চীন-রাশিয়া বাদ দিলাম, কিউবায় ফিদেল ক্যাস্ট্রো, ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর ইমাম খোমেনীও বিপ্লবের রেশ বজায় রাখতেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থাই চালিয়ে গেছেন। এদের কাউকে নমস্য মানেন? তাহলে মুজিবের কি দোষ? সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখা?
কেউ যদি সোনার বাংলা গড়ার একমাত্র উপায় হিসেবে কমিউনিস্ট ক্যাস্ট্রো, ইসলামিস্ট জানোয়ার খোমেনীর অনুসৃত পদ্ধতি আমার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি আটেঁ, আমি একটু নড়েচরে বসবো বোধহয়। এবং তাকে আভিহিত করবো নিছকই আরেকজন বিরিঞ্চিবাবা হিসেবে, মানুষের কাছে হরেক রকম জিনিষ বিক্রি করে যে কিনা জীবিকা নির্বাহ করে; একজন অনিরপেক্ষ, বায়াসড, সুডোস্কলার কোয়্যাক হিসেবে। কোয়্যাকারির বিরোধিতা আমি সবসময় করেছি, করবো। আর শেখ মুজিব একনায়ক কিনা সেই প্রশ্নে নাহয় নাই গেলাম। তবে, সকল প্রকার রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করা, সকল সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা, ব্যক্তিগত মিলিশিয়া রেইজ করা এবং সেই মিলিশিয়া জনগনের উপর লেলিয়ে দেওয়া does ring a bell, doesn’t it?
এছাড়াও, পোস্টের শিরোনামটিই প্রচন্ড প্রচন্ড ইনফ্ল্যামেটরি। চর্যাপদের যুগ থেকে যেই বাঙ্গালি জাতি টিকে আছে, চল্লিশ বছর আগে হঠাত করে সেই জাতির একজন পিতা পয়দা হয়ে গেলো from out of nowhere! মানে, বাবার আগেই ছেলে চুল পাকিয়ে ফেললো না, মাথার চুল?
পাকিস্তানের মতো একটি রাষ্ট্র থেকে বিভক্ত হয়ে যাওয়ার সংগ্রামে আমাদের নিয়ে গিয়েছিলো, সেই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলো এবং আমাদের সেই সংগ্রাম সফল হয়েছিলো বলে শেখ মুজিবের যেই ব্রাভো পাওনা রয়েছে আমার কাছে, তার সেই পাওনা পরিশোধ করা আমার কাছে সেকেন্ডারি, কেননা ঠিক এই কাজগুলো করাই কিন্তু একজন রাষ্ট্রনায়কের দায়িত্ব, তার ডিউট; আমার কাছে প্রাইমারি হচ্ছে, দেশের সকল মানুষের আশা, ট্রাস্ট সবুকিছুকে বুড়ীগঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়ে দেশকে একটি মিষ্টিমধুর দুর্ভিক্ষ উপহার দিয়ে, আনন্দের ঠেলায় জেল থেকে সকল ক্রিমিনালকে মুক্ত করে দিয়ে, নিজের ব্যক্তিগত মিলিশিয়া গঠন করে, সর্বোপরি ফ্রিডম অফ স্পীচ, পলিটিকাল পার্টি নিষিদ্ধ করে যেই বিশাল একডালি অ্যাবিউস শেখ মুজিবের প্রাপ্য রয়েছে আমার কাছ থেকে, তাকে তার সেই প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া। শেখ মুজিবের অপকর্মগুলোকে সাধারণত বলা হয় দ্বিতীয় বিপ্লব। এই বিপ্লব করলে গনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত হয় একযোগে। ইন্টারেস্টিং না?
আমি মনে করি, কেউ যদি ব্রাইটও হতে যায় আবার ধর্মের মতোই একইভাবে পারিবারিকভাবে ঔরসজাত পলিটিকাল ডগমার ডিফেন্ডারও হতে চায়, তবে পরিশেষে সে হয়ে যাবে সার্কাসের একটি ক্লাউন। একনায়কতন্ত্র ডিফেন্ড করা হয়েছে এমন একটি পোস্ট কোন ব্রাইটদের ফোরামে থাকতে যদি পারে, তবে ইসলাম কি দোষ করলো? সদালাপের ধাড়িপান্ডা ‘হয়রান’ নামক ডাক্তারখানার নোংড়া কোলোনোস্কোপ যন্ত্রটির একটি পোস্ট,যেখানে সে কিনা ইসলামকে ডিফেন্ড করেছে- যদি আমি মিরর করি তবে কেমন হয়? আমি যুক্তি দেখিয়ে যাবো কেনো মেয়েদের বোরকাবন্দী করা, পাথড় মেরে হত্যা করা, হাত-মাথা কেটে ফেলা ছাড়া সোনার বাংলা গড়ার আর অন্য কোন উপায় নাই? আকাশ মালিক আমার হৃদয় ভেঙ্গেছে। তার কাছে আমি আরও অনেক বেশী আশা করেছিলাম, এখনও করি।
আল্লাচালাইনার মতো বিদ্বান মানুষের কথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলাম । তিনি গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, বাকশাল ও বংগবন্ধুকে তদকালীন আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে সামগ্রিক ভাবে বিশ্লেষণ না করে, বিচ্ছন্ন ভাবে বিশ্লেষণ করলেন ।
আর্য্য ব্রাক্ষ্মণ/ক্ষত্রিয় ও বিদেশী মুসলমান শাসকদের কাছে চর্যাপদের বাংগালি ছিল যথাক্রমে অচ্ছুত ও আতরাফ । ফলে তাকে ভারতীয় এবং পাকিস্তানী পরিচয় নিয়ে থাকতে হয়েছে । চল্লিশ বছর আগে সে নিজ পরিচয় নিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছে ।
ভারতীয় সামন্ত যুগে আতরাফদেরকে বুঝানো হলো মুসলমানদের জন্য পৃথক আবাস ভূমি হলেই হিন্দু জমিদারদের শোষণ থেকে মুক্ত হওয়া যাবে । ফলে মুসলমান জমিদারদের স্বার্থ রক্ষাকল্পে দ্বিজাতি তত্ত্বের ধুয়া তুলে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হলো । কিন্তু শোষণের অবসান হোল না । আতরাফদের সন্তানেরা শিক্ষিত হয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেনীভুক্ত হলো । কিন্তু পাকিস্তানের সামন্তবাদী প্রশাসনের কারণে তাদের বিকাশ বাধাগ্রস্থ হোতে থাকে । ফলে আতরাফদের শিক্ষিত সন্তানেরা অচ্ছুতদের শিক্ষিত সন্তানদের সাথে মিলিত হয়ে ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সূচনা করে, জমিদারী প্রথার উচ্ছেদ ঘটায় এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরত হয় । আলোচ্য এই আন্দোলন বেগবান করতে মেহনতি মানুষকে সম্পৃক্ত করা হয় । ফলে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য অবসানের দাবী সোচ্চার হয়ে উঠে । সমাজ বিবর্তনের জটিল বিষয়গুলির মধ্যে না গিয়েও সোজাসুজি ভাবে বলা যায় যে সামন্তবাদী পাকিস্তানীদের আচরণ এবং ছোটলোক বাংগালি ও তাদের সন্তানদের দ্বন্দ্বে সমাজ বিবর্তিত হয়ে বাংগালি সমাজ একটি যৌথ অর্থনৈতিক সমাজে প্রবেশ করে নতুন এক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে । ঐ দ্বন্দ্ব ছিল পুজিবাদ বনাম সমাজতন্ত্রের । পুজিবাদ মনে করে নিয়ন্ত্রনহীন মেহনতি মানুষের শাসনের নাম একনায়কতন্ত্র । মেহনতি মানুষকে নিয়ন্ত্রনের বাধা হলেন বংগবন্ধু । তাই তার চরিত্র হনন এবং হত্যা করা হয় ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনার এই কথাটির মধ্যে রয়েছে ভয়ংকর কমিউনিস্টবাদী আন্ডারটোন। কমিউনিজমের বিরুদ্ধে আমি ততোটাই প্রদাহী হবো, যতোটা প্রদাহী আমি ইসলামের বিরুদ্ধে। এরা উভয়েই আমার স্বাধীনতা কেঁড়ে নিতে চায়। আপনি বলছেন চর্যাপদের আমল থেকে বাঙ্গালী শোষিত হয়ে আসছিলো আর গত চল্লিশ বছর আগে মুক্তযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সেই শোষণের সম্পাতি হয় বিধায় বাঙ্গালী জাতি নিজ সন্মানে প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই যুদ্ধ করে স্বাধীনতা লাভ করেও আমরা কতোটা ভালো আছি? যতোটা চেয়েছিলাম ততোটার কতো শতাংশ ভালো আছি? পারিবারিক সুডোগনতন্ত্রের অধীন আমরা, মন্ত্রীর গাড়ি গেলে রাস্তায় ঘন্টা দেড়েক দাঁড়িয়ে থাকি নিজের যানবাহন থামিয়ে, দলাদলী টেন্ডারবাজী রাজনৈতিক দুর্নিতী ইত্যাদির কথা থাকুক। শোষিততো দেখা যাচ্ছে আমরা এখনও হচ্ছি, আগে যতোটা হতাম তার চেয়ে খুব বেশী পার্থক্য কোথায় থাকলো? যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করার আমি মনে করি একটা কারণই আমাদের ছিলো যে- এবার আমাদের দেশ আমরা চালাবো, দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মাঝখানে একজন এসে যদি গনতন্ত্রকে কিছুদিনের জন্য গুদামে তুলে রাখার প্রস্তাব নিয়ে আসে এবং বলে যে এটা করে সে মেহেনতী মানুষের গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, কি করবেন আপনি? এই একটা ব্যাপারের বিশ্লেষণ আমার কাছে বিচ্ছিন্নই হবে। কেঁচকী মেরে নিজে ক্ষমতা দখল করার জন্য কেউ কোন পদক্ষেপ নিলে আমি অনুসন্ধানে যাবো না ঠিক কি ধরণের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সে ওই কাজটি করেছিলো। একনায়কতন্ত্র কোন সুন্দর ভবিষ্যত এই পর্যন্ত আনেনি, আনলেও আমি এর বিরোধীতাই করতাম, আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যতের চেয়ে আমার নিজের স্বাধীনতার মূ্ল্য আমার কাছে বেশী। এই ব্যাপারে আমি একটু স্বার্থপর, এতোতুকু স্বার্থপর না হলে ন্যাচারাল সিলেক্সনে পড়ে কবেই না বিলুপ্ত হয়ে যেতাম আমি। ভালো থাকবেন।
@আল্লাচালাইনা,
হ্যা, কিছু লোক আছে যারা মার্ক্সিজম ও ইসলামের এলার্জিতে ভোগেন । যদিও মার্ক্সিজম ও ইসলাম পরস্পর বিরোধী দুই দর্শন । ইসলামের কাছে মার্ক্সিজম হলো নাস্তিকদের দর্শন । ইসলামের কাছে সব প্রপঞ্চ ধ্রুব ও স্থির । কিন্তু ইতিহাসের নিরীক্ষে মার্ক্সিজম সমাজ বিবর্তনে আস্থাবান এবং বিবর্তনের কারণ এবং গতিপথও উদ্ঘাটিত । অতএব সমাজ বিবর্তন ও তার গতিপথ কারো এলার্জিতে ভোগার উপর নির্ভরশীল নয় ।
বর্তমান কালের দর্শন অনুযায়ী গণতন্ত্র দুই প্রকার, যথাঃ (১) বুর্জোয়া গণতন্ত্র এবং (২) সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্র । বুর্জোয়া গণতন্ত্র, যার প্রবক্তা হলো পুজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ, যারা সমাজ বিবর্তনে অনিহা প্রকাশ করে চলছে, অর্থ্যাৎ কমিউনিষ্টদের শত্রু । মনে হচ্ছে আপনি এই ঘরোণাভুক্ত ।
বিগত শতাব্দিতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কমিউনিষ্টরা আসার পর থেকে ইসলাম সম্রাজ্যবাদের পুতুলে পরিণত হয় । মোল্লাতন্ত্রকে ব্যবহার করে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের প্রবক্তা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ইরানের নির্বাচিত কমিউনিষ্ট সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোশাদ্দেক ও বিদেশমন্ত্রী ফাতেমিকে হত্যা করতঃ শাহকে পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় । অনুরূপ ভাবে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের পূজারি মার্কিনীরা বিন লাদেনের নেতৃত্বে আল-কায়দা এবং মোল্লা ওমরের তালেবানকে ব্যবহারের মাধ্যমে সোভিয়েতের সাথে প্রক্সি ওয়ার করে আফগানিস্থানের কমিউনিষ্ট নজিবুল্লাহ সরকারকে উৎখাত এবং হত্যা করতঃ মৌলবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করা হয় । বর্তমানে মার্কিনীরা ইরাক ও আফগানিস্থানের লাখ লাখ লোক হত্যা করে সেখানে গণতন্ত্র রপ্তানি করছে ।
বঙ্গবন্ধু প্রবর্তীত বাকশাল বাংলাদেশ সংসদ কর্তৃক আনুমোদিত । আলোচ্য এই প্রোগ্রামটি বাস্তবায়নের পূর্বেই তিনি নিহত হন । প্রচলিত আইনে চুরি করার গণতান্ত্রিক কোন অধিকার নাই । তেমনি বাকশালের মাধ্যমে লুটপাটের অধিকার খর্ব করা হয়েছিল । তবে যদি লুটপাটের অধিকার বজায় রাখতে চান, তবে বর্তমান বাংলাদেশই পাওয়া যাবে । বাকশাল কোন দল নিষিদ্ধ করেনি । সব দলকে বাকশালের মধ্যে নিয়ে এসেছিলেন । বাকশাল ছিল একটি রাজনৈতিক মোর্চা । পত্রিকা বিক্রির সংখ্যা দশগুন বেশি দেখিয়ে মালিকেরা ভর্তুকি মূল্যে সরকারি নিউজ প্রিন্ট কিনে অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রি করতেন । মালিকদের এই লুটপাট বন্ধের জন্য যে সকল পত্রিকার বাজার চাহিদা ছিল সে গু্লিকে রাখা হয় । এই লুটেরা শ্রেনীই বাকশালকে একনায়কতন্ত্র বলে প্রচার চালিয়েছে । গোবেলসইও এই প্রচারে আপনার মত ব্যক্তিরা হয়েছে বিভ্রান্ত ।
@আ. হা. মহিউদ্দীন,
আপনাকে অনুরোধ করছি আপনার নিজের লেখা বাক্যদুটি একটু তলিয়ে দেখতে। বিবর্তনের কারণ “উদ্ঘাটিত” এই অবস্থানের সাথে “প্রপঞ্চ ধ্রুব ও স্থির” এই অবস্থানের পার্থক্য একচুল, তার বেশি নয়।
আপনি আপনার অবস্থানের ভেতর থেকে তর্ক করে চলেছেন। কমিউনিস্ট সমাজ পরিবর্তনই একমাত্র সমাজ বিবর্তন, এটি ওই “উদ্ঘাটিত” থেকেই উৎসারিত, এবং কোন যুক্তিই নয়, একই কথার পুনরাবৃত্তি।
:laugh:। আইরনিটি কি আপনার চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে?
@রৌরব,
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের একটি তত্ত্ব হলো “অংশ তার পূর্ণকে প্রতিনিধিত্ব করে না”। আপনি আমার বক্তব্যের দুই বাক্যের দুটি অংশের তুলনা করে অর্থের বিকৃতি ঘটিয়েছেন ।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ বিবর্তনের কারণ উদ্ঘাটন করেছে । বিপরীতে ভাববাদীরা মনে করে সকল ঘটনা/প্রপঞ্চ ধ্রুব বা স্থির ।
আমি ছাত্র নই যে তর্ক করবো । আমি দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের তত্ত্ব উপস্থাপন করেছি । এই তত্ত্বের উপর আস্থা রাখা বা না-রাখা ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভরশীল । দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ বা বিবর্তন সমর্থনকারী সংগঠনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি হলো কমিউনিষ্ট ।
বুর্জোয়া গণতন্ত্রের আইরনিটিটাই হলো মেহনতি মানুষের আশা-আকাঙ্খা পুরণ করতে গেলেই একনায়কতন্ত্র হয়ে যায় । তখন মেহনতি মানুষের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিটিকে অপসরণের ষড়যন্ত্র আরম্ভ হয়ে যায় ।
তাই দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ মনে করে বুর্জোয়া গণতন্ত্র হলো ধনী ব্যক্তিদের একনায়কতন্ত্র, যারা সমাজের সংখ্যা লঘিষ্ঠ অংশ । এই ব্যক্তিরাই ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে ।
@কালযাত্রী
ভুলে গিয়েছলাম প্রশ্নটি করতে।আশা করি উত্তর দিবেন।
“৭৪ এ বাংলাদেশের বাজেট কত টাকার ছিল? দুই বিলিয়ন ডলারে তখন কত টাকা হোত?
অনেক আলোচনা হয় দেখি, অনেক দিন পর ফরিদ ভাইয়ের একটা লেখা পরলাম।
প্রিয়,
আল্লাচালাইনা,
আনার উত্তর এর জন্য ধন্যবাদ,আসলে আমার বক্তব্য ছিল বাকশাল পুরপুরি বাস্তবায়ন এর আগেই শেখ মুজিব কে খুন করা হয়্। আমরা যতদুর জানি সাধিনতা উত্তর কালে সাথে সাথে ই সরবদলিও সরকার গঠন এর জন্য শেখ মুজিব এর উপর চাপ ছিল বাম দল গুলর পক্ষ থেকে,কিন্তু সেসময় এ যুদ্ধবিধস্ত দেসে হয়ত তা সম্ভব ছিল না।ততকালিন বিশ্বের দিকে তাকালে বুঝা এ যায় মেহনতি মানুষ এর মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র কে ই মনে করা হত।তা হলে শেখ মুজিব এর দোষ টা কোথায়?।আমার একটা অনুরধ আছে আপনার কাছে,আমি অনেক চেষ্টা করেও বাকশাল এর গঠনতন্ত্র যোগার করতে পারি নাই।আপ্নি কি বাকশাল এর গঠনতন্ত্র টি একটু কস্ট করে বিশ্লেসন করবেন?আর জাতিরজনক এর বেপারটা জার জার ইছহার উপর ছেরে দেন না কেন?।আমি ত মনে করি জাতিরজনক টা আদরসের জনক ,তিনি হাসিনার যেমন রক্তের জনক,তেম্নি হইত অনেক এর আদরসের জনক।ক্ষতি টা কথায়?।উনি ত জোর করে তা আদাই করার করেন নাই।সমালছনার উরধে কেও না।কিন্তু শেখ মুজিব যদি বাংলাদেশ এর শাধিনতা অরজনের জন্য নেত্রিত্ত দিএ পাপ করে থাকেন তবে ত আর বলার কিছু থাকে না।
বানান ভুল মারজনা করবেন,কারন বাংলা টাইপ করার দক্ষতা আমার নাই।বানান এডিট করতে গেলে এ মন্তব্ব আপনার কাছে পাথাতে অনন্ত কাল লাগবে। 😥
@সংশপ্তক,
আমি মনে করি এটা আপনার ব্যক্তিগত প্রিডিস্পোজিশন। আমরা কখনই কোনকালেই কমিউনিস্ট ব্লকে ছিলাম না। আমরা ব্রিটিশ কলোনী ছিলাম, কমিউনিজমের ঠিক অপর পিঠেই ছিলো আমাদের অবস্থান। এটা অস্বী্কার করার কোনই উপায় নেই যে- কমিউনিস্ট ব্লকের সাহায্য ব্যতীত আমাদের স্বাধীনতা লাভ হতো অনেক অনেক কঠিন। তাদের সেই সাহায্যের প্রতিদান হিসেবে কমিউনিস্ট ব্লকে আমরা অন্তর্ভুক্তও হয়েছিলাম, যেটাতে আমি কোন সমস্যা দেখি না। কিন্তু, সকল পলিটিকাল পার্টি নিষীদ্ধ করে, পত্রিকা নিষিদ্ধ করে পুরোদস্তুর পাক্কা কমিউনিস্ট হয়ে যাওয়ার মধ্যে সমস্যা দেখি। এখন আমরা ওআইস্যার অন্তর্ভুক্ত। এতে আমাদের লাভও আছে যে ওআইসি আমাদের প্রচুর অর্থসাহায্য দিয়ে থাকে। কিন্তু এর বিপরীতে তাদের দাবি যদি হয় হাত মাথা কাটাকাটি করে আমাদের পুরো সৌদীয়ারব বা ইরান হয়ে যেতে হবে- সেটাতে বোধহয় আমার আপত্তি থাকবে।
পাপ করেননি কোন, বরং একটা চমতকার কাজই করেছেন। এটা কিন্তু আমাদের আলোচ্য বিষয় নয় খেয়াল করুন। ক্রিয়েশনিস্টরা যেমন ইভোলিউশনের আলোচনায় অপ্রত্যাশিতভাবে অ্যাবায়োজেনেসিস নিয়ে আসে আপনিও কিন্তু তাই করে বসছেন। আমি নিশ্চিতি সতর্ক হয়ে এটা আপনি করেননি। বাকশালের ইস্তেহার কোথায় আছে আমি জানি না। আমি যতোটুকু জানি শেখ মুজিব পদক্ষেপ নিয়েছিলো সকল পলিটিকাল পার্টি ও পত্রিকা নিষিদ্ধ করার। এটাকেই কি বাকশাল বলে নাকি? বলে থাকলে এটা বিরোধীতাই আমি করছি। না বলে থাকলেও করছি।
@সংশপ্তক,
আল্লাহচাইন
শেখ মুজিব যদি তার ৬ দফার সাথে আপোষ করে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে জোট সরকার গঠন করতেন তাইলে ত তিনি সরহয়ারদির মত অল্প কিছুদিন দেশ শাসন করে তারপর গ্রিহবন্দি অবস্হায় জীবনযাপন করে এক্স প্রাইম মিনিস্টার হিসাবে জীবন কাটাতে পারতেন,সে যাই হোক হয়ত বাংলাদেশ এর সাধিনতার পুরবের শেখ মুজিব এর অবদান আমাদের বিচার এর বিষয় নই,বিচার এর বিষয় সাধিনতা উত্তর কাল,আমি গান্ধির যত প্রশংসা সূচক বই পরেছি তার চেয়ে বেশি পরেছি নিন্দাসুচক।তারপরও গান্ধী ভারতের জাতিরজনক,জদিও অনেক নিন্দুক মনে করেন যে গান্ধী যদি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ দের সাথে চুক্তি করে তাদের পক্ষ না নিতেন যার বিনিময় এ তিনি ভারতের সাধিনতা ছেয়েছিলেন তা হলে হয়ত ভারত আরও পুরবে সাধিন হত ,প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে গান্ধী নিজে সারযেন্ট হয়ে ব্রিটিশ দের পক্ষে সোলজার সংরহ করেছিলেন।ব্রিটিশ কে কিন্তু বল প্রয়োগ করে বিতারিত করা যায়নি।গিফট হিসেবে এ তারা ভারতের সাধিনতা দিএ গেছে ,যখন তারা সিধ্যান্ত নিয়েছে কলনি গুটিয়ে নিবে।আমার এ আলোচনার কারন এটা যে ,আমরা শুরু টা করব কোথা থেকে?।আমাদের ত দিন দিন identity crisis বেরেই চলেছে।আমরা এটাও বলে থাকি যে বাঙালি রাজা শসাঙ্কের সময় ও সাধিন ছিল,সিরাজ উদ দউলার সময় অ সাধিন ছিল,মুঘল দের সময় ও সাধিন ছিল।সাধিনতার সঙ্গা যদি হয় নিজেদের নিজেরা সাশন করা তাহলে সেসময় সাধিন ছিল কিনা আমি জানি না।এটা আপনার আলচোনার মুল বিষয় হয়ত ছিল না,কিন্তু চলে এসেছে,জাই হক আমার সেশ কথা হল এত কিছুর পরেও যদি গান্ধী ভারতের জাতির পিতা হতে পারেন তাহলে শেখ মুজিব কেন নয়?।আমাদের এ কারপন্ন আমাদের ই দায় হয়ে থাকবে বলে ই ত মনে হয়।
comiunism আপনার পছন্দ এর নয় কারন সেটও সাধিনতা হরন করে ,আসলে মানুষ যেখানে কোন তন্ত্র implimentation করবে সেখানে এ সমস্যা থাকবে এটা ই স্বাভাবিক।গনতন্ত্রের বিকল্প নেই।যেহেতু প্রচুর ভুল বানান সহ এ জবাব লিখতে বাধ্য হচ্ছি তাই এ আলোচনার তাত্বিক দিকে
গেলাম না।ভুল বানান সহ উত্তর ছাপিয়ে মুক্ত-মনা আমার মত নতুন আংশগ্রহনরিদের জেভাবে উতসাহ দিচ্ছেন তাতে আমি খুব উজ্জিবিত বোধ করছি।আশা করছি বাংলা টাইপ এ অচিরে এ দক্ষতা অরজন করব :laugh:
@কালযাত্রী
“বাংলাদেশে যে ইসলামীকরণ দেখছেন সেই কুকাজটি এরশাদের।”
আমি এখানে এক মত না। ইসলামীকরন কুকাজটি শুরু করেছিলেন জেঃ জিয়া। এরশাদ সে কাজটি পাকা পক্ত করেছে। বাকশালের ক্ষতির চাইতে জে জিয়া ও এরশাদ আমাদের আরো বেশি ক্ষতি করেছে।
@এমরান,
আপনার মন্তব্যের পর আমি এখন বলব যে ইসলামীকরন কুকাজটি শুরু করেছিলেন মুজিব নিজে। প্রমাণ? দেখুব নীচে
১। মুজিবের সময় প্রথমবারের মত মাদ্রাসাহ বোর্ড গঠন করা হয় মাদ্রাসাহ শিক্ষা প্রচারের সুবিধার্থে (ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত পদক্ষেপই বটে)।
২। ইসলামী ফাউন্ডেশান প্রতিষ্ঠা। যেটা পরবর্তীতে ইসলামী মৌলবাদ প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে যায়। (ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আরেকটি উপযুক্ত পদক্ষেপই বটে)।
৩। টঙ্গীতে তবলীগ জামাতের জন্য জমি বরাদ্দ যার জন্য আজ বিশ্ব ইজতেমার বোঝা বহন করতে হচ্ছে আমাদের। য়ার এই ইজতেমার সময় বাইরের জিহাদী প্রচারকদের আগমনও ঘটে বাংলাদেশে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের জন্য তিন একর জমি বরাদ্দ। এই বায়তুল মোকাররম মসজিদই পরে জিহাদী প্রচারণার হটবেড বনে গেল।
৪। জুয়া ও মদ নিষিদ্ধ করা। এটা ইসলামী দেশেই মানায়। পাকিস্তানেও এটা করা হয়নি ১৯৭১ এর আগে।
৫। বাংলাদেশকে মুসলীম দেশ হিসেবে প্রজেক্ট করার জন্য আগ্রাসীভাবে O.I.C র সদস্যপদের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা। এর পূর্বশর্ত হিসেবে পাকিস্তানের স্বীকৃতি আদায়ের
লক্ষ্যে ভুট্টোকে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দিয়ে ঢাকায় আমন্ত্রণ। ভুট্টোকে বিমানবন্দরে করমর্দন করতে যাতে না হয় সেজন্য ভারতীয় হাই কমিশনার সুবিমল দত্ত ইস্তফা দিয়েছিলেন। আর মুজিব ভুট্টোর সাথে শুধু করমর্দন নয়, আলিঙ্গনও করেছিলেন। O.I.C র সদস্যপদ পাওয়া গেল, পাওয়া গেল সৌদী স্বীকৃতি। O.I.C র সদস্যপদ বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলীম দেশগুলির প্রভাবের আর বাংলাদেশে ইসলামীকরণের দ্বার খুলে দিল।
যাহোক আমি এরশাদ ও জিয়ার ইসলামীকরণের একটা তুলনামূলক আলোচনাতেই ফিরে আসি করি মূল প্রসঙ্গে থেকে। “ইসলামীকরণ” একটু ব্যাখ্যা করা দরকার তারপর বিচার করা যাবে কে শুরু/বেশি করেছিল। ইসলামীকরণ মানে কাজে কর্মে, দৈনন্দিন জীবনে যা প্রভাব ফেলে, প্রতীকি কিছু নয় যা কোন লক্ষণীয় প্রভাব ফেলেনা। জিয়ার “ইসলামীকরণ” বলতে দুটো প্রধান জিনিষ আসে। (১) সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” যুক্ত করেছিলেন। (২) জামাতের রাজনীতির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন। দুটোই অবাঞ্ছনীয় কাজ। না করলেই ভাল হত। কিন্তু তার কোন প্রভাব ১৯৭৫-৮১ (জিয়ার শাসনামলে) পড়েনি জনজীবনে। বরং উলটো কিছু ট্রেন্ড দেখা গিয়েছিল। জিয়ার সময়ই প্রথম মেয়েদের পুলিস বাহিনীতে ছেলেদের ড্রেস পরে ডিউটিতে নেয়া হয়। এটা একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তনই বলা যায়। জিয়া কামাল আতাতুর্কের মডেল অনুসরণ করতেন। আতাতুর্ক ধর্মনিরপক্ষতার প্রতীক। জিয়া বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রতি কোন অবজ্ঞা করেননি বা ইসলামকে বাঙ্গালী মূল্যবোধের সঙ্গে বিরোধী বা একটকে অপরের উপরে রাখতে চেষ্টা করেননি। এ ছাড়া আর কোন উদাহরণ দেয়া যাবেনা ১৯৭৬-৮১ এর মধ্য যা সত্যিকার অর্থে “ইসলামীকরণ” বলা যায়। জানা থাকলে রেফেরেন্স দিয়ে দেখান। প্রতীকি আরও কিছু থাকতে পারে। জামাতের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াটা প্রতীকি বলা যেতে পারে। কারণ দেশে যদি জামাতের সমর্থন না থাকে তাহলে গণতান্ত্রিক উপায়ে জামাতের ক্ষমতায় আসাটা অলীক কল্পনাই বলা যায়। সেই কনফিডেস্ন হয়ত ছিল তাঁর। জিয়া হাসিনাকেও আওয়ামী লীগ গঠনে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশে ফিরালেন। শুধু জামাতকে রাজনীতি করতে দিলে খারাপ উদ্দ্যেশ্য সন্দেহ করা যেত।
এবার এর বিপরীতে এরশাদের ইসলামী কর্মকান্ডের কিছু খতিয়ান দেয়া যাক।
১। ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ধর্ম ঘোষণা। এটা প্রতীকির চেয়ে বেশি কিছু।
২। একুশে ফেব্রুয়ারীতে আলপনা আঁকা নিষিদ্ধ করা ও পরিবর্তে কোরান পাঠ প্রবর্তন করা। এরশাদ বললেন এখন থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারী ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার দিবস হবে। য়াবং আরও ঘোষণা দিলন “ইসলামের আদর্শ ও নীতি জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সকল স্তরে প্রতিফলিত হবে”। জিয়ার বিপরীতে তি্নি ইসলামী আইডেন্টিটিকে বাঙ্গালী আইডেন্টিটির সঙ্গে সঙ্ঘাতপূর্ণ বলে মনে করতেন এবং ইসলামকে বাংগালীর উপরে স্থান দিতে চেয়েছিলেন।
৩। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলীম দেষ থেকে প্রচুর টাকা এনে ইসলামী শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা করলেন। ১৯৮৬ সালে প্রতমবারের মত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হল বিপুল পেট্রডলার সাহায্যে। সৌদী আরব থেকে কোটি কোটি ডলার সাহায্য নিয়ে মাদ্রাসা, মসজিদ স্থাপন শুরু। যার পরিণতিতে ওয়াহাবী ইসলামের আবির্ভাব ঘটে বাংলাদেশে। সৌদী অর্থায়নে ৪৬৯ টি উপজিলায় ইসলামী মিশন স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়।
৪। মসজিদ সংস্কৃতির প্রচলন। এরশাদ প্রত্যেক শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে খুৎবা দিতে শুরু করলেন। আত্রশির পীর হলেন। অন্যকেও উদবুদ্ধ করলেন। টিভি তে এগুলি প্রচারো করা হত। ইমাম ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন।
৫। শুক্রবার সরকারী ছুটি ঘোষণা। পাকিস্তানেও তা করা হয়নি। এর জন্য ব্যবসার বিরাট ক্ষতির কথা নাই বা বললাম।
৬। রেড ক্রসের নাম রেড ক্রিসেন্ট করা। প্রতীকি মনে হলেও এতে ইসলামী এনজিও র অনুপ্রবেশ সহজতর হল। এরশাদের সময়েই বিপুল সঙ্খ্যক ইসলামী দলের গঠন হয়।
৭। সাম্প্রদায়িক কাগজ ইনকিলাব কে সরকারী মদদ ও অর্থায়ন দেয়া। যে ইনকিলাবের সাম্প্রদায়িক প্রচারণার ফলে ঘটিত দাঙ্গার ফলে ১৯৭১ এর পরে সবচেয়ে বড় হিন্দু প্রবাসন ঘটে ভারতে।
আরও বলা যায়। কিন্তু এটাই যথেষ্ঠ কে ইসলামীকরণ সত্যিকার অর্থে শুরু করেছিল বিচারে।
কালযাত্রীর সার্বিক বিশ্লেষণ ঠিক আছে, কিন্তু কোথায় যেন জিয়ার প্রতি একটু সহানুভূতির সুর কিন্তু লক্ষ্যনীয়। ফলে তার সমালোচনাটা অনেকাংশেই নিরপেক্ষ থাকেনি। কিছু উল্লেখ করা যাক। তিনি বলেছেন –
সত্যই কি জামাতকে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়ায় তার প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিতে পড়েনি? শুধু জিয়ার শাসনামল নিয়ে পড়ে থাকলে হবে কেন, এর প্রভাব তো জিয়ার শাসনামলের পরেও চলছিলো পুরোমাত্রায়। আসলে আমার মতে বিসমিল্লা অন্তর্ভুক্তকরণ আর জামাতকে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়া – দুটোই বাংলাদেশের গতিপ্রকৃতিকে চিরতরে বদলে দিয়েছিল বলে আমি মনে করি।
অনেকগুলোই আছে। কিছু প্রতীকী, কিছু সরাসরি। তবে আমি শুধু ১৯৭৬-৮১ থেকেই দৃষ্টান্ত দিব না, দিব তার কিছু আগের কাজেরও।
১) স্বাধীনতার পরে দালাল আইনে ৩৭ হাজার দালাল গ্রেফতার হয়েছিল। এর মধ্যে ২৬ হাজার দালালকে মুক্তি দেয়া হয় মুজিবের সময়েই। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে খুব বড় ধরণের অপরাধের প্রমাণ ছিলো তারা তখন কারাগারেই ছিলো। এরকম ১১ হাজার অভিযুক্ত দালাল দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক ছিল। মুক্তি দেয়া হয়নি। জিয়া এসে সেই সমস্ত দালালদের মুক্ত করেন। সার্বিকভাবে দালাল আইনের কবর রচিত হয় জিয়ার সময়েই।
২) জিয়াউর রহমান শুধু রাজাকারদের ক্ষমাই করেননি রাজনীতিতে তাদের পুনর্বাসন করেছেন। জামাত শিবিরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেটা সব ইতিহাসবিদেরাই বলবেন।
৩) স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। শাহ আজিজ একজন। আরেজন বোধ হয় মান্নান (নাকি ঐটা এরশাদের সময়)?
৪) জিয়ার সময়েই কর্ণেল তাহের সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে গোপন বিচারে হত্যা করা হয়। হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধের একাধিক সেক্টর কমান্ডারকে। একদিকে রাজাকার তোষণ অন্যদিকে মুক্তিযযোদ্ধা হত্যা দুটোই জিয়া সমানতালে করেছিলেন।
৫) শেখ মুজিব হত্যায় সরাসরি জড়িত না হলেও জিয়ার অপ্রত্যক্ষ কিছু যোগাযোগ ছিল ভালমতই। এন্থনি মাস্কারানাসের লিগেসি অফ ব্লাড বইয়ে বেশ কিছু আলোচনা আছে এ নিয়ে। ১৯৭৫ এ খুনি রশিদ ও ফারুক যখন জিয়াকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন, সেটা জিয়া ভালই জানতেন, জিয়ার উত্তর ছিল- ‘তোমরা যা করার কর। পেছনে আমার সমর্থন থাকবে।’
৬) মুজিব হত্যার পর মৌলবাদী মুশতাক সরকারকে প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়েছিলেন জিয়া। এ ছাড়া, নিজে ক্ষমতা দখলের পরে ১৯৭৮-এর ৫ই এপ্রিলে নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে একাত্তরের ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ দিয়েছিএলন জিয়া। এর ফলেই পরবর্তীতে গোলাম আজমের মত লোকদের নাগরিকত্ব পেতে সুবিধা হয়।
৭) কালযাত্রী যে বাকশালকে নিয়ে মুজিবের বিরুদ্ধে সমালোচনায় কঠোর, তিনিও বোধ ভুলে গেছেন তার জিয়াউর রহমানই বাকশালের একজন গর্বিত সদস্য ছিলেন। বস্তুতঃ জিয়া ছিলেন প্রথম সারির বাকশালীদের একজন, যারা প্রায় ফুলের মালা দিয়ে বাকশালিত্বকে বরণ করেছিলেন। তিনি এটিও বলেছিলেন যে, দেশের প্রইয়োজনে বাকশাল বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ। মুজিব বাকশাল কায়েমের পর জিয়া মুজিবের সাথে করমর্দন করছেন এমন একটি ছবিও তৎকালীন বিচিত্রায় ছাপা হয়েছিল।
এরকম অনেক রেফারেন্সই দেয়া যাবে।
😀
@অভিজিৎ,
একজন মুক্তমনার কাছ থেকে যুক্তি বা তথ্য বিচারই আশা করি, “কোথায় যেন…সুর” এরকম ভাববাদী কথা নয়। আমি মুজিব, জিয়া ও এরশাদের ইসলামীকরণের তুলনামূলক আলোচনা করেছিলাম কিছু তথ্য যুক্তি দিয়ে। তার ভিত্তিতে ইসলামীকরণে কারো অবস্থান উপরে বা নীচে হলে সেখানে একজনের প্রতি সহানুভূতি দেখান বা নিরপেক্ষতা নষ্ট হয় কিভাবে? কোন ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা বা বিশ্রদ্ধা তার কর্মের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয়। এটাই বাস্তববাদের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এখানে ব্যক্তির প্রতি আনুগত্য বা অন্ধ ভালবাসার স্থান নেই।
“কিন্তু তার কোন প্রভাব ১৯৭৫-৮১ (জিয়ার শাসনামলে) পড়েনি জনজীবনে” আমার এই উক্তির জবাবে যদি বলা হয় “সত্যই কি জামাতকে রাজনীতির সুযোগ করে দেয়ায় তার প্রভাব বাংলাদেশের রাজনীতিতে পড়েনি?” তাতেই বোঝা যায় ভাষাজ্ঞান,যুক্তি ও, প্রসংগের যথাযথ প্রয়োগের তোয়াক্কা করা হয়নি। (জিয়ার শাসনামলে), “জনজীবনে” এগুলিকে উপেক্ষা করাইয় এটাই প্রমাণিত হয়। আর আমার আলোচ্য বিষয়টা ছিল তিনজনের ইসলামীকরণের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। সেখানে জামাতকে রাজনীতি করতে দেয়ায় ১৯৮১ সালের পর রাজনীতিতে কি ঘটেছিল সেটা অবান্তরই শুধু নয়, বরং ১৯৮১ এর পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাতের যা প্রভাব এসেছিল তার কারণ আওয়ামী লীগ (পরে বিএনপি) র জামাতকে নিয়ে কিং মেকার খেলার কারণে, জিয়ার জামাত নিষীদ্ধকরণ তুলে নেইয়ার জন্য নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব ধরণের দল থাকাটাই প্রথাসিদ্ধ, আমেরিকাতেও কমিউনিস্ট দল নিষিদ্ধ নয়। জনগণ না চাইলে কোন দলই নির্বাচনের মাধ্যমে আসতে পারে না। আমি নিজেও ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি করার বিরোধী। গণতন্ত্রে ব্যক্তিগত পছন্দের সাথে মেলেনা এরকম অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়। আর বিসমিল্লাহটা কিভাবে চিরতরে বদলে দিল? জনজীবনে এই বিসমিল্লাহ যুক্তকরণ (এটা সংবিধানের মূল অংশের মধ্যে নয়) ১৯৭৬-৮১ এর মধ্যে কি প্রভাব ফেলেছিল জনজীবনে? আমেরিকার মুদ্রায় “ইন গড উই ট্রাস্ট” কি আমেরিকার গতিপ্রকৃতি চিরতরে বদলে দিয়েছিল? আমেরিকার মুক্তমনারা এর ঘোর বিরোধীতা করলেও তারাও একথা বলবে না। আমি নিজেও নীতিগতভাবে জিয়ার এই পদক্ষেপের ঘোর বিরোধী। কিন্তু যেহেতু আলোচনাটা ছিল ইসলামীকরণের মাত্রা ও গুরুত্বের তুলনামূলক বিচার নিয়ে, সেই বিচারে এটা অন্যদের ইসলামীকরণের চেয়ে নিতান্তই গৌণ এটা বলতে বাধ্য হই যুক্তির কারণেই। সেই যুক্তিতে তো বরং বলব মুজিবের ইসলামীকরণই গতিপ্রকৃতি চিরতরে বদলে দিয়েছিল বাংলাদেশে (ইসলামী ফাউন্ডেশন, মাদ্রাসা বোর্ড গঠন, বায়েতুল নোকাররম মসজিদ ও টঙ্গীতে ইজতেমার জন্য জমি বরাদ্দ ইত্যাদি)।
বাকী আর সব মন্তব্যই ইসলামীকরণ প্রসঙ্গের পুরোপুরি বাইরে, তবুও আমি সেটা নিইয়ে আমার জবাব দিচ্ছি। শাহ আজিজ কে মুজিবই মুক্ত করেছিলেন ১৯৭৩ এ। শোনা যায় শাহ আজিজ শেখ মুজিবের বন্ধুও ছিলেন ব্যক্তিজীবনে (প্রথম আলো, ২৬ শে মার্চ, ২০০৮, আরিফুর রহ্মানের প্রতিবেদন)। একবার মুক্ত করে দিলে যে কারোরই বৈধ অধিকার আছে রাজনীতি করার। জিয়া বিএনপি গঠন করে নিজে রাজনীতিতে নামার পর শাহ আজিজকে প্রধান মন্ত্রী করলেন । জিয়া পলিটিক্যাল প্র্যাগম্যাটিস্ট। মুজিব ও তো প্র্যাগম্যাটিজমের জন্যই তো ভুট্টোকে ঢাকায় লালা গালিচা অভ্যর্থনা দিয়ে আলিঙ্গন করেছিলেন। যদি কারো হার্টের অপারেশন প্রয়োজন হয় এবং ধারে কাছে একমাত্র যোগ্য হার্ট সার্জেন যদি অখন্ড পাকিস্তানের সমর্থক হয় তাহলে কি অপারেশন না করে ঝুঁকি নেয়াটা কি বাস্তবোচিত ?। শাহ আজিজ অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান, তাই তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানই উদ্দেশ্য ছিল। সেই সময় অভিজ্ঞ রাজনীতিকের সঙ্কট ছিল। যদিও এটাও আমার ব্যক্তিগত অপছন্দের ক্যাটেগরীতে পড়ে।
মুশতাক মুজিবের ওস্তাদ সোহরাওয়ার্দীর চেয়ে বেশি মৌলবাদী ছিলনা, যদি সোহরাওয়ার্দীকে মৌলবাদী বলা যায় (অভিভক্ত ভারতে হিন্দু-মুস্লীম দাঙ্গায় তাঁর হাত ছিল বলে যথেষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়)। এটাও ভুলে যাওয়া উচিত না যে তাজুদ্দিনকে হটিয়ে মুশতাককে বেছে নিয়েছিলেন মুজিবই। নিশ্চয়ই মুজিবই তাহলে মৌলবাদ পছন্দ করতেন। মোশ্তাক সরকারকে ভারত, আমেরিকা সবাই স্বীকৃতি দিয়েছিল। সেনাপ্রধান হিসেবে জিয়াকে তো তসমর্থন করতেই হবে চলতি প্রেসিডেন্টকে। আর একটা সত্য হল মোশ্তাক বাংলাদেশকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানায় ১৯৭৫। যদিও এর জন্য অনেক চাপ আসছিল। মোশ্তাক মৌলবাদী হলে আওয়ামী লীগ না করে জামাতই করতে পারতেন। মোশ্তাক মার্কিনপন্থী ছিলেন বলে তাকে মৌলবাদী বলে আওয়ামী সমর্থকেরা ১৯৭৫ এর পরে। ১৯৭৫ এর আগে কেউ তা বলত না। মুক্তমনার পক্ষে এই ধরণের ঢালাও লেবেল আশা করা যায় না।
গর্বিত কি না সেটা মনের ব্যাপার, অন্য কারই জানার কথা না। তখন যারা সরকারী পদে অধিষ্ঠিত তাদের বাকসাল জয়েন না করে উপায় ছিল না। বাকসাল না করলে ইস্তফা দেয়াই বিকল্প ছিল। আর এটা উল্লেখ করে কি প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে? যে জিয়া আসলে ক্লজেট বাকসালী ছিলেন? তাহলে ক্ষমতায় এসে বাকসাল পুনরায় চালু করতে তাঁর কোন বেগে পেতে হত কি? আর জিয়া বাকসাল মনে প্রাণে সমর্থন করলেও কি বাকসাল গ্রহণযোগ্য হয়ে যাবে? ডঃ সালাম তো ইসলামে বিশ্বসী ছিলেন। তাই বলে কি ইসলামকে গৌরবান্বিত করতে হবে বা তারঁ ইসলামে বিশ্বাসের জন্য তাঁর বৈজ্ঞানিক কাজকে হেয় করা যায়? জিয়া তো মহামানব নয়, যে তাঁর সব কর্মকেই ভাল বা সমর্থনযোগ্য বলতে হবে। এই কথাটা তো বারবারি বলা হচ্ছে যে কাউকে নিয়েই ব্যক্তিপূজা করা ঠিক নয়। রাজনীতিতে ফেরেশতা কেউ হবে না। কিন্তু দেশের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে প্রত্যেকের অপকর্মের নির্মোহ সমালোচনা করাটা অবশ্যই সঠিক। আর অপকর্মের গুরুত্ব বা মাত্রা অনুযায়ীই সমালোচনার মাত্রা নির্ধারিত হয়াটাই প্রত্যাশিত। এখানে ব্যক্তিবিদ্বেষের কোন স্থান নেই।
@কালযাত্রী,
আপনার কথা, টোন, শব্দ চয়ন এমনকি বানান ভুলগুলোর সাথেও আমি অতিমাত্রায় পরিচিত। খুব বেশি খোঁচাখুঁচি করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়তে পারে, তাই না? মহাকাশ, যুক্তিবাদ, সংশয়বাদ কিংবা ব্ল্যাক হোল নিয়ে যার এন্তার জ্ঞান, তার ভাষাজ্ঞান সচেতন হবে বলে আশা রাখি।
আমি যুক্তির নিরিখেই দেখিয়েছি আপনার মন্তব্যে জিয়ার প্রতি টানটা খুব উগ্রভাবে লক্ষনীয়। আমি কোন ভাববাদী কথা বলিনি। কথায় বলে না, যার হাসের মত পালক আছে, আর যা হাঁসের মত প্যাক প্যাক করে তাহা হাঁসই। 🙂
দালাল আইনের কবর জিয়ার সময়েই রচিত হয়েছিল, রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিলেন তিনিই, শাহ আজিজকে মন্ত্রি বানানো, সেক্টর কমান্ডার সহ বহু মুক্তযোদ্ধাদের হত্যা, ঘাতক দালালদের নাগরিকত্ব দানের জন্য মন্ত্রনালয়কে আদেশ দেয়া সহ বহু কাজই জিয়াউর রহমান করেছিলেন। সাথে বিসমিল্লাহ আর জামাতের রাজনীতির কথা তো সবারই জানা। সেইগুলা ভুইলা গিয়া শাহ আজিজ তো মুজিবেরও বন্ধু ছিলো, ভুট্টোরে লাল গালিচা দিছিল – এইগুলা দিয়া কি জিয়ারে ডিফনেড করা যায় নাকি? Two wrongs do not make a right। জিয়ার কাজ জিয়ারে দিয়াই ডিফেন্ড করন লাগব, মুজিবরে গাইল দিয়া কি জিয়ার ভুলগুলা সাফ করন যাইবো? মুজিবের ডজনখানেক দোষ তো আপনি আগেই লিখছেন, এরশাদেরও দিছিলেন গন্ডাখানেক। খালি জিয়ার বেলাতেই দুইটা (এক বিসমিল্লা আর দুই জামাত রাজনীতি) ছাড়া আর কিচ্ছু খুঁইজা পাইলেন না। আপনের ওই দুর্বল লিস্টটাই আমি একটু লেভেলে আনছি আর কি। এর জন্য আপ্নের আপনার নরম দিলে চোট লাগতেসে তাহা বুঝতেসি। জিয়া ক্লজেট বাকসালী ছিলেন কিনা সেইটা আমার পয়েন্ট না। পয়েন্ট হইল, মুজিব বাকশালের ঘোষণা দেওনের লগে লগে জিয়াই হামলায় পইড়া সেইটারে ‘সুবানাল্লাহ’ বইলা বৈধতা দিতে গেছিলেন। সেই ইনফরমেশনটা সংশয়বাদী কাল যাত্রীর কোল বাইয়া পিছলাইয়া পড়লো ক্যানো? আমি অন্ততঃ একশ জন পরিচিত ব্যাক্তির নাম করতে পারুম যারা বাকশাল কায়েমের পর জ্বিব বের করে লো লো করে মুজিবকে সংবর্ধনা দিতে ছুটে যায় নাই। কিন্তু আপ্নের ‘কামাল আতাতুর্ক’ জিয়া সাবে গিয়েছেন। সেইটাই ফ্যাক্ট।
বাংলা সিনেমার ফাইটার জসিমের লাহান মুক্তমনার থেইকা এইটা আশা করা যায় না, ওইটা যায় না বইলা অনাবশ্যক জ্ঞান না দিয়া নিজের লিস্টটারে একটু ঠিক ঠাক করেন। ব্যক্তিপুজা করবার চান না ভালা কথা। মুজিবরে আর এরশাদরে গাইল দেওনের সময় তো কিছু ভুলেন না, জিয়ার বেলা কি হৈল? আপনি এইটা নিয়া যত লিখিবেন ততই গন্ধ বেশি ছড়াইবেন আগেই সতর্ক করিয়া দেই।
@এমরান, এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে ২০০% একমত। ৭১ এর পর যেই বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রতি ছিলো, সেই বাংলাদেশটি সম্ভবত হতো ইসলামমুক্ত বাংলাদেশ। জিয়া হচ্ছে সবচেয়ে বড় কালপ্রিট যে কিনা ইসলাম দ্বারা বাংলাদেশকে পুনঃদুষিত করে। জিয়া নিঃসন্দেহে ছিলো একটা ইসলামিস্ট, পাকিস্তানের প্রতি যার ছিলো অগাধ সহানুভুতি। আর জিয়ার কাজটাকেই এগিয়ে নিয়ে গিয়ছিলো এরশাদ। জিয়া তো খালি ইসলাম আমদানী করেই খুশী ছিলো, এরশাদেকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যায়। এরশাদ চালু করে পীরভিত্তিক ইসলাম। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে আবার ইসলাম আগমনের পথ কিছুটা হলেও সহজ করার পেছনে আমি মনে করি মুজিবেরও হাত ছিলো। কমিউনিজমের প্রতি মুজিবের সহানুভুতি ছিলো। মুজিবের ছিলো আগদ পশ্চীমাবিদ্বেস। এইগুলাইকিন্তু ইসলামের প্রজননক্ষেত্র। কমিউনিজম ঝাঁটা খেয়ে যাওয়ার পর এজন্যই দেখা যায় প্রায় সকল দেশই কোন না কোন একটি ধর্মে ফিরে গিয়েছে। বাংলাদেশও গিয়েছিলো এবং বলাই বাহুল্য ফিরে গিয়েছিলো ইসলামে!
@আল্লাচালাইনা,
আচ্ছা ঠিক আছে, আপনার মতে
তো এই যখন পরিস্থিতি, তখন ইসলামের রাহু ও করালগ্রাস থেকে উদ্বার পাওয়ার চেষ্টা করতে হলে কোন প্লাটফরমটিকে আপনি তুলনামুলকভাবে বেছে নিবেন? লক্ষ্য করবেন আমি বলছি “তুলনামুলকভাবে” যেখানে আপনি বলছেন মুজিব ইসলাম আগমনের পথ কিছুটা হলেও সহজ করেছে। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো নয় কি?
কোন কিছুই সমালোচনার উর্ধে নয় বা কোন কিছুই এই জগতে পারফেক্ট নয়। মানুষকে এর মধ্য থেকেই বাস্তবসম্মত একটা সমাধান বের করে পথ চলতে হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্, আপনি এমন একটা প্রশ্ন করেছেন আমার দেওয়া এর উত্তর যদি আপনার কাছে মনপুত হয়, আপনি আমাকে ধরতে যাচ্ছেন- মনপুত না হলেও আপনি আমাকে ধরতে যাচ্ছেন :laugh: । ওয়েল একজন সসত্র নাস্তিক হিসেবে আমার সহানুভুতি আওয়ামীলীগের উপরই কিছুটা বেশী থাকবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মানে আওয়ামি লীগকে আমি অন্ধ সমর্থন দিয়ে যাবো তা না। আমার সমর্থন লাভ করার ফলে আওয়ামীলিগের যেটা হবে- কোন একটা আকাম করলে আমার কন্ঙ্কেই আওয়ামীলীগ সবচেয়ে উচ্চস্বর পাবে এর বিরোধীতায় এবং প্রতিবাদে। ১৭ পর্যন্ত মুজিবের যেই ট্রাক রেকর্ড এটা ৭১ হলে তুলনামুলকভাবে মুজিবকেই বেছে নিতাম। তবে ৭৫ এর পর আবার মুজিবের যেই ট্রাকরেকর্ড সেটার ভিত্তিতে মুজিবকে কখনই বেছে নিতাম না। বেছে নিতাম একটা জেনোপাসকে, একটা টোড কিংবা নিউট কিংবা স্যালামান্ডারকে- তবে মুজিবকে নয়। আর জিয়া এরশাদ ও মুজিব এই তিনজনের মধ্যে যদি বলেন- তবে বোধহয় মুজিবকেই নিবো।
@আল্লাচালাইনা,
এরা যতদিন না কোন রাজনৈতিক দলের জন্ম দিচ্ছে তখন কি আর করা…… 🙁
শেখ মুজিব কে বাকশাল এর জন্য অপবাদ দেয়া যায়।।কিন্তু বাকশাল ১৯৭৫
এর জানুয়ারী তে করার সিদ্ধান্ত হয় আর অগাস্ট এর ১৫ তারিখে তাকে খুন করা হয়।তাইলে বাকশাল কোথায়?
@সংশপ্তক, আপনার মন্তব থেকে দেখা যাচ্ছে বাকশাল তাহলে সম্ভবত ৭৫ র জানুয়ারী থেকে অগাস্ট পর্যন্ত ছিলো। নাকি মাত্র জানুয়ারী থেকে অগাস্ত পর্যন্ত বলে একে বাকশাল বলা যায় না। আমিতো বলবো একদিনের জন্যও যদি কেউ সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়, সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে, নিজের ব্যক্তিগত মিলিশিয়া রেইস করে- একনায়ক উপাধি পেয়ে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে। আপনার যদি তা মনে না হয় তবে জানতে চাইবো, কয় দিনের জন্য একনায়কত্ত্র চললে সেটাকে আমরা ফাইনালি একনায়কতন্ত্র বলবো, যি জানুয়ারী থেকে অগাস্ট পর্যন্ত চলা একনায়কতন্ত্রকেএকনায়কতন্ত্র না বলি? পাকিস্তানে ট্রেইনিংপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারগুলোর একটি দল যা কিনা ধারণ করে জিয়া ও এশাদের মতো চিড়িয়াসকল প্রথমত ছিলো ইসলামিস্ট আর দ্বিতীয়ত হাইপারঅ্যাকটিভ। শেখ মুজিবের এই সিদ্ধন্তগুলোর ভুমিকা কিছুটা হলেও ছিলো বলে আমি মনে করি- নিজে বেঘোরে মরে এদের হাতে বাংলাদেশকে তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ যেই দিকে যাবে বলেছিলো- ইসলামিস্টরা একে ঠিকই তার বিপরীতদিকে নিয়ে যায়। আপনার ছয় মাসের বাকশাল কোন বাকশাল না, এইটা কোন যুক্তি হয়নাই।
ভারতে মোহনদাস করমচান্দ গান্ধী কে ‘জাতির জনক’ বানানো নিয়ে এত বিতরক শুনিনি। কারণ, গান্ধীর আগেও ভারত ছিল এবং পরেও আছে এবং আরো কিছুদিন থাকবে এটা নিশ্চিত (মানচিত্রে কিছু অদল বদল হতে পারে)।
আসলে, জাতির পিতা (বা জনক), দেশবন্ধু (চিত্তরঞ্জন দাশ একা দেশ কে ভালবাসেন নি), বংগবন্ধু ( মুজিব একা বাংলাদেশ কে ভালবাসেন নি), কবিগুরু এসব শব্দ কে আক্ষরিক অরথে ধরে বিতরক করার কোন মানে হয় ন। বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রধান কারিগর হিসেবে মুজিব অরজন করেছেন ‘জাতির পিতা’-র সম্মান। পিতা হলেই ধোয়া তুলসিপাতা হতে হবে এমন কোন কথা নেই (আমাদের পিতারা নন) এমন কি যে জাতির তিনি পিতা সেই জাতির ইতিহাসও কলঙ্কহীন নয়।
@মিয়া সাহেব, you got it horrbibly horribly wrong! বঙ্গবন্ধু কোন একত্বপ্রদানকারি উপাধী নয়, দেশবন্ধুও তা নয়, কবিগুরুও তা নয়। রবীন্দ্রনাথকে আমি কবিগুরু বলিও না কখনও। আমি কোন মানুষের নাের আগে কিংবা পেছনে উপাধী লাগাই না। ইউরোপ তথা সভ্য জাতি মানুষের নামের পেছন উপাধী লাগানো বাদ দিয়েছে সেই মধ্যযুগে। কেন্না মধ্যযুগের পর তার এমন মাজ ও অ্যাকাডেমীয়া গঠন করতে পেরেছিলো যেখানে দাশ হিসেবে কাউকে বেচে থাকতে হবে না। উপাধী ব্যাবসা উপমহাদেশে অনেক বেশী, এটা মেনে নিতেই হবে, শুধু উপমহাদেশেই নয় পিছয়ে থাকা এবং ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়া সকল অর্ধসভ্যতাতেই এটা বেশী। স্যার, লর্ড, ডক্টর, প্রফেসর এই উপধীগুলোর আমি কোন সমস্যা দেখি না, এদের অর্জন করে নিতে হয়; কিন্তু জাতির জনক, হুযুরে বাবা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ ইত্যাদি উপাধি মেনে নেওয়া যায় না। এই উপাধীগুলো কিছু মানুষ চামচামী করে দিয়েছিলো উপাধিধারীটিকে, এগুলো পকারগতভাবে অগনতান্ত্রিক। আপনি শেখমুজিবকে জাতির পিতা নয়, সম্পর্ণ মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির পিতা ডাকলেও আমার কোন আপত্তি নেই। হতেই পারে যে পূজা কাউকে না করে থাকতে পারাটা আপনার জন্য অস্বস্তিকর। কেউ শেখ মুজিবকে জাতির পিতা ডাকার বিরোধীতা অবশ্যই আমি করি না। আমি শুধু কারণ দর্শিয়েছিলাম আমি কেনো শেখ মুজিবকে কোন কিছুর পিতা ডাকি না।
চমৎকার পোস্ট, আর আপনার অসাধারণ প্রকাশভঙ্গি সম্বন্ধে নতুন করে কিছু বলার নেই। উপরে সাইফুল ইসলামের মন্তব্য অবশ্য সংগত বলে মনে হয়েছে।
@রৌরব, ধন্যবাদ 🙂
অবশ্যই সেখ মুজিব বাঙ্গালী জাতিকে জন্ম দেন নি। তিনি বাঙ্গালী অধ্যুষিত একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দান করেছেন। তার এ বিরাট অবদানের জন্যই তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিমিত্তে তাকে জাতির পিতা অভিধায় অভিষিক্ত করা হয়েছিল বলে আমার ধারনা। দুনিয়ার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠিত েএ ধরনের স্বাধীনতার নায়ককে এ ভাবেই সম্মান দেখানোর রেওয়াজ চালু আছে। তারা কেউই কিন্তু তাদের জাতিকে জন্ম দেননি। সেসব জাতি গোষ্ঠি শত শত হাজার হাজার বছর আগে থেকেই দুনিয়াতে বিরাজ করত। সে দিক দিয়ে সেখ মুজিবকে এ ধরনের একটা সম্মান দেখানোতে খুব বেশী কোন বাড়াবাড়ি বা অতিশয়োক্তি হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। তাদের কাছেই এটা বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে যারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় নি অথবা কোন একজন ভিলেনকে নায়কের আসনে বসানোর মতলবে ছিল বা আছে
@ভবঘুরে,
তাহলে জাতির পিতা না বলে বাংলাদেশের স্থপতি বলাই ভাল। আর এটা সরকারী ভাবে করার প্রয়োজন কি? জাতির পিতা পদবীটা কিছু অতিউৎসাহী মুজিব চামচাদেরই সিদ্ধান্তেই দেয়া হয়েছিল। এটা তো বাঙ্গালীদের ভাবালুতারই এক লক্ষণ। আপনিইতো বাঙ্গালদেশীদের আজব বৈশিষ্ট্য নিয়ে লিখলেন এই কিছুদিন আগে। এটাও কি সেই আজব বৈশিষ্ট্যের এক দিক নয়?। এরা পিতা, মাতা ভাই, চাচা ছাড়া স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারে না। এতিম হয়ে যায়। জাতির পিতা থাকতেই হবে, এগিয়ে যেতে হলে। হাস্যকর।
বাড়াবাড়ি হত না যদি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা আগে করা হত। জাতির পিতা করার উদ্দেশ্য ছিল আওয়ামী লীগ দলকে বাংলাদেশের একমাত্র বৈধ দল হিসেবে চিরস্থয়ী করা। ধুরন্ধর মুজিব চামচারা এটা বুঝতে পেরেছিল যে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দলও ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই তারা মুজিবকে তড়ি ঘড়ি করে জাতির পিতা বানায়। মুজিব যদি আওয়ামী লীগের উর্ধে উঠতে পারতেন তাহলে জাতির পিতা আর আওয়ামী লীগকে পৃথক করা যেত । কিন্তু সেটা ১৯৭২-৭৫ এর আওয়ামী বাকসালী শাসনে একেবারে অচিন্তনীয় ব্যাপার। আর বাড়াবাড়িটা এখন বরং জাতির পিতা করা নিয়েই হচ্ছে। এখন শেখ মুজিবকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকার না করাটা দন্ডনীয় অপরাধ। এটা কি ফ্রি স্পিচের ভা স্বাধীন চিন্তার পরিপন্থী নয়? আমেরিকায় কেউ যদি বলে বেড়ায় যে সে জর্জ ওয়াশিংটনকে জাতির পিতা মানে না (অবশ্য আমেরিকায় জর্জ ওয়াশিংটনকে সরকারীভাবে ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতা বানানও হয় নি) তাকে কি আইনীভাবে দন্ডিত করা হবে? এই আইন দিয়েই তো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী চিন্তাটা বেরিয়ে আসল।
@ভবঘুরে, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা আমি ডাকবো না, কোন উপাধি ধরেই ডাকবোনা। এর জন্য যদি কারো কাছে আমাকে মনে হয় শেখ মুজিবের কোন ভিলেনের পূজারী then so be it.
@আল্লাচালাইনা,
আমি নিজেও উপাধি ধরে ডাকাটা পছন্দ করি না। কাউকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবীর, বঙ্গশার্দুল, শেরে বাংলা, দেশনেত্রী, জননেত্রী, পল্লিবন্ধু, গরীবের বন্ধু, শহীদ জননী, ভাষা সৈনিক, বেগম, মহাত্মা, কায়েদে আজম, নেতাজী, দেশবন্ধু, পণ্ডিত ইত্যাদি উপাধিতে ডাকার প্রতি কোনো আগ্রহই পাই না আমি। অপ্রয়োজনীয় বলেই মনে হয় আমার কাছে।
@ফরিদ আহমেদ,
এই আগ্রহ থাকা না থাকাটাও বোধ হয় সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল।
– ছিলেন হিমালয়সম এক সুদর্শন দীর্ঘ পুরুষ। দৃপ্ত অহংকারে, অসীম সাহসে, তেজোদ্দীপ্ত নৃসিংহের মত কেশর দুলিয়ে বুক চিতিয়ে হাঁটতেন তিনি। তার আত্ম-প্রত্যয়ী পদচারণায় কেঁপে উঠতো চারপাশের সবকিছু, কেঁপে উঠতো শোষকের বুক, কেঁপে উঠতো ভীরু কাপুরুষ পাকিস্তানী শাসকদের তাসের ঘর। হ্যাঁ এই সাহসী,বরেণ্য কবি আর কেউ নন। তিনি শেখ মুজিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। যার নামের সাথে জড়িয়ে গিয়েছে একটি দেশের রক্তাক্ত অভ্যুদয়,শতাব্দীর কান্নাকে পিছনে ফেলে একটি জাতির নবজন্মের ইতিহাস, একটি জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া পরিচয় উদ্ধারের কাহিনী।
@আকাশ মালিক,
সবকিছুই সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল আকাশভাই। একসময় ছাত্রলীগ করতাম শুধুমাত্র শেখ মুজিবের কারণে, কিন্তু গোপন প্রেমটা ছিল ছাত্র ইউনিয়নের সাথে। রাজনৈতিক সেই পক্ষপাত এখন আর নেই। তবে শেখ মুজিবের প্রতি ভালবাসাটা রয়ে গেছে পুরোপুরিই। তারপরেও আমি সাধারণত তাঁর নামের আগে বিশেষণ যথাসম্ভব পরিহার করেই চলি।
এই লেখাটা আমার আবেগময় একটা লেখা, যুক্তি এবং মানের দিক দিয়ে খুবই দুর্বল, খুবই অনুন্নত।
মন্তব্যটা যখন করেছিলাম, তখনই জানতাম যে, কেউ না কেউ আঁতিপাঁতি করে খুঁজে কিছু না কিছু একটা বের করে নিয়ে আসবেই আমাকে বিব্রত করার জন্যে। 🙁
@ফরিদ আহমেদ,
দুঃখিত ফরিদ ভাই বিব্রত করার জন্যে নয় বরং এইটুকু শোনার জন্যে- ‘সবকিছুই সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল। একসময় ছাত্রলীগ করতাম শুধুমাত্র শেখ মুজিবের কারণে, কিন্তু গোপন প্রেমটা ছিল ছাত্র ইউনিয়নের সাথে। রাজনৈতিক সেই পক্ষপাত এখন আর নেই। তবে শেখ মুজিবের প্রতি ভালবাসাটা রয়ে গেছে পুরোপুরিই’।
আমি জানতাম এমন একটা ব্যখ্যা আপনার কাছে আছে। এই ভালবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস-অবিশ্বাস, আবেগ-অনুভুতি এসব কিছুই আপেক্ষিক আর ওসব নিয়েই তো আমরা মানুষ। আমি কোনদিন শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বলিনা, বলবোও না, বাকশাল সমর্থন করিনা, করবোও না, কিন্তু যার নাম উল্লেখ না করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়, তার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা চিরদিন অটুট থাকবে। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার এই শ্রদ্ধা ভালবাসাকে মুহাম্মদের প্রতি মুসলমানের ভালবাসার সাথে তুলনা করা মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী শাসনের সমালোচনা কাকে বলে যদি কেউ জানতে চান, তারা পড়তে পারেন হুমায়ুন আযাদের ‘আমরা কী এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম’, ডঃ রেজোয়ান সিদ্দিকীর ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি’, আহমদ ছফার ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’। বইগুলো অনেক আগেই আমি পড়েছি, দেশ থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলাম। বদরুদ্দিন ওমর যে আওয়ামী লীগের কেমন কঠোর সমালোচক তা নিশ্চয়ই সকলের জানা। এ সব কিছু পড়েও আমি আওয়ামী লীগের সমর্থক। কারণটা আশা করি ব্যখ্যার প্রয়োজন হবেনা।
বছর ঘুরে ১৫ আগষ্ট আসলে একটু আবেগ একটু অস্থিরতায় পেয়ে বসে। ধানমন্ডির ৩২ নং, এক অন্তঃস্বত্বা নারী, তার পেটের সন্তান, নয় বছরের শিশু রাসেল, এদের কথা মনে পড়ে যায়। এই দিনটিতে পত্রিকার পাতায় পাতায়, ব্লগে ব্লগে হৈন্য হয়ে খুঁজি কেউ এই অভাগাদের নিয়ে দুকলম লেখেন কি না। মাঝে মাঝে ডঃ অজয় রায় সহ দু একজন লেখক এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে বা দেশীয় রাজনৈ্তিক হালচাল নিয়ে মুক্তমনায় লেখা পাঠাতেন। দেখলাম মুক্তমনায় এ রকম লেখা ইদানিং মোটেই আসছেনা তাই ঐ লেখাটি পিয়াল ভাইয়ের কাছ থেকে ধার করে নিয়ে এসেছিলাম। আবেগের এই রেশটুকুও যে ধরে রাখা পাপ, মুজিবের নাম মুখে উচ্চারণ করলে যে মুখ না-পাক হয়, অজু করে তওবাহ করতে হয়, সে যে কেবলই এক গণধিকৃত, ঘৃণীত নষ্টের নাম, তাকে ঘৃণা করাতেই যে দেশ ও জাতির মঙ্গল নিহিত, সেই কথাগুলোই যেন মুক্তমনা কিছু বন্ধুবর শেখায়ে দিতে চাইলেন। পিয়াল ভাইয়ের লেখার কিছু কিছু বক্তব্যের সমর্থনে প্রচুর তথ্য রেফারেন্স আমি নিজেই দিতে পারতাম, পরে দেখলাম রেফারেন্স দিয়ে কোন লাভ হবেনা, এখানে যুক্তির চেয়ে ব্যক্তি বিদ্বেষ অধিক ক্রীয়াশীল, যা মুক্তমনায় অপ্রত্যাশিত, অনাকংখিত। আশা করি আমার এতটুকু বলার পরে আপনি আর বলবেন না-
@আকাশ মালিক,
অমি রহমান পিয়াল মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার উপরে প্রচন্ড খাটাখাটুনি করেন, লেখালেখি করেন, তথ্য সংগ্রহ করেন। এর মাধ্যমে একটা রত্নভাণ্ডার গড়ে তুলেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখতে গেলে তাঁর সেই পরিশ্রমসাধ্য রত্নভাণ্ডারকে অনেকেই ব্যবহার করছেন ইদানিং। এ কারণে তাঁর প্রতি আমার বিশেষ ধরনের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে।
তবে এই লেখাটির একটা অংশে খুবই পক্ষপাতপূর্ণ বিশ্লেষণ ছিল। সবার আপত্তির মূল জায়গা ছিল ওখানটাতেই। আমারও। পুরো লেখাটিকেই আমার অসাধারণ মনে হয়েছে শুধু ওইটুকু ছাড়া। আমি আমার মন্তব্যে সেটা বলেছিও। এটা যেহেতু ব্লগ, অমি রহমান এসে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দিতে পারতেন, রেফারেন্স দিতে পারতেন। কিন্তু আমি খুবই হতাশ হয়েছি ওনার মন্তব্য পড়ে। প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক এবং গাজোয়ারি ধরনের একটা উত্তর দিয়েছেন তিনি। এটার একটা কারণ হতে পারে যে, তিনি যে সমস্ত ব্লগে লেখেন সেগুলোতে ওনাকে লাগাতার জামাত শিবির মানসিকতার লোকজনের সাথে লড়াই করতে হয়। এবং সেই লড়াইগুলো যে খুব একটা সুস্থ লড়াই হয় না সেটা বলাই বাহুল্য। মুক্তমনায় আমরা যা কিছু করি যুক্তির মধ্যেই করি, প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান বজায় রেখেই বিতর্কগুলো করি আমরা। হুট করে এখানে এসে তিনি হয়তো সেই বিষয়টা অনুধাবন করতে পারেন নি।
আমি পুরো থ্রেডটা মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারি নি, কাজেই কতখানি যুক্তির চেয়ে এখানে ব্যক্তিবিদ্বেষ প্রাধান্য পেয়েছে তা জানি না। তবে, যেটুকু দেখেছি তাতে একমাত্র কালযাত্রী ছাড়া আর কাউকেই আমার কাছে শেখ মুজিবের প্রতি ব্যক্তিবিদ্বেষ নিয়ে তাঁর বিরোধিতা করেছেন বলে মনে হয় নি।
আর আল্লাচালাইনা অ্যাড্রেনালের প্রভাবে যে লেখাটা লিখেছিলেন, একটা জোরসে ঘুম দেবার পরে অ্যাড্রেনালের প্রভাব কমে যেতেই কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। বুঝতে পেরে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।
আমার আগের মন্তব্যের শেষ লাইনটা আপনাকে কটাক্ষ করে করা ছিল না, নিজের বিব্রত ভাব লুকোনোর প্রচেষ্টা থেকেই করেছিলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
হুমায়ুন আজাদের কোন প্রবন্ধ সংকলনের মুখবন্ধে একটা লাইন ছিলো এরকম- “তবে আমার আগের লেখা ওই প্রবন্ধগুলোর সাথে এখন আমি আর একমত পোষণ করি না।” ওই লাইনটা পড়ে আজাদের প্রতি শ্রদ্ধা আমার বেড়ে গিয়েছিলো কয়েকগুন। একজন মানুষ যিনি কিনা রিজন বোঝেন অবশ্যই কখনও পূর্বে তিনি কি মনে করতেন সেটাই বারংবার যুক্তি খুঁজ়ে ডিফেন্ড করে যাবেন না। এই যুক্তি খোঁজা ওকালতি বোই কিছুই নয়। আপনি নিজের কোন একটি মনোভাবের জন্য এখন বিব্রত হচ্ছেন দেখে আপনার প্রতিও আমার সন্মান বেড়ে গেলো। যদিও আমি মনে করি এতে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আপনার ধরে রাখা তারুণ্যের জন্য আমার পক্ষ থেকে অভিবাদন জানবেন।
@আকাশ মালিক,
এই কথাটা বোধহয় আমাকে লক্ষ করে বললেন। অবশ্যি আবেগ ধরে রাখা কোন পাপ নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনও নিজের আবেগকে সাপ্রেস করি না, নিজের আবেগকে সাপ্রেস করে চলতে আমাকে দেখবেনও না কোনদিন। তবে, আমার এই নিজের আবেগকে যাচ্ছেতাইভাবে প্রকাশ করার অধিকারই কিন্তু আমার জন্য অয়ে নিয়ে আসে ততোধিক গুরুত্বপূর্ণি একটি দায়িত্ব যে- আমার আবেগ যেন আমার বোধ কে ছাপিয়ে না যায়। আবেগের বশবর্তী হয়ে ফিলিপ লেনার্ডকে আমি যদি গ্লরিফাই করি কখনও, গ্লরিফাই করি তার নোবেল বীজয়, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম তত্বে তার অসামান্য অবদানকে- আমার উপর কিন্তু এটা দায়িত্ব হিসেবেই বর্তায় একজন নাতসী ছিলো বিধায় আগে কিংবা পরে তাকে কিছুটা অ্যাবিউস করে নেওয়া। এটা যদি আমি না করি তবে কিন্তু আপনিই বলবেন “লেনার্ড সম্পর্কে এতোকিছু জানো আর এইটা জানো না সে নাতসি ছিলো?” আর যদি না বলেন তবে আপনারও রয়েছে গভীর গভীর সমস্যা! আপনি মুজিবকে যখন গ্লরিফাই করবেন- আমি মনে করি একইভাবে এটাও আপনার দায়িত্বের ভেতর পড়ে যে- তার করা কুকর্মগুলোর বিরোধীতা আপনি লেখার আগে কিংবা পরে কোন একটা জাগায় করে নিবেন। সেটা না করে আপনি কিন্তু টানলেন- পিয়ালের খোমেনী, ক্যাস্ট্রোর কুরুচীপূর্ণ অ্যানালজিটি। মিরর করার আগে প্রবন্ধটিতো আপনি পড়েছেন। এই লাইনটা আপনি মুছেও দিতে পারতেন। এই লাইনটা কখনই কোন শিক্ষিত সভ্য মানুষদের সমাবেশে ইতিবাচক রিসেপশন পাবে না। এটা আপনি পছন্দ করেন আর অপছন্দই করেম। তবে যেই হোক, আপনি বলেছেন-
এই কথার সাথে কোন বিরোধীতাই নেই আমার। বস্তুত, এই কথার পর অন্তত আমি মনে করি এতোক্ষণ আমাদের যেটা হলো ছোট একটা ভুল বোঝাবুঝিই মাত্র সেটা।
চিন্তার গলদ বলেই মনে হচ্ছে। শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রনায়ক হতে কেউ বলেনি। সে নিজের গরজে পাকিস্তানের বাড়া ভাতে ছাই ফেলেছে। সে জন্য সে বাহবা পেতেই পারে। আপনি যদি বলেন রবীন্দ্রনাথ যেহেতু কবি ছিল সেহেতু গীতাঞ্জলী লেখা তার দায়িত্ব ছিল তাহলে আমার কিছু বলার নাই।
আপনি এই কথাটা যদি সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে বলতেন তাহলে আমার কিছু বলার ছিল না। আমরা গাটের পয়সা খরচ করে তাদের রেখেছি দেশকে রক্ষার জন্য। কিন্তু মুজিবকে কে নিয়োগ করেছিল পাকিস্তানের পশ্চাৎদেশে লাথি মারার জন্য? কেউ না। তাহলে যে লোকটা নিজের জীবন বাজি রেখে তার দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করেছে তাকে আমি কেনো তার প্রাপ্য সম্মান দেব না? বুঝে আসে না।
আমি ধরে নিচ্ছি আপনি কথাটা বলার সময় বিশেষ খেয়াল করেন নি। কিন্তু যদি খেয়াল করে বলে থাকেন তাহলে আপনাকে আমি বলব আবার বিষয়টা ভাবার জন্য। সাথে আরেকটা বিষয় দেই ফ্রী হিসেবে। মুজিবকে যদি রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার জন্য তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার ব্যাপারটা আপনার কাছে সেকেন্ডারি হয় তাহলে আমাদের মাটিকে, আমাদের দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য যে মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধে প্রান দিয়েছে তারা তো মনে হয় আপনার কাছে ধরতব্যই না, কি বলেন? কারন মুক্তিযোদ্ধাদের কাজই তো প্রান দেয়া তাই না?
আর একটা কথা আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস করি যে লোক নিজের জীবন বাজি রেখে শত ত্যাগ স্বীকার করে তার দেশকে বাঁচিয়েছে সেই লোক আর যাই হোক দেশকে রসাতলে ইন্টেনশনালী নেন নি। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমি এর উপরে আলোচনা আশা করি না। বললাম এই কারনে যে মুজিবের মত ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এতও নিম্নমানের ঢালাও আলোচনা মনে হয় আমরা বাঙ্গালী বলেই করতে পারি।( আমি আপনার লেখাটা ব্যাপারে বলছি না এই কথা 🙂 )
@সাইফুল ইসলাম,
প্রাপ্য সম্মান মানে তাঁর কোন কাজের সমালোচনা না করা, তাঁর একনায়কতন্ত্রকে মেনে নেয়া বা সমর্থন করা? আজীবন বাকসাল শাসন প্রতিষ্ঠা সাদরে গ্রহণ করা?। তাহলেত সেই প্রাপ্য সম্মান শুধু বাকসালী বা বাকসাল সমর্থক ছাড়া আর কেউ দিতে পারে না। অনেক মুক্তিযুদ্ধা, আওয়ামী লীগারদেরও অনেকে সেই প্রাপ্য সম্মান দিতে পারে নি। বাঙ্গালীদের অধিকার রক্ষায় মুজিবের ১৯৭১ পূর্ববর্তী ভূমিকার (যার পরিণতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়) স্বীকৃতি কেউ দেয় না বলে শুনিনি। কিন্তু ১৯৭২ এর পরে যা করলেন তা সেটা ঐ রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধেরই অপমান, এবং তা ১৯৭১ পূর্ববর্তী সব অবদানকে ম্লান করে দিল। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এর শাসন একটা সদ্য স্বাধীন দেশের জন্য এক জঘন্য নজীর। এই দুঃশাসনের সবিস্তার আলোচনার জন্য একটা গোটা বই দরকার। লেখাও হয়েছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধারাই, যারা নিজের জীবন দিয়ে যুদ্ধে লড়েছিল, তারাই মুজিব সমর্থক থেকে মুজিব ঘৃণাকারী হয়ে যায়। মেজর ডালিমও একজন মুক্তিযুদ্ধাই ছিল, জীবন বাজি রেখেই যুদ্ধে লড়েছিল। একজন নেতাকে নিঃশর্ত অনন্তকাল পর্যন্ত সম্মান দেয়া যায় না। তাঁর কর্মের দ্বারাই সম্মান মাপা হয়। মুজিব প্রশংসিত হবেন তাঁর ১৯৭১ সালের আগের ভূমিকার জন্য। কিন্তু ১৯৭২ এর পরের ভূমিকার জন্য নিন্দিতই হবেন। ভাল মন্দ বিচার না করে চিরকালের জন্য স্তুতি গাওয়া সেটা তো অন্ধ ভক্তি,ব্যক্তি পূজা। মুক্তমনাদের সেটা সাজে?
চিন্তার গলদটা আপনারই। যে মানুষগুলো মুক্তিযুদ্ধে প্রান দিয়েছে তারা তো মুজিবের ১৯৭২-৭৫ এর দুঃশাসনের জন্য দায়ী নয়। তারা তাদের প্রাপ্য সম্মান পাবেই। বরং ১৯৭২-৭৫ এর দুঃশাসনই সেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি অপমান। কারণ তারা ঐ বাংলাদেশের জন্য রক্ত দেয় নি। মুজিবকে রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার জন্য তার প্রাপ্য সম্মান দেয়ার ব্যাপারটা আবার কি? শুধু রাষ্ট্রনায়ক হবার জন্যই কি সম্মান দেখাতে হয়? সম্মান তো কাজের জন্য দেয়া হয়। ১৯৭২-৭৫ এর শাসন কি সম্মানের প্রাপ্য?
@কালযাত্রী,
ভাইজান ঠেলাঠেলি বেশ ভালোই পারেন বোঝা জাইতেয়াছে। কিন্তু সমেস্যা অইছে ঠেলার কাম ঠেলতে আছেন কোন দিকে যাইতে আছে হেইয়ার দেকে আর দেখতে আছে না।
ব্রাদার,
আমি কোন ব্যাপারে মুজিবকে সম্মান দেয়ার কথা বলেছি আল্লাচালাইনাকে তা কি দেখে মন্তব্য করেছেন নাকি মুজিব বিদ্বেষ থেকে এতগুলো অর্থহীন লাইন মাথায় এসে ঝাকি মারল?
আল্লচালাইনা বলেছেন মুজিব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুজিবের যে অবদান তার প্রাপ্য দেয়া তার কাছে সেকেন্ডারী ব্যাপার।
এখন আপনি বলুন আজকে যদি কোন মেয়ে আমার আর একটা পুলিশের সামনে রেইপ হয় তাহলে আপনি বা পাবলিক কাকে দোষ দেবে? আমাকে নাকি পুলিষকে? পুলিশটা অস্ত্র থাকা সত্বেও যদি কোন পদক্ষেপ না নেয় আর আমি যদি জীবন বাজি রেখে এই কাজে বাধা দেই তাহলে আপনি বা সবাই কি আমাকে বাহবা বা প্রশংসা করবেন না? নাকি বলবেন যে, আরে এটাতো একজন বলদ নাগরিক হিসেবে স্বাভাবিক ছিল? কোনটা বলবেন?
মুজিবকে কোন এজেন্সি পাকিস্তানের পেছনে লাগিয়ে ছিল? কত টাকার বিনিময়ে মিজিব বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল? বাংলাদেশকে স্বাধীন করে মুজিবের কি লাভ হয়েছিল?
মুজিবের বাকশাল ভালো বা মন্দ যাই হোক না কেন মুজিবের যে অবদান বাংলাদেশের জন্য তার কাছে এটা কিছুই না, যেহেতু আমরা বলতে পারছি না তার ইন্টেনশন কি ভালো ছিল নাকি খারাপ ছিল। তারপরেও আমি বাকশাল সংক্রান্ত আলোচনার যাচ্ছি না। আল্লাচালাইনা মুজিবের মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তি অবদানকে স্বীকার করাটাই খুব একটা গুরুত্বপুর্ন মনে করছে না। আর আপনি এসেছেন পরবর্তি ব্যাপার স্যাপারে।
ভুগিচুগি কথাবার্তা কথা বলার আগে দেখে নেবেন কি বলছেন। তাহলে শুধু আমার মত অলস মানুষকে কষ্ট করে কমেন্টস করতে হবে না।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাই বাদ দেন না প্লিজ। চলুন আমরা অন্যান্য বিষয়াদির উপর দৃষ্টিপাত করি। এই নিন অগ্রিম :rose2: আপনি বরং একটি কবিতাই লিখে ফেলুন।
@আকাশ মালিক,
মালিক ভাই আপনি গুরুজন। আপনার কথাই থাক।
@কালযাত্রী,
কেন শুধু নিন্দিতই হবেন ? আমার জানামতে মুক্তমনারা কোন বিষয়ে মতামত দেওয়ার আগে পূর্বাপর সকল প্রেক্ষিত বিবেচনায় আনে। অবশ্যই ৭২ পরবর্তী মুজিব শাসন মসৃন ছিল না ।আইন শৃন্খলা পরিস্হিতি ছিল যাচ্ছেতাই।অর্থনীতি ছিল করুন।এক শ্রেনীর আওয়ামী নেতাদের বাড়াবাড়ী।৭৪এ দুর্ভিক্ষ। রক্ষী বাহিনীর বাড়াবাড়ী। কিন্তু কেন ?
আমরা সবাই ভূলে যাই , এটা ছিল রাস্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের যাত্রা। একটা ধংসপ্রাপ্ত দেশ।যার কিছুই নেই।না সিভিল প্রশাসন,না কোন অবকাঠামো। যোগাযোগ ব্যবস্হা ধংসপ্রাপ্ত।পাকিস্হানী মালিকাধীন কলকারখানা পরিত্যাক্ত।গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত জাসদের গনবাহিনী।তারা শুরু করল রাস্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।দেশকে আবার স্বাধীন করবে।শুরু হল থানা লুট,পন্যভর্তি গুদামে আগুন,পন্যভর্তি নৌকা ডুবিয়ে দেওয়া।তাদের সঃগে যুদ্ধ করার জন্য তৈরি হল রক্ষী বাহিনী। এতসব বিপরীত স্রোতের সংগে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত বাকশালের মত এক ভূল সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন। যা তিনি জীবন দিয়ে শোধ করেছেন।
তাকে কি ৭২ পরবর্তি শাসন এর জন্য “বেনেফিট অব ডাউট” দেওয়া যায় না ?
@ফরহাদ,
আপনি যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের যে দুর্দশার চিত্র আকঁলেন তাতে তো এটা তো আরও ইম্পারেটিভ ছিল যে নির্দলীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, জাতীয় লেভেলে সঙ্কট মোকাবিলায় নিয়োজিত হওয়া। বাকসাল তো আওয়ামী লীগকে জাতীয়করণের অন্য নাম। ইসলামিস্টরা যেমন গোটা মানবজাতিকে ইসলামী উম্মায় আনতে চায়। দলীয় রাজনীতি, দুর্নীতি, বিরোধীদের অবদমন এগুলি তো সঙ্কট মোকাবিলার পদক্ষেপ বলা যায় না। বরং দেশের ঐ সঙ্কট বহুলাংশে তো এরই পরিণতিতে সৃষ্ট। দুর্ভিক্ষ তো আওয়ামী দুর্নীতির ফলেই সৃষ্ট। দুই বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছিল বাংলাদেশ ঐ সময়। দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট। প্রশ্নটা আন্তরিকতার। যে পরিমাণ দুর্ণীতি আর বিরোধীদের নির্যাতন হয়েছিল তাতে এটাই স্পষ্ট ছিল যে ক্ষমতায় থাকা এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সঞ্চয় করাই বড় প্রায়োরিটি ছিল তাদের, দেশের সঙ্কট সমাধানে নয়। ১৯৭২-৭৫ অনেক সময়। আন্তরিকতা থাকলে ১৯৭৫ অনেক এগিয়ে যাওয়া যেত। অ্যান্টনি ম্যাস্কারেনহাসের “Legacy of Blood” পড়লে আপনি আসল চিত্রটা পাবেন, অবশ্য যদি না আপনি পাঁড় আওয়ামী বাকসালী হন।
কিছু উদ্ধৃতি দেই নীচে(ইংরেজীতে) । এর থেকে দেশের সঙ্কট সমাধানের চেয়ে নিজেদের আখের গোছানটাই যে উদ্দেশ্য সেটা পরিস্কার দেখা যাবে।
1. AL members and their friends and relatives were installed in key posts: p-14
2. Lal Bahini was formed and was responsible in the Khulna riot in summer of ’72: p-25
3. Instances of corruption would fill several volumes: p-26
4. Famine an act of man, not God (Grace Samson, Dutch Salvation Army volunteer): p-44
5. Mujibism was developed as a cult wih badges, books and essays: p-30
6. Rakkhi Bahini were Mujib’s bully boys like the Nazi brown shirts: p-37
7. During Operation Cleanup led by Farook as ordered by Mujib, all the criminals captured turned out to be AL: p-47
8. Mujib warned not to nab Awami Leaguers during the cleanup: p-47
9. Nothing like Mujib’s BAKSAL was attempted during the worst time of Pak repression: p-58
10. Shutting up of Opposition, not reform was the objective of BAKSAL: p-59
আরো অনেক কিছুই লেখা যায় ১৯৭২-৭৫ এর দুঃশাসন নিয়ে।
পরে আরো লেখার প্রসংগ উঠবে হয়ত।
@কালযাত্রী,
আমি জানিনা আপনার বয়স কত।৭৪ এ দুর্ভিক্ষর সময় আমি কলেজে পড়ি।এন্টনি ম্যাসকারেনহাসের মুখের ঝাল খেয়ে আমাকে দুর্ভিক্ষের কথা জানতে হয় না।হয়ত আপনার পড়া বইগুলো ৭৪এর স্মরনকালের বন্যার কথা বলতে ভুলে গিয়েছে।হয়ত আরও ভুলে গিয়েছে , PL 480 অধীনে আমেরিকার পাঠানো গমের জাহাজ ফেরত চলে যাওয়া।আপনার পড়া বইগুলো আরও মিস করে গেছে যে বন্যার দু মাসের মধ্যে সরকার অত্যন্ত সাফল্যজনক ভাবে দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করে জিনিষ পত্রের দাম বেশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।(৭৩ এ আরব ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় আরব কতৃক তৈলঅস্ত্র প্রয়োগ করার ফলে সারা বিশ্বে দ্রব্যমুল্য আকাশ ছোয়) ।দুঃক্ষিত, আপনার মত কোন বই এর রেফারেন্স দিতে পারিনি। যা লিখলাম ব্যাক্তিগত অভিগ্গতা থেকে লিখেছি।
সত্যই তো। একজন পাঁড় মুজিব বিদ্বেষীর কাছে কিভাবে আমরা নির্মোহ ইতিহাস আশা করি।
@ফরহাদ,
বন্যা দুঃর্ভিক্ষের কারণ ছিলনা। বন্যার অনেক আগে থেকেই দুঃর্ভিক্ষের ওয়ার্নিং দেয়া হচ্ছিল। বন্যা দুঃর্ভিক্ষকে আরও তীব্রতর করেছিল যেখানে বন্যার প্রকোপ বেশি ছিল। PL-480 এর প্রসঙ্গে বলব যে আপনি দুঃর্ভিক্ষের কারণের সঙ্গে দুঃর্ভিক্ষের সমাধান গুলিয়ে ফেলেছেন। PL-480 এর খাদ্য আসতে দেরী হওয়ায় দুঃর্ভিক্ষ সমাধানেও বিলম্ব হয়। PL-480 সাহায্য না আসাটা দুঃর্ভিক্ষের কারণ নয়। বেশির ভাগ গবেষকদের অভিমত হল দুঃর্ভিক্ষের কারণ ছিল দুটো ঃ (১) ভারতে খাদ্য চোরাচালান (২) খাদ্য বন্টন ব্যবস্থায় গলদ/দুর্নীতি। এই দুটো কারণই আওয়ামী দুর্নীতিরই ফল। আর তেল সঙ্কট কোন বড় ফ্যাকটর ছিলনা। তেল সঙ্কট পশ্চিমা দেশকে বিপাকে ফেলেছিল। বাংলাদেশকে সৌদী আরব ও অন্যান্য ওপেক দেশ সহজ শর্তে ঋণ ও কম দামে তেল সরবরাহ করেছিল। আর প্রচুর বিদেশি আর্থিক সাহায্যও পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর তা ছাড়া ১৯৭৩ এর তেল সঙ্কট খুব ক্ষণস্থায়ী ছিল, প্রায় ৩ মাস। দুর্ভিক্ষ শুরুর আগেই তেল সংকট শেষ হয়।
@কালযাত্রী, সবার ব্যাখ্যা যদি একই হত, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। হয়ত আপনার জানার পরীধি আমার চেয়ে ঢের বেশী।কিন্তু আপনার জানার সঙ্গে আমাকে একমত হতেই হবে এমত নয়।আমার চোখের দেখা আপনার পর্যবেক্ষনের সঙ্গে মিলবে, এমনও কোন কথা নেই। আপনার কথা সত্যি হলে ৭২, ৭৩, এবং অবশ্যই ৭৫ এ দুর্ভিক্ষ হওয়া উচিৎ ছিল।
আর একটা কথা..সেই তেল সংকট এখনও শেষ হয় নি।
@ফরহাদ,
বেয়াইনীভাবে সামরিক বাহিনী কর্তৃক স্পরিবারে মারা পড়ার কারণেশখ মুজিবের প্রতি সহানুভুতি আমি মনে করি সকল সংবেদনশীল মানুষেরই রিয়েছে। বেনিফিট অফ ডাউটও তাকে অনেক ক্ষত্রেই দেওয়া যায়। কিন্তু, ফ্রিডম অফ স্পীচ হরণ করা, ব্যক্তিগত মিলিশিয়ারেইস করা এগুলোর পক্ষে কি ভালো উদ্দেশ্য থাকতে পারে আমি তো জানিনা। এই প্যাটার্নের কাজগুলো মুজিব একাই নয় অনেকেই করেছেন এবং যারা করেছেন তাদের কাউকেই তো বেনিফটঅফ ডাউট দেওয়া হয় না। শেখ মুজিবের জন্য শুধু আলাদা নিয়ম কেনো হবে? কি প্রকারের উজ্জ্বল ভবিষতর কথা মাথয় রেখে একজন রষ্ট্রনায়ক নিজের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সকল পলিটিকাল পার্ট নিষিদ্ধ করতে পারে বলে আপনি মনে করেন, জানার আশায় রইলাম।
@আল্লাচালাইনা,
আপনার কিভাবে মনে হল আমি বাকশাল পদ্বতি সমর্থন করেছি ?
@ফরহাদ, না ফরহাদ এটা আমি কখনই বলছি না যে আপনি বলেছেন আপনি বাকশাল সমর্থন করেন। কোন সংবেদনশীল মানুষই বাকশাল সমর্থন করতে পারেন না। আমার উত্তরটি ছিলো আপনার এই- “তাকে কি ৭২ পরবর্তি শাসন এর জন্য “বেনেফিট অব ডাউট” দেওয়া যায় না ?” উক্তিটির জবাবে। আমি মনে করি কোনপ্রকার ডাউটহীনভাবেই সাধুবাদ পাবার যোগ্য অনেক কাজ শেখ মুজিব করেছে। সেগুলোর জন্য সরাসরিই সে সাধুবাদই পারে ডাউটহীন। কিন্তু কুকর্মগুলোর পেছনে- বিশেষত কুকর্মগুলো যদি হয় সকল পলিটিকাল পার্টি নিষিদ্ধ করে কেঁচকী মেরে ক্ষমতা কুক্ষীগত করার মতো ডেস্পিকেবল কুকর্ম, তবে এগুলোর জন্য তাকে ডাউট না দিয়ে চলুন তার সমালোচনাই করি। এই কাজের জন্য তাকে ডাউট দিতে গেলে আপনার নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে। একজন ব্যক্তিত্বের মেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর ব্যাপারে আলোচনায় নিরপেক্ষতা খুবই খুবই প্রয়োজনীয়, সেটা চার্চিল, স্ট্যালিন, হিটলার, হুযুরেপাক যেই হোক।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার ব্যক্তিগত বিশ্বাস যেটার উপর আপনি কোন আলোচনা আশা করেন না- সেই বিশ্বাসের জন্য আমার পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানবেন। তবে, আমার মতো ইহুদী-সমকামীতা-পর্নোগ্রাফি লাভিং একজন পাঁড় নাস্তিককে আপনি যদি পার্সু করতে চান কোনকিছু তবে নিজের ব্যক্তিগত discussion unwanting personal faith এর চেয়ে সামান্য কিছু বেশি কোনকিছু আপনার বোধহয় প্রয়োজন। আপনার প্রয়োজন কিছু এভিডেন্স। শেখ মুজিবের সম্পর্কে এতোটুকু অন্তত আমি নিশ্চিতভাবেই জানি যে- সে এমন কিছু করেছিলো যা ডেস্পিকেবল, ঠিক এই কাজগুলই করে থাকে একজন একনায়ক কেঁচকি মেরে সকল ক্ষমতা করায়ত্ব করার জন্য। ব্যক্তিগতভাবে আমি যুক্তি খুঁজতে বের হবো না কি কি সৎ উদ্দেশ্যে মুজিব এইসক করেছিলেন। এইসকল কাজের জন্য কারো সমালোচনা করে আমি যদি আমি বাঙ্গালীই হয়ে যাই, তবে কি আর করা যাবে, ভারাক্রান্ত মনে মেনে নিবো নিজের তকদির। by the way, আপনার কবির অ্যানালজিটা কোন অ্যানালজি হয় নাই। একজন কবি ঠিকমতো কবিতা না লিখলে দেশের সকল মানুষের উপর দুর্ভোগ নেমে আসে না।
@আল্লাচালাইনা,
আপনার কথাবার্তায় মনে হয় আপনি বেশ স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড। আমিও তাই। ভালো হল, কথা বলে বেশ আরাম পাওয়া যাবে। 😀
যাই হোক।
মালিক ভাইকে বলেছিলাম যে এই ব্যাপারে আর কোন কথা বাড়াব না। কিন্তু আপনার কথার প্রেক্ষিতে দু এক কথা না বললে ব্যাপারটা নিরামিষ হয়ে যাবে, তাই না বলে থাকতে পারলাম না।আপনাকে আমার দেয়া উত্তরটা আমি আবার পড়ে দেখতে অনুরোধ করব। আমার মূল কথাটা কিন্তু মুজিব ভালো নাকি খারাপ ছিল ঐ ব্যাপারে না। আমার আপত্তি অন্য জায়গায়। আপনি তাকে মুক্তিযুদ্ধে লিড দেয়ার জন্যেও ক্রেডিট দিতে খুব একটা ইচ্ছুক না। আমার আপত্তি এখানেই। বাকশাল তো ভাই পরের কথা। তার জন্য আপনার যত ইচ্ছা হয় ততই খিস্তি পাঠ করেন, কোন সমস্যা নাই। আমার মুল হাদিসে না গিয়ে আপনি কোরানের আয়াত নিয়ে পড়ে আছেন? কেন দাদা?
আমিতো স্পষ্টই বলেছি আমার কথা। আমার ব্যক্তিগত অনুভুতি নিয়ে কেন পড়লেন? দরকার ছিল না।
আপনি আমাকে এভিডেন্স দেখাতে বলেছেন, মুজিব বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে এটা জানার জন্য এভিডেন্স লাগবে? থাক ব্রাদার আমার কাছে এভিডেন্স নাই।
আরেকটা কথা, শুধুশুধু কষ্ট করে আরেকবার একটা কি চেপে ইংলিশ অপশন এনে ইংলিশ লিখতে যাওয়ার কি দরকার। আপনার জন্য সুখবর!!
আমি বাংলা বুঝি। 😀
ধইন্যবাদ। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
:yes:
অযথা ইংরেজী শব্দের ব্যবহার যারা করেন তাদেরকে আমার কেমন যেন ফাকা কলসির মত মনে হয়।
@সাইফুল ইসলাম, আসলে আপনার প্রশ্নটিরই জবাব দিতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আপনার মন্তব্যের পরের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের অংশটুকু পড়ে বিতৃষ্ণায় সেটা মুছে খালি আপনার বিশ্বাসকে সাধুবাদ জানিয়েই মন্তব্য শেষ করি। যাই হোক, আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। আমি বলিনি যে- শেখ মুজিবকে তার কৃতকর্মের জন্য কোন সাধুবাদই আমি দিবো না। আমি শুধু বলেছি যে- ভালো কাজ যতোই শেখ মুজিব করুক, আকাম যা করেছে এটার জন্য আমার কাছ থেকে বিরোধীতাই সে পাবে। আপনার সাথে আমার মতাদর্শের পার্থক্যটা ধরতে পারলেন তো এখন? আপনি বলেছিলেন- ভাল কাজ সে এই পর্যন্ত যা করেছে, সেটার প্রেক্ষীতে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে শেখ মুজিবের করা কুকর্মগুলোর পেছনে কোন ভাল অন্তর্নিহীত উদ্দেশ্য আছে। যুক্তিবোধ এইভাবে চলে না আমি দুঃখিত। আমার রাজনৈতিক প্রিডিস্পোজিশন যদি কিছু থেকেই থাকে- অন্তত অন্য মানুষের সাথে আলোচনার সময় আমি এটা লিশ্চিত করব যে আমার সেই ডিস্পোজিশনের মূ্ল্য আমার কাছে রিজনের মূ্ল্যের চেয়ে বেশী কিছু হয়ে যাচ্ছে না।
জাতরি পতিা বিষয়ট িআসল েসম্মান প্রদর্শনরে বষিয়। অবশ্যই শেখ মুজবি বাঙ্গালী জাতকি েজন্ম দনে নি। কন্তি শুধুমাত্র বাঙ্গালী অধ্যুষতি একট িস্বাধীন রাষ্ট্র এর জন্মদান করার স্বীকৃত িস্বরূপ এ রকম একটা সম্মান তাক েদেয়া হয়ছেলি বলইে আমার ধারনা। অনকে দশেইে তাদরে মহান নায়কক েএভাব েসম্মান প্রদর্শন করা হয়। তার মান েএ নয় য েতারা উক্ত জাতকি েজন্ম দয়িছেনে। এটা সম্পূর্নই সম্মান প্রদর্শনরে ব্যপার। শেখ মুজবি বাংলাদশেরে জন্য যা করছেনে তার জন্য এটুকু সম্মান তাক েপ্রদর্শন করল েমন েহয় বাঙাল িজাতরি মান ইজ্জত তমেন যায় না। পরশিষে,ে তুমুল বিতর্করে জন্য এ ছাড়া আরও জরুরী অন্য বষিয় আছ।ে আমার কাছ েএটা খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয় বল েমন েহচ্ছ েনা।
শুধু একটি প্রবন্ধের উপর ভিত্তি করে অমি রহমান পিয়ালকে “বিরিঞ্চিবাবা” গালি দেওয়াটা খুবই আপত্তিকর। মানুষ অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণী। কেউ কেউ খুব ধার্মিক, কেউ কেউ মোটেই ধার্মিক না কিন্তু ধর্মের সমালোচনা পছন্দ করে না, কেউ কেউ ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামায় না(apatheist)। এখন আপনি সবাইকে ধার্মিকের সমীকরণে ফেলে আলোচনায় অগ্রসর হলে প্রতিক্রিয়াশীলতা থেকে মুক্ত হতে পারবেন না। ইফতারের ঠিক আগে আগে বিদ্যুত চলে যাওয়ার মধ্যেও জামায়াত-শিবির ইসলামবিদ্বেষ দেখে।
এবার আসি আসল প্রেক্ষাপটে। অমি পিয়াল সাধারণত আমারব্লগেই লিখেন এবং সেখানে জামায়াত-শিবির ও বামপন্থীরা প্রায়ই তাঁর পোষ্টগুলোতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বাকশাল নিয়ে এসে ত্যানা পেচানোর চেষ্টা করে। তাদের ভন্ডামোটা তুলে ধরার জন্যই তিনি সমাজতন্ত্রী ক্যাস্ট্রো আর ইসলামিস্ট খোমেনীর উদাহরণ দিয়েছেন, বাকশালকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য ও কথা বলেননি। তিনি খুব ভাল করেই জানেন ওই দু’জনের উদাহরণ দিয়ে সাধারণের কাছে বাকশালকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না, তারা তো বাঙ্গালীর কাছে কোন আদর্শ না।
@পৃথিবী, শুধুমাত্র একটি ব্যাপারে নয় পৃথিবী, পিয়ালের ব্লগ আমি পড়েছি ওর অনেকগুল পোস্টই পড়েছি। এইটা একটিমাত্র ইনফ্ল্যামেটরি কথা নয় যা কিনা সে বলেছে। হাদীস তিরমিজী হাবিজাবি কোট করতেও তাকে আমি দেখেছি- ও ইয়েস সেই তিরমিজী যেখানে কিনা আরও বলা আছে শিশুনির্যাতন, নারীনির্যাতন, বহুবিবাহ, হাত-মাথা কর্তন, পাথড় মেরে হত্যা করা সম্পর্কিত অসংখ্য হাদীস। আর একটিমাত্র ব্যাপার যদি হয় এতোটাই গুরুতর যে- এখানে ক্যাস্ট্রো, খোমেনীকে গ্লরিফাই করা হয়েছে, তবে আমি দুঃখিত এই একটি ব্যাপারের জন্যই সে আমার কাছ থেকে অ্যাবিউস পাবে। ক্যাস্ট্র-খোমেনীকে যে গ্লরিফাই করতে পারে, স্বভাবতই এই যে আমি স্বাধীন হয়ে ঘুড়ছি, কথা বলছি, কাজ করছি এই ব্যাপারগুলোর বিরুদ্ধে তার রয়েছে কঠোর কঠোর অভিযোগ। তাকে আমি অ্যাবিউস করবো না তবে করবোটা কাকে? আর আমারব্লগে অনেক অনেক পাগল ছাগলের ভীড়ে এই লেখাটা সে লিখেছিলো কিনা সেটা বিবেচনা করা আমার দায়িত্ব নয়। মুক্তমনায় এটা মিরর করার আগে আকাশ মালিক এই ইনফ্লামেটরি লাইনটা কেটে দিতে পারতো। এটা না করার জন্যও ‘যে সত্য বলা হয়নি’ লেখক আকাশ মালিককে আমি ছাড় দিতে পারি। তবে পিয়ালের ব্যাপারে আমার অবস্থা একফোঁটাও পরিবর্তিত হচ্ছে না। আপনার পিয়ালকে ভালো লাগলে এর জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার মন্তব্যটা চোখে পড়েনি বলে উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেলো, আশা করি কিছু মনে করবেন না।
অ্যাড্রেনাল পোস্ট পড়তে মাঝে মাঝে খারাপ লাগে না, বরং এক ধরনের মাদকতা পাওয়া যায়। এটাতেও যেতো, তবে সব মাটি হয়ে গেলো বেচারা আকাশ মালিকের উপর অযথা আক্রমণে।
অমি রহমানের প্রবন্ধের সমালোচনার মধ্যেই লেখাটা সীমাবদ্ধ থাকলেই মনে হয় ভাল হতো। আশা করি এতক্ষণে অ্যাড্রেনালের পরিমাণ কমেছে। পোস্টটা থেকে বিতর্কিত অংশগুলো বাদ দিয়ে দিতে পারেন ইচ্ছে করলেই।
@ফরিদ আহমেদ,
হ্যা কমেছে। ঘুম থেকে উঠে সতেজ হয়ে এখন অনেকটা ভালো আছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এখনই বদ দিয়ে দিচ্ছি আগামী এক দেড় ঘন্টার মধ্যেই।
আল্লাচালাইনা,
আপনার লেখার শানিত যুক্তিগুলো (যার অধিকাংশের সাথেই আমি একমত) কারো বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা অবজ্ঞা প্রকাশ না করেও আমার মনে হয় আপনি লিখতে পারতেন। আগে আপনার লেখা পড়েছি, আমি জানি আমার ধারণা অমূলক নয়। কথাগুলোকে আমার উপদেশ দেয়ার ধৃষ্টতা মনে করবেন না। আসলেই, আপনার যুক্তির উজ্জ্বলতা কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে ঐভাবে কয়েকজন পরিচিত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বা অবজ্ঞা প্রকাশ করায়।
আশা করি, ওপরে অভিজিতের আর আমার এই কথাগুলো পজিটিভলি নেবেন।
@ইরতিশাদ,
এটা ঠিক বলেছেন, পোস্টটা এডিট করবো এখন, মন্তব্যগুলোর জবা দিয়েই।
আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি নিশ্চিত আপনার কাছ থেকে আার অনেক অ-নে-ক ব্যাপারেই উপদেশ নেওয়ার রয়েছে। কোন কিছুতে আমার ঘাটতি দেখলে উপদেশ দিবেন না কেনো, অবশ্যই দিবেন। এবং অবশ্যই সেটাকে ধৃষ্টতা মনে করবো না।
কেনো আপনার মনে হচ্ছে আপনি বা অভিজিত নেগেটিভলি নেওয়ার মতো কোন কিছু বলেছেন?
আল্লাচালাইনা,
অবস্থাদৃষ্টে তো মনে হয় লেখাটা দিয়ে ব্লগের দিল-কলিজা ঠান্ডা শীতল করে দিয়েছেন। ব্লগ যেন এইমাত্র এক অপ্রত্যাশিত বৈশাখী ঝড়ের তান্ডব প্রত্যক্ষ করলো। সবাই যেন ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে। চারিদিকে থমথমে নিশ্চুপ নিরবতা। আমার তো হাত পা বরফ হয়ে গেছে ভাই, তাই চেতনা ফিরে পেতে একটু দেরি হয়ে গেল। তবে এ নিয়ে কথা বাড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর মাসে তার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে কিছু লিখতে না পারি অন্তত তাকে আর অপমানিত করাতে চাইনা।
তবে আপনার জ্ঞাতার্থে বলি, লেখাটা আমি লেখি নাই। যেহেতু মূল লেখাটির লিংক নীচে দেয়া আছে এবং লেখক এখানে উপস্থিত নয়, লেখাটির লিঙ্কে গিয়ে তাকে যে কোন নামেই ডাকুন উনি শুনতে পেতেন। আমি বাকশাল, একনায়কতন্ত্র বা মুজিববাদ/মুজিবিজম সমর্থন করে একটা বাক্য বা মন্তব্য করি নাই। একটি দেশের জন্যে শেখ মুজিবের নিজস্ব একটি মতবাদ বা একটি দেশের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তৈ্রীর সমালোচনা আর ধর্মের সমালোচনা কীভাবে তুলনীয় হয় তাও বুঝলাম না। মুক্তমনা ফোরামে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, স্বদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার চিন্তাধারা, তার শাসনকাল সন্মন্ধে জানা বা আলোচনা কেন করা যাবেনা তাও বোধগম্য নয়। আমরা তো এই আলোচনা থেকে অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরেছি। গালি দিয়ে কারো অন্ধবিশ্বাসের জবাব দেয়া বা তার মুখ বন্ধ করে দেয়া মুক্তমনার পরিচয় বহন করে কি না আমার জানা নেই। কোন মানুষই সমালোচনার উর্ধে নয় বঙ্গবন্ধুও নয়। অমি রহমান পিয়ালের লেখাটি বাকশাল / একনায়কতন্ত্রের সাফাই গাওয়ার জন্যে বা কাউকে আহত করার লক্ষ্যে এখানে নিয়ে আসিনি। তবুও আপনি আহত হয়েছেন জেনে আমি সত্যিই দুঃখিত।
@আকাশ মালিক,
সম্ভবত আপনার বক্তব্যটা সার্কাস্টিক। কোনো ধরণের ধ্বংসস্তুপ বানানোর কোনো ইচ্ছাই আমার নেই, ছিলোনা। আর একজন ব্যক্তির কথায় যদি একটা সমাবেশ ধ্বংসস্তুপই হয়ে যায়, সেই সমাবেশের গভীর গভীর সমস্যা রয়েছে কিন্তু।
আমি আহত হইনি আকাশ মালিক। পিয়ালের উপর আমি রাগান্বিত হয়েছি এবং এখনও রাগান্বিত আছি এবং এটা নিয়ে আমার কোন অনুশোচনা নেই। আর আপনার উপর হয়েছি আশাহত, নিজের হত-আশার প্রকাশ না ঘটিয়ে অনেকটা চেপেচুপে যাওয়া যেতো বলে এখন অনুশোচনা হচ্ছে। আকাশ আমি আপনাকে ফার্স্ট নেম ধরে সম্বোধন করবো। এর আগে অন্তত দুটি স্ব্তন্ত্র ইন্সট্যান্সে আপনাকে আমি ভোগাবাজির বিরুদ্ধে ভ্রু কুঁচকাতে দেখেছি। আপনাকে নিয়ে আমি ভাবছিলাম perhaps we share a lot in common afterall. আপনাকে আমার ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং ইম্প্রেসিভ মনে হয়েছিলো। খুবই অল্প সময়ের মধ্যে আনইম্প্রেসিভ মানুষজন আমার স্মৃতি থেকে আপনাআপনি মুছে যায়। মানুষের মন জয় করে নেওয়ার ক্ষমতা আপনার আছে বলে আমার মনে হয়েছে। আপনার লেখা আমি পড়েছি, পড়ে মনে হয়েছে- অন্ততঃ ইসলামের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আমরা একই ক্যাম্পে রয়েছি। ঠিক এই কারণেই আপনার সাথে আমার দ্বিমতের প্রকাশ আমি করেছি কিছুটা প্রদাহীভাবে। আমার প্রকাশ ঠিক এই একইরকম হতো আমার ক্যাম্পের কাউকে যদি আমি নিজস্ব সংস্কৃতির সংরক্ষণের স্বার্থে জারি-সারি-ভাওয়াইয়া গানকে গ্লরিফাই করে পোস্ট লিখতে দেখতাম কিংবা হোমিওপ্যাথি গ্লরিফাই করে পোস্ট লিখতে দেখতাম। আপনি মন খারাপ করে আমার মনটাও খারাপ করে দিলেন। ইচ্ছাকৃতবভাবে দলেন না তো? আগে থেকেই সফলভাবে কল্পনা করে যে- এই অস্ত্র আমাকে ঘায়েল করতে যাচ্ছে? আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, অন্তত একটা ইস্যুতে আমাদের দ্বিমত থাকলেও আপনার মূল্যহ্রাস হয়নি আমার কাছে একফোঁটাও।
@আল্লাচালাইনা,
অন্যের লেখা মুক্তমনায় পোস্ট করা নতুন নয়। পিয়ালের লেখার উপর আকাশ মালিক কোন মন্তব্যও করেন নি।
আপনার প্রতিটি চিন্তা এবং লেখনীতে প্রখরতা লক্ষনীয়। কিন্তু
বাক্যটি আপনার পাঠকের জন্য হতাশাব্যঞ্জক নয়কি?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বুঝতে পারলাম না আপনি কোন সেন্সে কথাটা নিলেন বা বললেন। আমার কাউকে ইম্প্রেসিভ মনে হওয়াটা পাঠকদের জন্য হতাশাব্যঞ্জক হবে কেনো? ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে না তো কোন?
@আল্লাচালাইনা,
ভুল বোঝাবুঝি নয়। আমার কাছে মনে হয়েছিল আপনি যেন হুট করেই কিছু কথা বলেছেন।
ঠিক আছে। ভাল থাকুন।
আপনার পোস্টিংটিতে যথেষ্ট যুক্তি আছে। ভাল লেগেছে। তবে কাল বৈশাখীর মত হাওয়ার বেগটা একটু বেশী।
অন্তরে বাঙ্গালি বেশভূষায় পাকিস্তানী হিসেবেই কি টিকে ছিলাম না ১৯৭১ পর্য্যন্ত? বাংলাদেশ নামক দেশটি তো মুজিবের নেতৃত্বেই হল। from out of nowhere কী ভাবে বলছেন। একটি ব্যাখ্যা করবেন কি?
@নৃপেন্দ্র সরকার,
পিছিয়ে যেতে অনুরোধ করবো, ৭১ এর আগে অথবা ৪৭ এর আগে… অথবা আরো আগে… তখনোকি একই কথা বলবেন ? কতগুলো পিতা দরকার আমাদের ? এখানে বাঙ্গালি জাতির কথা বলা হয়েছে, যারা ভাষার কারনে বাঙ্গালি , বাংলাদেশের কারনে নয়। বাঙ্গালি জাতির পিতা শুনলেই আমার হাসি পায় , ভাবি ওপারের বাঙ্গালীরাও কি এইকথা মানে ? অবশ্য ওরা আমাদের বাঙ্গালি বলে না , বলে বাঙ্গাল…
৭১ এর আগেও আমরা বাঙ্গালি ছিলাম, তার মানে এর আগে আমাদের কোন পিতা ছিল না? ৭১ এর কারনে যদি উনি পিতা হয়ে যান তবে সেটাতো অনেকটা out of nowhere এর কাছাকাছিই…
ধরা যাক বাংলাদেশও কোন একজনের নেতৃত্বে ভেঙ্গে নতুন একটা দেশ হলো, একটা হলে আরো অনেকগুলো ও হতে পারে ধরে নিলাম, তাহলে কতগুলো পিতার সৃষ্টি হবে ? অথচ সবাইতো বাঙ্গালী ই ছিল, বঙ্গালি ই থাকবে।
@অনন্ত নির্বাণ,
এইটা সুন্দর একটা পয়েন্ত বলেছেন। আগে আমার মাথায় আসেনি। ধন্যবাদ।
@নৃপেন্দ্র সরকার, জাতি তৈরী হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে যেমন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া কিংবা অন্যান্য দ্বীপগুলোতে যখন কিনা একটি অভিবাসনকারীর দল একটি নতুন ভুখন্ডে দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা ভাবে নিজেদের সংস্কৃতি তৈরী করে নিতে পেরেছে।খেয়াল করবেন জাতি গঠন করার অনেক অনেক পরে কিন্তু তারা রাষ্ট্র গঠন করে। এইরকম একটি জাতি যার ইতিহাস কয়েকশো বছরের, তার জাতির পিতা থাকতে পারে। কিন্তু যেই জাতিটি প্রাকৃতিকভাবে, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে সম্পুর্ণই প্রকৃতির খেয়ালে হাজার হাজার বছর ধরে বিবর্তিত হয়ে অজকের এই রূপ লাভ করেছে তার পিতা আপনি ঠিক কোন পয়েন্টে নির্ধারণ করবেন। একজন লিবারেটরকে পিতা মানতে হলে প্রশ্ন করবো- বাংলাদেশ কি তার ইতিহাসে মাত্র একবারই পরাধীন হয়ে একবারই স্বাধীন হয়েছে? বাঙ্গালী জাতির পিতা মুজিব হলে শশাঙ্ক কেনো নয়? আমেরিকান জাতির একজন পিতা থাকতে পারে, অস্ট্রেলিয়ান জাতির একজন পিতা থাকতে পারে। তবে, বাঙ্গালি জাতির পিতা কি করে হবে? বাঙ্গালি জাতিটি তো কোন তৈরী করা জাতি না। হাজার হাজার বছরের ইতিহাসকে কাচকলা দেখিয়ে মাত্র চল্লিশ বছর আগে একটা ফাক পেয়ে ফুচুত করে ঢুকে কেউ জাতির পিতা হয়ে গেলে ঝামেলা হয়ে যায়। এটাকেই বোধহয় আমি from out of nowhere বলেছি। এখানে উল্লেখ্য হলো- মুজিব নিজে কখনও ঘোষণা দেননি যে- “এই আমি কিন্তু তোমাদের জাতির পিতা।” মুজিবকে পিতা বানিয়েছে অপার্চুনিস্টিক কিছু চামচার দল। এবং যেই প্রক্রিয়ায় বানিয়েছে, তাতে শুধু পিতা নয়- জাতির একজন মামা, খালু এবং দুলাভাইও বানানো সম্ভব। শেখ মুজবের মূ্ল্য বৃদ্ধি হয়নি একফোঁটাও।
একনায়কতন্ত্রকে কোন মুক্তমনই সমর্থন করতে পারেনা। ইসলাম এবং একনায়কতন্ত্র একে অন্যের পরিপুরক।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়ার দুর্নামের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী যে শক্তিটি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল তার দায় দায়ীত্ব কে নেবে? স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিটি যে এখন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে দেশে ইসলামী প্রজাতন্ত্র তথা একনায়কতন্ত্র কায়েম করার সপ্ন দেখে সেটারই বা সমাধান কিসে?
শেখ মুজিবের সমালোচনার সাথে সাথে স্বাধীনতা বিরোধী এই শক্তিটির তথা ধর্মীয় রাস্ট্র উন্থানের এই ভয়ংকর দিকটিও ভেবে দেখতে হবে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
কয়েকটা পালটা প্রশ্নোত্তর করা যাক তার আগে। স্বাধীনতা বিরোধী কে/কারা? জামাত অবশ্যই স্বাধীনতা বিরোধী ছিল। জামাত ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির বিরোধীতাও করেছিল, যে পাকিস্তানের জন্য মুজিবও আন্দোলনে নেমেছিলেন সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে। জামাত জিন্নাহকে কাফির বলত। জামাতের লক্ষ্য ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা। এজন্যই যখন জামাত দেখল জিন্নাহর মত পশ্চিমা উদারমনস্ক নেতার দ্বারা পাকিস্তান সৃষ্টি হতে চলেছে তখন তারা এর বিরোধিতা করল। জামাতের এক চিন্তা ইসলাম। তাদের কাছে ইসলামী বাংলাদেশ ধর্মরপেক্ষ পাকিস্তানের চেয়ে শ্রেয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে ইসলামী বাংলাদেশের কোন সম্ভাবনা দেখলনা বলে এর চেয়ে অখন্ড পাকিস্তানই তারা পছন্দ করেছিল। কিন্তু এখন তাদের স্বপ্ন ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। সেটা জামাত কেন সব ইসলাম পন্থী দলেরই লক্ষ্য। খেলাফতে মজলিশেরও, যার সাথে আওয়ামী লীগ আঁতাত করেছিল ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে। জামাত ১৯৭৫ সালের পর একবারো ক্ষমতায় আসেনি। কিন্তু জামাতকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়ই রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগই প্রথম বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য জামাতকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ১৯৯২-৯৬ সালের মধ্যে। এরপর বিএনপি ও তাদের দেখাদেখি ১৯৯৬-২০০০ সময়ে আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার জন্য জামাতকে কাজে লাগায়। তাহলে এটার দায়িত্ব কার? কে এই ঘৃন্য কাজ প্রথমে শুরু করল? দায়িত্ব দু দলেরই কিন্তু শুরু করার জন্য আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আরও গুরুতর। কাজেই আপনার কথামত “শেখ মুজিবের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যাওয়ার দুর্নামের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে” জামাত প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল তা নয়, বরং আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার দ্বন্দে উভয়ই জামাতকে কিংগ মেকার হিসেবে কাজে লাগাতে গিয়ে রাজনীতিতে জামাতকে প্রতিষ্ঠিত করল। কিন্তু এই কিংগ মেকার কাজটি আওয়ামী লীগই শুরু করে। “তার দায় দায়ীত্ব কে নেবে?” এই প্রশ্নের উত্তর এখানেই নিহিত। শেখ মুজিব বা বাকসালের সমালোচনা (বা যে কারো সমালোচনা) করার সময় কোন শর্ত জুড়ে দেয়া ঠিক নয়। খারাপকে খারাপ বলাই উচিত। সেটা যেই হোক। এক খারাপকে খারাপ না বলার জন্য অন্য খারাপকে অযুহাত হিসেবে দাঁড় করান কপটতা। আরেকটা কথায় আসি। আগেই বলেছি জামাত বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসেনি (ভাগ্যিস)। বাংলাদেশে যে ইসলামীকরণ দেখছেন সেই কুকাজটি এরশাদের। ওয়াহাবী ইসলামের আমদানী বাংলাদেশে এরশাদ আর পাকিস্তানে জিয়াউল হক এই দুই বদমাশের কারণে। এরশাদ টানা নয় বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। আওয়ামী, বিএনপি কেউই এখন এত লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ শাসন করেনি। দেখা যায় আওয়ামী/বিএনপি দলীয় রাজনীতির একচেটিতা বিতর্ক করতে গিয়ে এরশাদের শাসনের কুপ্রভাবকে ভুলে যায় মানুষ। আর এই এরশাদকেও আওয়ামী লীগ কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছে অনেকবার। এরশাদ নিজেও জে.পি যে আওয়ামী লীগের বিটিম সেকথা বলেছে। যে এরশাদ ক্ষমতায় গেলে শরিয়া আইন চালু করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনার মন্তব্যটির যেই উত্তর আমি করব পরিকল্পনা করেছিলাম, সেই উত্তর করলে কালযাত্রী স্বত্বাধীকার লঙ্ঘন দাবী করে বসবে। আমার যা যা বলার ছিলো তার সবটুকু বাক্যে বাক্যে অক্ষরে অক্ষরে সে বলে দিয়েছে। আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে- যে স্বাধীনতা পছন্দ করে না, পরাধীন থাকতে চায়, তার গায়ের উপর লেইডি গাগা চড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, চাবুক হাতে, ল্যাটেক্স পরিয়ে।
প্রকৃত মুক্তমনার কথা। ইসলামিজম আর আর মুজিবিজম দুটোই ডক্ট্রিন। দুঃখজনক হলেও সত্য যে যারা ইসলামিজমকে সুন্দর যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে তাদেরই অনেকে আবার মুজিবিজম এর অন্ধ ভক্ত আর এর সমর্থনে নানা রকম আবেগপূর্ণ কুযুক্তির আশ্রয় নেয় আর মুজিববাদ/বাকসালের সমালোচকদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে, তাদের পাকি/জামাতি এজেন্ট বলে অভিযুক্ত করে, ঠিক যেমনটি ইসলামিস্টরা ইসলামের সমালোচকদের মার্কিন ইহুদী চক্রের এজেন্ট বলে অভিযুক্ত করে। কি অদ্ভূত সাদৃশ্য। জামাত এবং সকল ধর্মীয় ভিত্তিক দল এক ধ্বিকৃত শক্তি। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু মুজিববাদ/বাকসালের সমালোচকেরাও যে জামাত এবং অন্যান্য ইসলামী অপশক্তির বিরোধী হতে পারে এই সহজ সত্যটা তাদের মাথায় ঢুকে না। আপনার পোস্ট এই সত্যটা বোঝাতে অনেকটা সাহায্য করবে আশা করি।
@কালযাত্রী,
আমাকে যদি কেউ হুমকী দেয় ‘এইবার কিন্তু রাজাকার বলবো।’ আমার উত্তর হবে ‘what makes you think I care রামছাগল?’ আমি রাজাকার না ওসামা বিন লাদেনের ভাইগ্না লাগি সেটা প্রকাশ করবে আমর বক্তব্য, অন্য কিছু নয়।
আল্লাচালাইনা,
পোস্ট পড়ে মনে হল আসলেই অ্যাড্রেনালের পরিমাণ বেশি হয়ে গেছে। 🙂
আপনার মূল কথাগুলোর সাথে আমি শতভাগ একমত, কিন্তু আপনার এপ্রোচের সাথে নই। অমি রহমান পিয়াল এখানে লেখেন না। তার একটি ফরওয়ার্ডেড আর্টিকেলের জন্য ‘বিরিঞ্চি বাবা’ গাইল শুনতে হলে একটু মনে হয় অন্যায়ই হয়ে যাবে। আর, মন্তব্যে আপনি যাই লিখুন কোন পোস্টে অযথা কোন ব্লগারের নাম আনলে আগুনে ঘি ঢালার মতোই হয়ে যায়। আব্দুর রহমান আবিদের প্রসঙ্গটি সেরকমই একটি উদাহরণ। আসলে সত্যি বলতে কি জীবনের সব কিছু সাদা কালো – এই ভাগে ভাগ করে বোধ হয় সব সময় দেখা সম্ভব নয়। পরষ্পরবিরোধিতা বলুন, কন্ট্রাডিকশন বলুন – অথবা একাডেমিক টার্মে এন্টাগোনিজম – সব মানুষের মধ্যেই কম বেশি আছে। এমনকি যারা প্রগতিশীল, তাদের মধ্যেও অনেক সময় গর্ভপাত, গে ম্যারেজ প্রভৃতি বিষয়ে দ্বিমত করতে দেখা যায়। অনেক সময় পলিটিকালি লিবারেল হলেও ফিনানশিয়ালি কনজারভেটিভ হতে পারেন – কেউ যদি বড় আকারের সরকার পছন্দ না করেন। কেউ ফ্রিথিংকার হবার পরেও কেউ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সমর্থন করতে পারেন, কেউ বা সমাজতান্ত্রিক, কেউ বা কিছুটা মিক্সড (ওয়েল ফেয়ার স্টেট গুলোর মত)। এটা নির্ভর করছে ব্যক্তিবিশেষের সামাজিক এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভংগির উপর। সব মানুষের সব এন্টাগনিজম আপনি এক মুহূর্তে নির্মূল করতে পারবেন না, এটা এমনকি সমাজতাত্ত্বিকরাও স্বীকার করেন। যা আমরা করতে পারি তা হল এন্টাগনিজম কমিয়ে আনা। অযথা যাতে উদ্দীপক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় – সে দিকে কিন্তু আমরা খেয়াল রাখতে পারি, অ্যাড্রেনালের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে 😀 । আপনি বুদ্ধিমান – এর চেয়ে বেশি বোধ হয় বলবার কিছু নেই।
যদি সম্ভব হয় অ্যাড্রেনালের বর্ধিষ্ণু বাক্যাংশগুলো পরিমার্জন করলে খুশি হব।
@অভিজিৎ, বস্তুত আপনার আর লীনা রহমানের ঔতসুক্য দেখেই পিয়ালের ব্লগ দেখলাম আমি। অনেকগুলো ইনফর্মেটিভ পোস্ট রয়েছে। তবে এই যে আলোচ্য পোস্ট সে লিখেছে, এটাকে কোন পোস্ট বলবো না আমি। এটা মধ্যযুগীয় কোন পথকবির সম্রাটকে লক্ষ্য করে লেখা স্তুতিগাথা। আমি যদি মুজিব হতাম, আর ওর এই পোস্ট যদি তিনি আমার রাজদরবারে ঘুরে ঘুরে নেচে আবৃত্তি করতেন, তার কোমড়ে আমি একশো দিরহামের একটি থলে গুঁজে দিতাম বোধহয়, বকশিশ সরূপ। তাকে আমার অনিরপেক্ষ ও অপার্চুনিস্টিক মনে হয়েছে। রাজনৈতক বিষয়ে লেখা কোন পোস্টে কেউ নিজের নিরপেক্ষতা ধরে রাখতে না পারলে এটাকে আমি চামচামী বলবো। আমি আমার পোস্ট থেকে সবার নাম তুলে দিচ্ছি।
পোস্টে সহমত। যে কোন ধরনের একনায়কতন্ত্রকে সাপোর্ট করার কোন যুক্তি থাকতে পারে না। শেখ মুজিব হলেও না। :yes:
@হোরাস, 🙂 আমারও তাই মত। ফ্রিডমের জন্য মানুষ রক্ত দিয়েছে। আমার ফ্রিডম পছন্দ না হলে আমি সৌদী আরব চলে যেতে পারি, ইরান কিংবা কিউবা যেতে পারি তাই না? আমার মতে ফ্রিডম যাদের পছন্দ নয় তাদের জন্য আলাদা একটা ইরান স্টাইল রাষ্ট্র থাকা উচিত, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য একনায়কতন্ত্র সমর্থন করার মানেটা হলো অনেকটা এইরমক যে- ‘আমি ফ্রিডম পছন্দ করি না, তুমি করে থাকলেও I don’t care, বাংলাদেশকে আমি ইরান বানাতে চাই, বানিয়ে আমি তাতে বসবাস করবো।’ সিক তাই না?
@আল্লাচালাইনা,
বাহ্। 🙂
@হোরাস,
আপনের খোঁজখবর তো দেখি না। আপনার পাদ্রী ইভান্সের বিশ্ব-এর মত লেখা মিস করি। দিয়েন মাঝে সাঝে।