বেশকিছুদিন ধরেই পত্রিকায় পড়ছিলাম। অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনী মানুষদের সাহায্য করতে চল্লিশটি দেশের উদ্যোগে সাহায্য সামগ্রী নিয়ে কয়েকটি জাহাজ ফিলিস্তিনী অভিমুখে রওয়ানা হয়েছে। তিন বছর ধরে ফিলিস্তিনীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল। অভিযোগ হামাসের রকেট হামলা। এ তিনটি বছরে ফিলিস্তিনীদের সীমহীন দুর্ভোগের কথা কি কেউ ভেবেছে? বিশ্বকে তাদের এ কষ্টের কথা মনে করিয়ে দিতে তুরস্কের মানবাধিকার কর্মীদের উদ্যোগে দশ হাজার টন সাহায্য সামগ্রী নিয়ে ফিলিস্তিনে যাচ্ছিল এ নৌবহরটি। ছয়টি জাহাজের মধ্যে তুরস্ক ছাড়াও ছিল সুইডেন, গ্রীস এবং যুক্তরাষ্টের একটি জাহাজ।
ফ্রিডম ফ্লোটিলার লক্ষ্য ছিল ইসরাইলী অবরোধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ। এ অবরোধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের সব কিছুই। কৃষি ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যব্যাবস্থা। সত্তুর শতাংশ মানুষ কর্মহীন। জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের প্রতিদিনের আয় এক ডলারেরও নিচে। আশি শতাংশ মানুষ খাদ্য সাহায্যের উপর নির্ভর করে। আর বিশুদ্ধ পানি পায় না প্রায় ষাট শতাংশের অধিক মানুষ। ইসরাইল নাকি ক্যালরি হিসাব করে খাদ্য পাঠায়। একবার ভাবুন তো, বাংলাদেশকে ভারত ক্যালরি হিসাব করে খাদ্য পাঠাচ্ছে! আর যে পরিমান পাঠাচ্ছে ইসরাইল, জাতিসঙ্ঘের মতে তা প্রয়োজনের শতকরা ২০ ভাগও পুরণ করছে না।
এরুপ দুর্বিষহ অবস্থা যে কোন মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষকে আকুল করে তুলবে। আর সে বোধ থেকেই ফ্রিডম ফ্লোটিলার ব্যবস্থাপকেরা নিজেদের জীবন বাজী রেখে এগিয়ে গিয়েছিলেন অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে। তাদের আশা ছিল ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতিকে সম্মান করবে। কারণ তাদের জাহাজগুল ছিল আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায়। তবে তারা ভুলে গিয়েছিল এ বিশ্বে ইসরাইল যা করে তাই নীতি। তাই আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় বিদেশী নাগরিক হত্যা করা তাদের জন্যে কোন ব্যাপার না। চরম জঘন্য এ কাজের পর নিজেদের অপকর্ম ঢেকে রাখতে ইসরাইল তথ্য প্রবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখছে। যার ফলে সত্যিকার পরিস্থিতি বিশ্ববাসী এখন জানতে পারছে না।
ইসরাইল বলেছে, জাহাজের যাত্রীরা তাদেরকে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেছে। তার থেকে বেশী কিছুর হামলাতো আমাদের দেশের পুলিশের উপরও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনতে আমাদের পুলিশ টিয়ারশেল সহ অন্যান্য ব্যাবস্থা নেয়। ইসরাইল কি তা নিতে পারত না?
আসলে ইসরাইলী প্রশাসন আইন, মানবাধিকার এসবে বিশ্বাস করেনা। তারা টিকে থাকতে চায় শক্তি প্রয়োগ করেই। আমি জানি ইসরাইলের এ আচরণের নিন্দা জানিয়ে কোন লাভ নেই। তবে আশা করব এবার বিশ্ববাসী ফিলিস্তিনী অবরোধ তুলে নিতে ইসরাইলের প্রতি চাপ প্রয়োগ করবে। কারন এবার শুধু ফিলিস্তিনী নাগরিক মারা যাননি। নিহত হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। যাদের লক্ষ্য ছিল মানুষ ও মানবতা রক্ষা।
উত্তপ্ত থ্রেডটা হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে গেল। রৌরব আংশিকটা খাটি কথা বলেছেঃ
চলমান দারফুর সমস্যা ছাড়া পাকিস্তান, মিশর ও অন্যান্য মুসলিম দেশে অমুসলিমদের উপর নি্যাতন, এমনকি তুরকীর কুরদিদের উপর নি্যাতন ও জাতিগত উচ্ছেদ, প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল সমস্যার তুলনায় বিরাটকায় মানবিক সমস্যা। কিন্তু কেউ যদি তুরকীর এ নি্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তুলে, ‘শান্তি ফ্লোটিলা’র তুরকী মানবতা করমিরা (তাদের কয়েকজন মারা গেছে) সে প্রতিবাদকারীদেরকে কচুকাটা করে ছাড়বে। এ হল ফ্লোটিলা’র মানবতাবাদীদের প্রক্রিত স্বরূপ (কিছু অমুসলিম ব্যতিত)।
শেষ খবর…
ফ্লোটিলায় করে নিয়ে আসা এইড গ্রহনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হামাস। বিশ ট্রাক ওষুধ (মেয়াদোত্তীর্ণ), কাপড় সহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে আসতে গেলে তারা দাবি জানিয়েছে ওই ছয়শো ‘এক্টিভিস্টের’ হাতে থেকেও ওরা এইড নেবে, নয়তো এইড ঢুকতেই দেবে না। আজব!!
মধ্যপ্রাচ্যে গ্যাঙ্গ্রিনের মতো পুরোনো এই ফিলিস্তিন সমস্যাকে সবাই বোধ করি জিইয়ে রাখতে চায়।
নিরীহ ফিলিস্তিনীদের নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়। ইটা মারা, খিস্তি করার জন্য তো তাদের অফুরন্ত সাপ্লাই পাচ্ছেই হামাস নামের তথাকথিত ‘নির্বাচিত’ শাসক-সন্ত্রাসবাদী দলটি।
ইসরায়েলের এমন বর্বর আচরণ সমর্থনের কোনো কারণ নাই। তবে কেন জানি নানান সোর্সের খবর পড়ে মনে হচ্ছে, ডাল কিছুটা কালো। সাহায্য তৎপরতার অন্তরালে ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল কিনা, সেটা নিয়ে নিঃসংশয় হওয়া দুষ্কর।
কয়েকটি লিংক দিচ্ছি। ইহুদি-প্রোপাগান্ডা বলে উড়িয়ে দেওয়ার আগে বক্তব্যগুলি বাস্তব কিনা, পরখ করে দেখার প্রয়োজন আছে।
http://www.ynetnews.com/articles/0,7340,L-3897667,00.html
http://www.ynetnews.com/articles/0,7340,L-3898109,00.html
http://www.memri.org/report/en/0/0/0/0/0/0/4265
httpv://www.youtube.com/watch?v=JaiMjAULWn0&feature=player_embedded
httpv://www.youtube.com/watch?v=2z9Efj9Ccmw&feature=player_embedded
পূর্ববর্তী ইতিহাসের কারণে নিজেরা মানুষ হত্যার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছে এইটা ভাবার জন্য ইসরায়েলের প্রতি ধিক্কার!
@রায়হান আবীর, :yes:
ইসরায়েলের আচরণকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল সমস্যার ইতিহাস সম্বন্ধে আমার জ্ঞান কম, তাছাড়া রুয়ান্ডা-দারফুর থাকতে এটাকে আমার পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সংকটও মনে হয়না।
কিন্তু সমুদ্রের ৭০ মাইল ভেতরে গিয়ে জাহাজে উঠে মানুষ মারার কোন যুক্তি খুঁজে পাইনা।
এই মূহুর্তে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার যথেষ্ট মালমশলা আছে। তবে বিষয়টি ভিন্ন একটি দিক থেকেও দেখা যেতে পারে। ইসরাইল সরকারকে ডিঙ্গিয়ে ইসরাইলের কোন অংশে মানবিক সাহায্য দিতে গেলে ইসরাইল কি চুপ করে বসে থাকবে? বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে যদি বাইরের কেউ সাহায্য দিতে যায় বাংলাদেশ কি বসে থাকবে? মিয়ানমার সরকারকে ডিঙ্গিয়ে বাংলাদেশ যদি রোহিঙ্গা মুসলিমদের সাহায্য দিতে যায়, মিয়ানমার সরকার কি বসে থাকবে?
মাত্র কিছুদিন আগে ইসরাইল আবিষ্কার করল একাধিক সুড়ংগ পথে গাজায় চোরা অস্ত্র ঢুকছে ইসরাইলীদের মারার জন্য। দশটি মানবিক সাহায্যের অজুহাতে একটি যে অস্ত্রভর্তি জাহাজ গাজায় ঢুকবে না তার গ্যারান্টি ইসরাইলকে কে দিবে?
ফিলিস্তিনীদের নিজ বাসভূমি ছিল, রাখতে পারেনি। সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এরকম।
১৯৪৮ সালে বৃটিশরা বলল – “ঠিক আছে তোমাদের নিজস্ব জায়গা নিয়ে তোমরা সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার কর, আমরা চললাম।”
ইসরাইলীরা ধর্মে ইহূদী। খোদ আল্লাহ কোরানে এদের ধংশের নির্দেশ দিয়েছেন। এত গুলো মুসলিম দেশের গা ঘেঁসে ওরা থাকবে তা কেন হবে! সবাই মিলে বুদ্ধি করল ওদেরকে ধাক্কা দিয়ে ভূমধ্য সাগরে ফেলে দেবে। ধাক্কাটা চতুর্দিক থেকে একই সাথে এল। কিন্তু ইসরাইল বলল, “আরে আরে, একি করছ? সীমানা লংগন করা পাপ। যাও যাও, ভিতরে যাও। তোমাদের নিজের যায়গায় গিয়ে খেলাধূলা কর গিয়ে।”
সবাই ঠ্যালা খেয়ে ফিরে এল। কিন্তু বুকের ভিতর প্রচন্ড কষ্ট রয়েই গেল। শুরু হল দীর্ঘ প্রস্তুতি, শক্তি সঞ্চয়। ১৯৬৭ সাল। ভাবল বাবাধন, এবারে যাবে কোথায়! সবাই মিলে ইসরাইলকে পাঁজা কোলা করে একে বারে ভূমধ্য সাগরের মধ্যিখানে ডুবিয়ে দেবে।
ইসরাইলীদের মাথা অত্যন্ত পরিষ্কার। জানত ওরা আবার আসবে খেলতে। এবারে ইসরাইল বলল, “বললাম সীমানা লঙ্ঘন পাপ, শুনলে না। ঠিক আছে। খেল, সীমানাটা একটু বড় করেই দিই, ভিতরে এসেই খেল।” সাইনাই উপত্যাকা সহ এক বিরাট অংশ ইসরাইল দখল করে নিল। পরে কিছু ছেড়ে দিল অবশ্য। মিসর বলল, “যথেষ্ট হয়েছ, আমাকে ছেড়ে দাও, কেঁদে বাঁচি, আমি ওরকম আর করব না।”
সেই থেকে মিসর সুবোধ বালকের মত ইসরাইলের সাথে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করে আসছে। শুধু তাই নয়। ইসরাইল লৌহ প্রাচীর দিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করছে। মিসরও ফিলিস্তিনীদের যন্ত্রনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনুরুপ দেওয়াল খাড়া করেছে।
সাদ্দামের ওফাত হয়েছে। পঁচিশ হাজার ডলালের বিনিময়ে সুসাইড বম্বার শেষ। নতুন হিরো আহমেদিনাজেদ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরাইলকে মুছে দেবে। ইসরাইলীদের যন্ত্রনার কি শেষ আছে? ফলে ওদের ছোট খাট ব্যাপারেও খুব সতর্ক থাকতে হয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
ভাই, আমার বাসায় মেহমান হিসেবে এসে যদি বাসা দখলই করে ফেলেন, আর আমি প্রতিবাদ করলে কি দোষ হবে ? প্যালেস্টাইনের জমি দখল করে আলাদা একটা দেশই বানিয়ে ফেলল ইস্রায়েলিরা। এদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন না করে উপায় কি ? আর মুক্ত মনের যদি হন, তাহলেও ধর্মের নামে স্থাপিত রাষ্ট্রের প্রতি পক্ষপাত কেন আপনার ?
ইসরায়েলের আগ্রাসনকে যদি সমর্থন করেন, তাহলে মুহাম্মদের ইহুদি হত্যাও সমর্থন যোগ্য, কারণ উভয় ক্ষেত্রেই যুদ্ধরত রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার্থে চরম অবস্থান নিতে হয়েছিল।
@FZ, কথাটা খুবই ঠিক-কিন্ত ইতিহাস নিয়ে সমস্যা আছে।
বৃটিশরা যখন চলে যায়, তখন প্যালেস্টাইন এবং ইহুদিদের দুটি আলাদা রাষ্ট্র দিয়ে যেতে চেয়েছিল। আরব এবং প্যালেস্টাইনরা তা মানে নি। ইহুদিরা সেই সমাধান মানতে চেয়েছিল। ইহুদিদের খুন করার জন্যে গৃহযুদ্ধ শুরু করে। তাহলে ইহুদিরা তা পাল্টাআক্রমন করবেই।
তবে আমার এটা মানতে বাধা নেই, ইস্রায়েল কোন ভদ্রদেশ না-কিন্ত আজকেই বারাকবাবু নিজেই ঘুরিয়ে তা স্বীকার করেছেন, আমরা জঙ্গলে [ মধ্যপ্রাচ্যে] বাস করি-তাই জঙ্গলের আইনেই চলব-পশ্চিম বিশ্ব যেন আমাদের উপদেশ না দেয়।
সমস্যা মূলের আছে রাষ্ট্রনৈতিক ধারনা-যে জাতি ভিত্তিক রাষ্ট্র দরকার। যা আসলে আমাদের দরকার নেই। আমাদের রাষ্ট্র ধর্ম এগুলো কিছুর ই দরকার নেই।
@বিপ্লব পাল,
কয়েক হাজার বছর আগে আর্যরা এসে উত্তর ভারত থেকে অনার্যদের উৎখাত করেছিল। তারও আগে আর্যরা নিজেরাই ইউরোপ ছেড়ে ভারত ও পারস্যে এসেছিল। এখন যদি দক্ষিণ ভারতীয় অনার্যরা এসে উত্তর ভারতে অধিকার নিতে চায়, তাহলে কেমন হবে ? আর আর্যরাও যদি ইউরোপে আলাদা দেশ গড়তে চায়, তাহলে বর্তমান ইউরোপিয়ানরাও কি তা মেনে নিবে ?
ইহুদীদের দাবীটাও সে রকম। তাদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত পবিত্র ভূমির স্বপ্নে বিভোর হয়ে হাজার হাজার ইহুদী মূলত বিংশ শতাব্দীতে প্যালেস্টাইনে এসে আবাস গড়ে। বস্তুত তারা ইমিগ্র্যান্ট ব্যতীত আর কিছু নয়। এই অভিবাসীরা, যাদের সিংহভাগই প্রথম প্রজন্মের, নিজেরাই আলাদা রাষ্ট্রের দাবী তুলে আর ব্রিটিশরাও রাজনীতির চালে প্যালেস্টাইন কে দ্বিখণ্ডিত করে নিজেদের ফায়দার জন্যই। এরই ফলশ্রুতিতে প্যালেস্টাইনিরা নিজ দেশে পরবাসী হয়ে যায়।
“ইহুদিরা সেই সমাধান মানতে চেয়েছিল।”
ভাই, তালগাছ যখন আমার, তাহলে সমাধান মানবো না কেন ?
যাহোক আজকের পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত ইহুদিদের অনেকেই কয়েক পুরুষ ধরে ইসরাইলে আছেন, তাদের অধিকার পরিপূর্ণভাবে অস্বীকার করা যাবে না। ব্যপারটা অনেকটা আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের মত হয়ে গেছে যেখানে সরকার পরিকল্পিতভাবে বাংগালি দের নিয়ে এসেছিল পাহাড়িদের জমিজমা দখলের জন্য। কিন্তু প্রায় ২৫-৩০ বছর পর সেই বাংগালিদের আর তাদের ছেলে মেয়েদের তো আর ফেলে দেয়া যাবে না, যদিও আদতে তাদের সেটলিং টাই অবৈধ ছিল। আবার, সেই বাংগালিরা যখন সেনাবাহিনীর সহায়তায় আরো নতুন বসতি স্থাপন করতে গিয়ে পাহাড়ি দের উচ্ছেদ করে, তখন কিন্তু আমরা পাহাড়িদের পাশেই দাঁড়াই। একই কারণেই প্যালেস্টাইনিদের প্রতি আমাদের সমর্থন।
আর আমার মনে হয় পুরো পৃথিবীটাই সবসময়ই জঙ্গল ছিল, শুধু সুগার কোটিং এর মাত্রায় জায়গাভেদে আপাত পার্থক্য বিদ্যমাণ।
@FZ,
এই তথ্যটা ঠিক না। ইহুদিরা ইউরোপ ওখানে আসতে শুরু করে ওটোমানদের সময় থেকে। কারন ইউরোপের থেকে অটোম্যানদের কাছে তারা অনেক সেফ ছিল। প্রথম প্রজন্ম কেন, ওখানে তখন বেশ কয়েক পুরুষের বাস হয়ে গেছে।
গোটা ভারতেই সব ভারতীয়র অধিকার আছে বসবাস এবং বাসস্থান স্থাপনের। দিল্লীতে বাঙালীরা দ্বিতীয় বৃহত্তম জাতি। তামিলরা বোধ হয় তৃতীয়। ভারতের যেখানেই আমি যায় না কেন, আত্মীয়তার বন্ধন পায়।
সুতরাং সেই জন্যেই বলি ভারত হচ্ছে ভবিষয়তের পৃথিবী। যেখানে নানান জাতি ধর্ম এক ঘরের তলায় গনতন্ত্রের জাদুতে বাস করবে।
মহামানবের সেই মিলনস্থলই সমস্যার সমাধান।
@FZ,
আমি ইহুদীও নই আর মুসলমানও নই। এবারে বুঝতে পারছেন তো পক্ষপাতটি কার?
@FZ এবং নৃপেন্দ্র সরকার,
এই ইসরাইল আর প্যালেষ্টাইন ইস্যুটা আসলে খুবই জটিল। আমি ছোটবেলা থেকেই প্যালেষ্টাইনীদের সমর্থনে থেকেছি, ধর্মীয় কারণে নয়, ওরা নিপীড়িত বলে ( এবং আমেরিকার বিশ্বব্যাপী আগ্রাসনের প্রতিবাদ হিসেবে, ইসরাইল এবং আমেরিকাকে আমি কখনই আলাদা করতে পারিনি)। তবে দুই পক্ষে কথা শুনতে শুনতে বিরক্ত হয়ে এদের গত প্রায় দেড় হাজার বছরের ইতিহাসটা পড়ার পর বুঝেছি ব্যাপারটাকে শুধুমাত্র নিকট ইতিহাস দিয়ে বিচার করলে হবে না। মুসলমান এবং ইহুদী ( ইহুদী কথাটা বলতে আমার খারাপ লাগে, মনে হয় গালি দিচ্ছি, এস্কিমো বা নিগ্রো বলার মত, কিন্তু সেটা অন্য প্রসংগ) দুই পক্ষই এই জায়গাটা নিয়ে যা করেছে তার হিসেব নিতে গেলে কার দোষ সেটা বের করা খুবই মুশকিল হয়ে পড়বে। এছাড়া এর পিছনে আন্তর্জাতিক স্ট্র্যাটিজি এবং রাজনীতিটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইহুদীরা পৃথিবীব্যাপী শতশত বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আজকে উলটো একই অত্যাচার করে চলেছে প্যালেষ্টাইনীদের উপর। কিন্তু একে ঘিরে রাজনীতি এবং ফায়দা লোটাটা দেখলে বোঝা যায় যে, ধর্ম আসলে কোন ব্যাপার নয়, ধর্মকে ব্যবহার করাটাই এখানে আসল উদ্দেশ্য। একদিকে আমেরিকা চোখ বন্ধ করে ইসরাইলের সমস্ত আগ্রাসনকে সমর্থন করে, ওদিকে আবার তাদেরই শত্রু সৌদি আরবে বা তেলওয়ালা আরব বিশ্বের সাথে তাদের সম্পর্ক কিন্তু অবিচ্ছেদ্য। তারা মুখে ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে যুধ ঘোষণা করে অন্যদিকে আবার তার কেন্দ্রভূমি সৌদি রাজতন্ত্রকে সক্রিয় সহযোগিতা দিয়ে টিকিয়ে রাখে। একদিকে তারা আফগানিস্থান, ইরাক আক্রমণ করে আরেকদিকে ঠিকই কিন্তু সাদ্দাম বা বিন লাদেনকে তৈরি করতে দ্বিধাবোধ করে না। নিজেদের স্বার্থে না লাগা পর্যন্ত তারা মৌলবাদকে সমর্থন করতে এমনকি সক্রিয়ভাবে পৃষ্ঠপোষোকতা করতেও দ্বিধাবোধ করেনা। আবার দেখুন আরববিশ্ব ইসরাইল নিয়ে মুখে এত বড় বড় কথা বলে, এখানে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে কিন্তু ঠিকই টু শব্দটাও করে না। এখানে ধর্মটা নিতান্তই অজুহাত, একে মাঝখানে রেখে ব্যবসায়িক ফায়দা লোটটাই মূখ্য উদ্দেশ্য। যাই হোক, সে আরেক আলোচনা, ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করার মতই এটারও কোন শেষ নেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এখন মনে করি, ইসরাইল আর প্যালেষ্টাইন ইস্যুটা আজকে এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছে যে এখন য়ার একজন আরেকজনকে দোষারোপ করে আর লাভ নেই, এর একটা স্থায়ী এবং বাস্তব সমাধান করা প্রয়োজন। ইসরাইলীদের যদি শান্তিপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার অধিকার থাকে তাহলে প্যালেষ্টাইনীদের ক্ষেত্রেও তা সমানভাবে প্রযোজ্য। সারা বিশ্বের শান্তি এবং স্থিতির জন্যই আজ সেটা করা প্রয়োজন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
বলার অনেক কিছুই আছে, শুধু এইটুকুই আপাতত বলি যে ঘটনাটা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে বলে জানি, ইসরাইলের নিজের জলসীমায় নয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আমি যতটুকু জানি। গাজা হামাস প্রশাসনের অধীনে ২০০৭ থেকে। ১৯৯৪ এর পর গাজা থেকে প্রকাশ্য দখল উঠিয়ে নেয় ইসরাইল। এরপর থেকে গাজা ফিলিস্তিনের একটি অংশ। ইসরাইল গাজা অবরোধ করে রেখেছে হামাসকে নির্বাচন করায় ফিলিস্তিনী নাগরিকদের শাস্তি দিতে। রকেট হামলা একটা অজুহাত মাত্র। তাই আমার মনে হয়না এর সাথে আপনার তুলনাগুল ঠিক।
তাদের যদি এরকম সন্দেহই থাকত। তারা বলতে পারত যে সাহায্যসামগ্রীগুল তাদের কাছে হস্তান্তর করতে, অথবা একটি পূর্ণ তল্লাশী করতে দিতে। হঠাৎ করে কমান্ডো বাহিনী দিয়ে আক্রমন তারা যেভাবে করল, এতে মনে হল ছিনতাই করা কোন জাহাজে বন্দীদের মুক্তি করতে তারা গিয়েছিল।
আপনি হয়তো জানেন না এ জাহাজে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত অনেক মানবাধিকার কর্মী এবং নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিরা ছিলেন। তাদের সাথে ছিলেন চিত্র-পরিচালক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব। যারা এসেছিলেন আমেরিকা ও কানাডা থেকে। অস্ত্রভর্তি জাহাজ নিয়ে তারা যাবেন এটা হবার সম্ভবনা কতটুকু? পার্বত্য চট্ট্রগ্রামের উপর বাংলাদেশ সরকারের দখল রয়েছে। এরপরও আন্তর্জাতিক এরকম কোন উদ্যোগে বাংলাদেশ বাধা দিলে এবং বিদেশী নাগরিক মারা গেলে এর পরিণতি কি হত বলতে পারেন?
আসলে ইসরাইল পরিস্কারভাবে জানিয়ে দিতে চায়। তারা তাদের ইচ্ছার বাইরে ওই এলাকার মানুষদের ব্যাপারে কেউ কিছুই করতে পারবে না। চাইলেই তারা এ ধরনের সকল মানবিক সাহায্যগুল তাদের নিজেদের মাধ্যমে পাঠাতে পারত। ফিলিস্তিনীদেরতো সাহায্য দরকার।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
আপনার আজকের মন্তব্যটি খুবই বেশুরো হলো। এটা একটা ভিন্ন দিনে বা ভিন্ন প্রেক্ষীতে বললে এমনটা লাগতোনা।
শুরু করলেন যে ভাবে,
শেষ করলেন এনে,
আপনার পক্ষপাত, সহানুভূতি, কিংবা সহানুভূতির অভাব কোন কিছুই গোপন থাকেনি।
FZ কে আপনি যা বলেছেন তাও আপত্তিকরঃ
পক্ষ অবলম্বন করার জন্য (উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধর্ম) এটা খুবই মোটা দাগ। সেটা আপনার অজানা থাকার কথা না। তার পরে যে ইংগিতটি করেছেন সেটা কেমন হয়েছে ,আশাকরি নীজেই ভেবে দেখবেন।
আর ইসরাইলের এই কাজকে আপনার নিন্দনীয় মনে হয়েছে এমন কোন নজির আপনার মন্তব্যের কোথাও নেই।
ধন্য আপনার মুক্তমন, ধন্য আপনার মানবিকতা!!!!!!!!!!!!!!
@আতিক রাঢ়ী,
আপনার মন্তব্যেও কিন্তু নতুন সুর ধ্বনিত হয়েছে।
আমার টানা ইতিহাসের পাতাটা অনেকের ভাল লাগবে না সেটি আমি জানতাম। ইসরাইল এবং ফিলিস্তিন নিয়ে একতরফা গীতই শুনি সব সময়।
অনেকে বলেন এটা ধর্মীয় সমস্যা নয়। বেঁচে থাকার সমস্যা। এটি যে মূলতঃ একটি ধর্মীয় সমস্যা তা অস্বীকার করা মানে সূর্য্য প্রতিদিন পূর্বদিকে উঠে সেটা অস্বীকার করা।
আপনি FZ এর কথা বলেছেন তো? দেখুন তিনি কী বলেছেন —
এই পোষ্টটি নিয়ে আমি আর কোন মন্তব্য করব না। ফিলিস্তিনীদের ব্যাপারটা বড়ই স্পর্শকাতর। পড়শী মিসরীয়রাও এতটা কাতর নয়।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
নতুন বা পুরাতন না, আসলে এটাই আমার সুর। মুসলমান বা ফিলিস্তিনীদেরকে আমি মনূষ্য প্রজাতির কোন বিশেষ ব্যাতিক্রম মনে করি না। আধুনিক মানবতাবাদের ব্যাবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে এদের জন্য ভিন্ন নিয়ম প্রয়োজন, সেটাও আমি মনে করি না।
এই ইতিহাস আপনার মুখেই প্রথম শোনাগেল, এরকম আপনি কেন ভাবছেন, ঠিক বোঝা গেল না।অলিম্পিক খেলতে আসা ইসরাইলী খেলোয়াড়দেরকে যেবার হোটেল রুমের মধ্যে হত্যাকরা হয়, তখন বিশ্বের প্রতিটি বিবেকবান মানূষ এর নিন্দা জানিয়েছিলো। ঐ হত্যাকান্ডের ঠিক পরেরদিন কেউ যদি আপনার মত ইতিহাস টেনে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করত, কেন এটি একটি যৌক্তিক প্রতিক্রিয়া বা পরিনতি তবে তাকে আমরা কি বলতাম ?
মানে বলতে চাইছেন, যেহেতু মিসরীয়রা প্রতিবাশী তাই তারা আমাদের চেয়ে ভাল জানে। আর ভাল জানে বলেই তারা আমাদের মত কাতর না। এখানে মিসরীয়রা বলতে ঠিক কাদেরকে বোঝালেন তা পরিস্কার হলো না। মিসরের সরকার, নাকি জনগন, জনগনের সমগ্র অংশ নাকি নিদৃষ্ট কোন অংশ? মিসর ছাড়া অন্য প্রতিবাশীরা কি ভাবেন সেটাতো জানালেন না ?
আসলে এই কাতরতা ফিলিস্তিনীদের জন্য না। এখানে মানবতা পদদলিত হয়েছে বলেই এই কাতরতা। আর কিছু না।
আমরা বর্তমান ফেলে অতীত ইতিহাসে চলে যাচ্ছি বেশী। আরব-ইসরাইল ইতিহাস বা কে কাকে আগে পরে কি যুক্তিতে হামলা করেছিল সেসব প্রশ্নের সাথে কি এই লেখার ইস্যুর সরাসরি যোগ আছে?
কিছু নিরীহ ত্রানকর্মীকে মারা হয়েছে যাদের সাথে আরব-ইসরায়েল গোলযোগের কোন সম্পর্ক নেই। তার চেয়েও ন্যাক্কারজনক হল বিশ্ববিবেক বলে আমরা যাদের জানি তারা নীরব। আজ ইসরায়েলের যায়গায় ইরান হলে বিশ্বব্যাপী কি প্রতিক্রিয়া আমরা দেখতাম?
এভাবে এক চোখা নীতি নিলে নিরাপদ বিশ্ব কোনদিন গড়ে উঠবে?
@আদিল মাহমুদ,
না নেই।
এটা মনে হয় পুরোপুরি ঠিক না।
অনেক তীব্র প্রতিক্রিয়া হতো। কারন অনেক ঘটা করে চালান লাগাতার পশ্চিমী প্রপাগান্ডার একটা ফল আছে না ?
@আতিক রাঢ়ী,
বিশ্বের শান্তিপ্রিয় বিবেকবান মানুষ এর প্রতিবাদ করেছে, করছে জানি। তবে যারা নিজেদের বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার সোল এজেন্সী দাবী করে তারা তেমন কোন কথা বলেননি। ওনারা পূর্ণ তদন্তের অপেক্ষায় আছেন, অনেকটা আমাদের দেশের সরকারী দলের মত। নিজেদের দলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠলে তা হয় ষড়যন্ত্র, মিথ্যাচার। আর একেবারেই অকাট্য তথ্য প্রমান হাজির করা হলে তখন শোনা যায় পূর্ণ তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাবে না, দোষী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে…
কিছু নিরস্ত্র ত্রান কর্মী কিভাবে সুসজ্জিত নৌসেনাদের আক্রমন করল যে তাদের গণহত্যা ছাড়া আর আর উপায় ছিল না এ বুঝতে খুব বেশী লাগে? দেশের নাম শুধু অন্য কিছু হলেই দেখা যেত।
প্রচার মাধ্যমগুলি যুগ যুগ ধরে এক পক্ষীয় প্রচার চালিয়ে নিষ্ঠার সাথে মানুষের মনে বিদ্বেষ জাগাতে কাজ করে আসছে। ২০০৩ সালে মনে হয় পশ্চীম তীরে ইসরাঈল বুলডজার চালিয়ে প্যালেষ্টাইনীদের বসতি গুড়িয়ে দিচ্ছিল। প্রতিবাদী এক আমেরিকান মহিলা বুলডোজারের সামনে প্রতিবাদে দাড়িয়ে ছিল। বুলডোজার ঠান্ডা মাথায় তাকেও পিষে চলে যায়। তখন দেখেছি এদেশের মিডিয়াগুলি কিরকম নির্লিপ্ত থাকতে পারে। কোন টক শো, মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ, সন্ত্রাস বিশেষজ্ঞ কারোই আলোচনা মূল্যবান বক্তব্য শুনিনি।
ধর্ম ভিত্তক কোন রাষ্ট্র হলে তা কোনদিনই ভাল ফল বয়ে আনেনা। ইস্রাইল তার একটা উদাহরণ। তবে ইস্রাইলের সুড়সুড়ি বরাবরই বেশী। এই আধুনিক যুগে কীভাবে এই ধরণের চরম ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটানো সম্ভব তা আমি বুঝতে পারি না। আসুন সবাই মিলে এই প্রস্তর যুগীয় ঘটনা যারা ঘটায় তাদের দিকে একদলা থুঁতু ছুঁড়ে মারি।
আর এইসব ঘটনায় চরম মানবতাবাদী(!) আমেরিকার ভূমিকা দেখলেও হাসবো না কাদবো বুঝতে পারিনা। কী বিচিত্র এই সভ্যতা গো!
@নিদ্রালু,
দয়া করে লগ ইন করে মন্তব্য করুন। আপনার ইমেইলের ঠিকানায় লগ ইন তথ্য পাঠানো হয়েছিলো বেশ কিছুদিন আগে।
লগ ইন করে মন্তব্য করলে সাথে সাথে প্রকাশিত হয়।
@মুক্তমনা এডমিন,
ধন্যবাদ মুক্তমানা এডমিন। আসলে আমি খেয়াল করিনি ই-মেইলটা।
এখন থেকে লগইন করেই মন্তব্য করব। 😀
একটি গুরুত্বপূর্ন রচনা আনাসের। মুক্তমনার লেখকেরা যারা ইসলামের সমালোচনা করেন, তারা যে প্রয়োজনে ইসরাইলের বিপক্ষে লিখতে কিংবা মুসলিমদের পাশে এসে দাঁড়াতে কুন্ঠাবোধ করেন না, সেটা আবারো প্রমাণিত হোল।
অন্যান্য ‘এন্টি ইসলামিক সাইটের’ সাথে আমরা এভাবেই মুক্তমনার পার্থক্য করেছি, এ ভাবেই করে যাব ভবিষ্যতে। ইসলাম বা অন্য ধর্মের যতই সমালোচনা আনাস সাহেবেরা যতই করুন না কেন, মুসলিমরা যখন কোথাও নির্যাতিত বা নিপীড়িত হয়, তখন তারা তার প্রতিবাদ করতে দ্বিধান্বিত হন না। আপনাদের মনে আছে নিশ্চয়, যখন গাজায় উপর ইসরায়েল বর্বর আক্রমণ চালিয়েছিল, তখন মুক্তমনা থেকেই লেখা হয়েছিলো- ‘ইসরায়েলের বর্বরতার সমাপ্তি হওয়া প্রয়োজন’। এর আগেও আমরা ইরাকে নগ্ন মার্কিন হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম, লিখেছিলাম ‘মার্কিন সভ্যতার বিভৎস ছবি’। মুক্তমনা বারেবারেই দাঁড়িয়েছে প্যালেস্টাইনের অধিকার রক্ষায়, কিংবা কাশ্মিরী স্বাধীনতাকামী মুসলিমদের পাশে কিংবা যেখানেই মুসলিমরা অত্যাচারিত হয়েছেন সেখানে। তাদের অধিকারের জন্য পিটিশনও করা হয়েছিলো। এবার তো কেবল মুসলিম নয় – ফ্রিডম ফ্লোটিলায় খোদ মানবাধিকার কর্মীদের উপরেই হামলা চালালো ইসরায়েল। এটি তার পুরোন বর্বর চেহারারই বহিঃপ্রকাশ। এই ব্যাপারগুলো বারে বারে সামনে নিয়ে আসতে হবে।
এটা পরিস্কার উস্কানিমূলক ঘটনা। কুকুর যেমন ছুটন্ত বস্তুকে ধাওয়া করে, ইসলামী জংগিরাও এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য কিছু একটা করবে। এই কিছু একটা পশ্চিমকে অস্ত্র শিল্পে আরো আরো বিনীয়োগের ব্যাপারে জনমত গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সবাইকে এসব ব্যাপারে সচেতন হবার আহভান জানাচ্ছি।
ইদানিং ইসরাইল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যেকোনো মূল্যে তাদেরকে থামাতে হবে।
ইস্রায়েলের এই কাজ কোন মতেই সমর্থনযোগ্য না। কিন্ত আজকে ইস্রায়েল কাওকেই পরোয়া করে না। কারন তাদের যখন ১৯৪৮, ১৯৬৪ সালে একদম শেষ করে দিতে চেয়েছিল আরবরা, তখন মুসলিম বিশ্ব থেকে কেও আরবদের বিরুদ্ধে ছিল কি?
আমরা বিভিন্ন জাতি এবং ধর্মে বিভক্ত হওয়ায় ইস্রায়েল, হামাস, আমাদের রাজনৈতিক দাদারা সবাই খেলার সুযোগ পাচ্ছে। মরছে মানুষ। তাকে মুসলমান বললে ভুল হবে। কারন একদল রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে চাই বলে, সেই ফায়দার আড়ালে মারা যায় কিছু দুর্বল মানুষ।
না। ইস্রায়েলের বিপক্ষে জনমত আমেরিকা বা ভারতে খুব বেশী নেই। সব জায়গাতেই কিছু বামপন্থী এবং মুসলমানরা ইস্রায়েল বিরোধি। ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে পৃথিবীতে ইস্রায়েল বেশ কিছু ঘৃণ্য কাজ করলেও লোকে সেটা মেনে নিচ্ছে বা হোলদোল নেই-আরেকদল ত এতে উল্লাস করছে, যে কিছু মুসলিম জব্দ হচ্ছে।
আসল সমস্যাটার উৎস কোথায়? ধর্মীয় পরিচিতি এবং সেটা কাজে লাগিয়ে রাজনীতির ব্যাবসা-যা ইস্রায়েল এবং গাজাতে অনেকেরই আয়ের উৎস।
@বিপ্লব পাল,
৬৪ তে কী ঘটেছিল বিপ্লব?
৪৮ আর ৭৩ এর যুদ্ধ বাঁধিয়েছিল আরবরা এটা সত্যি কথা। কোন আরব দেশই এর বিরোধিতা করেনি সেটাও সত্যি কথা। কিন্তু ৫৬ আর ৬৭ এর যুদ্ধ কিন্তু গায়ে পড়ে বাঁধিয়েছিল ইসিরায়েলই। সুসভ্য যে সমস্ত দেশ মানবতার কথা বলে তাদের মধ্যে কতগুলো সেটার বিরুদ্ধে ছিল বলতে পারো কী?
@ফরিদ আহমেদ,
67 এর যুদ্ধ কি করে গায়ে পড়ে ইস্রায়েল লাগিয়েছিল? এটা ঠিক ইস্রায়েলের কুকর্মের জন্যে জর্ডনে জল কম আসছিল। কিন্ত তার জন্যে ইস্রায়েলকে সম্পূর্ন ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয় হেডওয়াটার ডাইভার্সন প্ল্যানে যা কার্যকর হলে ইস্রায়েল জল না পেয়ে মারা যেত।ফলে ইস্রায়েল ত নিজেকে বাঁচাবার জন্যে আক্রমন করবেই।
আমি ৬৭ লিখতে গিয়েছিলাম।
@বিপ্লব পাল,
আমি যতই চাই তোমার সাথে বিতর্ক না করার ততই ক্যামনে ক্যামনে যেন বেঁধে যাই তোমার সাথেই। 🙁
দেখো জলের রাজনীতিটা কিন্তু ইসরায়েলই শুরু করেছিল আগে। সি অব গালিলিতে বাধ দিয়ে পানি সরিয়ে নিতে চেয়েছিল ন্যাশনাল ওয়াটার ক্যারিয়ারে। এতে করে জর্ডান নদীর জলপ্রবাহ কমে যেতো আশংকাজনকহারে। তখন যদি জর্ডান ইসরায়েলকে আক্রমণ করতো লোকজনতো গলা ফাঁটিয়ে চেঁচাতো যে দেখো বর্বর মুসলমানেরা সব সন্ত্রাসী। সামান্য একটু জলের জন্য আলোচনা বাদ দিয়ে ইসরায়েলকে আক্রমণ করলো। জর্ডান নদীর পানি সরিয়ে নেবার ইসরায়েলি এই সুবিশাল সেচ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে আরব লীগের বুদ্ধিতে সিরিয়া আরো উজানে গড়ে তুলছিল হেডওয়াটার ডাইভারসন প্লান। কিন্তু ইসরায়েল এই প্লানকে ভন্ডুল করে দেয় ৬৭ সালের এপ্রিল মাসে বিমান এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়ে। ইসরায়েলের এই আক্রমণের পরেই সিরিয়া ওই প্রকল্প স্থগিত করে দেয়।
তারপরেও দেখো ৬৭ সালের জুন মাসের ৫ তারিখে খামোখাই ইসরায়েলি বিমান বাহিনী চোরাগোপ্তা হামলা চালায় মিশরের উপর। ধ্বংস করে দেয় এর সব যুদ্ধবিমানগুলোকে। এই আক্রমণের সাফল্যে বলিয়ান হয়ে পরে আক্রমণ চালায় সিরিয়া, জর্ডান আর ইরাকি বিমানবাহিনীর উপরেও। এগুলো কি তোমার কাছে গায়ে পড়ে যুদ্ধ বাধানো বলে মনে হয় না?
তোমার যুক্তি মানলেতো, ফারাক্কা বাধের কারণে বাংলাদেশের উচিত ছিল ভারতকে আক্রমণ করা বহু আগেই। হাজার হলেও জীবন মরণের প্রশ্ন আমাদের। কি বলো, করবো নাকি একটা বিমান হামলা আমরা ভারতের উপর? 😀
@ফরিদ আহমেদ,
ওই যুদ্ধে হারার পরে, আরব দেশগুলিতে যে গুটিকয় জিউস থাকত-যারা হাজার হাজার বছর ধরে ওখানে আছে, তাদের কি হাল করেছিল আরবরা?
With the loss of Arab lands, the minority Jews living in the Arab world immediately faced persecution and expulsion, following the Israeli victory. According to historian Michael B. Oren,
mobs attacked Jewish neighborhoods in Egypt, Yemen, Lebanon, Tunisia, and Morocco, burning synagogues and assaulting residents. A pogrom in Tripoli, Libya, left 18 Jews dead and 25 injured; the survivors were herded into detention centers. Of Egypt’s 4,000 Jews, 800 were arrested, including the chief rabbis of both Cairo and Alexandria, and their property sequestered by the government. The ancient communities of Damascus and Baghdad were placed under house arrest, their leaders imprisoned and fined. A total of 7,000 Jews were expelled, many with merely a satche
******
আমার খুব সিম্পল কনক্লুসন। আরব এবং ইস্রায়েল-এদের ব্যাবহার কোন সভ্যদেশের পর্যায়ে পরে না। আমি বাস্তবে এদের কাওকেই সভ্য বলে মনে করি না। এবং নির্মোহ চোখে দেখলে, এটাই খাঁটি সত্য।
একটু ভেবে দেখ।
@বিপ্লব পাল,
ভাবতে হবে না মোটেও। এই প্রথম তোমার সাথে আমি পুরো একমত। 😀
@বিপ্লব পাল,
@বিপ্লব পাল,
আরব ইসরাইলের অনেক ইতিহাসই আমার অজানা। আগে ইসরাইলকে ঘৃণা করতাম স্রেফ ধর্মের জন্যে। ইসলামের ইতিহাস জানার পর ইসরাইলের শক্তি অর্জন সমর্থন করতাম। কারন অতবড় শত্রুর পাশে বসবাস করলে এছাড়া বিকল্প নেই।
তবে আজকে ইসরাইল যা করছে সেটা সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারা আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় মানুষ হত্যা করে বিশ্বকে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে তাদের ইচ্ছার বাইরে ফিলিস্তিনীদের নিয়ে কারো কিছু করার নেই।
মধ্যপ্রাচ্যের এ সমস্যা ততদিন থাকবে যতদিন এ দুটি ধর্ম থাকবে। ইসলাম চাইবে আগ্রাসন। আর ইসরাইল চাইবে পবিত্রভূমির অধীকার। আর মাঝখানে মারা পড়বে মানুষ।
@বিপ্লব পাল,
সাধে কি আর ঈশ্বর ভূ-পৃষ্টের শুধু এই এলাকায়ই দুই লক্ষ, চব্বিশ হাজার মানুষকে নবী রূপে পাঠিয়েছিলেন?
ষ্ট্যালিনের একটি কথা মনে পড়ে।
কথাটি অনেকটা এরকম; তুমি যদি দু’চারজন মানুষ মারো তাহলে সেটা হল হত্যা, যদি ৮/১০ জন মানুষ মারো তাহলে সেটা হল ট্র্যাজেডি, আর যদি হাজার হাজার মানুষ মারো তাহলে সেটা হল ষ্ট্র্যাটেজি।
আনাছ, কি যে ভালো কাজ করলেন এই বিষয়টা নিয়ে লিখে। ইসরাইলীদের করা সন্ত্রাস আর তাতে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা দেখে দেখে মাঝে মাঝে দম বন্ধ হয়ে আসে। আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে মনে হয় এরা এতদুর আগানোর সাহস পেতো না।
লেখাটার বেশ কিছু বানান ভুল ( যেমন, জাহাজ গুল, ব্যাবস্থা, সাস্থ্য ব্যাবস্থা, এরুপ, চড়ম, আচড়ণের, এবং আরও বেশ কিছু বানান, সবগুলো দেখার সময় পেলাম না ) আছে, একটু ঠিক করে দিবেন কি?
@রাহাত খান,
কি অদ্ভুত একটা দেশ। মন চাইল, কাউকে মেরে আসলাম। মন চাইল, কাউকে অবরোধ করে রাখলাম। কারো বলার কিছু নেই। যারাও বলে, সুরটা এমন যে আরেকটু আস্তে মারলে ভাল হত। এত কিছুর পর আমেরিকা পথ খুজছে এ বিপদের সময় ইসরাইলকে কিভাবে উদ্ধার করা যায়!
বানানের ভুল ধরিয়ে দেবার জন্যে ধন্যবাদ।