ইসলামী মহাবিশ্ববিদ্যা
হাবিবুর রহমান হাবিব
সারাংশ
কোরানের মহাবিশ্ব বেশ ছোট। কেননা, এত দৃরত্ব মাপা যায় দিনের মাপকাঠিতে। আর এর উপাদানও খুব সীমিত। বলতে গেলে মাত্র ৩টি : (১) পৃথিবী, (২) আকাশমণ্ডলী এবং (৩) এ দুটোর মধ্যে অবস্থিত অন্যান্য কিছু দ্রব্য। শেষোক্তের মধ্যে উল্লেখ্য হচ্ছে নিকটতম আকাশে বাতির মত টাঙ্গানো তারা, সর্য ও চন্দ্র এবং বেহেশত বা স্বর্গ ও দোজখ বা নরক।
সাতটি চ্যাপ্টা চাকতি (flat discs) দিয়ে গঠিত পৃথিবী। তার মানে পৃথিবী ৭টি। আকাশমন্ডলীতে আছে ৭টি আকাশ। এগুলোও কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি। অনেকটা গম্বুজের মতো। এগুল স্তরে স্তরে নিন্যস্ত হয়ে পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। সূর্য, তারা, গ্রহ, চন্দ্র, প্রভৃতি বেশ ছোট ছোট বস্তু। এদের টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে ভেতরের দিকের বা প্রথম গম্বুজে বা ‘প্রথম আকাশে’। এগুলো এ ভেতরের গম্বুজ দিয়ে অর্ধ-বৃত্তাকার পথে আবর্তন বা চলাচল করে। এগুলো যখন আকাশে থাকে না বা চলাচল করে না, তখন অবস্থান নেয় আকাশের পশ্চিমে কোন এক নির্দিষ্ট স্থানে। সেখান থেকে উদিত হবার আগে প্রতিবার আল্লাহর অনুমতি নেয় এবং তারপর রাতে ফিরে আসে পর্ব দিকে উদিত হবার জায়গায়। বেহেশ্ত বা জান্নাত বা স্বর্গ বিরাজ করে সাতটি আকাশের মধ্যবর্তী স্থানসমূহে এবং দোজখ বা নরক রয়েছে সাতটি পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থানে। আর এসব কিছুকে বেষ্টন করে আছে এক সাগর। অথবা বলা যায়, এসব কিছু নিমজ্জ্বিত এক সাগরে। এ সাগরের উপরে অবস্থিত আল্লার সিংহাসন বা আরশ (throne)।
ইসলামী মহাবিশ্ব
ইসলামের প্রচার হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে। তার বহু বছর পরে, ষোড়শ শতাব্দী থেকে আধুনিক বিজ্ঞানের বিকাশ শুরু। বিগত ২/৩ শত বছরের মধ্যে বিজ্ঞানের নানা শাখার মৌলিক আবিষ্কার এবং এগুলো থেকে উদ্ভত প্রযুক্তিবিদ্যা সারা পৃথিবীর মানুষের জীবনকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। সর্বব্যাপী প্রভাবের ফলে আধুনিক মানব সমাজে বিজ্ঞান অর্জন করেছে এক বিশেষ মর্যাদা। যেকোন ধারণা বা বিশ্বাস গ্রহনযোগ্য হবে কি হবে না, তা বর্তমান কালে নিভর্র করে এটি বিজ্ঞানসম্মত কিনা, তার উপর। অনেক প্রাচীন কাল থেকে প্রচলিত নানা বিশ্বাস, এমনকি অনেক ধর্মীয় বিশ্বাসও, বিজ্ঞানের কষ্ঠি-পাথরে যাচাই হয়ে বাতিল হয়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মধ্যে গোড়া থেকেই চলে আসছে এক ধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সময় সময় বিরোধ। ধর্মের গোঁড়া অনুসারিগণ প্রথমে বিজ্ঞানকে অস্বীকার করতে চেষ্টা করেন। প্রতি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের নিকট এসব গোঁড়া বিশ্বাসের পরাজয় ঘটে। তাই সম্প্রতি বিজ্ঞানবিরোধীরা তাঁদের কৌশল বদলে ফেলেছেন। তাঁরা বলতে শুরু করেছেন যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলোই হচ্ছে সকল বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণার উৎস। তবে এসবই ঘটেছে মলত পশ্বিমা ইহুদি-খৃষ্টান জগতে। তাই আমরা ইহুদি-খৃষ্টান ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মধ্যে আšঃক্রিয়া সম্পর্কে বেশ অবগত।
কিন্তু মুসলিম জগতে কি ঘটেছিল তা আমরা তেমন অবগত নই। কারণ, মুসলমানরা আধুনিক বিজ্ঞান চর্চায় অনেক পিছিয়ে ছিলেন। তবে দেখা গেছে ইসলামপন্থীরাও প্রথমে বিজ্ঞান বিরোধীতা করেছিলেন। পরে তাঁদের কেউ কেউ কোরান-হাদিস বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণার উৎস বলে প্রচার করতে শুরু করেন। অবশ্য সম্প্রতি কেউ কেউ বলছেন যে, কোরান ও হাদিসে এমন অনেক বৈজ্ঞানিক ধারণা, বক্তব্য বা ‘তত্ত্ব’ রয়েছে, যা বহু বছর পরে আধুনিক বিজ্ঞান নতুন করে আবিষ্কার করেছে। যেমন, মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব (Big Bang Theory), বিবর্তনবাদ (Theory of Evolution) এবং মহাবিশ্ববিদ্যা (Cosmology)।
এ প্রেক্ষিতে বলা প্রয়োজন যে মুহিউদ্দীন খানের অনুবাদ ও আল্লামা অবদুল্লা ইউসুফ আলী-এর ইংরেজি অনুবাদের মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায়। যেখানে গুরুত্বপর্ণ পার্থক্য আছে বলে মনে হয়েছে সেখানে বন্ধনীর ভেতরে ইংরেজি শব্দ বা শব্দগুচ্ছ রেখে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে পাদটীকায়ও কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
ইসলামী মহাবিশ্বের উপাদান
কোরান ও হাদিসে মহাবিশ্বের যে বিবরণ আছে তা পাঠ করে প্রথমেই যে কথাটা মনে হয় তা হল এই যে, আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের ধারণার তুলনায় ইসলামী মহাবিশ্ব খুব ছোট ও সরল। ইসলামী মহাবিশ্বের মাত্র তিনটি উপাদান – (ক) আসমান বা আকাশমন্ডলী, (খ) জমিন বা পৃথিবী এবং (গ) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মধ্যবর্তী সবকিছু। ইসলামী ধারণা মতে, পৃথিবী সমতলীয় বা চ্যাপ্টা। আকাশের যা কিছু খালি চোখে যা দেখা যায় (যেমন সর্য, চন্দ্র ও তারা) তার বাইরে কোন কিছু থাকার কথা এতে নেই। যেমন মহাবিশ্ব সংক্রান্ত্র আধুনিক কোন উপাদানের কথা এতে নেই। সৌর জগতের উপাদান ও গঠন সম্পর্কে একটি বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে সেসব তথ্য থাকে, ততটুকুও উক্ত ইসলামী প্রমাণ্য গ্রন্থসমহে নেই। অপর দিকে, খালি চোখে ভুল দেখা যায় বা সঠিকভাবে দেখা যায়না, এমন ধারণারও এগুলোতে স্থান হয়েছে। যেমন, সৌর জগতের গঠন, নক্ষত্র ও গ্রহের মধ্যে পার্থক্য, গ্যালাক্সি, মহাকাশ বা স্পেস ইত্যাদি সম্পর্কে সঠিক কোন ধারণার পরিচয় এগুলোতে পাওয়া যায় না। নিচের কয়েকটি আয়াত পাঠ করলে যে কোন যুক্তিবান মানুষের মনে এমন ধারণার উৎপত্তি না হয়ে পারে না।
কেউ আরব দেশের ন্যায় সমভমিতে দাঁড়িয়ে আকাশ ও চার দিকের দিগস্ত রেখার দিকে তাকালে যা দেখতে পাবেন তাতে মনে হবে পৃথিবী সমতল ও চ্যাপ্টা, আকাশ একটা নিরেট গোল ধাতব বস্তু, নীল রঙ্গের একটি ছাদ, যার উচ্চতা ঠিক মাথার উপরে সব চেয়ে বেশি এবং ক্রমে তা কমে দিকচক্রবালে এসে ভুমির সঙ্গে মিশে গেছে। অর্থাৎ নীল রঙ্গের ধাতব আকাশটি এসে সমতল পৃথিবীতে মিশেছে। আকাশ ও পৃথিবী সম্পর্কে কোরানের বিবরণ এর সঙ্গে বেশ খাপ খায়। আধুনিক বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে এ ধারণা সঠিক নয়।
কোরানে বলা হয়েছে, আল্লাহ প্রথমে পৃথিবী ও পরে আকাশ সৃষ্টি করেন:
“বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থির কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে াটল পর্বতমারা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন – পর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধম্রকুঞ্জ, অতৎপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়অ তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।” ৪১-সুরা হা-মীম:৯-১১।
এ আলোচনা থেকে যা বের হয়ে এল তা হচ্ছে এই যে, কোরান মতে পৃথিবী হচ্ছে চ্যাপ্টা একটি থালার মত জিনিস। আর আকাশ হচ্ছে কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি একটি সাত-স্তরযুক্ত গম্বুজ। প্রথমে পৃথিবী ও পরে আকাশ সৃষ্টি করা হয়। এটি হচ্ছে ইসলামী মহাকাশবিদ্যার সারবস্তু। এখন আমরা এ ধারণাগুলো আরো বিশদভাবে পর্যালোচনা করব।
আকাশ
কোরানের নম্নোক্ত আয়াতগুলো থেকে জানা যায় যে, আকাশ আসলে ৭টি , একটির উপর দিয়ে অপরটি পর পর বিদ্যমান, যেন এক-কেন্দ্রীক ৭টি গম্বুজ থালার মত সমতল ও চ্যাপ্টাপৃথিবীতে এসে মিশেছে। যেমন, প্রাগুক্ত উদ্ধৃতি ২:২৯ থেকে জানা যায় যে, আমাদের মাথার উপরের ৭টি আসমান বা আকাশের পাদমল হচ্ছে আমাদের পৃথিবী। আর ৪১:১২ থেকে জানা যায়, ৭টি আসমান সৃষ্টি করা হয় দুই দিনে : “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তাঁর আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। ” ৪১-সুরা হা-মীম সেজদাহ-১২।
আর নিচের আয়াত থেকে দেখা যায় আকাশ ছাদের ন্যায় প্রতিরক্ষক:
“আমি আকাশ(মন্ডলী)কে সুরক্ষিত ছাদ করেছি, অথচ তারা আমার আকাশস্থ নির্দেশাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে। ২১-সুরা আম্বিয়া: ৩২।
(উল্লেখ্য, আল্লামা আবদুল্লাহ ইউসুফ আলীর অনুবাদে heavens শব্দটি আছে। মাওলানা মুহিউদ্দীন থান অনেক স্থানে এশব্দটিকে “আকাশমণ্ডলী”, আবার কখনও কখনও একবচনে ‘আসমান” ও “আকাশ” হিসেবে অনুবাদ করেছেন। তাই প্রয়োজনে আমি ব্যাকেটে “heavens” শব্দটি দিয়ে দিয়েছি।)
আর আকাশ যে কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি তা জানা যায় পরের আয়াত থেকে, বিশেষত আকাশের টুকরা পড়ে পৃথিবীর অধবাসীগণ আহত হবার সম্ভাবনার উল্লেখ থেকে :
“তারা কি তাদের সামনের ও ও পশ্চাতের আকাশ ও পৃথিবীর প্রতি লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে ভুমিসহ তাদের ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোন খণ্ড তাদের উপর পতিত করব। ” ৩৪-সুরা আল সাবা:৯।
কোরানে আকাশের টুকরা ভেঙে মাথায় পড়া, তাছাড়া মই দিয়ে আকাশে উঠার কথা যখন রয়েছে তখন আকাশ কঠিন বস্তু ছাড়া আর কি হভে পারে? :
“ আল্লাহ,যিনি উর্ধ্ব দেশে স্থাপন করেছেন আকাশমণ্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের (ঃযৎড়হব) উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এবং সর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট সময়ে আবর্তন করে।”১৩-সুরা রা’দ:২।
হাদিসে সাতটি আকাশের আরো কিছু বৈশিষ্ট্য, আকাশসমহের মধ্যবর্তী দুরত্ব এবং আকাশের ওপারে সুদরে কি রয়েছে, তার বিবরণ পাওয়া যায়। আল্-আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব এক হাদিসে বলেন : “আমি আল-বাথায় আল্লার রসুলের (তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক) সঙ্গে বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় একটি মেঘ মাথার উপর দিয়ে চলে গেল। রসুল (দঃ) সেটির দিকে তাকালেন এবং বললেন :
এটাকে তোমরা কি বল? (আবু দাউদ ২:৪৭৫)।
তারা বললেন : সাহাব ।
তিনি বললেন: আর মু্জন?
তাঁরা বললেন : আর মুজন।
তিনি বললেন : আর আনান ?
থাঁরা বললেন : আর আনান।
আবু দাউদ বললেন : আমি শব্দটি সম্পর্কে নিশ্চিত নই।
তিনি প্রশ্ন করলেন : তোমরা কি আকাশ থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কি তা জান?
তাঁরা উত্তর দিলেন : আমরা জানি না।”
তিনি তখন বললেন: “এগুলোর মধ্যে দুরত্ব হচ্ছে ৭১, ৭২ অথবা ৭৩ বছর। আকাশ অবস্থিত এর উপরে (সাতটি আকাশ পর্যন্ত না গোনা পর্যন্ত) সমান দরত্বে। সপ্তম আকাশের উপরে রয়েছে একটি সাগর। এ সাগরের উপরিভাগ ও তলদেশের দরত্ব, দুই আকাশের দরত্বের সমান। এর (আকাশের) উপরে আছে আটটি পাহাড়ী ছাগল। এদের খুরের এবং পাছা ও উরুর মাংসল অংশের মধ্যে দুরত্ব.এক আকাশ থেকে অপর আকাশের দ’রত্বের সমান। তারপর উপরে হচ্ছে পবিত্র ও মহিমান্বিত আল্লার অবস্থান।”
কেউ ইচ্ছা করলে এসব বিষয়ে বিশদ বিবরণ জানতে পাবেন সহি বুখারি শরীফ হাদিসে হজরত মোহাম্মদের “মিরাজের” বিবরণ পড়ে (সহি বুখারি শরীফ হাদিস: ৯:৯৩:৬৮)। তবে তার সারমর্ম হচ্ছে :
(১) ৭টি আকাশে বাস করেন বহু ফেরেশতা, জ্বিন প্রভৃতি,
(২) কঠিন বন্তু দিয়ে তৈরি গোলক বা আকাশসমহে প্রবেশ করতে হয় দরজা দিয়ে,
(৩) প্রতিটি দরাজায় ফেরেশতারা পাহারা দেয়,
(৪) প্রত্যেক আকাশে বাস করেন একজন নবী,
(৫) যেমন, প্রথম আকাশে আছেন আদম, আদমের কাছ থেকে নবী মোহাম্মদ (দঃ) জানতে পারেন যে সেই আকাশ থেকেই উৎপন্ন হয়েছে তাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদী দুটি,
(৬) দ্বিতীয় আকাশে বাস করেন নবী ইদ্রিস, ৪র্থ আকাশে নবী আ‘রন, ৬ষ্ঠ আকাশে নবী ইব্রাহিম এবং ৭ম আকাশে নবী মুসা।
স্বর্গীয় বস্তুনিচয়
কোরানে এ কথা সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, তারকারাজি, সর্য ও চন্দ্র অবস্থিত নিকটতম আকাশে, ৭৩ বছরের কম দরত্বে:
(১) “নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি”। ৩৭-সুরা আস-সাফফাত: ৬।
(২) “অতঃপপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দু’ দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহ্র ব্যবস্থাপনা।” ৪১-সুরা হা-মীম সেজদাহ:১২।
সূর্য ও চন্দ্র
কোরানে সর্য ও চন্দ্রের অবস্থান নিকটতম বা সর্বনিম্ন আকাশে কিনা তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে যে এগুলো আকাশসমহের মধ্যে বিদ্যমান: “এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।” ৭১-সুরা নুহ:১৬।
এ দুটো বাতি নির্দিষ্ট পথে, কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি আকাশের গম্বুজগুলো বাঁকানো দেওয়াল পথ ধরে, চলাচল করে :
(১) “ তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” ২১-সুরা আম্বিয়া:৩৩।
(২) “ সর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” ৩৬-সুরা ইয়াসীন : ৪০।
আকাশ পথে প্রতি দিন পথচলা শেষ হলে সর্য (সম্ভবতঃ চন্দ্র এবং তারাগুলোও) পৃথিবীর চ্যাপ্টা চাকতির ভেতর দিয়ে গিয়ে পশ্চিম প্রান্তের পানিময় ফুটো দিয়ে নির্গত হয়:
রসুল সন্ধ্যাবেলায় আমাকে প্রশ্ন করেন: “ তুমি কি জান সূর্যাস্তের পর সর্য কোথায় যায়? ” ” আমি জবাব দিলাম: “আল্লাহ ও তাঁর পয়গম্বর ভাল জানেন”। তিনি বললেন “ এটি চলতে থাকে যতক্ষণ না সিংহাসনের নীচে এসে পৌছয়। সেখানে সে সেজদা দেয়, তারপর পুনরায় উদিত হবার জন্য অনুমতি চায়, এবং যতক্ষণ না অনুমতি দেয়া হয়, সে সেজদা দিতেই থাকে। কিন্তু তার অনুমতি দেওয়া হয় না যতক্ষণ পুনরায় উদিত হবার জন্য অনুমতি চায়, কিন্তু এটিকে যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়, যাতে করে এটি আবারো উদিত হতে পারে ”।
ইংরেজী অনুবাদ দেয়া হল পাঠকদের সুবিধার জন্য –
Sahih Bukhari Volume 4, Book 54, Number 421
Narrated Abu Dhar:
The Prophet asked me at sunset, “Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?” I replied, “Allah and His Apostle know better.” He said, “It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: “And the sun Runs its fixed course for a term (decreed). That is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing.”
আল্লার কাছ থেকে আবার উদিত হবার আদেশ পাবার পর সর্য পৃথিবীর চ্যাপ্টাচাকতির ভেতর দিয়ে তার পর্ব প্রান্তে ফিরে যায় পরবর্তী দিন শুরু করার জন্য। সর্যোদয়ের ক্ষেত্রে “কর্দমময় জলাশয়ের ” কথা সুনির্দিষ্টভাবে বলা না হলেও সেখানকার অধিবাসীদের যে বিবরণ আছে, তাতে সর্যের অস্তাচলের স্থানটির সঙ্গে নির্গম পথের মিল রয়েছে যথেষ্ট :“অবশেষে তিনি যখন সর্য়ের উদয়াচলে পৌঁছলেন , তখন তিনি তাকে এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হতে দেখলেন, যার জন্য সর্যতাপ থেকে আত্মরক্ষার কোন আড়াল আমি সৃষ্টি করিনি।” ১৮-সুরা কাহ্ফ: ৯০।
সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ
কোরানে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণ সংক্রান্ত্র কোন আলোচনা নেই। তার কারণ হতে পারে এই যে, পয়গম্বর মোহাম্মদ (দঃ) তাঁর জীবনে একবারই সর্য গ্রহণ হয়েছিল। এ অভিজ্ঞতা ছিল তার জন্য অত্যন্ত্র ভীতিপ্রদ। কোরানে শুধু একটি গ্রহণের কথা আছে। যেটি ঘটবে কিয়ামতের দিন, যে দিন পৃথিবীর সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। এ গ্রহণটি হচ্ছে চন্দ্র গ্রহণ।
আসলে কোরানে এমন কথা আছে যা থেকে চন্দ্রগ্রহণ বা সর্যগ্রহণ আদৌ কোনটি হওইয়াই সম্ভব নয়: “ সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” ৩৬-সুরা ইয়াসীন : ৪০।
(১) যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,
(২) চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।
দিন ও রাত
কোরানে সূর্য ও চন্দ্রের আকারগত পার্থক্য যেমন করতে পারেনি, তেমনি সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের প্রকৃত কারণও ধরতে পারেনি। আসলে সূর্য যে দিন ও রাতের কারণ তাও অনুধাবন করা হয়নি। এগুলোকে আল্লার পৃথক পৃথক কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে এসবের মধ্যে সংঘাত না হয়ে ভারসাম্য বিদ্যমান থেকেছে:
(১) “তুমি রাতকে দিনের ভেতরে প্রবেশ করাও দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দাও। আর তুমিই জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করে আন এবং মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। আর তুমিই যাকে ইচ্ছা বেহিসেব রিজিক (sustenance) দান কর।” ৩-সুরা আল- ইমরান :২৭
(২) “নিশ্চয় আসমান ও জমিন সৃষ্টিতে এবং দিন ও রাত্রির আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য। ৩-সুরা আল-ইমরান:১৯০।
(৩) “…তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আবৃত করেন। এতে তাদের জন্য নিদর্শন রয়েছে, যারা চিšা করে।” ১৩-সুরা রা’দ : ৩।
(৪) “ এটা এ জন্য যে, আল্লাহ্ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্যে দাখিল করিয়ে (মিশিয়ে) দেন এবং আল্লাহ্ (সবকিছু) শোনেন ও দেখেন। ২২- সুরা হজ্জ্ব:৬১।
(১) “ নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ তিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি পরিয়ে দেন রাতের মধ্যে দিনকে এমতাবস্থায় যে, দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র স্বীয় আদেশের অনুগামী (করে)। আল্লাহ বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।” ৭- সুরা আল-আরাফ: ৫৪।
(২) “ এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাদের কাজে লাগিয়েছেন।” ১৪-সুরা ইব্রাহিম:৩৩।
(৩) “তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন (গোলাকার ২,) কক্ষপথে বিচরণ করে।” ২১-সুরা আম্বিয়া : ৩৩।
(৪) “তুমি কি দেখ না যে, তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত্র পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আর দেখ না যে, তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন? ৩১-সুরা লোকমান:২৯।
(৫) “ তিনি আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন যথাযথবাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন। প্রত্যেকে বিচরণ করে নিদিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত্র। জেনে রাখুন,তিনি পরাক্রমশালী ও ক্ষমাশীল। ৩৯-সুরা আল-যুমার: ৫।
সুতরাং, সুর্য যদি দিন-রাতের কারণ না হয় তাহলে এগুলোর কাজ কি শুধু কম-বেশি আলো দেওয়া প্রদীপ হওয়া? দেখা যায় যে এসব বস্তু প্রধান কাজ হচ্ছে সময় দেখানো ও ক্যলেন্ডার রক্ষা করা:(১) “ তিনি প্রভাত রশ্মির উšে§ষক। তিনি রাত্রিকে আরামদায়ক করেছেন এবং সর্য ও চন্দ্রকে হিসেবের জন্য রেখেছেন। এটি পরাক্রান্ত্র, মহাজ্ঞানীর নির্ধারণ। ” ৬-সুরা আল-আন্আম : ৯৬।
তারা, গ্রহ ও উল্কা
কোরানের অনুবাদ পড়ে মনে হয় যে এতে তারা ও গ্রহের মধ্যে পার্থক্য করা হয়নি। কারণ, প্রায়শঃ একই শব্দ দিয়ে দুটোকে বুঝানো হয়েছে। তবে প্রাচীন মানুষেরা তারা (চলাচলহীন) এবং গ্রহ (সচল)-এর মধ্যে যেহেতু পার্থক্য করত, সেহেতু মনে করা যায় যে, প্রাচীন মুসলমানরাও এদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারত।
তবে সহজবোধ্য কারণে (দরবীন ছাড়া খালি চোখে দেখাতে) তখনকার মানুষেরা মনে করত যে তারা খুব ছোট বস্তু। তাই তাঁরা তারাদের স্থান দিয়েছিলেন নিকটতম আকাশের মধ্যে। কোরানে ”পড়ন্ত্র তারা” বলতে যা বলা হয়েছে, সেগুলো আসলে উল্কাপিন্ড। অথচ কোরানে বলা হয়েছে এগুলো (উল্কাপিন্ড) হচ্ছে শয়তান ও জ্বিনের বিরুদ্ধে নিক্ষেপিত তারা:
সমতল পৃথিবী
যেহেতু পৃথিবী সম্পর্কে সকল মানুষের একটা ধারণ আছে, সেহেতুই হয়ত কোরানে পৃথিবী সংক্রান্ত্র বর্ণনা কম। অধিকাংশ বর্ণনা আকাশ বা বেহেশ্ত সম্পর্কে। তবে এতে পৃথিবী সম্পর্কেও বেশ স্পষ্ট কিছু কথা আছে।.
প্রথম কথা হলো কোরানের বর্ণনায় পৃথিবী চ্যাপটা। আরবরা কার্পেট যেভাবে মেলে দেয়, কোরানে পৃথিবী সেভাবে “মেলে দেবার” (“spreading out”) কথা উল্লেখ করা হয়েছে অনেক বার:
(১) “আমি ভু-পৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপাদন করেছি।” ১৫-সুরা আল-হিজর: ১৯।
(২) “ তিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি। ”২০-সুরা ত্বোয়াহা: ৫৩।
(৩) “যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বিছানা৪ এবং তাতে তোমাদের জন্য করেছেন পথ, যাতে তোমরা গন্ত্রব্য স্থলে পৌঁছাতে পার। ”৪৩-সুরা যুখরুফ :১০।
(৪) “ আমি ভুমিকে বিস্তৃত করেছি৫ ,তাতে পর্বতমালার ভার স্থাপন করেছি এবং তাতে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ উদ্গত করেছি। ৫০-সুরা ক্বাফ:৭।
(৫) “আমি ভুমিকে বিছিয়েছি । আমি কত সুন্দরভাবেই না বিছাতে সক্ষম।” ৫১-সুরা আয-যাজিরাত:৪৮।
কোরানে এ কথাও বলা হয়েছে যে পাহাড়-পর্বত না থাকলে পৃথিবী আরো চ্যাপ্টাদখাতো: “ যে দিন আমি পর্বতসমহকে পরিচালনা করব এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উন্মুক্ত প্রান্ত্রর এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।” ১৮-সুরা কাহফ:৪৭।
বাতাসে উড়ে যাওয়ার হাত থেকে তাঁবু বা কার্পেটকে খুঁটি দিয়ে যেভাবে আটকে রাখা হয়, সেভাবে পাহাড়-পর্বতকে পৃথিবীর খুঁটি বলে কোরানে উল্লেখ করা হয়েছে:
(১) “ আর তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ়ভাবে পর্বতসমহ স্থাপন করেছেন যাতে পৃথিবী তোমাদেরকে নিয়ে এদিক-ওদিক ঢলে না পড়ে আর তিনি স্থাপন করেছেন নদনদী ও পথ যাতে তোমরা তোমাদের গস্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পার।” ১৬-সুরা নাহল:১৫। “ আমি কি করিনি ভুমিকে বিছানা? এবং পর্বতকে পেরেক? ৭০-সুরা আন-নাবা:৬-৭।
ইসলামী মহাবিশ্ববিদ্যার যে বিষয়টি কোরানে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করা হয়নি তা হলো সাত আকাশের অনুরূপ সাতটি পৃথিবী থাকার ব্যাপারটি, যদিও এ সংকন্ত ঈঙ্গিত রয়েছে কোরানে: “ আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভুত। ৬৫-আত্ব-ত্বালাক¦:১২।
আকাশ বা বেহেশ্তের সাতটি এক-কেন্দ্রিক গম্বুজের বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা হলেও সাতটি ভিন্ন পৃথিবীর অবস্থান কোথায়, কিভাবে তা স্পষ্ট নয়। তবে কোরানে “জিনিস” (“things”) “উপর থেকে নীচে নামার” (“come down from”) বা “ উপরে আরোহণের” (“mount up to”) যে ইঙ্গিত আছে, তেমনি কিছু জিনিস পৃথিবী থেকে “নির্গত হবার” (“come forth out of”) বা “ ভেতরে প্রবেশের” (“enter within”) কথা আছে: “তিনিই নভোমণ্ডল (heavens) ও ভুমণ্ডল (earth) সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভুমিতে প্রবেশ করে ও ভুমি থেকে নির্গত হয় এবং আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। ৫৭-সুরা আল হাদীদ:৪।
এসব থেকে ধারণা করা যায় যে, সাতটি পৃথিবী ধাতব মুদ্রার ন্যায় একটি আপরটির উপর টাল দিয়ে রাখা আছে। এ ধারণা ঠিক হলে ইসলাম মহাবিশ্ববিদ্যার সর্বাধিক বড় রহস্যের উদ্ঘাটনে সাহায্য করতে পারে বইকি 🙂 ।
বেহেশ্ত ও দোজখ কোথায় অবস্থিত?
ইসলামিক মহাবিশ্ববিদ্যায় বেহেশ্ত বা স্বর্গ এবং দোজখ বা নরক সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এগুলো সাতটি আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে অবস্থিত। নবী মোহাম্মদ (দ.)-এর ”রাতের সফরের” বিবরণ থেকে জানা যায় যে, ৭টি বেহেশতে পরলোকগত নবীগণ বাস করেন। এ থেকে বেহেশতের বা জান্নাতের বা স্বর্গের আকার সম্পর্কেও একটা ধারণা পাওয়া যায়। তাছাড়া পররবর্তী দুটি আয়াত থেকেও বেহেশতের আকার কি হতে পারে তা জানা যায় :
(১) “ তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে ছুটে যাও যার সীমানা হচ্ছে আসমান ও জমিন, যা তৈরী করা হয়েছে পরহেজগারদের জন্য। ৩-সুরা আল-ইমরান: ১৩৩।
(২) “তোমরা অগ্রে ধাবিত হও তোমাদের পালন কর্তার ক্ষমা ও সেই জান্নাতের দিকে, যা আকাশ ও পৃথিবীর মত প্রশস্ত। ৫৭-সুরা আল-হাদীদ: ২১।
এ বিবরণ থেকে জানা যাচ্ছে যে জান্নাতের বা বেহেশতের (বিশেষত ৭ম ও বৃহত্তম বেহেশত) আকার আকাশ ও পৃথিবীর সমান। আর যেহেতু প্রথম আকাশের ওপারে বেহেশতের অবস্থান, সেহেতু দোজখের অবস্থান হবে পৃথিবীর নীচে, ৭ম পৃথিবী পর্যন্ত্র পুরোপুরি আবদ্ধ জায়গাগুলোতে:
(১) “ তাদের জন্য নরকাগ্নির শাস্তি রয়েছে এবং উপর থেকে চাদর (folds of covering above) । আমি এমনভাবেই জালেমদেরকে শাস্তি প্রদান করি। ৭-সুরা আল-আরাফ:৪১।
(২)“… এবং নিঃসন্দেহে জাহান্নাম এসব কাফেরদের পরিবেষ্টন করে আছে।” ৯- সুরা আত্-তাওবাহ :৪৯।
আর, যখনই দোজখ কোন দিকে বলা হয় তখন সবসময় “নীচের” কথা উল্লেখ করা হয়: “সেদিন তাদের ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হবে দোজখের আগুণে, অপ্রতিরোধ্যভাবে” (That Day shall they be thrust down to the Fire of Hell, irresistibly) ।” ৫২- সুরা তুুর:১৩।
অন্যত্র দোজখের অবস্থান মাটির নীচে অন্ধকার কারাকক্ষের (dungeon)-এর বিবরণ দেওয়া হয়েছে : “…আমিজাহান্নামকে কাফেরদের জন্য কয়েদখানা করেছি। ” ১৭-সুরা বনী ইসরাঈল:৮।
অন্যত্র দোজখের খোঁজ করতে “নীচের দিকে” তাকাতে বলা হয়েছে :“ আল্লাহ বলবেন, তোমরা কি তাকে উঁকি দিয়ে দেখতে চাও? অতঃপর সে উঁকি দিযে দেখবে এবং জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে।” ৩৭-সুরা আস সাফফাত: ৫৫-৫৬।
কোরাণের এসব উদ্ধৃতি থেকে আমরা ইসলামিক মহাবিশ্ব সম্পর্কে পরিস্কার একটা ধারণা করতে পারি।
সূত্র
১. http://wikiislam.com/wiki/Islamic Cosmology.
২. Samsad English-Bengali Dictionary, Sahity Samsad, Calcutta, 1981 (Reprint).
৩. Abdullah Yssuf Ali :The Meaning of the Glorious Qur’an: vol. 1 & 2:Beirut, 1932.
৪. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান : কোরান শরিফ –সরল বঙ্গানুবাদ:৯ম মুদ্রণ: মাওলা ব্রাদ্রার্স, ২০০৭।
৫. মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (আনুবাদক):পবিত্র কোরআনুল করীম:সৌদী সরকার কর্তৃক প্রকাশিত।
লেখক বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রবন্ধটি নিয়ে আলোচনা ক্রমশঃ একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে, কখনো বা রূপ নিচ্ছে ব্যক্তি আক্রমণেও। দীর্ঘ মন্তব্য সংযুক্ত থাকার কারণে অনেকেই প্রবন্ধটি ডাউনলোড করাতে অসুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ করছেন। এই প্রবন্ধে আর কোন মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না। আলোচনা আর দীর্ঘায়িত না করে সদস্যদের সাইটের অন্য প্রবন্ধে মনোনিবেশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
-মডারেটর।
মি: হাবিব লিখেছেন:
—————————————————————-
প্রথমত: “উন্মুক্ত প্রান্তর” অনুবাদ নিয়ে আপত্তি করা যেত, আলোচনা সহজ করার জন্য তা মেনে নিচ্ছি।
দ্বিতীয়ত: “উন্মুক্ত প্রান্তর” দ্বারা “আরো চ্যাপ্টা” অথবা সমতল বুঝাচ্ছে কি? কেউ হয়ত ইউসুফ আলীর অনুবাদ দেখাবেন “levelled plain”. আলোচনা সহজ করার জন্য (আপত্তি সহ) তা ও মেনে নিচ্ছি।
——————————————————————
এখন কথা হচ্ছে:
“আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উন্মুক্ত প্রান্তর” অখবা
“আপনি পৃথিবীকে দেখবেন সমতল”
এ খেকে কি বুঝা যায়, পৃথিবী আসলে যে আকারে থাকবে তিনি সেই রূপেই দেখতে পাবেন। পৃথিবী তখন সমতল বা গোলকাকার যাই হোক না কেন দৃষ্টিসীমার ভেতরে পৃথিবীর যেটুকু অংশ তিনি দেখবেন ,তিনি তো তাকে সমতলই দেখবেন। এতে তো তখনকার পৃথিবীর প্রকৃত আকার জানা যাচ্ছে না।
——————————————————————
তারপরও যদি কেউ গোঁ ধরেন, পুরো পৃথিবীর প্রকৃত আকারই তিনি দেখবেন এবং তা দেখাবে সমতল তাহলে বলব:
এ দুটো আয়াত লক্ষ করুন :
১.
“যে দিন আমি পর্বতসমূহকে পরিচালনা করব
এবং আপনি পৃথিবীকে দেখবেন একটি উন্মুক্ত প্রান্তর
এবং আমি মানুষকে একত্রিত করব
অতঃপর তাদের কাউকে ছাড়ব না।[১৮:৪৭]
২.
“যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে
এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশ সমূহকে
এবং লোকেরা পরাক্রমশালী ও এক আল্লাহর সামনে পেশ হবে” -[১৪:৪৮]
দুটো আয়াতই কিয়ামত দিবস সম্পর্কে যেদিন মানুষকে/লোকদেরকে একত্রিত করে আল্লাহর সামনে পেশ করা হেব।
সেদিন তো “পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে” কাজেই সেদিনের পৃথিবীর সাথে আজকের পৃথিবীর আকারের মিল খোঁজা অযৌক্তিক নয় কি?
@সাদাত,
জুলকারনাইনের পঙ্কিল জলাশয়ে সূর্য ডোবার ব্যাপারে আপনার ব্যাখ্যা কি? রুপক জাতীয় ব্যাখ্যা অনেক শুনেছি। যদিও সব ব্যাখ্যাকারকই শুধু আয়াতটি আরো অনেক আয়াতের মতই রুপক বলেই ব্যক্তব্য শেষ করেন। আমি একটু অন্যভাবে জানতে চাচ্ছি। রুপকের পেছনে নিশ্চয়ই কোন অন্তর্নিহিত বক্তব্য আছে। সেটা কি?
মোসলমান হিসেবে আমাদের বিশ্বাস করতে হয় যে কোরান নাজিল হয়েছে মানব জাতির কল্যানের জন্য, এর প্রতিটা আয়াত থেকেই মানুষের শিক্ষনীয় বিষয় আছে যা কেয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির অবশ্য পালনীয়। এই আয়াতের শিক্ষনীয় দিকটি কি?
আরেকটি বিষয়, সুর্য যে ঘুরে ঘুরে পূর্ব থেকে পশ্চীমে যায় না, কোন সাগর বা জলাশয়ে অস্ত যায় না সেটা আধুনিক বিজ্ঞানের গুনে মানুষ জানতে পেরেছে খুব বেশীদিন হয়নি। আজ যেমন আমরা সহজে বুঝতে পারছি যে এই আয়াতটা আসলে রুপক তা কিন্তু বিজ্ঞানের জোরে, কোরানিক বিশ্বাসের গুনে নয়। আমি আপনি আজ মধ্যযুগে জম্ম নিলে এই আয়াতের বলেই কিন্তু সিদ্ধান্ত টেনে ফেলতাম যে সুর্য আসলেই কণ পঙ্গিল জলাষয়ে ডোবে। তাই এই আয়াতের ভিত্তিতে মানুষের ভুল পথে চালিত হবার কি সম্ভাবনা প্রবল ছিল না?
কোরানের আরো বেশ কিছুই রুপক আয়াত আছে যার থেকে অবশ্য শিক্ষনীয় কি হতে পারে আমি কিছুতেই বুঝতে পারি না, সত্য কথা বলতে কি নিতান্তই অর্থহীন বলে মনে হয়। যেমন, এই লেখায় আপনার প্রথম ভুল ধরাঃ
“বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থির কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে াটল পর্বতমারা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন – পর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধম্রকুঞ্জ, অতৎপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়অ তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।” ৪১-সুরা হা-মীম:৯-১১।”
আকাশ ও পৃথিবী কি করে বলে যে “আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম”? তারা তো মানুষ তো দূরে থাক, কোন প্রানীই না, তাই না?
মি. হাবিব লিখেছেন:
—————————————————————-
প্রশ্ন:
“ আল্লাহ,যিনি উর্ধ্ব দেশে স্থাপন করেছেন আকাশমণ্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত।” – এই আয়াতের কোথায় আকাশকে “দেখা যায় না” এমন থাম দিয়ে ঠেলে রাখার কথা বলা হয়েছে?
@সাদাত,
আকাশ মন্ডলীকে স্থাপন কি করে করা যায়??
ভাই, মহাশুন্যে যে উর্দ্ধদেশ, অধ:দেশ বলে কিছু নেই সেটা বোধ হয় আপনার আল্লাহর তখন পর্যন্ত বোঝার জ্ঞান ছিলনা। আজ বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বোধ হয় নতুন নতুন অনেক কিছু তার বোধগম্য হচ্ছে!! কি বলেন সাদাত সাহেব??
এই আয়াতের মাধ্যমে এটাই বোঝা স্বাভাবিক নয় কি যে, পৃথিবী একটি সমতল পৃষ্ঠ যার নিচে আর কিছুই নেই এবং উপরে আকাশ মন্ডলী অবস্থিত? ভাই, স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে, গোলাকার পৃথিবীর জন্য যে উর্দ্ধদেশ, অধ:দেশ বলে কিছু নেই, তা আপনার আল্লাহ জানতেন না। কারন একমাত্র সমতল পৃথিবীর জন্যই উর্দ্ধদেশ, অধ:দেশ প্রযোজ্য হতে পারত। তার মানে আল্লার জানা মতে পৃথিবী সমতল, কার্পেটের মত বিছানো। আরও অনেক বহু আয়াতের মাধ্যমে এটাই পরিস্কার হয় যে, কোরানের আল্লার পৃথিবী সমতল। যদি আপনি স্বীকার না করেন যে, না, এটা দারা কখনই বলা যাবেনা যে কোরান বলেছে পৃথিবী সমতল, তাহলে আপনাকে চ্যালেজ্ঞ জানাচ্ছি যে, একটা লাইন দেখান তো কোরানে যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে যে পৃথিবী গোলাকার। তা না পারলে আপনি স্বীকার করতে বাধ্য যে, কোরানে যে পৃথিবীর কথা বলা হয়েছে, তা আসলে সমতল।
মজার ব্যপার টা কি বোঝেন ভাই, এই একই কথা ইসলাম ধর্ম না হয়ে অন্য কোন ধর্মে লেখা থাকলে, আপনি নির্দিধায় সেই ধর্মের ভূল স্বীকার করতেন। কিন্তু লেখাটি আপনার নিজের ধর্ম ইসলামে হওয়ায়, সেই আপনার মধ্যেই একে সাপোর্ট করার জন্য তথাকথিত যুক্তিবোধের কোন অভাব হবেনা।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন, কি বোঝাতে চেয়েছি।
ধন্যবাদ।
অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমি মি: হাবিবের দেওয়া অনুবাদই অনুসরণ করছি, কারণ তাতে যুক্তিতর্কে তেমন সমস্যা হচ্ছে না। তার মানে এই না এই অনুবাদকে আমি পুরোপুরি সমর্থন করছি। যেমন: আয়াত ১৩:২ এর প্রারম্ভিক অংশ
اللّهُ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاوَاتِ بِغَيْرِ عَمَدٍ
এর অনুবাদ দেওয়া হয়েছে:
“ আল্লাহ,যিনি উর্ধ্ব দেশে স্থাপন করেছেন আকাশমণ্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত।”
এবার আসুন আমরা একটু ভেঙ্গে দেখি আয়াতটা:
اللّهُ –>Allah
الَّذِي –> who
رَفَعَ —> raised/uplifted/elevated
السَّمَاوَاتِ –> skies
بِغَيْرِ –>without
عَمَدٍ –>pillar
সৃতরাং প্রদত্ত অনুবাদের ওপর ভিত্তি করে “আরবী না জানা কেউ” যদি “স্থাপন” এবং “উর্ধ্ব দেশ” নিয়ে অযথা বিতর্কে শুরু করেন তখন আমি কি বিনয়ের সাথে বলতে পারি না :
কুরআন নিয়ে তর্ক করতে চাইলে কিছুটা আরবী জ্ঞান রাখুন।
@সাদাত,
মনে হইতেছে আরবী জ্ঞান আপ্নেরই খালি পোক্ত আছে। খুব তো আদিল মাহমুদরে সূর্য মিলিকিওয়ের চারিদিকে ঘুরতাছে কইয়া একখান লিঙ্ক মাইরা দিলেন। আর আদিল সাহেবও ঘোল খাইয়া গেলেন। কোরানে কোনখানে কইছে যে সূর্য মিল্কিওয়ের চারদিকে ঘুরে? লিঙ্ক দিলেই তো আর সবাই ঘোল খাইবো না। আরবের হুজুরেরা সেই প্রাচীন কাল থেইকাই সূর্যরে মাথার উপরে ঘুরতে দেখছে, দেখছে পুর্ব থেইক্যা পশ্চিমে যাইতে। হের লাইগ্যাই কোরানে সূর্যের বর্ণনা ওইরকম আছে। কোরানে আরো কইছে পৃথিবী স্থির। হের লাইগাই সুরা নললে [Sura An-Naml (27:61)] কইছে –
Is not He (best) Who made the earth a fixed abode, and placed rivers in the folds thereof, and placed firm hills therein, and hath set a barrier between the two seas? Is there any Allah beside Allah? Nay, but most of them know not!
এখন এই fixed abode টা ভাল মত লক্ষ করেন। এখন কি কইবেন? এখন নিশ্চই আরবীর জ্ঞান আইনা বুঝাইতে থাকবেন ‘ফিক্সড’ মানে এইটা না, ওইটা না -হেইগুলা।
যখনই কোরানের লগে বিজ্ঞানের মিলে না তখনই আরবী লইয়া ধানাই পানাই করতে থাকেন, আর যখন একটু মিল পান – তখন এইটারে তিলরে তাল বানাইতে এক্কেরে মিল্কিওয়ে লইয়া আসেন। কি আর কমু আপ্নেগো। যে বইয়ে আল্লাহ জুলকার্নাইনরে সাক্ষী মানায়া সূর্যরে পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবান, আর আকাশরে অদৃশ্য খুঁটির উপরে ধইরা রাখেন, সেই বইরে মাথায় তুইলা যত ইচ্ছা নাচেন – লোকে পাগল ছাড়া কিছু কইব না।
সাদাত সাব – একটা কথা কই। কোরানে তো যাবতীয় আধুনিক বিজ্ঞানের সবই আছে, আল্লাহ সেই কবেই বিগ ব্যাং থেইকা শুরু কইরা অনু-পরমানু, মিল্কিওয়ে সব কিছুই কোরানে কইয়া দিছে, তারপরেও আমরা মুসলমানরাই জ্ঞান বিজ্ঞানে এখন সব চাইতে পিছাইয়া আছি। মজার না ব্যাপারটা? আসল বিজ্ঞানের চর্চা না কইরা সাদাতের লাহান খালি কোরানের মইদ্দে বিজ্ঞান খুঁজতে থাকলে আর বেশি কি বাইর হইব এই জাতি থেইকা?
@রফিক,
আমি কিন্তু সাদাত ফুয়াদ সাহেবের লিঙ্ক বা বক্তব্য দেখে ঐ এক আয়াতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত টেনে ফেলিনি যে কোরানে নিশ্চিতভাবেই বিজ্ঞানের যাবতীয় সূত্র আছে।
আমি শুধু ওনাদের থেকে ভেরিফাই করতে পেরেছি যে অন্তত ঐ আয়াতটা সাধারনভাবে বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক না। সূর্য কক্ষপথে কোনরকম আবর্তন না করলে বলা যেতো যে এই আয়াত সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞান বিরোধী (আমার যা ধারনা ছিল)।
হতে পারে আপনার ব্যাখ্যাও সঠিক। সে আমলে আসলেই মানুশের ধারনা ছিল সূর্য পূব থেকে পশ্চীমে ঘোরে। তাই শুধু এ কথা আছে বলেই কোন বই সামগ্রীকভাবে বিজ্ঞানসম্মত ভেবে বসাটা ঠিক নাও হতে পারে। ঐ রকম বিজ্ঞানসম্মত বেশ কিছু কথাবার্তা প্রায় সব ধর্মগ্রন্থেই আছে। আশা করি সাদাত সাহেব কিছু মনে করবেন না।
@রফিক,
হুজুর,
এই কথা তো আমরা বলি নাই । আপনি কই থেইকা পাইলেন । জানাই লে একটু খুশি হইতাম ।
লিঙ্ক দিলাম science বিষয়ক । আপনি এইটা রে কুরান বিষয়ক বানাই ফালাই লেন । হের জন্য ত আপনি কমছে কম, একটা নবেল Prize পাইবেন ।
archeology তে ত পুরা এ+ পাইবেন । আমাদের সুর্য অ কেমন কোরানের কথা মত একটা কক্ষ পথ বানাইয়া ঘুরা ঘুরি করা শুরু করল । ইবনে আব্বাস ত রাসুল সঃ এর ভাতিজা ছিলেন, তাইলে তিনি কিয়ের লাইগা কন
হেরা ত দেখতো, সূর্য উঠত আর ডুবতো । রাসুল এর সময়ের মানুষ কেমনে spinning wheel কইয়া বইল ।
এইডা, পুরা দুনিয়া রে কইল, নাকি যেখানে মানুষ থাকে ঐ জাইগা রে কইল, কারন আরবের হুজুরেরা হারা দুনিয়া দেখে নাই । আবার ঐ লাইনের পড়েই পাহাড় এর কথা কই ল । তাইলে তো যেখানে মানুষ থাকে ঐ জাইগা রেই কইল ।
পঙ্খিল জলাশয়, দিয়া কি একটা দেশের সীমানার কথা বুঝাই ল নাকি, কারন জুলকার্নাইন ত দেশ, বিদেশ জয় কর ত। বিশ্বাস ন হইলে গিয়া, পুরান দেইখা এক কানা তফসির পরেন । অইখানে অ তাই পাবেন ।
(নুতুন ধরনের ভাষা শিখানোর জন্য ধন্যবাদ)
@ফুয়াদ,
এই আপ্নারাডা ক্যাডা? আমি তো জাকির নায়েক থেইকা শুরু কইরা হারুন ইয়াহিয়া আর সমস্ত ইসলামী বুজর্গদের বয়ানেই পাই – আল্লাহইয় নাকি চোদ্দশ বছর আগেই কোরানের মধ্যে বিজ্ঞানের নানা আলামত দিয়ে গেছেন। বিগ ব্যাং থেইকা শুরু কইরা ব্ল্যাক হোল পর্যন্ত। আপ্নে তারপরেও আন্ধা সাইজা থাকলে আমি কি করমু?
আমারে কি মামু বোকা পাইছেন নাকি? সূর্য ঘুরে এইটা বুঝাইতেই তো মিলিকিওয়ের একটা লিঙ্ক হান্দায় দিছেন – যাতে বুঝাইতে পারেন আধুনিক বিজ্ঞান এখন কোরানের আয়াতের লগে মিল্লা যাইতাছে। আরে সূর্য যে মাথার উপরে দিয়ে এক দিক থেইকা অন্য দিকে যাইতাছে এইটা তো আরবের বেদুইনগুলান জন্মের পর থেইকাই দেইখা আইতেছিল। হেইটা জানার জন্য কি মিল্কিওয়ের লিঙ্ক হান্দানো লাগে নাকি?
হা হাঃ জব্বর কইছেন। এখন এক্কেরে স্পিনিং হুইল লইয়া আইছেন। ভালা কথা। তয় এই স্পিনিং হইল খালি সূর্যের পরেই কইছে কেন? পৃথিবীর পরে এই spinning wheel দেখান না। সূর্যের লাহান তো পৃথিবীও ঘুরতাছে। পৃথিবীরে আল্লাহইয় কইবো fixed abode আর সূর্যের জায়গায় স্পিনিং হুইল – এইডা কেমনতর বিচার? আধুনিক বিজ্ঞান তো কয় পৃথিবী স্থির না। হের দুইটা গতি আছে – আহ্নিক গতি, আর বার্ষিক গতি। এইগুলা কোরানে নাই ক্যান? এইগুলা তো নাইই যে কেউ করান খোলামনে পড়লে বুঝব, আল্লাহ গোলার পৃথিবীও চিনতেন না, তার পৃথিবী সমতল। দেখেন এই আয়াত গুলা —
আল্লাহ তোমাদের জন্য ভূমিকে বিছানা এবং আকাশকে ছাদ স্বরূপ স্থাপন করে দিয়েছেন, [২: ২২]
তিনিই ভূমণ্ডলকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে পাহাড়-পর্বত ও নদ-নদী স্থাপন করেছেন [১৩: ৩]
অবশেষে তিনি যখন সূর্যের অস্তাচলে পৌঁছলেন; তখন তিনি সূর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন [১৮: ৮৬]
তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন [২০: ৫৩]
যিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে করেছেন বিছানা এবং তাতে তোমাদের জন্যে করেছেন পথ, [৪৩: ১০]
আমরা ভূমিকে বিছিয়েছি । এবং আমরা কতই না উত্তম সমতল রচনাকারী [৫১: ৪৮]
আল্লাহ তা’আলা তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিছানা [৭১: ১৯] ।
উপরের এই আয়াতগুলা পড়লে কি মনে হয় আল্লাহয় আধুনিক বিজ্ঞান জানতেন? আজকে কোন স্কুলের ছাত্ররে দিলেও বুখব এই আয়াতগুলা প্রাচীন কালের লোকজনের কল্পনা ছাড়া আর কিছু না। বিছানা, শয্যা, fixed abode … এইগুলা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে যায় না।
হেইডাই তো আমি কইলাম। আরবের হুজরেরা কুয়ার মধ্যে থাইক্যা কুয়াডারেই সমুদ্র ভাবছেন। হেগো পৃথিবী আছিলো সমতল আর ফিক্সড। সমতলা আর ফিক্সড দেখতে তো কোরান লাগে না। এত ঘটা কইরা এইগুলা কোরানে উল্লেখ করেছে দেইখাই বুঝা যায় – কোরান কোন আল্লাহর লেখা কিছু না। এইগুলা আরবের হুজুর গো কুপমুন্ডুক চিন্তাভাবনা। কাজেই কোরান কোরান বাদ দিয়া আসেন ভালা কিছু বই পড়ি।
হ জানি – হেইডা আলেকজান্ডাররে বুঝানো হইয়া থাক্তেও পারে। মাগার জুলকার্নাইন ত দেশ, বিদেশ জয় করুক আর যাই করুক, কোন ব্যাডায় কি কখনো সূর্যরে ‘পঙ্কিল জলাশয়’ এর মইদ্দে হান্দাইতে দেখছে? আসলে এইটাও আরবের হুজুর গো কূপমুন্ডুক চিন্তার ফল। হেরা তখন বুঝতে পারে নাই সূর্যডা আসলে কই ডুঈবা যায় আর রাতেই বা কই থাকে। হের লাইগাই হাবি জাবি কইছে। আর আপ্নেরাও ওইডা লইয়া হুদাই তর্ক কইরা যাইতাছেন, মাশাল্লাহ।
হ যেখানেই ভজঘট লাগবো, সেখানেই তফসির লইয়া ফাল পারবেন, নইলে আরবীর জ্ঞান জাহির করবেন। সুরা বুঝতে এত তফসির লাগবো ক্যান, আল্লাহয় তো নিজেই কইছে কোরান খুব ইজি কইরা লিখছে, যাতে হগগ্লতেই বুঝতে পারে –
Quran 44: 58 Verily, We have made This Quran easy in the tongue, in order that they may give heed.
আল্লাহ নিজেই কইছে এইডা একটা ‘ক্লিয়ার বুক’ (005.015 ) —
O followers of the Book! indeed Our Messenger has come to you making clear to you much of what you concealed of the Book and passing over much; indeed, there has come to you light and a clear Book from Allah;
আল্লাহ তো কয় নাই তার কোরান এত জটিল যে সাদাত সাহেবের তফসির লাগবো আমগো বুঝনের লাইগা, নাকি কইছে?
যাউক ফুয়াদ সাব – আপনে ভালা থাইকেন। আর যা কইছিলাম, ধর্ম লইয়া তর্কের আসলে কোন শেষ নাই। এই গুলা বাদ দিয়া আসেন ভাল কাম কাইজ করি আর জ্ঞান বিজ্ঞানের ভালা কিছু বই পড়ি। আখেরে ভালা ছাড়া খারাপ হইব না।
মি: হাবিব লিখেছেন:
——————————————————————
দাবী:
কোরানে সূর্য ও চন্দ্রের আকারগত পার্থক্য করতে পারেনি
প্রশ্ন:
কুরআনের কোন্ আয়াতে সূর্য ও চন্দ্রের আকার একই বলা হয়েছে?
দাবী:
কোরানে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের প্রকৃত কারণও ধরতে পারেনি।
প্রশ্ন:
কুরআনের কোন্ আয়াতে সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের ভুল/অপ্রকৃত কারণ বর্ণনা করা হয়েছে?
দাবী:
কোরানে সূর্য যে দিন ও রাতের কারণ তাও অনুধাবন করা হয়নি।
প্রশ্ন:
কুরআনের কোন্ আয়াতে সূর্য যে দিন ও রাতের কারণ নয় তা বলা হয়েছে?
সাদাত সাহেব,
আপনাকে খোলা মনে একটা উপদেশ দেই; আমি বুঝতে পারছি যে আপনি এই লেখকের লেখার বিন্যাস এবং হয়তোবা যুক্তিবোধেরও কিছু দূর্বলতা ধরতে রেছেন। সেটা জানানোর জন্য অবশ্যই আপনি ধন্যবাদ পেতে পারেন। কিন্তু আপনি যেভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লিখে যাচ্ছেন তাতে আপনার বক্তব্য বোঝা বা ফলো করা খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। কোরানের ব্যাখ্যা ফলো করা এমনিই বেশ কঠিন ব্যাপার যেহেতু আরবী জানি না, তার উপর যদি আরো কঠিন করে ফেলেন তো আরো মুশকিল, তাই না?
তাই আমার বিনীত অনুরোধ; আপনি আপনার পয়েন্টগুলি একটু গুছিয়ে পুর্নাংগ আকারে একটা পোষ্টে লেখেন যাতে আমরা ঠান্ডা মাথায় বুঝতে পারি। রফিক সাহেবও তখন তার বক্তব্য সহজে জানাতে পারবেন আর আমরাও বুঝতে পারবো।
@আদিল মাহমুদ সাহেব,
উপদেশের জন্য ধন্যবাদ, তবে তা রাখেত পারছি না কারণ:
১. আমার কাছে পুরো রচনটিই যথেষ্ট এলোমেলো মনে হয়েছে, ফলে মন্তব্য ও সংগত কারণেই আলাদা আলাদা।
২. একসাথে বসে সব মন্তব্য এক সাথে দেবার মত পর্যাপ্ত সময় এখন হাতে নেই।
আপনি হয়ত খেয়াল করেছেন, আমি মন্তব্যের ওপর মন্তব্য করা ছেড়ে সরাসরি প্রবন্ধের ওপর মন্তব্য করা শুরু করেছি। কারণ মন্তব্যের ওপর মন্তব্য করতে থাকলে মূল প্রসঙ্গ হতে অনেক দূরে সরে যেতে হয়।
But you are always welcome: [email protected]
@সাদাত,
হ্যা, দেখছি আপনি মন্তব্য ছেড়ে মূল লেখা নিয়ে আলোচনা করছেন, তা আমার কাছে যথেষ্ট ইন্টারেষ্টিং মনে হচ্ছে। এ কাজ আরো আগে করা গেলে বৃথা তর্কে কারোই সময় নষ্ট হত না। আপনার কথায় এ লেখাটির কিছু ত্রুটি ধরা পড়ছে স্বীকার করতেই হবে, তাই মনে হচ্চে আপনি এর জবাবে একটি পূর্নাংগ লেখা লিখে ফেলতে পারতেন। সময় না পেলে আর কি করা।
আমি এই আয়াতে যখনই আসি বেশ হোচট খাইঃ
“সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” ৩৬-সুরা ইয়াসীন : ৪০।”
প্রত্যেকে মানে তো সূর্য আর চন্দ্র প্রত্যেকেই, তাই না? সূর্য কিভাবে আপন কক্ষপথে বিচরন করে? আমি যতটুকু জানি যে সুর্য তার নিজ অক্ষের উপর পৃথিবীর হিসেবে ২৫ থেকে ৩৬ দিনে একবার করে ঘুরে। কিন্তু কোন নির্দিষ্ট কক্ষপথ ধরে ঘুরে (বার্ষিক গতির মত) বলে তো জানি না।
আপনি কি বলেন?
@আদিল মাহমুদ,
আদিল ভাই,
হায় হায়, আদিল এসব কি বলেন । Cosmic Year সম্পরকে কি বলবেন ।
http://hypertextbook.com/facts/2002/StacyLeong.shtml
এখানে দেখেন । Hess, Frances. Earth Science. New York: Glencoe Mc Graw-Hill, 2002: 348. এর মতে
আবার Moore, Patrick. The International Encyclopedia of Astronomy. New York: Mitchell Beazly Publishers, 1981: 45. এর মতে
“সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।” ৩৬-সুরা ইয়াসীন : ৪০।” এই আয়াত টিক ই আছে ।
আদিল ভাই, আমার বাংলা লেখা কি উন্নতির দিকে ? হলে জানাইয়েন ।
@আদিল মাহমুদ সাহেব,
আপনি যদি ১৪০০ বছর আগে আমাকে এ প্রশ্ন করতেন তবে বলতাম :
আল কুরআনে যখন আছে, তখন এটা অবশ্যই সঠিক, আজকের বিজ্ঞান এ সম্পর্কে কিছু না জানালেও ভবিষ্যতের বিজ্ঞান অবশ্যই জানাবে। তবে আজ ২০০৯ এ বসে সৌভাগ্যক্রমে তা আমাকে বলতে হচ্ছে না। কারণ এ কথা আজ প্রমাণিত যে সূর্য ছায়াপথের কেন্দ্রের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করে।
দেখুন:
http://starchild.gsfc.nasa.gov/docs/StarChild/shadow/questions/question18.html
http://hypertextbook.com/facts/2002/StacyLeong.shtml
http://en.wikipedia.org/wiki/Sun
“The Sun orbits the center of the Milky Way galaxy at a distance of approximately 24,000–26,000 light years from the galactic center”
@, ফুয়াদ, সাদাত,
ধণ্যবাদ আপনাদের, আমি নিজের আসলেই এই কসমিক ইয়ার এর ধারনা তেমন একটা ছিল না। অনেককাল আগে একবার শুনেছিলাম, তেমন মন দিয়ে পড়িনি।
ফুয়াদ,
অত চমকে যাবার মত কিছু মনে হয় হয়নি, আমি তো নিজেকে সবজান্তা শমসের বলে দাবী করি না, এই সাইটে আমি নুতন জিনিস শেখার জন্যই আসি, যুক্তি দিয়ে কথাবার্তা আপনিই বলেন আর অভিজিত/মিঠুন যেই বলুন আমি তার কথাই মানব। আর নতুন জিনিস শিখতে আমি লজ্জাও পাই না, তাই আমাকে দয়া করে প্রতিপক্ষ ধরে নেবেন না। আসল প্রতিপক্ষরা মনে হয় এই বিষয় ভালই জানেন, তাই আর কেউ এটা নিয়ে প্রশ্ন করেননি, আমি জানতাম না, তাই জিজ্ঞাসা করেছি।
সাদাত সাহেব লেখাটায় কয়েকটা ভুল ধরছেন। সেজন্য ধন্যবাদ পেতেই পারেন। কিন্তু আমি মনে করি লেখাটার মূল ম্যাসেজ ঠিক আছে। কোরানের পৃথিবীর ধারনা সেকেল, খুব প্রাচীন।
আমি আগেই উল্লেখ করছি যে,
আল্লাহ কার্পেটের লাহান ভূমিরে বিছাইছেন বলেছেন অনেক আয়াতে (১৫:১৯, ২০:৫৩, ৪৩:১০, ৫০:৭, ৫২:৪৮ ইত্যাদি) ।
আর তিনি আকাশরে খূঁটি ছাড়া ছাদের লাহান ধইরা রাখছেন সেটা কইছেন (৩১:১০ এ) আর পর্বতরে কইছেন পেরেক (৭৮ : ৬)
তিনি আরো কইছেন যে, শয়তান জ্বিনরে তাড়ানোর লাইগ্যা আল্লাহ উল্কাপাত ঘটান (Q. 67: 5, Q. 72: 8, Q. 37: 6/10) [বাহ উল্কাপাতের কি সুন্দর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা– এক্কেবারে মডার্ণ সায়েন্স]
জুলকার্নাইনর ‘ পঙ্কিল জলাশয়ে’ সূর্য ডুবতে দেখছেন (১৮:৮৬)
আর রাতের বেলা সূর্য কঠায় থাকে এইটা কইতে গিয়া আমগো নবী কইছেন – সূর্য রাতে থাকে খোদার আরশের তলায়। দিন রাত হওয়ার কি সুন্দর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিছেন তিনি –
Sahih Bukhari Volume 4, Book 54, Number 421
Narrated Abu Dhar:
The Prophet asked me at sunset, “Do you know where the sun goes (at the time of sunset)?” I replied, “Allah and His Apostle know better.” He said, “It goes (i.e. travels) till it prostrates Itself underneath the Throne and takes the permission to rise again, and it is permitted and then (a time will come when) it will be about to prostrate itself but its prostration will not be accepted, and it will ask permission to go on its course but it will not be permitted, but it will be ordered to return whence it has come and so it will rise in the west. And that is the interpretation of the Statement of Allah: “And the sun Runs its fixed course for a term (decreed). That is The Decree of (Allah) The Exalted in Might, The All-Knowing.”
সাদাত সাহেব মুক্তমনা লেখকদের পিছে লাগছেন ভাল কথা, amora tare sadhubad janaitechi – kintu আল্লাহ রসুলের এত বড় বড় ভুলগুলা তার চোখ থেইকা এড়ায় যায় কেন?
মি: হাবিব লিখেছেন:
—————————————————————–
—————————————————————-
এক্ষেত্রে তিনি ২টি আয়াত ব্যবহার করেছেন:
“ আল্লাহ সপ্তাকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভুত। ৬৫-আত্ব-ত্বালাক¦:১২।
“তিনিই নভোমণ্ডল (heavens) ও ভুমণ্ডল (earth) সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, অতঃপর আরশের উপর সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা ভুমিতে প্রবেশ করে ও ভুমি থেকে নির্গত হয় এবং আকাশ থেকে বর্ষিত হয় ও যা আকাশে উত্থিত হয়। ৫৭-সুরা আল হাদীদ:৪।
——————————————————————
অত:পর সিদ্ধান্তে এসেছেন:
——————————————————————
এসব থেকে ধারণা করা যায় যে,
সাতটি পৃথিবী
ধাতব মুদ্রার ন্যায়
একটি আপরটির উপর টাল দিয়ে রাখা আছে।
——————————————————————
প্রশ্ন হলো:
“ধাতব মুদ্রার ন্যায়”
এবং
“একটি আপরটির উপর টাল দিয়ে রাখা আছে।”
এসব ধারণা তিনি পেলেন কোখা থেকে?
কেউ হয়ত বলবেন রচনার অন্যত্র ব্যাখ্যা আছে, কোথায় আছে quote করে দেখাবেন কি?
কোনটা ঠিক?
এটা:
—————————————————————–
——————————————————————
নাকি এটা:
——————————————————————
——————————————————————
যুক্তিবাদী লেখকের লেখা বলে কথা!
মুক্তমনারা কিন্তু এসব ভুল চোখে দেখেন না, নির্বিবাদে পোস্টে ১০ এ ১০ দিয়ে দেন!
সূরা আন-নাবা কি ৭০ নম্বর সূরা?
সচেতন লেখক বটে!
@সাদাত,
হ্যা লেখক এখানে ভুল করেছেন। ওটা বোধ হয় সুরা ৭০ হইবো না, সুরা ৭৮ হবে। কিন্তু ৭০- ৭৮ ক্যাচাল বাদ হিয়া আসল কথা কন না। ভুমিকে বিছানাদ এবং পর্বতকে পেরেক – এই গুলা কথা বার্তা পৃথিবী সম্পর্কে খুব প্রাচীন একটা ধারনা দেয়। আরো ধারনা দেয় যে, কোরানের পৃথিবী সমতল। এইটারে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলানো আর কচ্ছপরে হাতী বানান একই কথা।
মি: হাবিব বলেছেন:
——————————————————————
—————————————————————-
অন্যত্র বলেছেন:
—————————————————————–
—————————————————————–
কাজেই আল কুরআনে উনি পড়ছেন:
“এবং সেখানে চন্দ্রকে রেখেছেন আলোরূপে এবং সর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে।” ৭১-সুরা নুহ:১৬।
“আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি।” ৪১-সুরা হা-মীম সেজদাহ:১২।
—————————————————————–
তারপরও উনি বলছেন:
“কোরান পাঠ করে মনে হবে না যে তারাগুলো আমাদের সর্যের মতই বস্তু”
সূর্য ~ প্রদীপ
তারকারাজি ~ প্রদীপমালা
সূর্য ~ তারকা
@সাদাত,
‘প্রদীপ’ অর্থ কবে থেইকা তারকা হইয়া গেল? কোন ডিকশেনরিতে পাইছেন – প্রদীপ মানে তারা? আপ্নে কি বুঝতাছেন – প্রাচীন আরবের লোকজন আকাশের গ্রহ্নক্ষত্ররে বর্ণনা করার লাইগ্যা এর চেয়ে ভাল কোন শব্দ খুইজ্যা পান নাই। রাতে মরুভূমিতে প্রদীপ জ্বালাইতো। এইটারেই কইছে তারকা। প্রদীপ মানে ‘তারকা’ হইলে, ‘ঝাড়বাতি’ হইবো গিয়া সুপারনোভা। আর আগর বাতি হইবো গিয়া ব্লাক হোল। কি কন?
িম: হাবিব বলেছেন:
—————————————————————–
——————————————————————
“ সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের। প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে।”
এখানে নাগাল পাওয়া বলতে লেখক কী বুঝেছেন? নাগাল না পেেলই যে উভয়ে পৃিথবীর সাথে সমরেখ হতে পারবে না এমন ভাবার কারণ কী?
—————————————————————–
সূরা ’আল -িক্বয়ামাহ’তে সূর্য ও চন্দ্রের একত্রিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে পৃিথবীর সাথে সমরেখ হবার বা গ্রহণের কথা বলা হয় নাই :
وَجُمِعَ الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ
wa ZumiAsh shamsu wal Qamaru
جُمِعَ
ZumiA
জমা করার কথা, একত্রিত করার কথা বলা হয়েছে।
—————————————————————–
:“সে প্রশ্ন করে – কিয়ামত (পুনরুজ্জীবন) দিবস কবে?
(১) যখন দৃষ্টি চমকে যাবে,
(২) চন্দ্র জ্যোতিহীন হয়ে যাবে।
(৩) এবং সর্য ও চন্দ্রকে একত্রিত করা হবে ”। ৭৫-সুরা আল-ক্বেয়ামাহ: ৬-৯।
—————————————————————-
লেখক এই ৩িট আয়াত থেকে িকভাবে এ িসদ্ধান্তে এলেন:
——————————————————————
১.এখানে সর্য ও চন্দ্রের একত্রিত হওয়ার ঘটনাটি একবারই ঘটবে বলে ধারণা করা হয়েছে।
– দৃষ্টি ও িক একবারই চমকে যাবে ? ‘একবার’ এলো কোথা হতে?
২.আর সর্য ও চন্দ্র দুটিকে সমকায় মনে করা হয়েছে, যা আসলে চোখের বিভ্রাšি।
– ‘সমকায়’ কোখায় বলা হয়েছে?
——————————————————————
লেখকের কল্পনা শক্তির প্রশংসা করতে হয়!
রফিক,
সাদাতের মূল অভিযোগ কিন্তু এখানে সত্য, এই লেখকের অন্তত ওই একটি আয়াতের ভিত্তিতে পৃথিবী গোল এবং আকাশ সলিড কিছু এই সিদ্ধান্ত আগেই টানা লেখাটার বিন্যাসের একটা ত্রুটি। যদিও লেখক পরের প্যারাগুলায় আরো ব্যাখ্যা করেছেন।
কোরানে পৃথিবী গোল না সমতল এ নিয়ে বহু তর্ক বিতর্ক পড়েছি। জ়ুলকারনাইনের পংকিল জলাশয়ে সূর্য ডোবার ব্যাখ্যাও বহুজনের দেখেচি। মুল বক্তব্য প্রায় একই, যে কোরানে অনেক কিছু রূপক হিসেবে আছে, তাই এগুলোও রূপক, শাব্দিক অর্থ নয়। এ যুক্তি তর্কের খাতিরে মেনে নেওয়া যেতেই পারে, অন্তত বেনেফিট অফ ডাউট তো পেতেই পারে। আসলেই তো তাই, জাপানে নিশিথ সূর্যের দেশ বলা মানেই কি সূর্য জাপান থেকে উদয় হয় বোঝায়?
তবে যারা রূপক জাতীয় যুক্তি দেন তাদের অন্তত কোরানে বিজ্ঞান খোজার আর চেষ্টা করা উচিত নয়, বিজ্ঞানে রূপক বলে কিছু নেই। বিজ্ঞান হতে হবে ১০০% যৌক্তিক। বেকায়দায় পড়লে রূপক আর অন্যখানে নিজের ইচ্ছেমত সেই রুপককে বিজ্ঞানের মোক্ষম প্রমান বলে দাবী করাটা খুবই আত্মপ্রতারণামূলক।
তবে আমাদের বাঘা বিজ্ঞানী শমসের আলী সাহেবের গোল না সমতলের ব্যাখ্যা মনে হয় একটু অন্যরকম। তার মতে অনেক বড় ব্যাসের গোল বস্তুকে অনেক দূর থেকে সমতল বলে মনে হয়, এ ব্যাপারটাও অনেকটা তাই, অর্থাৎ তিনি মূল অভিযোগ মেনে নিছেন যে কোরানে সমতল বলা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
লেখক কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, সেটা লেখকই জানে। আমি শুধু জানি কিভাবে বিভিন্ন গোঁজামিল দিয়া সমতল পৃথিবীরে জাকির নায়েকেরা উট পাখির ডিমের মতন গোলাকার বানায় দেয়। ঠিক যেমনে কোরানে বিগ ব্যাং খুইজা পায়, ঠিক তেমনি সব বিজ্ঞানের জিনিসই তারা কোরানে পাইয়া যায়। তারা বুঝেও না যে, কোরান লেখা হইছিলো ১৪০০ বছর আগে। সেখানকার একটা সুরাতে আধুনিক বিজ্ঞান থাকব – এইটা তো চূড়ান্ত রকমের হাস্যকর।
না, জাপান নিশিথ সূর্যের দেশ না। নিশিথ সূর্যের দেশ হইলো নরওয়ে। জাপানরে মনে হয় সূর্যোদয়ের দেশ কওয়া হয়। তবে রূপকের খেলা ইস্লামিস্টরা ভালাই খেলতে পারে। যখনই বিজ্ঞানের সাথে মিলে না, সেইটা হইয়া যায় রূপক। কোন কিছু মিল্লা গেলে আর রূপক থাকে না। তখন কইবো – কি মারাকেল গ্রন্থ – আমাদের কোরান। এই খেলা থেইকা আমরা ক্যামনে মুক্তি পামু? পৃথিবী যখন তাদের গবেষনায় উট-পাখির ডিম হইয়া যায় – তখন সবই সম্ভব তাগো দুনিয়ায়। কি কন? জাপানরে সূর্যদয়ের দেশ যে কারণে কওয়া হয় আর জুলকার্নাইনের বর্ণনা কোরানে যেমনে আছে সেটা এক না। আয়াতে পরিস্কার ভাবে বলা হইছে – ‘তখন তিনি সুর্যকে এক পঙ্কিল জলাশয়ে অস্ত যেতে দেখলেন এবং তিনি সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেলেন| আমি বললাম, হে যুলকারনাইন! আপনি তাদেরকে শাস্তি দিতে পারেন অথবা তাদেরকে সদয়ভাবে গ্রহণ করতে পারেন।’ এখন কোন দেশরে সূর্যোদয়ের দেশ কওয়া আর সূর্যরে ‘পঙ্কিল জলাশয়ে ডুবতে দেখলেন’ – বলা কি এক হইলো? আপনার যুক্তি কি নলে? আমি অবশ্য এর উত্তর জানি। যেহেতু এখন আমরা জানি বিজ্ঞানের কারণে আমরা জানি পৃথিবী গোল – তাই তাগো মাথায় গোলমাল লাইগ্যা গেছে। তারা এখন রূপক ছাড়া আর কিছু খুইজ্যা পান না। আর এইটা বোধ হয় আপ্নেও জানেন।
আপ্নের এই কথাটা ১০০% সত্য। সাদাত সাহেবেরা এইটা বুঝলেই হয়।
জাকির নায়েকের একটা ছবি পোস্ট করতে চাইতাছি, দেখি পারি কিনা।
ইউসুফ আলী, পিকথাল, শাকির হগগলতেই ৭৯ঃ৩০ আয়াতটারে ‘বিস্তৃত’ অর্থে অনুবাদ করছেন, আর জাকির সাহেব পাইছে উটপাখির ডিম–
দেখেন জাকির সাহেব ক্যামনে পৃথিবীরে ডিম বানাইছেন। আমার মনে হয় ডিম টা উট পাকির না, ঘোড়ার ডিম। কি কন?
ছবিটা দিতে পারলাম না। লিঙ্ক দিলাম…
http://www.faithfreedom.org/debates/NaikCa26.jpg
িম: হািবব িলখেছেন:
—————————–
—————————————————
প্রশ্ন হল:
উপিরউক্ত আয়াতসমূহ হতে িম: হািবব িকভাবে এ িসদ্ধাস্তে এলেন যে:
১. কোরান মতে পৃথিবী হচ্ছে চ্যাপ্টা একটি থালার মত জিনিস। (?)
২. আর আকাশ হচ্ছে কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি একটি সাত-স্তরযুক্ত গম্বুজ।(?)
————————————————-
িতিন িক কুরআনের িনজস্ব স্বািপ্নক ব্যাখ্যা করছেন?
@সাদাত,
আপনার দাবী এখানে আসলে সঠিক। শুধুমাত্র ওই আয়াতের উপর ভিত্তি করে কোনমতেই ওই দুই সিদ্ধান্তে পৌছানো যায় না। প্রথমে পৃথিবী ও পরে আকাশ সৃষ্টি করা অবশ্য বোঝা যায়, তবে আমি নিজেও বুঝালাম না যে লেখক কেন ওই পার্টিকুলার আয়াতের পরেই আপনার দেখিয়ে দেওয়া ওই দুই সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেছিলেন। তবে তার মানে কিন্তু এও দাঁড়ায় না যে লেখক তার সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে আর কোন যুক্তি প্রমান দেননি। লক্ষ্য করেন; ওই পুরো প্যারায় কিন্তু তিনি কি লিখেছেন, “এ আলোচনা থেকে যা বের হয়ে এল তা হচ্ছে এই যে, কোরান মতে পৃথিবী হচ্ছে চ্যাপ্টা একটি থালার মত জিনিস। আর আকাশ হচ্ছে কঠিন বস্তু দিয়ে তৈরি একটি সাত-স্তরযুক্ত গম্বুজ। প্রথমে পৃথিবী ও পরে আকাশ সৃষ্টি করা হয়। এটি হচ্ছে ইসলামী মহাকাশবিদ্যার সারবস্তু। এখন আমরা এ ধারণাগুলো আরো বিশদভাবে পর্যালোচনা করব।”
আসলে আমি যা বুঝি তাহল এই যে লেখক এই প্যারাটায় তার পরবর্তী প্যারাগুলায় যা ব্যাখ্যা করবেন তা ভূমিকা দিয়েছিলেন। পরের আলোচনার সিদ্ধান্ত আগেই তিনি এখানে বলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন পরে প্যারাগুলায়। এ আলোচনা থেকে যা বের হয়ে এল না বলে বের হয়ে আসবে ব্যাবহার করলে মনে হয় আর এই কনফিউশন থাকত না। লেখক কিন্তু তার পরপরই আকাশ প্যারায় অন্য আরো আয়াত রেফার করে তার বক্তব্য তুলে ধরছেন। তার সিদ্ধান্ত কতটা ভুল ঠিক সেই আলোচনায় এখানে আর যাচ্ছি না।
@সাদাত,
জ্বিনা, তিনি কোন স্বপ্নের ব্যাখ্যা করেন নাই। কোরানের দৃষ্টিতে পৃথিবী আসলেই সমতল।ঞ্চ্যাপ্টা থালার লাহান। আল্লাহ কার্পেটের লাহান ভূমিরে বিছাইছেন বলেছেন অনেক আয়াতেই (১৫:১৯, ২০:৫৩, ৪৩:১০, ৫০:৭, ৫২:৪৮ ইত্যাদি) । আর তিনি আকাশরে খূঁটি ছাড়া ছাদের লাহান ধইরা রাখছেন সেটা কইছেন (৩১:১০ এ)। ছাঁদ জিনিসটা বলতে কি বোঝায় তা ব্যাক্কলেও বুঝব। আকাশ কি ছাঁদ নাকি, সাদাত সাহেব? আল্লহ এত কিছু জানে, আকাশের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানে না?
আর ঘটনা হইল, আল্লাহ যে পৃথিবীর সমতল ভাবছিলো সেইটা কোরানে পাওন যায় জুলার্নাইনের কান্ডকারখানা যেমনে কোরানে লিখছেন সেইটা দেইখা (১৮:৮৬)। যে তা না হইলে জুলকার্নাইন সহেবে একটা জায়গায় গিয়া ‘পঙ্কিল জলাশয়ে’ সূর্যরে ডুবতে দেখছিলেন ক্যনো? আল্লায় কি জানে না যে সূর্য আসলে কখনো ডুবে না? পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য মনে হয় কোথাও সূর্য দুইবা যাইতাছে। আল্লাহ এত বড় বিজ্ঞানী, এই সহজ ব্যাপারটা বুঝে না?
এখন আপ্নে কি কইবেন এইটাও জানি। ভং চং কইরা কইবেন – পঙ্কিল জলাশয় ব্যাপারটা রূপক। ছাঁদ ব্যাপারটা আরবীতে অন্য অর্থ আছে – এইগুলান হাবিজাবি। জাকির নায়েক যেমনে আপ্নেগো ঘোল খাওয়াইছে – দুহিয়া অর্থ ‘উট পাখির ডিম’ কইয়া। উনিও ডিম কইছেন, আর আপ্নেগো মত বান্দারাও সেই ডিম ভাইজা চাইটা পুইটা খাইয়া ফেলাইছেন। কি আর করবেন, বিশ্বাস বইলা না কথা।
আপনে মুক্তমনা থেইকা শিক্ষানবিসের এই আর্টিকেলটা পইড়া দেখেন –
ইসলামী বিজ্ঞানের পৌরাণিক কাহিনী
এই রকম আরো আর্টিকেল আছে এই সাইটে। কিন্তু আপ্নেরে পড়তে দিয়ে কি লাভ। আপ্নে তো তাল্গাছ রে আকাশে তুইলা রাখছেন – আর ভারতাছেন ব্যাবাগতে খালি স্বপ্ন দেখতাছে।
@ সাদাত,
ভাই ধর্ম জিনিসটি প্রতিষ্ঠিতই হয়েছে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এর মূলমন্ত্রই হচ্ছে প্রশ্নহীন বিশ্বাস। আপনি যেহেতু ধার্মিক মুসলমান সেহেতু আপনার আস্তিকতার ভিত্তিও বিশ্বাস।
অন্যদিকে আমাদের মত মুক্তমনাদের অবস্থান সম্পূর্ন বিপরীত। আমরা কোন কিছুকেই উপযুক্ত তথ্য প্রমান ছাড়া সত্যি বলে গ্রহন করিনা। আমরা যুক্তিতে বিশ্বাসী। প্রথমেই আমরা সংশয় করতে শিখি তারপর যুক্তির পাল্লায় সত্যি-মিথ্যা, ভাল-মন্দ বিচার করি। এখানে আমাদের কাছে বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই।
আপনি আপনার বিশ্বাসকে যদি এতটাই সত্যি বলে ভাবেন তাহলে যুক্তির খেলায় নামছেন কেন? যুক্তি এবং বিশ্বাস দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত। এই দুটির সহাবস্থান কখনও সম্ভব নয়। তাই আপনার এই বিশ্বাসকে যুক্তির মানদন্ডে যাচাই বাছাই করার প্রয়াস গুলো হাস্যকর লাগে। আপনি তো বিশ্বাসী, তা আপনি যে যুক্তির খেলায় নেমে আল্লার কাছে বেঈমান হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছেন তা কি আপনি জানেন? আপনার দেয়া লিংকগুলো দেখলাম। সেই একই বিশ্বাসকে যুক্তির পাল্লায় জোড় করে বসানোর আপ্রান চেষ্টা, যা পড়লে হাসব না কাদব তা বুঝে উঠতে পারিনা। আপনি মুক্ত মনে কোরান পড়ার উপদেশ দিয়েছেন। আচ্ছা একটা প্রশ্ন- আপনি নিজে কি কখনও মুক্তমনে পড়েছেন?? আপনি তো পড়ার আগেই কোরানকে সত্য সুন্দর বিশ্বাস করে বসে আছেন। তাই পড়ার পড়ে কোন ভুল পেলেও সেটার প্রতি কোন সন্দেহ প্রকাশ করার মত সত সাহস আপনার নেই। কারন আপনার বিশ্বাস সন্দেহপোষন কারীদের আল্লাহ কঠোরতম শাস্তি প্রদান করে থাকে। তখন আপনি আপনার বিশ্বাসের জোড়ে কোরানের অযৌক্তিক বানীকে যুক্তির নিরীখে প্রতিষ্ঠিত করার ঘৃন্য প্রয়াস চালান। চমতকার, আপনার মুক্তমনের নমুনা। আর আপনে আমাদের মুক্তমনে কোরান পড়ার উপদেশ দিচ্ছেন!! আরে ভাই, যদি মুক্তমনে কোরান পড়তে হয়, তবে যে সবার প্রথমে আল্লার বানী বলে কোরানের প্রতি যে অন্ধবিশ্বাস কাজ করে, তাকে পরিত্যাগ করতে হয়, তা কি জানেন?? আগে নিজে সেই বিশ্বাস ত্যাগ করেন তারপর আমাদের মুক্তমনে কোরান পড়ার উপদেশ দিয়েন।
অবশ্য আপনার বিশ্বাসের জোড় যদি খুব বেশী হয়, তবে আপনার এই অহেতুক কোরান গবেষনা করার অর্থ কি? মুক্তমনায় ঢুকেও এই অর্থহীন বিতর্কের আমি কোন প্রয়োজন দেখিনা। আপনি শুধু বিশ্বাস করে যান, কোন যুক্তির খেলায় নামিয়েন না। কারন বিশ্বাস পরিত্যগ করে যুক্তির খেলায় নামার জন্য আল্লাহ আপনার উপর নাখোশ হবেন।
আর যদি মনে করেন, না আমি যুক্তির খেলায়ই নামব, তবে আগে কোরানের প্রতি অন্ধবিশ্বাস পরিত্যাগ করুন, মুক্তমনকে সঙ্গায়িত করতে শিখুন, নিজের মনকে বিশ্বাসের শিকল ভেঙ্গে মুক্ত করুন, তারপর সত্যিকে জানার চেষ্টা করুন।
ধন্যবাদ।
@mithoon,
আপনি বলেছেন:
——————————————-
আমরা যুক্তিতে বিশ্বাসী।
——————————————-
এখানে আমাদের কাছে বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই।
——————————————–
যুক্তি এবং বিশ্বাস দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত।
——————————————–
যে পদ্ধতিতে আপনারা কুরআনের contradiction বের করেন (স্হান, কাল, পাত্র বিচার না করে), সে পদ্ধতিতেই আপনার বক্তব্য কি contradictory নয়?
@সাদাত,
আমরা যুক্তিতে বিশ্বাসী।
——————————————-
এখানে আমাদের কাছে বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই।
——————————————–
যুক্তি এবং বিশ্বাস দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থানরত।
ভাইয়েরা, সাদাত সাহেব বলেছেন আমার এই বক্তব্য নাকি স্ববিরোধী!! আমি স্ববিরোধ টা কোথায় তা ধরতে পারছিনা। আপনারা কি আমাকে একটু সাহায্য করবেন??
আশ্চর্য, এই আপনি স্থান, কাল, পাত্র বিবেচনা করার কথা বলছেন!!!!
ভাই আপনি কি এইটুকু বোঝার ক্ষমতা রাখেন যে, স্থান, কাল, পাত্র বিবেচনা করলে ইসলাম/কোরান/মুহাম্মদ এর তথাকথিত ঐশী বানী গুলো শুধুমাত্র সেই ১৪০০ বছর আগেকার আরব সমাজের জন্যই প্রযোজ্য হয়??? সেক্ষেত্রে আজকের এই একবিংশ শতাব্দীর আগমনের বহু আগেই আপনার আল্লাহ যে তার নিয়মকানুন সহ তার জন্মস্থান আরবের মাটিতেই মরে ভূত হয়ে গেছে সে হুশ কি আছে?? না কি কোরানের চিরন্তনতার প্রশ্নে, স্থান, কাল, পাত্র ইত্যাদি বিষয়গুলো আপনাদের মনের পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়???
@মিঠুন,
আমার সাদাত সাহেবের এই কথাটা পড়ে মনে হয়েছে যে তিনি বোঝাতে চাছেন যে আপনারা (মুক্তমণারা) একদিকে দাবী করছেন যে ধর্ম শুধু বিশ্বাসের জিনিস, যুক্তির নয়। আবার অন্যদিকে যুক্তি দিয়ে সেই অযৌক্তিক বা বিশ্বাসকে খন্ডন করার চেষ্টা করছেন। তিনি খুব সম্ভবত এই দুইয়ের মাঝে স্ববিরোধিতা দেখতে পাচ্ছেন। আমার ধারনা ভুলও হতে পারে, সাদাত সাহেব আশা করি ব্যাখ্যা দেবেন। হয়ত তার মতে যুক্তি ব্যাবহার করা যায় কেবল যুক্তির বিরুদ্ধে, বিশ্বাস বা আবেগের বিপক্ষে নয় (এটা আমিও স্বীকার করি, তাই ধর্মকে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করার কোন চেষ্টা করি না)।
সাদাত সাহেব এটা মনে করে থাকলে কিন্তু আর বড় কোন সমস্যা থাকে না। সবার মাঝেই মতৈক্য হতে পারে যে ধর্ম যুক্তিভিত্তীক কিছু নয়।
দেখা যাক তিনি কি বলেন।
@আদিল মাহমুদ,
‘সবার মাঝেই মতৈক্য হতে পারে যে ধর্ম যুক্তিভিত্তীক কিছু নয়।’
সহমত। কিন্তু সমস্যা টা হচ্ছে যে প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাসীরা এটা বোঝার পরেও অহেতুক বিতর্ক চালিয়ে যায়। যুক্তির নিরীখে নিজেদের বিশ্বাস কে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালায়। এটা করতে গিয়ে , বংশপরম্পরায় তারা যে বিশ্বাসের ধ্বজাবাহী- তাকে সমুন্নত রাখার নিমিত্তে আত্মমর্যাদাকেও বিসর্জন দিতে কুন্ঠা বোধ করেনা।
বিশ্বাস মানুষকে এতটাই অন্ধ করে দেয় যে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও নিজের এই অধ:পতনটুকুও ধরতে পারার ক্ষমতা সে হারিয়ে ফেলে।
আফসোস ছাড়া আর কি ই বা করতে পারি!!!
sokol mukto-mona pathok gon…. tomader uddsshe boli….. soboi allaher iccha… tar iccha chara gaser patao nore na….
ei je ajke amra tar biruddhe liktesi tao taroi iccha(!!!) sutorang ……..
@আদিল,
ভাল বলেছেন। কিন্তু অবাক করার মত ব্যাপার এই সাধারন প্রশ্নটা ইসলামী চিন্তাবিদদের মাথায় আসেনা।
@rony,
এখানেই যুক্তিবাদের সাথে ধর্মবাদের পার্থক্য। ধর্মের বেশ কিছু জিনিশকে হয়ত যুক্তিবাদ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে সব না। এক পর্যায়ে যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না। কিছু ইসলামবিদ যারা মনে করেন যে তারা সব কিছুই ব্যাখ্যা করতে পারেন অবশ্য এর পরও চেষ্টা চালিয়ে যান, যদিও কতটা হাস্যকার শোনাচ্ছে বুঝেও না বোঝার ভান করেন। এটা এক ধরনের আত্মপ্রতারণা। আর যারা সত, তারা অবশ্য অন্তত স্বীকার করেন যে এর উত্তর আমি জানি না, আমি সামান্য মানুষে আল্লাহর সব কিছু কি করে বুঝব?
মনোজ্ঞ আলোচনা। এই ধরণের আলোচনা আরো পড়তে চাই। আমাদের মনের অন্ধকার গলিগুলো আলোকিত হোক। বিকশিত হোক চিন্তার রাজ্য।
ধন্যবাদ লেখক ও মুক্তমনাকে
Dear friends,
Both the book (Koran) by Mohammed and his lifestyle is inhuman. His actions and thoughts are only comparable to being that has no concerns for humanity beyond his own followers.
A careful and unbiased examination of his book Koran and his lifestyle is enough to reveal this truth.
Have fun!
Thank you
[email protected]
@আদিলঃ
ধার্মিক লোকজন তাদের বিশ্বাস নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকে। কারন তারা নিজেরাও বুঝে প্রমানহীন কিছুকে তারা বিশ্বাস করছে। আল্লাহ মানুষের মনে তালা মারার কাজটা কেনই বা করলেন যদি তিনি চান আমরা তার ইবাদত করি।
@rony,
আমি নিজে যতটা জানি তাতে কোরানে আল্লাহ কোন কিছু যাচাই না করে গ্রহন করতে নিষেধ করেছেন, শুধু তার অস্তিত্ত্ব ছাড়া। মুশকিল হল অতি ধার্মিকরা খুব সহজেই এটা ভুলে যান। একটু বেয়াড়া প্রশ্ন যা নিজেরা জানেন না সেটা শুনলেই তারা ক্ষেপে ঊঠেন, ব্যক্তিগত আক্রমন, দোষগের ভয় দেখানো এ লাইনে কথাবার্তা শুরু করে দেন। তার থেকে সরল সত্য স্বীকার করলেই হয় যে আমি এর উত্তর জানি না, বা অন্তত চুপ থাকলেও হয়। নিজেরাও বোঝেন না যে তাদের কথাবার্তা কতটা হাস্যকর শোনাচ্ছে।
দূঃখজনভাবে আম দেখেছি যে ধর্ম নিয়ে যে কোন আলোচনা একসময় এমন পয়েন্টে পৌছায় যার যথার্থ জবাব কখনো পাওয়া যায় না। যেমন আপনি বললেন কিছু মানুষের মনে আল্লাহ তালা মেরে দিয়েছেন, তাদের যতই বোঝানো হোক তারা বুঝবে না। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে আর সেই সব লোকদের কী দোষ? তাদের মনে তো তালা আল্লাহই মেরে দিয়েছেন, যাদের মনে তালা মারেননি তারাই তাকে মানে। অর্থাৎ কে তাকে মানবে না মানবে তা আল্লাহ আগেই নির্ধারণ করে রেখেছেন? পুরো ব্যাপারটায় একটা পক্ষপাতিত্ত্বের ছাপ পাওয়া যায় না?
Rony সাহেবের উপদেশ বেশ মুল্যবান। কোরান বিষয়ক কোন বিতর্কে মোসলমানরা চট করে উত্তেজিত হয়ে যান; কোমর বেধে তর্ক করতে লেগে যান। ঠিকই আছে, আপনি যা বিশ্বাস করেন তা ডিফেন্ড করবেন না কেন? করাই তো উচিত। মুশকিল হল অধিকাংশ সময় দেখা যায় যে তিনি নিজে কোরান নিজ ভাষায় পুরো পড়েননি, মানে দাড়ায় তিনি নিজেও আসলে জানেন না যে কোরানে কি বলা আছে। ত্নি জোর বিশ্বাস করেন যে কোরান শুধুই আর দশটা ধর্মগ্রন্থের মত কোন ধর্মগ্রন্থ না, মানব জাতির জন্য অবশ্য পালনীয় একমাত্র পুর্নাংগ জীবন বিধান। যদিও তিনি নিজেকে কখোন জিজ্ঞাসা করেন না যে এই পূর্নাংগ জীবন বিধানের কতটূকু তিনি নিজে পালন করেন বা পালনের চেষ্টা করেন। পালন তো দুরে থাক, তিনি নিজ ভাষায় সেই ঐশী গ্রন্থ কতবার পড়েন। বড়জোর তিনি সওয়াবের আশায় বিজাতীয় আরবী ভাষায় কোরান নিয়মিত পড়েন।
অথচ তর্কটা চালিয়ে যান তিনি স্রেফ নিজের বিশ্বাসের জোরে; যে বিশ্বাস তিনি পেয়েছেন ছোট বেলা থেকে। প্রায় সব ক্ষেত্রেই এনারা মত দিয়ে দেন যে লেখক কোন বিশেষ উদ্দেশ্য বশতঃ ইসলামকে হেয় করতে এহেন লিখছেন।
এ ধরনের তর্কের ফলাফল কি দাঁড়ায় তা এই লেখার আলোচনা কোন নিরপেক্ষ পাঠক পড়লেই বুঝবেন। যেমনঃ কেউ যদি কোরানিক কন্ট্রাডিকশন নিয়ে একটা লেখা লেখেন তখন যদি মুল বিষয়ে না গিয়ে তাকে বলে দেওয়া হয় যে সূরা ইয়াসীন এ বলা আছে যে তোমার হৃদয়ে আল্লাহ তালা মেরে দিয়েছেন তাই তুমি কখোনই কোরানের মাধূর্য বুঝবে না, বা ইফতেখার সাহেবের মত যদি বলে দেই যে তুমি যতই চেষ্টা কর কোরানের গায়ে কোন আচড় দিতে পারবে না তাহলে যুক্তির চোখে শোনায়? এহেন কথাবার্তা বলার চেয়ে নিজে আগে কোরান নিয়ে গবেষনা করে পয়েন্ট অনুযায়ী প্রতি উত্তর দেওয়টা কি যুক্তিযুক্ত নয়?
ঊল্টা পালটা হাস্যকর কথাবার্তা বলার চেয়ে তো মৌনব্রত পালন বুদ্ধিমানের।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার ধারণার কিছুটা পরিবর্তন দরকার, কেউ ঝটপট উত্তর দিলেই আপনি কেন ধরে নেবেন যে ” তর্কটা চালিয়ে যান তিনি স্রেফ নিজের বিশ্বাসের জোরে”
অথবা কেনই বা ধরে নেন:
“মুশকিল হল অধিকাংশ সময় দেখা যায় যে তিনি নিজে কোরান নিজ ভাষায় পুরো পড়েননি, মানে দাড়ায় তিনি নিজেও আসলে জানেন না যে কোরানে কি বলা আছে।”
আমার excel শীটে পুরো কুরআন আরবীতে, এবং এর অনুবাদ বাংলা ও ইংরেজী আছে, এটা আমার তৈরী করা, এতে তিন ভাষাতেই search করা যায় একাধিক শব্দসহ । বেশীর ভাগ সময় আমার এসব নিয়েই কাটে। হাদিসের ও অনুরূপ ডাটাবেজ আছে।
আধুনিক কালে ইসলাম এবং কোরানের বিরূদ্ধবাদীদের অভিযোগ কি কি, সে সম্পর্কে আমি ওয়াকেফহাল। সেগুলো নিয়ে অনেক পড়াশোনাও করেছি। এ সাইটে এসে এসব পুরোনো প্রশ্নগুলোই দেখছি।
আলোচ্য প্রবন্ধের লেখক নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে কোরআনের মহাবিশ্ব সাজিয়েছেন। সময় পেলে আমি বাংলায় এর ওপর লিখব।
আপনার যদি সত্যিই জানার আগ্রহ থাকে একটি একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করুন । আমি আছি : [email protected]
@সাদাত,
কেন ধরে নেই তার জবাব দয়া করে উপরে আমার করা বেশ কয়েকটা প্রশ্ন্ দেখেন এবং তার উত্তর দেখেন। এটা ঠিক যে আপনি এখন পর্যন্ত কোন উত্তর দেননি, ফুয়াদ সাহেব দিয়েছেন বা তারমত দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। উনি যা উত্তর দিয়েছেন তা পড়ে আপনার কি মনে হ্য যে আমি খুব বলেছি?
তর্ক হতে পারে যে আমি শুধু ওনাকে দিয়ে সবাইকে বিচার করছি কিনা? বিশেষ করে আপনি যেখানে দেখা যাচ্ছে মোটামুটি ভালই কাজ করেছেন। আপনার কাজের প্রসংশা অবশ্যই করতে হয়। তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনি এক্ষেত্রে বেশ ব্যাতিক্রম। বেশীরভাগ ধার্মিক কিন্তু এতটা করেন না, তারা তর্ক চালিয়ে যান অনেকটাই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে।
এ লেখকের লেখা বা এ জাতীয় যে কোন লেখার বিরুদ্ধে আপনি লেখেন না, মুক্তমনা অবশ্যই ছাপবে বলে আমার বিশ্বাস। মুক্তমনা মানে নিশ্চয়ই নাস্তিকতাবাদ না। মুক্তমনা মানে খোলা মনে যেকোন যুক্তিকে গ্রহন করা। নাস্তিক আস্তিক যেই যুক্তিপূর্ণ লেখা সভ্য ভাষায় লিখে তার পয়েন্ট তুলতে পারবেন তাকেই সাধুবাদ জানাবো।
জ়েনে খুশী হলাম যে আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। আমি প্রশ্নগুলি কিন্তু বেশ কয়েকবার এই আলোচনাতেই করেছি, আপনাকে উদ্দেশ্য করেও করেছি। ওইগুলির উত্তর আসার আগে আপাতত আর নুতন কোন প্রশ্ন নেই। আপনার সাথে তো আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই, তাই উত্তরগুলি এই ফোরামেই দেন না কেন? সবাই মিলে শেয়ার করাটাই কি ভাল না?
আপনি যে উত্তর দিতে চেয়েছেন বলে ধণ্যবাদ।
@আদিল মাহমুদ,
{মুক্তমনা মানে নিশ্চয়ই নাস্তিকতাবাদ না। মুক্তমনা মানে খোলা মনে যেকোন যুক্তিকে গ্রহন করা। নাস্তিক আস্তিক যেই যুক্তিপূর্ণ লেখা সভ্য ভাষায় লিখে তার পয়েন্ট তুলতে পারবেন তাকেই সাধুবাদ জানাবো।}
মুক্তমনা: বাঙালী নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী, সংশয়বাদী, ফ্রিথিংকার, যুক্তিবাদী এবং মানবতাবাদীদের আন্তর্জালিক সমাবেশ। লেখা আছে । Sorry adil vai.
ফূয়াদ,
বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনার লজিক্যাল সেন্স একটু প্রসারিত করা দরকার।
যুক্তিবাদী এবং মানবতাবাদী শব্দদুটো কি আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে? নাকি ধার্মিক হলে ওই দুটো গুন বিসর্জন দিতে হয়?
@আদিল মাহমুদ,
Yah Brother, Its true {বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনার লজিক্যাল সেন্স একটু প্রসারিত করা দরকার} But Problem is that I asked to admin may be 1 or 2 month ago in a comment আমাদের মনমানুষিকতার লোকদের এখানে লেখার অনুমতি আছে কি না But they didn’t reply. So what that mean ?
another point is that You asked to write Mukto-mona in your comment . Admin didn’t say anythings. May be It’s two time you said.
So, What can you say ……………
Do you understand ?
You love argument so much that I have to say funny argument tho It’s not true always. If you multiple anythings by zero it will be zero. According to my up’s explanation, I can use that funny argument for mukto-mona .
Dear Sir রফিক , Please don’t reply on my funny argument.
শুরতাদুল্লা and মুরতাদুল্লা খান
You have great language that you have Said. I am going to thank you Because you have used bad language against me. Thanks a lot.
দৃষ্ঠি আকর্ষন @all
It’s the main reason Why difference have come……..
Anyway, It was main point against me that I didn’t write to point. My answer is Look carefully in this post I didn’t comments on writer’s article.I replied on other comments.
Now I need to write somethings on writes article. As I wrote before I am mentioning again কথা হইতেছে Al kuran আল্লাহ কতৃক লিখিত । এই টি অনুবাদ করতে গেলেই যামেলা হয় । লেখক, মনে করে এই অনুবাদ ঠিক, একটু পরেই মনে করে ঐটা টিক । তাই আগে অনুবাদ করাই হইত না । আরও ঝামেলা হইতেছে, কিছু জিনিস ভবিষৎ এর জন্য ।
It’s enough for me for answering whole article.
I will try a little bit more. I choose one Ayat from writer’s article, Other Ayat you can understand by yourself if only if you try…..
“ তিনিই সে সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরি করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সবকিছু অবগত।” ২-সুরা আল-বাক্বারাহ :২৯।
02.029
YUSUFALI: It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge.
PICKTHAL: He it is Who created for you all that is in the earth. Then turned He to the heaven, and fashioned it as seven heavens. And He is knower of all things.
SHAKIR: He it is Who created for you all that is in the earth, and He directed Himself to the heaven, so He made them complete seven heavens, and He knows all things.
May be you could difference… Needs more
Look : Is created for you in all the land and then turned He to the heaven Fssoahn the seven heavens, a knowledge of all things {Google translator}.
Do you feel the change ? then you could say why Software ?
It’s just for understanding………….
Then new question will arrive that Al quran is not clear ?
Yah Its clear for Life purpose, About our prayer, what to pray{দোয়া}, many lesson previous time, Foroz order, etc..
What you need for religion like Interest is haram…………….
You can easily follow and understand al Quran …
example : Concept of God
: “Say: He is Allah,
The One and Only.
“Allah, the Eternal, Absolute.
“He begets not, nor is He begotten.
And there is none like unto Him.”
[Al-Qur’an 112:1-4]
NOW My POINT FOR HARD VERSES{no need to follow, may be for future or What ALLAH swt whish}
ALLAH SWT SAYS : 003.007
YUSUFALI: He it is Who has sent down to thee the Book: In it are verses basic or fundamental (of established meaning); they are the foundation of the Book: others are allegorical. But those in whose hearts is perversity follow the part thereof that is allegorical, seeking discord, and searching for its hidden meanings, but no one knows its hidden meanings except Allah. And those who are firmly grounded in knowledge say: “We believe in the Book; the whole of it is from our Lord:” and none will grasp the Message except men of understanding.
There is lots of Scientific explanation of Ayat what I choose from writers article . I am just Student of Science . I know myself, I don’t know far about Science. I am not moving about Scientific explanation………………
Now about the challenge Al Kuran:
অভিজিৎ দা Said : আপনার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বলি – কোরাণ কেন, পৃথিবীর কোন অসামান্য সৃষ্টিকেই পুনর্বার তৈরি করা যায় না। আপনাকে যদি বলা হয়, দয়া করে রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান, হোমারের ইলিয়াড, শেক্সপিয়রের হ্যামলেট কিংবা কালিদাসের মেঘদূত অথবা মধুসূদনের মেঘনাদবদ কাব্য আরেকটি তৈরি করে দেখান – আপনি কিন্তু পারবেন না
mark the point but remember Its not my words……..
রফিক Said: সুরার চ্যালেঞ্জ যেহেতু ফুলফিল হয়েছে, আর কোন কথার দরকার নাই।
So What do we find ? they are saying different, Then how can it fulfill, What a great joke done by রফিক ।
Its Not my Point Why I Say they failed to fulfill the challenge.
If you see Up’s example what I wrote Sura Kafirun {al quran} VS Sura Muslimun {fake}
1 Sura Muslimun {Fake} 1st Follow Style Sura Al Baqarah then trans to Sura Kafirun then Sura Al jil Jal , They even failed to make sura in English version. They took some words from Sura directly
2 And also failed in subject Where Al Kuran Use I as Prophet Muhammod S: , but they follow GOD himself. It was contesting with Sura Kafirun. Thats why I said failed. I don’t wanna say God never make Him subject, It’s also different style in English.
Many more reason in my mind I got also, why they failed.
I would like to add
Abdur Rahim Green mentions that:
These are the sixteen al-Bihar (literally “The Seas”, so called because of the way the poem moves, according to its rhythmic patterns): at-Tawil, al-Bassit, al-Wafir, al-Kamil, ar-Rajs, al-Khafif, al-Hazaj, al-Muttakarib, al-Munsarih, al-Muktatab, al-Muktadarak, al-Madid, al-Mujtath, al-Ramel, al-Khabab and as-Saria’. So the challenge is to produce in Arabic, three lines, that do not fall into one of these sixteen Bihar, that is not rhyming prose, nor like the speech of soothsayers, and not normal speech, that it should contain at least a comprehensible meaning and rhetoric, i.e. not gobbledygook. Now I think at least the Christian’s “Holy spirit” that makes you talk in tongues, part of your “Tri-Unity” of God should be able to inspire one of you with that!
E H Palmer, as early as 1880, recognized the unique style of the Qur’an. But he seem to have been wavering between two thoughts. He writes in the Introduction to his translation of the Qur’an:
That the best of Arab writers has never succeeded in producing anything equal in merit to the Qur’an itself is not surprising. In the first place, they have agreed before-hand that it is unapproachable, and they have adopted its style as the perfect standard; any deviation from it therefore must of necessity be a defect. Again, with them this style is not spontaneous as with Muhammad and his contemporaries, but is as artificial as though Englishmen should still continue to follow Chaucer as their model, in spite of the changes which their language has undergone. With the Prophet, the style was natural, and the words were those in every-day ordinary life, while with the later Arabic authors the style is imitative and the ancient words are introduced as a literary embellishment. The natural consequence is that their attempts look laboured and unreal by the side of his impromptu and forcible eloquence. {Reference : http://www.islamic-awareness.org/Quran/Miracle/ijaz.html}
This is what I understand myself. Not from web site from my memory But I took people’s word from different web site . And Al Quran also from web site. I use Google for translate.
my understanding could have wrong. Sorry for that.
………………………………….
অভিজিৎ দা, আপনি আমার উপর রাঘ করবেন না Please, আমি আপনার উপরের লেখা comment যুক্তি খাতিরে Use করেছি । সত্যি বলতে আমি আপনার
Science বিষয়ক লেখা পছন্দ করি ।
To All reader,
Please forgive if I say wrong. I also apologizes if I hurt anyone……
@আদিল মাহমুদ,
উপরের লেখাতে grammer mistake আছে অনেক । মাফ করবেন । ভুলে গেছিলাম। সকালে Class, বাংলা দেরি হয় বিধায় English এ হইছে মাফ করবেন ।
{There is lots of Scientific explanation of Ayat what I choose from writers article}
There are lots of Scientific explanation হবে।
@সাদাত,
কাটান সময় যত ইচ্ছা। গোবরের ভিতর আপনে একদিন ক্যান হাজার দিন মুখ গুইজা পইড়া থাকলেও গোবর গোবরই থাকে, মিস্টি হইয়া যায় না। আপনের যেটা দরকার কোরান লইয়া ‘বেশীর ভাগ সময়’ কাটানো বাদ দিয়া মিনিট খানেক খোলা মনে কোরানের ভুল গুলা ধরা। হাজার বছর লাগবো না, ঘন্টাখানেক খানেক সময় দিলেই হইবো।
@ফুয়াদ,
আপনি মুক্তমণাঊ নির্ভয়ে লিখে যান। আমি জানি না “আমাদের মত মনমানসিকতা” বলতে আপনি কি বুঝিয়েছিলেন। তবে মনে হয় এ জাতীয় কথা বলে নিজেকে discriminate করা ঠিক না। আমি যদিও মুক্তমণার কেউ নই, তবুও বলতে পারি যে আপনি ভাল যুক্তিপূর্ণ লেখা রেফারেন্সসহ দিলে অবশ্যই তারা ছাপাবে। আপনি ধার্মিক বলে ভয় পাচ্ছেন? মুক্তমণার একজন জনপ্রিয় লেখক হাসান মাসুদ বা ফতেমোল্লা, তার মত অমন নির্ভেজাল ইসলামী জ্ঞান খুব কম লোকের আছে।
আপনি যে অবশেষে টু দা পয়েন্ট কিছু বলেছেন তার জন্য ধণ্যবাদ। পরে পড়ব, যদিও পড়াটা একটু কঠিন হবে মনে হচ্ছে।
@রফিক,
আপনিই বরং মুক্তমনে কোরআন নিয়ে বসুন। আপনারা যেসব ভুল খুঁজছেন সেসবের উত্তর অনেক আগেই দেওয়া হয়ে গেছে। দেখুন:
http://www.answering-christianity.com/quran/quranerr.htm
——————-
কোরআনের প্রতিটি শব্দ অর্থপূর্ণ।
আমি ইচ্ছা করলেই সবগুলোকে সমান্তরাল বা ক্রমান্বিত বলতে পারি না।
——————–
অতঃপরের উপস্থিতি –> ক্রমান্বিত
অতঃপরের অনুপস্থিতি –> অক্রমান্বিত
——————-
(২ অক্রমান্বিত ৪) ক্রমান্বিত ২
= ৪ ক্রমান্বিত ২
=৬
——————-
নাস্তিক হলে কি ভদ্র হওয়া যায় না?
——————-
মুক্তমনের অন্তরালে হৃদয় তোমার বন্ধ,
সবকিছুতে তাই খুঁজে পাও অবিশ্বাসের গন্ধ।
সাদাত,
ওই আন্সারিং খ্রিস্টানিটি সাইট আমি বহুবার দেখছি। যে ব্যাটা ওই সাইট চালায় তার না আছে মেধা, না আছে যুক্তি। যে ব্যাটা ৮ রে ৬ বানানোর লাইগ্যা আবোল তাবোল বকে, তার লেখারে যে আপ্নেরা এতো গুরুত্ব দিবেন, এটা ত জানা কথাই। আরেকটা লেখায় দেখলাম আমগো নবী চাঁদরে যে দুইটুকরা করছিলো ওইটা ‘বৈজ্ঞানিক’ ভাবে প্রমানের চেষ্টা করতাছেন। উনার তো মিনিমাম কমন সেন্সই গ্রো করে নাই। েই হইতাছে মুস্লিম সলারশিপের নমুনা। স্টিফেন হকিংরা বিগব্যাং এর থিওরি দেয়, গানিতিক মডেল বানায়, আর ‘মুস্লিম বিজ্ঞানীরা’ খালি কোরান খুইজ্যা ব্যারায় কোথায় বিগ ব্যাং-এর লগে করানেরে মিলাইয়া দেওন যায়। সারাদিন অই করেন। ভাল রিসার্চ হইব।
আপ্নের কবিতাগুলাও পড়লাম। তাল ছন্দে অনেক ভুল আছে। তয় অইদিকে আর না আগাই। আপনেরে বং সুকুমার রায়ের ‘পাগলা দাশু’ থেইকা আবৃত্তি কইরা দুই লাইন শুনাই –
———————–
পদে পদে মিল খুঁজি, গুনে দেখি চোদ্দো
মনে করি লিখিতেছি ভয়ানক পদ্য!
হয় হব ভবভূতি নয় কালিদাস
কবিতার ঘাস খেয়ে চরি বারোমাস।
————————-
কবিতার ঘাস খাওন শেষ হইলে খবর দিয়েন।
হাবিবুর রহমান হাবিবকে ধন্যবাদ। পোস্টে ১০
এধরণের লেখা আরও পড়তে চাই।
ইসলাম নামক ভণ্ডামীকে যে আর বজায় রাখা যাচ্ছে না। এই লেখাটির প্রকাশ তার বড় প্রমাণ। কিন্তু একটাই আফশোস, বাংলাদেশের পত্রিকায় এই ধরণের লেখা কবে যে প্রকাশ হবে। তাহলে সাধারণ মানুষের চিন্তাধারায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসতো।
মুক্তমনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
অনেক দেরিতে হলেও পড়লাম। পোস্টে A+ :rotfl:
@ all,
Why most of you are so aggressive?I think no one of you (except a very few )is even ponder a little over the answers.
I am again explaining my position. Please be patient, and listen:
Most of the Ayahs of Al-Quran are very simple and anyone can understand it even by reading its translation.The main purpose of Al-Quran is to describe what to do and what not to do.[Orders + Prohibitions] . This part is very simple and clear.
There are some Ayahs which are intended for the thinkers.[containing some scientific facts].To deal with this Ayahs, one must have some basic Arabic knowledge. And if somebody need to research throughly he should have some knowledge of Balagah.
I think Avijit will understand this point.
Since Mr. Habib is writing on the scientific ayahs of Quran, he should have some basic Arabic knowledge and should not depend on translation. I debated with many athiests and heard their arguments.But the article written by Mr. Hibib is so silly that I think even some athiests with some knowledge on Al-Quran will not allow this article to be published because of its low quality.
————————
লক্ষ করুন, ৯ এবং ১০ নম্বর আয়াতের কোথাও অতঃপর/ তারপর বলা নেই, কেননা এই কাজ দুইটি সমান্তরালে সম্পাদিত হচ্ছে , ক্রমান্বয়ে নয়।
কিন্তু, ১১/১২ নম্বর আয়াতে ‘সুম্মা’ বা অতঃপর শব্দটি পাবেন, কেননা এ কাজটি পূর্ববর্তী কাজের ক্রমধারায় পরবর্তী ২ দিনে সম্পাদিত ।
৯ নম্বর আয়াতের কাজ=১১১
১০নম্বর আয়াতের কাজ=২২২
১১/১২ নম্বর আয়াতের কাজ=৩৩৩
কাজ নয়=০০০
১১১।১১১।০০০।০০০।০০০।০০০।
২২২।২২২।২২২।২২২।০০০।০০০।
০০০।০০০।০০০।০০০।৩৩৩।৩৩৩।
মোট ৬ দিন
@সাদাত,
এইটা আপ্নের ব্যাখ্যা। কোরানে যেমন ‘তারপর’ বলে নাই তেমনি আবার কাজ দুইটি ‘সমান্তরালে’ হচ্ছে সেটাও বলা নাই। আপ্নে সমান্তরাল ধইরা নিলেন ক্যান? গোঁজামিল দিতে?
আর তাছাড়া কাজগুলা সমান্তরাল হইলে আলাদাভাবে একটার পর আরেকটা উল্লেখ করছেন ক্যান? না করলেই তো পারতেন। চারদিনের ভিতরেই তো দুই দিনের কাজ থাইকা যায়। নির্বোধ না হইলে আবার আলাদ কইরা উল্লেখ করে কেউ?
গোঁজামিল দিয়া ৬ রে যখন ৮ বানায় দিতে পারেন, তখন আপ্নেরা সবই পারেন, মাশাল্লাহ।
আবার দেখেন আয়াতটা —
Quran 41: 9 Is it that ye deny Him who created the earth in Two Days ?
Quran 41: 10 He set on the (earth) Mountains standing firm high above it, and bestowed blessing on the earth, and measured therein all things to give them nourishment in due proportion, in FOUR DAYS…
Quran 41: 12 So He completed them (heavens) as seven firmaments in Two days and …
Now do the math: 2(for earth) + 4(for nourishment) + 2 (for heavens) = 8 days;
সাদাত সাহেব প্রথম দুইটা কাজরে (৪১:৯ এবং ৪১:১১) ‘সমান্তরাল’ ধইরা এইটার লগে তৃতীয় কাজটা (৪১:১২) যোগ কইরা ৬ দিন বানাইছেন। এমনে কইরা গোঁজামিল দিলে হইবো? সমান্ত্রাল যদি ধরতে চান -তাইলে সবগুলারেই ধরেন। তাইলে উত্তর কি আইবো?
২ দিন || ৪ দিন || ২ দিন = চার দিন।
কাজেই সাদাতের ‘সমান্তরাল’ ফর্মুলা অনুযায়ী আল্লাহয় সবকিছু বানাইছে চার দিনে।
সাদাত সাব, লাভ হইলো না গোঁজামিলে!
@ফুয়াদ এবং সাদাত।
আল্লাহ আপনাদের হেদায়ত করুক। আপনারা নিপুন দক্ষতায় সামগ্রিক বিষয়টাকের এলোমেলো করে ফেলেছেন। আপনারা প্রশ্নকর্তাদের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে বুঝুন তারপর উত্তর দিন। আপনারা আপনাদের উত্তরগুলো আবার পড়ূন।আপনারা নিজেরাই আপনাদের খুড়া যুক্তিগুলো খুজে পাবেন। আর কোরান অধ্যায়ন না করে যে মন্তব্য করেছেন তা কিন্তু অন্যায়। এভাবেই ইসলাম এবং কোরানের ক্ষতি করা ঠিক নয়।
আপনাদের উপদেশ দেয়ার মত কিছু নেই। শুধু আনুরুধ করবো ইতিহাস, বিজ্ঞান, রাজনীতি এসব বিষয় আরো ভালোভাবে পড়ূন। তাহলে এসব খুড়া যুক্তি দিয়ে কোরান কে সত্য প্রমান করতে হবেনা। আমিন।
যে লোক কম্পিউটারের সম্মুখে বসে বলেন- ‘আমি বিজ্ঞান বিশ্বাস করিনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করে বলেন, বিজ্ঞান মানিনা, যুক্তি মানিনা, আমার চোখে যা দেখি, আমার কানে যা শুনি আমি তা বিশ্বাস করিনা, আমি চির বধির, আমি জন্মান্ধ, আল্লাহ বললে বিনা প্রশ্নে আগুনে ঝাপ দেবো, সে একজন বিকার-গ্রস্থ মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছু নয়। তার সাথে তর্ক করা আর বৃক্ষের সাথে কথা বলা একই কথা। আসুন আমরা বরং যারা চোখ মেলে ঘুমায়, যারা পৃথিবীর সাথে, বিজ্ঞানের সাথে সুক্ষ-সচেতনভাবে প্রতারণা করে, চাতুরী ও শঠতার আশ্রয় নিয়ে সত্যের সাথে মিথ্যের মিশেল ঘঠায়, তাদের দিকে তাকাই। এই তথাকথিত শিক্ষিত মডারেইট ইস্লামিস্টরা অশিক্ষিত বিকার-গ্রস্থ মানসিক রোগীদের চেয়েও ভয়ংকর। ‘সদালাপ’ নামক ওয়েব ম্যাগাজিনে http://www.shodalap.com/SMA_modhu.htm ‘মধুর গুন’ শিরোনামের একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ লক্ষ্য করুণ। তার আগে নীচে আমার সংগ্রহের অনুবাদ সহ কোরাণের দুটো বাক্য একবার পড়ে নিন। আপনাদের পছন্দমত কয়েকটি অনুবাদ, ব্যাখ্যা তাফসির সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখুন ‘মধুর গুন’ প্রবন্ধের লেখকের অনুবাদের সাথে একমত হতে পারেন কি না।
সুরা আজ জারিয়াত, সুরা নম্বর ৫১, আয়াত নম্বর ৪৭
وَالسَّمَاء بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ
With power and skill we constructed the Firmament and it is we who created the vastness of pace.
‘আমিই ক্ষমতা ও দক্ষতার সাথে নির্মাণ করেছি আকাশ, আর আমিই সৃস্টি করেছি এই বিশালতা’।
প্রবন্ধের লেখক বাক্যটির অনুবাদ করেছেন এভাবে- আমি আকশমন্ডলীকে সৃস্টি করিয়াছি ক্ষ্মমতার বলে, এবং নিশ্চয় আমি উহাকে সম্প্রসারিত করিতেছি।
সুরা আর রাহমান, সুরা নম্বর ৫৫, আয়াত নম্বর ৩৩
يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
O assembly of jinns and men! If you have power to pass beyond the zones of the heavens and the earth, then pass (them)! But you will never be able to pass them, except with authority from Allâh
হে, জ্বীন ও মানবগোস্টি, তোমাদের যদি ক্ষমতা থাকে আকাশ ও পৃথিবীর সীমারেখা অতিক্রম করার তাহলে অতিক্রম কর, কিন্তু তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না (আল্লাহর) অনুমতি ছাড়া।
প্রবন্ধের লেখক বাক্যটির অনুবাদ করেছেন এভাবে-‘হে জ্বীন ও মানবমন্ডলী, যদি তোমরা প্রবেশ করিতে পার আসমান ও জমিনের এলাকায়, তাহা হইলে উহাতে প্রবেশ কর। তোমরা উহাতে প্রবেশ করিতে পারিবে না মহাক্ষমতা ব্যতিরেকে’। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, তোমরা মহাক্ষমতা অর্জন করেই কেবল উহাতে প্রবেশ করতে পারবে। বলা বাহুল্য, এই মহাক্ষমতা হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মহাকর্ষের বাধা অতিক্রমকারী দ্রুতগামী প্রযুক্তি অর্জন। বিগত শতকের শেষ দিকে মানুষ এই প্রযুক্তি করায়ত্ত করে এবং সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে।
মৌলানা মৌদুদী্র তাফহিমুল কোরান সহ ডজন খানেক তরজমা-তফসির অনুবাদের কেতাব তালাশ করেও ৫১ নম্বর সুরা ‘আজ জারিয়াত’ এর ৪৭ নম্বর আয়াতের শেষাংশের অর্থ আমি উহাকে সম্প্রসারিত করিতেছি এবং ৫৫ নম্বর সুরা ‘আর রাহমান’ এর ৩৩ নম্বর আয়াতের শেষ শব্দ ‘সুলতান’ এর অর্থ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খোঁজে পাওয়া গেলনা। কেন এই ভন্ডামী কেন এই প্রতারণা? কোরানকে বিজ্ঞান বানানোর কি নিদারুণ যন্ত্রণায় এরা ভোগছেন, ‘সদালাপ’ এ লেখা ‘মধুর গুন’ প্রবন্ধটি এর জ্বলন্ত প্রমান।
@আকাশ মালিক,
হ্যা, বিজ্ঞান ও সময়ের সাথে তাল মিলানোর প্রয়োজনে কোরান অনুবাদে পরিবর্তন লক্ষ্যনীয়। Mohammad M. Pickthall এর দুটো অনুবাদ আছে আমার কাছে। ভাষা ও অর্থের পরিবর্তন তো আছেই। তা ছাড়া, প্রথম মূদ্রনে প্রতিটি surahর আগে যে সব ভূমিকা ছিল তার অনেকটাই ছেটে দেওয়া হয়েছে বোধগম্য কারনে। Surah LXVI – At-Tahrimএর ভূমিকার দুই নম্বরে আগে যা ছিল তা হুবহু নিম্নে দেখুনঃ
(2) Hafsah found the Prophet in her room with Marya — the Coptic girl, presented to him by the ruler of Egypt, who became the mother of his only male child, Ibrahim — on a day which custom had assigned to Ayeshah. Moved by Hafsah’s distress, the Prophet vowed that he would have no more to do with Maryah, and asked her not to tell Ayeshah. But Hafsah’s distress had been largely feigned. No sooner had the Prophet gone than she told Ayeshah with glee how easily she had got rid of Marya.
@আকাশ মালিক,
জানি না আপনি নিজেকে কি ভাবেন । আপনার লেখা বই “যে সত্য প্রকাশ হয়নি” পরেছি । যাদের রাসূল সঃ জীবনী ও সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে ধারনা নাই, নির্ঘাত আওলা জাওলা হবে । খুব সুন্দর বাচন ভঙ্গি লিখেছেন । আপনার লেখা গুলি http://www.faithfreedom.com আর http://www.answering-islam.com, এর চেয়ে আনেক ভাল হয়েছে । আপনি যে জ্ঞানি এ বেপারে সংধ্বহ নাই ।
কিন্তু আমি যখন ওই ইতিহাস গুলো পড়া শুরু করে ছিলাম, তখন আপনার কাছা কাছি চিন্তা হইছিল । কাফির উপাধী পাইছিলাম ।
but when i went deep, deep of Islam, ALLAH swt clear my thought, thanks to ALLAH swt, who created me.
আপনার বইয়ের উত্তর তখনই বের করতে পেরেছি । যাইহোক,
এখানে দেখেন, the zones of the heavens and the earth.
বলা হয়েছে, আকাশ ও পৃথিবীর সীমারেখা না । কথা হইতেছে Al kuran আল্লাহ কতৃক লিখিত । এই টি অনুবাদ করতে গেলেই যামেলা হয় । লেখক, মনে করে এই অনুবাদ ঠিক, একটু পরেই মনে করে ঐটা টিক । তাই আগে অনুবাদ করাই হইত না । আরও ঝামেলা হইতেছে, কিছু জিনিস ভবিষৎ এর জন্য ।
ইভেন রাসুল সঃ কথার অর্থ অনেক সময় একজনের চেয়ে আরেক জন ভালো বুঝে, তাই তিনি বলেছেন বিদায় হজে “হয়তো শেষ ব্যাক্তি আমার কথা গুলো সবচেয়ে ভাল বুঝবে” । খঠোর ভাবে বলা আছে উনার কথা বিকৃত না করার জন্য । নতুন আমদানি না করার জন্য । খঠোর শস্থি যারা তা করে তাদের জন্য ।
{{{{{{{{একব্যাক্তি তার এত কনফিডেন্স ? কোথা থেকে আসে ।}}}}}}}}}
কিন্তু, বাস্তব জীবনে চলার জন্য, যেমন, নামাজ পরা, মাতাপিতা সেবা করা, সুদ না খাওয়া, একদম ক্লিয়ার ।
{বিজ্ঞান মানিনা, যুক্তি মানিনা, আমার চোখে যা দেখি, আমার কানে যা শুনি আমি তা বিশ্বাস করিনা, আমি চির বধির, আমি জন্মান্ধ, আল্লাহ বললে বিনা প্রশ্নে আগুনে ঝাপ দেবো}
আমি ভাবসিলাম এট লিষ্ট আপনি, অভিজিৎ দা, আদিল মাহমুদ, রফিখ এই চার জন ব্যক্তি বুঝতে পারবে ।
যাইহোক, আমি সম্মান করি, আপনারা যা বিশ্বাস করেন, তা সত্যিকার ভাবে বিশ্বাস এর জন্য । আর যদি হাসা হাসী, নিজের জ্ঞান দেখানো, আথবা মিথ্যার জন্য করেন, তাহইলে, আল্লাহর কসম, ধ্বংস আপনাদের জন্য ।
আমি সল্ প শিক্ষিত, শুদ্ধ বাংলা পারিনা , এলাকার ভাষা mix হয়ে যায় । I am sorry for that………………………….
@ফুয়াদ,
Sorry বলার কারণে একান্ত অনিচ্ছা সত্তেও দু কলম লিখতে হলো। আপনার ভাষা জ্ঞানের সল্পতায় আমি মোটেই উদ্ভিগ্ন নই, অবাক হই যখন বলেন- ‘যাদের রাসূল সঃ ও সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে ধারনা নাই, নির্ঘাত আওলা জাওলা হবে’।
তা রাসূল সঃ ও সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে আপনার যদি ভাল ধারনা থাকে, তাহলে আমার বই ‘যে সত্য বলা হয়নি’ এর ঠিক বিপরীত এক খানি বই লিখে ‘মুক্ত-মনা’য় ছেড়ে দিন, আমরা পড়ে কৃতার্থ হই।
আপনি বললেন- When I went deep, deep of Islam, Allah clear my thought—–
আপনি ইসলামের গভীরে যখন প্রবেশ করতে পেরেছেন, এবার সত্য কথাগুলো আমাদেরকে জানিয়ে দিন। জানিয়ে দিন হজরত আয়েশার কোন্ সেনাপতি বসরায় হজরত আলীর প্রথম খলিফাকে নামাজরত অবস্থায় বন্দী করে দাড়ি-মুচ মুন্ডায়ে মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছিলেন। বলে দিন, মুয়াবিয়ার সেনাপতি কতোখানি কুরান, কেন বর্শার মাথায় গেঁথেছিলেন? কোন সাহাবীকে লাথি মেরে হজরত উসমান মসজিদে নববী থেকে বের করে দিয়েছিলেন?
আপনার কাছ থেকে আরো জানতে ইচ্ছে করে, কোন্ সাহাবী হজরত উসমানকে খুন করেছিলেন আর এখানে উসমান দোষী,না খুনী সাহাবী দোষী। সাহাবী আবু বকরের ছেলেকে হজরত মুয়াবিয়া আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিলেন কিনা আর এখানে কে দোষী ছিলেন। আপনার কাছ থেকে আসল সত্যটা পেতে আশা করি কারণ আপনি ইসলামের গভীরে প্রবেশ করতে পেরেছেন।
আর আমার কাছে প্রমাণ চাইলে আপনার আরবী, উর্দু ও ফারসী ভাষা জানা থাকতে হবে কারণ আমার সংগ্রহের বেশীর ভাগ তথ্য-সুত্র ঐ সকল ভাষায়, তথকালিন সময়ের সেই সকল ইতিহাসবিদদের লেখা যারা ইসলামকে খুব কাছে থেকে দেখছিলেন।
প্রশ্ন করেছেন আমি নিজেকে কি মনে করি?
জীবনে পশু-পাখি, মাছ সহ কতো জীবের প্রাণ সংহার করেছেন তার হিসেব রেখেছেন? আপনার আমার এই দেহটা যে আন্যান্য প্রাণীর খাদ্য ও বাসস্থান সে খবর রাখেন? আমি নিজেকে মনে করি জগতের অন্যান্য জীব যেমন পোকা-মাকড়, কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখির মত একটি প্রাণী ছাড়া আর কিছু নয়।
@আকাশ মালিক,
You can not understand me, may be I can’t understand you. I just wanna say, your book is mixture of Islamic History by Shia, Secular and Christan view. tho you used Sunni reference as well.
You know the answer What you asked to me from your view. May be, you know What Ahle-Sunootual Jamat Saying about Islamic history. It’s also my view .
I am not going to write against your book at now because I live far away from Bangladesh or from my collection. I didn’t memorize everything that means I can’t give you reference and good answer. My knowledge about language is too bad that people will lough about my writing.
Thanks For answering my comment ……………………………….
@আকাশ মালিক,
{কিন্তু আমি যখন ওই ইতিহাস গুলো পড়া শুরু করে ছিলাম, তখন আপনার কাছা কাছি চিন্তা হইছিল । কাফির উপাধী পাইছিলাম ।
but when i went deep, deep of Islam, ALLAH swt clear my thought, thanks to ALLAH swt, who created me. } এটা 4 বা 3 বৎসর আগের, যখন আমি 10 class.
@ফুয়াদ,
আপনার বইয়ের উত্তর তখনই বের করতে পেরেছি । যখন পরেছি তখন ।
যাদের রাসূল সঃ জীবনী ও সাহাবীদের জীবনী সম্পর্কে ধারনা নাই, নির্ঘাত তাদের মাথা আওলা জাওলা হবে ।
কিছু ভুল সংসোধন করে নিলাম ।
বিষটি খুবই স্পর্শকাতর। আলোচনা থেকে বিরত থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমনটি বলেছেন ড অভিজিত রায়। কিছু বলতে গেলে আপন বন্ধুরা মর্মাহত হন। অনেকেই বিষয়টি বাদ দিয়ে লোকটিকে ধরেন। তাই Temptationকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করি। অনেক সময়ই হেরে যাই। যেভাবে সুত্রটি এগুচ্ছে তাতে এবারও হেরে গেলাম। সংক্ষেপে বলি।
জনাব ফুয়াদ (পৃথিবীর সমস্ত ফুয়াদদেরকেই বলছি), আপনি সম্ভবত কোরান পড়েননি। আমি অনেক মুসলমান বন্ধুদেরকে একই প্রশ্ন করেছি। এরকম প্রশ্নের জন্য কোন মুসলমানই প্রস্তুত থাকেন না। প্রশ্ন শোনে সবাই হতভম্ব হন। কেউ আবার লজ্জায় মিথ্যা বলেন, ‘পড়েছি’। এমনকি ৯/১১ এর মাত্র দেড়মাস পড়ে যিনি আমাকে ধর্মান্তরিত করতে এসেছিলেন তিনিও মাথা নীচু করে মিথ্যা কথাটি বললেন।
জনাব ফুয়াদ, আপনাকে দুটো challenge (শর্ত) দিচ্ছি
১। সমস্ত কোরান থেকে মাত্র একটি বাক্য দেখাবেন যেটি মানুষের পক্ষে ভাবা এবং লেখা সম্ভব নয়। তথাকথিত ঐশ্বরিক।
২। জনৈক আবুল কাশেমের “A Guide to Qur’anic Contradictions” (দশ খন্ডে সমাপ্ত) (http://mukto-mona.com/wordpress/?p=69) ভুল প্রমান করবেন। একজন মুসলমান হিসেবে এটি আপনার দ্বায়িত্বও বটে। ভেবে দেখুন জনাব কাশেমকে কত শত বার কোরান পড়তে হয়েছে Contradiction গুলো সন্নিবস্ত করতে। আপনি মাত্র একটিবার পড়ুন।
প্রায় আট বছর আগে সপরিবারে ধর্মান্তরিত হওয়ার অংগীকার করেছিলাম উপরের এক নম্বরের সহজ শর্তে। তিনি আজও আসেননি। তাঁকে দেখি সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে। আমাকে যেন দেখেও দেখেন না। নিজেই কাছে যেয়ে কুশল বিনিময় করি।
আমি থাকব আপনার অপেক্ষায়।
@নৃপেন সরকার,
1. Each and Every Ayah of Al-Quran is from Allah, but since you are not a believer of Allah or Al-Quran, please ponder over the following Ayahs ( providing with some historiacal background):
The Twofold Prophecy
——————————–
Before the rise of Islam, the Romans and the Persians were two competing superpowers. Romans were led by Heraclius (610–641 CE), a Christian Emperor, whereas the Persians were Zoroastrians led by Khosrow Parviz (reigned 590–628 CE), under whom the empire achieved its greatest expansion.
In 614, the Persians conquered Syria and Palestine, taking Jerusalem, destroying the Holy Sepulcher and the ‘True Cross’ carried to Ctesiphon. Then, in 619, they occupied Egypt and Libya. Heraclius met them at Thracian Heraclea (617 or 619), but they sought to capture him, and he rode madly back to Constantinople, hotly pursued.[2]
The Muslims were grieved by the Roman defeat as they felt spiritually closer to Christian Rome than Zoroastrian Persia, but the Meccans were naturally buoyed up by the victory of pagan Persia. To Meccans, the Roman humiliation was a sinister omen of the defeat of the Muslims at pagan hands. At the time God’s prophecy comforted the faithful:
“The Romans have been defeated – in a land close by; but they, (even) after (this) defeat of theirs, will soon be victorious- within ten years. With God is the Decision, in the past and in the future: on that Day shall the believers rejoice with the help of God. He helps whom He will, and He is the Mighty, the Most-Merciful.” (Quran 30:2-4)
The Quran made a prophecy of two victories:
(i) The future Roman victory within ten years over Persians, something unimaginable at the time
(ii) The joy of the faithful on a victory over the pagans
Both of these prophecies actually occured.
In 622, Heraclius left Constantinople as prayers rose from its many sanctuaries for victory over the Persian Zoroastrians and the reconquest of Jerusalem. He devoted the next two years to campaigns in Armenia. In 627, he met the Persians near Nineveh. There, he killed three Persian generals in single combat, killed the Persian commander, and scattered the Persian host. A month later, Heraclius entered Dastagird with its stupendous treasure. Khosrow was overthrown by his son, who made peace with Heraclius. Returning to Constantinople in triumph, Heraclius was hailed as a hero.[3]
Also, in the year 624 AH, Muslims defeated the Meccans in the first and decisive Battle at Badr.
In the words of an Indian scholar:
“…a single line of prophecy was related to four nations and the fate of two great empires. All this proves the Holy Quran to be the Book of God.”[4]
The Prophecy of Pagan Defeat
————————————
The Quran predicted the defeat of unbelievers in Mecca while Prophet Muhammad and his followers were still being persecuted by them:
“Or do they (the Meccan disbelievers) say: ‘We are a great multitude, and we shall be victorious?’ Their multitude will be defeated, , and they shall turn their backs [in flight]!” (Quran 54:45)
The prophecy was revealed in Mecca, but was fulfilled at the Battle of Badr, two years after the Prophet’s migration to the city of Medina.
The Fate of Specific Individuals
————————————–
————————————–
Waleed bin Mugheera was a staunch enemy who openly ridiculed the Quran:
“Then said he: “This is nothing but magic, derived from of old; this is nothing but the word of a mortal!” (Quran 74:24-25)
The Quran prophesized he will never accept Islam:
“Soon will I cast him into Hell-Fire! And what will explain to thee what Hell-Fire is? It leaves naught nor does it spare aught.” (Quran 74:26-28)
Waleed died in a state of disbelief as prophesized by the Quran.
————————————————
Also, concerning Abu Lahab, a fiery opponent of Islam, the Quran foretold he will die opposing the religion of God:
“May the hands of Abu Lahab perish, and [indeed] he has perished. His wealth and gains will not profit him. He will be plunged in flaming Fire.” (Quran 111:1-3)
Specifically, three prophecies were made about Abu Lahab:
(i) The conspiracies of Abu Lahab against the Prophet would not succeed.
(ii) His wealth and children would not benefit him.
(iii) He would die opposing God’s religion and enter the Fire.
Abu Lahab also died in a state of disbelief as prophesized by the Quran. Had Waleed or Abu Lahab accepted Islam even outwardly, they would have disproved its prophecies and thus its heavenly source!
In addition, Abu Lahab had four sons, two of whom died at a young age during his lifetime. The other two sons and a daughter embraced Islam and frustrated his hopes! Finally, he died of a plague; people would not touch his body out of fear of contamination and dumped mud and stones on him where he died to make it his grave.
A key foundation to believing that a scripture is actually a revelation of God is internal truth, whether it be in regards to occurrences in the past, to come in the future, or in contemporary ages. As one can see, there are many prophecies mentioned in that which is to come, some of which were fulfilled in the Prophet’s lifetime, or have been fulfilled since his death, while others are yet to appear.
2. About Mr. Abul Khashem’s article: You thought Mr. A. K. needed to read Al-Quran hundreds times to write such an article. Not at all. You can also produce the same by searching the net. And If you want to get the answers you can also get that following the same way.
Please see the following link for answers:
http://www.answering-christianity.com/quran/quranerr.htm
———————————————–
@সাদাত,
আল্লাহ সবার উপরে। কাজেই আল্লাহর কিতাব বাদ দিয়ে একই বিষয়ে মানুষের লেখা কিতাব পড়ার কোন যুক্তি নাই। তবু জনাব সাদাতের দেয়া লিংক দেখেছি। স্বভাবতই ওখানে মুগ্ধ হওয়ার মত কিছু নেই। যা আছে তা কোরানকে একবিংশ শতকে টিকিয়ে রাখার মরণপণ ব্যর্থ প্রয়াস মাত্র। এই ইন্টারনেটের যুগে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখা কঠিন। কোরানের ভুলভ্রান্তি নিয়ে প্রকাশ্যে এই যে এত কথা হচ্ছে তা আগে সম্ভব ছিল না। কোন ফুয়াদের চোখে চোখ রেখে কোরান নিয়ে কথা বলা সংস্কার বিরোধী, চক্ষুলজ্জায় বাধে। কিন্তু ইন্টারনেটে বাধে না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভে বঞ্চিত আরজ আলী মাতুব্বর সম্পত্তি ভাগাভাগির মারপ্যাঁচে হতাশ হয়ে আল্লাহর বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, “মনে হয় আল্লাহ ভাল অংক জানিতেন না।“ কোরান পড়লে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে আসল আল্লাহটি কে? জনাব সাদাত, আপনি কোরান পড়ে বলুন, কোরানে উল্লেখকৃত বিষয়বস্তু থেকে এটা মনে হওয়া কি স্বাভাবিক নয় যে এর প্রবক্তা একজন অতি ধুরন্ধর, কূটকৌশলী ব্যক্তি ছিলেন? মুহম্মদ এবং আল্লাহ এক ও অভিন্ন ব্যক্তি? আল্লাহ বলতে অন্য কেউ এই বিশ্বে কোন দিনই ছিল না?
প্রশ্ন হতে পারে, তবে কেন এই প্রতারনা? দরকার আছে। অবাধ্য স্ত্রীকে বশে আনতে অনেক স্বামীই বলে, “এটা অমুকের কথা”, “এটি অমুকে বলেছে” বা, “অমুক এই ভাবে করে“, ইত্যাদি।
আমি প্রতিটি মানুষকে কোরান পাঠের আমন্ত্রন রাখি।
@নৃপেন্দ্র নাথ সরকার,
আপনার উত্তর দেখে ও আমার বলতে হয় “স্বভাবতই এতে বিস্মিত হওয়ার মত কিছু নেই।”
কারণ :
মুক্তমনের অন্তরালে হৃদয় তোমার বন্ধ,
সবকিছুতে তাই খুঁজে পাও অবিশ্বাসের গন্ধ।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভে বঞ্চিত আরজ আলী মাতুব্বর অংক ভাল জানতেন না বলেই সম্পত্তি ভাগাভাগির হিসাব বুঝেন নাই। আপনিও যদি না বুঝে থাকেন, একটি সমস্যাযুক্ত উদাহরণ পেশ করুন। ইনশাআল্লাহ আমাকে পাবেন।
কোরআন পড়ে কখনই মনে হয় না যে:
“মুহম্মদ এবং আল্লাহ এক ও অভিন্ন ব্যক্তি”
আল্লাহর বাণী এবং নবী(সা.) এর বাণী দুটোর ধরণই আলাদা।
[Abasa 80:1] He[মুহাম্মাদ (সা.) ]frowned and turned away.
[Abasa 80:2] Because the blind man had come in his august presence.
[Abasa 80:3] And what do you know, he may be of the pure!
[Abasa 80:4] Or that he may accept advice, so the advice may benefit him.
[Abasa 80:5] For him who does not care,
[Abasa 80:6] So you are after him!
[Abasa 80:7] And you have nothing to lose if he does not become pure.
[Abasa 80:8] And for him who came to you striving,
[Abasa 80:9] And whereas he fears,
[Abasa 80:10] So you leave him, and are engrossed elsewhere!
Jibone onek nadaner shathe argument korte hoyese, But ei fooooaaat er mato ato low level nadan ami, sotti bolsi ar kokhono dekhini. Ami bujhte pari na apnara keno ei idiot tar shathe eto argue korsen and kno e ba er lekha sapano hosse!
@Arif Khan,
নিজের প্রকৃত পরিচয় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ । আপনারা না নিজেদের মানবতা বাদী বলেন । তাহলে আমার নামকেও ঠিক করে লেখলেন না । আমাকে idiot ও বল্লেন । মেনে নিলাম আমি idiot ।
{kno e ba er lekha sapano hosse!} এটাই আপনার বাক স্বাধান তা যা বলে থাকেন।
এখানে নিতিমালা আছে । যে অনুষারে লিখলে লেখা ছাপা হয় ।
@অভিজিৎ,
as per belief: there will be some folk always undertaking (mis)attempts for misinterpreting Holy Quran Shareef. but those who are ALLAH-fearing, believes in unseen and so on (as mentioned in Quran), for them it’s surely guide-line for dunia (this world) & Akhirath (world hereafter) for sure.
as per observance of commands from ALLAH swt…:
if doomsday & hereafter is uncertain (as per your imaginations & misattempts), we (the Muslim) will have nothing to loose anything after our death for sure and again, can you tell us – what will you gain out of it???
but if otherwise (as we believe & certainly it would be the case), we (the Muslim) hope to get reward from ALLAH swt… and, Lo! verily you (the kafir, disbelievers) will be tortured to its extremety in hell-fire by ALLAH swt… which is beyond imagination!!!
bottom-line:
please make us clear what’s your target behind the conversation of this sort i.e. to take lesson from us (the Muslim) or give us (the Muslim) your lesson ?
@iftekhar, আল্লাহ বলে যদি কিছু থেকে থাকে, তাহলে সে অবশ্যই আমাদের ভুল মাফ করে দিবে। আমরা তো কোন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে অবিশ্বাস করি না, কেউই কোন উদ্দেশ্য নিয়ে অবিশ্বাস করে না। আমাদের কাছে খোদার ধারণাটা হাস্যকর মনে হয় বলেই আমরা অবিশ্বাস করি। আশা করি আমাদের নিয়ত বোঝার মত বুদ্ধি ইশ্বরের আছে। যদি ঈশ্বরের এই বুদ্ধি থেকে থাকে, তবে তিনি অবশ্যই আমাদের মাফ করে দিবেন।
আপনাদের আল্লাহ বর্বরতার দিক দিয়ে বুনো জন্তুরেও হার মানায়। আপনাদের আল্লাহ নিজেকে খুব hi-fi ভাবে, অথচ মানুষের মত নগন্য প্রানীর প্রসংশা পাওয়ার জন্য তিনি এত অস্থির! মানুষ তার আরাধনা না করলে তিনি আবার রেগে গিয়ে মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করেন! অবিশ্বাস করার জন্য কাউকে অনন্তকাল ধরে জাহান্নামে পোড়ানো যদি বর্বর না হয়, তাহলে বলতে হয় যে বর্বরতা বলে আসলে কিছু নেই।
আল্লাহর উচিত মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে মূল্যবোধ শেখা।
@Kreator,
if any of you ever want to knock your head(s) against himalayas, nothing but your head(s) will be reduced to ashes. on the contrary, none of you will be able to cause a single crack to the sacred Quran Shareef (like himalayas or even bigger).
advice: please don’t spoil your time if it really has value in any form.
cause: as navigating & posting own comments will not cure anybody if one is really sick physically. similar prescription is for the one who is mentally sick in the true sense of the term.
what you should do: if any one of you really wants Hedayet (straight & righteous path), just go to some Islamic scholar nearby your residence (if you are fortunate enough), and take suggestion from him how to proceed anyway.
thanks for your understanding…
@iftekhar, ভাই, আলেম-ওলামা এখন গাছে ধরে। জাকির নায়েকের কথা শুনে আমাদের হাসি পায়, কার কাছে হেদায়েত পাওয়া যাবে বললে ভাল হত 🙂
@iftekhar,
আমাকে এবং ক্রিয়েটরকে লেখা দুটো উত্তরই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। না কাউকে ‘শিক্ষা’ দেবার জন্য আমার লেখা বা মন্তব্য নয়। আমার সংশায়াবিষ্ট অনুসন্ধিৎসু মনোভাবের তাগিদেই মন্তব্য করা হয়েছে। এটাকে ‘ইসলামের উপর আক্রমন’ হিসেবে না নেওয়ার অনুরোধ রইলো। আমাদের সাইট যদি দেখেন তাহলে দেখবেন এখানে আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জামাত, কবিতা, গল্প, রবীন্দ্রনাথ সব কিছুরই সমালোচনা হয়, হচ্ছে। সমালোচনামূলক দৃষ্টি থেকে দেখতে না পারলে জ্ঞান স্থবির হয়ে যায়। আপনি একটু চিন্তা করে দখুন – – মানুষ চোখ কান বন্ধ করে যে যা বলেছে তা বিশ্বাস না করে সংশয় প্রকাশ করেছে বলেই আমাদের সভ্যতা আজ এত দূর এগিয়েছে।’ টলেমীর ‘পৃথিবী-কেন্দ্রিক’ মতবাদে কোপার্নিকাস আর গ্যালেলিওরা সংশয় প্রকাশ করতে পেরেছেন বলেই টলেমীর মতবাদ একসময় ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পদার্থবিজ্ঞানীরা একসময় ‘ইথার’ নামক কাল্পনিক মাধ্যমটির অস্তিত্বে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বলেই পরবর্তীতে হাইগেনের তরঙ্গ-তত্ত্ব আর ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ-চুম্বকীয় তত্ত্বকে সরিয়ে আলোর প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে পদার্থ-বিজ্ঞানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাঙ্ক, আইনস্টাইন আর ব্রগলীর তত্ত্বগুলো। হাটন আর লায়েলরা ৬০০০ বছরের পুরনো পৃথিবীর বয়সের বাইবেলের সংস্কারে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বলেই মিথ্যা বিশ্বাসকে সরাতে পেরেছিলেন মানুষের মন থেকে। এভাবেই কিন্তু সভ্যতা এগোয়। কাজেই সংশয়াবদ্ধ মনকে বাঁচিয়ে রাখবার তাগিদেই আমাদের লেখালিখি। আমি জানি আপনি কোরানকে ঐশী গ্রন্থ হিসেবে বিশ্বাস করেন। কিন্তু এ সাইটের অনেকেই কোরানকে সেভাবে দেখেন না। তারা হয়ত নজরুলের মত বলবেন –
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি
ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে ।
পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল !–মুর্খরা সব শোনো
মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো ।
এখন যারা মনে করেন – ‘মানুষ এনেছে গ্রন্থ,–গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো’ – এটাই কি স্বাভাবিক নয় যে তারা তাদের নিজস্ব মতামত তুলে ধরবেন? আপনি আপত্তি করলে আপনার মতামতও জানাবেন । বিশ্বাস আর বিশ্বাসের ক্রমিক সংঘর্যেই সভ্যতা একদিন খুঁজে নিবে তার অভীষ্ট যাত্রাপথ। সেই কামনাই প্রকাশ পেয়েছে নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর একটি কবিতায় :
“বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখ দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বরং বিক্ষত হও প্রশ্নের পাথরে।
বরং বুদ্ধির নখে শান দাও, প্রতিবাদ করো।
অন্তত আর যাই করো, সমস্ত কথায়
অনায়াসে সম্মতি দিও না।
কেননা, সমস্ত কথা যারা অনায়াসে মেনে নেয়,
তারা আর কিছুই করে না,
তারা আত্মবিনাশের পথ
পরিস্কার করে।”
আশা করি আমার বক্তব্য আপনি বুঝতে পেরেছেন। আলোচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ রইলো।
অভিজি Tha,
kuran a kunoo vul nai, vul thakle apni j obosthan theke vul dektesen oi bosthan er.
apnar vigan bishoyok lekha guli amar valo lage but apni amar dhormoo k kisu lekle, ami o kisu lekboo, ajonno ami sorry. ashob lekh leki te amader shobar giyan bar be. ami jokon vivorton niya kaw k kisu boli, shetha Scientist ba apnara j vabe bolen, ba pori, oibhabei boli. Just boli Scientist ra bole chen, b omuk boiye ase. ba omuk scientist or theory bolechen………………. Ata ki vul ? ami bishash kori ba na kori………………………………………………….
@Fuad,
আরবী জানা পন্ডিতেরাই কিন্তু কোরানের বিভিন্ন ভুল দেখিয়েছেন। আপনি এ প্রসংগে আলি দাস্তি বা ইবনে ওয়ারেকের গ্রন্থ দুটোর যে রেফারেন্স দিয়েছি তা পড়ে দেখতে পারেন। এখানে আমার অবস্থান বা আপনার অবস্থান বলে কিছু নেই। ধরুন কেউ বাংলা লিখতে গিয়ে বলল – “আমি প্রতিশুধ নেব”। কেউ যদি ভুল ধরিয়ে দেয় – শব্দটা ‘প্রতিশুধ” হবে না, হবে”প্রতিশোধ”। আপনি কি বলবেন যে, আপনার অবস্থান থেকে আপনি ঠিক, আমার অবস্থান থেকে আমি?
বিজ্ঞানের বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হলেই কেবল পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাপকাঠিতে না উত্তীর্ণ হলে তা বাতিল হয়ে যায়। যত বড় বিজ্ঞানীই হোক না কেন, তার তত্ত্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে বাতিল হয়ে যাবে। তাই বিজ্ঞানে হিরো আছে, কিন্তু কোন পগম্বর নেই। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের তুলনা করাটা বোকামী এ কারণে যে, এটি টিকে আছে বিশ্বাসের উপরে। এই যে আপনি প্রথমেই শুরু করেছেন “কোরানে ভুল নেই” বলে – এটা আপনার বিশ্বাসঅনির্ভরতা প্রমাণ কর, আর কিছু নয়। বিজ্ঞান কাজ করে ঠিক উল্টোভাবে। প্রথমেই সংশয় করতে শেখায়। যদি সংশয় কাটানোর মত উপযূক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, তবেই তা একাডেমিয়ায় গ্রৃহীত হয়।
আমার কথাকে “আমার ধর্ম, তোমার ধর্ম” টেনে এনে দয়া করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না। এতে করে বিতর্কের পরিবেশ ব্যহত হয়। ব্যাপারগুলোকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নেয়া হয় বলেই আমি এজন্যই ধর্ম নিয়ে সাহারণতঃ বিতর্ক করা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি।
আরেকটা কথা। অভ্র ডাউনলোড করে বাংলায় লিখতে শুরু করুন। ইংরেজী হরফে বাংলা লিখলে দেখতে খারাপ লাগে। অনেকে এভাবে পড়ে অভ্যস্তও নন। াপনার মত অনেকেই আগে বাংলা লিখতে পারতেন না, ধীরে ধীরে শিখে নিয়েছেন। আপনিও একটু চেষ্টা করুন না।
@অভিজিৎ tha,
arbi grammar kotha bollen, ja buldhora hoiya che, oigular upor onek boro boro muslim writing ache. oi khanei jobab dewya ache a bepare. amar tik direct mone nai, udaharo shoho ase. shob gulai.
abepare hazar hazar lekha lekhi hoitese….
{ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের তুলনা করাটা বোকামী} akdom shotto khotha…….. kintu bigan diye uporer lekha diya, dhormo k akromon kora hoise, tai dhormoo uttor dey………….. Bigan holo duniya shomorkitto giyan ba jibon shomporkitto giyan…………..
অভ্র ডাউনলোড করে বাংলায় লিখতে শুরু করুন age akbar krechilam, abar korte si, abar lekte par boo inshiallah. kintu Ato slow ami, ato time lage.
apna k ধন্যবাদ ।.
{এখানে আমার অবস্থান বা আপনার অবস্থান বলে কিছু নেই} এখানে যে সব বিষয় দিয়ে science, Islam কে বিবেচনা করে । ওইটাকেই বুঝিয়ে ছি। Science observation could wrong because Science don’t know every thing. or from wrong platform Science using…………..
{“আমার ধর্ম, তোমার ধর্ম” টেনে এনে দয়া করে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন না।}
আমিও একমত ।
এইছপ চাদাত-পুয়াতদের প্রলাপ শুনে বার্গেইন করাটা আছলে ছময়ের অফ্ছয়। স্লারা একদম নাস্তিকের বাচ্চা।
এইছপ আন্ধা-কালা লোকগো চোহে আংগুল দ্য দ্যাহাইলেও দ্যাগবো না, কানে গুতাইয়া হান্দাইলেও অরা হুনবো না। এ্যাগো অন্তররে আল্লায় ছিল্ড কইরা মোহর মাইরা দিছে পবিত্র বইর মাইদ্যমে, অরা দ্যাগবো-হোনবো ক্যাম্বায়? অগো লগে আর্গু কইরা আঙ্গোর কাম নাই!
@ ফুয়াদ & সাদাত,
ভাইরে আমাদের কথা ভালো না লাগলে বিপরিত যুক্তি দেখান। আমাদের সব প্রশ্নের উত্তর দেন। কিন্তু তা না কইরা একই কথা টিয়া পাখির মতন বার বার বলার মানে কি? আপনে যদি কোন যুক্তি নাই দেখাইতে পারেন,তাইলে তো এই বেহুদা কথাবার্তা লিখা লোক দেখানো ঈমানদার সাজার কোন মানে হয় না। আপনার বিশ্বাস আপ্নে মাথার ভিতরে গুঁইজা ঘুমান। বেহুদা কথা কেন লেখেন? আপনাদের চ্যলেঞ্জ এর আগেও আসছে, কিন্তু পরবর্তিতে আক্রমনে পইরা আপনার লেজ তুইলা পলাইসেন। তো হুদাই গ্যঞ্জাম না বাঝায়া, আপ্নে আপনার লাইনে থাকেন, আর আমাদেরকে আমাদের লাইনে থাকতে দেন।
@tanvy,
kisu nabuijaa khali lafaiyen na………..barbar lekhar maane hoitase jotoi lekha lekhi koren kunoo lav nai………………………………………..
Musulman ra ki ai prithibi te thake na ? j jukti bolte parbe na ? jukti tto bola hoy e. ar site ta amader na apnader, tai apnader support ar jukti beshi thak boo, aitai shava bik…………
@tanvy,
আপনার কথাটা কি?
প্রশ্ন করেন, তারপর জবাব চান ।
ভদ্র ভাষা ব্যবহার করতে পয়সা লাগ না!
রফিকের শেষ প্রশ্নটা খুব ইন্টারেষ্টিং, দেখা যাক কি জবাব আসে।
একটু ভিন্ন প্রসংগে আসি; ” কোরান নিয়ে লিখতে হলে আগে আরবী শিখুন।
কোরআনের বাংলা অনুবাদ দ্বারা এর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ব্যাখ্যা সম্ভব নয়।”
কথাটার মানে কি এই দাঁড়ায় না যে আমাদের সব মোসলমানের উচিত কোরান শুধুমাত্র আরবীতে পড়া? কারন, আরবীতে না পড়লে তো আসল অর্থ জানা যাচ্ছে না, আসল অর্থই যদি না বুঝলাম তো বেহুদা আর বাংলায় পড়ার ল্যাঠায় কেন যাই? বিকল্প সম্ভাবনাঃ কোরান শুধু নাজিল হয়েছিল আরবী ভাষিদের জন্য? আশা করি সাদাত সাহেব একটু আলোকপাত করবেন। ফুয়াদ সাহেব ও বলতে পারেন কারন তিনিও দেখলাম আরবীর উপর বেশ জোর দিয়েছেন।
Fuad
“Biggan pori manusher gian kotoo dur porjontto geloo ta dekhar jonno, ar nutun giyan abishkarer jonno. But We never believe it. ” ভাই, আপনি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করলেন কি না করলেন তা কি খুব বড় কিছু? আর যে জিনিস বিস্বাস করেন না তা আর পড়ারই বা কি দরকার থাকতে পারে? বিজ্ঞানের সুফলগুলিও তাহলে কি গ্রহন করবেন না? গুহা যুগে চলে যাবেন? বিজ্ঞান কারো বিশ্বাসের ধার ধারে না, বিজ্ঞান হল পরীক্ষা নিরীক্ষা।। যুক্তির জিনিস, বিশ্বাসের না। বিজ্ঞান সবারই জন্যই এক, কোন ব্যক্তি বিশেষের পছন্দ অপছন্দের উপর ডিপেন্ড করে না। অন্যদিকে ধর্ম হল বিশ্বাসের জিনিস। এটা ব্যাক্তি থেকে ব্যক্তি আকাশ পাতাল ভ্যারি করে।
ধর্মে বিশ্বাস করেন ভাল কথা, তাই বলে বিজ্ঞানে কখোন বিস্বাস করেন না বলাটা কি ঠিক?
কোরান বিষয়ক চ্যালেঞ্জের ক্রাইটেরিয়াগুলি কোথায় পেলেন একটু যদি বলেন। এই চ্যালেঞ্জের কথা কোরানে আছে, কিন্তু ক্রাইটেরিয়া আছে তা আমি কোথাও শুনিনি।
আপনার ক্রাইটেরিয়াগুলি অত্যন্ত আপেক্ষিক; যেমনঃ “all being of a very high standard that one cannot be preferred to another” আগেই বলেছি যে পুরো ধর্মের ব্যাপারটাই হল বিশ্বাসের ভিত্তিতে। “high standard” এর কি কোন বাধাধরা গাইড লাইন আছে?
“The Language of the Qur’an is most clear, meaningful, intelligible, unsurpassable and miraculous.”
-ভাই, তাহলে বলেন তো কোরানের একই আয়াতের মানে কেন আনুবাদক থেকে অনুবাদক পরিবর্তিত হয়? একই আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন মানে নিয়ে আরবী জানা মহাপন্ডিতদের মাঝেই কেন কড়া বিতর্ক হয়? কোরান নিয়ে সামান্য পড়াশুনা করেই যা জানতে পেরেছি তাহল যে একটি মাত্র আরবী শব্দের ভিন্ন অর্থের কারনে অনেক আয়াতের মানে পুরো বদলে যেতে পারে, এবং আরবী জানা পন্ডিতদের অনুবাদেও তা বোঝা যায়। অন্য কথা, অর্থগত বিচারে তারা কেউই ভুল না। most clear, meaningful, intelligible বলে দাবী করাটা কি ঠিক?
যাক, আপনি এত চ্যালেনজ় না দিয়ে সোজা কথায় যা বলেছেন সেটাই বলা উচিতঃ “nijer chokre o na, nijer kanreo na.” এরপর আর আলোচনা বা কথা বাড়ানোর মানে কি?
@আদিল মাহমুদ vai,
কিন্তু ক্রাইটেরিয়া আছে তা আমি কোথাও শুনিনি। aro kaiteriya ase, kintu kuthaw paiben na, apnakei bujte hobe……………..
@Fuad,
কোরানের সেই চ্যালেঞ্জ যখন ছোট বেলায় প্রথম শুনেছিলাম তখন থেকেই মনে প্রশ্ন আসত যে এই চ্যালেঞ্জের ভিত্তি কি? আর ১০টা সাধারণ মোসলমানের মতই ধর্মের অন্য অনেক বিষয়ের মত এ নিয়ে আর মাথা ঘামাইনি, এরপর বেশ কিছুদিন পর ইন্টারনেটের বদৌলতে রাশাদ খলিফা আবিষ্কৃত কোরানের Nuerical Miracle জানতে পেরে মুগ্ধ হয়েছি, তখন নিশ্চিত হয়েছিলাম যে আসলেই কোন মানুষের পক্ষে এহেন আয়াত/গ্রন্থ লেখা সম্ভব না।
এই খুশী বেশীদিন থাকেনি। এই অভিজিত রায় জাতীয় দূরাত্মাদের পাল্লায় পড়ে জানতে পারলাম যে রাশাদ খলিফার এনালাইসিস বেশ জোড়াতালি মারা, ভদ্রলোক নিজেই অনেক কিছু বানিয়ে নিয়েছেন। তাই আবার সেই প্রশ্নের জগতে ফিরে যেতে হল। ক্রাইটেরিয়াগুলি কেউই আসলে ডেফিনিটলি জানেন না, কারন কোরানে তা নেই।
পৃথিবীর কোন বই কি হুবহু নকল করা ছাড়া বলা যাবে যে একটা আরেকটার মত? অভিজিত যেমন বললেন; কেউ কি বলতে পারে যে গীতাঞ্জলি আর নজরুল গীতি সমমানের? বড় জোর কেউ বলতে পারে যে আমার আছে গীতাঞ্জলি বড় বা বেশী পছন্দের, তাই বলে বলতে পারে না যে আর কারো পক্ষেই গীতাঞ্জলি জাতীয় বই লেখা সম্ভব নয়। কারন অন্য অনেক ভাষাতেই এই জাতীয় বই আরো আছে, এবং কেউই কাউকে চ্যালেনজ় দিবে না। হিন্দুরা যদি চ্যালেনজ় দেয় যে ভগবদগীতার মত বই লেখা কারো পক্ষে সম্ভব না, বা এর সমালোচনা করতে হলে আপনাকে আগে ৩০০০ বছর আগের সংষ্কৃত বুঝতে হবে শুনলে আপনার কি মনে হবে?
আমি কোরানে হাফেজ নই, আপনিও মনে হয় না। সত্য করে বলেন তো; অই ২ নম্বরী সূরা সাইটের মাঝ থেকে কেউ যদি আপনাকে বিসমিল্লাহ যোগ করে বলে যে এটা পবিত্র কোরানের সূরা মূলক বা সূরা আর রাহমান এর এতো নম্বর আয়াত, ব্রাকেটে ২৩ঃ৫৫ জাতীয় রেফারেন্স তাহলে কি আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনাকে ঠকানো হছে? আমার তো মনে হয় সত্য স্বীকার করলে আপনিও পারবেন না।
স্বীকার করে নেন যে এই চ্যালেনজ়ের ভিত্তি আসলে বিশ্বাস, কোন যুক্তি বা ক্রাইটেরীয়া না। আপনি নিজে কি আরবী ভাষা ভাল করে জেনে বুঝে কোরান পড়ে এই চ্যালেঞ্জ ভেরিফাই করার ক্ষীনতম চেষ্টা কখোন করেছেন? করলে আমার সাথে শেয়ার করেন। আমার ধারনা করেন নি, কারন বিশ্বাসের কখোন যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা হয় না।
কোরান বিষয়ক যেকোন বিতর্কে অধারিতভাবে আরবী ভাষার মারপ্যাচ এসে যায়। কোরানের বিভিন্ন বিতর্কিত আয়াতের সমালোচনার কাউন্টার হিসেবে অনেকেই নিজের মত অনেক আরবী শব্দের ব্যাখ্যা করে দেখান যে সমালোচনা আসলে ঠিক না। ভাল কথা। কিন্তু এর সাথে আমার kreator মত আরেকটি প্রশ্ন আসেঃ
“তার পক্ষে যদি সত্যই অসম্ভব বলতে কিছু না থেকে থাকে, তবে তিনি অবশ্যই এমন একটা মাধ্যমের অবতারণা করাতে পারতেন যা স্থান-কাল-বয়স নির্বিশেষে সবার কাছেই বোধগম্য হত। আরবী ভাষায় দুনিয়ার প্যাচ মেরে কোরান রচনাই বলে দেয় …”
আল্লাহ কেন সমগ্র মানব জাতির চিরদিনের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি বই এমন একটি ভাষায় পাঠালেন যে শুধুমাত্র জগতের একটি নির্দিষ্ট ভাষার লোক ছাড়া কেউই বুঝবে না? আরো দূঃখজনক, আরবী জানা পন্ডিত, তফসিরকারক তাদের ও অনেক ব্যাপারে মতভেদ হয়। তাহলে কি মোসলমান হবার pre-requisite কঠিনভাবে আরবী শিক্ষা? আপনি কি বলেন?
@আদিল মাহমুদ,
apnar lekhar maan dhrun, kuv sundhor kore likhen,
ajonno dhonno baad………………
khotin logic diya lekhen, but apnar ligic ja e hokna kenoo, tar ouporeo onek logic hoy……………………………
jemon Al kuran k niye atoboro Ulta lekha hoiloo, sheita kharap lagloo na, lagloo amar kaj. Biggan kunno bishash noy, abong kokonoi kunoo bishash dite parbe na….
Amader Bangladeshi Muslim ra emotional muslim, emotion er uppor kaj kore, jemon: রাশাদ খলিফা k ami chini na, kar kase sunlamm Bidat kari. Bangladeshe naki onek nassa nasi hoise……………faltu……..
{স্বীকার করে নেন যে এই চ্যালেনজ়ের ভিত্তি আসলে বিশ্বাস, কোন যুক্তি বা ক্রাইটেরীয়া না}
ata ami ki shikar korboo, Ata ALLAH SWT diyechen, akhane ami ki boolboo ? ata jukti na bishahs……….tobe apnara proshnoo korle tto uttor janaa thakle diboi………..
tobe apni tik dhormoo bishash er upore but etao jene nin Science khokonoo truth abishkar korte parbe na, ar jodi partto taile AL Kuran, Towrah(old bible) Jabur, Injil(bible) phatanoo hoitto na.
Science er ei jogot maane mordern time jodi ALLAH swt kase posonndho hoitto, Taile Rasul (s:) k mordern time ai phatanoo hoittoo. 1400 bosor age nah……….
@Fuad,
আমার লেখা আপনার ভাল লাগে জেনে খুশি হলাম, আরো খুশী হতাম যদি আপনি আমি প্রশ্নগুলি বারে বারে করে যাচ্ছি তার উত্তর দিতেন বা অন্তত চেষ্টা করতে। আমি কিন্ত প্রশ্নগুলি স্রেফ কাউকে বিপদে ফেলতে বা তর্ক চালিয়ে যেতে করছি না, আসলেই জানার জন্য করছি। এ জাতীয় প্রশ্ন করলে কখোনই উত্তর পাওয়া যায় না।
উলটা আলোচনাটকে ব্যক্তিগত রেষারেষীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আমিও মোসলমান (আপনার কাছে অন্য কিছু মনে হতে পারে), বিশ্বাসী তবে অন্ধবিশ্বাসী হতে আর রাজি নই। ধর্মের নামে আমাদের উপর যুগ যুগ ধরে অনেক কিছু চাপানো হয়েছে যা আমানবিক, অবৈজ্ঞানিক, এমনকি ধর্মের চোখেও যা ভ্যালিড নয় বলে আজকাল জানতে পারছি। যেমনঃ আজকাল মডার্ণ ইসলামবিদরা জানাচ্ছেন যে হাদীসের কোন ভিত্তি নেই, তাই তারা কোন হাদীস মানেন না। আমার ধর্মের নামে কেউ সমালোচনামূল্ক কিছু লিখলে আমার অবশ্যই খারাপ লাগে, তাই বলে আমি কিছু নিজে কিছু না জেনে শুনে শুধু অন্ধবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে তাকে আক্রমন করব? বিশেষ করে যখন দেখি যিনি লিখছেন তার ধর্ম বিষয়ক জ্ঞান আমার থেকে বেশী তারপরেও? তাহলে তো ব্যপারটা হবে যে বিচার মানি কিন্তু কলা গাছটা আমার। এই প্রবন্ধের লেখক কোরানের অর্থ বুঝে বুঝে অনেক এনালাইসিসের পর তার লেখা লিখেছেন, ইসলামী রেফারেন্স ও দিয়েছেন। আপনি নিজে কি কোরান এত মেহনত করে পড়ে বোঝার চেষ্টা করেছেন? কোরান কখোন কয়েকজনেও তফসীর মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করেছেন? না করে থাকলে এই লেখার সমালোচনা করা কি আপনার আমার সাজে? লক্ষ্য করে দেখেছেন কি আমি কিন্তু এই লেখার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছুই বলছি না। শুধু তাই না, আমি এই জাতীয় কোন লেখা নিয়েই কিছু সাধারণত বলি না। আমি ফোরামের আলোচনা করি এই লেখার আলোচকরা যখন নিজেদের মতামত দেন তাদের সেই মতামতের উপর আলোচনা করতে। বিশেষ করে আপনি বা সাদাত সাহেবের মত কেউ যদি বলেন যে We never believe in Science জাতীয় কথানবার্তা তখন খুব আগ্রহী হই।
কারন আমি বিশ্বাস করি মুক্তমণা জাতীয় ধর্ম সমালোচনাকারীরা ধর্মের যত না আপ্ত ক্ষতি করছে তার থেকে অনেক বেশী ক্ষতি করেছে এবং করছে অন্ধবিশ্বাসীরা।
এ যুগে কেউ যদি এসে দাবী করেন যে তিনি আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ, কোন ফেরেশতা এসে তাকে আল্লাহর অহী দিয়ে যায় তাহলে তিনি প্রতিক্রিয়া পাবেন বলে মনে করেন? হয় মেন্টাল হসপিটাল নাহয় গনপিটুনি, তাই না? এমন ঘটনা কিন্তু বিরল না, প্রায়ই হচ্ছে। একটা মানসিক রোগ আছে যেটায় রোগী তার মনে মনে গায়েবী কথাবার্তা শুনেন, গায়েবী নির্দেশে গণহত্যাও ঘটিয়ে ফেলেন। জানেন নিশ্চয়ই। আমি কিন্তু বলছি না যে সব নবী রসূল তাই ছিলেন, শুধু বলছি এই আমলে কেন আর কেউ নওবুওত্ত্ব দাবী করতে পারবে না সেটা।
আমার ধারনা আপনি আপনার কথা ঠিকমত গুছিয়ে লিখতে পারছেন না, দেখি আপনাকে একটু সাহায্য করা যায় কিনা। কোরান কে সমর্থন করে যাবেন বলে বিজ্ঞান কে অস্বীকার করার চেষ্টা কি খুব ছেলেমানুষী হবে না? বরং এভাবে বলা যাক। ধর্ম আর বিজ্ঞান হল দুই ভিন্ন ডাইমেনশনের জিনিশ। একটার সাথে আরেকতার তূলনা চলে না। এক ঘন্টা সময়ের সাথে কি আধা কেজি লবন তূলনা করা যায়? বিজ্ঞান যুক্তির জিনিস, তার মানে এই না যে জগত শুধু যুক্তিতে চলে, আমাদের জীবনে অনেক কিছুই আমরা করি যা কোনরকম যুক্তিতর্ক দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। আই ধর্মকে ডিফেন্ড করতে আপনার বজ্ঞান বিদ্বেষী হবার কোনই দরকার নেই। অতি স্মার্ট ধর্মবাদীরা কখোনই তা করেন না, তারা ঊল্টা ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞানের কঠিন কঠিন তত্ত্ব আবিষ্কার করে থাকেন। এ যুগে বিজ্ঞান বিরোধীতা করে কি টিকা যাবে?
মনে রাখবেন কোন ধর্ম আপনাকে অসত হতে বলে না। সত্য যাই হোক তাকে গ্রহন করতে চেষ্টা করেন। আল্লাহ আপনাকেও বিবেক বুদ্ধি দিয়েছে, তা একটু কাজে লাগিয়ে ধর্ম বোঝার চেষ্টা করেন। শুধু কোথায় কি লেখা আছে বা কোন আলেম কি বলে গেছেন তা দিয়ে না।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার লেখার আবার প্রশংসা করতে হয়। সুন্দর করে লিখেন। আসলে আমার সমস্যা শুদ্ধ ভাষা পারি না । আমর এলাকার ভাষা মিশে যায় । সব সময় এটা হয় ।
যাইহোক, আমিও আপনার মত মানুষ ছিলাম ১০০ % মুসলমান কিন্তু বিজ্ঞান ও ফলো করতাম । বিজ্ঞান অনুষারে ব্যাক্ষা দিতাম বাস্তবতা কে । even theory of evolution এর পক্ষে সাফাই গাইতাম । হুজুর দের ভুল ধরতাম । ঐ low ভুল হইছে। ওইটা হঈছে না। ইত্যাদি । এখন দেখি সব ভুল ।
{এই প্রবন্ধের লেখক কোরানের অর্থ বুঝে বুঝে অনেক এনালাইসিসের পর তার লেখা লিখেছেন, ইসলামী রেফারেন্স ও দিয়েছেন} উনি করেছেন ইসলাম নিয়ে হাসা হাসি করার জন্য অথব ব্যাজ্ঞানোর জন্য । কিন্তু আমিও তো ঐই লাইন গুলো পড়েছি । সহজেই বুঝতে পেরেছি উদ্দেশ্য মূলক ব্যবহার । আমি জানি, আমার জ্ঞান কম । কিন্তু এত কম ত আর নয় । but আমার কথা গুলি ভাষায় আনতে পারি না ।
নিজেই যা বুঝতেছি, নিজের কাছেই থাকতেছে ।
{ধর্ম আর বিজ্ঞান হল দুই ভিন্ন ডাইমেনশনের জিনিশ। একটার সাথে আরেকতার তূলনা চলে না। এক ঘন্টা সময়ের সাথে কি আধা কেজি লবন তূলনা করা যায়?}
ঠিক তাই । ইসলামের বিজ্ঞানের কোন দরকার নাই ।
বিজ্ঞান কি সত্য আবিষ্কার করতে পারবে । না । একের পর এক জিনিস আসতেই থাকবে । তাহলে বিজ্ঞান দিয়ে কি সত্য ব্যাক্ষা পাও যাবে ? ।
আমরা বিজ্ঞানের প্রতি এতই মোহগ্রস্ত হয়েছি যে, সব উলটা-পালটা করেছি । ইসলামের কোটি কোটি ব্যাক্ষা বের করেছি ।
{মনে রাখবেন কোন ধর্ম আপনাকে অসত হতে বলে না} ঠিক । but “লা ইলাহা বলে তো সব ধর্ম ই বাতিল করে দিয়েছেন, তারপর “ইল্লাহ”
@আদিল মাহমুদ,
You are spot on bro.Every scripture is written by human being.That’s why they are so nakedly partial.
@nirjhar,
আমি কাউকে বেয়াড়া প্রশ্ন করে বিপদে ফেলার জন্য প্রশ্ন করছি না, আসলেই জানার জন্য করে যাচ্ছি, দূঃখজনকভাবে কোন যুক্তিসংগত জবাব পাচ্ছি না। জবাবের যায়গায় আসছে অতি আবেগ প্রবণ কথাবার্তা, যাকে সন্দেহপ্রবণ সমালোচকরা এড়িয়ে যাওয়া বলবেন।
ফুয়াদ,
আমার তো মনে হয় আপনার আগের ষ্ট্যান্ডই ভাল ছিল, মানে যেমন বললেন; আগে হুজুরদের ভুলভাল ধরতেন সেই সময়ের অবস্থা। তার মানে তখনও আপনি অন্ধবিশ্বাসী হননি, বিশ্বাসী অবশ্যই ছিলেন। আমি জানি না কেন আপনি বিশ্বাসী থেকে অন্ধবিশ্বাসী হতে গেলেন। সে আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি মনে করি ধর্মবাদীদের যাবতীয় সমস্যার মূল এই অন্ধবিশ্বাস থেকে। বিশ্বাস থেকে নয়।
কোরানেই তো আছে সবকিছু যাচাই করে গ্রহন করতে, শুধু আল্লাহর অস্তিত্ত্ব ছাড়া। তাই বেয়াড়া প্রশ্ন/সমালোচনা না এড়িয়ে যুক্তিপূর্ন আলোচনা করাই তো উচিত।
এই লেখকের লেখা পড়লে অবশ্যই মনে হবে যে তিনি কোরানের ভুল বের করতে এটা লিখেছেন। তিনি কিন্তু তা গোপন করার কোন চেষ্টা করেননি। সে অধিকার তো তার আছে। তার কাছে যেগুলি ভুল মনে হয়েছে তা যুক্তিসহ রেফারেন্সসহ উলেখ করেছেন। তিনি কিন্তু স্রেফ বলে দেননি যে আমার কোরান বা ইসলাম ভাল লাগে না তাই কোরান বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। আপনি কিন্তু তার লেখাকে কোনরকম এনালাইসিস ছাড়া অনেকটা আবেগবশতঃ তার বিরোধীতা করছেন, যে লাইনে কথাবার্তা বলছেন তাতে অবশ্য অপরপক্ষের লেখা পড়ার কোন দরকারই হয় না।
আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা কেউই মহাজ্ঞানী না, আমি ভাল লিখলে বা যুক্তি দিলেও আমার কথাই শেষ নয়, আমি তা জানি বলেই কিন্তু প্রশ্ন করছি, অন্য কেউ যিনি হয়ত যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারেন তার থেকে জানার জন্য।
ইসলামের বিজ্ঞান দরকার নেই কথাটা মনে হয় ঠিক না, বিশেষ করে যদি ইসলামকে পূর্নাংগ জীবন বিধান হিসেবে চালাতে চান। বিজ্ঞান আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে নিয়ন্ত্রন করছে, এর মধ্যে যদি ধর্মকেও টেনে আনতে চান তবে তবে এই দুয়ের মধ্যা ইন্টারেকশন হতে হবে। হতে পারে সেটা সংঘাত বা সমন্বয়। সহজ অর্থ দাড়ায় ধর্মে কোন অবৈজ্ঞানিক জিনিস পাওয়া গেলে তার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা ধর্র্মবাদীদের দিতে হবে, কোন আবেগময় বা অন্ধবিশ্বাস নির্ভর ব্যাখ্যা না।
তবে এ কথাও সবার মনে রাখতে হবে যে বিজ্ঞানও কিন্তু শেষ কথা নয়, বিজ্ঞানে অনেক তত্ত্বও কালের ব্যাবধানে ভুল প্রমানিত হতে পারে।
আর আপনি আঞ্চলিক ভাষা ব্যাবহার করলে তাতে মনে হয় না কারো অসুবিধা হবে, তবে একটু চিন্তা করে গুছিয়ে লিখতে চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে একটা ছোট উপদেশ দেই, লেখার সময় চিন্তা করবেন যে আপনি অপর পক্ষের লোক হলে আপনার নিজের দেওয়া যুক্তিকে কি চোখে দেখতেন। আপনার লেখার কিন্তু উন্নতি হচ্ছে। চালিয়ে যান।
hya eitai apnader moto lokder shomosshya. আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই বিশ্বাস করেন। সেভাবেই করবেন। বিজ্ঞান বিশ্বাস করেন না। বিচার যাই হোক তাল গাছ টা আপনারই থাকবে। কি বলেন? আলাহ বিধর্মীদের ঘৃণা করতে বললেও ভাল, তাদের গলায় কোপ বসাইতে বললেও ভাল, অবাধ্য স্ত্রী দের পিটাতে বললেও ভাল, নিজার তালাক দেয়া বউরে হিলা করার কথা বললেও ভাল, অসতী মেয়েদের পাথর মেরে মেরে ফেলার কথা বললেও ভাল। সবই ভাল। যা লেখা আছে ধর্মে রবোটের মত শুধু পালন করে যাবেন যাতে মরার পর সত্তুরটার করে হুরী পাওয়া যায়। জম্পেশ।
http://suralikeit.com/
উপরের লিঙ্কটা দেখেন। আপনার সব চ্যালেঞ্জই ফুলফিল করা হয়েছে। আরবীতেই সুরাগুলো তৈরি করা হয়েছে। এখন বলেন, কোরানের চেয়ে ওইগুলা ভাল হয়েছে না খারাপ? অবশ্য আমি যখন জানি তালগাছটা সব সময়ই আপনার – আপনার উত্তর কি হবে সেটাও জানা।
@রফিক,
যা লেখা আছে ধর্মে রবোটের মত শুধু পালন করে যাবেন যাতে মরার পর সত্তুরটার করে হুরী পাওয়া যায়। জম্পেশ।
70 ta hur na…….If ALLAH SWT say go to hell, We will go to hell by run………… We Don’t ask any logic in ALLAH swt’ Order ………..
@রফিক,
oi gula gurar dim hoise, Apni poira dekehen. Valo koira dekhen.
………………………………………..
Apnara nizei nizere giyani bolen, Nizere Homo sapiens bolen, akhon abar kew kew boltesen Homo sapiens sapiens………..giyani hoiya moha giyani hoiya gesen………………………………….
K apnake odhikar dise nizere giyani giyani bolar ?
ALLAH swt jodi manush k giyani bolen taile tik ase, karon ounar odhikar ase, Ounar khathar sutroo dhore bolle hoytto kisu tik hobe, but Nizere niaei giyani kem ne bolen? Apnara na GOD Bishash koren na. NAM rakha usit homo humen or something elas……………….
@রফিক,
apnar sura muslimun vs Sura kafirun
your links one……………..
1) Alef Lam Saad Meem
(2) Say: O Muslims, You are far astray.
(3) Those who disbelieved in God and his Christ
shall have in the lifeafter the fire of hell
and a severe torture.
(4) Some faces that day will be subdued and darkened
seeking forgiveness from God
and God shall do whatever He wants.
(5) That day, the Most Merciful shall say:
O my servants I favored you with my guidance
revealed to you in the Torah and the Injeel.
(6) And you should have not disbelieved
what I have revealed to you
and go astray from a plain road.
(7) They said: We did not go astray ourselves
but he, who claimed he was one of the messengers (of God)
has mislead us.
(8) And as God says: O Muhammad, you allured my servants
and caused them to become disbelieves.
(9) He said: O my Lord, it is Satan who allured me and truly
he has always been the most corrupting to children of Adam.
(10) And God will forgive those
who have been allured by man and then repented
and he will compel that one who was Satan’s advocate to hell,
a hapless journey’s end.
(11) And if God rules something, He is most knowing of what He rules
and of what He had ruled and He is able to do all things.
SURA AL KAFIRUN
109.001
YUSUFALI: Say : O ye that reject Faith!
PICKTHAL: Say: O disbelievers!
SHAKIR: Say: O unbelievers!
109.002
YUSUFALI: I worship not that which ye worship,
PICKTHAL: I worship not that which ye worship;
SHAKIR: I do not serve that which you serve,
109.003
YUSUFALI: Nor will ye worship that which I worship.
PICKTHAL: Nor worship ye that which I worship.
SHAKIR: Nor do you serve Him Whom I serve:
109.004
YUSUFALI: And I will not worship that which ye have been wont to worship,
PICKTHAL: And I shall not worship that which ye worship.
SHAKIR: Nor am I going to serve that which you serve,
109.005
YUSUFALI: Nor will ye worship that which I worship.
PICKTHAL: Nor will ye worship that which I worship.
SHAKIR: Nor are you going to serve Him Whom I serve:
109.006
YUSUFALI: To you be your Way, and to me mine.
PICKTHAL: Unto you your religion, and unto me my religion.
SHAKIR: You shall have your religion and I shall have my religion.
Jodi buddi thake taile akanei dhorte parben
@রফিক,
apnader arabic version kuv e jotil, porte kostto hoy, Memorise kora aro kothin…………………………………..
taile ami kivabe bolboo apnara parsen,
@Fuad,
আমার এক জবাবের জন্য আপনার তিনটা জবাব দেয়া লাগে। :nerd: আর, gurar dim হয়েছে বললেই তো আর হল না। ‘গুরার ডিম’ বস্তুটা আপনের নিজের লেখাতেই খুঁইজেন এখন থেকে।
আমাদের এরাবিক ভার্শন পড়তে প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবেই। ছোটবেলা থেকে রবোটের মত কোরান পড়ছেন। কোরান বাদ দিয়ে ঐ ভার্শনটাও দিনে ৫/৬ বার করে পড়েন – দেখবেন – কোরানের মতই সোজা হইয়া গেছে। সুরার চ্যালেঞ্জ যেহেতু ফুলফিল হয়েছে, আর কোন কথার দরকার নাই।
aro janen, Amra Shudhu ALLAH re Bishash kori, nijer chokre o na, nijer kanreo na.
We believe only ALLAH swt, not our thinking………………..
نعتقد والله بسم الله الرحمن الرحيم) ، وليس في تفكيرنا
@Fuad,
তাহলে আপনিই বলুন, ইসলামকে কেন ইসলামি মৌলবাদের জন্য দায়ী করবোনা? আপনাদের মত মানসিকতা যাদের, তারা খুব সহজেই উগ্রবাদী হয়ে যেতে পারেন। উগ্র ইসলামপন্থীদের কথা বার্তার সাথে আপনাদের কথার কি খুব পার্থক্য আছে? যারা নিজের চোখকে বিশ্বাস করে না, কানকে বিশ্বাস করে না, কিন্তু অদৃষ্ট এক শক্তিকে বিশ্বাস করে, তারা সেই অদৃষ্ট শক্তির দোহাই দিয়ে সমাজরাষ্ট্রে যেকোন সময় তালেবানি শাসন জারি করতে পারে। আল্লাহর দোহাই দিয়ে যেকোন কিছু করতে তারা পিছুপা হবে না। আফগানস্তানে তালেবানরাও কিন্তু ঠিক আপনাদের স্টাইলে কথা বলতো, এবং তারা নিজের চোখ, কানকে বিশ্বাস না করে আপনাদের মত শুধু আল্লাহকে বিশ্বাস করতো। আল্লাহর আইনের দোহাই দিয়ে দিয়ে তারা আফগান সমাজকে হাজার বছর পিছনে নিয়ে গিয়েছিলো। So, আপনিই বলেন ইসলামকে কেন আমরা আধুনিক ও সহিষ্ণু ধর্ম বলবো? যেখানে আপনারাই বলছেন যে আপনারা আল্লাহ ছাড়া আর কিছুই মানেননা, সেখানে আপনারা আল্লাহর দোহাই দিয়ে যে কোন সময় মৌলবাদি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে চাইবেননা তার নিশ্চয়তা কি?
কোরান যদি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ প্রেরণ করে থাকেন তাহলে তিনি কেন সেটি বিশ্বের সব ভাষায় নাজিল করলেন না? কেন শুধু একটি নির্দিষ্ট ভাষায় নাজিল করলেন? আল্লাহর পক্ষে সবকিছুই সম্ভব যদি হয় , তাহলে হজরত মুহম্মদের সমসাময়িক কালে বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকট তার মত আরো নবী পাঠিয়ে এবং তাদের নিজ নিজ ভাষায় কোরান নাজিল করলে -সেটাই কি মানবজাতির জন্য অধিক বোধগম্য ও সহজতর হতো না ? সেটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ হতোনা ?
@Talat,
}কোরান যদি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য আল্লাহ প্রেরণ করে থাকেন তাহলে তিনি কেন সেটি বিশ্বের সব ভাষায় নাজিল করলেন না? কেন শুধু একটি নির্দিষ্ট ভাষায় নাজিল করলেন? আল্লাহর পক্ষে সবকিছুই সম্ভব যদি হয় , তাহলে হজরত মুহম্মদের সমসাময়িক কালে বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকট তার মত আরো নবী পাঠিয়ে এবং তাদের নিজ নিজ ভাষায় কোরান নাজিল করলে -সেটাই কি মানবজাতির জন্য অধিক বোধগম্য ও সহজতর হতো না ? সেটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ হতোনা }
ভাই, ALLAH swt কি আপনার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে । আপনি একজন মানুষ, তাই মানুষের মধ্যে কে বুদ্ধীমান তা বলতে পারেন কিন্তু স্রষ্ঠাকে নয় ।
However, ALLAH swt হজরত মুহম্মদের সঃ সমসাময়িক কালের আগে বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নিকট তার মত আরোও নবী পাঠিয়েছেন ।
বিষয়টা হচ্ছে আপনি আল্লাহ swt কে চান কিনা ? চাই লে যে কোন ভাষায় হোকনা কেন, কোন সম্যসা নাই ।
{আপনিই বলেন ইসলামকে কেন আমরা আধুনিক ও সহিষ্ণু ধর্ম বলবো} আপনি কি বলেন আর না বলেন তা তে ইসলাম এর যায় আসে না । আপনার ভাল না লাগলে বলিএন না । ইসলাম শুধু Show করার বিষয় । কে বিশ্বাস করল কি করল না তা তে ইসলাম এর যায় আসে না । just বলা হয় Islam বলে এই এই এই । ।
এটা তো তার বিষয় সে বিশ্বাস করবে কি না । ১৫০ কোটি মুসলিম যদি ইসলাম ছেরে ও দেয় । তাহোলে ও কিছু হবে না ।
@ফুয়াদ, আমি বুঝছি না এমন একটা স্টুপিডের কথা কেন ছাপা হচ্ছে! যে যুক্তি বোঝে না, যুক্তি খন্ডানোর ধার ধারে না, ছাগলের প্রলাপ ডেলিভারী দেয়, কোন যুক্তির মধ্যে প্রবেশ না করে শুধু পিছলে যায়, তাকে কেন ছাপানো হচ্ছে আর মুক্তমনাদের কি খেয়েদেয়ে কাজ নেই, কেন ওর সাথে তর্ক করছেন খামোখা?
@to ফুয়াদ: আমি বুঝছি না এমন একটা স্টুপিডের কথা কেন ছাপা হচ্ছে! যে যুক্তি বোঝে না, যুক্তি খন্ডানোর ধার ধারে না, ছাগলের প্রলাপ ডেলিভারী দেয়, কোন যুক্তির মধ্যে প্রবেশ না করে শুধু পিছলে যায়, তাকে কেন ছাপানো হচ্ছে আর মুক্তমনাদের কি খেয়েদেয়ে কাজ নেই, কেন ওটার সাথে তর্ক করছেন খামোখা?
এটার জবাবে উনি বল্লেন এটা-
আরে তালাত সাহেব যুক্তির মাধ্যমে তার প্রশ্ন উত্থাপন করলেন আর ইনি জবাব না দিয়ে বা দেয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে গা-জ্বলুনি কথাবার্তা বলছেন!! আবার-
প্রথমে তার বিস্তারিত যুক্তি,ব্যাখ্যা ও কারণ প্রদর্শন করে অবশেষে তালাত সাহেব প্রশ্ন রাখলেন যে কেন তিনি ইসলামকে আধুনিকতাবিবর্জিত ও অসহিষ্ণু ধর্ম বলবেন না-
আর উনি বল্লেন কি-
ব্যাটা ক্যানো প্যশ্নের উত্তর না দিয়ে এসব বলে! বাক-স্বাধীনতা পাইছে বলে কী ছাগলের মত ব্যব্য করবে? আর এই গর্দভেরে যদি গর্দভেরে যদি ‘উগ্রপন্থি রাম ছাগলের বাচ্চা’ না বলতে পারি তাহলে কাকে বলব?
(মন্তব্যকারীদের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ পরিহার করে মন্তব্য করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্টুপিড, গর্দভ, ছাগল ইত্যকার বিশেষণ পুনরায় ব্যবহার করা হলে আইপি সহ মন্তব্যকারীকে ব্যান করা হবে। – মডারেটর)
ALLAH swt J vabe bolsen oibhabei amra bishash kori,
apnader Bigaan er dhardhari na. Biggan pori manusher gian kotoo dur porjontto geloo ta dekhar jonno, ar nutun giyan abishkarer jonno. But We never believe it. Whatever you can say………
We believe on ALLAH swt and What he said in his Book……………….
However,
The criteria for producing a surah like the Qur’an are as follows: since the Qur’an is in Arabic, the Surah so produced should also be in Arabic, which should be equivalent in standards to that of the Qur’an.
(i) The Qur’an maintain throughout the highest possible standard of in its speech.
(ii) The Language of the Qur’an is most clear, meaningful, intelligible, unsurpassable and miraculous.
(iii) It does not deviate from the truth and still maintains its eloquence, rhythm and style unlike human poetry and literature.
(iv) The Qur’an repeat several information in difference styles and by passages and narrations of varying sizes, all being of a very high standard that one cannot be preferred to another
(v) The Qur’an encompasses a vast range of meaning in a surprisingly small number of words without losing its charm and majesty.
(vi) The Ability of the Qur’an to address a multitude of people. The same verse of the Qur’an is appreciated by an intelligent person as well as a common man.
@Fuad,
Yes, we are taking all the benefits of ‘Biggan’, but do not beleive in ‘Biggan’. Ha..Ha.. Ha. Like we love to go to America, but we hate America.
কোরআন নিয়ে লিখতে হলে আগে আরবী শিখুন।
কোরআনের বাংলা অনুবাদ দ্বারা এর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ব্যাখ্যা সম্ভব নয়।
—————————————————
কোরআনকে মিথ্যা প্রিতপণ্ন করতে চাইলে এর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন:
وَإِن كُنتُمْ فِي رَيْبٍ مِّمَّا نَزَّلْنَا عَلَى عَبْدِنَا فَأْتُواْ بِسُورَةٍ مِّن مِّثْلِهِ وَادْعُواْ شُهَدَاءكُم مِّن دُونِ اللّهِ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
فَإِن لَّمْ تَفْعَلُواْ وَلَن تَفْعَلُواْ فَاتَّقُواْ النَّارَ الَّتِي وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ
[২:২৩,২৪]
And if you are in doubt concerning that which We have sent down (i.e. the Qur’ân) to Our slave (Muhammad Peace be upon him ), then produce a Sûrah (chapter) of the like thereof and call your witnesses (supporters and helpers) besides Allâh, if you are truthful.
But if you do it not, and you can never do it, then fear the Fire (Hell) whose fuel is men and stones, prepared for the disbelievers.
@সাদাত,
কোরআন নিয়ে লিখতে হলে আগে আরবী শিখুন বলে যে জ্ঞান দিয়েছেন, সেইটা কি আপনি বাইবেলের জন্যও বলবেন? আপনি তো বাইবেল পড়েছেন ইংরেজী অনুবাদ ্দেখে। তাই না? কাজেই বাইবেলের সমালোচনা করলেও যে কেউ আপনার কথা ঊড়িয়ে দিতে পারেন এই বলে যে – আপনি আগে হিব্রু পড়েন।
আপনি কি মনে করেন, কোরানের অনুবাদ যারা করেছে, তারা আরবী না বুঝেই অনুবাদ করছে? YUSUFALI, PICKTHAL, SHAKIR এরা তো পন্ডিত। এদের অনুবাদ কিংবা ভাল বাংলা পড়লে হবে না ক্যান? আপনার আরবীর জ্ঞানের চেয়ে ইউসুফ আলীর আরবীর জ্ঞান কম কিসে?
আর কোরানের সুরার যে চ্যালেঞ্জ-এর কথা বলেছেন, এর উত্তর নাস্তিকের ধর্ম কথা, অভিজিতেরা আগেই দিয়েছে এই সাইটে। পড়ে দেখেন। অভিজিত সাহেব একটা লিঙ্কও দিয়েছিলেন নাস্তিকের ধর্মকথার ওই পোস্টে –
http://suralikeit.com/
লিঙ্কটিতে আপনাদের মত পাগল লোকজনের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করা হয়েছে আর আপনার কথা মত আরবীতেই কোরানের মত অনেক সুরা তৈরি করে উচিৎ জবাব দেয়া হয়েছে। এখন কি বলবেন?
আরবী একটি শব্দের অনেক অর্থ হয়। অনুবাদক তাঁর জ্ঞান অনুযায়ী অর্থ গ্রহণ করে থাকেন। যেহেতু অনুবাদক সব বিষয়ে বিজ্ঞ নন, ফলে তাঁর পক্ষে সবক্ষেত্রে সঠিক অর্থ বেছে নেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
So, if anyone want to research, he must research the Quran in arabic. I can give answer to your article, but the main problem is to write in Bangla.
Have you ever read the ‘sura’s you have provided. Can you recite it like Quranic Suras? In these socalled ‘sura’s they have borrowed Quraic words frequently, sometimes they have borrowed lines from hadith. But still in no way they are similar to any sura of Al-Quran. And you will never understand the fact unless you know arabic, its grammar and Balagah. And you know at the beginning of any sura we read ‘Bismillahir Rahmaanir Raheem’. The authors of socalled suras even could not provide a similar line.
@সাদাত,
ধর্ম এবং ধর্মগ্রন্থ নিয়ে অহেতুক বিতর্ক ইদানিং একদমই করি না। এতে সময়ের নিদারুন অপচয় হয়। তবু, আপনার মন্তব্যের সূত্র ধরে কিছু মন্তব্য না করে পারছি না।
আপনার চ্যালেঞ্জ বিষয়ে বলি – কোরাণ কেন, পৃথিবীর কোন অসামান্য সৃষ্টিকেই পুনর্বার তৈরি করা যায় না। আপনাকে যদি বলা হয়, দয়া করে রবীন্দ্রনাথের গীতবিতান, হোমারের ইলিয়াড, শেক্সপিয়রের হ্যামলেট কিংবা কালিদাসের মেঘদূত অথবা মধুসূদনের মেঘনাদবদ কাব্য আরেকটি তৈরি করে দেখান – আপনি কিন্তু পারবেন না। তার মানে কিন্তু এই নয় যে উক্ত গ্রন্থগুলো সব ঐশ্বরিক হয়ে গেছে। লালন যে রকম গান লিখে গেছেন সেরকম গান লিখতে আমি বা আপনি পারবো না। তা বলে এমন ভাবা ভুল হবে যে, গানগুলো লালন লিখেন নি, লিখেছেন ঈশ্বর। সাহিত্যের জগতে তুলনামূলক আলোচনা হতে পারে, কিন্তু একই সাহিত্য কিংবা সাহিত্যের একটি বাক্য আবার তৈরি করার চ্যালেঞ্জ অনেকটা নির্বোধের মতই শোনাবে।
আরেকটি সমস্যা হল চ্যালেঞ্জটির আভ্যন্তরিন অসারতা। আল্লাহ নিজেই ‘produce a sura like it,…’ বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবার পর পরই নিজেই আবার সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন এই বলে –
But if ye cannot – and of a surety ye cannot – then fear the Fire whose fuel is men and stones,- which is prepared for those who reject Faith. — Qur’an 2.24 (trans. A. Yusuf Ali)
অর্থাৎ, মহান আল্লাহতালা সুরা তৈরি করার চ্যালেঞ্জ করেই নিজেই উপসংহার টেনে দিচ্ছেন – ‘surety ye cannot’, বলে, এবং যারা এ কথা মানবে না তারা আবার আগুনে পুড়ে মরবে। দেখুন মজাটা – একমুখে চ্যালেঞ্জ ছোড়া হচ্ছে, আবার সেই একই মুখে আবার বলা হচ্ছে যারা এ চ্যালেঞ্জ গ্রহন করবে তাদের জন্য রয়েছে ‘জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ড’। এরপরে আর কে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে বলুন?
এ ধরণের চ্যালেঞ্জের আরেকটি দুর্বলতা হল বিচারের ক্রাইটেরিয়াতে। আমি কোরানের মত সুরা যদি লিখিও সাদাত এবং ফুয়াদ সাহেবেরা বলবেন ‘কিছুই হয় নাই’। আর যারা কোরানে বিশ্বাস করে না তারা বলবেন -‘খুব ভাল হয়েছে’। ঠিক এই জিনিসটাই দেখা গেল যখন রফিক যখন http://suralikeit.com/ এই লিঙ্কটি কোরাণের মত সুরা তৈরির প্রমাণ হিসবে দাখিল করলেন। ফুয়াদ যেমন বলতে থাকলেন – ‘ঘোড়ার ডিম হইছে’। অথচ আকাশ মালিক সেগুলোর প্রশংসা করলেন (নাস্তিকের ধর্মকথার পোস্ট দ্রঃ)।
একটি জিনিস এখানে বলা প্রয়োজন। কোরাণ খুব প্রাচীন আরবী রীতি অনুসরণ করে লেখা। যারা ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করেন, তারা জানেন ভাষা কিন্তু স্থবির নয়। কোরান যে প্রাচীন রীতিতে লেখা হয়েছিলো তার অনেককিছুই এখন পরিত্যক্ত। বাংলাভাষার ক্ষেত্রেই চিন্তা করুন না – একসময় বঙ্কিম বিদ্যাসাগরেরা যে ভাষায় লিখতেন, আজকের দিনের কবি সাহিত্যিকরা সে ভাষায় লিখবেন না । কিন্তু তা বলে কি বলা যাবে আজকের কবি সাহিত্যিকদের ভাষা খারাপ? এভাবে তুলনা করাটা আসলে ভাষার বিবর্তনকে অস্বীকার করাই হবে। ব্যাপারটা কোরানের জন্যও খাটে। আর তা ছাড়া কোরানকে ‘পার্ফেক্ট এরাবিক’ বলা হলেও কোরান যে ব্যাকরণগত ভুল থেকে মুক্ত নয় গবেষকরা কিন্তু তা দেখিয়েছেন। যেমন আরবী জানা বিশেষজ্ঞ আলি দাস্তি তার ‘Twenty Three Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad’ গ্রন্থে কোরানের বহু ব্যাকরণগত ভুলের উল্লেখ করেছেন। যেমন, সুরা ২০ এর ৬৩ নং আয়াতে হাদহেইন (these two) যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তা ভুল, ওটাকে accusative case হিসবে ব্যবহার করা উচিত। এ ধরণের ভুল আছে সুরা ৪৯ এর ৯ নং আয়াতে এবং সুরা ৪ এর ১৬২ আয়াতেও। তিনি বলেন,
The Qor’an contains sentences which are incomplete and not fully intelligible without the aid of commentaries; foreign words, unfamiliar Arabic words, and words used with other than the normal meaning; adjectives and verbs inflected without observance of the concords of gernder and number; illogically and ungrammatically applied pronouns which sometimes have no referent; and predicates which in rhymed passages are often remote from the subjects … To sum up, more than one hundred Qor’anic aberrations from the normal rules and structures have been noted… (‘Ali Dashti, 23 Years: A Study of the Prophetic Career of Mohammad, Mazda Publishers, Costa Mesa, California, 1994, pages 48,50)
এ ছাড়া স্কলার Noldeke ও কোরানের ভাষারীতির সমালোচনা করেছেন। এগুলোর প্রমাণ আছে ইবনে ওয়ারাকের Why I Am Not a Muslim গ্রন্থে।
ব্যাকরণগত ভুলের বাইরেও পরস্পরবিরোধী বাণী কোরানে আছে ঢের। কোরানের কয়েকটি আয়াত থেকে পাওয়া যায়, এই মহাবিশ্ব তৈরি করতে আল্লাহ সময় নিয়েছেন ছয় দিন (৭:৫৪, ১০:৩, ১১:৭, ৫০:৩৮, ৫৭:৪ ইত্যাদি), কিন্তু ৪১:৯-১২ থেকে জানা যায়, তিনি পৃথিবী তৈরি করতে ২ দিন সময় নিয়েছিলেন, এর পর এর মধ্যে পাহাড়-পর্বত বসাতে আর অন্যান্য আনুষঙ্গিক ইমারত তৈরী করতে আরো চার দিন, সবশেষে সাত আসমান বানাতে সময় নিয়েছেন আরো দু-দিন। সব মিলিয়ে সময় লেগেছে মোট আট দিন। কাজেই কারো মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে ঃ কোরান অনুযায়ী আল্লাহ মহাবিশ্ব বানিয়েছেন কয় দিনে – ছয় দিনে নাকি আট দিনে? পরস্পরবিরোধিতার আরো কিছু নমুনা দেয়া যেতে পারে। সুরা ৭৯:২৭-৩০ অনুযায়ী আল্লাহ ‘হেভেন’ বানিয়েছিলেন আগে, তারপর বানিয়েছিলেন পৃথিবী, কিন্তু অন্য কিছু আয়াতে আল্লাহ বলেছেন একেবারে উলটো কথা – অর্থাৎ, আগে পৃথিবী, পরে হেভেন (২:২৯ এবং ৪১: ৯-১২ দ্রঃ)। কখনো বলা হয়েছে আল্লাহ সব কিছু ক্ষমা করে দেন (৪: ১১০, ৩৯: ১৫৩) কিন্তু আবার অন্যত্র বলা হয়েছে, তিনি সব কিছু ক্ষমা করেন না (৪:৪৮, ৪:১১৬, ৪:১৩৭, ৪:১৬৮)। সুরা ৩: ৮৫ এবং ৫:৭২ অনুযায়ী ইসলাম ধর্মে যারা নিজেদের সমর্পন করেনি তারা সবাই দোজখে যাবে তা সে খ্রীষ্টান, ইহুদী, প্যাগান যেই হোক না কেন, কিন্তু আবার ২:৬২ এবং ৫:৬৯ অনুযায়ী, ইহুদী এবং খ্রীষ্টানদের সবাই দোজখে যাবে না। কখনো বলা হয়েছে মুহম্মদকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত আছেন একহাজার জন ফেরেস্তা (৮:৯-১০) কখনোবা বলেছেন এই সাহায্যকারী ফেরেস্তাদের সংখ্যা আসলে তিনহাজার (৩: ১২৪, ১২৬)। কখনো আল্লাহ বলেছেন তার একটি দিন পার্থিব এক হাজার বছরের সমান (২২:৪৭, ৩২:৫), কখনোবা বলেছেন, তার দিন পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান (৭০:৪)। মানব সৃষ্টি নিয়েও আছে পরস্পর-বিরোধী তথ্য। আল্লাহ কোরাণে কখনো বলেছেন তিনি মানুষ বানিয়েছেন পানি থেকে (২৫: ৫৪, ২৪:৪৫), কখনোবা জমাট রক্ত বা ‘ক্লট’ থেকে (৯৬: ১-২), কখনোবা কাদামাটি থেকে (১৫:২৬, ৩২:৭, ৩৮:৭১, ৫৫:১৪) আবার কখনোবা ‘ডাস্ট’ বা ধূলা থেকে (৩০:২০, ৩৫:১১) ইত্যাদি। একটি ‘পার্ফেক্ট গ্রন্থে’ একই সাথে এত ধরণের পরষ্পর-বিরোধী তথ্য সত্য হতে পারে না। কাজেই এ ধরণের বই তৈরির চ্যালেঞ্জ করার আগে বিষয়গুলো মাথায় রাখলে বোধ হয় ভাল হয়।
@সাদাত, বিশ্ব মানবতার সুবিধার্থে আল্লাহ কি একটা বইয়ের চেয়ে ভাল কোন যোগাযোগ মাধ্যম নির্বাচন করতে পারতেন না? তার পক্ষে যদি সত্যই অসম্ভব বলতে কিছু না থেকে থাকে, তবে তিনি অবশ্যই এমন একটা মাধ্যমের অবতারণা করাতে পারতেন যা স্থান-কাল-বয়স নির্বিশেষে সবার কাছেই বোধগম্য হত।
আরবী ভাষায় দুনিয়ার প্যাচ মেরে কোরান রচনাই বলে দেয় যে এটা মানুষের সৃষ্টি, কোন অলৌকিক সত্ত্বার সৃষ্টি না।
@Kreator,
ALLAH apnake tulai tulaiya vat kawaben nah<<<<<<<<<<<>>>>>>>>>>>
{আরবী ভাষায় দুনিয়ার প্যাচ মেরে কোরান রচনাই বলে দেয় যে এটা মানুষের সৃষ্টি, কোন অলৌকিক সত্ত্বার সৃষ্টি না}
দুনিয়ার প্যাচ maane ki bujaite chai tasen,
dekhen tto akane kunno duniyar pes ase ki na:
099.001
YUSUFALI: When the earth is shaken to her (utmost) convulsion,
PICKTHAL: When Earth is shaken with her (final) earthquake
SHAKIR: When the earth is shaken with her (violent) shaking,
099.002
YUSUFALI: And the earth throws up her burdens (from within),
PICKTHAL: And Earth yieldeth up her burdens,
SHAKIR: And the earth brings forth her burdens,
099.003
YUSUFALI: And man cries (distressed): ‘What is the matter with her?’-
PICKTHAL: And man saith: What aileth her?
SHAKIR: And man says: What has befallen her?
099.004
YUSUFALI: On that Day will she declare her tidings:
PICKTHAL: That day she will relate her chronicles,
SHAKIR: On that day she shall tell her news,
099.005
YUSUFALI: For that thy Lord will have given her inspiration.
PICKTHAL: Because thy Lord inspireth her.
SHAKIR: Because your Lord had inspired her.
099.006
YUSUFALI: On that Day will men proceed in companies sorted out, to be shown the deeds that they (had done).
PICKTHAL: That day mankind will issue forth in scattered groups to be shown their deeds.
SHAKIR: On that day men shall come forth in sundry bodies that they may be shown their works.
099.007
YUSUFALI: Then shall anyone who has done an atom’s weight of good, see it!
PICKTHAL: And whoso doeth good an atom’s weight will see it then,
SHAKIR: So. he who has done an atom’s weight of good shall see it
099.008
YUSUFALI: And anyone who has done an atom’s weight of evil, shall see it.
PICKTHAL: And whoso doeth ill an atom’s weight will see it then.
SHAKIR: And he who has done an atom’s weight of evil shall see it.
Avijit,
The difference between Al-Quran and any other literature is that:
1. Al-Quran is the only book which has been memorizied by millions of people and the tradition is still going on.
2. Recitation of Al-Quran is attractive and enjoyable to anybody regardless of his language eventhough he doesn’t understand its meaning.
About your grammatical errors:
—————————————–
No, there is no grammatical error in Quran. The realize this fact you must learn ‘Balagah’.
1.People who know only traditional grammar and do not know ‘Balagah’ they will think those grammatical exceptions and grammatical mistakes.
2.But those who know Grammar as well as ‘Balagah’ will find internal beauties of Al-Quran in these exceptions.
About contradictions:
————————–
Aristotle’s law of noncontradiction states that “One cannot say of something that it is and that it is not
in the same respect and
at the same time.”
All of your claims of so-called contradictions have already been refuted. My am providing one response about the creation:
————————————
Six or eight days of creation? Sura 7:54, 10:3, 11:7, and 25:59 clearly state that God created “the heavens and the earth” in six days. But in 41:9-12 the detailed description of the creation procedure adds up to eight days.
—————————————-
They were six. The verses of 41:9-12 speak of overlapping actions in spans of four and two days each. The adverbs are the keys to understanding this. The verses of 11 and 12 use the adverbs “thummah” and “fa” which imply consecutiveness of action. Neither of these two, however, are used in verse 10 (the only one which mentions four days) which instead uses the adverb “wa” implying parallel, or “overlapping” actions. In other words, the grammar tells us that the four days mentioned in 10 are a continuation of the two mentioned in verse 9. The four days of “measuring the earth’s sustenance” refers to the two days of the creation of the earth in addition to the two days of the “spreading out of the earth’s features” (see next question).
For example, the world renown track and fielder Carl Lewis might say “I am now 32 years old. I started elementary school when I was 6, then I spent 12 years studying for my high-school diploma and I spent 24 years training to be the world’s best long-jumper. Then I settled down and have spent the last two years taking care of my family.” Does this mean that he was 18 years old when he started training for the long jump? Did he continue till he was 42 years old? If we add 6 + 12 + 24 + 2 we get 44. How then can he be “32 years old” now?. To understand this we need to notice that he did not say that he started training when he was eighteen. He did not say “then” I trained for 24 years. We now realize that he started training at the same time he started elementary school, when he was 6. He went to school and trained for track and field at the same time. After he graduated from high-school he continued to train for 12 more years. They were “overlapping” actions.
Now, if someone wishes to claim that Carl Lewis’ statement is contradictory since he says that he is 32 years old but “the detailed description of the breakdown of the years” works out to 44 years, and that this is a “contradiction,” then that is their choice.
——————————–
Your contradiction problem will be removed if you realize the definition of contradiction and pay attention to ‘
in what respect and
at which time‘
————————-
@Kreator,
E rokom patch mara akta book likhben ki za shara duniyer manush protidin koti koti bar porbe ar lok-kho lok-kho ontore ta shongrokkhito thakbe?
@সাদাত,
আপনার প্রথম দুইটা পয়েন্ট পুরাই ভুয়া। কোরান মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মুখস্ত করে বইলাই কি আল্লাহর লেখা হয়ে গেল নাকি? একসময় যখন কাগজের প্রচলন ছিল না তখন লক্ষ লক্ষ লোক বহু চারণকবিদের গান মাথায় রাখতো। সেইগুলা তো মানুষেরই তৈরি। পৃথিবীতে যত লোককথা উপকথা আছে তার বেশিরভাগেরই লিখিত ইতিহাস নাই। এগুলো ছড়াইছে মানুষের মাথায় মাথায়। তাই বলে ওগুলা কি গায়েবী?
২য় পয়েন্টটা আরো বাজে। আপনে কোরান রিসাইট করে ইন্টারেস্ট পেলে কি হবে? আমি পাই না। আমি কোরান সমালোচনা করে ইন্টারেস্ট পাই। কারো কোন কিছুতে ইন্টারেস্ট থাকলেই ওইটা আল্লাহর লেখা হবে? কেউ রবিন্দ্রনাথ আবৃত্তি করে আনন্দ পায়, কেউ সেক্সপিয়র। তো সেগুলাও কি আল্লাহ লিখেছে নাকি?
——
আপনার কোরানের ভুল নিয়ে যে গোঁজামিল দেয়ার চেষ্টা করেছেন, সেইটা দেখে মজা পেলাম। কোরানের সুরা ৪১:৯ থেকে ৪১:১২ পড়েন।–
Quran 41: 9 Is it that ye deny Him who created the earth in Two Days ?
Quran 41: 10 He set on the (earth) Mountains standing firm high above it, and bestowed blessing on the earth, and measured therein all things to give them nourishment in due proportion, in FOUR DAYS?
Quran 41: 12 So He completed them (heavens) as seven firmaments in Two days and ?
এইবার যোগ করেন – Two Days + FOUR DAYS + Two days । কত হইল? ৮ দিন। কিন্তু আবার একই কোরানের ৭:৫৪, ১০:৩ থেকে পাওয়া যায় যে, আল্লাহ পুরা মহাবিশ্ব বানিয়েছে ৬ দিনে। এখন আপনে আরবী শব্দ আমদানী করে জোরাতালি দিয়া যত ইচ্ছা ৬ আর ৮ মিলান – but fact does not change.
মনে হয় আল্লহ সাহারণ যোগ বিয়োগ ভাল পারেন না। এই রকম ভুল আল্লাহ উত্তরাধিকার আইনেও করছেন। কোরানের ৪ঃ ১১ এবং ৪ঃ১৭৬ এ। কোরানের আইনে সম্পত্তি ভাগ বাটোয়ারা করতে গিয়া দেখা গেল টোটাল সম্পত্তির চেয়ে ভাগে পাওয়া সম্পত্তির পরিমান বেশি হইয়া যায়। আল্লাহয় আবারো যোগ করতে গিয়া আউলা লাগায় দিয়েছিল। এই আউলা দূর করতে গিয়া ওমররে ‘ফরায়েজে আউল’ বানাইতে হয়েছিল। আমার কথা হল, আসমানী কিতাবে এত ভুল কেন?
কারণ, কোরান আল্লহার লেখা তেখা কিছু না। কোরান মানুষেরই লেখা।
@সাদাত সাহেব ,
আপনার ব্যাখ্যা পেয়ে ভাল লাগল। নতুন টার্ম শিখলাম, “বালাগাহ”। যদিও আপনি ঠিক পরিষ্কার করেননি জিনিসটা আসলেই কি। আপনার ব্যাখ্যার সারমর্ম যা বুঝলাম তা হল, এই বালাগাহ না মেনে কোরান এমনকি আরবীতে পড়লেও ভুল বোঝাবুঝির বিরাট সম্ভাবনা আছে, তাই না? আর আমরা বাংগালী বা আর কোটি কোটি মোসলমান যারা আরবী কিছুই জানে না তাদের কথা নাহয় বাদই থাকল। করান হল মোসলমানদের জন্য অবশ্য অনুকরনীয় পুর্নাংগ জীবন বিধান যা পালনের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই। তাই না?
এই প্রশ্নটা ইতোমধ্যে কয়েকবার করেছি, এখোন কারো জবাব পাইনি। আপনি যদি একটু আলোকপাত করেনঃ
আল্লাহ কেন সমগ্র মানব জাতির চিরদিনের জন্য অবশ্য পালনীয় একটি বই এমন একটি ভাষায় পাঠালেন যে শুধুমাত্র জগতের একটি নির্দিষ্ট ভাষার লোক ছাড়া কেউই বুঝবে না? আপনার থেকে আরো জানলাম যে ষুধু সেই নির্দিষ্ট ভাষাভাষীরাও বালাগাহ মেনে না পড়লে কোরান বোঝা ভুল হতে পারে, মানে উলটা বুমেরাং হতে পারে। তাই মনে হয় দূঃখজনক ভাবে, আরবী জানা পন্ডিত, তফসিরকারক তাদের ও অনেক ব্যাপারে মতভেদ হয়। তাহলে কি মোসলমান হবার pre-requisite কঠিনভাবে বালাগাহ আরবী শিক্ষা? আপনি কি বলেন? বা অন্য কথায় কোরান শুধুমাত্র বালাগাহ জানা আরবী ভাষিদের জন্য?
এটা কি খুব সাধারণ ভাবনা না যে এমন গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি বই যা কিনা সমগ্র মানব জাতির কেয়ামত পর্যন্ত পুর্নাংগ জীবন বিধান তা হওয়া উচিত ছিল সব জাতি/ ভাষাভাষি মানুষের জন্য সহজ বোধ্য, যাতে কোন কনফিয়শন না হয়?