মুক্তমনা ব্লগের বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও পৃষ্ঠপোষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাচ্ছি যে, অনেক দিন ধরেই রায়হান আবীর মুক্তমনা ব্লগ ও ব্লগ সংশ্লিষ্ট কোন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট নয়। মুক্তমনার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়ের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকে কয়েক বছর রায়হান আবীর মুক্তমনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকলেও পরবর্তীকালে সে মুক্তমনা’য় আর কোন দায়িত্ব পালন করেনি। মুক্তমনার সাথে যুক্ত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই রায়হান আবীরের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়িত্বহীনতা নিয়ে সম্পাদক দলের ভিতরে প্রশ্ন উঠতে থাকলে রায়হান নিজেই নিজেকে দায়ী করে ও তার বিবিধ সমস্যার কথা উল্লেখ করে অব্যাহতি চায়। পরবর্তীতে আকস্মিকভাবে এ বছরের জুন মাসে সে আমাদের কারিগরি এবং প্রশাসনিক সম্পাদকদের আপত্তিকরভাবে গালাগালি করে ইমেইল করে। সম্পাদকদের তরফ থেকে পাল্টা আপত্তি জানানো হলে সে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করে।
আমরা এতদিন রায়হান আবীরের অস্থির অবস্থার কথা বিবেচনা করে এই বিষয়ে কোনরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিলাম, কিন্তু রায়হানের সাম্প্রতিক কিছু নিন্দনীয় কর্মকান্ডের পরে এই বিবৃতিটি দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি। রায়হান আবীর মুক্তমনা ও অভিজিৎ রায়ের পরিবারের উপর জঘন্য উপায়ে অপবাদ ও কালিমা লেপন করছে। অভিজিৎ রায় এবং ডঃ অজয় রায়ের পরিবার রায়হানের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপত্তি ও তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের বেশ কিছু বন্ধু এবং সংগঠন তাদের কাছে পাঠানো মুক্তমনা এবং তার সম্পাদকদের নিয়ে রায়হান আবীরের কুৎসা রটনামূলক লেখা, ইমেইল এবং টেক্সট এর ব্যাপারে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে, এবং তারাও রায়হানের এমন কাজের ব্যাপারে নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।
২০১৫ সালে কানাডায় এসাইলাম গ্রহণের প্রয়োজনে ও মানবিক কারণে রায়হান আবীরকে মুক্তমনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করা ছাড়াও তাকে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, রায়হান আবীর মুক্তমনা, অভিজিৎ রায় এবং বন্যা আহমেদের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিবিধ ধরণের সুবিধা নিয়েছে এবং এখনো নেওয়ার চেষ্টা করছে। উপরন্তু রায়হান আবীর সন্দেহজনকভাবে কিছু প্রগতিশীল ব্লগার, যুক্তিবাদী লেখক, সংগঠক ও সম্পাদকদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত করে চলেছে।
রায়হান আবীর জ্ঞানত আমাদের নানাবিধ অভ্যন্তরীণ ও স্পর্শকাতর বিষয় সমূহ প্রকাশ করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যা কিনা শুধুমাত্র মুক্তমনা নয় সমস্ত প্রগতিশীল মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তিবাদী আন্দোলনের ক্ষতি করবে। এই পরিস্থিতিতে রায়হান আবীরকে সর্বসম্মতিক্রমে মুক্তমনা থেকে সম্পূর্ণ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং সেটা আমাদের শুভানুধ্যায়ী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকেও জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। আমাদের বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এ ব্যাপারে অবগত ও সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ
সম্পাদকবৃন্দ
আশ্চর্য!
ধন্যবাদ মুক্তমনা সম্পাদক কে একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।
সত্যি বলতে কোন ব্যক্তির মনে কি আছে বোঝা মুশকিল” আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে
রায়হান আবীর একজন নিচু মানসিকতার বাজে লোক তা তার অসংলগ্ন আচরনেই প্রকাশ পায়। কোন তথ্য প্রমান ছাড়াই ভিত্তিহীন কথা বার্তা আর যুক্তিহীন মন্তব্য তার অসুস্থ মানসিকতার প্রমান। একজন শিক্ষিত সচেতন হিসাবে পরিচিত একজন মানুষ কিভাবে এমন পাগলের প্রলাপ বকে বেড়াচ্ছে তা মাথায় আসে না।
বন্যা আহমেদ আমাকে প্রচন্ড স্নেহ করে, কিন্তু আমাদের যোগাযোগ কেবল থিংকের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ! সে এটা ভালো করেই জানে। জানা সত্বেও সে অনৈতিক কোন একটা ইস্যুতে টাকা পয়সা লেনদেনজনিত একটা বিষয়কে সবার সামনে উপস্থাপন করেছে। যেটা একেবারে ডাহা মিথ্যা। সে প্রমান করতে পারবে না জেনেও আমার ব্যাপারে এই অভিযোগ এনেছে।
ঘারের উপর বসে মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেয়ে কাঠালের মালিককে বোঁতা ধরিয়ে হেটে যাওয়ার বুদ্ধিটা ভালোই রপ্ত করেছে। কিন্তু অসৎ মানুষ কোথাও না কোথাও গিয়ে ধাক্কা খায়!
সে ধাক্কা খেয়েছে। এবার যদি তার একটু শুভ বুদ্ধির উদয় হয়।
তাও যদি না হয় তাহলে অতিশিঘ্রই তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ ঘোষণা করে চিকিৎসা করানোটা জরূরী!
মুক্ত-মনাকে ধন্যবাদ! একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়ার। আশা করি মুক্ত-মনা বিচক্ষণতার সাথে এসব ভেকধারী হিপোক্রিটদের খুঁজে বের করে মুখোশ খুলতে পারবে!
মুক্ত-মনা’র জন্য শুভকামনা
অভিজিৎ রায়হানকে ভালবাসতেন অন্তর থেকে, আর অভিজিতের প্রতি রায়হানের শ্রদ্ধা ভালবাসা ছিল কৃত্রিম স্বার্থের। ডানে অভিজিৎ বামে অনন্ত আর মাঝখানে দাঁড়িয়ে রায়হান, এমন একটি ছবি আমি সেইভ করে রেখেছিলাম এ জন্যে যে, অনন্তের অবর্তমানে আমি রায়হানকে অনন্ত রূপে কল্পনা করেছিলাম। আমার কল্পনা যে মারাত্বক ভুল ছিল রায়হান সেটা খুব ভালভাবেই বুঝিয়ে দিল।
একেবারের যুক্তিহীন, নোংরা কাজকর্ম কিভাবে দিনের পর দিনে করে যাওয়া যায়? রায়হানের উদ্ভট অভিযোগগুলোকে গুরুত্ব দেয়ার একটাও যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাই নি। অথচ তার ছিল আক্ষরিক অর্থেই অসীম সম্ভাবনা, নিজেকে সে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারত এবং ব্যাপারটা তার জন্য সহজ ছিল। সবকিছু ফেলে কতটুকু নিচে যাওয়া যায়, কতটা নোংরা হওয়া যায় সে প্রতিযোগিতায় সে অংশ নিল।
কিছু বলার নাই। রায়হান যেন ঝরে গেল অশ্রু হয়ে, এর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
রায়হান একটা বেদনাদায়ক বাজে উদাহরণ হয়ে গেল। অভিজিৎ বড় মনের মানুষ ছিল বলেই সম্ভবত এত বাছবিচার না করে রায়হানকে সহ লেখক হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। মনে হয় এই কারনেই রায়হান আবীরের মত ভন্ড এমন কেউ অভিজিতের পাশে নিজের নাম লেখাতে পেরেছিল। বই প্রকাশের পর বা অভিজিৎ খুন হয়ে যাবার পর রায়হানের ভাল কোন লেখা দেখিনি। উপরন্তু আদর্শচ্যুত হতে দেখলাম। বড্ড লজ্জার কথা। এমন মানুষকে মোটেও বিশ্বাস নেই। ধিক্ রায়হান। ধিক্কার।
একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মুক্তমনা সম্পাদকমণ্ডলীদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ থাকল।
এটাই সময়ের একান্ত চাহিদা ছিল।