আমরা একটা বিষয়ে অনেকেই অনেক সময় ভুল করে ফেলি। সেটা হলো সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস আর ধর্মে বিশ্বাস দুটো এক জিনিস না। কিন্তু আমরা অনেকেই দুটোকে অনেক সময় এক করে ফেলি। সুতরাং গোটা মানব প্রজাতিকে আমরা তিন ভাগে ভাগ করতে পারি- ঈশ্বর ও ধর্ম বিশ্বাসী আস্তিক, সোজা নাস্তিক যে কোন কিছুতেই বিশ্বাস করে না আর যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তবে প্রচলিত কোন ধর্মে বিশ্বাস করে না। প্রথম শ্রেনীর আস্তিক যারা বিশ্বাস করে কোন এক অতি প্রাকৃত ঈশ্বর কোন এক সময় এ বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি করেছে সৃষ্টি করেছে আমাদের এ পৃথিবী আর তার জীব জগৎ আর বলা বাহুল্য মানুষকে। সব কিছু সৃষ্টি করার পর তিনি খামোখা মানুষ সৃষ্টি করতে গেলেন কেন? তার উত্তর হলো- তার সৃষ্টি রহস্য বোঝার জন্য বুদ্ধিমান প্রানী দরকার আর সেকারনেই মানুষ সৃষ্টি করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেনীর মানুষ যারা নাস্তিক তারা মনে করে না যে বিশ্বজগৎ কোন এক ঈশ্বর কর্তৃক সৃষ্টি হয়েছে, তারা মনে করে কোন এক তথাকথিত বিগ ব্যাং বা অতি সাম্প্রতিক অতি স্ফীতি এর মাধ্যমে বিশ্বজগতের পত্তন ঘটেছে, কাল ক্রমে সৃষ্টি হয়েছে কোটি কোটি নত্র. নিহারীকা. আমাদের সূর্য তার গ্রহ সমূহ , পৃথিবী, তারপর পৃথিবীতে নানা পরিঘটনার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে জীবকনার যা থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের জটিল জীব জগত। যারা সৃষ্টি কর্তায় বিশ্বাসী কিন্তু কোন প্রচলিত ধর্মে আস্থা রাখে না তারা মনে করে সবকিছু সৃষ্টি কর্তা কোন এক তথাকথিত বিগ ব্যাং বা অতি স্ফীতির মাধ্যমে সৃষ্টিকার্য শুরু করে দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন কিছু মৌলিক ভৌত বিধির আওতায় আর তার ফলে পরবর্তীতে নানা ঘাত প্রতিঘাত ও বিবর্তন প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে আজকের বিশ্ব জগত।
মানুষের শ্রেনীবিভাগটা এত সরলীকরন করলে কিন্তু আসলে কোন সমস্যা ছিল না। সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে পরবর্তীতে শ্রেনী চরিত্রের বিকাশ ও তার বাস্তবায়নে। দুনিয়াতে মানব সমাজে নাস্তিক বা প্রায় নাস্তিক শ্রেনীর মানুষ নিয়ে তেমন কোন সমস্যা কখনো হয়নি। সমস্যা হয়েছে আস্তিক শ্রেনীর মানুষ কর্তৃক। আস্তিক শ্রেনীর মানুষগুলো তাদের স্ব স্ব ধর্ম ও বিশ্বাস অন্যের ওপর জোর করে চাপিয়ে দিতে গিয়েই সমস্যা গুলো সৃষ্টি করেছে। এজন্য গনহত্যা, লুঠ-তরাজ, ধর্ষণ কোন কিছুই তারা বাদ দেয়নি। আর তা করা হয়েছে ধর্মের নামে, ঈশ্বরের নামে। অথচ অদ্ভুদভাবে প্রতিটি ধর্মই দাবী করে তাদের বানী হলো শান্তির, সেখানে অশান্তির কোন স্থান নেই। বর্তমানে গোটা দুনিয়া জুড়ে ইসলাম ধর্ম নিয়ে সেরকমই একটা সংকটে পড়েছি। সুতরাং আলোচ্য নিবন্ধের মূল বক্তব্যই হবে ইসলামেকে কেন্দ্র করে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন অন্যান্য ধর্ম থাকতে কেন ইসলামকে নিয়ে পড়লাম। এর কারন হলো- বর্তমান দুনিয়ায় এখন অন্য ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দেশ বা সমাজকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চলছে না যা চলছে ইসলামকে কেন্দ্র করে। আর তাই ইসলাম নিয়ে এত মাথা ব্যথা। একদল উগ্র ধর্মান্ধ মুসলমান কোরান হাদিস থেকে অনুপ্রানিত হয়ে নিরীহ জনপদে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে সাধারন মানুষ হত্যা করছে, তা করছে কিন্তু আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে, যেন মরার পর বেহেস্তে যাওয়া যায়। তারা শুধু সেটুকু করেই ান্ত হচ্ছে না, তারা স্বপ্ন দেখছে গোটা দুনিয়ায় ইসলামী ঝান্ডা উড়িয়ে মানব সভ্যতাকে মধ্যযুগে বা তারও আগের যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। আর তারা তা করতে এমন কোন কৌশল নেই যা অবলম্বন করছে না। মিথ্যা প্রচারনা, ভিত্তিহীন অযৌক্তিক দাবী, চির শান্তির বানী ইত্যাদি নামে তাদের এ প্রচারনা চলছে মহা বিক্রমে যাকে সহায়তা করছে মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রোডলারের প্রবাহ, কোন কোন েেত্র পাশ্চাত্যদেশে বসবাসকারী কিছু উগ্র মানুষের অকাতর অনুদান। উদারহরন স্বরূপ বলা যেতে পারে- এক শ্রেনীর তথাকথিত ইসলামী পন্ডিতদের আগমন ঘটেছে যারা কোরানের মধ্যে বিজ্ঞানের যাবতীয় তত্ত্ব ও তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন, আইনস্টাইনের আপেকি তত্ত্ব, আলোর গতি ইত্যাদিও তারা কোরানে পেয়ে গেছেন, যদিও ওসব পন্ডিত ব্যক্তিরা কোন বিষয়ে পন্ডিত তা কিন্তু এখনও জানা যায়নি। তারা প্রচার করে চলেছেন চন্দ্রে প্রথম পদপে প্রদানকারী নীল আর্মস্ট্রং চাদে নাকি আজানের ধ্বনি শুনেছিলেন আর তা শুনে পৃথিবীতে আসার সাথে সাথেই ইসলাম কবূল করে ফেলেছিলেন। যদিও যথেষ্ট সন্দেহ আছে যে , শব্দ তরঙ্গ চলাচলের জন্য যে মাধ্যম হিসাবে বায়ু লাগে একথা ওসব তথাকথিত পন্ডিতরা জানেন বলে মনে হয় না , তা না হলে বায়ুহীন চাদের বুকে কিভাবে আজানের ধ্বনি শোনা যেতে পারে তা ঠিক বোধগম্য না। আজানের ধ্বনি তো দুরের কথা, একটা পারমানবিক বোমার বিস্ফোরন নাকের ডগায় ঘটলেও কেউ তার শব্দ শুনতে পাবে না চাদের বুকে। তার চেয়ে আজব কথা হলো- এসব ভুয়া প্রচার প্রচারনা ও দাবীর কথা শুনে আমাদের মুসলমান ভাই বোনেরা শিতি অশিতি, জ্ঞানী মূর্খ নির্বিশেষে আনন্দের আতিশয্যে ডগ মগ হয়ে ঢেকুর তুলছেন আর আরও জোরে শোরে নামাজ রোজা আকড়ে ধরে পরকালে বেহেস্তে যাওয়ার কল্পনায় বিভোর হয়ে পড়ছে।
বিশ্বাসের জোর তাদের এত বেশী যে, তারা এ বিশ্বাসের বিপরীতে কোন তথ্য প্রমান হাজির করলেও তা পড়তে বা শুনতেও রাজী নয়। এ ধরনের কোন প্রসঙ্গের অবতারনা করলে সাথে সাথেই তারা আলোচনা বন্দ করে দেয় অথবা মাফ চেয়ে বিদায় নিতে চায়। মোট কথা তারা পণ করেছে কিছুই তারা শুনবে না । তারা সেই শৈশব থেকে কাঠ মোল্লাদের কাছ থেকে যা শুনে এসেছে বা তাদের লেখা ধর্মের বই পুস্তকে যা পড়ে এসেছে তার বাইরে আর কোন কিছু জানতে চায় না , শুনতে চায় না, জানাতে বা শুনাতে গেলে রেগে যায়। সম্প্রতি এধরনের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে। যেমন- ইসলামে নারীদের জন্য প্রদত্ত তথাকথিত অধিকার ও স্বাধীনতার কথা কয়েক জন উচ্চ শিতি নারীর সাথে আলাপ করতে গিয়ে ভীষণ ভাবে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম। এসব নারীর মধ্যে কয়েকজন পোষ্ট গ্রাজুয়েশন করা ইঞ্জিনীয়ার ও ডাক্তারও আছে। তারা কেন ইসলাম ধর্ম পালন করে জানতে চাইলে তারা অকাতরে উত্তর দিয়েছিল- জান্নাত বাসী হওয়ার জন্যই তারা তা পালন করছে পরম বিশ্বাস সহকারে। তখন আমি বললাম- জান্নাত তো হলো শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য কারন সেখানে যেসব আনন্দ ফুর্তির ব্যবস্থা তার সবই পুরুষ মানুষদের জন্য, যেমন- যৗবনবতী হুর, সুরা ইত্যাদি যে সমস্ত জিনিসের বর্ননা বেহেস্তে আছে তার কোনটাই মেয়েদের জন্য কাজে লাগে না, লাগে সব পুরুষদের জন্য। মেয়েদের আনন্দ ফুর্তির কোন ব্যবস্থা তো কোরানের কোথাও উল্লেখ নেই। আমি তাদেরকে আল্লাহ প্রেরিত কোরানে উল্লেখিত যাবতীয় ফুর্তির ব্যবস্থা যে শুধু পুরুষের জন্য তার কতিপয় উদাহরন নিম্নে উল্লেখ করে দেখালাম-
নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা থাকবে জান্নাতে ও নেয়ামতে।তারা উপভোগ করবে যা পালনকর্তা তাদের দেবেন এবং তিনি জাহান্নামের আগুন থেকে তাদের রা করবেন।তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যা করতে তার প্রতিফল স্বরূপ তোমরা তৃপ্ত হয়ে পানাহার কর। তারা শ্রেনীবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদেরকে আয়ত লোচনা হুরদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেব। ৫২ঃ ১৭-২০
যারা আল্লাহর বাছাই করা বান্দা। তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রুজি। ফল-মূল ও তারা সম্মানিত। নেয়মতের উদ্যানসমূহ। মুখোমুখি হয়ে আসনে আসীন। তাদেরকে ঘুরে ফিরে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ পানপাত্র। সুশুভ্র যা পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার উপাদান নেই ও তা পান করে মাতালও হবে না। তাদের কাছে থাকবে নত আয়তলোচনা তরুনীগন। যেন তারা সুরতি ডিম। ৩৭ঃ ৪০-৪৯
নিশ্চয়ই খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে। উদ্যানরাজি ও নির্ঝরিনী সমূহে। তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমীবস্ত্র, মুখোমুখি হয়ে বসবে। এবং আমি তাদের আয়তলোচনা স্ত্রী দেব। ৪৪ঃ ৫১-৫৪
তারা তথায় রেশমের আস্তর বিশিষ্ট আসনে হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যনের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।— তথায় থাকবে আয়তলোচনা স্ত্রীগন কোন মানব ও জীন তাদেরকে পূর্বে স্পর্শ করেনি। ৫৫ঃ ৫৪-৫৬
তাবুতে অবস্থানকারিনী হুরগন।—- কোন জীন বা মানুষ তাদেরকে পূর্বে স্পর্শ করেনি। ৫৫ঃ ৭২-৭৪
পরহেজগারদের জন্য রয়েছে সাফল্য। উদ্যান ও আঙ্গুর। সমবয়স্কা , পূর্ন যৌবনা তরুনী। এবং পূর্ণ পানপাত্র। ৭৮ঃ ৩১-৩৪
তারা তাতে বসবে হেলান দিয়ে মুখোমুখি হয়ে। তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করবে চির কিশোরেরা। পানপাত্র কুজা ও সূরাপূর্ণ পেয়ালা হাতে নিয়ে। যা পান করলে তাদের শিরঃপীড়া হবে না বা বিকারগ্রস্থও হবে না।—- তথায় থাকবে আয়তলোচনা হুরগন। ৫৬ঃ ১৬-২২
আমি তাদেরকে বললাম- উপরোক্ত কোরানের আয়াতে ভুল করেও কোথাও নারীদের জন্য কি ব্যবস্থা বেহেস্তে আছে তার উল্লেখ করা হয় নি। তার মানে নারীদের জন্য মজাদার কোনকিছুই বেহেস্তে নেই। তাহলে তো তাদের বেহেস্তে যাওয়ার জন্য এত কষ্ট করার কোন মানে হয় না। আর পুরুষদের জন্য শুধুমাত্র আয়তলোচনা কুমারী যৌনাবেদনময়ী নারীই খালি নেই , যারা সমকামী পুরুষ তাদের কথাও এখানে ভুলে যাওয়া হয় নি। তাদের জন্য আছে চির কিশোররা। সমকামী নারী বা পুরুষ তো শুধু আজকে না , সেই চোদ্দ বছর আগেকার আরব দেশেও ছিল, গবেষণায় জানা গেছে যে এটা আসলে কোন বিকৃত রুচির ব্যপার না, জেনেটিক কিছু কারনে কিছু মানুষ সম লিঙ্গের প্রতি আকৃষ্ট হয় ও তারা সমকামী হয়ে পড়ে। এখন সমকামী পুরুষ যৌন আচরনে সমকামী তাই বলে যুদ্ধেেত্র তো সে অস্ত্র ধরে লড়াই করতে পারে। সেখানে তো সে অম না। বিষয়টা আমাদের আল্লাহর নবীর নজর এড়ায় নি। তাই সেই সময় সৈন্যবল বৃদ্ধি করার জন্য কে বিপরীত কামী আর কে সমকামী তা বিচার করার সময় ছিল না। ফলে সমকামীদের জন্যও বেহেস্তে একটা ব্যবস্থা রাখা জরুরী হয়ে পড়াতেই আল্লাহর কাছ থেকে কোরানে এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। এ কিশোরগুলো যদি আমাদের পূন্যবতী মুসলিম রমনীগনের জন্য বরাদ্দ থাকত তাহলেও না হয় তারা ধর্ম কর্ম করতে উৎসাহিত হতে পারত, কিন্তু সে গুড়ে বালি। ঐ চির কিশোররাও পূন্যবান নারীর জন্য নয় বরং বেহেস্তবাসী সমকামী পুরুষদের জন্য। অনেকে আপত্তি তুলতে পারে তারা যে সমকামী পুরুষদের জন্য তার প্রমান কি? ঠিক কথা। উপরের আয়াতগুলোতে কিন্তু একবারও বলা হয়নি বেহেস্তবাসী পুরুষগুলো আয়তলোচনা রমনীদের সাথে কি করবে। অর্থাৎ প্রত্য ভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে বেহেস্তবাসী পুরুষগন তাদের সাথে যৌন লীলা উপভোগ করবে। কিন্তু সাধারন বোধবুদ্ধির মানুষ মাত্রেই বুঝতে পারে ওসব উদ্ভিন্ন যৌবনা নারীদের ব্যবস্থা কি কারনে। এটা আর ব্যখ্যা করে বলার দরকার পড়ে না। ঠিক তেমনিভাবেই চির তরুন কিশোরদের ব্যবস্থা কি কারনে তা বুঝতেও কষ্ট হওয়ার কথা নয়, অন্ততঃ যারা সমকামী পুরুষ তাদের তো মোটেও কষ্ট হওয়ার কথা না। আমার এত সব যুক্তি প্রদর্শনও কোন কাজে আসেনি। তাদের সোজা বক্তব্য আল্লাহ যা ব্যবস্থা করেছেন তা চিন্তা ভাবনা করেই করেছেন। আর তাতেই তারা সন্তুষ্ট। তাই আমাকে অগত্যা আরও সামনে বাড়তে হলো।
অনেক ঘেটে ঘুটে অবশেষে নিচের আয়াতটি আবিষ্কার করা গেল-
যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে , হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং যে ইমানদার হবে , এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না। ৪ঃ ১২৪
খুব ভাল কথা। ভাল কাজ করলে তার পুরষ্কার স্বরূপ তাকে জান্নাতে দাখিল করা হবে , সেখানে নারী ও পুরুষে কোন বৈষম্য দেখানো হবে না। তা না হলে তো আল্লাহ পরম ন্যয় বিচারক হন না। কিন্তু সে জান্নাতে যেখানে বিভিন্ন সূরার অন্ততঃ ডজনখানেক আয়াতে পুরুষদের জন্য কি কি লোভনীয় ব্যবস্থা থাকবে তার আকর্ষণীয় বর্ননা দেয়া হয়েছে সেখানে কোরানে কোন সূরার একটি আয়াতেও কিন্তু সামান্যতম বর্ননা করা হয়নি যে সেখানে নারীর মজা ফুর্তি করার জন্য কি ব্যবস্থা থাকবে। অবশ্য সাধারন খাবার হিসাবে নানা রকম সুস্বাদু ফলের উল্লেখ আছে, কিন্তু আমার মনে হয় না শুধূমাত্র ফল খেয়েই নারীরা জান্নাতে মহা আনন্দে থাকবে। অথবা জান্নাতে শুধুমাত্র ফল খাওয়ার জন্য কোন নারী দুনিয়ার জীবনে এত কষ্ট দুঃখ ভোগ করবে। তার একটা কারন হলো- এ দুনিয়াতেই কিন্তু এখন ফলের তেমন অভাব নেই। টাকা পয়সা আয় করতে পারলে যে যত খুশী ফল খেতে পারে। তবে বাংলাদেশের হত দরিদ্র মুসলমান নারীদের কথা আলাদা। তারা সারা জীবনে খুব বেশী মন ভরে রকমারি ফল খেতে পারে না বলে , শুধু ফল খাওয়ার জন্য বেহেস্তে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেই পারে। তবে উন্নত দেশ সমূহের নারীরা বা যে সব দেশে নানা রকম ফলের ব্যপক উৎপাদন হয় সেসব দেশের নারীরা গরিব হলেও ফল খাওয়াতে তাদের কোন সমস্যা নেই। সুতরাং তারা সেেেত্র কি করবে সেটা চিন্তার বিষয়। আশ্চর্য হলেও সত্যি আমার কথিক উচ্চ শিতিা নারীরা কিন্তু সোজা সাপ্টা বলে দিল যে – যৌন উপভোগ ছাড়াও যে সব আনন্দের ব্যবস্থা বেহেস্তে আছে তাতেই তারা খুশী, আর কিছুর দরকার নেই। তাদের আরও বক্তব্য- পুরুষদের জন্য সেখানে কি ব্যবস্থা আছে তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই। আমি অতঃপর আর কি বলব ভেবে পাচ্ছিলাম না। অগত্যা সর্বশেষ হাতিয়ার হিসাবে হাদিসের একটা উদ্ধৃতি টেনে আনলাম-
আবু সাইদ খুদরি বর্নিত- এক ঈদ উল ফিতরের দিনে জামায়াতের নামাজ পড়ে ফেরার পথে নবীজি উপস্থিৎ লোকজনকে তাকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করার জন্য আদেশ দিলেন। অতঃপর তিনি উপস্থিৎ মহিলাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে বললেন- হে নারী সকল, সাহায্য কর, কারন আমি দেখেছি আগুনে পুড়তে থাকা দোজখ বাসীদের অধিকাংশই হলো নারী । তখন একজন মহিলা জিজ্ঞেস করল- হে আল্লাহর নবী। এর কারন কি ? আল্লাহর নবী বললেন- হে নারী সকল, তোমরা সব সময় অভিশাপ দাও আর তোমাদের স্বামীদের প্রতি তোমরা অকৃতজ্ঞ। আমি আর কাউকে দেখি নাই যে বুদ্ধিমত্তা ও ধর্ম কর্মে তোমাদের চাইতে নিম্নমানের। হে নারী সকল, তোমাদের যে কেউ একজন সতর্ক জ্ঞানী ব্যক্তিকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সহি বুখারী, ভলুম-২, বই-২৪, হাদিস-৫৪১
তার সোজা অর্থ নারীরা যতই ধর্ম কর্ম করুক , নামাজ রোজা রাখূক, স্বামীর মনোরঞ্জনের জন্য যতই নিজেকে উজাড় করে দিক , কোনই লাভ নেই। তাদের অধিকাংশই দোজখে যাবে এটাই তাদের নিয়তি কারন তা মহানবী স্বয়ং বলে গেছেন। মহানবী কোন কথাই আল্লাহর ইঙ্গিত ছাড়া বলেন না , সুতরাং তার এ কথাগুলিও তিনি আল্লাহর ইশারা ছাড়া বলেন নি তার মানে এটা প্রকারান্তরে আল্লাহরই ইচ্ছা বা ব্যবস্থা। মনে হয় ঠিক এ কারনেই বেহেস্তে তাদের জন্য আনন্দ ফুর্তির কোন ব্যবস্থা নেই। যদি বেহেস্তেই তারা যেতে না পারে তাহলে তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা অর্থহীন।
আমি যখন উপরিউক্ত মহিলাদের এ হাদিস পাঠ করে শুনালাম, তখনও তাদের কোন ভাবান্তর দেখা গেল না। একজন বলল- হাদিসে বলা আছে পূন্যবতী রমনী বেহেস্তে গিয়ে হুরদের সর্দারনী হবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম হুরদের সর্দারনী হয়ে কি লাভ? যে সব হুররা পুরুষের সঙ্গীনি হবে তাদের তো আল্লাহ সম্পূর্ন নতুন করে তৈরী করবে, আর তাদের সাথেই তো পুরুষরা আনন্দ ফুর্তি করবে, তাহলে কি পূন্যবতী রমনীরা তাদের পৃথিবীর স্বামীদের রঙ্গলীলা বসে বসে দেখবে আর আঙ্গুল চুষবে ? তখন দেখলাম মহিলাটি রেগে গিয়ে এ বিষয়ে আর কথা বাড়াতে না করল। আমিও রীতি মতো তখন েেপ গেছি মহিলাগুলোর এ ধরনের মানসিকতা দেখে। তখন আমি একের পর এক কোরানের নানা সূরার আয়াত উল্লেখ করে গেলাম যাতে নারীদেরকে কিভাবে কত প্রকারে অপমান করা হয়েছে তা প্রমান করতে যে বিষয়ে মুক্ত-মনা সাইটে আগেই লেখা হয়েছেhttps://blog.mukto-mona.com/?p=7113,https://blog.mukto-mona.com/?p=7168, https://blog.mukto-mona.com/?p=7376 । দেখলাম- ওরা অকাতরে বলল- আসলেই তো নারীরা পুরুষের সমক নয়, না বিদ্যায় না বুদ্ধিতে। ওরা বলল- মহিলারা ব্যবস্থাপনায় ভাল না, কোন কিছু ঠিক মতো মনে রাখতে পারে না, কোন বিষয়ে তড়িৎ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাই তাদের ভাষায় নারীদের পুরুষদের সমান অধিকার ও স্বাধীনতা দেয়া ঠিক না। যদি তা দেয়া হতো- তাহলে নাকি সমাজ টিকত না। অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যেত। সুতরাং তারা বরং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলল- যে টুকু অধিকার আল্লাহ কোরানে নারীদেরকে দিয়েছে তাই যথেষ্ট আর তাতেই তারা খুশী। স্বামী যদি মাঝে মাঝে মার ধর করে তাদেরকে তাতে তাদের কোন আপত্তি নেই, তাদের যুক্তি হলো- মার খাওয়ার মত কাজ করলে মার খেতে তো অসুবিধা নেই। সুতরাং তারা বোরখা মুড়ি দিয়ে নাক মুখ ঢেকে যেভাবে পর্দা করে চলে তা তাদের জন্য মোটেও কোন অসম্মানের ব্যপার নয়, তেমনি তাদের কাছে অসম্মানের ব্যপার না যদি তাদের স্বামী যথেষ্ট সম হয়ে দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিয়ে করে। মোট কথা সমাজের অধিকাংশ অনাচারের কারন যে নারী তা তারা অকপটে স্বীকার করে , তা নিরসনে কোরানে আল্লাহ যে নিদান দিয়েছেন তাতে তারা যার পর নাই খুশী । আর সে কারনেই তারা কোরান ও আল্লাহর নবী মোহাম্মদের ব্যপারে ন্যুনতম সমালোচনা সহ্য করতে রাজী নয়। আর বলা বাহুল্য এ হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রী ধারী কতিপয় মুসলিম রমনীর মানস পটের ছবি। এখন পাঠক পাঠিকা বৃন্দ আপনারা কি বলেন ?
:yes:
আর কিছুদিন পরেই এরা বলতে শুরু করবে- ইউ টিউব, ইন্টারনেট, মোবাইল সবই কোরান রিসার্চ করে পাওয়া গেছে। কারণ কোরানের মধ্যে সবকিছু আছে।
কথা প্রসঙ্গে একদিন এক হুজুর আমাকে বললেন- কোরানের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। আমি বললাম- এ প্লাস বি হোল স্কয়ার কত হয়, সেটাও কি কোরানে আছে? তিনি বললেন- হ্যাঁ, অবশ্যই আছে।
জানতে চাইলাম কোথায় আছে? তিনি জবাব দিলেন- সুরা আলাকের মধ্যে। আমি বললাম- একটু বুঝিয়ে বলেন। তিনি বললেন- সেখানে লেখা আছে ‘একরা’। একরা মানে হলো পড়। পড়লেই তুমি সব জানতে পারবে, বুঝা গেলো তো? আমি বললাম- জ্বী বুঝেছি, আমাকে এখন অংক বই পড়তে হবে।
@মাহফুজ,
এই মোল্লাগুলো হলো দুনিয়ার সবচাইতে আজব চিড়িয়া।
@ভবঘুরে,
তারপরও এদের স্থান চিড়িয়াখানায় হয় না। এরা গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র বিরাজমান।
@মাহফুজ,
হুজুর সাহেবত জটিল, :hahahee:
হা।।।হা।।।
@Russell,
আরে যে সে জটিল নাকি, এক্কেবারে চরম জটিল। কেউ যদি আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করতে না চায় তাহলে তিনি ইটের উদাহরণ দেন। ইটের উদাহরণ কী জানেন তো?
@মাহফুজ,
লেখা না থাকলেও কোন অসুবিধা নাই। তখন তিনি বলবেন ‘ইসারাই কাফী’।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এর পরে সে আরো বলেছিল- “যার শোনার কান আছে, সে শুনুক। যার দেখার শক্তি আছে সে দেখুক।”
মনে হচ্ছে এই বাক্যের সংক্ষিপ্ত রূপটাই আপনি বলেছেন- “ইশারাই কাফী।”
আমার মনে হয় কোরান ছেরে ইন জেনারেল ইসলামিক দেশগুলিতে নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
ইরাণে ছেলে মেয়েদের ওপর মায়ের অধিকার স্বীকৃত না। ভাবুন-একজন মা ১০ বছর ধরে ছেলে মেয়েকে মানুষ করলেন-তারপরে একদিন তার স্বামী অন্য এক বৌ এনে বললো-এবার ভাগো। ছেলে মেয়ে আর তোমার নয়!
যেকোন সভ্য দেশে ছেলেমেয়েদের অধিকার মায়েরা পায়। ইরাণ, আরবে পায় না। এই দাবীতে অনেক নারীবাদি ইরাণে জেল খাটছেন। পরকীয়া করার জন্যে মৃত্যুর দিন গুনছেন সম্ভবত আরো ৩৭ জন।
এমন নয় যে সামাজি্ক ভাবে ভারতে মেয়েদের অধিকার খুব বেশী। কিন্ত্ ভারতে আইন মেয়েদের পক্ষে। ফলে আস্তে আস্তে হলেও মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। সেখানে মুসলিম দেশগুলির অধিকাংশই যারা
বৃটিশ আইন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল-সেখানে মেয়েদের অধিকার আরো বেশী ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আজ থেকে দুশো বছর আগে ভারতে মুসলিম সমাজে মেয়েদের অধিকার, হিন্দু মেয়েদের থেকে বেশী ছিল। কিন্ত ভারত ধর্ম নিরেপেক্ষ আইন গ্রহণ করায়, আস্তে আস্তে ভারতে মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে-আর মুসলমান মেয়েরা অধি্কার হারিয়েছে।
এর কারন কি? অবশ্যই শিক্ষিত মুসলিমরাই সব থেকে বেশী দায়ি। ধর্ম আসলেই কোন স্থিতিশীল কিছু হতে পারে না। যুগ বদলাচ্ছে-সমাজ বদলাচ্ছে-ফলে ধর্মের আইন সাথে সাথে না বদলালে, সেই ধর্ম সমাজের ওপর শৃঙ্খলের মতন বেঁধে রাখবে। তা হবে কচুরী পানা।
বিবেকানন্দ বা দয়ানন্দ স্বরস্বতী কিন্ত বলতে পেরেছিলেন হিন্দু ধর্মের অনেক কিছুই অমানবিক-এবং যুগের প্রয়োজনে তা বর্জন করতে হবে। ইসলামে এটাই ত কেও প্রকাশ্যে বলতে পারছে না। কালকেই কেরালাতে এক অধ্যাপকের হাত কেটে নিয়েছে মুসলিম মৌলবাদি্রা-কারন
তিনি নাকি মহম্মদের নিন্দা করেছেন! দেখা যাচ্ছে সেই মৌলবাদিদের নেতা মাদানি নামে এক ভদ্রলোক যিনি আবার কেরালাতে সিপিএমের জোট সঙ্গী।
অর্থাৎ গণতন্ত্রের মানে অধিকাংশ মুসলমানের ই মৌলবাদিদের প্রতি প্রচ্ছন্ন সাপোর্ট আছে-নইলে এই সব পার্টি গুলো ওঠে কি করে?
আমি হিন্দুদের অবশ্য ধোয়া তুলসীপাতা বলছি না-হিন্দু জঙ্গী সংগঠন ও অনেক গজিয়েছে।
@বিপ্লব পাল,
বিবেকানন্দ বা দয়ানন্দ স্বরস্বতী বলতে পেরেছিলেন কারণ মনে হয় সামাজিক চাহিদা তৈরী হয়েছিল। আর সব কিছুকে গ্রাস করার সীমাহীন দক্ষতা হিন্দু ধর্ম দেখিয়ে আসছে আরো আগে থেকেই। গৌতম বুদ্ধকেও তারা বিষ্ণুর আবতার বানিয়ে ছেড়েছে।
সে হিসাবে মুসলমান ধর্ম অনেক নবিন। ৩০০- ৩৫০ বছর আগেও তারা ধর্মের নামে রাজ্য দখল করতে পেরেছে। সেই মোহ কাটতে আরো কিছুদিন লাগবে, যদিও যোগাযোগের উন্নয়নের ফলে সেই কিছুদিন নাটকিয় ভাবে কমে আসবে বলেই মনে হয়।
মুসলমান ধর্মের শক্তি ও দূর্বলতা উভয়ই কোরান। তাই এটার গ্রহনযোগ্যতা
প্রশ্নের মুখে ফেলতে থাকলেই সমাজের কিছু গুনগত পরিবর্তন সম্ভব। কোরানের মধ্যে থেকে নারী মুক্তি এক কথায় অসম্ভব একটা ব্যাপার।
একক ব্যাক্তির প্রভাবের যুগ শেষ। ধর্মের সংস্কারো এখন আর আগের মত কোন একক ব্যাক্তি বা হিরোর দ্বা্রা হবে না। হবে অনেক ব্যাক্তির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সামগ্রিক প্রভাবে। এটা আমার ব্যাক্তিগত মত।
@আতিক রাঢ়ী,
হিন্দু ধর্ম তথা সনাতন ধর্ম সর্বাত্মক, সবকিছুকে আত্মস্থ করার চরিত্র তার মধ্যে বিদ্যমান। যেমন হিন্দু ধর্মে রাম, কৃষ্ণ, মুসা , যিশু, মোহাম্মদ সহ সবাই কোন না কোন অসুর বা অবতার এর আবির্ভাব হিসাবে গন্য হয়। অবতার যারা তাদের উদ্দেশ্য মানব সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠা করা, অসুর যারা তাদের কাজ মানুষকে পাপাচারে আসক্ত করা।যেমন হিন্দু ধর্মে মোহাম্মদকে হিন্দুরা ত্রিপরাসুর বলে একজন অসুর(শয়তান) এর পূনর্জন্ম মনে করে যার উদ্দেশ্য মানব সমাজকে কলুষিত ও পাপাচ্ছন্ন করা। ওদের ভবিষ্য পুরানে এসব নাকি লেখা আছে। কাবা শরিফের আসওয়াদ পাথরকে তারা শিব লিঙ্গ মনে করে। বিষয়টা কিন্তু কৌতুহলোদ্দীপক। যাহোক, কলি যুগ হলো পাপাচারের যুগ। হিন্দু সনাতন ধর্ম মতে- যুগ চারটি-সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি। সত্য যুগে চারভাগ, ত্রেতা যুগে চারভাগের তিন ভাগ, দ্বাপর যুগে চারভাগের দুই ভাগ, কলি যুগে চার ভাগের এক ভাগ মাত্র ধর্ম বা সত্য রাজত্ব করবে।সব মানুষ পাপাচারে কলুষিত না হলে তো একে ধ্বংস করে নতুন ভাবে সত্য যুগ প্রবর্তন করা যাবে না। তাই সব মানুষকে পাপাচারে আসক্ত করার জন্যই নাকি ত্রিপারাসূর মোহাম্মদের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে এসে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে , পাপাচারে আসক্ত করছে। অথচ বিষয়টি ঠিক উল্টোভাবে জোকার নায়েক তুলে ধরে।বিস্তারিত জানতে যান- http://www.mail-archive.com/[email protected]/msg02513.html
@ভবঘুরে,
এরকম কিছু জানা নেই। তবে হিন্দু ধর্মে ইসলামকে আত্মস্থ করার জন্যে মহম্মদকে কলিকা বা কলিকালে কৃষ্ণের অবতার বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছে অনেক কবার। ভগবতে লেখা ছিল, শেষ অবতার (দশম) কলিকা ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করে ধর্মের অনাচার দূর করবেন! হিন্দু ধর্মে বুদ্ধকে নবম অবতার বলে মানা হয়-এই ভাবে বৌদ্ধ ধর্মকে হিন্দু ধর্ম ভারতে গ্রাস করে। কারন হিন্দু ধর্মের নেচারটা অল ইনক্লুসিভ। রামকৃষ্ণ এটাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছিলেন, সবাই যে ঘাটেই জল খাক না কেন-খাই ত সেই জলই। সবার আলাদা আলাদা ধর্ম থাকবে-নানান ভাবে নানা বিশ্বাস থাকবে-এবং সব পথেই তাদের আত্মোপলদ্ধি হবে বা তারা সত্যের সন্ধান পাবে-এটাই শ্বাস্বত ভারতীয় দর্শন। ইসলাম বা খৃষ্ঠ ধর্মে তারা নিজেদের ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে-ধর্মে এই শ্রেষ্ঠত্বের ব্যাপারটা ভারতীয় দর্শনে মানা হয় না। এখানে ইসলাম, প্যাগান, খৃষ্ঠান সবাইকেই সমান ভাবে মানা হয়। ৬ ধরনের নাস্তিক্য দর্শন ও ভারতীয় দর্শনে স্বীকৃত-কারন ধর্মের সংজ্ঞা এখানে অনেক বেশী ব্যাপৃত।
বাস্তবে অবশ্য হিন্দুত্ববাদিরা ইসলাম এবং খৃষ্ঠানদের খুব নিম্নমানের আধ্যাত্মিক দর্শন বলে মনে করে। হিন্দুত্ববাদি সংগঠন অবশ্য ইসলামের ছায়া এবং কায়া।
তবে একটা জিনিস সবাইকে জানতে হবে। ধর্মত আগে মানব সমাজে ছিল না-এসেছিল সমাজের প্রয়োজনে। সেই প্রয়োজনটা আজ চলে গেছে। কিন্ত ধর্মটা টিকে গেছে। ফলে ইসলাম যদি আজ শরিয়া ছেরে সুফী ইসলামের দিকে, যা আধ্যাত্মিক দর্শনের দিকে- না যায়, সংঘর্ষ বাড়তেই থাকবে। হিন্দু ধর্ম কিন্ত আজ দূর্গাপূজোর জন্যে টিকে নেই। ওগুলো আজ সামাজিক উৎসব। বাবা রামদেব বা বাবা বালককে আমি যতই গালাগাল দিই সিউডোসায়েন্সের জন্যে, আর ধান্দাবাজির জন্যে
ফ্যাক্ট হচ্ছে এই লোকগুলো আধুনিক সমাজের চাহিদা বুঝেই ধর্মকে বদলিয়েছে
( যদিও তার জন্যে দেদার গুল মেরে গেছে। বালক ব্রহ্মচারী মার্ক্সবাদ আর
বৈদিক সমাজতন্ত্রকে এক করতে গিয়েছিল-এটা অবশ্য বিজেপির ফেভারিট টপিক।)-ফলে ধর্মের সাথে আধুনিক বিজ্ঞান বা সমাজের সংঘাত হিন্দু ধর্মে কমে এসেছে। আমাকে একবার ক্যালিফোর্নিয়াতে কিছু সাদা আমেরিকান হিন্দু ওদের পার্টিতে আমন্ত্রন জানিয়েছিল-তারা কোন এক যোগাগুরুর ভক্ত-এদিকে দেখলাম তারা দেদারসে ওয়াইন খাচ্ছে আর আমাকে বিবেকানন্দ নিয়ে ফান্ডা দেওয়া শুরু করল।
@বিপ্লব পাল,
সে যাই হোক, যুগের সাথে তাল মেলানোটাই আসল। হাজার বছরের বিশ্বাস আর কুসংস্কার রাতারাতি উধাও হয়ে যাবে সেটা আশা করাটা বাতুলতামাত্র। যুগের সাথে তাল মেলাতে মেলাতে একদিন দেখা যাবে ধর্মটা নিজে একদিন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে।
@বিপ্লব পাল,
আসলেই সুফি বাদ এর প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি, সমাজ ্রাষ্ট্র সব কিছুইতেই অধিক। যদিও অতিব আস্তিক, বা তথাকথিক মুসলমান ইহা অনুধাবন করবেনা, এবং এর বিপরীতে যাবে।
যাইহোক ভাল লাগল আপনার লেখা পড়ে। তবে ভবঘুরে যা বললেন তা আমি কোনদিন শুনিনি।
ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন
ভাইজান, জানার কথাও না। কারন আপনারা কোরানের বাইরে তো আর কিছু পড়েন না। যে কারনে ঘুরিয়ে পেচিয়ে খালি কোরান ঐশি কিতাব বলো ঘ্যান ঘ্যান করেন। একারনে আপনাদের সাথে আলোচনা করাও বিরক্তিকর।
@ভবঘুরে,
ভবিষ্য পুরাণের অনেক অংশই অর্বাচীন। এটার উপর বেশি জোর না দেয়াই বোধহয় ভাল।
@রৌরব,
আমি জোর দেইনি। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেছি মাত্র।
@বিপ্লব পাল,
@বিপ্লব পাল,
মুসলিম সমাজে নারীর অধিকারের উৎস তো কোরান হাদিস। মানে গাছের গোড়া হ’লো ওটা। গাছটাকে মারতে গেলে গোড়া কেটে দেয়াই হ’লো সবচাইতে উপযুক্ত উপায়। যে কারনে কোরান হাদিস নিয়ে এত কথা। আপনি ডাল পালা ছেটে দিলেও নতুন করে ডাল পালা গজাতে পারে তাতে গাছটা মরবে না। গাছ মরলে ডালপালা গুলো এমনিতেই মরে যাবে।
@ভবঘুরে,
হিন্দুধর্মের সংস্কারের সময় কি ধর্ম গ্রন্থগুলো বাদ দিতে হয়েছে? মনুস্মৃতির থেকে বাজে কিছু হতে পারে না। আসলে সেটা ব্যাপার না। মোদ্দা কথা ভারতের হিন্দুদের অধিকাংশই ইসলাম ( মুসলিম না) খেদাও নীতিতে বিশ্বাস রাখলেও, হিন্দু রাষ্ট্রএ বিশ্বাস রাখে না। বা
চাই ও না রাষ্ট্রএর ভিত্তিতে হিন্দুত্ব থাকুক। সবাই চাই একটি রাষ্ট্র
যেখানে জীবিকা অর্জন সহজ হবে, শান্তি আছে-শিক্ষা চিকিৎসার সুযোগ আছে। ফলে সেখানে রাজনীতিতে হিন্দুত্বকে দমন করা সহজ হয়েছে-কারন হিন্দুত্ববাদের পুরো উত্থানটাই ইসলামিক মৌলবাদের ভয় থেকে।
অন্যদিকে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলিতে ইসলাম রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা নিয়ে থাকে-কারন ইসলামিক আইন এবং রাষ্ট্র একটি ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত ধারা। হিন্দু আইন বলতে বা হিন্দু রাষ্ট্র বলতে কোন কালেই কিছু ছিল না।
সুতরাং এই ইসলামিক রাষ্ট্রএর ধারনাটাই মুসলিম দেশগুলির অধপতনের মূলে। ধর্ম ইসলাম, হিন্দুত্ব বা খ্রীষ্ঠানদের থেকে মোটেও আলাদা কিছু না। সেটা সম্ভব না-কারন সব ধর্ম গুলিই মানুষ এবং সমাজের চাহিদা মেটাই-এবং এদের মধ্যে মৌলিক সাদৃশ সব সময় ছিল ও থাকবে।
অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আসল ব্যাপারটা হল-মুসলিম সমাজের মধ্যে থেকেই এই আন্দোলনটা দরকার-যারা আধুনিক একটি রাষ্ট্র চাইবে। মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে কামাল আতার্তুক আর কজন এলেন? সবাই ত শেখ হাসিনা বা বেনজির ভুট্টোর মতন গাছের আর তলার কুড়ানোর নেতা। কারন অধিকাংশ মুসলিম ও সেটাই করতে চাই-একদিকে আধুনিক জীবন ও চাইবে-আবার ইসলামিক রাষ্ট্রএর প্রতি মোহ ও থাকবে। অধিকাংশ মুসলিম রাষ্ট্রএর পতনের জন্যে তাদের জনগণের ধর্ম নিয়ে দ্বিচারিতাই দায়ী।
এটা থেকে বেড়নো যেত। ইসলামে ঐতিহাসিক ভাবেই সেই চেষ্টা অনেক হয়েছে-শুরু থেকেই ইসলাম রাজনীতি, আচার সর্বস্ব এবং আধ্যাত্মিক এই তিনটি ধারাতে ভেঙেছে। আচার সর্ব স্ব এবং রাজনৈতিক ইসলাম সহ্য হয় নি বলেই আধ্যাত্মিক বা সুফী ইসলামের জন্ম হয়েছে-যেখানে রাজনীতির লেশ নেই। শুধু মানুষের মধ্যে মানুষের সন্ধান-যা সবারই দরকার। কিন্ত সেটাকে গুরুত্ব দিলে ত শাসক শ্রেনীর অসুবিধা। তাদের দরকার ছিল আচার সর্বস্ব রাজনৈতিক ইসলাম, যাতে শোষন চালানোর সুবিধা হয়। ফলে সুফীদের পাইকারি হারে মারা হয়েছে-এই মুহুর্তে ইরানেই জেলে আছে হাজারের বেশী সুফীরা।
ভাল লাগল পড়ে। আমি জান্নাত আর জাহান্নাম নিয়ে কিছু লেখা লিখছিলাম, হুর নিয়ে একসাথে কিছু আয়াত পেলাম, খোজা খুজি কম লাগল। ধন্যবাদ।
কোরানের বাস্তব শিক্ষা ও জ্ঞান বই পুস্তকে পাঠ করে কোনদিন পাওয়া যাবেনা। হাজার বই পুস্তক ঘাটুন, গুড়ো মসলা করে, বা বাকিস বানিয়ে মাথার নিচে দিয়ে শুয়ে ঘুমিয়া থাকলে কোরান জ্ঞান পাওয়া যায়না। একটা ছোট উদাহরন দেইঃ ইমাম গাজ্জালী (রাঃ) মাদ্রাসার বিদ্যার দ্বারা কামালিয়াত লাভ করতে না পেরে, আল্লাহকে লাভ করতে না পেরে সমস্ত কিতাব ফেলে, এ শিক্ষা ভুলে হযরত আবু আলী ফারমাদির (রাঃ) নিকট ২৭ বছর বয়সে মুরিদ হয়ে গেলেন, এবং ছেড়া কম্বল পড়ে ১০ বছর কঠোর নির্জন সাধনা করলেন তখন তিনি ইনসানুল কামেল হলেন, আল্লাহর পরিচয় লাভ করলেন।যাইহোক বুঝিতে পারিতেছেন কি বলিতে চাহিতেছি।
আসলে এই হুর, জান্নাত, জাহান্নাম এসব মূলত কি তাহা জানা চাই।
কোরানূল হাকীমের অনেক কথাই রুপক করে ব্যবহার করা হয়েছে। রুপক অর্থ বুঝে পাঠ করলে এর সৌন্দর্য ও গভীর জ্ঞান তত্ত্ব ফুটে উঠবে। রূপক কি আর সমূজ্জল অর্থ কি তা জানা চাই। ওহী কালাম প্রকাশ রুপক ভাবে- বাইরে একটি আবরন দিয়ে। একই আয়াতে দুই ধরনের অর্থ আছে- একটি আসল সত্য, অপরটি কাঠামোগত। আসলকে বলা হয় মোহকামাত, আর রুপক কে বলা হয় মোতাশাবেহাত। আয়াত ভাগ হবেনা, ভাগ হবে অর্থ। মানে যা আসল উহাতেই রুপকের আবরন। কিন্তু অবাক কান্ড হল তথা কথিত আলেমরা আয়াতকেই দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। আবার কেউ কেউ একটু অন্য ভাবে বুঝেন- “মদ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এটা বুঝাতে এক বিশেষজ্ঞ দল বেশ পরীক্ষা নিরিক্ষা করে কিছু মদ্যপায়ী ব্যক্তিদের দেখালেন একটা পরীক্ষা দ্বারা। দুইটি গ্লাসে একটির ভিতর পানি রাখলেন, অপরটির ভিতর এসিড রাখলেন। তারপর দুইটি গ্লাসের ভিতর দুইটি কেচো ছেড়ে দিলেন। পানির কেচো স্বাভাবিক থাকল, আর এসিডের ভিতর রাখা কেচো স্বাভাবিক ভাবেই পুড়ে শেষ হয়ে গেল। তারপর ডঃ সাহেব বললেন, “নিশ্চয়ই তোমরা বুঝেছ যে মদ আমাদের কিরকম ক্ষতি করে”? তখন এক মদ্যপায়ী বলল হ্যা আমরা বুঝেছি- “এখন থেকে বেশি বেশি মদ খেতে হবে তাহলে পেটের ভিতর যত কৃমি আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে””। সুতরাং কেউ যদি রুপককে এই ভাবে বুঝেন তাহলে কিছু বলার নেই।
হুর বলতে দেহধারী কোন জৈবীক নারী নয়। নূরে মোহাম্মদীর মূর্ত অবতারনকে রুহ বলে। রুহ যখন সাধকের আপন রুপে মূর্তিমান হয়ে দৃশ্যমান হয় তাই হুর নামে আখ্যায়িত। হুর দর্শন আত্ন দর্শনের নামান্তর।
যেখানে নফস বলা হয় সেখানে দুনিয়া থাকতে হবে। দুনিয়ার বাইরে নফস আছে কিনা সে বিষয় কিছু বলতে পারছিনা বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। নফস ধ্বংসশীল। জান্নাত ও জাহান্নাম যদি নফস ভোগ করে থাকে তাহলে সেই জান্নাত ও জাহান্নাম অবশ্যই এই দুনিয়াতে হবে, বাইরে নয়।তাহলে জান্নাত জাহান্নামও এই দুনিয়াতেই।
মন ও দেহের সাথে জান্নাত ও জাহান্নাম ওতো-প্রতোভাবে সম্পর্ক যুক্ত। জান্নাতের জাহান্নামের উপলব্ধি দেহের বাইরে থাকতেই পারেনা। সুতরাং উভয়ের বিস্তৃতি সম পরিমন। দেহে মনের বিস্তৃতি যতদুর জান্নাত ও জাহান্নাম ততদুরই বিস্তৃত হয়ে থাকে।
নারী বলতে কোরান কি বলেছে সেটা আপনাকে আগে সংক্ষিপ্তে কিছু বলেছিলাম। এবার মিলাতে থাকুন।
তবে লেখা সুন্দর হয়েছে
@Russell,
আপনি পুরনো অসার যুক্তির অবতারণ করলেন। প্রথমত, রুপকের ব্যবহার এই আয়াতসমুহের একটিতেও করা হয়নি। বক্তব্য এখানে খুবই সুস্পস্ট। আপনার গল্পের মাতালের মত আমরা কিন্তূ বেশী মদ খাওয়ার কথা ভাবছি নাহ। সহজবোধ্য প্রথম অর্থই গ্রহণ করছি।
দ্বিতীয়ত, কোরানই যেখানে ইসলামের শেষ কথা, আপনি উল্টো পুরাণ কেন গাইছেন?
এখানে আয়াত ৫৪:১৭ প্রণিধানযোগ্য, “আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য”।
যদি আপনি তারপরও ব্যখ্যা দাবি করেন, তাহলে আপনি কোরান তথা ইসলামকেই বাতিল করতে বলছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে স্বাগতম। বিপ্লব পালের “দেরিদার ডিকনস্ট্রাকশন তত্ত্বের আলোকে ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা” লেখাটি এখানে উল্লেখযোগ্য।
তাছাড়া আপনার বক্তব্য মানতে গেলে সবাইকে সব কাজ বাদ দিয়ে ইমাম গাজ্জালীর মত শুধু ইসলাম বুঝতে বুঝতে জীবন কাটাতে হবে।
যুক্তি যদি ক্ষুরধার না হয়, তবে তা দূর্বলতা প্রকাশ করে। উপস্থাপনকারির উদ্দেশ্যও প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
আপনার লেখা শুধুই ধুম্রজাল তৈরী করছে। সত্য অপ্রকাশিত রয়ে যাচ্ছে।
@রুদ্র ফীরাখ,
আপনাকে কি বলব বলেন- আপনার দোষ না, আসলে সেই ১৫০০ বছর ধরে যে ধ্যান ধারনা আমরা পেয়ে এসেছি আপনে তার বাইরে কিভাবে যাবেন? ইহা সহজ করে দেওয়া হয়েছে ঠিকি আছে তবে ইহা সবার জন্য নয় বরং জ্ঞানীদের জন্য। আর সেই প্রথম থেকেই ভয়ংকর বিষয়টি হল মহানবী (সঃ) এর সময়কাল প্রকাশ্য শত্রু এবং তাঁহার প্রিয় বংশের চার সদস্য তথা আহলে বায়াতের চার সদস্য বৃন্দের প্রকাশ্য শত্রু হত্যাকারী এবং কিছুদিনের জন্য দখলক্রিত চতুর্থ খলিফা মোয়াবীয়া এবং তার পুত্র ইয়াজীদ এবং তাদের পোষা ভারাটে আলেমদের দ্বারা এই কিতাবের ব্যাখ্যা ও শানে নজুল ব্যপক আকারে প্রচার ও প্রসার ঘটে। অনেকটা এমন ছিল যে কোরআন দাতাও তারা এবং তাই এর ব্যাখ্যাকারীও তারা। ইহা যদিও উদ্ভট আজব আর হাস্যকর এক বিষয়। শুরু হতে আজব্ধি এমনি উদ্ভট একটা ধারা হয়ে আসছে। এরুপ হওয়াতে কোরানের সম্পুর্ন মিথ্যা ব্যাখ্যায় ভরপুর হয়ে গেছে। মিথ্যাকে দাড় করাতে এক মিথ্যার উপর দাড় করানো হচ্ছে আরও বিভিন্ন মিথ্যা হাদিস, ফেকাহ, ফতোয়া। এই মিথ্যা ধর্মীয় সাহিত্য পাঠ করে আবার অসংখ্য উচচ ডিগ্রীধারী আলেম সমাজ, শিক্ষিত সমাজ তৈরী হচ্ছে। আবার এই আলেম সমাজ দ্বারাই তৈরী হচ্ছে আরও হাদিস ফেকাহ এবং এর ব্যাখ্যা। আগাগোড়াই মিথ্যার এক প্রবাহ চলে আসছে। এই মিথ্যা দিয়েই জগত চলছে। সত্য কি জগত জানেনা। জানার সুযোগও পায় না। আবার এই আলেম সমাজ দ্বারাই সমাজের রাষ্ট্রের ও বিশ্বের নেতৃত্ব অসীম রয়েছে।
এই কারণে মানুষ মিথ্যার ভিতর জন্মগ্রহন করে, মিথ্যার ভিতর জীবন অতিবাহিত করে এবং মিথ্যাতেই মৃত্যু মুখে পতিত হয়। মিথ্যার এই ধারক বাহক আলেম সমাজ মানুষকে কাল্পনিক স্বর্গে পাঠায় এবং তাদেরকে না মানলে কাল্পনিক নরকে পাঠায়। অথচ এই গন্ডমুর্খ টুপি দাড়ি ওয়ালা আলেম সমাজ স্বর্গ বা নরকের চিহ্ন মাত্র দেখলনা, বুঝলনা এবং অনুধাবনও করলনা।
আর ভাই, কোরান পুরটাই রুপক, এর গভিরতা কি সেটা জানতে যদি আপনে ঐ মোল্লাদের স্মরানাপন্ন হন তাহলে পাবেন সেই মাকাল ফল। কোন জ্ঞানী সেই ধরনের মানুষের কাছে জান, যেখানে প্রকৃত কোরান জ্ঞান পাওয়া যাবে, আর এই কোরান জ্ঞান কি সেটা জানা চাই। যাকে অনেকে সিনার জ্ঞান বলে থাকেন, অনেকে বলে থাকেন এলমে লাদুনী। আর কোরান যদি না বুঝেন তাহলে লালনের গান দেখুন, নজরুলের কবিতা, গান পড়ুন …মূলত সবই একই লেখা। যার যার ভাষায় সে সে সেই একই কথাই লিখেছে। ধর্মের মূল শিক্ষা হল নিজেকে চিন, রবকে জানো। ইহা সকল ধর্মের মূল মন্ত্র, তন্ত্র। এই জানতেই কোরান, বেদ, গীতা, বাইবেল…সব কিছুর আগমন। আকাশে রকেট, নদীতে জাহাজ কিভাবে চালাবো, কয়টা তারা, কি তাদের কাজ এইসব জানানো ইহাদের কাজ না।
যাইহোক ইহা এই লেখা টপিকের সম্পুর্ন বাইরে চলে যাবে। তাই আর না লিখি।
ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন।
@Russell,
দরজা থাকতে আপনাদের জানালা দিয়ে পার হবার উদ্দেশ্য আমার কাছে সত্যিই অদ্ভুত লাগে। তাই আপনার উত্তর পড়ে আমি যথারীতি হতাশ। তবুও কয়েকটি কথা না বলে পারছি না।
প্রথমত,
এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন?
দ্বিতীয়ত, আপনি বিভিন্ন আলেমের, বিভিন্ন মিথ্যা হাদিস, ফেকাহ, ফতোয়া স্বীকার করে নিচ্ছেন কিন্তু উৎপত্তি নিয়ে কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন না। “কোরাণ-ই সঠিক” যাচাই করা ছাড়াই মেনে নিচ্ছেন।
তৃতীয়ত, জ্ঞানীদের জন্যই কোরাণ হলে, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য নিয়ে আমি সন্দিহান। একারণেই বই কিংবা লিখিত আদেশ বা উপদেশ কি করে তথাকথিত মহান সৃষ্টিকর্তার বাণী হতে পারে, যা থেকে ১০০০ আলেম, ১০০০ ব্যাখ্যা করে।
তাই ১৫০০ বছরের ধ্যান ধারনা আমাকে নাস্তিক করেনি, কোনো হাদিস বা ফেকাহও নয়। কোরাণ একাই এক্ষেত্রে যথেষ্ট।
লালন বা নজরুলের কার কি উদ্দেশ্য ছিল তা নিয়ে আপনার মত অতিসরলিকরণ আমি করব না। ওদের দুজনের জীবনাচরণ নিয়ে শুধু নিজের দিকে ঝোল টানার রাজনীতি হয়েছে, নিরপেক্ষ গবেষণা হয়নি।
সবশেষে বলব, নিজেকে জানার জন্য ধর্মগ্রন্থগুলির চেয়ে সমাজবিজ্ঞান, মনস্বতত্ত্ব ইত্ত্যাদি অনেক বেশি কার্যকর। কারণ ধর্মগ্রন্থগুলি ব্যাখ্যা দেয় না, একমুখি নির্দেশ জারি করে।
আমি আজ পর্যন্ত কোনো ধর্মগ্রন্থ-এ কোনো ধরণের উচ্চ দর্শন খুজে পাইনি। আমি মুক্তমন নিয়েই বলছি আপনিও খুজে পাবেন না। শুধু আপনাকেও আপনার গল্পের মাতালের মত বেশি মদ খাওয়ার চিন্তা বাদ দিতে হবে।
ধন্যবাদ।
@রুদ্র ফীরাখ,
প্রথমে আমি বলে নিতে চাই, আমার এই লেখা সবার জন্য নয়, মুক্ত সত্য সুন্দর চিন্তাধারী, ত্যাগী মানুষের জন্য। নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে বলা আমার লক্ষ নয়।ইহা একান্তই আমার নিজস্ব মতবাদ। সবাই ইহাকে সহ্য করতে পারবেনা।
মানুষকে চিনতেই কোরান। মানুষের বাইরে কিছু নয়। সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। খোদাকে যারা সাত আসমানের উপরে বসিয়ে অন্ধকারে, নিরাকারে বিশ্বাস স্থাপন করে তার ইবাদত করে তাদের এই লেখা বড়ই কড়া লাগবে এবং নাস্তিক নামক ব্যক্তিদের হয়ত আঘাত লাগতে পারে, কিন্তু কি বলব ভাই সত্য যেরুপ হোক, সত্য সত্যই। যুগে যুগে যেভাবেই আসুক সত্য , সত্যই।
আসুন আপনার প্রথম কথার উত্তর দেইঃ
সেই কিতাব যার ভিতর সন্দেহ নেই, মুত্তাকিদের জন্য হেদায়েত। (২-২)
যদিও এইখানে কিতাব বলতে কিন্তু ভাই আবার কাগজের কোরান ভেবে নিবেন না। যাইহোক ইহা আলাদা চ্যপ্টার। সবই উলটা মনে হবে। কেননা ভেজাল খেতে খেতে পেট যে আমাদের ভেজাল প্রুফ হয়ে গেছে, তাই আসল জিনিস পেটে গেলে নিরাশা, হতাশা, পেটে শরীরে মনে বিভিন্ন দিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইহা আপনাকে উদ্দেশ্য করে না বরং আমাকেও বলছি। কেননা যা সত্য। কেতাব আর কোরান এক বিষয় নয়। কেতাব হল সৃষ্টি রহস্যের (বিকাশ বিজ্ঞান) জ্ঞানে জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব তথা একজন মানুষ। আর কোরান কেতাবের এক অংশবিশেষ।
অবশ্যই ইহাতে রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন (৩০-২২ অংশবিশেষ)
ইহা আল্লাহর বানী জ্ঞানীদের জন্যই বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করিয়াছি।(২-৩০ অংশ বিশেষ)
এইরুপে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন বিশদ ভাবে বিবৃত করেছি। (৭-৩২ এর অংশ)
জ্ঞানীদের জন্যই আয়াতসমুহ পুর্ন ব্যাখ্যা সহ বর্ননা করেছি।(৬ঃ৯৭)
দ্বিতীয় প্রশ্নঃ
যদিও প্রথম অংশটুকু বুঝতে পারিনি বলে দুঃখিত। দ্বিতীয় অংশে “কোরান –ই সঠিক” যাচাই ছাড়াই মেনে নিচ্ছি কিনা? কি উত্তর দিব বলেন? আপনে মনে হয় আমার লেখা পড়েননি ঠিক মত। ইহা আমার জন্য যদিও অপমান জনক সাথে আপনার জন্যেও, কেননা এত বড় বড় মাপের কথা বলতে চাচ্ছেন অথচ আমার লেখা পড়ে কিছুই হয় বুঝেন নি, অথবা না পড়েই …মুলত ভাসা ভাসা শুধু চোখ বুলিয়ে আমাকে প্রশ্ন আবার করে বসেছেন। ইহা উচিত নয়। পুরোটা পরেন, ভাবুন, তারপর বোঝার চেষ্টা করুন…মানি হয়ত আপনারা অনেক শিক্ষিত, পড়ুয়া বিদ্যান এবং অবশ্যই অনেক ব্যস্ত মানুষ। কিন্তু ভাই তাও যা লিখেছি পড়ে না বুঝলে আগে সেটা বলুন। সাথে এখানে আমি আরও অনেক মন্তব্য করেছি সেসব পড়ে আগে বুঝার চেষ্টা করুন লেখা কি ধরনের। আমার এই লেখা মূলত উপলব্ধি মুলক লেখা। আমি আপনাকে চিন্তার খোরাক দিয়ে দিতে পারি, চিন্তা করায় দিতে পারবনা।
কোরান কি সেটা আগে বুঝুন। আমি ভবঘুরে ভাইজানকে একটা লিংক দিয়েছি, উহা থেকে দেখুন কিছু বুঝেন কিনা, যদিও ভবঘুরে ভাইজান বুঝতে পারেনি। আগে দেখুন আপনে বুঝেন কিনা। যদি আমার ঐ লেখা আপনার উপলব্ধিতে আসতে পারে তাহলে আপনে কোরানের বেশ অনেক কিছু বুঝবেন বলে আশা রাখতে পারি। ঐ খানে আমি দুইটি লিংক দিয়েছি। আশা রাখি পড়বেন।
তৃতীয়ঃ
আবার সেই একই কথা। আমার লিংক পড়ে দেখুন কোরান মুলত কি, যদিও খুবই সংক্ষিপ্তে দেয়া। কোরান কি, রুপক কি এইসব। খুব ধীরে ধীরে, প্রতিটি শব্দ মাথায় ঢুকিয়ে ঢুকিয়ে পড়ুন, হয়ত কিছু বুঝবেন। সারাজীবন কোরান কিভাবে পড়েছেন, সেটা আমার দেখার বিষয় না। যা পড়েছেন, জেনেছেন সেটাকে ভুলে যদি সত্য কোরান পাঠ করতে চান তাহলে আগে ঐ লিংক দেয়া লেখা পড়ুন। আচ্ছা আমি দিয়ে দিচ্ছি আপনাকে। তারপর প্রশ্ন করুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/manush_007/29039555
সাথে ইহাও পড়বেন কোরানের মতে ঈমান ঃ
http://shodalap.com/r_ramiha/4461
আপনার সবশেষ কথাঃ
আপনেত দেখছি বই পুস্তকের গন্ডির ভিতর থেকেই বের হতে পারেননি মনে হয়, মুক্তমন নিয়ে আবার কথা কি বলবেন? হাসালেন। ধর্মগ্রন্থ নিয়ে আমিও অতটা মাথা ঘামাইনা। ধর্মগ্রন্থে নিজেকে চেনার সামান্য কিছু কথা … আর আপনে এতগুলো বই পোরতে বলছেন আমাকে নিজেকে চেনার জন্য??? ভাইজান নিজেকে চেনা মানে আমি কিভাবে ভাত খাই, কিভাবে চলি, চলা উচিত এইসব না…আপনের এখন ঐ সময় আসেনি। অনেক আগে বিটিভিতে কবি শামসুর রহমান একটা কথা বলেছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল-
স্কুল কলেজে পড়িয়ে যদি রবি, নজরুল আর লালন বানানো যেত তাহলে আজ বাংলার ঘরে ঘরে রবি ঠাকুর, নজরুল লালন তৈরি করা হত।
আমিও বলতে চাই ঃ মসজিদ মাদ্রাসায় পড়িয়ে যদি নবী-রসুল বানানো যেত, ওলী বানানো যেত তাহলেত আজ সৌদি আরব,বাংলার জমিনে , নজরুলের মতেঃ মুসলিম নামে সব বুনো জানোয়ার পয়দা হতনা।
ধন্যবাদ।
@Russell,
সাথে সাথে আপনার লেখার উত্তর দেয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আপনার উপদেশ মেনে বার বার করে লিঙ্ক দুটির লেখা পড়লাম। আপনাকে অনুরোধ, আপনি আমার উত্তরে অপমানিত বোধ করবেন না।
উপরোক্ত আয়াতসমুহে [২য় & ৪র্থ] ই-প্রত্যয় যোগ করার রহস্য বুঝলাম না। তাছাড়া, আয়াত ২-৩০, এ কথা বলা হয়নি [বোধহয় typing mistake]। আয়াত ৬ঃ৯৭ এ কোথাও ই-প্রত্যয় যোগ করা হয়নি। বরং যারা কোরাণে বিজ্ঞান খোঁজে তারা এইসব আয়াতে Big Bang-এর ইঙ্গিত পায়। তাদের জন্যই এইসব আয়াত [সম্পুর্ণ কোরাণ নয়] লেখা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। অর্থাৎ এতে এই-ই প্রমান হয়, যে সাধারণের জন্যই কোরাণ, তার মাঝে কিছু আয়াত শুধু ওই বিশেষ প্রজাতির জন্য ইঙ্গিত বহন করে।
আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন না বুঝতে পারাটা আমার সুচারু লেখার অক্ষমতা। তবে প্রশ্নের ২য় অংশটুকু বুঝলেই হল। এখানেও আমার দুর্ভাগ্য, আপনি কোরানকে উপলব্ধি করতে বলেছেন। আমি যাচাই করা ছাড়া উপলব্ধির স্তরে পৌছুতে পারি না।
আমার তৃতীয় প্রশ্নে, আমি একই কথার পুনরাবৃতি করিনি। এবার আপনাকে অনুরোধ, আমার লেখা পড়ে উত্তর দেয়ার।
আপনি নিজেই বলছেন এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য নিজেকে চেনা, আবার নিজেই এর বিরুদ্ধে বলছেন। স্ববিরোধিতা করে তর্ক চলে না। মুক্তমন মানে আজেবাজে সবকিছু গ্রহণ করা নয়, যাচাই করার মাধ্যমে সত্যকে গ্রহণ করার মানসিকতা। আমি অন্তত বই-পুস্তক নিয়ে কথা বলছি, আপনিতো পুরোটাই বায়বীয়।
আপনি আমাকে লিঙ্ক দিচ্ছেন পড়ার জন্য, কিন্তু আমি আপনাকে যে লিঙ্ক দিলাম তার প্রতি বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করছেন না।
ইংরেজীতে precision বলে একটি শব্দ আছে, সত্য নামক বস্তুটির অবয়ব এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। উপলব্ধির কথা বলে ধুম্রজাল তৈরী করে সত্য-এ উপনীত হওয়া যায় না।
ভবঘুরে সাহেবের মত আমিও আপনার লিঙ্ক বারবার পড়েও কিছু বুঝতে পারলাম না। সর্বপরি, বিষয়বস্তুকে পাশ কাটিয়ে, স্ববিরোধিতা করে, নিজের কথা বারবার বলে আপনার প্রামান্য বিষয়কে আপনি শুধু ধোঁয়াসা করছেন। আপনার সাথে তর্ক করা মুশকিল, কারন আপনার উদ্দেশ্য ভিন্ন।
@রুদ্র ফীরাখ,
:yes:
ওনার সাথে তর্ক করা অর্থহীন। ওনার সবকিছুতেই এক কথা। ওনার কথাকে উপলব্ধি করতে হবে। বিষয়টা এমন যে কোরান পড়ে ওনার যেরকম উপলব্ধি হয়েছে আমাদের যদি সেরকম না হয় তাহলে আমাদের উপলব্ধি সঠিক না। কারন উনি দাবী করেছেন ওনার উপলব্ধিই সতি এবং সত্য সবসময়ই সত্যি। না এর সাথে কি তর্ক চালানো সম্ভব না এ বিতর্কের যোগ্য। এর কমেন্টের জবাব দেয়াই অর্থহীন সময় নষ্ট।
@রুদ্র ফীরাখ,
আপনে ‘ই’ প্রত্যয় বাদ দিয়েই পড়েন। এতে তেমন কোন কিছু হবেনা। আর উহা ২৩০ নং আয়াত হবে, ২ সংখ্যা বাদ পড়ে গেছে। দুঃখিত।
আমি আপনার কোন লিংক পাইনি। আমি এখনো খুজতেছি কিন্তু আমি আপনার কোন লিংক দেখলাম না। দুঃখিত।
হুমম, উক্ত লিংক এর লেখা যদি বোঝার উদ্দেশ্যে পড়তেন হয়ত বুঝতেন, জানিনা। খুব সোজা করেই লেখা ছিল। কেন দ্বিতীয় লিংক ছিল ঈমান আনতে অবশ্যই আল্লাহর অনুমতি প্রয়োজন, এই ব্যাখ্যা বুঝেন নি? শুধু এই কথাটা বুঝাতে আরও কিছু আসে পাশের কথা নিয়ে আসা। ভাবছি সহজ বাংলায় লেখা তাই বুঝতে পারলেন না, তাহলে কোরান পরে আপনারা কি বিশ্লেষন করেন, বুঝিনা, মাথায় ঢুকছেনা। এইরকম সবাইকেই দেখি। খুব বড় বড় আর্টিকেল লেখে, খুব সুনাম কামায়, হয়ত কত খোটাও দেয় কিন্তু সবাই না বুঝেই।।।যদিও আমার এইভাবে বলাটা ঠিক না। দুঃখিত।
আপনাকেও বুঝাতে পারলাম না, হা।।হা।আমারই ব্যর্থতা। যাইহোক ভালোথাকবেন।
@Russell,
আপনার এই মারিফতি কথাবার্তা আমার সিনায় গিয়ে ঠেকলো। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ স. বলেছেন- শেষকালে আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তা ভাই আপনি কোন তরিকার? একবার মনে হচ্ছে মাইজভান্ডারী আবার মনে হচ্ছে মুসাবিয়া।
এজন্যেই কবি বলেছেন-
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর,
মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক মানুষেতে সুরাসুর।
তাহলে দাঁড়াচ্ছে- হুর বলতে অশরীরী আত্মিক নারী।
আপনার নতুন উদ্ভাবিত চিন্তার তারিফ করি।
ধন্যবাদ আপনার মারিফতি যুক্তির জন্য। তবে এই মারিফতি যুক্তি কিন্তু সবাই বুঝবে না। যাদের মারিফতি চক্ষু রয়েছে কেবলই তারাই বুঝবে।
@মাহফুজ,
কেবল তারাই বুঝবে—————–
কেবল তারাই বুঝবে————–
কেবল তারাই বুঝবে———-
কেবল তারাই বুঝবে——
কেবল তারাই বুঝবে—
লেখা গুলি আস্তে আস্তে ঝাপসা করে আনার কোন তরিকা নেই ? আমি প্রতিধ্বনী বোঝাতে চাচ্ছি। মনে হয় বোঝাতে পেরেছি
@আতিক রাঢ়ী,
প্রতিধ্বনী আমার কানে এসে লাগছে।
চমৎকার! লা-জওয়াব।
@মাহফুজ,
যাক নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে, আপনার সিনায় ঠেকলো তাই। যাইহোক ৭৩ ফেরকার আমি কোন ফেরকা আসলে আমি সেটা জানিনা। তবে নবীজি যেই ফেরকা দিয়ে গেছেন সেটা মানার আপ্রান চেষ্টা করি, সেটা হল মানব ফেরকা। যেখানে নজরুল বলেনঃ সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই। সেই এক মানব ফেরকা, যা নবী (সাঃ) শিখাতে চেয়েছেন, মানুষকে ভালোবাস, মানুষকে এক জানো, ইহাই ইসলাম, ইহাই ধর্ম, ইহাই সব, আর এই ছোট কথাটা বলতে বুঝাতে তিনি ৬৩ বছর আকারে ছিলেন। সৃষ্টি রহস্য তত্ত্ববীদ খাজা আনোয়ার আলী শাহ বলেনঃ
“খোদাকে এক জানলে কি আর হয়?
মানুষকে এক না জেনে বেঈমান হয় নিশ্চয়।“
মাওলানা রুমী (রাঃ) বলেনঃ মানুষ আল্লাহ নয়, তবে আল্লাহ হতে জুদাও নন। আবার আর এক সাধক বলেনঃ ভিন্ন আল্লাহ নাই, ভিন্ন মানুষ নাই। মানুষকে আলাদা করা আর আল্লাহকে আলাদা করা এক।
আসলে বলার অনেক কিছু থাকলেও বলতে পারিনা, বলা যায়না। যেমন আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছিলেন, তিনি নবী (সাঃ) থেকে দুই ধরনের জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, এর একটি যা সবার কাছে তিনি প্রকাশ করেছিলেন, অপরটি তিনি কখনোও বলতে পারবেন না, যদি প্রকাশ করেন তাহলে তার গর্দান কাটা যাবে। আর এই জ্ঞানের সত্য প্রকাশ করলেই কাফের ফতোয়া, হত্যা কত কি … নজরুল ইসলামকে কাফের ঘোষনা দেয়া হয়েছিল, লালনকেও…মনসুর হাল্লাজকেত শিরচ্ছেদ করা হল।
যাইহোক বেশি বলে ফেললাম, দুঃখিত।
ভালোথাকবেন
@Russell,
ভাই রাসেল, কোরানের রূপক অর্থ আবিষ্কারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে বিষয়টা কিন্তু সম্প্রতি আবিষ্কার করা। কেন আবিষ্কার করা হয়েছে জানেন? যখন কৌতুহলী মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হচ্ছে না ঠিক মত, তখনই কিছু লোক কোরানের বানী রূপকার্থে লেখা হয়েছে এসব বানোয়াট কথা বার্তা প্রচার করছে। অথচ আপনি আপনার মাতৃভাষায় কোরান পড়ে দেখেন ওখানে কোন রূপকের কিছুই পাবেন না।
আর কিছু কথা আপনাকে বলা দরকার। তা হলো- আস্তিক হতে কিন্তু জ্ঞান সাধনা করা লাগে না। কিন্তু নাস্তিক বা উদার পন্থি হতে গেলে অনেক জ্ঞান সাধনা করা লাগে। মূর্খরা খুব সহজেই আস্তিক হতে পারে, কিন্তু নাস্তিক বা উদারপন্থি হতে গেলে প্রচুর জানা শোনা লাগে। জাহান্নামের যে বর্ননা আমরা দেখি, তার ভয় কে না পায় বলেন? কিন্তু সেই জাহান্নামের ভয় যখন কিছু মানুষ পায় না তার অর্থ তারা জাহান্নাম বলে যে কিছু নেই তা ভালমতোই বুঝে গেছে। আপনাদের ভাষায় আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগের সেই আরবরাও কিন্তু নাস্তিক ছিল না। তারা তাদের নিজস্ব দেব দেবীতে বিশ্বাস করত হয়ত তা ঠিক একেশ্বরবাদী ধর্মের মত ছিল না। কিন্তু তারা যে কোনমতেই কাফের বা নাস্তিক ছিল না তা কিন্ত সত্য। তারাও তাদের মত করে বেহেস্ত বা দোজখে বিশ্বাস করত আর দোজখের আগুন থেকে রক্ষf পেতে নানা ভাবে দেব দেবীদের তুষ্ট রাখত। সুতরাং সেই আবু জেহেল, লাহাব এরা কেউ নাস্তিক ছিল না, আর থাকা সম্ভবও ছিল না কারন তারা ছিল ভীষণ মূর্খ। সুতরাং একটা বলা যায়- মূর্খ মাত্রেই আস্তিক, কিন্তু নাস্তিক কখনোই মূর্খ নয়। সুতরাং এখানে কোন বিষয়ে আলোচনার আগে আপনি যে বিষয়ে কথা বলতে চান তা ভালভাবে জেনে বলাই ভাল। কারন আমরা যারাই এখানে লিখি, না জেনে মোটেও লিখি না।
@ভবঘুরে,
আস্তিক সম্পর্কে, আপনার সাথে আরো কিছু যোগ করি: (উক্তিগুলি ড. আহমদ শরীফের)
আস্তিক মানুষমাত্রেরই রয়েছে পরধর্মে অবজ্ঞা ও বিধর্মীর প্রতি সুপ্ত বিদ্বেষ।
আস্তিকরা দেড়-দুই-আড়াই-তিন-সাড়ে তিন হাজার বছর আগের স্বল্পজ্ঞানের ও সংকীর্ণ চেতনার জগতে মানসবিহার করে। আস্তিক মানুষের চিন্তা-চেতনা, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে সেই অজ্ঞতার, অন্ধকার অতীতের কল্পনাজাত তত্ত্ব ও তথ্য।
আস্তিক মানুষ মাত্রই গোষ্ঠী বা দলচেতনা বশে বিধর্মী-বিজাতি-বিভাষী-বিদেশী-বিদ্বেশী। তারা ভিন্ন দলের, মতের, দেশের ও ভাষার মানুষ মাত্রকেই পর ও সম্ভাব্য শত্রু বলে জানে ও মানে। আস্তিক মানুষ শাস্ত্র-সমাজ মানে বলেই তার উদারতাও নিতান্ত সংকীর্ণ পরিসরেই আবর্তিত হয় মাত্র।
আস্তিক মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে হাটুরে লোকের মতো ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে একত্রিত হয় বটে, কিন্তু মিলিত কিংবা সমন্বিত হয় না।
আস্তিকের সবচেয়ে বড়ো দোষ দলছুট বলে তারা নাস্তিকের প্রতি সক্রিয় কিংবা নিষ্ক্রিয়ভাবে অসহিষ্ণু। তারা সমাজে চোর-ডাকাত-গুণ্ডা-লম্পট-মাতাল-জালিয়াত-প্রতারক প্রভৃতি যে কোনো আস্তিক দুষ্ট-দুর্জন-দুর্বৃত্ত-দুষ্কর্মাকে সহ্য করতে এমনকি কৃপা-করুণা বশে ক্ষমা করতেও রাজি, কিন্তু নাস্তিকের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ পরিহার করতে অক্ষম। যদিও নাস্তিক এমন কোনো নুতন পাপ বা অপরাধ করে না যা আস্তিকে দুর্লভ। বাস্তবে নাস্তিকের ন্যায়-নীতি-আদর্শনিষ্ঠা ও বিবেকানুগত্য বেশিই থাকে।
আস্তিক মানুষের বিশ্বাসের স্থান যুক্তির উপরে। তাই তারা বিশ্বাস-নির্ভর, তাদের কাছে বিশ্বাসের বিপ্রতীপ কোনো যুক্তির মূল্য-মর্যাদা আদর-কদর নেই। এ জন্যেই আস্তিক কখনো নিঃশর্ত উদার ও গ্রহণশীল হতে পারে না।
আস্তিক মানুষের স্রষ্টায় বিশ্বাস এবং শাস্ত্রে আস্থা থাকা সত্বেও এসব মানুষ শাস্ত্রের বিধি নিষেধের, নৈতিক ন্যায়-নিয়মের, রষ্ট্রিক আইন কানুনের ও সামাজি প্রথা-পদ্ধতির অনুগত থাকতে চায় না, প্রয়োজনবোধে সুযোগ পেলেই বেড়া ভাঙে।
আস্তিক মানুষই অর্থ-সম্পদ লোভে ও রাজনীতির স্বার্থে সারা পৃথিবীর সর্বত্র দেশ জাত-গোত্র-বর্ণ-ধর্ম-ভাষা-মত-পথভেদের অজুহাতে দাঙ্গা বাধায়, দেশ ছাড়ায়- হত্যা করে। এমন মানুষ যে কেবল বিধর্মী বিদেশী বিভাষীকেই পর ও শত্রু ভাবে, তা নয়, পর প্রতিবেশীকেও আপন করতে অক্ষম, কু্টুম্বকেও আত্মীয় মানতে অসমর্থ।
আচারনিষ্ঠ আস্তিকের চেয়ে নীতিনিষ্ঠ নাস্তিকই হয় বাঞ্ছিত চরিত্রের মানুষ। প্রলোভন প্রবল হলে সাধারণ আস্তিক হেন পাপ নেই যা করে না।
প্রলোভন প্রবল হলে লুব্ধ মানুষ করে না হেন অপকর্ম নেই- সে-মুহূর্তে ভূত-ভগবান-সমাজ-শাসক, নিন্দা-শাস্তি- প্রভৃতির অস্তিত্ব ওই লোভ তরঙ্গের তোড়ে ভেসে যায়।
আস্তিকের আশা-আকাঙ্খা সংকল্প-সিদ্ধান্ত সবটাই দৈব-ইচ্ছা নির্ভর। ‘ইনশাল্লাহ, মাশাল্লাহ, ঈশ্বরেচ্ছায়’- প্রভৃতি উচ্চারণেই তাই তাদের বাঞ্ছা-বাসনা পরিব্যক্ত হয়। কাজেই এমন দুর্বলচিত্ত সদাশঙ্কিত মানুষ নাস্তিক হতেই পারে না।
@ভবঘুরে,
“অথচ আপনি আপনার মাতৃভাষায় কোরান পড়ে দেখেন ওখানে কোন রূপকের কিছুই পাবেন না”- আপনাকে এর আগেও একটা লিঙ্ক দিয়েছিলাম যেখানে স্বল্প আকারে লেখা ছিল মূলত কোরান কি, রুপকতা কি…। আপনার সুবিধার্তে আবার দিলাম, একটু পড়ে দেখুন http://www.somewhereinblog.net/blog/manush_007/29039555 ।আসলে কোরান কি ইহা জানতে আপনার আগে জানতে হবে মানুষ কি(?) ইসলাম জানতে আপনার প্রথমেই জানতে হবে মানুষ কি(?)
এবার আসুন আস্তিকতার প্রশ্নে যদি আসি তাহলে, একজন আস্তিক হতে যেই পরিমান সাধনা প্রয়োজন, যেই ত্যাগ প্রয়োজন যাহা একজন নাস্তিকের দ্বারা কোনকালে সেই পর্যায়ে পৌছানো আদৌ সম্ভব নয়। আস্তিক অর্থ কি ? মানে অস্তিত্ব আছে বিশ্বাস করে, এইরুপ যদি হয় তাহলে জানতে হবে আগে বিশ্বাস কি ? বিশ্বাস কি এই বিষয়ে খুবই ছোট করে একটা লেখা লিখেছিলাম সেটার একটা লিঙ্ক দেইঃ http://shodalap.com/r_ramiha/4461 ।
“কারন আমরা যারাই এখানে লিখি, না জেনে মোটেও লিখি না”- ভাই যদি আগেই জেনে বুঝে ফেলেন তাহলেত সব শেষ হয়ে গেল।।হা…হা…তাহলেত এখন যাই বলব হয়ত আপনারা আগেই সব জেনে ফেলেছেন এইরুপ হবে। একটা ঘটনা মনে পড়ল- ইমাম ফখরুদ্দিন রাজি, যাকে জাহেরী বিদ্যার জাহাজ বলা হত, তিনি একদা বায়াত হবার জন্য গিয়েছিলেন জালালউদ্দিন কোবরা (রাঃ) এর নিকট। পীর সাহেব বললেন, তুমি যেই বিদ্যা অর্জন করেছ এবং যেই ঈমান এনেছ যদি তা সম্পুর্ন রুপে ভুলে যেতে পার তবে তোমার যে শুন্য অংশে আমি আধ্যাত্ন কিছু কালাম দিতে পারব। যাইহোক যেই কোরান নিয়ে কথা বলছেন এই কাগজের কোরান বুঝে উল্টায় গেলেও এর গভির মূল কোরান আলাদা ভাইজান।
যাইহোক কথা হবে। দেখা যাক লিখে আর কতদুর যেতে পারি। ইহা যদিও সম্ভব নয় যে আক্ষরিক এই বিদ্যা পাঠ করে কোরানের “ক” বুঝানো সম্ভব না, যদি ঐ তথা কথিত আলেমদের কোরান হত তাহলে সে্টা আলাদা বিষয়।
আমরা সেই জিনিস বিশ্বাস করি, মুসলমান তাকেই বলে, ইসলাম সেই ধর্ম যা দেখে শুনে জেনে পরখ করার পরে যদি বিশ্বাস করা যায় তার নাম। এখানে অদেখা, অজানা কোন বিষয়ের উপর ঈমান আনা, বিশ্বাস করা ফাছেকি, আল্লাহর সাথে বেয়াদবি করা।
মোল্লারা খাবার পাতে দিছে বিষ সুন্দর পরিবেশন করে, তার স্বাদ আর কিবা হবে বলেন? সারাজীবন ঐসব মনুষ্য রুপী বুনো জানোয়ার দের কাছ থেকে শুনে এসেছেন ইসলামের, ধর্মের কথা তো জানবেন কি করে ধর্ম, ইসলাম, কোরান এর সৌন্দর্য, গভিরতা?
জাহান্নাম জান্নাত আর কথাও না, এই দুনিয়াতেই, আরও গভীর করে যদি বলি তবে তাহা আপনার দেহ ও মস্তিষ্কে। কোথায় খুজেন স্বর্গ নরক??? নজরুল বলছেনঃ তোমাতে রয়েছে সকল কেতাব সকল কালের জ্ঞান, সকল শাস্ত্র খুজে পাবে সখা খুলে দেখ নিজ প্রান। কিসের কাগজের কোরান নিয়ে মারা মারি??? আমার কথায়ত কত কি কইলাম। মুল তাহলে নিজেকে চিন, সব খুজে পাবে। মান আরাফা নাফসাহু, ফাকাদ আরাফা রাব্বাহু-(হাদিসে রসুল)। যদিও মোল্লারা এই হাদিসকে জাল বলে ফেলে দিয়েছে। কি জানবেন আপনে বলেন? সত্য সবইত তারা ফেলে দিয়েছে, লুকিয়ে রেখেছে বদমাশ সৌদি বাদশা ও তাদের উত্তরসুরী।বর্তমানে তাদেরই চেলা আমাদের সমাজের বিশিষ্ট আলেম সমাজ, এই পৃথিবীর যত বড় বড় আলেম নামক যেই জালেম আছে তাদের কাছে কিসের জ্ঞান নিবেন বলেন?
যাইহোক বেশি অফটপিকে চলে গেলাম। কিছু মনে করবেন না।
ধন্যবাদ।
@Russell,
ভাই রাসেল, আজ পর্যন্ত কোন পরিবারে দেখেছেন কি যে বেড়ে ওঠা শিশুটি নাস্তিক হয়ে জন্মগ্রহন করে বয়সের সাথে সাথে শিক্ষালাভ আর কঠোর সাধনার মাধ্যমে আস্তিকে পরিনত হয়? আমিতো বরং বাস্তবে উল্টোটাই দেখি যে শিশুটি তার আস্তিক বাবা মায়ের সাথে থাকতে গিয়ে আস্তিক হয়েই বেড়ে ওঠে এবং বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবার, সমাজের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাসের শিকড় তার ভিতরে এমন ভাবে গেড়ে বসে যে তার পক্ষে আর নাস্তিক হওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
@মিঠুন,
জানিনা আপনে হয়ত সত্য বলছেন, তবে আমার জানা মতে কোন শিশুই জন্মের সময় আস্তিক অথবা নাস্তিক হয়ে জন্মায়না। সে এক অবুঝ শিশু থাকে মাত্র, মাসুম সন্তান হয়ে জন্মায়। আস্তিকতা বা নাস্তিকতা পরে আসে। এইবার আসুন আস্তিকতা বা নাস্তিকতা হবার বিষোয়টিঃ বলা যায় না ভাই কোথায় কি হয়- সবই নিরঞ্জনের খেলা। ইহা প্রত্যেকের তকদির। এখন তকদির এক কথায় বলে দিতে হয় কেননা ইহা উপলব্ধির বিষয়। পড়ে ইহা বোঝা সম্ভব নয়। দেখুন আস্তিকতা বলতে আমি আসলে যা বুঝিয়েছিলাম তা হল, বা আমি যা বুঝাতে চাই সেটা হল দেখে শুনে জেনে বিশ্বাস করা। না দেখে অন্ধকারে, নিরাকারে বিশ্বাস উহা প্রকৃত বিশ্বাস নয়।
এই যেমন ধরুন আপনাকে যদি বলা হয় আমি একজন অতিব পুত পবিত্র এক ব্যক্তি। ধরেন আপনের কাছের মানুষ কেউ বলল। সেক্ষেত্রে আপনে কি ভাববেন? হয়ত বিশ্বাস করতেও পারেন, নাও পারেন। হয়ত করবেন। ইহা এক বিশ্বাস। কিন্তু এই বিশ্বাসের ভিত্তি কেমন? খুবই নরবরে। বুঝতেই পারছেন? আমাকে দেখে, আমার সাথে কথা বলে, আমাকে জেনে তারপর আপনার হয়ত বিশ্বাস হবে যে আমি পুত পবিত্র নাকি শয়তান। তখন সেই বিশ্বাস হবে গভির, মজবুত। আল্লাহও কোরানে ঠিক একই কথাই বলেছেন। আমাকে দেখ, আমাকে জানো, আমাকে বুঝো তারপর আমার কাছ থেকে অনুমতি নাও বিশ্বাসের…আস্তিক বললেইত আর আস্তিক হয়ে যায়না…ইহা আমরা সাধারনেরা ইহা আস্তিক নাম দিয়ে নিজেরাই ঢাক ঢোল পিটাই। যেমন লাদের নাম নিলাম আর অমনি মুসলমান হয়ে গেলাম? সাইদি না রাখলাম আর অমনি মুসলমান হয়ে গেলাম? যদিও আমরাই তাকে মুসলমান স্বীকৃতি দিয়ে বসে আছি, মুলত তারা মুসলমান নয় কোরানের মতে, তারা হইল বুনো জানোয়ার।
যাইহোক ধন্যবাদ
@Russell,
ভাই আপনি আং সাং বকতেছেন। প্রথম কথা হল কোন শিশুই আস্তিক বা নাস্তিক হয়ে জন্মায় না। কিন্তু পরিবারে বেড়ে ওঠার সময় বিশ্বাসী হয়েই গড়ে ওঠ্যে। এই ক্ষেত্রে আপনি আবার বিশ্বাসের প্রকারভেদ নিয়ে হাজির হয়েছেন।
ভাই বিশ্বাস জিনিসটার ভিত্তিই হল নড়বড়ে। আপনি প্রকৃত বা অপ্রকৃত বিশ্বাস বলতে কি বোঝাচ্ছেন? একটা জিনিস মনে রাখুন- যা কিছু সত্য বলে প্রমানিত নয় তাতেই বিশ্বাস স্থাপনের প্রয়োজন থাকে। আর যা কিছু সত্য বলে প্রমানিত তাতে বিশ্বাস স্থাপনের প্রয়োজন হয়না। কারন তা আপনি সত্য বলেই জানেন। আপনিই বলুন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে এই কথা কি আপনি সত্য বলে জানেন না বিশ্বাস করেন? বিশ্বাস স্থাপনের প্রশ্ন এখানে অবান্তর। একারনেই বলছি বিশ্বাসের ভিত সবসময়ই নড়বড়ে কারন তা প্রমানিত সত্য নয়।
আস্তিকতার ভিত্তিই হল বিশ্বাস। তা সে যে ধরনেরই হোক না কেন। বিশ্বাস প্রকৃত হোক আর অপ্রকৃত হোক তা বিশ্বাসই। আপনার এখানে আস্তিকতা তথা বিশ্বাসের প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা তাই অযথাই মূল্যহীন।
@মিঠুন,
জানিনা, হয়ত আপনে ঠিক। আপনে বিশ্বাস করেন পৃথিবী সুর্য এর চারিদিকে ঘুরে, কেননা ইহা সত্য, এবং প্রমানীত। আর তাই আপনার বিশ্বাস অটল, এখানে কেউ যদি এসে বলে আপনাকে সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে, তাহলে আপনে মানবেন না, কেননা আপনার বিশ্বাস আছে যে আপনে যা দেখেছেন, জেনেছেন তাহাই সত্য। সুতরাং বিশ্বাস যেখানে, সেখানে কোন বিষয় বা বস্তু নড়বড়ে হয়না। জানিনা হয়ত আমি ঠিক।
আমার এত প্যচাল, আং সাং পারার একটাই সারমর্ম ছিল সেটা হল বিশ্বাস করতে হলে দেখে শুনে জেনে বিশ্বাস করতে হবে। আর আপনে বলছেন বিশ্বাস যেখানে সেখানে ভিত্তিই নড়বড়ে। জানিনা কেমনে সম্ভব।
ধর্মের ক্ষেত্রে যদি দেখিঃ
আল্লাহ নামক এক অস্তিত্ব এই মহা বিশ্বে আছেন ইহা একজনের বিশ্বাস। কেন? কেননা সে আল্লাহকে দেখে, আল্লাহ তাকে দেখে, সে আল্লাহকে শুনে, আল্লাহ তাকে শুনে, তাহলে তার বিশ্বাস নড়বড়ে নাকি আপনে যদি বলেন আমি দেখিনা, শুনিনা, আবার আপনে তাকে দেখার চেষ্টাও করেন নি। এইবার আসুন আমি তাহলে কাকে বিশ্বাস করব? আপনাকে নাকি তাকে? আমার বিশ্বাস তখনই শক্ত, ভিত্তিশালী হবে যখন আমি তার দিকেও যাব এবং আপনার দিকেও যাব, যেটাতে প্রমান পাব সেটাইত বিশ্বাস করব, তাইনা? তাহলে বিশ্বাসের ভিত্তি নড়বড়ে হয় কিভাবে?
আবার দেখুন এদিকে আল্লাহ আবার বলছে্ন, আমাকে দেখ, আমার কথা শুনো, আমার চেহারা খুজো, আমি তোমাদের শুনি, আমি তোমাদের দেখি, সব কিছু তিনিও বলে দিচ্ছেন। তাহলে আমি কি আপনার অপ্রমানীত বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে বলে বেড়াব যে আল্লাহ নাই? বা নিরাকার? বিশ্বাস কি সেটাইত জানলেন না। না দেখার উপর বিশ্বাস স্থাপন হয়না, সন্দেহ বা অনুমান করা যায়। বিশ্বাস শব্দটির সাথে ভিত্তি, খুবই ভারি শক্ত ভিত্ত দরকার ভাই। ধর্ম এত সহজ নয়।
খুবই সহজ ভাষায় আং সাং করলাম ভাই, যদি এরপরেও না বুঝেন তাহলে আমি দুঃখিত। এইক্ষেত্রে আমি তকদির শব্দটি আবার নিয়ে আসলাম।
ধন্যবাদ।
@Russell,
ভূল বললেন। পৃথিবী যে সূর্যের চারদিকে ঘোরে এটা আমি ভুলেও কখনও বিশ্বাস করিনা। এটাকে আমি সত্য বলে জানি কারন এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। ভবিষ্যতে যদি কোন পরিবর্ধিত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এটাকে মিথ্যা প্রমানিত করতে পারে তবে আমি আমার জানাটা বদলে নেব। এখানে দেখুন আমার জানাটা ডাইন্যামিক। সময়ের সাথে উপযুক্ত তথ্য আর প্রমানের ভিত্তিতে আমার জানা সত্যটার মডিফিকেশন হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস ঠিক এরকম নয়। বিশ্বাস স্ট্যাটিক। আপনি বিশ্বাস করেন যে কোরান অলৌকিক। আপনার এই বিশ্বাস স্থান কাল পাত্র ভেদে স্থির। এক্ষেত্রে আপনার কাছে যুক্তিতর্কের অবতারনাই অর্থহীন। কারন কোন কিছুতেই আপনার বিশ্বাসের পরিবর্তন সম্ভব নয়।
ধর্ম সহজ কি কঠিন সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। আপনি যে শক্ত ভিতের কথা বলছেন সে ভিত প্রতিটি আস্তিকের ক্ষেত্রেই গড়ে উঠেছে জন্মের সাথে সাথেই নিজের অজান্তে পরিবারের একান্ত সাহচর্যে, বিনা সংগ্রামে, বিনা বাধায়, বিনা সাধনায়। আপনাকে এক কথা বারবার বলতে ভাল লাগেনা। আমি আবারো বলছি, আগে না শুনে থাকলে খেয়াল করে শুনুন- আপনার চার পাশে যা কিছু প্রমানিত বিষয় আছে তার কোন কিছুতেই আপনি বিশ্বাস স্থাপন করেন না, আপনি এগুলো সত্য বলে জানেন। কিন্তু যেসব বিষয়কে প্রমান বা অপ্রমান করা যায়না একমাত্র সেগুলোতেই বিশ্বাস স্থাপনের প্রয়োজন হয়। একারনেই কেউ বলে আমি মা কালীতে বিশ্বাস করি, কেউ বলে আমি আল্লায় বিশ্বাস করি আবার কেউ বলে আমি ভূতে বিশ্বাস করি বা পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় বিশ্বাস করি। কাউকে কি বলতে শুনেছেন যে পৃথিবী গোল এটা আমি বিশ্বাস করি। সেটা শুনতেও বা কেমন শোনায়?
ভূল বললেন। পৃথিবী যে সূর্যের চারদিকে ঘোরে এটা আমি ভুলেও কখনও বিশ্বাস করিনা। এটাকে আমি সত্য বলে জানি কারন এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। ভবিষ্যতে যদি কোন পরিবর্ধিত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান এটাকে মিথ্যা প্রমানিত করতে পারে তবে আমি আমার জানাটা বদলে নেব। এখানে দেখুন আমার জানাটা ডাইন্যামিক। সময়ের সাথে উপযুক্ত তথ্য আর প্রমানের ভিত্তিতে আমার জানা সত্যটা বদলে যেতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস ঠিক এরকম নয়। বিশ্বাস স্ট্যাটিক। আপনি বিশ্বাস করেন যে কোরান অলৌকিক। আপনার এই বিশ্বাস স্থান কাল পাত্র ভেদে স্থির। এক্ষেত্রে আপনার কাছে যুক্তিতর্কের অবতারন
@মিঠুন,
শেষের প্যরাটা দুবার এসেছে। মডারেটর যদি ওটাকে বাদ দিয়ে দিতেন… 😛
@মিঠুন,
@মিঠুন,
যাইহোক হয়ত উপলব্ধির ব্যবধান। আমার কাছে বিশ্বাস মানে হইল দেখে শুনে জেনে কিছুকে স্বীকার করা, স্থীর করা আর না দেখে যা বিশ্বাস তাকে অনুমানে বিশ্বাস বলা হয়ে থাকে, এখানে বিত্তি নড়বড়ে। বিশ্বাসের অনেক স্তর আছে। হয়ত প্রথমে সব অনুমানেই শুরু হয়, আর পরবর্তিতে যখন দেখে শুনে বুঝে জেনে বাস্তবে প্রমানীত হয়, সত্য হয় তখন সেই বিশ্বাস দৃঢ় বিশ্বাসে পরিনত হয়।
আর আপনে বলতে চাচ্ছেন বিশ্বাস শুরুতেও অনুমানে, এর শেষ অনুমানে থাকে। সত্য হলে তখন আর বিশ্বাস থাকেনা।
হতে পারে আমি আপনাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি, তবে হয়ত এখানে অন্য কেউ যদি আমার কথা বুঝে থাকেন তাহলে আপনাকে কেউ বুঝাতে পারলে খুশি হব। হয়ত এমনও হতে পারে আমি কাউরেই এই বিষয়টা বুঝাতে পরনাই।হা।।হা।।।যাইহোক হতেই পারে। আমি লেখক নই।হয়ত কথায় বুঝাতে পারতাম।
ভালোথাকবেন।
@Russell,
আপনার অতি উচ্চ মারফতি লাইনের কথাবার্তা বোঝার মত জ্ঞান এখানে কারোরই নাই। আমরা অতীব দু:খিত। আপনি বরং নিজেই পড়ুন, নিজেই বুঝুন।
@Russell,
আপনাকে আগের মন্তব্যে বলেছিলাম আপনার ঐ লিঙ্ক আমি পড়েছি আর তাতে কোরানে রূপকের কিছু খুজে পাই নি। বিষয়টা আমরা কোরান ওনলি মুসলমান নিবন্ধের মন্তব্যে দিয়েছি , পারলে একটু পড়ে মন্তব্য করতে পারেন।তারপরও আপনি রূপক ধরনের কিছু থাকলে সেটা এখানে পোষ্ট করতে পারেন সংপ্তি আকারে। সারা জীবন দেখে আসলাম মানুষ মূলতঃ আস্তিক হয়েই জন্মায়, অনেক জেনে শুনে তার পর সে নাস্তিক বা উদারপন্থি হয়ে যায়। তারপরও মানুষ সহজে নাস্তিক হতে চায় না, কারন ছোট বেলাতেই তো তার মস্তিষ্কে আস্তিক্যের ওষুধ ঢোকানো থাকে যা অত সহজে দুর হতে চায় না। আর আপনি বলছেন- উল্টো কথা যার কোন যুক্তিই নেই। ভাই এরকম যুক্তিহীন কথা শুনতে কিন্তু ভাল লাগে না। না জেনে না শুনে কি লেখা যায়? না জেনে লিখলে তো তা মার্কেট পাবে না, আপনার মত লোকেরা তো তা খন্ডানোরও প্রয়োজন মনে করবে না , তাই না ?
এটা কি বললেন ভাই , সারা জীবন শুনে আসলাম অদৃশ্যে বিশ্বাসের নাম ই হলো ইসলাম আপনি বলছেন উল্টো কথা। মোহাম্মদ নিজেকে আল্লাহর নবীর দাবিকারী, কোরানকে তিনি আল্লাহর কিতাব এর দাবিকারী ও সাক্ষী-অন্য কোন সাক্ষী নেই। তো এটা তো পরখ করে দেখার সুযোগ নেই। স্রেফ অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে যাকে বলে ইমান। আর মুসলমান হওয়ার প্রথম শর্তই হলো ইমান। আর আপনি এসে বলছেন উল্টো কথা। আপনার ভাষ্যমতে আমরা পরখ করতে যেয়েই তো বিপদে পড়ে গেছি- মনে হয়েছে এধরনের বানোয়াট আর অসংলগ্ন কথা বার্তা মহাজ্ঞানী ও পরম ন্যয়বিচারক আল্লাহর হতে পারে না। আপনারা পরখ করেন না বলেই বিশ্বাস করে বসে থাকেন। কোরানের এমন একটা আয়াত উল্লেখ করেন তো দেখি যা গভীর জ্ঞান পূর্ন ও রহস্যময়।
সারা কোরানে বলা হচ্ছে জান্নাত হলো সাত আসমানের পরতে পরতে , যেখানে আছে যৌবনবতী হুর, যার লোভ দেখিয়ে মোহাম্মদ অসভ্য আরবদেরকে প্রলুব্ধ করে তার দলে টেনে নিয়ে দল ভারী করে তার ইসলাম প্রচার করেছিলেন, আর আপনি এখন এসে কবির ভাষার সাফাই গাইছেন যে স্বর্গ নরক মানুষের মস্তিষ্কেই। তাহলে তো দেখি মোহাম্মদের কোরানের চাইতে কবির কবিতা অনেক বেশী অর্থ পূর্ন ও রূপকময়। পরিশেষে আপনি যে সব পীর ফকিরদের জ্ঞান সাধনার কথা বলছেন তারা জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে কোন অবদান রাখা তো দুরের কথা , অজ্ঞানতা আর কুসংস্কার ছড়িয়ে দিয়ে মুসলমান জাতির মহা সর্বনাশ করে গেছে অনেক আগেই। নইলে মুসলমানরা আজকে দুনিয়াতে এত দীন হীন থাকতো না। বুঝেছেন?
@ভবঘুরে,
আপনারও সেই একই সমস্যা আপনে সামান্য একটা বাংলা লেখাই কিছু বুঝে উঠতে পারলেন না, কোরানের রুপকতার কিছুই খুজে পাননাই। অথচ ঐ খানে সুন্দর করে বেশ খানিকটা বর্ননা করা হয়েছে। আর তাহলে আপনে কোরান বুঝবেন কি করে? শুধু ভাষা, ব্যকরন আর অক্ষর জ্ঞান দিয়ে যদি কোরান বোঝা যেত তাহলেত সৌদির ঘরে ঘরে জানোয়ার তৈরী না হয়ে মহা মানব তৈরি হইত ভাইজান। আর বাংলার ঘরে ঘরে দাড়ি-টুপি আলখেল্লা পরিহিত মানব আকৃতির ঐ জীবাত্নার বদলে সত্য সুন্দর মানুষ হত।
তবে আপনাকেও বলিঃ যা লিখি তা একবার পড়ে না বুঝলে বার বার পড়ুন। ইহা উপলব্ধি মূলক লেখা, শুধু এক নজরে সব পড়ে বুঝে প্রশ্ন করে ফেলেছেন ইহা সম্ভব না। কেননা ইহাতে তথাকথিত আলেমদের কোন চিন্তা চেতনা নাই। সত্য জানতে চান তাই দিলাম। যদি বলেন জানতে চাইনা, তাহলে লিখব না। তবে না পড়েই প্রশ্ন করবেন না। যদিও আপনে স্বীকার করেছেন রুপকের কিছু খুজে পাননি। তবে আবার পড়ুন। নিরাকারে ঈমান আনা ফাসেকী, খোদাদ্রোহী, ইহা আমি একটা লিংক খুব সহজ ভাষায় লিখেছি। (দ্বিতীয় লিংক)। সুতরাং খোদাকে দেখতে হবে সেটার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি। পড়ুন। সুতরাং জেনে রাখুন, না দেখে, নিরাকারে ঈমান, ঈমান নয়। যদি আবার কোন মোল্লার কাছে ইহা জিজ্ঞাসা করতে জান তাহলে হয়ত আপনাকে পাগল বলবে, কাফের বলবে হয়ত অনেকে হত্যা করতে উদ্ধত হবে। কেননা তারা সুধু আকারে মানুষ হলেও আত্না হাওয়ানী।
ধর্ম নিজেকে চেনার, তথা খোদাকে জানার। ধর্ম মানে আত্নপরিচয় লাভ করা, মুক্ত হওয়া, চিরঞ্জীব হওয়া। ইহা আত্না আর পরমাত্নার কথা। এখানে জৈবীকতা একটা রুপক মাত্র। ইহা এক শরীয়ত। তবে ইহাও প্রয়োজন। কিন্তু আজ ইসলাম বুনো জানোয়ারের হাতে, তাই এর সত্য সুন্দর রুপ অনেক আগেই লুকিয়ে পড়েছে, হারিয়ে গিয়েছে,। আজ সিন্ধুর চেয়ে বিন্দুর সাধনা এই মুসলমান নামক মানব গুলি পালন করছে আর আপনারা সেইটা নিয়ে গুতাগুতি করছেন, আর নিজেদের বড় মুক্ত মনা ভাবছেন। আরে ইহাত আসলেই সত্যি, যে ধরনের ব্যাখ্যা এই সকল অন্ধ, বধির, কাঙ্গাল লোভি, কামুক, ভোগি মানুষের জন্য রচিত করা হয়েছে, তা মিথ্যা। মূল ব্যাখ্যা জানতে সেই সকল পীর ফকিরদের (যাদের আপনে অন্ধ সমাজ তৈরির দোষ দিচ্ছেন) দরজায় জান, জানুন সেই পরম, চরম সত্য কি? আর বিজ্ঞান??? ভাই হাসালেন… আপনারা ধর্ম থেকে বিজ্ঞানকে আলাদা চোখে দেখেন, যাইহোক আপনে যেই চোখেই দেখেন সব কিছুর উত্তর থাকলেও এইখানে লেখা আসলেই সম্ভব না। অনেক বড় একটা বই হয়ে যাবে। আর ঐ সকল পীর ফকির???ভাই কি বলব বলেন, উহা বুঝার সময় এখনো আপনার আসেনি।(যদিও আমরা যা দেখি আইনষ্টাইন, নিউটন,প্লেট,সক্রেটিস, সেক্সপিয়ার, লালন, নজরুল ইনারা সকলই মহামানব/রসুল ধর্ম কেতাব মতে। জানিনা আপনারা কোন দৃষ্টি দিয়ে তাদের দেখেন।) আপনাকে আগেও বলেছিঃ এক হল বস্তু জ্ঞান, দুই হল আধ্যাত্ন জ্ঞান। এক হইল বস্তু বিজ্ঞানী, দুই হল আধ্যাত্ন তথা আত্নাত বিজ্ঞানী। যেমন আইনস্টাইন বস্তু বিজ্ঞানী, লালন আত্নার বিজ্ঞানী। দুই জন দুই ধারার হইলেও মূলত উনারা সবাই এক, এই দুই মিলে এই জগত। ইনাদের ভিতর কোন ফেরাক নেই। একে অপরের পরিপুরক। এক জ্ঞান মানুষ সৃষ্টি করে, আর এক জ্ঞান বস্তু সৃষ্টি করে।
জান্নাত জাহান্নাম সাত-আসমানের উপরেঃইহা খুব বড় একটা বিষয়, পরে লিখে দিবনে। আপাতত যা লিখেছি আপনার পোষ্টে, পুরটাই পড়েন, একবার নয়, দুইবার নয় বারবার …যতবার না theme বুঝতে না পারেন। সবই পড়েন, শুধু চোখ বুলিয়ে পড়ে প্রশ্ন করবেন না। আপনার সব উত্তর দেয়া আছে। সুধু চিন্তার গতি বাড়ান।
ধন্যবাদ
@Russell,
:guru: :guru: :guru:
@মিঠুন,
এইখানেতো বিয়াফুক বিনোদন চলিতেছে দেখি !!!!!!!!!!!!!!! 😀
@আতিক রাঢ়ী,
আবার জিগায়। মুক্তমনায় তো দেখছি এখন বিনোদনের অন্ত নাই। আপনিও আসেন, কিছু বিনোদন কুড়িয়ে নিয়ে যান। আমার মতে রাসেল ভাই এই মুহুর্তে মুক্তমনার বিনোদনের সেরা উৎস। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি এখানে এসে রাসেল ভাই এর কাছ থেকে সত্য জ্ঞান ও সাথে ফ্রি বিনোদন দুটোতেই আপ্লুত হয়ে যেতে.. 😀
@Russell,
শুনেন ভাইজান, আপনার অনেকগুলো মন্তব্য পড়লাম আর পড়ার পর যা মনে হলো- আপনার মূল উদ্দেশ্য গঠনমূলক বিতর্ক নয়, স্রেফ ধুম্রজাল সৃষ্টি করে আলোচনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। তাই এর পর থেকে আপনার মন্তব্যের আর কোন উত্তর দেব না। আপনাকে চ্যলেঞ্জ দিয়ে বললাম কোরানের একটা আয়াত দেখান যেখানে অতি উচ্চ মার্গের জ্ঞান ও রহস্য লুকিয়ে আছে, আপনি তা না করে এলোমেলো কথা চালিয়ে গেলেন। আপনার মতে- কোরানকে যদি অত সহজে বোঝা না যায়, তাহলে আল্লাহ খামোখাই তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। পরিশেষে, আপনি প্রায়ই আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার সাথে মোহাম্মদ ও কোরান কে মিশিয়ে ফেলছেন। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য হলো- আমরা অনেকেই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি কিন্তু মোহাম্মদ যে আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ আর তার রচিত কোরান যে আল্লাহর কিতাব তা বিশ্বাস করার কোন কারন ঘটেনি। আপনি অযথা ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে একটা নিবন্ধ লিখে প্রকাশ করুন যা থেকে আপনি প্রমান করতে পারেন, মোহাম্মদ আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ আর কোরান আল্লাহর কিতাব। তাতে আমি সহ অনেকেই উপকৃত হবেন। চাইকি আপনার নিবন্ধের কারনে আপনার কিছু ভক্তও আপনি পেয়ে যেতে পারেন।
@ভবঘুরে,
রাসেল ভাই এর প্রধানতম সমস্যা আমার যটো মনে হয়েছে যে উনি ধর্মবিশ্বাস আর ঈশ্বর বিশ্বাসকে সবসময়ই গুলিয়ে ফেলেন।
@ভবঘুরে,
ভাইজান, আশা রাখি ভাল আছেন। যাইহোক হয়ত আমার ব্যর্থতা যে আপনাদের আরো সহজ করে বুঝাতে পারিনাই। এত কিছু লেখার পরেও যদি আবার বলেন একটা আয়াত দেখান যেখানে উচ্চ মর্গের কোন কিছু আছে, তাহলে ভাই কিছুই বলার নাই।হতে পারে অফ্টপিকে সব কথা, তাই হয়ত আপনাদের বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
মুলত আপনাদের যাহা বুঝাতে চেয়েছি, আমরা যেইভাবে কোরান পড়ি, বুঝতে চাই, বুঝাতে চাই তা আসলে কতটুকু সত্য সে বিষয় একটু ধারনা দেয়া মাত্র।
উচ্চ মর্গের আয়াতঃ
যদিও আমার ঐ লিঙ্ক যা লিখেছি সেখানে অনেক আয়াত ভেংগে ভেংগে দিয়েছি, মোল্লারা কিভাবে দেখে, আর সত্য কিভাবে হওয়া দরকার সেসব বলেছি।হয়ত বুঝতে পারেন নাই, হয়ত লেখা আপনাদের বুঝাতে পারেনাই। যদিও ঐ লেখা এমন এক সাধকের যার জ্ঞানের ঐ স্তর ভেদ করা সত্যই সবার দ্বারা সম্ভব না।
সুরা ফীল এর একটা ব্যাখ্যা দেইঃদেখুন বুঝাতে পারি কিনাঃ
সুরা ফীল আসলে কোন ইতিহাস, হাতি ঘোড়ার কোন সুরা না। এখানে বুঝানো হয়েছে, এত বড় হাতি যেমন ছোট আবাবিল পাখির দ্বারা ধ্বংস হয়ে গেল, সেইভাবে আপনার আমার ভিতর আছে অসংখ্য ভোগ, মোহ হাতির মত, ইহাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানের দ্বারা দর্শন করত ঐ মোহের উপর আঘাত হানা, কোথা হতে এই লোভের উতপন্ন, কোথা থেকে সেগুলো আপনার আমার
ভিতর প্রবেশ করছে, ধ্যান এর দ্বারা, সালাতের দ্বারা সেইগুলীকে পর্যবেক্ষন করে আঘাত হানা, আবাবিল যেমন অতি ক্ষুদ্র, তেমন চিন্তাকে , জ্ঞানকে আরও ভেংগে ভেংগে ছোট করে অনু পরামানু পর্যন্ত ভেবে সেসবকে দেহ থেকে বিতাড়িত করে দেঅয়া।
এভাবে আসলে লিখে বুঝানো যায়না। যাইহোক যেহেতু আপনাদের বুঝাতে পারিনি, তাই আর লিখছি না। তবে পরবর্তিতে আপনাদের লেখায় আবারও মন্তব্য করব, যদি চান।হা।।হা।।
ভালথাকবেন।
@Russell,
ভাইজান,
আশা করি আপনি সহি সালামতে ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর ওয়াস্তে সহি সালামতে ভালই দিনাতিপাত করছি। অতঃপর ভেবেছিলাম আপনার কথার কোন উত্তর দেব না। কিন্তু যেহেতু আপনি একটা রূপকের উল্লেখ করলেন তাই আবার এ উত্তর দেয়া।
এরকম কিচ্ছা এই একবিংশ শতাব্দিতে যারা বিশ্বাস করে তাদের স্থান পাগলা গারদ হওয়া উচিৎ। আমার মনে হয়- আজগুবি জিনিসে অযৌক্তিক বিশ্বাস করার ব্যপারে আইন করা দরকার আর যারা এধরনের আজগুবি জিনিসে বিশ্বাস করবে তাদেরকে পাগলা গারদে পাঠানো দরকার সংশোধনের উদ্দেশ্যে। বর্তমান সভ্য সমাজে এ ধরনের আজগুবি বিশ্বাস সমাজকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যা সভ্যতার অগ্রগতির জন্য হুমকি স্বরূপ। আধা সভ্য সমাজে ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলা যদি ব্লাসফেমি আইনের আওতায় পড়ে, সভ্য সমাজে আজগুবি কাহিনীতে বিশ্বাসের জন্য ঠিক ওধরনের আইন বড়ই জরুরী এখন।আর যদি এটাকে রূপক হিসাবে ধরেন, তাহলে কোরানের বানীর চাইতে অনেক অনেক উচ্চ মার্গের বাক্য আপনি লালন ফকির, হাচন রাজা, নজরুল, রবীন্দ্রনাথে পাবেন যা আপনি ইতোমধ্যেই আপনার লেখায় কিছু কিছু উল্লেখ করেছেন। বুঝেছেন? ওদের রচনার তুলনায় কোরান কিছুই না। সেই ১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদ কোরান আল্লাহর বানী হিসাবে প্রচার না করে আজকের যুগে যদি প্রচার করতেন, সত্যিই কিন্তু তাকে পাগলা গারদে পাঠানো হতো আর আপনার মত মানুষই তাকে উন্মাদ বলে উপহাস করতেন। আর দেখেন কোরানের মাহাত্ম প্রচার করতে গিয়ে আপনি বার বার এমন সব কবির রচনার উল্লেখ করছেন যারা তাদের রচনার জন্য কাফির, মুশরিক, মুরতাদ ইত্যাদি অভিধায় ভুষিত হয়ে অপদস্ত হয়েছেন। আপনার বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে স্ববিরোধী কথা বলছেন, আপনার মস্তিষ্কে আল্লাহ সীল মেরে দিয়েছেন বিধায় আপনি তা বুঝতে পারছেন না। আপনার জন্য সত্যিই করুনা হচ্ছে এখন।
@ভবঘুরে,
এই আপনে কি স্কুলে পড়েন? মানে ক্লাস ৭ বা ৮?? আমারই ভুল, আগে জেনে নেওয়া উচিত ছিল আপনারা কি করেন, বয়স কত, এইসব। নয়ত এইরকম আজগুবি মন্তব্য কথাবার্তা শুনা লাগত না।
যাইহোক ভাল থাকেন।
@Russell,
না ভাইজান, আমি স্কুলে না, মাদ্রাসায় পড়ি। তাই কোরান হাদিস নিয়ে এত কথা বলতে পারি। আর সেই সাথে বুঝতে পারি আপনার মনগড়া বক্তব্যের অসারতা। আমার ধারনা মুক্তমনা সাইটের অন্যান্য পাঠকরাও আপনার বক্তব্যের অসারতা বুঝে গেছে আর তাই তারাও ইতোমধ্যে বিরক্ত ও হতাশ।
এটা ঠিক বলেননি। সম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নাস্তিকরা বহু মানুষ হত্যা করেছে। বহু মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। বল প্রয়োগ করে ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করিয়েছে। অন্যায় উভয় পক্ষের দ্বারাই সম্ভব। কেউ যখন একপেশে ভাবে চিন্তা করে তখনই সমস্যা শুরু হয়।
আর নারীরা যতদিন না অর্থনৈ্তিক ভাবে মুক্ত হচ্ছে ততদিন পুরুষের চামচামি করাটাকেই তাদের কাছে নিরাপদ মনে হবে। প্রথম প্রজন্মের মুক্ত নারীর মধ্যে চামচামি পুরোপুরি যাবে না। পরের প্রজন্ম থেকে আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করবে। কারন দাসত্ত্বের সুদীর্ঘ অভ্যাস যেতেওতো সময় লাগে।
@আতিক রাঢ়ী,
সাম্যবাদী বলতে অনেকে নাস্তিক বুঝায়। বিষয়টা মনে হয় ঠিক না। কিছু সাম্যবাদী নাস্তিক হতে পারে, কিন্তু সবাই না। সমাজতন্ত্রের পতনের পর বর্তমান রাশিয়াতে ধর্মের প্রতি মানুষের আকর্ষন তার প্রমান। যাহোক, নাস্তিক যদি তাদের মতবাদ বাস্তবায়নের জন্য কিছু মানুষ হত্যা করে থাকে তার ইতিহাস বেশী দিনের নয়। মাত্র বিংশ শতাব্দির গোড়া থেকে।কিন্তু আস্তিকরা তো সে কাজটা করে চলেছে সেই প্রাগৈতিহাসিক আমল থেকে। আলোচ্য প্রবন্ধে যে মহিলাদের নিয়ে আলাপ করা হয়েছে ওরা প্রত্যেকেই অর্থনৈতিকভাবে দারুন আত্মনির্ভর। বড় বড় চাকরি করে। তারা আপাদমস্তক বোরখা মুড়ি দিয়ে থাকে। এমনকি তারা দেখলাম এটাও বিশ্বাস করে যে- নারীদেরকে যদি পুরুষরা ভরনপোষণ করতে পারে তাহলে নারীদের পুরুষের অধীনেই থাকা উচিৎ, বাইরে কোন কাজ করাই উচিৎ নয়। অর্থাৎ তাদের মানসিকতাটাই শৃংখলিত। তারা বেহেস্তে যাওয়ার কল্পনায় বিভোর যদিও তারা ঠিকমতো জানে না বেহেস্তে তারা কি সব আনন্দ ফুর্তি করার সুযোগ পাবে। এটাকে কিভাবে ব্যখ্যা করবেন ?
@ভবঘুরে,
আসলে আমাদের ইতিহাস সংগ্রহের সময়কাল আর ধর্মের প্রভাবকাল অনেকটা সমসাময়িক। ধর্মগুলোর বয়স দুই থেকে চার হাজার বছর। তার আগে মানুষ নিশ্চই অন্যায় করেছে কিন্তু তার ইতিহাস আমাদের সংগ্রহে নেই।
নারীদের মানসিক দাসত্ত্বের ব্যাপারে আগেই বলছি। এটা যেতে কয়েক প্রজন্ম লাগবে, যদি সমাজের ইতিবাচক অগ্রগতি চলতে থাকে।
@আতিক রাঢ়ী,
সাম্যবাদ তো আর নাস্তিকতা নয়। নাস্তিকতা প্রতিষ্টা করার জন্য কেউ কি কোথাও বর্বর আচরণ করেছে যেমনটা করেছে ধর্মবাদিরা তাদের ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য??
@সৈকত চৌধুরী,
লালন, রবিন্দ্রনাথ বা রুমিও কিন্তু কোন বর্বর আচরন করেনি। আস্তিকতাও কিন্তু বর্বর আচরন করে না, করে কোন কোন আস্তিক বা কোন কোন আস্তিক সম্প্রদায়।
সাম্যবাদের ভিত্তি হচ্ছে দ্বন্দ্বীক বস্তুবাদ। যারা মনে করে বস্তু থেকে ভাবের উৎপত্তি। এখন বহু বিচিত্র সাম্যবাদি থাকতে পারে কিন্তু আমি মূলত বস্তুবাদীদের কথাই বলেছি। এরাও নাস্তিক। ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না।
@আতিক রাঢ়ী,
দ্বান্দ্বিক হবে।
আপনার লেখা পড়ে তো রীতিমত হিংসা হচ্ছে রে ভাই।
এসব নারীকুলকে কেন যে বিবাহের আগে পাই নি! মারধোর খেতেও তাদের আপত্তি নেই, ইশশশশশ…
১০০০ বছর আগের নিম্ন বর্নের হিন্দুদেরও মনে হয় জাত প্রথার অসারতা চোখে আংগুল দিয়ে দেখালে এ ধরনের কথাবার্তাই শোনা যেত। বেদ গীতায় যা লেখা আছে তা নিশ্চয়ই তাদের ভালর জন্যই লেখা আছে। ব্রাক্ষ্মনদের সেবাদাস হয়ে জীবন কাটাতে হবে – এতেই নিশ্চয়ই পরম কল্যান।
@আদিল মাহমুদ,
‘নারীরা নারীর শত্রু’- কথাগুলো মাঝে মাঝে শোনা যায়। আর একথাগুলো মনে হয় উপরোক্ত নারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
মাইর দেয়ার খুব খায়েশ জাগছে মনে, তাই না….? ভাবীরে পইড়া শোনান্, কী জবাব দেয় দ্যাখেন।
@আদিল মাহমুদ,
সবার কপালে সব কিছু থাকে না। আল্লাহ পাক আপনার কপালে এসব রাখেন নি, তো আপনি কি করবেন। চিন্তা করিয়েন না , বেহেস্তে আপনার জন্য ৭০ টা তরতাজা যৌবনবতী হুর নিশ্চিত।
@ভবঘুরে,
সেই আশায়ও গুড়ে বালি। আমি না ঘর, না ঘটকা। কোথাওই ঠাই নাই। সহি আস্তিক ভাইয়েরা আমাকে নাস্তিক বলে গাল পাড়ে। কাজেই বেহেশতের হুরপরীর ভাগ ওনারা আর আমাকে দেবেন না 😥
এইদিকে ধর্মের ভয়ে দুনিয়াদারির মজাও কিছুই লুটলাম না, এখন দেখি জীবন্টাই বরবাদ।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি ভাই আজই তোবা পরে তাদের কাতারে শামিল হোন। তাওবা করার পর দাগী আসামী ও মাসুম শিশু হয়ে যায়। আর আপনিতো খেটে খাওয়া মানুষ মাত্র।
এ বিষয়টি নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। তবে ভবঘুরে ভাই বিষয়টি নিয়ে এত লিখেছেন যে সেটি আর পোস্ট করতে ইচ্ছা হয়নি।
@আনাস,
আরে আমি তো সেই তালেই আছি 🙂 । ভাল করে কদিন নাস্তিক মার্কা কথাবার্তা চালিয়ে যাব, তারপর হঠাত করে তওবা তাবি করে ভালমানুষ, চাই কি হজ্বও করে ফেলতে পারি।
তারপর আর পায় কে? সদ্যজাত শিশুর মতই নিষ্পাপ।
@আদিল মাহমুদ,
হঠাৎ করে যদি অক্কা পান, তখন কী করবেন? তওবার দরজা তো বন্ধ হয়ে যাবে। যা করার এখনই করে ফেলুন। হজ্জ তো দেরী আছে, তার আগেই একটা উমরা করে আসুন। আর তাওবা বা হজ্জ করলেই যে ভালো মানুষ হয়ে যাবেন এমনটি আশা কইরেন না।
কত হাজি দেখলাম, পাজির পা ঝাড়া। আমাদের দেশে হাজি রাজনীতিবিদগণদের দিকে তাকালে তা আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অবশ্য আলহাজ্ব হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদের মত হলে, এ জগতেই বেশ কিছু হুর পেয়ে যাবেন নি:সন্দেহে।
@মাহফুজ,
এই ভয় মাঝে মাঝে লাগে। কি আর করা। একটু রিষ্ক তো নিতেই হয়। হজ্ব করলেই ভালমানুষ হয়ে যেতে হবে এমন তো বলিনি 🙂 ।
হিসেবমত শেষ বয়সের দিকে হজ্ব করলাম, তাতে মৃত্যুর ক’বছর আগে পাপের খাতা ডিলিট হয়ে আবার শূন্য থেকে শুরু হবে। এই আশাতেই আছি।
@আদিল মাহমুদ,
এই আশাতেই দিন গুণতে থাকুন। আমি ততক্ষণে অভিজিৎ দাদার “জীবন মানে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’এর দ্বিতীয় পর্বটা আরেকবার দেখি।
থ্যঙ্কু।
@ ভবঘুরে,
সূরা আলাক ও জিব্রাইল ফিরিস্তার ইতিকথা- পোষ্ট করে কোথায় চলে গেলেন? আর খুঁজে পেলাম না।
এখন নতুন বিষয় ’ইসলাম ও মুসলীম নারীর মানসপট’ নিয়ে হাজির হলেন।
অনেক ধন্যবাদ। আশা করি ভালোই জমবে।
@মাহফুজ,
কয়দিন বেশী উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল তো, তাই একটু গা ঢাকা দিয়েছিলাম আর কি! 😉
@ভবঘুরে,
কিসের উত্তেজনা, একটু খোলাসা করে বলবেন কি?
@ভবঘুরে,
আপনার স্মরণে একটা পোষ্ট আছে। দেখুন- টাকা হারানোয় সান্ত্বনা।