কোরায়েশ বংশের দুই শাখায় নবি মুহাম্মদ (দঃ) ও হজরত ওসমানের (রাঃ) জন্ম। তাঁদের দুজনরেই পূর্বপুরুষ আবদে মনাফ। আবদে মনাফের দুই পুত্র ছিলেন : আবদে শামস ও আবদে হাশিম। আবদে শামসের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র উমাইয়া নেতৃত্বের দাবি করায় চাচা আবদে হাশিমের সাথে বিবাদ বাঁধে। এই বিবাদে কোরায়েশ বংশ দুই দলে বা গোত্রে বিভক্ত হয়ে যায়; হাশিমি গোত্র ও উমাইয়া গোত্র। বিবাদের মূল কারণ সম্পদ। শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব ভাগাভাগি করা হয় এইভাবে—কাবা গৃহের স্বত্তাধিকার ও তত্ত্বাবধান এবং হজ (দেব-দেবী দর্শন) মৌসুমে আয়কৃত অর্থের মালিকানা থাকবে হাশিমি গোত্রের হাতে। আর দেশ প্রতিরক্ষা-প্রশাসন ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের মালিকানা উমাইয়া দলের হাতে। পরবর্তীতে উমাইয়া বংশ বুঝতে পারলো এই ক্ষমতা ভাগাভাগিতে তাদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়ে গেছে। নবী মুহাম্মদের (দঃ) জন্ম পূর্ববর্তী আরবে যুদ্ধবিগ্রহ বা ধর্মীয় জেহাদ তেমন ছিল না বললেই চলে। নগর শাসনে উমাইয়াদের অর্থোপার্জন, কাবা গৃহের আয়ের তুলনায় ছিল অতি নগন্য। ধনে-মানে উমাইয়া গোত্র, হাশিমিদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়লো। কিন্তু তারা সামরিক বিভাগ ও প্রশাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি ও শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক এগিয়ে গেল। এবার অর্থনৈতিক সমস্যা দূরীকরণে বুদ্ধিমান উমাইয়াগণ ঝাপিয়ে পড়লো ব্যবসা-বাণিজ্যে। কূটনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যে, অর্থোপার্জনে প্রচুর উন্নতি করে, উপরন্তু বহির্বিশ্বের সাথেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। উমাইয়া ও হাশিমি দুই দলের মধ্যকার বৈষম্য, বিবাদ, হিংসা-বিদ্বেষ দিনদিন বাড়তে থাকে। আর তা এক পর্যায়ে হাশিমি দলের অন্যতম শক্তিশালী নেতা, একাদশ সন্তানের জনক আব্দুল মোত্তালিবের সময়ে এসে চরমাকার ধারণ করে। আব্দুল মোত্তালিবের পুত্র আব্দুল্লাহ ও আবুতালিবের ওরসে যথাক্রমে মুহাম্মদ (দঃ) ও হজরত আলির (রাঃ) জন্ম।
উমাইয়ার দুই পুত্র ছিলেন। হারিব ও আবুল আস। হারিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন আবু সুফিয়ান আর আসের ঘরে হাকাম ও আফ্ফান। ৫৭০ খৃস্টাব্দের যে বছর ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহা মক্কা আক্রমণ করেন, সে বছর হাশিমি গোত্রের আব্দুল্লাহর গৃহে মুহাম্মদ( দঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তার ছয় অথবা সাত বৎসর পর উমাইয়া বংশের আফ্ফান পত্নী উর্দির গর্ভে মক্কা থেকে প্রায় চল্লিশ মেইল দূরে তায়েফ শহরে হজরত উসমানের (রাঃ) জন্ম হয়। শিশু বয়সে যেমন মুহাম্মদ (দঃ) পিতা আব্দুল্লাহকে হারিয়ে চাচা আবুতালিবের আশ্রয়ে প্রতিপালিত হোন, হজরত উসমান (রাঃ) ও কিশোর বয়সে পিতা আফ্ফানকে হারিয়ে চাচা হাকামের আশ্রয় গ্রহণ করেন। উমাইয়া ও হাশিমিদের আত্মকলহ, গোত্রীয় সংঘাত, বহুঈশ্বরবাদ আর ধর্মীয়-উপাসনালয়ের মালিকানা জবর-দখল নিয়ে আরব যখন অবনতির চরম পর্যায়ে তখনই বিপরীতমুখী মুক্তবুদ্ধি এবং উদার দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গির একদল মুক্তমনার আবির্ভাব ঘটে। যাদের তৎকালীন সময়ে ‘হানিফি’ নামে আখ্যায়িত করা হতো। মুহাম্মদ (দঃ) তখন যুবক। ওয়ারাকা বিন-নোফেল ও জায়িদ বিন-ওমর ছিলেন সেই ‘হানিফি’ দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ‘হানিফি’ গোষ্ঠীর দলের সদস্য হলেন মক্কায় জন্মগ্রহণকারী ওবায়দুল্লাহ বিন জাহ্স এবং উসমান বিন আল-হুয়ায়রিথ প্রমুখ উল্লেখ্য, এঁদের মধ্যে ওয়ারাকা বিন নোফেল মুহম্মদ (দঃ)-এর প্রথম স্ত্রী হজরত খাদিজার (রাঃ) চাচাতো ভাই ও মুহাম্মদের (দঃ) ‘ইসলাম-প্রচারের’ ধর্মগুরু; জানা যায়, তিনি খাদিজা ও মুহাম্মদের (দঃ) বিয়ের ঘটকও ছিলেন। জায়িদ বিন ওমর আরবের পৌত্তলিক ধর্মাবলম্বী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, পরবর্তীতে তিনি এই পৌত্তলিক ধর্মমত ত্যাগ করে একেশ্বরবাদী ‘আব্রাহামিয় মতবাদ’ গ্রহণ করেন। হানিফি দল এক সময় মক্কার প্রভাবশালী ‘পৌত্তলিক ধর্মে’র ওপর প্রকাশ্যে অনাস্থা ঘোষণা করে বসে। ফলে কোরায়েশ বংশের রোষে পড়ে তাদের অনেকেকেই দেশান্তরী হতে হয়। ওবায়দুল্লাহ বিন জাহ্স প্রাণ বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী খ্রিস্টানরাজ্য আবিসিনিয়ায় পালিয়ে যান এবং সেখানে খ্রিস্টান ধর্মমত গ্রহণ করেন; তাঁর স্ত্রী উম্মে হাবিবাকে নবী মুহাম্মদ (দঃ) পরবর্তীতে বিয়ে করেন, এবং উসমান বিন আল-হুয়ায়রিথও কোরায়েশদের হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাইজেন্টাইন রাজ্যে গমন করেন; তিনিও সেখানে খ্রিস্টান ধর্মমত গ্রহণ করেন। ওয়ারাকা বিন-নোফেল ও জায়িদ বিন-ওমর ছিলেন মুহাম্মদের (দঃ) অতি প্রিয়ভাজন। এই দুই ব্যক্তিই ছিলেন পরবর্তীতে মুহাম্মদের (দঃ) নতুন ধর্ম ‘ইসলাম’ আবিষ্কারের প্রথম ও প্রধান সহায়ক। ওয়ারাকা বিন-নোফেল ছিলেন ইহুদি-খ্রিস্টানদের ধর্মপুস্তক তাওরাত, জবুর ও ইনজিল কেতাবে বিশেষজ্ঞ আর জায়িদ বিন-ওমর ছিলেন একজন কবি ও সাহিত্যিক। কোরআনের কাব্যিক রূপ, ছন্দ ও শব্দচয়ন জায়িদ বিন-ওমরের কাছ থেকে অনেকাংশেই ধারকৃত। মুহাম্মদ (দঃ) হয়তো কিছুটা গরিব পরিবারে থেকে লালন-পালন হয়েছিলেন কিন্তু তিনি ‘নিরক্ষর’ ছিলেন, এ বিষয় নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট সন্দেহ আছে; কারণ চাচা আবুতালিবের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে প্রায়ই শ্যাম (বর্তমান সিরিয়া) সহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সাথী হতেন, এবং ব্যবসার হিসাব-নিকাশের পূর্ণ দক্ষতার কারণেই বিত্তশালী খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী খাদিজা মুহাম্মদের (দঃ) প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। ৬১০ খৃস্টাব্দে মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর নতুন ধর্ম ‘ইসলাম’ ঘোষণা দেন। মক্কা নগরীতে আগুন জ্বলে উঠলো। হাশিমি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদের (দঃ) এই নতুন ধর্ম ঘোষণায় অপমানবোধ করলো উমাইয়া দল, আর মুহাম্মদের (দঃ) স্বীয় গোত্রের লোকজন পৌত্তলিকতার অবসানের দুশ্চিন্তায়, দেব-দেবীর কল্যাণে কাবা গৃহ থেকে বিপুল আয়ের পথ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় হলো উৎকণ্ঠিত। এদিকে হজরত উসমান (রাঃ) চাচা হাকামের সহযোগিতায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রচুর উন্নতি করার ফলে দেশ-বিদেশে সুপরিচিতি লাভ করেন। ব্যবসার সূত্র ধরেই একদিন মক্কার ব্যবসায়ী আবু-বকরের (রাঃ) সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।
হজরত উসমান (রাঃ) ছিলেন আবেগপ্রবণ, কিছুটা সরল প্রকৃতির সুদর্শন যুবক। ধনে-মানে উসমান (রাঃ) সুখী হলেও মনে-প্রাণে সুখ ছিল না। পিতা আফ্ফানের মৃত্যুর পর তাঁর মাতা উর্দি (ওরয়া) যে লোকটিকে বিয়ে করেন, উসমান (রাঃ) তাকে সহ্য করতে পারতেন না। মনের দুঃখে একদিন ঘর ছেড়ে মক্কায় চলে আসেন। উসমান (রাঃ) মুহাম্মদের (দঃ) প্রথম কন্যা রোকেয়াকে ভালোবাসতেন এবং মনে-মনে তাঁকে বিয়ে করার ইচ্ছে পোষণ করতেন। কিন্তু যখন একদিন শুনতে পেলেন রোকেয়ার বিয়ে অন্যত্র হয়ে গেছে, উসমান (রাঃ) খুবই দুঃখ পেলেন। একদিন সেই দুঃখ মোচনের সুবর্ণ সুযোগটি সৃষ্টি করে দিলেন তাঁর নব্য ব্যবসায়ী বন্ধু আবুবকর (রাঃ)। মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর নতুন ধর্ম ‘ইসলাম’ ঘোষণার পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমেই চল্লিশ বছর বয়স্কা, দু‘বার বিবাহিতা, বিপুল সম্পদের অধিকারিণী খাদিজাকে বিয়ে করেন। মুহাম্মদ (দঃ) ভালোভাবেই জানতেন, বাহুবল ও অর্থবল ছাড়া তাঁর নতুন ধর্ম ‘সূতিকা ঘরে’ই মারা যাবে; যেমনটা হয়েছে হানিফিদের অবস্থা। তাই আপন কন্যাদ্বয় রোকেয়া ও উম্মে-কলসুমকে আতিবা ও উতবা ইবনে আবুলাহাব নামের দুই অমুসলিম সহোদর ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেন। উম্মে-কলসুম বিবাহকালে অপ্রাপ্তবয়স্কা ছিলেন। নবী কন্যাদ্বয়ের বিবাহ ইসলামের শরিয়ত মোতাবেক অবশ্যই ছিল না; কারণ আবু লাহাব বা তার দুই পুত্র ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিলেন না, এমন কি এই ধর্মকে তারা মেনে নিতে পারেননি, তাদের আশঙ্কা ছিল এটি তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মের প্রতি হুমকিস্বরূপ। তাই আতিবা ও উতবা মুহাম্মদের (দঃ) নতুন ধর্মের সংবাদ শুনে নবীজির প্রতি তাদের তীব্র ঘৃণাই শুধু প্রকাশ করলো না উপরন্ত তাঁর কন্যাদ্বয়কে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দিল। মুহাম্মদ (দঃ) অন্তরে খুবই দুঃখ পেলেন কিন্তু কিছু করার শক্তি ছিল না, শুধু অভিশাপ দেওয়া ছাড়া (কোরআন শরিফের ‘সুরা লাহাব’ দ্রষ্টব্য)। রোকেয়াকে নিয়ে উসমানের (রাঃ) মনের গোপন বাসনা আবুবকর (রাঃ) জানতেন এবং নবী কন্যাদ্বয়ের তালাক হয়ে যাওয়ার সুবাদে ‘উসমানের বাসনার’ সংবাদটা তিনি (আবু বকর) মুহাম্মদের (দঃ) কানে পৌঁছালেন। মুহাম্মদও এই ধরনের সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। বাহুবল অর্জনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু এবারে অর্থবলের সুযোগটা হাতছাড়া করা যায় না। মুহাম্মদ (দঃ) উসমানকে নবপ্রচারিত ইসলাম ধর্ম গ্রহণের শর্ত মেনে নিলে মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি হলেন। উসমান (রাঃ) ও খুশি মনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে রোকেয়ার সাথে প্রণয়সূত্রে আবদ্ধ হলেন। আরবের একটি ধনাঢ্য-সম্ভ্রান্ত পরিবারে, ‘সোনার চামচ’ মুখে নিয়ে যে উসমানের (রাঃ) জন্ম, সেই উসমান (রাঃ) এমন কাণ্ড করে বসবেন উমাইয়া বংশের কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারেনি। চাচা হাকামের, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় উসমানের বিয়ে সম্পন্ন করার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। নববধূকে নিয়ে তায়েফের রাজপ্রাসাদে উসমানের (রাঃ) আর যাওয়া হলো না। কিছুদিন পরেই তিরস্কার আর অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে মক্কা থেকে বিতাড়িত নব্য মুসলিম দলের সাথে নববধূকে নিয়ে উসমান পার্শ্ববর্তী খৃস্টান রাষ্ট্র আবিসিনিয়ায় গমন করেন। দরিদ্র দেশ আবিসিনিয়ায় উসমান (রাঃ) ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক চেষ্টা করেও তেমন সুবিধা করতে পারলেন না। আবিসিনিয়ায় সুদীর্ঘ আট বছর সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে অবস্থানকালে, ৬১৯ খৃস্টাব্দে একদিন রোকেয়ার কাছে খবর আসলো, এককালের আরবের স্বনামধন্যা মহিলা, অফুরন্ত ঐশ্বর্যের অধিকারিণী, মা জননী খাদিজা অতিশয় অভাব অনটনের মধ্যে রোগাক্রান্ত হয়ে, ঔষধ-পথ্যবিহীন অবস্থায় মারা গেছেন। মাতৃশোকে রোকেয়ার শুধু মনই ভাঙেনি, তাঁর দেহও ভেঙে যায়; তিনি রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। ৬২২ খৃস্টাব্দে মুহাম্মদ (দঃ) কোরায়েশ কর্তৃক তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কায় রাতের অন্ধকারে আবুবকর (রাঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে মদিনাভিমুখে পালিয়ে যান। ইসলামের ইতিহাসে এই ঘটনাকে ‘হিজরত’ বলা হয় এবং ঐ দিন থেকে পরবর্তীতে হিজরিসন গণনা শুরু করা হয়। তখন মুহাম্মদের (দঃ) বয়স ছিল তিপ্পান্ন আর তাঁর প্রচারিত ধর্মের চলছিল তেরো বছর। মদিনায় এসেই মুহাম্মদ তাঁর এতোদিনকার বৈরাগী লেবাসের অন্তরালে লুকায়িত রাজনৈতিক ইসলাম প্রকাশের প্রস্তুতি নেন। এক হাতে তসবিহ আর এক হাতে তলোয়ার!
উসমান (রাঃ) হিজরি দুই সনে আবিসিনিয়া থেকে স্বস্ত্রীক মদিনার পথে যাত্রা করেন। পীড়িত, ক্ষীণ স্বাস্থ্যের রোকেয়া তখন গর্ভবতী। পথিমধ্যে তাঁদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় কিন্তু সে শৈশবেই মারা যায়। রোকেয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা দিন-দিন শোচনীয় হতে থাকে। কিছুদিন পর রোকেয়া যখন মৃত্যুশয্যায় শায়িত, মুহাম্মদ (দঃ) তখন তাঁর তের বছরের তৈরি তিনশতো তেরোজন অনুসারী সৈনিক নিয়ে, মদিনা থেকে প্রায় ষাট মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বদর প্রান্তে যুদ্ধরত। মুহাম্মদ (দঃ) সিরিয়া থেকে মক্কাভিমুখী একদল কোরায়েশ বণিকের পথ রুখে দাঁড়ান। যুদ্ধের জন্য মুসলমানগণ পূর্ব থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। হঠাৎ আক্রমণে বণিকদল হতভম্ব হয়ে যায়। বাহক মারফত মক্কার কোরায়েশগণ জানতে পারলো যুদ্ধ ব্যতীত বণিকদলকে মুহাম্মদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বদর প্রান্তে সংঘটিত হলো ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম যুদ্ধ। মুসলমানদের পক্ষে স্বয়ং মুহাম্মদ সেনাপতির দায়িত্বে। বদর প্রান্তর সত্তরটি তাজা প্রাণের রক্তে রঞ্জিত হলো। আর এই রক্তের মাঝে খোঁজে পেল কিশোর ইসলাম বেঁচে থাকার, বিকশিত হওয়ার অপূর্ব স্বাদ। উসমান (রাঃ) সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। সেনাপতি মুহাম্মদ (দঃ) সত্তরজন মানুষকে খুন ও ততোধিক মানুষকে বন্দী করে যুদ্ধে জয় লাভ করেন। বিজয়ীর বেশে গর্বিত সৈন্যদল নিয়ে মুহাম্মদ (দঃ) যখন মদিনায় গৃহে ফিরলেন, রোকেয়া তখন এই পৃথিবীতে আর নেই। রোকেয়ার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করতে হলো, বিজয় উৎসব করা মুহাম্মদের (দঃ) আর হলো না। কিন্তু এই যুদ্ধে তাঁর পূর্ব-পরিকল্পনা (সম্পদ ও ক্ষমতা বিস্তার) বাস্তবায়নের পথে উৎসাহ ও আশা সঞ্চারিত হলো। মুহাম্মদ (দঃ) অতিসত্তর আরেকটি যুদ্ধের আয়োজনে মনোনিবেশ করলেন। আর পত্নী বিয়োগে শোকাহত উসমান (রাঃ) কিছুদিন পরেই পুরোদমে ব্যবসা বাণিজ্যে আত্মনিয়োগ করলেন। ব্যবসায় সুপরিচিত উসমান (রাঃ) পূর্ব অভিজ্ঞতায় রাতারাতি প্রচুর উন্নতি করলেন। এতদিনে, কিশোর বয়সে তালাক প্রাপ্ত মুহাম্মদের (দঃ) দ্বিতীয় কন্যা উম্মে-কলসুম পূর্ণ যুবতী। উসমান (রাঃ) কলসুমের প্রেমে পড়লেন। নবিজির কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। ধনে-মানে, রূপে-গুণে অতুলনীয় উসমানের (রাঃ) প্রস্তাব সাদরে গৃহীত হলো। নবি মুহাম্মদের (দঃ) দুই কন্যার পাণি গ্রহণের কারণে উসমান (রাঃ) ‘যিন্নুরাইন’ অর্থাৎ যুগল নূরের অধিকারী উপাধি পেলেন।
প্রথম যুদ্ধের মাত্র এক বছর পরেই, হিজরি তৃতীয় সনে, মদিনা থেকে ছয় মাইল উত্তর-পূর্বে ওহুদ প্রান্তরে কোরায়েশদের সাথে মুহাম্মদের (দঃ) দ্বিতীয় যুদ্ধ হয়। এবারে শিশু ইসলাম শুধু রক্তই পান করলো না, যুদ্ধ-লব্ধ সম্পদের অমৃতস্বাদও গ্রহণ করলো। লাগাতার তিনটি যুদ্ধে (বদর, ওহুদ, আহযাব) বিজয়ী মুসলমানগণ প্রচুর সম্পদ লাভ করলেন এবং শত্রুপক্ষের অনেক শিশু-কিশোর, নর-নারীকে বন্দী করতে সক্ষম হলেন। মুসলমানগণ বুঝতে পারলেন: যুদ্ধ একটি অকল্পনীয় লাভজনক ব্যবসা। উসমান (রাঃ) ইসলামের প্রথম যুদ্ধ ‘বদর যুদ্ধ’ বাদে ওহুদ ও আহযাব যুদ্ধে সেনাপতি মুহাম্মদের (দঃ) পাশে-পাশে ছিলেন। পরাজিত কোরায়শগণ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেলো। ইসলাম ত্রাসের সৃষ্টি করলো সারা আরব বিশ্বে। ষষ্ঠ হিজরিতে মুহাম্মদ (দঃ) বিরাট সৈন্যবাহিনী নিয়ে বনি-মুত্তালিক গোত্রের ইহুদিদেরকে আক্রমণ করেন। এই যুদ্ধে ইহুদিগণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের বহু নারী মুসলমানদের হাতে বন্দী হয়ে যায়। নিজ শহরের বাইরে রাতের অন্ধকারে অতর্কিত আক্রমণ ‘আত্মরক্ষামূলক’ হয় না। মুহাম্মদ কর্তৃক বেশিরভাগ যুদ্ধই ছিল ‘অফেন্সিভ’। বনি-মুত্তালিক গোত্র বা সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে বাড়ি ফেরার পথে কোরায়েশ বণিকদল মদিনা আক্রমণ করে নাই। মুহম্মদ (দঃ) সৈন্যবল নিয়ে যে রাতের আঁধারে ধন-সম্পদ লুন্ঠনের উদ্দেশ্যে উটের কাফেলায় ‘অফেন্সিভ’ আক্রমণ চালাতেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় অনেক হাদিসেও। এমনি একটি হাদিস পাঠকদের উদ্দেশ্যে এখানে দেয়া হল-
Ibn ‘Aun reported: I wrote to Nafi’ inquiring from him whether it was necessary to extend (to the disbelievers) an invitation to accept (Islam) before meeting them in fight. He wrote (in reply) to me that it was necessary in the early days of Islam. The Messenger of Allah (may peace be upon him) made a raid upon Banu Mustaliq while they were unaware and their cattle were having a drink at the water. He killed those who fought and imprisoned others. On that very day, he captured Juwairiya bint al-Harith. Nafi’ said that this tradition was related to him by Abdullah b. Umar who (himself) was among the raiding troops.”
এবারে মুহাম্মদ (দঃ) কোরায়েশদের মন-মানসিকতা ও শক্তি পরীক্ষার লক্ষ্যে চৌদ্দ শত সৈন্যসামন্ত নিয়ে মক্কা নগরী দখলের আয়োজন করলেন। মক্কা শহর থেকে ছয় মাইল দূরে হোদায়বিয়ার উপত্যকায় এসে তারা আর অগ্রসর হলেন না। অনেক দেরীতে হলেও মক্কাবাসী দেখতে পেলো ‘সন্ন্যাসী-বৈরাগী’ লেবাসের ভেতরে মুহাম্মদের ভয়ানক রাজনৈতিক চেহারা। এক সাথে চৌদ্দশত সৈনিক নিয়ে মুহাম্মদের (দঃ) আগমন সংবাদ পেয়ে কোরায়েশগণ আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিলেন। মুহাম্মদের (দঃ) বার্তা-বাহক হয়ে উসমান (রাঃ) কোরায়েশ নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন যে, তারা যুদ্ধ করতে আসেন নি, এসেছেন কাবা ঘর দর্শন করতে! কোরায়েশদের মন থেকে বদরের রক্তের দাগ তখনো শুকায়নি। উসমান (রাঃ)-কে বন্দী করা হলো। খবর পেয়ে মুসলমানগণ ক্ষেপে উঠলেন। নবিজির হাতে হাত রেখে মৃত্যু-শপথ নিলেন, মক্কা জয় না করে তারা ফিরে যাবেন না; ইসলামের ইতিহাসে এই শপথ ‘বাইয়্যাতে রেজওয়ান’ নামে অভিহিত। হজ (দেব-দেবী দর্শন) উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত কতিপয় উপজাতীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে আপাতত দুইপক্ষ মারাত্মক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেল। তারা উভয়পক্ষের মধ্যে একটি সন্ধি স্থাপন করতে সক্ষম হলেন, যা ঐতিহাসিক ‘হোদাইবিয়া সন্ধি’ নামে পরিচিত। আরব বিশ্বে মুহাম্মদের (দঃ) নেতৃত্বে একচেটিয়া ক্ষমতার অধিকারী অপ্রতিরুদ্ধ এক বিরাট মুসলিম বাহিনী গড়ে উঠলো। শেষ পর্যন্ত তারা বিনা যুদ্ধে ৬৩০ খৃস্টাব্দের ১১ জানুয়ারি তারিখে মক্কা নগরী দখল করে নেন। বদর থেকে তবুকের যুদ্ধ পর্যন্ত দশ বছরের মধ্যে কমপক্ষে নয়টি যুদ্ধে মুহাম্মদ (দঃ) সেনাপতির দায়িত্বে ছিলেন। ৬৩২ খৃস্টাব্দে আরাফাতের ময়দানে তিনি তাঁর শেষ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণের দুই মাস পরেই ৬৩ বছর বয়সে আল্লাহর রসুল (?) মুহাম্মদ (দঃ) ইহলোক ত্যাগ করেন। উল্লেখ্য, তখন আবু-বকর তনয়া, নবিজির প্রিয় পত্নী আয়েশার বয়স আঠারো।
মুহাম্মদের (দঃ) মৃত্যুর পরপরই অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা দখল করে বসেন মুহাম্মদের শশুর হজরত আবুবকর (রাঃ)। ক্ষমতার মোহে মক্কা থেকে পালিয়ে আসা কোরায়েশ নেতাগণ মদিনার আনসারিদের কথা ভুলে গেলেন। মদিনাবাসীর কোন দাবি ও প্রতিবাদ তারা কানেই তুললেন না। মদিনার মুসলমান নেতা হজরত সাদ (রাঃ) পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, খলিফা নির্বাচিত হবে মদিনার আনসারিদের ভেতর থেকে। মদিনাবাসী শেষ পর্যন্ত মক্কার একজন এবং মদিনার একজন করে দুই খলিফা মেনে নিতে রাজি হলেন। তাদের এ দাবিও প্রত্যাখ্যান করা হলো। মদিনার ঘরে-বাইরে হিংসার আগুন জ্বলে উঠলো। হজরত আলি ও মুহাম্মদের কনিষ্ঠ কন্যা হজরত ফাতিমা (রাঃ) আবুবকরকে (রাঃ) প্রথম থেকেই খলিফা হিসেবে মেনে নিতে পারেননি। মুহাম্মদের (দঃ) মেয়ে ফাতিমা (রাঃ) ও তাঁর চাচা আব্বাস (রাঃ) মুহাম্মদের (দঃ) মালিকানায়, মদিনা ও খায়বারে রক্ষিত কিছু সম্পত্তি দাবি করায় এ নিয়ে আবুবকরের সাথে তাদের মনোমালিন্য দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় ছয় মাস পর বিভিন্ন সামাজিক দিক চিন্তা করে আলি (রাঃ) আবুবকরের (রাঃ) খেলাফত মেনে নেয়ায় ঐ বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। আবুবকরের শাসনামলে, মুহাম্মদের (দঃ) সময়ের জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত মানুষগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করলো। অমুসলিম সরকারগণ তাঁদের ওপর অন্যায়ভাবে আরোপিত ‘জিজিয়া’ কর দিতে অস্বীকার করলো। মুহাম্মদ কর্তৃক সৃষ্ট দশ বছরের সংঘাতময় অশান্তির জীবন থেকে মানুষ মুক্তি চাইলো। অনেক নব্য মুসলমান তাদের পূর্ববর্তী ধর্মে ফিরে গেলো। বাহরাইনের শক্তিশালী বনু-বকর গোত্রের লোকজন (যারা প্রাণ রক্ষার্থে মুহাম্মদের (দঃ) সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছিল) প্রকাশ্যে ইসলাম ত্যাগ করলো। অম্মান বংশীয় লোকেরাও ইসলাম ধর্ম ছেড়ে দিল। আবুবকর (রাঃ) জনগণের ওপর স্বৈরাচারী স্টিমরোলার চালিয়ে দিলেন। সেনাপতির দায়িত্বে নিয়োগ করলেন দুধর্ষ সাহাবি খালিদ বিন অলিদকে (রাঃ)। উল্লেখ্য, ‘মুতা’ যুদ্ধে যায়েদ নামক, মুহাম্মদের (দঃ) এক ক্রীতদাস নিহত হয়েছিলেন; এর প্রতিশোধ নিতে মুহাম্মদ (দঃ) সিরিয়া আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁর (মুহাম্মদের) মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পূর্বে। মুহাম্মদের (দঃ) সেই অসম্পূর্ণ কাজটি পূর্ণ করতে, আবুবকর (রাঃ) প্রথমেই আক্রমণ করলেন সিরিয়ার ওপর। ইরানের খসরু পারভেজ, যিনি একসময় মুহাম্মদকে (দঃ) বন্দী করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আবুবকর (রাঃ) তাঁকেও শায়েস্তা করার লক্ষ্যে ইরান আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিলেন। অনেক মুসলমান নেতাগণ এই আক্রমণের বিরোধিতা করেছিলেন। আবুবকরের (রাঃ) নির্দেশে খালিদ বিন অলিদ (রাঃ) বেপরোয়া হয়ে আরবের একের পর এক গোত্রের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালাতে থাকেন। এক সাথে আবুবকরের (রাঃ) জঙ্গি কমান্ডারগণ ছড়িয়ে পড়েন চতুর্দিকে; বাহরাইনে গেলেন আলা বিন হাদরামি, ইরানের দক্ষিণ সীমান্ত থেকে বাইজেনটাইন পর্যন্ত খালিদ বিন অলিদ ও ইরাকের উত্তর সীমান্তে আয়াজ বিন গানম। মাত্র দুই বছরের স্বৈরশাসনে আবুবকর গোটা আরবকে এক রণক্ষেত্রে পরিণত করেন। মৃত্যুর পূর্বে নিজের পছন্দমত নিযুক্ত করে যান আরেকজন স্বৈরাচারী শাসক। ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ)। ওমর (রাঃ) মসনদে বসেই ইরাক ও ইরান নামক দুটি দেশকে একেবারে তছনছ করে দিলেন। খালিদ বিন অলিদের চেয়েও ভয়ঙ্কর, উবায়েদ, তালহা, যোবায়ের, আব্দুর রহমান, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস ও মোতানার মতো সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেন সামরিক ভার। ইরাক ও ইরানের কত শত জীব, কত মানুষ আর পশু যে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমরের তলোয়ারের নিচে প্রাণ দিয়েছিল তার সঠিক হিসাব হয়তো কেউ কোনোদিন আর জানতে পারবে না। মৃত্যুর পূর্বে ওমর (রাঃ) তাঁর নিজের ও আবুবকরের স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে খলিফা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে গেলেন আব্দুর রহমান বিন আউফ ও তাঁর (ওমরের) পুত্র আব্দুল্লাহর হাতে। তারা দুইজন অন্ধকার ঘরে গোপন বৈঠক করে নিয়ে এলেন মুহাম্মদের দুই কন্যার স্বামী সত্তর বছর বয়স্ক উসমানের (রাঃ) নাম। হজরত আলি (রাঃ) চিৎকার করে বললেন ‘না-আমি মানি না, এটা প্রহসন, ধর্মের নামে মিথ্যাচার, অন্যায়, এটা প্রতারণা!’
আরবি নববর্ষ, হিজরি ২৪ সনের মহরমের পহেলা তারিখ, ৬৪৪ খৃস্টাব্দের ৭ নভেম্বর উসমান (রাঃ) ইসলামের তৃতীয় খলিফা হিসেবে খেলাফতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উসমানের খেলাফত লাভে যারপর নাই খুশি হলো মক্কার উমাইয়াগণ, বিব্রতবোধ করলো হাশিমিগণ। পরপর তিনজন খলিফা ক্ষমতায় আসার পর, মক্কা থেকে আগত শরণার্থীদের দূরাভিসন্ধি সম্বন্ধে অভাগা মদিনাবাসীদের বুঝতে বাকি রইলো না। তারা বুঝতে পারলো, কোরায়েশগণ মদিনা দখল করে নিয়েছে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় মদিনাবাসীর কোনো স্থান নেই। এতদিন পরেও মুহাম্মদের (দঃ) কথিত ‘সাম্যবাদী’ ইসলাম মক্কা-মদিনার মুসলমান ও উমাইয়া-হাশিমিদের ভেতরকার বৈষম্য দূর করতে পারলো না। উসমানের খেলাফতের মাধ্যমে এবার ইসলামের ঘরে অনলের স্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠলো, যা হজরত আয়েশার (রাঃ) যুগে এসে দাবানলে পরিণত হয়। এই প্রবেন্ধর শেষভাগে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হবে।
উসমান (রাঃ) ক্ষমতা লাভের পরপরই এক বিরাট কাণ্ড করে বসেন। অন্যান্য বিখ্যাত সাহাবিদের মতে যা ছিল মুহাম্মদের (দঃ) রচিত সংবিধান ‘আল-কোরআনে’র পরিপন্থী। খলিফা উসমানকে একসাথে তিনটি খুনের এক আসামীর বিচার করতে হয়। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের (রাঃ) ছেলে হজরত ওবায়দুল্লাহ একদিনে তিনটি নিরপরাধ মানুষকে খুন করেছিলেন। ঘটনাটি ছিল এরকম: হজরত ওমরের কাছে, ফিরোজ আবু লুলু নামের এক ব্যক্তি, তার ওপর আরোপিত করের পরিমাণ কমানোর আবেদন জানায়। পারসিয়ান দেশের ফিরোজকে মুসলমানগণ এক যুদ্ধে বন্দী করে দাস হিসেবে বিক্রি করেছিলেন। দাসত্ব হতে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্যে ফিরোজ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে পরবর্তীতে খৃস্টধর্মে ফিরে যায়। হজরত ওমর ফিরোজের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। কুফায় বসবাসকারী ফিরোজ কাঠমিস্ত্রি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে মদিনায় চলে আসে। একদিন ওমরকে নির্জন মসজিদে পেয়ে ছুরি দিয়ে ছয়টা আঘাত করে এবং সে নিজেও আত্মহত্যা করে। ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার তিনদিন পর ওমর (রাঃ) মারা যান। পরদিন হজরত ওমরের ছেলে ওবায়দুল্লাহ, প্রথমে পারস্য থেকে আগত হরমুজান ও হজরত সাদের (রাঃ) ক্রীতদাস জুফাইনাকে খুন করেন। হরমুজান ও জুফাইনাকে খুন করে ওবায়দুল্লাহ ফিরোজের বাড়িতে যান। ফিরোজকে না পেয়ে তার মেয়েকে তিনি খুন করেন। খলিফা ওমর-পুত্র দ্বারা সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার বসলো। পৃথিবী আজ এত বড় নৃশংস হত্যার ইসলামি আইনের সুবিচার দেখবে। খলিফা উসমানের মুখের দিকে চেয়ে আছে মজলুম ওয়ারিশগণ। কোরআন-হাদিস সামনে নিয়ে বসেছেন হজরত আলি সহ বেশ কয়েকজন শরিয়া বিশেষজ্ঞ সাহাবি। (অবশ্য কোরআন-হাদিস তখনো পুস্তাকাকারে ছিলনা; মুহাম্মদের মুখের কথা ও কাজ যে যেভাবে শুনেছেন, বুঝেছেন, দেখেছেন তা‘ই শরিয়ার আইন বলে মানতেন।) গণরায় হয়েই গেছে। ফিকাহ শাস্ত্রকারগণ একমত যে, খলিফা হজরত ওমরের পুত্র ওবায়দুল্লাহর নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড হবে; কারণ, নিহত তিন ব্যক্তির একজন পারস্য থেকে আগত হরমুজান ছিলেন মুসলমান। শরিয়ত অনুযায়ী একজন মুসলমানকে হত্যা করলে হত্যাকারীর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। দ্বিতীয়জন একজন সাহাবির ক্রীতদাস। তৃতীয়জন একজন নারী, যে খলিফা ওমরের খুন সম্বন্ধে কিছুই জানে না। হজরত আলি (রাঃ) অপরাধী ওবায়দুল্লাহর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পক্ষে তার অভিমত প্রকাশ করলেন। সাহাবি হজরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) ও তাঁর মত, হজরত ওমরের তৈরি কয়েকজন নামকরা ঘাতক সন্ত্রাসী বিচার চলাকালীন সময়ে দাঁড়িয়ে হজরত আলির দেয়া রায়ের প্রতিবাদ করলেন। খলিফা উসমান (রাঃ) কোরআন-হাদিস অনুসরণ করলেন না। শরিয়া আইন ও বিশ্ববিবেককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হজরত ওবায়দুল্লাহকে দণ্ডমুক্ত করে দিলেন। ওমরের (রাঃ) আত্মীয়স্বজন বেজায় খুশি হলেও দুঃখিত হলো মদিনাবাসী। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মদিনার বিখ্যাত মুসলিম কবি যিয়াদ ইবনে লবিদ খলিফা উসমান, ঘাতক ওবায়দুল্লাহ ও শরিয়া আইনের ওপর ব্যঙ্গ করে এক কবিতা রচনা করলেন, লোকে প্রকাশ্যে মদিনার রাস্তায়-রাস্তায় সেই কবিতা আবৃত্তি করলো অনেক দিন।
কিছুদিন পরেই মদিনায় খাদ্যাভাব দেখা দিল। ডাকাতি আর লুটের মালের গুদাম শূন্য হতে চলেছে। রাষ্ট্র আর চলে না। সবচেযে বেশি বিপদের সম্মুখীন হলো মদিনাবাসী। তারা পেশায় ছিল কৃষিজীবী। লুটের ব্যবসায় অভ্যস্থ ছিল না, তাই তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতো না। গনিমতের মাল (নারী ও সম্পদ) তাদের ভাগ্যে জুটতো না। পক্ষান্তরে মক্কার কোরায়েশগণের জীবিকা ছিল মেষ-ছাগল চড়ানো ও কাবা ঘরের সেবাযত্ন করা। আজ কোরায়েশগণ ইরান, ইরাক, সিরিয়া, মিশরসহ সারা আরব-বিশ্বের প্রায় প্রতিটি এলাকায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সরকারি পদে অধিষ্ঠিত। মেষ পালক-পুরোহিত থেকে রাষ্ট্রনায়ক। প্রায় স্বপ্নের মতোই বদলে গেল আরবের মানচিত্র। দখলকৃত দেশে দেশে কোরায়েশ শাসকগণ অগণিত ক্রীতদাসীভোগ, অবাধ সম্পদের প্রাচুর্যে বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠলো। মদিনা থেকে উসমানের (রাঃ) কেন্দ্রীয় সরকার উপযুক্ত ট্যাক্স পাঠাতে চিঠি লিখলেন দখলকৃত রাজ্যের গভর্নরদের কাছে। কিছুকিছু এলাকার অমুসলিম সরকারগণ ট্যাক্স পাঠানোতো দূরের কথা, তারা ইসলামি শাসন অস্বীকার করে স্বাধীনতা ঘোষণা করলো। স্বয়ং মুসলিম সরকার, মিসরের গভর্নর হজরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) উসমানের (রাঃ) চিঠির উত্তরে লিখলেন : ‘উষ্ট্রী এর বেশি দুধ দিতে অপারগ’। তিনিই সাহাবি হজরত আমর ইবনুল আস, যিনি হজরত ওমরের খুনি পুত্র ওবায়দুল্লাহকে শাস্তি না দেয়ার জন্য খলিফা উসমানকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। খলিফা উসমান (রাঃ) ভীষণ রাগান্বিত হলেন। তিনি হজরত আমর ইবনুল আসকে পদচ্যুতির আদেশ দিলেন। তাঁর স্থলে পৌর্ট সাঈদের সামরিক শাসনকর্তা আবদুল্লাহ বিন সা’দ বিন আবি সারাহকে সমগ্র মিশরের গভর্নর পদে নিযুক্ত করেন। প্রসঙ্গত এখানে হজরত আবদুল্লাহ বিন সাদ বিন আবি সারাহ সম্পর্কে পূর্বের একটি ঘটনার বর্ণনা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছি: মক্কা বিজয়ের পর মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর কয়েকজন (আট/দশজন) সঙ্গী-সাথী, সহকর্মী ও এককালের শুভাকাংখীদের তালিকা তৈরি করলেন। আবদুল্লাহ্ বিন সাদ বিন আবি সারাহ তাদের একজন। তাদেরকে হত্যা করা হবে; কারণ মুহাম্মদের (দঃ) সন্দেহ হলো এরা একদিন তাঁর ‘নবিত্ব’ ও ‘ধর্ম’কে মিথ্যা প্রমাণিত করে ফেলবে। আবদুল্লাহ্ বিন সাদ বিন আবি সারাহ মুহাম্মদের (দঃ) মুখে বলা কোরআন লিখে রাখতেন। মুহাম্মদ (দঃ) মাঝে মাঝে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে ঘটনায় কিছুকিছু পরিবর্তন করে ফেলতেন, এবং আবদুল্লাহ্ বিন সা’দ সেটা ধরে ফেলতেন। আবদুল্লাহ্ বিন সাদের কপাল ভাল যে, হজরত উসমান বিষয়টি আগে টের পেয়েছিলেন। আবদুল্লাহ ছিলেন হজরত উসমানের পালিত ভাই (Foster Brother)। হজরত উসমান মোহাম্মদের (দঃ) কাছে আবদুল্লাহ বিন সাদের প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন। মুহাম্মদের (দঃ) আদেশ পেয়ে ঘাতক শাণিত তরবারি হস্তে শিরোপরে দণ্ডায়মান ছিল। কিন্তু মুহাম্মদ (দঃ) তাঁর দুই মেয়ের স্বামী, জামাতা উসমানের অনুরোধ উপেক্ষা করে অঙ্গুলি নির্দেশ করতে পারলেন না। আবদুল্লাহ বিন সা’দ (রাঃ) প্রাণ ভিক্ষা পেলেন। মুহাম্মদের (দঃ) এক সময়ের প্রীয়ভাজন ও বিশ্বস্ত কোরআন লেখক আবদুল্লাহ বিন সাদের (রাঃ) অপরাধের প্রমান আজও কোরআনেই আছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আল্ বাদাওয়ী তাঁর তাফসীর-গ্রন্থ ‘আনোয়ার আল- তানজিল ওয়া আছরার আল তাউইল’ “Anwar al-Tanzil wa Asrar al-Ta’wil” (The Secrets of Revelation and The Secrets of Interpretation edited by H. O. Fleischer. 2 vols., Leipzig, 1846-1848; indices ed. W. Fell, Leipzig, 1878) এ বর্ণনা করেন- একদিন মুহাম্মদ (দঃ) সুরা আলমুমিনুন এর ১২ থেকে ১৪ পর্যন্ত বাক্যগুলো লিখার জন্যে আবদুল্লাহ বিন সা’দকে বললেন। বাক্যগুলো ছিল-
‘আর আমরা নিশ্চয়ই মানুষকে সৃস্টি করেছি কাদার নির্যাস থেকে’। (আয়াত ১২) ‘তারপর আমরা তাকে বানাই শুক্রকীট এক নিরাপদ অবস্থান স্থলে’। (আয়াত ১৩) ‘তারপর আমরা শুক্রকীটকে তৈরী করেছি একটি রক্তপিন্ডে, তারপর রক্তপিন্ড থেকে মাংশপিন্ড তৈরী করেছি, তারপর ‘মাংশপিন্ড থেকে হাড় তৈরী করে, অতঃপর হাড়গুলোকে মাংশ দ্বারা আবৃত করেছি। অবশেষে তাকে নতুন রুপে দাঁড় করিয়েছি’। (আয়াত ১৪)
মুহাম্মদ (দঃ) ১৪নং বাক্য এতটুকু বলার পর আবদুল্লাহ বিন সা’দ তার সাহিত্যিক ভাষায় বলে উঠলেন -‘নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কত কল্যাণময়’। মুহাম্মদ (দঃ) বললেন,‘এই বাক্যটাও লাগিয়ে দাও’। আবদুল্লাহ বিন সা’দ হতবাক হয়ে গেলেন। মনে মনে বললেন বিষয়টা কী, আমার মুখের কথা আল্লাহর বাণী হয় কী ভাবে! আরেকবার এক আয়াতের শেষে মুহাম্মদ যখন বললেন- ‘এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞ’ (আরবিতে ‘আজিজ’ ও ‘হাকিম’) আব্দুল্লাহ বিন সা’দ পরামর্শ দিলেন ‘এবং আল্লাহ সব জানেন ও বিজ্ঞ (‘আলিম’ ও ‘হাকিম’) লেখার জন্যে। মুহাম্মদ কোন আপত্তি করলেন না, তিনি রাজি হলেন। এবার আবদুল্লাহ বিন সাদ নিশ্চিত হয়ে গেলেন যে. কোরআন মুহাম্মদ লিখছেন, এসব কোন ঐশী-বাণী নয়। তিনি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মুহাম্মদ থেকে দূরে সরে গেলেন। (আরো পড়ুন- “Asbaab Al-Nuzool” by Al-Wahidi Al-Naysaboori – Page 126 – Beirute’s Cultural Libary Edition “Tub’at Al-Maktabah Al-thakafiyyah Beirut)
এবার এখানে সাহাবি হজরত আমর ইবনুল আসের (রাঃ) পরিচিতি জেনে নিলে পরবর্তী ঘটনা ঝুঝতে সুবিধা হবে। হজরত ওমর (রাঃ) যখন ইরাক দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, লোকে বললো, আবুবকরের (রাঃ) আমলের সেনাপতি খালিদ বিন অলিদ (রাঃ) ছাড়া ইরাক দখল করা সম্ভব হবে না। ওমর (রাঃ) বললেন, খালিদ বিন অলিদের চেয়েও বিচক্ষণ শক্তিশালী সেনাপতি আমার আছে। তিনি হজরত আমর ইবনুল আসের প্রতিই ইঙ্গিত করেছিলেন। আমর ইবনুল আস শুধু ইরাকই নয়, পশ্চিম সিরিয়া, জেরুজালেমও দখল করে নেন। হজরত ওমর খুশি হয়ে তাকে মিশর দখল করার দায়িত্ব দেন। মিশর ও আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে আমর ইবনুল আস প্রমাণ করে দিলেন যে, তিনি খালিদ বিন অলিদের চেয়েও পরাক্রমশালী যোদ্ধা। আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে তিনি খলিফা ওমরকে (রাঃ) চিঠি লিখলেন :
“আমিরুল মুমেনিন, আজ আমি এমন একটি জাতিকে আপনার দাসত্ব স্বীকারে বাধ্য করিলাম, যারা কোনোদিন পরাধীনতা সহ্য করিতে পারে না। এমন একটি নগরী আপনার পদতলে উপহার দিলাম, যে নগরীতে চার হাজার প্রাসাদ ও চার হাজার হাম্মাম (গোসলখানা) রহিয়াছে। চারশত ভোজনাগার ও প্রমোদালয় আছে, যেখানে এসে গ্রিক-রাজপুত্রগণ পানাহার ও চিত্তরঞ্জন করিতো। এই নগরীর এক প্রান্থে সুপ্রসিদ্ধ সিরাপিয়াম, যার ভিতরে দেবী সিরাপার মন্দির ও আলেকজান্দ্রিয়ার সুপ্রসিদ্ধ পাঠাগার অবস্থিত। অপর প্রান্থে বিখ্যাত সিজারির মন্দির, যাহা মিশর বিজয়ী খ্যাতনামা জুলিয়াস সিজারের সম্মানে রাণী ক্লিওপেট্রা কর্তৃক নির্মিত হইয়াছিল”।
চিঠি পেয়ে ওমর (রাঃ) যারপর নাই খুশী হলেন। চৌদ্দমাস যুদ্ধ করে আমর ইবনুল আস (রাঃ) রোম সাম্রাজ্যের প্রাণকেন্দ্র আলেকজান্দ্রিয়া দখল করেন হিজরী বিশ সনে। গ্রিকগণ এ পরাজয় মেনে নিতে পারলো না। তাদের সম্রাট হিরোক্লিয়াসের মৃতুর পর তাঁর মেয়ে, আলেকজান্দ্রিয়া পুনরুদ্ধারের প্রস্তুতি নেন।
বাবরের মৃত্যুর কারনটা কেউ একটু স্পষ্ট করবেন।
আল্লায় নাকি বাবরের জীবনের বিনিময়ে হুমাহুনের জীবন দেয়। তা ও ৩ চক্কর দিয়েই বাবর অসুস্থ, হুমায়ুন সুস্থ।
কলকাতা বই মেলায় (২০১৫)কি এই বইগুলি পাওয়া যেতে পারে ??
অসাধারণ ঐতিহাসিক তথ্য ।
আমার নবীজিরে নিয়া খারাপ কিছু লেখ না , তিনি আল্লাহ্র নবী রাসুল।আল্লাহ একমাত্র সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তোমরা আমার নবী আর আল্লাহ রে নিয়া ভুল লিখ না।তোমাদের উপর গজব নেমে আসবে। সঠিক ভাবে ইসলাম কে জানুন বুঝুন।। আমীন।
হ্যাঁ, অসাধারন।তবে ঝামেলা তৈরির ভালো উপাদান। আপনারা ভালো পথে ফিরে আসুন।
অসাধারন!!
আকাশ মালিকের প্রবন্ধদের বইটি মেলায় গিয়ে আমি খুঁজবো এবং কিনবো। কোন স্টলে পাওয়া যাবে বলবেন কি?? খুব সুবিধা হতো
[…] ইসলামের জন্ম, বিকাশ ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্
oshadharon! Akash da er itihash-probondho. Ei jinish j ami khujsilam kotodin theke. ato din pore ami pelam, but, Akash da ke anurodh korsi prottyek ta ghatona ullyekh purbok doya kore reff. book er naam & proyojoniyo link deben. karon, 1. amra ota details janar testa metate parbo, 2. reff. byatito ei kotha gulo theist friend der kase alochona kora moha pap hobe. 3. details porte parle pathokera nijeder bibek baboher kore bebachonar shathe jachai korar shujog pabe. So, I think, reff. is very much necessery. AR, Avijit da’r shob kisui oshombhab valo, ki lekha, ki comment ki article. Also same as Biplab Paul. Thanx to everybody of them. Mr. moderate, I’m a new browser. I know my comment is not better. And, I can not type bangla. But I heartly like all of these. I’ll be extremely happy if you kindly publish my comment. though, I am an amatur, so apni proyojone amake advice din. Thank you.
ARIF
এত ত্যানা না প্যাচাইয়া মনোয়ার আর মুর্শেদ সাহেবেরা আমার নীচের প্রশ্নগুলার জবাব দিলেই পারেন।
* নবীজী যে পঞ্চাশ বছর বয়েসে আয়েশাকে তার ছয় বছর বয়সের সময় বিয়ে করেছিলো (হাদিস দেখুন- আমার সাথে মনোয়ার সাহেবের বিতর্ক আকাশ মালিকের এই সিরিজটার চার নম্বর পর্বে আছে), সেটা কি প্রফেটিক এবং সকল মুসলিম বান্দাদের জন্য অনুকরনীয়?
* সাফিয়া রায়হানা এবং জুয়ারিয়াকে যুদ্ধজয়ের পর ‘স্পয়েল অব ওয়ার’ হিসেবে অধিগ্রহন নবীজীর জন্য কতটা মানবিক ছিলো? সাফিয়ার ক্ষেত্রে খাইবার ‘যুদ্ধের’ পর সাফিয়ার স্বামী এবং ভাইকে হত্যার পর সেই দিনই সাফিয়াকে শয্যায় নেতার জন্য উন্মুখ ছিলেন। সেটা কি মনোয়ার সাহেব বা মুর্শেদ সাহেব অস্বীকার করতে চান?
* নবীজী তার পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নবের সৌন্দর্য দেখে কামায়িত হয়ে পরেন এবং আল্লাহকে দিয়ে একটি সূরা নাজিল করিয়ে নেন যাতে এ ধরনের সম্পর্ক সৃষ্টিতে কোন অসুবিধা না হয়। এ টা কি প্রফেটিক কাজ?
* কাউকে না বলে মারিয়া নামের এক দাসীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন মহানবী, যা নবীজীর স্ত্রী হাফসা এবং আয়েশাকে রাগান্বিত করেছিলো।
* মুহাম্মদ কর্তৃক বেশিরভাগ যুদ্ধই ছিল ‘অফেন্সিভ’। আকাশ মালিক যে বলেছেন, বনি-মুত্তালিক গোত্র বা সিরিয়া থেকে বাণিজ্য করে বাড়ি ফেরার পথে কোরায়েশ বণিকদল মদিনা আক্রমণ করে নাই। এটা কি ভুল?
* মুহম্মদ নিজেই বনি কুরাইজার আত্মসমর্পনকারী অগনিত বন্দিদের হত্যা করেন। এটা একটা গনহত্যা। এটা কি মনোয়ার সাহেব অস্বীকার করেন?
* কাব বিন আশ্রাফ, আবু আফাককে আমাদের মহানবী হত্যা করেন তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ কবিতা লেখার দায়ে। আসমা বিন্তে মরওয়ানের ভাগেও একই ব্যাপার ঘটে। এই যদি হয় সমালোচনা সহ্য করার নমুনা!
* প্রথম খলিফা কে হবেন তা কি গণতান্ত্রিক ভাবে হয়েছিলো, নাকি হঠাত করে? কে খলিফা হবেন, হযরত আবু বকর(রাঃ) না হযরত আলী(রাঃ), মন কষাকষি।
* তার পর -হযরত আয়েশা(রাঃ) বনাম হযরত আলী(রাঃ)- শাশুড়ী বনাম জামাতার লজ্জাজনক যুদ্ধ, হযরত আলী(রাঃ) ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গুপ্তঘাতক দিয়ে – এগুলো কি মনোয়ার সাহেব অস্বীকার করেন?
* জামালের যুদ্ধে দশ হাজার মানুষের মৃত্যু আর সিফফিনের যুদ্ধে সত্তুর হাজার প্রাণ- এগুলো তো মুসলিমদের সাথেই মুসলিমদের যুদ্ধ – এগুলো কি শান্তির ইসলামের বানিজ্যিক প্রপাগান্ডা নাকি ইসলাম বেঁচে ক্ষমতা দখলের লড়াই, সত্যি করে বলুন তো?
* ইসলামের চার খলিফার তিনজনকেই জনতার রোষানলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিলো। এটা কি কোন সত্য তুলে ধরে?
আমি মনোয়ার সাহেবকে এ প্রশ্নগুলো আগে (আকাশ মালিকের লেখার চতুর্থ পর্ব) করার পরও তিনি সেগুলোর উত্তর না দিয়ে এরিস্টটলের কায়দায় উপদেশ বানী বর্ষণ করা শুরু করলেন। কিন্তু এরিস্টটল সেজে তো আর সত্য এড়ানো যায় না।
@রফিক,
In regard his marriages, booties, battle-behaviours, Muhammad had acted well within the norms and accepted values of his time. People of his time did live their life according to norms and rules of 21st century. If you do not see the difference between culture, society, religion and spirituality and how these relate to one another or overlap –that’s your problem. I have made these points clearly in several of my postings. If you are looking for a 21st century prophet in the religion of no-God, to lead you into a “paradise” (a world of peace by destroying all the religions), you better stay with Mr. Malik.
@রফিক,
(Corrected version)
In regard his marriages, booties, battle-behaviours, Muhammad had acted well within the norms and accepted values of his time. People of his time did not live their life according to norms and rules of 21st century. If you do not see the difference between culture, society, religion and spirituality and how these relate to one another or overlap –that’s your problem. I have made these points clearly in several of my postings. If you are looking for a 21st century prophet in the religion of no-God, to lead you into a “paradise” (a world of peace by destroying all the religions), you better stay with Mr. Malik.
@Monawwar Ahmed,
হ আপ্নেরাইতো কন আমগো নবীজী সব মানুষের জন্য, সব কালের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। যখন আমরা নবীজীর প্নচাশ বছরের সময় ছয়বছরের শিশুরে বিয়া করার ব্যাপারটা কতটা আজকের যুগে অনুকরণীয় ‘আদর্শ’ (আপনে কি আপ্নের মেয়েরে ৬ বছরের সময় পঞ্চাশ বছরের বুইড়া ভামের লগে বিয়া দিবেন নি?), কিংবা যদি জিগাই পালকপুত্রের বউ জয়নবরে যেমনে বগলদাবা করছিলো (হেইটা কি আপনার জন্য অনুকরনীয় আদর্শ?), কিনবা যদি কই আপ্নে কি বাপ-ভাইগো কচুকাটা কইরা শাফিয়ার লগে সেই রাইতেই শুইতে চাওনটা কি প্রফেটিক মনে করেন নি – তখনই উত্তর আইবো – he acted within the norms and values of his time. হ ঠিক তাই। হিটলার, চেঙ্গিস খান, গোলাম আজম, বিন লাদেন হজ্ঞলতেই এক্টেড ইন হিজ টাইম কইয়া মাপ কইরা দেওন যায়। কি কন?
@রফিক,
Had Hitler acted within the norm of his time? You don’t seem to get the point, do you? Did the people of Muhammad’s time objected to their norm of child marriage as the 20th century humanity protested against Hitler? Did Muhammad make child marriage part of his religion? Do the Muslims gain ‘sawab’ (virtue) by marrying a child? What exactly are you braying about? All the kind of ‘proofs’ that you are carrying in your armpit has been known to the people at the time of Muhammad, and in spite of them, they believed, why? The same ‘proofs’ have been known to the Muslims throughout the ages and they have been taught over the generations in their schools (madrasa). Seeing your ‘proofs’ they still believe, why? Enter into any modern Islamic university or college library, you will find the your ‘proofs’ existing and still people ‘believe’, why? Why can’t they see in the proofs the way you see them? They are less intelligent than you? Look deeply, try to open your eyes and calm the fighting attitude a little bit and then you will see that “religions are not always about scripture or scriptural truth as much as they are ‘clips’ to hang the religious claims on”, and don’t come back to me over this, because to understand this dictum it will require some years of study. Consider the Bible. Many studies over the years have conclusively pointed to the fact that the accounts of the four disciples have been part and parcels of historical narratives, but has Christianity died away or will it? Never. Consider Hindu scientists, even the nuclear physicists. Some of the PhDs bow before the idols and pray, why? Are they less intelligent than you? You don’t seem to know what religions are all about –do you? Have all the Muslims (or the people of other faiths) studied their religious scripture, and having been convinced of its truth, they became Muslims? Some of you here do not seem to know a thing about religion but fighting against it. When you don’t know what you are fighting against, is there a likelihood of succeeding? Never.
Now when you use such word as ‘আপনারা’ to me who are you generalising me with? Do I come here to preach Islam to you? Have I asked to believe in Muhammad or to fight against him? What exactly are you suffering from? Look into your writing since you have been addressing me and see the relation between what I said and what you replied with. Take a deep breathe in and see if there was any inclination to preach anything to you. I don’t really care if you believe or you don’t. I don’t even know if you are a Jehovah’s witness fighting against Islam under the guise of atheism, and I don’t care. If you cannot scan out how my approach engages the themes, then you are in one world and I am in another. There is no point in engaging into something when there is no basis for it. If you are trying to prove that “Muhammad is a false prophet and Islam is false religion,” I had the message a long ago – I am not here to defend Islam; if I did, I would be ‘like you’. Read carefully what I have been writing. I only question the rational premises which claim to be rational. Yours and my position are miles apart. I told you this many times. If you think I am wrong–let me be wrong, for my weak position can only add to your strength.
@রফিক,
And finally, don’t bother responding, as I will ignore your posting.
Thanks a lot Mr Monawwar Ahmed for your really intellectual answer and comment.Some people think they can be seen as intellectuals and be gratified thus just writing something interpreting history in their own way.These guys need to realise that Islam is not a threat to humanity.It is something else.They should find it out rather than attacking Islam or other religions.
Mr Murshed er vivek er nikokot amar koyekti proshno: vai, apnara j ‘history’ ke biswas kore ashsen, tar vitti ashole ki? apni Malik shaheber rachona ke ‘mon gora’ bolsen chokh bondho kore,. othocho, ei tuku bojhar buddhi ki apnar ase j, jakhon kono ekti dol(she rajnoitik hok ba onno kono adorsheri hok na keno) jar netagon jodiyo nana dharoner apkormomoi choritro’r odhikari hok na keno, tader vokto-onusharider kase ‘fuler moto pobitro’ bolei bibrito hoi. and, ekta somoi oi vokto-onushari gon e ‘myth’ er jonmo dei, tader neta k banai mohan and tader so called ‘adorsho’ k ghoshona kore ‘shera adoesho’. R dhormer khetre ekta porjai e ei adorsho, onusharider kase ‘absolute’ hoye othe, jeno ota shondehatit-proshnatit. ei dhormadorsho manush k hipnotised kore rakhe, swavabik yukti-chetona, bodh-buddhi lope kore rakhe. thik erokom abosthai jokhon kono mukto-mona chintashil yuktibadi shattyo onweshan korte chan, dhormer ajouktik bishai gulor jouktikata niye prashno tolen, sarbopori, prokrito itihash jarar proyash chalan, tokhon oi dharmandho lokgulor ante gha lage, pagla kukurer moto khekiye othe tara. kono yukti dite ba khondate parena tara. pare shudhu ajouktik-opramanyo buli kopchake. AR, Mrj murshed, malik vai kono mom gora kotha bolen ni, tar ‘kono dharmo k critisize korar’ bishesh kono uddessho o silo na, tini shudhu matro prokrito itihash janar jonno ‘pouranik galgolpo’ bad diye biswasto etihashik goner shutro dhore shattyanneshar proyash chaliyesen. Thanx 2 everybody. ARIF.
এ সব ধরণের লেখা আন্তর্জাল থেকে ছাপার অক্ষরে সাধারণ মানুষের মাঝে কবে পৌঁছাবে কে জানে ? অপেক্ষায় থাকলাম।
I would like to issue with this view expressed in Muktomona probably by an Admin: ‘We wish to build a sceptic mind, not a gullible mind. … As Buddha said …doubt everything, find out your own light!’ This is rather silly. You “Want to” build’ sounds like a new religious lunatic voice expressing its mission statement loaded with conviction. Why would you want to build my mind “into a sceptic?” What is so great about a sceptic mind?
The most malignant problems in the modern world have occurred as a result of some religious lunatics “wanted to change” other people’s life into their “moulds.” This kind of statement is frightening. O by the way, when Buddha said, ‘Doubt everything, find out your own light’, how will I, as a sceptic, recognise my ‘own light’, when I will still be doubting it, whether or not it is my own light? Why I am advised to follow Buddha here –Is it a Buddhist site?
Corrections: Ibn Hisahm=Ibn Hisham, al Ya’quaby=al Ya’quby, Kibal=Kilab
I have made two comments earlier and it occurred to me that I should make one more. This time I would like to draw upon a few questions in relation.
The fact that there has been an ongoing internal struggle between the Hashimites and the Ummayyids is not necessarily a case against Muhammad’s (pbuh) claim to prophethood. Also there was nothing to prohibit ‘a God’ or any God if He so wanted to inspire a man to spread the message of spirituality to a people amongst whom there was a conflict. In historical conflicting situation the statements of people from any side can lay themselves to a reading against the conflict. Moreover the conflict mustn’t be exclusively seen between the two tribes, as there were other conflicts involving other tribes, noteworthy to mention the arrival of Qusay bin Kibal bin Murrah, the fifth grandfather of the Prophet (pbuh) from Syria into Makkah and the subsequent social, religious and political structuring of Makkan and its social arrangements.
But the question is how do we read texts constructed within socio-religious, ideological contexts and within manifest overlapping of tribal, political, and economic relationships whose reality is absent from us? This leads us into the question of ‘constructing’ history through the interpretation of texts. In addition to this, we have another equally important question. Is it possible to construct reality through text? The third emergent question is being associated with the nature of language and reality –semiology or semantic. Since there is no relationship between text and reality, as language is system of signification referring to itself in an almost infinite chain, it is possible to capture the thing classically known as ‘truth’?
We are well aware that what one produces to us from the classical writing is simply his/her ‘construction’ of history or his/her reading of it, which is never better or superior to the ones that are ‘believed’ by the general public as ‘truth.’ If their truth is a fiction, what merit can we assign to the new ‘construction’ –truth? This point I am trying to get at is being from within a postmodernist perspective on text and reality.
Let us throw one more question on the reading of the sources from the past. Is it appropriate to read the classical texts against the ideology, beliefs, values and assumption rooted in the present? If you want to understand polygamy with monogamous values and sentiments, what will you get? Red-herrings of course.
Semantic, psychology, anthropology and some other disciplines have given us a better understanding of text and reality. Here is little or no scope to be lunatic with meaning. We had enough of the Quran and Bible thumpers and we had enough of attacks and counter attacks. We do not want secularism with a religious devil inhibiting in. What we expect is illumination of the classical texts to improve our understanding of the social situation, context, relationship, ideology and politics in which people had found their world meaningful. Our joy of reading meets with spirituality when we perceive a sincere energy struggling to understand the past and bringing the texts (that we read many times before) into new lights. We then appreciate. You don’t need to be pro or anti religious. You don’t need to be a preacher or attacker at this level -if you want to reach people who have transcended high above the lunatic religious quibbles, for or against. Here the old stories of religions are simply the means of spiritual realisation and this we should not throw away with bath water -for it is the human heritage which cut across race and religions. One can devote to spirituality without belonging to any of the known religions.
Finally, we anticipate reading the published work of the author. May God or whatever source of inspiration he relates to help him.
I am not agree with the writer’s coments of the the historical facts. Sometime historical incidents were guided in the wrong way with writer’s own imagination. No historical references were used. The whole article seems to be provocative and reflection of very personal view.
In addition to my earlier comment I would like to add a point on the Prophet being ‘unlettered.’ In Arabic there is a huge corpus of literature on whether or not the Prophet (pbuh) was unlettered (meaning he never knew how to read or write). The writer seems to have just taken on board ‘one’ view, (mostly non-academic) prevent mainly amongst emotional ‘preachers’ and some general public that he could not read or write. The Arabic word ‘ummi’ is not an uneducated or unlettered person. It has nothing to do with education. Ummi was a person who did not belong to the ahl-al Kitab, the people of the Book, namely the Jews and Christian. Ummi was used as the word ‘gentile’ (non-Jew) was used. God sent a prophet (Muhammad) amongst to people who had no Book (ummiyun) and they were expecting it –that was the sense in which the word was used. If one reads all Quranic verses using the word ummi (plural ummiyun, subjunctive, ummiyyin), one will realise how the text becomes contextual.
Now, a serious writing should not pick materials only to suite its particular argument, shutting eyes on all other counter materials. If it wishes to choose a particular text against the other, it has to justify with factual contrasts. When the readers in history, as well as in theology of Islam, Judaism and Christianity read this kind of work, they expect to have convincing and thoroughly argumentative data to joy the innovative energy and factual focus on which the writer had spent the time on. We hope the writer will eventually weed out the inaccuracies before the final publication.
This article doesn’t quite capture the merit of the word ‘conspiracy’ chosen for its title. There are many factual inaccuracies in regards to the conflicts between the Ummayidds and the Hashimites. The facts about the emergence of the Hanafi movement are largely half-baked. Historians are not absolutely sure if Waraqa bin Nawfal was a Christian, but the fact that he translated the Christian and Jewish Scriptures in Arabic has in agreement. He was certainly a ‘Hanif’, a believer in the One God, without ascribing to any of the formal religions. Did he ever crossed the boundary of Hanafi movement into becoming a a Christian remains a little doubtful. Those who asserted it to be so, they categorically state his belonging to the monotheistic Christian sect of the time whose pettern of thinking we see in Islam, knowing that Islam does not claim to be a ‘new’ religion, but belonging to the Abrahamite tradition.
Khadijah (r )’s aunt was a ‘arrafah’ a diviner and the family was wealthy as well as learned. The established sources (of Ibn Hisahm, al Ya’quaby, al Waqidy, al Kalby, al Tabary and others) certainly do not have any evidence on Khadijah (r) to have been a Christian.
The writer certain misses a great of facts which could have supported his arguments. This shows that the writer had depended on secondary sources which failed to go deeper into the socio-cultural setting of the time. The writer’s tenor and the presentation manner suggest that the materials have been produced by people who wanted to have a go at Islam. One can produce more serious and harsher criticism of Islam without being impolite and attacky on ‘motive’ or ‘intention.’ If one does, s/he has to substantiate the assertion with evidences from the historical sources as to how the intention had played out in a given event.
The fact that the Muslims started to return to their original religions after the death of the Prophet (pbuh) is inaccurate. The battles of riddah (apostasy) which have been fought were against Muslim tribes who did not pay the Zakah to the state. Khalifa Abu Bakr had taken a view point against many other views of the time and had fought to establish the State’s right to collection and distribution of it. This fatwa-legal religious verdict is still being debated. We do not want to embark on this issue, but simply request the writer to go back into it and re-read his materials from the beginning.
I welcome critical writing on Islamic history in Bengali, because the Bengali literature is too thin on this. In this respect I will not fight against it. All writing should come out –this is my view. One work, right or wrong, generates the interest for other work to come out –this is how the discursive system enriches.
Finally there is a grave misunderstanding exposed on the nature of ‘Wahi’. The writer seems to have justified Abdullah bin Sa’d’s opinion in his writing. Wahi in its nature is not ‘text’, but a kind of ‘inspiration’. It is the inspiration that was fleshed into the lingual, cultural norm of the Arab and so it became an ‘Arabic Quran’. Abdullah seems to have misunderstood the transitional role of wahi into text, but in any case it was ‘his judgement on the matter.’ If he had a right to judge, so too have the millions of other people.
I agree with Mr. Avijit.
Every claim must be supported by proper documents.
Thank you
Adnan
Many thanks for email address of AM.
SKM
An email attachment from Akash Malik has been kept here
The ’email adress’ and ‘author information’ has been added at the bottom of the article.
To: Akash Malik,
I am kind of late to discover this marvelous project by Akash Malik. Like many others, I am also an older fan of Akash Malik’s wonderful write-ups; especially his presentation in Bangla is unparallel and second to none. But I have some complaints: Akash Malik (AM) sometimes fails to give proper reference (which some other readers also mentioned) or adequate references. To shut the mouths of Islamic apologists, references are highly vital and invaluable to withstand rebuttals from the islamists. Secondly, Akash Malik does not leave his email contact in the article. Readers definitely need the email address of the writers, in order to give any valuable suggestions for the writers. I myself frequently get some highly valuable suggestions or constructive criticisms from many readers in my address, which are very helpful. I suggest that AM keeps his email address in his article. Most importantly, I need his email address to give him some good ideas in this venture.
Finally, I encourage him to continue this topic of early Islamic history (which have been ballooned with continuous lies and unlimited superstitions) to expose the real face of early Islamic history.
Thanks again.
SKM
[…] পুর্ব প্রকাশিতের পর- […]
শ্রদ্ধেয় পাঠকবৃন্দ,
‘ইসলামের জন্ম’ প্রবন্ধের উপর আপনাদের মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তথ্য-সুত্রের জন্যে আমি অনুরোধ করবো প্লিজ প্লিজ সম্পুর্ণ বইটি প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অভিজিৎ দা, ‘মুক্ত-মনা’র জন্ম না হলে যেমন আমার লেখার জন্ম হতো না তেমনি আরেকজন মুক্তমনা উদ্যোগ না নিলে লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ হওয়ার সুযোগ হয়তো কোনদিন পেতো না। তাঁর নামটি নিরাপত্তাজনিত কারনে এই মুহুর্তে বলা যাচেছনা। বইটি সম্পাদনা করতে তাকে সীমাহীন পরিশ্রম ও ইসলামের উপর যথেষ্ঠ রিসার্চ করতে হয়েছে। এখনো কিছুটা কাজ বাকি। আপনার উল্লেখিত হাদিসদুটো জেনেও লেখার সময় তা সুত্র হিসেবে উল্লেখ করার কথা মনে হয়নি। আরো একটি কারণ, সবগুলো প্রবন্ধই প্রায় একই সুত্রে গাঁথা, একটি অপরটির সম্পুরক। এক প্রবন্ধে যা সংক্ষিপ্তাকারে বলা হয়েছে অন্য প্রবন্ধে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সম্পুর্ণ বইটি পড়ার পর মুক্তচিন্তক কারো কাছেই কোন বিষয় অস্পঠ থাকবে না বলে আমার বিশ্বাস। লেখার জগতে আরো যে দুজন মুক্তমনার লেখা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে তারা হলেন শ্রদ্ধেয় মুহাম্মদ আসগর ও আবুল কাশেম সাহেব। তাদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা রইলো।
সকলকে আবারো ধন্যবাদ।
আকাশ মালিক
(আকাশ মালিকের উত্তরটি ইমেইলে পাওয়া গিয়েছে। আকাশ মালিককে অনুরোধ – তিনি যেন কোন লেখার মন্তব্য করার সময় পৃথক ইমেইলে না পাঠিয়ে আমাদের ওয়েব সাইটের ফীচার ব্যবহার করেন। নাম, ইমেইল এবং মন্তব্যের ঘরে মন্তব্য লিখে “মন্তব্য করুন” বোতামে চাপ দিলেই মন্তব্য আমাদের কাছে চলে আসবে, পৃথক ইমেইল ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। – মডারেটর)
Helal wrote:
Please refresh your browser by pressing CTRL + f5
I appriciate your passion. However, I want to warn you – do not consider anyone as God, not even mukto-mona. We wish to build a skeptic mind, not a gullible mind. Do not take our word granted, rather criticize where necessary. As Buddha said …doubt everything, find out your own light!
In the comment section of this article, I can’t see Biplob view. Can you please tell me where is the problem? I never want to miss any article about religion.
A big thanks to Akas for his valuable writing.
Your writings will remove darkness from our loving Bangladesh.
Probably Mukto-mona is our real god.
ধন্যবাদ রাশেদ, আপনার উপলব্ধির জন্য।
১৪০০ বছর ওজনের পাথরের বিরুদ্ধে আমার ওই তাৎক্ষণিক কণাটুকুর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
My point is: the first human beings according to hole Bible and Quran – Mr. Adam and Ms. Eve (or bibi hawa) – were nether Muslims, nor Christians, nor Jews. In fact, they did not belong to any religion. This proves that all the religions today are man-made (according to holy Bible and Quran).
This is enough to rest my case! God is trapped by His own words!!!
@supa দি, একথা বলে ত আর জেতা যাবে না রে বু! আমার নানা আর্মির ইমাম। তিনি বলেন, আদম-হাওয়ারাও আল্লার এবাদত করত, অর্থাত মোচলমান ছিল। …আপাজী, ফজরের নমাজডা ক্যামনে আইলো হেইডা জানেন না? হেঁ-হেঁ… জানেনডা কী? জান্নাত তন হ্যাগো দুইন্যাত নামানোর পর পরথম যেইদিন মিলন হইছিল্, শোকরানা বাবদ হ্যারা দুই রাকাত নমাজ আদায় করছিল্। কোন কাফেরে কয় হ্যারা মোচলমান আছেলে না?
বিপ্লব পালের অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাশেদের মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হলো। সেই সাথে পাঠকদের নিকট আবেদন রইলো ঘৃণামূলক মন্তব্য পরিহার করার জন্য।
@মডারেটর,
জনাব, সমস্যা সৃষ্টি করার এই লাইনের প্রতিটি লেখা রেখে দিচ্ছেন।প্রকাশ করছেন, প্রচার করছেন।অথচ, এসবের প্রতিপক্ষের কোন কথা যদি মুছে দেন তাহলেতো বুঝা যাচ্ছে আপনারা ফ্যাসাদ তৈরির উদ্দেশ্যেই এসবের অবতারনা করেছেন। কাজটা কি ঠিক হোল?
@মোঃ মাঈনুদ্দিন,
জনাব, ৫ বছর আগের একটি লেখাতে কি হয়েছে না হয়েছে, সেটা নিয়ে ৫ বছর পর এসে কৈফিয়ত দাবী করাটাও কি ঠিক হচ্ছে? আগে কোথায় ছিলেন?
আমি রাশেদের মন্তব্যটি মুছে দেওয়ার জন্যে অনুরোধ করছি। এটা হেট কমেন্ট। ঘৃণা ছড়িয়ে ঘৃণার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জেতা যায় না।
I liked the writings of Syed Kamran Mirza, Abul Kasem, Akash Malik, Biplab Paul.
I am a great admirer of Akash Malik’s writings. I never miss any essay of him. He is a very creative writer, suffsing flesh, blood, warmth, and emotion on rather dreary, boney, chilling, and blood curdling history of Islam.
His abilty to render Islamic mumbo-jumbo in Bangla is superb. His writing style is engaging, incisive, fluid, and informative. Very few Bangla writers possess such writing skill. I doubt if his writings are translated into English will have the same verve and impact as it will be in Bangla.
Currently, Bangladesh is drenched in Islamic flood. In this deluge there are very few voices who could confront Islam head on, particularly in Bangla. Any one who attempts to publish in Islamic Bangladesh the type of essay Akash Malik writes will, perhaps, meet the fate of Dr Humayun Azad. I had many requests from readers for publishing books in Bangladesh. Unfortunately, no publisher in BD has the fortitude to do so. Therefore, it is only in the internet that such talent as AM must flourish.
Internet is a powerful tool to expose religious bigotry and barbarism, especially of Islam. I shall request AM to write a few more powerful essays on Sharia and its impact on the innocent, Islam-loving people of Bangladesh.
Abul Kasem
আকাশ মালিক, অসাধারন। খুবই সময় উপযোগী লেখা। আমাদের খুবই প্রয়জন এরকম লেখার। জ়নাব অভিজিতের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত – রেফারেন্স – এধরনের লেখার প্রান। আপনার বইএর আপেক্ষয় রইলাম।
খাদিজা যখন মহম্মদকে নিযুক্ত করেন, তখন তিনি ক্যারাভানের ম্যানেজার হিসাবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন এবং অনেক কবার সফল ব্যাবসা করেছেন। একজন নিরক্ষর কি করে ব্যাবসার ম্যানেজার হিসাবে খ্যাতি লাভ করলেন-তা বোধগম্য হয় না। তাছাড়া ব্যাবসার একাউন্টও তাকেই দেখতে হত। এরকম একটা বড়সর ব্যাবসা, অনেক শ্রমিক, তার একাউন্টান্ট কাম ম্যানেজার নিরক্ষর হবেন-এটা বিশ্বাস করা শক্ত। খুব সম্ভবত, কোরান যে আগের ধর্মগ্রন্থ এবং প্রচলিত জ্ঞানদারা তৈরী হয় নি-তা আল্লা মহম্মদের কানে কানে বলে গেছে-এসব বিশ্বাস করানোর জন্য মহম্মদ নিরক্ষর ইত্যাদি কথা রটনা হয়েছে।
@Biplab Pal,
আপনার ধারনা নিরক্ষর কেহ ব্যবসা, বানিজ্য জাতীয় কোন কাজ পরিচালনা করতে পারবেনা।বাহ! আপনাদের এখানে কে ছেড়ে দিয়েছে দড়ি ছাড়া? মুক্ত মনা সেজেছেন সত্য আবিস্কারের নেশায়? তা বেশ ভালো। আপনি বা আরও যারা মুক্ত মনা সেজেছেন তাঁরা মূলত জ্ঞান পাপী।এছাড়া আর কিছু নহেন।আরও পড়া লেখা করুন ইসলাম সম্পর্কে। তারপর দেখবেন এসব বালখিল্যতা এমনি এমনি চলে যাবে।।
@মোঃ মাঈনুদ্দিন,
বেশ কয়েকটা মন্তব্য দেখছি করেছেন। কিন্তু আলোচনা করার জন্যা বা জানার জন্যে করেন নি। বালখিল্যতা, জ্ঞান পাপী, দড়ি ছাড়া পশু! এ সব কী? ইসলাম সম্পর্কে আরও পড়া লেখা করার উপদেশ দিচ্ছেন। নিজে ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানেন তার কোন প্রমাণ তো দিলেন না। আপনি যদি জানতেন, আপনার কাছে যদি কোন প্রমাণ তথ্য-সুত্র থাকতো যে মুহাম্মদ নিরক্ষর ছিলেন, এতোক্ষণে সব উগলে দিতেন। উপরে অভিজিৎ দা দুইটি হাদিস দেখিয়েছেন যে, মুহাম্মদ লিখতে ও পড়তে জানতেন। এবার আমি আপনাকে একটু তথ্য দিয়ে সাহায্য করি যা নিশ্চয়ই আপনার ধারণায় নাই, কারণ আপনি কোরান পড়েন নাই আর পড়লেও বুঝেন নাই। আপনি মোল্লাদের কাছ থেকে শুনেছেন মুহাম্মদ উম্মি ছিলেন। ব্যস এটুকুই আপনার সম্পদ।
কোরান থেকে নিচের আয়াতগুলো লক্ষ্য করুন, যদি আমি ভুল বুঝে থাকি আপনি কটু বাক্যের তীর নিক্ষেপ না করে, ব্যক্তিগত আক্রমন না করে তথ্য-সুত্র দিয়ে প্রমাণ করুন আমি ভুল বুঝেছি, আমি অবশ্যই মেনে নিব। তিনটি আয়াতেই উম্মি শব্দ আছে আর তা প্রতিবারই বহুবচনে ব্যবহৃত হয়েছে। মুসলিম অনুবাদকগণ এর অর্থ ‘নিরক্ষরদের’ ‘unlettered’ করেছেন। বাক্যে নিরক্ষরদের বিপরীতে কী শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে লক্ষ্য রাখবেন।
এখানে উম্মিদের বিপরীতে ঘোর পথভ্রষ্টদের কথা বলা হচ্ছে। পথভ্রষ্ট অর্থ কি নিরক্ষর?
He it is Who sent among the unlettered ones a Messenger (Muhammad SAW) from among themselves, reciting to them His Verses, purifying them (from the filth of disbelief and polytheism), and teaching them the Book (this Qur’ân, Islâmic laws and Islâmic jurisprudence) and Al-Hikmah (As-Sunnah: legal ways, orders, acts of worship, etc. of Prophet Muhammad SAW). And verily, they had been before in mainfest error
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا
مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ
وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن
قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
এখানে যাদেরকে উম্মি বলা হচ্ছে তারা যদি ইমান আনে যদি ইসলাম গ্রহণ করে আত্নসমর্পণ করে তাহলে কি তাদেরকে অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন বলা হবে, না তারা উম্মিই থাকবে?
So if they dispute with you (Muhammad SAW) say: ”I have submitted myself to Allâh (in Islâm), and (so have) those who follow me.” And say to those who were given the Scripture (Jews and Christians) and to those who are illiterates (Arab pagans): ”Do you (also) submit yourselves (to Allâh in Islâm)?” If they do, they are rightly guided; but if they turn away, your duty is only to convey the Message; and Allâh is All-Seer of (His ) slaves
Among the people of the Scripture (Jews and Christians) is he who, if entrusted with a Cantar (a great amount of wealth, etc.), will readily pay it back; and among them there is he who, if entrusted with a single silver coin, will not repay it unless you constantly stand demanding, because they say: ”There is no blame on us to betray and take the properties of the illiterates (Arabs).” But they tell a lie against Allâh while they know it.
আমি জানি উম্মি শব্দের অর্থ ignorant, unaware, অজ্ঞান, অনবগত। আপনি বাংলা লিখতে পড়তে জানেন, কিন্তু আরবি জানেন না এর অর্থ হলো আপনি আরবিতে উম্মি। এখানে উম্মিগণ বলতে (Arabs) বুঝানো হয়েছে, মুহাম্মদের নবুওতি সম্মন্ধে অজ্ঞান বুঝানো হয়েছে, আহলে কিতাবের বিপরীতে (Arab pagans) বুঝানো হয়েছে যারা ধর্মগ্রন্থ সম্মন্ধে জানেনা, কোথাও নিরক্ষর বুঝানো হয় নাই। এবার আপনার অন্য কোন ব্যাখ্যা থাকলে বলুন।
আকাশ মালিকের ইসলামের উৎপত্তি নিয়ে প্রবন্ধগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকদিন ধরেই তিনি এগুলো নিয়ে লিখছেন। ধর্মবাদীদের গেলানো ইতিহাস আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ে চলেছি। মুহম্মদ ‘আল আমীন’ ছিলেন, এক বুড়ি নাকি মুহম্মদের চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখতেন, মুহম্মদের অধিকাংশ যুদ্ধই নাকি ছিলো আত্মরক্ষামূলক ইত্যাদি। আমরা এখব চাঁদের উলটো পিঠ দেখতে চাই। আমরা মিথ এবং অতিকথনের বাইরে গিয়ে ইতিহাসকে বুঝতে চাই। সে দিক দিয়ে আকাশ মালিকের এ লেখা গুলোর গুরুত্ব অসীম। এ লেখাগুলো সংরক্ষণ করে রাখা উচিৎ। মুক্তমনায় আকাশ মালিকের অথর পেইজে তার আগের লেখাগুলো রাখা আছে।
মুক্তমনা সাইটের জন্ম না হলে আমরা হয়ত আকাশ মালিককে লেখক হিসেবে পেতাম না কখনোই। আকাশ মালিকের লেখাগুলো বই হিসেবে বেরুচ্ছে জেনে ভাল লাগছে। শুধু একটাই অনুরোধ – লেখক যেন তার লেখায় রেফারেন্স ব্যবহার করেন। গবেষণামুলক লেখায় এবং বইয়ে রেফারেন্সের গুরুত্ব খুবই বেশি। আমি আশা করব আকাশ মালিক এ ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন। প্রোপার রেফারেন্স না থাকলে এ লেখার বিষয়বস্তুকে কেবল ‘লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত’ হিসেবে চালিয়ে দেবার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যায়।
যেমন – এই লাইনটি –
এ লাইনটি লেখার পর একটা ফুটনোট দেয়া বাধ্যতামুলক ছিলো। কেন ঐতিহাসিকদের মধ্যে সন্দেহ হল? কারা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন?
এ প্রসঙ্গে দুটো হাদিসের কথা বলা যায়। একটি হাদিসে দেখা যাচ্ছে মুহম্মদ নিজ হাতে একটি চুক্তির একটি লাইন কেটে দিচ্ছেন।
Sahih Muslim, Book 019, Number 4401), al-Bara’ b. ‘Azib, one of Mohammad’s gang members testified: “Abu Talib penned the treaty between the Holy Prophet (may peace be upon him) and the polytheists, on the Day of Hudaibiya. ……………..They (the polytheists) said: Do not write the words: “Messenger of Allah.” If we knew that you were the Messenger of Allah, we would not fight against you”. Smart people indeed! The narrator continues….. “The Prophet (may peace be upon him) said to Ali: “Strike out these words!” He, (Ali) said: “I am not going to strike them out.” So the Prophet (may peace be upon him) struck them out with his own hand………….”.
যিনি লিখতে -পড়তে জানতেন না, তিনি কিভাবে চুক্তি থেকে লাইন কেটে ফেললেন?
আবার আরেকটা হাদিসে আছে যে মুহম্মদ নিজেই একটি ডকুমেন্ট রচনা করেছিলেন –
যিনি লিখতে পড়তে জানতেন না, তিনি কি করে ডকুমেন্ট রচনা করেন? এ সমস্ত হাদিসের বাইরেও আরো অনেক প্রমাণ আছে যে গুলো থেকে মনে হতে পারে যে ‘মুহম্মমদ নিরক্ষর ছিলেন’ – এ ব্যাপারটা হয়ত সংশয়মুক্ত নয়। যা হোক আমার মন্তব্যের বক্তবব্য হল – যখনই বহুল প্রচলিত চিন্তাধারার উলটো কিছু লিপিবদ্ধ হবে, তখন যেন প্রোপার রেফারেন্স দেয়া হয় ফুটনোটে।
Dear Readres:
Please allow me to suggest you to read a book by
‘Maxime Rodinson’, named “Muhammad, biography of a prophet”.
You can read about Maxime Rodinson in Wikipidia.
Those who are interested to learn about Muhammad, the prophet – from social point of view
this book would help a lot to understand.
ইতিহাসকে সম্পূর্ণ নিরেপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখা সম্ভব না-তবুও পারিপার্শিক সময় এবং ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের ধারাকে না মেনে ইতিহাস হয় না।
মুসলিমদের মধ্যে প্রায় সবার মধ্যেই আমেরিকা এবং জর্জ বুশের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষোভ। কারন ইরাক আক্রমন। একটি নিরাপরাধ দেশকে শুধু সম্পদের কারনে আক্রমন কোন সন্দেহ নেই সভ্যতার লজ্জা।
তবে ধার্মিক মুসলমানরা যখন, বুশের সমালোচনা করে, আমি তাদের এই প্রশ্নটাই করি।
যদি শুধু দুটি যুদ্ধের জন্যে বুশকে তারা ঘৃণা করেন, তাহলে তার থেকেও আরো অনেক বেশী আগ্রাসী যুদ্ধের জন্যে হজরত মহম্মদকে ঘৃণা করেন না কেন?
এর উত্তরে পাবেন-হজরত মহম্মদ “রাইটফুল” অর্থাৎ ন্যায় যুদ্ধ করেছেন-আল্লার নির্দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যুদ্ধ করেছেন।
আমি উত্তর দিই বুশের ভক্ত টেক্সান খৃষ্টানরাও বুশ সম্মন্ধে তাই ভাবে। বুশ গণতন্ত্র তথা খ্রীষ্ঠের মহান রক্ষক হিসাবে গড প্রেরিত প্রেসিডেন্ট যিনি ইরাকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন। তাহলে মুসলমান আর খ্রীষ্ঠানদের মধ্যে পার্থক্য কি রইল।
এর উত্তর ও পাবেন। বুশ আসলেত তেলের -অর্থাৎ সম্মদ লুন্ঠনের জন্যে যুদ্ধ করছেন-এত আমরা সবাই জানি!
আমি সঙ্গে সঙ্গে বলি এই বদরের যুদ্ধ বা অন্য যেকোন যুদ্ধ, যা মহম্মদ করেছেন-তার কোনটা সম্মদ লুন্ঠনের জন্যে নয়?
আদিম কাল থেকেই যুদ্ধ মানেই ধণ সম্মপ্তি লুন্ঠনের যুদ্ধ। সব আগ্রাসী রাজায় নিজেদের আল্লা বা গড বা ঈশ্বর প্রেরিত নির্দেশ বলে, নিজের যুদ্ধকে জাস্টিফাই করত। পরবর্ত্তী কালে লুন্ঠনের ব্যাপারটা একই থাকে-কিন্তু হিটলার বা স্ট্যালিন শ্রেফ স্যোশাল ডারুনিজমের দোহাই দিয়ে যুদ্ধ করেছেন।
যুদ্ধের রং ইসলাম, হিন্দু, খ্রীষ্ঠান, কম্যুনিজম, নাজিজম, গনতন্ত্র-যাইহোক না কেন-যুদ্ধলোভিদের আগ্রাসন সর্বদাই ধনসম্পদ লুন্ঠনের জন্যে।
এইটা যেদিন সব মুসলমান, হিন্দু, খ্রীষ্ঠান, জাতীয়তাবাদি, কম্যুনিউস্টরা বুঝতে পারবে-তাদের প্রফেটরাও আসলেই ধণ সম্মদের জন্যে লালায়িত রক্তমাংসের মানুষ-মানুষে, মানুষে এই বিভেদ অনেক কমে আসবে।
@Biplab Pal, যদিও পোস্ট করার বহু বছর পর কমেন্ট করছি , তবুও করছি, যারা আমার পরে এই পোস্ট পড়বে তাদের জন্য ।আমার ধারণা , আপনি এই মুক্তমনা সাইট ছাড়া আর কথাও ইতিহাস পড়েন নি, পড়েন না । আপনি যে যুদ্ধের কথা বলে আসছেন , তাতে তো আমার মনে হয় (আমার পড়া ইতিহাস থেকে), ধর্মের থেকে অধর্মের ভিত্তিতে যুদ্ধেই বেশি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । আমি আপনাকে রাশিয়ার কথা বলতে পারি। আরও অনেক কিছু বলতে পাড়লেও আমার মনে হয় ইতিহাসের তালীম আপনি আপনার মুক্তমনা গুরুদের থেকেই বেশি পাবেন, তবে আমার পরামর্শ হল, ইতিহাস জেনে, ঐ ইভেন্টগুলো নিয়ে গুরুদের সাজেস্ট করা সূত্র ছারাও বাইরে থেকে কিছু পড়ুন। এই পোস্টটা পড়তে শুরু করেও প্রথম দশভাগের এক ভাগের মধ্যেই ইতিহাস বিকৃতির নোংরা লীলা দেখে বাধ্য হয়ে পড়া বন্ধ করলাম।
যাই হোক, আপনার মনে হয় জানা নেই, মুহাম্মদ (সঃ) নবুয়ত দাবী করার পূর্বেই তাঁর প্রথমা স্ত্রীর সমস্ত সম্পদ তাঁর হয়ে গিয়েছিল ……………… কেননা তাঁর স্ত্রী তাঁর চারিত্রিক মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে সমস্ত বিষয়-সম্পত্তি দান করেন । যে সম্পদের জন্য একজন নারী পুরো আরবে একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হন , তাঁর পরিমান নিশ্চয়ই নিতান্ত কম নয়।
কিন্তু আমার কথা, আপনি কি জানেন ঐ সম্পদ দিয়ে তিনি কি করেছিলেন ?? আপনার মুক্তমনা গুরু কি বলে ?? জানাবেন।
যে নবী সম্পদের মোহে অন্ধ হয়ে এরূপ যুদ্ধের নোংরা লীলা শুরু করেছিলেন (এটা আপনার ধারনা মাত্র) তাঁর মৃত্যুর সময় কি হয়েছিল ?? কেউ কি তাঁর সম্পদ লুট করে নিয়ে গিয়েছিল ? টা নাহলে তাঁর ঘরে বাতি জালানোর তেল ছিল না ??
আর এই নোংরা খেলার মধ্য দিয়ে যে সালতানাতের সূচনা হয়েছিল, তাতে কিনা জাকাত নেবার লোক পাওয়া যেত না।
যুদ্ধ গুলোর ইতিহাস কি ??
বদর !!!
মুসল্মান রা যুদ্ধের জন্য পুরো প্রস্তুত হয়ে ৩০০ সৈন্য নিয়ে এল ১০০০ এর মোকাবেলায় ?? আর ঐদিকে মক্কায় খবর যেতেই কিনা ১০০০ রেডিমেড সৈন্য অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হাযির ??
কারা প্রস্তুত ছিল যুদ্ধের জন্য ?
বাকি কথা গুলো পুরো পোস্টটা পড়ে তারপর লিখব।
ইতিহাসের এহেন বিশ্লেষণ কি হাস্যকর নয় ?
মিথ্যাচারের বাধের শক্তি আর কত ?? সত্যের স্রোতের প্রাবল্য যে কেবলি বাড়ছে ।
Hi Akash,
Your articles are very informative, thought provoking and convincing. Could you please publish your books in english. Mainly because, I interact with non-bengali muslims ( practising and non-practising) who are very ignorant and stubborn. Please let me know. Your work will be a great help to enlighten people, and save humankind. Thank you.
Regards.
Please give scanned original Arabic pages of:-
1. The Secrets of Revelation and The Secrets of InterpretationÕ edited by H. O. Fleischer. 2 vols., Leipzig, 1846-1848; indices ed. W. Fell, Leipzig, 1878), and
2. “Asbaab Al-Nuzool” by Al-Wahidi Al-Naysaboori – Page 126 – Beirute’s Cultural Libary Edition “Tub’at Al-Maktabah Al-thakafiyyah Beirute“)
@Hasan Mahmud, স্যার আপনি এই সাইট এ যোগ দিয়েছেন দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। আপনার জন্য ও আপনাদের অর্থাৎ মুক্তমনাদের জন্য শুভকামনা। সাবু বড়ু