সবে কাজ থেকে বাসায় ফিরেছি খেতে বসবো, এমন সময় ফোন বেজে উঠলো। সচরাচর এ সময় বিজ্ঞাপনী ফোনই এসে থাকে, পারতপক্ষে ধরি না। আজ কাছে ছিলাম বলেই হয়তো না ভেবেই ফোনটি তুলে বললাম, হ্যালো। দীর্ঘ লয়ে উত্তর পেলাম ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহে ওয়াবারাকাতুহু’। মনে মনে বললাম, এই সুভেচ্ছা বানীটি আরো সংক্ষিপ্ত করলেও আপনার সদিচ্ছার ব্যাপারে আমি কখনো সন্দেহ প্রকাশ করতাম না। ইদানিং বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে মুসলমান লেখকের তিন বাক্যের যেসব ইমেইল পাই, তার বেশির ভাগেই অবশ্যই দুটো বাক্য থাকে ‘আসসালামুয়ালাইকুম ওয়াবারাকাতুহু’, ‘আল্লা হাফেয’ বা ‘ইনশাল্লাহ’ বা ‘ফি সাবিলিল্লাহ’ জাতীয়। বয়সে ছোট কয়েকজন আত্মীয়কে উত্তরে জানিয়েছিলাম, একই সুত্রের একাধিক ইমেইলের আদান-প্রদানে বারবার এই কথাগুলো না লিখলে, তোমাদের আঙ্গুলের পরিস্রম কিছুটা কম হবে, আর আমি এটি প্রিন্ট করলে কালি কম খরচ হবে। আমার উপদেশে কোন কাজ হয়নি। কদাচিৎ পাওয়া অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে কোন ইমেইলে আশ্চর্যজনক ভাবে এই বাক্যগুলোর বাহুল্য কম থাকে। কাজেই ধরে নিলাম আমার আজকের ফোনের আগন্তুক উপমহাদেশেরই ধার্মিক কেউ হয়ে থাকবেন। তাই গুনাহর ভয়ে মোলায়েম স্বরে ‘ওয়ালাইকুম…’ প্রত্যুত্তর দিতে দিতে আমার খালি পেট ‘ভাত কই ভাত কই’ বলে হুঙ্কার দিয়ে উঠলো। এক হাতে পেটের অন্ত্রনালি চেপে ধরে নিজের কন্ঠনালিতে যথাসম্ভব শক্তি এনে জিজ্ঞেস করলাম, ‘ভাই আপনি কে বলছেন?’ বললো স্যার, আমি আপনার পুরনো এক ছাত্র, সাবিউল্লাহ। খুব খুশি হলাম, পেটও আমার সাথে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তর্জন-গর্জন ছেড়ে কাঁইকুঁই করতে থাকলো।
আসলে সত্যিকার অর্থে সাবিউল্লাহ আমার ছাত্র ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি যখন শেষ বর্ষের, ও তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরবর্তিতে শিক্ষক হয়ে ওদের গোটাকয়েক ক্লাশে আমি একটি চ্যাপ্টার পড়িয়েছিলাম মাত্র। স্যার সম্বোধন করে সে নিজেরই বিনয় প্রকাশ করলো, শিক্ষক হিসেবে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না। পিএইচডি করে এদেশের একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা-গবেষণা করছিল। ওর মেধা ও বিজ্ঞানে অবদানের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন বিভাগকে আমি একটি চিঠি লিখেছিলাম, আর গ্রিন কার্ড পাওয়ার সাথে সাথে আমাকে ফোন করে জানিয়েও ছিল। এখন একটি কাজে এসে ওর এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছে, দুদিন থাকবে। যেহেতু সময় বেশি নেই, কাল সন্ধ্যায় ওর বন্ধুকে নিয়ে আমার সাথে দুটো ডালভাত খেতে আমন্ত্রণ জানালাম, প্রায় তিরিশ বছর পরে দেখা হবে আশায়। অতি বিনয়ের সাথে বললো কাল সন্ধ্যায় ও শুধুই দেখা করতে আসবে কিন্তু খাওয়াদাওয়া নিয়ে আমাকে ঝামেলায় ফেলতে চায় না। আসলে ঝামেলার কিছুই নেই, কাল আমার ও আমার স্ত্রীর দুজনেরই কাজ আছে, চাইলেও ওকে আমরা উপযুক্ত সমাদর করতে পারবো না। কাজেই সচরাচর যা খাই, সেটাই সাবিউল্লাহ ও তার বন্ধুর সাথে ভাগাভাগি করবো, দেখা হওয়াটাই মূখ্য। ও আবার বললো, স্যার ভাবীকে কোন কষ্ট না দিয়ে শুধুই ডিম সিদ্ধ ও আলু ভর্তা করতে বলবেন। মনে পড়লো আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন বন্ধু মনোয়ার ভাই লং ড্রাইভে বেড়াতে গেলে কোলেষ্টারোলের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে অবশ্যই সেদ্ধ ডিম সাথে নেবেন, আর প্রতিটি কামড়ের সাথে এর স্বাদ ও সুগন্ধের ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়ে যাবেন। ভাবলাম লং ড্রাইভের থেকেও বহু দূরে এসে সাবিউল্লাহ হয়তো ডিমের স্বাদ থেকে বঞ্ছিত হতে চায় না।
সাথে সাথে এই ডিম নিয়ে যে এক মহা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিলাম তাও মনে পড়লো। বছর দুয়েক আগে এক বিজ্ঞান সম্মেলনের বক্তার তালিকায় পরিচিত একটি নাম দেখে তার সাথে দেখা করতে এগিয়ে গেলাম। সুবল মিত্র আমাকে দেখেই হৈ হৈ করে উঠলো। আশির দশকে যখন এদেশে পোষ্ট-ডক্টোরাল ফেলোশিপ নিয়ে আসি, বেশি কেউ ছিলেন না বলে বাংলাদেশের কাউকেই চিনতাম না। একই পাড়ায় থাকা, একই পেশার কলকাতার বেশ ক’জন বাংগালিই হয়ে উঠেছিলেন আমাদের পরমাত্মীয়। সুবল মিত্র ছিলেন তেমনি এক বন্ধু। একমাত্র মুসলমান বলে, আমাদের গোমাংসের বাসায় ছিল ওদের স্বচ্ছন্দ যাতায়ৎ। পরে নিজেই রান্না করে এক বসায় এক পাউন্ড গোমাংস সাবাড় করে দিয়েছিল সুবল। দিল্লির নামকরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও একটি বিভাগীয় প্রধান ডঃ সুবল মিত্র এক সম্মানিত অতিথি হিসেবে এখানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। বিজ্ঞানী হিসেবে সুনাম অর্জন ও ভারতের সর্বোচ্চ বিজ্ঞান পুরষ্কার প্রাপ্ত এই বিজ্ঞানী এখন ওই দেশের জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থার একজন নীতিনির্ধারক বিধায় ভীষণ ব্যাস্ত সময় কাটান। অনেক লোকের ভিড়ে ব্যাস্ততার মাঝে বললো আশরাফ ভাই, এবার আপনার বাসায় থাকতে পারবো না তবে বাইশ বছর থেকে বৌদির হাতের রান্না খাই না! বলবেন একটু কষ্ট করে ডিম রান্না করে রাখতে, আমি পরসু সন্ধায় আপনাদের বাসায় ডিনার খাব। কাজ থেকে একদিন ছুটি নিয়ে আমার স্ত্রী, সুবল পছন্দ করে বলে পরম যত্ন করে শুধুই মাংস জাতীয় খাবার রান্না করলো। ঝাল গরুর মাংস, মুরগির রোষ্ট, খাসির মাংসের বিরিয়ানী, টার্কির টিকিয়া, টুনার কাবাব, ও রুই মাছের দো’পেয়াজা রান্না করে অপেক্ষা করতে থাকলো। সুবল এলে পুরনো সব বন্ধু, বলুদা, অশোকদা, প্রহ্লাদ, পিযূষ, কৃষ্ণাদি, রতন, দিব্যেন্দু, বৈশাখি, কল্যানী, ওদের সবাইকে নিয়ে স্মৃতিচারণ হল। খাওয়ার টেবিলে এসে প্লেট নিয়ে সুবল সব কিছুর দিকে তাকিয়ে বললো, বৌদি আপনি এত কষ্ট করতে গেলেন কেন, আমার ডিম কোথায়? আসলে সুবল সেদিন বিনয় করে বলেছিল বলে ধরে নিয়ে ডিমের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। জানালো ওর নিরামিষাশি অবাংগালি স্ত্রীকে বিয়ে করার পর থেকে সব ধরণের মাংস জাতীয় খাবার খাওয়া সে ছেড়ে দিয়েছে। এত বছর পরে দেখা, কাজ থেকে ছুটি নেয়া, আমাদের এতো আয়োজন, এতো উৎসাহ এক নিমেষেই মাটি হয়ে গেল। নিজের নির্বুদ্ধিতায় নিজেকে দোষারোপ করা ছাড়া উপায় রইলো না। এত বছর পর এই সম্মানিত অতিথি তাই শুধু সালাদ খেয়েই আমার বাড়ি থেকে বিদায় নিলেন! উর্দূ একটি বচণ ‘আকেলমন্দ কি লিয়ে ঈশারা ই ক্কাফি হ্যায়’ মনে পড়লো। হতে পারে সাবিউল্লাহ হালাল ছাড়া কোন মাংস খায় না, সরাসরি তা বলতে না পেরে ডিমের কথা বলছে। মনে মনে সাবিউল্লাহ’র বুদ্ধির তা’রিফ করে বিস্তারিত না জানিয়ে বললাম, ওর জন্যে ডিম সিদ্ধ ও আলু ভর্তা থাকবে, আর আমরা যা খাই তাও থাকবে। কাজেই কোন ঝামেলাই হবে না।
আসলে হালাল অর্থাৎ মুসলমানী কায়দায় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে হত্যা করা প্রাণীর মাংস এবং এখানকার গ্রোসারি ষ্টোরের কশাইখানার মাংসের ব্যাপারে আমার কোন বাছবিচার নেই – স্বাদেও কোন পার্থক্য পাই না। এব্যাপারে ধর্মীয় বই-পুস্তক বিস্তর ঘাটাঘাটি করেছি। তবে যেহেতু বেশির ভাগ লোকের কাছেই আমার যুক্তি কোন সাড়া পাবে না, হালাল সম্পর্কে আমি প্রচণ্ড ধার্মিক, বয়োজ্যোষ্ঠ এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুর মতামতকেই প্রাধাণ্য দেই। গভীর রাতে তাহাজ্জ্যোত নামাজ সহ সব সময়েই জামাতে নামাজ পড়তে পারেন, সেই জন্যে তিনি বাড়ি করেছেন মসজিদের পাশে। কোরান-হাদিসের আলোকে তিনি বলেছিলেন, ‘রোগমুক্ত ও প্রাপ্ত বয়ষ্ক যে পশু মা-কালি বা অন্য কোন দেব-দেবীর নামে উৎসর্গ করা হয় নাই, তার মাংশ হালাল’। আর যেহেতু এদেশের গ্রোসারি ষ্টোরের মাংসের উৎসে গরুকে কারো নামে হত্যা করা হয় না, অথচ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কাটা ও সংরক্ষন করা হয়, সেগুলো অবশ্যই হালাল। এই হালালের ব্যাপারটি পর্যবেক্ষন করতে তিনি ঢাকায় এক কশাইখানায় গিয়ে দেখলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে কশাইরা কসরৎ করে একে একে গরুগুলোকে মাটিতে যখন ফেলে, তখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলার কথা মনে থাকে না। তার পরিবর্তে যেটি বলাতে তারা বেশি অভ্যস্ত, গরুটির মায়ের সতিত্ব নষ্ট করার একটি প্রতিজ্ঞা, তাই উচ্চারণ করে ছুরি চালিয়ে দেয়। জানিনা বলে আমরা দেশে কখনো এটি হারাম বা হালাল নিয়ে মাথা ঘামাই না। কিছুদিন আগে শুনলাম ঢাকার সাংবাদিকেরা কশাইখানায় গিয়ে দেখতে পেলেন, দুই হিন্দু কশাই প্রতিদিনের মত একের পর এক খাসী জবাই করে চলেছে ‘আল্লাহু আকবর’ না বলেই। আর তার মাংস বায়তুল মোকাররামের খাতিব থেকে শুরু করে সব মুসলমান নিশ্চিন্ত মনে খেয়ে চলেছেন বিন্দুমাত্র সন্দেহ না করেই!
তার পরও এদেশে অনেক অতিথি আছেন যারা হালাল ছাড়া কিছুই খান না, আর দাওয়াত খেতে এসে সরবে প্রশ্ন করে জেনে নেন মাংশটা হালাল কিনা। তাঁদের কাছে মুসলমানের দোকান থেকে কেনা মাংস মানেই হালাল। তাঁরা ভুলে যান, মুসলমানরাও ব্যাবসায়ী। আর আমরা মিথ্যা কারো চেয়ে কম বলি তারও কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান নেই। ছোট কাল থেকে জেনে এসেছি অসৎ উপার্জন হারাম, অথচ কোন বিজ্ঞজনকে প্রশ্ন করতে শুনিনি যে টেবিলের খাবারগুলো সৎ উপার্জনের কিনা। খাওয়া নিয়ে বাছবিচার শুধু আমাদের মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না। ঈহুদীদের কোশার-প্রীতি সম্পর্কে তো সবাই জানেন। এদেশেও অনেকে আছেন, যারা পশুর প্রতি দয়াপরশ হয়ে নিরামিষাশি হয়েছেন, কোন ধর্মীয় অনুশাসনের জন্যে নয়। এক দুপুরে লাঞ্ছ করতে গিয়ে জানলাম ইষ্টার্ণ মেথডিষ্ট নামে খ্রিষ্টানদের একটি সেক্টের অনুসারি এক সহকর্মী শুক্রবার কোন মাংশ খান না। ভারত ও আমাদের দেশের নিরামিষাশি হিন্দুদের খাবার ব্যাপারে কঠিন বাছ-বিচারের কথাও আমরা জানি। তাদের অনেকের পানি বা খাবারে আমাদের ছোঁয়া লাগলে উপোশে থাকলেও তা ফেলে দিতে হয়। একবার শ্বশুর বাড়ির দেশের হিন্দু একটি পরিবার আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। এঁদের বয়োজ্যোষ্ঠ জন অনেক কুন্ঠার সাথে আমার স্ত্রীকে বলেছিলেন, মা কিছু মনে করো না, বুড়ো হয়েছি তো, ছোটকালের অভ্যাস ছাড়াতে পারিনি বলে আমার আর তোমার মেশোমশাই এর রান্নার হাড়ি, চুলো ও সব সরঞ্জাম আমরা সাথে নিয়ে এসেছি, কিন্তু তোমার দাদা, বৌদি, ভাইটি ও ছোটরা তোমাদের সাথেই খাবে। অতি রক্ষনশীল হলেও তাদের এই কুন্ঠা ও বিনয়ের কথা মনে হলে আজো শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। তুরস্কের এক ধার্মিক মুসলমানকে সবার মাঝে কখনো খাবারটি হালাল কিনা প্রশ্ন করতে শুনিনি, কখনো সন্দেহ হলে কাউকে কিছু না বলে শুধু শব্জি ও মিষ্টি খেয়েই আসরকে প্রাণবন্ত রাখতে দেখেছি। আমার কেন জানি মনে হয় বাংগালি মুসলমানদের বেলায় হালাল-প্রীতি জাহির করার প্রবণতাটা হয়তো একটু বেশি; এতে যে নিমন্ত্রিয়েতা (গহকর্তা-কর্ত্রী) এক অঃস্বস্থিকর অবস্থায় পড়তে পারে এব্যাপারে তারা পুরোপুরি উদাসীন। (এই ধারণা আমার ভুলও হতে পারে কারণ অন্য গোত্রের লোকজনের সাথে আমাদের সামাজিক মেলামেশা তো বাংগালি মুসলমাদের তুলনায় অনেক কম।) আগে এদেশে হালাল জিনিস পাওয়া যেত না বেশি, এখন বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমান জনসসংখ্যা বেশি হওয়ায় অনায়াসে পাওয়া যায়। তাই কখন কোন হালাল মেহমান চলে আসে, কোন ঝুঁকি না নিয়ে আমরাও সব সময় বেশি দাম দিয়ে মুসলমান দোকান থেকেই মাংস কিনি ও ফ্রিজে মজুদ রাখি, খালি হতে দেই না। সাবিউল্লাহকে আমরা অভ্রান্তচিত্তে ও নিঃসঙ্কোচে আপ্যায়ন করতে পারবো ভেবে খুব ভাল লাগলো।
কাল সন্ধ্যায় দেখা হবে, তার পরও এটা সেটা নিয়ে দুয়েকটা কথা বললাম ফোনে। সাবিউল্লাহ আবারো বললো স্যার, ভাবীকে কিন্তু অবশ্যই বলবেন কোন কষ্ট না করতে, আমি কিন্তু হালাল ছাড়া খাই না, শুধুই যেন ডিম আর আলু ভর্তা করেন। মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি বললাম, সাবিউল্লাহ, তোমার সাথে এতদিন পরে দেখা হবে, তোমার পছন্দের ডিম-আলু ভর্তা নিষ্চয়ই হবে, তবে মুরগিটি বা পাখিটি যে ‘বিসমিল্লাহ’ বা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ডিম পেড়েছিল আমি তো ভাই তোমাকে সেই গ্যারান্টি দেতে পারবো না। তা’ছাড়া কি করে তোমার ধারণা হল যে আমরা হারাম খাই?
লেখার অ্যাপ্রোচটা চমৎকার :yes:
অসাধারণ। ‘হারামেখার’ নাকি ‘হারাম-েখার’।
@যিনাতুল ইসলাম,
সম্ভবতঃ হারাম-খোর ই ঠিক, আরেকটু অপেক্ষা করে বদলে দেব। মন্তব্য ও ধরিয়ে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে চাকরি সুত্রে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতে হয়,তখন দেখি তথাকথিত “পায়াস” মুসলিমরা কিভাবে মাছের মত মদ গিলে। তবে সবচেয়ে মজা পেয়েছিলাম একবার একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি (বর্তমানে একছন ক্রীড়া সংগঠক) মদের গ্লাস হাতে আমার সংগে ইসলাম ও আল্লার অস্তিস্হ সমপর্কে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। হা হা হা হা
@ফরহাদ,
হালাল, হারাম আল্লাহর অন্যান্য হাজারটা মিথ্যে কথার দুটো কথা। বিজ্ঞানে আল্লাহ, হারাম, হালাল এ সমস্ত নেই। একজন খাঁটি হালালখোরকে শুওর অথবা কুকুরের মাংস দিয়ে তৈরী শুওর-পোলাও বা কুকুর-বিরাণীর অর্ধেক খেতে দিন। খানা খেয়ে সুন্নতি তরিকায় আংগুল চুষে চুষে বলবে শুকুর আলহামদুলিল্লাহ বড় মজাদার খানা আল্লায় খাওয়ালো। পরের দিন বাকী অর্ধেক খেতে দিন। কিছুক্ষণ খাওয়ার পর বলুন- এটাতো কুকুরের মাংস। দেখুন অবস্থাটা কি হয়। টয়লেটে বা বাথরুমে যাওয়ার সময় পাবেনা, বমি করে আগের দিনের ভাত সহ সব বের করে ফেলবে। কারণটা কি? কারণটা হলো তখন বিশ্বাসের ভাইরাস (প্যারাসাইট) তার উপর ক্রীয়াশীল হয়।
@ফরহাদ, ঈশ্বরহীন,
দারুন বলেছেন, হিপোক্রেসি কত প্রকার এবং কী, কী।
লেখার আন্ডারলাইন ঠিক করে দেয়া হয়েছে।
জনাব সম্মানিত লেখক সাহেব,
আপনার লিখা পড়েই আমি মন্তব্য করতে চেয়ে ছিলাম, কিন্ত সময়ের অভাবে পারিনি। আপনি যে একজন ভাল লেখক তা আমরা মেনে নিচ্ছি। আপনি আপনার কথা গুলি সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারেন, আর পাঠক ও ধরে রাখতে পারেন, এটা অবশ্যই প্রসংশা পাবার মত যোগ্যতা। যাইহোক, আপনি যেহেতু বিদেশে থাকেন সেহেতু আপনি ভাল করেই জানেন, বিদেশে মানুষের অনেক আপদ বিপদ হয়। এ নিয়েই তাদের চলতে হয়। এই পরিস্থিতে একটি মানুষ যদি বিশ্বাস অনুষারে চলতে চায়, তাহলে কি আপনি একটু সাহায্য করতে পারেন না। বিদেশ জীবনে অনেক সময় মানুষ অধিক মেন্টাল প্রসারের কারনে অনেক বাস্তব বিষয় বুঝতে ভুল করে। এ জন্য কি সে আপনার কাছ হতে একটু ভুলের ক্ষমা আশা করতে পারে না? সামাজিক জীবনে আমরা কত কিছু সেকরিফাইস করি, কিন্তু কেউ যদি তার বিশ্বাস সেক্রিফাইস না চায়, তাহলে একটু কষ্ট করে কি মেনে নিতে পারেন না। না-হয় ধরে নিলাম, আপনি মেনে নিতে পারেন না, কিন্তু এ জন্য দুঃখি মসুলমানদের নিয়ে একটি আরটিক্যল লিখে ফেললেন, তাহলে আপনার ঘৃনা কত উচুতে পোছেছে, তা সহজেই বুঝা যায়। আপনি কি জানতেন না, আপনার ঐ ছাত্রে সত্যিকার অবস্থা এমন ছিল যে কিছু সইতেও পারে না কইতেও পারেনা , সে যেমন আপনার সম্মানের প্রতি দায়িত্বশীল ছিল, তেমনি হালাল-হারামের ব্যপারেও দায়িত্বশীল ছিল। এ জন্য সে অত্যাদিক সমস্যায় পড়েছিল, কিন্তু মুখ খুলে কিছু বলতে ও পারতে ছিল না। আপনি এই বিষয়টি মায়া আর ভালবাসার দৃষ্ঠিতে দেখতে পারলেন না! কিছু মানুষ না হয় হালাল হারামের পিছে থাকল। আপনি জ্ঞানী মানুষ, আপনাকে আমি সাধারন একজন মানুষ কি আর বলব। আপনার বুঝা উচিত, একজন মুসলিম মানুষের হালাল-হারামের ধারনা আপনার মত নাও হতে পারে।
জনাব সম্মানিত লেখক সাহেব,
আমি একবার আমার আব্বাকে প্রশ্ন করেছিলাম, আব্বা, এই যে শেখ হাসিনা, বেনজির ভুট্ট এদের উপর হামলা হইল, এইখানে সরকারের কি দোষ, সরকারের দোষ কেন ধরতেছ? আব্বা জবাব দিলেন, সরকার হামলা করেনি ঠিক আছে, কিন্তু হামলার সুযোগ করে দিয়েছে। আপনি ও ইসলাম আর মসুলমাদের কিছু বলেন নাই ঠিক আছে, কিন্তু সুযোগ করে দিলেন। আপনি ইচ্ছে করলেই এই মসুলমানদের কথা একটু ভেবে চিন্তে লিখতে পারতেন, যাতে এইখান কার ইসলাম বিদ্দেষীরা তেমন কিছু বলার না সুযোগ পায়। দেখেন আপনার কথার সুযোগ পেয়ে, আল্লাহ পাকের রাসূলের কষ্টের শিখিয়ে দেওয়া দোয়াগুলিকে বিজাতীয় ভাষা বলতেছে। কয়দিন পরে তারাই আবার আমাদের নামগুলিকে বিজাতীয় বলে কি না কি করে বুসে তার হদিস নেই। তার জবাবে আপনি বলতেছেন “তবে তারা যে প্রতি পদক্ষেপে আল্লাহ’র নির্দেশ মেনে চলছেন বা বা আল্লাহকে খুশি করতে চাইছেন, বা তাদের আশেপাশের লোকজনকে খুশি করতে চাইছেন, তা প্রমাণ করাটাই বোধ হয় মূখ্য” । মানে দাড়ায়, লোক দেখানো, তারচেয়ে আপনি নিজে নিজেরে প্রশ্নকরে দেখেন, বিদেশে বিপদের মুখে মানুষ হয়ত কেউ কেউ অধিক আল্লাহ ভক্ত হয়ে যেতে, এর থেকে এসব ঘটতে পারে। সে কথায় কথায় দুয়া উচ্চারন করতে পারে। নাহ, আপনি এইভাবে চিন্তা করলেন না। যদিও তাদের মনের অবস্তা হয়ত আপনি বুঝতে পারেন। একজন মানুষ মেহমান আসল, আর তাকে নিয়া নাস্তিকবাদী সাইটে লিখে দিলেন, সমাজ সংষ্কার এর উদ্দেশ্যে থাকলে, আপনি মসুলমানদের ভুল ধরিয়ে তাদের কে লিখতেন, হাসি ঠট্টার দিকে আনতেন না। কি আর বলব, আপনাদের চোখে আমরা মসুলমানরা তো হারাম রাসূল সঃ মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা নষ্ট হয়ে গেছি।
-ভাল থাকবেন, আমার লেখায় যদি কোন কারনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত, যদি পারেন তাহলে ক্ষমা করে দিয়েন। ঐ দুঃখি মসুলমানদের হয়ে তাদের ভুল এর জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
ক্ষমা প্রার্থনায়
ফুয়াদ
@ফুয়াদ,
হালাল খাওয়া মোসলমানরা দুঃখী হয় কি করে, তাদেরতো অফুরন্ত সুখ, ইহকালে এবং পরকালে। দুঃখী হওয়ার কথাতো হারামখোরদের।
@ফুয়াদ,
বলবেন ওফাত করেছেন, রচুল কি আর মরে! রচুলের শানে বেয়াদবি, এটাতো ভাইজান ভালো করলেন না।
মন্তব্য এট্টু ছোট হলে ভালো হয়, কারণ এত বড় মন্তব্য পড়ে শেষ করার আগেই শয়তান এসে ধোঁকা দিয়ে চলে যায়।
@সৈকত চৌধুরী,
” এত বড় মন্তব্য পড়ে শেষ করার আগেই শয়তান এসে ধোঁকা দিয়ে চলে যায়।”
:rotfl:
আমার মনিটরটাও বেয়াদবের মত হাসছে 🙂
ফুয়াদ ভাই, নিছকই হিউমার, সিরিয়াসলি নিয়েন না যেন আবার।
@সৈকত চৌধুরী,
আপনি ঐ লাইনটি ঠিকই ধরেছেন । @এডমিন, দয়াকরে ঐ লাইন থেকে হারাম শব্দ কি একটু তুলে দিবেন, টাইপিং মিস্টেইক ।
ধন্যবাদ।
@ফুয়াদ,
প্রিয় ফুয়াদ সাহেব,
মুক্তমনায় যারা লেখেন তাঁরা সবাই সম্মানিত ও লেখক বিধায়, এবং সবাই খুব সুচিন্তিত গল্প-প্রবন্ধ লেখেন বলে আপনার আমাকে বিশেষ সম্বোধনে বিব্রত বোধ করছি। আমি কিন্তু সুযোগ পেলেই মুসলমান বা যে কাউকেই হোক সাহায্য করি, যেমন যেতে চাইলে কাউকে মসজিদে পৌছে দেয়া, হালাল মাংশ দোকানের খোজ দেয়া, প্রয়োজন বোধ করলে খাবারের কোনটি “হালাল” আর কোনটি নয় তা আগেভাগেই জানিয়ে দেয়া। কাজেই আমাকে মুসলমান বিদ্বেষি ভাববেন না দয়া করে। আর ‘মুক্তমনা’ও মুসলমান বিদ্বেষি সাইট নয়। এখানে সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আর খোলা মনে সব কিছু আলোচনা করে। আর মুসলমান বিদ্বেষি হওয়ার জন্যে হিন্দু বা খেরেস্টান হওয়ার প্রয়োজন নেই, তেমনি প্রয়োজন নেই আমাদের জীবন যাত্রায় বিসদৃশ্য দিকগুলো লুকিয়ে ঢেকে রেখে। ধর্ম যেহেতু বেশির ভাগ লোকেরই জীবনযাত্রারই অংশ, তাই তার আপাত দৃষ্টিতে অযৌক্তিক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করাটাও খারাপ কিছু নয়। আর হিন্দু-খেরেস্তানের চেয়ে মুসলমান হয়ে নিজের দূর্বলতাগুলো মুসলমান নিজেরা ধরিয়ে বা শুধরে দেয়াটা কি ভাল নয়?
আমি কিন্তু সব কিছুকেই লোক দেখানো বলিনি ও বুঝাইনি। তাই ‘এবং’ ব্যাবহার না করে ‘বা’ ব্যাবহার করেছি। যাই হোক, আমার প্রয়াত মা, যিনি তার জীবনের দুই ততীয়াংশ জায়নামাজে কাটিয়েছেন, শিখিয়েছিলেন ‘কারো মনে দুঃখ দেয়া আর মন্দির বা মসজিদ ভাংগা একই সমান অপরাধ’। আপনি নন, আমিই আপনার মনে কষ্ট দিয়েছি, তাই মাফ চাইছি। তবে সবাইকে শত্রু না ভেবে, মুক্ত মনে সব কিছু আলোচনা করলে মুসলমানদের উপকার ছাড়া অপকার কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না, আর দুঃখ কিছুটা লাঘব হবে।
আমার ভাই দুই আংগুলে টাইপ করতে বেশ সময় লেগে যায়, কাজেই এর চেয়ে বিস্তারিত আর লিখতে পারছি না।
কিছুদিন আগে বাসার পাশে(সাইপ্রাসে) মুসলিম বুচারি সপে এক বাঙ্গালিকে দেখেছিলাম তার ফিলিপিনি রক্ষিতাকে নিয়ে এসেছে, হালাল মাংসের সন্ধান করতে।
@মডারেটর, ভাই আন্ডারলাইনের অপ-অপশনটা কি কোন ভাবে বন্ধ করা যায়? কমেন্টগুলো পড়তে ভীষন সমস্যা হচ্ছে।
বিদেশ যাত্রী অনেক মুসলমান প্লেনে উঠে আগে নিশংষয় হয়ে নেয় সরবরাহ কৃত খাবার হালাল কিনা।তারপর সিট বেল্ট খুলে এয়ার হোস্টেসকে তাড়া দেয় “হুইস্কি প্লিজ”
@ফরহাদ, এটাও জটিল হইছে।
@ফরহাদ,
আমি প্রথম যখন দেশে ফিরছিলাম দুবাই থেকে প্লেনে বিরাট একদল বাংলাদেশী ওঠে। তাদের মধ্যে একতা উল্লেখযোগ্য অংশ টিপিকাল আলেম শ্রেনীর লোক বলতে যা বোঝায় তেমন; টুপি, দাড়ি, জোব্বা, কারো চোখে আবার সুরমা। প্লেন ছাড়ার একটু পর অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম যে এই দুবাই গ্রুপের অধিকাংশ লোকেই চেয়ে চেয়ে দেদারসে বীয়ার খাচ্ছে। টুপি দাড়ি আচকান পরা মানুষে শরাব পান করছে এই দৃশ্য দেখার মান্সিক আঘাত হজম করতে একটু সময় লাগল। আমার পাশের যাত্রীর সাথে কিছুটা ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল, উনি অবশ্য সাধারন পোশাক পরা। উনিও সমানে চালাচ্ছেন। জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম, ভাই ধর্মে সমস্যা হবে না? উনি বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন; “না না, ওনারা (মধ্যপ্রাচ্যের সরকার) পরীক্ষা করি দেইখসে, এইগুলার মইধ্যে খারাপ কিসু নাই”। আমি আর কথা না বাড়ানোই সমীচিন মনে করেছিলাম।
ছাত্রজীবনে (নিজে দেখিনি বলতে হবে) কয়েক যায়গায় শুনেছি যে ছেলেপিলেরা হালাল ছাড়া মাংস খাচ্ছে না, আবার তা খেয়ে উঠে রংগিন পানীয়ও চালাচ্ছে।
ফুয়াদ ভাই হয়ত আবার রাগ করবেন, দূঃখী লোকদের দূঃখ দূর করার উপায়ে আমি বাধ সেধেছি বলে অভিযোগ আনতে পারেন। আর নয়ত এই অভিজ্ঞতা বলাই উচিত হয়নি বলে রায় দেবেন। কাজেই আর কথা না বাড়ানোই ভাল।
বোরিং লাগল আরএকটু সংক্ষেপে লেখা যেত।
ধন্যবাদ
@আসরাফ,
আসলে নিজের লেখা কাটছাট করতে বড্ড লাগে! তা ভবিষ্যতে ছোট করতে চেষ্টা করবো, যদিও বদ স্বভাব তাড়ানো খুব দূরূহ ব্যাপার!
@আশরাফ আহমেদ,
আপনার এই লেখাটি চমৎকার লেগেছে, আমার মনে হয়না আপনার লেখা কাটছাট বা ছোট করার দরকার আছে।
কই, আমি তো পড়ি নাই কখনও! অবশ্য আমি তো একটু কেমন যেন, প্লাস আবার হারামখোর। আমার উদাহরণ তাইলে মনে হয় ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না । হুমম ……
মুক্তমনা কাল থেকেই চমকের পর চমক দেখাচ্ছে।
রহস্যময় অন্তর্ধান; এরপর এখন দেখি আমরা সবাই রাজার কায়দায় আন্ডারলাইন করে বক্তব্য দিচ্ছে।
যাহোক, চমতকার লেখাটি মনে হয় একটু তাড়াতাড়ি আর হঠাত করেই শেষ হয়ে গেল। মনে হয় বাস্তব জীবনের গল্পগুলি এমনই হয়।
হারাম হালাল নিয়ে ঝঞ্ঝাটে পড়েননি এমন মানুষ মনে হয় বিদেশে নেই। দেশে থাকতেও কেন যেন কেউ এত সচেতন হয় না, এখানে এসে হঠাত সব্বাই হালাল খাদ্য বিষয়ে অতি সচেতন হয়ে ওঠেন। এক পাকিস্তানী শুনেছিলাম নুতন এসে প্রথম ৩ মাস শুধু আলু ভাজা (ফ্রেঞ্চ ফ্রাঈজ) খেয়ে জীবন ধারন করেছিল।
বাড়িতে হালাল মেহমান এসে পড়লে খাওয়ার সময় নিশ্চয়তা দিতে হয় যে ভয়ের কারন নেই, হালাল খাদ্যদ্রব্যই দেওয়া হচ্ছে। আসলেই বিব্রতকর পরিস্থিতি হয়। হালাল বন্ধুদের সাথে কোথাও বেড়াতে গেলেও ঝামেলা হয়। হয় সালাদ, নয়ত ফিশ বার্গার। পছন্দের যায়গায় খাওয়া যায় না। দূঃখের কথা বলে আর কি হবে।
@আদিল মাহমুদ,
আপনি ঠিকই ধরেছেন। লেখাটি শেষ হলেও হালালের কিন্তু শেষ নেইঃ হালাল সাবান, হালাল মার্সমেলো, হালাল ষ্টক, কত কি! কবে হালাল পানি আর হালাল বাতাস খুজতে হয় সেই অপেক্ষায় আছি।
আমার স্ক্রিনে আমি কোন আন্ডারলাইন দেখতে পাচ্ছি না বলে এর আগে আইভি’র মন্তব্য বুঝতে পারিনি। মনে হয় সমস্যাটি অন্যত্র।
সামান্য একটা আরোপিত নেমন্তন্ন কে কেন্দ্র করে সুন্দর এই লেখাটি আশরাফ আহমেদের পক্ষেই সম্ভব।
জার্মানীতে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপ হয়েছিলো, যিনি বলেছিলেন দেশে ফিরে হালাল মাংশের ব্যাবসা করবেন, বলেছিলেন ব্যাপারটা সহজ। পশুবধের সময়ে রেকর্ডে “আল্লাহু আকবর” বাজতে থাকলেই চলবে। প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে আমার ব্যাপক কৌ্তুহল থাকলেও জিজ্ঞেস করতে পারি নি পাছে আমার সামাজিক ধর্মীয় আবরণ মুখ্য হয়ে ওঠে তার কাছে।
বড় ই চোখে লাগছে আন্ডার লাইন গুলো।
ভালো কথা, মজা লাগছে এটা দেখতে যে – যে কেউ ই আপনার এই লেখাটায় মন্তব্য করছেন তারা বাঁদিকে নিজের নামের সাথে হারামখোর বলে স্বীকৃত হচ্ছেন, বড় কায়দা করে নামটা রেখেছেন।
@কেয়া, ভালো কথা, মজা লাগছে এটা দেখতে যে – যে কেউ ই আপনার এই লেখাটায় মন্তব্য করছেন তারা বাঁদিকে নিজের নামের সাথে হারামখোর বলে স্বীকৃত হচ্ছেন, বড় কায়দা করে নামটা রেখেছেন।
:laugh: :rotfl: :hahahee: :hahahee:
পথিক,
ঘটনাটা আবিষ্কার করে আমিও অমন আছড়ে পিছড়ে পড়ে হেসেছি।
@কেয়া,
মন্তব্য করেই দেখি হারামখোর হয়ে গেছি। :hahahee:
@কেয়া,
ধন্যবাদ। আসলে হালালের বাজার এতোই বড় যে অনেক বড় বড় খাবার বাজার জাতকারী কোম্পানী সার্টিফাইড হালাল ও কোশার খাবার বাজারে ছাড়ছে।
আমি নিজে আন্ডারলাইন বসাচ্ছি না আর আন্ডারলাইনের ব্যাপারটি আমার হাতেও নেই। অনিচ্ছাকৃত অসুবিধাটির জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী।
:-/ :-/ :-/ 😕 😕 😕
সহমত 🙂
মন্তব্যের নিচে আন্ডারলাইন থাকাতে পড়তে অসুবিধে হচ্ছে। এটা কি কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে?
@আইভি,
আমি কোন আন্ডারলাইন দেইনি বা দেখতে পাচ্ছি না, পরের মন্তব্যটি থেকে সমস্যার কথা বুঝতে পারলাম। মডারেটররা হয়তো সাহায্য করতে পারেন।
@আশরাফ আহমেদ,
আপনাকে ধন্যবাদ যুগোপযোগী এই লেখাটি উপহার দেবার জন্য।
ইদানিং এইসব বিজাতীয় শব্দ ব্যবহার, হারাম-হালাল, হিজাব-বোরখা নিয়ে ভীষন যন্ত্রনায় আছি।
হন্যে হয়ে হালাল হদিস করা অনেক হনুমানকেই দেখেছি শরাব সেবনে সিদ্ধহস্ত।
@ফরিদ আহমেদ, :laugh: :rotfl: :hahahee: :yes: :yes: :yes:
@ফরিদ আহমেদ, জটিল হইছে!!! :yes: :yes: :yes:
@ফরিদ ভাই,
:lotpot: :hahahee: অবশ্য আমার এক পাকিস্তানি বন্ধু বলেছিল, শারাব হারাম হ্যায়, হারাম হ্যায়… লেকিন লারকি হালাল হ্যায়… 😀
@সুমন ও ফরিদ আহমেদ,
পাকিস্তানি আমলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রধান ‘বিয়ার কেন হারাম হবে?’ এধরনের প্রকাশ্য মন্তব্য করেছিলেন বলে শুনেছিলাম। অচিরেই ‘ধার্মিক’দের দাবীর মুখে পদত্যাগও করতে বাধ্য হয়েছিলেন। শরাব ও লারকির ব্যাপারটা তাই হয়তো ‘ধার্মিক’দের থেকে লুকিয়ে রাখতে পারলে জায়েয (হালাল)।
@আশরাফ আহমেদ,
পাক আর্মিতেও তো ৭১ এর পরেও মদ অফিসিয়াল পার্টিতেও খাওয়া হত। সম্ভবত ভূট্টো নাকি জিয়াউক হক এসে সেটা নিষিদ্ধ করেন।
@সুমন,
হনুমানদের হয়রানি দেখে হেসে হুটোপুটি করলেই হবে নাকি সুমন। হন্যে হয়ে তোমার হদিসও যে খুঁজছি আমরা তার কী হবে।
কথায় কথায় যাঁরা ‘ইনশাল্লাহ’, ‘মাশাল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ইত্যাদি বিজাতীয় শব্দ ব্যবহার করেন, হালাল মাংশ খাই বলে জনসমক্ষে নিজকে জাহির করেন তাঁরা আমার মনে হয় এক ধরনের হীনমন্যতায় ভোগেন। কিছু একটা মনের মধ্যে অভাব বোধ করবার বহিঃপ্রকাশ এটি।
বাক্যের প্রথমে ‘ইনশাল্লাহ’ বলে আরম্ভ করা, বাক্যের মধ্যে কিছু মিথ্যা বলা, বাক্য আবার ‘ইনশাল্লাহ’ বলে শেষ করা, এমন অভিজ্ঞতা প্রায়ই হয়।
@ব্রাইট স্মাইল্,
হীনমন্যতা কিনা হয়তো বলা মুশকিল, তবে তারা যে প্রতি পদক্ষেপে আল্লাহ’র নির্দেশ মেনে চলছেন বা বা আল্লাহকে খুশি করতে চাইছেন, বা তাদের আশেপাশের লোকজনকে খুশি করতে চাইছেন, তা প্রমাণ করাটাই বোধ হয় মূখ্য।
@আশরাফ আহমেদ,
নাকি তাদের আশেপাশের লোকজনের কাছে “ওঁনারা কত বড় ধার্মিক” তা প্রমান করার প্রানান্তকর প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। ওঁনারা নিজেরা ধার্মিক কিনা এই সম্পর্কে বোধ হয় নিজেরাই সন্দিহান।
চমৎকার।
আমারই তো সন্দেহ হচ্ছে।
@সৈকত চৌধুরী,
তা যা বলেছেন……।