মানুষের পবিত্র বায়োবীয় অনুভূতিকে রক্ষা করার জন্য বর্তমান সরকার জনগণের জন্য উপহার হিসেবে এনেছে ৫৭ ধারা। প্রথমেই জেনে নি, ৫৭ ধরায় কী লেখা আছে-
(১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এই ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।
ইহা পড়িবার মাত্র, অনেক কট্টর ধার্মিক হয়তো আনন্দে গদগদ হয়ে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। এখানে বলে রাখা ভাল এই ৫৭ ধারার প্যাকেজ শুধু বিশেষ ধর্মের জন্য, সকল ধর্ম ইহার আওতায় পড়বে না। এই আইনে কোথাও বলা হয়নি অনুভূতিতে আঘাতের মাত্রা কীরূপ হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে। অনুভূতি রক্ষার আইননের প্রধান ও প্রথম সমস্যা এখানেই। চার্লস ডারউইন যখন বিবর্তনবাদ তত্ত্ব প্রকাশ করেন তখন হাজারো মানুষের অনুভূতি চরমভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বিবর্তনবাদ যেহেতু সকল ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক সেহেতু এই তত্ত্ব নিয়ে বর্তমানে লেখা হলে তা কী অপরাধ বলে গণ্য হবে? পৃথিবীর ইতিহাস কয়েক কোটি লক্ষ বছরের। এই ইতিহাসটুকু পড়ালেও কী তা অপরাধ বলে গণ্য হবে? চাঁদ কখনো দ্বি-খণ্ডিত হয়নি এটা বললেও কী তা অপরাধ বলে গণ্য হবে? মানুষের কখনো দশ হাত, দশ মাথা ছিল না, হনুমান কখনো কথা বলতে পারত না। এসব লেখা হলেও কী তা অপরাধ বলে গণ্য হবে?
আমাদের মহান রাষ্ট্র যেহেতু অনুভূতি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সেহেতু ভেবেছিলাম সরকার কোন বিশেষ ধর্মের নয় বরং সকল ধর্মের অনুভূতি রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে আমাদের ধন্য করবে। কিন্তু বিধি হায়! সরকার একচক্ষু দৈত্যে মতন শুধু একটি বিশেষ ধর্মের অনুভূতি রক্ষার দায়িত্বে নেমেছে। যারা মফস্বল বা ছোট শহরে বসবাস করেছেন বা গ্রামে বড় হয়েছেন তারা নিশ্চই জানেন; গ্রাম্য মাহফিলে অন্য ধর্ম সর্ম্পকে কী ধরনের রসাত্বক ও হাসি তামাশা করা হয়। কেউ যদি না জানেন তাহলে ইইউটিউবে গেলেও এই চিত্রটি দেখতে পাবেন। আপনি ফেসবুকের চিপায়, মেসেজের খোপে ধর্ম নিয়ে কী লিখেছেন তার জন্য আপনার জেল জরিমানাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে মজমা জমিয়ে দুই উরুর ফাঁকে উত্তাপ ছড়িয়ে অন্য ধর্মের মেয়েদের ও দেবী নিয়ে আদিরসাত্বক গল্প বয়ান করলে আপনি কোন আইনের আওতায় পড়বেন না। বরং ইহা আপনার ধর্মীয় অধিকার হিসেবে গণ্য হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, ফেসবুকে অন্য ধর্মের বিভিন্ন দেব-দেবীদের কুৎসিত গালাগালি করা এবং এসব নামে আইডি খোলা এই ব-দ্বীপে জায়েজ। বুঝতেই পাচ্ছেন, এখানে শুধু বিশেষ ধর্মের অনুভূতি রক্ষা করা হয়। অনেক মর্ডান মুমিন যুক্তি দেখাবেন এখানে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের অনুভূতিই তো প্রাধাণ্য পাবে! তাহলে প্রশ্ন আসে, এখানে আপনারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও আপনারদের ধর্ম আজ হুমকির মুখে তাই ধর্মকে লাইফ সার্পোটে বাঁচানোর জন্য আপনারা আইন করেছেন, তাহলে ভারত-ইউরোপ-আমেরিকায় আপনাদের ধর্মের লোকদের কী অবস্থা তাই না? ইহুদি নাসাদের চব্বিশ ঘন্টা গালাগালি করেও আপনারা তাদের দেশে ধর্মীয় উপসানালয় বানানোর অধিকার পাচ্ছেন, ধর্মীয় বিদ্যালয় বানানোর সুযোগ পাচ্ছেন অথচ আপনারা যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানেই আপনাদের ধর্ম নাই নাই হওয়ার ভয়ে আপনারা মুশড়ে পড়ছেন। ৫৭ ধারা আপনাদের অনুভূতিকে যতোটুকু না রক্ষা করতে পারছে, তার থেকে সমগ্র দুনিয়ার কাছে আপনাদের অনুভূতিকে হাস্যকরভাবে উপস্থাপন করছে।
২০০১ সালের পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে বিভিন্নভাবে ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়ি ঘর, মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। রামুতে শান্তিপ্রিয় মানুষগুলোর বাড়িঘর, সমগ্র মন্দির ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গত দুই বছর আগে ৫০টাকা দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মসজিদে ঢিল মারা হয়। পরবর্তীতে মসজিদ ভাঙার অজুহাদ তুলে হিন্দুদের দোকান লুট ও বাড়ি ঘরে ভাঙচুর করা হয়। নির্বাচন পূর্ববর্তী সময় ও নির্বাচন পরবর্তীতে ভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর ঝড় বয়ে যায়। এসব কর্ম-কাণ্ড যদি অন্য কোন দেশে হতো তাহলে কয়েক হাজার মানুষকে জেলে ঢুকানো হতো। কিন্তু অসম্প্রাদায়িক(!) বঙ্গদেশে এর কোন বিচার হয় না। বিচার হওয়ার তো দূরের কথা এই ঘটনার কারণে কাউকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয় না।
এই দেশের জনগণ ১৪ দলীয় জোট ও ১৮ দলীয় জোটের জটে আটকে আছে। আগে শুনতাম আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসলে মানুষ একটু সস্তিতে থাকত। যাকে মন্দের ভাল হলা হতো। অথচ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই জামিন অযোগ্য ৫৭ ধারা প্রণয়ন করা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। কেউ যদি বিরোধী দলের উপর এই দায় চাপাতে চায় তাহলেও সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ যে ব্যর্থতার পরিচয় নিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা দেখেছি ভিন্ন সম্প্রদায়ের উপর হামলায় আওয়ামী বিএনপি জামাত এক হয়ে মাঠে নেমেছে। বর্তমান সরকারের আমলে এতোগুলো সাম্প্রদায়িক হামলার হয়েছে, তাহলে প্রশ্ন আসে ৫৭ ধারা কাদের জন্য প্রযোজ্য? সরকার যদি মানুষের অনুভূতির হেফাজতে নামে তাহলে ভিন্নধর্মী মানুষের অনুভূতি রক্ষার দায়িত্ব কেন নিচ্ছে না? সবাই শুধু ধর্মীয় অনুভূতির কথা বলছে ভাসুরের নাম কেউ মুখে নিচ্ছে না। বলার অপেক্ষা রাখে না ৫৭ ধারা শুধু বিশেষ ধর্মকে হেফাজত করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।
শেষে একটু বায়োবীয় অনুভূতির অনুভূতি বিষয়ে বলা যাক। রাষ্ট্রের জনগণ ও রাষ্ট্র যদি আরো বেশি ধার্মীক হয়ে উঠে তাহলে কী পহেলা বৈশাখ, শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া, পহেলা ফাল্গুন পালন করা বন্ধ হয়ে যাবে? কারণ এগুলো বিশেষ এক শ্রেণির অনুভূতি প্রতিনিয়ত আঘাত করে যাচ্ছে? তখন কী অনুভূতি রক্ষার নামে পহেলা বৈশাখ ও শহিদ মিনারে ফুল দেওয়া আইন করে বন্ধ করা হবে? প্রতিটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতা ছিল, থাকে এবং ভবিষ্যতে থাকতে চায়। কিন্তু প্রশ্ন হল ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি রাজনৈতি দল ইতিহাসের কোন অধ্যায়ে থাকতে চায় তা মাথায় রাখতে হবে। না হয় এই ৫৭ ধারার কারণে বর্তমান আওয়ামী লীগকে ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে স্থান নিতে হবে। আওয়ামী লীগের আমলে অনেক নিরীহ ব্লগার-ফেসবুকার জেল খেটেছে, ভবিষ্যতেও হয়তো খাটবে। ক্ষমতার পালা বদলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও হয়তো এই কালো আইনের প্রয়োগ করবে তারপরও এই আইন নাজিল করার জন্য এই দায় আওয়ামলীগ সরকারকেই বহন করতে হবে। সিন্ধান্ত এখন সরকারের, তারা কী ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে স্থান নিতে চায় নাকি ভুল সংশোধনের মানসিকতায় ৫৭ বাতিল করতে চায়।
যখন একজন মানুষ কোন নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাস করে যৌক্তিকভাবেই সে অন্যান্য ধর্মকে অশ্রদ্ধা করতে বাধ্য হয়। যে মুসলিম ধর্মে বিশ্বাস করে তার কাছে অন্যান্য সব ধর্মীয় মতবাদই মিথ্যাচার।এভাবে তাত্তিক ভাবে সে কিন্তু অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসকে অশ্রদ্ধা করছে।তেমনিভাবে অন্যান্য ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসী মানুষদের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটবে।ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মতাদর্শ ধর্মীয় মতবাদের মধ্যেই নিহিত আছে।
আওয়ামীলীগ একটি সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল। দলটি অসাম্প্রদায়িকটার মুখোশ পড়ে থাকে।তাই ৫৭ ধারার প্রবর্তন অপ্রত্যাশিত কিছু নয়।
এক চোখা দৈত্য-ই বটে। ওয়াজ মাহফিল বা শুক্রবারে জুমার নামাজের আগে অন্যান্য ধর্ম নিয়ে যেসকল কটূক্তি করে মোল্লারা, এর জন্য তাদের গ্রেফতার করা হয় না কেন?
এই দেশেই কাদেয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের মুসজিদকে পুলিশের পাহারায় “উপাসনালয়” সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। তাদের সমস্ত প্রকাশনাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতীতে এই রেকর্ড প্রমাণ করে চাইলেই যে কোন ভিন্নমত বা ধর্মকে আমরা বাতিলও করতে পারি!
@সুব্রত শুভ
আমি একটু বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। আপনাদের বিরুদ্ধে যে মামলা ছিলো সেটা কি ডিসমিস হয়ে গেছে নাকি মামলা জ্যান্ত আছে আর আপনারা জামিনে আছেন? একটু বুঝিয়ে বলেন তো প্লিজ।
@কাজী রহমান,
আমরা জামিনে আছি। মামলা বর্তমানে স্ট্রে অর্ডারে আছে। আইনে জামিন অযোগ্য বলা আছে তবে জামিন দেওয়াটা সম্পূর্ণ বিচারকের উপর নির্ভর করে। আইনে অনেক কিছু বলা থাকে যেমন-খুনের আসামীদের জামিনের বিধান নেই কিন্তু তারপরও তারা পাচ্ছে, রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে আইন যেহেতু করা আছে সেহেতু একটু ঝামেলা আছেই। তাই এই ধারা বাতিল করতে হবে। আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব বলে চিন্তা-ভাবনা করছি।
ব্রো, সংবিধান পড়েছেন… পুরোটা… খুটিয়ে খুটিয়ে ??? আমি নিশ্চিত – ওটা পুরোটা পড়লে এই লেখাটা কষ্ট করে লেখতেননা – এই আইন কিছুইনা 🙂
THE CONSTITUTION OF THE PEOPLE’S REPUBLIC OF BANGLADESH
@সংবাদিকা,
কাজীর গরু খাতায় থাকে তেমনি সংবিধান বহুত কিছুই লেখা আছে। এবং সার্ঘষিক কথাবার্তাও আছে। এই আইন যদি কিছুই না হতো তাহলে চট্টগ্রামের দুইটি ছেলে গ্রেফতার হতো না। ফেসবুকে লাইক দেওয়ার অপরাধে সিলেটেও দুইটা ছেলে গ্রেফতার হতো না।
” চোদ্দ গুষ্ঠির আঠারো চক্র”
দেশের নস্ট রাজনীতিক দলগুলোকে সাপোর্ট দিলে আপনি অতীতে যেভাবে প্রতারিত হয়েছেন, ভবিষ্যতেও হবেন। কারণ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত একি মায়ের পেটের ভাইমাত্র!
@শেহজাদ আমান,
বিকল্প কিছু সাজেস্ট করছেন না কেন? জামাত কে বাদ দিন, অন্যদের ক্ষেত্রে বিকল্প কিছু সাজেস্ট করুন বা নিজেরাই দল বানান, মানা তো নেই।
@অর্ফিউস, সেই চেষ্টাই করছি, আমার/আমাদের সীমিত সামরথের মধ্যে থেকে…।
@শেহজাদ আমান,
আপনি কি শুনেন নাই কয়েকদিন আগেইতো ইমরান এইচ সরকার বলেছে দেশের স্বার্থে গণজাগরন “মঞ্চ” আগামীতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্বপ্রকাশ করবে !! :clap
আপনার আর চিন্তা কি … 😕
@তারিক, করলেতো ভালোই। আশা করি ওরা আওয়ামি-বিএনপি-জামাতের কবলে হাঁসফাঁস করা দেশের জনগণকে নতুন কিছু দিতে পারবে।
আশা করি তারা আওয়ামী লীগের দালালী আর করবেনা এবং দেশের মুসলীম দলগুলোর সাথেও একটা সদ্ভাব বজায় রাখবে।
Because it’s politics!
তবে, ইমরান ভাই, বাধন ভাইয়েরাই শুধু নয়। অন্য অনেকেই সেই পথে অগ্রসরমান হয়েছে এবং হবে বলে আমার বিশ্বাসঃ
@শেহজাদ আমান,
এক্কেবারে মনের কথাটাই বলেছেন, ধন্যবাদ | একটু আগেই চিন্তা করছিলাম ইমরান এইচ সরকারের দলে কারা যোগদিতে পারে, এই বিষয়ে আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস তুলে দিলাম :
গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে ইমরান এইচ সরকার নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে, সেই দলের সমর্থন কারা করবে ?
# যারা মাইনাস টু ফর্মুলায় বিশ্বাসী (আওয়ামী লীগ = বিএনপি; সুতরাং উভয়ই পরিত্যাজ্য !!!)
# যারা আওয়ামী বিদ্বেষ থেকে বিএনপি সমর্থন করে কিন্তু বর্তমান সময়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াতের সাথে বিএনপি’র মাখামাখি সহ্য করতে পারছে না !!
# ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস ও তার অনুসারীবৃন্দ !
# প্রথমালু পরিবার !!
# কিছু বামপন্থী কর্মী যারা জানে যে বামপন্থী ব্যানারে তারা এদেশের রাজনীতিতে কোনো বা*ও ছিড়তে পারবে না !!
আওয়ামী সেল্টারে থেকে একটা আন্দোলন করে শেষে আওয়ামী লীগকেই বাঁশ দেওয়া এবং গণমানুষের একটা আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার ইচ্ছা পোষন করার জন্য ইমরান এইচ সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ | :guru:
@তারিক, ভাই আমি গণজাগরণ মঞ্চের সমালোচনা করে পোস্ট দেয়ার কারণে আমারে ‘ছাগু’ ট্যাগ দিছিলেন আপ্নারা অনেকে।
এখন আপনিই ‘গনজাগরণ মঞ্চ’-এর সমালোচনায় মুখর :))
ভালু, ভালু…!
আমি অবশ্য আপনার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন নিয়ে ‘ইয়ে’টা জানি…! :clap :lotpot: :lotpot:
@শেহজাদ আমান,
আপনাকে ছাগু ট্যাগ কে দিয়েছিল আমার মনে নাই, আমার মনে হয় না “আমি” দিয়েছিলাম !! :-s
পাঁচই ফেব্রুযারিতে যে গণজাগরণ ঘটেছিল সে আন্দোলনের বিরোধীতা করা ছাগু ছাড়া অন্যকারও পক্ষ্যেই সম্ভব না | আমরা ঐ গণজাগরনের বিরোধীতা করি নাই এবং কখনো করবোও না| কিন্তু “মঞ্চ” নামে ব্যবসা এবং শাহবাগ আন্দোলনের নাম ভেঙ্গে কোন ব্যক্তির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির বিরুদ্ধে আমার অবস্থান| আশাকরি এখন বুঝতে পারছেন !! :-Y
বিশেষ দ্রষ্টব্য: পোস্টে অফটপিকে অনেক বেশি কথা বলে ফেলেছি আর বলা যাবে না| (*)
@তারিক ভাই,
(Y)
(Y) (Y) (F)
@অর্ফিউস, (N) (N) (W) (W)
@তারিক, হেঃ হেঃ, গণজাগরন মঞ্চ ব্যাবসা করেছে মঞ্চ নিয়ে। আর আওয়ামী লিগ তো ব্যাবসা করে পুরো দেশ নিয়ে!
(H) (H) (H)
@তারিক,
[img]https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/t1.0-9/10245496_548792901909056_3802484979931555328_n.jpg[/img]
তারপর
আইনের যা আছে তাতে তৃপ্তির ঢেঁকুর শুধু ধার্মিক রা নয়, অনেকেরই তোলার কথা। সেখানে শুধুই ধার্মিকদের সিঙ্গেল আউট করার উদ্দেশ্য পরিষ্কার নয়।
এখানে মানহানি, ব্যক্তির বা রাষ্ট্রের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ সব কিছুই উল্লেখ আছে। অনিশ্চয়তায় ভোগার কারন এটাই।
এখানে এই তথাকথিত এক চোখা দৈত্য দ্বারা ভাল কাজও করা যায়।
যেমন কোন মেয়ের নামে মিথ্যা অপপ্রচার রোধের ক্ষেত্রেও এটা কার্যকর হতে পারে।
অন্য ধর্মাবলম্বীরা অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মঅবমাননা তেমন গায়ে মাখেন না। কেউ গায়ে মেখে একবার মামলা করে দেখতে পারে যে কি হয়। সেখানে যদি ৫৭ ধারা কার্যকর ভুমিকা না রাখতে পারে তবেই এই বাক্যটি গ্রহণ যোগ্যতা পাবে, না হলে নয়।
প্রশ্ন আসলে মানসিকতার। অন্য ধর্মের অনুসারীদের মানসিকতায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মানসিক পরিবর্তন আনতে হলে মনে হয় ক্রমাগত তাদের দিকে ইঙ্গিতপুর্ন লেখালেখির চেয়ে পজিটিভ লেখালেখিই বেশি ফলদায়ক হবে( এটা একটা অভিমত মাত্র)।
এখানে সময় নিয়ে মানসিকতা বদলানর কাজ করতে হবে উস্কে দেয়ার পরিবর্তে এতেই আর এই ধারাটি অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা হয় দেখা নাও দিতে পারে। সহনশীলতার বিকল্প নেই; ধার্মিক বা ধর্ম ব্যাশার দুই দলের ক্ষেত্রেই।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলে যদি ৫৭ ধারা প্রণয়ন করা হয়ে থাকে তাহলে কি করে আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে অসাম্প্রদিক সরকার বলে দাবি করতে পারে?
আমার বক্তব্য হল “ধর্ম অবমাননার শিক্ষা আস্তিকরা জন্ম সুত্রেই পায় আর সে সারাজীবন নিজ ধর্ম পালনের সাথে সাথে অন্য ধর্ম গুলোকে প্রতিনিয়ত অবমাননা করে যায়। ধর্ম অবমাননা না করে নাস্তিক হওয়া যায় কিন্তু আস্তিক হওয়া যায় না। একটি ধর্মতে বিশ্বাস স্থাপন মানে অন্য সকল ধর্মকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে বিশ্বাস করা। এটাই মূলত ধর্ম অবমাননার বীজ। কিন্তু ধর্মের কু শিক্ষা তাদের অন্ধ করে রাখে। বিবেককে করে রাখে স্তব্ধ। তাই তারা নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের অসম্মানকে অসম্মান হিসেবেই গণ্য করেন না”।
নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে অন্য ধর্মগুলোকে ভুয়া প্রমান করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাইতো খ্রিস্টানরা বলে মুহাম্মদ ভণ্ড নবী আর কোরআন তার নিজের লেখা, মুসলিমরা বলে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এটা তাদের তার মত প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বলতে হবে। এটা কি তবে ধর্ম অবমাননা হবে না? এখন তবে প্রশ্ন হল, উপরের কথা দুটো যদি ধর্ম অবমাননা না হয় তবে নাস্তিকরা তাদের মত প্রকাশ করলে অর্থাৎ “ঈশ্বর মানব সৃষ্টি করেননি, ঈশ্বরকে মানুষ সৃষ্টি করেছে এবং তাই সকল ধর্মই মানব সৃষ্ট” ধর্ম অবমাননা হবে কেন ???
সব তালগাছ আস্তিকদের কেন ???
ধর্ম অবমাননা ও ধর্মানুভুতি নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম এখানে।
ধর্ম অবমাননা ও ধর্মানুভুতির মুলো দেখানোর আগে ৫৭ ধারা প্রেমী আস্তিকদের উচিত লেখাটির বিষয়বস্তু বুঝে ধর্মানুভুতির সংজ্ঞা আগে বোঝা; তারপর সেই অপরাধে অন্যদের দোষী করা।