সামাদ পাগলা
মোকছেদ আলী*
বেলা আটটা। জসিম উদ্দীনের গৃহ হইতে ফিরিয়া আসিতেছি। রাস্তার পার্শ্বেই ছামাদ পাগলার বাড়ি। খেটে খাওয়া মানুষ। বাড়ি ঘরের বেড়াগোড়া ঠিক নাই। রাস্তা হইতে তাহার বাড়ির ভিতর সবই দেখা যায়। নজর না করিলেও নজর আপনা-আপনি চলিয়া যায়। দেখি- সে চুলার পার্শ্বে বসিয়া আছে। তাহার স্ত্রী উনানে তাওয়ায় রুটি সেঁকিতেছে। তাহার দুইটি মেয়ে ও একটি ছেলে আমার স্কুলে পড়ে। ছোট মেয়েটি দাঁত পড়া, মানে সামনের উপরের পাটির দুইটি দুধের দাঁত পড়িয়া গিয়াছে, মেয়েটি খুব মেধাবী।
আমার দিকে ছামাদ এক নজর দৃষ্টি দিয়া মধ্যম স্বরে উচ্চারণ করিল, শালার বেটা। আগে পিছে নজর করিয়া দেখি কেহ নাই। উঠানে তাহার একটি কন্যা এবং স্ত্রী ছাড়া কেহই নাই। সুতরাং আত্মীয়ের সম্বোধন বাক্যটি যে আমার উদ্দেশ্যেই উচ্চারিত তাহাতে কোনই সন্দেহ নাই। এহেন মধুর সম্বোধন যিনি করিলেন, তাহার সহিত সাক্ষাত না করিয়া যাওয়াটা ঠিক হইবে না। সুতরাং বাড়ির ভিতর ঢুকিয়া পড়িলাম। আচ্ছালামু আলাইকুম। চুলার পার্শ্বে উপবিষ্ট সামাদ মিয়া সালামের কোনই জবাব দিল না। হাসিমুখে কহিল, আমি আপনার সালামের উত্তর দেই নাই। বলিলাম, সালাম দেওয়া আমার কর্তব্য। উত্তর দেয়া আপনার উপর ওয়াজেব। বলিয়া চুলার পাশে একান্ত কাছে গিয়া বসিলাম। মাথায় সোহাগের হাত বুলাইয়া কহিলাম, আল্লাহর রহমতে আপনার শরীর ভালো আছে তো, আজ কয়দিন আপনাকে দেখি না, কোথাও গিয়াছিলেন নাকি?
সে আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়া সরলভাবে কহিল, আমি আপনাকে শালার বেটা বলিয়া গালি দিলাম, আপনি রাগ করিলেন না কেন? কহিলাম, কই আমি তো কিছু বুঝিতে পারিলাম না। সে কহিল, গালি দিলে বুঝতে হয়, গরম পানি দিয়া শুচতে হয়। সে নিজের রসিকতায় নিজেই প্রাণ-খোলা হাসি হাসিল। আমি কহিলাম, বুঝেচি, বুঝেচি, গরম পানি দিয়ে শুচেছি।
আমার কথা শুনিয়া আর একবার হো হো করিয়া হাস্য করিল। কহিল, আপনি সত্যিকারের হুজুর। যারা খাঁটি হুজুর, তারা কোন কথায় রাগ করেন না। তাহার পিঠের উপর হাত রাখিয়া কহিলাম, ভাই, ওটা তো গালি নয়, আমার মঙ্গলের জন্য দোয়া করিয়াছেন। সে আরেকবার হাসিল। সে তাহার বড় মেয়েকে হুকুম করিল- এই আছিয়া, তোর হুজুরেক এক খানা ফিড়া এনে দে।
মেয়ে তাড়াতাড়ি একখানা খুরাভাঙ্গা ফিড়া পাতিয়া দিয়া কহিল, বসেন হুজুর। আমি ফিড়ার উপর উপবেশন করিলাম। সে তাহার স্ত্রীকে আদেশ করিল, হুজুরেক রুটি দে। তাহার স্ত্রী চুলার উপর মাটির তাওয়ায় আটার রুটি সেকিতেছিল। কহিলাম, আজ না, অন্যদিন বরাতে থাকিলে খাইবো, এই মাত্র জসিমের বাড়িতে কড়কড়া ভাত, মাছের তরকারী দিয়া খাইয়াছি।
সে তখন কহিল, “হুজুর আপনি কি আজমির শরীফ গিয়াছেন কখনও? কহিলাম, “না, সৌভাগ্য হয় নাই। তাহা ছাড়া পাসপোর্ট করিতে ঝামেলা খুব? পাসপোর্ট না হইলে যাওয়া যায় না। সামাদ কহিল, “আপনের পাসপোর্ট লাগিবে কেন? আপনি হুজুর মানুষ, আল্লাহর ওলির মাজারে যাইবেন, আপনেক ঠেকায় কেডা। গাড়িতে উঠবেন, সোজা খাজাবাবার মাজারে নামবেন। যদি আপনের সাহসই না থাকে, তবে আপনি কিসের হুজুর, তাহলে আপনি ঠিক হুজুর না।
খাজাবাবার প্রতি মহব্বত থাকিলে আজমির যাওয়া রাষ্ট্রীয় আইন কানুনের বাধা বিপত্তি যে কোন ব্যাপারই না, চোরাকারবারী সামাদ খুব জোর দিয়া কহিল, “আমরা তো সপ্তাহে সপ্তাহে ভারত যাই, সেখান থেকে শাড়ী, মনোহারি মাল আনি কেউ ঠেকায় না, এপারে বিডিআর ওপারে বি এস এফ, তাদের সঙ্গে বড় বড় দালালদের চুক্তি আছে, দালালরা আমাদের কাছ থনে টাকা লয়। কোনই অসুবিধা নাই, হাজার হাজার মানুষ যাইতাছে আইতাছে, কোনই বাধা নাই।”
একজন বিবেকবান সুনাগরিকের পক্ষে রাস্ট্রীয় আইন অমান্য করিয়া ঘুষ দিয়া সীমান্ত পার হওয়া উচিত নয়, ইহা যে শুধু রাষ্ট্রীয় আইনেই অপরাধ তাহা নহে, বরং ধর্মীয় বিধানেও অপরাধ। এই সমস্ত রাষ্ট্রীয় আইনের গুরুত্ব এবং ধর্মীয় বিধানের গুরুতত্ত্ব একজন চোরাকারবারীকে বলিলে, সে তো বুঝ গ্রহণ করিবেই না, উল্টা এমন আঁইড়্যা তর্ক জুড়িয়া দিবে যে, শেষে মারামারির উপক্রম হইতে পারে। কারণ তর্ক করিয়া একটি সহজ সরল কথাকেও বাকাপথে লইয়া যাওয়া যায়। আর তাই জ্ঞানীগণ বলেন, তর্কের মুড়া নাই।
সুতরাং অত জটিল বিষয় তাহাকে না বলিয়া কহিলাম, “আপনি ঠিকই বলিয়াছেন, খাজাবাবার প্রতি মহব্বতে আগামী গরমে যাওয়ার চেষ্টা করিব।”
সামাদ মিয়া একজন ভালো শ্রোতা এবং সমর্থক পাইয়া সে তাহার মনের অনেক কথাই অকপটে বলিতে লাগিল। আমি নীরবে মাঝে মধ্যে তাহার যুক্তিকে সমর্থন করিয়া কথাগুলি গিলিতে লাগিলাম।
আজমিরের আলোচনা বাদ রাখিয়া কহিল, “বুচ্চেন হুজুর, আমি একদিন মজিদে নামাজ পড়তে গেলাম, আমি মুখ্যু মানুষ দোয়া কালাম জানি না। শিখি নাই, তাই বলিয়া কি আল্লাহ আমার নামাজ কবুল করিবে না? আমার নামাজ পড়া দেখিয়া ওরা আমার খুব ভুল ধরলো, কইল, তোমার নামাজ হয় নাই। আচ্ছা হুজুর আপনেই কন আমার নামাজ হইল না ক্যান? আমি তো আল্লাক সেজদা করলাম, আমি মনে মনে খুব কাঁদলাম, আল্লাহ আমার সেজদা কবুল করো। আর ওরা বলে কিনা আমার নামাজ হয় নাই। সেই থেকে আমি আর মজিদে যাই না। যেদিন মনটা ভালো থাকে আমি ঘরে বসিয়া আল্লাক ডাকি, সেজদা দেই। সেজদায় পড়িয়া খুব কাঁদি।”
“বুচ্চেন হুজুর, ঐ তারা মিয়া আমাক কয়, তোর নামাজ ঠিক হয় না, আগে নামাজ হিকিশ, তারপর মজিদে আহিশ। আপনি কন, মজিদে না গেলে হিকমু ক্যামনে? আরে বেটা হালা, তোর নামাজ ঠিক হয় কিনা ভাইব্যা দ্যাখ তারপর আমার ভুল ধরিশ। ঠিক কিনা হুজুর?” বলিয়া সে আমার উত্তরের অপেক্ষায় নীরব হইল।
কহিলাম, “আপনি ঠিকই বলিয়াছেন। দামী কথা বলিয়াছেন- আগে নিজের ভুল, নিজের দোষ দেখতে হয়। তারপর অপরের দোষ ধরিতে হয়।” সে তাহার কথার সমর্থন পাইয়া খুব খুশি হইল। তাহার চুলহীন মাথাটা দোলাইয়া কহিল, “ঠিক ঠিক। আপনি ঠিক কতা কইছেন। আপনে ঠিক হুজুর। আপনিই পারবেন, স্কুলের উন্নতি করতে।”
তাহার প্রশংসা বাক্যে আত্মগৌরব না করিয়া কহিলাম, “ভাই, দোয়া করিবেন, আল্লায় যেন আমার সৎ চেষ্টা ফলবতী করেন।” সে গম্ভীরভাবে কহিল, “আমি নাদান মানুষ, আমার দোয়া চাইবেন না, আপনে হুজুর মানুষ, আল্লাহ আপনের চেষ্টা কামিয়াব করবেনই।” আমি সশব্দে ‘আলহামদুল্লিাহ’ কহিলাম।
আলোচনার মোড় ঘুরাইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “সামাদ ভাই, আপনে কখনও আজমির শরীফ গেছেন?” সোৎসাহে সে কহিল, “মহাস্থান গড় গেছি। বগুড়া থোনে বাসে যাতি হয়। সেখানেই আজমীরের পীর সাহেব থাকে। আবার যাবো। গাড়িতে আমার ভাড়া লাগে না। যাবেন আমার সাথে? আমার সাথে গেলে আপনের ভাড়া লাগবে না। রেলের সব টিটিরা আমাক চেনে, আমি ওভারব্রিজে রুটি বেচি তো, জি আর পি পুলিশও চেনে।” কহিলাম, “খুব ভালো কথা, তাহলে আপনে যেদিন যাইবেন, আমাকে সঙ্গে লইয়া যাইবেন।” আমার অনুরোধে সে খুব খুশি হইলো।
তাহার স্ত্রী রুটি সেকিতেছিল। আমাদের কথাবার্তা শুনিয়া সে তাহার পাগলা স্বামীর প্রশংসা করিয়া কহিল, “উনি মাজারের একজন ভক্ত। খুলনায় যায়, রাজশাহী যায়। দুইবার আমাকে সাথে নিয়া রাজশাহী গেছে।”
স্ত্রীর কথায় সামাদ পাগলা খুব খুশি হইয়া কহিল, “স্ত্রী থাকতি একলা যাতি হয় না। একলা গেলি মাজারের অলি রাগ করে।”
আমি আড়মোড়া দিয়া উঠিয়া দাঁড়াইলাম। সে আমার উঠা দেখিয়া কহিল, “বসেন, আপনের সাথে কথা কয়া শান্তি পাই। পাড়ার কারুর সাথেই আমি কথা কই না।” সে উঠিয়া আমার সঙ্গে কোলাকুলি করিল।
দাঁতপড়া ছোট মেয়েটি তাহার মাকে কহিল, “মা, হুজুরেক রুটি খাতি দে।” আমি মেয়েটিকে সোহাগ করিয়া কহিলাম, “আমার পেট ভরা আছে, আল্লাহ বাঁচাইলে আরেকদিন খামু।” বলিয়া সামাদ পাগলাকে সালাম দিয়া রাস্তার দিকে পা বাড়াইলাম। সামাদ পাগলা আমার সালামের জবাব দিল ‘আলেকুম সালাম।’
দুই দিন পর তাহার বাড়ির পাশ দিয়া যাইতেই সামাদ ডাকিল, ‘হুজুর আসেন’। তাহার আহবান প্রত্যাখান করিতে পারিলাম না। উঠানে গিয়া দাঁড়াইলাম। তাহার স্ত্রী সেই খুরা ভাঙ্গা ফিড়াটা আচল দিয়া মুছিয়া উঠানে পাতিয়া দিল। আমি বসিলাম।
উঠানের কোণে একটা খেজুর গাছ। বারো চৌদ্দ হাত লম্বা হবে। গায়ে রস লওয়ার কোন চিহ্ন নাই। অক্ষত অবস্থায় আছে। ভাবিলাম, সামাদ নিজে হয়তো গাছ কাটা জানে না। তবুও কৌতুহলি হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, “খেজুর গাছে রস লাগান না কেন? যে রকম মোটা তাজা গাছ। রস লাগাইলে তো ৮/১০ সের রস হবে, এখন রসের মৌশুম।”
পাগলা সামাদ আমার কথায় একটু ক্ষুন্ন হইল। সে কহিল, “আপনে হুজুর মানুষ। আপনে জানেন নবী সাহেব খেজুর গাছকে কত ভালবাসতেন। তাহার সেই ভালোবাসার গাছকে কি আঘাত দেওয়া উচিত। যারা নবী সাহেবকে ভালোবাসে, মহব্বত করে তারা খেজুর গাছকেও ভালোবাসে। ভালোবাসার জিনিসকে কি আঘাত দেওয়া যায়?”
তাহার নবী প্রীতি দেখিয়া খুব খুশি হইলাম। তাহাকে না ঘাটাইয়া কহিলাম, “আমার ভুল হইয়াছে। আপনি যে নবীজীকে মহব্বত করেন, এই খেজুর গাছই তাহার সাক্ষী।” সে খুব খুশি হইয়া কহিল, “আমার নবীজী কত দয়ালু ছিলেন!”
আমি ভাবিলাম, মানুষের অন্তর কত বিচিত্র। কেহ সারা রাত্রি জাগিয়া নবীর উপরে দরুদ পরে, নবীর মহব্বতে আবার কেহ কেহ ছাগলের দড়ি ডিঙ্গায় না। বলে- নবীজী ছিলেন ছাগলের রাখাল। ছাগলের দড়ি ডিঙ্গাইলে নবীজী গোস্বা করেন। কত রকমের বিশ্বাস যে মানুষের মনের মধ্যে আনাগোনা করে, তাহার হিসাব কে রাখে?
এই দুনিয়াটা বিশ্বাসের লীলাভূমি। মানুষের অন্তর কতরকম বিশ্বাসে ভরপুর। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের মানুষের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস তো আছেই। তাহার উপর আবার একই ধর্মের মানুষের মধ্যে হাজারো রকম বিশ্বাস। এই বিশ্বাসের কারণে কখনও কখনও মারামরি হানাহানি পর্যন্ত হয়। কারো কাছে যেটা পবিত্র বিশ্বাস, অন্যেরা সেটা কুসংস্কার বলে প্রত্যাখান করে। তাই এই দুনিয়াটা হাজারো বিশ্বাসের লীলাভূমি। হোতে পারে মৌলবীদের দৃষ্টিতে সামাদ পাগলা একজন নাদান মূর্খ। কিন্তু সামাদ একটা অর্থকরী রসকে নবীর প্রতি গভীর মহব্বতে অবলীলাক্রমে প্রত্যাখান করিতে পারিয়াছে। তাহার দিলে নবীজীর প্রতি কত বড় মহব্বত!
সামাদ পাগলা কহিল, “জানেন হুজুর ঐ যে ভাদু, মৈশের মতন চেহারা, গাঁজা খায়, চুল মাইয়া লোকের মতন দীঘলা, পান খাতি খাতি দাঁত ঝিংগার বিচির লাহান কালো। মজিদের অনেক চাল, টাকা আত্মসাৎ কইরা খাইছে। লোকে কলি কয়, দিমু দিমু মজিদটারে একেবারে পাক্কা কইরা দিমু। এই কুশুর বেইচ্যা ইট কাটমু। আইজ দশ বৎসর অইল, কুশুর কাটা অয়, তয় ইট কাটা হয় না। তুই বেটা পাইকা গেলি, মজিদ পাকে না ক্যান।”
তাহার মুখ হইতে কথা কাড়িয়া লইয়া কহিলাম, “ভাদু আমাক কইছে, ‘হুজুর, আপনে কাম শুরু করলি আপনেক ৮ মন চাল আর ট্যাকা ১ হাজার দিমু। মজিদের আট মন চাল আর ট্যাকা ১ হাজার আমার কাছে আছে। মজিদের একটা চাল, একটা ট্যাকাও আমার দ্বারা নষ্ট হইবে না। এই আমি মাটির উপর দাঁড়াইয়া কইতাছি হুজুর।’”
আমার কথা শুনিয়া সামাদ পাগলার মুখ হইতে উচ্চারিত হইল, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’ সামাদ আল্লাহর নামে কসম কাটিয়া কহিল, “ইনশাল্লাহ্ আমিও কিছু দিব, এই মাটির উপর দাঁড়াইয়া কইতাছি হুজুর।” এই কথা বলিতে না বলিতেই পকেট হইতে এক শত টাকার একটি নোট বাহির করিয়া দিয়া কহিল, “নগদ দিলাম। আল্লাহর লগে বাকির কাম চলে না। কথায় বলে না, ‘বাকির নাম ফাঁকি।’”
——————–
*মোকছেদ আলী (১৯২২-২০০৯)। স্বশিক্ষিত। সিরাজগঞ্জ জেলার বেলতা গ্রামে জন্ম। বর্তমানে গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন।
গল্পটার কিছুকটা পাঠ করিলাম বেশ মজা পাইলাম। সে জন্যই একটু ধন্যবাদ। পরে বাকিটা পাঠ করিব ।
বাহ বেশ ভালো লাগলো। পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
এই পর্বিটা কেন জানি অনেক বেশি ভাল লাগলো। মোকছেদ আলী সম্পর্কে সব সন্দেহ তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছি, সেই সাথে পূর্বের সন্দেহের জন্য লজ্জা বোধ করছি।
নৃপেন দা বলেছেন,
এই লেখা পড়ার আগে হলে এটা মানা কষ্টকর হতো।
সবশেষে লেখায় মাতুব্বরি না করার জন্য মাহফুজ ভাই কে অনেক শুভেচ্ছা।
গল্পটা গতরাতে একবার পড়েছি। আবার পড়লাম। গাঁথুনীটা এত সুন্দর। এত সুন্দর সংলাপ। একটির পর আর একটি অটোমেটিক চলে আসছে। আমার কাছে শুধুই মনে হয়। উনি কোন গল্প তৈরী করেননি। যা দেখেছেন সেটিই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন।
উনাকে আমার একটা ক্ষুদ্র লেখা উতসর্গ করে পুলকিত হচ্ছি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দাদা, এতক্ষণ গল্পটি আবার পড়লাম আপনার মতো। কিন্তু পড়তে গিয়ে বুঝলাম- সাধু আর চলিত ভাষার মিশ্রণ ঘটেছে। এই দোষে দোষনীয় হয়ে গেছে গল্পটি। আমি ইচ্ছা করেই ঠিক করিনি। শুধু বানানটা ঠিক করেছি। পাণ্ডুলিপির ভাষাতেই কম্পোজ করেছি।
দ্বিতীয়বার পড়ে মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
@মাহফুজ,
ব্যাকরণ নিয়ে আমি বরাবরই। আমি দুবার পড়ছি। কিন্তু সাধু আর চলতি ভাষার মিশ্রণ আছে কি নেই দেখার সুযোগ পাইনি। কখনও এই মিশ্রণই মাধূর্য্য বৃদ্ধি করে।
মুক্তমনা নীতি বিরুদ্ধ (?) হতে পারে কিন্তু বানানের বাইরে যে কিছু করনি তার জন্য আমার নিজের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
মোকছেদ আলীর লেখার জন্য অপেক্ষায় থাকি।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
দাদা,
আপনার কি সত্যিই মোকছেদ আলীর লেখা ভালো লাগে? তার মৃত্যুর প্রায় তিন চার মাস আগে আমি তাকে বলেছিলাম- আপনার লেখা আমি ছাপানোর ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেছিলেন, “ওসব ছাপায়ে কি হবে, মনের খেয়ালে আবোল তাবোল লিখেছি। এ দ্বারা কারো কোনো উপকার হবে না। অযথা সময় নষ্ট, পয়সা নষ্ট।”
আজ সেই আবোল তাবোল পড়ার জন্য একজন মানুষের অপেক্ষা আমাকে একটু উৎসাহ দেয়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আমি ফ্রন্ট পেজ থেকে আউট না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকুন।
ভাল লাগল। খুবি শিক্ষনীয়। মোকছেদ আলী’র লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।
ভালোই লাগলো।
একটা প্রশ্ন। ‘মোকছেদ আলী’র পরিচয় কি বিস্তারিতভাবে দেয়া হবে না? নাকি তা রহস্যই থেকে যাবে?
যথারীতি ভালো লাগলো।
সামাদের দু রকম বানান ব্যবহার করেছেন।
@রৌরব,
দুই জায়গায় সামাদ-এর বানান ছামাদ হয়েছে। স স্থলে ছ হয়েছে।
আরো কিছু ভুল বের হোক। পরে একসঙ্গে সংশোধনী নিয়ে নেব।
ধন্যবাদ সূক্ষ্ণ দৃষ্টির জন্য।