প্রথম পর্ব: ১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ২:২৫
আরেকটি ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গেলো, চারদিকে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকার ছড়াছড়ি দেখে বিশ্বকাপের উত্তেজনা টের পেয়েছি- তা নয়। কোন পতাকা না থাকলেও সময় পেলে টিভির সামনে ঠিকই বসে যেতাম, যেমনটা ক্লাব ফুটবলের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যাহোক কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় চলে যাই। এবারের বিশ্বকাপের প্রধান দলগুলো নিয়ে আমার বিশ্লেষণ তুলে ধরাই এ লেখাটার লক্ষ। কাজটা তেমন কঠিন নয়- কারণ অল্প কটা দল নিয়ে দুচার কথা বলেই লেখা শেষ করা যাবে আশা করা যায়। বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম দুটো দল দিয়েই শুরু করছি:
১। আর্জেন্টিনা: কোচ ম্যারাডোনা এবং ফরোয়ার্ডে মেসি- এই দুজনের কারণেই সবচেয়ে বেশী আলোচিত আর্জেন্টিনা। তবে যতই আর্জেন্টিনা ফোকাসে থাকুক না কেন- দলটাকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার খুব বেশী কিছু আছে বলে মনে হয় না। ফ্রন্ট লাইন অবশ্যই বিশ্বসেরা কিন্তু ডিফেন্স একদমই সাদামাটা, বলতে গেলে খুবই জঘণ্য। টিম দেখে মনে হয়েছিল- এই দল করা হয়েছে কেবল গোল দেয়া ও গোল খাওয়ার উদ্দেশ্যে (বাস্কেটবলের ৮৮-৮৫ এর মত স্কোর না হয়ে যায়!!)। জেনেত্তি আর কাম্বিয়াসোরে না নেয়ার কারণ একমাত্র কোচই জানেন। বুড়ো ভেরনরে দিয়ে গোল তৈরি করা সম্ভব নয়- তার মানে স্ট্রাইকাররা গোল করার জন্য টগবগ করে ফুটতে থাকবেন- কিন্তু বল বানানোর মত কেউ থাকবেন না!!!! এইরকম ফ্রন্টলাইন প্লেয়ার থাকার পরেও এমন ফালতু টিম হতে পারে- সেটা অকল্পনীয়!!
তার পরেও – আর্জেন্টিনার সম্ভাবনা একেবারে ফেলে দেয়া যাচ্ছে না- তা মেসির জন্য। মেসিরে একটু নীচে খেলতে হবে, মানে বুড়ো ভেরনের কাজটা তাকে আর মাচোরানো-রদ্রিগেজদের সাথে মিলে করতে হবে, হিগুইন-তেভেজ-মিলিতোদের জন্য গোল তৈরি এবং নিজের গোল করা উভয় কাজটাই মেসিকে করতে হবে।
২। ব্রাজিল: ব্রাজিল সবসময়ের ফেভারিট, এবং এবারেও সে ফেভারিট- ফিফা র্যাংকিং তার ১। কিন্তু আমার দেখা ব্রাজিল দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য দল এবারের ব্রাজিল দল। দলগত সমঝোতা যত ভালোই থাকুক- সেইরকম সুপার স্কিলড প্লেয়ার এবার ব্রাজিলে একটাও নেই, যাকে কেন্দ্র করে তারা কাপ জেতার স্বপ্ন দেখতে পারে। কাকা-রবিনহো এরা পুরো মৌসুম সাইডবেঞ্চে বসে থেকেছে। ফাবিয়ানোর অবস্থা তেমন না। সবচেয়ে ভালো খেলোয়াড় বলতে গেলে গোলকিপারটা, আর কয়েকটা ডিফেন্ডার। এদের অবস্থা ঠিক আর্জেন্টিনার বিপরীত। গোল দিতে না পারি- গোল খামু না।
আর, কোচ দুঙ্গা হলো একটা চরম বিরক্তিকর কোচ। ব্রাজিলের খেলা দেখার মজাটাই সে নষ্ট করে দিয়েছে।
৩। ইতালি ও জার্মানি: এরা এমন দুইটা দল যাদের খেলা খুবই বিরক্তিকর, এক কথায় ফালতু- কিন্তু বিশ্বকাপে তাদের ফল সবসময়ই ভালো। এবারেও এই হিসাবে তারা ফেভারিটের তকমা গায়ে এটেছে। কিন্তু- তেমন কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না।
৪। ইংল্যান্ড: রুনি- ল্যাম্পার্ড-জেরার্ড-টেরি মিলে মোটামুটি শক্ত দলই বলা যাবে। এদের গায়েও ফেভারিটের তকমা আছে- সবাই একসাথে জ্বলে উঠলে অনেক দূর যেতে পারে।
৫। হল্যান্ড: এক সময় চরম ফ্যান ছিলাম। একসময় মানে- খুলিত-বাস্তেন-রাইকার্ড-বার্গক্যাম্প-ওভারমার্স এর সময়ে। লম্বু-গাধার (নিস্টলরয়) আমল থেকে আগ্রহ হারাতে থাকি। এবারের বিশ্বকাপে হল্যান্ড দলকে তেমন ফলো করা হয়নি। রোবেন স্নাইডার আর পার্সি খুব বেশীদূর নিয়ে যেতে পারবে বলে মনে হয় না।
৬/ পর্তুগাল ও আইভরিকোস্ট: রোনালদো ও দ্রগবা দলদুটোকে যতদূর নিয়ে যেতে পারবে ততটুকুই লাভ। পর্তুগাল-আইভরিকোস্টের কেউই খুব বেশী আগানোর কথা নয়- তবে দ্রগবা আর রোনালদোর খেলা যত দেখা যাবে, ততদিন বিশ্বকাপ দেখার মজা থাকনে।
৭। স্পেন: জাভি নামের খেলোয়াড়টা যে দলে আছে- সেই দলে একজন আসলাম থাকলেই চলে, কিন্তু স্পেনের আছে ভিলা-তোরেস-ফাব্রিগাসরা। জাভির সাথে আবার ইনিয়েস্তা। ডিফেন্সে আছে পিকে-পুয়োল। গোলবারে কাসিয়াস; ভালদেসের মত গোলরক্ষক সুযোগ পাচ্ছে না (ভালদেস অনায়াসে ব্রাজিল ছাড়া যেকোন দেশের গোলবার সামলানোর দায়িত্ব পেতে পারে।)
এইরকম কমপ্লিট একটা দলের বিশ্বকাপ না জেতাটাই হবে দুর্ভাগ্যের বিষয়।
পরিশিষ্ট:
১/ ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল বেশী উপভোগ্য কারণ:
-> এখানে সাঈদ আনোয়ার- আমলা- ইউসুফ দের মত দাড়ির ছড়াছড়ি নাই।
-> গোল দেয়ার পরে ডিগবাজি খায়, কোমর দোলায়, দৌড়ায় .. কেউ আকাশের দিকে তাকাইয়া আল্লাহ, ভগবান, গড বা মৃত পিতা-মাতারে থ্যাঙ্কু জানায় না।
-> খেলা বন্ধ করে দিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে নামাজ পড়ার তামাশা দেখার কোন সম্ভাবনা এইখানে নাই।
২। পোলা আর মাইয়ার জন্য দুইটা জার্সি খুজতেছি- একটা আর্জেন্টিনার, আরেকটা ব্রাজিলের। কিন্তু সাইজে মিলতেছে না। কালকের মধ্যে সাইজে না মিললে- বড় সাইজেরটাই কিনবো …..
দ্বিতীয় পর্ব (সেকেন্ড রাউন্ডের আগে): ২৭ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:১১
গ্রুপ পর্বের রিভিউ দিয়ে শুরু করছি …….
স্পেন: আগের পোস্টে স্পেনের কথা বিশেষ করে বলেছিলাম। বলেছিলাম- এবার স্পেন যেরকম দল নিয়ে আফ্রিকা গিয়েছে- তাতে তাদের বিশ্বকাপ না জেতাটাই চরম অঘটন।
কিন্তু ১ম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হারার পরে অনেকে টিটকারি করে উঠেছিল, ভাবটা এমন – বিশ্বকাপ ফুটবলের মঞ্চটা কখনো স্পেনের জন্য ছিল না, এবারেও নেই। যাহোক পরবর্তী দুটো ম্যাচে স্পেন তার জাত চিনিয়ে ঠিকই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ২য় রাউন্ডে। যদিও আমার ধারণা- এখনও স্পেন তার আসল সমার্থ্যের পুরোটা ঢেলে দিতে পারেনি…
মূল অস্ত্র, কারিগর জাভি এখনো আসল চেহারায় আসেনি। ইনিয়েস্তা, রামোস ছাড়া বাকিদের এমনকি ডেভিড ভিয়ার আসল খেলা এখনও দেখিনি বলেই মনে হয়।
ইতালি/ ফ্রান্স: এদের ১ম রাউন্ডে বিদায়টা খুব স্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে। চরম নড়বড়ে দুটো দল নিয়ে এরা এসেছিল- ফলাফল এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। যদিও ইতালী-স্লোভাকদের খেলার শেষ ১৫ মিনিটের খেলাটা এ পর্যন্ত এ বিশ্বকাপের শ্রেষ্ঠ। অসাধারণ টানটান খেলা খেলেছে দুদল শেষ ১৫ মিনিটে।
ইংল্যান্ড: ইংল্যান্ড সবচেয়ে হতাশ করেছে। অন্য কয়েকবারের তুলনায় এবারের ইংল্যান্ডের দলটা কিছুটা শক্তপোক্ত মনে হচ্ছিল। কিন্তু, কেউই আশানুরূপ খেলতে পারছে না। এদের বেশীদূর এগুতে পারার কথা নয়।
জার্মানি: জার্মানির খেলা আমার কখনোই ভালো লাগে না, কিন্তু বিশ্বকাপের জার্মানিকে আলাদা গুরুত্ব দিতেই হয় সবসময়। এবারেও ১ম ম্যাচেই জার্মানি আবার সে কথা মনে করে দিয়েছিল। কিন্তু একইভাবে ২য় ম্যাচে সার্বিয়ার কাছে হেরে- হতাশ করেছিল। ঘানাকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ২য় রাউন্ডে গেলেও- জার্মানি এবার খুব বড় কিছু করবে বলে মনে হচ্ছে না।
পর্তুগাল/ আইভরি কোস্ট: রোনালদো আর দ্রগবার জন্য এই দুটো দলের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। হাত-ভাঙ্গা দ্রগবা ছায়া হয়েই ছিল। রোনালদোর কিছু ঝলক দেখা গেলেও- পর্তুগালের খেলা তেমন আহামরি কিছু মনে হয় নি।
হল্যান্ড: হল্যান্ড নীরবে নিভৃতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ২য় রাউন্ডে গেলো। তারপরেও হল্যান্ডরে নিয়ে উচ্চকিত হওয়ার কিছু নেই- গ্রুপে সব কটাই দুর্বল দল ছিল।
আর্জেন্টিনা: আর্জেন্টিনার খেলা ভালো লেগেছে। মেসির খেলা দেখাটা খুবই দৃষ্টিসুখকর বিষয়। ফলে, আর্জেন্টিনার খেলা দেখাটাও আনন্দের বিষয়। আগের পোস্টে যেটা বলেছিলাম- ভেরনকে দিয়ে গোল বানানোর কাজ সম্ভব নয়- এ কাজটা মেসিকেই করতে হবে। মেসিকে সে ভূমিকাতেই দেখছি। ২য় ম্যাচের লাইন-আপটাই পারফেক্ট মনে হয়েছে। ভেরনের পরিবর্তে রদ্রিগেজ, পাস্তোর, মাচোরানোরাই মেসির যথার্থ সহযোগী হতে পারে। রক্ষণভাগকে খুব বড় পরীক্ষা দিতে না হলেও- বুঝা গেছে এটাতে ভালো সমস্যা আছে। সামনে খবর আছে।
ব্রাজিল: ব্রাজিলের ১ম ও ৩য় ম্যাচ হতাশ করলেও ২য় ম্যাচে বুঝা গেছে- ব্রাজিল কি জিনিস। ফরোয়ার্ডে সেরকম আহামরি খেলোয়াড় না থাকলেও- ব্রাজিল অসাধারণ কারণ টোটাল টিম ওয়ার্ক। ২য় ম্যাচটা দেখে মনে হয়েছে- একটা পুরো দল খেলছে। নিখুত পাসিং তো ছিলই, ডিফেন্সে লুসিও- আর সিজাররা থাকলে বিপক্ষ দলের আক্রমণ নিয়ে চিন্তার তেমন কিছু থাকেও না।
নক-আউট পর্ব: নকআউট পর্বের ফিকশ্চার দেখে মনে হলো, ব্রাজিল খুব ভাগ্যবান- আর আর্জেন্টিনার পোড়া কপাল। তবে এটাও ঠিক- ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মত কোন দলের ২য় রাউন্ডেই বিদায় নেয়াটা ভালো হতো না, তার তুলনায় সেমিফাইনালে বিদায় নেয়াটা অনেক ভালো।
বুঝতেই পারছেন- কি বলতে চাচ্ছি। ২য় রাউন্ডে স্পেনের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না কাউকে। ব্রাজিল হবে ফাইনালে আর আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে। তার আগে অবশ্য ব্রাজিলকে হল্যান্ড আর আর্জেন্টিনাকে জার্মানি বাঁধা পেরুতে হবে।
লাটিন ফুটবল নিয়ে দুটো কথা বলেই শেষ করি- ইউরোপের এক স্পেন ছাড়া এবার সেমিফাইনালের তিনটা দলই লাটিন আমেরিকার হতে যাচ্ছে বলে মনে হয়। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল-উরুগুয়ে। অনেকে ফিকশ্চারের দোষের কথা বলছেন (ঘানা- উরুগুয়ে-দ: কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র), কিন্তু আমার মনে হয় উরুগুয়ের এই দলটা ইংল্যান্ড- পর্তুগালের চেয়েও ভালো, অর্থাৎ ঘানা-কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের বদলে ইউরোপের এইসব কাগুজে বাঘরা থাকলেও তারা কিছু করতে পারতো বলে মনে হয় না। তবে, সেমি ফাইনালে ৭৫% লাটিন, ফাইনালে ১০০% হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, এমনকি শেষ হাসিটাও এবার লাটিন নাও হাসতে পারে। কারণ ঐ স্পেন। তবে আপনারা স্পেনকে লাটিন হিসাবে ধরতে পারেন, কারণ সেতো কখনো ঐ ইউরোপের কুৎসিত ঘরানার ফুটবল খেলেনা।
তৃতীয়/শেষ পর্ব (ফাইনালের আগে): ১০ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১:০৩
দেখতে দেখতে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ প্রায় শেষ হয়ে এলো। মোটে আর দুটো খেলা বাকি, যার একটি নিয়ে কারোই কখনো কোন আগ্রহ থাকে বলে মনে হয় না। এই সিরিজের শেষ আলোচনাটা আজ করছি।
হল্যান্ড-ব্রাজিলের খেলার দিনে, মানে ব্রাজিলের হোচট খাওয়ার দিনে জার্মানির সমর্থক এক বড় ভাই খুশীতে ডগমগ হয়ে ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল “অলঅয়েজ লাভার অব ইউরোপিয়ান ফুটবল”! লাতিন সুন্দর ফুটবলের ঘোর সমর্থক হিসাবে আমার কিছু দুর্নাম আছে, তাই হয়তো তিনি ঐ ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। আমিও হেসে জানালাম, “অলওয়েজ ডিসলাইকার অব ইউরোপিয়ান বোরিং ফুটবল” এবং সেমিফাইনালে স্পেনের চোখ জুড়ানো খেলাটার পরে উপলক্ষ আসলো এবং জানালাম “অলওয়েজ লাভার অব লাতিন ফুটবল”।
ইউরোপিয়ান ফুটবল আর লাতিন ফুটবল বলতে আমি বুঝি দুটো ভিন্ন ঘরানার ফুটবল। একদিকে ‘আগে ঘর সামলাও ও তারপরে পারলে কাউন্টার এটাকে গোল করে আসো ও সেই গোল/ লিড ধরে রেখে খেলা শেষ করো’ এবং অন্যদিকে ‘আক্রমণ, আক্রমণ ও আক্রমণ, ডিফেন্স? অফেন্স ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স- প্রথম থেকেই বলের দখল নিয়ে নাও এবং হামলে পড়ো বিপরীত দুর্গে”। একদিকে রক্ষনাত্মক ও বোরিং ফুটবল, আরেকদিকে আক্রমণাত্মক সুন্দর ফুটবল। এবারের দুঙ্গার ব্রাজিল তাই কোনমতেই লাতিন ফুটবল খেলেনি, সে খেলেছে ইউরোপিয়ান বোরিং ফুটবল (গ্রুপ পর্বের ২য় ম্যাচ ও কোয়ার্টার ফাইনালের ১ম ১৫ মিনিট ছাড়া)। আর, অন্যদিকে এবারের স্পেন টিম লাতিন ফুটবলের অনুপম পসরা সাজিয়ে বসেছে। এই দলের খেলা কেবল মুগ্ধ হয়েই তাকিয়ে থাকতে হয়। থেকেছিও।
তবে, সাথে এটাও এবারে স্বীকার করতে হচ্ছে- জার্মানীর খেলা এবার আমার ভালো লেগেছে। শুরুতে ভেবেছিলাম এবারের কাপ নিবে স্পেন, কিন্তু বাকি তিন সেমি ফাইনালিস্ট হবে ব্রাজিল-উরুগুয়ে-আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের হারটা আগে কল্পনাও করতে পারিনি, তবে জার্মানী-ইংল্যান্ডের খেলা দেখার পর থেকেই বুঝতে পারছিলাম স্মরণকালের সবচেয়ে জঘণ্য ডিফেন্স নিয়ে আর্জেন্টিনা জার্মানীর কাছে নাস্তানাবুদই হবে। বাজ্জিওর আমলের ইতালীর পর এইরকম ক্ষিপ্র কাউন্টার এটাক করতে পারা ফরোয়ার্ড দেখলাম জার্মানী দলে। দলটাকে আমার পছন্দ হয়েছে, শারীরিকভাবে সমর্থ, ব্যক্তিগত স্কিলও কয়েকজনের বেশ ভালো। বয়সও কম। সামনেরবার এরা আরো পরিণত হবে এবং ব্রাজিল বিশ্বকাপে জার্মানীর ভালো সম্ভাবনা দেখছি। আফসোস- এরা লাতিন ঘরানার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে না! পুরো সামর্থ্যই এদের আছে, খেললে যে কি হতো!!!
মেসির জন্য একটু আফসোস হচ্ছিল, জেনেত্তি-কাম্বিয়াসোদের বাদ দিয়ে এমন ফালতু ডিফেন্স গড়াতেই তো মেসির জাদুটা আর এক-দু ম্যাচ বেশী দেখা হলো না! তবে ম্যারাডোনা যেমন কিম্ভুত দলই গড়ুন না কেন- বিশ্বকাপে কোচ হিসাবে আমি তাকে লেটার মার্কই দিবো। খেলোয়াড়দের বুকে জড়িয়ে নেয়া- আদর করা, ভালো লেগেছে। টিম ফরম্যাট, আক্রমণাত্মক স্টাইল এসবও ঠিক ছিল। কাউন্টার এটাক ঠেকানোর মত ডিফেন্সটা যদি থাকতো- তবে স্পেনের মতই একটা দল হয়ে উঠতো।
আগের পোস্টে বলেছিলাম- ব্রাজিলের ভাগ্যটা খুব ভালো- খুব সহজে ফাইনালে চলে যাবে। ঘটনাটা হল্যান্ডের জন্য হলো। আমি মনে করি এই হল্যান্ড টিমকে স্পেন তো বটেই, জার্মানী-আর্জেন্টিনাও হারানোর সামর্থ্য রাখে (ব্রাজিলকেও)। ফাইনালে স্পেন হল্যান্ডের জালে ১ বা ২ এর বেশী গোল হয়তো দিতে পারবে না, তবে জার্মানী হলে তো হল্যান্ডকে প্রায় ন্যাংটো হতে হতো- মানে ৩-৪ টা গোল খেয়ে ফাইনালে নাস্তানাবুদ হতে হতো!
দুঙ্গার বিদায় ব্রাজিলের জন্য এবং আমাদের মতো লাতিন সুন্দর (জোগো বনিতা) ফুটবলের সমর্থকদের জন্য সুখবর, সে হিসাবে ব্রাজিলের এমন লজ্জার বিদায় একরকম আশীর্বাদই। আশা করবো, লুসিও-সিজার ভিত্তিক দল না হয়ে ব্রাজিল অচিরেই রবিনহো-কাকা-পাতো নির্ভর দল হয়ে উঠবে। রবিনহোরা মাঝে মাঝে জোগো বনিতার যে ঝলক মাঠে দেখিয়েছিল – সেটাই হবে ব্রাজিলের আসল খেলা। লুসিও-সিজাররা থাকবে বিপক্ষ দলের হাতে গোনা কয়েকটা প্রতি আক্রমণ ঠেকানোর দায়িত্বে। সামনের বার যে লাতিন দেশেই বিশ্বকাপ! ফুটবলের দেশেই বিশ্বকাপ। লাতিনেই বিশ্বকাপটা থাকুক আর না থাকুক- চাইবো লাতিন ফুটবলের যাদুতে বিশ্ব মোহিত হয়ে যাক বিশ্বকাপ ২০১৪ এর আসর।
শেষে- ফাইনাল ম্যাচ। কিছু বলার নেই। স্পেনের খেলা দেখার জন্য বসবো। সুন্দর ফুটবল দেখার জন্য বসবো। গোল্ডেন বুট- গোল্ডেন বল দুটাই ভিয়া জিতলে খারাপ হয় না, এবারে সে অসাধারণ খেলেছে। তবে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে মুলার- ক্লোসা গোল করে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে ভালোভাবে আসতে পারে, বিশেষ করে ক্লোসার দুটো গোল খুব চাচ্ছি- রোনালদোর রেকর্ড ভাঙ্গার সাক্ষী হতে চাই। গোল্ডেন বলের জন্য দাবীদার আমার মনে হয় জাভিও। আমি জাভির অসম্ভব রকম ফ্যান। মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য যার ফিফা বর্ষসেরা হ্ওয়াটা সম্ভব হচ্ছেনা – হয়তোবা হবেও না- কিন্তু বার্সাতে মেসি-জাভি জুটির খেলা যারা দেখেছেন- বুঝবেন জাভি কি জিনিস!
পরিশিষ্ট:
১। ব্রাজিল যেদিন হারলো- পরপরেই দেখি এলাকায় বড় মিছিল। হল্যান্ডের এত সাপোর্টার দেশে নাই বলে জানতাম। তাকিয়ে দেখি মিছিলের শ্লোগানে হল্যান্ডের “হ”-ও নেই। সবাই “ভুয়া”র সাপোর্টার। অনেক মজা পাইলাম।
২। এরপরে যখন আর্জেন্টিনা রীতিমত নাস্তানাবুদ হলো জার্মানীর কাছে- আগের রাতের চেয়েও মিছিল থেকে আওয়াজ জোরে শোনা গেল। যথারীতি কেউ জার্মানীর নয়- “ভুয়া”র সাপোর্টার। ব্রাজিলের সমর্থকেরা পুরো বিশ্বকাপে ঐ রাতেই সবচেয়ে আনন্দ করেছে বলে মনে হলো।
৩। আর্জেন্টিনার কিছু সমর্থককে আল্লাহ বিল্লাহ করতে দেখেছি। গোলের জন্য- মেসির জন্য- ম্যারাডোনার জন্য। ব্রাজিলের সমর্থকও মনে হয় অনেকে দোয়া দরুদ পড়েছেন। খ্রিস্টান-ইহুদীদের জন্য মুসলমানদের দরদ দেখে দারুন মজা পাইলাম। ভালো ভালো। কোরআনে কাফের-নাসারাদের তো মুসলামনদের আজীবন শত্রু হিসাবে উল্লেখ করা আছে বলেই জানতাম। বিশ্বকাপ ফুটবল দেখি মুসলমানদের কোরআন ভুলিয়ে রাখতেও সক্ষম হচ্ছে!!!!
বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে তাদের দেশেই হারিয়ে দিল, কারো খবর আছে? নাকি হাজার মাইল দুরের দেশগুলো নিয়েই সবাই পড়ে আছে?
@রামগড়ুড়ের ছানা,
খবর পেয়েছি। সাবাশ বাংলাদেশ।
আরো খবর- জার্মানী এক গোল দিয়েছে। গোল দেয়ার পরই আমি চলে এসেছি। লেটেস্ট নিউজ জানি না। থাকলে দিয়েন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
খবরে দেখলাম। কংগ্রাচুলেশন টু বাংলাদেশ!
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আকাশ মালিক ভাই এর মতামত জানার ইচ্ছে করছে।
উনি যেই পক্ষই নেন, ওনাকে “রাজাকার” চিহ্নিত করার সূবর্ন সুযোগ এসেছে 😀 ।
@আদিল মাহমুদ,
এই সুবর্ণ কথাটি (রাজাকার) বলার জন্যে আমার পরবর্তি লেখাটি আপনার নামেই উৎসর্গ করবো।
@আকাশ মালিক,
‘স্মৃতির পাতা থেকে’ পড়ার পর এই মন্তব্য দেখলাম। যখন দেখলাম আদিল ভাইয়ের উদ্দেশে উৎসর্গকৃত, তখন বুঝতে পারিনি এর রহস্য? এখানে এসেই বুঝতে পারছি- কী কারণে আদিল মাহমুদ ভাইকে উৎসর্গ করলেন।
ভাইজান কি পোষ্ট ডেট খুশীমত বসায়ে ছাড়লেন নাকি? মানে ফল জেনে ভবিষ্যতবানী???
একজন দাঁড়িওয়ালা ফুটবলার আমার খুব প্রিয় ছিল, ব্রাজিলের সক্রেটিস। ক্রিকেটে দাড়িওয়ালা প্লেয়ার কিন্তু পাকিস্তান ছাড়াও আরো বহু আছে। তবে ফুটবলারদের মাঝে কেন যেন দাড়ির সংখ্যা কম।
@আদিল মাহমুদ,
লম্বা দাঁড়ি বেশি বাতাস ধরে, দৌড়াতে অসুবিধা হয়, এইটা জানেন না ????
@আতিক রাঢ়ী, তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে দাঁড়ি ধরে টান দিয়ে বল জবরদখল করার সম্ভাবনাও আছে 😀
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক,কিন্তু মেয়েদের মতো লম্বা চুলের বাহারি সব সময়ই ফুটবলারদের মাঝে দেখতে পাওয়া যায় কেন , বুঝলাম না ???
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ব্যাপারটা তো খুবই ইন্টারেষ্টিং দিকে টার্ন নিচ্ছে দেখি। অনেকেই ভাল ভাল পয়েন্ট দিয়েছেন যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত।
ফুটবল খেলায় দাড়ির গুরুত্ব নিয়ে মনে হয় একটি পূর্নাংগ লেখা লেখা যায়।
নাস্তিকের ধর্মকথার বিশ্বকাপ ফুটবল দরশন এর মধ্যে অক্টোপাস আর টিয়া পাখির বিষয়ই তুলোধুনো করবেন বলে আমার প্রত্যাশা ছিল।
এতদিন জানতাম খেলায় বাণিজ্য আছে, ক্ষমতা আছে, গ্লেমার আছে। এখন দেখছি ভাগ্যবাদী ও আছে। আছে অলৌকিক শক্তির উপর ভরসা।
আর
ভুলায়নি। আর্জেনটিনার জন্যে একজনকে নামাজ এক রাকাত বেশি পড়ার মানত করতেও শুনেছি।
তাছাড়া, ভালইতো। স্পেন সারাবছর ফুটবলে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। এবার বিশ্বকাপ ঘরে নিলে ফুটবলে বিনিয়োগে সুফল সুদে আসলে পেল।
যাহোক, আমরা নাস্তিকের ধর্মকথা শুনতে আগ্রহী। ব্যস্ততার মাঝেও মাঝে মাঝে পদচারণা চাই।
@গীতা দাস,
কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ। অক্টোপাস/টিয়া পাখি এইসব ঘটনা টুকটাক ফলো করতে পেরেছি- কিন্তু ডিটেইলসে তেমন ফলো করিনি- কারণ সময়াভাব এবং আগ্রহের অভাব (এইসবরে ইগনোর করতে চাইছিলাম- কিছুটা বিরক্তও- আগের বিভিন্ন সময়ে জ্যোতিষির গণনা-টননার কথা পত্রিকায় আসতো, কিন্তু এইবারে এত হই-হুল্লোড় কেন হচ্ছে সেটাই বুঝছি না …)।
এই সিরিজের লেখাটা লেখতে তো আসলে কোন প্রস্তুতির দরকার বা কোন কিছু পড়ার দরকার হয়নি- তাই লিখতে পারা। এমনকি সব খেলাও দেখতে পারিনি, তারপরেও যেকটি খেলা দেখেছি বেশ আগ্রহ নিয়েই দেখেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় বিশ্বকাপ আড্ডায় ইনস্ট্যান্ট যেগুলো মাথায় এসেছিল সেগুলো নিয়ে তিনটি পোস্ট দিয়েছিলাম।
দুটো পরিশিষ্ট যোগ করার উদ্দেশ্য – একটা ফ্লেভার যোগ করে দেয়া। যদিও সেগুলো খুব গুরুগম্ভীর কিছু না, একটু হালকা চালে মজা করা আর কি…
চেস্টা করবো সঙ্গে থাকতে অনিয়মিতভাবে হলেও ……
খেলা বিষয়ক এটা দ্বিতীয় পোষ্ট। এর আগে আনাস ‘বিশ্বকাপ ২০০০’ পোষ্ট দেয়। মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপ নিয়ে আর কেউ কোন পোষ্ট দিবে না। কিন্তু হঠাৎ করে খেলার শেষ পর্যায়ে এসে আপনি হাজির।
এর আগে, গেল বছরের শেষ দিকে (ডিসেম্বর ২০০৯) এসে ‘ঈশ্বরের সাথে ক্ছিক্ষণ’ থেকে হাওয়া হয়ে গেলেন।
সবই শেষ পর্যায়ে। একটা বছরের শেষ পর্যায়ে, আরেকটা খেলার শেষ পর্যায়ে। এর মাহাত্ম্য কি ভাই? আবার খেলা বিষয়ে বিশ্লেষণ করছেন- একেবারে শেষ পর্যায়ে। বড়ই হেয়ালী হেয়ালী ঠেকতাছে!!
দারুণ কইছেন। কিন্তু এতদিন আপনারে কোন জিনিসে ভুলিয়ে রাখছিলো মুক্তমনা থেকে? খেলা নিয়ে কত কথা হয়ে গেল, একবারের জন্যও আপনার টিকিটা দেখলাম না। আমার আফসোস এইখানে।
@মাহফুজ,
দারুন ব্যস্তরে ভাই। মনে হচ্ছে ২০১০ সালটা প্রায় পুরাটাই এইরকম যাবে…..
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আপনার বলা কৌতুকগুলো আজও আমাকে হাসায়। আপনাকে স্মরণ করে আমিও একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম, পোষ্টটির নাম- ‘ধর্মীয় কৌতুক বা হাসি উদ্রেককারী ঘটনা’। দেখেছেন কি?
@মাহফুজ,
লিংকটা কি একটু শেয়ার করবেন???
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
ধর্মীয় কৌতুক বা হাসি উদ্রেককারী ঘটনা দেখুন।
এরকম মানসিকতা আপনার কাছ থেকে আশা করা যায়না। যারা খেলা বুঝে তাদের জিজ্ঞাসা করুন এই তিন জন কোন মাপের খেলোয়াড়।
@রামগড়ুড়ের ছানা, ক
পোস্টে যাই বলি না কেন, ক্রিকেটটাও আমি মেলা পছন্দ করি। আমলারে আনোয়ার-ইউসুফের সাথে এক ক্যাটাগরিতে ফেলিওনা। ইউসুফ এর খেলা আমার তো জোস লাগে। কিন্তু- সাঈদ আনোয়ার পাকিস্তান টিমে যে জিনিসের আমদানী করেছে- তার ফল পাকিস্তান টিম ভালোই ভোগ করছে বলে মনে হয়।
তাছাড়া, এগুলার অতি ইসলাম ভক্তি আমার কাছে ভন্ডামিই মনে হয়।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
এই মন্তব্যটি পড়ে কিছুটি স্বস্তি পেলাম। দাড়ি আছে তাই কারো খেলা ভালো লাগেনা সেরকম ভাবা ঠিক না, আপনি তেমন ভাবেননা জেনে ভালো লাগল। কিন্তু তেমন যদি নাই ভাবের তাহলে পোস্টে এভাবে লিখলেন কেন?
আসলে খেলার প্রসঙ্গে ধর্ম বা এ জাতীয় কথা আসাই ঠিক না।
@নাস্তিকের ধর্মকথা,
আপনার নেদারল্যান্ড দল সম্বন্ধে কমন্টে কষ্ট পেলাম।
আমাদের স্নাইডার যা স্পর্শ করে তাই সোনা হয়ে যায়!
দেখবেন নেদাল্যান্ডই জিতবে!
আপনে কইত্থেইকা হঠাৎ কইরা আসেন, আবার হঠাৎ উধাও হন?
যাক আপ্নের জন্য এক গরম খবর আছে। এক জার্মান অক্টোপাস নাকি বিশ্বকাপের ফলাফল নিয়া সফল ভবিষ্যদ্বানী শুরু করসে। সেমিফাইনালের দিন নাকি কইসিলো জার্মানী হারবো, আর এখন ফাইনালের দিন বলতেসে হল্যান্ড হারবো। পাবলিকও এটা নিয়া মহা হাউ কাউ শুরু করসে যথারীতি। আমার মনে হয় এই জন্যই আমারে ফাইনালে হল্যান্ডের সাপোর্ট হওয়া লাগবে। 🙂
আপনার অলৌকিক সংখ্যাতত্ত্ব এ ব্যাপারে কি বলে? 😉
মুক্তমনায় আবার লেখা শুরু করার জন্য স্বাগতম।
@অভিজিৎ,
অক্টোপাসটারে নিয়া আপনার একটা লেখা আশা করছি ….
আসলে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না- লোকে এটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে? না কি জাস্ট ফান হিসাবে নিচ্ছে ??????
আর, উধাও তো হতে চাইনা, কিন্তু অফিসিয়াল চাপটা একটু বেশী … আরো ২/৩ টা মাস পরে আশা করি- একটু ফ্রি হতে পারবো …….
@অভিজিৎ,
বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর দিন থেকে বলে আসছিলাম যে এবার স্পেন তার ৮০ বছরের শোধ তুলে নিবে। কেউ তো আমার কথা শুনলো না। দেখছেন তো এখন অক্টোপাসও আমাগো পক্ষে গুনগান গাইছে।একেই বলে শক্তির পক্ষে জয়গান শুধু মানুষই করে না পশু-পাখি ও মাছ তারাও করে।
দু`দলের এক দল ৮০ ও অন্য দলের ৩২ বছরের স্বপ্নের আকাশ ছোঁয়া সোনার বাটিটির জন্য যে মরনপ্রান লড়াই হবে সেটা দেখার জন্য কাল সারা পৃথিবীর মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে , সাথে আমিও।