বিশ্বাসের ভাইরাস
ভারতের ৯/১১
যখন এ লেখাটা লিখছি তখন মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলায় দেড়শ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। প্রায় ৫০ জন ফিদাইন জঙ্গী সবমিলিয়ে তাজ হোটেল সহ মুম্বাইয়ের ৫ টা বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক আক্রমন করে আখচার গোলাগুলি করে নিমেষ মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ফেলল। ডেকান মুজাহিদিন নামের একটি অজানা সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘটনার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে, যদিও আলকায়দা, ভারতীয় মুজাহিদিন এবং সর্বোপরি অন্যান্য পাকিস্তানী টেরর গ্রুপের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। নিহত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে পাঁচজন আমেরিকান সহ পনের জন বিদেশীর মৃত্যুর ব্যাপারটা নিশ্চিত করা গেছে। ঘটনার ভয়াবহতা এতই বেশি যে, অনেকেই ঘটনাটিকে ভারতের ৯/১১ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সিএন এন সারা দিন ধরে ভারতের ঘটনাবলী সরাসরি সম্প্রচার করে চলেছে এখনো।
একটা প্রশ্ন আমাকে বরাবরই আমাকে উদ্বিগ্ন করে। কেন এই সব তরুন যুবকরা কেন আত্মঘাতি পথ বেছে নিচ্ছে? কেন তারা সন্ত্রাসবাদের পথ বেছে নিচ্ছে? ঘটনা তো একটা দুটো নয়, সারা বিশ্ব জুড়েই ঘটে চলেছে শত শত। শুধু মুম্বাইয়েই ২০০৫ সালের পর সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটেছে অন্ততঃ দশটি, যেগুলোর সাথে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ আছে বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস নির্ভর সন্ত্রাসবাদ এত ব্যাপক আকারে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পরার পেছনে কোন নৃতাত্ত্বিক, মনস্তাত্ত্বিক কিংবা জীববৈজ্ঞানিক কারণ আছে কিনা তা খূজে দেখাকে আমি আসলেই এখন জরুরী মনে করি।
বিবর্তনবাদ কি এ ব্যাপারে আমাদের কোন পথ দেখেতে পারে? অনেক সামাজিক জীববিজ্ঞানীই কিন্তু মনে করেন পারে। আমরা যতই নিজেদের যুক্তিবাদি কিংবা অবিশ্বাসী বলে দাবী করি না কেন, এটা তো অস্বীকার করার জো নেই – ‘বিশ্বাসের’ একটা প্রভাব সবসময়ই সমাজে বিদ্যমান ছিলো। না হলে এই বিংশ শতাব্দীতে এসেও প্রাচীণ ধর্মগুলো স্রেফ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে এভাবে টিকে থাকে কিভাবে? এখানেই হয়ত সামাজিক বিবর্তনবাদের তত্ত্বগুলো গুরুত্বপূর্ণ। এটা মনে করা ভুল হবে না যে, ‘বিশ্বাস‘ ব্যাপারটা মানব জাতির বেঁচে থাকার পেছনে হয়তো কোন বাড়তি উপাদান যোগ করেছিল একটা সময়। মানুষ আদিমকাল থেকে বহু সংঘাত, মারামারি এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গিয়ে আজ এই পর্যায়ে এসে পৌছেছে। একটা সময় সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করাটা ছিল মানব জাতির টিকে থাকার ক্ষেত্রে অনেক বড় নিয়ামক। যে গোত্রে বিশ্বাস ঢুকিয়ে দিতে পারা গিয়েছিল যে যোদ্ধারা সাহসের সাথে যুদ্ধ করে মারা গেলে পরলোকে গিয়ে পাবে অফুরন্ত সুখ, সাচ্ছ্বন্দ্য, হুর পরী উদ্ভিন্নযৌবনা চিরকুমারী অপ্সরা, (আর বেঁচে থাকলে তো আছেই সাহসী যোদ্ধার বিশাল সম্মান আর পুরস্কার) – তারা হয়ত অনেক সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছে এবং নিজেদের এই যুদ্ধাংদেহী জীন পরবর্তী প্রজন্মে বিস্তৃত করতে সহায়তা করেছে। মুক্তমনার ইবুক ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’এ রিচার্ড ডকিন্সের একটি চমৎকার প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ‘ধর্মের উপযোগিতা‘ নামে। প্রবন্ধটিতে ডকিন্স এ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন।
ডকিন্সের লেখাটি থেকে একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় উল্লেখ করি। মানব সভ্যতাকে অনেকে শিশুদের মানসজগতের সাথে তুলনা করেন। শিশুদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনেই একটা সময় পর্যন্ত অভিভাবকদের সমস্ত কথা নির্দ্বিধায় মেনে চলতে হয় –এ আমরা জানি। ধরা যাক একটা শিশু চুলায় হাত দিতে গেল, ওমনি তার মা বলে উঠল – চুলায় হাত দেয় না – ওটা গরম! শিশুটা সেটা শুনে আর হাত দিল না, বরং সাথে সাথে হাত সরিয়ে নিলো। মার কথা শুনতে হবে – এই বিশ্বাস পরম্পরায় আমরা বহন করি – নইলে যে আমরা টিকে থাকতে পারবো না, পারতাম না। এখন কথা হচ্ছে – সেই ভাল মা–ই যখন অসংখ্য ভাল উপদেশের পাশাপাশি আবার কিছু মন্দ বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন উপদেশও দেয় –‘শনিবার ছাগল বলি না দিলে অমঙ্গল হবে’, কিংবা ‘রসগোল্লা খেয়ে অংক পরীক্ষা দিতে যেও না – গেলে গোল্লা পাবে’ জাতীয় – তখন শিশুর পক্ষে সম্ভব হয় না সেই মন্দ বিশ্বাসকে অন্য দশটা বিশ্বাস কিংবা ভাল উপদেশ থেকে আলাদা করার। সেই মন্দবিশ্বাসও বংশপরম্পরায় সে বহন করতে থাকে অবলীলায়। সব বিশ্বাস খারাপ নয়, কিন্তু অসংখ্য মন্দ বিশ্বাস হয়ত অনেক সময় জন্ম দেয় ‘বিশ্বাসের ভাইরাসের‘। এগুলো একটা সময় প্রগতিকে থামাতে চায়, সভ্যতাকে ধ্ব্বংস করে। যেমন, ডাইনী পোড়ানো, সতীদাহ, বিধর্মী এবং কাফেরদের প্রতি ঘৃণা, মুরতাদদের হত্যা এগুলোর কথা বলা যায়।
বিশ্বাসের ভাইরাস
‘বিশ্বাসের ভাইরাস‘ ব্যাপারটা এই সুযোগে আর একটু পরিস্কার করে নেয়া যাক। একটা মজার উদাহরণ দেই ডেনিয়েল ডেনেটের সাম্প্রতিক ‘ব্রেকিং দ্য স্পেল‘ বইটি থেকে। আপনি নিশ্চয়ই ঘাসের ঝোপে কিংবা পাথরের উপরে কোন কোন পিপড়াকে দেখেছেন – সারাদিন ধরে ঘাসের নীচ থেকে ঘাসের গা বেয়ে কিংবা পাতরের গা বেয়ে উপরে উঠে যায়, তারপর আবার ঝুপ করে পড়ে যায় নিচে, তারপর আবারো গা বেয়ে উপরে উঠতে থাকে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে – এই বেয়াক্কেলে কলুর বলদের মত পন্ডশ্রম করে পিপড়াটি কি এমন বাড়তি উপযোগিতা পাচ্ছে, যে এই অভ্যাসটা টিকে আছে কেন? কোন বাড়িতি উপযোগিতা না পেলে সারাদিন ধরে সে এই অর্থহীন কাজ করে যাচ্ছে কেন? আসলে সত্যি বলতে কি – এই কাজের মাধ্যমে সে বাড়তি কোন উপযোগিতা তো পাচ্ছেই না, বরং ব্যাপারটি সম্পুর্ণ উলটো। গবেষনায় দেখা গেছে পিপড়ার মগজে থাকা ল্যাংসেট ফ্লুক নামে এক ধরনের প্যারাসাইট এর জন্য দায়ী। এই প্যারাসাইট বংশবৃদ্ধি করতে পারে শুধুমাত্র তখনই যখন কোন গরু বা ছাগল একে ঘাসের সাথে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ফলে প্যারাসাইট টা নিরাপদে সেই গরুর পেটে গিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। পুরো ব্যাপারটাই এখন জলের মত পরিস্কার – যাতে পিপড়াটা কোন ভাবে গরুর পেটে ঢুকতে পারে সেই দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ঘাস বেয়ে তার উঠা নামা। আসলে ঘাস বেয়ে উঠা নামা পিপড়ের জন্য কোন উপকার করছে না বরং ল্যাংসেট ফ্লুক কাজ করছে এক ধরনের ভাইরাস হিসবে – যার ফলশ্রুতিতে পিপড়ে বুঝে হোক, না বুঝে তার দ্বারা অযান্তেই চালিত হচ্ছে। আমাদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা প্রথাগত বিশ্বাসের ‘ভাইরাসগুলোও‘ কি আমাদের সময় সময় এভাবে আমাদের অযান্তেই বিপথে চালিত করে না কি? আমরা আমাদের বিশ্বাস রক্ষার জন্য প্রাণ দেই, বিধর্মীদের হত্যা করি, টুইন টাওয়ারের উপর হামলে পড়ি, সতী নারীদের পুড়িয়ে আত্মতৃপ্তি পাই, বেগানা মেয়েদের পাত্থর মারি …।
ছবিঃ ল্যাংসেট ফ্লুক নামের প্যারাসাইটের কারণে পিপড়ের মস্তিস্ক আক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন পিপড়ে কেবল চোখ বন্ধ করে পাথরের গা বেয়ে উঠা নামা করে। ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোও কি মানুষের জন্য একেকটি প্যারাসাইট?
ধর্মগ্রন্থের যে অংশগুলোতে জিহাদের কথা আছে (২:২১৬, ২: ১৫৪), উদ্ভিন্নযৌবনা হুরীদের কথা আছে (৫২: ১৭-২০, ৪৪: ৫১-৫৫, ৫৬:২২), ‘মুক্তা সদৃশ’ গেলমান দের কথা আছে (৫২:২৪) সে সমস্ত ‘পবিত্র বাণী’গুলো ছোটবেলা থেকে মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে কিংবা বছরের পর বছর সৌদি পেট্রোডলারে গড়ে ওঠা মাদ্রাসা নামক আগাছার চাষ করে বিভিন্ন দেশে তরুণ সমাজের কিছু অংশের মধ্যে এক ধরণের ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ তৈরি করা হয়েছে; ফলে এই ভাইরাস আক্রান্ত জিহাদীরা স্বর্গের ৭২ টা হুর-পরীর আশায় নিজের বুকে বোমা বেঁধে আত্মাহূতি দিতেও আজ দ্বিধাবোধ করে না, ইহুদি, কাফের নাসারাদের হত্যা করে ‘শহীদ’ হতে কার্পন্যবোধ করে না। ল্যান্সফ্লুক প্যারাসাইটের মত তাদের মনও কেবল একটি বিশ্বাস দিয়ে চালিত – অমুসলিম কাফেরদের হত্যা করে সারা পৃথিবীতে ইসলাম কায়েম করতে হবে, আর পরকালে পেতে হবে আল্লাহর কাছ থেকে উদ্ভিন্নযৌবণা আয়তলোচনা হুর-পরীর লোভনীয় পুরস্কার। তারা ওই ভাইরাস আক্রান্ত পিপড়ের মত হামলে পড়ছে কখনো টুইন টাওয়ারে, কখনো রমনার বটমূলে কিংবা তাজ হোটেলে।
কিভাবে বিশ্বাসের ক্ষতিকর ভাইরাসগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে সঞ্চালিত হয়, তা বৈজ্ঞানিকভাবে বুঝতে হলে আমাদের জানতে হবে আধুনিক মিম তত্ত্বকে। মিম নামের পরিভাষাটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন জীববিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স ১৯৭৬ সালে, তার বিখ্যাত বই ‘দ্য সেলফিশ জিন’-এ। আমরা তো জিন-এর কথা ইদানিং অহরহ শুনি। জিন হচ্ছে মিউটেশন, পুনর্বিন্যাস ও শরীরবৃত্তিক কাজের জন্য আমাদের ক্রোমোজমের ক্ষুদ্রত্তম অভিবাজ্য একক। সহজ কথায়, জিন জিনিসটা হচ্ছে শারীরবৃত্তীয় তথ্যের অখন্ড একক যা বংশগতীয় তথ্যকে এক প্রজন্ম থেকেপরবর্তী প্রজন্মে ছড়িয়ে দেয়। জিন যেমন আমাদের শরীরবৃত্তিয় তথ্য বংশ পরম্পরায় বহন করে, ঠিক তেমনি সাংস্কৃতিক তথ্য বংশপরম্পরায় বহন করে নিয়ে যায় ‘মিম’। কাজেই ‘মিম’ হচ্ছে আমাদের ‘সাংষ্কৃতিক তথ্যের একক’, যা ক্রমিক অনুকরণ বা প্রতিলিপির মধ্যমে একজনের মন থেকে মনান্তরে ছড়িয়ে পড়ে, ঠিক যেভাবে শারীরবৃত্তীয় তথ্যের একক জিন ছড়িয়ে পড়ে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে। যে ব্যক্তি মিমটি বহন করে তাদের মিমটির ‘হোস্ট’ বা বাহক বলা যায়। ‘মেমেপ্লেক্স’ হল একসাথে বাহকের মনে অবস্থানকারী পারষ্পরিক সম্পর্কযুক্ত একদল ’মিম’, । কোন বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস, রীতি-নীতি, কোন দেশীয় সাংষ্কৃতিক বা কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ –এগুলো সবই মেমেপ্লেক্সের উদাহরণ। সুসান ব্ল্যাকমোর তার ‘মিম মেশিন’ বইয়ে মেমেপ্লেক্সের অনেক আকর্ষনীয় উদাহরণ হাজির করেছেন। সুসান ব্ল্যাকমোর মনে করেন জিন এবং মিমের সুগ্রন্থিত সংশ্লেষই মানুষের আচার ব্যবহার, পরার্থতা, যুদ্ধাংদেহী মনোভাব, রিতী-নীতি কিংবা কুসংস্কারের অস্তিত্বকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম – সংঘাত নাকি সমন্বয়?’ ই-বইটিতে দিগন্ত সরকার ধর্মের উৎসসন্ধানে নামের বাংলা প্রবন্ধটিতে মিমবিন্যাসের আলোকে ধর্মের উৎপত্তির ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা মুলতঃ ডকিন্স এবং সুসান ব্ল্যাকমোরের মিম নিয়ে আধুনিক চিন্তাধারারই অনিন্দ্যসুন্দর প্রকাশ।
কোন সাংস্কৃতিক উপাদান কিংবা কোন বিশেষ ধর্মীয় বিশ্বাস কিভাবে মিমের মাধ্যমে জণপুঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে? মানুষের মস্তিস্ক এক্ষেত্রে আসলে কাজ করে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার যেভাবে কাজ করে অনেকটা সেরকমভাবে। আর মিমগুলো হচ্ছে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের মধ্যে ইন্সটল্ড সফটওয়্যার যেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সফটওয়্যার গুলো ভালমত চলতে থাকে ততক্ষণ তা নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা থাকে না। কিন্তু কখনো কখনো কোন কোন ডাউনলোড করা ইন্সটল্ড সফটওয়্যারগুলো ভাল মানুষের (নাকি ‘ভাল মিমের’ বলা উচিৎ) ছদ্মবেশ নিয়ে ‘ট্রোজান হর্স’ হয়ে ঢুকে পড়ে। এরাই আসলে বিশ্বাসের ক্ষতিকর ভাইরাসগুলো। এরা সূঁচ হয়ে ঢুকে, আর শেষ পর্যন্ত যেন ফাল হয়ে বেরোয়। যতক্ষণে এই ভাইরাসগুলোকে সনাক্ত করে নির্মূল করার ব্যবস্থা নেয়া হয় – ততক্ষণে আমাদের হার্ডওয়্যারের দফা রফা সাড়া। এই বিশ্বাসের ভাইরাসের বলি হয়ে প্রাণ হারায় শত সহস্র মানুষ – কখনো নাইন-ইলেভেনে, কখনো বা বাবড়ি মসজিদ ধ্বংসে কখনো বা তাজ হোটেলে গোলাগুলিতে। Viruses of the Mindশীর্ষক একটি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধে অধ্যাপক রিচার্ড ডকিন্স দেখিয়েছেন কিভাবে কম্পিউটার ভাইরাসগুলোর মতই আপাতঃ মধুর ধর্মীয় শিক্ষাগুলো কিভাবে সমাজের জন্য ট্রোজান হর্স কিংবা ওয়ার্ম ভাইরাস হিসেবে কাজ করে তিলে তিলে এর কাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলতে চায়। আরো বিস্তৃতভাবে জানবার জন্য পাঠকেরা পড়তে পারেন ২০০৪ সালে রিচার্ড ব্রডির লেখা ‘Virus of the Mind: The New Science of the Meme’ নামের বইটি। এ বইটি থেকে বোঝা যায় ভাইরাস আক্রান্ত মস্তিস্ক কি শান্তভাবে রবোটের মত ধর্মের আচার আচরণগুলো নির্দ্বিধায় পালন করে যায় দিনের পর দিন, আর কখনো সখনো বিধর্মী নিধনে উন্মত্ত হয়ে ঊঠে; একসময় দেখা দেয় জিহাদ কিংবা ক্রুসেডের মহামারী।
ছবিঃ ভাইরাস অব মাইন্ড – রিচার্ড ব্রডি
ভাইরাস আক্রান্ত মনন
ভাইরাস আক্রান্ত মন-মানসিকতার উদাহরণ আমাদের চারপাশেই আছে ঢের। কিছু উদাহরণ তো দেয়াই যায়। এই ধরণের ভাইরাস-আক্রান্ত মননের সাথে বিতর্ক করার অভিজ্ঞতা আমার খুবই তিক্ত। তার কিছু কিছু বর্ণনা আমি আমার ‘নৈতিকতা কি কেবল বেহেস্তে যাওয়ার পাসপোর্ট’ সহ আগের বেশ কিছু প্রবন্ধে রেখেছি। আপনি যত ভাল যুক্তি দেন না কেন, পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, নৃতত্ত্ব এবং সমাজবিজ্ঞান থেকে যত আধুনিক এবং অথেন্টিক গবেষণারই উল্লেখ করুন না কেন, তারা চির আরাধ্য ধর্মগ্রন্থকে মাথায় করে রাখবেন আর আপনার প্রতি গালি গালাজের বন্যা বইয়ে দেবে। এই ধরণের অভিজ্ঞতা শুধু আমার নয়, বোধ হয় অনেক লেখকদেরই আছে। নন্দিনী হোসেন আমার বইয়ের জন্য একটি চমৎকারলেখা লিখেছেন –‘পুরুষ রচিত ধর্মেবিকলাংগ নারী’। লেখাটি মুক্তমনায় প্রকাশের পর ইন্টারনেটে গলাবাজি করা এক অতিবিশ্বাসী ‘মডারেট মুসলিম’-এর আঁতে ঘা লেগে গেলো। তিনি একটি ইসলামী সাইটে হর হর করে একটি লেখা লিখে ফেললেন –‘নন্দিনীও একাধিক স্বামী চান’ শিরোনামে। অথচ নন্দিনী কোথাও একাধিক স্বামী চাওয়ার কথা লেখেননি; ধর্মগ্রন্থ থেকে পুরূষ এবং নারীর মধ্যকার অসাম্য এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী কিছু আয়াতের উল্লেখ করেছিলেন মাত্র, তাও একেবারেই মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে। এর মধ্যে স্বামীর স্ত্রীকে প্রহারের অধিকার, স্বমীর নির্দ্বিধায় তালাকের অধিকার, দাস-দাসী উপভোগের অধিকার, উত্তরাধিকার আইনে নারীকে বঞ্চিত করা, সাক্ষীর ক্ষেত্রে দুইজন নারী একজন পুরুষের সমান বলা সহ বিভিন্ন বিষয় আছে। ব্যাস ওই ধার্মিক ভদ্রলোক এবং তার পোষ্য ইসলামিক সাইটের মডারেটর বলা শুরু করলেন নন্দিনীও একাধিক স্বামী চান। যুক্তির বলিহারি বটে। শুধু তাই নয়, উদ্ভট রিসার্চ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন, নন্দিনীর বাবা মা দুই ধর্মের, তাদের মধ্যে পারিবারিক সমস্যা ছিলো – তাই নন্দিনী এগুলো লিখছে! নন্দিনী অবশ্য প্রতিবাদ করেছেন তার সাইটে- বলেছেন এগুলো ডাহা মিথ্যে কথা। বলেছেন, ‘কারো ব্যক্তিগত ব্যাপার নিয়ে লিখবার আগে ভাল করে জেনে নেওয়া ভাল’। কিন্তু আমার প্রশ্ন তা নয়, আমার প্রশ্ন হল – নন্দিনী তো লেখার মাধ্যমে কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি, ধর্মগ্রন্থের কয়েকটি আয়াতকে কেবল সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেছেন মাত্র। অথচ ওই অতি বিশ্বাসী ভদ্রলোক ধর্মের সমালোচনা সইতে না পেরে মাত্রাজ্ঞান হারিয়ে নন্দিনীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা শুরু করে দিলেন। শুধু নন্দিনীকে আক্রমণ করেই ক্ষান্ত হলেন না, তার বাবা মা চোদ্দগুষ্টি পর্যন্ত চলে গেলেন। এই হচ্ছে ধার্মিকদের তথাকথিত মূল্যবোধ। ভাবখানা যেন, যুক্তি কন্ডন করতে না পেরে ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেই তার মত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে আর কি। ওই ‘ভদ্রলোক’কে কি করে বোঝানো যাবে যে, নন্দিনীর বাবা-মার মধ্যে যদি সমস্যাও থেকে থাকেও, সেটা নন্দিনী ইসলামের যে সমস্যাগুলোর কথা বর্ণনা করেছে তা খন্ডন করার জন্য যথেষ্ট নয়, বরং হাস্যকর রকমের অপ্রসঙ্গিক এবং খেলো। ওই ভদ্রলোক ধর্মের নেশায় এমনই বুঁদ হয়ে গিয়েছিলেন যে, তিনি লেখার জবাব দিতে গিয়ে যে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন, সেই বোধটুকুও তার ছিলো না। বোঝা যায়, ভদ্রলোকের মাথা আসলে পুরোটাই ভাইরাস আক্রান্ত।
ওই ‘মডারেট’ ভদ্রলোক হয়ত ভাইরাস আক্রান্ত মননের খুব ছোট উদাহরণ। কিন্তু ভাইরাস আক্রান্ত মননের চরম উদাহরণগুলো হাজির করলে বোঝা যাবে কিভাবে ধরণের মানসিকতাগুলো সমাজকে পঙ্গু করে দেয়, কিংবা কিভাবে সমাজের প্রগতিকে থামিয়ে দেয় । এর অজস্র উদাহরণ সাড়া পৃথিবী জুড়ে পাওয়া যাবে। কিছু প্রাচীণ সভ্যতার ইতিহাস থেকে দেখা যায়, যখন কোন নতুন প্রাসাদ কিংবা ইমারত তৈরি করা হত, তার আগেসেই জায়গায় শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত – এই ধারণা থেকে যে, এটি প্রাসদের ভিত্তিমজবুত করবে। অনেক আদিম সমাজেই বন্যা কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকেরক্ষা পাওয়ারজন্য কুমারী উৎসর্গ করার বিধান ছিল; কেউ কেউ সদ্যজন্মলাভ করা শিশুদেরহত্যা করত, এমনকি খেয়েও ফেলত। কোন কোন সংস্কৃতিতে কোন বিখ্যাত মানুষ মারা গেলে অন্যমহিলা এবং পুরুষদেরও তার সাথে জীবন্ত কবর দেওয়া হত, যাতে তারা পরকালে গিয়ে পুরুষটিরকাজে আসতে পারে। ফিজিতে ‘ভাকাতোকা’ নামে এক ধরনের বিভৎস রীতি প্রচলিত ছিল যেখানে একজনেরহাত-পা কেটে ফেলে তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে সেই কর্তিত অংগগুলো খাওয়া হত। আফ্রিকার বহুজাতিতে হত্যার রীতি চালু আছে মৃত-পূর্বপুরুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য।ভারতে সতীদাহের নামে হাজার হাজার মহিলাদের হত্যা করার কথা তো সবারই জানা। এগুলো সবই মানুষ করেছে ধর্মীয় রীতি-নীতিকে প্রাধান্যদিতে গিয়ে, অদৃশ্য ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে গিয়ে। এধরনের ‘ধর্মীয় হত্যা‘ সম্বন্ধে আরোবিস্তৃতভাবে জানবার জন্য ডেভিড নিগেলের ‘Human Sacrifice: In History And Today’বইটি পড়া যেতে পারে। এগুলো সবই সমাজে ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামক আগাছার চাষ ছাড়া আর কিছু নয়।
অন্ধবিশ্বাস নামক ভাইরাসগুলো কিভাবে সন্ত্রাসবাদী তৈরীর কারখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয় – তার কিছু উদাহরণ আমি রেখেছি আমার ‘নৈতিকতা কি কেবল বেহেস্তে যাওয়ার পাসপোর্ট’ নামের একটি প্রবন্ধে। প্রতিটি ধর্মগন্থের মত কোরানেও বেশ কিছু ভাল ভাল কথাবার্তা আছে যেগুলো নিয়ে ইসলামিস্টরা যারপর নাই গর্ববোধ করে। যেমন, ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই (২ : ২৫৬), তোমার ধর্ম তমার কাছে, আমার ধর্ম আমার (১০৯ : ৬), এমনকি কোরানের নির্দেশ আছে শত্রুর প্রতি ভাল ব্যবহার করার (২ : ৮৩) ইত্যাদি। কিন্তু সেই কোরানেই আবার আছে – যেখানেই অবিশ্বাসীদের পাওয়া যাক তাদের হত্যা করতে (২:১৯১, ৯:৫), তাদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হতে, কঠোর ব্যবহার করতে (৯:১২৩), আর যুদ্ধ করে যেতে (৮:৬৫)। কোরাণ শেখাচ্ছে বিধর্মীদের অপদস্ত করতে আর তাদের উপর জিজিয়া কর আরোপ করতে (৯:২৯)। কোরাণ ইহুদী এবং নাসারাদের সাথে বন্ধুত্বটুকু করতে পর্যন্ত নিষেধ করছে (৫:৫১), এমনকি নিজের পিতা বা ভাই যদি আবিশ্বাসী হয় তাদের সাথে সম্পর্ক না রাখতে উদ্বুদ্ধ করছে (৯:২৩, ৩:২৮) ইত্যাদি।
কোরানের পরস্পরবিরোধিতার এর চেয়ে ভাল নমুনা আর কি হতে পারে। কোরান কেন প্রতিটি ধর্মগ্রন্থই ত আসলে এরকম। ভালমানুষেরা ভাল ভাল বানীগুলো থেকে ভালমানুষ হবার অনুপ্রেরনা পায়, আবার সন্ত্রাসবাদীরা ভায়োলেন্ট ভার্সগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পায় সন্ত্রাসী হবার। সেজন্যই তো ধর্মগ্রন্থগুলো –একেকটি ট্রোজান হর্স – ছদ্মবেশী ভাইরাস! কি করে হলফ করে বলা যাবে যে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাওয়া নীচের ভাইরাসরূপী আয়াতগুলো সত্যই জিহাদী সৈনিকদের সন্ত্রাসবাদে উৎসাহিত করছে না ?
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে… (২: ২২১৬ )।
আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্তা ব্যতীত অন্য কোন বিষয়ের যিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন (৪ : ৮৪)।
হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করো না; তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ্ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না (৫: ৫১)।
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত (৩:৮৫ )।
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় (৮:৩৯)।
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ্ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ্ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে (৯:২৯)।
অত:পর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দার মার, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অত:পর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও। … যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না (৪৭:৪) ।
অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না (৪:৮৯)।
আর তাদেরকে হত্যা কর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে … (২:১৯১)
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহ্র দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয় (২:১৯৩)।
আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব| কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায় (৮:১২)।
অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর| আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক (৯:৫)।
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্খলাভিষিক্ত করবেন (৯:৩৯)…ইত্যাদি।
ধর্মবিশ্বাসীরা জোর গলায় বলেন, কোরাণ কখনো সন্ত্রাসবাদে কাউকে উৎসাহিত করে না, কাউকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্ররোচিত করে না, ইত্যাদি। এটা সত্যি সরাসরি হয়ত কোরানে বুকে পেটে বোমা বেধে কারো উপরে হামলে পড়ার কথা নেই; কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, কোরাণ খুললেই পাওয়া যায় যে – যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ্ কখনই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না (৪৭:৪), কোরাণে বলা হয়েছে – আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না (৩:১৬৯); কিংবা বলা হয়েছে – যদি আল্লাহর পথে কেউ যুদ্ধ করে মারা যায় তবে তার জন্য রয়েছে জান্নাত (৯:১১১)।
আর আল্লাহর পথে শহীদদের জন্য জান্নাতের পুরস্কার কেমন হবে? আল্লাহ কিন্তু এ ব্যাপারে খুব পরিস্কার –
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি (৫৫:৫৬)।
তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ, যেন তারা সুরক্ষিত ডিম (৩৭:৪৮-৪৯); সুশুভ্র (wine) যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু (৩৭: ৪৬)।
আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব (৫২:২…
তাঁবুতে অবস্খানকারিণী হুরগণ (৫৫:৭২); প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ (৫৫:-৫৮)।
উদ্যান, আঙ্গুর, পূর্ণযৌবনা (full-breasted) তরুণী এবং পূর্ণ পানপাত্র (৭৮: ৩৩-৩৪)।
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরগণ, আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, (৫৬: ২২-২৩)।
আমি জান্নাতী রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি, অত:পর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী (৫৬:৩৫-৩)।
শুধু আয়তলোচনা চিরকুমারীদের লোভ দেখিয়েই আল্লাহ ক্ষান্ত হননি, ব্যবস্থা রেখেছেন গেলমানদেরও।
সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের খেদমতে ঘুরাফেরা করবে (৫২:২৪)।
বেহেস্তে সুরা-সাকী-হুর-পরীর এমন অফুরন্ত ভান্ডারের গ্রাফিক বর্ণনা দেখে দেখে আমারই তো শহীদ হতে মন চায়! এ যদি বিশ্বাসের ভাইরাসের সার্থক উদাহরণ না হয়, তবে আর ভাইরাস বলব কাকে, বলুন?
আজকে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসবাদের যে তুঘলকি কান্ড সংগঠিত হয়ে গেল, তা বিশ্বাসের ভাইরাসের রোগ ছড়ানোর জলজ্যান্ত উদাহরণ। তবে একটি জিনিস কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। কাশ্মিরি জনগনের উপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর লাগাতার অত্যাচার, বাবড়ি মসজিদ ধবংস কিংবা গুজরাটে সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমদের উপর যে ধরণের অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে তা ভুলে যাবার মত বিষয় নয়। মুসলিমরা ভারতের জনগনের প্রায় ১৪ শতাংশ। অথচ তারাই ভারতে সবচেয়ে নিপিরীত, অত্যাচারিত এবং আর্থসামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এক জনগোষ্ঠি। এ বাস্তবতাটুকুও বিশ্লেষনের সময় মাথায় রাখতে হবে।
ভাইরাস প্রতিষেধক
তাহলে এই সন্ত্রাসের ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায় কি করে? ভাইরাস যে প্রতিরোধ করতেই হবে – এ নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। কারণ এ ভাইরাস প্রতিরোধ না করতে পারলে এ ‘সভ্যতার ক্যান্সারে’ রূপ নিয়ে আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করবে। একই কথা ডঃ বিপ্লব পাল বলেছেন একটু অন্যভাবে তার সাম্প্রতিক প্রবন্ধে –
রাষ্ট্র, পরিবার, সমাজ ইত্যাদির ধারনা গুলোর বৈপ্লবিক পরিবর্ত্তন হচ্ছে-তখন মধ্যযুগীয় ধর্মগুলির আত্মিক উন্নতির কিছু বানী ছাড়া আর কিছুই আমাদের দেওয়ার নেই। সেই আত্মিক উন্নতির নিদান ধর্ম ছাড়াও বিজ্ঞান থেকেই পাওয়া যায়-তবুও কেও আত্মিক উন্নতির জন্য ধার্মিক হলে আপত্তি করার কিছু নেই। কিন্তু ধর্মপালন যখন তার হিন্দু বা মুসলমান পরিচয়বোধকে উস্কে দিচ্ছে-সেটা খুব ভয়ঙ্কর। ধর্ম থেকে সেই বিষটাকে আলাদা করতে না পারলে, এগুলো আমাদের সভ্যতার ক্যান্সার হয়ে আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংশ করবে।
অর্থাৎ, এ ভাইরাসকে না থামিয়ে বাড়তে দিলে একসময় সারা দেহটাকেই সে অধিকার করে ফেলবে। আমার প্রবন্ধের উপরের দিকে দেয়া ল্যান্সফ্লুক প্যারাসাইট আক্রান্ত পিপড়ের উদাহরণের মত মানবজাতিও একসময় করে তুলবে নিজেদের আত্মঘাতি, মড়ক লেগে যাবে সমাজে। তাহলে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি? এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচবার জন্য গড়ে তোলা দরকার এন্টিবডি, সহজ কথায় তৈরি করা দরকার ভাইরাস প্রতিষেধকের। আর এই সাংস্কৃতিক ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে আমার–আপনার মত বিবেকসম্পন্ন প্রগতিশীল মানুষেরাই। আমি কিন্তু আসলেই মনে করি – এই এন্টিবডি তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের মুক্তমনার মত বিজ্ঞান মনস্ক, যুক্তিবাদী সাইটগুলো; ভুমিকা রাখতে পারে বিশ্বাসের নিগড় থেকে বেরুনো মানবতাবাদী গ্রুপগুলো এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চাকারী ব্যক্তিবর্গ। এই এন্টিবডির কারণেই বিশ্বাসের ভাইরাস থেকে রোগমুক্তি ঘটেছে আমাদের শিক্ষানবিসের, আর রোগমুক্তির সাম্প্রতিক উদাহরণ তো পাবনার রানা ফারুকের মূল্যবান চিঠিটি। আমরা যে ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে রোগমুক্তি ঘটাতে কিছুটা হলেও পারছি, এ বিচ্ছিন্ন উদাহরণগুলোই তার প্রমাণ। কিন্তু তারপরও বলতে হবে সন্ত্রাসবাদের সাংগঠনিক শক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য দরকার আরো বৃহৎ কিছুর – দরকার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার, দরকার খোলস ছেড়ে বেরুনোর মত সৎ সাহসের, দরকার আমার-আপনার সকলের সামগ্রিক সদিচ্ছার। আপনার আমার এবং সকলের আলোকিত প্রচেষ্টাতেই হয়ত আমারা একদিন সক্ষম হব সমস্ত বিশ্বাসনির্ভর ‘প্যারাসাইটিক’ ধ্যান ধারণাগুলোকে তাড়াতে, গড়ে তুলতে সক্ষম হব বিশ্বাসের ভাইরাসমুক্ত নিরোগ সমাজের।
দেখুন –‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নিয়ে ডেনিয়েল ডেনেটের একটি চমৎকার আলোচনা (ইউটিউবের সৌজন্যে)
http://www.youtube.com/v/KzGjEkp772s&hl=en&fs=1
:line:
ড. অভিজিৎ রায়, মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক; ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’ ও ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে‘ গ্রন্থের লেখক। সাম্প্রতিক প্রকাশিত সম্পাদিত গ্রন্থ – ‘স্বতন্ত্র ভাবনা’। সম্প্রতি ‘বিজ্ঞান ও ধর্ম : সংঘাত নাকি সমন্বয়?‘ শীর্ষক গ্রন্থ সম্পাদনার কাজে নিয়োজিত। ইমেইল : [email protected]
মন্তব্য…অসাধারন একটি লেখা।আমাদের এই সমাজ এখন ধর্মীয় ভাইরসে আক্রান্ত।ধর্ম নামক ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই রকম লেখা আরো বেশি বেশি হওয়া দরকার।
জনাব অভিজিৎ, অচেনা কেউ একজন আমাকে ফেসবুকে লিঙ্ক দিয়ে :-O মেসেজ পাঠিয়েছে সেখানে আপনার যুক্তি খন্ডনের ব্যাপার স্যাপার দেখলাম এখানে এবং এখানে দেখুন। :-O :-s
ওয়েব সাইট টির ঠিকানা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উপকৃত হলাম
[…] বিশ্বাসের ভাইরাস নামে একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে। নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখে প্রায় ৫০ জন ফিদাইন জঙ্গী সবমিলিয়ে তাজ হোটেল সহ মুম্বাইয়ের ৫ টা বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক আক্রমন করে আখচার গোলাগুলি করে নিমেষ মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ঘটনাবহুল ছিলো দিনটি। আমার ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ প্রবন্ধটি ছিলো সেই ভয়াবহ দিনের ফলশ্রুতি। এর পর গঙ্গা যমুনার উপর দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে, কিন্তু ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’-এর প্রাসঙ্গিকতা ক্ষূন্ন হয়নি একবিন্দুও। আমার আজকের লেখাটি আগের চিন্তারই আরো পরিবর্ধন বলা যেতে পারে। সে হিসেবে এটি বিশ্বাসের ভাইরাসের ২য় পর্ব। আসলে বিশ্বাসের ব্যাপারটি নিয়ে আমি অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছি। বিশ্বাস কখনো একা একা পথ চলে না, বগলদাবা করে বয়ে নিয়ে বেড়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মকে। তাই বিশ্বাসের কথা বলতে গেলে পাশাপাশি অবধারিতভাবে ধর্মের কথাও এসে পড়ে। বিশ্বাস এবং ধর্ম অনেকসময়ই খুব পরিপূরক, আমাদের সমাজে তো বটেই, পাশ্চাত্যেও। আর এ নিয়ে বহু খ্যাতনামা দার্শনিকই চিন্তাভাবনা করেছেন বিভিন্ন সময়ে। স্পিনোজা থেকে ভলতেয়ার, ফুয়েরবাক থেকে মার্ক্স পর্যন্ত অনেকেই ভেবেছেন। রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক মডেলও তুলে ধরা হয়েছে অনেক। বাংলা ভাষায়ও খুব বেশি না হলেও বেশ কিছু বই লেখা হয়েছে। আরজ আলী মাতুব্বর লিখেছেন, লিখেছেন হুমায়ূন আজাদ, লিখেছেন আহমদ শরীফ, লিখেছেন প্রবীর ঘোষ কিংবা ভবাণীপ্রসাদ সাহু। প্রাচ্য এবং প্রতীচ্যের দার্শনিকেরা বিভিন্নভাবে ধর্মবিশ্বাস এবং সমাজে এর প্রভাবকে বিশ্লেষণ করলেও রিচার্ড ডকিন্সের ‘ভাইরাসের অব দ্য মাইণ্ড’ রচনাটির আগে জৈববৈজ্ঞানিকভাবে ধর্মের মডেলকে বোঝা যায়নি[1]। এই প্রবন্ধ থেকে অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যায় যে,ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রীতি নীতিগুলো অনেকটা ফ্লু-ভাইরাসের মতোই সংক্রমিত করে। সেজন্যই ধর্মের মোহে আচ্ছন্ন হয়ে মানুষ বহুকিছুই করে ফেলে, যা সুস্থ মস্তিস্কে কল্পনাও করা যায় না। বিখ্যাত বিজ্ঞানের দার্শনিক ডেনিয়েল ডেনেট ডকিন্সের এই ধারণাকেই আরো সম্প্রসারিত করে একটি বই লিখেছেন সম্প্রতি ‘ব্রেকিং দ্য স্পেল’ শিরোনামে[2]। ডেরেল রে সম্প্রতি লিখেছেন ‘গড ভাইরাস[3]‘। রিচার্ড ব্রডি লিখেছেন ‘ভাইরাস অব দ্য মাইণ্ড’[4] প্রভৃতি। ডকিন্স নিজেও ভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারগুলোকে মিম তত্ত্বের আলোকে বিশ্লেষণ করেছেন, এবং ‘সেলফিশ জিন’[5] এবং সাম্প্রতিক ‘গড ডিলুশন’[6] বইয়ে তার সে সমস্ত ধারণার প্রতিফলন ঘটেছে। আমি আমার বিভিন্ন লেখায় দেখিয়েছি যে, মানবমনে প্রোথিত বিশ্বাসগুলো আসলে অনেকটাই ভাইরাস কিংবা প্যারাসাইটের মতো কাজ করে। এদের আক্রমণে মস্তিস্কের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার বহু উদাহরণ আছে বিজ্ঞানীদের কাছে। যেমন, -নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম নামে এক ফিতাকৃমি সদৃশ প্যারাসাইট ঘাস ফড়িং-এর মস্তিস্ককে সংক্রমিত করে ফেললে ঘাস ফড়িং পানিতে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, যার ফলশ্রুতিতে নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্মের প্রজননে সুবিধা হয়। অর্থাৎ নিজের প্রজননগত সুবিধা পেতে নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম বেচারা ঘাস ফড়িংকে আত্মহত্যায় পরিচালিত করে[7]। -জলাতংক রোগের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। পাগলা কুকুর কামড়ালে আর উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে জলাতংক রোগের জীবাণু মস্তিস্ক অধিকার করে ফেলে। ফলে আক্রান্ত মস্তিস্কের আচরণও পাগলা কুকুরের মতোই হয়ে উঠে। আক্রান্ত ব্যক্তি অপরকেও কামড়াতে যায়। অর্থাৎ, ভাইরাসের সংক্রমণে মস্তিস্ক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। – ল্যাংসেট ফ্লুক নামে এক ধরনের প্যারাসাইটের সংক্রমণের ফলে পিঁপড়া কেবল ঘাস বা পাথরের গা বেয়ে উঠা নামা করে। কারণ এই প্যারাসাইটগুলো বংশবৃদ্ধি করতে পারে শুধুমাত্র তখনই যখন কোন গরু বা ছাগল একে ঘাসের সাথে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ফলে প্যারাসাইট টা নিরাপদে সেই গরুর পেটে গিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে[8]। […]
ধমটাই একটা ভাইরাস ! যে ভাইরাস উগ্র হ তে সাহায্য ক রে।
More proof for virus..
Father of lone surviving terrorist admitted in Pakistan media that his son has been brainwashed. He left home because he didn’t get new cloth in Id! See there was no anti-India anger when he left home. Then he was systematically brainwashed as claimed by his father. Read the news…This will speak for virus theory even more…
>>>
The Lashkar-e-Taiyba and the Jamaat-ud-Dawa might have disowned him, but the father of the lone Pakistani gunman arrested for the Mumbai terror attacks [Images] has admitted that the young man whose photograph was beamed by media across the world, is his son.
Amir Kasab [Images], the father of Ajmal Amir Iman alias Ajmal Kasab, broke down as he made the admission to the influential Dawn newspaper in the courtyard of his house in Faridkot, a village of about 2,500 people in Okara district of Punjab province.
“I was in denial for the first couple of days, saying to myself it could not have been my son… Now I have accepted it. This is the truth. I have seen the picture in the newspaper. This is my son,” Amir said in his first interview to the media since his son’s arrest.
Britain’s Observer newspaper and the BBC had earlier reported that Kasab belonged to Faridkot and had joined the Lashker-e-Tayiba some time ago.
The Observer’s correspondent had located Kasab’s home and gotten hold of the voters’ roll which had the names of his parents Amir Kasab and Noor as well as the numbers on their national identity cards.
External Link: Crackdown hints at Faridkot-Mumbai link
Reports had said that Kasab left home as a frustrated teenager about four years ago and went to Lahore [Images] in search of a job. After a brush with crime in that city, he reportedly joined the LeT.
Amir Kasab, a father of three sons and two daughters, said his son disappeared from home four years ago. “He had asked me for new clothes on Eid that I couldn’t provide him. He got angry and left,” he said.
As Amir talked to the Dawn’s correspondents, Kasab’s two sisters and a younger brother stood nearby. Their mother, wrapped in a chador, lay on a nearby charpoy.
“Her trance was broken as the small picture of Kasab lying in a Mumbai hospital was shown around. They appeared to have identified their son. The mother shrunk back in her chador but the father said he had no problem in talking about the subject,” the newspaper reported.
Amir said he had settled in Faridkot after arriving from the nearby Haveli Lakha many years ago. He owned the house the family lived in and made a living by selling pakoras in the streets of the village.
He pointed to a hand-cart in one corner of the courtyard and said, “This is all I have. I shifted back to the village after doing the same job in Lahore. My eldest son, Afzal, is also back after a stint in Lahore. He is out working in the fields.”
Faridkot is located off a busy road and bears all the characteristics of a lower-middle class locality in a big city, the newspaper reported.
Amir said he has had little say in Kasab’s life since the day his son walked out on him. He calls the people who snatched his son from him his enemies, but has no clue who these enemies are, the paper reported.
Asked why he did not look for his son all this while, he said, “What could I do with the few resources that I had?”
Media reports had said that Kasab’s handlers had promised him that his family would be compensated with Rs 1,50,000 after the completion of the Mumbai mission.
😕
apni Farid bhai eto bojhen ar vondo ke ta bojhen na…bapar ta kintu khub shondeho jonok…
banglai ekta kotha ase: “chorer abar boro gola”
dhonnobad
adnan lermontov
ধর্মের ভাইরাসের সপক্ষে আরো প্রমান-
অপারেশন চলা কালীন টেরোরিস্টদের ফোনে কোরানের বানী দিয়ে উজ্জীবিত করা হচ্ছিল। ওদের স্যলেটাইট ফোন ট্যাপিং এ সেটাই জানা গেছে। পুরো খবরঃ
The Crime Branch of the Mumbai police has traced the company that provided the Voice over Internet Protocol (VoIP) service used by the 26/11
terrorists to keep in touch with their bosses. The US-based company, Call Phoenix, has apparently confirmed that the terrorists spoke to someone based in Pakistan.
According to the Crime Branch, investigators have taped nearly 60 hours of the conversation that occured between the terrorists and someone in Pakistan during the terror attacks. The person has been identified as their handler Zakiur-Rehman alias Lakhwi, who is an LeT Commander. He was in constant touch with the terrorists while they battled commandos at Hotel Taj, Hotel Trident-Oberoi and Nariman House.
Lakhwi was detained by Pakistani officials on Sunday.
The sleuths learnt that Lakhwi was guiding the terrorists about police and commando movements by following the developments on TV.
He was also giving them pep talks and reading Quranic verses to whoever felt weak or scared.
The investigations have also found that money for the VoIP service was paid through a renowned international money transfer company. Sources said about $300 were transferred to the VoIP company by someone named Zarar Shah. The New Jersey-based company removed its profile from the Internet after finding itself embroiled in a terror conspiracy.
These details could be another crucial piece of evidence linking Pakistan to the November 26 terror attacks.
Crime Branch chief Rakesh Maria said the department is in touch with the company for details of the users of the VoIP.
To Mr Ullah: Another words, Kashmir needs independance or needs to be part of Pakistan because that was mandated by the UN after the 1947-48 war. There is no other reason.
It seems that the UN may have changed its mind by now. I wonder why Paki is so over zealous about it? They created LET, isn’t it? May be Pakis want revenge for losing East Pakistan.
To Supa: Are you a serious student of history? If the answer is affirmative, then you should not be asking this question. Just go back to the pages of history and ask what the U.N. mandate was after the ceasefire of 1947-48 war. Was not that a plebiscite mandated? Why Nehru did ignore it? Indian intelligentsia always feared that if a plebiscite be given, the chances were higher that India stands to lose a big chunk of real-estate. India simply wanted to prolong the antiquated “MaRatha-Mughal” fight.
Let me re-phrase my question to Mr Ullah: Could you please list the ways the Kashmiris are discriminated against with respect to other Indians? Please list your reason why you think they should be Independent or become part of Pakistan? Is it because this is what the Muslims want and if this demand is not met they are going to kill more human lives?
I agree with Mr Sarker – a lot of good work done by MM is not reaching the vast number of population (around the world – Bengalis and non Bengalis), who I am sure are starving for such information/knowledge/enlightenment. It’s a pity.
I have no doubt that if people get a little taste of such alternative way of thinking they will change forever and our children will get a better world than us.
Can I ask Mr Ullah why he thinks that Kashmiris need independance from India? What makes him believe that India hates Karmiris and enjoys oppressing Kashmiris? Is he suggesting that Bengalis, Tamils, Gujratis all should do the same? What would it take for the Muslims to feel that Kashmir is fine with India and it might be possible to resolve the grievances without seperation?
Ullah is right in one thing: if we are serious about resolving such issues we need to locate the tools used to brainwash the terrorists. Apart from “religious verses”, Ullah correctly pointed out the power of “propoganda”. People are constantly fed lies by media, leadership and the society. However, these are manifested in people’s brain as facts and people get attached emotionally and as result try to do the “right thing in their mind”. Here’s an article that might be relevant here: http://nobeliefs.com/problemswithbeliefs.htm
Khudiram and Surya sen did not come to Europe, America, Israel, Australia, Indonesia, Spain or in Germany–to blast bombs to kill some school children in the Bus, people in the open market, vacasion resorts or night club in Jerusalem to show their anger against Brit,s occupation of India, I hope! And also Khudiram did not chant by the name of any religion or chant for any God. That is the only difference, only it gets to our brain! Thanks
SKM
For those folks who think Islamic suicide terrorists or recent Bombay terrorists are just like any other terrorists and Islamic terrorists do not have anything to do with Islam then please think again. Please read the following:
Profile of the Islamic Terrorists:
Osama Bin Laden (OBL) and his al-Qaeda jihadis have frequently cited many passages from the Holy Quran to justify their flagrant acts of terrorism around the world. Suicide bombing is the most successful weapon to strike terror in the hearts of the western infidels. In his famous ‘fatwa’ of declared war against Americans in 1998, terrorist leader OBL has repeatedly used jihadi verses from the Quran (mentioned in this essay) to incite his followers to kill Americans/infidels primarily by the act of suicide bombing. All the 9/11 Islamic terrorists left their private notes (especially Muhammad Ata) citing Quranic killing verses and they all committed suicide to kill American infidels (Kaffirs) 100% according to the Quranic verss-9:111. Not a single time they have ever claimed or mentioned any hadiths as the inciting agent of their killing spree. Israel have had captured numerous would be suicide bombers (who’s detonating did not work in their attempt of suicide bombing) with the suicide belt around them, and they all were interviewed by the western reporters in the Israeli prison cell. All most all of them told the reporters-they wanted to die to kill infidels according to the Quranic instructions to achieve heavenly pleasures with 72 virgin houris. None has ever mentioned anything about hadiths or Sharia laws as their instigator.
All the Islamic terrorists arrested by police in Europe (especially in Netherlands such as Van Gogh killing) readily cited Quran as their teacher to commit terrorism in order to kill infidels. In the train terrorism incident at Madrid (Spain) the Islamic terrorists were all longtime resident of Spain (North American and Syrian born) who admitted to police that they were “inspired by the doctrines (Koran) of Islam” to rise up against their adopted host country to kill 191 Spanish innocent citizen.
In the recent past in Bangladesh (a newly infested nation by Islamic jihadis) has experienced an epidemic of bomb blasts by Islamic terrorists of Bangladeshi variety including scores of suicide bombings to kill judges in the various court premises. In such process of suicide bombing attempts, two have been captured by the police. When asked by the reporters why they were going to kill people by suicide method, they have answered: “We were doing it by the order of Quranic instructions by Allah”. When Bangladesh terrorist leader Maulana Shaikh Rahman and Bangla Bhai have been captured by the police, Maulana Shaikh Rahman said: “We have done it to establish Allah’s laws in Bangladesh and we were doing it according to the Quran.” Showing one copy of Quran in his hand, he (Maulana) said: “If I am a terrorist, then Quran also a terrorist”. What could be the more clear evidence that Islamic terrorists are directly getting incitement and encouragement from the holy Quran?
In America, the 20th hijacker of 9/11 terrorism Zacaria Moussaoui proudly declared in the court: “I wish I could kill more Americans, because my religion Islam (which is of course Quran) demands that I kill infidels.” Zacaria Moussaoui or any other Islamic terrorists never told that they have been incited by the teaching of ahadiths or Sharia laws alone. In fact, all most all Sharia laws are rooted to the Quran and supported by hadiths.
Point to ponder that life is invaluable and extremely precious to every human (Rich, poor, young, old, sick or even handicapped) and no one wants to die in vain without any real purpose or gains. Only a superior/divine lustful hopes and inspiration due to brainwashing can trigger somebody to take his/her life. Islamic terrorists are definitely inspired by such lustful afterlife. Palestinian young boys and girls of 12-16 do not die just for revenge or to free their motherland. They definitely have the vision of Islamic heavenly pleasures (due to brainwashing) which inspire them to wear a deadly suicide belt around their young and tender bodies. Quran is readily available almost in every house of Muslims in general, but books of Hadiths are very rarely available to the ordinary Muslims. General Muslims do not get motivation from the Hadiths, because they do not get chance to read hadiths. Besides, Muslims do not take hadith as seriously as Quranic dictums, and to do something as serious as killing innocent people in exchange (suicide) of own life Muslims surely need Quranic instructions; and for that reason Quran has plenty of it.
Are all the suicide bombings same?
Islamic apologists often argue that suicide bombings for the cause of freedom fighting committed not only by the Muslims, but by many other nations (Tamil, Jews, and Japanese Kamakazies) committed suicide bombings for their own freedom struggle. According to them, Muslims are committing suicide today for their freedom struggle. Therefore, suicide bombings by Muslim youths have nothing to do with Islam! Most prudent question can be asked here: Are all those past suicide bombings same as Islamic suicide bombings today? Are their pattern same? Let us examine:
Those so called Tamil Tiger, Jews or Japanese Kamakazis may have used technique of suicide bombings very rarely as their desperate quest only to free their own motherland, and their suicide acts were absolutely limited to their own land targeting soldiers, leaders and not innocent civilians. Tamil, Jews, Kamakazies or IRA never blasted bombs in other countries outside their own geographic boundary; they only primarily did blast bombs within their own border. Rarely, isolated single bomb in the vicinity of their border, such as Tamil’s killing Razib Ghandi for his support of Sri Lankan Government. But they never ever came to America, Britain, Spain, Indonesia, Tanzania, Uganda, Yemen, Saudi Arabia etc. to blast suicide bombs inside restaurants, bus, train, metro, ocean beaches, tourist resorts etc. None of those above did suicide bombings throughout the whole world globally like those Islamists vigorously doing it today. How many Tamil blasted suicide bomb in Europe or America? Was there any global jihadi phenomenon of suicide bombings by Tamil Tigers like those Islamists?
Islamists also now telling us that those Muslim youths blasting their jihadi suicide bombs only to take revenge for Iraq war. As if, before Iraq war Islamic jihadis were very gentle and were sitting idle. May I ask why those Islamic jihadis were blasting bombs relentlessly at US military camps in Saudi Arabia , American Embassies in Tanzania , Uganda , Pakistan , Nairobi and elsewhere, much before Iraq war? Who did blast bombs in the basement of WTC and NTYC tunnel in 1993 and 1994? Finally in 2001, why they killed more than 3000 innocent civilians in WTC? Why they bombed US ship at Yemen? Why they bombed US barrack at Beirut? Was their Iraq war then? Islamists would do terrorism all over the world, whether there is any Iraq ior Adfghan war or any other war.
Can anybody name just one country, where Muslims (especially as minority) are in peace and harmony with any govt.? Please tell me where muslims are co-habiting with the host nations happily!
SKM
Were Khudiram, Surya Sen, and other freedom fighters who threw bombs at Brits during British Raj time religionists? AK and SKM will probably say those “terrorists” were Islamists and they got enthused by reading Koranic Ayats even though they were Hindus.
Mind you, people do not live in a vacuum. In the last 60 years about 80,000 people were killed in Kashmir alone and this figure is not mine nor it came from Pakistan. Those Mukto-monas who thinks that virulent Scriptures are the real reason one becomes a terrorist. The socio-political injustice is the main reason for one to become a suicdal terrorist. The Scripture could add fuel to fire but I do not believe that Scripture alone pushes someone to become a coldblooded terrorist. The Mumbai terrorists were not bearded Madrashgoing students. Have you seen the photo of the surviving terrorist. Does he look like a Madrassah student? Islamists are not coming to USA, U.K., India to establish Islam. On the contrary, they are coming to blast bombs, kill people to draw attention to social injustices that were thrust upon their people. Mohammad Ata and his gang were fuming mad because American policies were hostile to Arabs vis-a-vis Palestine and in Mumbai’s case the terrorists were openly talking to TV and newspaper folks about Kashmir, Ayodha, Godhra incidents.
My request to AK and SKM – please look at the ground realities. Islamists think that grave injustice was done to Muslim people in Palestine and Kashmir. Do you guys think that there is no basis for Islamists claim? Please show me one instance where Islamists came to a foreign land to establish Islam and in the process they blasted bombs in the last 4-5 decades. I am afraid you won’t find any. Lest you think that I have changed my stance on Islam, no I have not changed my view one bit. Yes, some of the Koranic verses are outright dangerous and pernicious but in modern day it will be very difficult to tell an Islamist to become a suicide bomber because the Scipture mandated that. Now, if you mix religion with ‘social injustice’ issue, then it becomes a potent force. Here I rest my case.
PS. Please read Pankaj Mishra’s Op-Ed piece published on December 1, 2008. How come his thesis is in line with mine?
This bengali article is for Dr Jaffor Ullah-by a prominent Indian Muslim…
http://www.aajkaal.net/cat.php?hidd_cat_id=6
Dear Avijit,
I read your marvelously written piece on Mumbai terrorism. Since long, we have been telling in our write-ups that religious faith is like an infectious disease and we named the cause an “Islamic virus (The Koran)”. Infected people by “Islamic virus” become like a zombie and act like a zombie. Mumbai horrors of terrors are the symptoms of Islamic zombies infected by Islamic virus.
But you have given some very eloquent explanations of scientifically proven causes and symptoms. Your theory about “virus of faith” is not any imagination, it is practically proven phenomenon, which we are observing from the jihadi activities of pure (Pukka) muslims around the world whom do we call “Islamic terrorists”. Your ant and lancet fluke is the testament of this scenario of faith virus and it can be proven by genetic evaluation and by studying their gene characters too! You have explained them marvelously. Only difference is: Ant dies for the sake of lancet fluke’s breeding facilities; and Islamic terrorists die for the heavenly lust of voluptuous houris and sex.
In fact, it is their symptoms of the disease they were infected during very early childhood period or during conversion. Muslims are the victims of this Islamic virus.
These “faith viruses” have different characters too! Not all faith viruses are the same. Take this example: You have converted 40 westerners in “virus of faith” from various religions as follows: 10 in Islam; 10 in Christianity; 10 in Hindu; and 10 in Buddhism. Very easily, you can find that at least half of the 10 Muslim converts will turn into Islamic terrorists and suicide bombers. Remember how many white converts from Europe came to Iraq and blasted suicide Islamic bombs to kill some people in the funeral processions? Remember—shoe bomber, Americam Taleban, dirty bomber Padilla, or Anam Ghadan of California white convert?
But amazingly, none of the converts from all other religions (except islam) will never be a terrorist to blast suicide bomb or any bomb at all. I can bet Billion dollars in that! Can anybody take this challenge?
Those who are bringing some ridiculous lame excuses like: Palestine, Kashmir or American foreign policy “Bull-shits” theories which they think are the reason of Islamic terrorism are dead wrong. Even there is no Palestine or Kashmir problem do exists, Islamic terrorists will always find different blame games to terrorize this world. Islam is a religion of terror and violence and Prophet of Islam said so and proven so by his war mongering techniques of establishing his ideology. Followers of this faith virus are just doing what they were told to do by the Koran and Sunnah. All nations have the birth right to defend their motherland but nobody but these Islamic zombies come thousand of miles away from their motherland to blast suicide bombs. That’s the basic fact these wishful people forget to compare. Islamic virus is the deadliest menace of this century and is posing to destroy our hard-earned civilization, lest we forget! Civilized world should unite and fight this deadliest virus to destroy, or be destroyed! This is like Koranic verses 9:111, destroy or be destroyed!
Once again, I thank you very much for writing such a wonderful article on the scientific explanation of Islamic virus and symptoms.
Syed K. Mirza (SKM)
Mr Ullah,
The article was published in HT based available reports from Mumbai Police who interrogated Ajmal and it shows how poverty in Pakistan is responsible for breeding ground of terrorism. What is propaganda in this except it trashed your Kashmir theory.
Your theory of occupation in Kashmrir breeding terrorism does not hold because Kashmir this time has chosen ballots and not bullets for their answer.
Let face the truth-poverty and utilization of that class conflict using Islam is the root cause. It is dificult to imagine the world without ideological conflict.
I can also say, you are using MM to dump your “Progapagand Theory Kashmir” for justifying terrorism like any Islamic leftist. But I am not going to say that. Because, even that may be the cause and as a free thinker, we must seek all the possible options and argue it out with data point. Otherwise, there is no meaning to free thinking.
[…] বিশ্বাসের ভাইরাস লেখাটা মন দিয়ে পড়লাম। লেখার শেষে […]
Mr. Pal, could you please read Mr. Pankaj Mishra’s Op-Ed piece that was published in NY Times.
Mukto-mona should not be a dumping ground for any propaganda-type of news. What we need is thoughtfully written article – introspection, etc. The kid who is the only survivor amongst 10 terrorists may claim anything – LoT member, hired terrorist, etc. That however does not take away the perennial Kashmir problem from South Asia, which was started right after August 15, 1947. The Brits created this mess in the first place and now Mumbai citizens are paying the sins of the Brits by spilling their blood.
Actual story of terrorist motive is revealed:
MUMBAI: It is improbable that Mohammad Ajmal Amir Iman’s family has seen the photograph that has made his face known across the world.
Hours before he began firing at commuters waiting at Mumbai’s Chhatrapati Shivaji Terminus (CST) last week, Iman, one of ten Lashkar-e-Taiba terrorists, was caught on closed-circuit camera.
After he and his partner, Mohammad Ismail, had killed 55 commuters at CST and three senior police officers, including Maharashtra Anti-Terrorism Chief Hemant Karkare, Iman was injured and captured — and the story he has since been telling Mumbai police investigators casts new light on how the feared terror group preys on the most vulnerable in Pakistani society to further its agenda of hate.
The man in the photo was born on July 13, 1987 at Faridkot village in Dipalpur tehsil of Okara district in Pakistan’s Punjab province. His family belongs to the underprivileged Qasai caste. His father, Mohammad Amir Iman, runs a dahi-puri snack cart. His mother, Noori Tai, is a homemaker.
Iman is the third of the family’s five children. His 25-year-old brother, Afzal, lives near the Yadgar Minar in Lahore. His sister, Rukaiyya Husain, 22, is married locally. Iman’s younger siblings, 14-year-old Suraiyya and 11-year-old Munir, live at home.
Iman’s desperately poor family could not afford to keep their second son, an indifferent student, at the Government Primary School in Faridkot past the fourth grade. He was pulled out of school in 2000, at the age of 13, and went to live with his older brother in Lahore. Afzal, who lives in a tenement near the Yadgar Minar in Lahore, eked out a living on a labourer’s wages, and could barely afford to look after his brother. For the next several years, Iman shuttled between the homes of his brother and parents.
Adrift
After a row with his parents in 2005, Iman left home, determined never to return. No longer welcome in Afzal’s home, he stayed at the shrine of the saint Syed Ali Hajveri until he could pick up some work. He began working as a labourer and by 2007 his work brought in Rs. 200 a day. Iman, however, found the work degrading. He soon began spending time with small-time criminals in Lahore. Along with a friend, a one-time Attock resident named Muzaffar Lal Khan, Iman decided to launch a new career in armed robbery.
On Bakr Eid day in 2007, Iman has told the Mumbai Police, the two men made their way to the Raja bazaar in Rawalpindi, hoping to purchase weapons. In the market, they saw activists for the Jamaat-ud-Dawa — the parent political organisation of the Lashkar-e-Taiba — handing out pamphlets and posters about the organisation and its activities. After a discussion lasting a few minutes, Iman claims, both men decided to join — not because of their Islamist convictions but in the hope that the jihad training they would receive would further their future life in crime.
A life in Lashkar
But at the Lashkar’s base camp, Markaz Taiba, Iman’s world view began to change. Films on India’s purported atrocities in Kashmir, and fiery lectures by preachers, including Lashkar chief Hafiz Mohammad Saeed, led him to believe that the Lashkar’s cause — the greater glory of Islam, as the organisation presented it — was worth giving his life to. It is possible, an official involved in the interrogation suggested, that the atmosphere of the camp gave him the sense of family he had lacked for much of his life.
When he returned home for a two-month break after his indoctrination at the Lashkar base camp, he found a respectability within his community and family that had eluded him most of his life. Where Iman had earlier been seen as a burden, he was now self-sufficient — and bore the halo of religious piety.
Later that year, Iman was chosen for the Lashkar’s basic combat course, the Daura Aam. He performed well and was among a small group of 32 men selected to undergo advanced training at a camp near Manshera, a course the organisation calls the Daura Khaas. Finally, he was among an even smaller group selected for specialised marine commando and navigation training given to the fidayeen unit selected to target Mumbai.
According to Iman, Lashkar military commander Zaki-ur-Rahman Lakhvi promised that his family would be rewarded with Rs. 1.5 lakh for his sacrifice.
I’m hesitating if I should add my voice to so many comments that have appeared already in resoinse to Avijit’s thoughtful article. Yes, I agree that faith and religion is like a virus, but is it possible to iradicate it is it even necessary. As some of the old masters said isn’t it still true that man had to create a God for his own survival? Let us not forget that this doubt in the existence of a divine lord that some of us have acquired through our individual search for the “truth” did not come easily or without a prive. Everybody has to go through a lot of personal sacrifices. But faith is easy and simple. You are born with it like a birthmark. It stays forever, until you let your intelligence be the guiding beacon of your life, and until you are brave enough to face the establishment. The question therefore is, in my opinion, not how to eliminate the faith but how to minimize its toxic effects on the human society. Can there be a cocerted effort at combating the forces of evil that we are facing today, be it in New York, in Islamabad, Kabul or Mumbai(they are, after all, the same phenoma in different faces and places) ? And there lies the fundamental predicament of the forces of so-called sanity and mideration. We have absolutely no real commitment to mobilizing a united front of resistance to this ominuous monster from the middle ages. Can we forget how this diabolical creature was spawned in the first place? Can we forget the battledfields of Afghanistan in 1979 where the cold war between two superpowers helped create the greatest menace of the modern times, a fellow called Osama bin Laden. Whose side was he on at that time. Why did he turn the other direction since then? So my friends, Frankestein did not create himself. He was created by one supposedly on our side.We have an uphill task.we cannot afford to keep pointing fingers at others, Let us first clean our own house, then go out theorizing the obvious.
If my words appear vacous to you please foegive me. Best wishes to you all, Mizan Rahman.
অপার্থিব,
বৌদ্ধ ধর্মের উত্তরটা আমি অনেক ফোরামে দিয়েছি। আপনি ঠিক ই বলেছেন। আমি আরেকটু বলি। সেটা হচ্ছে তিব্বতে বৌদ্ধদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, অনেক বেশী। কিন্তু তিব্বতের লোকেরা হিংসার আশ্রয় নিয়ে সন্ত্রাসবাদি হয় নি। সন্ত্রাসবাদে ধর্মের ভাইরাসের ভূমিকা অস্বীকার করা কোন যুক্তিতেই যায় না-সেটা বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস বনাম ইসলামের ইতিহাস দিয়েই সবথেকে ভালো বোঝা যায়।
মৌলবাদী সন্ত্রাসের কারণ কি ধর্মে নিহীত না সামাজিক অনাচারে, এই তর্ক অনেকটা মানুষের স্বভাব কি পরিবেশজাত, নাকি বংশাণুজাত এই তর্কের মতই। উত্তরটা ও আমার মতে একই রকম। মানুষের কোন কোন স্বভাব যেমন উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় বিশেষ কোন বংশাণুর পরিস্ফুটনের কারণে সৃষ্ট হয়(gene expression), তেমনি মৌলবাদী সন্ত্রাস ও ঘটে কোন কোন ধর্মীয় আদেশাবলীর উপযুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় পরিস্ফুটিত হবার কারণে। এই উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করতে পারে অনেক কারণ, যার মধ্যে সামাজিক অনাচার অন্যতম। কাজেই সামাজিক অনাচার থাকলেই যে মৌলবাদী সন্ত্রাস ঘটবে এটা নিশ্চিত না। বংশাণুর মত একটা মূল কারণও থাকতে হবে (মৌলবাদী সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে যা হল ধর্মগ্রন্থের কোন কোন শ্লোক)। আর এই ধর্মীয় বংশাণু কেবল সামাজিক অনাচারেই পরিস্ফুটিত হয়না। কোন কোন ধর্মের আদেশাবলী এতই শক্তিশালী যে বিভিন্ন পরিস্ফুটক পরিবেশ অতি সহজেই সৃষ্ট হয় আদেশাবলীর জোরাল তাগিদেই। আর ধর্মীয় মূল কারণ না থাকলে সামাজিক অনাচার অন্যরকম সন্ত্রাসের জন্ম দিতে পারে। আবার নাও দিতে পারে। থাইল্যান্ডে অতি গরীব বৌদ্ধরা ভিক্ষা করবে কিন্তু কখন ও হিংসায় লিপ্ত হবে না। অনেক গরীব লোক চরম দারিদ্রের মধ্যেও সততা বিসর্জন দেয় না। কাজেই এটা কখনই বলা যায় না যে সামাজিক অনাচারই ধর্মীয় সন্ত্রাসের মূল কারণ।
1. This is a wonderful work of Dr. Avijit Roy to understand the mind of a terrorist.
2. I wish this be translated to English for the world-wide readers. This world has been going through a dangerous phase.
Having read all comments here, I think, neither of ‘Faith Virus’ and ‘Social Injustice Theory’ ALONE would be sufficient to explain current phenomena of terror.
If we look at the history of suicide bombing, there are clear instances that the ignition behind a ready-to-die warrior would NOT have to be always a religious one; it could be simply extreme nationalism. Consider these examples:
1.Suicide bombing Japanese kamikaze pilots of World War II
2.Srilankan LTTE suicide bombers.
3.Thousands of Banglaees joined 1971 liberation war against W. Pakistan knowing they might be killed easily during the process although majority of them shared a common religion (Islam) with their enemies.
Could religion NOT be violent enough to cause suicide bombings? Yes, it could be and Islam being the most authoritative and chauvinistic of all tops the list.
Yet possibly, nothing would be more inflammatory to trigger a massacre when religion is blended into the issues of social-political suppression and injustice.
BTW, rational rebuttals to above views are warmly welcome!
আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার লেখাটিতে মন্তব্য করার জন্য। যারা এ প্রবন্ধটিতে দ্বিমত পোষণ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বিষয় পরিস্কার করি আগে।
প্রথমতঃ ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ শিরোনামটি মেটাফর হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আসলে বিশ্বাসের ব্যাপারটা যে অনেকটা মানুষের মস্তিস্কে ‘ম্যালাসিয়াস’ কোড হিসবে কম্পিউটার ভাইরাসের মতই কাজ করে, এ নিয়ে কিন্তু অনেক আধুনিক অনেক গবেষণার অস্তিত্ব আছে। প্রসঙ্গক্রমে রিচার্ড ডকিন্সের ‘Viruses of the Mind‘ পেপারটি পড়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ আমি কিন্তু রাজনৈতিক এবং সামাজিক বাস্তবতাগুলো অস্বীকার করিনি। এগুলো অনেক সময়ই এই বিশ্বাসের ভাইরাসের জন্য অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্যদেয় যে, রাজনৈতিক কোন প্রভাব না থাকা সত্ত্বেও কেবল বিশ্বাসের বসে বলীয়ান হয়ে মানুষ অনেক অমানুষিক এবং বর্বর কাজ করেছে। আমার প্রবন্ধে এ ধরণের অসংখ্য উদাহরণ হাজির করেছি। ইতিহাসে ডাইনী পোড়ানো, সতীদাহ, মেয়েদের পাথর ছুড়ে হত্যার ঘটনা কি কম ঘটেছে? কিছু প্রাচীণ সভ্যতার ইতিহাস থেকে আমি দৃষ্টান্ত হাজির করেছি – যখন কোন নতুন প্রাসাদ কিংবা ইমারত তৈরি করা হত, তার আগে সেই জায়গায় শিশুদের জীবন্ত কবর দেওয়া হত – এই ধারণা থেকে যে, এটি প্রাসদের ভিত্তি মজবুত করবে। অনেক আদিম সমাজেই বন্যা কিংবা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুমারী উৎসর্গ করার বিধান ছিল; কেউ কেউ সদ্যজন্মলাভ করা শিশুদের হত্যা করত, এমনকি খেয়েও ফেলত। কোন কোন সংস্কৃতিতে কোন বিখ্যাত মানুষ মারা গেলে অন্য মহিলা এবং পুরুষদেরও তার সাথে জীবন্ত কবর দেওয়া হত, যাতে তারা পরকালে গিয়ে পুরুষটির কাজে আসতে পারে। ফিজিতে ‘ভাকাতোকা’ নামে এক ধরনের বিভৎস রীতি প্রচলিত ছিল যেখানে একজনের হাত-পা কেটে ফেলে তাকে দেখিয়ে দেখিয়ে সেই কর্তিত অংগগুলো খাওয়া হত। আফ্রিকার বহু জাতিতে হত্যার রীতি চালু আছে মৃত-পূর্বপুরুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্য। ভারতে সতীদাহের নামে হাজার হাজার মহিলাদের হত্যা করার কথা তো সবারই জানা। এগুলো সবই মানুষ করেছে ধর্মীয় রীতি-নীতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে, অদৃশ্য ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে গিয়ে। এগুলো সবই সমাজে ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামক আগাছার চাষ ছাড়া আর কিছু নয়। এমনকি আজকের বিশ্বেও বাইবেলকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে এবরশন করা ডাক্তারদের যেভাবে খ্রীষ্ট মৌলবাদীরা কচুকাটা করে তা আসলে বিশ্বাসের ভাইরাস থেকেই উৎসারিত। ভারতে রামমন্দিরকে পুঁজিকে বাবড়ি মসজিদ ধংস কিংবা অযোধ্যায় দাংঙ্গা আসলে বিশ্বাসের ভাইরাসেরই সংক্রমন।
হ্যা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিদ্যমান রাজনৈতিক সম্পর্ক ব্যাপারটাকে অনেকটাই বৈরি করে তুলেছে সন্দেহ নেই। এর সাথে যোগ হয়েছে কাশ্মীর ইস্যু। কিন্তু আমি আমার প্রবন্ধের মূল বক্তব্যে অবিচল থাকছি। এগুলো স্রেফ অনুঘটক হিসবে কাজ করেছে। আপাততঃ এটুকুই।
আভিজিতদা,
আপনি মনে হয় আমার প্রশ্নটি খেয়াল করেন নি। আবার লিখছি
বেহেশতের এই “গেলমান”রা আসলে কারা? এরা কি হুরদের বিকল্প? নারী বেহেশতিদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ? নাকি এদের ভুমিকা শুধুই ওয়েটারের?
@ আদনান
কার কার মুখোশ খুঁলে পড়ছে আর কে কে ভণ্ড মুক্তমনা একটু যদি খোলাসা করে দিতেন তবে ভাল লাগতো। আমি যে ভাই কারোরই মুখোশ খোলা দেখতে পাচ্ছি না। ভণ্ড কাউকেও খুঁজে পাচ্ছি না। আর কোন কোন ‘শালা’ গোপনে গোপনে মুসলমান সেটাও যদি আপনার মত একজন খাঁটি মুক্তমনা বলে দিতেন তবে খুবই খুশী হতাম।
অভইজিতের এই লেখাটির সাথে কেমন যেন একাত্ম হতে পারছিলাম না। কিছু বলার তাগিদ বোধ করছিলাম। জাফর উল্লাহর মন্তব্য দেখে মনে হলো আমার মতটি চলে এসেছে।
আমার মনে হয়, আমরা অনেকেই ধর্মের বিরোধীতা করতে গিয়ে একে সমস্ত কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে- একপেশেভাবে দেখছি। সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনায় না আণলে কখনো এই সমস্ত ইস্যুকে ঠিক ঠিক ভাবে ধরা সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। আর, আমাদের এই ফোরামের লেখকদের এই বিষয়টির অনুধাবন খুব জরুরী। কেননা, অনেকেই কিন্তু আমাদের ফলো করেন।
ekhankar montobbo gulo pore mone hosse oneker mukhosh khule porse…ashole onekey vondo mukto-mona…shob shala gopone gopone musolman…
Mr Jafor Ullah,
I am sorry to say your answer is not satisfactory because many of the information provided by you is not factual.
1. Voting in Kashmir has just been concluded with great success. State of Kashmir had their own Government. Yes there is oppression of Indian military against their freedom fighters-but also Indian constitution has special provision for Kashmir which allows them highly subsidized food and fuel.Also Indians are not allowed to buy property or make settlement in Kashmir. Young Kashmiris are more aspiring to catch prosperity train in India and like young generation, they are more after material life than ideological conflict. As a result, as per several BBC report, militant organizations in Kashmir are fast losing ground. The most successful election this time is just a proof of that.
2. India is multi-ethnic country with 30 languages and several races. So race conflict is highest in India because no where in the world, one country has so many ethnic races and yet forming a country. Nigeria is only distant second. This is the reason, state oppression is also high in India. So comparing with Canada (3% population of India with 2 major language) is not justified and state terrorism by USA is no less. But at the end of the day, we have never seen a civil war because central military is strong and strength comes from democracy and not from its size. Policy makers in Delhi comprises from all ethnic background and they are working together and of course there is healthy regionalism to snatch benefit. You have never seen how politics works in Delhi-but it is not as central as you think-specially after the collapse of Congress in 90s’. Prime Minister has to listen State chief ministers for many things. We have maintained this democracy and cost we have paid is very high handed Indian military and state machinery. But I do not see much alternative when I see Pakistan with only 5-6 ethnicity or some of the European blocks with 2-3 ethnicity can not put together a state. We have to wait for another decade or so, when such oppression will be reduced because of more integration through media and infrastructure.
3. Pakistan has more state oppression than India. Now when Pakistani “Jihadi” does not feel that oppression in Baluchistan but feel that oppression in India-it is a case of Islamic brotherhood-which is born out of concept that world is divided between Muslims and non-Muslims. It is a division based on ideology and not materialism-and that’s why I call it virus. Think this in contrast to Che, who went to Bolivia to liberate Bolivia from US control-that was materialistic response for a socio-economic cause. Even in India, Maoists are fighting against state oppression of India in 129 districts. Virtually every district in WB, Maoists are gaining strength because CPM has become too oppressive. That is not viral but human beings are feeling socio-economically deprived. This is not applicable for these terrorists who are inspired by idealism of “Islamic brotherhood”-which is a concept that divides mankind into Muslims and non-Muslims based on religion. That is definitely viral effect.
I would like to answer to your questions, Mr. Pal, but these issues are complex as you know. Sorry for answering in English because I have not mastered yet the Bangla typing.
1. You did not like my suggestion that India should help Kashmir attain independence. In Bangladesh the CHT people had their grievance during 1980s because the military was mobilizing the Muslim people from non-Hill Tracts area to populate Muslims among tribal people. This policy of the BNP was reversed by Sheikh Hasina during her tenure. Now, CHT is not a problem for Bangladesh. Contrast this, if you will, with India central government’s attitude towards Kashmiri people since 1947. The British government had played their dirty game in Ireland by dividing the nation into Northern Ireland and Ireland. We have not forgotten the spate of bomb blasts during 1970s, 1980s, and 1990s. Now things have gotten a whole lot better. Yes, the sectarianism had played its dirty role diving the Protestants and Catholics. You may not know, both Jamal Hasan and I sat with Sindhi and Balochi dissidents about 6 years ago while we attended their conference in DC. The problem is entirely different in these provinces of Pakistan. You cannot equate the Sindhi-Balochi problem with that of Kashmir. When Cyril Radcliffe was busy dividing Indian subcontinent, Kashmir was left alone with the Hindu Maha Rajah; however, Nehru-Patel duo showed no concern on the plights of Kashmiris. The principle of division, which was solely based on religiosity of the people, somehow did not apply to Kashmir. At least, after the first war over Kashmir during 1947-1948 a plebiscite could have been held in Kashmir as mandated by the U.N. But Nehru was adamant. And now, India is paying a big price. Had there been a permanent solution to Kashmir, the terrorist activities that India is experiencing now could have been averted.
2. So you are advocating state-based terrorism, huh Mr. Pal? Look at Canada – it’s a vast country but in the East they have some French Canadians who would like to separate Quebec based on culture and language. But the movement is not a violent one. In America we have some homegrown terrorists who hold an extreme libertarian view such as not to pay taxes. Occasionally, we have ultra-rightists Christians who carried out terrorist activities or they would prefer to say that the government resorts to terrorist activities. Anybody remembers Waco, Texas where Branch Davidians fought a pitch battle against the law enforcement authorities in 1993? The dissidents were wiped out by the Federal boys. Yes, we all agree that terrorism is a part of national life; however, in India it seems as if there are many groups who would like to settle their scores with the bosses in New Delhi. How many groups of secessionists are there in the Northeast India’s 7 Hill Sisters states? Plenty! But Kashmir dwarfs them all.
3. We have said it all along that when a Muslim in Gaza, West Bank, and Kashmiri in Jammu-Kashmir decides to become a live ammunition, he or she does not do it solely for money. A person who was born in a refugee camp has very distorted view of life. The Kashmiri youth has seen nothing but repression from Indian side. In Pakistan the government’s relentless propaganda against India vis-à-vis Kashmir has helped the recruitment of terrorist among youth. Therefore, I for one was not surprised to hear that the gang of terrorists came all the way from southern Punjab. They thought it was a noble cause from them to come to Mumbai and do the terrorists activities. This should serve as a wakeup call for India. Why not give a plebiscite to Kashmiri people and give them three choices: 1. be a part of India; 2. be a part of Pakistan; 3. be totally independent. I think if a free election is held today, the overwhelming majority of Kashmiris will choose the last option.
In my judgment, the social injustice issue including the disenfranchisement of Kashmiris to decide their own fate is the prime reason why other sympathetic Muslims are joining the terrorist force. Do you know that late Yassir Arafat had popularized the suicide mission and other forms of terrorism (airplane hijacking, taking hostages in Olympic and killing the innocent athletes, etc.)? The Intifada Movement of 1990s also has been invented by Arafat.
The choice of Mumbai and targeting of westerners is self explanatory in November 26-27 killing of 195 people. This madness should stop. I hope Indian government has finally received the message. They should solve the Kashmir problem for once and all.
This is a response to Suman. You have wriiten-
Thanks a lot for your feedback
I’d love to meet you in person in future, if opportunity permits. It looks you are a sensible person too. I enjoy your comments in Mukto-Mona. I would like to hear more from you. Our readers will definitely get benefited from your various posts and comments.
I completely agree with you.
🙂
Thanks for your very kind words.
মিঃজাফর উল্লাহ,
আমাকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন কি
(১) রাষ্ট্রের গঠনের কি যৌতিকত্বা আছে? ভারতের যেমন কাষ্মীর, বাংলাদেশের চিটাগং হিল, পাকিস্থানের বালুচিস্তান, ইংল্যান্ডের আয়ারল্যান্ড-ফোঁড়া ত সবার ই আছে! কিন্তু আয়ারল্যান্ডে অন্যদেশের খ্রীষ্টিয়ান জঙ্গীরা এসেছে?
(২) রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ ছারা রাষ্ট্র টেকে কি ভাবে? পৃথিবীর কোন বড় দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ নেই? যত বড় দেশ, সে তত বড় সন্ত্রাসবাদি। আপনি একটা বড় দেশ দেখান, যেখানে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নেই। রাষ্ট্রের ধারনার পতন না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদি থাকবেই। কিন্তু সেই সন্ত্রাসের আদর্শবাদটা যদি ধর্মীয় হয়-সেটা কি ভাল হবে? না মানা যায়? ভারতে মাওবাদি সন্ত্রাস আসলেই এর থেকে অনেক বেশী অনেক বেশী ব্যাপৃত। সেটাই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শোষিতদের প্রতিরোধ। এতা ত শ্রেফ অন্য একটা দেশ ধর্মকে বিদেশ নীতিতে ব্যাবহার করছে। সেটা ভাইরাস হবে না কেন? সব থেকে বড় ভাইরাস ত এই নিজেকে হিন্দু বা মুসলমান ভাবা। এটা কি আপনি মানবেন????
(৩) কোন বস্তবাদি লোভে একজন জঙ্গী আত্মঘাতি জঙ্গি হটে চাইবে? কত ডলার দিলে আপনি আত্মহত্যা করতে রাজি হবেন বলে আপনার মনে হয়? সেই বস্তুবাদি কারনটা কি?
Terrorism is a combination of many things. If we pay attention to just one thing, then it will never be able to succeed to explain this phenomenon.
In religious terrorism, religion is the main ingredient; sanity wouldn’t deny that. What religion gives is the permission to kill.
My question is this: is the Koran perfect? If it is not, then it is not from Allah. And if it is not from Allah, then why not get rid of it? I know some of you are getting angry, as you read this; but that just proves that how religion hurts us.
নভেম্বর ২৯ তারিখে জানা গেল যে প্রায় ১০ জন সন্ত্রাসীর এই দলটি পাকিস্তান থেকে এসেছিল সমুদ্রপথে। এদের এক জন এখনো জীবিত – আর সে এখন পুলিশের জিম্মায়। সেই ছেলেটির বয়স মাত্র ২১। দক্ষিণ পাঞ্জাবের শহর মুলতানের কাছে ফরিদকোট হতে সে এসেছে অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সাথে। এই তথ্যগুলো প্রমান করে কী। ‘ইসলামিক ভাইরাস থীওরী’ না কি – social injustice theory?
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রম বিবাদ প্রায় ৬০ বছর ধরে চলে এসেছে। এর জন্য দায়ী অনেক দেশ। পাকিস্তান, ভারতসহ বৃটেন, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানী এই সব মুরব্বী দেশগুলো তো বটেই। কাস্মীরের ভাগাভাগি গোড়া থেকে ঠিক হয়নি। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও তাদেরকে ভারতের সাথে ঠেলে দেয়া হয়েছে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে। মুরব্বী দেশগুলো ইচ্ছে করলেই কাস্মীরকে একটে পৃথক দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারতো ১৯৫০ দশকে। কিন্তু তারা সেটা দেয় নি! এই এখন যে জংগীবাদী হামলা ভারতের বিরুদ্ধে নিরন্তর হচ্ছে, তার জন্য দায়ী ইসলামিক ভাইরাস নয়। বস্তুতঃ কাস্মীর এর রাজনৈতিক সমস্যার জন্য এই সব জঙ্গীবাদী হামলা পাকিস্তান থেকে আসছে। এর জন্য পাকিস্তানী রাজনীতিবিদরা অনেকটা দায়ী। আর ভারতের কথা কি আর বলবো! বিশাল জঙ্গী ফোর্স তার করায়ত্তে। আজকাল বিশ্বায়নের যুগে দু’ পয়সার মুখ কেবল দেখতে শুরু করেচ্চে তাও আবার ‘কল-সেন্টার’ আর ‘সোফট-ওয়ার’ তৈরি করে। এর জন্য ভারত নিজেকে untouchable মনে করে এই উপমহাদেশে । কাস্মীরিদের civil rights ক্রমশঃ খর্ব করা হচ্ছে। পাকিস্তান-ভারতের মাঝে তাদের কে নিয়ে রীতিমত ফুটবল খেলা হচ্ছে। এদের দুরাবস্থার জন্য পাকিস্তানের অনেক মুসলমানের হৃদয় কাঁদে । এদের অনেকেই কাস্মীরিদের জন্য নিজের জান দিতে এক পাঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
স্বর্গের হূর-পরীদের লোভ দেখিয়ে আজকাল আর ছেলেপেলেদের সন্ত্রাসী বানানো যাবে না। Socio-political injustice er খবর আর দৃষ্টান্ত মানুষকে নানান ভাবে psychologically affect করে। আর ধর্মীয় identity এর কারণে কাস্মীরিদের সাথে পাকিস্তানিরা ভারতের heavy-handedness policy টকে ঘৃণার সাথে দেখে। এই volatile পরিসস্থিতিতে মুলতান থেকে যদি এক ডজন ছেলে জঙ্গীবাদী হয়ে কোমান্ডো ওপারেশনে যোগ দেয়, তাহলে এই খবর শুনে আকাশ থেকে পড়ার কী আছে?
আমি মুক্ত-মনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি এই কারণে যে, আমরা যেন ভারত ও পশ্চিমী বিশ্বের প্রচার যন্ত্রের শিকার হয়ে না পড়ি। ইসলামিক ভাইরাসের থীওরী শুনতে বেশ লাগে! তবে the ground realityটা একেবারে অন্য রকম। ভারতকে আজ হোক কাল হোক কাস্মীর নিয়ে যে doscord চলছে সেটার একটা permanent settlement করতে হবে।
মুলতান হতে আগত ২১ বছরের জঙ্গী ছেলেটি ভারতে যে কারণে এসেছিল হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত হতে, তা আমার social injustice towards Kashmiris is the root cause of many terrorists’ attack against India – এই hypothesisকে জোরদার করেছে।
অভিজিতদা,
বেহেশতের এই “গেলমান”রা আসল কারা? এরা কি হুরদের বিকল্প? নারী বেহেশতিদের জন্য পুরস্কারস্বরূপ? নাকি এদের ভুমিকা শুধুই ওয়েটারের?
অভিজিৎ এর লেখা মানেই নতুন কিছু আমাদের জন্য উপহার পাওয়া।সামাজিক,রাজনৈতিক ও বিবর্তৈনিকভাবে এমন সুন্দর আলোচনা মনে হয় কম লোক-ই করতে পারে। “বিশ্বাসের ভাইরাস” নামক লেখাটি এ সময়ের একটি চমৎকার বলিৎষট লেখা। অনেক শুভেছছা রলো।
Avijit da,
First of all thanks for your logical and scientific piece of writting. I always enjoy your writting. To be honest; I love your writting style. I did not meet you in person but I have a feeling that you are very balanced and sensible person. I like farid vai, jahed vai, ananta, bonna di, nondini hossain, mizan vai …the list will be bigger and bigger… About this article I would like to say, well, social, economical and politics might be the main reason as farid vai said. Because it is easy to missguide and brainwash those who is poor and deprieved. These might be the driving force and religion is the destructive weapon. Both of them should be blamed and stopped. My point of view is to fight against terrorism we have to diminish the social inequalities and resist fundamantalism morally and ideologically. Such as MM is fighting morally and ideologically. Definitely it will take time but to save the human civilization we have to keep continue this. Thanks to everybody. PS. Dada, naim is the realistic example of viral infection and thus proof of your article. Ekkebare hate nate proman… Valo thakben.
সচলায়তনে করা শিক্ষানবিসের এই মন্তব্যটি আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে –
যথারীতি প্রবল ঈর্ষা উদ্রেককারী আরেকটি অভিজিতীয় লেখা। মুম্বাই যখন ইসলামী জঙ্গীদের হামলায় রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত, সারা বিশ্ব যখন আতংকিতভাবে নতুনভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা করছে অন্ধ ধর্ম-বিশ্বাস নামের সভ্যতানাশী, মানব বিনাশী দানবকে, ঠিক তখনই অভিজিত হাজির হয়েছে তার ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ নামের প্রবন্ধ নিয়ে। এই লেখাটি যে অসাধারণ একটা লেখা সেটা বলার কোন প্রয়োজন আমি দেখছি না। কারণ অভিজিতের প্রবন্ধ মানেই যে অসাধারণ কিছু একটা হয় সেটা আমরা সবাই জানি। শুধু এইটুকু বলা যায় ভয়ংকর রকমের মস্তিষ্ক-উন্মাদণাকর লেখা একটা।
ধর্ম নিয়ে ঢাকঢাক গুড়গুড় করার কোন মানে নেই। ধর্মগুলো সব শান্তশিষ্ট গুডু গুডু বয় কিন্তু কিছু লোক তার ভুল প্রয়োগ করছে বা ধর্মগ্রন্থগুলো সব ফেরেস্তাদের বয়ে আনা ঐশী বাণী, কিন্তু ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে মোল্লারা তরুনদেরকে জিহাদ বা ক্রুসেডের দিকে ঠেলে দিয়েছে বা দিচ্ছে এই সমস্ত কূটনৈতিক চালবাজি এবং ফটকাবাজী থেকে সরে আসার সময় হয়ে গেছে এখন। চরম সত্যি কথা হচ্ছে যে, পৃথিবীতে যত হিংসা হানাহানি হয়েছে, যত রক্তপাত হয়েছে, যত প্রাণনাশ হয়েছে তার সিংহভাগই হয়েছে ধর্মের কারণে, ধর্মগ্রন্থের নির্দেশে, ঈশ্বরের নামে আর বিশ্বাসের অজুহাতে। বিশ্বাস নামের এই ভাইরাস ক্রমাগত গ্রাস করে নিচ্ছে মানব সভ্যতা নামের সম্পূর্ণ হার্ডডিস্ককে। এখনই যদি সতর্ক না হওয়া যায়, এখনই যদি প্রতিরোধক নেওয়া না যায় তবে হার্ডিডিস্কটাই ক্রাশ করে যাবে যে কোন সময়।
পৃথিবীতে সবচেয়ে সফলবভাবে হিংসার চাষ যদি কেউ করে থাকে তবে তা হচ্ছে ধর্ম। প্রতিটা ধর্মই ভেবে থাকে যে সেই একমাত্র সত্য ধর্ম। সেই একমাত্র মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিত্ব করছে। বাকী সব ধর্মই মিথ্যা এবং বুজরকি। ফলে, মুখে যাই বলুক না কেন, অন্তরে অন্তরে সব ধর্মের লোকেরাই ভিন্নধর্মীদেরকে হীন চোখে দেখে, হেয় জ্ঞান করে। পাপী তাপী মানুষ বলে ভেবে থাকে। বিষধর সাপের মত সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে ছাড়ে না অবিশ্বাসীদের নধর কপোলে।
নানান হিসাব নিকাশ শেষে সময়ের প্রেক্ষিতে প্রায় সব ধর্মগুলোই এখন বিষথলি লুকিয়ে ঢোঁড়া সাপ সেজে বসেছে। অভিজিতের ভাষায় বকধার্মিক হয়েছে। ব্যতিক্রম হচ্ছে ‘শান্তির ধর্ম’ নামে পরিচিত ইসলাম ধর্ম। পৃথিবী জুড়ে অশান্তি তৈরি করাই এখন যার একমাত্র কাজ। পেট্রো ডলারের সুবাদে দারুণ ফর্মে আছে সে। বাকী সব সর্পদের অভাব একাই পূরণ করে চলেছে এই সর্পরাজ। এর বিষাক্ত ছোবলে পৃথিবীর মানুষের এখন জান যায় যায় দশা।
এই ধর্মের ঐশী বাণীর মধ্যে কি ধরণের ভয়ংকর সন্ত্রাসে উদ্দীপ্ত করার কথা-বার্তা লেখা আছে তা অভিজিতের এই লেখার মধ্যেই আছে। যে পরম করুণাময় ঈশ্বর তার সৃষ্ট মানব প্রজাতির এক অংশকে অন্য অংশের বিরুদ্ধে এরকম সহিংসতার উস্কানী দিতে পারে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক (ঈশ্বরের মস্তিষ্কেই হয়তো ভাইরাল ইনফেকশনটা প্রথম হয়েছিল 😆 )। না জাগাটাই বরং বিস্ময়কর। অথচ সেই বিস্ময়কর ঘটনাটাই ঘটে অহরহ। রক্তপিপাসু ঈশ্বরের ভক্তিতে গদগদ হয়ে উঠে লোকজন, মেতে উঠে তার অন্তহীন বন্দনায়।
তবে কথা হচ্ছে শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থে লেখা কিছু অচল জেহাদি শ্লোক পড়েই কি মুসলমান ছেলে ছোকরাগুলো জেহাদি হয়ে উঠছে? বেহেশতের আয়তলোচনা পেলব সুন্দরী হুরপরী আর সুদর্শন কোমল গেলমানদের আশাতে আত্মঘাতী হয়ে একের পর এক কাফের হত্যা করছে? মনে হয় না। এই ব্যাখ্যা হবে অতি সরলীকরণ।
ভাইরাসের বীজ লুকিয়ে আছে ধর্মগ্রন্থে, সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু সেই বীজকে জলপানি খাইয়ে গবেষণাগারে রীতিমত চাষবাস করিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একসময় সে তার শত্রুদের বিরুদ্ধে এই ভাইরাসকে কাজে লাগিয়েছে তার নিজস্ব প্রয়োজনে। তারপর প্রয়োজন যখন শেষ হয়েছে তখনই ছুড়ে ফেলে দিয়েছে আস্তাকুড়ে। কিন্তু ততদিনে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। এই ভাইরাস তখন হয়ে উঠেছে ভয়ংকর শক্তিশালী এবং নিয়ন্ত্রণহীন। অপাংক্তেও হওয়ার অপমানে এখন সে তার পুরনো মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দোসরদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিশোধ স্পৃহায় একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সে। বন পোড়ানো যে আগুন জালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র একসময়, তাতে পশ্চিমা বিশ্ব ঘি ঢেলেছে মহানন্দে – মুসলমানদের প্রতি অবহেলা, অপমান, অত্যাচার আর তুমুল বৈরি মানসিকতা প্রদর্শন করে। অপ্রয়োজনে একঘরে করে ফেলা হয়েছে তাদেরকে। কাজেই, সভ্যতার সাথে সাংঘর্ষিক অবস্থানে যাওয়ার জন্য মুসলমানদেরকে এককভাবে দায়ী করাটা হবে চরমভাবে বোকামী। সভ্যতারও সেখানে ইন্ধন কম ছিল না বা এখনো কম নেই।
তাহলে এর সমাধান কি? এই ভাইরাসের এন্টিবডি কি হবে? সম্মিলিত এবং সমন্বিত আক্রমণের মাধ্যমে সারা বিশ্বের জঙ্গীদেরকে নির্মূল করা? না, এতে লাভ হবে না বিশেষ কিছু। এর জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে ইজরায়েল এবং শ্রীলংকা। কোটি কোটি মুসলমানের মধ্যে থেকে আবারো কয়েকশত বা কয়েকহাজার জঙ্গী তৈরি হয়ে যাবে। রাতারাতি ধর্মকেও উচ্ছেদ করা যাবে না? এর শিকড় অনেক গভীরে।
এই সমস্যার সমাধান করতে হবে বিশ্বজনীনভাবে। আজকের ইসলামী সন্ত্রাসবাদীরা মূলত পশ্চিমা বিশ্বের আনুকূল্যে গঠিত রাজনৈতিক ইসলামের ফসল। সেই রাজনৈতিক ইসিলামের পিছন থেকে সমর্থন সরিয়ে নিতে হবে পশ্চিমা বিশ্বকে সর্বপ্রথম। সার্বজনীনভাবে সারা বিশ্বে দেশে দেশে ধর্ম-নিরপেক্ষতাকে একমাত্র গ্রহণযোগ ব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অজ্ঞতা এবং ধর্মান্ধতা থেকেই সূচনা ঘটে সন্ত্রাসবাদের। কাজেই, মুসলিম বিশ্বের দেশে দেশে যাতে শিক্ষার প্রসার ঘটে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। নারী পুরুষের সাম্য কায়েম করতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে পাশ্চাত্য বিশ্বে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে মুসলমানদেরকে যে অবহেলা এবং বঞ্চনা পেতে হচ্ছে তা দূর করে সমানাধিকার এবং সমান সম্মান নিশ্চিত করতে হবে।
তবে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ দূরীকরণে সবচেয়ে সফল চেষ্টা হতে পারে এর ভিতর থেকেই। উদার, সহনশীল এবং প্রগতিমুখী মুসলমানদেরকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে। তাদেরকেই এর সংস্কারে এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে তাদেরকেই। হয়তো একদিনে এই সমস্যার সমাধান হবে না। হয়তো লেগে যাবে দীর্ঘদিন। তবুও তা করতে হবে মানব সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থে। ভবিষ্যত প্রজন্মের খাতিরে। আমরা নিশ্চয়ই মানুষে মানুষে হানাহানিময়, আতংকগ্রস্থ, নিরাপত্তাহীন এবং অনিশ্চিত কোন পৃথিবী রেখে যেতে চাই না আমাদের উত্তর পুরুষের জন্য। চাই কী?
And I believe this virus is so strong in the society and in the families as well that can easily turn into a believers factory.
As D. Avijit depicts the fierce site I assume this is a very good remedy for the affected society and especilly for the youth whom are now a days very intend to go to fucking HEVEN!
Expect a MUKTO MONA society. Lets looking ahead
And I believe this virus is so strong in the society and in the families as well that can easily turn into a believers factory.
As D. Avijit depicts the fierce site I assume this is a very good remedy for the affected society and especilly for the youth whom are now a days very intend to go to fucking HEVEN!
Expect a MUKTO MONA society. Lets looking ahead
আমি জাফর উল্লাহ সাহেবের সাথে একমত। কোরান বা সব ধর্ম গ্রন্থ কিন্তু একই আছে, অথচ ধর্মের দোহাই দিয়ে নীরিহ মানুষ মারা নিত্যদিনের ঘটনা হওয়া কিন্তু খুব পুরানা না। এমন কি ৮০র দশকেও এ ধরনের ঘটনা খুব কমন ছিল না। হ্যা, ধর্মের নামে মানুষ হত্যার ইতিহাস অনেক পুরানো, কিন্তু সুইসাইড বোম্বিং বা সন্ত্রাস খুব বেশীদিনের না।
আমি যেটা বলতে চাচ্ছি তা হল, এই ধর্ম কেন্দ্রিক সন্ত্রাসের জন্য শুধুই ধর্ম দায়ী না। দায়ী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিও, লাদেন বা তালেবানের সৃষ্টি কর্তা কারা তা আমরা সবাই জানি। তাই না? বিষধর সাপ নিয়ে খেলা করলে তা নিজেকে কামড় কোন না কোনদিন তো দিবেই। ধর্মকে ব্যাবহার করা হচ্ছে, কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু যারা ব্যাবহার করছে সেই নেপথ্য নায়কদের সম্বন্ধে উদাস থাকলে এর সমাধান কোনদিন ই হবে না। আমার তো মনে হয় আমেরিকার মানুষ যদি কড়া সুরে তাদের সরকারকে ৯-১১ এর প্র জিজ্ঞাসা করতে যে কেন তালেবানদের সৃষিট করা হয়েছিল তাহলে তাদের আর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সন্থাস দমনে উড়াতে হত না। নিজেদের দেশে বোমা মারলে সন্ত্রাস আর সেই সন্ত্রাসীদের সৃষ্টি করা আর অন্য দেশে বোমাবাজীতে সরাসরি সাহায্য করা পররাষ্ট্রনীতির অংশ? আমেরিকার জনগ্ণ তাদের সরকারকে এই প্রশ্ন ও করে না যে তাদের কষ্টার্জিত উপার্জনের ট্যাক্স কেন ইসরাইলে যাবে? সন্ত্রাসীরা ধরমীয় লেবাসধারী হলেও এই সব সাম্প্রতিক সব সন্ত্রাসের উতস কিন্তু রাজনৈতিক, ধর্মীয় নয়।
ধর্মে হিংসা বা সন্ত্রাস উস্কানোর উপাদান আছে, মানি। আবার ভাল ভাল কথাও কিন্তু আছে। বিজ্ঞানের প্রয়োগ কিন্ত মানুষের চরম ক্ষতিকর কাজেও ব্যাবহার করা যায়, করা হয়েছেও। তাই বলে বিজ্ঞান কিন্তু খারাপ হয়ে যায় নি। ভাল খারাপ নির্ভর করে প্রয়োগের উপর।
আমাকে সব চেয়ে দুঃখিত করে যখন দেখি ধর্মের নামে মানুষ অন্দধ হয় তখন। যেমন, এখনো বহু মুসলমান বিশ্বাস করেন যে লাদেন ৯১১ এর জন্য দায়ী না, সবই ইহুদী চক্রান্তের অংশ। অনেকে মুখে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলেও মনে মনে বলেন বেশ হয়েছে। এই দুঃখজনক প্রবণতা সব ধর্মাল্মবীদের মাঝেই দেখা যায়, এমন কি অতি উচ্চ শিক্ষিতদের মাঝেও। এই প্রবণতা হল এই ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় সন্ত্রাসের ভিটামিন।
এই ভিটামিন সাপ্লাই বন্ধ না হলে এবং জাফর উল্লাহ সাহেব যা বলেছেন, social/economic injustice বন্ধ না হলে এর কোন সমাধান নেই।
Avijit Bhai, khub jobdo uttor diyesen…
thank you
জাফরভাই, আপনার সময়োচিত মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। হ্যা, পলিটিকাল কন্টেক্সটগুলো অবশ্যই আমাদের মাথায় রাখতে হবে, না হলে কোন আলোচনাই সম্পুর্ণ হতে পারে না। সেজন্যই কিন্তু আমি আমার লেখায় উল্লেখ করেছি -‘
তবে একটি জিনিস কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। কাশ্মিরি জনগনের উপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর লাগাতার অত্যাচার, বাবড়ি মসজিদ ধবংস কিংবা গুজরাটে সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিমদের উপর যে ধরণের অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে তা ভুলে যাবার মত বিষয় নয়। মুসলিমরা ভারতের জনগনের প্রায় ১৪ শতাংশ। অথচ তারাই ভারতে সবচেয়ে নিপিরীত, অত্যাচারিত এবং আর্থসামাজিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এক জনগোষ্ঠি। এ বাস্তবতাটুকুও বিশ্লেষনের সময় মাথায় রাখতে হবে।’ এ নিয়ে একটা ভাল লেখা টাইমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে, দেখুন এখানে। না- মুক্তমনা লেখকেরা কখনোই ‘one-trick pony’ হিসবে লেখা লখেনি – তা নিশ্চয় আপনি এতদিনে জানেন। রাজনৈতিক ব্যাপারগুলো মাথায় রেখেও বলছি – ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ টেররিজমের অন্যতম প্রধান উৎস। এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরাই ছিলো আমার প্রবন্ধের মূল উদ্দেশ্য।
অভিজিৎ।
ডঃ জাফর উল্লাহর সাথে ভিন্নমত পোষন করছি। ভারতে গত ছমাসে ১০টা বিষ্ফোরন ঘটেছে। এর মধ্যে কোন কাষ্মীরি বা গুজরাটি মুসলিম ছিল না। মূলত পাকিস্থানের এল এই টি রাই এই কাজ করেছে।
তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়াল আপনার তত্ত্ব অনুযায়ী? পাকিস্থানের মুসলিম যুবকরা, ভারতে মুসলিম নির্যতনের প্রতিশোধ নিচ্ছে? এবার ব্যাপারটা ভাবুন। পাকিস্তানে কি এদের ওপর অন্যায় অত্যাচারের শেষ আছে? গোটা দেশটা লুটে খাচ্ছে কিছু পরিবার। সেই অত্যাচার অবিচার ( বালুচিস্থান ধরে) চোখে পড়ল না-চোখে পরল কাষ্মীরে মুসলিমরা অত্যাচারিত! সেখানে এবার খুব শান্তিতেই ৬৭% ভোট দিয়েছে কয়েকদিন আগে এবং তাদের জঙ্গী সংগঠনগুলির পালে কোন হাওয়া নেই। অথবা ধরুন এরা তিব্বত বা জাফনায় স্বাধীনতা কামীলোকের ওপর কোন অত্যাচার দেখতে পায় না-পাচ্ছে শুধু যেখানে মুসলিমরা নির্যাতিত। তাহলে ত ব্যাপারটা সেই সাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মীর বিদ্বেশ হয়ে দাঁড়াচ্ছে! নিজের ধর্মের লোকদের জন্য ফিলিংস থাকতেই পারে-কিন্তু সেটাকে ত ভাইরাস ই বলা যায়-কারন মানুষকে ত আসলেই হিন্দু মুসলমানে ভাঙা যায় না। শুধু বলতেই পারেন ,এ ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদি শক্তিগুলির ভূমিকা সেই ভাইরাসকে হোস্ট করার জন্যে। তবে আমাদের দোষটাই কি খুব কম? আমরা যদি হিন্দু-মুসলামান বিভেদ মানি, সেটাকে আমেরিকার ব্যাবসায়ী গোষ্ঠি কাজে লাগাবেই। আমাদের অবস্থাটা ত সেই পিঁপড়ের মতন ই হল! সেটাকে যারা দূর করতে পারত-সেই বামপন্থীদের ব্যার্থতাটাই আমাদের আগে বিশ্লেষন করতে হবে।
প্রিয় অভিজিত,
শুধু মাত্র ধর্মের দোহাই দিয়ে জিহাদীদেরকে অনুপ্রেরিত করা যাবে না ৯-১১ বা মুম্বাই এর মত হত্যা কান্ডে লিপ্ত হতে। এর মধ্যে একটা missing link রয়েছে। আর সেটি হচ্ছে – social injustice issue. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইস্রাইলকে অর্থ, আগ্নেয় অস্ত্র, এবং moral support দিয়ে গত ৬০ বছর ধরে যে ভাবে support করে এসেছে আর যার ফলে ইস্রাইল বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জয়ী হয়ে প্যালিস্টাইনের জনগণের self rule concept টাকে দুমড়ে হিচকে বিনাষ সাধনে সচেষ্ট হয়েছে – সেটি আরবী young generation কে উদ্বুদ্ধ করেছে পশ্চিমী বিশ্বের প্রতি ঘৃণিত দৃষ্টিতে তাকাতে। এই কারণে মোহাম্মদ আতার মত জিহাদী খুজে বেড়াতে বিন লাদেনের গোষ্ঠীর কোন কষ্টই হয়নি।
ভারতের বেলায় কাশ্মীর ইস্যুটি অবিকল সে’ ভাবে কাজ করেছে। সে জন্য ভারতের বেলায় জিহাদী ব্রিগেডের জন্য স্বেচ্ছাসেবক খুজে বেড়াতে ইস্লামিস্টদের বেশী দূরে যেতে হবে। কাশ্মীর, পাকিস্তান, ও অন্যান্য মুসলিম দেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবক এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে যারা মুম্বাই বা নয়াদিল্লীতে গিয়ে বোম ফাটাতে বা কোমান্ডো স্টাইলে নরহত্যা করতে এক কথায় রাজী।
নিউ ইয়র্ক হচ্ছে আমেরিকার Financial Nerve Center, তাই জিহাদীরা ৯-১১ জন্য WTC Building কে গ্রাউন্ড জীরো হিসাবে গণ্য করেছিল। আর মুম্বাই হচ্ছে ভারতের Financial Nerve Center, তাই জিহাদীরা ভারতের বেলায় মুম্বাই এর তাজ হোটেলকে গ্রাউন্ড জীরো হিসাবে নির্ধারিত করেছিল। আর ইহুদীদের সেন্টার আক্রমণ কেন করেছে সেটা আমাকে আর বুঝিয়ে বলতে হবে না!
আমার একান্ত অনুরোধ হচ্ছে যে, আমরা যেন এত simple-minded না হই যখন আমরা এত complex issue নিয়ে লিখালিখি করি। আমাদের মধ্যে ‘one-trick pony’ hobar একটা প্রবণতা আছে । তাই ৯-১১ বা মুম্বাইর ১১-২৫ এর হত্যাকান্ড এ’গুলোর পেছনে শুধুমাত্র ধর্মীয় উত্তেজনা ও অনুপ্রেরনা দেখি। Social Injustice issueটাকে গনতির মধ্যে নেই না। মানুষ vacuum এর মাঝে বিচরন করে না। সেই জন্য social, economical, and political context গুলো আমাদের দৃষ্টির মাঝে ধরে রাখতে হবে।
জাফর
এই উত্তরটি naim সাহেবের প্রতি —
মুক্তমনায় এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সমস্যাটি ঠিক কোথায় তা বুঝলাম না। আমি তো কোথাও দাবী করিনি যে আমি ‘সব বিষয়ে জ্ঞানী’। বরং আমি বলি যে, আমি আসলে প্রতিদিনই শিখছি। আপনার কাছে থেকেও, অন্যদের কাছ থেকেও। আর আমি কোন বিষয়ে লিখব কিংবা না লিখব, সেটা না হয় আমার হাতেই ছেড়ে দিন, স্যার। আর আপনি কি বিষয়ে লিখবেন তা না হয় থাকুক আপনার কাছে। আমার উপর অহেতুক রাগান্বিত না হয়ে কিংবা অর্বাচীন বিশেষণ ব্যবহার না করে আমার লেখার ভুলগুলো ধরিয়ে দিলেই বরং খুশি হব।
আমি কখন ‘পৃথিবীর সব বিষয়কে আর সব মানুষকে’ যাচ্ছেতাই ভাবলাম? আপনি বরং আপনার বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রাখুন – কমেন্ট করতে এসে এ ধরণের ভিত্তিহীন কথাবার্তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেল না?
যাহোক তবুও মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
“আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ-তাহাই আসল ঈশ্বর প্রদত্ত-এবং অন্যধর্মে জল আছে” এটাই সব থেকে বড় ভাইরাস। এই ভাইরাসেই ভুগছে সব ধার্মিক লোকেরা। ধর্মে ভালো খারাপ সবই আছে। কিন্ত সমস্যা হচ্ছে রাজনীতিতে ধর্মর ব্যাবহার হবেই। কারন ক্ষমতা আধুনিক কালে কিছু আদর্শবাদ ঘিরেই আবর্তিত হয়। সেটা ধর্ম হলে সস্তায় ক্ষমতা দখলে অনেক বাজিমাত হয়। বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ত তাই। সুতরাং এই আদর্শবাদের মূলে আমাদের আঘাত করতেই হবে।
হ্যাঁ, ধর্ম আসলে ভাইরাসের মতোই ক্ষতিকর। এই জন্য তো ক্রিস্টোফার হিচেনস বলেছেন ‘ধর্ম সবকিছুকে বিষাক্ত করে ফেলে’।
অভিজিতদাকে ধন্যবাদ।
amar jana mote god ba nature aj porjonto ekjon manush o toiri koreni [apnake chara] jini prithibir sorbo ghane ghani. apner sob gulo likha ami pori. apni somokam theke suru kore prithibir sob opo kamkai manober jonno science ar losic dea jaez kore deachen.
apner moto ekjon manusher pokhe prithibir sob bishashke ar sob manushke evabe jache tai vaba ki somochin hoche ? proshnota apner bibeker kachai rakhlam.
আসলেই তো – এভাবে ভাবিনি কখনো। হুম- ধর্ম জিনিসটাই একটা ভাইরাস- প্যারাসাইটের মত মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। তখন মানুষ দিক বিদিক হারিয়ে ছুটতে থাকে রঙ্গিন নেশায়। বুকে বোমা বেধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বেহেস্তের অপ্সরাদের আশায়।
এই ভাইরাস থেকে সহসা মুক্তি আসবে কি?