মেরি কুরির রেডিয়াম ভালোবাসা – পর্ব ২

[পর্ব ১] তরুণ - জোরাভস্কি পরিবারের বড় ছেলে কাজিমির - ওয়ার্‌শ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের ছাত্র। জোরাভস্কিদের তিন ছেলের মধ্যে দু’জন ওয়ার্‌শ ইউনিভার্সিটিতে অন্যজন বোর্ডিং স্কুলে। ছুটিতে বাড়িতে এসে মারিয়ার সাথে পরিচয় হলো কাজিমিরের। কয়েক দিনের মধ্যেই মারিয়াকে ভালো লেগে গেলো কাজিমিরের। মারিয়ার সাথে কথা বলতে বলতে, ঘোড়ায় চড়তে চড়তে, সাইকেল চালাতে চালাতে, পারিবারিক বলড্যান্সে নাচতে নাচতে [...]

মেরি কুরির রেডিয়াম ভালোবাসা – ১ম পর্ব

১৯০২ সালের এক গভীর রাত। প্রচন্ড শীত পড়েছে প্যারিস শহরে। সারা শহরের মানুষ বিছানার ওমে সঁপে দিয়েছে শরীর। কিন্তু একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভেঙেপড়া শেডের নিচে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন দুটো মানুষ। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। অথচ এ দু’জনকে ঘিরে রয়েছে একটা বিস্ময়কর নীলাভ উজ্জ্বল আভা। দুষ্প্রাপ্য তৃপ্তি এবং প্রশান্তি জ্বলজ্বল করছে তাঁদের চোখেমুখে। দীর্ঘ ৪৫ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম [...]

পল ডিরাকের কোয়ান্টাম ভালোবাসা – শেষ পর্ব

[প্রথম পর্ব] [দ্বিতীয় পর্ব] ১৯৩৫ সালের মধ্য-জানুয়ারিতে বুদাপেস্টে ছেলে-মেয়েদের কাছে ফিরে গেলেন মার্গিট। প্রিন্সটনে স্বাভাবিক রুটিনে কাজ চলছে ডিরাকের। বুদাপেস্ট থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ডিরাককে চিঠি দেন মার্গিট। চিঠিতে পাতার পর পাতা জুড়ে আবেগ আর ভালোবাসার কথা। ডিরাক বুঝতে পারেন না এরকম আবেগের জবাবে কী লিখতে হয়। তিনি কয়েক লাইনেই মার্গিটকে জানিয়ে দেন - “আমি [...]

পল ডিরাকের কোয়ান্টাম ভালোবাসা – ০২

[আগের পর্ব] কেমব্রিজে ডিরাকের কাজের ধরন খুবই নিয়মে বাঁধা। দিনে পাঁচ ঘন্টার বেশি গবেষণায় বিশ্বাসী নন ডিরাক। গরমের দিনে কাজের শেষে তিনি সাইকেল চালিয়ে চলে যান অনেক দূরে। পথে কোন বড় গাছ দেখলে হঠাৎ সাইকেল থেকে নেমে গাছে উঠে যান সুট-কোট-টাই সহ। [শীত-বসন্ত-গ্রীষ্ম-হেমন্ত সব ঋতুতেই তাঁর একই পোশাক। একটা কোট না ছেঁড়া পর্যন্ত তিনি অন্য [...]

পল ডিরাকের কোয়ান্টাম ভালোবাসা – ০১

বিংশ শতাব্দীর তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার - কোয়ান্টাম মেকানিক্স। শতাব্দী প্রাচীন ক্ল্যাসিক্যাল মেকানিক্স পরমাণু ও পরমাণুর চেয়ে ছোট অতিপারমাণবিক কণার গতিপ্রকৃতি সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। পরমাণুর গঠন ও গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে নতুন নতুন ধারণা তৈরি হবার সাথে সাথে সেগুলোকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য একটা নতুন গাণিতিক প্রক্রিয়ার যে ভীষণ দরকার তা বিংশ [...]

আলফ্রেড নোবেলের বিস্ফোরক ভালোবাসা – শেষার্ধ

[প্রথমার্ধ] ক’দিন পরেই আলফ্রেডকে দরকারি কাজে প্যারিস থেকে যেতে হলো স্টকহোমে। বার্থা রয়ে গেলেন প্যারিসের হোটেলে। পরদিনই দুটো টেলিগ্রাম পেলেন বার্থা হোটেলের ঠিকানায়। একটা পাঠিয়েছেন আলফ্রেড - স্টকহোমে পৌঁছেছেন ঠিকমত। দ্বিতীয় টেলিগ্রামটা এসেছে আর্থারের কাছ থেকে। আর্থার লিখেছেন - “তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না বার্থা।” উথাল-পাথাল সুখে উদ্বেল হয়ে উঠলেন বার্থা। দ্রুত ব্যাগ গুছিয়ে [...]

আলফ্রেড নোবেলের বিস্ফোরক ভালোবাসা – প্রথমার্ধ

বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কারের নাম নোবেল পুরষ্কার। ১৯০১ সাল থেকে শুরু হয়ে প্রতিবছর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয়। ১৯৬৮ সাল থেকে নোবেলের সম্মানে অর্থনীতিতেও পুরষ্কার দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসাবিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, ও রসায়নের গবেষণায় সাফল্যের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি নোবেল পুরষ্কার। সাহিত্যে যিনি নোবেল পুরষ্কার পান - তাঁর পাঠকপ্রিয়তা অনেক সময় [...]

ফাইনম্যানের ভালোবাসা – পর্ব-৪

[পর্ব-১] [পর্ব-২] [পর্ব-৩] কাজে ডুবে থাকতে চাইলেন ফাইনম্যান। লস আলামোসের ল্যাবে কাজ করার সময়েই ফাইনম্যানের বৈজ্ঞানিক ক্ষমতায় মুগ্ধ সবাই। তত্ত্বীয় বিভাগের প্রধান হ্যান্স বেথে ফাইনম্যানকে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদে চাকরি দিয়েছেন। ১৯৪৪ সালের অক্টোবর থেকেই রিচার্ড ফাইনম্যান অফিসিয়ালি জয়েন করেছেন কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। ম্যানহাটান প্রজেক্টের কাজ চালিয়ে যাবার জন্য যোগদানের পর থেকেই ছুটি [...]

ফাইনম্যানের ভালোবাসা – পর্ব-৩

[পর্ব-১] [পর্ব-২] ফাইনম্যান বুঝতে পারলো আরলিন তাকে কী বলবে। যাবার আগে ওয়ালেটটা দেখে নিল চিঠিটি আছে কি না। অন্তত আরলিনকে পুরো ব্যাপারটা বুঝানো যাবে। আরলিনদের বাড়িতে গিয়ে সোজা আরলিনের ঘরে চলে গেল ফাইনম্যান। আরলিন বললো, "বসো এখানে।" ফাইনম্যান বসলো তার বিছানায়। আরলিন বসলো ফাইনম্যানের সামনে। চোখের দিকে তাকিয়ে বললো, "এবার বলো, আমার কি আসলেই গ্ল্যান্ডুলার [...]

ফাইনম্যানের ভালোবাসা – পর্ব-২

[পর্ব-১] সন্ধ্যাবেলা রিচার্ড গেল আরলিনদের বাড়িতে। ১৫৪ ওয়েস্ট মিনিস্টার এভেনিউ - তাদের নতুন বাড়ি। রিচার্ড আগে কখনো যায় নি সেদিকে। অন্ধকার হয়ে গেছে, অথচ পোর্টিকোর বাতিটি জ্বালানো হয়নি তখনো। বাড়ির নম্বর দেখা যাচ্ছিল না। রিচার্ড বুঝতে পারছিল না ঠিক জায়গায় এসেছে কিনা। শেষে অনেকটা হামাগুড়ি দিয়ে নিচু দেয়ালে লাগানো নম্বরগুলো হাত দিয়ে দেখল। না, ঠিক [...]

Go to Top