ইহা কাজের কথা নয়
রণদীপম বসু
চল্লিশার প্রভাব কিনা জানি না, সাদাকে কালো বলিয়া ভ্রম হইতেও পারে। তথাপি যাহা দেখিতেছি তাহার জন্য মনটা হু হু করিয়া উঠিল। এইরকমের বিরল হইয়া যাওয়া দৃশ্য কতোকাল যাবৎ দেখিতেছি না ! ছয়-সাতটি বছর তো গত হইয়াই গেল !
সুরমার ব্যঞ্জনা মাখিয়া চক্ষু দুইখানা উজ্জল হইল কিনা কে জানে। ভক্ত আশেকান কর্মী সমর্থক বেষ্টিত হইয়া ধবধবে পোশাক পরিয়া তিনি বয়সকে দমাইয়া রাখিয়া যেইভাবে মহল্লার সদর রাস্তাটিকে এইপার ওইপার করিতে লাগিলেন, ভাবিতে লাগিলাম, আহা, এইরকম স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া কয়জনে ইহা করিতে পারে ! নেতা হইবার যোগ্যই বটে ! এইরূপ ঘটা করিয়া কুশল বিনিময়ের হেতু বুঝিয়া উঠিতে আমার গুটিকয় মুহূর্ত চলিয়া গেলো। হঠাৎ করিয়া মাথার ভিতরে দিব্যজ্ঞান আসিয়া ভর করিতে লাগিল। কোনরূপ শ্লোগান বা স্বরোৎক্ষেপণ না ঘটিলেও নেতাজীর ভক্তকূলের মুখভঙ্গি অবলোকন করিয়া কীভাবে যেনো তাহাদের বক্ষাভ্যন্তরে গুমড়াইয়া উঠা কথাগুলি দিব্যকানে শুনিতে লাগিলাম- আসিতেছে শুভদিন অমুক ভাইয়ের সালাম নিন, তোমার ভাই আমার ভাই অমুক ভাই অমুক ভাই !
এইবার দিব্যচোখ বর্তমান পার হইয়া কয়েক কদম আগাইয়া গেল। মনের মাধুরি মিশাইয়া চারিদিকে কতকিছু উৎকীর্ণ দেখিতেছি। অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র, আর কোন চিন্তা নাই আসিয়াছেন তমুক ভাই, মা-বইনেরা সালাম নিন শমুক ভাইরে চিনে নিন, তমুক ভাইকে রায় দিন জনসেবার সুযোগ দিন। দিব্যদৃষ্টি কাঁপিতে লাগিল, কেননা হঠাৎ করিয়া জনসেবকের ভীড় দ্রুত বাড়িয়া যাইতেছে। রীতিমতো ঠেলাঠেলি পড়িয়া গেল। কাহার আগে কে জনসেবায় ঝাঁপাইয়া পড়িবে তাহার ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা লাগিয়া গিয়াছে। এ উহাকে ঠেলিতেছে, সে তাহাকে ধাক্কাইতেছে, তিনি উনাকে গুঁতাইতেছেন। একেবারে হৈহৈ রৈরৈ কাণ্ড বাঁধিয়া গিয়াছে। বহুদিনের অনভ্যস্ত দৃষ্টি তাহা সহ্য করিতে পারিল না। অধিকতর সমস্যার আশঙ্কায় তাড়াতাড়ি দিব্যজ্ঞান গুটাইয়া পুনরায় বর্তমানে আসিয়া খাড়া হইলাম। এ কী ! এইবার আমিই কুশল বিনিময়ের লক্ষ্য হইয়া গেলাম ! তাঁহার বিগলিত বদনের উষ্ণতায় শেষপর্যন্ত আমি অধমও বুঝি গলিয়া গেলাম।
বিগলিত বক্ষে হাঁটিতেছি আর ভাবিতেছি, এই ভূ-ভারতে আর কোন্ দেশটি রহিয়াছে যেইখানে নিজের খাইয়া বনের মোষ তাড়াইবার মতো জনসেবা করিবার জন্য চারিদিকে হুড়াহুড়ি লাগিয়া যায় ? হঠাৎ করিয়া প্রশ্ন জাগিল, জগতে কোন্ দেশের নাগরিকদের মধ্যে জনসেবার আগ্রহ শীর্ষ অবস্থানে রহিয়াছে ? প্রশ্নটা যথার্থ হইল কিনা জানি না। কিন্তু জ্ঞান-গম্যির সীমা-পরিসীমা আতিপাতি করিয়া খুঁজিয়াও ইহার উত্তর পাইলাম না। সম্ভাব্য গ্রন্থ-পুস্তকাদিও ঘাঁটাঘাটি করিয়া ফেলিলাম প্রচুর। সকলই বৃথা হইল। জ্ঞানের জন্য সুদূর চীন দেশে যাইতেও বাধা নাই জানিয়া অবশেষে যাহাকেই সামনে পাই তাহাকেই প্রশ্ন করিতে লাগিলাম। কেহ নিজের অজ্ঞানতা প্রকাশ করিল, কেহ ভাবিল বিদ্রুপ করিতেছি, আবার কেহ ভাবিল এইবার সারা হইয়াছে ! মস্তিষ্কের আশু সার্ভিসিং প্রয়োজন জ্ঞান করিয়া তাৎক্ষণিক পরামর্শটুকু জানাইয়া দিতেও কেহ কেহ দ্বিধা করিল না। কিন্তু আমার প্রশ্নের উত্তর না পাইয়া আমি যে কীরূপ মর্মাহত হইলাম, তাহা কেহই বুঝিল না। সবাই কি তাহলে অন্ধ হইয়া গেল !
যেই দেশে জনসেবা করিবার সুযোগ হাতছাড়া হইবার আশঙ্কায় প্রতিযোগী জনসেবককে খুন করিয়া ফেলাটা বিস্ময়ের কিছু নয়, অধিক জনসেবা করিবার আশায় গোষ্ঠী বা দলের বড় পদে অধিষ্ঠিত হইতে মুহূর্তকালের মধ্যেই মারামারি লাগিয়া যায়, অথবা কে কাহাকে ছাড়াইয়া আরো তীব্রতর জনসেবা করিতে পারে সেই প্রচেষ্টায় একে অন্যের চরিত্র লুণ্ঠন করিতে সর্বশক্তি লইয়া ঝাঁপাইয়া পড়ে, কিংবা জনসেবার কিঞ্চিৎ সুযোগ পাইবার নিমিত্তে সকাল-বিকাল দল বদলের গড়াগড়ি করিতেও বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করে না, সেই দেশের নাগরিক হইয়া নিজেদের গর্বকেও ঠাহর করিতে পারিল না কেহ ! ইহা কি মর্মাহত হইবার মতো কথা নয় ! জনসেবার আগ্রহে সর্বাধিক পয়েণ্টে বিজয়ী নাগরিকের গর্বিত দেশটির নাম যাহারা বলিতে পারিল না, তাহাদের জন্য আমার অনুতাপ হইতে লাগিল। তাহারা কি এখনো দেখিতেছে না যে, দেশ ও দশের সেবা করিবার মনোবৃত্তি লইয়া নিজ নিজ দলের মনোনয়ন প্রত্যাশায় চতুর্দিকে কীরূপ ব্যতিব্যস্ত অবস্থার উদ্রেক হইয়াছে ! কেহ কেহ সাঙ্গপাঙ্গ লইয়া দলীয় প্রধানের কার্যালয় বা বাসভবনের সম্মুখে ধনুর্ভঙ্গ পণ লইয়া অবস্থান ধর্মঘটে বসিয়া গিয়াছে, জায়গার সঙ্কুলানে কাড়াকাড়ি পড়িয়া গিয়াছে। জনসেবাই যদি করিতে না পারিল তাহা হইলে এই জীবন আর রাখিয়া কী হইবে ভাবিয়া কেহ কেহ আমরণ অনশনের কর্মসূচি জানাইয়া দিয়াছে। কেহ কেহ জনসেবা করিবার দলীয় টিকিট না পাইয়া তীব্র হতাশায় গাড়ি-ঘোড়া-দোকান-পাট ইত্যাদি ভাঙচুর এবং জ্বালাও পোড়াও শুরু করিয়া দিয়াছে ! আবার কেহ কেহ তো জনসেবার সুতীব্র আকাঙ্ক্ষায় বিদ্রোহী প্রার্থী হইয়া নিজের যোগ্যতা দেখাইয়া দিতে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করিয়া দিয়াছে ! দেশের ও দশের এই অভূতপূর্ব সেবা করিবার তীব্রদাহন কে কবে কোথায় আর দেখিয়াছে এমন !
সেবা গ্রহণের বা হজমের যোগ্যতা মূর্খ জনগণের না থাকিতে পারে। তাই বলিয়া যেই দেশে সেবা করিবার এইরকম মারাত্মক ইচ্ছাধারণকারী জনসেবকের অবিরল বন্যা বহিয়া যায়, সেই দেশের ভবিষ্যৎ লইয়া যাহারা দুশ্চিন্তা করিয়া রাত্রির ঘুম নষ্ট করিয়া ফেলে, তাহাদের জন্য অনুতাপ করিতে করিতে আমিও কি ঘুম নষ্ট করিব ? ইহা কাজের কথা নয়।
হঠাৎ জাগিয়া উঠিলাম! কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। চারিদিকে এইসব যাহাকিছু ঘটিতেছে, সকলকিছুই কি স্বপ্নের মধ্যেই ঘটিতেছে! আমি কি তবে ঘুমাইয়াই আছি? ইহার উত্তর দিবার মতো কেহ কি কোথাও জাগিয়া নাই ?
(২৩/১১/২০০৮)
My God..See how the atheists flock together to defend their faith in religion…Bly me..! Who is the prophet? Richard or Ted?err….God? Science?
Lawyer shaheb, Allah k dekesen bipode pore valo kotha, ei nastik der proti apnar eto rag, to Allah shaheb ke ektu foriad janan-na ei nastik der k ultiye londo vondo kore tosnos kore dite, Jemon ti koran e bar bar ullekh ase. Shoto shoto jati jara allah k abiswas korese (jemon aad, samud etc…) tader k naki allah emon vabe ultiye deyasilen jeno ekti chador ultiye fel-le jemon hoi. Abar naki kokhono kokhono emon vabe dhonsho koresen jeno mone hoi itopurbe okhane kono jati-e silo na. tahole vai apni keno ato kosto korsen? Naki Allahr upor vorosha nai??
Arekta kotha, bhaijan, apnar khub kosto lagtese nastik der ei ‘chillafalla’ dekhe. Kintu bhaishaheb vule jaben na Allahr hukum sara gaser pata o nore na. So, ei chillafalla nishchoi allahr hukum batito hosse na. Taile ki bhai dosh amader?
Okay Islam Bhai, we wish to see you again.
উকিল সাহেব
আপনার মনে আছে কি ” আপনাকে বড় বলে বড় সে নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সে হয় ” ……..
রাস্তা দেখে পার হবেন, তা না হলে নিজের করা গর্তে পড়ে পা ভেঙে ডিবেট করতে জায়গামত পৌছতে পারবেন না
ভালো থাকবেন
a laywer doesn’t write the way you write my friend.
রণদীপম বসুর লেখার প্রশংসা করছি। অবশ্য তার বেশিরভাগ লেখাই উপভোগ করি।
ফরিদ ভাইয়ের কথা পছন্দ হইলো। বিনোদনের যে অভাব তার মধ্যে এরকম ফাও বিনোদন পাইলে মন্দ হয় না। বাঙালি তো না হয় আলকাতরাই খাইলাম। ফাও তো। হাঁ! হাঁ! হা! 🙂
আরে মিয়া এতো অস্থির হওনের কি হইলো? তুমি আগা মাথাওয়ালা লেখা লেখো বইলাকি সব্বাইরেই আগা মাথাওয়ালা লেখা লিখতে হইবো নাকি? মাথা ছাড়া লেখা লেখার মতো মুন্ডুবিহীন লোকজনও কম নাই আল্লার এই দুনিয়ায়। আর তাছাড়া আজকাল বিনোদনের যে আকাল পড়ছে তাতে ফাও ফাও কিছু বিনোদন পাইলে খারাপটা কি? পাবলিকরেতো তুমি বঞ্চিত করতে পারো না। বুকের ছাতি ফুলাইয়া এতো বড় একখান রুস্তম পালোয়ানের মতন হুমকি দিলেন এইডা লোকজনরে জানাইতে হইবো না?
সাইটের মান ইজ্জুত নিয়া চিন্তা করনের কিছু নাই। মানীর মান আল্লাই রাখবো। তোমার আমার না ভাবলেও চলবো। মাগার আমার চিন্তা অন্য জায়গায়। উনি যে উনার সাইটের নাম যুক্তিমনা রাখলেন, এই কামডা কি যুক্তিযুক্ত হইলো? ধর্মেতো যুক্তি তক্কের কোন বালাই নাই বইলাই জানি। খালি বিশ্বাসের ছড়াছড়ি আর গড়াগড়ি। উনার ধম্মে যেই জিনিস নাই হেই জিনিস মনা হওনের হাউশ হইলো ক্যান উনার? আদম আব্বাজানের মত উনারও কি নিষিদ্ধ গন্দম খাওনের শখ হইলো নাকি? উনার সাইটের নাম হইবো বদ্ধমনা নয় বিশ্বাসমনা, তাইলে সে না মানায়। তা না কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন থুক্কু পদ্মলোচন ছেলের নাম দেখছি কানামনা রাখতাছেন। 😆
This Mufasil Islam has been spamming all along for a while. In each and every post he comes out with this same meaningless messages. I have deleted at least 4 messages having same content as above. If he is a ‘renowned lawyer’ then anyone will think twice to hire him, unless anyone wants to loose his case intentionally!
বাই দ্য ওয়ে ফরিদ ভাই, এই ব্যাটার লেখার তো আগা মাথা নাই। কি লইয়া কারে চ্যালেঞ্জ করতাছে তা উনিই একমাত্র জানেন। উনি নাকি ‘যুক্তিমনা’ নামে এক নতুন সাইট খুলবেন, আমগো ফোরামে ম্যাসেজ পাঠাইছেন। সবারে আবার লেখা দিতেও অনুরোধ করছেন। সাইটেরই খবর নাই, আবার লেখা। আমার মনে হয় এ রকম অপ্রাপ্তবয়স্কদের কমেন্ট দেইখা শুইনা পোস্ট করলে ভাল হয়। নাইলে সাইটের মান ইজ্জত কিছু থাকব না। কি কন?
ফ্রিথিঙ্কিং প্রমোট করি বইলা অর্থহীন সিরিয়াল স্প্যামিংও প্রমোট করন লাগবো নাকি?
Dear Mr. Mufassil Islam: I do not know who you are but you certainly show insolence. What makes you think that Mukto-mona forum is promoting communism. We are certainly promoting Darwinism. Would you like to debate with us on Darwinism, humanism? Be our guest by all means.
You expressed an interest to arrange a debate with freethinkers on any Islamic issues and you would video-tape it. Islamists abhor anything about science (such as Darwinism) but love to embrace technology that is spawned by science. There are plenty of examples – motor car, jet plane, photocopy machine, fax machine, telephone, digital camera, DV cameras, computers, Internet, etc. Should not science be your religion? Tell us what Islam and for that matter Christianity, Judaism, etc., have given to the mankind? Name one that benefits the modern human being. Islam is just like the other blind faith based religion.
Mr. Islam, you are like a bull in a china shop. You’re trying to stir up things! Mukto-mona has other pressing issues to deal with. Just don’t bother asking anyone of us to engage in a debate with you.
Come on Mukto Mona writers…Take up my challenge in debate. I am a well-known blogger,columnist and a lawyer and you know that. Stop publishing one sided false arguments against Islam. Stop throwing communist rubbish in the name of secularism. I will arrange a public debate on any Islamic issues that many of your writers have tried so earnestly to establish against Islam. Will any of your celebrated writers agree to a public debate? I will arrange the programme to be video taped. If you are unable to face up to the challge in debate..don’t you think you are setting gorunds to incite communal violence which is a Crime? Please don’t chicken out.