যুদ্ধাপরাধীদের বিচার – জাতিসংঘকে কেন জড়িত হতে হবে?
সরকার সংসদে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছেন রেনাটা লক-এর কাছে যিনি বাংলাদেশে জাতিসংঘের সমন্নয়কারী। জাতিসংঘ পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে সম্মানিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘ বিশ্বের নিপীড়িত জনগণের রোম্যাÏিটক স্বপ্ন, বিশ্ববিবেকের আর্তনাদ ও প্রতিবাদ করার তীর্থকেন্দ্র। সেদিক দিয়ে জাতিসংঘকে জড়িত করার ইচ্ছে হতেই পারে। ... এরপর পড়ুন এখানে )
হাসান মাহমুদ (ফতেমোল্লা) মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম এবং মুক্তমনার উপদেষ্টামন্ডলীর অন্যতম সদস্য। একাত্তরের একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা। শারিয়া ও ইসলামিক ল, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেসের ডিরেক্টর তিনি, আমেরিকা ও ইউরোপে বিভিন্ন কনফারেন্স এবং সেমিনারে ইসলাম ও মানবাধিকারের উপর বক্তা। সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ – ইসলাম ও শারিয়া।
বাংলাদেেেশ হয়েছে যুদ্ধাপরাধ। তাই বাংলাদেশের সরকারকেই এই বিচার করতে হবে। কিন্তু আন্তজ্াতিক গ্রহণ যোগ্যতার জন্য বিদেশী পযবেখ্ক আমন্ত্রন জানানো যায়। বিশেষ ট্রাইব্রুনাল গঠন করেেল কেমন হয় ? জামাতিরা বারবার দাবি জানাচ্ছে জাতি সংঘের মাধ্যেেম বিচার হোক। কিন্তু কেন? কোন বিশেষ সুবিধা পাোয়ার আশায় ?
ঐক্যমত্য পোষন করছি।
সকল প্রকার প্রমানাদি গোছানো শেষ হয়ে গেলে এই বিচার শুরু করতে একদিন ও দেরি করা সমীচিন হবেনা। জাতিসঙ্ঘকে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতে দেয়াই ভালো। এ সব ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘের দীর্ঘসূত্রিতা বলার অপেক্ষা রাখে না!
তবে, একটা ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখা দরকার, সুবিচারের আকাঙ্ক্ষা যেন আমাদের আবেগের তলায় চাপা পড়ে না যায়। আমাদের অনেকেরই বাঁধভাঙ্গা আবেগ এ বিচারকে প্রতিহিংসার দিকে নিয়ে যাচ্ছে! আমরা আন্তরিকভাবেই চাই না, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অনন্য সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, তা সামান্য ভুলের কারনে ভন্ডুল হয়ে যাক।
ধন্যবাদ।
বসনিয়ার স্লাভদের যে আদালতে বিচার হচ্ছে (জাতি সঙ্ঘ পরিচালিত) ঠিক সেই রকম আদালতে বিচার হওয়া উচিত বাংলাদেশের যুদ্ধপরাধীদের। জামাত যাদের সাহায্যে অপরাধ করেছিল সেই পাকিস্তানী সেনা অফিসারদের ছাড়া হবে কেন ?
খুব ভাল লেখা হয়েছে । লেখকের সাথে পুরাপুরি একমত । জনমত নিশ্চই গড়তে হবে জাতিসংঘ-বিচারে বিরুদ্ধে ।