আঁজলায় ভরে আজ মোহ-মদ, মায়া-মমতা
ঘৃণা সুখ মানসিক গভীর বৈকল্য
এনেছি, এই মুঠোখানা খুলে তুলে দ্যাখ, তোর জন্যে
তোকে দেব, তন্দ্রাচ্ছন মৃন্ময় শহর আমার
উৎসর্গ করেছি আজ, লোকায়ত বুক খুলে মেলে বসেছি;
নারীর সম্ভার কিছু ফুরায় না অযাচিত স্খলনে;
উঁকি মেরে দেখে যা তাত্ত্বিক প্রেমিক আমার!

ভ্রাতার বীরত্ববোধ, প্রচন্ড তৃষ্ণা; পিতার গোপন পাপ
বিধাতার গোপন ঈর্ষা
কামনার রূপ ধরে যেই হ্রদে সাময়িক বিরতিতে
বারবার বর্জ্য ফেলে যায়
আমি সেই বাষ্পের আধার একজন
আর, ওই দূরে বসে বসে
সুখের ফেনার ভারে উচ্ছ্বাসহীন ক্লান্ত তুই
এইসব পুরুষ প্রতিভূ!

পরিহার হয়ে গেছে বাসনার অজান্তে কখন
ধর্মবুলি, নীতি বালখিল্য।
স্নায়ু জুড়ে শরতের ঢাক, পুলকের মুহূর্তমাধুরী শুধু
অক্ষয় অনিবার্য হয়ে থাক।
আজ আমি মানবীয় দুই হাতে পার্থিব জীবনের সঞ্চয়
বয়ে এনে একান্ত রমণীবেশে ডাকি
এসমস্ত পরিত্যাজ্য বিষে
অমৃতের প্রাণ আনা নারী; মুখোশ লাগেনা যার,
সভ্যতার নির্বেদ অংশীদার…

মুখোশকে প্রসাধনী মেনে
আমি ঠিক করে নেই প্রেম
পৃথিবীর বিকাশের দায়ে
ধর্মগ্রন্থে বলিকৃত বিষন্ন রমণী হয়ে,
তবু প্রাণ, তবু এই মায়ার চাদর
আঁজলায় তুলে ধরে আনি!