হোসেয়ারী শ্রমিক এসোসিয়েশন

মোকছেদ আলী*

১৯৫৫ সাল। পাবনা হোসেয়ারী মিল ওনার্স এসোসিয়েশনের অফিস ঘরে রুদ্ধদ্বার কক্ষে মিটিং। সভাপতি সাহেব সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখিলেন- আমাদের গোডাউনে মজুত মালের সংখ্যা বিপুল পরিমাণ। রানিং ক্যাপিটাল সবই আবদ্ধ হইয়াছে। আমাদের আর সাধ্য নাই কারখানা চালু রাখি। এমত অবস্থায় যদি বন্ধ ঘোষণা করি তাহা হইলে হোসেয়ারী লেবার এসোসিয়েশনের পক্ষ হইতে, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য যে চাপ দিবে, যেসব দাবী দাওয়া চাহিবে, তাহা পূরণ করিতে গেলে, আমাদের বিপুল অংকের টাকা ক্ষতি দিতে হইবে। এমত অবস্থায় এখন আমাদের কী করা কর্তব্য- সেটা আপনারা পরামর্শ করিয়া স্থির করুন।

নানা জনে নানা মত্ ব্যক্ত করিলেন। কিন্তু কাহারও মত‌-ই যুক্তিযুক্ত হইল না। অবশেষে আলম হোসেয়ারীর মালিক আকতার জামান একটি সিদ্ধান্তের কথা ব্যক্ত করিলেন। তাহার সিদ্ধান্তই যুক্তিসঙ্গত বলিয়া সকলেই রায় দিলেন। সভার কার্যক্রম সমাপ্ত হইল। সকলেই হাসিমুখে চলিয়া গেলেন।

হাজী আকতার জামানের পুত্র মোহিত মিয়া পিতার সহিত, শ্রমিকদের পক্ষ হইয়া দারুন কলহ বাধাইয়া দিল। সংবাদটি বিদ্যুৎবেগে শহরময় রাষ্ট্র হইয়া গেল। পরদিন মোহিত হোসেয়ারী লেবার এসোসিয়েশনের অফিসে গিয়া শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে একজোট হইয়া শ্রমিকদের পক্ষে জোড়ালো ভাষায় নিজ পিতা তথা সকল হোসেয়ারী মিল মালিকদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করিল। শ্রমিক নেতাগণ মোহিতের বক্তৃতায় ধন্য ধন্য করিল।
মোহিত পকেট হইতে এক হাজার টাকা শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য এসোসিয়েশনের ফান্ডে দান করিল। শ্রমিক নেতাগণ রেজুলেশন করিয়া মোহিতকে হোসেয়ারী লেবার এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত করিল।

ঐদিন বিকালে আকতার জামান পুত্রের এহেন বক্তৃতায় এবং লেবার এসোসিয়েশন ফাণ্ডে এক হাজার টাকা দানের কথায় ভীষণ কলহ হইল। এক পর্যায়ে বলিষ্টকায় যুবক পিতা আকতার জামানকে প্রহার করিতে উদ্যত হইল। উপস্থিত জনতা মোহিতকে ভর্ৎসনা করিয়া নিরস্ত করিয়া দিল।

পরক্ষণেই শহরময় রাষ্ট্র হইয়া গেল আকতার জামান তাহার পুত্র মোহিতকে গৃহ হইতে বহিষ্কার করিয়াছেন। মোহিত শহরের একটি বাসা ভাড়া করিয়া স্ত্রী পুত্র লইয়া ভাড়াটিয়া বাসায় চলিয়া আসিল। পরদিন শহরে সংবাদ ছড়াইয়া পড়িল- পুত্রের ব্যবহারে আকতার জামান গুরুতর অসুস্থ হইয়া পড়িয়াছে। শহরের বড় বড় ডাক্তার আকতার জামানকে চিকিৎসা করিতেছে। মোহিত এই নিদারুন সংবাদ শুনিয়া পিতাকে দেখিতে তো গেলই না, উপরন্তু শ্রমিক নেতাদের নিকট পিতার প্রতি জঘন্য ভাষায় গালিগালাজ করিল।
লেবার এসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা, দক্ষ অদক্ষ মিলিয়া প্রায় ৭ হাজার।

মাইকে ঘোষণা হইল- আগামীকাল বিকাল চার ঘটিকার সময়, শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য একটি জরুরী সভা হইবে। সমিতির সকল সদস্যগণকে জিন্নাপার্ক ময়দানে তাদের দাবী দাওয়া সম্বলিত ফেস্টুন প্লাকার্ড লইয়া সভায় উপস্থিত হইবার জন্য সকল শ্রমিক ভাইদের অনুরোধ করা যাইতেছে। জিন্না পার্কে বক্তৃতা মঞ্চ তৈরী করা হইল। বেলা ৩ টা হইতেই ফেষ্টুনসহ দলে দলে শ্রমিকগণ উপস্থিত হইল। বিভিন্ন বক্তা মালিকদের জুলুমের কথা বলিয়া গরম গরম বক্তৃতা করিল। অবশেষে মঞ্চে মোহিত আরোহণ করিয়া, শ্রমিকদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা শুরু করিল।

আমার প্রাণপ্রিয় হোসেয়ারী শ্রমিক ভাইয়েরা, তোমরা জানো- একতাই বল। তোমরা সবাই একতাবদ্ধ হও। আমরা তোমাদের দাবী আদায় করিয়া ছাড়িবই ছাড়িব। তোমাদের শ্রমের রক্ত দিয়াই মালিকরা দোতলা তিনতলা দালান করিয়াছে। দালানের লাল ইট কি? তোমাদের গায়ের জমাট রক্ত। তোমরা রাত্রিদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া যে অগাধ অর্থ উপার্জন করো, তাহার কতটুকু ভাগ তোমরা পাও? তোমাদের সন্তানেরা অনাহারে দিন কাটায় আর রোগে চিকিৎসার অভাবে, কুকুর বিড়ালের মত মৃত্যুর কোলে ঢলিয়া পড়ে। আর মালিকেরা তোমাদের শ্রমের অর্থে ভুড়িটাকে নাদুস নুদুস করে। দেহের চিকনাই বৃদ্ধি করে।

সভায় ঘন ঘন করতালি পড়িতে লাগিল। শ্লোগান উঠিল, দুনিয়ার মজদুর এক হও। মালিকদের জুলুমবাজি চলবে না, চলবে না। মোদের দাবী মানতে হবে, নইলে আগুন জ্বলবে জ্বলবে। হোসেয়ারী শ্রমিক জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ।

গলাফাটা শ্লোগানে শ্লোগানে পার্কের আকাশ বাতাস মুখরিত হইল। সাত হাজার শ্রমিকের কণ্ঠের হুংকারে কানে তালা লাগিল। তারপর রেজুলেশনে দাবীনামা লিখা হইল। মাইকের হর্ণে দাবীনামা ধ্বণিত হইল। শ্রমিকদের পক্ষ হইতে মালিকদের প্রতি ১) চেইনওভারলক ম্যানদের বেতন একশত টাকার পরিবর্তে পাঁচশত টাকা দিতে হইবে। ২) যাহাদের বেতন দুইশত টাকা তাহাদের বেতন ১২ শত টাকা দিতে হইবে। ৩) শতকরা ১০ হারে মাগগী ভাতা দিতে হইবে। ৪) শ্রমিকদের চিকিৎসা ব্যয় মালিককে দিতে হইবে। ৫) বৎসরে ২টা বোনাস দিতে হইবে।
‘দিতে হবে, দিতে হবে’ ধ্বনী হইল।

সভাশেষে ৭ হাজার শ্রমিকদের দীর্ঘমিছিল শহরের প্রধান পথ ঘুরিয়া কলেজ মাঠে গিয়া শেষ হইল। সন্ধ্যার অন্ধকারে এক পেট ক্ষুধা আর হৃদয়ে বেতন বৃদ্ধির আশা লইয়া শ্রমিকগণ গৃহে চলিয়া গেল। মালিকেরা প্রেসে মুদ্রিত দাবীনামা গ্রহণ করিল। দাবী নামার শেষে, দাবীপূরণ না করিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুমকিও মুদ্রিত হইল। পরদিন অতি উৎসাহের সহিত মিছিল করিয়া দাবীর শ্লোগানে শহর প্রকম্পিত হইতে লাগিল। ধর্মঘট পূর্ণ মর্যাদার সঙ্গে চলিতে লাগিল। দেশের প্রধান প্রধান দৈনিকে পাবনায় হোসেয়ারী শ্রমিকদের সভা মিছিল, শ্লোগান ও দাবীনামার কাহিনী প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হইল। সেই সঙ্গে মিছিলের দৃশ্যের ছবিও ছাপা হইল। দেশের সংবাদপত্র পাঠকেরা পাবনার শ্রমিক ধর্মঘটের কথা জানিতে পারিল।

গেঞ্জির পাইকারী খরিদ্দাররা টাকার তহবিল লইয়া পাবনা অভিমুখে ছুটিল। কারখানা মালিকেরা ধর্মঘটের দরুন মালের উৎপাদন বন্ধের অজুহাতে ডজন প্রতি ১ টাকা বৃদ্ধি করিল। অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কথা শুনিয়া পাইকারদের চাহিদা বৃদ্ধি পাইল। ৪ শত ডজন চাহিদার কাছে ৫শত ডজনের অর্ডার দিল। সুযোগ বুঝিয়া মালিকরা নাহু নাহু করিয়া নগদ টাকায় মাল বিক্রয় করিয়া গুদাম ছাফ করিল।

অতি উৎসাহের সহিত লেখাপড়া জানা শ্রমিকেরা খবরের কাগজ পড়িয়া অলেখাপড়া জানা শ্রমিকদের শুনাইতে লাগিল। ছবি দেখিয়া, তাহার নিজের ছবি আছে কিনা মিছিলের ছবিতে তালাস করিতে লাগিল। প্রতিদিন শ্রমিকেরা বাড়ি হইতে ভাত খাইয়া আসিয়া পুরোভাগে লাল শালুর উপরে হোসেয়ারী লেবার এসোসিয়েশন, পাবনা, ব্যানার লইয়া মিছিল করিয়া বিকালে শুণ্যহাতে গৃহে ফিরিল।

শ্রমিকেরা নেতাদের কাছে তাহাদের বর্তমানে সংসার চালাইবার পরামর্শ চাহিল। নেতাগণ কহিল- তোমরা দোকানে সাহায্য চাও। পথচারী লোকদের কাছে সাহায্য চাও। তারপর খুব আশ্বাস দিল- মালিকদের সহিত বৈঠক হইয়াছে- তাহারা প্রায় নত হইয়া আসিয়াছে। বেশিদিন ধর্মঘট থাকিবে না। তাহারা দাবী মানিবে বাধ্য হইবে। আর আমরা সরকারের শ্রমমন্ত্রীর কাছে শালিশ মিমাংসার আবেদন করিয়াছি, কাল পরশুর মধ্যে মন্ত্রি মহোদয় আসিবেন। বর্তমান মন্ত্রী একজন শ্রমিক দরদী। তিনি আগে শ্রমিক নেতা ছিলেন।
নেতার আশ্বাস বাণীতে আশায় বুক ফুলাইয়া পেটের চামড়া পিঠে লাগাইয়া চলিয়া গেল। ধর্মঘটের আটদিন অতিবাহিত হইল। চর এলাকা, নাজিরপুর, মুনিয়ারপুর প্রভৃতি দূর অঞ্চলের শ্রমিকগণ স্রোতে গা ভাসাইয়া দিল। নেতারা আছে- মিমাংসা যখন হয় হবে। এখন আমরা পেটের চামড়াডা পিঠ হইতে ছাড়ানোর জন্য অন্য পেশা গ্রহণ করি। কেহ ধান কাটিতে গেল, কেহ মাটি কাটিতে গেল। কেহ শশুড়বাড়ি গেল।

মিছিল হওয়া বন্ধ হইল। সেই সঙ্গে গোডাউন খালি হইয়া গেল।
হোসেয়ারী মিলওনার্স এসোসিয়েশনের অফিস কক্ষ। সমিতির সকল সদস্যই উপস্থিত। আকতার জামান সম্পূর্ণ সুস্থদেহে চেয়ারে গা এলাইয়া দিয়া বিজয়ের উল্লাসে হাস্য করিতেছে। অপর সদস্যগণ তাহার এই বিজয়কে অভিনন্দন করিয়া তাহার সহিত করমর্দন করিতেছে। হাসি ঠাট্টা, তামাশা অনেক হইল। আকতার জামান আরেকটি নতুন পরামর্শ দিল। পূর্বের ন্যায় এবারো সকলে তাহার পরামর্শকে সাদরে সম্মতি দান করিল। অফিস কক্ষের পার্শ্ব রুম হইতে দুইজন লোক- প্রত্যেকের হাতে দুইখানা করিয়া প্লেট। বকের পাখার মত ধবধবে সাদা চীনামাটির মসৃণ প্লেট ভর্তি সন্দেশ, চমচম, রাজভোগ, ক্ষীরমোহন সঙ্গে একটা করে সুবর্ণ রঙের সবরী কলা। সভাপতি সাহেব কহিলেন, এই মদন, আগে আকতার জামান সাহেবকে দে। কয়েকজন কহিল, ঠিক ঠিক ওনার হকই তো আগে। ভিতর হইতে দ্রুত প্লেট দিতে লাগিল। আর মদন ও রফিক দুজনে সদস্যদের সামনে টেবিলের উপর পরিবেশন করিতে লাগিল। সবশেষ প্লেটটি স্থাপিত হইলে হাত না ধুইয়াই খাওয়া শুরু করিল। আকতার জামান জিজ্ঞাসা করিল- এই মদন, এই মিষ্টি কার কাছ থেকে এনেছিস? মদন কহিল- প্যারাডাইস থেকে। কেন? লক্ষীর ওখানে কি হল? মদন কহিল- লক্ষীর সব কর্মচারী এখন প্যারাডাইসে এসেছে, লক্ষী ফেল।

পরদিন আলম হোসেয়ারী পূর্ণ উদ্যমে চালু হইল। সকল কর্মচারী কার্যে যোগদান করিল। শ্রমিকদের আর গৃহে যাইতে দিল না। আকতার জামান কহিল- দেখ, তোরা হলি আমার নিজের লোক। তোদের ক্যা গোয়ার কামুড়, লেবার এসোসিয়েশনে যোগ দেওয়া। এই ১২ দিন বাইরে বাইরে ঘুরে কি ফায়দা হইল। বাইরে যাবি না, কেউ যেন জানতে না পারে। রাত্রে বাড়ি গিয়া চাল ডাল কিনে দিয়া আসবি।

ফারুক হোসেয়ারীর মালিক, তার মিলের কর্মচারীদের ডেকে বলল- আলম হোসেয়ারীর শ্রমিকেরা পুরাদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আর তোরা শ্রমিক নেতাদের কথামত ধর্মঘট করে অনাহারে দিন যাপন করছিস। কাজে যোগদান করে বুদ্ধিমান হ।

দেখিতে দেখিতে সপ্তাহ না যাইতেই, দাবীনামার মিমাংসা না করিয়াই সব শ্রমিকগণ নিজ নিজ কারখানায় যোগদান করিয়া স্বাভাবিকভাবে কাজ করিতে লাগিল। মোহিত বাসা ছাড়িয়া পিতৃগৃহে চলিয়া আসিল।

আকতার জামান ও পুত্র মোহিত দ্বীতলের কক্ষে বসিয়া মুনাফার অংক হিসাব করিতে লাগিল। মোহিত কহিল, ‌আব্বা, আপনার পরামর্শ মতো যখন আপনার সহিত কলহ করিয়া আপনার গায়ে হাত তুলিতে উদ্যত হইলাম, তখন অশিক্ষিত মূর্খ শ্রমিকরা দৃঢ় বিশ্বাস করিল- আমি তাহাদের প্রকৃতই হিতাকাঙ্খী। তারপর তাহারা যখন শুনিল- আমি এক হাজার তাহাদের কল্যাণের জন্য ফাণ্ডে দান করিয়াছি- তাহারা গদ গদ চিত্তে আমাকেই কোষাধ্যক্ষ করিল। আব্বা ৭ হাজার শ্রমিকের নিকট হইতে ৫ করিয়া চাঁদা আদায় করিয়া ৩৫ হাজার টাকা হইয়াছে। তার মধ্যে সংবাদপত্রে সংবাদ পাঠাইতে অন্যান্য খরচ বাবদ হাজার পাচেক গ্যাছে। আর ৩০ হাজার টাকা আছে। এখন কি করিব?

আকতার জামান কহিল ১৫ লাখ টাকার মাল খালাস হইয়া গেল। ডজনে ১ টাকা বৃদ্ধির দরুন, লাখ দুই বৃদ্ধি হইয়াছে। এইবার এই টাকা দিয়া কয়েকটা মোটর গাড়ি কিনিয়া বাসের ব্যবসা করা যাক। আর তুমি শ্রমিকদের মধ্যে ২ টা দল গঠন করাইয়া মারামারি বাধাইয়া দেও এবং তোমার শ্রমিক অফিসে আগুন ধরাইয়া খাতাপত্র কাগজপত্র পোড়াইয়া দাও।

পরের দিন সংবাদপত্রে সংবাদ হইল- পাবনায় দুই দল শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হইয়া স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হইয়াছে। তন্মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। শ্রমিক এসোসিয়েশনের অফিসঘর অগ্নিতে ভস্মিভূত হইয়াছে।

(কিছুদিন আগে ঢাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবী আদায়ের আন্দোলনের খবরাখবর পত্র পত্রিকা ও মিডিয়াগুলো ছিল সরব, ঐ সময়ই মোকছেদ আলীর এই লেখাটির কথা মনে পড়েছিল। আজ পাণ্ডুলিপিটি কম্পোজ করে পোষ্ট দিলাম। -মাহফুজ)
———–
*মোকছেদ আলী (১৯২২-২০০৯)। স্বশিক্ষিত। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলতা গ্রামে জন্ম। বর্তমানে গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন।