বিষণ্ণতার ২৬ তারিখ !!
ভিড়ের মধ্যে কয়েকটি কালো হাত পেরিয়ে
আমরা- রাস্তার উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করি,
যেখানে অনির্বচনীয় এক ভালোলাগা আলো আঁধারিতে
শিশুদের নিয়ে মেতে ওঠে বইয়ের রঙিন মলাটে।।
প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে – আর আমাদের প্রিয় বর্ণমালায়
সে বই আমরা হাত দিয়ে ছুঁয়ে যায় এ অগভীর মমতায়,
সমগ্র বাংলার ক্ষেতে ফসলে মাঠে খেলে যায় বাতাস;
ইচ্ছে হয় এই বাংলায় ফিরে আসি বারবার।।
নিয়নের হলুদ আলোয় জনস্রোতে আমরা দুজন মানুষ
হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যায় নিজেদের গন্তব্য – যেখানে
অারো অনেকে আসবে বলে ক্রমাগত: শাব্দিক উচ্চারণে
জানিয়ে দিয়ে যায় প্রতিদিন – লিখে রাখে নিজেদের ডায়েরী।।
আচমকা দমকা বাতাস লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায় সবকিছু
নিজেকে নিজেদের চেনায় কাপুরুষের দল,
রক্ত, শুধু রক্ত গড়িয়ে পড়ে সবুজ মানচিত্রে-
বইয়ের মলাটে মলাটে, ধবধরে সাদা পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়।।
কৈফিয়ত : অভিজিৎ রায় এর অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর পর কেমন জানি বিষণ্ণ হয়ে পড়েছিলাম। তবুও আশা ছাড়িনি। মুক্ত চিন্তার মানুষেরা এগিয়ে যাবেই আর আলো হাতে আঁধারের যাত্রীদের পথ দেখাবে।
এত মতবাদ কাকে দি বাদ
অলক্ষ্যে দেখি সবি জল্লাদ,
রুখো মৌলবাদ , রুখে দাও জল্লাদ।
রুখে দিতে এদের জুদ্ধে যাব ফের।
—————- লাল সেলাম।
অভিজিত দা অমর থাকবে চিরকাল।