বাংলাদেশের কথা ভাবলেই
চোখের সামনে একটা দুর্ভিক্ষ পীড়িত ধুসর মানচিত্র ভেসে ওঠে
যেখানে মনুষত্ব প্রতিনিয়ত ধর্ষিত হয়
মানবতা রুগ্ন থেকে রুগ্ন হয় প্রতিদিন
যেখানে দেখা যায় অসততার হিংস্র উল্লাস
দেখা যায় বুনো সুখপাখীর ব্যর্থ জীবন, বাধ্য পরবাস
আরও দেখা যায় মেকি জাতীয়তাবাদ এবং সাথে
দারিদ্রের চমৎকার বাস্তব অনুবাদ।
বাংলাদেশ মানে হল সর্বোচ্চ স্থবিরতা
যেখানে শোষকের মার্সিডিজ মটর শুধুমাত্র সচল
বাংলাদেশ মানে সাজানো স্বাধীনতা
আগুন ছাড়া চুলো, উদর ভর্তি অনল।
বাংলাদেশ মানে আশি এবং আরও পাঁচ ভাগ কৃষক
যাদের আমরা আদর করে বলি চাষা
বাংলাদেশ মানে পঁচাশি জন দরিদ্র
আর পনেরো ভাগ হতাশা।
বাংলাদেশ মানে অপবিত্র রাজনীতি, কুলষিত শিক্ষাঙ্গন
বাংলাদেশ মানে ধনীর হাসি আর দরিদ্রের ক্রন্দন
বাংলাদেশ মানে শৈল্পিক দুর্নীতি আর নেতার উত্তপ্ত ভাষন
বাংলাদেশ মানে গরীবের না খেয়ে থাকা আর ধনীর খাবার পঁচন।
আমি ঘৃনা করি সর্বোচ্চ মাত্রায় তাদেরকে, যারা
আমার বাংলাদেশকে রুগ্ন করেছিল এবং করছে
আমি তাদের মুখে ছিটিয়ে দিতে চাই একদলা নোংরা থুথু
যারা বাংলাদেশকে পরিনত করেছে জারজে
তীক্ষ্ণ নখরে খামচে ধরতে চাই ওদেরকে
যেমন করে বাজ খামচে ধরে শিকারকে।
উপস্থিত করতে চাই জনতার মঞ্চে, যেখানে
বিচারক হবে আসামী আর আসামী হবে বিচারক।
ঘাতকদের দ্বারা আক্রান্ত হবার পর হুমায়ুন আজাদ স্যার বিরোধী দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি খোলা চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে তিনি বাঙলাদের অবস্থা তুলে ধরেছিলেন।
কবি সাইফুল ইসলামও কাব্যিকভাবে সেটা তুলে এনেছেন তার লেখনী দ্বারা।
কবি তার নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করে কোন আশা জাগানিয়া কথা শোনাতে পারছেন না। তিনি অন্তর দিয়ে যা উপলব্ধি করেন তাই বলেছেন। এই হতাশার মাঝেও কিন্তু তিনি আলোর সন্ধান খুঁজছেন শিক্ষা, সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বিজ্ঞানমনষ্কতা-এর মধ্য দিয়ে।
অতএব হা হুতাশ করে লাভ নেই। উপরোক্ত বিষয়গুলো চর্চা করে যেতে হবে।
@মাহফুজ,
ধন্যবাদ মাহফুজ ভাই। ভালো থাকবেন।
আমার মনে হয়না কবিতাটিতে কবির হতাশা ব্যক্ত হয়েছে, বরং কবিতাটিতে বাংলাদেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে কবি তাঁর রাগ, ক্ষোভ ও দু:খের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন। দেশকে ভালোবাসেন বলেই হয়তো তাঁর এই ক্ষোভ। আমি মনে করি তরুনদের মধ্যে এই রাগ এবং ক্ষোভ না থাকলে তাঁরা প্রতিবাদী বা সংগ্রামী হবেন কি করে?
@ব্রাইট স্মাইল্,
কবিতার ভাষা বা বক্তব্যে কোন দ্বিমত নেই, এ একটি জাগরণের, প্রতিবাদের, বিদ্রোহী কণ্ঠের কবিতা। দ্বিমতটা তাঁর মন্তব্যে। সাহিত্যিক, কবি, বুদ্ধিজীবীরা একটি দেশের আগামী দিনের দিশারী, পথ প্রদর্শক। আমরা স্বদেশ নিয়ে আশাবাদী হতে পারি, কবিরা শুনাবেন আমাদেরকে আশার বাণী, এইতো তাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।
@আকাশ মালিক,
আমিতো জানি কবি সাহিত্যিকরা কবিতা সাহিত্য রচনা করেন নিজের মনের আনন্দে এবং অন্যকে আনন্দ দিতে। আমরা সবাই অন্যের কাছ থেকে আশার বানী শুনতে ভালোবাসি। কিন্তু সব কবি সাহিত্যিকরাই কি পারেন অন্যকে আশার বানী শুনাতে নাকি তাঁরা সবাই এই দায়িত্ব নিয়ে কবিতা ও সাহিত্য রচনা করে চলেন, বিষয়টা পরিস্কার না। আসলে সমাজের প্রতি কবি সাহিত্যিকদের দায়বদ্বতা কি এটা একটা বির্তকের বিষয় হতে পারে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ঠিক ঠিক :yes: :yes:
😀
ভালো লেগেছে।
@অরিয়ন,
ধন্যবাদ অরিয়নকে মন্তব্যের জন্য। আপনাকে নতুন মনে হচ্ছে। নিয়মিত হবেন আশা করি। 🙂
বেশ ভাল কবিতা লেখেন আপনি।
‘বাংলাদেশকে’ হবে বোধহয়। আর আমি ঋণাত্মক অর্থে জারজ শব্দ ব্যবহারের পক্ষপাতি নই। অনেক ধন্যবাদ।
@সৈকত চৌধুরী,
ধনাত্বক ঋণাত্মক বুঝি না আমাদের সমাজে যে অর্থে ব্যবহার হয় এখানে সেই অর্থেই ব্যবহার করেছি। 🙂
আমিও অবশ্য আপনার সাথে একমত।
ধন্যবাদ সৈকত ভাই।
stronসাইফুল ইসলাম,অসাধারণ লিখেছেন। ছিদ্রান্বেষীদের কথায় কান না দিয়ে আরো লিখে যান। তবে দেশ কে নিয়ে আমি আশাবাদী।মনে হয় আপনার এক নম্বর ক্যাটাগরিতে পড়ছি। বিজ্ঞান-ই পারে দেশের ভবিষ্যত গড়ে তুলতে। সমাজতন্ত্রের পথ কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। কোনটি সঠিক সমাজতন্ত্রের পথ? সমাজতন্ত্রের নানা ভার্সন আছে; এক তরীকার লোক অন্যদের ভ্রান্ত বলে মনে করে । আদর্শ সমাজতন্ত্র, আদর্শ ইসলাম আর কার্নোর ইঞ্জিনকে আমার একই জিনিস বলে মনে হয়। তাই আমার মনে হয় গণতান্ত্রিক stকল্যাণরাষ্ট্রই সবচেয়ে ভাল অপশন।
@পথিক,
ধন্যবাদ পথিক মন্তব্যের জন্য।
@পথিক,
আপনার সন্দেহ দূর করতে আমার কিছু টিপস দেখুন মিলাতে পারেন কী না?
গণতন্ত্রের বুঝি কোন তরিকা নাই! মার্কিনীরা ইরাকে বোমা মেরে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বা আফগানিস্তানে বা আমাদের দেশে যে শাসক শোষক নির্বাচনে ভোটাধিকার আছে তেমন সব কী একই ? তবে যে শুনি বুর্জোয়া গণতন্ত্র প্রলেতারিয় গণতন্ত্র সব একই তরিকা বুঝি? পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থার কারণে যে শ্রেনিভাগ/ দ্বন্ধ আছে সমাজে এটা মানেন?
বর্তমান ব্যবস্থার সুবিধাভোগী আর সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে যু্ক্তিকভাবেই দ্বন্ধ আছে, বিপরীতমুখি স্বর্থের কারণে দ্বন্ধ। এখানে যে গণতন্ত্র তা সুবিধা ভোগীর গণতন্ত্র মানে মুষ্টিমেয়র গণতন্ত্র যা বেশীর ভাগ/ সুবিধা বঞ্চিতদের গণতন্ত্র নয়।
বস্তুত মুনাফামুখি যে পুঁজিবাদী উৎপাদন ব্যবস্থা উদ্বৃত্ত শ্রম শোষণকে টিকিয়ে রাখার জন্যই বুর্জোয়ারা শ্রমজীবিদেরকে শাসনেরএই পদ্ধতিটিকে খুব আদর করেন, তার মহিমা প্রচার করেন। সেই প্রচারে আমরা বিভ্রান্ত হই, এই যা।
উৎপাদনমুখি সেই বুর্জোয়ারাও এখন বিপদে আছে। ক্ষমতা এখন ফটকাদের হাতে। তাদের এখন মুনাফায় পোষায় না তারা চায় কেড়ে নিতে, লুটপাট চালাতে যাকে বলা হয় সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থাএর জন্য উপযুক্ত শাসন পদ্ধতিটির নাম হল ফ্যাসিবাদ। বর্তমানে তথাকথিত মুক্ত বিশ্বে এই পদ্ধতিই চলছে ।
সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা থেকে যেমন পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় ফিরা যাবে না তেমনি ফ্যাসিবাদ থেকে ও গণতন্ত্রে ফিরা যাবে না। এখানে বাস্তব জীবন রিউইন্ড করার কোন রিমুট কন্ট্রল আমাদের হাতে নাই।
অসাধারন হইয়াছে। এই অধমও একদা চেষ্টীত হইয়াছিল নিজেরে কবিকূলে তুলিতে, উহারই কিছু ব্যার্থ প্রয়াস নীম্নে দেখিতে পারা যায়………
কবিতাটার নাম দিয়েছিলাম- পাপ প্রজন্ম।
আজি হতে বছর দশেক আগে।
একটি কবিতা মোর হলোনা কোথাও ছাপা,
পেলাম না ভাই প্রতিভার দামটা।
@আতিক রাঢ়ী,
আরে ভাই আপনি তো হেব্বি লেখেন। বন্ধ করলেন কেন? আজিব তো।
কবিতাতো আপনি কারো জন্য লিখবেন না। লিখবেন নিজের জন্য।সুতরাং চালিয়ে যান। 🙂
সাইফুল ইসলাম,
আপনার কবিতায় কবিত্বের চেয়ে বক্তৃব্য প্রচার বেশি থাকলেও মন্তব্য করতে আগ্রহী ছিলাম না। তবে আপনার মন্তব্য কবিসুলভ তো নয়ই বরং আকাশ মালিকের সাথে একমত হয়ে বলছি আপত্তিকর।
আমি পুঁজিবাদের সমর্থক নই, রাজনীতিবীদ নই, পাগল নই এবং বাংলাদেশে আছি বলে দেশের খবরেই বসবাস।
কিন্তু আমি আমার বাংলাদেশকে কিসিঞ্জারের মত bottomless Bangladesh ভাবতে চাই না, উপরন্তু বাস্তবে তা নয় বলে আমার পূর্ণ আস্থা।
নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রেখে মন্তব্যের জবাব দিলে খুশি হব।
@গীতা দাস,
আছা ম্যাডাম, কবিত্ব বলতে আপনি বোঝেনটা কী?
কবিত্ব মানে কি যুগের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে আবেগ রচনা করা?
নাকি নিজের মনের ভাব নির্বিকার ভাবে প্রকাশ করা হোক না তা বক্তব্যের প্রচার?
কবিত্ব কি লোকে যেনো আমায় কবি বলে সেই চেষ্টা?
নাকি মানবীয় বিবেকের দংশনে নিজের ভাবের পরাকাষ্ঠা? হোক সেটা কারো কাছে শ্রুতি কটুর অথবা দুর্গন্ধময় বিষ্ঠা?
আপনি নিজেই কবিত্বর সংজ্ঞাটা দিয়ে দিন না…
@গীতা দি,
আমার কথাটা বোধহয় বুঝতে পারেন নি। আমি কিন্তু বলিনি যে হতাশাগ্রস্থ হয়ে হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে।
বাংলাদেশের অবস্থা কি আপনার কাছে আসলেই ভালো বলে মনে হয়? বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা দেখে সুখী হওয়া সম্ভব বলে আপনি মনে করেন? যদি মনে হয় তাহলে কেন জানাবেন আশা করি। বাংলাদেশে বসবাস করি বলেই সবসময় বাংলাদেশের গুনকির্তন করার পক্ষপাতী আমি অন্তত নই। হতাশাজনক অবস্থা থাকলে তা স্বীকার করা উচিত। না করাটাই বোকামি।
আমি বড় কোন কবি নই। সুতরাং কবিত্বের মার্যাদা পাওয়ার আশাও করি না।
ধন্যবাদ।
অসাধারণ। আপনার কবিতার আগেও ভক্ত ছিলাম, আজ আরও বড় ভক্ত হলাম 🙂 । কিন্তু পড়ার পর বড্ড মন খারাপ হলো 🙁
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আরে মিয়া হেব্বি আলু মারলা তো। ভাল ভাল। এই ধরনের আলু অবশ্য আমি খুবোই ভালোবাসি। 😀 😀 :laugh:
বাংলাদেশের কবিরা হতাশ হয়ে যাচ্ছেন কেন যেখানে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী হচ্ছেন!
@প্রদীপ দেব,
আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে যদি কেউ আসলেই আশাবাদী হয় তাহলে কয়েকটি ব্যাপারের জন্য ঐ ঘটনা ঘটতে পারেঃ
১. ঐ ব্যক্তি চরিত্রগত দিক থেকেই আশাবাদী(সব দিক দিয়েই)।
২. সে পুঁজিবাদের সমর্থক।
৩. উনি একজন রাজনীতিবীদ।
৪. তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন কোন খবর রাখেন না। এবং
৫. উনি নিঃসন্দেহে একজন পাগল।
কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া সম্ভব নয়। আমরা যা করতে পারি তাহল একটা মহৎ উদ্দেশ্যকে লক্ষ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
আর যারা আশাবাদী তারা-
একমত তো হতে পারলামই না বরং বক্তব্যগুলো আপত্তিকর মনে হলো।
@আকাশ মালিক,
আপনার এই কথাগুলির সাথে একমত পোষণ করছি। সে সাথে আরও বলতে চাই-
আশা আছেই বলেই জীবন আছে। আশাহীন মানুষ মৃতের ন্যায়। আশা আছে বলেই এত সংগ্রাম। এত লেখালেখি।
@মাহফুজ,
লেখালেখি করে কিছুই হবে না, যাদের শোনার তারা চোখ বন্ধ করে নিজ কাজে মত্ত রয়েছে, তারা এদিকে ঘুনাক্ষরেও তাকাবে না, তাকালেও নাঁক সিটকিয়ে সরে যাবে, যদি পারেন সরাসরি তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে, তাদের অত্যাচার সহ্য করে, বুকে সাহস নিয়ে কিছু করেন, তাহলেই একমাত্র কিছু হওয়া সম্ভব। এভাবে ঘরে বসে আরামসে খালি লেখালেখি করে পৃথিবীর ইতিহাসে কেঊ সমাজ পরিবর্তন করতে পারে নি, পারে না।
@মুহাইমীন,
কথাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। আমাদের প্রিয় সাংবাদিক বিপ্লব রহমানের লেখালেখিতেই তো সুকুমার বড়ুয়া কোয়ার্টার পেয়ে গেলেন।
@আকাশ মালিক ভাই,
সমস্যা নাই, আপত্তিকর লাগাটা অসম্ভব কিছু নয়। আপনার লেখা বইটা বাংলাদেশের আপামর জনগনের কাছে আপত্তিকর লাগবে, সেজন্য কি আপনি আপনার বইটা নষ্ট করে ফেলবেন? 😀
@সাইফুল ইসলাম,
সাইফুল ভাইয়ের মতই আমি বাংলাদেশ সম্পর্কে খুবই হতাশ ছিলাম, তবে আমার জ্ঞান বলে যে মানুষ তার যেকোন অবস্থা থেকেই উন্নতির স্তরে বেরিয়ে আসতে পারে, তাই আমি মানুষের কল্যাণ কি করে হবে, কি করে মানুষগুলো মানুষে পরিনত হবে তা সবসময়ই চিন্তা করি এবং বান্তবিক পদক্ষেপ নেবার চেষ্টা করি। তবে সাইফুল ভাইয়ের সাথে সুর মিলিয়ে আমি অবশ্যই বলবঃ
বর্তমান পৃথি্বীতে মানুষের যে অধঃপতন তা দেখে যে ব্যক্তি মনে করে যে ‘ভালই চলছে’ তবে তাকে আমি বলবঃ
১। সে চরম ভাবে ভোগে মত্ত- ‘আমিত্ব’ ছাড়া তার প্রাণে আর কিছুই নেই, তাই নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে ভাবার সময় পায় না,
২।সে চরম ভাবে অন্ধ , বাস্তব জ্ঞান তার মাঝে অনুপস্থিত অথবা, তার মধ্যে ন্যায় অন্যায়- বিচারিক ক্ষমতা নেই,
৩।সে এক আস্তাকূঢ় এবং চরমভাবে মানষিক বিকারগ্রস্থ।
@মুহাইমীন,
আমিও এই কথাটাই বলতে চেয়েছি। হতাশা মানেই চুপ করে বসে থাকা নয়। আমার মন্তব্যের শেষের লাইনটাই কিন্তু সব সন্দেহের অবসান ঘটানোর জন্যে যথেষ্ট।
ধন্যবাদ মুহাইমিন মন্তব্যের জন্য। আপনাকে আর দেখা যাচ্ছে না ঘটনা কি? কিছু ছাড়ুন। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
হ্যা ভাই, হতাশা আছে বলেই মানুষ আশা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে; আঁধার ছাড়া আলো অর্থহীন, তেমনি হতাশা আমাদের নব উদ্যমে, নব উদ্যোগে আশাবাদী হতে চরমভাবে সাহায্য করে।
আর বর্তমানে চরম ব্যস্ত, মুক্ত মনায় নিয়মিত আশা হবে না, কাজ শেষ হলে বা ব্যস্ততা কমলে নিস্ক্রিয়তাকে ভেঙ্গে সক্রিয় হবার পদক্ষেপ নিব, কারণ, এই সাইটে আমার অনেক কিছু বলার আছে। :rose2:
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার কবিতা পড়ে দুঃখ পেলাম।
আপনার মত তরুনরা এত হতাশাগ্রস্থ হবে কেন?
এখন তো “যুদ্ধে যাবার “বা সংগ্রাম করার বয়স আপনাদের!
স্বপ্ন দেখার বয়স, স্বপ্নের জন্য যুদ্ধ করার বয়স!
রাজনীতিবিদরা শুধু শুধু আপনাদের সব দেবেনা।
তার জন্য আন্দোলন করতে হবে,সাধনা করতে হবে।
কোনভাবেই হাল ছেড়ে দেয়া যাবেনা।
আশা আছে বলেই মানুষের বাঁচার আকাঙ্খা ।
প্রবাসের বিলাসী জীবনের চেয়ে বাংলাদেশের শ্যামল কোলই পরম শান্তির!
এজন্য সুযোগ যাদের আছে তারা দেশে ফিরে যায়।
ধন,সম্পদই চরমসুখ নয়,এটা বাংলাদেশের তথাকথিত এলিটরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই আমাদের মঙ্গল! রাজনীতিবিদরা কি তা চায়!
এজন্যই আপনাদের পাটের জেনোম আবিষ্কারের মত লেগে থাকতে হবে।
আমিও কবিতা লিখেছি।তখনও বাংলাদেশের সুসময় ছিলনা!
ভাল থাকুন!
@লাইজু নাহার,
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
সাইফুল,
দিনে দিনে ধারালো হচ্ছে তোমার লেখনী, আরো তীক্ষ্ণ করতে হবে।
প্রতুল মুখোপধ্যায়ের স্লোগান গানটি শুনেছ তুমি। না শোনে থাকলে শুনে নিও। আমি নিশ্চিত ভালো লাগবে তোমার।
@সাইফুল,
এই অবস্থা থেকে মু্ক্তির উপায় কী? এই বাস্তব চিত্র কবে অবাস্তব হয়ে দেখা দেবে?
@ সাইফুল,
পড়ুন নিচের কবিতাটি-
স্বাধীনতা, হে স্বাধীনতা-
এ সেই স্বাধীনতা,
যে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে
স্বাধীন বাংলাদেশ
যার বর্তমান রূপ-
একদল সসস্ত্র সন্ত্রাসী যুবকের
ঝলসানি অস্ত্রের আগুনের ফুলকি,
অসহায় রমনীর ছিন্ন বস্ত্রে আবৃত লাশ;
খবরের কাগজে মিথ্যা অভিযোগ,
গুড়িয়ে দেয়া হাসপাতাল
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস।
একি সেই স্বাধীনতা?
যে স্বাধীনতা
ভায়ের বুকের তাজার রক্ত,
সন্তানহারা মায়ের অশ্রু
বিদ্রোহী কবির রক্ত কলমের
অমর কবিতা?
সংগ্রামী সৈনিকের বিদ্রোহ জাগানো বাণী?
তবে এ কোন্ স্বাধীনতা?
@মাহফুজ,
কার লেখা কবিতা এটা?
@সাইফুল ইসলাম,
কবি নিজের পরিচয় দিতে চান না। তাই কিভাবে তার পরিচয় দেব বলেন? তবে এতটুকু বলতে পারি এক সময় তিনি কবিতা লিখতেন। বর্তমানে ঔষধের ব্যবসায় নিয়োজিত। ডাক নাম তুহিন। তার বড় ভাইয়ের নাম সাইফুল ইসলাম। এই সাইফুল ইসলাম একজন ডাক্তার।
@মাহফুজ,
শিক্ষা, সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বিজ্ঞানমনষ্কতা।
@আব্দুল হক ভাই,
ভালো আছেন তো? ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@আব্দুল হক,
এই নিন-