কেহ কেহ মোরে প্রশ্ন করে,
ওহে, তুমি কি সাদা?
নাকি কালো?
নাকি তুমি বাদামী?
তাহাদেরে বলি আমি,
শোনো তোমরা,
তোমাদের মতন একই রক্ত-মাংসে
গড়া মানুষ আমি।
বলো, মানুষের মনুষ্যত্বের চেয়ে
তার বর্ণটাই কি বেশি নামী?
অন্তরের বর্ণের চেয়ে
বাহ্যিক বর্ণই কি বেশি দামী?
কেহ কেহ মোরে প্রশ্ন করে;
ওহে, তুমি মুসলিম? খ্রিস্টান? নাকি হিন্দু?
কী তোমার গ্রন্থ?
কোরান? বাইবেল? নাকি বেদ?
তাহাদেরে বলি আমি শোনো,
জাতহীন, ধর্মহীন আমি
আমি শুধুই মানুষ।
ওসকল বিভেদনীতিতে আমার
বিশ্বাস এবং আস্থা নেই একবিন্দু।
মনুষ্যত্ব থাকতে আমি
কেন যাবো তাহাদের দলে
যারা সৃষ্টি করে
মানুষে মানুষে অহেতুক বিভেদ?
কেহ কেহ মোরে প্রশ্ন করে;
ওহে, তুমি কি নর?
নাকি নারী?
নাকি তুমি ক্লীব?
তাহাদের বলি আমি;
শোনো তোমরা, নহি আমি নর,
নহি তো নারী
নহি তো আমি ক্লীব।
আমি এই পৃথিবীর
মানুষ নামের একটি জীব।
(C)
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত, (C) (C) আপনার জন্যেও।
অনেক সুন্দর..
@অনিমেশ, ধন্যবাদ।
ভাল লাগলো।
@সাইফ সিয়াম, ধন্যবাদ।
অনেক দিন ধরেই কিন্তু আপনার গদ্য লেখা পাচ্ছে না পাঠক। ছোট ছোট পদ্য লিখলেই চলবে না, আপনার হাত ধরে আসুক আরও আরও গদ্যেরা, অসামান্য, অসাধারণ সব গদ্যের দল……..
@কাজি মামুন, আপনার গদ্যও আমার খুব ভাল লাগে। অনেক ভাল লাগা লেখায়ও অনেক সময় মতামত জানানো হয় না সময়ের অভাবে।
কবিতাটা ভালই তবে, আপনি সাধু আর চলিত ভাষা মিশিয়ে ফেলেছেন। কাজটা কি অনিচ্ছাকৃত, নাকি ইচ্ছে করেই করেছেন?
@অর্ফিউস,
কবিতায় সাধু-চলিতের মিশ্রণ দোষনীয় নয়। যেমন,
তাই এই কবিতায় সাধু ও চলিতের মিশ্রণ আমার ইচ্ছাকৃতই বলতে পারেন।
@তামান্না ঝুমু,
শরৎ কুমার, জীবনানন্দ দাস ইচ্ছে করেই বোধ হয় সাধু-চলতির মিশ্রন ঘটাতেন।
নজরুলের এই গানে কি কোন মিশ্রন আছে? কবিতা যে বুঝিনা তা আগেই অনেকবার বলেছি। আপনার ঝগড়া আপনি করেন আমি তাতে নেই। রবীন্দ্রনাথের এই লেখাটা পড়ুন-
@আকাশ মালিক, রবীন্দ্রনাথের যে লেখার লিঙ্কটি দিলেন সেটি বিশাল। তাই পুরোটা এখন পড়ে শেষ করতে পারিনি। পড়ে নেবো এক সময়। রবির কাব্য ও গানে সাধু-চলিতের মিশ্রণ আছে অগণিত। এবং সেগুলি পড়তে বা শুনতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
@তামান্না ঝুমু,
ধন্যবাদ, আসলে এটা জানতাম না আমি অথবা ভুলে গেছি। যাক আপনার কবিতাটা আমার আসলেই ভাল লেগেছে।
@অর্ফিউস, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।
@অর্ফিউস,
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম কিংবা মাইকেল মধুসূদন দত্ত ভাষা নিয়ে খেলাধুলা করেছেন – তাঁদের হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে এক মহীরুহে পরিণত হয়েছে। তাঁরা নতুন নতুন শব্দ সৃষ্টি তথা neologism করছেন। এজন্য আগে তাঁরা যোগ্যতা অর্জন করেছেন। আস্তে আস্তে বাংলা ভাষা সর্বসম্মতিক্রমে আজকের পর্যায়ে প্রমিতকৃত হয়েছে – যা তাঁদের সময় ততটা ছিলনা।
এখন আমাদের মত “টুক টাক গদ্য লেখক” কিংবা “শখের কাব্য রচনাকারী” যদি যখন তখন তাদের রেফারেন্স দেই তাহলে আর কীইবা বলার আছে।
আমার মতে ভাষাকে ঠেকিয়ে রাখা যায়না – তবে আমাদের উচিত অন্যকে কিছু বলার আগে নিজে ঠিক করছি কিনা তা আগে দেখা।
@সংবাদিকা, “টুকটাক গদ্য লেখক” কিংবা “শখের কাব্য রচনাকারী” যখন তখন বড় লেখকদের রেফারেন্স দিতে পারবে না। এই আইনটি যে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কোনো বড় সাহিত্যে বিশাল যোগ্যতা অর্জনকারী পাস করাইয়াছেন তা আমার আসলেই জানা ছিল না। আজ জেনে ধন্য হইলাম।
এই কথাগুলো মনে হয় আপনি নিজেকেই নিজে বলেছেন। কারণ এগুলো আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তর হিসেবেই যায়।আর যদি আমার উদ্দেশ্যে বলা হয় তবে জিগ্যেস করছি, আমি এখানে কি বেঠিক করলাম? এবং অন্যকে কি বললাম, যা বলার আগে আমার উচিত ছিল নিজে ঠিক করিতেছি কিনা তা দেখা? অর্ফিউস আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, আমি হয়ত অনিচ্ছাকৃতভাবে সাধু-চলিতের মিশ্রণ করেছি। তাই উনাকে একটি উদাহরণ দিয়ে উত্তর দিয়েছি। একে তো আমার গুরুচণ্ডালীর গুরু অপরাধ। তার উপরে আবার কবিগুরুর গানের উদাহরণ দিয়ে আরো গুরুতরতম অন্যায় করে ফেলেছি মনে হইতেছে।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার রচিত কবিতা কিংবা ছড়া গুলোকে লিরিক্স হিসেবে ব্যবহার করিয়া সংগস বানাইতে পারেন…… জোশ হবে…… ইয়াং বয়েজ এন্ড গালজ নিশ্চিত পছন্দ করিবে ইহাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
আশা করছি নিয়মিত লিখবেন এবং কবিতা রচিবেন, আপনার কোবতের অপেক্ষায় থাকিলাম।
ভালো থাকিবেন।
@সংবাদিকা, কবিতায় সাধু-চলিতের মিশ্রণ দোষের কিনা সেটা আগে বলুন। আমার ভালো লাগে তাই আমি করি। নতুবা খামোখা ইয়ো ইয়ো করতেই থাকুন। লাগছে মন্দ না।
ইয়াং বয়েজ এন্ড গালজ কি পছন্দ করবে, কি করবে না, সে বিষয়ে আপনি দেখছি একজন সফল ও স্বনামধন্য গবেষক। ইয়ো ইয়ো করে নিজেকে জাহির করার ব্যাপারেও বিশ্বখ্যাতি অর্জন করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।
@তামান্না ঝুমু,
(C) (F) :))
পাড়ার Yo-Yo পোলাপান মনে করে বাংলার মাঝে মাঝে ইংলিশ শব্দ কিংবা বাক্য বলাটা স্মার্টনেসের জন্য আবশ্যক… আপনি মনে করেন সাধু-চলিত মিশ্রণ কাব্য মাধুর্যের জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয়…
@সংবাদিকা, কবিতায় সাধু-চলিতের মিশ্রণ আমার ভালো লাগে। এটা কবিতার ক্ষেত্রে দোষনীয়ও নয়। পাড়ার ইয়ো ইয়ো পলাপান কী মনে করে বা কোন জিনিসকে স্মার্টনেস ভাবে সেটা এখানে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। শুধু শুধুই খোঁচা মারা। আপনার ভালো না লাগলে সেটা অন্য কারুর ভালো লাগবে না বা লাগতে পারবে না এমন কোনো আইন নেই।
@তামান্নাদি,
ইয়ে, মানে, সাংবাদিকারও খোঁচা মারতে ভাল লাগে, তাই ”আপনার ভালো না লাগলে সেটা অন্য কারুর ভালো লাগবে না বা লাগতে পারবে না এমন কোনো আইন” কি সত্যি সত্যি দরকার নেই?? 🙂
@কাজি মামুন,
:))
@কাজি মামুন,
এখানে শব্দটি “সাংবাদিকা” নয়, “সংবাদিকা”।
@কাজি মামুন,
ভাই আপনি “সংবাদিকা’ বানান ভুল করেছেন অর্থাৎ আপনার সকল যুক্তিই অন্তঃসারশূন্য…
😉
@তামান্না ঝুমু,
১. আপনার লেখা প্রথম পাতায় এসেছে- তাই।
২ .
আমার কেমন লেগেছে কিংবা লাগেনি – এ নিয়ে আমি মোটেও মন্তব্য করিনি। আমার আর্গুমেন্ট ভিন্ন বিষয়ে।
যাইহোক।
@সংবাদিকা, আপনি যে বিষয়ে আর্গুমেন্ট করেছেন আমি সে বিষয়ের ব্যাপারে বলেছি।