:line:
নির্মল সেনকে সাহায্য করুন (এই মুহূর্তে আর কার্যকরী নয়) |
বাংলাদেশ থেকে যারা সরাসরি ব্যাংক ড্রাফট/ ক্রস চেক/ মানিগ্রাম পাঠাতে চান তারা যোগাযোগ করুন –
অধ্যাপক অজয় রায়
২/ এফ, ইস্টার্ন হাউজিং অ্যাপার্টমেন্ট, ১০২-৪ এলিফ্যান্ট রোড,
বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৩৫ ০৯ ০৭/ ০১৭৪ ৭৯ ৭৭ ৩২১
:line:
দিন কয়েক আগে দৈনিক সংবাদে পড়লাম সাংবাদিক ও প্রবীন রাজনীতিবিদ শ্রীযুক্ত নির্মল সেন তাঁর গ্রামের বাড়ী কোটলিপাড়ায় নির্জনে নিঃসঙ্গ অবস্থায় ক্রমশঃ মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাভাবে কেবল বেঁচে থাকার জন্যেও ঢাকাতে বাস করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি। চিকিৎসার অর্থ যোগান তো দূরের কথা। নির্মল সেনের এ হেন দুরবস্থার ও দুঃসহনীয় অবস্থার কথা অন্য একটি দৈনিকেও বেড়িয়েছিল।
অর্থাভাবে তাঁকে ঢাকা ছাড়তে হয়েছে – এ সংবাদটি আমার জানা ছিল না, তাঁর পরিবারের কোন সদস্যও আমাকে জানান নি বা জানাতে পারেন নি। প্রায় ২ বছর ধরে তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আগে আমার বাসার কাছে সেগুন বাগিচায় থাকা কালে, আমি তার সাথে পার্টি অফিসে বা বাসায় যেতাম মাঝে মধ্যে। মনটা খারাপ হয়ে যেত যখন আমার খুব কষ্ট হতো তার কথা বুঝতে। পরিবারের কোন সদস্য বা পার্টির কোন তরুণ কর্মী তাঁর কথা বোঝাতে সাহায্য করতো। বুঝতে পারতাম অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটছে। আগে ডিক্টেশন দিয়ে কলাম লিখতে পারতেন, সে ক্ষমতাও তিনি ক্রমশ হারিয়ে ফেলছিলেন। হঠাৎ করেই তাঁর সাথে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। একদিন বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম সেগুন বাগিচার বাসা ছেড়ে দিয়ে তাঁরা ধানমণ্ডী এলাকায় চলে গেছেন। বস্তুত যতটুকু জানি, সিআরপি থেকে ফেরার পর থেকেই তাঁর প্রথাগত চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেটি যে অর্থাভাবে তা আমার জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাকালে বা সিঙ্গাপুরে যাওযার সময আমার সাধ্যমত সহায়তা করেছি। আমি নিতান্তই ক্ষুদ্র ও বিত্তহীন মানুষ – আমার পক্ষে খুববেশী করা সম্ভব ছিল না। সিঙ্গাপুর হাসপাতালে থাকা কালে আমার জ্যেষ্ঠ পুত্র সেখানে কিছুটা তাঁর দেখভাল করত। সিআরপিতে চিকিৎসা নেয়া কালে তাঁর খোজ খবর আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী ও নির্মল বাবুর দলের রাজনৈতিক সহকর্মী ড. ফারুকের কাছ থেকে পেতাম, অর্থাভাবে যে সেখানকার চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে তা জানতাম না। ড. ফারুকও আমাকে বলেন নি কোন সময়। অথচ ড. ফারুক জানতেন নির্মল সেনের সাথে আমার সম্পর্ক কত কাছের। আমার ধারনা ছিল তাঁর অর্থের ও চিকিৎসার দিকটা তার পার্টি ও অন্যান্য বমপন্থী দলগুলো ভালভাবে দেখভাল করছে। তলে তলে যে তিনি এহেন দৈন্য দশায় উপনীত হয়েছিলেন যে তাঁকে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে হয়েছে আমার জানা ছিল না। বিএনপি আমলে শুনেছিলাম, যুবরাজ তারেক রহমান ‘সেন বাবুকে’ অর্থ সাহায্য করেছিলেন, এবং তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব বিএনপি সরকার নিতে পারে বলে তাঁর পরিবারকে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। এর পর কোন অগ্রগতি হয় নি। তাঁর এক আত্মীয়ের অনুরোধে আমার পরিচিত আওয়ামী মহলে বিএনপির এ বদান্যতার কথা জানিয়ে অনুরোধ করেছিলাম তারাও শ্রীযুক্ত সেনের জন্য কিছু করতে পারেন কি না। তাছাড়া তিনি, শেখ হাসিনার অপরিচিত ব্যক্তি নন। আমার মত অধমকে নির্মল বাবুর জন্য বলতে হবে কেন ? আওয়ামী লীগ যে কিছু করে নি সে তো দিবালোকের মত সত্য। তবে কি শ্রীযুক্ত সেনের বাম রাজনৈতিক দর্শনই এর কারণ? সাংবাদিক নির্মল সেন ষ্পষ্টবাদী কলামিস্ট হিসেবেই পরিচিত, কাউকে ছেড়ে কথা বলতে নারাজ। তবে কি ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ লেখাটি আওয়ামী ঘরানা আজও ভুলতে পারে নি? কিন্তু এখন তো মহাজোটে নির্মল বাবুর অনেক বাম বন্ধু রয়েছেন – আছেন শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, রাশেদ খান মেনন, রয়েছেন ইনু। আমার মনে তাই হাজার ডলারের প্রশ্ন – এতদ সত্তেও শ্রীযুক্ত নির্মল সেনকে নিঃসঙ্গ, নিঃসহায় অবস্থায় অর্থাভাবে কোটালীপাড়ায় দীনহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে হবে কেন? আগেই বলেছি আমি ক্ষুদ্র ব্যক্তি বিত্তহীণ এবং রুগ্ন সহধর্মীনিকে নিয়ে পারিবারিকভাবে নিঃস্ব, তবুও অঙ্গিকার করছি আধপেটা খেয়ে থাকতে হলেও প্রতিমাসে আমি তাঁর জন্য ২,০০০ টাকা খরচ করব। আমি অনুরোধ করব আমার এই যৎসামান্য সহায়তা তার পরিবার বা নির্মল সেন অন্যভাবে নেবেন না। আমি অনুরোধ করব তাঁর পরিবারের কোন সদস্য এই সামান্য অর্থ প্রতিমাসে আমার কাছ থেকে নিয়ে যান বা যথাযথ ঠিকানা জানালে পৌছে দেবার ব্যবস্থা করব। আমি এই লেখার মাধ্যমে নির্মল সেনের অন্য বন্ধু বা শুভানুধ্যায়ীকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করছি- আমরা দশজন হলেও তো মাসে ২০,০০০/- টাকা তার জন্য তুলতে পারি। এই বয়সে তাঁকে সুচিকিৎসা না দিতে পারি, খানিকটা তো স্বস্তি দিতে পারি।
:line:
নির্মল সেনকে সাহায্য করুন (এই মুহূর্তে আর কার্যকরী নয়) |
.
:line:
দীর্ঘদিন ধরেই আমরা পরস্পরের বন্ধু ছিলাম, থাকব। হিসেব কষলে তাঁর বয়স এখন আশি। আমি পচাত্তর ছুইছুই। সেই ১৯৫৫ সাল থেকে আমাদের পরিচয় ও ঘনিষ্টতা – তা ক্রমশ নিবিড় হয়েছে কালের পথ ধরে। সেই সালে বরিশাল থেকে হঠাৎ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ কোর্সে বি এসসিতে ভর্তি হয়ে আমার সহপাঠী হলেন। গণিতের আর রসায়ন সাবসিডিয়ারী ক্লাশে আমাদের সাথে বসতেন। তাছাড়া ঢাকা হলে আমরা একই সাথে থাকতাম। অঙ্কের জ্যেতির্বিজ্ঞানের ড. হকের ক্লাশে মজার কাণ্ড হত। হক স্যার প্রত্যেকের পুরো নাম ধরে রোল কল করতেন। খাতায় নির্মল বাবুর নাম ছিল ‘এন কে সেন’ – হক সাহেব পড়তেন এন কে ‘সেখ’ – ক্লাশে হাসির রোল পড়ে যেত। আমরা কেউ তাকে সংশোধন করে দিতাম না। নির্মল বাবুকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম সুদূর বরিশাল থেকে বি এম কলেজ বাদ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাশ কোর্সে বি এসসি পড়তে এলেন কেন। মুচকি হাসি দিয়ে বলতেন, ‘সে অনেক কাহিনী ক্রমশঃ প্রকাশ্য’। সে কাহিনী ক্রমশ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কেমন করে জানি নিকট বন্ধু হয়ে গেলাম। ক্রমেই জানলাম আমার এই আপাত নিরীহ ক্লাশমেটটি মোটেই সহজ মানুষ নয়, পোড় খাওয়া মানুষ। ছোট বেলা থেকেই কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সাথে জড়িত। আর এস পির (রেভোলিউশনারি সোসালিস্ট পার্টি) জেলখাটা সদস্য। বরিশাল কলেজের ছাত্র ছিলেন – বিঘোষিত হয়েছেন ঐ কলেজে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা ‘পারসনা নন গ্রাটা’। তাই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ঢাকায় আগমন। বরিশাল তখন ছিল আর এস পির শক্ত ঘাটি। আমি অন্যদিকে সাধারণ ছাত্র, রাজনীতির সাতে পাঁচে নেই, তবে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র সংসদের পেছনের সারির চিকা মারা কর্মী। অন্যদিকে, নির্মল বাবু ছাত্র নেতা, ছাত্রলীগের প্রগতিশীল অংশের বড় নেতা, দপ্তর সম্পাদক। তবু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক প্রীতির সম্পর্ক গড়ে উঠতে অসুবিধা হয় নি। আমার মনে আছে সে সময় রোকেয়া হলের ছাত্রী কামরুন্নাহার লাইলী (বরিশালের মেয়ে) আমার পূর্বপরিচিতা আনোয়ারা (দিনাজপুরের মেয়ে) দুজনে ঢাকা হলে আসতেন নির্মল বাবুর কাছে। আমরা রাজনীতির ফাকে নির্দোষ আড্ডা মারতাম। আমার ও আমার বন্ধু শ্যামা প্রসাদ ভট্টাচার্যের মধ্যে এক অলিখিত বোঝাপড়া হয়েছিল যে নির্মল বাবু ও আমাদের এক কমন দাদা কেশব বাবুকে বি এসসি পাশ করাতেই হবে – কেননা দুজনেই সাধারণ নিয়মিত ছাত্র নন। কথা হয়েছিল শ্যামা অঙ্কে ও আমি পদার্থবিদ্যায় ওদেরকে পাশ করানোর দায়িত্ব নিব। আমাদের সে চেষ্টা একবারে না হলেও বার দুয়েকের চেষ্টায় ফলবতী হয়েছিল – দুজনকেই আমরা বি এসসি পাশ করিয়ে ছেড়েছি ভালভাবেই। রেজাল্ট আউটের দিন আমাদের আনন্দের সীমা ছিল না। বিশ্ব বিদ্যালয়ের পাঠ চুকালে আঊয়িবী মার্শাল ল আমলে আমি ও নির্মল বাবু পুরানো ঢাকায় নিমতলির এক মেসে একত্রে ডেরা বাধলাম। মেস-ভবনটির গাল ভরা নাম ‘নিম ভিলা’ আর মেসটির নাম ‘হোটেল ডিলাক্স’। বন্ধুরা ভাবত আমরা বেশ বড় একটা পশ হেটেলে আছি। আমি ইতোমধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বছরখানেক শিক্ষকতা করে আবার ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসেছি। যতদূর মনে পড়ে ষাট সালের একদম গোড়ার দিকে একদিন গভীর রাতে নির্মল বাবুকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেল – কামরাটি অনেকক্ষণ ধরে তল্লাশি চালালো। আমরা এক কামরাতেই থাকতাম। পাশের রুমে থাকতেন ছাত্রলীগের এককালের নেতা জগন্নাথ কলেজের ইতিহাসের প্রভাষক রফিকুল্লাহ চৌধুরী। নির্মল সেনের শুরু হল জেল জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। আমরা এ সময় খুব ঘনিষ্ঠভাবে আত্মিকভাবে কাছাকাছি এসেছিলাম যদিও নির্মল বাবু ছিলেন কারান্তরালে। মাঝে মাঝে তার সাথে জেল গেটে দেখা করতাম, বইপত্র, খবরের কাগজ নিয়মিত সরবরাহ করতাম। আমাদের মধ্যে দীর্ঘ পত্রালাপ হতো। জেল থেকে আসা কাটাকুটি, কালির প্রলেপ দেয়া তার চিঠিগুলি আমাকে অসীম আনন্দ দিত। আমার মনে আছে সে সময় ক্রিষ্টফার কডওয়েলকে নিয়ে আমরা বেশ পত্রালাপ করেছিলাম – ক্রাসিস ইন ফিজিক্স ও ফারদার স্টাডিস ইন ডাইং কালচার বই দুটিকে কেন্দ্র করে।
ইতোমধ্যে আমি পদার্থবজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক হিসেবে পাকাপোক্তভাবে যোগ দিয়েছি- আজিমপুরায় একটি ছোট ফ্লাট পেলাম। বাষট্টি সালে নির্মল বাবু জেল থেকে ছাড়া পেলেন – আমরা আবার একত্র হলাম আজিমপুরের বাসায়। বিয়ে করলাম কুমিল্লার এক পূর্বপরিচিতাকে। আমরা অনেকদিন বাস করলাম একসাথে। নির্মলবাবু তখন পুরোমাত্রায় রাজনীতিবিদ – কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দলের নেতা, এবং সাংবাদিক। তার পর আমি বিলেতে চলে গেলাম- আমাদের একত্রবাসে ছেদ পড়ল পুরোমাত্রায়। শ্রীযুক্ত সেন জেল থেকে অর্থনীতিতে প্রথম পর্ব পাশ করেছিলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পাশ করলেন এম এ ডিগ্রী নিয়ে। তখনই জড়িয়ে পড়লেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মাহমুদ সাহেবের প্রহৃত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, জড়িয়ে পড়লেন আউযুব বিরোধী বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনে। আমি তখন প্রবাসে।
তার পরের ইতিহাস সবারই জানা, নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা সবাই উনসত্তরে গণ আন্দোলনে ও স্বাধিকার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লাম। শ্রীযুক্ত সেন তখন বড় বামপন্থী রাজনীতিবিদ – গঠণ করেছেন কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দল । আমাদের দুটি পথ ভিন্ন দিকে বাঁক নিয়েছে। দুজনের পথ ভিন্ন হলেও, একাত্তরে আমরা দুজনেই সম্পৃক্ত হয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে। গণহত্যাকে দেখলাম কাছ থেকে, দেখলাম কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে । ২৫শে মার্চের ক্রাকডাউনের পর মুক্তাঞ্চলে চলে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলাম। সে আর এক কাহিনী। সে সময় নির্মল বাবু ফরিদপুরে কোটালিপাড়ায় ছিলেন, স্বচক্ষে দেখেছেন থানায় ওয়ারলেসে গৃহীত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা। সিদ্ধান্ত নিতে দেরী হয় নি, তিনি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়লেন নিজের পার্টির অবস্থান থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আর এস পির নেতৃবৃন্দের সাথে মিলে মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত হওয়ার কাজে মনোনিবেশ করেছিলেন। যুদ্ধের সময় জীবনের ঝুকি নিয়ে বার বার সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। অনেকবার রাজাকার আল বদর ও পাক সেনাদের হাতে ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে গিয়েছেন এই অসীম সাহসী জননেতা। আর এসপি’র এক প্রথম সারির নেতা সৌরেনদার সাথে আমার গড়ে উঠেছিল প্রীতির সম্পর্ক। আমরা এক সাথে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতির মঞ্চ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছি নানা ফ্রন্টে। ওর মাধ্যমেই কোলকাতায় নির্মল বাবুর সাথে অনেকবার দেখা হয়েছে – আমরা মত বিনিময় করেছি কীভাবে মুক্ত যুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁর দলের মুক্তিযোদ্ধাদের বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সহায়ক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা সাহায্য করেছি যথাসাধ্য নানা ভাবে। প্রবাসে থাকাকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নানা পুস্তিকা ও লেখা লিখেছেন – একটির কথা আমার এই মুহূর্তে মনে পড়ছে – ‘পূর্ববাংলা – পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ’, একটি চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী অনুসন্ধিৎসু লেখা। নির্মল সেনের লেখা বরবরই চিত্তাকর্ষক ও বিশ্লেষণী। আসুন আমরা সবাই মিলে তাঁর পাশে দাঁড়াই তাঁর জীবনের এই শেষ লগ্নে।
অলমতি বিস্তরেন।
ফোন : ৯৩৫ ০৯ ০৭/ ০১৭৪৯৭৭৩২১
তারিখ : ৬ই এপ্রিল ২০১০
আপডেট: বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট নির্মল সেনের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ। গত কয়েকদিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে নির্মল সেনের অসুস্থতার বিষয়টি প্রচারিত হওয়ায় ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষের নজরে আসে বিষয়টি। তারই পরিপেক্ষিতে গত ৭ এপ্রিল বিকেলে তারা অসুস্থ্য নির্মল সেনকে ল্যাব এইডের নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দিঘির পাড় গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। ল্যাব এইডের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মেজবাহ য়াযাদ এবং ডা. শাকিল কোটালীপাড়া থেকে নির্মল সেনকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এ সময় ল্যাব এইডের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর মেজবাহ য়াযাদ জানান, দেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নির্মল সেনের চিকিৎসার ব্যাপারে ল্যাব এইড কর্তৃপক্ষ সব কিছুই করবে। দেশের সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসা করিয়ে তারা নির্মল সেনকে সুস্থ্য করে তোলার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হবে বলে তিনি জানান। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় গত দুই মাস আগে ঢাকার নয়াপল্টনের বাসা ছেড়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের বাড়ী এসে উঠেন নির্মল সেন, এখন তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ল্যাব এইডে। কিন্তু তার সার্বিক চিকিৎসা সুসম্পন্ন করার জন্য অর্থায়নের ব্যাপারটা রয়েই যাচ্ছে। এ ব্যাপারে মুক্তমনার লেখক এবং পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
:line:
নির্মল সেনকে সাহায্য করুন (এই মুহূর্তে আর কার্যকরী নয়) |
বাংলাদেশ থেকে যারা সরাসরি ব্যাংক ড্রাফট/ ক্রস চেক/ মানিগ্রাম পাঠাতে চান তারা যোগাযোগ করুন –
অধ্যাপক অজয় রায়
২/ এফ, ইস্টার্ন হাউজিং অ্যাপার্টমেন্ট, ১০২-৪ এলিফ্যান্ট রোড,
বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৩৫ ০৯ ০৭/ ০১৭৪ ৭৯ ৭৭ ৩২১
:line:
নির্মল সেনের সাহায্যের আবেদনটি মুক্তমনায় প্রচারিত হবার পরে অনেক সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ফলে আমরা খুব কম সময়ের মধ্যেই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ১০০০ ডলার তোলার লক্ষ্য পূরণে সফল হয়েছি।
সমুদয় অর্থ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দেশেও অধ্যাপক অজয় রায়ের কাছে অনেকেই অর্থ সাহায্য পাঠিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে বিশ হাজার টাকা নির্মল সেনের চিকিৎসা এবং আনুষঙ্গিক ব্যয় বহনের জন্য দেয়া হয়েছে।
আমাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনলাইনে যে সকল সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের সবাইকে মুক্তমনার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হচ্ছে।
@মুক্তমনা এডমিন,
এ ধরনের কাজের জন্য একটি ইনভেষ্টমেন্ট ফান্ড জাতীয় কিছু করে রাখা যায় না? যাতে কিছু টাকা সবসময়ই থাকে, আর যা থেকে কিছু মুনাফা পাওয়া যায়?
কানাডায় কার সাথে যোগাযোগ করবো জানাবেন অনুগ্রহ করে?
@মণিকা রশিদ,
বাংলাদেশের বাইরে থেকে সাহায্য করলে উপরে দেয়া পে-প্যালের লিঙ্ক থেকে করলেই ভাল হবে। আর তাছাড়া আমাদের ফরিদ ভাই তো আছেনই ক্যানাডায়, যে কোন সাহায্যের জন্য 🙂
নির্মল সেন সংক্রান্ত আপডেটটি ইংরেজীতে দিতে হচ্ছে বলে দুঃখিত।
যারা নির্মল সেনের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অজয় রায়
@অজয় রায়, :yes:
আপডেট
মুক্তমনা সদস্যদের কাছ থেকে এ পর্যন্ত (Apr 28, 2010) $497.71 USD পাওয়া গেছে পে পালের মাধ্যমে। এ ছাড়া মুক্তমনা এডমিন টিমের পক্ষ থেকে আরো 200$ হিসেবে মোট ৬৯৭.৭১ ডলার সংগৃহীত হয়েছে। পে-পাল থেকে ব্যাঙ্ক ট্রাঞ্জেকশনে কেটে রাখা অর্থ ছাড়া বাদবাকি সমুদয় অর্থ বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই ফান্ড রেইজিং চলতেই থাকবে। আপাততঃ আমাদের লক্ষ্য পে-প্যালের মাধ্যমে ১০০০ ডলার ওঠানো।
যারা নির্মলসেনের জন্য অর্থসহায্য করেছেন কিংবা করছেন, তাদের জানাই মুক্তমনার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা।
আমাদের এই আহবান অন্য ব্লগে/ ফেইস বুকে/ নিউজপেপারে ছড়িয়ে দিন।
আপটেড : নির্মল সেনের অবস্থার আরো অবনতি
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও কলামিস্ট নির্মল সেন বার্ধক্য জনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ্। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে তিনি ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসায় তার শাররীক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না; ক্রমেই তা আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের তেমন কিছু করার নেই। তারা নির্মল সেনের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় নিখরচায় বহন করছে।
এরই মধ্যে নির্মল সেন তার দৃষ্টিশক্তি প্রায় হারাতে বসেছেন। তার হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে। কথা অস্পষ্ট ও জড়ানো। ঘনিষ্টজন ছাড়া তার কথার মর্মার্থ উদ্ধার করা কঠিন।
ল্যাব এইড হাসপাতালের নিউরো মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নির্মল সেনের বাম গোড়ালিতে জরুরিভিত্তিতে অপারেশন করা প্রয়োজন। বছর দুয়েক আগে তিনি পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছিলেন। তখন ঢাকার ট্রমা সেন্টারে তার চিকিৎসা হয়েছিল। ডা. সিরাজুল ইসলামের মতে, ওই চিকিৎসাটি যথাযথ ছিল না। কিন্তু রোগির শাররীক অবস্থা এতোই দুর্বল যে, গোড়ালিতে অপারেশন করা হলে তার ব্রেইন স্ট্রোক করার ঝুঁকি আছে। …
এদিকে কমিউনিস্ট নেতা নির্মল সেনের ঘনিষ্ট বন্ধু অধ্যাপক অজয় রায় জানাচ্ছেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, রোগিকে হাসপাতালে রেখে খুব একটা লাভ নেই। কিন্তু আর্থিক দুরাবস্থার কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়ে নিবিড় যত্ন, পরিচর্যা ও চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় রাখা কষ্টকর হবে। এ জন্য অধ্যাপক অজয় রায় বিত্তবান ও প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহব্বান জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতেই অজয় রায় হাসপাতালে রোগির সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটান। তিনি নির্মল সেনকে জানিয়েছেন, এরই মধ্যে হৃদয়বানরা কিছু কিছু অর্থ সাহায্য দিয়েছেন। ওই টাকা তার কাছে জমা আছে। জবাবে নির্মল সেন তাকে বলেন, টাকাটা যেনো তিনি তার কাছেই জমা রাখেন। প্রয়োজনে তার দেখভালের দায়িত্বরত ঘনিষ্টজনেরা সেটি তার কাছ থেকে চেয়ে নেবেন।
অর্থ সাহায্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
নির্মল সেনকে বাঁচাতে অর্থ সাহায্য করুন। সরাসরি যোগাযোগ করুন অথবা ব্যাংক ড্রাফট/ ক্রস চেক/ মানিগ্রাম পাঠান।
অধ্যাপক অজয় রায়
২/ এফ, ইস্টার্ন হাউজিং অ্যাপার্টমেন্ট, ১০২-৪ এলিফ্যান্ট রোড,
বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭
বাংলাদেশ।
ফোন: ৯৩৫ ০৯ ০৭/ ০১৭৪ ৭৯ ৭৭ ৩২১
—
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। নির্মল সেনের দীর্ঘায়ু কামনা।। :yes:
পুনশ্চ: আরো পড়ুন: একজন নিঃসঙ্গ শেরপাকে বাঁচান
@বিপ্লব রহমান,
আপডেটের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। কালের কন্ঠ সহ অন্যন্য পত্রিকায় কি এ সংক্রান্ত কোন নিউজ করার উদ্যোগ নিয়েছেন? এটি করলে বেশ ভাল হয়।
@অভিজিৎ দা,
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
এ বিষয়ে কাগজটির কর্তাদের সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে। আমরা মুক্তমনা ডটকম-এ প্রকাশিত অজয় স্যারের এই লেখাটি ছাপতে আগ্রহী ছিলাম। স্যার আমাকে লেখাটি মেইলেও পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু আমি নিজে এই প্রকিয়ায় যুক্ত হওয়ার আগেই লেখাটি এরই মধ্যে দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক সমকাল-এ প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক কালের কণ্ঠ একটি নতুন পত্রিকা হওয়ায় প্রকাশিত লেখা পুনর্মূদ্রন আমাদের ভাবমূর্তির জন্য একটু ঝূঁকিপূর্ণ হয়: তাই আমরা এ বিষয়ে অজয় স্যারের নতুন লেখা ছাপতে আগ্রহী। এরই মধ্যে ওনার সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা হয়েছে। উনি শিগগিরই আমাদের কাগজটিতে নতুন লেখা দেবেন বলে আশা করছি। :yes:
ড: অভিজিৎ,
আমি অনুভব করছি সাংবাদিক নির্মল সেন কে। ক্রেডিট কার্ড ব্যাতীত সরাসরি টাকা পাঠাবার সহজ উপায়কি আছে? দয়াকরে জানাবেন। সহানুভূতিশীল, সহমর্মী এবং উদ্যোগী মুক্তমনাদের প্রতি শুভেচ্ছা।
@কেশব অধিকারী,
নীচে বিপ্লবের মন্তব্য দেখুন। সেখানে সরাসরি টাকা পাঠাবার উপায় বলা আছে। আপনার আগ্রহের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক ও রাজনীতিক নির্মল সেনের পাশে দাঁড়াতে চাই। যে কোনো প্রয়োজনে উদ্যোগী ব্লগাররা যোগাযোগ করতে পারেন।
ইমেইল: [email protected]
ফোন: (+৮৮০২) ৮১৫ ১৪৪১
অনেক ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান,
এই তথ্য দিয়ে একটি পোষ্ট আমার ব্লগে দেন। আমি গতদিন মুক্তমনার পে-পাল লিংক দিয়ে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। মুশকিল হল দেশে অনেকে সাহায্য করতে চান, কিন্তু তারা পে-পাল জানেন না বা নিরাপদ বোধ করেন না। আপনার ভায়া মিডিয়া তারা সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারেন।
@আদিল মাহমুদ,
:yes:
@বিপ্লব রহমান,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ উদ্যোগ নেয়ার জন্য। নির্মল সেনের সাহায্যের ব্যাপারে দায়িত্ব পালন করায় আপনি সাংবাদিক হিসেবে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছেন। মুক্তমনার পক্ষে থেকে দায়িত্ব নিন – অধ্যাপক অজয় রায়ের সাথে যোগাযোগ করে বাংলাদেশেও একটা ফান্ড রেইজিং ড্রাইভ-এর উদ্যোগ নিন। এর ফলাফল আমাদের ধারাবাহিকভাবে জানাতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে যারা নির্মল সেনের জন্য সাহায্য করেছেন বা করছেন তারা এখানে তাদের ভূক্তি অন্তর্ভুক্ত করে যেতে পারেন। আমাদের ট্র্যাক করতে সুবিধা হবে।
@অভিজিৎ দা,
আপনাকেও ধন্যবাদ। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।
তবে স্বীকার করতে দোষ নেই, আমার মতো অক্ষরজীবীদের ১০-১২ ঘন্টার অমানুষিক শ্রম এবং পরিবার-স্বজনকে সময় দেওয়ার নিজস্ব সময় বলতে তেমন কিছু থাকে না। … 🙁
এরপরেও মুক্তিযোদ্ধা এসএম খালেদ চিকিৎসা তহবিল গঠনে সচলায়তন ডটকম-এর সহব্লগারদের সঙ্গে আমিও চাঁদা সংগ্রহে চেষ্টা করেছি। প্রতিবন্ধীদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বি-স্ক্যান’এর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি আমারব্লগ ডটকম-এর সহব্লগারদের সঙ্গে। জানি না, এবার নির্মলদার জন্য কতটুকু কি করতে পারবো বা আদৌ কিছু করতে পারবো কি না! 😕
@বিপ্লব রহমান,
বিপ্লব দা, বাদাইম্যা গোত্রের মানুষ হিসেবে ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ তো একান্তই সীমিত ! তবু আপনি কি অজয় স্যারের কাছ থেকে কোন একাউন্ট বা পদ্ধতি জেনেছেন, কিভাবে আমাদের আর্থিক ইচ্ছাগুলো যুক্ত করতে পারি ?
সময় দেয়ার সুযোগ হয়তো নেই, সীমিত সামর্থটুকু প্রয়োগ করতে চাই নির্মল দা’র জন্য।
এই জাতির জন্য যিনি গোটা জীবনটাই ব্যয় করে দিয়েছেন, চাইলেই যিনি জীবনে বহুকিছু করতে পারতেন, সততার মূর্ত প্রতীক নির্মল সেনের মতো ব্যক্তি অনাদর-অবহেলায় যত্নহীন বিনা চিকিৎসায় অন্তরালে পড়ে থাকবেন, এতো বড় রাষ্ট্রিয় ব্যর্থতায়ও আমাদের মহান রাষ্ট্রনেতারা চোখ বুজে থাকতে পারেন, কিন্তু আমরা সংগতিহীন নিরূপায় নাগরিকরা এই লজ্জা আর অসহায়তার ভার সইবো কী করে ! আমরা বড়ো ছোট মানুষ, এই লজ্জার ভার বইতে পারি না আমরা। সহজেই কাতর হয়ে পড়ি। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী কিছুই করতে পারি না। আমাদের অসহায়তা আমাদেরকে কুরে কুরে খায়। কিন্তু যারা পারেন, কিছু করার মতো ক্ষমতা যাদের রয়েছে তারা কিছু করেন না। হাহ্ !
থুথু দেই সেসব রাষ্ট্রনেতাদের মুখে !
@রণদীপম বসু,
:yes:
বাংলাদেশ থেকে কীভাবে টাকা পাঠাবো? কোন ব্যাঙ্ক একাউন্ট ইনফো কি দেয়া যায়?
@শুভ,
আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।
মূল পোস্টে লেখকের ফোন নম্বর দেয়া আছে। আপনি যোগাযোগ করুন।
আপডেটঃ
অধ্যাপক অজয় রায় নির্মল সেনের সাথে গত সপ্তাহে দেখা করেছিলেন। নির্মল সেনের শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে, খুব বেশি যে ভাল আছেন তা বলা যাবে না। এর মধ্যেও তিনি অজয় রায়ের সাথে বিস্তারিত কথা বলেছেন। এই ফান্ড রেইজিং এর ব্যাপারে ডঃ অজয় রায়কে উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অধ্যাপক অজয় রায় জানিয়েছেন, ল্যাব এইড মিঃ সেনের চিকিৎসার ব্যয়ভার নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হলেও তার অনুষঙ্গিক খরচের জন্য অর্থ যোগাড়ের প্রয়োজন। নির্মলসেন এই ব্যাপারে আমাদের সকলের সাহায্য চেয়েছেন।
অধ্যাপক অজয় রায় আবারো ২/৩ দিনের মধ্যে আরেকটি আপডেট জানাবেন।
লেখাটি ফেইস বুকেও যুক্ত করলাম।অজয় রায়ের আবেদন বৃথা যাবেনা। তবে তার চিকিৎসার আপডেট মুক্তমনায় জানালে ভাল হয়।যতদিন নির্মল সেনের চিকিৎসা ও অন্যান্য সমস্যা সমাধান না হয়, ততদিন যেন আমাদের সাহায্য অব্যাহত থাকে।
@হেলাল,
অনেক ধন্যবাদ। অন্য যাদের ফেসবুক একাউন্ট আছে, কিংবা যে সদস্যরা অন্য ব্লগ কিংবা কমিউনিটিতে লেখালিখি করেন, তাদের প্রতিও একই অনুরোধ রইলো, তারা যেন এই প্রচেষ্টার ব্যাপারটি সেখানে জানিয়ে দেন।
মুক্তমনা দার্শনিক এবং সামাজিক আলোচনার পাশাপাশি মানবিকতাবধেও উজ্জীবিত হয়ে উঠুক।
ফান্ড রাইজিং এর আপডেট ধারাবাহিকভাবে এই পোস্টে জানানো হবে খুব তাড়াতাড়িই।
ভাল একটা কাজ হল।
দেখি, অন্য ব্লগেও এই লিংক দিয়ে দেব, অনেকেই হয়ত সাহায্য করবেন।
মূল পোস্টে পে-পালের লিঙ্ক সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে তারা স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে যতটুকু পারেন তা দিয়ে নির্মল সেনের জন্য এগিয়ে আসুন।
ইংরেজীতে লেখা আমাদের আবেদন রাখা আছে এখানে –
http://www.mukto-mona.com/human_rights/Nirmal_sen/donate/
আপনারা নিজেরা অর্থ সাহায্য করুন, এবং আপনার কাছের বন্ধু বান্ধবদের এবং শুভানুধ্যায়ীদের লিঙ্কগুলো পাঠিয়ে অন্যদেরও অর্থ সাহায্যে উৎসাহিত করুন।
এ ছাড়া, মুক্তমনার পুরোনো ফান্ড থেকে ২০০ ডলার নির্মল সেনের চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের কর্মকান্ডের বৌনি করা হলো।
মুক্তমনা কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ এই উদ্যোগটা নেওয়ার জন্য। পে প্যাল দিয়ে আগে কখনও টাকা পাঠাইনি, আজকে প্রথম পাঠালাম এখানে। আশা করি ঠিকঠাক মত গেছে।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা, পে-পাল ছাড়াও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পে করলে একই একাউন্টে যাবে তাই না?
ইংরেজী আবেদন পত্রের নীচের তারিখটা বোধ হয় বদলানোর প্রয়োজন।
@আকাশ মালিক,
আপনি বোধ হয় মিন করেছেন যে, আপনার যদি পে পাল একাউন্ট না থাকে তাহলেও আপনি (ত্রেডিট কার্ড দিয়ে) ডোনেট করতে পারবেন কিনা। উত্তর হচ্ছে – হ্যা পারবেন। একই একাউন্টেই যাবে। ডোনেট বাটনে ক্লিক করার পর যে পেইজে যাবে সেখানে উপরে আপনি আপনার পছন্দমতো অর্থসংখ্যা বসানোর পরে ‘আপডেট টোটাল’ বাটনে’ ক্লিক করুন।
তারপরের পেইজে গেলে নীচে দেখবেন Don’t have a PayPal account? …Use your credit card or bank account (where available). Continue
কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করেই আপনি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ডোনেট করতে পারবেন।
আর হ্যা, ইংরেজী পেইজের তারিখ ঠিক করা হয়েছে, অনেক ধন্যবাদ।
যখন দেখি- মুক্তমনার মানুষেরা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যেখানেই মানবতা লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেখানেই সোচ্চার প্রতিবাদ করেছে। যখন দেখি- দূর্গত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, যখন দেখি স্কুল নির্মানে সহযোগীতা করেছে, যখন দেখি- প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর নির্মল সেনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তখন তো বিবেক জাগ্রত হয়ই।
এগিয়ে আসতে চাই। আশাকরি পথিক পথ দেখাবেন।
এমন একটা ব্যাপার মনে হয় অনেকেই এগিয়ে আসবে । কার্যক্রম শুরু হোক । এই প্রসঙ্গে ল্যাব এইড কে ধন্যবাদ ! আর ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় আজয় সার কে ।
Mukto mona admin,
Ami dukkhito Banglay type korte parchina karon office er desk tope Bangla down load kora jay na.
Jahara Nirmal Sener pashe daranor angikar korechen tader sobaike janai sadhubad.
Ami apnader sobar songe thake chai.
Jodi ei funder Bank details petam tahole samortho onusare Taka pathate partam.
Dhanyobad.
Sentu Tikadar
@Sentu Tikadar,
আপনার মন্তব্য বিশেষ বিবেচনায় গ্রহণ করা হলো। এর পর থেকে বাংলায়(বাংলা হরফে) মন্তব্য করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। নীতিমালা দেখুন-
বাংলায় লেখা বা অন্য সাহায্যের জন্য নিচের লিংক অনুসরণ করতে পারেন-
প্রায়শ জিজ্ঞাস্য বা সাহায্য
বাংলা ঠিকমত দেখতে এবং লিখতে হলে
মুক্তমনার এই কাজগুলোকেই ধীরে ধীরে সামনে আনতে হবে। কে প্রত্যাদেশ বিরোধী আস্তিক, কিংবা কে সর্বেশ্বরবাদী আর কে মডারেট মুসলিম তা নিয়ে সারা জীবন ধরে তর্ক করা যায়, কিন্তু এই ধরণের মানবতাবাদী কাজগুলোই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে, বাকি অর্থহীন তর্কগুলো হারিয়ে যাবে। নির্মল সেনকে সাহায্যের ব্যাপারে সবাই এক সাথে হয়ে কাজ করলে আমার মনে হয় না টাকা তোলা খুব বেশি কঠিন কিছু হবে। আমি সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।
@রাহাত খান,
একমত প্রকাশ করার উপযুক্ত ভাষা আমার জানা নেই।
নির্মল সেনের সাথে আমার একবার দেখা হয়েছিল, খুব সম্ভবতঃ ১৯৭০ সালে। আমরা দলবেঁধে এক গ্রামে যাচ্ছিলাম একটা জনসভা করার জন্য। মনে পড়ছে নির্মল সেন ও আমাদের সাথে ছিলেন। খুব সাধারণ পোষাক পরিহিত, চুপচাপ ও অত্যন্ত অমায়িক স্বভাবের ব্যক্তি ছিলেন নির্মল সেন। ওনার সাথে টুকটাক আলাপ হয়েছিল সমাজ দর্শন নিয়ে।
যাই হোক, নির্মল সেনের এই দুর্দিনে আমাদের এগিয়া আসা দরকার। এ ব্যাপারে অভিজিত যা সিদ্ধান্ত নেয় তাতে আমি সাড়া দেব।
নির্মল সেনের মতো সৎ, আদর্শবাদী, নির্ভীক রাজনীতিক বাংলাদেশের গৌরব। তিনি মানুষের জন্য নিজের জীবনকে এমনভাবে তিলে তিলে উৎসর্গ করেছেন – ভাবলে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়। দেশভাগের পরে তাঁর মা ভারতে চলে যান। নির্মল সেন মাকে দেখতে যেতে পারেন নি, কারণ পাকিস্তান সরকার তাঁকে পাসপোর্ট দেয় নি। সেই মায়ের সাথে তাঁর দেখা হলো একাত্তরে, পশ্চিম বাংলায়, যুদ্ধের শেষে, মাত্র কয়েক ঘন্টার জন্য। যুদ্ধের সময় নানা ব্যস্ততায় দেখা করা সম্ভব হয় নি। তাঁর লেখা “আমার জবনবন্দী” পড়ে আমি অভিভূত।
সত্তরের দশকে দেখতাম খদ্দরের পাঞ্জাবী পরে কালো মোটা চশমা চোখে নির্মল সেন হেঁটে যাচ্ছেন ঢাকার রাজপথে, একগাদা পত্রপত্রিকা হাতে বা বগলে। তাঁর নাম শুনলেই এখনো সেই চিত্রটাই মনে ভেসে ওঠে।
নির্মল সেনের মতো ত্যাগী, নিঃস্বার্থ, আর সাহসী রাজনীতিক/সাংবাদিকরা আছেন বলেই আমি এখনো দেশের ওপর আশা রাখি, ভরসা পাই।
দুঃখ পেলাম তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে, শ্রদ্ধেয় অজয় রায়ের লেখা পড়ে। আপনাদের সাথে আমিও আছি – অভিজিৎকে অনুরোধ জানাবো মুক্তমনায় তাঁকে সাহায্যের উদ্যোগ নেয়ার জন্য।
@ইরতিশাদ ভাই,
খবর পেয়েছি নির্মল সেনকে ল্যাব এইডে নেয়া হয়েছে। মূল পোস্টে আপডেট দেয়া হয়েছে।
আর মুক্তমনা থেকে এ ব্যাপারে সাহায্য করাই যায়। আমাদের এ ধরনের কাজে আগে একটা ফান্ড একাউণ্ট ছিলো। আমরা যখন রৌমারির জন্য বন্যায় বিদ্ধস্ত স্কুল নির্মাণ করেছিলাম তখন একটা ড্রাইভ নেয়া হয়েছিলো। এখন আবার আরেকটা ড্রাইভ নেয়া যেতে পারে। খুব বেশি সাহায্য করতে পারব কিনা জানি না, কিন্তু যেটুকু পারা যায় তাতেই কাজ চলার কথা। মুক্তমনার পাঠক এবং লেখকদের আগ্রহ থাকলে শুরু করা যায় এ নিয়ে কাজ।
@অভিজিৎ, :yes:
কার্যক্রম শুরু হোক।
@অভিজিৎ,
রৌমারির জন্য বন্যায় বিদ্ধস্ত স্কুল নির্মাণের সময় যে ভাবে সাহায্য সংগ্রহ করা হয়েছিল সেভাবেই করা হউক। মুক্তমনার প্রবাসী সদস্যদের জন্যে পে-পালই উত্তম এবং সহজ পন্থা। এভাবে সদস্য ছাড়াও নির্মল সেনের অনেক শুভানুধ্যায়ী সাহায্য করার সুযোগ পাবেন।
আমাদের একটা ট্রাস্ট বা ফান্ড খোলা দরকার। কিছু একটা দাঁড়া করাতে পারলে কর্মী জোগাড় করা যাবে। নাইলে এরকম পোস্ট বার বার আসবে আর আমরা বার বার হা হুতাশ করে শেষ করে দিব। এর কোন মানে হয়না। কিছু করার ইচ্ছা কম বেশি সবার আছে। কিন্তু কেউ একজন কে দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকার কেউ প্লিজ আগে কাজে হাত দিন। কাজ আদায় করে নেয়াটা কিন্তু খুব একটা কঠিন না। শুধু দায়িত্ববান কাউকে সবসময় ব্যপারটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তানভী খুব প্রয়োজনীয় কিছু কথা বলেছে। ঢাকা নিবাসী মুক্তমনা সদস্যদের কেউ উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলে এখানে জানানোর আহবান জানাচ্ছি। সীমিত আকারে কিছু ফান্ডিং-এর ব্যবস্থা করলেও সেটাই অনেক হবে।
@অভিজিৎ দা, কিভাবে এই উদ্যোগে সাহায্য করতে পারি? সমন্বয়ের কাজ দিলে চেষ্টা করতে পারি। নির্মল সেনের অসুস্থতার খবরটা আগেই পত্রিকায় দেখেছি। অজয় স্যারকে ধন্যবাদ এই বিষয়টা সামনে আনার জন্য। কাউকে মরণোত্তর সম্মান দেয়ার চেয়ে তাকে জীবদ্দশায় কিছুটা সাহায্য করাতেই কৃতিত্ব আছে বলে আমি মনে করি। এই বিষয়ে সবার সাহায্য চাই।
@পথিক,
সেইটাই, মরনোত্তর সম্মাননা আমার কাছে ফাজলামী ছাড়া আর কিছু মনে হয় না।
এখন আপনাদের কাজ হবে যে মুক্তমনার সদস্যদের মধ্যে মেইলে যোগাযোগ করে প্রথমেই নির্মল স্যারের জন্য একটা ব্যবস্থা করে দেয়া। এক্ষেত্রে পথিক ভাইয়ের কাজ হবে যে একটা ব্যংক একাউন্ট খুলে সেটাতে স্বল্প সময়ে যত জন থেকে সম্ভব ক্ষুদ্র অবদান গুলো জড়ো করা। এবং স্যারের কাছে পৌছে দেয়া। চাইলে একাউন্টের সব ডিটেইল ব্লগেও দিয়ে দেয়া যেতে পারে।
এরপর এই মিশন সফল হলে আমরা বড় কাজের জন্য ফান্ড খোলার চিন্তা ভাবনা করতে পারি। সেক্ষেত্রে শিক্ষানবিস ভাই ও রায়হান আবীর ভাই অনেক হেল্প করতে পারবেন। কারন আমার জানা মতে ক্যাডেট কলেজ ব্লগ থেকে উনাদের বড় এমাউন্টের ফান্ড কালেকশনের অভিজ্ঞতা আছে। তাই ট্রাস্ট গঠনের ইচ্ছা থাকলে কাজের মানুষের অভাব হবে না।
তবে প্রথমে স্যারের জন্য কাজ টা দ্রুত করে ফেলতে পারলেই ভালো হয়। ঢিমেতাল গায়ে এসে গেলে আবার সব চুপচাপ হয়ে যাবে। আর যদি একটা ঠিক ঠাক মত করে ফেলা যায় প্রথমে, তবে পরের গুলো নিয়ে সবারই চরম উৎসাহ থাকবে আর সাথে সাথে একটা পথ ও তৈরি হয়ে যাবে।
@তানভী, মুক্তমনার একটা বড়সড় ফান্ড ছিল অনেক আগে থেকেই। এক সময় মুক্তমনা থেকে বেশ বড় কয়েকটা প্রজেক্ট এর কাজও করা হয়েছিল। এখনও সেই ফান্ডে কয়েকশ’ ডলার থাকার কথা। রোমারী প্রজেক্টে এখনও সেই ফান্ড থেকেই সাহায্য চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সময়ের অভাবে এখন আর কেউ মনে হয় এগুলো কাজে হাত দিতে চায় না।
মুক্তমনার এডমিনরা কেউ একটা পে প্যাল আ্যকাউন্ট খুলে ফেললে খুব সহজেই বাইরের টাকাগুলো জোগাড় করে ফেলা যায়, তারপর টাকাগুলো ট্র্যান্সফার করাতো কোন কঠিন ব্যাপার নয়।
@ বন্যাপু
এর পরে আর নতুন করে কিছু বলার থাকেনা। কাজ টা শুধু হবার বাকি।
@পথিক,
এ ব্যাপারে কাজ করতে চাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। এ ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে দুটি কাজ করতে পার।
১) নির্মল সেনকে সাহায্যের জন্য কোন ফান্ড ঢাকায় খোলা হয়েছে কিনা সেটার ব্যাপারে খোঁজ নিতে পার। আমার ধারণা তুমি অজয় রায়কে ফোন করলে (লেখায় ফোন নম্বর দেয়া আছে) তিনি তথ্য দিতে পারবেন। এ ছাড়া ল্যাব এইডে তিনি যার তত্ত্বাবধানে আছেন, তাদের সাথেও যোগাযোগ করে দেখতে পার। নিশ্চয় সাহায্যের জন্য কোন একাউন্ট খোলা হয়েছে। যদি একাউন্ট খোলা হয়ে থাকে, তবে সেটার তথ্য আমাদের এখানে ব্লগে জানাতে পার।।
২) যদি কোন একাউন্ট খোলা না হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা নিতে পার। এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্টরা যারা উনার তত্ত্বাবধান করছেন, তাদের সাথে মিলে কাজটা শুরু করতে পার, এবং আমাদের জানিয়ে দিও।
আর প্রবাসী বাংগালীদের কাছ থেকে কিভাবে সাহায্য পাওয়া যাবে, সেটা নিয়ে আমার একটু ভাবতে হবে। পে পালের মাধ্যমে টাকা ডোনেটের ব্যবস্থা করা যায় আমাদের সাইটে। আমি আগে করেছিলাম রৌমারি প্রোজেক্টে। ফলে সদস্যরা তাদের ক্রেডিটকার্ডের মাধ্যমে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা দিতে পারেন কম্পিউটারে বসেই। পরে সেই টাকা বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু পে পালের মাধ্যমে করলে সেখানে প্রতিটি ট্রাঞ্জেকশনে একটা ফি কাটা যায়। সবচেয়ে ভাল হয় বাংলাদেশের কোন একাউন্টের খবর জানলে। তাহলে সরাসরি সেখানে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় মুক্তমনার তরফ থেকে কোন ঝামেলা ছাড়াই।
আসলেই আমাদের কিছু করা উচিত। আরো ক’বছর আগেই একবার এমন খবর দেখেছিলাম যে টাকার অভাবে ওনার চিকিতসা হচ্ছে না। আশা করি সবাই এগিয়ে আসবেন।
উনি বাংলাদেশের একজন বিরল বুদ্ধিজীবি যিনি নিজের জন্য কোনদিন কোন ধান্ধাবাজি করেনন, যেখানেই অন্যায় দেখেছেন সেখানেই মুখের উপর প্রতিবাদ করেছেন। ফল হয়েছে ওনার থেকে ঢের ঢের পাতি সাংবাদিক চাটুকাররা কোটিপতি হয়েছে, আর ওনার হয়েছে এই হাল। এই ভদ্রলোক বংগবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন কিন্তু কোনদিন কোন অন্যায় সুযোগ নেননি। বংগবন্ধুর বিরুদ্ধেও তা কলম গর্জে উঠতে দ্বিধা করেনি।
@ স্যার অজয় রায়।
নির্মল সেনের অবস্থার কথা শুনে ভীষণ খারাপ লাগছে। আমার যদি সামর্থ থাকতো তাহলে পাশে গিয়ে দাড়াতাম।
আমার মনে হয় আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি, তাদের মধ্য থেকে উদ্যোগ নিলে, অন্ততঃ নির্মল সেনের আর্থিক ব্যাপারটার কিছুটা হলেও সুরাহা হতে পারত। তার মত একজন ত্যাগী নেতা অর্থাভাবে এভাবে কোটলিপাড়ায় পড়ে আছেন তা ভাবতেও খারাপ লাগছে।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ দা, প্রথম পেইজের ডনেট করার তিনটি লিংকের একটাও কাজ করছেনা। আমার দু একজন বন্ধু অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে আমাকে ফোন করলো। অবশ্য একটা একটিভ লিংক বের করে আমি তাদেরকে দিতে পেরেছি।
একটু দেখবেন প্লীজ।
@আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ বিষয়টি নজরে আনার জন্য। আসলে কোড চেঞ্জ করতে গিয়ে কোন সমস্যা হয়েছিলো মনে হয়। এবারে ঠিক করে দেয়া হয়েছে। দেখুন তো এখন কাজ করছে কিনা।
@অভিজিৎ,
হ্যাঁ, এবার ঠিক হয়েছে।
ধন্যবাদ।