প্রখ্যাত মনীষী ও দার্শনিক জর্জ বার্নাড শ’ মুহাম্মাদ (সঃ) প্রসঙ্গে তাই যথার্থই বলেছেন- “If a man like Mohamed were to assume the dictatorship of the modern world, he would succeed in solving its problems that would bring it the much needed peace and happiness”।
সমগ্র মুসলমান জাতির বার্নাড শ এর এই কোট টি খু্ব পছন্দ।
কিন্ত আমি তাদের সবার কাছ থেকেই রেফারেন্স চেয়ে পাই নি, বার্নাড শয়ের কোন রচনা খন্ডে এটি আছে!
কারন সত্যিই স্যার শর মতন বুদ্ধিমান এবং নাস্তিক লোক এমন লিখতে পারেন বিশ্বাস হয় নি।
ফলে দেখতে থাকলাম, ইসলাম তথা সব ধর্মইত আসলে কিছু মিথ্যে গল্পের ওপর দাঁড়িয়ে-ত দেখতেই হয়, এই গল্পটা কে বাজারে ছাড়ল। কিভাবে ছাড়ল। কারন বার্নাড শর কোন প্রকাশিত লেখার মধ্যে এটি পাওয়া যাবে না।
ফলে ইন্টারনেট খুঁজে দেখা যায়
The Islamic Review, Vol. 24 (1936) edited by Khwaja Kamal-ud-Din, p. 263
বলে একটি পত্রিকায়, স্যার শ এমন বলেছেন বলে দাবী আছে। কিন্ত সেই পত্রিকাটিতেও স্যার শ কাউকে ইন্টারভিউতে এমন বলেছিলেন বলে লেখা আছে।কোথায় বলিয়াছেন, কাহাকে বলিয়াছেন কোন প্রমান নেই। শ এর নিজের প্রকাশিত লেখাতেও এটি কোথাও পাবেন না।
কিন্ত শ কি বলেছেন, তা ওই জার্নালে বলেঃ
I have always held the religion of Muhammad in high estimation because of its wonderful vitality. It is the only religion which appears to me to possess that assimilating capability to the changing phase of existence which can make itself appeal to every age. [1] The world must doubtless attach high value to the predictions of great men like me. I have prophesied about the faith of Muhammad that it would be acceptable to the Europe of tomorrow as it is beginning to be acceptable to the Europe of today. The medieval ecclesiastics, either through ignorance or bigotry, painted Muhammadanism in the darkest colours. They were in fact trained both to hate the man Muhammad and his religion. To them Muhammad was Anti-Christ. I have studied him — the wonderful man, and in my opinion far from being an Anti-Christ he must be called the Saviour of Humanity. I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving its problems in a way that would bring it the much-needed peace and happiness. But to proceed, it was in the 19th century that honest thinkers like Carlyle, Goethe and Gibbon perceived intrinsic worth in the religion of Muhammad, and thus there was some change for the better in the European attitude towards Islam. [2] But the Europe of the present century is far advanced. It is beginning to be enamoured of the creed of Muhammad.
সমস্যা হচ্ছে রেফারেন্সে দেখা যাবে, কোনটিই শ এর প্রকাশিত গ্রন্থাবলী নয়। ক্রস রেফারেন্স।
যাইহোক, যেহেতু শ এর অরিজিনাল কোন পাবলিকেশনে এটি নেই-পুরোটাই দাবী করা শ এমন বলেছিলেন, শ এর এই অমৃতবানী, সেটাকে ফ্রাব্রিকেশন বলেই আমার মনে হয়।
এ বিষয় নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এত মাতামাতির কারণ বুঝলাম না !
এখানে এটা লেখার জন্য দুঃখিত, কিন্তু অন্যকোন উপায় দেখছিনা।
শ্রদ্ধেয় মডারেটরবৃন্দ, আমার password হারিয়েছি। password ফেরত পাওয়ার লিংকটি ব্যবহার করে লাভ হচ্ছেনা। সাহায্য করলে কৃতার্থ হব।
এ আর নতুন কী, পুরো মডারেট মুসলিম বিশ্ব এখন চলে মরিস বুকাইল থীওরির উপরে 🙂
ক্যাডেট কলেজ ব্লগে কয়েকদিন আগেই ধুন্ধুমার হয়ে গেলো এই উদ্ধৃতি নিয়ে। কতিপয় ধার্মিক নিজেদের স্ট্যান্ডকে জাস্টিফাই করার জন্য হাতের কাছে কমফোর্টিং যা পায় বিনাবিবেচনায় সেটাই বিশ্বাস করে। সিসিবির লিংকটা এইখানে [এক বাক্যে এতোগুলো ইংরেজি শব্দ এসে গেলো, অনিচ্ছাকৃতভাবে]
@রায়হান আবীর,
আপনার দেয়া লিংকের জনৈক সাব্বিরের আচরণ খুবই হতাশার।
@রায়হান আবীর,
তবে অন্যান্য অনেকের বিজ্ঞানবোধের যে সরব উপস্থিতি ক্যাডেটকলেজ ব্লগে, তার প্রশংসা না করাটা অন্যায় হবে।
মুসলমানরা এমনই এক জাতি যারা কখনও ইসলাম ব্যাতিত অন্য কোন ধর্মের স্বীকৃতি দেয়না, অন্য ধর্মের লোকদের কাফের, মুরতাদ ঘোষনা করে, অথচ নিজ ধর্ম ইসলামের ভ্যালিডিটির জন্য নির্লজ্জ বেহায়া ভাবে অন্য ধর্মে যে ইসলামের কথা বলে দেয়া আছে, তা ছলচাতুরী করে প্রমানের চেষ্টা চালায়; এমনকি ঐ কাফের মুরতাদদের দিকে বুভুক্ষের মত তাকিয়ে থাকে একটা সার্টিফিকেটের জন্য। তারা বিজ্ঞানের সমালোচনা করতে ওস্তাদ, অশিক্ষিতের মত সব সময় বলতে থাকে বিজ্ঞান তো আজ যা বলে কাল তা আবার অস্বীকার করে- অথচ যখনই কোন নতুন আবিস্কার হয় তখনই তারা ঝাপিয়ে পড়েন ওই নতুন আবিষ্কারটি কোরানে যেকোন উপায়, যত ছলচাতুরীর আশ্রয়ই নেয়া লাগুক না কেন, খুজে বের করার জন্য। এমনই বেহায়া জাতি এরা, যাদেরকে এরা স্বীকারই করেনা তাদেরই কাছে তীর্থের কাকের মত ধর্না দেয় একটা সার্টিফিকেটের জন্য। তা যদি সৎ উপায়ে পাওয়া যায় তো ভালই, না পাওয়া গেলেও কোন সমস্যা নাই; দুইনাম্বারী, ছলচাতুরী এগুলো জানা আছেনা তাদের!!! এসব দুইনাম্বারীতে কোন সমস্যা নাই। যেখানে কাফের খুনের পুরস্কারই হল নিশ্চিত বেহেস্ত সেখানে ইসলামের জন্য এইসব টুকটাক পাপ কাজ তো কোন ছাড়!!!
@মিঠুন,
ব্যাপারটা যদিও দুঃখজনক কিন্তু আপনার বক্তব্যের সাথে একমত না হয়েও কোন উপায় দেখছিনা।
দুঃখজনক এজন্য বলছি যে পুরো একটা জাতি বা সম্প্রদায়কে ঢালাও ভাবে নির্লজ্জ বলাতে আমার বরাবরই আপত্তি কিন্তু আমাদের সময়ের মুসলমানদের মধ্যে আপনার বলা বৈশিষ্টের উপস্থিতী এত প্রবলভাবে বিদ্যমান যে একে অস্বীকার করাটা হবে আরেকটা নির্লজ্জ মিথ্যাচার।
@আতিক রাঢ়ী,
🙂 , হাসি দিতে কষ্ট হল তবে না হেসে পারলাম না কারন অভিযোগটি এতই সত্য।
@আতিক রাঢ়ী,
আমি জানি আতিক ভাই, আমার এভাবে ঢালাও ভাবে পুরো মুসলমান জাতির উপর অভিয়োগ করাটা অযৌক্তিক। আমার নিজেরই কিছু বন্ধু আছে(হাতে গোনা ২/১ জন যারা) যারা এ ধরনের নির্লজ্জতা প্রদর্শনের চরম বিরোধী। কিন্তু মোটের উপর এদের সংখ্যা এতই নগন্য যে গনিতের ভাষায় এদেরকে আমি শূন্য ধরতে পারি। আবার অনেকে আছে, উপর থেকে যাদেরকে দেখলে আপনি তাদের মনোভাব বুঝতে পারবেন না। তারা হয়ত মুখে সরাসরি কিছু বলবেনা কিন্তু ভিতরে ভিতরে কি ভাবছে তা তাদের সাথে একটু ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশলেই বলতে পারবেন। এদের সংখ্যা ভালই। আর অধিকাংশই হচ্ছে আমার উপরে বর্নিত টাইপের। দু দিন আগে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম-
“ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের জন্য fb বন্ধ!!! আমার প্রশ্ন: ধর্মীয় অনুভুতি কেন এত সহজে আক্রান্ত হয়? যে অনুভূতি এত দূর্বল, এত ভংগুর সেই অনুভুতির মূল্য কি? ভঙ্গুর, বস্তাপচা অনুভূতি বহনের দায়ভার fb কে বয়ে বেড়াতে হবে কেন?”
আমার দুই দুইজন ফ্রেন্ড মন্তব্য করল- রাসকেল নাস্তিক বলে। আমি তাদেরকে বললাম মানুষকে আস্তিক নাস্তিক নয়, মানুষ হিসেবে দেখতে শেখ।
এদের দুরবস্থারও এতই বেহাল অবস্থা যে এভাবে হালকা পাতলা আক্রমন পুরো জাতির উপর ঢালাওভাবে না করলে এদের হুশ ফেরানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। এটা আমার সম্পূর্নই ব্যাক্তিগত মনোভাব। অন্যদের অন্যমতও থাকতে পারে।
তারপরও যে দুই একজন ব্যাতিক্রম, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আমি ঢালাও ভাবে সকল মুসলমান সম্পর্কে আমার মন্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করছি। আর সাথে সকল মুসলমানদের আমি এই বলছি- আমি আমার উপরের মন্তব্য তোমাদের প্রতি কোন ঘৃনার বশে করিনি, বরং করেছি ভালবাসার বশে, দায়িত্ববোধ থেকে, তোমাদেরকে জাগ্রত করার নিমিত্তে।
@মিঠুন,
আপনার দায়িত্ত্ববোধ অনুকরনীয়। শুভেচ্ছা রইলো।
আবিদ ভাই যেহেতু উনার লেখায় বার্নাড শ কে কোট করেছেন, তাই উনার কাছেই জানতে চাইব এর রেফারেন্স।
এরকম অসংখ্য আষােঢ় গল্প প্রচলিত আছে, অধিকাংশই হাস্যকর। অবান্তর কোটেশন-বাজিটা বোধহয় মানুষের মজ্জাগত।
বার্নাড শ সত্যি সত্যি বলে থাকলেও আমার কিছু যায় আসে না। বার্নাড শ যত বড় পন্ডিত ব্যক্তিই হউন না কেন, তিনি তো আল্লার উপরে নন। আল্লার কিতাব আমার কাছে দুর্বোদ্ধও নয়।
তাছাড়া, ভেবে দেখতে হবে, তিনি কোন প্রেক্ষিতে বলেছেন। তিনি পন্ডিত। কিন্তু ইসলামে কতটা পন্ডিত। একজন ইতিহাসে পন্ডিত, তার মানে এই নয় তিনি পদার্থ বিদ্যায়ও সমধিক পন্ডিত। তার পরের প্রশ্ন, তিনি কোরান পড়ে মন্তব্য করেছেন নাকি প্রপাগান্ডায় মুগ্ধ হয়ে করেছেন। রবি ঠাকুরও রাশিয়ার প্রপাগান্ডায় প্যাঁচে পড়ে রাশিয়াকে বলেছিলেন, “বিশ্বমানবের মহাতীর্থ।” এখন বেঁচে থাকলে একটা Mild heart attack হত।
@নৃপেন্দ্র সরকার, উনি আদৌ বলেছেন-সেটার প্রমাণ কোথায়? সেই ত এক কেরালা না শ্রীলংকার কোন মুসলিম ভদ্রলোকের ১৯৩৮ সালে পেপার এরা রেফার করে, যেখানে ক্রস রেফারেন্সে স্যার শ এর সাথে ব্যাক্তিগত কথোপকপনের রেফারেন্স আছে। এর সত্যতা কি? স্যার শ এর লেখার মধ্যে ত এটা নেই। সুতরাং বিশ্বাস করব কেন?
হুম… অনেক জায়গাতেই এই জিনিসটা পাওয়া যায়… বিশেষ করে ওয়েষ্টার্নাদের সার্টিফিকেট হিসেবে । কিন্তু কথা হলো এর মধ্যে কতখানি বাস্তবতা আছে… ? কতখানি যুক্তি আছে… ?
এইটা না ভেবেই ওরা এইটার রেফারেন্স টানে… বার্নাড শ যদি এই কথা বলেও থাকে , তবুও এটা দেখার বিষয় তিনি মোহাম্মদ এর আমলের লোক ছিলেন কিনা… আমরা আজ যতটুকু জানি… সেটা বিজয়ি মোহাম্মদ এর কাহিনি … আর বিজয়িরাই ইতিহাস তাদের মনের মত করে লেখে, কে না যানে… ?
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, বার্নাড শ এর অন্য কোন কোট যদি হোমসেক্সুয়ালিটিকে সাপোর্ট করে , তখনও কি এরা এই কোট ব্যবহার করবে ?
মানুষ হিসেবে যেকোন কথা , সে রাম , সাম , যদু মধু যেই বলুক না কেন, উপযুক্ত যুক্তি থাকলে কারো বার্নাড শ হতে হবে না মানুষ সেটাকে মুল্যায়ন করবে… অন্তত সেটাই হওয়া উচিত
কিন্তু বার্নাড শ এর নামে যাই চালানো হোক না কেন… দুর্বলতা থাকলে সেগুলো অবশ্যই বেরিয়ে আসবে