মুক্তমনা প্রকাশিত উন্মুক্ত ই-বই (নতুন সংস্করণ)
বিশ্বাসের ভাইরাসঅবিশ্বাসের দর্শনভালোবাসা কারে কয়যা আমাদের পড়তে দেয়নিযে আলো ছড়িয়ে গেলো সবখানেশূন্য থেকে মহাবিশ্বসমকামিতা
অন্যান্য উন্মুক্ত ই-বই
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী'মুক্তান্বেষা' প্রথম সংখ্যা (২০০৭)'যুক্তি' প্রথম সংখ্যা (২০০৭)মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজেস্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তিবিবর্তনের পথ ধরে'যুক্তি' দ্বিতীয় সংখ্যা (২০০৮)বিজ্ঞান ও ধর্ম: সংঘাত নাকি সমন্বয়?বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান : মানব প্রকৃতির জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা'মুক্তান্বেষা' পঞ্চম সংখ্যা (২০১০)সমকামিতা'যুক্তি' তৃতীয় সংখ্যা (২০১০)অবিশ্বাসের দর্শনডারউইন : একুশ শতকে প্রাসঙ্গিকতা এবং ভাবনাপার্থিবভালোবাসা কারে কয়বিশ্বাসের ভাইরাস'যুক্তি' চতুর্থ সংখ্যা (২০১৩)নবি মুহাম্মদের ২৩ বছরশূন্য থেকে মহাবিশ্বযে আলো ছড়িয়ে গেলো সবখানেযা আমাদের পড়তে দেয়নিযে সত্য বলা হয়নিরিপোর্টারের ডায়েরি : পাহাড়ের পথে পথেআইনস্টাইনের কালজীববিবর্তন সাধারণ পাঠ || ফ্রান্সিসকো জে. আয়ালাজীবববিবর্তন তত্ত্বঃ নানা জিজ্ঞাসাসোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও বিপ্লব : লিসেঙ্কো অধ্যায়বিশ্বাস ও বিজ্ঞানওয়াশিকুর বাবুর লেখা সমগ্র
[…] মুক্তমনা ই-বই গ্রন্থাগার প্রকাশনায় অনন্ত বিজয়কে হারানোর নয় বছর আজ – মুক্তমনা বাংলা ব্লগ […]
[…] ই-গ্রন্থাগার […]
মুক্তান্বেষা’ কোন কপির পিডিএফ তো ডাউনলোড করা যাচ্ছে না। এডমিনকে অনুরোধ করছি, সবগুলো কপি পিডিএফ আপলোড করুন।
‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ এই বইটির সম্পূর্ণ পিডিএফ দেওয়া নাই। মাত্র ৭৮ পৃষ্ঠা দেয়া আছে। মুক্তমনা এডমিনকে অনুরোধ করছি, এই বইটি সম্পূর্ণ পিডিএফ দেওয়ার জন্য।
কোন বই ডাউনলোড না করতে পারলে,বা এই গ্রন্থাগার এ না থাকলে,
দয়া করে আপনার ইমেল সহ একটা কমেন্ট করুন।এটা করলে বই পাওয়ার সম্ভাবনা ওনেকটা বেশি থাকে।
ধন্যবাদ,
আমি ১৪২৮ বঙ্গাব্দে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বছরে শ্রদ্ধেয় লেখক অভিজিৎ রায়ের সমস্ত বই সহ মুক্তমনার সংরক্ষণাগারে (Archaive-এ) রাখা অন্যান্য বইগুলিও পড়ে ফেলব । সেই ধারাবাহিকতায় পড়ে ফেললাম অভিজিৎ রায়ের “সমকামিতা” এবং পড়া শুরু করলাম বন্যা আহমেদের “বিবর্তনের পথ ধরে” । এ ধারা চলতে থাকবে যতদিন না মুক্তমনার সবগুলি বই পড়া শেষ না হয় …. আন্তরিক ধন্যবাদ মুক্তমনাকে । 💚💚
অসাধারণ সব বই। ভবিষ্যতে আমিও মুক্তমনাতে লিখতে চাই।
দেবীপ্রসাদ চত্তোপধ্যায়ের যে গল্পের শেষ নেই – এর কি কোন পিডিএফ কপি পাওয়া যায়?
পাওয়া যাবে এবং আমার কাছে আছে।
উদ্দোগক্তাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন । প্রত্যেকটি মানুষেরই মানুষ হওয়ার স্বার্থে ধর্মান্ধতা ও,অন্ধ বিশ্বাস থেকে বেড়িয়ে সত্য উন্মোচনে নিয়োজিত হওয়া উচিত ।
Nostradamus সম্পর্কে কোন বই পাওয়া গেলে ভালো হতো
২০১৯ এর কলকাতা বইমেলাতে এই বইগুল কি পাওয়া
যাবে?
পিডিএফ বই গুলি খুজে পাছছি না ! পূর্বে বেশ কিছু বই ডাউনলোড করে রেখেছিলাম, এখন বন্যা আহমেদ এর বিবর্তনের পথ ধরে বই টা খুব দরকার কিন্তু দেখতে পাছছি না !
কি ভাবে আবার আগের মতো বই গুলি নামিয়ে পড়তে পারবো জানালে খুব উপকৃত হতাম…
মুক্তমনা – বিশ্বাসের ভাইরাস ও অবিশ্বাসের দর্শন বই দুটো পিডিএফ পাঠাবেন,আমার মেলে পাঠাবেন।
বই ডাউনলোড করব কোন লিংক থেকে?
মুক্তমনার বই, বইমেলার কোথায় পাবো??
কোন স্টলে
প্রবীর ঘোষ-এর “অলৌকিক নয় লৌকিক” বইটির সবগুলি খণ্ডের পি.ডি.এফ. লিঙ্ক পাওয়া গেলে জানাবেন। আর পূর্বোক্ত বই গুলির জন্য অত্যন্ত ধন্যবাদ।
রায়হান আবীর- এর লেখা ‘মানুষিকতা’ বইটা কি পাওয়া যাবে?
এখানে সবই বই পিডিএফ আকারে আছে। ইপাব বা মবি ফরম্যাটে কি পাওয়া যাবে ? আমি প্রতিটি করে দিতে পারি বিনা পারিশ্রমিকে।
জয় যুক্তিবাদ ✊🏼
বইগুলো পেয়ে দারুন ভালো লাগল। উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ।
মূল্যবান বইগুলি পেয়ে উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ।
খুব খুশি হলাম বইগুলি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
মান্যবর মুক্তমনা সম্পাদক,
মুক্তমনায় ই-বুক হিসেবে আমার দ্বিতীয় বই “প্রেস জোকস” সংযোজনের জন্য [email protected] ঠিকানায় দু-দুবার ইমেইল করেছি। সে-ও বেশকিছুদিন হলো। বইটির সব লেখা পিডিএফ আকারে পাঠিয়েছি। কিন্তু বিস্ময়কার, এখনো ই-বুকটি সংযোজন হলো না। ইমেইলের প্রাপ্তি স্বীকারটুকুও পেলাম না।
এভাবে এখানে বিষয়টি জানাতেও খারাপ লাগছে। কিন্তু উপায়ও তো নেই।
অনুগ্রহ করে বিষয়টি দেখবেন? অনেক ধন্যবাদ।
জয়ন্তানুজ বন্দ্যোপাধ্যায় এর – সমাজ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভগবদগীতা এবং
মহাকাব্য ও মৌলবাদ বই ২টার পিডিএফ চাই।অনেক দিন ধরে খুঁজছি।
:good:
মানব মুক্তির জন্য, মুক্ত মানুষের মুক্ত পৃথিবী গড়ে তুলতে, মুক্তমনার হাত ধরে আমরা চলবোই।
ধন্যবাদ ই-বইগুলো পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য। মনে হচ্ছে ভাসমান অবস্থা থেকে ‘মুক্তমনা’-য় সত্যিই উত্তরণ হচ্ছে আমার।
অভিজিৎ রায়, মানতে কষ্ট হচ্ছে আপনি নেই…
অভিজিৎদার “ভালবাসা কারে কয়” বই টার ই-সংকলন টা এখানে যুক্ত করলে ভাল হয়।
সঠিক তথ্য ও উপাত্ত সম্বলিত লেখা মানব কল্যাণে সহায়ক হবে।
মন্তব্য… :yahoo: :yahoo: :yahoo:
যে গুলোর পিডিএফ ফাইল দেওয়া হয়েছে সবাই ডাউনলোড করে ফেললাম।
:rose: :rose:
আমার ইসলাম সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন আছে দয়া করে উত্তর দিবেন আসা করি
১। ফেরাউন এর লাশ নাকি কিছু দিন আগে পাওয়া গেছে যদি তাই সত্যি হয় তবে ইসলাম সত্যি নয় কি ?
২। বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্ধে মোহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে উল্লেখ আছে তাহলে এটা কি করে সম্ভব ? এবং তার মা বাবা এর নাম ও উল্লেখ আছে হিন্দু ধর্ম গ্রন্ধ বেদ এ এটা কি সত্যি ?
আমি সত্যি জানতে চাই দয়া করে সত্যি জানাবেন ।
ফেরাউনের লাশে পচন না ধরার ব্যাপারে সংক্ষেপে বলা যায়, ” পচনরোধ তাপমাত্রা বলে একটা বিষয় আছে। তাই সেটা হতে পারে পানির নিচে, ফ্রিজের মধ্যে এমনকি মাটির নিচে। এই পচনরোধ তাপমাত্রায় মানুষের মরদেহ থাকলে তা পচে না। এক্ষেত্রে বায়ুর তাপমাত্রা -১২ ডিগ্রি হলে লাশ পচবে না। ২য়ত জীবের দেহে থেকে ব্যাণ বায়ু নষ্ট হয়ে গেলে তা আর পচে না। যেমন- সুতিকা রোগীর ব্যাণ বায়ু জীবত থাকতেই নষ্ট হয়ে যায়, তাই তার লাশ যেখানেই রাখা হোক আর পচবে না।
এসব কারণের আওতায় পড়লে লাশ পচবে না। তাই উক্ত ব্যাক্তি যত উৎকৃষ্ট বা নিকৃষ্ট যাই হোক না কেন।
ভাল মানুষের লাশকে মানুষ যখন অক্ষত দেখে তখন একথা বলে যে —
“নবিজি বলেছিলেন …… আল্লাহ পাকের পছন্দনীয় ব্যক্তিদের দেহ কখনো পচবে না, গলবে না, প্রাকৃতিক পচন প্রণালী কাজ করবে না।”
কিন্তু আমরা তো দেখতেই পাচ্ছি নিকৃষ্ট মানুষের লাশও নষ্ট হয় নি। তাহলে এটা আচার্য কোন বিষয়ই নয় বা মোজেজা জাতীয় কিছুও নয়।
বাচ্চাদেরজন্য কি বই আছে?তাদেরকে কি ভাবে বর করবে এই বিসয়ে যদি কিছু থাকে link দেবেন please
আমার কাছে আছে। আপনার মেইল আইডি দিলে আমি গুগল লিঙ্ক পাঁঠিয়ে দিতে পারব।
২য় প্রশ্ন ছিল,
এ সম্পর্কে অনেক মুক্তমনা লিখেছে। আপাতত
এই পোষ্টটি দেখতে পারেন।
ভাই আমি ত এতকিসু বুঝি না ।। আমি কি বলব ভাই ?? শুধু একটা কথাই বুঝি যে , আমরা বাঙালি আমরা সবাই একসাথে আনন্দে থাকতে চাই 😀
একসাথে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি তো করা চাই। যদি সবাইকে ভাগ ভাগ করে ফেলেন তাহলে সেটা কি করে সম্ভব? তাই আগে সাপ্রদায়িকতা, কুসংস্কার দূর করতে হবে। আপ টু ডেট হতে হবে।
”আমাদের বিশ্বাস জন্মানই যদি কথা হয়ে থাকে তবেও তাকে নিজে দেখা দিয়ে চাক্ষুস প্রমাণ দেয়ার দরকার নেই। কারণ তিনি সর্বশক্তিমান স্রষ্টা হয়ে থাকলে তিনি ইচ্ছা করলেই তো পৃথিবীর সমস্ত মানুষ এই মুহুর্তে তাকে না দেখেই বিশ্বাস করবে।”
ভাই যদি তাই হয় তাহলে যুগে যুগে নবী রাসুল পাঠানোর কি প্রয়োজন ছিল?
” স্রষ্টা যদি মানুষ সৃষ্টি করে তাকে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়েই ক্ষান্ত হতেন, প্রেরিতদের দিয়ে নিজের সম্বন্ধে কিছু না জানাতেন তবে নি:সন্দেহে বলা যায় যে, মানুষ আজও তার সম্বন্ধে কিছুই জানত না কিংবা জানলেও তার গুণাবলী ও সিফাতের ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞই থেকে যেত।”
নিজেকে জানানোর জন্যে প্রেরিত পুরুষ এর কি প্রয়োজন ছিল? স্রষ্টা চাইলে মানুষ কে সৃষ্টি করার সময় ই তার মস্তিষ্কে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে দিতে পারতেন , সেই ক্ষেত্রে প্রেরিত দের সত্যতা নিয়ে যে বিতর্ক তাও হত না।
”পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এ জনগোষ্ঠিগুলো যে শুধু স্রষ্টার ব্যাপারে সচেতন ছিল তাই নয়, তারা ঐ স্রষ্টার গুণাবলী বা সিফাতের ব্যাপারেও ঐকমত্য ছিল।”
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে পৃথিবীর সকল ধর্ম ই এক ঈশ্বর প্রদত্ত।সেই জন্যেই সেগুলির মধ্যে এত মিল । যদি তাই হয় তাহলে এক ধর্ম আরেক ধর্ম কে মিথ্যা বলে কেন?ধর্ম গ্রন্থ গুলিই বা কেন একে অপরের বিরোধিতা করে?আর পৃথিবীর এত এত ধর্মের মধ্যে কোনটা সঠিক ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম তাই বা কি করে বুঝব?
”এখন প্রশ্ন হল আমরা তার অস্তিত্বের প্রমাণ পেলাম, কিন্তু আমরা কি তাকে ধারণা করতে পারি ? এর উত্তরে তিনি নিজে বলেছেন- না, তোমরা তা পার না। (সূরা আল-আনাম:১০৩)। কারন আমরা সৃষ্ট, আমাদের শক্তি সীমিত। ধারণার শক্তিও সীমিত। স্রষ্টা অসীম। স্রষ্টাকে কেন, এই মহা সৃষ্টির একটা সামান্য অংশকেও আমরা ধারণা করতে পারি না। যেখানে সৃষ্টির অসীম Space এবং অসীম Time এর বিন্দুমাত্র আমরা ধারণায় আনতে অক্ষম সেখানে অসীম স্রষ্টার ধারণা করতে আমরা কি করে সক্ষম হব ?”
যে স্রষ্টাকে আমরা আমাদের সীমিত জ্ঞান দ্বারা ধারণা ই করতে পারব না তাকে কিভাবে বিশ্বাস করব?
আপনার দাবি অনুযায়ী , কল্পিত একজন ভুতের সম্রাট নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন পিপ্রাতুল্য মানুষের জন্য ! ওয়াও ! আপনি জানলেন কিভাবে ? ভুতের রাজা কি আপনাকে ফোন করে জানিয়েছে ? ২ ) মহাকাশের চিত্রের দিকে তাকালে উপলব্ধি করা যায় যে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি ও নক্ষত্র পুনজের মধ্যে আমাদের গ্যালাক্সিটা এক কোনার মধ্যে একটা ছোট ফুটবলের মতো , সৌরজগৎ তার চেয়েও ছোট , আর পৃথিবী হলো বিন্দুর মতো | সেখানে মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তু হলো ক্ষুদ্র পিঁপড়া কীটের মতোই ক্ষুদ্র | তারা নিজেদের মধ্যে কি করলো না করলো , তারা দুর্ঘটনাক্রমে আবির্ভাব ঘটেছে কিনা রাসায়নিক থেকে , —একজন মহা মহা বিশ্ব ও বিশাল সব গ্যালাক্সি ও কোয়ান্টাম জগতের গবেষণা ও আর সব কিছু বাদ দিয়ে , অন্য মহাবিশ্বের কাজ বাদ দিয়ে , একজন কাল্পনিক ভুতের রাজা কেন কেবল পিঁপড়া তুল্য একটা প্রজাতির পেছনে সময় ব্যয় করবে ? তার কি অন্য কাজ নেই ?
৩)) আপনি দাবি করলেন , আপনি কাল্পনিক ঈশ্বরের অস্তিত্ত্বের প্রমান পেয়েছেন –কি সেই প্রমান ? কোরানে বলেছে সেটা প্রমান ? ঈশ্বরকে তো কোনো ধর্মই সর্বসম্মতভাবে Define করতে পারেনি , এমনকি একই ধর্মের লোক , যেমন ইসলামের অনুসারীরাই তাকে সর্ব সম্মতভাবে Define করেনি | দয়া করে সূরা ইখলাস টেনে আনবেন না –এটা নাস্তিকরা খণ্ডন করেছে : সূরা ইখলাস কতগুলি না বোধক বাক্যের সমষ্টি —আল্লা এই নন , আল্লা সেই নন , ۔۔۔۔۔۔۔۔۔ইত্যাদি ! এগুলো একজন সত্ত্বার পরিচয় হতে পারে না | তার গঠন কি ? জবাব নেই , আকার কি ? আকৃতি কি ? তিনি কোন কোন উপাদানে গঠিত ? জবাব নেই |
আপনার দাবি : “স্রষ্টাকে সীমিত জ্ঞান দিয়ে ধারণা করতে পারবো না |”
জবাব : এটাকে বলে Argument from Ignorance. আপনি নিজের অজ্ঞতাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন ! অজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না –এটা বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা | অন্যের সীমাবদ্ধতা আপনি জানলেন কিভাবে ? নিজেকে প্রতারণা করেছেন !
আপনি আগেই ধরে নিয়েছেন যে স্রষ্টা একজন আছে ! এটাকে বলে Beg The Question Fallacy. অর্থাৎ আপনি মনে মনে যে সিদ্ধান্ত বা রায় ঠিক করে রেখেছেন সেটাকে প্রতিজ্ঞা বা প্রস্তাব হিসেবে উপস্থাপন করেছেন |
আপনি কি কোয়ান্টাম বল বিদ্যা পড়েছেন ? বিগ ব্যাঙ থিউরি নিয়ে কয়জন বিজ্ঞানীর লেখা পড়েছেন ?
স্রষ্টার অনস্তিত্বের সম্ভাবনা কতটুকু ?
এ মহা বিশ্বের স্রষ্টা আছেন কি নেই- এই প্রশ্নের বিচার করার আগে প্রথমেই বলে নেই যে, প্রমাণ বলতে চাক্ষুস প্রমান বোঝালে তা নেই এবং তা থাকতেও পারে না। তিনি যদি থেকে থাকেন তবে কোনদিন তিনি এসে আমাদের সামনে দাড়িয়ে বলেন নি যে-এই যে আমি তোমাদের স্রষ্টা এবং নি:সন্দেহে বলা যায় যে, কোনদিন তা দাঁড়াবেন না।
কারণ, তাহলে মানুষ নামের এই বিশেষ সৃষ্টিটি অর্থহীন হয়ে যেত, আমরা গাছ-পাথর, হাতি-ঘোড়ার মত শুধু আরেকটি সৃষ্টি হয়ে যেতাম। দ্বিতীয়ত : আমাদের বিশ্বাস জন্মানই যদি কথা হয়ে থাকে তবেও তাকে নিজে দেখা দিয়ে চাক্ষুস প্রমাণ দেয়ার দরকার নেই। কারণ তিনি সর্বশক্তিমান স্রষ্টা হয়ে থাকলে তিনি ইচ্ছা করলেই তো পৃথিবীর সমস্ত মানুষ এই মুহুর্তে তাকে না দেখেই বিশ্বাস করবে। (সূরা আল-আনআম:৩৫, সূরা ইউনুস:৯৯, সূরা নাহল: ০৯)। তাকে সামনে এসে দাড়াবার প্রয়োজনই হবে না। এতে প্রমাণ হচ্ছে যে, স্রষ্টা যদি থেকে থাকেন তবে তিনি নিজে দেখা দিয়ে বা ইচ্ছে করে আমাদের মনে তার অস্তিত্বের বিশ্বাস এনে দিতেু চান না। তিনি দেখতে চান তিনি যে একটি মাত্র সৃষ্টিকে বুদ্ধি, যুক্তির শক্তি, উপলব্ধির শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করলেন সেটা অর্থাৎ মানুষ তার ঐ শক্তিগুলো দিয়ে চাক্ষুস নয়, তাকে উপলব্ধি করে কিনা। এ জন্য তিনি লক্ষ কোটি নিদর্শন দিয়েছেন। মানুষকে এ যুক্তি বোঝার শক্তি দিয়েছেন যে, ধোঁয়া থাকলে আগুন থাকবেই। এখন আমাদের দেখতে হবে ধোয়া অর্থাৎ স্রষ্টার অস্তিত্বের এ ধরনের প্রমাণ আছে কিনা।
মহাবিশ্বের সৃষ্টিতত্ব বিষয়ে বিজ্ঞান এখনো কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছতে পারে নি। Big bang (প্রচন্ড বিষ্ফোরণ), Steady State (স্থিতাবস্থা), এবং Oscillating (স্পন্দনশীল) নিয়ে মতবিরোধ যাই থাকুক একথা অনস্বীকার্য যে, সম্ভাবনা মাত্র দুটির মধ্যেই সিমাবদ্ধ। হয় মহাবিশ্ব নিজে নিজে আচম্বিত হয়ে গেছে (Accidental) নয়ত এটা পরিকল্পিত সৃষ্টি (Planned)। তৃতীয় কোন সম্ভাবনা নেই।
এখন দেখা যাক আচম্বিতের ধারণা। এই থিওরী মতে মহাশুন্য শুধু গ্যাস আর ধুলিকণা (Dust) দিয়ে পূর্ণ ছিল। এই গ্যাস আর ধুলিকণা কোথা থেকে এল তা কিন্তু তারা বলাতে পারে না। শুধু বলে আগে থেকেই ছিল- যদিও স্রষ্টা ছাড়া এগুলোর সৃষ্টি কেমন করে হল তার কিন্তু কোন উত্তর নেই। যাই হোক এই গ্যাস আর ধুলিকনার উৎপাদন দিয়েই মহাবিশ্বের সৃষ্টি আরম্ভ হল। ক্রমে ক্রমে কোটি কোটি অর্বুদ, অর্বুদ বছর ধরে নানা রকম আচম্বিত ঘটনার মধ্য দিয়ে আজকের এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিভাবে কি কি ঘটনার ভিতর দিয়ে আজকের অবস্থানে পৌছল তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নানা মতবিরোধ, নানা থিওরী বিদ্যমান। তো এই আচম্বিতের থিউরী মতে অর্বুদ অর্বুদ বছর আগে থেকে আজ পর্যন্ত সৃষ্টিতে যা কিছু হয়ে আসছে তাতে কোন পরিকল্পনা (Plan) নেই। কারন স্রষ্টাইতো নেই-সব হয়েছে এবং হচ্ছে আচম্বিত। পরিকল্পনার কথা আসলেইতো স্রষ্টা এসে যান। আরেকটা কথা হচ্ছে-এই যে আচম্বিত ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং ঘটছে এগুলো যেখানে খুশি, যখন খুশি ভাবে ঘটেনি। এগুলোকে ঘটতে হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে (In sequence)। একটা আচম্বিত ঘটনা যখন ঘটেছে বলে মানুষ ও প্রাণীজগৎ বেচে আছে, ঐ ঘটনাটা তখন না ঘটে যদি তার আগে বা পরে ঘটতো তবে কোন প্রাণী পৃথিবীতে থাকত না, কোন প্রানীর অস্তিত্বে আসাই সম্ভব হত না। কাজেই অচম্বিত ঘটনা ঘটেছে এবং ধারাবাহিক ভাবেই ঘটেছে। এরূপ ঘটনাগুলোর (Accident) সংখ্যা কোটি, কোটি-অগনিত। এবার দেখা যাক এটা কতটুকু সম্ভব।
আমরা ঠিক একই আকারের দশটি গোল চাকতি নেই এবং এগুলোর উপর এক থেকে দশ পর্যন্ত সংখ্যা লিখি। এ চাকতিগুলো হল সেই কোটি কোটি আচম্বিত ঘটনাগুলোর মাত্র দশটি প্রতীক এবং সংখ্যাগুলো হল ওগুলোর ধারাবাহিকতা (Sequence)- যার কথা বলে এলাম। এই দশটি নাম্বারের দশটি চাকতি উলটপালট করে পকেটে ঢুকালাম। এবার পকেট থেকে একটি চাকতি বের করলাম। এ চাকতিটি এক থেকে দশ নাম্বারের যে কোনটি হতে পারে। এবং প্রথম বারেই ১ নাম্বার ওয়ালা চাকতি বের হবার সম্ভাবনা দশের মধ্যে এক। (১ : ১০)। এবার এটাকে পকেটে ঢুকিয়ে আবার একটা চাকতি বের করলাম। এবার ২ নাম্বার ওয়ালা চাকতিটি বের হবার সম্ভাবনা একশর মধ্যে এক। অর্থাৎ আমরা যদি একশ বার পকেট থেকে একটা একটা করে চাকতি বের করি তাহলে এক নাম্বার উঠবার ঠিক পরের বারে দুই নাম্বার ওয়ালা চাকতিটি উঠে আসার সম্ভাবনা থাকবে একশ বারের মধ্যে একবার। অর্থাৎ (১ : ১০ x ১০ = ১০০)। ঠিক তেমনি ভাবে পরের বারে তিন নাম্বারটা উটে আসার সম্ভাবনা থাকবে এক হাজার বারের মেধ্যে একবার। অর্থাৎ (১ : ১০০ x ১০ = ১০০০)। অর্থাৎ আমরা যদি দশবার পকেট থেকে চাকতি বের করি তাহলে এক থেকে ধারাবাহিক ভাবে দশ পর্যন্ত সিরিয়াল ভাবে বের হবার সম্ভাবনা হল এক হাজার কোটি বারের মধ্যে একবার (১ : ১০০০০০০০০০০)।
আমরা কোটি কোটি নয়, অসংখ্য অগনিত আচম্বিত ঘটনার মধ্যে মাত্র দশটির প্রতীক নিয়েছিলাম। তাতেই এই সংখ্যার সম্ভাবনা পাচ্ছি। তাহলে কোটি কোটি নিলে দেখা যাবে সৃষ্টিজগৎ আচম্বিত ধারাবাহিক ভাবে সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা অসীম সংখ্যার মধ্যে একবার অর্থাৎ অসম্ভব। এখন দুটো সম্ভাবনার মধ্যে একটি অসম্ভব হলে দ্বিতীয় থিওরী অর্থাৎ “সৃষ্টি জগৎ পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি হয়েছে” মেনে নেয়া ছায়া তৃতীয় কোন পন্থা নেই।
আর এ হিসেব ঠিক উল্টো দিক থেকেও করা যায়। অর্থৎ যে কোটি কোটি আচম্বিত ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটে আসার দরুন আমরা আজ বর্তমান যে অবস্থানে এসে পৌছেছি; ঠিক তেমনি কোটি কোটি অন্য রকম আচম্বিত ঘটনা এই মহাকালের মধ্যে ঘটতে পারত। যার একটি মাত্র ঘটনাও সমস্ত সৃষ্টি জগৎ লন্ড ভন্ড করে দিত। কিন্তু তেমন একটি মাত্র ঘটনাও ঘটেনি। যেমন ধরুন, উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর জমানো বরফ যদি গলে যেত তবে বিজ্ঞানীদের মতে পাহাড়-পর্বত ছাড়া সমগ্র পৃথিবী পানির নীচে ডুবে যাবে। যা ঘটতে পারত কিন্তু ঘটেনি।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, অংকের হিসেবে (Mathematics Figure of chance) স্রষ্টার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে। এবার আসি নাস্তিকভাই দের এ প্রসঙ্গে যে, মানুষকে ভাল পথে পরিচালনার জন্য মানুষ নিজেই স্রষ্টার ধারনাকে সৃষ্টি করেছে।
এ কথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, স্রষ্টার ধারণা আজকের নয়। ইতিহাসের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই যখন থেকে মানুষ সম্বন্ধে জানা যায় তখন থেকেই মানুষ একজন স্রষ্টার ব্যাপারে সচেতন ছিল। প্রত্নতাত্বিকরা মাটি খুড়ে হাজার হাজার বছর আগের যে সব জনবসতির সন্ধান পেয়েছেন, তাতে দেখা যায় সর্বত্রই ধর্মের অর্থাৎ স্রষ্টার কোন না কোন রকমের ধারণা ছিল। বিভিন্ন মহাদেশে, পৃথিবীর যেখানেই কোন প্রাক-ঐতিহাসিক জনপদের সন্ধান পাওয়া গেছে সেখানেই পাওয়া গেছে ধর্মের চিহৃ। অর্থৎ স্রষ্টা সম্বন্ধে একটা চেতনা পৃথিবীময় ছড়িয়ে ছিল এটা সন্দেহাতীত। পৃথিবীর প্রধান ভূ-ভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়াতেও যেসব প্রাক-ঐতিহাসিক মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে সেসবগুলোর চিত্র ও এক। যখন এ সব বিভিন্ন জনগোষ্ঠির মধ্যে কোন সংযোগ বা পরিচিতি ছিলনা, ভাষা-সংস্কৃতি সব কিছুই ছিল ভিন্ন, একে অন্নের অস্তিত্ব পর্যন্ত জানত না, তখন ঐ একটি ব্যাপারে সবাই সচেতন ছিল এটাও কি বিজ্ঞানীদের সেই আচম্বিত ঘটনা ? পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এ জনগোষ্ঠিগুলো যে শুধু স্রষ্টার ব্যাপারে সচেতন ছিল তাই নয়, তারা ঐ স্রষ্টার গুণাবলী বা সিফাতের ব্যাপারেও ঐকমত্য ছিল। অর্থৎ স্রষ্টা মহা শক্তিশালী, সর্বব্যাপী, দয়ালু, যা ইচ্ছা তা করতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি। তাহলে দেখা যাচ্ছে, মানুষ যদি স্রষ্টার ধারণাকে সৃষ্টি করে থাকে তাহলে প্রাক-ঐতিহাসিক যুগে সমগ্র পৃথিবীব্যাপী বিচ্ছিন্ন ও অকল্পনীয় বিভিন্ন স্থানে মানুষ একটা জুজুর ভয় সৃষ্টি করল, যে জুজুটার গুণাবলীও অকষ্মাৎ ভাবে সকলের কাছে একি রকম ছিল। অর্থাৎ ঐ জুজুটা সর্বশক্তিমান, সবত্র বিরাজমান, সর্বজ্ঞানী, অতীব ক্ষমাশীল, দয়াময় ইত্যাদি। এবার দেখা যাক এ আচম্বিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা কতটুকু।
পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির অস্তিত্ব এখন একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং এ মধ্যাকর্ষণ শক্তি যে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকেই আছে তাও প্রতিষ্ঠিত সত্য। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এটা এক মুহুর্তে জন্যেও থামেনি তাহলে পৃথিবী অচল হয়ে যেত। কিন্তু মানুষ এই সর্বব্যাপি শক্তির কথা জানতে পারল এই কিছু দিন আগে। কেন ? এতদিন কি মানুষ তার মগজ ব্যাবহার করেনি ? নিশ্চয়ই করেছে। নিউটনের মধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কারের আগেই মানুষ বহু কিছু আবিষ্কার করেছে। পিরামিডের মত কালজয়ী সৌধ তৈরী করেছে, কিন্তু যে শক্তির অধীনে থেকে তার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছে, যে শক্তি এক মুহুর্ত বিরতি দিলে সে পৃথিবীর বহির্মুখ, অপকেন্দ্রিক শক্তির ফলে ছিটকে মহাশুন্যে নিক্ষিপ্ত হবে সে শক্তি সম্বন্ধে সে ছিল সম্পূর্ণ অজ্ঞ-মাত্র কয়েক বছর আগ পর্যন্ত।
যেটা নেই (স্রষ্টা) তাকে মানুষ সেই প্রাক-ঐতিহাসিক কাল থেকে কল্পনা করে নিল, শুধু কল্পনাই নয় বরং সেটা কিরকম তার বিস্তৃত বিবরণ পৃথিবীর এধার থেকে ওধার পর্যন্ত বিশ্বাস করে নিল-কিন্তু যেটা আছে (মধ্যাকর্ষণ) সেটাকে মানুষ হাজার হাজার বছরেও আবিষ্কার করতে পারলো না ? আসল কথা হচ্ছে স্রষ্টা তার প্রেরিতদের দিয়ে সেই প্রথম মানুষটি থেকেই তার অস্তিত্ব ও গুণাবলী অর্থাৎ তিনি কেমন তা মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন বলেই মানুষ তার সম্পর্কে জানে, আর মধ্যাকর্ষণ সম্বন্ধে নিউটনর আগে কাউকে জানাননি বলেই মানুষ তা জানতে পারেনি। স্রষ্টা যদি মানুষ সৃষ্টি করে তাকে পৃথিবীতে ছেড়ে দিয়েই ক্ষান্ত হতেন, প্রেরিতদের দিয়ে নিজের সম্বন্ধে কিছু না জানাতেন তবে নি:সন্দেহে বলা যায় যে, মানুষ আজও তার সম্বন্ধে কিছুই জানত না কিংবা জানলেও তার গুণাবলী ও সিফাতের ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞই থেকে যেত।
এখন প্রশ্ন হল আমরা তার অস্তিত্বের প্রমাণ পেলাম, কিন্তু আমরা কি তাকে ধারণা করতে পারি ? এর উত্তরে তিনি নিজে বলেছেন- না, তোমরা তা পার না। (সূরা আল-আনাম:১০৩)। কারন আমরা সৃষ্ট, আমাদের শক্তি সীমিত। ধারণার শক্তিও সীমিত। স্রষ্টা অসীম। স্রষ্টাকে কেন, এই মহা সৃষ্টির একটা সামান্য অংশকেও আমরা ধারণা করতে পারি না। যেখানে সৃষ্টির অসীম Space এবং অসীম Time এর বিন্দুমাত্র আমরা ধারণায় আনতে অক্ষম সেখানে অসীম স্রষ্টার ধারণা করতে আমরা কি করে সক্ষম হব ?
আপনার যুক্তিগুলি অসম্ভব দুর্বল , ফ্যালাসিতে ভর্তি : যেমন —আপনি প্রথমত মানুষের অজ্ঞতার উপর নির্ভর করে প্রমান করতে চেয়েছেন যে স্রষ্টা একজন আছে ! খুবই হাস্যকর ! আপনি কিছু মিথ্যাচার করেছেন ! আদিম মানুষ কি হঠাৎ করেই ঈশ্বরের কল্পনা করে ফেলেছে ? নাকি তারা প্রথমে স্বপ্ন দেখেছিলো মৃত প্রিয়জনদের এবং সেখান থেকে ধীরে ধীরে হাজার হাজার বছরে আত্মার ধারণা , টোটেমিজম , বস্তুর মধ্যে আত্মা খোযা ইত্যাদি ধারণা গড়ে উঠে ? ইতিহাস বিকৃত করে চাপা মারলেন কেন ?
২) মানুষ কিভাবে ঈশ্বরের কল্পনা করেছে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার মগজের বিকাশ এর ইতিহাস যেটি আবার শ্রম হাতিয়ারের বিকাশ এবং তার অস্তিত্ত্বের সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত | এর সঙ্গে মাধ্যাকর্ষণ , মহাকর্ষ এসব জানা না জানার কি সম্পর্ক এবং সেটা দিয়ে ঈশ্বর কিভাবে প্রমান হয় ? চাপাবাজির একটা শিমা আছে ?
আপনার দাবি : কোন ভুতের সম্রাট নাকি তার প্রেরিতদেরকে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আছেন ! ঐসব তথাকথিত নবীদের মতো আপনারও মানসিক সুস্থতার অভাব আছে | ভুতের রাজা আপনাকে কি ফোন করে বলেছে যে তিনি নবীদের পাঠিয়েছেন ?
তার অস্তিত্ত্বের কি প্রমান পেলেন ? কোরান ছাড়া প্রমান দিন !
[…] […]
মু্ক্তমনার এর ই বইয়ের প্রকাশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
অসাধারণ!
মুক্তমনার বইগুলো সংগ্রহ করতে চাই ।
মাঝে মাঝে নিউ মার্কেট এর পাশে বইয়ের দোকান গুলতে খোঁজ করি বইগুলর জন্য ।
কিন্তু পাইনা । কেউ কি ঠিকানা দিতে পারেন যেহানে বইগুলো পাওয়া যাবে ।
কেন ওই যে কয়েক জায়গায় বলা হয়েছে “আজিজ মার্কেটে পাওয়া যায়”। ওখানে খুজে দেখেছেন কি। আমি এখনো আমার সংগ্রহের গুলো পড়ে শেষ করতে পারি নি।
আপনি এখান থেকে ডাউনলোড করে মোবাইলে পড়তে পারেন।
গুরুচন্ডালি ডটকম-এ বাংলা ই-বুক নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সেখানে লিংকসহ মুক্তমনার ই-বুকগুলোর তালিকা যোগ করেছি। চলুক। (Y)
“আরজ আলী মাতুব্বার রচনাসমগ্র” এর কোন pdf format বই পাওয়া যাবে?
মু্ক্তমনার এর ই বইয়ের প্রকাশকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
আমার জানামতে বাংলা সম্পদ বই গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিসসন্ধেহে এতি এক্তি একতি খুব ভাল সিদ্ধান্থ, আমি খুব খুশি|
বই পড়া বা ডাউনলোড কোনটাই হয় না কেন? problem dekhay: server closed…কিভাবে পড়া যাবে plz কেউ সাহায্য করুন।।
এক কথায় বই গুলো অসাধারণ, আমার ভাবনার অনেক খোরাক জোগাবে বই গুলি।
অসংখ্য ধন্যবাদ।
:guru:
মুক্তমনায় আগে বেশির ভাগ বই pdf format থাকত। ইচ্ছা মত সংরক্ষণ করেত পারতাম. সুবিধা মত পড়তাম, এখন তো আর pdf format থাকে না। অনেক অসুবিধা হয়। অভিজিত দা কে অনুরোধ সব পোষ্ট কি আগের মতো pdf format রাখা যায় ?
ধন্যবাদ ইবুকগুলোর জন্য । হুমায়ুন আজাদের “আমার অবিশ্বাস” এবং অবশ্যই আরজ আলী মাতুব্বরের “সত্যের সন্ধানে” বইগুলোর লিংক পেলে ভালো হতো…ধন্যবাদ…
ধন্যবাদ মুক্তমনা (Y)
বাংলা বিজ্ঞান বইয়ের কিছু পিডিএফ পাওয়া যাবে @ http://banglainternet.com/science.html
“বিবর্তনের পথ ধরে”
একটি অসম্ভব ভালো বই।
সবগুলো বই ই ভালো।
মুক্তমনাকে অনুরোধ করব বিবর্তনের উপর আরো কিছু ইবুক যদি দেওয়া হয় খুব ভালো হবে। 🙂 🙂 🙂
রণদীপম বসুর অস্পৃশ্য ও ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং একজন বাবাসাহেব লেখাটি ইবুক হিসেবে সংযুক্ত করা হল।
@মুক্তমনা এডমিন,
রণদীপম বসুর লেখা বইটি কিছুতেই ডাউনলোড করতে পারছি না। কোথায় সমস্যা তাও বুঝতে পারছি না। ৮২ কিলোবাট হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
আর একটি প্রশ্ন- বিজ্ঞান ও ধর্ম: সমন্বয় নাকি সংঘাত? বইটি সামনের বইমেলায় (২০১১) তে প্রকাশ পাবে কি?
বেশ অনেক আগে একটা সাইটে দেখতে পাই একজন লিখেছিলেন – নজরুল ইসলামের রচিত কোরানের তফসির।
নজরুলের কি কোন কোরানের তফসির কারও জানা মতে আছে কি? শুনেছিলাম ইহা কলকাতায় পাওয়া যেতে পারে। আপনাদের কেউ কি এই বিষয় সাহায্য করেতে পারবেন? তাহলে ভাল হত।
ইহাউতি মুল্যবান এক খানা কিতাব। ঐ সাইটে সে লিখেছিলেন নজরুল ইসলামের সুরা নাস এর একটি তফসির। খুবই চমতকার।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাদের এই আয়োজনের জন্য
আপনাদের রচিত সব বই ক,টি বই কি ছাপা হয়েছে ? যদি ছাপা হয়ে থাকে তা হলে কোথায় পাব দয়া করে জানাবেন ।
ধ ন্য বা দ
মুহাম্মাদ নুরুন্নাবী
ছাত্রঃ আইন বিভাগ
the university of al-azhar
Cairo – Egypt
সমসাময়িক IT বা তথ্যপ্রযুক্তির ওপর লেখা তেমন একটা চোখে পরেনা আমাদের এই মুক্তমনায় । এব্যপারে কিছু কি করা যায় ?
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। খুব ভালো কাজ হয়েছে। বইগুলো একসাথে হাতের নাগালে থাকলো যে কারো।
আচ্ছা, বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলায় ডারউইনের ‘প্রজাতির উৎপত্তি’ বইটা কি কোনভাবে মুক্তমনার আর্কাইভে ই-বুক আকারে জমা করা যায় না ?
@রণদীপম বসু, আপনি কি ডঃ আখতারুজ্জামানের লেখা বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলায় ডারউইনের ‘প্রজাতির উৎপত্তি’ বইটার কথা বলছেন? বইটা কি বাজারে আর নেই? প্রিন্ট শেষ হয়ে গেছে?
আমি যতদুর জানি এই বইটা ঢাকা ইউনিভার্সিটির পাঠ্য হিসেবে পড়ানো হতো। এখানে তো কপিরাইটের ব্যাপার আছে, লেখক এবং প্রকাশক অনুমতি না দিলে যে কোন বইকে তো ইচ্ছা করলেই ই-বুক হিসেবে কপি করে ফেলা যাবে না। বাংলা একাডেমী এবং ডঃ আখতারুজ্জামান অনুমতি দিলেই শুধু সেটা করা সম্ভব।
@বন্যা আহমেদ,
হাঁ, আমি এটার কথাই বলেছি। গত বছর ফেব্রুয়ারি ২০০৯ বইমেলায় বাংলা একাডেমি থেকে বইটা কিনেছিলাম। ২০০০ সালের প্রথম এডিশন। সম্ভবত বইটা এখন বাজারে আর নাই।
ই-বুক করতে এখন লেখক কি আপত্তি করবেন ? ঠিক জানি না।
মুক্তমনায় আমার ই-বুক “রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে” যোগ করার জন্য সবিশেষ অনুরোধ রইলো।
জয় হোক! :rose:
@বিপ্লব রহমান,
বইটি উপরের তালিকায় সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে।
ধন্যবাদ।
@মুক্তমনা এডমিন,
মুক্তমনার ই-সংকলনে আমার বইটা কই?
বেশ কিছুদিন আগে প্রচ্ছদটা ই-মেইলে পাঠিয়েছিলাম।
দিলে খুশী হব।
ধন্যবাদ!
নী্তি শােস্ত্রর উপর আেরা অনেক বেশি লেখা বের করা উচিত । কারন হিসাবে আমি বলতে চাই, যাদের বিবেক জাগ্রত না তাদের বেলাই ধরম ভীরুতা না থাকলে ৈনতিকতা বিলুপ্তির সম্ভা্বনা আছে । “ভাল কাজ করব শুধু ভাল কাজ বলে, েকান বিনিমই এর আশাই নই” এই অনুভুতি জাগ্রত করার জনঅ যথেসত প্রেশনার দরকার ।
Congrats for this post.
যেহেতু মুক্তমনার কোন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নেই কাজেই বইগুলোর পুরো অংশই ই-বুক আকারে সংরক্ষণ করা জরুরী।ম আখতারুজ্জামান স্যারের অনূদিত ডারউইনের ‘প্রজাতির উৎপত্তি‘বইটা স্যারের অনুমতি সাপেক্ষে আপলোড করার দাবী জানাচ্ছি।
@আগন্তুক,
হ্যা, খুব ভাল কথা বলেছেন। উনি যেহেতু এখানে লেখালেখি করেন সেহেতু তার কাছে এই দাবী আমরা জানাতেই পারি।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের “বিবর্তনবাদ” বইটি কি মুক্তমনাতে ইবুক হিসেবে অনলাইনে হোস্ট করা যেতে পারে(যদিও বইটি খুব সম্ভবত মুক্তমনার জন্য লেখা হয়নি)? এই কাজটি করতে পারলে আশা করি অনেকেরই সুবিধা হবে।
@পৃথিবী,
অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের “বিবর্তনবাদ” বইটি সম্বন্ধে একটু বিস্তারিত জানতে চাই। কোন প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে, কত সালে, অন লাইনে কোন আর্কাইভ আছে কিনা, ইত্যাদি। যদি বইটি ভাল হয়, এবং লেখকের অনুমতি সাপেক্ষে অবশ্যই মুক্তমনায় রাখা যেতে পারে। এ ব্যাপারে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি।
@অভিজিৎ,
বইটি গতকাল পর্যন্ত আমার কাছে ছিল। এক ধর্মবাদী এসে গতরাতে নিয়ে গেল পড়বে বলে বহু দূরে। ইতিমধ্যে কেউ যদি এগিয়ে না আসেন আগামী সপ্তাহে না হয় বইটি ফেরত নিয়ে আসবো। বলে রাখা ভাল, বইটিতে (ছাপাখানার ভুতের আছর) প্রচুর বানান ভুল আছে। সম্ভবত অনন্তের কাছেও বইটি আছে।
@অভিজিৎ, আমি নিজেও ঠিক জানি না। তবে “বিবর্তনের পথ ধরে” বইটিতে এই বইয়ের অনেক রেফারেন্স দেখলাম।
@পৃথিবী,
আপনি অধ্যাপক ম আখতারুজ্জামানের সাথে গুলিয়ে ফেলছেন না তো? আখতারুজ্জামানের ‘বিবর্তনবিদ্যা’ বইটার কথা জানি, সেটার রেফারেন্স যে বন্যার বইয়ে আছে সেটাও জানি। কিন্তু মনিরুজ্জামানের নাম আমি শুনিনি, এবং তার বইয়ের রেফারেন্সও বোধ হয় ‘বিবর্তনের পথ ধরে’ তে নেই।
কিন্তু আপনার আর আকাশ মালিকের মন্তব্য শুনে সত্যই কনফিউজড হয়ে গেলাম।
@পৃথিবী,
অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের “বিবর্তনবাদ” নামে কোনো বই নেই। ম. আখতারুজ্জামান-এর ‘বিবর্তনবিদ্যা’ নামের বই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশি্ত। বর্তমানে বাংলা একাডেমি-র এডিসন বাজারে পাওয়া যায় না। বেশ কিছু দিন আগে হাসান বুক হাউজ থেকে নতুন করে প্রকাশি্ত হয়েছে বইটি। ঢাকার নিউ-মার্কেট, নীলখেতে পাওয়া যেতে পারে।
ধন্যবাদ মুক্ত-মনা এডমিন,
কাজটি নিঃসন্দেহে গুরুত্ত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে বই গুলো খুঁজতে সময় যেতো। অন্ততঃ রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহারের জন্যেতো হামেশাই লাগে। আমার মনে হয় উপড়ে ই-বই হিসেবে একটি কর্ণার করে ওখানে বিষয়ওয়ারী (লাইব্রেরী ক্যাটালগ আকারে) সাজিয়ে দিলে আরোও ভালো হতো, সাথে শুধু ঐ আংশের জন্যে প্রযোজ্য একটা সার্স-ইঞ্জিন থাকলে তো সোনায় সোহাগা! অবশ্য বইয়ের ভীড় জখন বাড়বে, তখন এমন ব্যবস্থায় হয়তো আসতে হবে। মুক্ত-মনা এডমিন হয়তো বিষয়টি মাথায় রেখেছেন, তবুও উল্লেখ করলাম এই জন্যে যে শুরুতেই একটা সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার অবয়ব থাকলে পড়ে সাজাতে আরো সহজ হবে।
আর আমার মতো কম্পিউটারে অপরিপক্কের জন্যেতো বলাই বাহুল্য। খুঁজে পেতে যে কি আরাম! তবে অসংখ্য ধন্যবাদ আপাতঃ পরিশিলিত সন্নিবেশের জন্যে।
কেশব অধিকারী
মাঝে মধ্যে এমন কতগুলো বই প্রয়োজন, যা নাগালের বাইরে থাকে, কিন্তু ইন্টারনেটে বিশেষ করে বিষয়বস্তুর বর্ণনা সহ বল্গে পাই বলে আমি বল্গকি পছন্দ করি।