বিপ্লব’দা এই ব্লগে লিখেছেন :
মুক্তমনাতে একটি ঈশ্বর, ধর্ম, ইসলাম, মহম্মদহীন সপ্তাহ পালন করা হৌক!
আমি হতাশ হচ্ছি এখানে সাহিত্য, রাজনীতি,অর্থনীতি নিয়ে কোন ব্লগ আসছে না-বিজ্ঞান নিয়ে কিছু ভাল ব্লগ আসছে। তাই ওই এক সপ্তাহে লোকজনকে সাহিত্য বা রাজনীতি বা নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখতে বলা হোক। ঈশ্বরকে নিয়ে বিতর্ক আর কুকুরের লেজ সোজা করা একই ব্যাপার-অনর্থক সময় নষ্ট।
বিপ্লব’দার হতাশা বুঝতে পারছি। তবে এভাবে বলে কয়ে, মাস পালন করে বিশেষ লাভ হবে না যদি না লেখকেরা নিজে থেকে বুঝতে পারি কোনটা আসলে প্রয়োজনীয়। আবিষ্কৃত জিনিস বারবার আবিষ্কারে বিশেষ লাভ আছে, নাকি সেটাকে ব্যবহার করে নুতন কিছু করার চেষ্টা করা উচিৎ সেটা আমাদের চিন্তা করা দরকার।
তবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব কিছু মুক্তমনা কর্তৃপক্ষের আছে বলে মনে করি। আমার নিজস্ব কিছু অবজারবেশন তুলে ধরছি। এই বিষয়ে আপনাদের নিজেদের চিন্তাগুলোও এখানে তুলে ধরে পারেন।
১। প্রথমতঃ নীড়পাতার বৈচিত্র্য ধরে রাখার জন্য কি কি পন্থা নেওয়া যায় সেটা নিয়ে কর্তৃপক্ষ চিন্তা করতে পারে। তবে তার আগে নীতিগত ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে বৈচিত্র্যের প্রয়োজন কি আদৌ আছে নাকি যেভাবে চলছে সেভাবেই ভাল। এটা ট্রায়াল এন্ড এরর এর মধ্য দিয়ে চেষ্টা করতে পারি আমরা। কিছুদিন প্রতিটি বিভাগের সর্বোচ্চ দু’টি লেখা নীড়পাতায় থাকবে এভাবে কোটা করে দিয়ে দেখা যেতে পারে। মুক্তমনায় শুধু ধর্ম বা বিজ্ঞান নিয়েই লেখা আসলে হবে না সাহিত্য, আত্মজীবনি, ভ্রমন, রাজনীতি সব বিষয়ে লেখা আসুক।
তবে লেখক যদি এখানে সব হই একই রকমের সেক্ষেত্রে ধর্ম বা বিজ্ঞান নিয়ে লেখা বেশি আসবে সেটাও স্বাভাবিক। তাই সাহিত্যিক ঘরানার লেখকদের এখানে আসার জন্যেও উদ্ধুদ্ধ করতে হবে, আমন্ত্রন জানাতে পারি। ধর্ম বা বিজ্ঞান নিয়ে যে আন্দোলন বা প্রচার যাই বলিনা কেন সেটাকে শুধু আমাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না রেখে সেটাকে অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের অন্যদেরকেও আকৃষ্ট করতে হবে এই ব্লগে এসে পড়ার এবং লেখার। শুধু মাত্র একই বিষয় নিয়ে সব সময় আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকলে পাঠক হারানোর ভয় রয়ে যায়।
২। দ্বিতীয়্তঃ মুক্তমনার সদস্য পদ নিয়ে আমার চিন্তা হল সদস্য পদে কিছুটা পরিবর্তন আনা উচিত ব্লগের যথাযত নিয়ন্ত্রণের জন্য। এ রকম মন্তব্য আগেও করেছিলাম, তবে বিস্তারিত বলিনি। সদস্য পদ করা যেতে পারে –
ক) পাঠকঃ যারা নিজ নামে শুধু মন্তব্য করতে পারবেন (মডারেশন ছাড়া), কিন্তু কোন প্রকার লেখা পোষ্ট করতে পারবে না। এখন যেমন কোন একজন নুতন ব্যক্তি মন্তব্য করলে তাঁকে একটি একাউন্ট দেওয়া হয় সেটি হতে পারে এই একাউন্ট। কিন্তু উনি যদি মুক্তমনায় লেখা প্রকাশ করতে আগ্রহী হোন তবে এডমিনকে মেইল করলে উনাকে লেখক হিসেবে আপগ্রেড করা হবে।
খ) লেখকঃ একজন লেখক মডারেশন ছাড়া মন্তব্য করতে পারবেন কিন্তু উনার লেখা মডারেশন হয়ে আসবে। আশা করি এই সদস্যের সংখ্যা খুব বেশি হবে না যেন মডারেশনের উপর বেশি চাপ পরে যায়। এক জন লেখক আনুমানিক পাঁচটি লেখা প্রকাশের পর অথবা তিন মাস পর (যেটি পরে আসে) মডারেশন ছাড়া লেখা প্রকাশ করতে পারবেন। এই বাফারটুকু রাখার কারণ হচ্ছে যেন এই সময়ের মধ্য দিয়ে একজন নুতন লেখক মুক্তমনার পরিবেশ এং সহলেখকদের সম্পর্কে একটি ধারণা করে নিতে পারেন। এতে করে অনেক অনাকাঙ্ঘিত ঘটনা রোধ করা যাবে। এই সম্পর্কে কিছুদিন আগেই ঘটে যাওয়া ঘটনাটি উদাহরণ হতে পারে। এটি লেখককে যাচাই করা বা এ রকম কিছু নয়। শুধুমাত্র মুক্তমনার মান ধরে রাখার জন্য কিছুটা বাড়তি সতর্কতা। এই সময়ের মধ্য আশা করি একজন লেখক বুঝতে পারবেন মুক্তমনার উদ্দেশ্য বা প্রত্যাশা কী।
গ) মুক্তমনাঃ ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ড পার হয়ে গেলে হবে এই সদস্য পদ, যারা সরাসরি লেখা এবং মন্তব্য করতে পারবেন। মুক্তমনার বৈচিত্র্য, মান সব কিছু ধরে রাখা এবং একটি সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে মুক্তমনা ব্লগকে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তোলার গুরু দায়িত্ব এদের হাতে। এরাই হবে মুক্তমনা ব্লগের মূল প্রাণ।
৩। তৃতীয় কাজটি হতে পারে বিবর্তন নিয়ে করা আর্কাইভের মত ধর্ম নিয়ে নানান প্রশ্নগুলো নিয়ে একটি আর্কাইভ করে রাখা। এতে কোন সন্দেহ নেই, শুধুমাত্র মুক্তমনায় যে পরিমান তথ্য আছে সেগুলোই যথেষ্ট একজন মানুষকে আলোর পথ দেখাতে যদি না তার চোঁখ বন্ধ থাকে। আমি নিজে অভিজিত’দা, বিপ্লব’দা, অপার্থিব’দা, আকাশ মালিক ভাই, উনাদের লেখা পড়ে অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়েছি। কিন্তু এর জন্য আমাকে লেখাগুলো সব খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। সকলের সেই আগ্রহ নাও থাকতে পারে। তাই সকল লেখাগুলো একটি পৃষ্ঠায় নিয়ে আসলে এবং সাধারণ প্রশ্নগুলো জড়ো করে তার উত্তর গুলো সংগ্রহ করে রাখলে অনেকেরই কাজে লাগবে বলে বিশ্বাস।
এর মাধ্যমে এটিও নিশ্চিত হবে যে একই বিষয় নিয়ে কেউ লেখা লেখার আগে কয়েকবার ভাববে। নুতন কিছু না হলে তিনি লেখা দিবেন না, বা দিলেও সেই লেখা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা মুক্তমনার থাকবে না। সেই সাথে মুক্তমনার নীতিমালায় যোগ করে দেওয়া যেতে পারে যে ধর্ম নিয়ে বা বিবর্তন নিয়ে লেখা দেওয়ার আগে যেন এই আর্কাইভ দু’টো আগে ভালভাবে পড়ে নেয়। আর্কাইভের বাহিরে যদি কিছু লেখার থাকে তবেই যেন এই দুটি বিষয়ে লিখে, যা আর্কাইভেকে আরো সমৃদ্ধ করবে। আমাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত আর্কাইভগুলোকে সমৃদ্ধ করার দিকে, একই বিষয়ে চর্বিত চর্বন নয়।
আপাতত এই আমার দু’পয়সা। বিপ্লব’দার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য লিখতে গিয়ে দেখি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া এই বিষয়ে সকলের আলোচনার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে এটিকে আলাদা একটি পোষ্ট হিসেবেই দিয়ে দিলাম। আপনারা আপনাদের চিন্তাগুলো এখানে জানান। আশা করি সকলের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে মুক্তমনা ব্লগ আরো এগিয়ে যাবে তার কাঙ্ঘিত লক্ষ্যে।
স্বাধীন,
প্রসঙ্গটি উঠিয়েছেন আমি যে টুকু বুঝেছি সেটা হলো মুক্তমনার বৈচিত্র বাড়াতে। আমার মনে হয় এতে মুক্তমনার উদ্দ্যশ্য ক্ষুন্ন হবে। লেখকের স্বাধীনতা অনেকাংশে খর্ব হবে। এধরনের সিদ্ধান্তে না যাবারই পক্ষপাতি আমি। মুক্তমনায় যাঁরা লেখেন সাধারনের তুলনায় উঁচুমানের চিন্তাই তাঁরা করেন এবং তাঁদের স্ব স্ব বোধ থেকেই এই অমূল্য চিন্তা জাগানীয়া বক্তব্য গুলো তুলে ধরেন। আমি প্রতিদিন দৈনিক খবরের কাগজ এক আধটুকু দেখলেও মুক্তমনায় একবার ক্ষনিকের জন্যে ঢুঁ না মারলে স্বস্থি পাইনে। কিন্তু তাইবলে যে, সব ধরনের লেখাই আমি সমান গুরুত্ত্ব দিয়ে পড়ি, তা বোধ হয় ঠিক নয়। এখন প্রস্তাবিত পদ্ধতি কার্যকর হলে হয়তো এমন দিন আসবে যে ওবিষয় গুলো ঠিক মনঃপুত নয় বলে পরক্ষনেই বাধ্য হয়ে অন্যত্র বেড়িয়ে পড়তে হবে। অথচ এখন এটি নাহলে ওটি এমন করে প্রসঙ্গিক অপ্রসঙ্গিক অনেক লেখাই পড়া হয়ে যায়। তাছাড়া লেখকের গুরুত্ত্বও আছে। অনেক সময় বিষয়টি মনঃপুত হলোনা ঠিক-ই কিন্তু লেখকের গুরুত্ত্ববিচারে অনেক লেখাই পড়া হয়ে যায়। এটিও একটি গুরুত্ত্বপূর্ন ব্যাপার বলে আমার মনে হয়। কাজেই লেখার শ্রেণীবিন্যাস করে দিনক্ষন বা সপ্তাহ-মাস মেপে বিষয় ঠিক করে দিলে ‘মুক্তমনা’ নামের গুরুত্ত্ব যেমন হ্রাস পায় সেই সাথে লেখা এবং সাইটের গুরুত্ত্ব-ও মনে হয় হ্রাস পাবার আশংকা থেকে যায়।
রেজিষ্ট্রেশনের ব্যাপারে যা বলেছেন, আমি একমত নই। কোন রকম বাফার প্রয়োগের প্রয়োজন আছে কি? এখানে যারা লেখেন তারা আগে এখানে মনে হয় লেখা পড়েন। তারা দেখেন, কারা লেখেন, কি লেখেন, কাদের জন্যে লেখেন, লেখা-ভাষার মান, ব্লগের সদস্যদের আন্তরিকতা, সহমর্মীতা, মনন-মানসিকতার স্তর, শিক্ষা; তবেই মনে হয় উদ্বুব্ধ হন নিজের মতামত পেশ করতে। অবশেষে নিজেও আত্মপ্রকাশ করেন ব্লগ লিখিয়ে হিসেবে। পদ্ধতিটা আমার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিলো। ডঃ অভিজিৎ রায়কে যে আমি কতো বিরক্ত করেছি, উনি ভুলে গিয়েছেন কিনা জানিনা তবে আমার সব মনে আছে! ডঃ ফরিদ আহমেদ তো আমার মুদ্রণ ত্রুটি সারাতে আমাকে বেশ একখানা ফর্দ দিয়েছিলেন সাথে টিপ্স! এসব আন্তরিকতা এখনো এই ব্লগে অটুট রয়েছে বহালতবিয়তে। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে এসব ব্যহত হবে দারুন ভাবে। আমি এ ব্যাপারে ডঃ অভিজিৎ এবং বন্যা আহমেদ এর মন্তব্য গুরুত্ত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বলবো সবাইকে। আমি জানি আপনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করছেন মুক্তমনার আকর্ষন বাড়াতে। কিন্তু যে প্রস্তাবটি দিয়েছেন তা উপরোল্লিখিত সংগত কারনেই ভালো হবে বলে মনে করতে পারছিনা। কারন, প্রস্তাবের বিষয়ের নিরীখে প্রচলিত ধারাতেই আমি আকর্ষন বোধ করেছিলাম যা আজও অটুট রয়েছে, কাজেই ধারাটি অক্ষুন্ন থাকুক, এমনটিই আমি ভাবছি। তবে সইটটির আঙ্গিক বৈচিত্র সহ আগন্তুকবৃন্দের স্বচ্ছন্দে বিচরণের ক্ষেত্র গুলো আরো মসৃণ করা যায় কিনা ভেবে দেখা যেতে পারে। বৈচিত্র বাড়াতে আপনার প্রয়াস এবং প্রস্তাব নিঃসন্দেহে সাইটিটির প্রতি আপনার ভালবাসা এবং আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ, কিন্তু প্রস্তাবটি শেষপযর্ন্ত ভালো কিছু ফল বয়ে আনবে বলে মনে হচ্ছে না।
আমি মডারেটরদের পক্ষ থেকে লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দেওয়ার পক্ষপাতি না। দিনের পর দিন মুক্তমনার নীড়পাতা জুড়ে ধর্ম নিয়ে পোষ্ট দেখতে হয়ত অনেকেরই ভাল লাগবে না, কিন্তু তাই বলে এক মাস বা কয়েক সপ্তাহর জন্য লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দেওয়াটা লেখকের স্বাধীনতা হরণ হবে। এর চেয়ে বরং লেখার মান রক্ষণাবেক্ষণের দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে, তবে সেখানেও আমি গুটি কয়েক মডারেটরের সাবজেকটিভ বিচারবোধের চেয়ে বরং ব্লগের পাঠকদের সামগ্রিক মতামতের ভিত্তিতে কাজ করার প্রতি পক্ষপাতি।
@পৃথিবী,
মডারেটরদের পক্ষ থেকে লেখার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে দেবার কোন প্রস্তাবনা বা সিদ্ধান্ত এখনো আসে নি। মডারেশনের সঙ্গে যুক্ত যে সমস্ত সদস্যরা এখানে মন্তব্য করেছেন, তাঁরা মূলত তাদের ব্যক্তিগত মতামতকেই তুলে ধরেছেন। প্রত্যেক মডারেটরেরই নিজস্ব মতামত থাকতে পারে ব্যক্তি হিসাবে, থাকতে পারে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। কিন্তু যখন মডারেশন থেকে কোন মতামত, প্রস্তাবনা বা সিদ্ধান্ত আসে, সেখানে সাধারণত মডারেটররা তাঁদের ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের উর্ধ্বে উঠে সর্বোচ্চ নির্মোহতার সাথেই তা করে থাকেন।
এই কথার সাথে আমি একমত। অনেক সময় দেখা যায় কোন লেখা ওপেন করার পর ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে বা নেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে বা ব্যাস্ততার কারণে লেখা পড়া হয়না। এরপর আবার ওই লেখা ওপেন করলে আগের পাঠককেই আরেকজন পাঠক হিসাবে ধরা হয়।সঠিক পাঠকসংখ্যা জানানোর ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। কাজটা মনে হয় শাফায়েত ভাইয়ার জন্য। মডারেটরকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।
সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস বা নৃবিজ্ঞান নিয়ে না ভেবে, ধার্মিকদের মতন ধর্মকে ধর্মগ্রন্থের নিরিখে দেখলে, সেটা খুব একটা উঁচু মানের লেখা হয় না। মুক্তমনাতে বিজ্ঞান নিয়েই একমাত্র উঁচু মানের লেখা আসে-সাহিত্য বা রাজনীতি নিয়ে ভাল লেখা খুব কম আসে। ইতিহাস মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বাইরে খুব কম লেখা দেখেছি। যুক্তিবাদি লেখাগুলি নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা-কারন অধিকাংশ লেখকই তরুণ-তারা যে ধর্মের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন-তা বড় পাওনা। কিন্ত ধর্মকে পুঁততে হলে ধর্ম , দর্শন, সমাজবিজ্ঞান ও ইতিহাসের আরো গভীরে যেতে হবে। তবে হ্যা শুরু হিসাবে এটা নিশ্চয় ভাল।
অর্থনীতি, ইতিহাস, রাজনীতি বা বই এর চর্চা কেন পাঁচ মিশেলী ব্লগের পর্যায়ে পড়বে বুঝলাম না।
মুক্তমনাকে আসলে মুক্তমনার আদলেই দেখা উচিত। এটাকে অন্য ব্লগগুলোর আদলে দেখলে মুক্তমনার উদ্দেশ্যটাই ব্যহত হবে বলে মনে হয়। অবশ্য এটা আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি। ভার্চুয়াল জগতের পাঠকদের কাছে মুক্তমনার অবস্থান সবসময়ই স্বতন্ত্র ছিলো, এটাকে স্বতন্ত্রই রাখা উচিত বলে মনে করি এজন্যে যে, নইলে অন্য ব্লগের সাথে মুক্তমনার কোন ভিন্নতা থাকবে না। আমি একাধিক বাংলা ব্লগে লেখালেখি করি। বলা যায় খিচুড়ি ব্লগার। কিন্তু কিছু কিছু লেখা থাকে যা কেবল মুক্তমনাতেই দেই। অন্য ব্লগ তা কতটুকু ধারণ করবে এ বিষয়ে সন্দেহমুক্ত হতে পারি না। তবে মানসম্পন্ন যে কোন লেখা মুক্তমনা ধারণ করে, এটাই মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য।
মুক্তমনা যখনো ব্লগ আকারে উপস্থাপিত হয়নি, তখনো এর সমৃদ্ধ আর্কাইভ দেখলে অন্য ব্লগের সাথে তুলনারহিত হতে হবে। কী নাই এতে ! কেবলমাত্র জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্যে মনে হয় মুক্তমনার জন্ম হয়নি। তবে যারা বিভিন্ন বিষয়ে গভীর আগ্রহ নিয়ে কিছু জানতে চান তার ঠিকই মুক্তমনায় আসেন। এর আবেদন অন্য যে কোন ব্লগ থেকে অনেক অনেক বেশি। এটাই মুক্তমনার প্রাণভোমরা।
আমার ব্যক্তিগত মতামত থাকবে মুক্তমনা যেন কখনোই হালকা-পাতলা বিনোদনের মাধ্যম না হয়। এ জন্য বহু ব্লগ রয়েছে। কিন্তু অন্য ব্লগে যা নেই, তা-ই রয়েছে মুক্তমনায়। সেই নেইগুলোর জন্যেই আগ্রহী পাঠক মুক্তমনায় আসেন এবং আসতেই থাকবেন। মুক্তমনার এই বিশেষত্ব অক্ষুণ্ন থাকুক।
আমি আমার এ মন্তব্য দ্বারা কোনভাবেই এ পোস্টের উদ্দেশ্যের বিরোধিতা করছি না। মানোত্তীর্ণ বৈচিত্র্যময় লেখা অবশ্যই মুক্তমনায় আমিও আশা করি। এ ক্ষেত্রে মুক্তমনার বহুমাত্রিক লিখিয়েরা একটু আগ্রহী হলেই ঘাটতিটা (যদি আদৌ কোন ঘাটতি আছে বলে মনে হয়) মিটে যায়।
@রণদীপম বসু,
আমার মনের কথা বলে দিয়েছেন :yes: :yes:
@রণদীপম বসু,
:guru: আপনার সাথে একমত না হয়ে পারলাম না।
thank you
পাঠক হিসাবে এই প্রসংগে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এই যে, যখন আমি অনেকগুলো লেখা খুব কম সময়ের ইন্টারভেলে নীড় পাতায় দেখি তখন আমি পছন্দ অনুযায়ী কিছু আর্টিকেলগুলোকে প্রায়োরিটি নম্বর দিয়ে পড়ি এবং মন্তব্য করতে থাকি। তো এই পড়তে পড়তে ও মন্তব্য করতে করতে দেখা যায় যে আরও অনেক লেখা নীড় পাতায় চলে আসছে। তখন হয় কি নতুন আর্টিকেলগুলোর আকর্ষনের কারনে আমার প্রায়োরিটি দেয়া আগের আর্টিকেলগুলোকে হয় দায়সারাভাবে তাড়াহুড়ো করে পড়তে হয় অথবা দায়সারাভাবে না পড়লেও হয়তো কমেন্ট করা হয়ে উঠেনা অথবা একেবারেই ইগনোরড্ হয়ে যায়। কারন সময়টা এখানে একটা বিরাট ফেক্টর।
আমার মতে একটি সাইটের মান বাড়ে তার লেখাগুলোর কোয়ালিটির উপর, কোয়ান্টিটির উপর নয়। আর লেখাগুলোর কোয়ালিটি নির্ভর করবে ঐ সাইটটির নিয়ন্ত্রকগন কি নীতিমালা অনুসরন করছেন লেখাগুলো প্রকাশ করার মান নির্ধারনে। লেখা প্রকাশ করার নীতিমালা প্রনয়ণের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সাইটের উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠাতাগন। যদিও মুক্তমনার ক্ষেত্রে সাইটের তত্ত্বাবধায়ক, লেখক সবাই ভলন্টিয়ার, কিন্তু সাইট যাঁরা পরিচালনা করেন তাঁদের দায়বদ্ধতা লেখক ও পাঠকের থেকে বাস্তবতার নিরিখে অনেক বেশী। কারন লেখক ও পাঠকগন লেখা ও পড়ার জন্য অন্য কোন প্লাটফর্ম হয়তো পাবেন (না পেলে তাঁদেরও কিছুটা ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হচ্ছে), কিন্তু সাইটের মান ভাল না হলে সাইটের প্রতিষ্ঠাতাগনের মহৎ উদ্যোগ ফলপ্রসু হবার সম্ভাবনা কম। এই কথাগুলো আমি বলছি একটি সাইটের মান নির্ধারনে উদ্যোক্তা, লেখক ও পাঠকের ভুমিকার প্রসংগ বুঝাবার জন্য।
বাস্তব কথা হলো পুরো জিনিষটাই যখন voluntarily চলে তখন আমার মতে লেখকের উপর লেখার মান বা বিষয়ের বিভিন্নতা বাড়ানোর জন্য এবং পাঠকের উপর বিভিন্ন বিষয়ের উপর কমেন্ট করার জন্য জোড় দিলে কতটা কাজ হবে সেটা ভেবে দেখার বিষয়। সাধারনভাবে লেখকগন যেমন তাঁদের স্ব স্ব ক্ষমতা ও অভীরুচি অনুযায় লিখবেন তেমনি পাঠকগনও তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী পড়বেন ও কমেন্ট করবেন।
এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এই ব্যাপারে ভীন্নমত অবশ্যই থাকতে পারে।
ধন্যবাদ। 🙂
@ব্রাইট স্মাইল্,
আমিও আপনার মতই পড়ে থাকি ও মন্তব্য করি।
অন্যান্য বিষয়েও আপনার সাথে সহমত।
যারা ধর্ম নিয়ে বেশী লেখা হচ্ছে বলে উদ্বিগ্ন , তারা কেন নিজেরা কিছু ভিন্ন ধর্মী লেখা উপহার দিয়ে বৈচিত্র আনতে সাহায্য করছেন না সেটা ভেবেই আমি ভীষণ উদ্বিগ্ন। বৈচিত্র অবশ্যই থাকতে হবে, বারোয়ারী টাইপের লেখাও ছাপানো যাবে না মানদন্ড বজায় রাখার স্বার্থে, কিন্তু সেটা করতে গেলে যারা এ ব্যপারে উদ্বিগ্ন তাদেরকেই সর্বপ্রথম এগিয়ে আসতে হবে। আমার যতদুর ধারনা, যারা এ ব্লগ সাইটের মডারেটর বা প্রশাসক তারা এটি চালিয়ে পেটের ভাত জোগাড় করেন না বলেই মনে হয়, তাই তারা ২৪ ঘন্টা দেখাশোনা করবেন বা নিজেরা প্রত্যেকদিন কষ্ট করে নিত্য নতূন বিষয়ে লিখবেন সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব না বলেই আমার ধারনা। সেটা সম্ভবও না। তাই যারা সত্যিকার অর্থেই এ সাইটটির ভাল চান ও বৈচিত্র চান তাদেরকে অনুরোধ করব প্লিজ আপনারা একটু এগিয়ে আসুন। তাহলেই হবে।
আরো দু’টো পয়েন্ট মনে হল বলে যাই।
১। প্রথমটি ট্যাকনিকাল, মনে হয় রামগড়ুড়ের ছানা, উনি করে নিতে পারবেন। একটি লেখা কতবার পঠিত হয়েছে সেই সংখ্যাটি কি ইউনিক আইপির কিনা জানি না। তবে আমার কেন যেন মনে হয় এই সংখ্যাটি ইউনিক আইপির নয়। একটি কম্পিউটার বা একটি আইপি থেকে যতবারই ঢোকা হয় সেটা এক হিসেবেই গণনা করা উচিত। এটি খুব জরুরী কিছু নয়, তারপরেও সঠিক সংখ্যাটি জানা গেল সত্যিকার পাঠক সংখ্যা জানা যেত।
২। দ্বিতীয়টি হল যে মুক্তমনার পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। একটি ব্লগএর প্রাণ হল একটি ভাল লেখা। তাই ভাল লেখার প্রচারণার মাধ্যমে নুতন পাঠক সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই কাজে ফেইসবুক একটি ভাল মাধ্যম। আমরা মুক্তমনার লেখাগুলো নিজের প্রোফাইলে দিতে পারি যেন সাধারণ পাঠকেরাও ব্লগটি সম্পর্কে জানতে পারে। এভাবে আপনার বন্ধুর মাধ্যমে, তার বন্ধু মাধ্যমে অনেক নুতন পাঠক পাওয়া যেতে পারে। আমার এই কথা বলার উদ্দেশ্য হল যে এখানকার আলোচনা বা লেখাগুলো সাধারণ মানুষদের জন্যই, শুধু যারা প্রগতিশীল তাঁদের জন্য নয়। এরইমধ্য ফেইসবুকে লেখা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় লিঙ্ক কিন্তু লোর নিচেই রয়েছে। শুধু কষ্ট করে যে লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে, যে লেখাটি অন্যরাও পড়ুক বলে মনে করেন, সে লেখাটি ফেইসবুকে দিয়ে দিন।
@স্বাধীন, মুক্তমনার সদস্য সংখ্যা নিয়ে একটা কথা বলতে চাই। আমার তো মনে হয়, মুক্তমনার মত সাইটের সদস্য সংখ্যা কখনই ( একবিংশ শতাব্দীতে সারা বিশ্বের এবং তার সাথে আমাদের বাঙ্গালীদের সাংস্কৃতিক অবস্থা চিন্তা করলে) মেইন স্ট্রিম ব্লগগুলোর মত হবে না। আমি যতদূর জানি, একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে মুক্তমনা তৈরি করা হয়েছিল এবং সে জন্যই এখানে অনেক ধরণের লেখাকে উৎসাহিত করা হয় না, এবং ইচ্ছা করেই মুক্তমনা সাইটের সদস্য লিমিটেড রাখা হয়, যে কেউ চাইলেই তাকে লেখক হিসেবে সদস্যপদ দেওয়া হয় না। তাই মুক্তমনার সদস্য সংখ্যা কম থাকবে এবং রাখা হবে এটা ধরে নিয়েই আমাদের আগানো উচিত। এগুলো একেবারেই আমার নিজস্ব ধারণা, মুক্তমনার মডারেটররা এর সাথে একমত নাও হতে পারেন।
আরেকটা কথা বোধ হয় আমাদের মনে রাখা দরকার। লেখকরা যেমন একটা ব্লগের ডিরেকশান তৈরি করে তেমনভাবে একটা ব্লগও কিন্তু কিছু লেখক তৈরি করে। আমি এমন ব্লগারদেও চিনি যারা শুধুমাত্র যুক্তি, বিজ্ঞান বা চিন্তার খোরাক জোগানো সাহিত্য বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে লেখা লিখলে মুক্তমনায় পোষ্ট করেন, কিন্তু গল্প, কবিতা লিখলে সেগুলোকে অন্য ব্লগে দেন কারণ তারা মনে করেন না, মুক্তমনা সেটার জন্য উপযুক্ত জায়গা নয়।
রামগড়ুড়ের ছানা বিবর্তনের লেখা নিয়ে অভিযোগ করেছেন। আমি ৫-৬ বছর আগে যখন বিবর্তন নিয়ে লেখা শুরু করি তখন কিন্তু আমি একাই লিখতাম, এখন অনেকেই লেখেন এ বিষয়ে। বিবর্তনবাদ আসলে নিউটন বা বয়েলের সূত্রের মত স্রেফ একটা বৈজ্ঞানিক সূত্র বা মতবাদ নয়। এটা একটা বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গী, আর সে জন্যই জাকির নায়েক বা সাইদিরা ওয়াজের সময়ও বিজ্ঞানের এ বিষয়টা নিয়ে যা ইচ্ছা তাই মিথ্যা কথা প্রচার করেন। লিনাক্সের উপযোগিতা বা আইনস্টাইনের সূত্র নিয়ে তাদের মিথ্যা প্রচারণা দরকার পড়ে না, কারণ মৌলবাদি দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে এগুলোর কোন সরাসরি দ্বন্দ্ব নেই। এ জন্যই মুক্তমনায় বিবর্তন সম্পর্কে ভুল ধারণা নিয়ে আর্কাইভ তৈরি করা হয়, বিজ্ঞানের অন্য কোন বিষয় নিয়ে হয়না। আবার অন্যভাবে চিন্তা করলে বলতে হয়, মুক্তমনায় এ ধরণের একটা আর্কাইভ তৈরি করা সম্ভব কারণ এতগুলো লেখক এখানে এ বিষয়ে লিখছেন। আমি ব্যাক্তিগতভাবে বলতে পারি, খুব স্বার্থপর একটা কারণে আমি এখানে বিবর্তনের উপর লেখগুলো পোষ্ট করি। মুক্তমনা ছাড়া বাংলায় আর কোন ব্লগে বিজ্ঞান লেখা নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা হয় না। বই হিসেবে বের করার আগে এতগুলো আগ্রহী পাঠকের ( যাদের মধ্যে অনেকেই আবার এ বিষয়ে বেশ গভীর ধারণা রাখেন) রিভিউ পাওয়া লোভ থেকেই আমি লেখাগুলো এখানে দেই (তবে রামগড়ুড়ের ছানাকে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে, এবার মানব বিবর্তনের বইটা লেখা হয়ে গেলে আর কোন দিন বিবর্তন নিয়ে লিখবো না ঠিক করেছি অনেকদিন আগেই 🙂 । এবারও প্রকাশকের গুতাগুতিতেই লেখা শুরু করেছিলাম। তাই বিবর্তনের লেখা নিয়ে এই কথাগুলো আমি আমার জন্য বলছি না, অন্যান্য লেখকদের যেন নিরুৎসাহিত না করা হয় সে জন্যই বলছি)। এখানে আরেকটা ব্যাপারও বোধ হয় আমাদের মাথায় রাখা দরকার। মুক্তমনায় যেহেতু বেশীরভাগ লেখকেরা ছোট ছোট ব্লগ লেখেন না, বেশীরভাগ লেখার পিছনেই অনেক গবেষণা থাকে, অনেক সমইয় এর পিছনে বই বের করার একটা লক্ষ্যও থাকে, তাই একই বিষয়ের উপর রিপিটেড লেখা প্রকাশ হলে তাতে আপত্তি জানানো উচিত কিনা তা নিয়েও ভাবা উচিত। এগুলোকে নিরুৎসাহিত করলে মুক্তমনার অনেক লেখকই আর লিখবেন না এবং গবেষণাভিত্তিক লেখাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
আর যারা বৈচিত্র নিয়ে কথা তুলেছেন, তাদেরই মনে হয় এই গুরুদায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিতে হবে। ফরিদ ভাই তো দেখলাম চমৎকার একটা লেখা দিয়েছেন, ওনার দেখানো পথ ধরেই সবাই যদি এ ধরণের বিভিন্ন রকমের লেখা এরও বেশী বেশী করে পোষ্ট করেন তাহলেই তো মনে হয় সমস্যার সমাধাণ হয়ে যায়। নিয়ম করে, বিশেষ বিশেষ লেখার জন্য সপ্তাহ নির্ধারণ করে দিয়ে এসব হবে কিনা সে সম্পর্কে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এসব করার জন্য মডারেটরদের যে সময়টা দিতে হবে তা যে মুক্তমনার মডারেটরদের নেই তা আমি খুব ভালো করেই জানি 🙂 ।
খুব তাড়াতাড়ি করে লিখলাম এই মন্তব্যটা, এক্ষুনি বেড়িয়ে যেতে হবে, অনেক ভুল থাকতে পারে, যা বলতে চেয়েছি তা ঠিকভাবে বলা নাও হতে পারে, আশা করি পাঠকেরা বুঝে নেবেন। কয়েকদিন ইন্টারনেট নাও থাকতে পারে, তাই কেউ উত্তর দিলে হয়তো তা দেখতেও দেরি হয়ে যেতে পারে।
@বন্যা আহমেদ,
আপনার মন্তব্যটিতে সুন্দর কিছু যুক্তি আছে।
হায় হায় এটা কি বলছেন?? আগে প্রকাশকের গুতাগুতিতে লিখেছেন এরপর পাঠকের গুতাগুতি লিখতে হবে 😀 ।
আর যতই বিবর্তন নিয়ে অভিযোগ করি, নিজেই খাল কেটে কুমির এনে বিবর্তন আর্কাইভ এর আপডেট মুল পেজে অ্যাড করেছি।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বন্যাদি বলেছেন, “তবে রামগড়ুড়ের ছানাকে এটুকু নিশ্চিত করতে পারি যে, এবার মানব বিবর্তনের বইটা লেখা হয়ে গেলে আর কোন দিন বিবর্তন নিয়ে লিখবো না ঠিক করেছি অনেকদিন আগেই ”
অর্থাৎ বন্যাদিকে ফিরিয়ে আনার সফটওয়্যার বানানোর জন্য তোমাকে বড়ই অল্প সময় দেয়া হয়েছে। 🙂
@বন্যা আহমেদ,
কয়েকটি বিষয় সঠিক ভাবে উপাস্থাপন করতে পারিনি বলে মনে হচ্ছে, এটা আমারই ব্যর্থতা 😥 ।
আমি সদস্য বাড়ানোর চেয়ে পাঠক সংখ্যা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছি। অন্যভাবে বললে মুক্তমনার লেখাগুলোকে শুধু মুক্তমনাদের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে সাধারণের মাঝে কিভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করার অনুরোধ জানিয়েছি। আপনার বইগুলো যেমন একটি উদাহরণ।
এটা তো কেমন যেন রাগের কথা মনে হচ্ছে 😉 । তাহলে কি বিবর্তন নিয়ে কাজ শেষ হয়ে গেছে বলে ধরে নিব? আমার তো মনে হয় আরো কাজের অবকাশ রয়েছে। এখন বিবর্তনকে গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের আচরণকে বোঝার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অচিরে হয়তো অর্থনীতিকে বোঝার জন্যেও বিবর্তনের কাছে যেতে হবে। আমি তো পুরো জগত এবং জীবনকে এখন বিবর্তনময় দেখছি 😀 ।
এখানে একটু দ্বিমত করছি। গবেষণাভিক্তিক লেখা বন্ধ হবে না এবং সেটাকে নিরুৎসাহিত করা হবে না বলেই বিশ্বাস। কিন্তু যদি কেউ শুধু আপনার বই হতে কিছু নিয়ে কিংবা আকাশ মালিক ভাইয়ের বই হতে কিছু নিয়ে একটি লেখা ছেড়ে দেয় সেটাকে আমি গবেষণা বলবো না। সে ধরণের লেখাকে নিরুৎসাহিত করা কি উচিৎ নয়? বিবর্তন বা ধর্মের উপর অনুবাদ বা গবেষণালব্ধ সব কিছুকেই আমি সাদরে গ্রহন করবো।
@স্বাধীন, @স্বাধীন,
(সরি, একদিন ইন্টারনেট কানেকশন ছিল না, তাই উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। )
নাহ নাহ, এক্কেবারেই না, কি মুশকিল, এটা রাগ করে বলবো কেন? ভালো লেখক না হলে মনের ভাব ঠিক করে বোঝানো আসলে খুবই আসল কথাটা হচ্ছে, খুবই বিরক্ত হয়ে গেছি এই বিবর্তনের উপর, আমার মেয়ে পর্যন্ত আজকাল বিবর্তনের কথা শুনলেই কেমন যেন ক্ষেপে ওঠে। আর অভিও দেখি এখন আবার বিবর্তনীয় সাইকোলজি নিয়ে লেখে, কি যে যন্ত্রণা! আসলে কিন্তু আমি কোন ‘লেখক’ নই, বরং ডেডিকেটেড পাঠক বলতে পারেন। এই ‘বিবর্তন’ নিয়ে লেখালিখির কারণে অন্যান্য বিষয়ের বইপত্র আর তেমনভাবে আর পড়া হচ্ছে না। একটা বই কেমন করে যেন লেখা হয়ে গিয়েছিল ( মনে হয় অভির গুতাগুতিতে বিরক্ত হয়ে লিখে ফেলেছিলাম), লিখতে আমার ভীষণ অনেক কষ্ট হয়, বসলেই কান্না আসে, কেমন যেন সেই মেট্রিক পরীক্ষার সময়কার রাত জেগে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মনে পড়ে যায়। মানব বিবর্তনের বইটার পান্ডুলিপি অগাষ্ট এর মধ্যে দেওয়ার কথা, এখনও অর্ধেকও লেখা হয়নি। ওই দিকে শিক্ষানবিস ব্যাটাও আমার মতই, বইটার অর্ধেক লেখার কথা তার, কোথায় যে হাওয়া হয়ে গেল কে জানে। ভয়ে প্রকাশককে আর ফোন করি নাঃ)।
@স্বাধীন,
:-/ :-/ :-/
স্বাধীন খুব ভাল কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করেছে, এগুলো নিয়ে ভালমতো আলোচনা হওয়া দরকার।
কিন্তু কিছু ব্যাপারে আমার নিজস্ব কিছু অবসারভেশন আছে।
১) আমরা বৈচিত্র চাই, খুব ভালো কথা। কিন্তু কি রকম বৈচিত্র? অন্য ব্লগগুলোর মতো চাই কি, যেখানে বারোয়ারি লেখা আসতেই থাকবে – সাহিত্য গল্প থেকে শুরু করে কুসংস্কার, অলৌকিকতা, অবৈজ্ঞানিক, ধর্মীয়, গাঁজাখুরি, যুক্তিবাদী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, বিপক্ষের – সব ধরণের লেখাই ছাপানো হয় – সেরকমই চাই কি? নাকি আমরা চাই মুক্তমনা যে আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেছে তার আলোকেই লেখা আসুক? আমি ব্যক্তিগতভাবে মুক্তমনাকে বারোয়ারি ম্যাগাজিনের মতো দেখতে চাই না, বরং প্রগতিশীল, যুক্তিবাদী বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগসাইট হিসেবেই দেখতে চাই। তবে অন্যদের মতামতও আমি শুনতে আগ্রহী।
২) বৈচিত্র ধরে রাখার দায়িত্ব লেখকদের। যারা বৈচিত্র নেই বলে হতাশ হয়ে পড়ছেন তাদের উচিৎ বৈচিত্র বজায় রাখার জন্য সাহিত্য, আত্মজীবনী, ভ্রমণ, রাজনীতি নিয়ে বেশি বেশি করে লেখা, এবং সেই সাথে ভিন্নধর্মী লেখাগুলোর আলোচনায় অংশ নেয়া। তা না করে কেন ধর্ম নিয়ে বেশি লেখা আসছে তা নিয়ে প্রশ্ন করে হাহাকার তুললে খুব একটা সুরাহা হবে না।
৩) মুক্তমনা যে আদর্শের উপর গড়ে উঠেছে তার কারণেই একটি বিশেষ ধরণের পাঠক এখানে আসেন, লেখা পড়েন। কেউ বা আসেন বিতর্ক করতে। মডারেটরদের তাদের মধ্যে থেকেই সদস্য বাছাই করে নিতে হয়। আমি ব্লগে ব্লগে গিয়ে লেখকদের মুক্তমনায় লেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে ইচ্ছুক নই, আমার সময়ও নেই। যাদের ভাল লাগবে তারাই আসবে। আগে বিচ্ছিন্ন ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়ে দেখেছি – খুব একটা লাভ হয় না। যারা মুক্তমনায় লেখেন, তারা নিজের প্রেরণাতেই লেখেন, কারো আমন্ত্রণে নয়।
৪) মুক্তমনার সদস্যপদ নিয়ে পাঠক/লেখক/ মুক্তমনা – যে শ্রেনীবিভাগটি স্বাধীন করেছে সেটাই অন্য নামে আছে – পূর্নাঙ্গ লেখক/প্রদায়ক/গ্রাহক নামে। এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া আছে আমাদের মুক্তমনা নীতিমালার পাতায়।
৫) মডারেটরদের আরো এক্টিভ হতে হবে বৈচিত্র আনয়নে। অনেক সময়ই ভাল লেখা পাঠকেরা পাঠান [email protected] এ। কিন্তু সেটা ইমেলেই পড়ে থাকতে দেখেছি দিনের পর দিন। মডারেটরদের উচিৎ এ ব্যাপারে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেয়া। তবে সেই সাথে মানের ব্যাপারেও যত্নবান হতে হবে। লেখা আসলেই ছাপাতে হবে তারও কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সঠিক ব্যালেন্স চাই।
৬) ধর্ম নিয়ে লেখা বেশি আসাতে এখন অনেকে উদ্বিগ্ন। একই উদ্বিগ্নতা কারো কারো মন্তব্যে দেখেছি কিছুদিন আগে যখন বিবর্তন বেশি লেখা আসা শুরু করেছিল। আসলে প্রত্যেকেরই একটা নিজস্ব পছন্দ অপছন্দ অভিরুচি আছে। তার নিরিখেই ব্যাপারগুলো পর্যালোচনা করেন। অযথা উদ্বিগ্ন হয়ে কোন লাভ নেই। বরং সঠিক যাত্রাপথ নির্ধারণ করাটাই মূখ্য।
আরো কিছু পয়েন্ট মাথায় আসলে জানাবো।
@অভিজিৎ দা,
আমিই কিছুদিন আগে একাধিক মন্তব্যে জানিয়েছি বিবর্তন নিয়ে অতিরিক্ত লেখা নিয় অভিযোগের কথা। আসলে ব্যাপারটা কি একি বিষয় নিয়ে একের পর এক লেখা আসতে থাকলে জিনিষটা খারাপ দেখায়। কয়েকদিন আগে আমি লিনাক্স নিয়ে দুটি পোস্ট দিয়েছি, ধরুন হঠাৎ ৪-৫ জন লেখক মিলে একের পর এক লিনাক্স বিষয়ক লেখা দেয়া শুরু করল,মুক্তমনা খুললেই শুধু চারিদিকে লিনাক্স,তখন ব্যাপারটি কেমন দেখাবে?
মুক্তমনার নীতিমালার ভিতরে থেকেই বৈচিত্র আনা সম্ভব। কিন্তু এটার দায়িত্ব আমাদের মত সাধারণ লেখকদের এবং সাথে মন্তব্যকারীদেরই মনে হয় নিতে হবে। কারণ একটি ব্লগের প্রাণ লেখকরাই। সাথে মডারেটররাও কিছু উদ্যোগ নিতে পারেন কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে নীতিমালার চাপে লেখকরা যেন সমস্যায় না পড়ে।
@অভিজিৎ,
আমার নিজেরও মত মূল আদর্শ ঠিক রেখেই বৈচিত্র্য আসুক। আর সে জন্য তো মডারেশন থাকছেই।
ভীষন ভাবে সহমত।
এটিতেও সহমত। যাদের ভাল লাগবে তারাই আসবে। আমি নিজেও এভাবেই এসেছি। তবে যেটা বুঝাতে চেয়েছিলাম সেটা নীচে মন্তব্যে দিয়েছি, তা হল ব্লগ বা ভাল লেখার প্রচারণা। আজকের যুগে সব কিছুরই প্রচারণার দরকার হয়। ফেইসবুকে মাধ্যমে নুতন পাঠক পেলে তার থেকে কিছু নুতন লেখকও পাওয়া যাবে।
এটি জানা ছিল না। আমার কেন যেন মনে হচ্ছি্ল সরাসরি পূর্নাঙ্গ একাউন্ট দিয়ে দেওয়া হয়।
দেখি মানুষজন আরো কি বলে :-/
@অভিজিৎ দা,
এ ক ম ত। বিষয় বৈচিত্র চাই, তবে মুক্তমনার স্বকীয়তা ধরে রাখাও জরুরী। :yes:
@ স্বাধীন,
চিন্তাটিকে উস্কে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :rose:
@অভিজিৎ,
সম্পূর্ন একমত :yes: :yes: :yes:
আরও একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম – বানান বিষয়ক। আমার আগের মন্তব্যটা পোস্ট করেই দেখলাম ‘সূচনা’ বানান ভুল লিখেছি! এরকম সাধারণ বানান ভুল করা মোটামুটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। ঠিক যে করবো সেই উপায়ও নেই, মন্তব্য সম্পাদনা করার অপশন তো তুলে দেয়া হয়েছে 🙁
অত্যন্ত দুঃখিত!
বাংলা একটা ব্লগে কিছু বহুল-প্রচলিত সাধারণ শব্দের বানানপ্রমাদ ‘বাংলা’ ব্লগের অস্তিত্বের কারণটাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। কথাটা আমিসহ সব্বার জন্যই প্রযোজ্য 🙂
স্বাধীন – আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে দারুণ সুচনা! আমার ধারণা মুক্তমনার জন্ম হয়েছিলোই ধর্মের কুযুক্তি খন্ডন করা এবং একটা যুক্তিবাদনির্ভর, বিজ্ঞানমনস্ক লেখালেখির প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানোর জন্য। মুক্তমনা যখন শুরু হয় তখন এধরনের আর কোন সাইট বোধহয় ছিলো না। সেই প্রেক্ষিতে মুক্তমনাকে এ বিষয়ে পায়োনিয়র বলা চলে, এবং সেসময় এটার খুব দরকারও ছিলো। যদিও, আপনার মতো প্রশ্ন আমারও, মুক্তমনা এখনও তার মূল ফোকাস কি সেটাতেই রাখতে চায়, নাকি এই ব্লগের ব্যাপ্তি অন্যান্য দিকেও বাড়াতে চায়। এই উত্তর মডারেটররাই ভালো দিতে পারবেন। খুব সম্ভবত, মুক্তমনার পাঠক যারা তারা বিশেষ করে বিজ্ঞান আর ধর্ম বিষয়ক লেখা পড়ার জন্যই এখানে আসেন। মানে, মুক্তমনার এই পরিচিতি/বৈশিষ্ট্য এতোদিনে সুপ্রতিষ্ঠিত।
আমি নিজে ধর্ম নিয়ে খুব উৎসাহী নই, বিশেষ করে কোরাণের আয়াত সম্বলিত কোন লেখা আমি কখনই পড়ি না। কিন্তু যারা হয়তো মাত্রই মুক্তমনার খোঁজ পেলেন, তাদের জন্য ঐ লেখাগুলোর দরকার আছে। আপনার মতোই তারাও হয়তো অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন সেসব লেখা পড়ে। আপনার ধর্ম বিষয়ক আর্কাইভের প্রস্তাবটা সে হিসেবে চমৎকার।
আমি নিজে বিজ্ঞানের চাইতে সাহিত্যে মানসিক আরাম পাই বেশি। মুক্তমনার মডারেটররা হয়তো বলবেন সাহিত্যনির্ভর ব্লগ তো অনেক আছে, বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা ব্লগই বরং আর নেই। কথাটা ঠিক। তবে তারপরও যদি মডারেটর এবং পাঠক সবাই মিলে আরও বৈচিত্র্য আনতেই চান, আমার সানন্দ অপেক্ষা থাকবে। (কিন্তু, তাই বলে কিছু লিখে সেই আনন্দ বা উৎসাহ প্রকাশ করতে পারবো না ভাই, বরং পড়ে পড়ে এবং মন্তব্য করে করেই সেটা জানান দেবো!)
@স্নিগ্ধা,
এই বিষয়ে কোন দ্বিমত নেই।
আমার মনে হয় না বৈচিত্র্য বাড়াতে কারোর আপত্তি আছে। সমস্যা হচ্ছে কিভাবে সেটা করা যায়। এই লেখার মাধ্যমে লেখকদের কাছে একটি মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করছি যে বৈচিত্র্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভুত হচ্ছে।
আমারো মনে হয় যে আর্কাইভ করা হলে ধর্ম নিয়ে বিতর্ক অনেক কম হবে। এটাই এখন পর্যন্ত আমার কাছে ভাল সমাধান মনে হচ্ছে। দেখি মানুষজন কি বলেন আর এডমিনরা কি বলেন। 😉
বিভাগ ভিত্তিক সাপ্তাহিক কোটা ব্যাবস্থা মনে হয় ভাল, আমিও ভেবেছিলাম তেমন কিছু দরকার।
@আদিল মাহমুদ,
বিশেষ লেখাটির মন্তব্যও কি ঐ বিশেষ সপ্তাহের জন্য সীমাবদ্ধ? যদি না থাকে আবার এলোমেলো হবে। যদি থাকে, মন্তব্যকারীকে কে থামাবে?
@আদিল মাহমুদ,
আমি সাধারণত কোটা-ফোটার বিরুদ্ধে, কৃত্রিম মনে হয়। তবে প্রচলিত হলে অবশ্যই মেনে নেব।
@রৌরব/নৃপেন্দ্র সরকার ,
আমি খুব বেশী গভীর কোন ভাবনা নিয়ে বলিনি। মনে হচ্ছিল যে একই বিষয়; বিশেষ করে ধর্ম নিয়ে পর পর ৩/৪ টি লেখা নিশ্চয়ই সাইটের ফ্রন্ট পেজে দেখতে ভাল লাগে না। যদিও মুক্তমনার বিশেষত্বই মনে হয় ঐখানে। অধিকাংশ পাঠকদেরও উতসাহ ধর্ম বিষয়ক আলোচনায় আছে। এর প্রয়োযনও খাটো করে দেখা যাবে না। যতই ধর্ম অপছন্দ করা হোক, ধর্ম বিষয়ক আলোচনাই সবচাইতে বেশী জমে।
@আদিল মাহমুদ,
যদিও কোটার কথা বলেছি, তবে কোটা পদ্ধতি বিশেষ কার্যকরী হবে না বলে মনে হয়। লেখালেখিতে আসলে কোন প্রকার জোর করার বিষয় নেই। তবে নীচে অভিজিৎ’দা যেমন বলেছেন, বৈচিত্র্য আনার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই। আমরাই কেন অন্যান্য বিষয় নিয়ে লিখছি না। আমাদের তো কেউ নিষেধ করেনি যে আত্মজীবনি বা ভ্রমন কাহিনী বা রাজনীতি নিয়ে লেখা যাবে না। বরং সে সব লেখায় ভাল সাড়া পাওয়া যায়।
লেখার সংখ্যা বিচার করলে অন্যান্য প্রসঙ্গের লেখাও কিন্তু খুব কম নয়। তবে আলোচনার পরিমাণ ধর্মভিত্তিক লেখাগুলিতে বেশি।