ওদেরকে একগোছা ফুল দিয়ে দেখ
গোলাপ কিংবা কৃষ্ণচুঁড়া
স্মিত হেসে ওরা সেই ফুলকে পাশে ফেলে রাখবে
নিতান্তই অবহেলায়।
পারী থেকে আনা প্রসিদ্ধ কোন সুগন্ধি
দিয়ে দেখ
ওদের গম্ভীর মুখ আরও গম্ভীর হয়ে উঠবে
কারন, ওদের সুগন্ধির প্রয়োজন হয় না।
দিয়ে দেখতে পার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতাখানি
ওদের দৃঢ় চোয়ালের আরও দৃঢ় পেশীগুলো
ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়বে না তোমার
কেননা, কবিতা ওদের কাছে আবর্জনা।
কিন্তু এক সানকি পান্তা দিয়ে দেখ
ক্ষুদার্থ হিংস্র নরখাদকের মতন ঝাপিয়ে পড়বে ওরা
কিংবা হাতে তুলে দাও শীতলদেহী একটা স্টেনগান
শোষকের পাজর গুড়িয়ে দেয়ার জন্য আত্নঘাতী হবে ওরা।
উদরে আগুন, চোখে হতাশা নিয়ে বেঁচে থাকা
হাড় জিরজিরে কঠিন হস্তের মানুষ ওরা
ভালোবেসো ওদেরকে,কারন
ওরাই সর্বহারা।।
ভাইজান, আপনি তো দেখি এই কবিতা তে জটিলজ্ কিছু বাস্তবধর্মী কথা তুলে ধরেছেন। যদিও কবিতাটি আমি আরও আগেই পড়েছি, মন্তব্যটা এখন করলাম….. অবশ্য আমি কবিতার “ক” ও বুঝিনা.. :yes: :coffee: :-/
অনেক দেরীতে মন্তব্য করলাম। কবিতাটা কিন্তু বেশ ভালই। মানি সাহেবের এত খারাপ লাগল কেন কে জানে। এখানেই বোধ হয় আপেক্ষিক পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারটি চলে আসে।
তবে শেষ দুটি লাইন কেমন যেন গৎবাধা শোনালো –
ভালোবেসো ওদেরকে,কারন
ওরাই সর্বহারা।
এই শেষ লাইনটির জন্য মনে হচ্ছে পুর কবিতাটি একটি উপদেশমূলক কবিতায় পরিণত হয়েছে। প্রাচীনকালের ঈশপের গল্পের মত কিছু। 🙂
আশা করি সাইফুল কিছু মনে করেন নাই আমার কথায়। কারণ কবিতা আমি একেবারেই বুঝি না, আগেই বলে দিলাম।
@অভিদা,
কি যে বলেন, কিছু মনে করব কেন? 🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটা পড়ার জন্য।
আর একটা কথা, অভিদা আপনি আমাকে আপনি আপনি করে বলেন কেন?
আপনি অতি অবশ্যই আমাকে তুমি করে বলবেন। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
কবিতাটা অতি সুন্দর।আমার চোখ এড়িয়ে গেলো কি করে আজকাল আমার কি যেনো হয়েছে। 🙁
দেরিতে পড়লাম। মনে কিছু নিবেন না ভাই। 🙂
কবিতাটি আসলেই ভাল হয়েছে( মন থেকে বলছি)। একটা ক্ষোভও কাজ করল পড়ার পর- কবি ছাড়া আর কেউ সর্বহারাদের জন্য কিছু ভাবা বা করার চিন্তা কি করতে পারে না?
@সৈকত চৌধুরী,
আল্লাহ আছে না???????
কেননা, কবিতা ওদের কাছে আবর্জনা,
খুবই সত্য কথা,অদের জন্য আসলেই কিছু করতে হবে…………
@রনি,
ঠিক। :yes:
সাইফুল বলেছিলাম না, তোমার কবিতা দিন দিন শানিত তরবারি হয়ে উঠছে। শুধু আমি কেন এখনতো আরও কেউ কেউ ব্যাপারটা খেয়াল করছে । কেউ যদি বলে তুমি দিন দিন সুকান্ত হয়ে উঠছো আমার আরো ভাল লাগবে। কর্পোরেট সুগন্ধির ওজোনস্তর ফুটো করা বাতাসে, নীচে মুনাফালোভী আর ধর্ম-ব্যাপারীদের মিলিত আবর্জনার উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এখন মানুষের জীবন। একটু সুকান্ত অক্সিজেন বড় বেশি দরকার এখন মানুষের। না আগে না পিছে, একটু পাশে থাকো ভাই।
হক ভাই,
অবশ্যই সবসময় পাশে পাবেন, এই নিশ্চয়তা দিতে পারি।
শেষের দু’স্তবকে শব্দ বিন্যাসে আরেকটু সতর্ক হলে, এটি একটি চমৎকার কবিতা হিসেবে দাঁড়াবে বলে আমার বিশ্বাস। তবে, তৃতীয় স্তবকের শুরুতে টার্নিং পয়েন্টটি বেশ। আপনার কবিতা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমার অভিনন্দন জানবেন।
@হাসানআল আব্দুল্লাহ,
হাসান ভাই, আমি কৃতজ্ঞ আমার কবিতায় আপনার মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।
অনেক উৎসাহ পেলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
কবিতায় তেজস্ক্রিয়তা অার হেমোগ্লোবিনের তোলপাড় বরাবরের মত পুরোমাত্রায় বজায় রাখার জন্য ধন্যবাদ । ঘুমপাড়ানি কবিতা এমনিতেই আমার পছন্দের পানীয় নয় ।
তবে , ফেংলিশ উচ্চারণে Paris কে ‘প্যারী’ বলা মেনে নিতে পারলাম না । ফরাসী ভাষায় ইংরেজী এবং জার্মানের মত Æ নেই ।
আপনি ঔপনিবেশিক ইংরেজী ‘প্যারিস’ লিখতে পারেন অথবা ফরাসী উচ্চারণে ‘পারী’ লিখতে পারেন । একজন ফরাসীর মনে আঘাত দিতে ফেংলিশ খুবই কার্যকর । তবে , ভড়কাবার কিছু নেই । অনেক জাঁদরেল বাংলা সাহিত্যিক শিব গড়তে গিয়ে বাঙালীর ফরাসী ভাষায় অজ্ঞতার কারনে ফেংলিশ ব্যবহার করেন এবং করেছেন ।
@সংশপ্তক,
আপনার কথাই শিরোধার্য করিয়া লইলাম জনাব। অধমের ভুল মার্জনা করিবেন।
আপনার তৈরীকৃত “ফেংলিশ” শব্দখানি দেখিয়া যারপরনাই আনন্দ লাভ করিয়াছি। 😀
অধমের কবিতায় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানিবেন। 😀
আপনার মত সুন্দর করে লিখতে পারি না, তাই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি না 😥
আমি চাই আপনার এই প্রয়াস অব্যাহত থাকুক। :rose2:
@মুহাইমীন,
mani সাহেবের ধারনা কিন্তু একেবারেই উল্টো। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
সবাই একই সময়ে একই স্তরে অবস্থান করে না, তাই দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক।
ইহা লইয়া হুদা হুদি আফসুস্ কইরা কান্দুনের কোন দরকার দ্যাখতাসি না। এর চাইয়ে বরং :cigarette: দিয়ে সাহরী কইরা ফেলাই, কী কন ভাইডি। 😛
মাইন্ড কল্লে দম্মদিনের ক্যাক :cake: 🙁
@মুহাইমীন,
হেইয়া অবশ্য হাচা কতাই কইছেন?
আপনেরে ধইন্যা। 😀
এইটা কি কবিতা? খুব নীচু মানের স্লোগান ছাড়া এটা কিছুই না। যদিও সেই অর্থে কবিতার কোনো শর্ত নেই, তবু শিল্পের একটা প্রধান দায়বদ্ধতা হলো তাকে প্রথমে শিল্প হয়ে উঠতে হয়। একটা সাধারন মানের ইমেজারি বা মেটাফরও নেই উক্ত পংক্তিগুলিতে। আর লেখাটি আমাদের এমন কিছু বলেও না যা আমাদের অন্যরকম ভাবে ভাবতে বাধ্য করে। জীবনানন্দ বলেছিলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল মানুষের সাধারণ হৃদয়ের কথা”। সাধরণ মানুষের হৃদয়ের কথা নয়। যদিও তা কবিতায় বর্জনীয়ও নয়। কিন্তু সেটা উপস্থাপন করতে গেলেও একটা ‘মিনিমাম’ কবিত্ব দরকার হয়।
@Mani,
আমার বেশ মজা লাগছে আপনার রেগে যাওয়া দেখে। সত্যি বলছি। মনে হচ্ছে আপনার বাবার লুঙ্গি ধরে টান দিয়েছি তাই আপনি ক্ষেপে গেছেন। 😀
আমার মনের কথাটাই বলতে চেয়েছি এর বেশি কিছু নয়। কারো ভালো লাগা না লাগা দেখা আমার কাজ নয় বলেই মনে করি। আমার লেখা কারো ভালো লাগলে আমার ভালো লাগে, খারাপ লাগলে আমারও খারাপ লাগে, এমন নয় যে অন্যের খারাপ লেগেছে বলে খারাপ লাগে, আমি ভালো কিছু সৃষ্টি করতে পারিনি এটা ভেবে খারাপ লাগে।
আপনাকে পেয়ে ভালো লাগল(আসলে ভালো লাগেনি, প্রশংসা করলেই খুশি হতাম 😀 )। আশা করি আমাদের জন্য কবিত্বের সংজ্ঞাটা দিয়ে যাবেন। আমি কিন্তু শুধুমাত্র জানার জন্যেই বলছি। আপনার মত রাগ করিনি।
নিয়মিত হবেন আশা করি। আমরা কিছু ভালো কবিতা পড়তে চাই।
কিংবা হাতে তুলে দাও শীতলদেহী একটা স্টেনগান
শোষকের পাজর গুড়িয়ে দেয়ার জন্য আত্নঘাতী হবে ওরা।
কবিতাটি পড়ে মনে হল এখনো শেষ হয়ে যাইনি।
@আসরাফ,
আপনাকে নতুন মনে হচ্ছে এখানে। নিয়মিত হবেন আশা করি। ধন্যবাদ।