ঝামেলা-অভিপ্রেত ও না।
এই জন্যে লিভ টুগেদার আগে করে বুঝে নিলে হয়। তবে বিজ্ঞানের গবেষনা বলে, তাতেও সুরাহা নেই-বিয়ের পরে সবাই বদলে যায়। আর কার জীবনে কখন কোন নারী বা পুরুষ আসবে বলা মুশকিল।
আমার অভিজ্ঞতা বলে সেই সব পরিবারই সাফল্য অর্জন করেছে ( কম পারিবারিক বিবাদ, ডীভোর্স) যেখানে স্বামী এবং স্ত্রঈ এর ফোকাস নিজেদের ওপর না থেকে সন্তানের ওপর থাকে। এছারা আর কোন স্বাভাবিক সমাধান আমার জানা নেই। আইন দিয়ে এসব কিছু কমানো যায় না-আমেরিকা তার উদাহরন। তাই পারিবারিক সংস্কৃতির ওপর ই জোর দিতে হবে-যেখানে সন্তানের জন্যে সবাই ভাবে-তাহলেই এই ধরনের পরকীয় গঠিত সমস্যা যার থেকে পরিবারে এইসব উৎপাৎ হয়, তা কমে যাবে। অনেকেই বলবেন খুব ভাল পিতা এবং পরকীয়াতে কৃষ্ণর সংখ্যায় চারিদিকে বেশী-আমি বলব-সেটা ঠিক না-কারন দ্বায়িত্বশীল পিতা হতে গেলে, এই সব থেকে দূরে না থাকাটা খুব বাজে ব্যাপার।
@বিপ্লব পাল,
তাই পারিবারিক সংস্কৃতির ওপর ই জোর দিতে হবে-যেখানে সন্তানের জন্যে সবাই ভাবে-তাহলেই এই ধরনের পরকীয় গঠিত সমস্যা যার থেকে পরিবারে এইসব উৎপাৎ হয়, তা কমে যাবে।
খুব সুন্দর বলেছেন :yes:
আমার মতামতকে স্বাগতম।
@বিপ্লব পাল,
সে একই কথা, কাউকে না কাঊকে সেক্রিফাইস করতেই হবে, সেটা যেভাবেই আসুক, পুরুষ বা মহিলা যে কাউকে পরকীয়াটা মেনে নিতে হবে। অবশ্যই সন্তানের মংগল কামনায়।
কিন্তু স্বামী-স্ত্রী নিজেদের জীবনকে শুন্য জ্ঞান করে শুধু সন্তানের ওপর ফোকাস দিলেই কি সমস্যার সমাধান হয়? তাতে সমস্যা চাপা দিয়ে শুধু নিজদেরকেই বঞ্চিত করা হয়। সেটার প্রভাবও সমাজে ভাল কিছু বয়ে আনেনা। আর তা ছাড়া কোন কিছু ignore করার অর্থ এই নয় যে সেটার existence নেই। বাবা-মার নিজেদের জীবনের ভাল বা মন্দের প্রভাব কি সন্তানের উপর পড়েনা?
@ব্রাইট স্মাইল্,
না। সন্তানই একজনের সব থেকে বড় ভবিষয়ত এবং সম্পদ।
@বিপ্লব পাল,
একদল বঞ্চিত লোকজনের দ্বারা গড়া ভবিষ্যত ও সম্পদ কার্য্যকরী না হবার সম্ভাবনাই বেশী থাকে।
আপা বুঝলাম না আসলে কোন জিনিসটাকে আপনি নারী নির্যাতন বলছেন। পরকীয়া। কিন্তু পরকীয়াতো দুজনে মিলেই হয়, তাই না?
পারিবারিক ব্যাপারে আমিতো মনে করি মধ্যবিত্ত পর্যায়ে পুরুষরাই বেশি নির্যাতিত হয় মানসিক ভাবে। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
পরকীয়া। কিন্তু পরকীয়াতো দুজনে মিলেই হয়, তাই না?
ঠিক বলেছেন। সহমত কিন্তু তার পরেও পত্র,পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে নানান ঘটনা।কিছুদিন আগেই এক চাঞ্চল্যকর এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। স্ত্রী নিজের দুই সন্তান সহ আত্মহত্যা করেন।সেখানে ্দেখা গিয়েছে এই আত্মহত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বামীর বাড়ির লোকজন অর্থাৎ শ্বশুর শাশুড়ি,এমন কি পুলিশ পর্যন্ত জড়িত।কেননা দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনুমতি দিতেই হবে এই মর্মে কাগজে সই করার জন্য বন্ধু পুলিশ অফিসারকে ডাকা হয়েছিল। আর তিনি ক্ষমতা দেখাতে কুন্ঠা বোধ করেননি।শেষ পর্যন্ত দুই সন্তান নিয়ে সেই স্ত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।আর তার আগের তার স্কুল পড়ুয়া দুই সন্তান দেয়ালে দেয়ালে লিখে গিয়েছে তাদের মর্মান্তিক ঘটনা। ৩ জনের লাশ দেখে স্তম্ভিত হয়ে যায় সবাই।২ স্ত্রী তখন গর্ভবতী। কি মর্মান্তিক ব্যাপার!
যতই আমরা নারী স্বাধিনতার কথা বলি। পুরুষতান্ত্রিক দেশে এখনও সবই পুরুষের হাতেই কুক্ষিগত।এমনকি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী,তথাপি নারীর সামাজিক অবস্থান যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে।আশা করি এই ঘটনা বাংলাদেশের কারো অজানা নাই। কিন্তু ক’টা ঘটনা আমরা পত্রপত্রিকায় পাই?
আপনার মতামতকে স্বাগতম।
@আফরোজা আলম,
আপা ভুল বুঝবেন না, আমি কিন্তু বলিনি যে নির্যাতন হয় না। হয়, এবং খুব বেশি মাত্রায়ই হয়। কিন্তু পরকীয়াকে যদি নারী নির্যাতন বলা যায় তাহলে কিছু আগের ঘটে যাওয়া নভোদয় হাউজিং-এর ঘটনাটাকে কি বলা যায়? প্রেমিকের জন্য নিজের সন্তানকে পর্যন্ত খুন করতে তার হাত কাঁপেনি।
আমাদের সমাজে মধ্যবিত্ত পর্যায়ে যে পরিমান মানসিক অত্যাচার পুরুষের উপরে চালানো হয় তার সাথে পরিসংখ্যান করলে নারী নির্যাতন কই ঠেকবে বলতে পারছি না যেহেতু কোন পরিসংখ্যান এনিয়ে করা হয় নি। কিন্তু সংখ্যাটা যে নেহায়েত কম হবে না এ আমি হলফ করে বলতে পারি।
যাই হোক আমরা সবাই নারী(পুরুষ 😉 ) নির্যাতনের শেষ দেখতে চাই। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
আমি একমত।পরিসংখ্যন হওয়া দরকার।যে কোন অত্যাচার বন্ধেই সোচ্চার হওয়া উচিত।
@তানিয়া কামরুন নাহার,
আপনাকেও একটা – :rose2:
@আফরোজা আলম, 😀
এটার নাম প্রবন্ধ??
@Rashed Latif,
এই ধরনের দুর্গন্ধযুক্ত মতামত দিতে এখানে না এসে অন্য কোন ব্লগে যান ভাই।
আপনার ভালো না লাগতেই পারে। ভালো লাগলে মন্তব্য করবেন না লাগলে করা থেকে বিরত থাকবেন। আর যদি করতেই হয় তাহলে গঠনমূলক ভাবে করবেন।
অশিক্ষিত টাইপ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন আশা করি।
(আতেল দিয়া দেশটা ভইরা গেল গা। :-X :-Y )
@Rashed Latif,
না ভাই,এইটার নাম কবিতা – 😕
@Rashed Latif,
দূরো মিঞাঁ! এইডা একটি গীতিনাট্য। 😛