২০০৯ ও ২০১০এ দুটি সূর্যগ্রহণ উপলক্ষে আমি অনুসন্ধিৎসু চক্র বিজ্ঞান সংগঠনের সাথে
পঞ্চগড় ও কক্সবাজার ভ্রমণ করি।
২২ শে জুলাই, ২০০৯। এশিয়া মহাদেশের একটা বিরাট অংশ – ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও চীনের ওপর দিয়ে চাঁদের ছায়া ভ্রমণ করল । বাংলাদেশের আকাশ থেকে ২১১৪ সালের আগে আর কোন পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে না, তাই অপেক্ষা করতে হবে আরো একশো পাঁচটি বছর। আর এর পরেরটি হবে ২৪৩৫ সালে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ এত বিরল বলেই তা নিয়ে এত হই চই।
এই গ্রহণ শুধুমাত্র বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম কোণা থেকে দেখা সম্ভব ছিল, এই অঞ্চলের শহরগুলোর মধ্য পড়েছিল পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও রংপুর। পূর্ণ গ্রহণটি শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের সময়ে সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটে। পূর্ণ গ্রাস সূর্য দেখতে হলে আমাদের চাঁদের ছায়ার মধ্য পুরোপুরি থাকতে হয়। এই ছায়াটা আবার পৃথিবীর বুকে পশ্চিম থেকে পূবে এমন একটা সরু পথে ভ্রমণ করে যার প্রস্থ মাত্র কয়েক শো কিলোমিটার, যার জন্যে পৃথিবীর খুব কম মানুষই কোন নির্দিষ্ট কোন গ্রহণ দেখতে পারে। তাছাড়া বেশীরভাগ সময়ই গ্রহণের পথটি পড়ে সমুদ্রের ওপর যেখানে মানুষের বসবাস নেই বললেই চলে। অন্যদিকে চাঁদের ছায়া পৃথিবীর বুকে ঘন্টায় ১৫০০ কিলোমিটারের বেশী বেগে ভ্রমণ করে যার ফলে পূর্ণগ্রহণের সময়কালটাও সাধারণতঃ সীমিত হয়।
২০০৯ এর ২২শে জুলাইএর সূর্যগ্রহণটি সারোস ১৩৭ নম্বর চক্রের অন্তর্ভূক্ত। সাধারণতঃ ১৩৭ চক্রের পূর্ণগ্রাসের সময়কাল বেশী হয়। একদিকে ২২শে জুলাইএর পূর্ণগ্রাসের সময় যেমন বেশী ছিল (ভারতের পশ্চিমে ২ মিনিট, তারপরে ক্রমান্বয়ে বেড়ে প্রশান্ত মহাসাগরে সাড়ে ছয় মিনিট), তেমনই এই গ্রহণটি পৃথিবীর এমন সব ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার ওপর দিয়ে গেছে যার জন্য এই গ্রহণটি এশীয় ভূখন্ডের কোটি কোটি মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ২০০৯ এর গ্রহণকে সেই জন্য অনেক গ্রহণ-উৎসাহী দৈত্য বলে অভিহিত করেছেন।
পঞ্চগড় ভ্রমণ
২০০৯ এর ২২শে জুলাইএর পূর্ণগ্রাস দৈত্যকে দেখতে আমি অনুসন্ধিৎসু চক্রের এক বিরাট টিমের সাথে পঞ্চগড় ভ্রমণ করি। এই টিমটি পঞ্চগড় কর্তৃপক্ষকে পঞ্চগড় স্টেডিয়ামে একটি পর্যবেক্ষণ ক্যাম্পের আয়োজনে সাহায্য করছিল। পঞ্চগড়ে এর এক সপ্তাহ আগে গিয়েই আমরা জেলা প্রশাসকদের সাথে স্টেডিয়ামে লোকজনের আয়োজন ও তাদের মধ্য সৌর চশমা বিতরণের ব্যাপারে কথা বলে আসি। শাহজাহান মৃধা বেনু, ইফতিকার আইয়ুব পাপ্পু ও প্রফেসর এ আর খানের নিরলস পরিশ্রমই মূলতঃ এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করে। বেনু ভাই ঢাকা প্রোগ্রামের জন্য থেকে গেলেন, আর প্রফেসর খান গেলেন ঠাকুরগাঁও। ইফতিকার আয়ুইব আসলেন পঞ্চগড়। গ্রহণের আগের দিন আমরা বুঝতে পারলাম গ্রহণের সময় হাজার হাজার লোক জমায়েত হবে এবং এত লোকের জন্য চশমা আমরা বানাই নি।
এইবার সূর্যগ্রহণ অভিযানে আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল সর্বসাধারণকে বোঝান যে ছবির বা এক্স-রে ফিল্ম অথবা সিডি ব্যবহার করে সূর্য দেখা বিপজ্জনক। আমরা যথেষ্ট সময় ব্যয় করেছি যাতে সঠিক ফিল্টারের খবরটি আমরা সবার কাছে পৌঁছাতে পারি। এর জন্য কিছু সৌর চশমা আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তাছাড়াও আমরা ঢাকায় প্রায় ৮,০০০ ফিল্টার বানিয়েছিলাম ১২ গ্রেডের ওয়েল্ডিং কাঁচ দিয়ে। এই ফিল্টারগুলি আমরা পঞ্চগড় ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে, ঠাকুরগাঁও ও অন্যান্য শহরে পাঠাই। আমরা এইসব ফিল্টার দিয়ে ১০ সেকেন্ডের বেশী সূর্যকে একনাগাড়ে দেখতে নিষধ করেছিলাম। তদুপরি আমরা পরোক্ষভাবে সূর্যকে দেখার সুপারিশ করেছিলাম। গ্রহণের পরে আমি ভারত ও চিনের অনেক ছবি দেখেছি যেখানে এমন কি শিশুরা সাধারণ ফিল্ম ব্যবহার করছে সৌরীয় ফিল্টার হিসাবে। বলাই বাহুল্য যে এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্ষার সময় আমাদের মাত্র ২০% সম্ভাবনা ছিল মেঘমুক্ত আকাশে সূর্যগ্রহণ দেখার। আমরা যখন বুঝতে পারলাম সকাল বেলা স্টেডিয়ামে ২০ হাজার এর ওপর লোক জমায়েত হবে এবং তারা হয় মেঘের জন্য অথবা চশমার অভাবে গ্রহণ দেখতে পারবে না, তখন আমাদের একটা বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তা করতে হল।
রাত দুটো পর্যন্ত জেগে আমরা কম্প্যুটার সিমুলেশনের মধ্যমে কি করে সমবেত জনগণকে গ্রহণটা দেখান যায় তার ব্যবস্থা করলাম। রাতে যে দু-এক ঘন্টা সময় আমরা পেয়েছিলাম তাতে গ্রহণ দেখা যাবে কি যাবে না এবং এতো লোককে কেমন করে সামাল দেয়া যাবে তার চিন্তায় ঘুম হল না। ভোর চারটায় উঠে দেখি মেঘের কম্বলে আকাশ পুরোপুরি ঢাকা, তার ওপর আবার বৃষ্টি পড়ছে। এতদিনের প্রস্তুতি এবং আশা বৃথা যাবে ভেবে খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়ি।
আমাদের কাছে দুটো বিশেষ দূরবিন ছিল। একটি খুবই উন্নত মানের হাইড্রোজেন-আলফা ফিল্টার সম্ববলিত করোনাডো ৪০ মিলিমিটার সোলার টেলিস্কোপ আর অন্যটি হল একটি মিড স্মিড-কেসিগ্র্যান ৮ ইঞ্চি প্রতিফলক। প্রতিফলকটির সামনে একটি বাডের নিউট্রাল সোলার ফিল্টার ছিল এবং আই-পিসে একটি সিসিডি ক্যামেরা লাগানো ছিল যা দিয়ে আমরা গ্রহণের চিত্রটি সরাসরি একটি বড় স্ক্রিনে দেখাতে পারতাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পূর্ণগ্রাসের প্রতিটি পর্যায়ের চিত্র গ্রহণ করা, করোনার গঠন, বেইলির মুক্তা ও হীরক অংটির চিত্র গ্রহণ করা।
সকাল ৭টার একটু আগে গ্রহণ যখন শুরু হল তখন সূর্য মেঘের পিছনে ঢাকা। কিন্তু মেঘের জন্য আমরা সূর্যকে ট্র্যাক করতে পারলাম না, সেই জন্য সূর্যকে সরাসরি টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখান গেল না। Skygazer নামের কম্পিউটার সিমুলেশনটি তখন খুব কাজে লাগে।এই সিমুলেশনটি রাহুগ্রস্ত সূর্যের ক্রমান্বয় পরিবর্তনটি গণনা করে এবং যার ফলাফল আমরা একটা বড় পর্দার মাধ্যমে উপস্থিত প্রায় ১৫ থে ২০ হাজার দর্শকের সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হই। তাই গ্রহণের প্রথম দিকে সূর্য মেঘের পিছনে ঢাকা পড়লেও সমবেতরা গ্রহণের পর্যায়ক্রমটা দেখতে পান। আমাদের ভাগ্য খুবই ভাল বলতে হবে, সূর্যের চাকতিতে চাঁদের প্রথম স্পর্ষের আধ ঘন্টা পরে প্রকৃতি আমাদের সাথে সহযোগিতা করল, মেঘ হাল্কা হয়ে গেল, সেটা কাজ করল ফিল্টারের মত, তার পিছনে উঁকি দিল রাহুগ্রস্থ সূর্য। সমবেত জনতা বিপুল হর্ষধবনিতে সূর্যের এই আবির্ভাবকে অভ্যর্থনা জানাল। সংবাদপত্র ও টেলিভিশন সহ বাংলাদেশের প্রতিটি সংবাদ মাধ্যম এবং বিবিসি বাংলা সেই ঘটনা সম্প্রাচর করতে উপস্থিত ছিল।
আমাদের মাথার ওপর জ্বলে উঠল শুক্রগ্রহ, লুব্ধক নক্ষত্র দেখা গেল পূবের আকাশে। শুক্রগ্রহকে মাথার ওপর দেখবার অভিজ্ঞতা হয়ত আর হবে না। আরো এক মিনিট হয়ত পার হল, তারপর মেঘ সরে গেল, দেখা দিল পূর্ণগ্রাসের সূর্য। মনে হল কোন এক অশরীরী অস্তিত্ব ভেসে আছে আকাশে, শুধুমাত্র হাল্কা করোনার আভায় অস্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে তার গোলাকৃতি অবয়ব। উপস্থিত হাজার জনের সঙ্গে আমি খুবই অভিভূত ছিলাম সেই মুহূর্তে। তারপর অমাবস্যার চাঁদের কোণায় একটা উজ্জ্বল হীরার আবির্ভাব হল এবং মুহূর্তের মধ্যেই আকাশ আলো হয়ে গেল। তখন আমি বুঝলাম একটা পূর্ণ ও আংশিক গ্রাসের সূর্যের মধ্যে কি পার্থক্য। আংশিক গ্রাসের সূর্য আকাশে বিরাজ করে উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা স্বরূপ, পূর্ণগ্রাস পৃথিবীকে নিমজ্জিত করে সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
নাইমুল ইসলাম, আমরা যাকে অপু বলে ডাকি, একটি অনন্য ইকুইটোরিয়াল মাউন্ট নির্মান করেছিলেন যার ওপর পাঁচটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল যাতে ঐ পাঁচটি ক্যামেরাই সূর্যকে খুব সহজে ট্র্যাক করতে পারে। মেঘ অপুকে সূর্যকে যথাযথ ভাবে ট্র্যাক করতে বাধা দিয়েছিল, তবুও তার ৩০০ মিলিমিটার টোকিনা লেন্স দিয়ে সে সূর্যের ৯০০টি ফ্রেম তুলতে সমক্ষ হয়। তার ছবির একটি কম্পোজিট এই লেখার সাথে দেয়া হল। এই ছবিটি ব্রিটিশ আস্ট্রোনমিকাল এসোসিয়েশানের ওয়েবসাইটে “পিকচার অফ থি উইক” হয়েছে।
আমাদের সঙ্গে ছিলেন একজন ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ্যা-উৎসাহী, রয়াল ব্রিটিশ আস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির ফেলো, কলিন হেনসো। তিনি একটি ৮০ মিলিমিটারের প্রতিসরক ও তার সঙ্গে যুক্ত একটি ক্যানন ৩০ডি ক্যামেরা দিয়ে চাঁদের ছবি তুলতে চেয়েছিলেন। পৃথিবীর বুক থেকে যেটুকু সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়ে তাকে উজ্জ্বল করে তাকে ইংরেজীতে Earthshine বলে। এই লেখা পর্যন্ত আমি জানি কলিন সেই কুহেলিকার মত আর্থশাইনকে সফটওয়্যারে ঘষা-মাজা করা ফোটানোর চেষ্টা করছে।
আমার কিছু ব্যক্তিগত দুঃখ থেকে গেলে এই গ্রহণকে নিয়ে। আমি সূর্যের একটা ভাল ছবি নিতে চেয়েছিলাম করোনাডো সৌর টেলিস্কোপটি দিয়ে। কিন্তু অনেক লোকই ঐ টেলিস্কোপ দিয়ে সূর্যের লাল রূপটি দেখতে চেয়েছিলেন যার ফলে আমি আর কোন ভাল ছবি তুলতে পারলাম না। কিন্তু শেষাবধি অনেকেই সূর্যকে সেই টেলিস্কোপ মাধ্যমে কাছ থেকে দেখেছেন, সেটাই বড়। তাছাড়া অনুসন্ধিৎসু চক্রের অন্যান্য সদস্যরা গ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়ের খুবই ভাল চিত্র ধারণ করেছেন। আর স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার জনতার সাথে আমি একটা মহাজাগতিক নাটকের সাক্ষী হয়ে রইলাম। সেটাই একটা বড় পাওয়া। তাছাড়া মনে হয় সূর্যগ্রহণের জন্য এতবড় সমাবেশ পৃথিবীতে হয় নি।
যাক আপনার বদৌলতে কিছুটা হলেও সেই আবিস্মরণীয় মুহূর্তের স্বাক্ষী হয়ে গেলাম। বাপরে সূর্যগ্রহনকে ঘিরে এত আয়োজন হয় আগে জানতাম না। ছবিগুলো এবং সাথে আপনার প্রণবন্ত বর্ণনা ফাঁটাফাঁটি লেগেছে।
এইলাইটার জন্যে নিজেকে গর্বিত মনেকরছি। 😎
@নিদ্রালু,
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয় এই রকম অনুষ্ঠান করা সত্যিই সার্থক। ধন্যবাদ। আর আপনার নামটা কিন্তু চমৎকার হয়েছে।
@ দীপেন ভট্টাচার্য, অনেক ধন্যবাদ এমন চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে পোষ্ট দেওয়ার জন্য। ছবিগুলো খুবই চমৎকার এসেছে। ডিস্কাশন প্রজেক্টের আসিফের কাছে শুনেছিলাম এই পূর্ণগ্রাসের কথা, এখন ছবিগুলো দেখে এর মর্মটা কিছুটা হলেও মনে হয় বুঝতে পারলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আরও লিখবেন এই রকমের বিষয়গুলো নিয়ে।
@বন্যা আহমেদ,
সহৃদয় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ২০১০এর জানুয়ারিতে কক্সবাজারে বলয় গ্রাসের কিছু ছবি খুব শীঘ্রই পোস্ট করার ইচ্ছা রাখি। আশা করি সেটাও আপনার ভাল লাগবে।
দীপেন ভট্টাচার্য ,
করোনাডো সৌর টেলিস্কোপে রাহুগ্রস্থ সূর্যের ছবিটা দেখে বিশ্বাস করা কঠিন যে এটা আসলে ক্যামেরায় তোলা ছবি, এক কথায় অপূর্ব। আপনি হোরাসের লেখাটায়ও বেশ কিছু ভালো মন্তব্য করেছিলেন মনে হয়। এই ধরণের বিষয়গুলো নিয়ে আরও লিখুন, আমরা তাহলে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলায় পড়তে পারবো। আবারো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোষ্টটার জন্য।
@রাহাত খান,
এমন উৎসাহ-ব্যঞ্জক কথায় অনুপ্রাণিত হলাম। অনুসন্ধিৎসু চক্রের ছেলেমেয়েরা খুবই dedicated। বাংলাদেশে থেকেও এই ধরণের আয়োজন ও ছবি তোলা সম্ভব। সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ শৌখিন জ্যোতির্বিদ্যার মধ্যে পড়লেও এই কাজগুলির মধ্যে অনেক মৌলিকতা আছে।
পঞ্চগড়ে আপনাদের কর্মকান্ডের বিবরণ পত্রিকায় পড়েছিলাম। এই টিমের যে আপনি দলনেতা ছিলান সেটা অবশ্য জানা ছিল না।
লেখা চমৎকার হয়েছে। ছবির লিংকগুলো শুধু একটু কার্যকর করে দিন।
@ দীপেন ভট্টাচার্য,
অভূতপুর্ণ ছবি। কল্পনা করা যায়? এমন একটা পরিবেশ,আপনার এই অমূল্য রচনাটা মনে থাকবে,স্মৃতিপটে। এমন একটা প্রতিবেদনের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
@আফরোজা আলম,
আপনার কথাগুলোতে মনে হচ্ছে এই প্রচেষ্টা সার্থক হয়েছে। সূর্যগ্রহণের মত কিছু ভাল অজুহাত না পেলে “জনগণের জন্য বিজ্ঞান” সৃষ্টি করা মুশকিল। ছ’মাস পরের বলয় গ্রাসের কিছু ছবি পরে দেবার চেষ্টা করব
@ফরিদ আহমেদ,
দলনেতা বলা যাবে না। ঢাকা ও ঠাকুরগাঁয়ে প্রোগ্রাম হবার সুবাদে পঞ্চগড়ে আমি বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলাম।
আপনার ছবির লিংকগুলির অধিকাংশই কাজ করছে না।
@রৌরব,
ধন্যবাদ। আশা করি এবার দেখা যাবে। নতুন এডিটরের কয়েকটা ব্যাপার অভিজিত রায়ের কাছে বুঝে নিতে হবে।
@দীপেন ভট্টাচার্য,
দারুণ!