আহা-রে-দাড়ি !!!
রম্য রচনা
উত্তর পুরুষ
হুজুর
গত ২১ অক্টোবর ২০০৯ এম জামিলুল বাশারের লিখা “দাড়ি পোশাকের ভূমিকা” প্রবন্ধটি একটি ওয়েব পত্রিকায় পাঠ করিয়া অত্যন্ত অভিভুত হইয়াছি, যাহা ভাষায় প্রকাশ করিতে হইলে আমি অধমের গায়ে ঘাম ঝরিতে থাকিবে। তাই নিয়া মনের মধ্যে নানাবিদ প্রশ্ন আকুলি বিকুলি করিতেছে। এই দাড়ি লইয়া কত না আজব আজব গল্প আছে। আবার দাড়ির গুরুত্ব নিয়া কত না মাস্আলা আছে, তাহা নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে। দাড়ি রাখা সুন্নত , দাড়ি রাখিলে রসুলের দিদার পাওয়া যাইবে। রসুলের একটা সুন্নত পালন করিলে দোজখ হারাম হইবে। প্রত্যেকটি দাড়িতে যতটি চুল আছে দুরুদ পড়ার সাথে সাথে ততটি ছওয়াব ফিরিশতাগণ আমল নামায় লিখিয়া রাখিবেন। অন্ধকার কবরের মধ্যে দাড়ি হইতে আলো বিকিরণ করিবে। কবরের ফিরিশতারা দাড়িতে ধরিয়া সজাগ করিয়া দিবেন। দাড়িতে ধরিয়া প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিবেন । এই ভাবে দাড়ির কথা নিয়া আমাদের সমাজে কত কথা প্রচলিত আছে। ছড়াও আছে যেমন : “আল্লাহর দেয়া নুর – না ছুয়াইও ক্ষুর ” অর্থাৎ দাড়ি সমুলে কর্তন করিও না। মনে প্রশ্নের উদয় হইলো কেন নবী রসুলগণ দাড়ি রাখিলেন ? নিশ্চয়ই আল্লাহর আদেশ কিংবা উপদেশ ছিল। আল্লাহ দাড়ি ভালবাসেন বলিয়াই হয়তো তিনি দাড়ি পছন্দ করেন। তাই যদি হইয়া থাকে তা হইলে নিশ্চয়ই আল্লাহরও দাড়ি আছে। এইটা যুক্তির কথা মনে না হইলেও মনের মধ্যে ঘুরপাক খাইতেছে তা হইলে কি আল্লাহর দাড়ি আছে ? আল্লাহর দাড়ি থাকা না থাকা অবশ্যই হাদীস লেখকগণের কিতাবের মধ্যে থাকিতে হইবে। এইটা আমার বিশ্বাস। কারণ এত পুণ্যময়, মর্যাদাময় ও সম্মানজনক দাড়ির ব্যাপারে যদি কোন কথা না থাকে তা হইলে ধর্মকে বিশ্বাস করিব কেমন করিয়া ? আল্লাহর শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাল্লাল্ লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহকে দেখিবার জন্য বোরাকে চড়িয়া অক্সিজেন বিহীন বাতাস ঝাপটাইয়া উড়াল দিয়া সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত পৌছিয়াছেন। মরিয়া যাওয়া নবীগণের সাথে এক এক আসমানে সাক্ষাত করিয়াছেন। দোজখ দেখিয়াছেন, বেহেশত দেখিয়াছেন। এত কিছুই যখন দেখিলেন তখন কেন তিনি আল্লাহর দাড়ি দেখিবেন না ? আর যদি দাড়ি না দেখিয়া থাকেন তবে তিনি কেন দাড়ি রাখিবেন ? কেনই বা অন্যকে দাড়ি রাখিতে উপদেশ দিয়া ছাগল বানাইবেন ? কেনইবা বুড়া মানুষদের বুড়া বান্দর বানাইয়া হি হি করিয়া হাসিবেন ? আর যদি আল্লাহর রাছুল দাড়ি দেখিয়া থাকেন তাহইলে আপনারা হাদিস কিতাব ঘাটিয়া আমাকে কি দয়া করিয়া বলিবেন আল্লাহর দাড়ি কি রেশমের মত উজ্জ্বল ও মিহি ? উহা হইতে কি জাফরান ও মৃগনাভি কস্তুরীর মতো ঘ্রান ছড়াইয়া পড়ে ? আরও প্রশ্ন জাগে এই দাড়ি কি কাঁচা পাকা ? না চকচকে মেহেন্দি লাগানোর মতো লাল ? যদি দাড়ি লাল হইয়া থাকে তাহা হইলে আল্লাহর দাড়িতে কে মেহেন্দি মাখাইয়া দিল ? যীশু নবীর সম্মানিত মাতা মরিয়ম ? না ফিরিশতার দল ? আর যদি দাড়ি সফেদ হইয়া থাকে, তা হইলে আল্লাহর বয়েস কত হইয়াছে তাহা জানিবার জন্য মনটা হু হু করিয়া কাঁন্দিতেছে। আছেন কি কোন দীন-এ-বুজুর্গ আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিয়া আমার মনে শান্তির বেহেশতি বাতাস বহাইবেন ? আমি খ্রীষ্টান হইতে মুসলমান হইয়াছি এই জন্য আমার প্রশ্ন একটু অদ্ভুত শুনাইতেছে। খ্রীষ্টান পুরোহিতরা যীশুর পিতা কে ছিলেন ? এবং তার জীবদ্দশায় মুর্দা মানুষ জীবিত করার কোন দালিলিক প্রমাণ দেখাইতে পারে নাই বলিয়া আমি ঐ ধর্ম ত্যাগ করিয়াছি। এখন আপনারা যদি আমার প্রশ্নের জবাব দিতে না পারেন তা হইলে বুঝিমু আপনারা ও ধর্মের মুখোশধারী ভুয়া ধার্মিক। কোরআন হাদিছের ব্যাখায় জানা যায় আল্লাহর চোখ আছে তাই তিনি সব কিছু দেখিতে পারেন। আল্লাহর কান আছে তাই তিনি সবকিছু শুনিতে পারেন। আল্লাহর জিহবা ও জবান আছে তাইতো তিনি নবীদের জন্য ওহী বয়ান করিতে পারেন। তা হইলে নিশ্চয়ই দাড়িও আছে।
দাড়ি সম্বন্ধে আমার কতকগুলো সুন্দর ধারণা আছে। কিন্তু আপনাদের দৃষ্টিতে ইহা এক ধরণের ফাজলামি বলিয়া অভিহিত হইতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন প্রশ্ন গুলোর যুক্তি-সঙ্গত জবাব পাইলে আমি বিনয়ে শ্রদ্ধায় ও ভক্তিতে আপনাদের পদ-প্রান্তে লুটাইয়া পড়িব। আমার বিশ্বাস দাড়ি লম্বা করিয়া রাখিলে উহা চুলকাইবার ভান করিয়া কিংবা আঙ্গুল দ্বারা খিলাল করিবার ভান করিয়া দুর হইতে সুন্দরী সতী সাধবী রমণীকে ইশারা দিয়া ভালোবাসার মনোভাব প্রকাশ করা যাইবে। দাড়ি যদি বেশ শক্ত ও কয়েক ফুট লম্বা হয় তা হইলে ধর্মীয় জলসাতে যথেষ্ট ইজ্জত পাওয়া যাইবে। আর বিশ্ব-গিনিস বুকে প্রতিযোগিতা করার একটা দুর্দম খায়েশ পুরণ হইবে। দাড়ি বেশ লম্বা চওড়া হইলে বিল ঝিল বা খালের পানিতে চুবাইয়া চিবুক নাড়াচাড়া করিলে দাড়ির ফাঁকে ফাঁকে তরকারির সাথে একবেলা খাওন যায় ঐ পরিমাণ ইছা মাছ দাড়ির মধ্যে আটকা পড়িবে। এই ভাবে দাড়ির কত যে উপকারিতা আছে তার যেন ইয়ত্বা নাই। আমি এই জন্য বড়ই কৌতুহলের সাথে অপেক্ষায় আছি। আপনারা যদি দয়া করিয়া আমাকে জবাব দেন তা হইলে এই অধম হতভাগার কপালে সৌভাগ্যের পরশমনি অংকিত হইবে।
***********************************************************
আল্যার দাড়ি নিয়ে টুনির ছড়া-
আল্যার আছে দাড়ি
যাব তাহার বাড়ি
করুম একটু FUN
দাড়িতে দিমু টান
আল্যা করবে রাগ
বলবে -ওরে ভাগ
ছাড়বি না মোর দাড়ি?
তোর সাথে মোর আড়ি।
@সৈকত চৌধুরী,
আল্লার কি নাই সম্মান?
এত বড় অপমান!
দ্যাশে হচ্ছে বান,
মানুষের যাচ্ছে জান।
দাড়ি ধরে মারো টান
আল্লা হবে খান খান।
আপনাদের সকলের স্ব স্ব মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে দাড়ির জন্য ধর্মীয় ভাবে এত গুরুত্ব কেন দেয়া হলো ? কারণই বা কি ? এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে গিয়েই তো এত সব লিখা লিখির উতপত্তি। এর পেছনে কি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে তা যুক্তির ভেতর বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা না করা সবই নিজ নিজ স্বাধীনতা। ধর্মের নানান দিক হাতড়ালে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে (মুহাম্মদীয় যুগের আগে) অতীতের রাজা বাদশাহরা যে ভাবে মানুষকে নিয়ে খেলেছেন, দাস ও প্রভুর সৃষ্টি করেছেন। দূত, রাজকর্মচারী, বিচার ব্যবস্থা, এক নায়কতন্ত্রিকতা, স্বেচ্চাচারিতা বা প্রশাসন ব্যবস্থার সিসটেম চালু করেছেন। ঠিক একই আদলেই আল্লাহ তার প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। সুতরাং এত কিছু যদি মানব পরিচালিত, মানব শাসিত নমুনায় আল্লাহর রাজ্য হয়ে থাকে তাহলে দাড়ি যে থাকবে না সেটাই বা মিথ্যা বলে প্রমাণ করা যায় কেমনে ? সুতরাং সবই সম্ভব বিশ্বাসের ভিত্তিতে।
যাক আপনারা মন্তব্য করে যান। মন্তব্যের মধ্যে ও অনেক রহস্য উদঘাটিত হতে পারে।
ভাল থাকুন।
উত্তর পুরুষ
@uttor purush,
আপনি লগ ইন করে মন্তব্য করুন। লগ ইন অবস্থায় মন্তব্য করলে মন্তব্য মডারেটরের এপ্রুভালের জন্য পড়ে থাকে না। সাথে সাথেই পোস্ট হয়ে যায়।
@মুক্তমনা এডমিন,
তাই তো করে যাচ্ছি দাদা।
ভাল থাকুন
উত্তরপুরুষ,
অভিনব দাড়ি-মাহাত্বে চমৎকৃত হৈলাম। হাস্তেইয়াসি, হাস্তেইয়াসি, হাস্তেইয়াসি…
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
এভাবে হাসাইলে হঠাৎযে কেহ হার্ট ফেইল করিতে পারেন তখন মুক্ত-মনার ৩৩৩ নং ধারা 😉
অনুযায়ি লেখক কে ক্ষতিপুরণ দিতে হইবে। এমনেই আমার হার্টের অবস্থা ভালো নয়। তবু হাসি
আসিতেছে :hahahee:
@আফরোজা আলম,
আজ্রাইল যে ভাবে জান কবজ করেন
যে ভয়ানক রুদ্র মুর্তি ধারন করেন, যে সরকাতের
অসীম আজাব দেন এর চেয়ে কি হাসিতে হাসিতে
হঠাৎ মৃত্যু বা হার্ট এটাক অনেক ভাল নয় ?
“এমনই জীবন করিবে গঠন
হাসিতে হাসিতে হইবে মরণ।”
@বিপ্লব রহমান,
সত্যি ? তাহলে আমিও একটু খানি হাস্সিয়া লই। আমার হাসি যে
বুড়ো হয়ে গেছে।
গুরুগম্ভীর সব পোস্টের ফাঁকে এমন মজার পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
দাড়ি বেশ লম্বা চওড়া হইলে বিল ঝিল বা খালের পানিতে চুবাইয়া চিবুক নাড়াচাড়া করিলে দাড়ির ফাঁকে ফাঁকে তরকারির সাথে একবেলা খাওন যায় ঐ পরিমাণ ইছা মাছ দাড়ির মধ্যে আটকা পড়িবে। :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee:
একটু অফটপিকে কথা বলতে চাইঃ
ধর্ম কি সেই বিষয়ে দুটো কথা বলতে চাই জ্ঞানী গুনীজনের কাছে,
ধর্মটা মূলত দেহজগতের জন্য বা উপর, তথা ইন্দ্রিয়পথে আগমনকারী সকল বিষয়বস্তুকে যেমন ধর্ম বলা হয়েছে, তেমনই আবার কোন মহাপুরুষের দেওয়া জীবন বিধানকেও ধর্ম বলা হয়েছে। প্রথমোক্ত অর্থেই ইহার ব্যবহার বেশি হয়েছে।
যাহাকে জীবন বিধান বলা হয় তাহাও ধর্মরাশির প্রতি আচরনবিধির বর্ননা ব্যতীত অন্য কিছুই নয়।
এবার একটু সুন্নত নিয়ে বলিঃ
একদা মাওলা আলী(আঃ) এর প্রশ্নের জবাবে হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেনঃ
(১) মারেফত আমার সম্পদের মূল
(২) বুদ্ধি আমার ধর্মের মুল
(৩) ভালোবাসা আমার ভিত্তি
(৪) অনুরাগ আমার যানবহন
(৫) আল্লাহর জিকির আমার বন্ধু
(৬) দৃঢ় বিশ্বাস আমার গুপ্তধন
(৭) দুঃখ আমার সাথী
(৮) জ্ঞান আমার অস্ত্র
(৯) সবর আমার চাদর
(১০) সন্তোষ আমার অ্মুল্য ধন
(১১) ব্যর্থতা আমার গৌরব
(১২) সংসার ত্যাগ আমার ব্যবসা
(১৩) একিন আমার শক্তি
(১৪) সত্যবাদীদা আমার সুপারিশ কারী।
(১৫) এবাদত আমার ভালোবাসার পাত্র।
(১৬) জেহাদ আমার স্বভাব।
(১৭) নামাজ আমার চোখের মনি।
যাইহোক ভালোথাকবেন।
@Russell, আমি আরও বড় এক ধারি হুজুরের কাছে শুনছিলাম এই হাদীস টা নাকি সম্পুর্ণ না, এর আরও খানিকটা পুনশ্চ আছে যেটা নথিভুক্ত হয়নি-
১৮। নাবালেগ শিশু আমার ফেটিশ।
১৯। উটের মূত্র আমার প্রিয় পানিয়।
২০। ইহুদীবিদ্বেস আমার পৌরুষ।
২১। বহুগামীতা আমার বৈশিষ্ট।
২২। যুদ্ধে যাওয়া আমার শখ-আহ্লাদ।
২৩। যৌনসঙ্গম আমার অক্সিজেন।
২৪। আস্ত, জ্যান্ত মাছি আমার প্রিয় ঔষধ।
২৫। মানুষের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া আমার সাফল্য।
আমিন!!!
@আল্লাচালাইনা,
পুনশ্চে হা হা প গে কে ধ… :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@আল্লাচালাইনা,
জবর। :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@আল্লাচালাইনা,
:laugh: :laugh: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@আল্লাচালাইনা,
কিন্তু আল্লার রসুলের আরো কিছু গুন ও কৃতিত্বপূর্ন কাজের কথা আমি এক লম্বা জোব্বা পাগড়ী পরা কওমী মাদ্রাসারা হুজুরের কাছ থেকে শুনেটি যা আমি যোগ করতে চাই
২৬। যখন খুশী যাকে খুশী বিয়ে করা আমার আসমানী সখ
২৭। দাসীদের সাথে যৌনানন্দে আমি আসমানী সুখ অনুভব করি।
২৮। অমুসলিমদের ওপর আতর্কিত আক্রমন করে তাদের পুরুষদের মেরে তাদের কুমারী মেয়ে বা সুন্দরী যুবতী বধু আমার প্রিয় সঙ্গীনি।
@আল্লাচালাইনা,
হুমম,
আসলে কি জানেন? আপনে এবং যারা আপনাকে সায় দিয়েছে তারা সকলের জ্ঞান আর বুদ্ধির আসলেই তারিফ করা লাগে, আকার মানুষের হলেও চরিত্র পশুর ন্যয়। ভালো কর্ম, কথা সেটা ধর্মের হোক আর অধর্মেরই হোক, সেটা নিয়ে এইরুপ করাটা মানবাত্নার বিপরীত, মনুষত্য লোভ পেয়েছে তাই এইরুপ আচরন করছেন।
নাস্তিক হওয়াটা খারাপ কিছু না, বা ধর্ম মানিনা এইসব তথাকথিত শিক্ষা জ্ঞান, বা খোদাকে মানেন না এসব হতেই পারে, তার অর্থ এইরুপ না যে নিজস্ব চরিত্র বিসর্জন দিবেন, তাহলে তখন তাকে আর মানুষ বলা যায়না, পশু বলতে হয়।
আপনার পছন্দ হতে ্নাও পারে উপরের কথা গুলো, সেক্ষেত্রে আপনে বলতে পারতেন মানিনা, বা যুক্তিযুক্ত হয়নি, সেটা না করে আপনে এবং আপনারা যা করলেন এতে আপনাদের শিক্ষা, জ্ঞান ও সেই সাথে পারিবারিক শিক্ষারো প্রমান পাওয়া গেল।
মূল লেখকের সাথে আমার মন্তব্য অনেকটা মিল থাকলেও আমি বলে নিয়েছি যে অফটপিকে কিছু বলতে চাইঃ যদি ভাল নাও লাগে অত্যন্ত বলতে পারতেন যে আমরা ইহা চাইনা, বা এই জাতীয়।
লেখক ভাই এবং জ্ঞানী গুনি পাঠক কুলঃ আপনারা শিক্ষিত জ্ঞানী গুনিজন, হতে পারে তথাকথিত ভোগবাদি, লোভি, কামুক মানুষের ধর্মীয় অনুষ্ঠান, শারীরিক কসরত, রীতিনীতি পছন্দ নাও হতে পারে, (না হবারই কথা) তাই বলে ভালো কিছু লেখা দেখলে শুধু ধর্মের নাম শুনলেই যে মুখ ঘুরায় নিতে হবে এমন কিছু আশা রাখি নাই।
আমি লেখক নই, তাই লেখার ভিতর ভুল থাকতে পারে, বুঝাতে হয়ত সমস্যা থাকতে পারে, বা আপনাদের মত শিক্ষিত, জ্ঞানী নই, ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ
@Russell,
এই তো এতক্ষন েআসল চহোরাত েআবর্ভিুত হলনে। যুক্ততি েযখন পারবনে না তখন হয় ব্যক্ত িআক্রমন করবনে না হয় , অভশিাপ দয়ো শুরু করবনে। কন্তি আপনার বােঝা উচতি আমরা কউে দুধরে শশিু না য েভুতরে ভয় দখোল েঘুময়ি েপড়ব। কিতাব পড় েআমর একটা জ্ঞান হয়ছে।ে তা হলাে আল্লাহ আসল েকােরানরে মত একটা হাবজিাব িবই মােহাম্মদরে মত একটা অশক্ষিতি মূর্খ মানুষরে মাধ্যম েপাঠয়ি েদয়ি েমানুষক েপরীক্ষা করছনে য েমানুষ কত মূর্খ আর গাধামীর পরচিয় দতি েপার।ে এটা তার একটা মজার খলো মাত্র।
@Russell,
এই তো এতক্ষনে আসল চেহারাতে আবির্ভুত হলেন। যুক্তিতে যখন পারবেন না তখন হয় ব্যাক্তি আক্রমন করবেন না হয় অভিশাপ দেয়া শুরু করবেন। দোজখের আগুনের ভয় দেখাবেন। কিন্তু আমরা কোন দুধের শিশু না যে , ভুতের ভয় দেখালে ঘুমিয়ে পড়ব। আল্লাহর কিতা পড়ে আমার কিন্তু একটা ধারনা জন্মেছে আর তা হলো মোহাম্মদের মত একটা অশিক্ষিত মূর্খ মানুষের মাধ্যমে কোরানের মত একটা হাবিজাবি বই দুনিয়াতে পাঠিয়ে আল্লাহ আসলে মানুষের পরীক্ষা নিচ্ছেন । তিনি দেখতে চাইছেন যে মানুষ কতটা মুর্খতা আর গাধামীপনা দেখাতে পারে। আর বলা বাহুল্য , আপনারা সেটা ভালই প্রমান করে দিচ্ছেন যে মানুষ কতটা মূর্খ হতে পারে। এটা আসলে আল্লাহর এক মজার খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ দুনিয়াটা আল্লাহর একটা রঙ্গ মঞ্চ, আপনি আমি খালি অভিনয় করে যাচ্ছি যার যার মত, আমরা আলোকিত মানুষের ভুমিকায় , আর আপনারা অন্ধকার মানুষের ভুমিকায়। এখন বলুন তো আল্লাহর প্রিয় পাত্র কারা হবে ? যারা আল্লাহ প্রদত্ত ব্রেন ব্যবহার করে তার সৃষ্টির রহস্য উন্মোচন করল তাদেরকে নাকি যারা গাধামীপনা করল ? আপনার কোন বাচ্চাকে আপনি বেশী বাহবা দেন ? যে ভাল মেধা দেখাতে পারে তাকে . নাকি যে বোকা সোকা ?
@ভবঘুরে,
ভবঘুরে ঃ
এইখানে আপনে যুক্তি দেখানোর কি খুজিয়া পাইলেন আমার মাথায় আসছেনা, হয়ত আপনাদের মত জ্ঞানী হইনি, তাই হয়ত।
@আল্লাচালাইনাঃ
আমার লেখার পর এইসব লেখাটা কোন ধরনের যুক্তি খন্ডন হল ইহাও মাথায় আসিতেছে না,
আসলেই আমার চেহারা যেমন ফুটিয়া উঠিয়াছে, আপনাদের চেহারাও ফুটিয়া উঠিল। কে কি সেটা এইসব মন্তব্যের দ্বারাই ফুটিয়া উঠিল। জনাব যা লিখেছি দয়া করে পড়ে তারপর মন্তব্য দিন।
আর আপনে মাদ্রাসায় পরে বড় আলেম হয়ে গেছেন!!! আপনাকে অনেক আগেই একটা কথা বলেছিলাম- জেনে গেছি, বুঝে গেছি এই মনোভাব থাকলে তাহলে ঐখানেই শেষ। আর আপনাকে ঐ রোগেই ধরেছে, আপনার সব কথার শেষে একটা কথা হল, আপনে সবই বুজেহ গেছেন। তাহলে আপনাকে আর বুঝানো যাবেনা, ঐ মাদ্রাসা আর আক্ষরিক কোরান হাদিস নিয়েই সারাজীবন যাবে। সামান্য আমার মত ব-কলম মানুষের মন্তব্য পড়েই বুঝেন না, আপনে বুঝবেন কোরান ???
এতদিন আপনে বলে আসছেন আমার সাথে কথা বলা না বলা একই কথা বা এই জাতীয়। আজ দেখলাম, আসলে আপনার সাথে কথা বলাটাই সময় বৃথা।
তবে ভালথাকবেন।
ধন্যবাদ।
খ্রিস্টান থিকা মুসলিম হইছেন কিনা আপনি ই ভাল জানেন, তবে বর্তমান খ্রিস্টানদের মত মাথা-খানা এখন-ও আছে। দুনিয়ার ধারনা দিয়ে আল্লাহ কে বিচার করেন 😀 । আল্লাহ কে আল্লাহ নিজে যে পরিচয় দিয়েছেন ঐ পরিচয়েই বিশ্বাস করতে হবে, যদি না করেন , নিজের ইচ্ছা মতে বানিয়ে নেন তাহলে খবর আছে।
যারা আল্লাহ পাকের দাড়ি খোজেন তারা হচ্ছেন এই রকমঃ
@ফুয়াদ, আপনি বলছেন আল্লাকে বাস্তবতার ধারণা দিয়ে বিচার করলে খবর আছে, আর তার পরপরই বলছেন। আল্লা হচ্ছে এক চিড়িয়া যার কিনা-
-হাবিজাবি জিনষপত্র সৃষ্টি করার শখ চাগা দিয়ে থাকে সময়ে সময়ে।
– যে কিনা সবকিছু শুনে।
-এবং সবকিছু দেখে।
-অন্যান্য মানুষ কি করা উচিত না উচিত সে সম্পর্কে প্রস্তাব-পরামর্শ অবতীর্ণ করে।
-অন্য কাউকে এমনকি মনেমনেও তার সমান ভাবলে যার আত্নসন্মানে ঘা লেগে যায়। বা এককথায় যে কিনা হিংসা করে।
আপনি কি একটা শব্দের সাথে পরিচিত, ‘যুক্তিগত অন্তসংঘাত’? আপনি আল্লাকে দাবি করছেন দুনিয়ার নিয়ম বা অন্যনামে যাকে আমরা ‘বাস্তবতা’ বলে ডাকি তার উর্ধ্বে; তথাপিও হাজির হচ্ছেন তার এমন এমন সব বৈশিষ্টাবলি নিয়ে (যার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা উপরে দিয়েছি) যাই বৈশিষ্টাবলীগলো কিনা খুবই খুবই বাস্তবতার অধীন এবং খুবই খুবই দুনিয়ার নিয়ম দ্বারা পরিচালিত। এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে দ্বিমত করছি না যে- আল্লার আস্তানা দুনিয়ার নিয়মবালী নিয়ন্ত্রিত বাস্তবতার বাইরে আরও একটি বিশাল যেই জগত রয়েছে, ‘ফ্যান্টাসী’ নামক সেই জগতে। সেই জগতের নিয়মাবলী সম্পর্কে আপনার উতসাহ, আগ্রহ- কে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে, সেই ফ্যান্টাসির জগতে বিচরণ করে আল্লা-টাল্লা এইসব হাদুম-পাদুম ধারণাবলী সংগ্রহে না নেমে আপনি যদি একটা সুন্দর কবিতা কিংবা গল্প কিংবা উপন্যাস সংগ্রহে নামেন, খু-উ-ব ভাল হয়।
আর পোংটামি কথা বলবেন না প্লিজ, যদি কিনা একজন পেশাদার ভাঁড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে না থাকে। আমি আপনাকে বুঝাতে পারি আপনি চাইলে কেনো মাত্র এক জোড়া জীব থেকে মানুষের মতো যৌনপ্রজনন পদ্ধতিতে বংশবৃদ্ধিকারী বহুকোষী, মেরুদন্ডী, স্তন্যপায়ী, বানররের জনপুঞ্জ স্থাপন করা সম্ভব না। ৪০০ কি ৫০০ প্রজন্মের মধ্যে জনধারা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নইলে কি আপনার মনে হয় বিলুপ্তপ্রায় পান্ডা, চিতাবাঘ এদের অন্তত একজোড়া সদস্য আমাদের সংগ্রহে নেই যেটা অন্তপ্রজনন করিয়ে করিয়ে একটা বড় জনপুঞ্জ স্থাপন করে আমরা তাদের বিলুপ্তি রোধ করতে পারি? এটা কেনো সম্ভব নয় সেটা গানিতকভাবেই আসলে বোঝানো সম্ভব। তবে, আপনি সেটার একটা বাক্যও বুঝবেন না বিধায় সেই পথে যাচ্ছি না।
বর্তমান সময়ে একটা ইসলামিস্ট মাপেটের মুখে ‘খবর আছে’ মার্কা একটি বাগধারা শুনে তার একটা দ্বিতীয় ব্যাখ্যা চাওয়াটা মোটেই অনানুপাতিক কিছু হবে না।কি বোঝাতে চাইছিলেন আপনি ‘খবর আছে’ বলে ব্যাখ্যা করবেন আশা করি।
@ফুয়াদ,
তাঁর সমতুল্য কেউ না থাকা সত্ত্বেও তিনি দেখি মানুষের মতই সুখ-দুঃখ অনুভব করেন, মানুষের মতই হিংসা অনুভব করেন, মানুষের মতই অন্যের যৌনজীবন নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেন এবং সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের মতই তিনি চরমভাবে আত্মরতিতে ভুগেন। মানুষ যেমন সবসময় সবার মনযোগ আকৃষ্ট করতে চায়, তিনিও মানুষের মনযোগ ও ভালবাসা পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকেন, স্বর্গের হুর আর নরকের শাস্তির ভয় দেখিয়ে মানুষের ভালবাসাকে লালায়িত করেন। এই অসীম মহাবিশ্বের স্রষ্টা যখন মানুষের মত অকল্পনীয়রকম তুচ্ছ একটি প্রাণীকে নিয়ে মাথার চুল(নাকি দাড়ি 😕 ) ছিড়েন, তখন সত্যই মনে হয়,
“এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই”
@পৃথিবী,
আগামী দিন গুলোতে আমার আরও অনেক প্রতিবেদন আসছে। সে গুলো দয়া করে মিস করবেন না কিন্তু। তাতেই পেয়ে যাবেন আপনার মন্তব্য কিংবা আলোচনার অনেক প্রেক্ষিত জবাব।
@ফুয়াদ,
লেখাটি পড়ার সময়ই মনে মনে আপনার আগমন ( নাকি অবির্ভাব?) ঘটবে বলে আশা করছিলাম। যাক, আপনি আমাকে আশাহত করেননি বলে অনেক ধন্যবাদ। মুক্তমনায় এমন স্থায়ী বিনোদন আর কে দিতে পারে? 😛
@ফুয়াদ,
আল্লাহর আকার আকৃতি রুপ ইত্যাদি কোন ধর্মই ব্যাখ্যা দিয়ে বলে যায়নি। তাই তাবত পৃথিবীর মানুষের মনে আল্লাহর একটা ছবি অংকিত আছে মনের মধ্যে। সেটা সে দেখাতে পারে না ঠিকই । কিন্তু এটার বিমুর্ত রুপ নানা ভাবে মানুষকে ভাবিয়ে তুলে। কেউ সেটা বলে কেউ বলে না। দাড়ির উপর এত গুরুত্ব হওয়ার কারণেই বক্তব্যের যুক্তি ধরেই তা বলা হয়েছে। সেটা আপনি বিশ্বাস করবেন কি করবেন না সেটা আপনার ইচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন পৃথিবীতে যেমন কোটি কোটি মানুষ আছে, কিন্তু দু’জন মানুষ যেমন হুবহু এক নয় তদ্রুপ কোটি কোটি মানুষের ভেতরে যে আল্লাহ বিরাজ করছেন তারও ছবি ছুরত কখনও এক নয়।
ভাল থাকুন
উত্তর পুরুষ
@ফুয়াদ,
আপনাদের সকলের স্ব স্ব মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আসলে দাড়ির জন্য ধর্মীয় ভাবে এত গুরুত্ব কেন দেয়া হলো ? কারণই বা কি ? এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে গিয়েই তো এত সব লিখা লিখির উতপত্তি। এর পেছনে কি সম্ভাব্য কারণ থাকতে পারে তা যুক্তির ভেতর বলা হয়েছে। বিশ্বাস করা না করা সবই নিজ নিজ স্বাধীনতা। ধর্মের নানান দিক হাতড়ালে এটাই মনে হওয়া স্বাভাবিক যে (মুহাম্মদীয় যুগের আগে) অতীতের রাজা বাদশাহরা যে ভাবে মানুষকে নিয়ে খেলেছেন, দাস ও প্রভুর সৃষ্টি করেছেন। দূত, রাজকর্মচারী, বিচার ব্যবস্থা, এক নায়কতন্ত্রিকতা, স্বেচ্চাচারিতা বা প্রশাসন ব্যবস্থার সিসটেম চালু করেছেন। ঠিক একই আদলেই আল্লাহ তার প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। সুতরাং এত কিছু যদি মানব পরিচালিত, মানব শাসিত নমুনায় আল্লাহর রাজ্য হয়ে থাকে তাহলে দাড়ি যে থাকবে না সেটাই বা মিথ্যা বলে প্রমাণ করা যায় কেমনে ? সুতরাং সবই সম্ভব বিশ্বাসের ভিত্তিতে।
যাক আপনারা মন্তব্য করে যান। মন্তব্যের মধ্যে ও অনেক রহস্য উদঘাটিত হতে পারে।
ভাল থাকুন।
উত্তর পুরুষ
বহুত ফজিলতের একটা হাদিস বাদ পড়িয়াছে।
– যে ব্যক্তি আখেরি নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর সুন্নত মনে করিয়া সোয়াবের নিয়তে দাড়ি রাখিবে, তার প্রত্যেকটি দাড়িতে ৭০ হাজার ফেরেস্তা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকিয়া তার জন্যে দিবানিশী আল্লাহর কাছে দোয়া করিবেন। চিন্তা করুন একজন মানুষের দাড়িতে কতজন ফেরেস্তা লটকাইয়া আছেন,আর তাদের সর্বমোট ওজন কত হইতে পারে। সঙ্গত কারণেই ফেরাউন, আবু জেহেল, ডারউইন, কার্ল মার্ক্স, রবীন্দ্রনাথ এদের দাড়িতে ফেরেস্তারা বসিবেন না।
@আকাশ মালিক,
দারুণ বলেছেন! :lotpot:
@আকাশ মালিক, :laugh: :laugh: :laugh:
পেটে খিল ধরিলে লেখক দায়ী নহেন, তা ঠিক। কিন্তু লেখা পোস্ট দিয়ে উধাও হয়ে যাবার জন্য অর্থাৎ, লেখা দিয়ে আর মন্তব্য না করার জন্য কিংবা আলোচনায় অংশ না নেবার জন্য লেখককে দায়ী করা যেতে পারে। 🙂
লেখা পোস্ট করার মত কঠিন বিষয় যখন রপ্ত করে ফেলেছেন, তখন মন্তব্য করতেও অসুবিধা হবার কথা নয়। প্রত্যেক পোস্টের নীচেই মন্তব্য করার জন্য টেক্সট বক্স আছে, ঠিক তার উপরেই লেখা থাকে – প্রবন্ধটি নিয়ে আপনার অভিমত জানান। সেই টেক্সট বক্সে মন্তব্য লিখে “মন্তব্য করুন” বাটনে চাপ দিলেই মন্তব্য পোস্ট হয়ে যাবে (যদি আপনি লগ ইন করা অবস্থায় থাকেন)। আর কারো মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে প্রতি-মন্তব্য করতে চাইলে যে মন্তব্যটির জবাব দিতে চান , সেই মন্তব্যের নীচের দিকে একটি লিঙ্ক পাবেন – [[মন্তব্যটির জবাব দিন]] নামে। সেখানে ক্লিক করেও আপনি মন্তব্য দিতে পারেন।
কোন সমস্যা হলে আমাদের জানাতে পারেন।
আর মজার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
আমি তো লিখে যাচ্ছি কিন্তু নিজ থেকে মন্তব্য করি কেমনে ? অনেকেই না বলতে থাকবেন নিজের ঢুল নিজেই বাজিয়ে যাচ্ছি। হাঁ যারা মন্তব্য করেন তাদের অনেক কে আমি আমার মন্তব্য পোষ্ট করে যাচ্ছি। কিন্তু একচেটিয়া ভাবে সকলকে জবাব দেয়া সম্ভব নয়। আমার ভবিষ্যতের প্রতিবেদন গুলোতে অনেকেই অনেক জবাব (মন্তব্যের জবাব) পেয়ে যেতে পারেন। সুতরাং সকলের প্রতি অনুরোধ থাকলো আগত দিনের লিখাগুলো
যেন আপনারা দয়া করে পাঠ করেন। আমি আশা করছি প্রত্যেক সপ্তাহে দু’একটা লিখা পোষ্ট করতে পারবো। যদি আপনাদের তরফ থেকে কোন অসুবিধা না হয়।
ভাল থাকুন
উত্তর পুরুষ
ওফ্ ভাই অনেক হাসালেন দেখছি।
কিন্তু আল্লাহ যে পুরুষ মানুষ তা নির্ণয় করবার উপায় কি? মেয়ে মানুষ হলেতো তার দাড়ি থাকার কথা না।
আর দাড়ির এতো মাহাত্ম, দুর্ভাগ্যবশতঃ মহিলারা তা হতেও বঞ্চিত। কি করা যাবে কোন মহিলা নবী জন্ম গ্রহন করেন নাই যখন।
:hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
একজন আমাকে বলিয়াছিল যে আর্মস্ট্রং নাকি চন্দ্রে যাইয়া আল্লার নাম তথা আজানের ধ্বনি শুনিতে পাইয়াছিলেন।
আমি বলিলাম, যদি চন্দ্রে যাইয়াই আল্লার নাম শুনিতে পাওয়া যায় তবে মংগল গ্রহে যাইয়া সফেদ দাড়ি সমেত স্বয়ং আল্লাকেই পাওয়া যাবে, যেখানে হয়ত তিনি বসিয়া আপন মনে হুক্কা টানিতেছেন।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার কৌতুকটার জন্য:
হা…. হা,,,,, হো….. হো……হা..হাআআআ হো হো (জোরে জোরে হাসছি, শুনতে পাচ্ছেন?)
@সৈকত চৌধুরী,
:hahahee: :guli: :guli: :hahahee:
পুরা পোস্টটাই পাঙ্খা!! তার উপ্রে আপনার এই কমেন্ট!!!
:hahahee:
@সৈকত চৌধুরী,
আর একটু যোগ করি: (আমার মনের মধ্যে এই কালামগুলো নাজিল হলো)
বুধে গিয়ে দেখা যাবে – আল্লাহ মরিয়মের সাথে কথা বলছেন।
বৃহস্পতিতে গিয়ে দেখা যাবে- আল্লাহ মরিয়মের সাথে প্রেম করছেন।
শুক্রে গিয়ে দেখা যাবে- সহবাস করছেন।
শনিতে গিয়ে দেখা যাবে- মরিয়ম প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন।
রবিতে গিয়ে দেখা যাবে- সূর্যের আলোর মত শিশু, নাম তার যিশু।
সোমে গিয়ে দেখা যাবে- ????????
পাঠকগণ বলুক।
এটা যদি ফ্লপ হয় কিম্বা অন্য কোন দোষে দুষ্ট হয় তাহলে কালামগুলো বাতিল বলিয়া ঘোষণা দিলাম।
হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম। যাকে বলে হাহাপগে।