যে প্রেক্ষাপট না বদলালে রক্ষা নেই
ক’মাস আগে বেসরকারী কয়েকটি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে রাজধানীর শেরাটন হোটেলের বলরুমে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয় ছিল Campaign for Sustainable Rural Livelihoods। অনুষ্ঠানে রাজধানীর নির্ধারিত শ্রোতা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রোতাদের আনা হয়েছিল। এইসব শ্রোতাদের যাতায়াত খরচসহ আনুসাঙ্গিক খরচ প্রদানের ব্যবস্থা ছিল এবং যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছিলেন তাদের আসা-যাওয়া এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আলোচনা অনুষ্ঠানের উপলক্ষ্য তেমন কিছুই ছিল না। সরকারের একদল প্রতিনিধি বিদেশে যাবেন এ ধরণের বিষয়ে আরেকটি আলোচনা সভায় যোগ দিতে। সেখানে কি বলা উচিত সে বিষয়ে অভিমত দেওয়াই ছিল এই আলোচনা অনুষ্ঠানটির লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে সরকারের একজন উপদেষ্টাও ছিলেন বক্তা হিসেবে। বাকি বক্তারা ছিলেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার নির্ধারিত ব্যক্তি-বর্গ।
এই অনুষ্ঠানে খুলনার চিংড়িচাষ এলাকার দু’জন সদস্য এসেছিলেন, যাদের সঙ্গে কিছু কথা হয়। এ দু’জনের মধ্যে একজন মহিলা। দু’জনই একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে এরা একেবারেই তুণমূলের মানুষ বলে রাজধানী বা ‘উঁচু’ পর্যায়ের মানুষ সম্পর্কে ধারণা ছিল না, আয়োজকদের সম্পর্কেও প্রকৃত ধারণা ছিল না। তাদেরকে আনা হয়েছিল, তৃণমূল এলাকার সমস্যা সম্পর্কে (স্বাক্ষী হিসেবে) কিছু বলার জন্য। এ ব্যাপারে দফায় দফায় তাদের সংগঠন থেকে ব্রিফিং করা হয়েছে, যাতে যা বলাতে চাওয়া এরা তাই-ই বলে। এই দু’জনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এরা জানায়, তারা একেবারেই গরিব। দু’বেলা পেট পুরে খাওয়ার কথা ভাবতেই পারে না। একবেলা কোন রকমে খাওয়া জোটে এদের। খুব ভোরে, অর্থাৎ অন্ধকার থাকতে তাদের যেতে হয় নোনা পানিতে মাছ শিকারের জন্য। সেখানে দিনভর গলাপানিতে ডুবে থেকে মাছ ধরতে হয়। ওই মাছই তাদের আয়ের উৎস। তারা জানালো, সারাদিন নোনা পানিতে থাকার ফলে শরীরে থকথকে ঘা জন্ম নিয়েছে। মাছ ধরার সময় তাদের কালো মিশমিশে দেহ মরা মানুষের মতো সাদা হয়ে যায়। তাই সারা শরীরে নানা রোগ ভর্তি। কী কষ্ট করেই না তাদের দিন যাপন করতে হয়! এরা এর বিষদ বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছিল। আলাপ করে জানা গিয়েছিল, এই দুই সদস্যই চিংড়িচাষবিরোধী। তারা চায় এই চাষ বন্ধ হোক এবং চিংড়ি চাষের জমিতে আগের মতো ফসল আবাদ করা হোক। তাহলে তাদের এতো কষ্ট থাকবে না। এটা এদের সংগঠন থেকেও বলে দেওয়া হয়েছে।
এই দুই সদস্য যে সংস্থার সঙ্গে জড়িত তার প্রধানও ছিলেন আয়োজিত অনুষ্ঠানের একজন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা। দেখলাম এ দুই গরিব কর্মী তাদের প্রধান সম্পর্কে অন্ধ ভক্ত। এরা তাকে দেবতা বলে মনে করে। কারণ তিনি নাকি মাঝে মাঝেই তাদের এলাকায় যান এবং তাদের সঙ্গে সুখ-দুখের গল্প করে ‘আন্দোলন’ গড়ে তোলার কথা বলেন, যাতে করে তাদের অভাব-অনটন দূর হয়ে যায়। বলেন, সংঘবদ্ধ হতে। এজন্য সাহায্য-সহযোগিতাও করেন। কর্মী দু’জন জানালো, শেরাটন হোটেলের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের বলা হয়েছে যে গরিবদের গরিবি দূর করার জন্যই এ আয়োজন। কিন্তু সদস্য দু’জন কিছুতেই বুঝতে পারছিল না যে, গরিবি দূর করার জন্য এখানে লাখ লাখ টাকা খরচ কেন? এ রকম একটি ব্যয়বহুল হোটেলেই বা এই বিশাল রাজকীয় আয়োজন কেন? তারা বেশ হতবাক অবস্থায় সব লক্ষ্য করে যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে একে-অপরকে প্রশ্ন করছিল, এটা কি হচ্ছে? গরিবি দূর করার জন্য এতো ব্যয় হচ্ছে অথচ এই ব্যয়টা গরিবদের ঘরে গিয়ে করলে তো বহু মানুষ দু-বেলা পেট পুরে খেতে পারতো। পারতো আরও অনেক কিছু করতে। কিন্তু এখানে এটা কি করা হচ্ছে?
এই অনুষ্ঠানে দুপুরের যে খাবার প্যাকেট দেওয়া হলো, তার দাম শেরাটন হোটেলের দাম অনুযায়ী প্রতিটি ৩শ’ টাকার বেশী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন শ’পাঁচেক মতো শ্রোতা। সবার মাঝেই এ মূল্যবান খাবার পরিবেশন করা হয়। সদস্য দু’জন হিসেব মেলাতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছিল। বারবার করে বলছিল, গরিবি দূর করার এই যদি হাল হয় তাহলে কোনদিন কি গরিবি দূর হ্েব? দেখলাম তারা খুব মন খারাপ করে নিজেরা কথা বলছে। এই দুই সদস্য এইসঙ্গে আরও দেখলো, তাদের সংস্থার প্রধান দামী একটি গাড়িতে করে এলেন এবং হাসিমুখে কথা বলে বিদায় নিয়ে ওই গাড়িতেই চলে গেলেন। সদস্য দু’জন মুখ চাওয়া-চাওয়ি করছিল। ফলে তাদের মনোভাব থেকে বোঝাই যাচ্ছিল তাদের মনে কেবলই প্রশ্ন জাগছিল। হয়তো খুব স্পষ্ট করেই এ প্রশ্নটিও আসছিল যে, যা হচ্ছে তা করে কাদের লাভ হচ্ছে?
এরকম আরও অনেক তৃণমূলের মানুষের মনোভাব লক্ষ্য করা গেছে। তাদের কেউ কেউ বলছিল, এরকম একটা অনুষ্ঠান করে বিদেশিদের কাছ থেকে কতো বড় অংকের অর্থ আয়-ই না হচ্ছে! আবার অভিজ্ঞরা মন্তব্য করছিল, আজকে এটাই হলো উন্নয়ন ভাবনার আসল চরিত্র। তারা বলছিল, বিদেশিরা টাকা দেয়, ওই টাকার খুব ছোট অংশটা খরচ হয় তৃণমূল মানুষের মাঝে। বড় অংশটা চলে যায় উদ্যোক্তাদের পকেটে। আর একটা অংশ ব্যয় হয় এরকম সভা-সেমিনার-আলোচনা-প্রচার অনুষ্ঠান, ট্রেনিং ইত্যাদিতে। এই খরচ যা হয় তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী দেখানো হয় এবং তাও দেয় ওই বিদেশিরাই। সাহায্য বলা হোক, শিক্ষা বলা হোক, স্বাস্থ্যসেবা বলা হোক, মোটিভেশন ওয়ার্ক বলা হোক সব কিছুতেই ডোনারারটা টাকা দেয় এবং এতে তৃণমূলের কোন কাজই হয় না, কাজ হয় উদ্যোক্তাদের। এটা এখন বাংলাদেশের জন্য রমরমা ব্যবসা। সমালোচনাকারীরা এও বলছিল, গ্রামের মানুষও এখন এটা বেশ বুঝে গেছে। বুঝে গেছে বলেই তারা আমাদের বিশ্বাস করে না।
এইসব ঘটনা থেকে একটা বিষয় পরিস্কার যে এই দেশে ‘মাথা’ হিসেবে পরিচিত এক শ্রেণীর লোক আছে। তারাই যতো সর্বনাশের মূল। এরা বাংলাদেশের মর্যাদা ভেঙে দিয়েছে। এরা বাংলাদেশের ঐতিহাসিক গৌরবকে ধুলোয় লুটিয়ে দিয়েছে। এরাই বাংলাদেশকে পরনির্ভর করেছে, দেশকে গরিব-ভিখিরির দেশে পরিণত করেছে। এরাই দেশকে দারিদ্র পীড়িত, মঙ্গা কবলিত, অনাহার-বুভুক্ষ কবলিত, বন্যা তথা প্রাকৃতিক দূর্যোগ কবলিত, অস্বাস্থ্যকর-রোগবালাইয়ে পরিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। আর এসব করে তারা হাতিয়ে নিয়েছে বিপূল বৈদেশকি অর্থ। বানিয়েছে রাজকীয় জীবন-যাপন-আবাস-বিএমডাব্লিউ গাড়ি-বাড়ি ইত্যাদি। আর এরাই এদেশকে বিদেশিদের লুণ্ঠনের অবাধ সুযোগ করে দিয়েছে। এই দেশে যখন দরিদ্রের সংখ্যা কম ছিল, অনাহারি মানুষের হার কম ছিল, অভাব-অনটন কম ছিল তখন শুধুমাত্র এই কম সংখ্যক মানুষের দূর্দশার চিত্র বিদেশিদের কাছে ফলাও করে তুলে ধরেছে, আঁতকে ওঠা ছবি-ভিডিওচিত্রগুলো পাঠিয়েছে, আর বিদেশিদের কাছে সাহায্য চেয়েছে। বিদেশিরা এসব চিত্র দেখে আঁতকে উঠেছে। সাহায্যের জন্য তারা হাত বাড়িয়েছে। আর এইসব সাহায্য বিলি-বণ্টনের দায়িত্ব নিয়েছে এই প্রচারকারীরা। এরফলে মানুষের দারিদ্র, অভা-অনটন-ক্ষুধা-অনাহার-রোগ-বালাই ইত্যাদি দূর তো হয়ই নাই, তার বদলে এইসব প্রচারকারীদের প্রচারাণা আরও বেড়েছে। সঙ্গে তাদের বাণিজ্য বেড়েছে। তারা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে, অর্থ-বিত্ত্বে লালে লাল হয়েছে। তাদের এই কারবার এভাবে আজও চলছে। তারা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে ভূখা-নাঙ্গা-হতদরিদ্র-বিপর্যস্ত দেশ হিসেবে তুলে ধরে যাচ্ছেই, আর কাড়ি কাড়ি অর্থ-সম্পদ বানাচ্ছেই। এভাবেই এরা আজ দেশের ‘মাথা’ হয়ে উঠেছে। এই ‘মাথারা’ এভাবে দেদারছে এ দেশের মানুষকে নিয়ে ব্যবসা করছে এবং দেশকে পরনির্ভর হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। এভাবেই এরা নিজেদের হীন স্বার্থে দেশের মহা সর্বনাশ করেছে এবং করে চলেছে।
কারও অজানা নয় যে, বিদেশিরা একটা সময় পর্যন্ত হয়তো সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেও একটা পর্যায়ে তারা বাংলাদেশের মতো সুজলা-সুফলা-ধন-সম্পদে ভরা এই দেশেকে লুণ্ঠনের সুযোগ নেবেই। আর সে সুযোগ যদি দেশের ‘মাথা’ হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ারা করে দেয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। হয়েছেও তাই। সুতরাং আজ যারা গ্রাম-গঞ্জে দারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান তৈরি কিংবা মানুষকে সচেতনায়ন করার কথা বলে বিদেশি অর্থে কাজ করছে তাদের আসল উদ্দেশ্য একটাই। সেটা হলো মানুষকে ব্যবহার করে বাণিজ্য, লুণ্ঠন, নিজেদের আখের গোছানো। সবচেয়ে সত্য কথা হলো মুখে এই লোকগুলো যতো ভাল ভাল কথাই বলুক না কেন আসলে এই লোকগুলো কখনই চায় না যে এদেশ থেকে দারিদ্র দূর হয়ে যাক। চায়না অভাব-অনটন-ক্ষুধা-বেকারত্ব-বন্যা-মহামারী-দুর্ভীক্ষ-দূর্যোগ দূর হয়ে যাক। এরা চায় না রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, সামাজিক সংকট, সামাজিক অত্যাচার-অনাচার-কূসংস্কার, সংখ্যালঘু নির্যাতন, সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, জঙ্গি মৌলবাদ ইত্যাদি দূর হয়ে যাক। চায় না এ কারণেই যে এগুলো না থাকলে না বাড়লে তাদের বাণিজ্য হবে না, তাদের রাজকীয় বিলাস-ব্যাসনের জীবন থাকবে না, আয়েশ থাকবে না, থাকবে না কর্তৃত্বও। সুতরাং এদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এসব চাই-ই, আরও বেশী করে চাই। আর বিদেশিরা এতে উৎসাহী এই কারণে যে এইসব ইস্যুতে তারা বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে পারছে, দেশকে ঋণের জালে আটকাতে পারছে, পারছে ‘যা খুশী তাই করার’ অধিকার এবং ক্ষমতা অর্জন করতে। চাইকি কোন কোন ইস্যুতে আফগানিস্তানের মতো সামরিক হস্তক্ষেপ করার অধিকারও তাদের থাকছে।
আজকের বাস্তবতা লক্ষ্য করলেই এই সত্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই বাস্তবতাই এদেশের গৌরব, ঐতিহ্য, আত্মনির্ভরতা, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত করার মূল কারণ। বাজার অর্থনীতির বিস্তার, সাম্রাজ্যবাদী কর্তৃত্বের বিস্তার, অপসংস্কৃতির বিস্তার, মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারানোর ক্ষেত্র গড়ার ঘটনা সব এই বাস্তবতার কারণে। কথিত মাথারা এখানে আসল শত্র“। এরা বিদেশিদের মিডিয়া বা দালাল হিসেবে কাজ করছে।
আমরা লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবো আগে মানুষ মানুষকে বিশ্বাস করতো। একে-অপরের জন্য পাশ দাঁড়াতো। আজ কিন্তু সেভাবে দাঁড়ায় না। বিশ্বাসও করে না। করে না বলেই আজ দেশে অতীতের মতো ঐতিহাসিক আন্দোলন হয় না দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও। মানুষ মাঠে নামে না। নামে না, কারণ তারা কাকে বিশ্বাস করবে? বিশ্বাসের জায়গাটাই তো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সুতরাং দেশে এতো অভাব, এতো অস্বস্তিকর পরিস্থিতি, দুর্নীতি-লুণ্ঠন-অত্যাচার-নির্যাতন-নিরাপত্তাহীনতা-দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতা-অশান্তি তারপরেও মানুষের মুখে টু শব্দটি নেই। বিশ্বাসঘাতকদের কারণে যে ভীতি-সন্দেহ তা মানুষ কাটাতে পারছে না। আবার পারছে না ওই বিশ্বাসঘাতরাই যখন ভাল ভাল কথা বলে সামনে আসছে। সুতরাং তারা ’৪৮-’৫২-’৬২-’৬৮-’৬৯ বা ’৭১-এর মতো মাঠে নামবে কেমন করে? কিংবা এই বাংলাদেশেও জিয়া-এরশাদ-খালেদা বিরোধী আন্দোলনে মানুষ যেভাবে মাঠে নেমেছ আজও সেটুকুও নামছে না। অথচ পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে বহু বহু গুনে গণবিরোধী।
কিন্তু এ প্রেক্ষাপট না বদলালে যে রক্ষা নেই সেটা সর্বজনবিদিত। হ্যাঁ, এদেশের খেটে খাওয়া মাটির মানুষ যারা তারা নানা সন্দেহে ভুগলেও মাঠে নামবেন না, তা নয়। তারা মাঠে নামবেন এবং তাদের নামতেই হবে। না হলে এই প্রেক্ষাপট যে বদলানো যাবে না তারা সেটাও ভাল বোঝেন। বোঝেন বলেই তারা হয়তো অপেক্ষা করছেন। তারা শত্র“দের চিনছেন, জানছেন। আর এভাবেই হয়তো ভেতরে ভেতরে গড়ে উঠছে নতুন গণবিস্ফোরণের প্রেক্ষাপট।
———————————————————–
আবুল হোসেন খোকন : সাংবাদিক, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী।
Goribi dur kora, Manusher jibon maner unnoyan kora -er jonno ekhon ar andolon – gono bishforon jothesto noy. prachin juge- zokhon sompod bolte shudhu prakitik sompod bojahto, tokhon gayer jore keu keu sompod dokhol korto. Tokhon andolon- songram kore sei shosok er kach theke mukti paoya zeto. Kintu ekhon – ei zuge sompod holo gyan , projukti, ebong babosthapona. Joto din manush egiye ese , nijer obostha poribortoner jonyo nije chesta na korbe, nijera songothito hoye porikolpito vabe gyan, projukti orjon na korbe, ebong sothik babosthaponar madhyome se gyan projukti kaje na lagabe- totodin kono oggrogoti hobe na. Andolon diye poriborton ana zay, unnoyon noy. “ Shoshok bodle zay, tike thake shoshoner phad…“`
sottru-der chinte parchi bhalo khota ebong chinte chinte british,pakistani, awomi,bnp, melitari shobi-ke chinar pore-o amader kopaler je durgoti chilo taha hote niche namte namte deowale pit lege giye karo chamray gha, karo pete cancer hoye morchi. aar koto kaal ………. ebong kara oo kader nettritte ei koti koti manusher mukti hobe ei prochno-ti ei- kolamer lekhar jonok ke patalam. Bhalo thakben !!!
হ আমারো একটা পাজেরো গাড়ি লাগবো! আমেরিকা থাইকাও চালাইতে পারলাম না। আর ব্যাটারা বাংলাদেশে থাইক্যাই পাজেরো গাড়ি হাকায়, আর শেরাটনে বকৃতা বিবৃতি দেয়। ক্যামনে কি!
গরিবী দূরীকরণের জন্য পাজেরো গাড়ী, শেরাটন বা সোনারগাঁও হোটেলে সেমিনারের কোন বিকল্প নেই। আরামদায়ক ঠান্ডা হাওয়ায় মিষ্টি মিষ্টি কথা হবে, ভালো ভালো ভালোচনা হবে, গরীবের দুঃখে কেঁদে ভাসানো হবে। অতঃপর দামী টিস্যু পেপারে চোখের জল মুছে রাজকীয় খানাপিনা হবে । তবেই না গরিবীপনা দূরীকরণের মহৌষধ বের হবে। আর এর সব কিছু শুরু হবে টিভি ক্যামেরা আসার পরে। এর আগ পর্যন্ত সেমিনার শুরু হবে না। আর্থিকভাবে গরীব বলে কি মানসিকভাবেও গরীব হতে হবে নাকি আমাদের? দেশ থেকে দরিদ্রতা দূর করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নিজের দারিদ্র যতদূর সম্ভব দূর করা।