অভিজিৎ রায় জন্মেছিলেন ১২ই’ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে। ২০১৫ সনের ২৬শে ফেব্রুয়ারি ধর্মীয় চরমপন্থীদের হাতে তাঁর মৃত্যু বাংলার ইতিহাসে এক কলঙ্কময় ঘটনা| মুক্তচিন্তার চর্চায় জীবন উৎসর্গ করা, মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা এই উজ্জ্বল মানুষটিকে বাঙালি ও পৃথিবীর প্রগতিশীল মানুষেরা মনে রাখবে চিরকাল।
যুক্তি নির্ভর মুক্তমনের জীবনযাপনের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ও দেখিয়েছিলেন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ড: অভিজিৎ রায় তা সাফল্যে ক্রমাগত আরো আলোময় হোক এটাই আমাদের চাওয়া। অনেকগুলো বই লিখেছেন তিনি, লিখেছেন অসংখ্য ব্লগ, অংশ নিয়েছেন তিনি মুক্তচিন্তার অনেক আলোচনায়। আমরা অভিজিৎ রায়-এর কাজগুলো যতটা সম্ভব এক সুতোয় বেঁধে রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারই ধারায় আন্তর্জাতিকভাবে বাৎসরিক ‘অভিজিত রায় কারেজ এওয়ার্ড’ প্রতিষ্ঠা করতে পেরে আমরা গর্বিত।
মুক্তমনা ব্লগ নতুন করে সাজানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অভিজিতের বইগুলো কিন্ডেলেও ই-বুক হিসেবে প্রকাশ করা হচ্ছে। Boierhut Publications থেকে প্রকাশিত তাঁর লেখা বেশ কয়েকটা বই ইতোমধ্যেই কিন্ডেলে পাওয়া যাচ্ছে। দুই দশক ধরে মুক্তমনা ব্লগে প্রকাশিত সব লেখা যেন সহজেই পাওয়া যায়, পড়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অভিজিতের লেখাগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলোর জন্যেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রায় এক দশক আগে তৈরি বিবর্তনের আর্কাইভের সংস্কারেরও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মুক্তমনা ব্লগ-সাইট যথারীতি শক্তিশালী রয়েছে। অনবরত এটির ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চললেও এখনো স্বমহিমায় উজ্জ্বল বাতিঘর হয়ে আমরা টিকে আছি। এটিকে চলমান ও আরো ভালো রাখতে অবিরাম কাজ করতে হয়, সেটিও চলছে। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন লিঙ্ক ভেঙে গেলেও সেগুলির কিছুই হারায় নি, এই মুহূর্তে যদি কিছু ভাঙা থাকে সেগুলোও ঠিক হয়ে যাবে। নতুন আঙ্গিকে পুরো ব্লগসাইটটি ঢেলে সাজানো হচ্ছে যাতে সহজে পুরোনো ও নতুন লেখাগুলো পড়তে পারা যায়।
মুক্তমনা যে কোন সময়ে যুক্তিবাদী মানুষদের পাশে থেকেছে আর এই ভূমিকা পালন করতে পেরে মুক্তমনা গর্বিত। সাধারণ মানুষের চাঁদায় চলা, আমেরিকার ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম করে যাওয়া, হিউম্যানিস্ট সংস্থা ফ্রিডম ফ্রম রিলিজিয়নের সাথে মুক্তমনা মিলে ডক্টর অভিজিৎ রায়ের স্মরণে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ইউএস ডলারের একটি পুরস্কার এবং বৃত্তি চালু করেছে যা সারা বিশ্বের যেকোনো মুক্তমনের মানুষের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
গত পাঁচ-ছয় বছর শুধু মুক্তমনা ব্লগই নয় বাংলাদেশের সমগ্র মুক্তমনা সম্প্রদায় একটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশা করব এই সময়ে সকল প্রগতিশীল, মুক্তমনের সকল মানুষ, বন্ধুরাও আমাদের পাশে থাকবেন। তাঁদের সবার প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
মুক্তমনের মানুষদের জয় হোক অবিরাম।
অভিজিৎ রায়ের ৪৯তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি আমরা আবার শ্রদ্ধা জানাই|
-মুক্তমনা সম্পাদকবৃন্দ
হাজার হাজার অভিজিৎ রায় তৈরি হচ্ছে তার কোন প্রমান তো পাচ্ছিনা। যেখানেই যাই চারিদিকে তরুণদের মুখে উগ্রবাদী কথাবার্তাই এখন শুনতে পাই। অনলাইনেও নতুন প্রগতিশীল লেখা তেমন একটা চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আসলে মৌলবাদিদের লালন পালন করা বন্ধ না হলে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না হলে, প্রগতিশীলদের জন্য লেখালখি করা মুশকিল।
একজন প্রথিতযশা বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষের মাধ্যমে আমাদের এই রহস্যময় ধরণীতে এসে যিনি আমাদের কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজকে এর প্রচলিত ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথাবিরোধী, বিজ্ঞানসম্মত,যৌক্তিক ও প্রগতিশীল লেখা উপহার দিচ্ছিলেন, তাঁর এই হৃদয়বিদারক করুণ পরিণতি এতটাই ন্যাক্কারজনক এবং মর্মান্তিক যেটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। নিকট ভবিষ্যৎ এ অভিজিৎ দা এর অভিমত সর্বজনস্বীকৃত হবে,কিন্তু সেদিন কি এই ধর্মান্ধ-উগ্রপন্থীরা তাঁকে এই নিষ্ঠুর ধরাধামে আবার ফিরিয়ে এনে চলমান প্রহেলিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতে পারবে?
জেনে ভালো লাগছে যে মুক্তমনা ব্লগ নতুন করে সাজানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো। একটা সময় ছিল যখন রোজ নিয়ম করে এই ব্লগ এ আসতাম। যেমন ছিল লেখার বিষয় তেমন তাদের মান। আসুন সবাই মিলে আবার মুক্তমনার সেই স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনি।
অভিজিৎ রায়কে হত্যা করে তারা ভেবেছিল মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে এভাবে থামিয়ে দেবে। তারা থামাতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। বরং মুক্তচিন্তার আন্দোলন আরো জোরদার হচ্ছে। বাড়ছে মুক্তমনার সংখ্যা।
অভিজিৎ রায় কে হত্যা করে ওরা নিজেরাই পরাজিত হয়েছে আরও লক্ষ লক্ষ অভিজিৎ তৈরি হচ্ছে , আমরা ওনার আদর্শে উদ্বুদ্ধ ,যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ ততক্ষণ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীর কোনে কোনে এমন অভিজিৎ রায় আরো তৈরি হচ্ছে সামনের দিনগুলি প্রকৃতই মুক্তমনাদের ও তাদের অগ্রজদের। জন্মদিনের কোটি কোটি শুভেচ্ছা রইল আগামী মুক্তমনাদের উদ্দেশ্যে।
ওরা একটা অভিজিৎ আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে । আজ হাজার অভিজিৎ রায় তৈরি হচ্ছে । কলমের কালি এখনো লাল
হাজার হাজার অভিজিৎ রায় তৈরি হচ্ছে তার কোন প্রমান তো পাচ্ছিনা। যেখানেই যাই চারিদিকে তরুণদের মুখে উগ্রবাদী কথাবার্তাই এখন শুনতে পাই। অনলাইনেও নতুন প্রগতিশীল লেখা তেমন একটা চোখে পড়ে না। বাংলাদেশের কোন ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছিনা।