নেপালের সাথে আমাদের সাংস্কৃতিক যোগাযোগের ইতিহাস বেশ পুরোনো। প্রথমত অতীশ দীপংকরের বৌদ্ধধর্মের বানী নিয়ে নেপাল হয়ে তিব্বত গমন। তার পরে নেপাল রাজদরবারে চর্যাপদের আবিস্কার। এছাড়াও ভাষার উৎসমুল সংস্কৃত হওয়াতে দু’ভাষার মধ্যে অনেক মিল খুজে পাওয়া যায়। আমার হিসাবে প্রায় ৩০ ভাগ শব্দই একই ধরনের। তবে আজকে যে বিষয়টি নিয়ে বলছি সেটা আরো আধুনিক ইতিহাস- মুক্তিযুদ্ধ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে বড় মিত্র ভারতের অবদান এবং এর ইতিহাস আমরা অনেকভাবেই অবগত। বেসারমিক-সামরিক সব দিক দিয়েই ভারতের বিরাট ভূমিকা। ছোট খাট ভাবে হলেও নেপালি জনগনেরও একটা ভূমিকা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে। তবে সেটা যতটা না সরকারিভাবে, তার চেয়েও বেশি বেসরকারিভাবে। নেপালিদের অংশগ্রহণ মূলত দুরকমের।
প্রথমত, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটা অংশ গুর্খা রেজিমেন্ট। গুর্খারা মূলত নেপালি। নেপালের মধ্য অঞ্চলের জনগন (তামাং, মগর, লিম্বু, রাই) সহ আরো কিছু জনগোষ্ঠীকে নিয়ে গুর্খা জাতীগোষ্টী। এরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে আমাদের যুদ্ধে অংশ নেয়। সেসব সৈন্যদের এখনো অনেকে জীবিত আছেন এবং নেপালে বসবাস করছেন। তেমনি একজন হলেন লাচুমান মগর। যিনি প্যারট্রুপিং করে বাংলাদেশের মাটিতে নেমেছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে।
দ্বিতীয়ত, নেপালি কংগ্রেসের মুক্তিযুদ্ধে অবদান। নেপালের রাজনীতিতে যে পরিবারটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও প্রতাপশালী সেটি হল কৈরালা পরিবার। এ প্রসংগে কৈরালা পরিবার সম্পর্কে একটু বলে নেই। কৃষ্ণ প্রসাদ কৈরালার তিন ছেলে। মাতৃকা প্রসাদ (বলিউডি সিনেমার নায়িকা মনীষা কৈরালার দাদা), বিশ্বেশ্বর প্রসাদ (বিপি কৈরালা) এবং গিরিজা প্রসাদ (জিপি কৈরালা)। এদের হাত ধরেই নেপালি কংগ্রেসের জন্ম। নেপালি কংগ্রেস আর কৈরালা পরিবার ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। বিপি এবং জিপি কৈরালা দুজনেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জিপি কৈরালা মোট চার বার প্রধানমন্ত্রী হন। এর মধ্যে নেপালের রাজার ক্ষমতা দখল আর গণতান্ত্রিক আন্দোলন নিয়ে অনেক উত্থান পতনের গল্প আছে। সেগুলো আজকের প্রবন্ধের বিষয় নয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কৈরালা ভাইয়েরা ভারতে নির্বাসিত ছিলেন। রাজা ক্ষমতা দখলের পর গিরিজাকে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে ভারতে নির্বাসনে পাঠান ১৯৬৭ সালে। সেখানে গিরিজা ভাতৃদ্বয় (জিপি এবং বিপি)নেপালে গণতন্ত্রের পুনর্বাসনের জন্য জনমত সংগঠিত করছিলেন এবং রাজার বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। তারা কিছু অস্ত্রও জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু তারা পরে ভারতীয় নেতা জয় প্রকাশ নারায়ণের অনুরোধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সেগুলো দিয়ে সাহায্য করেন।
কৈরালা ভাইদের মধ্যে কনিষ্ঠ গিরিজা প্রসাদ গত ২০ মার্চ, ২০১০ বার্ধক্য জনিত কারনে মৃত্যু বরন করেন। ২০০৯ এর ৯ মে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে তার সহযোগিতার বিষয়ে একটি বিবৃতি দেন। এই বিবৃতিটি সংগ্রহ করেছেন নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অফ চ্যাঞ্চারি, সংস্কৃতিকর্মী নাসরিন জাহান লিপি।
বিবৃতিটি তিনি দেন ইংরেজিতে। তিনি বলেন—
“প্রথমেই সে সময়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে বলি।স্নায়ু যুদ্ধের সময়ে আমাদের এই অঞ্চল স্পষ্টত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। ইন্দো-রুশ ব্লক এবং সিনো-মার্কিন ব্লক। সে সময়ে আমাদের পার্টি নেপালি কংগ্রেস এর নেতারা ভারতে নির্বাসিত ছিল। আমরা নির্বাসিত ছিলাম কারন সে সময়ে রাজা নির্বাচিত গনতান্ত্রিক সরকার কে উচ্ছেদ করে নিজেই ক্ষমতা দখল করেন। আমরা ভারতে থেকেই নেপালে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন করে যাচ্ছিলাম। তারই অংশ হিসাবে আমরা বেশ কিছু অস্ত্র শস্ত্র জোগাড় করেছিলাম।
বামপন্থী নেতা জয় প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন আমাদের খুব ভালো বন্ধু। বিশেষকরে আমার বড় ভাই বিপি কৈরালা (যিনি তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু রাজা সে ক্ষমতা দখল করে নেন) ও জয় প্রকাশ নারায়ণ ছিলেন খুবই ঘনিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ যখন একটি গুরুত্বপুর্ণ অবস্থা পার করছিল তখন জয় প্রকাশ নারায়ণ নেপালি কংগ্রেসকে সাহায্য করতে অনুরোধ করলেন, বিশেষকরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে। উল্লেখ্য যে, মি নারায়ণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সহযোগী ছিলেন।
আমরা বিষয়টা নিয়ে অনেক আলোচনা করি। জয় প্রকাশ, আমার ভাই বিপি কৈরালা এবং আমি উত্তর প্রদেশের মোগলসরাই রেল স্টেশনে ট্রেনের একটি বগিতে বসে আলোচনা করি। জয় প্রকাশ সেই ট্রেনে করে দিল্লী ফিরছিলেন। এ সময়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আমি সরোজমিনে দেখার সিদ্ধান্ত নেই এবং চুপি চুপি বাংলাদেশের একটি অঞ্চলে প্রবেশ করি ও কয়েকদিন সেখানে কাটাই। ফিরে আসার পরে আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের সিদ্ধান্ত নেই। আমরা মনে করেছি যে বাংলাদেশের এই যুদ্ধ এ অঞ্চলের উন্নতি ও সংহতিতে ভূমিকা রাখবে।
আমরা তখন আমাদের লোকজনদের বলি (চক্র প্রসাদ বাসতলা, কর্নেল বিডি রাই এবং আমার শ্যালক সুধীর উপাধ্যায়) আমাদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ গেরিলাদের কাছে হস্তান্তর করতে। আমি বিশেষভাবে নির্দেশ দেই যাতে অস্ত্র হস্তান্তরের আগে তারা যেন আকাশের দিকে একটা গুলি বর্ষণ করে আমাদের সংহতির প্রতীক হিসাবে। তারা ঠিক সেভাবেই কাজ করে।
আজ অতীতের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়, মুক্তিযুদ্ধে আমি জড়িয়েছিলাম মূলত তিনটি কারনে-
প্রথমত, বাঙ্গালি জনতার সাথে আমার একটি আবেগ জড়িয়ে আছে। আমার বাবা কৃষ্ণ প্রসাদ কৈরালা, বাংলাদেশ থেকে একজন ডাক্তার নিয়ে এসেছিলেন আমাদের বিরাটনগর (কৈরালার গ্রামের বাড়ি) হাসপাতালের জন্য, যাতে করে বিরাটনগর শহর আরো উন্নত হয়। তখন বৃটিশ উপনিবেশ চলছে, ভারত পাকিস্তান কেউই স্বাধীন নয়। বিরাটনগরে সেই ডাক্তার পরিবারের অভিবাবক-বন্ধু ছিলাম আমরাই। আমার বাবার অনুমতি স্বাপেক্ষে আমি সেই ডাক্তার পরিবারের সাথে বাংলাদেশে তাদের বাড়িতে যায় এবং বেশ কয়েকমাস সেখানে কাটাই। আমি বেশ আনন্দেই ছিলাম সেই সময়টাতে। এই পারিবারিক বন্ধন আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করতে। আমার মনে হয়েছে বাঙ্গালিদের নিজেদের জাতীয় পরিচয়ের দরকার।
দ্বিতীয়ত, আমাদের এই নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল যে, বাংলাদেশের যুদ্ধের পরে আমাদেরকেও যথা সময়ে সাহায্য করা হবে নেপালে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য,
তৃতীয়ত, আঞ্চলিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমাদের মনে হয়েছিল যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এই অঞ্চলের স্থিতি, গনতান্ত্রিক সংস্কৃতি এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে”
এই হল জিপি কৈরালার বিবৃতি। আমাদের গেরিলা বাহিনীর দিক থেকেও এই তথ্যগুলো ভেরিফাই করা গেলে ভালো হত। হয়ত করাও যাবে। তবে মি কৈরালা কোন নাম মনে করতে পারেন নি। তবে এর বাইরেও নেপালে অনেক ঘটনা ঘটেছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। বেশ কিছু সম্পাদকীয় লেখা হয়েছে, লিটল ম্যাগ এ প্রকাশিত হয়েছে প্রবন্ধ। এমনকি খোদ কাঠমুন্ডুর রাস্তায় হয়েছে বিক্ষোভ মিছিল। সে সবের রেফারেন্স এখন তেমনভাবে সংরক্ষিত নেই। অনেকের স্মৃতিও হয়ে গেছে ফ্যাকাসে। তবে অনেক কিছুই উদ্ধার করা যেতে পারে এখনো।
হয়ত নেপালের বরফে ঢাকা নিরিবিলি পাহাড়ের কোলে বসে যে বৃদ্ধ তাকিয়ে আছে আগুনের দিকে, একদিন সেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আকাশ থেকে আরেকটি জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের ভেতর- যে অগ্নিকুণ্ডের নাম ছিল মুক্তিযুদ্ধ।
যতো বড়ো হচ্ছি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ততো নতুন তথ্য জানতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের চিত্র দিনদিন পরিপক্ক হচ্ছে…এই লেখার মাধ্যমে নেপালিদের সহয়তা, সহমর্মীতার কথা জানতে পেরে ভালো লাগছে। লেখককে ধন্যবাদ এই চমৎকার তথ্য শেয়ার করার জন্য।
শুভকামনা।।।
বাংলাদেশের মানুষ ও নেপালের মানুষ – এই দুই জাতির সাথেই ঘনিষ্ঠভাবে মেশার সুযোগ আমার হয়েছে। এদের সংস্কৃতি, অভ্যাস, ইতিহাস এবং আমাদের সাথে তার তুলনা – এসব নিয়ে লেখা যায়। কিন্তু এরকম লেখা কি মুক্তমনা সাইটের উপযোগী হবে? তাছাড়া আমি সমাজবিজ্ঞানী নই। সাধারন মানুষের চোখ দিয়ে দেখার মূল্যই বা কতটুকু হবে কে জানে। হয়ত কোনদিন ভেবে দেখব।
দুঃখিত, ভুলের জন্য মন্তব্যটা ঠিক মত দেয়া হয়নি। এখানে আবার লিখলাম।
না এটা আপনার ব্যক্তিগত মত নয়। এর যথার্ত কারন আছে। ্ধরুন মরুবাসী বেদুইন্দের জীবন ওদের জীবন বড়ই কষ্টের, রুক্ষ, স্বভাব, অতিশয় বদমেজাজী, যুদ্ধবাজ ও মারমুখী। আপনি যদি History of the Arabs বইটা পড়েন তবে জানবেন যে এর লেখক ফিলিপ হিত্তি বলেছেন যে ্মরুবাসী আরবদের মত অমার্জিত ও অসভ্য লোক দুনিয়াতে নাই। সত্যি বলতে কি হিত্তি লিখেছেনঃ A Bedouin is a land pirate. মনে রাখবেন হিত্তি নিজেও একজন আরব।
UA:A [1.4.6_730]
UN:F [1.4.6_730]
না এটা আপনার ব্যক্তিগত মত নয়। এর যথার্ত কারন আছে। ্ধরুন মরুবাসী বেদুইন্দের যেবন। ওদের জীবন বড়ই কষ্টের, রুক্ষ, স্বভাব, অতিশয় বদ্মেজাজী, যুদ্ধবাজ ও মারমুখী। আপনি যদি History of the Arabs
খুবই সত্যি কথা। নেপালীদের, উদারতা, আমায়িকতা, হাস্যপ্রাঞ্জলতা ও সাধাসিধা ব্যাবহার একেবারে অতুলনীয়। আমার মনে হয় বাঙ্গালীরাও হেরে যাবে।
নেপালে আমি গিয়েছিলাম,দেশটার অপুর্ব সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ । তেমনি মানুষ জনের ব্যাবহার ।
আমার নেপালী এক জন পরিচিত আছেন ।মেইল এর মাধ্যমে জানি কেমন আছে তারা । কদিন আগেই
আমাদের বাড়ী এসেছিল। বেশ ভালো লাগল ব্যবহার।
লেখক কে ধ্যনবাদ এমন একটা তথ্য দেবার জন্য ।
@আবুল কাশেম,
আমি নেপাল কখনো যাইনি, তেমন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তাই নেপালিদের নিয়ে নেই। তবে অনুরুপ কথা কিন্তু আমাদের বাংগালাদেশীদের নিয়েও বেড়াতে আসা বিদেশীরা সবসময়ই বলে থাকে 🙂 । গোপনে বলছি, আমি নিজেই তাতে যথেষ্ট সন্দিহান।
তবে আমার এ সম্পর্কে একটি ব্যাক্তিগত থিয়োরী আছে। প্রকৃতির মনে হয় মানুষের সামগ্রিক আচার ব্যাবহার উদারতা এসবের উপর সরাসরি ভূমিকা আছে। যে যায়গার প্রকৃতি যত বেশী সুন্দর, সবুজ সে যায়গার মানুষ তত বেশী উদার ও দিলখোলা। রুক্ষ প্রকৃতির দেশের লোকের স্বভাবের মধ্যেও মনে হয় রুক্ষতা চলে আসে। এটা নিতান্তই আমার ব্যাক্তিগত থিয়োরী।
এই অপ্রকাশিত সংবাদ বাংলাদেশের পত্রিকায় প্রচার দরকার।
বন্যার সাথে আমি একমত। আমার বেশ কিছু নেপালী বন্ধুদের ভাষা বুঝতে আমার তেমন কোন অসুবিধা হতো না। একটি নেপালী মেয়ে হচ্ছে আমার সহকর্মী। তার নাম প্রীতি। সে বলল নেপালী ভাশায় এর মানে হচ্ছে প্রেম বা ভালবাসা। আমার আর এক নেপালী বদ্ধুর নাম ছিল কবীন্দ্রনাথ অধিকারী।
আমার মনে হয় প্রায় ৭০% সব্দই বাংলা্র সাথে জড়িত।
@আবুল কাশেম,
হ্যা, এজন্যই আমাদের দেশে আসার পর নেপালীরা অল্প কিছুদিনেই বাংলা শিখে ফেলে। আমার কিছু নেপালী বন্ধু আছে যাদের নাম সঞ্জীব, বিবেক ইত্যাদি। নেপালের সমতলে যারা থাকে তাদের চেহারা ও সংস্কৃতি একেবারে আমাদের মত। আরেকটি বিষয় আমার ভালো লাগে আর তা হলো নেপালীরা তুলনামূলকভাবে বেশ উদার।
মূল্যবান লেখাটির জন্য বকলমকে ধন্যবাদ। এ বিষয়ে আরো গবেষণাও তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন। কেউ আমাদের জন্য যুদ্ধ করবে, জীবন পর্যন্ত দিবে আর আমরা তা অন্তত জানব না এটা হতে পারে না।
ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধের আরেক্টি অজানা দিক জানাবার জন্য। ভারতীয় গূর্খা রেজিমেন্ট অত্যন্ত খান্দানী সেনাদল জানি, ৭১ এ আমাদের এখানে যুদ্ধ করেছে জানতাম। তবে তারা যে আসলে নেপালের নাগরিক তা জানা ছিল না। গূর্খা যদিও নেপালী তবুও আমার ধারনা ছিল যে এটা অনেকটা পাঞ্জাবীদের মত ব্যাপার, ভারত পাকিস্তান দুদেশেরই পাঞ্জাবী আছে।
@বকলম, যাক এবার আমি কনভিন্সড যে আপনি লেখার উদ্দেশ্য নিয়েই লিখছেন, অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই 🙂 । এপ্রিল ফুলের লেখাটা নিয়ে খুবই সন্দেহ হচ্ছিল।
আশা করি, আরও লিখবেন এরকম বিষয়গুলো নিয়ে।
আমার ছোট বোনের এক নেপালী বন্ধু ছিল, তার ভাষা মনে হতো প্রায় সবটাই বুঝতাম। মাত্র ৩০% মিল আছে বললেন? আমার তো মনে হয় এর চেয়ে অনেক বেশী মিল!
:yes:
এই অজানা বিষয়গুলো ক্রমশঃ সামনে আসুক।