সিলেটে শাহ্ জালাল বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে তোলার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টির নাম করনের বিরোধীতা করে একটি প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।আন্দোলনের নেতৃত্বে কারা ছিল তা এখন আর মনে করতে পারছিনা তবে নাম গুলো নিঃসন্দেহে প্রগতিশীল ব্যক্তি বর্গের ছিল। তাদের দাবী ছিল সাম্প্রদায়িক বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব শাহ্ জালালের নামে যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টির নাম করন না করে অসাম্প্রদায়িক কোন নাম দেওয়া হোক। ছোট বেলায় লোক মুখে শাহ্ জালালের অনেক কেরামতির কথা শুনেছি, বাস ভর্তি করে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে শাহ্ জালালের মাজারেও যেতে দেখেছি, পত্রিকায় আরো দেখেছি অনেক রথী মহা রথীদের ভোটের আগে পরে শাহ্ জালালের মাজার জিয়ারত করে তার দোয়া নেওয়ার খবর, আর সাধারণ মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধার ঘাটতির তো প্রশ্নই উঠে না! চারিদিকে ভক্তির এত অহ রহ আয়োজন দেখে শুনে সুদূর চট্টগ্রামে থেকেও আমার মনে শাহ্ জালাল সম্পর্কে বিনম্র ভক্তি শ্রদ্ধার আসন তৈরী হয়ে গিয়েছিল।ধর্মীয় পরিবেশে বড় হয়েছি, নিজেও ধর্ম কর্ম করেছি কিছুটা তাই স্বাভাবিক ভাবে পবিত্র পুরুষ শাহ্ জালাল(!)নাম করন বিরোধী আন্দোলনটা আমাকে বিস্মিত করেছিল অনেক।একই সঙ্গে একটা ধাক্কাও অনুভব করেছি মনে।এই লোকগুলো বিনা কারনে নিশ্চই বিরোধীতা করছেনা, মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে সেই পেছনের কারন টা আমাকে জানতে হবে।পরে ইতিহাসের পাঠ থেকে আমি যা জানলাম ও বুঝলাম পাঠকদের বিবেচনার সুবিধার্তে তা নীচে তুলে ধরলাম।
শাহ্ জালালার জন্মস্থান সম্পর্কে স্বচ্ছ কোন ধারনা পাওয়া যায় না। কোন কোন ইতিহাসবিদ দের মতে উনি ১২৭১ সালে তার্কির কৌনাতে জন্ম গ্রহণ করেন, পরে তিনি ইয়ামেন গমন করেন।আবার কারো কারো মতে তিনি ইয়ামেনেই জন্ম গ্রহণ করেন। উনার বাবা জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ রুমির সম সাময়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনিও পরিচিত ছিলেন পার্সিয়ান কবি ও সুফি আদর্শের অনুসারি একজন পীর রূপে। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় জালাল উদ্দীন বিন মুহাম্মদ।অবশ্য পরে তিনি ব্যাপক পরিচিতি পান শায়েক উল মাশায়েক হযরত শাহ্ জালাল মুজাররেদ নামে। চাচা সায়েদ আহমেদ কবিরের কাছেই তার ইসলামীক শিক্ষার হাতে কড়ি।পরে হন কোরানে হাফেজ।
সেই সময়ে শিক্ষা দীক্ষা, ধন সম্পদ, উর্বর জমি, জীবন যাপনের মান সব দিক বিবেচনা সাপেক্ষে ভারত বর্ষের খ্যাতি ছিল সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। আরবের নিয়ত সংগ্রাম রত রুক্ষ্ম, কঠিন, বেপড়োয়া যাযাবর জীবন, গোত্রে গোত্রে কোন্দল রত জীবনের চেয়ে ভারত বর্ষের শান্ত, স্নিগ্ধ, সবুজ, সুশীতল জীবন তাদের কাছে ছিল স্বপ্ন রাজ্য।উন্নত ও নিরাপদ জীবন যাপন এবং অন্ন সংস্থানের লোভেই তারা এসে ভীড় করত ভারতবর্ষে।
ভিন দেশী যে কোন মানুষের নতুন দেশে আবাস গড়ার ক্ষেত্রে মোকাবেলা করতে হয় ভাষা সমস্যা, জীবিকা অর্জনের উপায় ও পারিপ্বার্শিক অবস্থার সাথে।পর্যাপ্ত ভাষা জ্ঞানের অভাবে তাদের পক্ষে ভালো কোন কাজের সুযোগ ঘটতো না, আবার ব্যবসা বানিজ্য করার মত প্রয়োজনীয় অর্থ কড়ি ও এই সব দেশান্তরি লোকদের ছিল না।তাছাড়া দেশান্তরি এই সব আরবের লোকেরা ছিল খুবি দরিদ্র শ্রেনীর।সমস্যা সমাধানে দুটো সহজ রাস্তা তারা খুজে পেয়েছিল (১) রাজ্য দখল করা (২)বিনা পয়সায় ধর্ম ব্যবসা করা। তবে ধর্ম ব্যবসার পূর্ব শর্ত রাজ্য দখল ও শাসন ক্ষমতা্র আনুকুল্য।
হিন্দু রাজাদের আয়েশী জীবন যাপন, অরক্ষিত রাজ্য সীমান্ত, যুদ্ধ বিদ্যায় অপারদর্শীতা এবং সর্বপরি মুসলমান ভীতিকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধ বিগ্রহ, মার দাঙ্গা ও পর রাজ্য দখলে সিদ্ধ হস্ত আরবের মুসলমানদের পক্ষে ভারত বর্ষ দখল করে নিতে খুব একটা বেশী বেগ পেতে হয়নি।তারি ফলশ্রুতিতে রাজ ক্ষমতার প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সহ যোগিতায় তথা কথিত ইসলামী পীর দরবেশ দের ধর্ম প্রচারের আড়ালে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনের দুয়ার সম্পূর্ন খুলে যায়।তারা হিন্দুদের ঘৃণ্য জাতি ভেদ প্রথা, কুসংষ্কারের বেড়া জালে আবদ্ধ নিম্ন বর্ণের নির্যাতিত অশিক্ষিত হিন্দু ও হিন্দুদের নিকট সমাজে অবহেলিত বৌদ্ধদের কাছে ইসলাম ধর্মের বীরত্ব, সাম্যবাদ ও পর কালের লোভ সম্বলিত নতুন মতবাদ প্রচার করে তাদের অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে সহজেই এক এক জন বড় বড় পীর দরবেশ রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় তাদের জীবদ্দসায়। কারো কারো ক্ষেত্রে মরনের পরেও তাদের অবস্থান হয়েছে আরো শক্তিশালী। প্রমাণ অসংখ্য কবরকে মাজারে রূপান্তর করে রম রমা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অনুসারী আরেক শ্রেণীর ধর্ম ব্যবসয়ীরা বাংলাদেশ সহ ভারত বর্ষের বিভিন্ন জেলায়।
যা হোক আবার মূল কথায় আসি, যৌবনে শাহ্ জালাল বিভিন্ন দেশ পাড়ি দিয়ে অবশেষে স্বপ্ন রাজ্য ভারতে আসেন ১৩০০ খ্রীষ্টাব্দে।এর পর চলে যান আজমীরে সেখানে পান ইসলাম প্রচারক পীর খাজা গরীবে নেওয়াজ মঈন উদ্দীন হাসান চিস্তিকে।পরে যান দিল্লী সেখানে সংস্পর্শে আসেন আরেক ইসলামী চিন্তাবিদ ও ইসলাম প্রচারক নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার সাথে।তাদের ইসলাম প্রচারের মহীমা, কলা কৌশল এবং তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি শাহ জালালকে বিশেষ প্রভাবিত করে। মনে মনে কামনা করতে থাকেন যদি তাদের মত প্রভাব প্রতিপত্তি শালী হওয়া যেত! অপেক্ষায় রইলেন উপযুক্ত সময় ও সুযোগের।
তখন সিলেট শাসন করতেন হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দ।কথিত আছে তার রাজ্যে বাস করতেন সৈয়দ বুরহান উদ্দীন নামের এক মুসলমান।তিনি পুত্র সন্তান লাভের খুশিতে গরু জবাই করে ভুরি ভোজের আয়োজনে ব্যস্ত, ঠিক সে সময় এক ক্ষুদার্ত বেরসিক চিল এক টুকরা গরুর মাংস চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঠোঁট ফসকে ফেলে দেয় এক ব্রাহ্মনের ঘরে, আবার অন্য এক মতে মাংসের টুকরা টি গিয়ে সোজা পড়ে গৌড় গোবিন্দের মন্দিরে।ধর্মীয় অপমানে রাজা অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে আদেশ দিলেন যখানেই পাও বুরহান উদ্দীন কে ধরে তার হাত দুটি কেটে ফেলা হউক আর তার পুত্র সন্তান কে হত্যা করা হউক।
প্রাণ ভয়ে বুরহান উদ্দীন পালিয়ে বিচার চাইলেন গৌড়ের সুলতান শামসুদ্দীন ফিরোজ শাহর কাছে। সুলতান এই কথা শুনে তার ভাতিজা সিকান্দার খান গাজীর নেতৃতে এক দল সৈন্য বাহিনী পাঠালেন গৌড় গোবিন্দ শাস্তি দিতে।
এই চালু গল্পটা কে আমরা যদি সাদা চোখেও একটু বিশ্লেষণ করি, তাহলে বুঝব শুধু মাত্র বুরহান উদ্দীনের হাত কাটার নির্দেশের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সুলতানের সিলেট আক্রমন যুক্তি যুক্ত মনে হয় না মোটেই।আর হাত কাটার বিষয়টা বরং ইসলামী রীতির সাথেই বেশ সম্পর্ক যুক্ত। গরুর মাংস এবং হাত কাটার বিষয় গুলো পরষ্পরের সাথে যুক্ত হওয়ায় গল্পটার অসাড়ত্বই প্রমাণ করে বৈকি।তাছাড়া যুদ্ধ মানেই তো অর্থনৈতিক প্রভূত ক্ষতি, ধ্বংস, অনেক লোকের প্রাণ হানি- এ সামান্য কথা না বুঝার মত সুলতান নিশ্চই বোকা নন।বরং বিনা উস্কানিতে কাফের হিন্দু রাজাকে বিতারিত করে সিলেটে মুসলমানের বিজয় পতাকা ওড়ানোটাই ছিল ফিরোজ শাহর মুখ্য উদ্দেশ্য এ কথা ভাবা সমীচিন নয় কি? পরবর্তি ঘটনা বলি তার প্রমাণ আরো স্পষ্ট করে।
১ম বার যুদ্ধে সিকান্দার খান গোবিন্দের কাছে হেরে যান।এই পরাজয় সুলতান ফি্রোজ শাহর পক্ষে সহজভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি।তিনি বুঝতে পারলেন গৌড় গোবিন্দের শক্তি কে খাটো করে দেখা তার মোটেই উচিত হয়নি, তাই পরবর্তী আক্রমনের জন্য বেশ আট ঘাট বেঁধেই মাঠে নামলেন। তিনি তার সেনাপতি নাসির উদ্দীন কে আদেশ দিলেন পুনঃরায় গৌড় আক্রমনের জন্য তৈরী হতে। যুদ্ধ জয়ের চুড়ান্ত প্রস্তুতি হিসাবে সুলতান ফিরোজ শাহ্ ইসলামিক চিন্তাবিদ নিজাম উদ্দীন কে আদেশ দিলেন সিলেট যুদ্ধে তাকে সাহায্য করতে।নিজাম উদ্দীন অনুরোধ করলেন শাহ্ জালাল কে।শাহ্ জালাল তার সাথে ইয়েমেন, তুর্কিস্তান, আলরুম, তুরফান, বুখারা, তিরমিজ সহ আরবের বিভিন্ন আঞ্চল থেকে আসা আরো ৩৬০ জন ভাগ্যন্বেষী যুবক কে সাথে নিয়ে ফিরোজ শাহর মুসলমান সৈন্য দলের সাথে যোগ দিলেন হিন্দু রাজা গোবিন্দকে সিলেট থেকে উৎখাত করার লক্ষ্যে।এই ৩৬০ জনের মধ্য তার ভাগ্নে শাহ্ পরান ও ছিল।
এখানে শাহ জালালের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখি শাহ জালাল যদি সত্যি কোন পীর, দরবেশ, আওলিয়া বা এ জাতীয় নিরীহ শান্ত গোছের কিছু হয়ে থাকতেন তাহলে ধারালো তরবারি হাতে আরো ৩৬০ জন সৈন্য জোগাড় করে দখলদার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তেন না অবশ্যই বরং বিনা রক্তপাতে কোন সমাধানে আসা যায় কিনা সুলতানকে সে পরামর্শ দিতে পারতেন।
শাহ্ জালাল সম্পর্কে বিশ্বাসীদের বিশ্বাস পাকা পোক্ত করতে ধর্ম ব্যাবসায়ীরা সুনিপুন ভাবে আরো কিছু ধর্মীয় রূপকথার অলংকার জুড়ে দিলেন তার সিলেট দখলের পর। যেমন- গৌড় গোবিন্দ যখন জানতে পারলেন শাহ জালাল সিলেট আক্রমন করতে আসছে তখন তিনি সুরমা নদীর ঘাট থেকে সব নৌকা সরিয়ে ফেলেন যাতে শত্রু পক্ষ নদী পার হয়ে সিলেটে প্রবেশ করতে না পারে।শাহ্ জালাল ও ক্যারিশমা দেখানোর সুযোগ পেয়ে গেলেন তিনি মুচকি হেসে জায়নামা্যে চড়ে সুরমা নদী পাড়ি দিয়ে দিলেন মূহুর্তে যা তাঁর গুরু স্বয়ং নবিজীর পক্ষেও কোন দিন সম্ভব হয়নি। নদীর অপর পাড়ে পৌঁছেই তিনি বিকট শব্দে আযান দিয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ শুরু করলেন, তাতেই গৌড় গোবিন্দের প্রাসাদ ধসে ধসে পড়তে শুরু করল।
আযানের শব্দে ধসে পড়ল না আক্রমনের তীব্রতায় ধসে পড়ল তা সচেতন পাঠক মাত্রই বুঝতে সক্ষম ।
শুরু হল দখলদার বনাম অস্তিত্ব রক্ষার রক্তক্ষয়ি যুদ্ধ তাতে গৌড় গোবিন্দ পরাজিত হয়ে সিলেট ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।
সিলেট আসল মুসলমানদের দখলে।পক্ষান্তরে বলা চলে শাহ্ জালালের দখলেই সেই সাথে পূর্ণ হল আজমীরের মঈন উদ্দীন হাসান চিস্তি বা দিল্লীর নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার মত প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন।যুদ্ধ জয়ের পর তিনি তার ৩৬০ জন সহ যোগীকে বিয়ে করে সংসারী হওয়ার নির্দেশ দেন। তখনো ইসলামের প্রচার প্রসার সিলেটে তেমন শুরু হয়নি।তাই তারা কাদের কে কিভাবে বিয়ে করেছিলেন তা সহজেই অনুমেয়। একজনে যদি একটা করেও বিয়ে করে তাহলে ৩৬০ জন হিন্দু/বৌদ্ধ মেয়ের গায়ে ইসলামী আঁচড়ের দাগ পড়েছিল নিঃসন্দেহে।
আজ এক বিংশ শতাব্দীর মুক্ত চিন্তা ও মানব ঐক্য প্রতিষ্ঠার দ্বার প্রান্তে এসেও উগ্র সাম্প্রদায়িক চেতনা বোধ সম্পন্ন শাহ্ জালালের নামে অসাম্প্রদায়িক বিদ্যা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের নাম করন করে জাতি হিসাবে আমাদের জ্ঞানের দৈন্যতার বহিঃপ্রকাশ করা হয়েছে নয় কি?
সুফিয়ানা ঘরানার বুদ্ধিজীবিরা কি বলেন ?
শাহজালাল, বায়েজিদ বোস্তামী, শাহ পরান এরকম সব বিখ্যাত পীর দরবেশদের সম্পর্কেই আসলেই কিছুই জানি না। কিন্তু মানুষ ভক্তি করে প্রচন্ড। কেউ ঢাকা থেকে সিলেট বেড়াতে গেলেও তার হাতে কেউ না কেউ কিছু টাকা অবধারিতভাবে ধরিয়ে দেয় শাহজালালের মাজারে দিয়ে আসার জন্য।
শাহজালাল যে কোন যুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন এই তথ্য জানা ছিল না। আমার ধারনা ছিল উনি শান্তি প্রিয় সুফী সাধক।
সত্যি বলতে ভারবর্ষে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে সম্পদ লুন্ঠনের প্রক্রিয়ায়। আর তার আবেদনময়ী রূপের প্রসার ঘটেছে ফকিরদের মাধ্যমে। সমাজের যে অংশের জনগন এই ফকিরির সাথে যুক্ত তারা খেটে খাওয়া মানুষ। এরাই শুদ্র এরাই দ্রাবির, অনার্য। হাজার হাজার বছর ধরে এরা পরাজিত প্রশাসনিক ভাবে। কিন্তু সাংস্কৃতিক ভাবে পরাজিত করেছে সবাইকে। এদের হাতে পরেই আর্যদের মধ্যে প্রবেশ করেছে দেব-দেবী, নাস্তিক বৌদ্ধরা শুরু করেছে দেব-দেবীর উপাসনা, আর তরবারি হাতে আসা ইসলাম বাউলের হাত ধরে মিশেগেছে মাটির মানুষের সাথে। তাই ভারত বর্ষের প্রধান ধর্মগুলোর ইতিহাস একদিকে ক্ষমতা লোভি শাসকদের তরবারি রক্তে রঞ্জিত হবার ইতিহাস আবার সাধারণ মানুষের হাতে পরে বাচার অবলম্বন হয়ে ওঠা।
@Ranjan,
এটা আপনার বানানো কথা, অবশ্য কিছু হিন্দুও সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিতে এগুলো বলে বেড়ায়।
আসলে ইতিহাস ভালভাবে নির্ভরযোগ্য সুত্র হতে জানতে হয়।
ভারতবর্ষে মুসলমানদের লুণ্ঠনের ইতিহাস খুজে পাওয়া যায়না।
কোন মুসলিম সুফি সাধক জোর করে কোন কিছু কাউকে চাপিয়েও দেননি।
ভারতবর্ষে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে শান্তি প্রক্রিয়ায়।
সবগুলো কাহিনি হয়ত সত্য মিথ্যের মিশেল!
তবে শুদ্ধ চিন্তাধারা, যুক্তি আর কল্পনা দিয়ে অনেক কিছুই
ধারনা করা যায়!
আমি একদিন ক্লাশে বলেছিলাম মুসলমানরা শান্তিপূর্ণ ভাবে
ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছে!
শুনে টিচারসহ সবাই হো হো করে হেসেছে!
পীর আউলিয়াদের দেশ হয়ে গিয়েছে এখন বাংলাদেশ। সবকিছুরই এখন নামকরণ করা হয় তাঁদের নামে। কিছুদিন আগেতো জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টকেও শাহজালাল বিমানবন্দর বানিয়ে ছেড়েছে সরকার।
লেখায় এত ব্যাপক পরিমাণে বানান ভুল যে চোখকে রীতিমত পীড়িত করলো। একটু কষ্ট করে বানান ভুলগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে এনে পোস্ট দিলে এই অযাচিত পীড়নের হাত থেকে অন্তত বাঁচা যায়।
যেখানে আপনি নিজে শাহজালালকে উগ্র সাম্প্রদায়িক বলে প্রত্যাখান করছেন, সেখানে আপনার লেখাতেই এই রকম একটা সাম্প্রদায়িক গন্ধমাখা মন্তব্য আশা করি নি আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ ভবিষতে বিষয় গুলোর উপর আরো অধিক যত্নবান হব আশা রাখছি।
@রাজেশ তালুকদার, অনেকেই আপনাকে বানানের কথা বলেছেন, এই ভুলগুলো সংশোধনের করার জন্য তো ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকার কোন দরকার নেই। বেশ কিছু দৃষ্টিকটু বানান ভুল আছে লেখাটায়, একটা ডিকশানারি নিয়ে বসে একটু কষ্ট করে এডিট করে দিন না ভুল বানানগুলো। এখন তো অনলাইনেই বিভিন্ন ডিকশানারি পাওয়া যায়।
@ফাহিম রেজা,
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অন লাইনে ডিকশানারির কথা বলাতে।সত্যি বলতে বিষয়টা মোটেই আমার মাথায় ছিল না ।
আমি আমার ভুল বানান গুলোকে শুদ্ধ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়েছি।
@ফরিদ ভাই,
উনি এই কথা প্রমান ছাড়া বলেছেন সে জন্য কি আপনি এটাকে সাম্প্রদায়িক বলছেন? নাকি অন্য কারন আছে? আমি আসলেই বুঝতেছি না এটার মধ্যে আসলে সাম্প্রদায়িক কি আছে।
সিলেটে যদি আগে থেকে তেমন সংখ্যায় মুসলমান না থেকে থাকে তাহলে তারা তো হিন্দু বা অন্য ধর্মের লোকজনকেই বিয়ে করেছিল। না হলে মুসলমানেরা সিলেটে আসল কিভাবে? এই কথাকে সাম্প্রদায়িক কেন বলা হবে?
@সাইফুল ইসলাম,
না, প্রমাণের অভাবের কারণে বলি নাই। শাহজালালের বিষয়ে খুব বেশি অথেনটিক সোর্স আসলে নেই বললেই চলে। ইবনে বতুতা আর মুগল কবি আমির খসরু ছাড়া যে সমস্ত উৎস থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায় সেগুলোর বেশিরভাগই গালগল্প, লোককাহিনি।
রাজেশ তালুকদারের ওই লাইনটাকে আমি সাম্প্রদায়িক বলেছি তাঁর শব্দ চয়ন বা বলার ভঙ্গিমার কারণে। শুধু যদি বলা হতো যে শাহজালালের শিষ্যরা ৩৬০ জন বা ততোধিক হিন্দু বা বৌদ্ধ নারীকে তাঁদের ইচ্ছা বা অনিচ্ছায় বিয়ে করেছিল, আমি মনে হয় না এটাকে সাম্প্রদায়িক বলতাম। কিন্তু যখন বলা হচ্ছে যে তাঁদের ‘গায়ে ইসলামী আঁচড়ের দাগ পড়েছিল’ তখনই বিষয়টা সাম্প্রদায়িক রূপ নিয়ে নিয়েছে। রাজেশ তালুকদার ইচ্ছে করে এটা করেছেন সেটা অবশ্য আমি বলছি না। হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবেই এটা ঘটে গেছে।
@ফরিদ ভাই,
এখন ফকফকা পরিষ্কার। 😀
@ফরিদ আহমেদ,
মানুষ মাত্রই ভুল করে এই যেমন আপনি ও করলেন আমার নাম লিখতে।
আমার নাম রাজেশ, রাকেশ নয়। 😀
আমি জানি আমার লেখার সীমাবদ্ধতা আছে, দূ্র্বলতাও আছে অনেক যা আমি স্বীকার করছি নত মস্তকে।
গৌড় গোবিন্দ যেমন ধর্মীয় কারনে বুরহান উদ্দীনের হাত কাটতে চেয়েছিলেন ঠিক তেমনি ধর্মীয় কারনে ফিরোজ শাহ এবং শাহ জালাল মিলে গৌড় গোবিন্দের হিন্দু শাসনের উৎখাত করেছিলেন এবং একই ধর্মীয় চিন্তা মাথায় রেখেই সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম করন করা হয়েছে। এই সত্য টুকু তুলে ধরাই ছিল আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য।
@রাজেশ তালুকদার,
খুবই দুঃখিত এরকম একটা ভুলের জন্যে। কোনো অজুহাত দাঁড় করাচ্ছি না এই ভুলের। সংশোধন করে দিচ্ছি এখনই।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার প্রবন্ধটি অত্যন্ত সুলিখিত এবং এর মূলসুরের সাথেও আমি পুরোপুরি একমত। বাংলাদেশে এইসব তথাকথিত পির-দরবেশদের নামে সবকিছু নামকরণের যে প্রথা চালু হয়েছে সেটা থেকে আসলেই উত্তরণ প্রয়োজন। এই শাহজালাল ভদ্রলোক যে কী করেছিলেন কে জানে। দুনিয়ার সবকিছুই এখন তাঁর নামে করা হচ্ছে। সিলেট অঞ্চল যদি কোনোদিন প্রদেশ হয়, দেখবেন ঠিকই সেটার নাম হয়ে যাবে জালালাবাদ প্রদেশ।
@সাইফুল ইসলাম,
আসলে এক পেশে চিন্তা ও ইসলাম বিমুখতা থেকেই রাজেশ, সাইফুল ইসলাম গং এ সকল বিকৃত ইতিহাস প্রচার করে।
যেখানে এ দেশের বা ভারতের আপামর হিন্দু সম্প্রদায়ও হযরত শাহ জালাল, মাইনুদ্দিন চিশতী ও নিযামুদ্দিন আউলিয়াকে সম্মানের চোখে দেখে,(অতি অল্প সংখ্যক সাম্প্রদায়িক হিন্দু বাদে)। সেখানে নব্য ইতিহাসবিদগণ নতুন ইতিহাস তৈরি করে এ দেশে ও ভারতে হিন্দু মুসলিমদের বর্তমান শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নষ্ট করার প্রয়াস খুজছেন।
আপনি বলেছেন হযরত শাহজালাল সাহেব ৩৬০ জন যোদ্ধা নিয়ে আক্রমন না করে একাও তো যুদ্ধ করতে পারতেন,(কারন তিনি অলি ছিলেন) এবং তাতে নাকি রক্তপাত কম হতো? দেখুন, একজন প্রতাপশালী সুরক্ষিত দুর্গে বাস করা শাসক এর বিরুদ্ধে ৩৬০ জন এর একটি যোদ্ধাদল একেবারে ক্ষুদ্রই বলা চলে। হয়তো একথা মানলেও আপনি জানতে চাইবেন, শাহজালাল কেন আল্লাহ নিজেই তো তাদেরকে ধ্বংস করতে পারতেন। আসলে এ সকল প্রশ্ন অবান্তর। কারন সমষ্টিগত প্রচেষ্টা ছাড়া কোন সামাজিক পরিবর্তন আজ অবধি পৃথিবীতে ঘটেনি। স্রষ্টা নিজেই সব করে দেন না। যেমন, খেতে হলে আপনাকে খাবার মুখে তুলে নিতে হবে। পৃথিবীতে সকল প্রাণী জন্ম হতে মৃত্যু অবধি নিজের ভালোর জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা বা সংগ্রাম করে। স্রষ্টা তাই চান, সৃষ্টি জগত সমষ্টিগত ভাবে সমাজ পরিবর্তনে চেষ্টা করুক। সে ক্ষেত্রে সুরক্ষিত দুর্গে বাস করা প্রতাপশালী অত্যাচারী শাসক তৎকালীন হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দ এর বিরুদ্ধে ৩৬০ জন এর একটি ক্ষুদ্র যোদ্ধা দল নিয়ে হযরত শাহজালাল মানবতা বিরোধী কোন কিছু করেননি বরং অনেকটা বিনা রক্তপাতেই অত্যাচারী গৌর গোবিন্দকে হিটিয়ে ছিলেন।
যদি জোর করে হিন্দু মেয়েদের তারা বিয়ে করতেন, তাহলে অন্তত তাঁর বর্ণনাও ইতিহাসে থাকত। নির্ভর যোগ্য এরকম সুত্রে এরকম ইতিহাস নেই। অন্ধকারে ঢিল ছুরে লক্ষ্য ভেদ করার চেষ্টা করা বোকামি। নিজের অনুমান নির্ভর চিন্তা কাউকে বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।
আশা করি আপনি নিজের ভুল বুঝতে পারবেন।
@ফরিদ আহমেদ,
একমত।কারণ রাজেস বাবু তার লেখায় নিজেই সাম্প্রদায়িক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যেমন হাত কাটার সাথে ইসলামী রীতির সম্পর্ক যুক্ত করেছেন —-
আর নিদেন পক্ষে শিরোনামটি শুদ্ধ বানানে ঠিক করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।
অন্যদিকে, আওয়ামী সরকার বিমান বন্দরের নাম শাহজালাল রেখে নিজেদেরকে ধর্মীয় বেড়াজালের মধ্যে বরাবরের মতই পেঁচিয়েছেন।
@গীতা দাস,
আপনি ও নিজের অজান্তে বা অসেচেতন ভাবে একটা ভুল করে বসেছেন লিখেছেন “রাজেস বাবু” প্রথমত আমার আমার নামের বানান টা ভুল দ্বিতীয়ত “বাবু” শব্দটার মধ্যও কি কোন সাম্প্রদায়িক গন্ধ ভেসে আসছেনা?
দীর্ঘ দিন প্রবাসে আছি লেখা লেখির সাথে তেমন সম্পর্ক আমার নেই বলল্লেই চলে তাই অনভ্যাসে বিদ্যা হ্রাস পেয়ে গেছে সবটাই।আমার অজ্ঞানতা বশঃত ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
আকাশ মালিকের- “যে সত্য বলা হয়নি”, বন্যার- “বিবর্তনের পথ ধরে”, পড়েই আমি “মুক্ত মনা”র প্রেমে পড়ে গেছি বলতে পারেন।তার সাথে পত্র মিতালী করতে গিয়েই কিছু একটা লেখার তাড়না থেকেই এই ভুলভাল লেখার সূত্র পাত।
আপনি ও নিশ্চই স্বীকার করেন বিজিত এবং পরাজিতদের ইতিহাস লেখায় পক্ষ পাতিত্ব থাকে অনেকটা। শাহ জালাল সম্পর্কে সামান্য যা কিছু আমরা জানতে পেরেছি তার বেশীর ভাগ এই বিজিতদের পক্ষেই লেখা।
গৌড় গোবিন্দ এবং শাহ জালালের মধ্যে যা ঘটেছিল তা পুরোটাই সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা বিকাশের লক্ষ্যেই ঘটেছিল এখানে কোন ন্যায় অন্যায় বোধ প্রতিষ্ঠার বিন্দু মাত্র লেশ ছিল না। তা প্রমাণ করতেই আমি আমার নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছি মাত্র।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার নামটি ভুল বানানে লেখার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। একটু আগেই আপনি এ বিষয়ে ফরিদকে বলার পরও আমার ভুল করা উচিত হয়নি। তবে বাবু সম্বোধনকে আমি সাম্প্রদায়িক মানতে নারাজ। এটা সাংস্কৃতিক প্রভাব ও সামাজিকীকরণের ফল।
যাহোক, ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে লিখুন। লিখতে লিখতে আর আমরা পড়তে পড়তে বিভিন্ন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিজেকে খাঁটি করে তুলব। শুদ্ধ করে তুলব।
@সংশপ্তক, রৌরব
উনি রুমির সন্তান লেখাটি আমার ভুল বসত লেখা।আমার এই ভুল আমি স্বীকার করে ভুল সংশোধন করে দিয়েছি।আর সাল টা লিংকে উল্লেখ নাই।লিংকে দেওয়া আছে উনি আজমীরে মঈন উদ্দিন চিস্তির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
ধন্যবাদ ভুল শুধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
@রাজেশ তালুকদার,
কালকে লিংকটা কাজ করছিল না, আজকে দেখলাম। লিংকের গল্পের ঐতিহাসিকতা অতি দুর্বল। একে তো চিশতি সম্পর্কিত অদ্ভুত দাবিটি আছেই, তারপর দেখুন
এই লাইন দেখে কি কেউ বুঝবে, নিজামুদ্দিন হলেন মইনুদ্দীনেরই শিষ্যের-শিষ্যের-শিষ্য, একই চিশতি অর্ডারের লোক? Afdalul Hawaade নামক কোন বই হজরত(!) আমির খশরু লিখেছেন, এর কোন হদিস পাচ্ছিনা। ওয়েবে খোঁজ করে একমাত্র এই বিশেষ শাহজালাল বিষয়ক দাবি ছাড়া অন্য প্রসঙ্গে এই বই-এর কোন উল্লেখ পাচ্ছি না।
এই দুর্বল ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর গড়ে তোলা থিসিস কতটা শক্ত থাকে তাহলে? অবশ্য একটা মনসামাজিক আলোচনা করা যেতে পারে তৎসত্বেও, অর্থাৎ এর কিছুই সত্য না হলেও এই গল্পে বিশ্বাসীদের ব্যাপারে আমরা কি বলতে পারি ইত্যাদি। কিন্তু আপনি একে ঐতিহাসিক সত্য হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, এবং কিছু ক্ষেত্রে নিজের বিশ্লেষণ দিয়েছেন, যেমন গরুর মাংসের ঘটনাটিতে। প্রসঙ্গত, হাট কাটা শরিয়া আইনে আছে বলেই ভিন্ন কারণে বুরহানউদ্দীনের হাত কাটার বিরুদ্ধে ফিরোজ শাহ যুদ্ধ করতে পারেননা, এই যুক্তিটা ঠিক বোধগম্য হল না। এখানে শাস্তির form নয়, কারণটাই মূখ্য।
@ রৌরব
আমার এই লেখাটার সন তারিখ নিম্ন লিখিত লিংক থেকে ধার করা
http://www.islam-bd.org/heros/shahjalal/shahjalal.html
হাতে কোন ইতিহাসের বই না থাকাতে লিংকটির সাহায্য নিতে হয়েছে।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনারই দেয়া লিংক অনুযায়ী ,
অর্থাৎ, শাহজালালের পিতা জালালুদ্দিন রুমীর সমসাময়িক । বাবা নন। তাহলে কি করে লিখলেন যে,
এছাড়া ১৩০০ সালে ভারতে এসে ১২৩০ সালে মৃত মইনুদ্দিন চিশতির সাথে শাহজালাল দেখা করলেন কিভাবে?
১৩০০ সালে ভারতে এসে ১২৩০ সালে মৃত মইনুদ্দিন চিশতির সাথে শাহজালাল দেখা করলেন কিভাবে?
আপনার ইতিহাসের এই পাঠের স্বপক্ষে কিছু রেফারেন্স দিলে বাধিত হব। যেমন উনি রুমির সন্তান, এই তথ্য বিস্ময়কর।