পুলিশ অবশেষে ব্লগার রাজীব হায়দারের খুনিদের ধরতে পেরেছে। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রখ্যাত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র – ফয়সাল বিন নাইম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসানুর রেজা রোমান, নাঈম সিকদার ও নাফিস ইমতিয়াজকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তারা পাঁচজনই এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন ।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের গণজাগরণ চত্বরের গণআন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ব্লগার রাজীব হায়দার শোভন। তিনি শুধু একজন ব্লগারই ছিলেন না, পেশাগত জীবনে ছিলেন স্থপতি। তার অপরিসীম মেধার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধের নকশা’ যা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে বলে আমরা পত্রিকায় জেনেছি। রাজীবকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পল্লবী থানার পলাশনগরের বাড়ির অদূরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। পাঠকদের হয়তো মনে আছে, রাজীব মারা যাবার পর পরই আমি একটি পত্রিকায় লেখা লিখেছিলাম – ‘কেন কেবল তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন?’ শিরোনামে (বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ প্রকাশিত)। সে লেখায় আমি অনুমান করেছিলাম যে মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং মুক্তমত প্রকাশের কারণেই রাজীব ধর্মান্ধ শক্তির উষ্মার কারণ হয়েছেন, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে,ঠিক যেমনিভাবে ঘাতকাহত হয়ে প্রলম্বিত মৃত্যুর দিকে চলে যেতে হয়েছিল প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদকে। আমার অনুমান যে মিথ্যা ছিল না তা ধরা পড়ার পর অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তিতে প্রমাণ পাওয়া যায়। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা এক শিবির কর্মী, যে এখনো ধরা পড়েনি বলে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত আততায়ীদের বিভিন্ন ব্লগের ঠিকানা এবং ব্লগ থেকে ডাউনলোড করে তথ্য দিয়ে প্ররোচিত করেন শিবিরের ওই ব্যক্তি। রাজীবের লেখা তাদের ‘ধর্মানুভূতি’কে আহত করেছিল, তাই ‘ঈমানি দায়িত্ব পালনের জন্য এই হত্যাকাণ্ড’ তারা ঘটিয়েছে বলে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উগ্রবাদী আচরণের নিদর্শন এটাই প্রথম নয়। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে, কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিস নামে যে ছেলেটি গত বছরের নভেম্বর মাসে নিউইয়র্কে বোমা হামলা করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল, সেই ছেলেটিও বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো। এখন রাজীবের হত্যাকারীরাও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ায় এ প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে – কেন নর্থ সাউথের মত বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মূলতঃ উচ্চমধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারের আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্থ ছেলে মেয়েরা পড়তে যায় বলে সার্বিকভাবে অনুমিত হয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি জঙ্গিবাদের প্রজনন-ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে? ডাল কুছ মে কালা হ্যায়? এ নিয়ে আজ আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এ – ‘নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি কি জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য?’ শিরোনামে। তবে লেখাটির বেশ কিছু অংশ ২০১০ সালের পুরোন গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর লেখা বলে কয়েকটি তথ্য হালনাগাদ ছিল না। এই ব্লগটি সে লেখারই আরেকটু বর্ধিত এবং সংশোধিত রূপ।
নর্থ সাউথ এর ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পেলাম। বেশ কিছু পত্রিকার (যেমন ৩ মার্চ, ২০১৩ জনকণ্ঠ দ্রঃ) খবরেই এসেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রপন্থী দল হিযবুত তাহরীরের আস্তানায় পরিণত হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হতে পারেন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীর ও শিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সক্রিয় থাকা দেশের একমাত্র বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে নর্থ সাউথ। এর পেছনে শক্তি হিসেবে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক-পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তা। বাইরে থেকে একটা ‘সুবেশিত এবং আধুনিক’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেজ তৈরি হলেও দিনের পর দিন জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য ও ৫ শিক্ষককের প্রত্যক্ষ মদদে উগ্র মৌলবাদীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি এমন আলামত বেরিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পাঠচক্রের আড়ালে নিয়মিতভাবে হয় শিবির ও হিযবুত তাহরীরের ‘ঐক্যবন্ধ বৈঠক’। এর পেছনে শক্তি হিসেবে কাজ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন শিক্ষক-পরিচালনা পরিষদ কর্মকর্তা। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই অংশটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিযবুত তাহরীর লালনকারী হিসেবে পরিচিত একজন শিক্ষককে ২০ লাখ টাকা বেতনে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগের চেষ্টা চালায় (বাংলাদেশ প্রতিদিনে ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজবুত তাহরীর’ শিরোনামের প্রতিবেদন দ্রষ্টব্য)। জানা গেছে, হিযবুত তাহরীর নামে জঙ্গিবাদের বিস্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি বেশ কিছুদিন ধরেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হিযবুত তাহরীরের বীজ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ছিলেন বিএনপি মতাদর্শী অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল আহাদ। উদ্যোক্তা হিসেবে আরও ছিলেন শায়েস্তা আহমদ, ব্যবসায়ী নুরুল এইচ খান, মাহবুব হোসেন ও জামায়াতের নীতিনির্ধারক সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান। এই শাহ আবুল হান্নান ইন্টারনেটে (বিভিন্ন ফোরাম এবং ইয়াহু এবং গুগল গ্রুপে) ‘জামাতি প্রপাগাণ্ডা’ চালানোর কাজে সদা তৎপর। তার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকারসহ অনেক সিনিয়র নেতার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শাহবাগ আন্দোলন চলাকালীন সময় শাহ আব্দুল হান্নান, এমবি আই মুন্সি এবং শমশের মোবিন চৌধুরীর একটি কথোপকথন ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায়। BJI International Relations (বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস) এর গ্রুপ ইমেইল চালাচালিতে এই জামাতি মতাদর্শের সৈনিকেরা শাহবাগ আন্দোলনকে ‘ফ্যাসিবাদী আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেন। ব্যাপারটা খুবই তাৎপর্যময় এজন্য যে, ‘আমার দেশ’ জামাতে ইসলামীর প্রপাগান্ডিস্ট এম বি আই মুন্সি এবং হান্নান শাহ-এর লানগুলোই হুবহু টুকে নিয়ে এর পর দিন পত্রিকার শিরোনাম করেছিল ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি’ শিরোনামে। এ নিয়ে নিউ অরলিন্স প্রবাসী গবেষক ড. জাফর উল্লাহ তাঁর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই জামাতি-ত্রয়ীর গুমোড় ফাঁস করে দেন মুক্তমনার ইংরেজী ব্লগে । এই শাহ হান্নানের মত মৌলবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী উগ্রপন্থি মানুষ কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্ব পেতে পারেন তা আমার বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতার পেছনে তার মদদ থাকলে সেটি আমাকে অন্ততঃ অবাক করবে না।
যা হোক, শায়েস্তা আহমদ, নুরুল এইচ খান, মাহবুব হোসেন ও শাহ আবদুল হান্নানের সুপারিশে এবং প্রভাবে প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ বিএনপি-জামায়াত মতাদর্শের নিয়োগ লাভ করে। প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজ জিএ সিদ্দিকী রাজনৈতিকভাবে জামায়াত মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে পত্রিকায় এসেছে (পরে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার)। জামাত এবং হিজবুত তাহরীর কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার মানসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ড. মঞ্জুরুল হক খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথাও শোনা গেছে। মাঝখানে খবর এসেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাবশালী কর্মকর্তারা জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের ভাগ্নে ও সাবেক ইসলামী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় নেতাকে উপচার্য বানাতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু নাফিসের ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষকদের চাপে সেটা তাদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এর আগে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সে সময়কার উপাচার্য হাফিজ জিএ সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ে হিযবুত তাহরীরের জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মঞ্জুরুল হক, কতিপয় শিক্ষক ও পরিচালনা পরিষদ সদস্যদের নিয়ে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। পরিচালনা পরিষদের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে হিযবুত তাহরীরের কর্মকাণ্ডে ওতপ্রোত জড়িত থাকার বিষয়টি খুব পরিষ্কার বলে জানা যায়। শাহ আবুল হান্নানের মতোই আরেক হান্নান ( ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী) রয়েছেন নর্থ সাউথের শিক্ষক হিসেবে; এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক’ হিসেবে কাজ করছিলেন এবং বর্তমানে স্কুল অব বিজনেসের ডিন হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি জামায়াতের অন্যতম নীতিনির্ধারক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া জামাতি মতাদর্শের আরেক প্রভাবশালী শিক্ষক ড. গোলাম মোহাম্মদের কথাও ২০১০ সালের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এসেছিল যিনি অর্থনীতির শিক্ষক হলেও মূলতঃ ছাত্রছাত্রীদের হিযবুত তাহরীরের আদর্শ প্রচারে তৎপর ছিলেন। এই ‘স্বনামধন্য’ শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার নিজের স্ত্রীই ২০০৪ সালে নারী নির্যাতন মামলা করেছিলেন বলে জানা গেছে (অবশ্য তিনি ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেছেন) । শেখ তৌফিক নামে আরেক শিক্ষক যিনি এ্যাকশন এইড নামের এনজিওর সাথে জড়িত ছিলেন, এবং বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষককর্মরত আছেন, তিনি হিযবুত তাহরীরের নীতি গবেষণা কেন্দ্রের ট্রাস্টি এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত। এরা সবাই মিলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করেছে এক জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য। আজকের (তারিখ: ০৫-০৩-২০১৩) প্রথম আলো পত্রিকাতেও এইসব গুণধর শিক্ষকদের নাম উহ্য রেখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে –‘কিছু শিক্ষকের ছায়ায় জঙ্গি হচ্ছেন নর্থ সাউথের ছাত্ররা’।
এ ধরণের অভায়ারণ্য তৈরির খেসারত হিসেবে এখানে নিয়মিতভাবে দেখা যাচ্ছে উগ্রপন্থি ছাত্রদের নানামুখি বিচরণ। দৈনিক সমকালে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘লোমহর্ষক বর্ণনা দিল ঘাতকরা’ শিরোনামের লেখাটিতে উল্লেখ করা হয়েছে রাজীব হত্যার সাথে জড়িত দুইজনের সঙ্গে হিযবুত তাহরীরেরও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ওই দু’জনের পরিবারও ডিবিকে জানিয়েছেন, তাদের সন্তান হিযবুতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ওই দু’জনের বাসা থেকেও হিযবুতের বিভিন্ন বই পাওয়া গেছে। বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের প্রত্যক্ষ মদদে জেএমবি ও হুজি সৃষ্টি হয়েছিল। এ দু’টি দল নিষিদ্ধ হলে জামায়াত আন্তর্জাতিক মানের জঙ্গী সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর গঠনে মদদ যোগায়। হিযবুত তাহরীরের নেতাকর্মীদের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগই ছাত্রশিবিরের সদস্য বলে জানা গেছে। পরবর্তীতে হিযবুত তাহ্রীরের মাধ্যমেই গড়ে উঠে আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নামের উগ্র মৌলবাদী সংগঠনটি, যে দলটির সদস্যরা রাজীব হত্যায় ইন্ধন যুগিয়েছে [পড়ুন প্রথম আলোর রিপোর্ট – দেশে নতুন উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ সক্রিয়] । বিভিন্ন আলোচনায় উঠে এসেছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামাজ ঘরটি জঙ্গি সদস্য নিয়োগের আখড়া হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পত্রিকাতেই এসেছে রাজীব হত্যাকারীরা একে অপেরের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন সেখানেই। শুধু ছেলেদের নামাজ ঘরটিই নয়, একই ভাবে জঙ্গি মনন চাষাবাদে ব্যবহৃত হচ্ছে মেয়েদের নামাজের ঘরটিও। সম্প্রতি সচলায়তন ব্লগে নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’ শিরোনামের একটি লেখা লিখেছেন, যেখানে তিনি নিজের স্ত্রীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সমকার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে লিখেছেন –
“মেয়েদের নামাযের ঘরে নিয়মিত বোরকায় আবৃত এক বা একাধিক মেয়ে গোল হয়ে বসে অন্যান্য সাধারণ মেয়ে যারা নামায পড়তে আসে তাদের নিয়ে আলোচনা সভা করে। আপাত দৃষ্টিতে এ ধরনের সভা করা খারাপ কিছু না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই সভাগুলো একটা সময় সাধারণ ছাত্রীদের ব্রেইন ওয়াসের ক্ষেত্র হয়ে উঠে। আমার স্ত্রী প্রথমে কৌতূহল বশত এবং পরে তাদের আলোচনার ধরন ও প্রকৃতি বোঝার জন্য নামাযের ঘরে নিয়মিত গিয়ে তাদের সাথে মিশে শোনার চেষ্টা করতো তারা কী বলছে। খুব দ্রুতই সে লক্ষ্য করে ঐ নির্দিষ্ট মেয়েদের বক্তব্য এবং দাওয়াত দেয়ার ধরণ জামাত-শিবিরের রাজনীতির সাথে হুবহু মিলে যায়। ঐ মেয়েগুলো সাধারণ ছাত্রীদের সাথে প্রথমে মিষ্টি ভাষায় কথা শুরু করলেও ধীরেধীরে তাদের উগ্র মতবাদ চাপিয়ে দিতে শুরু করে। আমার স্ত্রীর মুখে শুনেছি, মানুষকে কনভিন্স করার ভয়াবহ ক্ষমতা রয়েছে এই মেয়েগুলোর মাঝে। তাদের ধৈর্য অপরিসীম। এভাবে দিনের পর দিন ব্রেইন-ওয়াসের ফলে তারা এক সময় ঠিকই তাদের দল ভারী করতে সক্ষম হচ্ছে। সব কথা উন্মুক্ত ব্লগে লেখা সম্ভব না। শুধু এতটুকু বলবো, আমার স্ত্রীর কিছু বান্ধবী যারা এক সময় আর দশটা সাধারণ মেয়ের মতই উচ্ছল ছিল, আজ এদের সাথে মিশে পুরোপুরি বদলে গেছে। ফেইসবুক থেকে তারা নিয়মিত ছড়াচ্ছে ঘৃণা আর উগ্রবাদ”।
নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে নর্থ সাউথের আরেক কামেল প্রাক্তন ছাত্র কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসানকে যখন গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন আমি একটি লেখা লিখেছিলাম নির্মান ব্লগে, ‘একজন নাফিস এবং বিশ্বাসের ভাইরাস’ শিরোনামে। নর্থ সাউথে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের মুখগুলোর দিকে তাকালে আমরা বুঝতে পারি ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ কত প্রকটভাবে মস্তিষ্ককে অধিকার করে ফেলতে পারে, যার ফলে একজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে খুন করতেও তাদের বাধে না, বরং এটাকে তারা ‘ঈমানী দায়িত্ব’ বলে মনে করে। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ব্যাপারটা কিন্তু স্রেফ কথার কথা নয়। এ নিয়ে সম্প্রতি একাডেমিয়ায় অনেক গবেষণা হচ্ছে। আমি নিজেও এ নিয়ে ব্লগে লিখেছি, আমার এবং আমার সহলেখক রায়হান আবীরের ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ (শুদ্ধস্বর, ২০১১) বইটায় এর উল্লেখ আছে অনেক। একটা মজার উদাহরণ আমি সব সময়ই দেই ড্যানিয়েল ডেনেটের ‘ব্রেকিং দ্য স্পেল’ বইটি থেকে । আপনি নিশ্চয়ই ঘাসের ঝোপে কিংবা পাথরের উপরে কোন কোন পিপড়াকে দেখেছেন – সারাদিন ধরে ঘাসের নীচ থেকে ঘাসের গা বেয়ে কিংবা পাথরের গা বেয়ে উপরে উঠে যায়, তারপর আবার ঝুপ করে পড়ে যায় নিচে, তারপর আবারো গা বেয়ে উপরে উঠতে থাকে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে – এই বেআক্কেলে কলুর বলদের মত পণ্ডশ্রম করে পিপড়াটি কি এমন বাড়তি উপযোগিতা পাচ্ছে, যে এই অভ্যাসটা টিকে আছে? কোন বাড়তি উপযোগিতা না পেলে সারাদিন ধরে সে এই অর্থহীন কাজ করে সময় এবং শক্তি ব্যয় করার তো কোন মানে হয় না। আসলে সত্যি বলতে কি – এই কাজের মাধ্যমে পিপড়াটি বাড়তি কোন উপযোগিতা তো পাচ্ছেই না, বরং ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উলটো। গবেষণায় দেখা গেছে পিপড়ার মগজে থাকা ল্যাংসেট ফ্লুক নামে এক ধরনের প্যারাসাইট এর জন্য দায়ী। এই প্যারাসাইট বংশবৃদ্ধি করতে পারে শুধুমাত্র তখনই যখন কোন গরু বা ছাগল একে ঘাসের সাথে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ফলে প্যারাসাইট টা নিরাপদে সেই গরুর পেটে গিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। পুরো ব্যাপারটাই এখন জলের মত পরিষ্কার – যাতে পিপড়াটা কোন ভাবে গরুর পেটে ঢুকতে পারে সেই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঘাস বেয়ে তার উঠা নামা। আসলে ঘাস বেয়ে উঠা নামা পিঁপড়ের জন্য কোন উপকার করছে না বরং ল্যাংসেট ফ্লুক কাজ করছে এক ধরনের ভাইরাস হিসবে – যার ফলশ্রুতিতে পিঁপড়ে বুঝে হোক, না বুঝে তার দ্বারা অজান্তেই চালিত হচ্ছে।
চিত্র: ল্যাংসেট ফ্লুক নামের প্যারাসাইটের কারণে পিঁপড়ের মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন পিঁপড়ে কেবল চোখ বন্ধ করে পাথরের গা বেয়ে উঠা নামা করে। ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোও কি মানুষের জন্য একেকটি প্যারাসাইট?
এ ধরণের আরো কিছু উদাহরণ জীববিজ্ঞান থেকে হাজির করা যায়। নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম (বৈজ্ঞানিক নাম Spinochordodes tellinii) নামে এক ফিতাকৃমি সদৃশ প্যারাসাইট আছে যা ঘাস ফড়িং-এর মস্তিষ্ককে সংক্রমিত করে ফেললে ঘাস ফড়িং পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। এর ফলশ্রুতিতে নেমাটোমর্ফ হেয়ার-ওয়ার্মের প্রজননে সুবিধা হয়। অর্থাৎ নিজের প্রজননগত সুবিধা পেতে নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম বেচারা ঘাস ফড়িংকে আত্মহত্যায় পরিচালিত করে । এ ছাড়া জলাতঙ্ক রোগের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। পাগলা কুকুর কামড়ালে আর উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে জলাতঙ্ক রোগের জীবাণু মস্তিষ্ক অধিকার করে ফেলে। ফলে আক্রান্ত মস্তিষ্কের আচরণও পাগলা কুকুরের মতোই হয়ে উঠে। আক্রান্ত ব্যক্তি অপরকেও কামড়াতে যায়। অর্থাৎ, ভাইরাসের সংক্রমণে মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
আমাদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা প্রথাগত বিশ্বাসের ‘ভাইরাসগুলোও‘ কি আমাদের সময় সময় এভাবে আমাদের অজান্তেই বিপথে চালিত করে না কি? আমরা আমাদের বিশ্বাস রক্ষার জন্য প্রাণ দেই, বিধর্মীদের হত্যা করি, টুইন টাওয়ারের উপর হামলে পড়ি, সতী নারীদের পুড়িয়ে আত্মতৃপ্তি পাই, বেগানা মেয়েদের পাত্থর মারি …। মনোবিজ্ঞানী ডেরেল রে তার ‘The God Virus: How Religion Infects Our Lives And Culture’ বইয়ে বলেন, জলাতঙ্কের জীবাণু দেহের ভিতরে ঢুকলে যেমন মানুষের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে যায়, ঠিক তেমনি ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোও মানুষের চিন্তা চেতনাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, তৈরি হয় ভাইরাস আক্রান্ত মননের।
নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম যেমনি ভাবে ঘাস ফড়িংকে আত্মহত্যায় পরিচালিত করে, ঠিক তেমনি আমরা মনে করি ধর্মের বিভিন্ন বাণী এবং জিহাদি শিক্ষা মানব সমাজে অনেকসময়ই ভাইরাস কিংবা প্যারাসাইটের মত সংক্রমণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী করে তুলে। ফলে আক্রান্ত সন্ত্রাসী মনন বিমান নিয়ে আছড়ে পড়ে টুইন টাওয়ারের উপর। হিজবুত তাহরীর, আল কায়দার মত জঙ্গি সংগঠনগুলো প্রতি নিয়ত করে এই ভাইরাসের চাষ, এর ফলে প্রতি মুহূর্তে আক্রান্ত হয় বহু তরুণ মনন। ঠিক যেভাবে ব্লগার রাজীবকে হত্যা করার পেছনে হত্যাকারীরা ভেবেছে ‘ঈমানী দায়িত্ব’ থেকেই তারা হত্যায় অংশ নিচ্ছেন, ঠিক একইভাবে নাইন ইলেভেনের বিমান হামলায় উনিশ জন ভাইরাস আক্রান্ত মনন ‘ঈশ্বরের কাজ করছি ‘ এই প্যারাসাইটিক ধারণা মাথায় নিয়ে হত্যা করেছিলো প্রায় তিন হাজার জন সাধারণ মানুষকে। ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর অধ্যাপক ব্রুস লিংকন, তার বই “হলি টেররস: থিংকিং এবাউট রিলিজিয়ন আফটার সেপ্টেম্বর ইলেভেন” বইয়ে বিষয়টির উপর আলোকপাত করে বলেন, “ধর্মই, মুহাম্মদ আত্তা সহ আঠারজনকে প্ররোচিত করেছিল এই বলে যে, সংগঠিত বিশাল হত্যাযজ্ঞ শুধুমাত্র তাদের কর্তব্য নয়, বরং স্বর্গ থেকে আগত পবিত্র দায়িত্ব”। হিন্দু মৌলবাবাদীরাও একসময় ভারতে রাম-জন্মভূমি অতিকথনের ভাইরাস বুকে লালন করে ধ্বংস করেছে শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ। বিগত শতকের আশির দশকে মাইকেল ব্রে নামের কুখ্যাত এক খ্রিস্টান সন্ত্রাসী ওয়াশিংটন ডিসি, মেরিল্যান্ড এবং ভার্জিনিয়ার গর্ভপাত ক্লিনিকগুলোতে উপর বোমা হামলার পর বাইবেলের বানীকে রক্ষাকবচ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন আদালতে। এধরণের অসংখ্য দৃষ্টান্ত ইতিহাস থেকে হাজির করা যাবে, ভাইরাস আক্রান্ত মনন কিভাবে কারণ হয়েছিল সভ্যতা ধ্বংসের। ইতিহাসের পরতে পরতে অজস্র উদাহরণ লুকিয়ে আছে – কিভাবে বিশ্বাসের ভাইরাসগুলো আণবিক বোমার মতই মরণাস্ত্র হিসেবে কাজ করে লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণহানির কারণ হয়েছে। ধর্মযুদ্ধগুলোই তো এর বাস্তব প্রমাণ।
চিত্র: বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, নেমাটোমর্ফ হেয়ারওয়ার্ম নামে এক প্যারাসাইটের সংক্রমণে ঘাস ফড়িং পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে (বামে), ঠিক একইভাবে বিশ্বাসের ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত আল-কায়দার ১৯ জন সন্ত্রাসী যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো টুইন টাওয়ারের উপর ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর (ডানে)। বিশ্বাসের ভাইরাসের বাস্তব উদাহরণ।
চিত্র: হিন্দু মৌলবাবাদীরা একসময় ভারতে রাম-জন্মভূমি মিথ ভাইরাস বুকে লালন করে ধ্বংস করেছে শতাব্দী প্রাচীন বাবরি মসজিদ।
রাজীবকে হত্যার বিবরণ পড়লে হতবাক হতে হয়, কিভাবে তাদের মস্তিষ্ক ‘ব্রেন ওয়াশড’ হয়েছে প্যারাসাইটিক জিহাদী ধারণা দিয়ে। তারা রাজীবকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে ‘ইনটেল গ্রুপ’ গঠন করেছিল। এই দলের কাজ ছিল ব্লগ ও ফেসবুক থেকে তাঁর সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করা ও তাঁর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। আর রাজীবকে হত্যার জন্য তারা তৈরি করেছিল ‘এক্সিকিউশন গ্রুপ’ । প্রায় এক মাস তাঁরা রাজীবকে অনুসরণ করেছেন। দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইনটেল গ্রুপের সদস্যরা গত ৯ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে যায় এবং ব্লগার রাজীবকে খোঁজা শুরু করে। এর এক থেকে দুই দিনের মধ্যে রাজীবের বন্ধুদের চিহ্নিত করার মাধ্যমে তারা রাজীবকে চিনতে পারে। এরপর এই দলের সদস্য এহসান রেজা রুম্মন শাহবাগ থেকে সাইকেলে করে রাজীবকে অনুসরণ করে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর পর্যন্ত গিয়ে বাসা চিহ্নিত করে আসে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দলের সদস্যরা সাইকেল ও বাসে চড়ে বিকেল চারটার দিকে পলাশনগরে রাজীবদের বাসার গলিতে অবস্থান নেয় । সন্ধ্যার দিকে রাজীব বাসার গেটের কাছাকাছি পৌঁছার পর এক্সিকিউশন গ্রুপের সদস্য মো. ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, মো. মাকসুদুল হাসান অনিক চাপাতি ও ছোরা দিয়ে হত্যাকাণ্ডে অংশ নয় এবং রাজীবকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রাজীবের এই ঘটনা নতুন করে আমাদের কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন করে দিয়েছে। পরিষ্কার করে দিয়েছে এই জিহাদী ভাইরাসের প্রকটতা। আমরা কি জানিনা কোন্ সে ভাইরাস যা জলাতঙ্ক রোগীর মতো মস্তিষ্ককে অধিকার করে ফেলছে? আমরা কি জানি না এই উগ্র জিহাদী ভাইরাস কিভাবে ছড়াচ্ছে? এখনো বহু অসুস্থ ভাইরাসাক্রান্ত মনন এভাবে শাহবাগে ওৎ পেতে আছে। সব দেখেও কি আমরা হাত পা গুটিয়ে বসে থাকব? এ ভাইরাস প্রতিরোধ না করতে পারলে এ ‘সভ্যতার ক্যান্সারে’ রূপ নিয়ে আমাদের সমস্ত অর্জনকে ধ্বংস করবে বলাই বাহুল্য। অর্থাৎ, এ ভাইরাসকে না থামিয়ে বাড়তে দিলে একসময় সারা দেহটাকেই সে অধিকার করে ফেলবে। এ প্রবন্ধের প্রথম দিকে দেয়া ল্যাংসেট ফ্লুক প্যারাসাইট আক্রান্ত পিঁপড়ের উদাহরণের মত মানবজাতিও একসময় করে তুলবে নিজেদের আত্মঘাতী, মড়ক লেগে যাবে পুরো সমাজে। তাই কি আমরা চাই?
না, কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষই তা চাইতে পারেন না। তাহলে এই সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি? এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচবার জন্য গড়ে তোলা দরকার ‘এন্টিবডি’, সহজ কথায় তৈরি করা দরকার ভাইরাস প্রতিষেধকের। আর এই সাংস্কৃতিক ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে আমার–আপনার মত বিবেকসম্পন্ন প্রগতিশীল মানুষেরাই। দরকার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার, দরকার খোলস ছেড়ে বেরুনোর মত সৎ সাহসের, দরকার আমার-আপনার সকলের সামগ্রিক সদিচ্ছার। আপনার আমার এবং সকলের আলোকিত প্রচেষ্টাতেই হয়ত আমারা একদিন সক্ষম হব সমস্ত বিশ্বাস-নির্ভর ‘প্যারাসাইটিক’ ধ্যান ধারণাগুলোকে তাড়াতে, এগিয়ে যেতে সক্ষম হব বিশ্বাসের ভাইরাস-মুক্ত নীরোগ সমাজের অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে। আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কেও দেখতে হবে তাদের এই সুপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন ‘জঙ্গিবাদের উৎস’ হিসেবে জনমানসে প্রতিষ্ঠিত হয়ে না যায়। এ জন্য দরকার বিশ্ববিদ্যালয়টির কাঠামো আমূল পরিবর্তনের। ছাত্ররা যাতে উগ্র সংগঠনের সাথে জড়িত হতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু ছাত্র নয়, হিযু-জামাতি এবং অন্যান্য উগ্রপন্থী শিক্ষকেরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা তরুণ মননকে জঙ্গিবাদের দিকে উস্কে দিচ্ছেন, তাদের সনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া জরুরী। পত্রিকা থেকে জানা গেছে এই কামেল ছাত্রদের তালিকায় কেবল রাজীবই ছিলেন না, ছিলেন আরো আটজন ‘নাফরমান’ ব্লগার। বোঝাই যাচ্ছে, অপরাধীদের সঠিক সময় না ধরতে পারলে ভাইরাস আক্রান্ত এ মননগুলো আরো প্রাণহানির ক্ষেত্র তৈরি করতে পারতো। তাদের তালিকাভুক্ত ব্লগারদের এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করার প্রয়াস নেয়া বাঞ্ছনীয়।
” আজ যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে তিন বছর আগে অভিজিৎ রায়ের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যায়, তখন জোর গলায় বলতেই পারি অভিজিৎ রায়’রা ভুল ছিল না। শেখ হাসিনা’র জঙ্গিদের সমতুল্য ধর্মীয় অনুভুতি ভুল ছিল। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র প্রধানের ধর্মীয় অনুভুতি থাকতে নেই।”
A devastating fire is burning in side…….Avijit had a hindsight that could save the foreigners on July 1, If Hasina listened!!
অবশেষে সরকার ও ১৪ দলের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলতে বাধ্য হলেন অভিজাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়-এ খুনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। অথচ, একই প্রশ্ন ডঃ অভিজিৎ রায় তার ব্লগ মুক্তমনায় উপস্থাপন করেছিলেন ২০১৩ সালের ৫ই মার্চ চমৎকার বিশ্লেষনের মাধ্যমে। আমাদের সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলো কর্ণপাত করেনি। এইসব প্রশ্ন উত্থাপনের কারণেই অভিজিৎ রায়কে বইমেলায় সরকারী নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে নির্মমভাবে হত্যা করা হল। সরকার একবারও খতিয়ে দেখার চিন্তা করল না, এমন এক বুদ্ধিজীবিকে ঠিক কি কারণে হত্যা করা হয়েছে।
বিগত তিন বছর ধরে ব্লগার, লেখক, অনলাইন এক্টিভিস্টরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গিবাদের চাষাবাদ করা হচ্ছে বলে সরকারকে সতর্ক করে আসছিল। এই কারণে জঙ্গিরা একের পর এক এক্টিভিস্টকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সরকার প্রকৃত কারণ না খতিয়ে জঙ্গিদের তৈরি করা এবং বানানো স্ক্রিনশট দেখে, ধর্ম অবমানার অজুহাত দেখিয়ে, শেখ হাসিনার ধর্মানুভুতির সাথে জঙ্গিদের ধর্মানুভুতিকে এক পাল্লায় পারিমাপ করে সকল হত্যাকাণ্ডকে নীরব সমর্থন জানানো হয়েছে।
আজ যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে তিন বছর আগে অভিজিৎ রায়ের নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখা বক্তব্যের সাথে মিল পাওয়া যায়, তখন জোর গলায় বলতেই পারি অভিজিৎ রায়’রা ভুল ছিল না। শেখ হাসিনা’র জঙ্গিদের সমতুল্য ধর্মীয় অনুভুতি ভুল ছিল। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র প্রধানের ধর্মীয় অনুভুতি থাকতে নেই।
আমার যা মনে হয় তাহল,ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা খারাপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-এর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য হচ্ছে মানুষের মানসিকতার মধ্যে। একজন মানুষের ইতিবাচক মানসিকতা তাকে সব বিষয়-বস্তু ভাল চোখে দেখতে সাহায্য করে।আর একজন মানুষের নেতিবাচক মানসিকতা তাকে সব বিষয়-বস্তু খারাপ চোখে দেখায়। যেমন, একজন মেয়ে যদি হাফ প্যান্ট পরে তাহলে যে মানুষের ইতিবাচক মানসিকতা সম্পন্ন সে কখনো সেই মেয়েকে খারাপ চোখে দেখবে না আর কিছু বলবেও না।তার মানে ইতিবাচক মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের এতে কিছু আসে যায় না ।আর যে নেতিবাচক মানসিকতা সম্পন্ন সে মেয়েটিকে বলবে “লজ্জাবিহীন নারী”।
সব বিষয় তো একটা সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা প্রয়োজন; ধর্ম একটা ভাইরাস এটা কিভাবে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। একটা বইয়ের মাধ্যেমে, এমন বই তো যে কেউ লিখে প্রমাণ করে দিতে পারে অইশ্বর বাদীরা জীবনের সকল চাহিদা উপভোগের জন্য নাস্তিকতার পথ ধরেছে।
আপনি রিপোর্টে নাফিসের কথা বলেছেন; নাফিস নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়তো এবং সে সেখান থেকে এক্সপেল হইছে। সে যদি এত পুতু পুতু জঙ্গীবাদী হবে আপনার কথামত জঙ্গীবাদী ট্রাস্টিরা তাকে এক্সপেল করল কেন জানার ইচ্ছা রইল।
আপনার আর্টিকেলটি পড়লে প্যারাসাইটে আক্রান্ত ঘাস ফড়িং এর কথা মনে পড়ে।
প্রতি মুনিয়া মুশতারি
ঐ থ্রেডে মন্তব্য করার সুযোগ না থাকায় এখানেই করলাম।
হা হা হা , দারুন মন্তব্য করেছেন। ইডিয়টগুলো যে কবে এসব বুঝবে !
আমি জানিনা সাইফুল ইসলাম বলে এই লোকের কোন মানসিক সমস্যা আছে কিনা। কথা নেই বার্তা নেই মানুষের ওপর হামলে পড়ে। হামলে পড়েই ভাবে বিশাল যুদ্ধ জয় করে ফেলেছে। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন – পাগল ও উন্মাদরা নাকি এ ধরনের কল্পনায় আচ্ছন্ন থাকে। সত্যি কি না জানি না।
@বিদ্রোহী,
একেবারে সহমত। আমি উনাকে গালিগালাজ না করার আহবানও জানালাম। কিন্তু চোরায় না শুনে ধর্মের কাহিনী। যাক, বাদ দেন। বেশি পাত্তা দিয়েন না।
@মুনিয়া
ঐ থ্রেডে উত্তরের অপশন না আসায় আপনার রস ভাং-এ পরিপূর্ন মাতাল করা মন্তব্যের জবাব এখানেই দিতে হচ্ছে।
কী করি বলুন? জ্যাক ড্যানিয়েলসের পরে যদি চুয়ানির গন্ধ পেতে হয় তাহলে বমনক্রিয়া আসাটাই কি স্বাভাবিক না? তবে আপনি রস ভাং খেয়ে/বানিয়েও নিজেরা যে মাতলামি করছেন সেটা বুঝতে পারছেন এটা আমাকে খুবই নাড়া দিলো আপু। সত্যি বলছি। আপনার/আপনাদের ধুসর কোষগুলো যে একেবারে যায় নি এটাই আমাকে প্রশান্তি দিলো।
কিন্তু আপু, সমস্যাটা হল আপনি রস আর মুত্রের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছেন না। যেটা খুবই বেদনাদায়ক। চক্ষু এবং নাসিকা দুটোর দূর্বলতাই এর জন্য দায়ী বলে মনে হচ্ছে। ঠিকভাবে পুষ্টিগ্রহন করলে যেটা হত না। 🙂
আর আমার পেটপাছা চুলকে দেয়ার মহান দায়িত্ব আপনি স্বপ্রনোদিত হয়ে নিয়েছেন, আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। তবে সেটা আমার দরকার হবে না। যারটা অবিরাম ধারায় আপনি চুলকে যাচ্ছিলেন তারটাই চালিয়ে যান। একটা কথা মনে করিয়ে দিই। যেকোন কাজে সাফল্যের মূল কথা হল ডেডিকেশন। সুতরাং ডেডিকেটেড ভাবে চুলকে যান, আপনি একদিন অবশ্যই কামিয়াব হবেন, ইনশাল্লাহ!
ভালো প্রশ্ন আপু। এখানে আপনার বুঝতে হবে পুষ্টিহীনতা সাধারনত বাল্যকাল থেকেই আস্তে আস্তে আঘাত হানতে থাকে। যারা বাল্যকালে পরিমাণমত পুষ্টিগ্রহন করেছে তারা পরিষ্কারভাবে রস এবং মূত্রের মধ্যে পার্থক্য ধরতে পারে যেটা বেদনাদায়কভাবে আপনার মধ্যে অনুপস্থিত দেখা যাচ্ছে।
আর অবশ্যই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। কোন চুদুরবুদুর নাই এখানে। দুধ খান, এগিয়ে যান। সাথে মলা ঢেলা মাছও বাদ দিয়েন না যেন। চক্ষুর অবস্থা সুবিধার মনে হল না কিন্তু!
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
[ বিঃদ্রঃ আপনার সাথে কথা বলে যেহেতু দুনিয়ার এনট্রপি বাড়ানো ছাড়া আর তেমন কোন লাভ হচ্ছে না আপনার অন্য কোন মন্তব্যের আর কোন জবাব দেয়া হবে না। 🙂 ]
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যদি বাংলাদেশ আফগানিস্তানের মত দেশ কোন দিন হয় তাহলে এই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র – ফয়সাল বিন নাইম, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসানুর রেজা রোমান, নাঈম সিকদার ও নাফিস ইমতিয়াজ- এরা বীর গাজি হিসাবে সম্মানিত হবে যদি বিচারে এদের ফাঁসি না হয়। ফাঁসি হলে হবে মহান শহিদ।
আবার বাংলাদেশ কোনদিন চুড়ান্ত রকম ধর্ম নিরপেক্ষ উদার দেশ হলে রাজিব হবে বীর শহিদ। কিন্তু আসলেই কি শহিদ হবে কারন একজন নাস্তিক তো মনে করে না কেউ শহীদ বা গাজী হতে পারে, এগুলো তে ধর্মীয় টার্ম। তাহলে কি হতে পারে ? এ ব্যপারে কারও কোন আইডিয়া আছে ?
@বিদ্রোহী,
কোন ধর্মের টার্ম? হিন্দু মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সাথেও তো শহীদ লাগানো হয়।
@আকাশ মালিক,
হে হে :)) । কতিপয় মুছলিম ও তাহাদের সমমনা আরও কিছু মুছলিম হিন্দু মুক্তিযোদ্ধাগনের নামের আগে শহীদ খেতাব মুছিয়া ফেলার ১০১ টি কারন ও উপায় বর্ণনা করিয়া থাকেন। আরও কতিপয় মুছলিম আছেন যাহারা মুখ ফুটিয়া মুছার কথা বলেন না কিন্তু তাহাদের ভাবসাব দেখিলে বুঝা যায় যে এই মুছামুছিতে তাহাদের সমর্থন আছে।
@বিদ্রোহী,
আচ্ছা , সকল বীর কি ধর্মের সম্পত্তি নাকি? সব মুসলমান তো সাহসী না। তেমনি সব নাস্তিকও সাহসী না। তো দেখা যাচ্ছে যে, ধর্ম মানলেই বা না মানলেই কেউ সাহসী হয় না। সাহসিকতা সম্পূর্ণই ব্যক্তিবিশেষের মানসিক সক্ষমতার উপর নির্ভর করে। একজন মানুষকে তার সৎ সাহসিকতার জন্য খেতাব দেয়া যেতেই পারে। এখানে ধর্ম আসে কিভাবে?
শহীদ এই শব্দটা আরবি ভাষা থেকে এসেছে দেখে এটা শুধু মুসলমানদের জন্য প্রযোজ্য হবে এমন কথা যারা বলে তাদেরকে বলবেন যে, এজন্য তারা যেন মুসলমান মুঘল শাসকসহ আরবদেশ থেকে আগত আরবি ও ফারসিভাষী পীর আউলিয়াদের দায়ী করেন। কারন , তারা আরব দেশ থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছিলেন আর বাংলাদেশে আরবির আমদানি করেছিলেন। আরবি ফারসি না আনলে আমাদের বাংলা ভাষায় এসব শব্দ ঠাই পেত না আর এখন মালাউন-ইয়াহুদি-নাসারা এর নামের আগে শহীদ শব্দ বসে দেখে মুসলমানদেরকে এতো শোকের বিলাপও করতে হতো না।
@মুনিয়া মুশতারি,
শহীদ শব্দটার আরবি/ ইসলামিক মানে যাই হোক না কেন আমাদের বাংলা ভাষায় এই শব্দটা গৃহীত হয়েছে শুধু একটা অর্থ বুঝাতেই। সেটা হল, দেশের স্বার্থে / জাতির স্বার্থে যে ব্যক্তি মৃত্যু বরন করে। এখন, দেশের জন্য যদি হিন্দু প্রান দেয়, নাস্তিক প্রান দেয় তাইলে তারা কেন শহীদ হবে না? রাজিব ভাই দেশের পক্ষের একটা আন্দোলনে জড়িত ছিল এবং তাকে তার দেশপ্রমের জন্যই জীবন দিতে হয়েছে বলেই তাকে বাংলা ভাষায় শহীদের প্রচলিত অর্থে শহীদ বলা হয়েছে। এখানে কেমন করে ইসলামিক টার্ম আসলো বুঝলাম না। 😕
@মুনিয়া মুশতারি,
ইসলামি পরিভাষায় শহিদ আসলে কারা জানেন ? দেখুন হাদিস কি বলে এ ব্যপারে-
Abu Hurairah (ra) narrated that Allah’s Apostle (SAW) said: “While a man was going on a way, he saw a thorny branch and removed it from the way and Allah became pleased by his action and forgave him for that.” Then the Prophet (sal-allahu-alleihi-wasallam) said, “Five are martyrs:
1. One who dies of plague,
2. One who dies of an abdominal disease,
3. One who dies of drowning,
4. One who is buried alive (and) dies
5. And One who is killed in Allah’s cause.”
The Prophet (sal-allahu-alleihi-wasallam) further said, “If the people knew the reward for pronouncing the Adhan and for standing in the first row (in the congregational prayer) and found no other way to get it except by drawing lots they would do so.
And if they knew the reward of offering the Zuhr prayer early (in its stated time), they would race for it.
And they knew the reward for ‘Isha’ and Fajr prayers in congregation, they would attend them even if they were to crawl’.”
Sahih Bukhari, Volume 1, Book 11, Hadith no. 624.
বলা বাহুল্য , এই ৫ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র মুসলমানরাই পড়বে। কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক, ইহুদি, নাসারা, মুশরিক, মুনাফেক পড়বে না। এই ৫ প্রক্রিয়ার মধ্যে কোথাও দেশ বা জাতির জন্য মারা যাওয়ার বিষয় উল্লেখ নাই। উপরোক্ত তালিকার কোনটাতেই তো রাজিবকে রাখা যাচ্ছে না। তাহলে উপায় ? সবচেয়ে বড় কথা সে তো নাস্তিক। তাই তার নাম উক্ত তালিকায় আসার প্রশ্নই ওঠে না।
@বিদ্রোহী,
আমার আগের দুটো কমেন্টই আপনার উদ্দেশ্যে। ভুলবশত দ্বিতীয় কমেন্টে নিজেই নিজেকে অ্যাড্রেস করে ফেলেছি। 😛
“First they came for the Communists, but I was not a Communist, so I said nothing. Then they came for the Social Democrats, but I was not a Social Democrat, so I did nothing. Then came the trade unionists, but I was not a trade unionist. And then they came for the Jews, but I was not a Jew, so I did little. Then when they came for me, there was no one left to stand up for me.”
ওরা আসছে, ওদের হাত থেকে কারো মুক্তি নেই, এমন কি সেই সুশীলদেরও যারা ইসলামের বিরোদ্ধে কোনদিন কিছু বলেন নি। ইসলামি চেতনার উপরে মুক্তিযোদ্ধের চেতনা, ইসলামি সংস্কৃতির উপরে বাঙ্গালি সংস্কৃতি ইসলাম মানবেনা। সেটা তারা প্রকাশ্যে অনেকবারই বলেছে, আর আমরা চুপ থেকেছি। সর্বশেষ ইসলাম রক্ত পান করলো এক নির্দোষ মেধাবী বালকের।
তানভীর তার পরীক্ষার রিজাল্ট দেখে যেতে পারলোনা।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/tauki_zps37197c66.jpg[/img]
@আকাশ মালিক,
আচ্ছা তানভীরের অপরাধ কি? তার বাবা নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের একজন আহবায়ক তাই তো? তো সেটার জন্য তানভীরকে মরতে হয় কেন? আমরা কি কাদের মোল্লার অপরাধের জন্য কাদের মোল্লার ছেলে-মেয়ে, নাতি-পুতিরে ফাঁসি দিসি?
@মুনিয়া মুশতারী,
এত দ্রুত ত্বকির খুনীদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা। তার বাবা নারায়ণগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের একজন আহবায়ক–স্বাভাবিকভাবেই জামাত-শিবিরকে সন্দেহের তালিকায় রাখতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে মৌলবাদীদের বাইরেও অন্য কারো খুন করার মোটিভ থাকতে পারে। দেশে গুপ্তহত্যা চলছে; চলমান অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত বোঝাপড়া সেরে নিতে পারে।
@মনজুর মুরশেদ,
জি আপনার কথায়ও যুক্তি আছে। তানভিরের হত্যাকারীরা ধরা পরলেই বুঝা যাবে যে খুনের পেছনে কাদের হাত ছিল।
@আকাশ মালিক,
নিষ্পাপ শিশুটিকে কেন হত্যা করলেন? (দৈনিক প্রথম আলো)
এজন্যই prejudice নিয়ে শূন্যর উপর কোন মন্তব্য করতে নেই! বিশেষ ভাবে যারা ছদ্মনামে ব্লগিং করে তাদের জন্য এটা আরও গর্হিত ব্যাপার – কেননা এটা নিজের গা বাঁচিয়ে দ্বায়িত্বহীনতার ব্যপার চলে আসে। ত্বকীর হত্যাকারী আসলে কারা এটা এখনো ধোঁয়াশার মধ্য। আসল অপরাধী কারা কিংবা কে এটা বের না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করা উচিত নয়।
আপনার এই মন্তব্য বড় বেশি দৃষ্টিকটু! এবং ত্বকীর বিদেহী আত্মার জন্য অসম্মানজনক। আপনার উচিত সঞ্চালক বরাবর অনুরোধ জানানো তারা যেন আপনার মন্ত্যব্যর এই থ্রেড যেন ডিলিট করে দেয়।
জামাতের অনেক কুকর্ম আছে তবে তারা ছাড়াও আরও অনেকেই কুকর্ম করে। সব কিছুই জামাতের ঘাড়ে চাপাতে গেলে দীর্ঘ মেয়াদে তাদের লাভ বৈ কোন ক্ষতি হবেনা!
@সংবাদিকা,
একমত।
@সংবাদিকা,
ভুল হয়েছে, আমি দুঃখিত। আর এই মর্মে মডারেটর সমীপে অনুরোধ করছি সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি ডিলিট করে দেয়ার জন্যে।
নারী জাগরণ সমাবেশের মধ্যেই শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের কাছে দুটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়েছে।
@ অর্ফিউস,
বেশিরভাগ ব্লগারই যদি ছদ্মনামে লিখে থাকেন তাহলে জঙ্গিরা ব্লগারদের শনাক্ত করছে কিভাবে?
@মুনিয়া মুশতারি,
আসলে বলা উচিত ছিল যে আমি যাদের লেখা পড়েছি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছদ্মনামে লিখে থাকেন অথবা অন্যকিছু?মুক্ত মনাতেই ব্লগার লিস্ট দেখুন না।যারা ইসলাম বিরোধী লেখা লিখেন তাঁরা কয়জন আসল নামে আর কয়জন ছদ্মনামে লিখছেন নিজেই বুঝে যাবেন। তব ইসলাম বিরোধী লেখা না লিখলেই যে মৌলবাদীদের টার্গেট হবেন না সেটা জোর দিয়ে বলা যায় না।ওদের টার্গেটে পরিনত হতে হলে ওদের বিরুদ্ধে কিছু একটা বলাই যথেষ্ট।
@অর্ফিউস,
মুক্তমনায় কয়জন বেনামে বা আসল নামে লেখে সেটা তো জানতে চাইনি। :-O 😮 আমি তো কৌতূহল বশতঃ জিজ্ঞাস করলাম যে, বেনামে লেখার পরেও জামাতিরা আসল লোককে কি বুদ্ধি খাটিয়ে চিনে ফেলতেসে? :-Y :-Y :-Y
@মুনিয়া মুশতারি, সেইটা আমি কিভাবে বলি বলেন? আমি তো আর ওদের ভিতরে গিয়ে দেখে আসিনি নি।আমার নিজেরও একই প্রশ্ন। 🙂 তবে আমি দেখছি যে তারা বেছে বেছে সে সব সাহসী ব্লগার দের ধরছে যারা নিজেদের নাম পরিচয় গোপন করে না।সেক্ষেত্রে তারা যে ধারারই হোক না কেন।এদের কাছে কল্লা দিতে চাইলে মনে হয় না যে বিরাট কোন অপরাধ করা লাগে।
আপনি দেখেন যে আসিফ মহিউদ্দিনের ছবি কিন্তু সবাই দেখেছে আর সবাই চেনে উনাকে।রাজিবের ছবিও দেখেছি আমরা( যদিও আমি রাজিবের ছবি উনার মৃত্যুর আগে দেখিনি এবং উনার নাম শুনিনি)। কাজেই যারা সক্রিয় তাদেরই মৌলবাদী রা ধরছে।
তাদেরকে স্যালুট দেবার পাশাপাশি নিজের সমপর্কে একটা তিক্ত সত্য বলতে চাই আর তা হল নিজের পরিচয় প্রকাশ করে সরাসরি ইসলামের বিরোধিতা করার মত সাহস আমি অর্জন করতে পারি নি, আর এটাই তিক্ত বাস্তবতা।
@অর্ফিউস,
কথা সত্য। :-X
ব্রেকিং নিউজ – আজকে আরেকজন ব্লগারকে ছুরিকাহত করা হয়েছে!
বিস্তারিত এখানে।
@অভিজিৎদা, খুবই খারাপ খবর সন্দেহ নেই।কিন্তু বেছে বেছে ব্লগারদেরকেই টার্গেট করে এদের লাভটা কি যেখানে বেশিরভাগ ব্লগারই ছদ্মনামে লিখে থাকেন, নিজেদের পরিচয় না জানিয়ে?সত্যি এই অমানুষদের দৈন্যতা খুব চোখে লাগার মত।যাহোক কোন সমালচনাই মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারে না, কাজেই শুনে ভাল লাগছে যে ভদ্রলোক বেঁচে আছেন।
@অর্ফিউস,
সিদ্ধান্ত নেবার মত পর্যায়ে আসার আগে আরেকটু অপেক্ষা করা দরকার……এই রকম একটা ঘটনাতেও কোন রকমে ছিনতাই বা ব্যাক্তিগত কোন কারনে ঘটেছে এমন বোঝা গেলে কিন্তু সেটাকে কেন্দ্র করে নুতন পর্যায়ে ম্যাতকার শুরু হবে; কিভাবে বিশেষ এক সম্প্রদায়ের লোক এবং বিশ্বাসকে হেয় করার জন্য নাস্তিকের দল অপেক্ষা করে থাকে…।।
@আদিল মাহমুদ, হুম আদিল ভাই, কথাটা মন্দ বলেন নি। আপনার এই অসাধারণ দূরদৃষ্টি কে আমি একাধারে অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, আর মাঝে মাঝে একটু ইর্ষাও (ঠাট্টা করলাম আর কি) :)) ।কিন্তু ব্যপার যেখানে দাঁড়ি নিয়ে তাই আমার মনে হয়েছিল যে এটাও ওদের কাজ হলেও হতে পারে!যাক ভুলটা ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্য বাদ।
ভাল কথা ভাই , সেদিনের পর থেকে সচলায়তনের ওই লিঙ্কটা ( গো আযমের পুর্ব পাকিস্তানে ফেরার চক্রান্ত) ওপেন হচ্ছে না। এটা ওদের নিজের সমস্যা নাকি, আবার সরকার কিছু করল কে জানে?আপনি কি সহজেই ওপেন করতে পারছেন সচলায়তন?
ভাল লাগলো এখানে মুনিয়া মুশতারি, ফারহানা আহমেদ আর বিদ্রোহীর মন্তব্যগুলো পড়ে। কথা যখন বলবেন, বুলস আই টার্গেট করেই বলবেন। নো ত্যানা পাচানি, নো দ্বিধা, নো চুদুর বুদুর। যখন বলা হয়- ‘পাঠিয়েছো বাঙ্গালি করে মানুষ করোনি’ তখন যারা এই বাক্যটির অর্থ করে যে, এই বাক্য দ্বারা সকল বাঙ্গালিকে অমানুষ বলা হয়েছে, কিংবা যখন বলা হয়- ‘হিন্দু পাড়ায় মুসলমান সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়েছে’ এই বাক্যটির অর্থ করে যে, সকল মুসলমানকেই সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, এরা জ্ঞান পাপী। এরা সজ্ঞানেই এই কাজটি করে, বক্তাকে বাঙ্গালি বিদ্বেষী, মুসলিম বিদ্বেষী প্রমাণের লক্ষ্যে। তারা রিলিজিয়াস কনভিকশন থেকে নিরপরাধ মানুষ খুন করা আর নিজের স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সিদ্ধহস্ত। আমেরিকায় নাফিসের বোমা মারার চেষ্টা, তালেবানদের মালালাকে হত্যার চেষ্টা, শিবিরদের নাস্তিক রাজিবকে হত্যা, হুমায়ুন আযাদকে হত্যা এ সবের সাথে ইহজাগতিক বা পার্থিব কোন স্বার্থের সম্পর্ক নেই। সহাস্যে স্বতস্ফুর্ত ভাবে, ঠান্ডা মাথায়, প্রফুল্লচিত্তে, সানন্দে এরা মানুষ খুন করে শুধুমাত্র রিলিজিয়াস কনভিকশন থেকে আল্লাহকে খুশী করতে, পরজগতে পুরুষ্কৃত হওয়ার লোভে। লোভটা ধর্ম নির্দেশিত, ধর্মগ্রন্থ থেকে পাওয়া। নাস্তিক বিরোধী ডাক দিয়েছিল জামাতে ইসলাম। কই, জামাত বিরোধী কোন ইসলামই তো ঘরে বসে থাকতে পারলোনা। সবাই রাজপথে বেরিয়ে এসে হুংকার শুরু করে দিল।
তামিলদের আত্মঘাতি বোমা বা গাজাকে ইসরাইলের আগ্রাসন মুক্ত করতে আত্মঘাতি বোমা ব্যবহার করা আর বাংলাদেশে মুফতি হান্নান, শায়েখ আব্দুর রহমান ও জামাতিদের আত্মঘাতি বোমা যে সমান নয় তা এরা জেনেও না জানার ভান করে। ইসলামি সন্ত্রাসের জন্যে যখনই কোন মুসলমানের নাম আসবে এরা এক লাফে আন্তর্জাতিক মানের ভদ্র-সুশীল সেজে পশ্চিমের গনতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষতার উপমা তুলে ধরবে আর হৈন্য হয়ে তথ্য-ষঢ়যন্ত্র খুঁজবে। নাফিস মাসুম! আহ হারে মা-সুম, নিষ্পাপ, কোমল বদন, লাজুক নয়ন, মন কাড়া চেহারা, মায়াবী চোখ কোনদিন পাপ করে নাই, কোনদিন হস্ত মৈথুন করে নাই। আমেরিকা এমন ছাবালটার মগজ ধোলাই করলো। এদের কাছে জাতীয় পতাকা পুড়ানো বাকস্বাধীনতা, খুনীর ফাঁসি শাস্তি অমানবিকতা, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের চেয়ে নাস্তিক রাজিবের বিচার আগে জরুরী। তিরিশ লক্ষ মানুষ খুন, দুই লক্ষ নারী ধর্ষণ বড় অপরাধ নয়, বড় অপরাধ মুহাম্মদের সমালোচনা করা। রাতদিন নির্ঘুম রাজিবের লেখা খুঁজে, রাজিবের খুনীর কথা কিছু লিখেনা। এরা কোনদিনই সাতক্ষীরার কান্না, রামুর আর্তনাদ শুনতে পায়না, এক সাথে পাঁচ শো টি বোমার আওয়াজ তাদের কর্ণগোচর হয়না কারণ এ সবের পেছনে মুসলমান নাম জড়িত। এরা জন্ম বধীর। ভারতের মুসলমান, ফিলিস্তিনি মুসলমান, বসনিয়ার মুসলমান, বার্মার মুসলমানদের জন্যে তাদের প্রাণ সর্বদা ব্যাকুল কারণ সেখানে অত্যাচারী অমুসলিম আর বিয়াল্লিশ বছর অতীত হয়ে গেল নিজ দেশের মানুষের কথা তাদের কলমে একবারও ফোটে উঠেনা কারণ এখানে সন্ত্রাসী মুসলমান।
আরেকদল আছে কোরান দিয়ে কোরান রক্ষা করতে চায়। সন্ত্রাসীদের বালটাও এদের ওয়াজ শুনেনা। কেনই বা শুনবে, তোরা কি বালের তাফসির জানিস কোথায় শিখলি কোরানের ভাষা? লাকুম দি নিকুম ওয়ালিয়াদিন এর অর্থ তুমি কাকে শেখাও? মাথায় কাপড় নাই ঘোমটা নাই কপালে লাল টিপ, টেলিভিশনের সামনে বসে ওয়াজ করো কোরানের আয়াত শুনাও। মূর্খ কোথাকার। রাস্তায় কারা মিছিল দিচ্ছে নারায়ে তাকবির বলে গর্জন করছে দেখোনা? কোরান তুমি বেশী বুঝ না তারা বুঝে? মুয়াবিয়া আর আলীর যুদ্ধে দু-দলের কাছেই তো ছিল কোরান। কোরান দিয়েই তো মুয়াবিয়া আলীর সৈন্যদের হত্যা করা জায়েজ করেছিলেন, কোরান দিয়েই তো আলী মুয়াবিয়ার চৌদ্দ গুষ্টিকে গালাগালি করেছিলেন, কোরান দেখিয়েই তো কায়েদে আজম পাকিস্তানকে ভারত থেকে আলাদা করেছিলেন। টেলিভিশনে, টক শোতে, সংসদে, সেমিনারে ভাষণে বক্তৃতায় এদের ওয়াজ শুনলে বমি আসে। এরা চোখ মেলে ঘুমায়। সংসদে দাঁড়িয়ে প্রথমেই বলে বিসমিল্লাহ। এর পর ‘আমি মুসলমান, আমার নবীর নাম মুহাম্মদ সল্লাহু আলাইহি অয়া সাল্লাম, আমার নবীর অপমান আমি কোনসময়ই বরদাশ্ত করবোনা’। তোমার মুহাম্মদ আর ইসলাম সংসদের বাইরে রেখে আসতে পারোনা? তোমার এই বালছাল শুনার জন্যে আমরা ভোট দিয়ে তোমাকে সংসদে পাঠাই নাই। কই তোমার নপুংসক ছাত্র লীগ, যারা দিন দুপুরে হাজার মানুষের সামনে বীরদর্পে মানুষ খুন করে? পারলোনা সাতক্ষিরার একটা পরিবারের ঘর রক্ষা করতে? পারলোনা একটা ইসলামী সন্ত্রাসীর এক গোছা চুলও ছিড়তে? এখানে দেখি সকল শিয়ালের এক রা। ওরা হিন্দু আমরা মুসলমান? যতসব ভন্ডের দল। বগলে সন্ত্রাসের দলিল কোরান আর পকেটে মকসুদুল মুমেনিন, রাষ্ট্র চালাইবেন আপনারা? সংবিধানে বিসমিল্লাহ লাগাইয়া কার কী বুল শিট হইলো? কথায় কথায় তো বিসমিল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রের উন্নতি হইছে, মিথ্যাচার চুরি বদমায়েশী কমছে না বরকত বাড়ছে?
চুদুর বুদুর বহুত হইছে, বহুত শুনছি, বাঙ্গালরে ইউনিভার্সিটি দেখাইওনা। সরাও বিসমিল্লাহ, উঠাও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। লাথি মেরে বের করে দাও ইসলামকে পবিত্র সংসদ থেকে। ইসলামের পাহারাদারি বাদ দেন, দেশ ও দেশের মানুষের পাহারাদার হোন। এক দিকে ধর্মনিরপেক্ষতা অন্য দিকে বিসমিল্লাহ আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এই ভন্ডামী আর কত? একদল বলে আমাদের দেশে তো ইসলামী সন্ত্রাস আগে কোনদিন দেখিনি। আরে ভোদাই, আগে কোরান বাংলায় আছিলনি? আমাদের দেশের মানুষ কোরান বুঝতোনি? ইংরেজি তরজমা, ইন্টারনেট, উই টিউব এ সব ছিল? আরব দেশের মানুষ কোরান বুঝতো, তারা সন্ত্রাস করেছে হাজার বছর, আবু বকর থেকে মুয়াবিয়া বদর থেকে কারবালা পর্যন্ত। ইসলামে সন্ত্রাস নাই, ইসলাম অসাম্প্রদায়িক শান্তির ধর্ম, তো নব্বই পার্সেন্ট মুসলমান থাকতে হিন্দুর ঘর পুড়ে কী ভাবে? একজন মানুষকে নব্বইজন মিলেও ফেরাতে পারোনা? কী চমৎকার দেখা গেল, সাধু সাধু সাধু!
@আকাশ মালিক,
কয়দিন দেখি আপনার সাড়া শব্দ নাই, ভাবতেছিলাম আপনেও আবার “নাস্তিক শহীদ”দের দলে যোগ হয়ে গেলেন নাকি???
@আদিল মাহমুদ,
শহীদ শব্দ ওদের বাবার সম্পত্তি হয়ে গেছে। রাজিবকে নিয়ে, রাজিবের সবগুলো লেখা তন্ন তন্ন করে খুঁজে বের করে সিরিজ লিখে। বিনা উস্কানিতে অকারণে অপ্রাসঙ্গীকভাবে কথায় কথায় মুক্তমনাকে টেনে আনে, মুক্তমনাদের গালাগালি করে। ইসলামী সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে কোনদিন কিছু লিখে? আমি নব্বই পার্সেন্ট মুসলমানের ভাল মুসলমানদের জিজ্ঞেস করতে চাই, দেশে কত পার্সেন্ট মুসলমান সন্ত্রাসী? ফাইভ পার্সেন্ট? গরীব, নিরীহ, নির্দোষ অমুসলিমদের বাড়ি ঘর পুড়ায় কত পার্সেন্ট মুসলমান? বাকি এইটি ফাইভ পার্সেন্ট কী করে? ৮৫ পার্সেন্ট ভাল মুসলমান ৫ পার্সেন্ট খারাপ মুসলমানকে তো জল বিনেই গিলে ফেলতে পারে। আজ অনেক দেরীতে সুশীলরা স্বীকার করে জামাত সাংঘাতিক শক্তিশালী, ওদের সাথে পারা যাবেনা। বড় আদরে সোহাগে এই ঘৃণ্য মুশিক ছানাদের দীর্ঘ চল্লিশ বছরে সিংহের আসনে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। দেখেন বি এন পির অবস্থা। জয় বাংলার ভয়ে শাহবাগ গেলোনা, এখন ৭ মার্চের ভয়ে হরতাল ডেকেছে ঐ দিনই। তবে সব কথার শেষ কথা আমি আশাবাদী হতে পারিনা। জামাত নিষিদ্ধ করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বিজয়। এই তান্ডব এই প্রলয় এই ধ্বংস এই ত্যাগ কোন কিছুই আমাদের মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধি চর্চা, কথা প্রকাশের স্বাধীনতা বা সাংস্কৃকিত মুক্তি আনবেনা। এর জন্যে আরেকটা বিপ্লব, আরেকটা গনজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজন হবে।
@আকাশ মালিক,
– এসব চিন্তা এখনো আঁতলামি হিশেবে পরিগনিত হবে। ফাঁসী না হয় দেওয়া হল, জামাতও নিষিদ্ধ হল……এরপর? যে বিভাজন দেশের দুই ধারার লোকের মাঝে দেখা গেল এই ধরনের বড় মৌলিক বিভেদ নিয়ে কোন অগ্রগতি সম্ভব নয়, ভিন্নমত আর মূল্যবোধের মৌলিক পার্থক্য এক নয়। সামনে আরো খারাপ দিন আসবে। দেশ নিয়ে আমি এখন আগের চেয়েও হতাশ।
@আকাশ মালিক,
আপনি তো ভাই একাই খেলা শেষ করে দিলেন। সোজা বোল্ড আউট।
এই আলোচনাতেই দেখা গেল বহু কসরত করে বলার চেষ্টা হচ্ছে – নাফিসকে এখনই মৌলবাদী উন্মাদ বলা যাবে না কারন বিষয়টি আমেরিকায় ঘটেছে, ওটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র হতে পারে। অথচ খোদ সেই বাচ্চা ছেলে যে চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা অকল্পনীয়। আবার বলা হচ্ছে এন এস ইউ- তে ৫ জন কে একই অপরাধে ধরা হয়েছে , তাকে কায়দা করে বলার চেষ্টা হচ্ছে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এমনও বলতে শুনেছি সরকার নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যে জামাত আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তার মোড় ঘুরাতে নাকি উক্ত ৫ জন নিষ্পাপ ছাত্রদেরকে ধরা হয়েছে। হয়ত খুব তাড়াতাড়ি এর মধ্যে আমেরিকার ষড়যন্ত্র আবিস্কার হতে পারে। সবচেয়ে আজব ঘটনা হলো – কয়দিন আগে পাকিস্তানী একটা শিয়া মসজিদে সুন্নীরা আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৪৫ জন শিয়াকে হত্যা করেছে, সেখানকার উঠতি রাজনীতিবিদ ইমরান খান বলেছে এটা হলো বিদেশীদের ষড়যন্ত্র। অথচ সুন্নিরা শিয়াদেরকে মুনাফিক বলে গণ্য করে থাকে আর মুনাফিকদের জন্য কি শাস্তি নির্ধারিত তা কোরানে খুবই পরিস্কার করে বলা আছে। যেমন-
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। সূরা নিসা -৪:৮৯
এখানে যাদেরকে কাফির বলছে তারা আসলে মুনাফিক , এরা মদিনায় এসে নবীর কাছে বলত তারা ইসলাম গ্রহন করেছে, মক্কাতে ফিরে গিয়ে বলত তারা ইসলাম ত্যাগ করেছে, এদেরকে বলা হয় মুনাফিক।
হয়ত খুব তাড়াতাড়ি হিন্দুদের বাড়ী ঘরে জামাত শিবির যে আগুন লাগিয়েছে সেটাকেও বিদেশী ষড়যন্ত্র হিসাবে বলা শুরু হবে- কি জানি । কিন্তু কথা সেটা না , কিছু কিছু মুসলমান দেশে দেশে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, এরা আত্মত্যাগের এত বড় দু:সাহসী অনুপ্রেরণা পায় কোথা থেকে ? বলা বাহুল্য ইসলাম তথা কোরান হাদিস থেকে। তথাকথিত মডারেট নামধারী কিছু ভন্ড মুসলমান ছাড়া মৌলবাদী ধর্মোন্মাদদেরকে কখনো বলতে শুনি না যে – ইসলাম শান্তির ধর্ম,খুব ঠেকায় না পড়লে তারা এসমস্ত ভগি জগি কথা বলে না, পক্ষান্তরে মডারেটরা ইসলাম শান্তির ধর্ম বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলবে। তারা বলতে থাকে – ইসলাম কাউকে খুন করতে বলে না , কাউকে রগ কাটতে বলে না, কারও ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দিতে বলে না। তখন যদি তাদেরকে কোরান হাদিস থেকে প্রমান করতে বলা হয় তোতা পাখির মত সেই আয়াত দুটি বলে যায়- দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই ( কোরান ২:২৫৬) বা তোমার ধর্ম তোমার কাছে আর আমার ধর্ম আমার কাছে ( কোরান ১০৯:০৬) । তখন যদি বলা হয় আল্লাহ তো এ আয়াতদ্বয় পরবর্তীতে অন্য আয়াত দ্বারা বাতিল করে দিয়েছে যার ঘোষণা এখানে –
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? সূরা বাকারা ২:১০৬
কি সেই উত্তম আয়াত ?
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।সূরা আত তাওবা ৯:০৫
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে। সূরা আত তাওবা ৯:২৯
এ আয়াত দুটো দেখালে শুরু হয় যত রকমের ধানাই পানাই , প্রথমে বিশ্বাসই করতে চায় না যে এ ধরনের আয়াত কোরানে আছে, বলে অনুবাদ ভুল, যদি কয়েকটি অনুবাদ থেকে দেখানো হয় তখন বলে এর নিশ্চয়ই কোন কারন আছে , যদি তফসির থেকে কারন দেখানো হয় তখন বলে এটা সেই নবীর আমলের জন্য প্রজোয্য ছিল, তখন যদি বলা হয়, তাই যদি হয় তাহলে ২:২৫৬ ও ১০৯:৬ আয়াতদ্বয়ের শান্তির ক্ষেত্রেও কেন বলা হবে না সে দুটো সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য ছিল? দুই একজন অবশ্য সাহস করে বলে যে আসলে যা মানবিক সেটাই পালন করা উচিত। তখন যদি বলা হয় – তাহলে আর ধর্ম নিয়ে এত চিল্লাচিল্লি করে কি লাভ? তখন জোর করে কথা অন্য দিকে ঘুরায়। বলা বাহুল্য এরা কোরানের আয়াত বাতিলের কথা শোনা তো দুরের কথা জীবনে কোন দিন কোরানটা নিজের মাতৃভাষায় পড়েনি। না পড়েই অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে তার ধর্মকে ডিফেন্ড করে যায়।
অন্য দিকে মৌলবাদীরা কোরানের এসব বানী মনে প্রানে বিশ্বাস ক’রে তা অনুসরণ করার চেষ্টা করে এজন্য মৌলবাদীদেরকে ধন্যবাদ দিতে হয় , তারা অন্তত: ভন্ডামি করে না, তারা তাদের বিশ্বাস ও আদর্শের কাছে সৎ। এজন্য আমি তাদেরকে সম্মান করি । বড়ই পিচ্ছিল প্রাণী এই তথাকথিত মডারেট মুসলমানেরা। তারা ইসলামের নামে নিজের দেশে কোথাও সন্ত্রাসী কান্ড হলে লোক দেখানোর জন্য বলবে সন্ত্রাসীরা ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করছে, পক্ষান্তরে আমেরিকা বা পশ্চিমা কোন দেশে সেটা ঘটলে মনে মনে উৎফুল্ল হবে যার বহি:প্রকাশও দেখা যাবে পরিস্কার। জাজ্বল্য প্রমান ২০০১ সালে আমেরিকার বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র ধ্বংস হলে খুব কম মুসলমানকে দেখা গেছে দু:খ প্রকাশ করতে। অমুসলমানদের সাথে যখন এ বিষয়ে তারা মত বিনিময় করেছে তখন কৃত্রিম দু:খ প্রকাশ করেছে , আর নিজেদের মধ্যে যখন কথা বলেছে তখন খুশীতে আটখানা হয়েছে। কারন একটাই আমেরিকা মুসলমানদের চিহ্নিত ও প্রমানিত শত্রু। আর তাই মুসলমানদের নৈতিক দায়িত্ব সেখানে যেভাবে পারা যায় সন্ত্রাসী হামলা করা। ওসামা বিন লাদেন তাই অধিকাংশ মুসলমানদের মহানায়ক।
বড় অদ্ভুত দেশ এই বাংলাদেশ। বড় রাজনৈতিক দল যেমন আওয়ামী লিগ, বি এন পি বাংলাদেশ একটা ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ বলতে বলতে ফেনা তুলে ফেলে অথচ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম আর সংবিধান কাউকে পড়তে গেলে আবশ্যকীয়ভাবে বলতে হবে – বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। এর চাইতে ভন্ডামি দুনিয়ার আর কোন দেশে রাষ্ট্রীয় ভাবে আছে কি না তা জানা নেই। কারও জানা থাকলে বলতে পারেন।
@বিদ্রোহী,
আপনার মন্তব্যগুলো খুব ভাল লেগেছে। ছোট বেলায় গোপাল ভাঁড়ের এক গল্পে পড়েছিলাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক মানুষ “ডাক্তারী” গ্যান ফলাও করেন। গোপাল ভাঁড় তা প্রমাণ ও করে দিয়েছিলেন রাজাকে। অসুস্থতার ভান করে যখন তিনি রাজ-সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন তখন রাজ-সভার সদস্য বৃন্দের তার অসুস্থতার কারন ও নানাবিধ চিকিৎসা পরামর্শের মন্তব্যের মাধ্যমে। পরবর্তীতে বুঝেছি ডাক্তারী গ্যানের চেয়েও যে বিশয়ে আরও বেশী সংখ্যক মানুষ গ্যান দান করেন তা হলো “ধর্ম-সন্ক্রান্ত”। আমার “কুরানে বিগ্যান” এর ২৭তম পর্বের (প্রকাশের অপেক্ষায়) কিছু অংশ:
@গোলাপ,
কিন্তু আমি একটা বিষয় এখনও বুঝতে পারি নি।
সেটা হলো কোরান ও হাদিসে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশ আছে যারা নাস্তিক , মুরতাদ, মুনাফেক, কাফির, মুশরিক তাদেরকে তাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করতে, খুন করতে; তা হলে তারা তো দুনিয়াতেই সাজা পেয়ে গেল।এর পর আখেরাতের মাঠে তাদের আবার বিচার হবে কেন ? একই অপরাধে দুইবার বিচার হয় কেমনে ? নাকি তাদের কোন বিচার হবে না সেখানে ? তারা কি তখন ৭০ (মতান্তরে ৭০,০০০) হুরদের সাথে ফুর্তি করতে সরাসরি বেহেস্তে চলে যাবে নাকি ?
আর যদি একই অপরাধে দুই বার বিচার না হয়ে থাকে , তাহলেও একটা সমস্যা থেকেই যায়। যদি কেউ কাফির নাস্তিক হয় সেই অপরাধটা সে করে আল্লাহর কাছে, দুনিয়ার কারো কাছে নয়। কারন এটা বিশ্বাসের ব্যপার। তাই সে অন্যায়ের শাস্তি দেয়ার একমাত্র মালিক হলো আল্লাহ , দুনিয়ার কেউ নয়। এখন এই যে দুনিয়ার ধর্মোন্মাদরা এদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে সরাসরি শাস্তি দিচ্ছে, সেটা কি আল্লাহর ক্ষমতাকে নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়া হলো না ? এটা কি মহা শিরক হয়ে গেল না ?
তাহলে প্রশ্ন হলো – কোরান হাদিসে কাফের নাস্তিকদেরকে খুন করার নির্দেশটা কি পক্ষান্তরে আল্লাহ বা নবী নিজেরাই তার বিশ্বাসী বা অনুসারী মানুষদেরকে শিরক করতে উৎসাহিত করছে না ? অথচ শিরক হলো ইসলামে সবচাইতে বড় গুনাহ যার কোন মাফ নেই। সব তো কেমন যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে , কিছুই তো বুঝছি না।
কেউ কি আছেন বুঝিয়ে দেয়ার মত ?
@বিদ্রোহী,
আপনি ঠিকই ধরেছেন। কুরানে এমন শত শত বানী আছে যার আদৌ কোন “সেন্স” নাই। যাদের চোখে-কানে-মনে “বিশ্বাসের সীল” মারা আছে তারা এ সকল contradiction দেখতে না পেলেও যে কোন মুক্ত-চিন্তার মানুষ তা অতি সহজেই সনাক্ত করতে পারেন। কুরানে বিগ্যানের ২০, ২১ ও ২২ পর্বে এর কিছু নমুনা তুলে ধরেছি।
@আকাশ মালিক,
শিখতেসি।
চুদুর বুদুর ,মাহমুদুর, ধর্মান্ধ মানুষরূপী কুকুর নিপাত যাক।
এই কথাডা কইলে কয় কোরানের ইংরাজি তর্জমা পড়া বন্ধ দেয়া হোক, ইন্টারনেট ও ইউটিউব দেশ থেইক্কা উডায়া দেওয়া হোক। :-Y :-Y
@মুনিয়া মুশতারি,
হিব্রু ভাষায় কোরান পড়ার ব্যবস্থা করলে ভাল হইত।একেবারে খাঁটি ইয়াহুদি ভাষা :-s
@অর্ফিউস,
কোরান এর অর্থ না জাইনা অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে তো আরও সওয়াব ।
@মুনিয়া মুশতারী, সে আর বলতে। এইটা না কোরানেই লেখা আছে। 😛 :-Y
@মুনিয়া মুশতারী,
এই প্রবন্ধে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইমেল চেক করুন, এবং লগ ইন করে মন্তব্য করতে পারেন।
@সংবাদিকা
আবেগায়িত হয়ে বিশ্বাস করলেই হবে? ঐতিহাসিক রেকর্ড ও দলিল পত্র মোতাবেক ইতিহাস উপস্থাপন করতে হবে না? তা নাহলে আপনার মতো আরেক সংবাদিকা কিন্তু আপনার মতামত Official ভাবে পেচাবে। (H) (H) (H)
@মুনিয়া মুশতারি,
এজন্যই de facto শব্দটি ব্যবহৃত করা হয়েছে 🙂
@সংবাদিকা,
২৬ শে মার্চ আমরা de facto ( বস্তুত) স্বাধীন হয়েছি। আর ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা officially ( সরকারী) ভাবে স্বাধীন হয়েছি। এখন, অনেক বাঙালি ৭ই মার্চ ১৯৭১ থেকেই মনে মনে স্বাধীন। কিন্তু ১৬ ই ডিসেম্বর এর আগে কি তারা নির্বিঘ্নে রাস্তায় হাটা চলা করতে পেরেছে? পূর্ণিমা রাতে ছাদে উঠে গলা ছেড়ে গান গাইতে পেরেছে? পারেনি। তেমনি পতাকা de facto ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ উড়ানো হলেও জাতীয় পতাকাকে officially বাংলাদেশের প্রতীকের ( আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ) পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে নির্বিঘ্নে বাংলার আকাশে উড়ানো হয়েছে ১৭ ই জানুয়ারি ১৯৭২। আর এই জন্যই আমি আমার কমেন্টকে নির্ভুল করতে official date টি কেই গ্রহণযোগ্য মনে করেছি। দেখুন, ব্যক্তিগতভাবে আমার / আপনার অনেক কিছুই বিশ্বাস হতে পারে তবে সম্মিলিত আলোচনায় অংশগ্রহনকালে সেই তথ্যই দেয়া উচিৎ যা সরকারিভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। 🙂
@মুনিয়া মুশতারি,
আমি এখানে মোটেও ব্যাক্তিগত মনোভাব প্রকাশ করছিনা। আপনি যেটাকে প্রথম বলতে চাচ্ছেন সেটা শুধুই ডিজাইন পরিবর্তন এবং আইন প্রনোয়নের ব্যপার, খুব বেশি হলে ২য় সংস্করণ বলতে পারেন।
আর ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবসই। এর সাথে আন্তর্জাতিক ভাবে আরও কয়েকটি দিন গুরুত্বপূর্ন- জাতিসংঘের সদস্য প্রাপ্তি, প্রথম বৈদেশিক রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্তি এবং যে রাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা প্রাপ্ত সেই রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।
১৬ই ডিসেম্বরের কয়েকমাস আগেই দেশের অনেক অঞ্চল সম্পূর্ন শত্রুর ভয় মুক্ত হয়ে গিয়েছিল আবার ১৬ ডিসেম্বরের পরও দেশের অনেক জায়গা নিরাপদ ছিলনা; এমনকি যুদ্ধও চলছিল।
তবে, আপনার ভাবনাকে সম্মান করি।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
আপনার বক্তব্য দুইটি পরস্পর বিরোধী।
প্রমান দিন।
কবে? কেমনে জানলেন?
তো official date কোনটা ধরবো? ৭ই মার্চ ১৯৭১? নাকি ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১? নাকি মার্চ মাসের কোনও এক তারিখ ১৯৭১?
@মুনিয়া মুশতারি,
এটাতো দর্শণ নয়, নিপাট ফ্যাক্ট। আমি ভেবেছিলাম আপনি এসব নিয়ে সামান্য ঘাঁটাঘাঁটি করবেন যার ফলে আপনি আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন। যাই হোক আমি এখানে দিয়ে দিচ্ছি, উপকারে আসতে পারে-
১. বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন – ২রা মার্চ ১৯৭১ (বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস)
২.বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইন পরিবর্তন এবং এর আকার-ব্যবহার বিধি সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন – ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭২
তাছাড়া অতিরিক্ত –
১. স্বাধীনতার মেনিফেস্টো ঘোষণা – ১ই মার্চ, ১৯৭১
২.কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আল্টিমেটাম – ৭ই মার্চ, ১৯৭১
৩.সরকারের সাথে অসহযোগ আন্দোলনের সূত্রপাত – ৮ ই মার্চ, ১৯৭১
৪.বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা – ২৬ শে মার্চ (স্বাধীনতা দিবস)
৫.বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন – ১০ই এপ্রিল, ১৯৭১
৬. বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ – ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১
৭.বাংলাদেশের বিজয় দিবস এবং শত্রুবাহিনীর আত্মসমর্পণ – ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
৮. শত্রুবাহিনীর সর্বশেষ আত্মসমর্পণ গ্রহণ (একটি অংশের) – ১৮ ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
৯.প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী বিদেশী রাষ্ট্র – ৬ ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ (ভারত)
১০.যুদ্ধের মাধ্যমে যে দেশ হতে স্বাধীনতা প্রাপ্ত, তার স্বীকৃতি – ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ (পাকিস্তান)
১১.জাতিসংঘের পূর্নাঙ্গ সদস্য পদ লাভ – ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪
এই আলোচনা হাস্যকর ভাবে মূল পোস্টের স্কোপের অনেক বাহিরে চলে যাচ্ছে। এজন্য আমি আর এই বিষয়ে কিছু বলবনা। আমি আপনার আবেগকে সম্মান করি।
ভালো থাকবেন।
@ সংবাদিকা,
২ রা মার্চ ১৯৭১ জাতীয় পতাকা দিবস বা National Flag day of Bangladesh . তো National Flag day আর Official adaptation date of flag কি এক জিনিস? আমিতো আপনার কাছে official flag adaptation date জানতে চাচ্ছি। আপনি national flag date দেখাচ্ছেন কেন? আপনি শুধু একটি লিঙ্ক দিয়ে বা যেকোনো প্রমান দিয়ে বলুন যে , আমার দেওয়া তথ্য ১৭ ই জানুয়ারি ১৯৭২ এ official ভাবে পতাকা পরিবর্তন করে, পরিবর্তিত পতাকাকে official পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে এবং এই পরিবর্তিত পতাকা কেই প্রতিক হিসেবে চূড়ান্ত করে official ভাবে বাংলার আকাশে উড়ানো হয়েছে এটি ভুল তাহলেই আমি মেনে নিবো।
সমস্যা নেই। সব ধরনের আলোচনাই এখানে করা যাবে। আর এখানে আসাই তো হয় ভুল ঠিক করা বা করে দেয়ার জন্য।
মস্তিষ্ক ধৌত করার সূক্ষ্মদর্শিতা বাঙ্গালিদের জন্মগত নাকি ঈশ্বর প্রাপ্ত জানিনা ।যখন কিশোর ছিলাম তবলিগের লোকেরা আমার মস্তিষ্ক ধৌত করে আমাকে এমন নামাজি বানিয়ে ছিল যে, পৃথিবীর আর কুনো কাজেই মন বসতোনা। আশে পাশে সবাইকে বেনামাজি বলে দুঃখ হতো ।মাজে মাজে মনে হত পিটিয়ে সবাইকে নামাজি বানিয়ে ফেলি।যুবক বয়সে পাল্লায় পরলাম ডেস্টিনি২০০০ এর হাতে। মগজ ধুলায়ে এরাও কম যায়না।মস্তিষ্ক পরিষ্কার করার পর যে সফটওয়ার ঢুকানো হয় সেটাকেই সত্যি, সুন্দর মনে হয়।কিঞ্চিত ইঞ্চির এই মস্তিষ্কই একটি মানুষকে মহামানুষ বানাতে পারে নতুবা অমানুষ।আমাদের সবার খেয়াল রাখতে হবে কিছুতেই কাউকেই মস্তিষ্কের১০০ভাগ ধৌত করতে দিবেন না।অন্তত ৫০ ভাগ নিজের দ্বারা পরিচালিত হবেন ।
@নিগ্রো,
বাংলাদেশে আরেকটা প্রতিষ্ঠান আছে মগজ ধোলাইয়ে যাদের জুড়ি মেলা ভার যারা এক চিমটি ধর্ম ও এক চিমটি বিজ্ঞানের মিশেলে এমন ঘুটা দেয় যে, যে একবার এর চক্করে পড়ে তার বের হওয়াখুব মুশকিল। এই প্রতিষ্ঠানটার নাম কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
@ফারহানা আহমেদ,
এই প্রতিষ্ঠানের নাম শুনেছি বলে মনে হচ্ছে। তবে ঠিক কোথায় শুনেছি তা মনে করতে পারছি না। এটা কি কোন কোচিং সেন্টার? 😕
@ফারহানা আহমেদ,
এদের কবলে আপনি পড়েছিলেন নাকি?আমি এদের একটা বই পড়েছি ও কয়েকটা সিডি শুনেছিলাম।কাজের কাজ কিছুই হয়নি, মানে মনের বাড়ি না কি জানি তৈরি চেষ্টা করেও পারি নি।
@নিগ্রো,
সঠিক।
মগজ ধোলাইতে পারদর্শী-
১।মসজিদের ইমাম- যখন জুমায় ওয়াজ করেন।আমি জানি একটা হাইস্কুল গামী সোনালী সম্ভাবনাময়ী ছাত্র একদা জুমায় ইমামের কোরানের হাফেজ হওয়ার মর্তবা শুনে সেই দিনই হাইস্কুল ত্যাগ করে হাফেজী মাদ্রাসায় ভর্তী হয়ে যায়। পরে সে অশিক্ষিতই থেকে যায়।
আরব দেশ বাসীরাও কেহ কোরান মুখস্ত করেনা।
বাংগালীরা অ্যারাবিয়ানদের চাইতেও বেশী জোরালো মুসলমান।
নিউইয়র্ক এর মত যায়গায়ও মুসলমান পরিবার হতে প্রতি বৎসর কমপক্ষে ১০০ করে কোরানের হাফেজ বের হয়।
২। তাবলীগ জামাত- নিউ ইয়র্কে অসংখ্য স্কুল কলেজের ছাত্র শিক্ষক মুসলিম তরুনেরা তাবলীগের পিছনে ইছলাম প্রসারের উদ্দেশ্য একটি বিরাট সময় ব্যয় করে।অ্যারাবিয়ানরাও কেহ তাবলীগে যায়না।
৩।মাদ্রাসা-যারা মাদ্রাসায় পড়ে তারাতো পাকাপোক্ত ভাবে ধরে নেয় একমাত্র তাদের দল ছাড়া অন্য কেহ সঠিক মানব জাতির পর্যায়ে পড়েনা, এবং জাহান্নাম বাসী। তারা অমুছলিমদের প্রতি মারাত্বক ঘৃনা পোষন করে,কারন তারা আল্লাহদ্রোহী এবং তাদের ঠিকানা তো জাহান্নামই।
এভাবে ধর্ম একটা মানুষকে সমাজ হতে সমপুর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং যেকোন অমানবিক কাজ যেমন আত্মঘাতি আক্রমণ বা অন্য যে কোন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলাকে পরম পূন্যের কাজ মনে করে যেমনটা বর্তমানে জামাত-শিবিররা ট্রেন-বাসে আগুন দেওয়া,চোরাগোপ্তা আক্রমন,সংখ্যালঘুদের উপসনালয় ধংস করা,তাদের বাড়ীঘর আগুনদিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার মত হিংস্র ও ধংসাত্বক কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছে,তাতো দেখাই যাচ্ছে।
দলমত যারযার কিন্তু রাষ্ট্রটি সবার
প্রথম আলো ৩/৭/২০১৩
এরসংগে আর একটু যোগ করা যায়।
একমাত্র এই নীতি প্রবর্তিত হলেই রাষ্ট্রটিতে শান্তি আসতে পারে। অন্যথায় নয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার ঐ একই দাবী
আমরা সবাই তালেবান বাংলা হবে আফগান
তোমার নেতা আমার নেতা , সাদ্দাম সাদ্দাম
লাদেন তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে
দুনিয়ার মুসলিম , এক হও
নারায়ে তকবির , আল্লাহু আকবর
@আঃ হাকিম চাকলাদার, (Y)
@বিদ্রোহী,
এটাই তো সমস্যা। এটাই বেশিরভাগ বাঙালি মুসলমানের মানসিক সমস্যা। আবার একটা মজার জিনিস দেখেন, এরা সহানুভূতি feel করবে মুসলিম ফিলিস্তিনিদের জন্য কিন্তুক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে খ্রিস্টান আমেরিকায় বসবাস করে। হাতি দিয়া টানলেও কিন্তু ফিলিস্তিন যাইব না বা সৌদি আরবের Citizenship এর জন্য আবেদন করবে না। কী কইতাম রে ভাই…………আসলেই লেংসেট ফ্লুকের লীলা বুঝা দায়। 😛 😛 😛
@মুনিয়া মুশতারি,
এদের মত ভন্ড দুনিয়াতে নাই। নিজেরাই নিজেদের বিশ্বাসের সাথে স্ববিরোধীতা করে সেই জ্ঞানটুকু এদের নাই , মাথার ঘিলু এরা সৌদি বালুর নিচে চাপা দিয়ে রাখছে।
ব্রিটিশ পতাকা বাংলার আকাশে উঠসিল ২৩ শে জুন ১৭৫৭, পাকিস্তানের পতাকা বাংলার আকাশে উঠসিল ১৪ই আগস্ট ১৯৪৭ আর স্বাধীন বাংলার পতাকা স্বাধীন বাংলার আকাশে officially উঠসে ১৭ই জানুয়ারী ১৯৭২। টোটাল দুইশত পনেরো বছর যা কিনা জনাব আনোয়ারের বয়স। কারণ তিনি বলেছেন,
So, সবার প্রতি আমার অনুরোধ এই Senior/ প্রাচীন ব্যক্তিকে
আর কেউ কিছু বলবেন না। উনাকে নিজের মনে বিড় বিড় করতে দেন।
😀 😀 😀 😀
@মুনিয়া মুশতারি,
হুম্, আমি তিনটা পতাকা দেখার হিসাবটাই মিলাতে পারছিলামনা। মাথাটা তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এইবার হিসাবটা মিলিয়ে দেওয়ার জন্য।
হা,হা,হা,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
😛 😛 😛
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনার অনুমান সত্য। সদ্য প্রয়াত আব্দুল জলিল উনার নাতি ছিলেন।
@অভিজিৎ ভাইয়া,
:lotpot: :lotpot: :lotpot:
@মুনিয়া মুশতারি,
আপু, আপনি যদি আন্ডারগ্রেড কিংবা হাই স্কুল পর্যায়ের ছাত্রী হোন তাহলে আমার নিম্নের মন্তব্যটি আপনার মন্তব্যর উত্তরে প্রযোজ্য নয়।
তবে এর উপরের হলে –
আপনি উপরোক্ত মন্তব্যটি যেভাবে করেছেন তা অতি আবেগে “আবেগিইয়াইত” যা ঐতিহাসিক কিছু ঘটনার সরলতম এবং খানিকটা “নিষ্পাপ” বহিঃপ্রকাশ; বিশেষভাবে ঐ “১৭৫৭ রোমান্টিসিজম” 🙂
১৯৪৭ সালে “বাংলার” আকাশে পাকিস্তান-ইন্ডিয়ার দুই দেশের পতাকাই উঠেছিল।
১৭ই জানুয়ারী ১৯৭২ সালে আমাদের পতাকার “ডিজাইন” আইনের দ্বারা পরিবর্তিত হয় এবং পতাকা সম্পর্কিত নিয়ম কানুন আইন আকারে পাস করা হয়। আমাদের জাতীয় পতাকা “অফিসিয়ালি” উড়ে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের প্রথম সরকার (অস্থায়ী) যখন গঠন করা হয়। তবে তার আগেই মার্চেই আমাদের পতাকা গৌরবের সাথেই উড়ে দেশে, ৭ই মার্চের সেই বিখ্যাত দিক নির্দেশনা মূলক ভাষণের সময়ও এই পতাকা অনেকে আনেন, এজন্য আমি বিশ্বাস করি মার্চ মাসেই de facto আমাদের পতাকা উড়ানো হয়।
ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা,
আমি ছুডু মানুষ। এই লাইন বুজতাম ফারজি না। বুজাই কন। :)) :)) :))
আপামনি কি এখানে Officially বলতে বাংলা “দাপ্তরিকভাবে” বুঝিয়েছেন? বাংলায় দপ্তর বলতে কিন্তু আমরা স্কুল কলেজ, অফিস, আদালত ইত্যাদিকে বুঝি। তো ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ এ কি এই দপ্তরগুলোতে দাপ্তরিকভাবে পতাকা উড়ান হয়েছিল? নাকি তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে ১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে অস্থায়ী সরকার গঠনকালে শুধু সেই সমাবেশেই জাতীয় পতাকা উড়ান হয়েছিল? :-s :-s :-s দেখেন আপামনি, ব্রিটিশরা তৎকালীন ভারতবর্ষে এসেছিল ১৬১০ সালে। তো ১৬১০-১৭৫৭ এর পলাশী যুদ্ধের আগ পর্যন্ত কিন্তু তারা ভারতবর্ষে দাপ্তরিকভাবে ব্রিটিশ পতাকা ব্যবহার করতে পারে নাই। কিন্তু ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন থেকে ১৯৪৭ সালের ১৩ই আগস্ট পর্যন্ত দাপ্তরিকভাবে সর্বক্ষেত্রে ব্রিটিশ পতাকা ব্যবহৃত হইসে। এক্ষেত্রে ২৩ শে জুন ১৭৫৭ হচ্ছে Official Adaptation Date of British Flag. তেমনি ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পতাকা উড়ান হইলেও ,তা দাপ্তরিকভাবে হয় নাই। দাপ্তরিকভাবে হইব কেমনে? তখন সরকার গঠিত হইসিল অস্থায়ী ভাবে আর গঠিত সরকারের নিজেরই তো কোন দপ্তর আছিল না। আমবাগানে দরবার হইসে। দাপ্তরিক বা official ভাবে পতাকা উড়াইব কেমনে? আর মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে যে পতাকা ব্যবহৃত হইছে সেই পতাকা থেকে সহজকরনের উদ্দেশ্যে হলুদ মানচিত্রটি বাদ দিয়ে লাল বৃত্ত আর সবুজ জমিনের পতাকা নির্দিষ্ট করা হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৭১ এ তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার দ্বারা আর এই পতাকা আজ পর্যন্ত অপরিবর্তিতভাবে বিদ্যমান। তো Official Adaptation Date of Bangladeshi Flag কি হইব? ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ নাকি ১৭ জানুয়ারী ১৯৭২? আপনার বিবেচনা কি বলে? আর ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ যে Official Adaptation Date of Bangladeshi Flag তার প্রমান হল http://en.wikipedia.org/wiki/Flag_of_Bangladesh
ও মাই গুডনেস !!!!!!! ১৭৫৭ তে ব্রিটিশ পতাকা+১৯৪৭ এ ইন্ডিয়ার পতাকা+১৯৪৭ এ পাকিস্তানের পতাকা+১৯৭১ এ বাংলাদেশের পতাকা= ৪ টি দেশের পতাকা। সুতরাং, আমাদের ওল্ড ম্যান সর্বসাকুল্যে ৪ টি পতাকা উড্ডীন হইতে দেখসে। এই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসটিকে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে আপনি দুকলম লিখে আমাদেরকে ইতিহাস বিকৃতির মতো একটি গুনাহের হাত থেকে বাচিয়েছেন। আপনার জন্য স্পেশাল :thanks:
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনার জন্য (G) 🙂
@সংবাদিকা, (L)
@সংবাদিকা, বৃটিশ পতাকা দেখার জন্য ১৭৫৭ সাল হিসাব করতে হবে কেন? ওই পতাকা তো ১৯৪৭ পর্যন্ত বাংলাদেশে উড়েছে। ১৯৪২ থেকে আমার বয়স ধরলেও বৃটিশ পতাকা আর লাল হাফ প্যান্ট পরা লাল পাগড়ির পুলিশ স্মৃতিতে জ্বলজ্বল। আমি ৩টি পতাকার কথা বলেছি, ৪টি নয়।
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনার গানিতিক দক্ষতায় মু্গ্ধ হইলাম (F)
@ছন্নছাড়া,
তবে আমি নিজেকে ইতিহাসবিদ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। :))
আজকের খবর–
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কিন্তু পলিটিকাল মুভমেন্ট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট কোন দলেই সম্পৃক্ত হওয়া যায় না এবং এসব দলের কার্যক্রম সম্পর্কেও জানা যায় না। আর প্রতিদ্বন্দ্বী বিহীন এমন একটি ফাকা মাঠই কি শিবিরের কাম্য নয়? সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবির কর্মীদের হাজারো প্রতিপক্ষের হাজারো ঠ্যালা সামলাতে হয়। জঙ্গি মুভমেন্ট করার আগে দশবার ভাবতে হয়। কিন্তু, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে তাদেরকে পাল্টা আক্রমনের কেউ নেই, কেউ তাদের বিভ্রান্তিগুলো দেখিয়ে দেয়ার নেই। সরকারি ভার্সিটি এর মতো দশটা দল যাচাই করে নেয়ার সুযোগ প্রাইভেট ভার্সিটিতে নেই। সেখানে শুধুমাত্র জামাত Available এবং এভাবে তারা সেখানে লুকিয়ে একচ্ছত্রভাবে রাজত্ব করে। আমার তো মনে হচ্ছে প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে Anti Student Politics করা হয়েছে জামাত-শিবিরকে জঙ্গি উৎপাদনের একটি নিরাপদ Incubator দেয়ার জন্য।
@মুনিয়া মুশতারি,
স্টুডেন্ট পলিটিকস সাক্স বলে অভিভাবকদের পাব্লিক ইউনি বাদ দিয়ে প্রাইভেট ইউনিতে ছেলে (এবং মেয়েও) দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকার দিন শেষ। আপনার পয়েন্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ছাত্র রাজনীতির হাজার সমস্যা, তা সত্ত্বেও এর প্রয়োজন আছে।
@ফারহানা আহমেদ,
সহমত (Y)
@মুনিয়া মুশতারি,
একেবারে দুর্দান্ত মন্তব্য করেছেন। বিষয়্টা মনে হয় সত্যিও । আবার দেখুন এই সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশই কিন্তু ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে। তার মানে সেখানে ১০০% ই জঙ্গী উৎপাদন চলে সরকারের একেবারে নাকের ডগায় বিনা চ্যলেঞ্জে। শুনেছি এসব ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিভাবেই ইসলাম বা ইসলাম জাতিয় একটি বিষয় আবশ্যিক। তাহলে বুঝুন ঠেলা। এভাবে একটা দেশে মৌলবাদী তৈরীর বহু কারখানা পয়দা করে পরে যদি বলি দেশ থেকে মৌলবাদ হঠাও জঙ্গীবাদ হঠাও , আমার তো মনে হয় সে দিন আর বেশী দুরে নাই এই জঙ্গীরাই উদারপন্থীদেরকে হঠিয়ে দেবে আফগানিস্তানের মত।
@বিদ্রোহী,
বিনা চ্যালেঞ্জে চালানোর জন্য মনে হয় Master plan গ্রহন করা হয়েছিলো। দেখুন, নর্থ সাউথ এবং দারুল ইহসান এই দুটো ইউনিভার্সিটি কিন্তু জঙ্গি তৈরির জন্য বর্তমান সময়ে সন্দেহের তালিকায় একদম প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। তাই না? তো এখন আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করুন। সেটা হল যে, এই ইউনিভার্সিটিগুলো অনুমোদন পেল কত সালে? উত্তর হল, নর্থ সাউথ পেয়েছে ১৯৯২ সালে এবং দারুল ইহসান পেয়েছে ১৯৯৩ সালে। ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় ছিল বিএনপি আর তার সাথে লেজুড় হিসেবে জামাত। তো জামাতের আবদারে কিছু জঙ্গি ভার্সিটির অনুমোদন দিতে কি তৎকালীন পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ গভমেন্টের খুব বেশি আপত্তি থাকার কথা? 😉 মোটেই না। এখন কথা হচ্ছে, এতো কিছু থাকতে জামাত প্রাইভেট ভার্সিটির জন্য আবদার করতে যাবে কেন? জামাত প্রাইভেট ভার্সিটির জন্য আবদার হয়ত করেছিল / অবশ্যই করেছিল বহুমুখী সুবিধা আদায়ের জন্য। সুবিধাসমূহ নিম্নরূপ ,
১) যদি জামাতপন্থিদের নিজস্ব আদর্শ ভিত্তিক নিজস্ব ইউনিভার্সিটি থাকে তাহলে কোনো কারনে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করা হলে/ মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যসূচীকে আধুনিকায়ন করা হলে তার প্রভাব জামাতের মউদুদি/জঙ্গিবাদভিত্তিক ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থার উপর পরবে না এবং মাদ্রাসায় না পারলে নিজস্ব খোঁয়াড় তথা ভার্সিটিতে আধুনিক শিক্ষার আড়ালে বিনা বাধায় উস্কানিমুলক ধর্মভিত্তিক শিক্ষা দেয়া যাবে।
২) মাদ্রাসা নামের খোঁয়াড়কে উৎপাটন করা হলেও ভার্সিটি নামের খোঁয়াড় বজায় থাকবে। সুতরাং জঙ্গিবাদের প্লাটফর্ম ও দাওয়াত দুটোই বহাল থাকবে।
৩) মাদ্রাসা থেকে পাস করা ছেলেরা টেকনিকাল কাজ যেমন, কম্পিউটার হ্যাকিং, নির্দিষ্ট পরিমান ingredients দিয়ে বোমা তৈরি, প্লেন নেভিগেট করে সন্ত্রাসী হামলা করা ইত্যাদি কাজগুলো করতে একেবারেই অক্ষম। তাই এই কাজগুলো করাতে আধুনিক বিজ্ঞানে শিক্ষিত ছেলেপেলের প্রয়োজন হয়ে পরে। কিন্তু, সবসময় দরকারমত সময়ে বিজ্ঞান জানা একটি ছেলে পাওয়া নাও তো যেতে পারে। তখন কি হবে? সন্ত্রাসী মিশনগুলো কি তাহলে কমপ্লিট হবে না? অবশ্যই হবে। কিভাবে? জামাতের ভার্সিটি তথা খোঁয়াড়ে ব্যাচেলর কোর্সের নামে কারিগরি বিজ্ঞানের কোর্স প্রণয়ন করে। এই বিজ্ঞান ততটুকুই শিখাবে যতটুকু পড়লে টেকনিক্যাল কাজগুলো করা যায়।
৪) চার বছরের কোর্সে একটি ছাত্রকে ভর্তি করিয়ে তার দক্ষতা, একাগ্রতা, নির্বুদ্ধিতা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে।
৫) ক্লাস নেয়ার ছলে একটি লেকচার দেয়া হবে এবং এই একটি লেকচারে বহু সংখ্যক জিহাদি একই সাথে অনুপ্রানিত হবে। জিহাদের দাওয়াত দেয়ার বাড়তি কষ্ট অনেকখানি কমে যাবে।
৬) যদি কোন ছাত্র জিহাদি না হতে চায় তবে তাকে জোর করে জিহাদি বানানো যাবে। কারন, ছাত্রের ঠিকানা, সার্টিফিকেট, ফোন নাম্বার ইত্যাদি ভর্তির দিনই ভার্সিটির কব্জায় চলে আসে এবং এগুলো দিয়ে/এগুলো আটকে রেখে খুব সহজে ছাত্রকে ব্লাক মেইল করে বা ভয়-ভীতি দেখিয়ে জঙ্গি কাজ হাসিল করা যাবে।
৭) জামাতের উচ্চ পর্যায়ের অর্থ যোগান হয়ে থাকে ইংল্যান্ড, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলো থেকে। তাই এসব দেশে যেয়ে লগ্নিকারককে পটিয়ে অর্থ যোগার করা , জামাতের পক্ষে জনমত গঠন, বিদেশী টাকার হিসাব নিকাশ রাখা, সঠিক জায়গায় টাকা লগ্নি করা, বিদেশি ব্যাংকের সাথে জামাতের হয়ে লেনদেন করা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজে জামাত আধুনিক শিক্ষায় পরিমান মতো শিক্ষিত ও বিশ্বাসী লোক চায়। তো এক্ষেত্রে নিজেদের ভার্সিটিতে মগজ ধোলাইকৃত একটি ছাত্রের চেয়ে উপযুক্ত আর কে হতে পারে?
৮) নিজেদের ভার্সিটি থেকে পাস করা ছেলেদের দিয়ে নিজেদের অর্থ প্রতিষ্ঠানগুলো চালানো যাবে।
তো ভেবে দেখলে এরকম আরও বহু কারন খুঁজে পাওয়া যাবে এবং Master plan টা চোখের সামনে খুব স্পষ্ট হয়ে ধরা দেবে। ১৯৭১ এ জামায়াতে ইসলামির সমর্থক ছাত্ররা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে পারে নি। তাই তারা দীর্ঘ দুই দশক ধরে আবারো প্রস্তুতি নিচ্ছে/নিয়েছে আরও সংগঠিতভাবে তাদের ইবলিশি কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত করার। আর নতুন মগজ ধোলাই করে জিহাদি জন্ম দেয়ার জন্য নিজেদের করায়ত্ত ভার্সিটিকে তারা Maternity Clinic হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু আঁতুড়ঘরে যে অ্যাবরশন হল ; সরকার তো কোনও অ্যাকশন নিতে পারলো না। নিবে কিভাবে? অ্যাকশন নেয়ার জন্য সুস্পষ্ট প্রমানের অভাব ছিল তো এতদিন। কিন্তু এখন যেহেতু জিহাদি বাবারা ধরা পরেছে সেহেতু আশা করা যায় কান টানলে মাথা আশার মতো পালের গোদারাও ধরা পরবে। দেখা যাক কি হয়।
@মুনিয়া মুশতারি,
জামাতের রাজনীতি চর্চার জন্য খুব বেশী জায়গার দরকার নেই একটু গায়ে গা ঘেসে দাঁড়িয়ে নামাজের জায়গা পেলেই হয়, তারপর সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে ঠিক বের হয়।
@রাজেশ তালুকদার,
জামাতের রাজনীতি চর্চার জন্য……একটু গায়ে গা ঘেসে দাঁড়িয়ে নামাজের জায়গা পেলেই হয়
এটা আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার মতে যারা জঙ্গি হয় তারা প্রথমত , (ব্যতিক্রম থাকতে পারে) কিছু মেন্টাল প্যারাসাইটের শিকার। দ্বিতীয়ত, তারা ধর্মান্ধ। তৃতীয়ত, তাদের কোন না কোন স্বার্থ জামাতের সাথে জড়িত। এসব কারনে মগজটা ধোলাই করতে খুব বেশি কষ্ট করা লাগে না। একটু গুজ গুজ, ফুস ফুস ই যথেষ্ট। জামাত কে, জামাত কি করে, জামাত কি চায়, জামাতের ইতিহাস কি, জামাতের আদর্শ কি, জামাত মন্দ না ভালো এসব যুক্তি তর্কের এরা ধার ধারে না। যুক্তি দিয়ে কোন কিছু বিশ্লেষণ করে কোন সিদ্ধান্তে আসার চেয়ে বুকে বোমা বেঁধে শহীদ হওয়া এদের কাছে সহজ। এদের মগজ চিন্তা -ভাবনার জন্য না। এদের মগজ প্যারাসাইটের বংশবৃদ্ধি করার হ্যাচারি হিসেবে ব্যাবহার করার জন্য।
@ অভিজিৎ ভাইয়া,
ভাইয়া, আমাদের আলোচনার মূল বক্তব্য থেকে ১০ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থানকারী জনাব আনোয়ার একটি জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। রোগটির নাম Identity Erasing Desire Symptoms (IEDS). 😛 😛 😛 এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার নিজের জাতিগত পরিচয় বদলের তাগিদ অনুভব করে থাকেন এবং অন্যদেরকেও তাদের নাম,নামের শেষাংশ,জাতীয় পরিচয় ইত্যাদি বদলের তাগিদ দিয়ে থাকেন। আপনার পরবর্তী লেখায় এই ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত লেখার আহবান জানাচ্ছি।
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনি বোধ হয় জানেন না , একজন মুসলমানের প্রথম পরিচয় হল সে মুসলমান তারপর সে বাংলাদেশী বা ইন্ডিয়ান বা আমেরিকান। আর তাই বাংলাদেশের একজন খাটি মুসলমান, পড়শী হিন্দু বা খৃস্টান ধর্মের লোকের চেয়ে ফিলিস্তিনী মুসলমানের প্রতি বেশী মহব্বত অনুভব করে।
@বিদ্রোহী, আপনি মুসলমান হওয়ার আগে প্রথমেই একজন মানুষ অথবা মানুষ ছিলেন তাইনা? তাহলে কে মুসলমান বা হিন্দু তা না দেখে দেখুন সে মানুষ কিনা । কুনো মানুষকেই পছন্দ করতে দেয়া হয়না সে কুন ধর্ম পালন করতে চায় নাকি আদৌ চায়না ।আমার এখনো মনে আছে খুব ছোট বেলায় আমাকে আর আমার বড় ভাইকে আব্বু মক্তবে না যাবার জন্য প্রচণ্ড মেরে ছিলেন ।পরে বুঝতে পেরিছি আব্বু পিতার ফরজ আদায় করেছেন ।”তুমাদের সন্তানদের প্রয়োজনে বেত্রাগাত কর তবুও বাধ্যতামুলক আমার দলে সামিল কর ।”হাহাহা…..ধর্মের দৃষ্টিতে না দেখে সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখুন দেখবেন পৃথিবী কত সুন্ধর।
@নিগ্রো,
misunderstand করে ফেলেছেন ভাইয়া। বিদ্রোহী এবং আমরা আমাদের চারপাশে এরকম বহু ধার্মিক হিপক্রেটকে দেখতে পাই যারা নিজের প্রতিবেশীকে কেবল বিধর্মী হওয়ার জন্য ভালবাসে না কিন্তু সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারের অচেনা মুসলমানের জন্য ভালবাসার বন্যা বইয়ে দেয়ার ভাব করে। এসব দেখে যেকোনো বিবেকবান মানুষের মনেই ক্ষোভ হয়। আর বিদ্রোহী নিজের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্যই খানিকটা ঠাট্টাচ্ছলে কমেন্টটা করেছে। এগুলো উনার ব্যক্তিগত মতামত না।
@মুনিয়া মুশতারি,
হ আর উনি আইছে এক জ্ঞানের বাটখারা। জ্ঞানের গভীরতা পাত্র বাইয়া চুয়ায় চুয়ায় পোড়তাছে হের। তারাতারি হাত পাতেন, যদি ছিটা ফোঁটা পান …
@অভিজিৎ ভাইয়া,
হে হে হে 😀 😀 😀
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার ত্রুটি ছাত্রদের মগজে মৌলবাদের চাষ করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে।জামাত শিবির চক্র এবং ধর্মান্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী একদিকে মাদ্রাসার দরিদ্র ছাত্রদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এবং অপর দিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জিহাদের রোমান্টিক মনস্তাত্ত্বিক ফাঁদে ফেলে তদেরকে প্রভাবিত করছে এবং সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের মগজ ধোলাই করছেlআমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থায় ছাত্র ছাত্রীদের যৌক্তিক মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ হয় নাlফলে তারা যৌক্তিক বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেlতাই মৌলবাদের বীজকে এ দেশ থেকে সমূলে ধ্বংস করতে হলে প্রথমেই আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবেl
নাফিছ এর মত সোনালী সম্ভাবনাময়ী তরুনদের জীবন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সুশিক্ষার নামে হিংস্রাত্বক জঙ্গী শিক্ষা দিয়ে জীবনটাকে ধংস করে দিচ্ছে, এটা সমাজকে জানিয়ে দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তরুনদেরকে “জিহাদ কর,মারা গেলেই বেহেশত” এই টোপদিয়ে তাদেরকে আগুনের মধ্যে ঠেলে দিয়ে ধংশ করা হচ্ছে।
আর কতকাল এভাবে তরুনদের ধোকা দিয়ে দিয়ে ধংশ করা হইবে?
এর গুরুদের কি কখনো বিচার ও শাস্তির আওতায় আনা হইবেনা?
অদ্ভুৎ ব্যাপার!!
“একাত্তরের চিত্রকল্প” কবিতাটি কেহ শুনতে পারেন এখানে।
শুধু NSU না ঢাবি,বুয়েট,DMC, JNU প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ও হিযু তে ভরে গেছে।বিশেষ করে ঢাবির কথা না বললেই নয়।এখানে জামাত-শিবির যেরকম থাক না থাক, হিযুতে গিজগিজ করছে।এর মধ্যে বিবিএ ফ্যাকাল্টি এদের অঘোষিত আস্তনা।এসব শিক্ষকেরা প্রবলভাবে সাম্প্রাদায়িক।আপনারা হয়তো ব্যাবসায় প্রশাসন এর এক অধ্যাপক এর হিযুর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকার কথা জানেন।(এই মুহূর্তে লিঙ্কটা পাচ্ছি না)এখানে মগজ-ধোলাই ভালোভাবেই চলে।ছাত্র-ছাত্রীদের রীতিমত প্ল্যান করে(ছাত্র/ছাত্রীর ধাঁচ অনুযায়ী) ধীরে ধীরে ফাঁদে ফেলা হয়। ধরেন আপাত প্রগতিশীল ছাত্রর(তথ্য-উপাত্ত যোগাড় করে) জন্য এরা প্রগতিশীলতার মূর্ত প্রতীক হয়ে ভালো ভালো কথা আঊরায়(অভিজিৎদারে কোট করে 😛 😛 )প্রথমদিকে ছাত্র-ছাত্রীরা ভাবে এরাই তো দেশের ভবিষ্যত ,অসাম্প্রদায়িক মানুষ,মানবতার প্রতীক উদ্দিষ্ট গুরু।কিন্তু সময় হলেই রঙ দেখাতে শুরু করে।তখন ভিক্টিম ছাত্র/ছাত্রী নিজের অজান্তেই মানবতার শত্রু হয়ে যায়।কিংবা কোন গরীব ছাত্রকে টিউশন দেয়ার মাধ্যমে শুরু হয় তার পাঠ।
@অগ্নি,
বর্তমানে বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর মানুষের আগ্রহ কমে যাওয়াই এর প্রধান কারন বলে মনে হয়। একবিংশ শতকে ব্যবসা বানিজ্য ক্ষেত্র সারা পৃথিবী সহ বাংলাদেশেও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে চাকুরীরর বাজার অনেক বেশী। আর কম্পিউটার শিক্ষার মত ফলিত বিষয়ে পড়লে বস্তুত : বিজ্ঞানের মৌলিক দর্শন সম্পর্কে অধিকাংশই অনবহিত থাকে। এর ফলে প্রকৃত পক্ষে বিজ্ঞান মনস্কতার সৃষ্টি হচ্ছে না। পক্ষান্তরে ধর্ম প্রচারের জন্য বহু টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও বহু পেশাদার মানুষ আছে নানা রকম প্রলোভনের টোপ নিয়ে। বিশেষ করে কোরানের বিজ্ঞানের খনি জাতীয় প্রচারের ব্যপকতা আর তার প্রতি দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমর্থন অল্প বয়েসী ছেলে মেয়েদের মগজ ধোলাই করতে যথেষ্ট। পারিবারিক পরিবেশ হলো আদর্শ ক্ষেত্র । সুতরাং অনুকুল পরিবেশ ও আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে তারা ধর্মাশ্রয়ী উন্মাদ হয়ে তর তর করে বেড়ে ওঠে। এই ছেলেমেয়েগুলোর পিতা মাতাও এটা খেয়াল করে না বরং নামাজ রোজা ইসলামের প্রতি আকর্ষন দেখে তারা যার পর নাই পুলকিত হয়। তারা বিশ্বাসও করতে পারে না যে তাদের নয়নের মনি সন্তানটা তলে তলে হয়ে উঠেছে এক ভয়ংকর ধর্মোন্মাদ খুনি। সেটা আমরা নাফিস কে আমেরিকায় ধরার পর তার পিতা মাতার প্রতিক্রিয়া থেকেই অবহিত হয়েছি। বর্তমানে যে ৫ জনকে ধরা হয়েছে হয়ত তাদের মা বাবাও এতক্ষনে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
মনে হয় না , এসব সমস্যার মূল যে কারন ইসলাম তার সংস্কার অথবা উচ্ছেদ ছাড়া এ সমস্যার কোন সমাধান আছে। বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরী করা ছাড়াও ইসলামের বিভিন্ন অযৌক্তিক বিষয়াবলী খোদ কিতাব থেকেও ব্যপকভাবে প্রচারের দরকার , যা আবার একেবারেই অসম্ভব কারন তখন নাস্তিক মুরতাদ এর উপাধি পেয়ে খাড়ার নিজে থাকতে হবে। সুতরাং কে এখন বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে ????
@বিদ্রোহী,
মুসলমানদের সম্পর্কে আপনার একটা সাধারন ধারনা পেলাম যে মুসলমান মাত্রই বা বলা ভালো প্রকৃত মুসলমান মাত্রই ধর্মোন্মাদ খুনি। তাই তো? ভুল হলে বলবেন।
এই প্রেক্ষিতে কয়েকটা প্রশ্নঃ
১. আপনি যে ইসলামের কথা বলছেন সেটা কোন ইসলাম? মানে ইসলামের তো অনেক ভার্সন আছে। আপনি ঠিক কোনটাকে রেফার করছেন। আপনি কোন ইসলামের অনুসারী মুসলমানদের সমালোচনা করছেন?
উদাহরন দিয়ে বলিঃ জামাতের নিজস্ব মওদুদীবাদের ইসলাম, শিয়া ইসলাম, সুন্নি ইসলাম, ইসলামের সুফি ভার্সন, আহমেদিয়া ভার্সন, কাদিয়ানি ভার্সন, তাছাড়া আপনি হয়ত জেনে থাকবেন ইসলামে ৭০ এর উপরে বিভিন্ন ভাগ আছে। আপনি ঠিক কোন ইসলামকে সমালোচনা করে বলছেন যে, যারা প্রকৃত মুসলমান তারা ধর্ম্মনোমত্ত খুনিতে রূপান্তরিত হয়?
২. পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম আত্নঘাতি বোমা হামলা কারা করেছে?
৩. তারা কোন ধর্মের অনুসারী?
৪. তাদের আত্মঘাতি হামলার উদ্দেশ্য কী ছিল?
আপাতত এই, আলোচনা এগোলে আরো করা যাবে।
@সাইফুল ইসলাম,
সুন্দর কটা প্রশ্নের জন্যে সাইফুল’কে ধন্যবাদ, (Y)
@সাইফুল ইসলাম,
জ্বী ভুল বললেন, আবার আমার মন্তব্য ভাল করে পড়েন তারপর আপনার মন্তব্য আবার করুন।
@বিদ্রোহী,
এই লাইনগুলো বলার শানে নুজুলটা একটু বলেন, তাহলেই ভুল বোঝা বন্ধ হয়ে যাবে আমার।
@সাইফুল,
আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু মোটা করে দেয়া লাইনগুলো পড়েও কিন্তু আমার মনে হয়নি বিদ্রোহী কোথাও বলতে চেয়েছেন মুসলমান মাত্রই জঙ্গি বা ধর্মোন্মাদ খুনি। ‘অনুকুল পরিবেশ ও আশ্রয় প্রশ্রয় পেয়ে তারা ধর্মাশ্রয়ী উন্মাদ হয়ে’ উঠার উদাহরণ তো মিথ্যা নয়। বহু হিংসাত্মক, শ্লোক, বানী আয়াত, কিংবা নামাজের ঘরে হিযুদের গোপন ব্রেন ওয়াশ এ ধরণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারে, এর সাথে সবাইকে খুনি বলা এক নয় বলেই আমি মনে করি।
শেষ দাগাঙ্কিত লাইনটি পড়তে গিয়ে মনে হল – আপনি ‘ইসলাম’ আর ‘মুসলিম’কে এক করে ফেলছেন নাকি? ‘ইসলাম তার সংস্কার অথবা উচ্ছেদ’ এ সমস্যাটা কি? ইসলাম একটি ধারণা, বা বিশ্বাস। এর অপমৃত্যু কেউ চাইতেই পারে। যেমন কমিউনিস্টরা যখন বলে দুনিয়ার মজদুর এক হও, এবং দাবী করেন তারা ‘পুঁজিবাদের’ অপমৃত্যু চান। তার মানে তো এই নয় যে সব বড়লোকদের গলা কেটে সাফ করে দেবার কথা তারা বলছে। একটা ক্ষতিকর ধারণা (যেটাকে কেউ ক্ষতিকর মনে করেন) তার অপমৃত্যু চাইতেই পারেন কেউ। কিন্তু সেটাকে মানুষ মারার সাথে গুলিয়ে ফেলাটা বোধ হয় ঠিক নয়। আমরাও কিন্তু কুসংস্কারের, অপবিজ্ঞানের বিনাশ চাই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে একজন সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষকে গলা টিপে মারব। 🙂
@অভি দা,
আমিও ভুল বুঝতে পারি, সত্যি কথা বলতে ভুল বুঝলেই আমি নিশ্চিন্ত হই। উনিই বলুক, দেখি কাহিনী কী।
এখানে পরিবেশ আর ইসলাম নিয়েই আমার সমস্যা। কারন ইসলাম আর পরিবেশ দুটো ভিন্ন শর্ত। পরিবেশের প্রভাবে হওয়া মানে প্রকৃত(!?ভগবানই জানে প্রকৃত ইসলাম কী জিনিস :)) ) ইসলামের কারনে না। আর যদি ইসলামের প্রকৃত পরিবেশ হয় তাহলে কিন্তু দোষ ইসলামের। এই অর্থেই আমার প্রশ্ন, ওনার অভিযোগটা কোন জায়গায়?
ইসলামের বিরুদ্ধে? নাকি পরিবেশের কারনে ইসলামের নামে ধর্মোন্মত্ত হওয়ায়?
দেখি উনি কী বলে।
@সাইফুল ইসলাম,
যা বলার অভিজিৎই বলে দিয়েছে আগে। লেবু কচলানোর আর দরকার আছে মনে হয় না।
আপনার ভাব সাব দেখে মনে হচ্ছে – বিশাল পন্ডিত আপনি , আমি ভাই ক্ষুদ্র মানুষ , বোকা মানুষ, অত কিছু বুঝি না। যা মনে আসে সেটাই বলে যাই , সব সময় বুঝতে পারিনা লেখায় কোথায় কি লিখলাম ।
ভু হলি মাফ গরি দিয়েন বদ্দা 🙂
@বিদ্রোহী,
শ্যাষ? এই পর্যন্তই দৌড়? আমি পন্ডিত না কী, ঐটা উল্লেখের তো কোন দরকার নাই যদি না আপনি একজন পূর্নবয়স্ক সফেদলাউ এটা প্রমান করার কোন বাধ্যবাধকতা থাকে। এই যে আপনাকে আমি কচকচে
ঈষৎলোহিতমূলা মনে করি এটা কি এখানে প্রকাশ করেছি? না তো! কারন আপনি যে ঐটাই সেটাতো এইরকম কিছু মন্তব্যের মাধ্যমেই গেজেট আকারে প্রকাশ পেয়ে যাবে। আমার কষ্ট করতে হবে না।
যাই হউক, আবার করলাম প্রশ্ন। মানে অভিদার মন্তব্যে যে প্রশ্ন করেছিঃ
হেডকোয়ার্টারে কিছু থাকলে বলবেন, না থাকলে বলবেন না। সমস্যার তো কিছু নাই! একটাই অনুরোধ, হাওয়ার উপ্রে পিকাপ নিবেন না। আপনাকে নিশ্চিত করছি পিকাপ নিয়ে এখানে সুবিধা করতে পারবেন না।
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার মত মহাজ্ঞানীর সাথে বিতর্ক করার দু:সাহস আমার নেই। তারপরেও স্বল্প জ্ঞানে যেটুকু বুঝি, সেটা হলো পরিবেশ ও ইসলাম দুটোই আমাদের অনেককেই উন্মাদ সন্ত্রাসী তৈরী করতে সাহায্য করে আসছে। সেকারনেই শুধু মাদ্রাসা মক্তব নয়, উচ্চ শিক্ষালয়ের মত যায়গাতেও তারা তৈরী হচ্ছে।
পরিবেশ বলতে আমি যা বুঝি তা হলো – আশ পাশের যা কিছু আছে তাই পরিবেশ। এর মধ্যে পড়ে গাছ পালা , জীব- জন্তু, আবহাওয়া, জলবায়ূ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, ধর্মিয় চিন্তা চেতনা আদর্শ, সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, এমন কি রাজনৈতিক বিশ্বাস ও। বাংলাদেশে একটা শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে সে সর্বপ্রথমই এ পরিবেশের শিকার হয়। পারিবেশিক কারনেই সে মুসলমান ঘরে জন্ম গ্রহনকারী একটি শিশু জ্ঞান হওয়ার আগ থেকেই ইসলামের আচার অনুষ্ঠান, সংস্কার , বিশ্বাস ও আদর্শের শিকার হয়। সে এ বিশ্বাস নিয়েই বেড়ে উঠতে থাকে যে – হযরত মোহাম্মদ দুনিয়ার সর্ব শ্রেষ্ট মহামানব , তার চরিত্রে কোন পাপ বা কলুষ নেই, তার জীবনাদর্শ আমাদের সবারই অবশ্য পালনীয়, ইহুদি নাসারা সহ সকল অমুসলিম মুসলমানদের শত্রু , তারা সর্বদাই ইসলাম ও মুসলমানদের সর্বনাশ করতে চায়, ইসলামই একমাত্র সত্য ধর্ম, অন্য ধর্মের লোকজন কাফির বা মুশরিক, তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা একজন মুসলমানের অবশ্য কর্তব্য। আর বলা বাহুল্য এর সব কিছুই সে জানে ও শোনে তার আশপাশের সামাজিক পরিবেশ থেকেই। মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে এ ধরনের কথা নিত্য নৈমিত্তিকভাবে তাকে শুনতে হয়। এভাবে একই বিষয় শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে তার মাথায় সেটা সত্য বলেই গেথে যায়। এরপর তাকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যেখানেই পাঠান হোক না কেন অনেকেই এই চক্র থেকে বেরোতে পারে না। অনেকেই আবার নতুন সামাজিক পরিবেশে পড়ে হয়ত বা উদার ধর্ম নিরপেক্ষ মনোভাবাপন্ন হয়ে পড়ে কিন্তু সবাই সেটা পারে না। সেটা আরও বেশী কঠিন হয়ে পড়ে যদি সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা কর্মক্ষেত্রে একই আদর্শের কোন গোষ্ঠী সুকৌশলে আগের ধ্যান ধারণা গুলো অহর্নিশ প্রচার করতে থাকে। যেমন আমরা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেটা দেখছি। সেখানে তাহরির ইসলাম বলে যে গ্রুপ আছে তারা কায়দা করে ছাত্রদের কানে তাদের আদর্শকে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে আর তাতে সফলও হচ্ছে। বলা বাহুল্য এটা করা হচ্ছে নামাজের জায়গায় যখন ছাত্ররা সেখানে নামাজ পড়তে যায়। এখনও অধিকাংশই তাদের ফাদেঁ পড়ছে না হয়ত । কিন্তু শতকরা মাত্র ৪/৫% জনও যদি তাদের ফাঁদে পড়ে সেটাই ভয়ংকর। কারন এরা জীবনের পরোয়া করে না, আত্মাহুতি দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে এমন ভাবে তাদের ব্রেইনটাকে ওয়াশ করা হয়, তাদের আদর্শের প্রতি এরা ভয়ংকর রকম গোড়া ও নিবেদিত। এদের একজনই উদার মনোভাবাপন্ন একশ জনের সমান। এ গেল সরকারী বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের পরিবেশের ঘটনা। যারা মাদ্রাসাতে পড়াশুনা করে তাদেরকে তো আরও বেশী সহজেই মগজ ধোলাই করা যায়। কারন তাদের বিষয় বস্তুর পুরোটাই থাকে সেই মগজ ধোলাইয়ের বিষয় বস্তু।
সরকারী বা বেসরকারী উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গুলোকে টার্গেট করে এখন নানা গোষ্ঠী নানাভাবে তৎপর। কারন হচ্ছে একটা বদনাম কাটান। এতদিন সবাই ধারনা করত একমাত্র মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্ররাই বোধ হয় মৌলবাদী হয়। এ বদনাম ঘুচানোর জন্যই সম্ভবত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে সুকৌশলে এ ধরনের কার্যক্রম চালান হচ্ছে যাতে সবাইকে বুঝানো যায় যে – মাদ্রাসা লাইন ছাড়াও মানুষ ইসলামের প্রকৃত সত্য জেনে দলে দলে জিহাদীর খাতায় নাম লিখাচ্ছে যা প্রকারান্তরে আরও মানুষকে উৎসাহিত করে তাদের দলে যোগ দিতে। ধারনা করা যেতে পারে – এর পেছনে বিদেশী অর্থের জোগান আছে বা দেশীয় ইসলামী বড় দলেরও বিনিয়োগ আছে। বলা হয় এসবের পেছনে নাকি অনেক সময় আমেরিকাও অর্থ ব্যয় করে। করতে পারে কারন তারা চায় না বাংলাদেশ বা অন্য কোন মুসলমান রাষ্ট্র আধুনিক জ্ঞান বিদ্যা ও গণতান্ত্রিক উদার আদর্শ আত্মস্থ করে উন্নত হয়ে পড়ুক। তাতে তাদের অনেক ক্ষতি কারন তাদের ভোগ্য পণ্যের একটা বড় অংশই আমরা উৎপাদন করে দেই অত্যন্ত সস্তায়। তাই তারা চাইতেই পারে যেন আমরা ধর্ম কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি ও জ্ঞান বিজ্ঞান প্রযুক্তির দিকে হাত না বাড়াই। তাই তারা চায় আমাদের অধিকাংশ লোকই যেন ধর্ম কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকে, অন্য কিছু করার চিন্তা ভাবনা যেন আমাদের মাথায় না থাকে।
এখন কিসের আদর্শ ও মন্ত্র দিয়ে এদেরকে মগজ ধোলাই করা হয় ?বলা বাহুল্য সেটা হলো ইসলাম। আমাদের রেডিমেড সামাজিক পরিবেশে ইসলাম খুব ভালমতোই আমাদের ছাত্রসমাজ বা যুব সমাজ এমন কি সাধারন মানুষকে উজ্জীবিত করে তাদেরকে সাম্প্রদায়ীক করে তুলছে। সবাই হয়ত উগ্র হচ্ছে না তবে উল্লেখ যোগ্য অংশই যে উগ্র হয়ে পড়ছে তা দেখা গেল সাম্প্রতিক কালেই। যুদ্ধাপরাধীদের বা সাইদির মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে সারা দেশ ব্যপি জামাত শিবির যে ভাবে দানবীয় কায়দায় মানুষের ঘরবাড়ী, সরকারী বেসরকারী সম্পদ ধ্বংস করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতের সমস্ত হরতালের ক্ষয়ক্ষতি যোগ করলেও বোধ হয় এর সমান হবে না। তারা উন্মাদের মত হিন্দুদের ঘরবাড়ী , মন্দির পুড়িয়েছে চরম নৃশংসতায়। কিছু মানুষের এমনভাবে উন্মাদ হওয়া তো রাতারাতি সম্ভব নয়। বছরের পর বছর বহু প্রচেষ্টার পরেই শুধুমাত্র এমন উন্মত্ত করা গেছে কিছু মানুষকে। খেয়াল করতে হবে ১৯৭১ সালে এরা ঠিক একই রকম নৃশংসতা দেখিয়েছিল তবে তখন পাকিস্তানী বাহিনী তাদের সাথে ছিল। আর বর্তমানে তারা করল কোন বাহিনীর সহায়তা ছাড়াই।কেন একটা বড় সংখ্যার লোক ধর্মের নামে এমন উন্মত্ত হলো ?কারন দেশে বিগত কয়েক দশকে কয়েক লক্ষ মসজিদ , মাদ্রাসা নতুনভাবে গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে বহু প্রাইভেট কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যাদের অনেকেরই মূল আদর্শ ইসলামি শিক্ষা। এগুলো মিলে তৈরী করেছে একটা অনুকুল পরিবেশ। পরে সেখানে পেশাদারী একদল লোক এ পরিবেশে সাধারন ছাত্র/ছাত্রী তো বটেই অনেক সাধারন ধর্ম প্রাণ মানুষকেও ইসলাম ধর্মের আদর্শ ও বানীকে সার্বিকবাবে আত্মস্থ করিয়ে ধর্মোন্মাদে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক অনেক ঘটনাও এখানে বলাবাহুল্য ইন্দন যুগিয়েছে।
আর তাই আমি অনুকুল পরিবেশ ও ইসলাম এ দুটো শব্দ ব্যবহার করেছি।
আমি মূর্খ মানুষ যা বুঝলাম আশ পাশ জেনে শুনে তাই লিখলাম। তবে আপনার মত মহাজ্ঞানী আশা করি নিজ গুণে বাকিটা বুঝে নেবেন।
@বিদ্রোহী,
সঠিক। মূর্খের সাথে কথা বলতে যাওয়াই আমার ভুল হইছে। ভুল অব দিস শতাব্দি।
কে জানি বলছিল, কাঠবলদের সাথে ভুলেও আলোচনায় যাইতে হয় না, তাইলে সুস্থ মানুষকেও কাঠবলদ নিজের পর্যায়ে নামায়ে নিয়ে আসে। অমর বাণীটা আমার বিস্মরন হয়েছিল।
হায়,ভুল, সবই ভুল!
তবে একটা ব্যাপার আমার মানতেই হবে, আপনাকে যতটা মূর্খ ধরে নিয়েছিলাম আপনি ততটা না। কারন আপনার নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নটা কিন্তু ১০০ভাগ সঠিক। অভিনন্দন!
শেষে একটা জ্ঞ্যানের কথা বলিঃ
নিক চেঞ্জ করলেই, দূর্গন্ধ লুকানো যায় না। কে জানি বলছি না, ল্যঞ্জা লুকানো খুবই কঠিন পরিশ্রমের কাজ?
কথাটা কিন্তু আপনাকে না কারন আমি নিশ্চিত আপনার জন্ম পরিচয় আছে। অন্য কোন জারজ যাতে সবাইকে নিজের মতন চালাক-চতুর না ভাবে সেজন্য বললাম আর কী। 🙂
ধন্যবাদ।
@সাইফুল ইসলাম,
কাজের কথা ছেড়ে ফালতু কথা কইলেন । ভাবলাম আপনার মত মহা জ্ঞানীর কাছ থেকে কিছু জ্ঞানের কথা শিখব। আমার মন্তব্যে কোথায় ভুল আছে সেটা জানব ও শুদ্ধ করে নেব, কিন্তু সেসব কিছুই হলো না। আমি বড়ই ব্যথিত।
গোড়া থেকেই বলে আসছি আমি আপনার মত মহাজ্ঞানী নই, তার পরেও আপনি বীরদর্পে আমার সাথে তর্ক যুদ্ধ করতে চাইছিলেন , কাঠবলদটা কে ? আপনিই কিন্তু আমার মন্তব্য দেখে জ্ঞান দিতে চলে আসছিলেন,আর তাই আমি ধরে নিয়েছিলাম আপনি একজন মহজ্ঞানী ব্যক্তি না হয়েই পারেন না। শেষমেষ নিজেকে কাঠবলদের পর্যায়ে ফেলে আপনি নিজেকে নয় , আমাকেও অপমানিত করলেন।
কার কথা বললেন ? নিজের কথা ? তবে দু:খ করবেন না , জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল– মহামানবেরা বলে গেছেন এ কথা। ভাল কিছু করার চেষ্টা করুন, দু:খ দুর হয়ে যাবে।
কে কার নিক চেঞ্জ করল? যদি কেউ নিক চেঞ্জ করেই থাকে , সেটা অনেক সময় মজা করার জন্যই করে। দুর্গন্ধের কথা আসে কেন ?আজব কথা তো ? নিজের গায়ে দুর্গন্ধ বলে কি অন্য সবার গায়ে দুর্গন্ধ খোজেন নাকি ?
@বিদ্রোহী,
একেবারে সিরাম হইসে। :rotfl: :rotfl: :rotfl:
মিঃ সাইফুল পুরা লেখায় আর ভুল ধরতি না পেরে হুদাই চিতকুর (or ম্যাতকার ???) দিতেসে। :rotfl: :rotfl:
@মুনিয়া মুশতারি,
আরেকজনের মন্তব্য চুষে রসারহন কি বুদ্ধিমতি নারীর পরিচয় আপু? পেটপাছা চাপরে তো বেশিদূর যাওয়া যায় না! তাতে মগজহীনতার প্রমাণ প্রকট হয়ে ধরা দেয়, তাই না? নারী উৎপাদনশীল। দেখিয়ে দিন, উৎপাদনে আপনিও কম যান না।
বেশি বেশি পুষ্টি নিন। তাতে করে সচল হবে মগজ। দুধ খান, এগিয়ে যান।
@সাইফুল ইসলাম,
কারো রসময় মন্তব্য চর্ব্য- চোষ্য – লেহ্য – পেয় যাই হোকনা কেন সেটা খেয়ে রস নিতে আমার আপত্তি নাই আর বুদ্ধিমান নারী মাত্রই রসের কদর বুঝে ও সেটি ভাং হবার আগেই চেখে দেখে। কিন্তু আপনার মন্তব্য তো রসও না, ভাং ও না। ওগুলো স্রেফ বমন। আমরা এখানে সবাই মিলে রস বানাই,ভাং বানাই আর আপনিই এক পাষাণ বেরসিক লোক যে কিনা অন্য আসর থেকে ভাং/রস খেয়ে এখানে এসে কেবল বমন করতে থাকেন। :)) :)) :))
বারে…… রস/ভাং খেয়ে আমরা মুক্তমনারা যদি একটু চাপড়া- চাপড়ি, একটু বেলেল্লেপনা না করি তবে আপনি তো বেশিদুর কমেন্ট করতে পারবেন না। আদিরস যার মগজে ভর করেছে সেকি আর বিবর্তনের প্রবর্তন বুঝবে?? তাই আপনার সুবিধার খাতিরেই আমরা রসালো আলাপ করে আপনার পেটপাছা চুলকে আপনাকে উস্কে দেই…। 😛
জি অবশ্যই আমি আপনার উপদেশ মতো দুধ খাব এবং এক্ষেত্রে আমি দুধ উৎপাদনশীল নারী গরুর সাহায্য নেব। আপনি নিশ্চয়ই এটি নিজে পরখ না করে আমায় খেতে বলেন নি? তাই না? :-s
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনার এ মন্তব্যের পর আমার আর কি বলার আছে?
এতদিন দেখেছি পাগল ছাগলে দেশ ভর্তি। তারা এখন ইন্টারনেটেও ঢুকে গেছে।
দেশটা কি ভন্ড,আহাম্মক, পাগল ছাগলের দখলে চলে যাবে ?
তাহলে তো ভবিষ্যৎ বড়ই অন্ধকার।
@বিদ্রোহী,
দেখুন, সাইফুল ইসলাম সম্পর্কে যা জানলাম তাতে মনে হচ্ছে উনি মুক্তমনায় অনেক আগে থেকেই যুক্ত। আমি নিজে মুক্তমনায় প্রথম এসেছি ১ বছর আগে। এখন আমার কি উনার সম্পর্কে ভাল-মন্দের সার্টিফিকেট দেয়া উচিৎ? কিন্তু আমি উনার কমেন্টগুলো দেখে খুবই অবাক হচ্ছি। আমাদের যদি লেখায় ভুলত্রুটি হয় তো উনি সেটা ভালভাবে বুঝিয়ে বললেই তো আমরা ভুলগুলো ঠিক করে ফেলি। কিন্তু তা না করে কেন উনি শুধু গালিগালাজ করছেন বুঝতে পারছি না। 🙁
@সাইফুল ইসলাম, ভাই, কি ব্যাপার, কেউ ইসলামের সমালোচনা করলেই আপনি চটে যাচ্ছেন কেন?
আলী সিনার এই লেখাটির অনুবাদক সাইফুল ভাই, আর আজকের সাইফুল ভাইয়ের তফাত দেখতে পাচ্ছি মেলা। :-s
ইসলামের বিরুদ্ধে কারো অভিযোগ থাকতেই পারে তবে সেটা জাতিগত বিদ্বেষের পর্যায়ে না গেলেই হল, কি বলেন আপনি?ধন্যবাদ ভাল থাকবেন। 🙂
@অর্ফিউস,
আপনার এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে একজন পাঠকের মন্তব্যের প্রতি উত্তরে সাইফুল ভাইয়ের তখনকার একটি মন্তব্য এখানে তুলে দিলাম-
সেই অনুবাদটা আমি মনে করি মুক্তমনায় আজও সর্বশ্রেষ্ট হিসেবে আছে। কারণ তার ভাষা ও শব্দ বিন্যাস।
@আকাশ মালিক, ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যটি সামনে আনার জন্য।
আমি লেখাটি পড়লেও মন্তব্য অংশ পড়ি নাই আগে । আজ আপনি এখানে মন্তব্যটি আনার পর আবার গেলাম ওই লেখায়।হুম এই মন্তব্য ওখানে আছে। সত্যই সাইফুল ভাইয়ের নিচের কথা গুলোর সাথে
ভবঘুরে সাহেবের দর্শনের মিল আছে, যদিও সাইফুল ভাই বলেছিলেন নরম ভাষায় আর ভবঘুরে ব্যবহার করেন কটু ভাষা!
অথচ আজ যে দেখি দু জনের আদায় কাঁচ কলায় সম্পর্ক, ঘটনা কি? 😕
এ যে দেখি উত্তর মেরু থেকে নিমিষে দক্ষিন মেরুতে গমন। :-s
@অর্ফিউস, সাইফুল ভাইয়ের আরো কিছু পুরাতন লেখায় চোখ বুলালাম।সত্যি অবাক লাগছে আমার!! 😕
@অর্ফিউস,
এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে খুব একটা লাভ আমাদের হবেনা। যেহেতু প্রশ্ন করেছেন তাই সংক্ষেপে শুধু বলবো- মানুষের মন, মনন, চিন্তা শক্তি, আশা আকাংখা সহ এই পৃথিবীর সব কিছুই আপেক্ষিক।
@অর্ফিউস,
বিদ্রোহী নামের উজবুকটাকে(নিক পরিবর্তন করছে শুধু, নইলে এই কাঠবলদ আর রেসিস্টটাকে আপনারা সবাই চেনেন) করা আমার প্রথম প্রশ্নটা দেখেন। তাহলেই বুঝবেন ওর উপ্রে খেপার কারন কী।
আমাকে আপনি প্রশ্ন করলেন, আর আমি শুরু করলাম আপনি মহাজ্ঞ্যানী না পন্ডিত এই বিশেষন দিয়ে। আপনি পারতে পারেন মাথা ঠান্ডা রাখতে ভাই, আমার অত লুতুরপুতুর ধৈর্য নাই। দুঃখিত।
আর ইসলাম সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে। ইসলাম সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি যেই সময়ের কথা বলছেন সেসময় থেকে খুব একটা পরিবর্তন হয় নাই তবে যেটা হয়েছে সেটা খুবই তাৎপর্যপূর্ন এবং মৌলিক। পরিবর্তনটা হয়েছে কৌশলগত। ভবঘুরের মতন দু চার হাজার মূর্খ মিলে সারাজীবন চেষ্টা করলেও সমাজের গুনগত কোন পরিবর্তন করতে পারবে না কারন ধর্মই সমাজের মূল নয়। ব্লগে ইসলাম বিরোধী লেখা লিখলেই কি সমাজ থেকে ইসলামের খারাপ দিক উঠে যাবে? এত সহজ সমাজ কাঠামো? আমি অন্তত তা মনে করি না। সমালোচনা অবশ্যই দরকার আছে তবে সেটা শুধু ব্লগে হিট আর সমালোচনা করার জন্যে সমালোচনা করে কোন লাভ নাই। আগে ঠিক করতে হবে উদ্দেশ্য, তারপরে কৌশল। ফাও প্যাচাল সবাই পাড়তে পারে নিজের অধিকারের দাবী তুলে(এবং সবার সেই অধিকার আছেও)কিন্তু তাতে উদ্দেশ্য পূরনে তার মূর্খতা আর বালখিল্যতাই প্রকাশ পায়। সংক্ষেপে বললাম। এই নিয়ে আলোচনা হবে ভবিষ্যতে।
@সাইফুল ইসলাম, ভাল উত্তর দিয়েছেন।না বিদ্রোহী কে আমি ঠিক ধরতে পারিনাই, তবে আপনি কার কথা বলছেন তা আন্দাজ করতে পারছি কিছুটা। আমার আন্দাজ যদি সঠিক হয় তবে বলব যে ওই ভদ্রলোকের বেশিরভাগ লেখা আমি খুব একটা মন দিয়ে পড়ি নাই কোনদিনই।
একেবারে শতভাগ একমত।আমি নবযুগ নামের আরেক ব্লগে ভবঘুরের এই লেখাটা দেখেই রেজিস্ট্রি করিয়েছিলাম। আমিও আপনার মত একই কথা বলেছি তবে মনে হয় না যে ওখানকার কারো আমার কথাগুলো মনঃপুত হয়েছে। একবার চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন ইচ্ছা করলে।এইখানে মহসিনা খাতুন নামের এক সক্রিয় ব্লগার আছেন যিনি কিনা রেফারেন্স ছাড়া গল্প লিখতে খুবই পারদর্শি।উনার সাথে উনার ধার্মিক বাবার কথপকথন 😕 ।পড়ে বেশ মজা পাবেন আশা করি। :))
নিশ্চয়ই আলোচনা হবে,ধন্যবাদ ভাল থাকুন। 🙂
@অগ্নি,
(Y)
আপনাকে ধন্যবাদ। আমি যেটা করিনি কিংবা দায় থেকে করতে পারিনি সেটা আপনি করেছেন। সরাসরি নাম বলে দেখিয়ে দিয়েছেন। ঐখানে যেসব আছে, ঐসবের তুলনায় এখানকার আলোচ্যরটি রীতিমত দুধভাত। তবে আপনি এই ধর্মীয় চরমপন্থার আঁতুড়ঘরের নাম উল্লেখ করতে ভুলে গিয়েছেন মানে যেখানে আক্ষরিক অর্থেই জেনারেল হেড-কোয়ার্টারস অবস্থিত। এর অবস্থান দেশের দক্ষিণআঞ্চলের সবচাইতে বিখ্যাতটিতে…… :-s
@সংবাদিকা,
উমম … আমার মনে হয় না অগ্নি ঠিক সেটা বলতে চেয়েছেন যেদিকে আপনি ব্যাপারটাকে নিয়ে যাচ্ছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে হিযু থাকার অর্থ তো এই নয় যে নর্থ সাউথে নেই বা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারটাকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করা যাবে না। বাঘ, সিংহ, তিমি, বাদুর, মানুষ সবাই স্তন্যপায়ী প্রাণী, কিন্তু তা বলে সবারই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট নেই তা তো নয়। বাদুড়কে নিয়ে বলতে গেলে তার কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট (যেমন আল্ট্রাসনিক বা অতিশব্দ তৈরি করে শিকার ধরার এবং পথ চলার ক্ষমতা আছে) উল্লেখ করা যেতে পারে যা মানুষ বা অন্য স্তন্যপায়ী প্রানীর নেই। তিমিরও আলাদা বৈশিষ্ট আছে যা আবার বাদুড়ের নেই।
সব ধর্মেই কমবেশি হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি আছে, কিন্তু যখন কোন স্পেসিফিক ঘটনা ঘটে তখন সেটা নিয়ে আলাদা করে আলোচনা তো করতেই হয়। ৯/১১ এর ঘটনার পর সবাই আলকায়দা এবং ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বেশি কথা বলবে, বৌদ্ধ কিংবা জৈন সন্ত্রাসীদের নিয়ে নয়, এটাই স্বাভাবিক না? যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্র নিউইয়ররকে গিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেওয়ার প্ল্যান করে, আর আরেক পাঁচ ছাত্র প্ল্যান প্রোগ্রাম করে ‘ঈমানী দায়িত্ব’ পালন করার জন্য নাফরমান ব্লগারকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে, তখন আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা দরকার পরে বই কি। বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও আদালত আজকে রুলিং দিয়েছে নর্থ সাউথ ‘সন্ত্রাসী উৎপাদনের ক্ষেত্র’ কি না তা তদন্ত করার, সেখানে ‘ঐসবের তুলনায় এখানকার আলোচ্যরটি রীতিমত দুধভাত’ বলাটা আপনার স্ববিজ্ঞাপিত। রাজীবের গলায় যখন চাপাতির কোপগুলো পড়ছিল, তার তখন সেটাকে দুধভাত মনে হয়নি বোধ হয়।
@অভিজিৎ, (Y)
@অভিজিৎ ভাইয়া,
:guru: :guru: :guru:
@অভিজিৎ,
আমি এখানে সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠানের ভেতর চরমপন্থার ব্যাপকতা এবং উৎপাদনের মাত্রা বুঝিয়েছি, কোন একটি ঘটনাকে নয়। রাজীবকে যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে তাদের নিজ কৃত কর্মের উপযুক্ত শাস্তি পেতে হবে। আশা করা যাচ্ছে ধৃত আসামীরা তাদের উপযুক্ত ন্যায় বিচার পাবে।
অসাধারন তথ্যসমৃদ্ধ লেখা।
@আরিফুর রহমান,
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
মুক্তমনা এডমিন-এই গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটিকে আগামি কালই অন্য প্রবন্ধের নীচে না নামিয়ে দিয়ে কম পক্ষে ৫-৭দিন সর্বোপরে রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত মাত্র।
এই সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল এই লেখাটি। বরবরের মতনই অসাধারণ লিখলেন দাদা।
এই বিশ্বাসের ভাইস নির্মূল করার জন্য সবার আগে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। আইন দিয়ে বা আইনের ভয় দিয়ে এই ভাইরাস কখনো নির্মূল করা যাবে না। তাই আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকেই এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আর তার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সচেতনা তৈরি করতে হবে। হিজবুত ও জামাত শিবির দরিদ্র মানুষদের এক কৌশলে এই দলে ভেড়ায় ঠিক অন্য কৌশলে ভেড়ায় উচ্চ শিক্ষিত ছেলেদের। এভাবে চলতে থাকলে দেশ আফগান হতে বেশি দিন লাগবে না। ঢাবি থেকে শুরুর করে বুয়েট সব জায়গায় আজ এই বিশ্বাসের ভাইরাস দেখা যাচ্ছে যা জাতির জন্য খুবই অশনিসংকেত।
@ Anwar,
কি বলতে চাইছেন আপনি? আমাদের বাংলাদেশ বদলে পাকিস্তান হয়ে যাক? পতাকা বদলে পাকিস্তানের পতাকা হয়ে যাক? আর শুধু কেবল ইসলামের বিশ্বাসটা ঠিক থাকুক না? তাহলেই কেবল সহিহ মুসলিম হওয়া যাবে। একটা কথা জিজ্ঞাস করি আপনাকে, আপনি যেভাবে ইসলামের জন্য নিজের মানচিত্র ,নিজের পতাকা সবই বদলে ফেলে পাকিস্তানের পতাকা লাগাতে পারেন তেমনিভাবে পাকিস্তানিরাও ইসলামের জন্য নিজেদের মানচিত্র ও পতাকা বদলে ফেলে বাংলাদেশের পতাকা ব্যাবহার করবে তো? নাকি আপনি ও আপনার দোসররা একচেটিয়াভাবে পাকিস্তানের পদলেহন করে পাকি পেয়ার বজায় রাখেন? আমি জানতে চাচ্ছি পাকি প্রেম কি আপনার একতরফা নাকি পাকিরাও আপনার জন্য নিজের পতাকা বদলাতে প্রস্তুত? আর যদি পাকিরা তাদের পতাকা ও তাদের ঐতিহ্য বদলাতে রাজি না থাকে তাহলে আপনি কোন স্বার্থে এতো পাকি প্রেমি? ইসলাম বিশ্বাস করলে বা প্রকৃত মুমিন হতে হলে কি নিজের দেশের নাম মুছতে হয়? নিজের দেশের হাজার বছরের ইতিহাস মুছে ফেলতে হয়? নিজের পরিচয় মুছে ফেলার নাম কি ইসলাম পালন? আল্লাহ কোরানের কোন আয়াতে বা হযরত মুহাম্মাদ কোন হাদিসে বলেছেন যে, সৌদি আরব বা পাকিস্তান বা কোন ইসলামি দেশের চামচামি না করলে মুসলিম হওয়া যাবে না। রাস্তায় কিছু টালমাটাল ছেলে মেয়ে দেখতে পাই। Western Culture নিয়ে তারা খুব মাতামাতি করে। নিজের দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এদের ভালো লাগে না। পহেলা বৈশাখ ভালো লাগে না কিন্তু 31st night এ চরম পুলক অনুভব করে। এই সকল প্রাণী ঘরের ঠাকুর রেখে বিদেশের কুকুরের পা চেটে মজা পায়। কারন, জন্মলগ্ন থেকে এদের কোন আত্মসম্মান নাই বা আত্মসম্মানের ধারনা দেয়া হয় নাই। আপনিও সেই ভাইরাসে আক্রান্ত। তবে আপনার কুকুর পাকিস্তানি। এই যা পার্থক্য। একজন বাঙ্গালির কাছে বাংলাদেশ হল তার আত্মপরিচয় আর ইসলাম হল তার আত্মার পরিচয়। যার কোন আত্মপরিচয় নেই লোকে তাকে বলে জারজ, আর জারজ কি ধর্ম পালন করলো তাতে কারো কিছু আসে যায় না। কারন, তার নিজের কোন পরিচয়ই নেই। তেমনিভাবে আমাদের কোন জাতীয় পরিচয় না থাকলে বিশ্বের মুসলিম দরবারে আমরা হবো জারজ মুসলিম জাদের কোন জাতিগত পরিচয় নেই। যেমনটি নেই ইসরাইলীদের ( আপনাদের ভাষায়)। তো আপনার চিন্তাধারা মোতাবেক লাভ ইউ পাকিস্তান বললে জাতীয় পরিচয় হারিয়ে , দেশের মানচিত্র হারিয়ে আমরা করানে বর্ণিত ইহুদীদের মতই যাযাবর জাতি হয়ে যাব আর কি।
@মুনিয়া মুশতারি,
আপনার মন্তব্য এবং আবেগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
@মুনিয়া মুশতারি,ম্যাডাম ইসলাম, পাকিস্তান আমার মাথা্ ব্যথার কারণ নয়, আমার বক্তব্য ধর্মবিশ্বাস নিয়ে। মানুষের ভূখন্ড এবং পতাকার পরিবর্তন তারা বার বার মেনে নেয়, কিন্ত বিশ্বাস ভূখন্ড আর পতাকা পরিবর্তিত হতেই থাকে। এই জীবনে বঙ্গদেশের গগনে ৩টি পতাকা উড্ডীন হতে দেখলাম। দু’টি নেমে গেছে। যার যার ধর্মবিশ্বাস একই আছে। আপনার চিন্তাভাবনা অগভীর, সবকিছুতে পাকিস্তান/ইসলাম আবিস্কার করার আগে নিজের নামের শেষাংশ বদলে ফেলুন। পাকিস্তান রাষ্ট্র মেনে নেয়ার নিবুদ্ধিতা বাঙ্গালীরাই দেখিয়েছিল। ইতিহাস পাঠ করুন।
@Anwar,
আপনার চিন্তা ভাবনা যে খুব গভীর তার কোন নমুনা কিন্তু এখনো তুলে ধরেন নি।
আপনার এ বক্তব্যের সাথে একমত। আসলেই বাঙালীরা নির্বোধ , তা না হলে এরা কিভাবে সেই ১৯৪৭ সালে আলাদা বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দাবী থেকে সরে গিয়ে বাঙালীদের চেয়ে বহু বহু পিছিয়ে থাকা অনেকটাই বর্বর পাকিস্তানীদের সাথে যোগ দিল। তখন বাংলাদেশের দাবীতে আকড়ে থাকলে ১৯৭১ নয় , ১৯৪৭ সালেই স্বাধীন দেশ পেতাম আর ধারনা করা যায়, দেশ এতদিন অনেকদুর এগিয়ে যেত। বাঙালী বার বার ভুল করে। এখন যেমন ভুল করছে জামাতের খপ্পরে পড়ে।
@বিদ্রোহী,
:guru: :guru: :guru:
@বিদ্রোহী, আপনি যথার্থ বলেছেন যে বাঙ্গালীরা নির্বোধ বলে পরের শাসনাধীনে থেকেছে। যখন নিজেরা নিজের দেশ শাসনের সুযোগ পেল তখন থেকে প্রমাণ করছে যে তারা কতটা অযোগ্য। বাঙ্গালী পরের কাঁধে বন্দুক রেখে শিকার করতে পছন্দ করে বলে দ্বি-জাতি তত্ব ছাড়া কিছুই বুঝেনি। ওই তত্ব না হলে বাংলাদেশকে আর স্বাধীনতার মুখ দেখতে হতো না। এখনো “মহান ভারতের” অংশ হয়েই থাকতে হতো। এখন যারা বলে যে দ্বি-জাতি তত্ব ভুল ছিল তারা তো ভূলটা শুধরানোর কথা বলেন না।
@অভিজিৎ ভাইয়া,
কোন ঘটনার ভিত্তিতে বীর বাঙ্গালিকে অযোগ্য বলা হইলো? কোনও পাকি আওলাদের নিজের মনগড়া কথা তো শুনবো না। কথাটা যদি এই সৌরজগতের কলংক পাকিস্তান ছাড়া অন্য কোনও সভ্য জাতি বইলা থাকে তাইলে এখানে সেটার প্রমান দিতে বলেন। প্রমান না দিতে পারলে এরপর কিন্তু আমি পাকি আওলাদের বাপের চৌদ্দ গুষ্ঠির যোগ্যতা খাস বাংলায় ধোয়া শুরু করবো। আপনি মডারেশন এর নাম কইরা সেসব বন্ধ করতে পারবেন না। চুদুর বুদুর বহুক্ষণ সহ্য করসি। :guli: :guli: :guli:
@মুনিয়া মুশতারি, আপনার অমার্জিত ভাষাই কি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয় যে, আপনি এবং আপনার সগোত্রীয়রা কতটা যোগ্য! দোষ আপনার নয়, যে কোন সংকর জাতি একই দোষে দুষ্ট।
@Anwar,
আমি ও আমার স্বগোত্রকে নিয়ে অহেতুক সমালোচনা করার যোগ্যতা ও অধিকার আপনার তখনি থাকবে যখন আপনি আপনার পিতা ও মাতার দিক থেকে পিওর বাঙালি রক্তের অধিকারি হবেন। আপনার রক্তে যদি দূষিত পাকি জীবাণু থেকে থাকে বা আপনি পাকি-বাঙ্গালি সঙ্কর প্রক্রিয়ার খচ্চর প্রজাতির প্রাণী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ম্যাতকার শুনে নষ্ট করার মতো সময় আমাদের হাতে নেই।
আপনাকে প্রমান দিতে বলেছিলাম যে পৃথিবীর কোন সভ্য জাতি বীর বাঙ্গালিকে অযোগ্য বলে। আপনি কোনও প্রমান জোগাড় না করে এখন আমার কাছ থেকে মার্জিত ভাষার দয়া ভিক্ষা চাচ্ছেন। আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গনতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থার প্রতি চরম অবাধ্য। আপনি আমার বাংলাদেশকে , আমার জাতিকে বহুবার অমার্জিত ভাষায় গালাগাল দিয়েছেন। সেই আপনি এখন এসেছেন আমাকে মার্জিত ভাষার জ্ঞান দিতে। আপনার লজ্জা করে না?
@মুনিয়া মুশতারি, বাঙালি জাতিকে খাঁটি করার উত্তরাধিকার তো আপনাদের, যারা সবোর্চ্চ বিদ্যাপীঠে ছাত্রী ধর্ষণের সেঞ্চুরী পালন করেন। রোমান সাম্রা্জ্যে দাস উৎপাদনের জন্য দাসীদের গর্ভবতী করা হতো। বাংলাদেশে তা করা যেতে পারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮০ লক্ষ বাঙালি (পাসপোর্টে বাংলাদেশী) জনশক্তি (দাস) বিদেশে কর্মরত থেকে শৌর্য বীর্যের প্রমাণ দিচ্ছে। বার্ষিক মুনাফা ১২ বিলিয়ন ডলার। খাঁটিকরণ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে একদিকে জাতিকে আকি-পাকি মুক্ত করা যাবে, অন্যদিকে মুনাফাও আরো বৃদ্ধি পাবে। আমার লজ্জা পাবার কোন যথার্থ হেতু নেই, কারণ বাংলাদেশের ৯৯% সংকরের মধ্যে আমি কৌলিন্য দাবীর মূর্খতা দেখাতে চাই না।
@Anwar,
তবে পাকি অসভ্যদের চেয়ে বাঙালীরা অনেক বেশী যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য । আর সেটাই হয়েছে পাকিস্তানের ভীষণ গায়ের জ্বালা। যে কারনে তারা যে কোন মূল্যে বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরী করতে বদ্ধ পরিকর। বাংলাদেশে বর্তমানে যে অশান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে তার পেছনে পাকিস্তানের শতভাবে ইন্দন আছে। দেখলেন না বেগম খালেদা জিয়া সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর পরই জামাত ইসলাম কি বিপুল উদ্যম উৎসাহে সারা দেশে ঝাপিয়ে পড়ল? পাকিস্তান চায় না বাংলাদেশ একটা সফল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাক, তাহলে তাদের কোন ইজ্জত থাকে না কারন তাদের দেশে তো গণতন্ত্রের বারটা বেজে গেছে। একই সাথে প্রমানিত হয়ে যায় যে পাকিস্তান ভেঙ্গে যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল সেটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। বাংলাদেশকে অশান্ত ও বিশৃংখল করে পাকিস্তান প্রমান করতে চায় যে পূর্ব পাকিস্তানই ভাল ছিল। বাংলাদেশের এক শ্রেনীর জারজের দল সে সব বুঝেও বোঝে না। আমেরিকারও এর পেছনে সায় আছে মনে হয়। কারন বাংলাদেশকে অশান্ত করতে যে বিপুল অর্থ পাকিস্তান ব্যয় করে তা আবার তাকে আমেরিকা সরবরাহ করে। পাকিস্তানের দরকার অশান্ত বাংলাদেশ, আমেরিকার দরকার ইসলামী মৌলবাদী কবলিত জঙ্গী বাংলাদেশ- উভয়ের চাওয়ার এক দারুন মেল বন্ধন।
এত কিছুর পরেও কি হাসিনা জামাত শিবির কে নিষিদ্ধ করবে? কোন লক্ষন এখনো দেখতে পাচ্ছি না।
জামাতী হান্নান শাহর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন কিন্তু ওনাকে মুক্তমনার ই-মেইল ফোরামে অবাধে প্রপাগন্ডা ছড়ানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ওনার ব্যাপারে কিছু করছেন না কেন?
@হোরাস,
এটা একটা ভাল কথা বলেছেন। হান্নান আমাদের মূল সাইটে (বাংলা বা ইংরেজী ব্লগে) কোথাওই নেই। কিন্তু একটা চিপা দিয়ে ইয়াহুগ্রুপে রয়ে গেছে। আসলে ইয়াহুগ্রুপটা বহু পুরানো। আসলে মুক্তমনা তৈরির প্রাথমিক লগ্নে ওটা করা। বহু বারোয়ারি লোকজনে ভর্তি হয়ে গেছে। হান্নানও কোত্থেকে এসে যেন জুটেছিল। নিজস্ব প্রোপাগান্ডা চালালেও ব্যাটা যেহেতু কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছে না, তাই বের করে দেয়া হয়নি কখনোই। তবে হয়নি বলে যে হবে না তা নয়। আপনি যখন বলছেন, তখন এটা নিয়ে আসলেই ভাবা দরকার।
তবে হান্নান থাকার ফলে একটা উপকার আছে কিন্তু। হান্নান ওখানে থাকায় তাকে অনুসরণ করা অনেক সহজ। জামাতি পরিকল্পণাগুলো আমি চাইলেও না হয় জানতে পারতাম না। জামাতি সাইটগুলোতে কে আর যেতে চায় বলুন! মুখের সামনেই জামাতী প্রোপাগান্ডা যদি রেডিমেট পাওয়া যায়, তবে সে সুযোগ কে হাতছাড়া করে। এই লেখাটা লেখা গেছে, কারন হান্নানকে আমি অনুসরণ করতে পেরেছি। আমার এই লেখা কিংবা জাফর উল্লাহর মুন্সি-হান্নান-মোবিন চৌধুরী – থিমাস্কেটিয়ার্স্কে নিয়ে লিখে মুখোশ উন্মোচন করা সম্ভব হত না যদি না তাদের অনুসরণ করা যেত। এটাও মাথায় রাখতে হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতির সুযোগ নেই অথচ সেখানে ধর্ম পালন ও প্রচারের সুযোগ বিস্তর। সেটাতে কেউ বাধা দিতে পারে না। সুতরাং এসব জায়গাতে একচ্ছত্রভাবে ইসলামী মৌলবাদের বিস্তার ঘটবে তাতে আর আশ্চর্য হওয়ার কি আছে। এসব শিক্ষিত মানুষদের মাথা খাওয়ার জন্য এক জোকার নায়েকই যথেষ্ট। এই লোকটিই এদের মাথা নষ্ট করে দিয়েছে এই বলে যে বিজ্ঞানের সব সূত্র কোরানের মধ্যে আছে। সুতরাং তাই যদি হয় তাহলে ইসলাম নিয়েই তো পড়ে থাকা সবচাইতে বুদ্ধিমানের কাজ। আর এর পর যদি এদেরকে মুনাফিক বা নাস্তিক মারার সুযোগ দেয়া হয় তাহলে তো তারা সাথে সাথেই লুফে নেবে কারন একজন জিহাদীর মর্যাদা ইসলামে সবচাইতে বেশী। মরলে শহীদ আর সোজা বেহেস্ত, বাঁচলে গাজী, বিপুল সম্মানের সাথে বসবাস- এ সুযোগ কোন পাগলে ছাড়ে ???
@বিদ্রোহী,
একেবারে বুলস আই! (Y)
আমি আমার চলমান সিরিজ লিখতে গিয়ে এ বিষয়ে সামান্য ঘাটাঘাটি করে আঁতকে উঠেছিলাম, এ কারনে আঁতকে উঠেছিলাম যে এমন ভয়াবহ সব জিনিস দেশের নামী দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খোদ রাজধানী শহরে নাকের ডগায় পয়দা হচ্ছে অথচ সুশীল সমাজের তেমন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। সুশীল সচেতন মিডিয়া ব্লগ সব মত্ত আছে কেবল ‘৭১ সালের কয় বাছা বাছা রাজাকারের ফাঁসি নিয়ে। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা হচ্ছে অথচ আমাদের এখানে কিছু পত্রিকার বিচ্ছিন্ন রিপোর্ট বাদে তেমন কোন উত্তাপ নেই। জামাত ফোবিয়ার পরিমান এমনই যে জামাত শিবির লেবেল বাদে কিছু আর পাবলিকে তেমন গেলে না। ওসব পত্রিকার রিপোর্ট ব্যাপক মিডিয়া এটেশন পেত হিতার যায়গায় জামাত শিবির লাগিয়ে দিলে।
এমনকি আমার লেখায় আমি নর্থ সাউথের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছিলাম। ট্রেন্ডটা অত্যন্ত মারাত্মক, মৌলবাদী সন্ত্রাসী বলে মাত্র কিছুদিন আগেও যেমন দারিদ্র পীড়িত আধা শিক্ষিত মাদ্রাসা ছাত্র মার্কা চেহারা মনে আসত সেই ট্রেন্ড ভেঙ্গে যাচ্ছে। শিক্ষিত প্রফেশনাল শ্রেনী ও উচ্চশিক্ষিত যুবসমাজও মৌলবাদের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। লেখার শেষে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়েরএকটি গবেষনা পত্র আছে যেটা অবশ্য পাঠ্য।
মিডিয়া ও সুশীল সমাজের জামাত প্রীতির কারনে ফলাফল অত্যন্ত চমতকার হবে। জামাতিরে লেবেল বদলে হিতার মত সংগঠনে ঢুকে পড়বে ব্যাপক মাত্রায়, ব্যাস নিরাপদ আশ্রয়, এটাই ঘটছে। জামাতি বাদে তো আর দেশে উগ্রবাদ, মৌলবাদ, স্বাধীনতা বিরোধী এসবের প্রশ্নই আসে না আমরা জানি। সব দেশেই অতীতেও তাই ঘটেছে। সমস্যার মূলে কোন রকম টোকা না দিয়ে কেবল নিষিদ্ধ করাকরিতে এসব আদর্শ ভিত্তিক কাল্ট জাতের সংগঠনের কেবল দলীয় লেবেল বদল হয়।
নিয়াজ মোর্শেদের স্ত্রীর অভিজ্ঞতা বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, এটা গবেষনাতেও উঠে এসেছে। খুব লক্ষ্যনীয় যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষগুলির হাত পা আমাদের অতি আদরের ধর্মীয় সংস্কৃতির কাছে অনেকটা বাধা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, তাতেও হিতার সমস্যা হচ্ছে না, বরং সুবিধেই হচ্ছে বলা যায়, কারন তারা খালি মাঠে গোলের সুযোগ পাচ্ছে। এ কারনে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জামাত শিবির নেই, আচে হিতা। হিতা জাতের উগ্র দলগুলি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আসে না, আসে ধর্মীয় সংগঠনের আড়ালে, শুরু করে কোরান তাফসির জাতীয় ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল দিয়ে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপত্তি করতে পারে না সংগত কারনেই। এর সাথে সাথেই চলতে থাকে মগজ ধোলাই, কি নিরাপদ ব্যাবস্থা। জামাত শিবির প্রকাশ্যে ‘৭৫ এর পর এসেছিল ঠিক, কিন্তু তারা সংগঠন গুছিয়েছিল এভাবেই ধর্মীয় সমাবেশ ওয়াজ মাহফিলের আড়ালে। এক শ্রেনীর ধর্মোন্মাদ চিরকালই এদের নীরবে এবং সরবে সমর্থন দিয়ে এসেছে। মুক্তমনাকে উঠতে বসে গালিগালাজ করা এক বাংলা সাইটেই হিতার গুনগান করা মন্তব্য আছে যেগুলি সে সাইটের প্রগতিশীল সদাশয় সম্পাদক সাহেবও কোন আপত্তি করেননি।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার সিরিজটা মহামূল্যবান একটা সিরিজ। নাফিসকে নিয়ে যে লেখাটা আমি নির্মান ব্লগে দিয়েছিলাম, সেটয় আপনার সিরিজটার উল্লেখ ছিল।
এই পঞ্চম পর্বটায় নর্থ সাউথের কথা এনেছিলেন তা একেবারেই ভুল গিয়েছিলাম। মনে থাকলে আমার লেখাটা আরেকটু সমৃদ্ধ হত।
@আদিল মাহমুদ,
ভাই, আপনি একটা রচনা চট জলদি লিখে ফেলেন। এতো মধুর মন্তব্য করেন, লেখা দেবার ব্যাপারে কৃপনতা কেনো ভাই? :-X
@আফরোজা আলম,
লিখতে গেলে দেখি মধুর কোন পাত্তা নাই, খালি বিষ বার হয়, তাই বিষ আর সহজে ঢালি না :)) ।
গতকাল আমি বাংলাদেশে একভদ্র লোকের সংগে ওখানকার বর্তমান পরিস্থিতি ও জনমত জানবার জন্য আলাপ করতেছিলাম।
তিনি বল্লেন, এই মুহূর্তে স্থানীয় চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনগন,মুছল্লী,ইমাম,অনেকগুলী মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রবৃন্দ,ও তাবলীগিদের লয়ে একটি বিরাট জনসমাবেস করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের জীবন থাকতে ইছলাম কে ধংস হতে দিবেনা। প্রয়োজনে তারা যুদ্ধাপরাধীদের প্রান রক্ষার্থে নিজেদের জীবন দিতে প্রস্তুত। তারা শাহবাগের আন্দোলন কারী নাস্তিকদের হত্যা করতে প্রস্তুত। দরকার হলে তারা সেখানে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সংগে জিহাদে অবতীর্ণ হইবে।
তারা আওয়ামীলীগ সরকারের এখনি পতন ঘটিয়ে ধর্মীয় দল বিএনপি-জামাতের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দিবে।
একই অবস্থা সেখান থেকে ২০-২৫ মাইল দূরবর্তী অঞ্চল গুলিতেও ঠিক একই অবস্থা।
ধর্মীয় বিশ্বাষের ভাইরাছ হতে মুক্ত হওয়ার কোনই কারণ নাই কারণ ধর্ম যেখানে মৃত্যু পরবর্তী একটা সুখী জীবন প্রদানের নিশ্চয়তা দান করতেছে এবং সে দায়িত্বটা নিয়েই নিয়েছে।
কোন বিজ্ঞানই তো এটা খন্ডন করতে পারতেছেনা এবং এর চেয়ে অধিক কিছুও দেওয়ার দায়ীত্ব ও নিচ্ছেনা।
সেখানে বিজ্ঞান, ধর্মের নিকট অতি তুচ্ছ ও নগণ্য।
মানুষ সব সময় যেটায় অধিক লাভবান হওয়ার অঙ্গীকার পায় সেই দিকেই ঝাপিয়ে পড়ে।
আমি অনেক বড় বড় শিক্ষিত লোকদের দেখতেছি যারা আগে কোনদিন ধর্ম পালন করতোনা, এখন তাদের মুখে দাড়ী, নিয়মিত মসজিদগামী, মসজিদে বড় বড় দান কারী।
আমি অনেক বড় বড় শিক্ষিত লোকদের দেখতেছি তারা নিয়মিত তাবলীগ করতেছে, তাদের উজ্জল সম্ভাবনাময়ী তরুন সন্তানদের মাদ্রাসায়,দিয়েছে,হাফেজী পড়তে দিয়েছে,এবং তাবলীগে পাঠাচ্ছে তাবলীগে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
আমেরিকার মত দেশেই এরুপ ঘটতেছে।
ধর্মীয় বিশ্বাষের ভাইরাছ দূরীভুত করতে হলে শুধু বিজ্ঞান শিক্ষা দিয়েই হবেনা, বিজ্ঞান ধর্মীয় বিশ্বাষের কাছে পরাজিত হয়ে যাবে।
ধর্ম বিশ্বাষের ভাইরাছ কে পরাজিত করতে হলে ঠিক সেই ধর্ম দিয়েই করতে হবে। সেই বানীর অসারতা,অযৌক্তিকতা ও বিজ্ঞান বিরোধিতা জন সম্মুখে চাক্ষুষ তুলে ধরে প্রমান করিয়ে দিতে হবে। এই ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নাই।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমরা সবাই তালেবান , বাংলা হবে আফগান!
অশিক্ষিত টেররিস্ট দের থেকে শিক্ষিত টেররিস্টরা বেশি ভয়ানক হয়। এই উইনিভারসিটির ওই ছাত্র গুলো তাঁদের সুন্দর সোনালী দিন গুলি এই ভাবে হেলায় নষ্ট করছে। আনুকম্পা হয়।
১। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন আছে। শুধু নর্থ সাউথ নয়। অন্যান্য অনেক বিশ্ব-বিদ্যালয়ে এটা আরও প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বেশি। তবে এখন বোদ্ধাদের একটি বিষয় ভাবার সময় হয়ে আসছে, শুধু দারিদ্রতা কিংবা অর্থাভাব জঙ্গিবাদ-চরম পন্থার অন্যতম কারন নয়।
২। ৯০ এর দশকে (আপনার সময়) তখন কি ছিল আমি চাক্ষুষ জানিনা; কিন্তু এই শতাব্দীর প্রথম দশকটিতে যারা দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে কিছুদিনের জন্য হলেও পড়াশুনা করেছেন তারা জানেন ওখানে কিংবা তার পাশের আরও বিখ্যাতটিতে এই সব আরও কত ব্যাপক। তাই বলে প্রতিষ্ঠান মাত্রই এই দোষে দূষিত নয়।
৩। নাফিসের বিষয়টি মনে হয় এখানে অপ্রাসঙ্গিক। তার মগজ ধোলাই এই দেশে হয়নি।
৩। আপনার মত এমন একজন দায়িত্ববান ব্যক্তির লেখার শিরোনাম নির্বাচনে আরও গভীর উন্মেষন আশা করি।
@সংবাদিকা,
দারিদ্র কোনকালেই জঙ্গিবাদের কারন ছিল না, জঙ্গিবাদের কারন প্রাচুর্য।সৌদি পেট্রোডলারের আগে কি মুসলিমদের ভিতর সন্ত্রাসবাদ এত প্রবল ছিল?সমাজে সচেতনতা আসার আগেই সৌদির হাতে এই তেলের খনি চলে আসার দরুনই এই সন্ত্রাসের এত বিস্তার।
@সংবাদিকা,
কেমনে জানলেন আপনি তার মগজ ধোলাই এই দেশে হয় নি ? নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে কচি ছেলেগুলোর মগজ ধোলাই হচ্ছে তা তো দেখতেই পেলেন, নাসিফও তো সেখানেই পড়ত। তার পর সে আমেরিকায় যাওয়ার একবছরও হয় নি , ফেডারেল রিজার্ভ উড়ানোর চক্রান্ত করে বসল। তার মানে কি ? মানে একটাই সে আমেরিকাতে পড়তে যায় নি। যে কোন ভাবে হোক আমেরিকায় গিয়ে একটা বড় সড় ক্ষতি করবার ভুত তার মাথায় চেপে গেছিল। কারন তার মাথাতে ঢুকানো হয়েছিল আমেরিকা হল শয়তানের দেশ যে ইসলাম ও মুসলমানদের বহু ক্ষতি করছে। লাদেনের আদর্শ ও সাফল্যে উজ্জীবিত হযে সে ছাত্র ভিসা নিয়ে আমেরিকা যায় পড়তে নয় , একটা মহা ক্ষতি করতে। আমেরিকার এফ. বি. আই. এখন এসব জানে , জানে বলেই তারা ইন্টারনেটে ফাঁদ পাতে, ফাঁদ পাতার জন্য তাদের বিরাট সেল আছে। তাদের কাজই হলো কারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমেরিকার বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াচ্ছে বা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। সেই পাতা ফাঁদে পা দেয় নাফিস। আমেরিকায় কিছু নও মুসলিমও আছে যারা আমেরিকাকে ঘৃণা করে , নাফিস সেটাও জানত ,তাই একজন আমেরিকান যখন তাকে সাহায্য করতে চায় ধরেই নেয়া যেতে পারে সে নিজেকে নব্য মুসলমান বলে পরিচয় দিয়েছিল। আর তারপর যা ঘটেছে সেটা তো সবাই জানে।
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে দিয়ে তো কোন লাভ নেই। আগে আমাদের দুর্বলতা ও দোষ স্বীকার করতে হবে তাহলেই সমাধান বেরিয়ে আসবে। আর যদি নিজের দোষ না স্বীকার করে অন্যের ওপর চাপিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করা হয় , পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হতে বাধ্য। এখন আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা একটা আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই নাকি , আফগানিস্তানের মত তালেবানী দেশ চাই। মধ্যবর্তী কোন অবস্থান নেই।
@বিদ্রোহী,
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এ কথাগুলো আমি বলতে চাইছিলাম সংবাদিকাকে, কিন্তু তার আগে আপনিই খুব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আমারও মনে হয় যে ছেলেটি আমেরিকায় এক বছর হলো গিয়েছে, সেখানে গিয়েই রাতারাতি জিহাদী হয়ে উঠল, ব্যাপারটা এত সরল নয়। নাফিসের মননের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল আমার মতে দেশেই, এবং সম্ভবতঃ নর্থ সাউথে পড়ার সময়ই।
@বিদ্রোহী,
আমেরিকায় নাকি বাংলাদেশে ধোলাই পর্ব হয়েছে সেটা কি খুব বড় ব্যাপার? ধোলাই পর্ব কেবল আমেরিকায় হলে ঘটনা আরো গুরুতর। এটাকে শুধু নর্থ সাউথ এমনকি বাংলাদেশ পরিমন্ডলে চিন্তা করলেও প্রকৃত কার্যকারন বোঝা যাবে না, এক দল চীতকার শুরু করবে সবই জামাত শিবিরের কাজ, জামাত শিবির ফাঁসি দিয়ে নিষিদ্ধ করে দিলেই সব সমাধা হয়ে যাবে।
নাফিস বাদ দিলে এমনকি আমেরিকা ব্রিটেনের মত দেশে জন্মগ্রহনকারী/শিক্ষা লাভকারি লোকজনের ভেতরেও এরকম মগজ ধোলাই প্রবনতা আসার উদাহরন আছে।
আদিল ভাই, ধোলাই টা কোথায় হয়েছে এটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ন। মাসুম ছেলে নাফিস যে মার্কিন শয়তানের সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার এই বিশ্বাসে তো দেশে বিদেশে আওয়ামী-বিএনপি-জামাতী সবার মধ্যে এক অপূর্ব মতৈক্য দেখেছি। এই পাচটি নর্থ-সাউথে এর ছেলের সাথে এখনো মার্কিন কানেশশন বের হয় নি মনে হয়। তবে বের হতেও পারে, নর্থ-সাউথতো আবার বাংলাদেশের প্রথম আমেরিকান এফিলিয়েটেড প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি।
@সফিক,
:))
কাল পাকিস্তানের শিয়া এলাকায় বোমা হামলায় ৪৫ জনের মৃত্যুর পর ইমরান খানও দেখলাম বানী দিয়েছেন এগুলি সবই বিদেশী ষড়যন্ত্রের অংশ।
বনানী থেকে বারিধারা আর কতদুর? সম্পর্ক তো বোঝাই যায়।
জামাত শিবিরও আসলে আমেরিকারই সৃষ্টি সেটাও কি নুতন করে বলে দিতে হবে? তলোয়ারের জোরে ইসলাম কায়েম করার প্রবক্তা জেহাদী ধর্মগুরু মওদুদী তো মারা গেছিল শেষে সেই শয়তানের দেশ কুফফার শ্রেষ্ঠ আমেরিকাতেই।
@আদিল মাহমুদ,
ঠিক বলেছেন।আচ্ছা ভাই কানাডাতে মাদ্রাসা কেমন?আমি শুনেছি যে ব্রিটেনে নাকি অলিতে গলিতে মাদ্রাসা আছে?জানি না কথাটার সত্যতা কতখানি।
এইসব পশ্চিমাদেশেও কেন মানুষের মগজ ধোলাই হতে পারে সেটা নিশ্চই আপনাকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এর মুল কারন হল অতি উদারতাবাদ।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাইর দেয়ার দরকার আছে,দরকার আছে গনপ্রতিরোধের।
এইযে ইউরোপের অনেক দেশে যে হিজাব বিরোধী আইন হচ্ছে, এটা খুবই ভাল বলেই মনে হয় আমার।
(অন্তত ধর্মের নামে জোর করে বা মগজ ধোলাই করে হিজাব পরানো বন্ধ হোক।)
@অর্ফিউস,
কানাডাতে মাদ্রাসা জাতীয় প্রতিষ্ঠান ব্রিটেনের মত অতটা নেই, কিছু আছে। মাদ্রাসা মানেই, এমনকি ধর্মীয় শিক্ষা মানেই মন্দ বা উগ্রবাদী হবে এমন কোন কথা নেই, কথা হল সেখানে ধর্মের কোন দিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এসব দেশের উদার নৈতিক ব্যাবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বিষময় শিক্ষা চালানোর প্রচেষ্টা হয়, আমার সিরিজে তার কিছু উদাহরন আছে।
আমেরিকায় ৯১১ এর আগে লোকে, এমনকি পুলিশ এফবিআইও এসব সাম্প্রদায়িক/জেহাদী কথাবার্তা তেমন পাত্তা দিত না যার কারনে তাদেরকে পরে বহু সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। এখনো পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের কারনে অনেক সময় এড়িয়ে যাওয়া হয়, বিশেষ করে যেসব এলাকায় এরা সংখ্যাগুরু সেসব এলাকায় ভোটের রাজনীতিরও ব্যাপার এসে পড়ে।
বাংলাদেশের বাইরে সম্ভবত যুদ্ধপরাধী বিচার বাতিলের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী ক্যাম্পেন চলে ব্রিটেনে।
বোরখা হিজাব বিরোধী আইন শুধু ইউরোপে নয়, কিছু মুসলমান প্রধান দেশেও হয়েছে। সেসব দেশের মোল্লা আলেমরা কেন তোলপাড় করে জেহাদে নামে না কে জানে।
@আদিল মাহমুদ,
এইটাই আসল কথা।মৌলবাদীরা সূচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধহস্ত।এইটাই মানুষ বুঝে না, এমনকি এই মুক্ত মনাতেই এমন কিছু মানুষ আছেন। ভাল কথা আপনার সিরিজটা শেষ হবাএ অপেক্ষায় আছি।তার পর ৪র্থ পর্ব থেকে পুনরায় পড়া শুরু করব।প্রিয় কিছু লেখা মাঝপথে থেমে গেলে, আমার আবার ঘুম আসে না।এজন্যেই আমি কোনদিন টিভিতে ধারাবাহিক কোন নাটক দেখি না শেষ হলে নেট থেকে নামিয়ে একসাথে দেখি 😀 !( যতখানি সম্ভব একসাথে!)
আর কোন সন্দেহ নাই আমার, সেইদিন আপনার দেয়া লিঙ্কের পর, যেখানে সপ্তম নৌবহরের কারসাজী আসলে ইঙ্গ-মার্কিন যৌথ অভিযান এটা জানার পর।
চ্যাং মাছ চেনেন?আপনার ওই লিঙ্ক পড়ার পর আমার কেন জানি একটা প্রবাদ বার বার মনে হচ্ছে।
সব মাছ গু খায়, চ্যাং মাছের নাম হয় :-O
এখন দেখি যে আমেরিকা যে কাজগুলি করে, তার দোস্তদের সাথে নিয়েই করে যদিও দোষ হয় বেচারা এক আমেরিকার!!!
বোধহয় সবদেশ বাংলাদেশ না, সেটাই এর কারন।আচ্ছা জানতি হিসাবে আমরা এমন কেন?
এটা কি মানসিক সমস্যা নাকি জেনেটিক?বুঝি না আমি। বিজ্ঞান লেখকরা ভাল বলতে পারবেন হয়ত।আপনি জানলে বলে দিন।সত্যি জিনিসটা আমাকে ভাবায়। সব উন্মাদনা কেন এই দক্ষিন এশিয়ায় হয় কে জানে!! :-s
@অর্ফিউস,
পড়ুন,
আচ্ছা জাতি হিসাবে আমরা এমন কেন? 🙂
@অর্ফিউস,
এ মুহুর্তে দেশের সচেতন প্রগতিশীল জনতার সবচেয়ে বড় শত্রু হল জামাত শিবির। ঠিক কিনা?
এ জামাত শিবির কার বা কাদের টাকায় গায়ে গতরে এত বড় হয়েছে? আমেরিকা নাকি আরবের?
এবার একটু মেলান এ দেশে দলমত নির্বিশেষে আমেরিকাকে গালি দেওয়ার পরিমান কত আর আরব দেশ যারা জামাত শিবিরকে পেলে পুষে বড় করেছে তাদের সমালোচনা করার লোক কয়জন পান। আরবের প্রত্যক্ষ মদদ এবং অর্থ সাহায্যে গোলাম আজম পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন পর্যন্ত শুরু করেছিল যা সরাসরি আমাদের দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার চেয়ে কম ছিল না। সেই টাকার কিছু চুরি করে সে লন্ডনেও বাড়ি বানায়। এসব কথা আবার বলা যাবে না, আরেক জুজুর ভয় দেখানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রম বাজার থেকে বাংগালীদের ফেরত পাঠিয়ে দেবে।
আমেরিকানরা এতই খারাপ যে তাদের নামে যতই গালিগালাজ করেন তারা এমন হুমকি দেয় না। নিজেরা খালা বোনঝি মিলে চুরি চোট্টামি করা হবে আর দূর্নীতির অভিযোগ আসলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আমেরিকার ভয়াবহ ষড়যন্ত্র নিয়ে সুশীলরা বিভোর হবে।
@আদিল মাহমুদ,
তাতো অবশ্যই। এমনকি ননজামাতী ধার্মিকরাও সেটা বলে থাকে।
নাউজুবিল্লাহ।আমেরিকা হল নাসারা মুলুক, আর সৌদি হল দিনের নবীর মুলুক।এই দুইটার নাম একসাথে নেনে এমন সাহস আপনার :)) ।
অথচ কেউ দেখলই না যে এই নাসারা আমেরিকাকে না হলে মুসলিম সৌদি আরেক মুসলিম ইরানের কাছে অনেকদিন আগেই ডলার পর ডলা খেয়ে শেষ হয়ে যেত।তবু মুসলিম ভাই ভাই, এইটা বুঝা লাগবে না?
ইরাকের উপর যখন ন্যাটো হামলা হল কুয়েত দখল করা নিয়ে,আমি তখন অনেক ছোট। তবু বাঙ্গালীর আমেরিকা বিরোধী মিছিল আমার মনে আছে।
অথচ দেখেন সিরিয়ায়র মত আমেরিকার জন্ম শত্রুও মনে হয় আমেরিকার পক্ষে যুদ্ধে নেমেছিল তাই না?আচ্ছা তখন জর্জ বুশের( পিতা বুশ) বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের এই বিক্ষোভের কারন কি ছিল? আমেরিকা তো কুয়েতকে বাচানোর জন্যেই আক্রমন্টা করল। নাকি কুয়েত কে সাদ্দামের কবজায় রেখে দিলেই ভাল হত?
আসলে এইখানে ঘটনা হল যে আমেরিকাকে দোষ দিলে মনে হয় পুন্য হয় তাই এই ব্যবস্থা।
সেকি এটা কবেকার ঘটনা? আমি জানি না কিছুই!তবে এমন হলে এই জামাত আর তার গুরু গোলাম আজম এখনো বাংলাদেশে আছে কি করে??? :-O
অথচ ভারতীয়রা বাংলাদেশী শ্রমিকদের চেয়ে মেলা টাকা বেশি পায় একই কাজ করে,এইখানে আরবদের কাছে মুসলমান বড় না, তারাই বড় যাদের গায়ে জোর বেশি, এইটাও কাউকে বুঝানো যায় না।
এইটাই হল ভন্ডামী।অনেক সমাজতন্ত্র মানসিকতার লোকেও দেখি, আমেরিকা থেকেই আমেরিকাকে গালি দিচ্ছে, অথচ সমাজতন্ত্রী দেশে যেমন উত্তর কোরিয়ায় বসে সমাজতন্ত্রের সমালোচনা করলে, অনেকটা ব্লাস্ফেমীর পর্যায়ের অপরাধ হিসাবেই গন্য করবে সেটাকে সমাজতন্ত্রী রা!!
অবাধ পুঁজিবাদ হয়ত ক্ষতিকর, তবে মিশ্র অর্থনিতি সেই সাথে বাক স্বাধীনতাই আসলে সব থেকে ভাল বলেই মনে হয়।
তবে বাক স্বাধীনতা বেশি বেড়ে গেলেই এমনটা হয়।
@অর্ফিউস,
– এইটা জানেন না তো জানেন কি? তাকে শুধু এই কারনেই রাষ্ট্রদোহিতা মূলক মামলায় ফাঁসানো যায়। কর্নেল তাহেরকে রাষ্ট্রদোহিতা মামলায় ফাঁসি দেওয়া গেলে (হত্যা মামলা না) একে কেন দেওয়া যাবে না?
এই নিয়ে বাংলা ব্লগেই বহু লেখা আছে, আপাতত এইটা পড়েন,
http://www.sachalayatan.com/tanveer/13238 । পিয়াল ভাই এর এক লেখায় পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধারের জন্য তার দল বলের চাঁদা তোলার রশিদের ছবিও আছে, আমার ব্লগে ওনার পুরনো লেখা ঘাঁটলে পাবেন।
আরবদের নিয়ে আমার কিছু বলার নাই, বলার আছে তাদের দেশী দালালদের নিয়ে।
কুয়েত ইরান যুদ্ধের সময়কার আমাদের দেশের ঈমান্দার ভাইদের অদ্ভূত মানবিকতার বিবরন আমার সিরিজে পাবেন। এতে অবাক হবার কিছু নেই, মুসলমানের হাতে মুসলমান মারা পড়লে কোন সমস্যা নাই, যখন কাফের আক্রমনকারি মুসলমানদের কবল থেকে মুসলমানদের বাঁচাতেও আসে তখনই কাফেরদের বিরুদ্ধে ঈমান চাগিয়ে ওঠে। বাপের ব্যাটা সাদ্দাম সমর্থকদের তর্জন গর্জন এখনো মনে আছে।
প্যালেষ্টাইনী ভাইদের জন্য সকলের মন কাঁদে, সাদ্দাম বাহিনী কুয়েত ছাড়ার পর যে সেখানকার রিফিউজি প্যালেষ্টাইনীদের ওপর কুয়েতিরা কি অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছিল সে কাহিনীও মুসলমান বিশ্বে অজানা। জেনে কি হবে, আক্রমনকারি/অত্যাচারী কাফের নাছারা ইয়াহুদী কিনা সেটা হল আসল কথা। পুরো চিন্তা চেতনা হল মুসলমান অমুসলমান।
@আদিল মাহমুদ,
:))
আসলেই ভাই মাঝখানে সব খবর পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম।
সচলায়তনের এই লিঙ্কটা কাল পড়ব নি।এত রাতে আর নতুন টপিক না।তবে সত্যি বুঝতে পারছি যে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িতে বিরক্ত হয়ে দেশের পড়া বন্ধ করে দিয়ে মারাত্বক ভুল করেছিলাম।বলা চলে নিজের পায়ে কুড়োল মারা। 🙁
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসীর খবরটাও পাই এই মুক্ত মনাতে অভিদার একটা মন্তব্য পড়ে। তার পর থেকেই আবার নিজ দেখা আর পড়া শুরু করেছি পুনরায়!! 😕
এজন্যেই মনে হয় মীরজাফর হয়ে ওঠে একটা গালি, আর গোলাম আজম থাকেন হুজুরের মর্যাদায়, অন্তত যারা তাকে হুজুর মানেন না প্রকাশ্যে, তাঁরাও আড়ালে আবডালে লোকটা যে আসলে অতটা খারাপ না সেইটা বুঝিয়ে দিতেও কসুর করে না!! :-s :-Y
@অর্ফিউস, শুনেন আদিল ভাই, লেখাটা ভাল করে পড়া লাগবে।সে সব সালের রেফারেন্স দিয়েছেন ওই লেখক, ওইগুলা আমার জন্মের আগেকার সাল। আর তারপরথেকে হয়ত নানা ভুল শিক্ষায় হুজুরে পাক ( গো আজম) সম্পর্কে জানার সুযোগ হয় নি,তাছাড়া হয়ত একটা অনীহাও কাজ করত যে এই ব্যাটা রাজাকার সর্দার, কাজেই এর সম্পর্কে বাড়তি আর জেনে লাভ কি!!এখন দেখছি যে একেবারে নিরুৎসাহিত হয়ে থাকলে অনেক কিছুই জানা যায় না!!
@বিদ্রোহী, ভাই আমিও আপনার সাথে একমত , নাফিসের ব্রেইন ওয়াস ৰ্নথ সাউথ ইউনিভারসিটিতেই হয়েছে. আমি যখন ৰ্নথ সাউথ ইউনিভারসিটিতে ছিলাম আমিও তখন হিজবুত তাহারীরের লিফলেট পেয়েছি . (FF)
@সংবাদিকা,
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, যদিও আপনার মন্তব্যের অধিকাংশ কথাগুলোর সাথেই আমি একমত নই।
কিছু উত্তর দেই।
নাফিসের ব্যাপারটা যে অপ্রাসঙ্গিক নয়, সেটা আপনার মন্তব্যে বিদ্রোহী পরিষ্কার করেছেন। এক বছরের মধ্যেই আমেরিকায় গিয়ে যে ছেলে ফেডারেল রিজার্ভ উড়ানো সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা উড়িয়ে দেয়ার মত পরিকল্পনা করতে পারে, তার জিঘাংসার বীজ আগে থেকে তৈরি হয়নি এটা মনে করা বোকামি। আর আমার কথা আপনার বিশ্বাস করতে হবে কেন, নাফিসের নিজের স্বীকারোক্তিই তো রয়েছে, যেখানে উনি পরিষ্কার করেই বলেছেন, “শিক্ষা ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগেই তিনি ওসামা বিন লাদেনের অনুসারী হন এবং সন্ত্রাসী হামলার সিদ্ধান্ত নেন”। এই বড় ব্যাপারটা আপনার দৃষ্টি থেকে বেমালুম হারিয়ে গেল?
আমার শিরোনাম আমি ঠিক সেভাবেই করেছি, যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটা আমি ফোকাসে আনতে চেয়েছি। নর্থ সাউথের সাথে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহরীর এবং জঙ্গি তৎপরতাগুলোকে সামনে আনাটাই মূখ্য ছিল। তাই শিরোনামও করা হয়েছে তার সাথে সঙ্গতি রেখেই। আমি কেন দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও এখন এই ধরণের শিরোনাম দেখা যাচ্ছে। যেমন প্রথম আলো গতকালই শিরোনাম করেছে – ‘কিছু শিক্ষকের ছায়ায় জঙ্গি হচ্ছেন নর্থ সাউথের ছাত্ররা‘। জনকণ্ঠ, প্রতিদিন সহ অনেক পেপার দেখলেও জানবেন, আমার বক্তব্য হাওয়া থেকে পাওয়া নয়। ট্রেণ্ড খুব স্পষ্ট। আমার লেখাতেই আমি বহু উদাহরণ হাজির করেছি। অন্ধ হলে তো প্রলয় বন্ধ থাকে না।
সেটা কেউ বলেনি। নর্থ সাউথে হিযবুত তাহরীর যেমন আছে, ঠিক তেমনি এই নর্থ সাউথেরই বহু ছাত্র ছাত্রী শাহবাগ আন্দোলনে বিনিদ্র রজনী যাপন করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়ে আন্দোলন করেছে সবার মতোই। তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালবাসা থাকবেই। কিন্তু এটাও আমি বলব, কিন্তু যখন একের পর এক উগ্র সন্ত্রাসীরা এন.এস.ইউ তে ধরা পরে তখন একটু শঙ্কিত হতেই হয়, চিন্তা করতে হয় ‘চেনা পথের’ বাইরে গিয়েই। আমরা যদি একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় কামনা করি, তাহলে আমাদের খুঁজে দেখতে হবে সমস্যার মূল ঠিক কোথায়। ব্যাপারগুলোকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বুঝার চেষ্টা করতে হবে, কেবল – ব্যাপারটা চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে গিয়ে বা প্রতিষ্ঠানকে ডিফেন্ড করে নয়। দেখতে হবে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি প্রেম যেন মানুষের প্রতি ভালবাসাকে ছাড়িয়ে না যায়। প্রতিষ্ঠানের প্রতি প্রেম যেন ডগমায় রূপ না নেয়। সমাজে যদি রোগ থাকে, তবে পদ্ধতিগতভাবে রোগের কারণের অনুসন্ধানটাই করতে হবে আগে। ডায়াবেটিস রোগী যখন তার রোগ সম্বন্ধে সচেতন হবে, তখনই সে সুচিকিৎসার দিকে যাবে, তার কোন রোগ নেই বলে চোখ বুজিয়ে রাখলে নয়। আন্তন চেখভের একটা চমৎকার উক্তি আছে এ প্রসঙ্গে , যেটি আমার খুব প্রিয়। এ উক্তিটি আমি বিবর্তন মনোবিজ্ঞান বিষয়ক লেখালিখির ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবহার করি –
Man will become better when you show him what he is like.
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,
এটা ইচ্ছা করেই ওনার ( সংবাদিকা) দৃষ্টি থেকে হারিয়ে গেছে। বরাবরই তো দেখি উনি মুক্তমনার ভান করে মূলত: মানুষকে মিসগাইড করতেই এখানে মন্তব্য করেন। মনে হয় উনি একটা মিশন নিয়ে এখানে ঢু মারেন, তা ওনার কৌশলী মন্তব্য গুলো দেখলেই বোঝা যায়। নাফিস বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসী মতবাদ লালন করেই সেদেশে গেছে, এটা সেই সময়কার সকল পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তথাপি ওনার ধারনা এটা হলো এফ. বি. আই. এর ষড়যন্ত্র। কারন উনি সেটাই বিশ্বাস করতে চান , কি ঘটেছে বাস্তবে এটা ওনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। উনি সম্ভবত : এটাও জোর করে ভুলে বসে আছেন যে যখন বাংলাদেশ এম্বেসী নাফিসকে সাহায্য করতে চাইল খুব দৃঢ়তার সাথে এই একরত্তি বালক নাফিস তা হেলায় প্রত্যাখ্যান করেছিল। দৃঢ়তার কারন ? কারন হলো তার আদর্শের প্রতি বজ্র কঠিন আনুগত্য। আর এখন উনি বলছেন – নাফিসের ঘটনা এফ.বি. আই . এর পাতানো খেলা। এই সব মানুষ যদি বাংলাদেশে বেশী থাকে , এরা শিক্ষিত হলেই কি আর অশিক্ষিত হলেই কি , এরা আরও বেশী ক্ষতিকর প্রানী এদেশের জন্য। এরা নিজেদের দোষ দেখতে পান না সব সময় খালি ষড়যন্ত্র খোজেন। আমার মনে হয় উনি এতক্ষনে এন এস ইউ তে আর যে ৫ জন কে রাজিব হত্যার জন্য ধরা হয়েছে তার মধ্যেও ষড়যন্ত্রের আভাষ পাচ্ছেন যা অতি সত্ত্বর উনি প্রকাশ করবেন। এই না হলে বাঙ্গালী ????
@বিদ্রোহী,
“…………তালগাছটা আমার” মানসিকতা থেকে বের হয়ে না আসলে সব সময় সাপোজিসাশ প্রেজুডিস করেই থাকতে হবে। আর আমি এমন কেউ নই যে মানুষ আমার গাইডেন্সে মিসগাইডেড হবে, অন্তত এই ব্লগে তো নয়ই কেননা সবাই স্বাধীন ভাবে উন্নতর মননের অধিকারী।
ব্লগ আমি কোন মিশন নিয়ে লেখিনা, তার সময়ও নেই আমার। ব্লগ আমি লেখি এবং মন্তব্য করি
আমার মনের মতামত এবং চিন্তা প্রকাশ করার জন্য। আর একটা ব্যপারে করি, ওটা হল ভাষার উপর দক্ষতা লাভের জন্য। রূপালী পর্দার “007 bond” এর মত সবজায়গায়্ন “ক্লু” খুঁজতে চেষ্টা করা বৃথা সময় নষ্ট।
আমি মোটেও তা বলিনি এবং কোন অনুসিদ্ধান্তে আসিনি, তথাপি আমি মনে করি খুব যৌক্তিক কারণেই এ ব্যাপারে কোন অনুসিদ্ধান্তে আসার সময় এখনো হয়নি।
পুনশ্চ, আমাকে অন্তর্জালে সতর্ক পর্যবেক্ষণ করার জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি, মাঝে মাঝে নানা গঠন মূলক পরামর্শ এবং সমালোচনা করবেন। তবে অবশ্যই প্রেজুডিস এর উপর ভিত্তি করে নয়।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
আর কি হলে আপনি অনুসিদ্ধান্তে আসবেন , জানতে পারি কি ? কেন সময় এখনও হয় নি , কখন হবে ? যৌক্তিক কারনগুলো কি একটু খোলাসা করে বলা যাবে ?
আপনার বক্তব্যগুলো দেখেছেন , কোন কিছুই আসলে পরিস্কারভাবে প্রকাশ করে না। Ambiguous টাইপের । কোন কিছুই পরিস্কার করে না , আবার অনেক কিছুই বানিয়ে নেয়া যায়। যেমন আপনি কোন অনুসিদ্ধান্তে আসেন নি , আর আপনার কাছে নাফিসের স্বীকারোক্তি তেমন গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে না কারন সে আমেরিকায় বন্দী। তাই আপনি পাল্টা বলতে পারলেন- নাফিস যে এফ বি আই এর চক্রান্তের শিকার সেটাও আপনি বলেন নি অথচ আপনার কথার মূল সুর কিন্তু সেটাই।
উল্টা পাল্টা কথার মার প্যাচ দিয়ে যারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায় তাদেরকে তো একটু নজরে রাখতেই হয় ম্যডাম। কারন দেখা গেছে এ ধরনের মানুষ দ্বারাই মানুষ সবচাইতে বিভ্রান্ত হয়। তাদের কথাবার্তা অস্পষ্ট , তার অর্থ তার কথা বার্তা গভীর দার্শনিক ভাবালুতায় পরিপূর্ণ , রবীন্দ্রনাথের কবিতার মত – হিং টিং ছট।
@বিদ্রোহী,
:lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot: …… শব্দের শেষে ” া” কার থাকলেই স্ত্রীবাচক ভাবা…… আচ্ছা বাংলা ব্যাকরণেএটাকে কিভাবে প্রকাশ করা যায়???? গৎবাঁধা দোষে দূষণীয় :))
@অভিজিৎ,
এটা একটা বহুল প্রচারিত সংবাদ এবং আমার মোটেও দৃষ্টি এড়ায়নি। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমার এখনই কোন সিদ্ধান্তে আসার ইচ্ছে নেই। কেননা নাফিসের ব্যাপারে সত্য আসলে কি এটা এই মূহুর্তে অনুসিদ্ধান্তে আসার সময় এখনো আসেনি। সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে সত্যি; তবে সে এখন মার্কিন হেফাজতে এবং বয়স মাত্র ২০এর ঘরে।
বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হল দেশের সবচাইতে বড় ধর্মীয় চরমপন্থা উৎপাদনের সূতিকাগার। নর্থ সাউথ তার তুলনায় অতি নস্যি এটা বেসরকারি এবং খুব সহজেই এর থেকে মুক্ত হয়ে যাবে যদি না এর ট্রাস্টি নিজে সরাসরি এসব মদদ দেয়। আমার আর্গুমেন্ট সেখানেই। পত্রিকাগুলো এমন হেডনাইন করবেনা। আর অন্য একটার কাজ আমি কিছুদিন চাক্ষুষ দেখছি। এসব আগের মন্ত্যব্যই বলেছি।
পত্রিকা গুলোর স্ট্যান্ডার্ড যে কি এটা তাদের বিভিন্ন সংবাদ উপস্থাপন দেখলেই বোঝা যায়। আমাদের দেশের পত্রিকার স্ট্যান্ডার্ড মোটেও উদাহরণ যগ্যো নয়।
(উল্লেখ্য, আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলামনা কিংবা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার কোন এফিলিয়েশনও নেই। আমার যা মনে হয়েছে আমি তা প্রকাশ করলাম।)
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
একুশ বছরের একটা ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েই সন্ত্রাসী খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলল ওখানকার কারও প্ররোচনায় ? এটা বোধ হয় খুবই বিশ্বাসযোগ্য যুক্তি ? তার স্বীকারোক্তিতে কিছুই যায় আসে না , ধরে নেয়া যাক জোর করে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষ জন কখন একটা অপরাধ করে – ১. ব্যক্তিগত স্বার্থ যদি হাসিল হয়, ২. আদর্শের কারনে। নাফিস যদি ওখানে গিয়ে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি টাইপের কোন অপরাধে জড়াত তাহলে বোঝা যেত যে সে বাংলাদেশ থেকে এ মনোভাব নিয়ে আমেরিকায় পাড়ি জমায় নি। অর্থ উপার্জনের সহজ এ সুযোগ সামনে আসায় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে নি। কিন্তু ফেডারেল রিজার্ভ উড়িয়ে দিতে পারলে নাফিসের ব্যক্তিগত কোন লাভ ছিল না। এ ধরনের কাজ করতে দরকার পড়ে আদর্শের , তাও বজ্র কঠিন আনুগত্য লাগে। সাধারন অনুসারী হলেও হবে না। আমেরিকাতে গিয়ে সে পড়েছিল অমুসলিম পরিবেশে , স্বাভাবিক ভাবেই সে সেখানে এ ধরনের পরিবেশ পাবে না যাতে সে অতি সহজে এমন বজ্র কঠিন দৃঢ়ভাবে কোন আদর্শের প্রতি আস্থাবান হতে পারত না। তার অর্থ সে বাংলাদেশে থাকতেই এ আদর্শে অনুপ্রাণিত হয় , দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী হয়। আফগানিস্তান, ইরাক ইত্যাদি দেশে আমেরিকা কি করছে তা জেনেছে দিনের পর দিন। যতই জেনেছে ততই সে বজ্র কঠিন শপথ নিয়েছে যদি কোনদিন আমেরিকায় যেতে পারে , সে আমেরিকার একটা বিরাট ক্ষতি করবে যদি সম্ভব হয়। আমেরিকার কাফেরদেরকে সে এক হাত দেখে নেবে। এক্ষেত্রে ওসামা বিন লাদেন তার আদর্শের পুরুষ। সেটাই সে করেছে। অল্প বয়েসের কারনে সে বুঝতে পারেনি যে সে অত সহজে ফাদে পড়বে। এফ বি আই তো জানে তাদের দেশেই অনেক উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ঘোরা ঘুরি করছে। তাদের ধরার জন্য তারা নানা রকম ফাদ পেতে বসে আছে। নাফিসের বয়স অল্প হওয়ায় তা বুজতে না পেরেই ফেসে গেছে। নাফিস কতটা দৃঢ় তার আদর্শের প্রতি তা বোঝা যায় বাংলাদেশ দুতাবাসের সাহায্য নিতে অস্বীকার করাতে , অস্বীকার তো করেছেই এমন কি তাদের সাথে দেখা পর্যন্ত করে নি। এর অর্থ সে যা করেছে সম্পূর্ণ জেনে শুনে বুঝেই করেছে আর সে এটাও জানত ধরা পড়লে এর পরিণতি কি হবে। আর এ ধরনের জীবনের ঝুকি কোন নব্য আদর্শবান মানুষ করবে না। এর জন্য দরকার পড়ে একটা মানুষের মগজকে সম্পূর্ণভাবে ধোলাই করা। বাংলাদেশে থাকতেই সেটা সম্পন্ন হয়ে গেছিল নাফিসের। যা বর্তমানে এন এস ইউ এর বর্তমান কিচ্ছা কাহিনীতে অত্যন্ত পরিস্কার। এন এস ইউ তে রাজনীতি নেই কিন্তু নামাজের জায়গায় বসে ধর্মের নামে ব্রেইন ওয়াসের জন্য কোন বাধাও নেই। কেউ সন্দেহ বা বাধা দিতে গেলেই তো রব উঠবে – ইসলাম গেল ইসলাম গেল বলে। এ এক মহা সমস্যা যার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া অতি কঠিন। কারন যাদের দিকে তাকিয়ে আমরা এ থেকে পরিত্রাণ পাব সেই শিক্ষিত শ্রেনীর এক বিরাট অংশই তাদের মগজকে ধোলাই করে রেখেছে অনেক আগেই। এ অনেকটা শর্ষের মধ্যে ভূতের বাসা বাধার মত।
@বিদ্রোহী,
আপনার সাথে আমি অনেক গুলোতেই একমত, তবে সবগুলোতে নই।
ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
– 😀
আপনার সিদ্ধান্তে আসার ক্রাইটেরিয়া ঠিক কি? বা বাংলাদেশ সরকারের হেফাজতে এসে ৪০ বছরে স্বীকারোক্তি দিলে? বাংলাদেশে স্বীকারোক্তি দেবার বয়সের সাথে আমেরিকার তফাত কতটা?
@আদিল মাহমুদ,
:))
বয়স উনার সমস্যা করল কেন কে জানে। বিশ বছরের একটা ছেলেকে প্রাপ্তবয়স্কই ধরা হয়। ২০০৫ সালে লন্ডনের পাতাল রেলে যে বিয়োগান্তক আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল ( ৭/৭ এর ঘটনা) সেখানে লন্ডনের পাতাল রেলে বিস্ফোরণের সাথে জড়িত আত্মঘাতী চার তরুণের সবার বয়সই ছিল কম। সর্বকনিষ্ঠ হাসিব হুসাইন ছিলেন মাত্র ১৮ বছরের তরুণ। তো?
@অভিজিৎ,
আমেরিকা যে এক বিশেষ জাতির প্রতি বিদ্বেষ বশতঃ কেস ফ্রেমিং করতে পারে এ কি আর নুতন কিছু নাকি। মিডিয়াও বসে থাকে যেখানেই এই জাতিকে কিছু জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশ করা যায়। এখন বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি তো আমরা সকলেই জানি।
@আদিল মাহমুদ,
নাফিসের কেস কিংবা বাংলা ভাইদের কেস…… এর গন্তব্য এক কিন্তু রাস্তা ভিন্ন……. তাই নাফিসের রাস্তা কি ছিল ওটা নিশ্চিত রূপে না জানা পর্যন্ত আসলেই কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আগ্রহী নয়। এটা আমার ভাবনা, দ্বিমত থাকতেই পারে।
@সংবাদিকা,
আপনার নিশ্চিত রূপের জানার শর্তগুলিই তো জানতে চাইছি। দ্বি-মত কথা নয়।
বিজ্ঞান,সমাজ,মানব মন আর ধর্মের যৌক্তিক সমন্বয় ঘটেছে এ লেখায়। বরাবরের মতই বিশ্লেষণধর্মী, প্রয়োজনীয় ও দায়িত্বশীল লেখা।
বেশ সময় উপযোগী একটি লেখা দাদা । বেশ কিছু দিন ধরে এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ধর্মীয় উগ্রবাদী সন্ত্রাসদের গোপন কার্যকলাপ সম্পর্কে বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে । কিন্তু আজ্ঞাত কারনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ সেই বিষয়ে কোন নজরদারি বাড়াই নি যার ফলশ্রুতিতে আবারো এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিরোনামে । সরকারের উচিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তমনা চর্চা কেন্দ্রিক ক্লাব গঠনের জন্য নির্দেশ দেয়া তাহলে এই উগ্র পন্থীরা আর সাধারন ছাত্রদের বিভ্রান্ত করতে পারবে না ।
@হাসান মুরাদ,
হ্যা। মুক্তবুদ্ধির চর্চার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা (গান বাজনা, ২২ শে শ্রাবণ, নজরুল জয়ন্তী পালন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ ইত্যাদি) মনের জানালা খুলে দেয় বলেই আমার ধারণা। একজন সংস্কৃতিবান লোককে আমি খুব কমই মৌলবাদী হতে দেখেছি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মূল লেখাটা আগে পড়া ছিলো, আপনার ফেসবুক পোস্ট অনুসরন করে আবার পড়লাম।
@মহন,
ধন্যবাদ এতদূর এসে পড়ার এবং জানিয়ে যাবার জন্য।
সমস্যাটা আসলে বহুমাত্রিক। গাছ জন্মানোর জন্য যেমন মাটি লাগে, তেমনি এসব অপরাধ করার জন্য ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ লাগে। বিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নিলেই যে এসব বিশ্বাসের ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না তা তো পরিস্কার। আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা সার্টিফিকেটই দিচ্ছে, ‘বিজ্ঞানের দর্শন’ শেখাচ্ছে না। দলবদ্ধভাবে বিজ্ঞান সংস্কৃতির চর্চা গড়ে না তুললে এ থেকে অাশু মুক্তি নেই। দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা মুখস্থ কেন্দ্রীক, সেখানে সৃজনশীলতার বিকাশ দুরূহ। যুক্তি দিয়ে চিন্তা করার ক্ষমতা অর্জন করার জন্য দরকার অপ্রাতিষ্ঠনিক পড়াশুনা, জনপ্রিয় বিজ্ঞান সম্পর্কে জানাশুনা, বিজ্ঞানের দর্শন বোঝা। শিবির তাদের মতাদর্শ খুব সাফল্যের সাথে ধৈর্য নিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারছে – কারণ তারা অত্যন্ত সংগঠিত। তেমনি এর এন্টিডোট তৈরির জন্যও বিপরীতভাবে সংগঠিত হয়ে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞান মনষ্কতা ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ধর্ম নিয়ে জনগণের মাঝে মুক্তবুদ্ধির চর্চার কোন মানে হয় না — উপরন্তু তা নেতিবাচক ফলাফল বয়ে অানছে — রাজীবের মৃত্যুর পর জনগণের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া দেখেছি তাতে সেটা বোঝা যায়। আসলে অারো মৌলিক কাজ বাকি রয়ে গেছে। বিজ্ঞান মনষ্কতা ছড়িয়ে দেয়ার অান্দোলনটা হয় নি। এই বিজ্ঞান মনষ্কতার অভাবে সাধারণ মানুষ চাঁদে সাইদীকে দেখার জন্য রাত্রের শেষ প্রহরে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। ‘বিশ্বাসের ভাইরাসকে’ ধরতে হবে অবশ্যই … কিন্তু তার আগে জনগণের মাঝে সেই জায়গায় যাওয়ার অাগের ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে …।
@আরাফাত,
দেখেন যেখানে কোরান খুললেই নাকি বিজ্ঞান পাওয়া যায় সেখানে সেই বিজ্ঞান পড়ে তো আরো ভাইরাস ঢুকে যাবে বেশি করে।
কোরান বিজ্ঞানে ভরা,সব আবিষ্কার নাকি বিজ্ঞানীরা কোরান পড়ে আর বুঝেই করেছে, এইসব পাগলামি চিন্তাভাবনা মানুষের মধ্যে থেকে দূর করতে পারার আগ পর্যন্ত মনে হয় না কোন মুক্তি আছে।
অভিজৎ বাবু, আপনার জ্ঞানদানকারী ভাষণ পাঠ করলাম। বাংলাদেশে ইসলামের জন্য জান কোরবান করতে এখনো লোক পয়দা হয় কি করে? ১৯৭১ এর ধর্মনিরেপক্ষ ভারতের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ, ৭২ এ ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি করার এক বছর পর দাউদ হায়দার নামক এক কবি তার কবিতায় মুসলমানদের শেষ নবীর নামে একটি কটুক্তিপূর্ণ বাক্য জুড়ে দেয়ায় বাঙ্গালীদের জাতির পিতা তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। তখন জামাত-শিবিরের অস্তিত্ব ছিল না। সালমান রুশদি’র স্যাটানিক ভার্সেস এর কারণে ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে ২৫ জন মুসলিম মরেছিল, তাসলিমা নাসরিনের লিখা পড়ে জামাত-শিবির মিছিল বের করেনি। ব্লগার রাজীব আপনার দৃষ্টিতে বাংলাদেশের মহানায়ক হতেই যাচ্ছিল, কামেলদের দৃষ্টি পড়ায় তাকে অকালে ধরাধাম ত্যাগ করতে হলো। রাজীবের ব্লগের বলে যে লিখাগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা রাজীবের নয় বলে সরকারী লোকজন থেকে শুরু করে নতুন করে গজিয়ে উঠা তার ভক্তদের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে, কিন্তু কি অমীয় বাণী লিখতো তার ব্লগে তা অনেকের মতো জানার কেৌতুহল আমারো। আপনার লিখা পাঠ করে মনে হলো যে আপনি অন্তর্যামী। রাজীবের মতো মহাজনের মহাবাণী জানতে আমার বড়ই সাধ। হঠাৎ করেই তার বাণীসমগ্র ব্লগ থেকে গায়েব হয়ে গেল এটা মানতে কষ্ট হয়। আপনার গবেষণার ধন হিসেবে কতকিছু ভান্ডারে জড়ো করে রেখেছেন তা যক্ষের ধনের মতো আঁকড়ে না রেখে আমার মত মূর্খকে জানার সুযোগ করে দিন।
এখানে আপনাকে বলে রাখি, মানুষ দু’টি কারণে জীবন দিতে কুণ্ঠিত হয় না, বিশ্বাসের কারণে এবং স্বার্থের কারণে। মানুষের দেশ বদলায়, পতাকা পরিবর্তিত হয়, কিন্তু বিশ্বাসের পরিবর্তন এতো ঘন ঘন হয় না। জামাত-শিবির নির্মূল হোক, ধর্মের কারণে মরার জন্য ভবিষ্যতে অন্য কিছু গজিয়ে উঠবে। যে কোন ধর্মের বেলায় এটা প্রযোজ্য। ফিদা মকবুলের কথা মনে আছে দাদা? দেবী স্বরস্বতীর নগ্ন রেখাচিত্র এঁকে দেশান্তরী হতে হলো। ভারতের মতো ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে শুধুমাত্র নামে মুসলিম একজন খ্যাতিমান শিল্পীর কি পরিণিতি হিন্দু জামাত-শিবিরের হাতে? তাসলিমাকে পশ্চিমবঙ্গ ঠাঁই দিয়ে কি বিপদে আছে। দিল্লি সরকার তো ছ’মাসের বেশী তাকে থাকতেই দেয়নি।
@Anwar,
খুব ন্যায্য কথা বলেছেন।
তবে ফিদা মকবুলের উদ্যেশ্য কতখানি মহৎ ছিল সেটা প্রমান হত তিনি যদি মুহাম্মদের স্ত্রীদের অথবা নগ্ন রেখাচিত্র আঁকতেন শিল্পের খাতিরে।
অন্যদের বিশ্বাস কে নিয়ে নিয়ে ছেলেখেলা করাটা হয় শিল্প আর নিজের বিশ্বাস হবে মহা পবিত্র, এই ধ্যান ধারনায় চললে তো এমনটা হতেই পারে।
@অর্ফিউস,
জটিল মন্তব্য
@অর্ফিউস, অসংখ্য হিন্দু দেবদেবীর নগ্ন মূর্তি ভারত জুড়ে দেখা যায়, মধ্যপ্রেদেশের খাজোরাহো মন্দির মন্দির সপবরিবারে পরিদর্শন ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের জন্যই কঠিণ ব্যাপার।কোনারকসহ আরো অনেক মন্দিরে যে সব মূর্তি তার সবই প্রায় নগ্ন। বস্ত্রধারিনী দেবীদের সাজানো হয় আকষণীয় করে, দেহের সবই পরিস্ফুট। এখানে ফিদা মকবুলের নামটাই সমস্যা। শিল্পীর নাম হরিহরণ হলে নগ্ন স্বরস্বতীর রূপেই ভক্তরা মুগ্ধ হতেন। ইসলাম যেহেতু চিত্র বা মূর্তি অনুমোদন করেনা, অতএব মুহাম্মদের স্ত্রীদের চিত্র ফিদা বা হরিহরণ আঁকলে পরিণতি একই হতো। ফিদার একটি মুসলিম নাম ছাড়া বিশ্বাস নিয়ে মাথা ব্যথা ছিল বলে কখনো শুনিনি। স্বরস্বতীর রেখাচিত্রের আগে তিনি মুসলিমদের চেয়ে হিন্দুদের প্রিয়ভাজন ছিলেন বলেই জানি।
দ
@Anwar,
আচ্ছা ফিস্ক বা চমস্কি যদি এখন মুসলিমদের বিরুদ্ধে কিছু লেখে তবে আপনার কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু থাকবে?মন্তব্যের আগের অংশ নিয়ে আর কিছু বলব না কারন আপনি যেহেতু আপনার কু যুক্তি দ্বারা ইতিমধ্যেই রায় দিয়ে দিয়েছেন।
শুধু একটা প্রশ্ন করি, হিন্দুদের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নাকি নিজের স্ত্রীকেও মাঝে মাঝে মা ডাকতেন।
এখন এ থেকেই যদি আপনি বলেন যে এইটাই হিন্দু ধর্মের আসল জিনিস, আর হিন্দুদের উচিত সব মেয়েকে মায়ের চোখে দেখা এমনকি নিজের বউকেও, সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নেই।
@অর্ফিউস, ফিস্ক বা চমস্কি মুসলমানদের পক্ষে কেন কলম ধরেছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। কাজেই বিরুদ্ধে লিখলে তাদের গ্রহণযোগ্যতায় কোন রকমফের হবে না। আমি একটি কথার উপর জোর দিচ্ছি, যা জ্ঞানে ঠাসা আপনার মাথায় প্রবেশ করছে না, তা হলো, আমি ধর্মবিশ্বাসের প্রতি মানুষের আবেগের কথা বলেছি, কোন বিশেষ ধর্মের কথা বলিনি। “পরমহংস নাকি নিজের স্ত্রীকেও মাঝে মাঝে মা ডাকতেন,” এই `নাকি’ শব্দই প্রমাণ করে যে বিষয়টি বিতর্কিত, অর্থ্যাৎ তিনি স্ত্রীকে মা ডাকতেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অতএব পরমহংস সকল হিন্দুর কাছে গ্রহণযোগ্য নন, তার সকল বাণী হিন্দুদের জন্য অবশ্য পালনীয় কিছু নয়। নারীর মর্যাদা বা নারীর সাথে কেমন ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে বেদ কি বলে পড়ুন: “স্বীয় স্ত্রী ভিন্ন বয়স ভেদে নারীকে মা, ভগ্নী ও কন্যা হিসেবে বিবেচনা করিবে।”
@অর্ফিউস, (Y)
@Anwar,
আপনার কথায় বেশ কিছু ভাল পয়েন্ট উঠেছে, বিশেষ করে মৌলবাদ জাতীয় সমস্যা সর্বদা যেভাবে এক জামাতের কাঁধে চাপিয়ে মূল বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয় সেটা মনে হচ্ছে এসেছে।
– রাজীব ব্লগার হিসেবে কত মহান ছিল এমন দাবী মনে হয় এ লেখায় করা হয়নি, কিংবা সে কারো কাছেই আপত্তিকর কিছু মনে হতে পারে এমন কিছু কস্মিনকালে লিখে নাই (যেমন দাবী অনেকে অতি উতসাহে বেহুদা করেছেন) এমন দাবী এ লেখায় করা হয়নি। হয়েছে কি? রাজীবের প্রসংশা এখানে করলে করা হয়েছে এভাবেঃ
একজন ব্লগারকে কেবলমাত্র শুধু আপত্তিকর লেখালেখির কারনে জবাই করে মেরে ফেলতে হবে? সেই হত্যাকান্ডকে নৈতিক সমর্থন দিতে হবে ধর্মানুভূতির দোহাই পেড়ে? এই মনোভাবেরই আলোচনা মনে হয় এখানে করা হয়েছে, রাজীব কত বড় মহান ব্লগার ছিল সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। কেউ আপত্তিকর, সম্মানহানিকর, অরুচিকর কিছু লিখলে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়, মুক্তবুদ্ধির চর্চার নামে সেটা এবিউজ, সমর্থন করা যায় না। তাই বলে একেবারে খুন?
আপনার উল্লেখিত মকবুল ফিদা সাহেবকে ভারতের মৌলবাদীরা প্রকাশ্যে জবাই করে ফেললে বাংলাদেশে যারা এখন ধর্মানুভূতির জোশে লাফাচ্ছেন তারা কয়জনে সমর্থন করতেন? সে হত্যাকান্ড নৈতিক সমর্থন যারা প্রকাশ্যে দিত তাদের সম্পর্কে কেমন ধারনা করা যেত?
@আদিল মাহমুদ, তার নামে ব্লগে যা লিখা হয়েছে বলে কয়েকটি দৈনিকে এবং ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো তার নয় বলে দাবী করা হয়েছে অনেক মহল থেকে এবং সে “শহীদ” খেতাব পেয়ে গেছে। কিন্তু “শহীদ থাবা বাবা”র কর্মই যদি কেউ জানতে না পারে তাহলে লোকজনের মতো আমারো প্রশ্ন রয়ে যাবে যে, কি অবদানের জন্য শহীদ। আমি তো দাবী করতেই পারি যে তার ব্লগের সকল লিখার সংকলন রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে প্রকাশ করা হোক।
আর জবাইটা কে করলো তা নর্থ-সাউথের জনা পাঁচেকেক ধরে ফেললেই প্রমাণ হয়ে যায় না।সাগর-রুনির হত্যাকারীদের ৪৮ ঘন্টার মধে ধরার প্রতিশ্রুতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ফেল মেরেছেন, পুলিশ প্রধানের ‘প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি” ছিল ভূঁয়া। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণাই দিলেন “কারো বেডরুম পাহারা দেয়া সরকারের দায়িত্ব নয়।” এবং ১ বছরে সন্দেহভাজন ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি, সেখানে চারদিকে এত ডামাডোল সামলাতে পুলিশের নাভিশ্বাস উঠেছে সেখানে রাজীব খুনের ৫ আসামী ধরার মধ্যে আপনি কিছুই আবিস্কার করতে পারেন না?
যাহোক, এসব আমার মূল বক্তব্য নয়, অভিজিৎ বাবুর লিখা পাঠের পর আমার প্রতিক্রিয়া হলো, নাস্তিক ধর্ম পালন না করুক তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেয়ার পক্ষে আমি নই। ধর্ম বিশ্বসের জন্য পৃথিবীতে যত মানুষ জীবন দিয়েছে অন্য কোন কারণে দেয়নি। অতএব ধর্ম বিশ্বাস যেখানে আছে, তা যে ধর্মই হোক না কেন, সেখানে ধর্ম রক্ষার জন্য জামাত-শিবির থাকবেই। যারা এটা মানতে পারবেন না তারা দেশ-জাতির কল্যাণ কোন কালে আনতে পারবেন না। ধর্মের সাথে আপেষ না করে ইউরোপের দেশগুলো পর্যন্ত স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ তো হিসেবের মধ্যেই পড়ে না।
@Anwar,
– আপনি পয়েন্ট করার পরেও অপ্রাসংগিকভাবে একই দিকে কথা নিয়ে যাচ্ছেন। কোন মহল থেকে কি দাবী করা হয়েছে, কে রাজীবকে নাস্তিক নাকি শহীদ নাকি সিতারা এ জুররাত দাবী করেছে, সেসবের কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক এসব এখানে আলোচিত হয়নি, মূল প্রতিপাদ্য নয়। আপনার কাছে রাজীবের যাবতীয় লেখার গুরুত্ব অসীম মনে হলে আপনি অবশ্যই রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে রাজীব রচনাবলী প্রকাশের দাবী করতে পারেন, আমার তাতে কোন আপত্তি নাই। আগেই বলেছি যে এ লেখায় রাজীবকে মহান লেখক বা ব্লগার প্রমানের চেষ্টা হয়নি।
রাজীব আস্তিক কি নাস্তিক কি ইসলাম বিদ্বেষী নাকি হিন্দু প্রেমি এসব প্রশ্ন আন্দোলন প্রসংগে গুরুত্বপূর্ন হতে পারে কেবলমাত্র তখনই যখন তার এসব বক্তব্য ব্যাক্তিগত গন্ডি পেরিয়ে আন্দোলনের মঞ্চে চলে আসত। একজন মসজিদের হুজুর যখন কোন চিপায় কোন কুকর্ম করতে গিয়ে ধরা পড়ে তার দায় যেমন ইসলামী আন্দোলন বা মসজিদ মাদ্রাসার সাথে জড়িত যাবতীয় আলেম ইমামের ঘাড়ে পড়ে না তেমনি এক রাজীবের ব্যাক্তিগত ধর্মবিদ্বেষের দায় আন্দোলনের সাথে সম্পর্কহীন। লাদেন বাহিনীর সন্ত্রাস প্রসংগে এই কথা প্রথমেই শোনা যায়, লাদেনের কাজকর্মের দায় কেন ইসলামের ওপর চাপানো হয়? এই সোজা কথা ইচ্ছেকৃতভাবে না বোঝার চেষ্টা অনেকেই করে যাচ্ছে।
শহীদ প্রসংগে প্রথমেই জানতে হয় যে শহীদ বলতে আপনি ঠিক কি বোঝেন সেটা। বিশুদ্ধ ধর্মীয় অর্থে রাজীব অবশ্যই শহীদ নয় কারন সে আমার জানা মতে স্বঘোষিত নাস্তিক ছিল। শহীদ আমাদের সংস্কৃতিতে ধর্মীয় গন্ডি পেরিয়ে সার্বজনীন হয়ে গেছে অনেক আগেই, সে অর্থেই রাজীবকে শহীদ বানিয়ে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন বেগমান করতে চেয়েছিল। কারন তাদের কাছে রাজীবের পরিচয় ছিল একজন সহযোদ্ধা, ব্লগ জগতে এদের পরিচয় হল ছাগু ফাইটার যারা জামাত শিবিরের লোকজনের সাথে নেট যুদ্ধ করে। সে ব্যাক্তি জীবনে কি বিশ্বাস করে কি ভালবাসে বা ঘৃনা করে সেটা বিবেচ্য ছিল না। রাজীবের যায়গায় একজন হিন্দু আন্দোলনকারীও সেভাবে নিহত হলে একই ব্যাপারই ঘটত। তাকে শহীদ বানানোর রহস্য এমন কিছু জটিল বা কুটিল নয়।
আপনারা যারা বিশুদ্ধ ধর্মীয় অর্থে রাজীবকে শহীদ বানানোতে আপত্তি করেন তাদের উচিত এই নীতি সংবিধানে যুক্ত করে দেওয়া; কারন মুক্তিযুদ্ধে নিহত বিধর্মীদেরকেও সরকারী বেসরকারী নানান সূত্রে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই ভয়াবহ ভ্রান্তি বা ইসলাম বিদ্বেষের আবর্ত থেকে জাতিকে রক্ষা করুন। সাথে সাথে রাজাকার শব্দটির প্রতিও লোকের ভ্রান্তি দূর করার ব্যাবস্থা করেন। রাজাকারও তো পবিত্র ধর্মীয় শব্দ, সাহায্যকারী, অথচ দেখেন লোকে কি প্রবলভাবে এই শব্দকে ঘৃনা করে। আপনি কাউকে ভাল মনে সাহায্য করলে আপনাকে রাজাকার উপাধি দেওয়া হলে আপনি আনন্দিত হবেন কিনা জানি না তবে অধিকাংশ বাংগালী মুসলমানই অত্যন্ত অপমানিত হবে। শহীদের মত মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীতাকারি বিধর্মীদেরও রাজাকার হিসেবেই মাঝে মাজে উল্লেখ করা হয়। এসব নিয়ে সময় মত গোলযোগ পাকানোর অর্থ তেমন জটিল কিছু নয়।
– রাজীব হত্যার তদন্তে ভুল থাকলে সেটা উপযুক্ত প্রমান সমেত প্রমান করে দিন। আমার কাছে কিছু মূলধারা মিডিয়া যা বলে তার বাইরে আবিষ্কারের তেমন কিছু নয়, আপনার কাছে মনে হচ্ছে আছে, সেসব ফাঁস করে দিন। অমূক মামলায় এই হয়েছে তাই এই মামলায় এটা হতে পারে না ,প্রধানমন্ত্রী কোন যায়গায় কি বলেছে এভাবে চিন্তা করলে থানা পুলিশ আদালত কিছুই আসলে দেশে রাখার নাই। গত সরকারের আমলে জজ মিয়া নাটক আমরা দেখেছি, চট্টগ্রামে বিশাল অস্ত্র চালান নাটকও দেখেছি, কাজেই আসুন দাবী করি সে সরকারের আমলের সব মামলায় যারা যারা সাজা পেয়ে জেলে আছে তাদের সবার নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করি। যে সরকার জজ মিয়া নাটকের মত ঘৃন্য কাজ করতে পারে তাদের আমলের বিচার আচার জেল এসবের মাঝে আপনি কিছুই আবিষ্কার করতে পারলেন না??? বর্তমান রাষ্ট্রপতি মনে হয় আপনার মতই বিশ্বাস করেন, ওনাকে সুযোগ পেলেই গালিগালাজ করেছি একে তাকে ক্ষমা করার জন্য, এখন মনে হচ্ছে ভুলই করেছি।
আরেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তো একবার সবচেয়ে বড় মারফতি কথা বলেই দিয়েছিলেন, “আল্লাহর মাল আল্লাহয় নিয়ে গেছে”। এর পরে আর কথা থাকে বলেন? আল্লাহর মাল আল্লাহর যখন খুশী তুলে নেবেন কারো মাধ্যমে আর সে নিয়ে আমরা বেহুদা থানা পুলিশ আদালত করে কাজিয়া করি, কওমকে বিভক্ত করি।
– ধর্ম রক্ষার জন্য জামাত শিবির থাকবেই সেটা আপনার ব্যাক্তিগত অভিমত, এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই কারন ধর্ম নিয়ে আমার কোন ফ্যাসিনেশন নেই। তবে জামাত শিবিরের ভোট ব্যাংকের পরিমান আপনার দাবীর সাথে সহমত প্রকাশ করার মত তথ্য দেয় না, সে ফলাফল পরিষ্কার দেখায় যে বাংলাদেশের মত মুসলমান প্রধান ধর্মীয় সংস্কৃতির দেশেও জামাত শিবিরের জনপ্রিয়তা বলতে তেমন কিছু নেই।
ইউরোপ আমেরিকা ধর্মের সাথে আপোষ করেছে? সেই আপোষের দলিল কোথায়? পোপ বেনেডিক্ট রাজকীয় হেলিকপ্টারে চড়ে তাই? আমি যা দেখি তাতে পরিষ্কার বোঝা যায় যে ঘটনা আসলে উল্টাটাই হয়েছে। চার্চ সেখানে বিজ্ঞান, সমাজ, অর্থনীতি এসব নিয়ে মাথা ঘামানো বহু আগে বন্ধ করেছে। বন্ধ করেছে বলেই ধর্ম এখনো পুরোপুরি লোপ পায়নি। হাস্যকর উদ্ভট ধর্মীয় রীতিনীতি কায়েম করার দাবীতে সেখানকার পাদ্রী পুরুতরা রাস্তায় নামার মত নৈতিক জোর বহু আগেই হারিয়েছে, আর তাদের সমর্থন দেবার মত শিক্ষিত ধর্মোন্মাদের দলের যা কিছু ম্যাতকার তাও চার্চের ভেতরেই হয়।
@Anwar,
‘ধর্বিশ্বাসে’ আঘাতের কথা যেটা আপনি বলছেন, সেটা কেবল লেখালেখির মাধ্যমে সমালোচনা কিংবা বড়জোর ঠাট্টা তামাসা ব্যঙ্গবিদ্রুপেই সীমাবদ্ধ (যে ধরণের সমালোচনা, ব্যঙ্গ বিদ্রুপ, ঠাট্টা তামাসা রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজবিজ্ঞান, ক্রীড়া সহ সকল শাখাতেই দেখা যায়)। ধার্মিকদের ভঙ্গুর অনুভূতি সামান্যতেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ধর্মযুদ্ধের নামে বিধর্মীদের উপর কি ধরণের অত্যাচার করা হয়েছিলো তা বললে তাদের ধর্মানুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, পয়গম্বর-নবী-রসুল আর ধর্মের দেবদূতদের অমানবিক কার্যকলাপ তুলে ধরলে ধর্মানুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, নারীদের অন্তরিন করে তাদের অধিকার হরণ করা হয় তা বললে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, ধর্মগ্রন্থ গুলোতে বর্ণিত অবৈজ্ঞানিক আয়াত বা শ্লোক তুলে ধরলেও তারা আহত হন। আর ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করা হলে তো কথাই নেই; ঈশ্বর যে ‘খুঁটি ছাড়া আকাশকে ছাদ স্বরূপ ধরে রাখেন’ তা যেন চৌচির হয়ে তাদের মাথায় তৎক্ষণাৎ ভেঙ্গে পড়ে। ধর্ম সব সময়ই কৌতুকের বড় উৎস হলেও ব্যঙ্গ এবং কৌতুকবোধের ব্যাপারটা ধার্মিকদের সাথে সবসময়ই কেন যেন রেসিপ্রোকাল। অথচ, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি চলচ্চিত্র, খেলাধুলা বা অন্যান্য যাবতীয় বিষয়কে সমালোচনা, ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করতে তাদের বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই। কেবল ধর্মের বেলাতেই গণেশ উল্টে যায় বরাবরই।
বড় মজা না? আপনারা সব করতে পারবেন, কিন্তু নিজের বিশ্বাসের বেলায় ‘ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দেয়ার পক্ষে আমি নই’। কি চমৎকার হিপোক্রেসি।
অন্যের বিশ্বাস কিংবা ধারনার সমালোচনা করতে তো ধার্মিকদের কোন সমস্যা দেখি না। ডারউইনের সাথে বাঁদরের ছবি যোগ করা থেকে শুরু করে ফটোশপের মাধ্যমে ইমরান এইচ সরকারের সাথে পর্ন সাইট থেকে ছবি জোড়া দেয়া, শাহবাগের মিছিলের সাথে থার্টি ফার্স্টের নগ্ন ছবি জোড়া দিয়ে মিথ্যাচার করা কোন কিছুই তো নেই যা তথাকথিত ‘ধর্মবিশ্বাসীরা’ করছেন না। তাতেও যখন কুলায় না, ‘কাফির অবিশ্বাসীদের গর্দানে আঘাত করার’, ‘যেখানেই পাওয়া যাক, হত্যা করার’ আয়াত আউড়িয়ে কোপানো পর্যন্ত জায়েজ হয়ে যায় কি বলেন?
আপনার জন্য দুটো ছবি –
[img]https://fbcdn-sphotos-d-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash4/482532_560580840628462_1908970653_n.jpg[/img]
আর দুই –
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/03/milillitantA.jpg[/img]
বাকি বুঝ আপনের।
@অভিজিৎ,
স্যালুট কমেন্টের জন্য। হায়, যার উদ্ধেশ্যে এই কমেন্ট তিনি কিছুতেইবুঝবেন না!
@Anwar,
নিয়েছে আরো অনেক বেশি – তাই বাড়ীর দরজায় য্যাম্নে লিখা থাকে – ‘—– হইতে সাব্ধান’ – তেম্নে দ্যাশের দরজায় লিখা লাগে ——
থাক কথা বাড়িয়ে কাজ কি? কিন্তু বিশ্বাস যতদিন থাকবে মানুষের মনের :-[ টি ও টিকে থাকবে – প্রাণ দেওয়া নেওয়া চলতে থাকবে!!
@Anwar,
রাজিব নাস্তিক হলে তাকে শহিদ বলাটা একটা আহাম্মকি ছাড়া আর কিছু না। ও বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই এটাতে ঘোরতর আপত্তি করত।
ধর্মানুভূতিতে আঘাত বিষয়টা কি ইসলামের একতরফা নাকি ? এই যে জামাত শিবির তারা দাবি করে তারাই প্রকৃত ইসলামের অনুসারী দল। দেলোয়ার সাইদিকে সরকার ধরেছে , বিচারকরা তার ফাসিঁর আদেশ দিয়েছে, হিন্দুদের দোষটা কোথায় ? ইসলামের একমাত্র সোল এজেন্ট জামাত ইসলাম ধর্মঘট করতে গিয়ে অন্যান্য বহু অপকর্মের সাথে তারা গিয়ে হিন্দুদের বাড়ী ঘর পোড়ালো। তাদের মন্দির পোড়ালো । এতে কি হিন্দুদের ধর্মানুভুতিতে আঘাত লাগে না ? এ ব্যপারে আপনার কোন বক্তব্য নেই। নাইজেরিয়াতে শুনি মুসলমানরা গীর্জা পুড়িয়ে দেয়। তাতে খৃষ্টানদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না ?
@বিদ্রোহী,শহিদ শব্দ নিয়ে এখন আর কেউ আপত্তি করে না। এটি উপমহাদেশে কালচারাল রিকগনিশন পেয়েছে। সেজন্য ভারতেও যারা যুদ্ধে বা কোন আন্দোলনে নিহত হয় তারাও শহীদ খেতাব পায়। আরবি `শহীদ’ এর বাংলা অর্থ `সাক্ষী’। নিহত ব্যক্তির `সাক্ষী উপাধিতে কার কি লাভ হয়, জানি না।
সাঈদীর কি রায় বিচারকরা দিল তার আগেই সংঘাত শুরু হয়েছ। বাবরি মসজিদ
ভারতের হিন্দু জামাতিরা ভেঙ্গেছিল, কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুরা নিপীড়িত হয়েছিল সকল দলের লোকদের হাতে। এটা সবসময় ঘটেছে্। একটা ছুতার প্রয়োজন ছিল, সরকার তৈরী করে দিয়েছে, এখন সরকার সামাল দিক।
@Anwar, আপনার লিখা এর সাথে আমি এক মত। অনেক ধন্নবাদ আপনাকে।
@Anwar,
সহ মত (Y)
@Anwar,
রাজীব শুধু মহানায়ক নন – তিনি ছিলেন মহামানব, বিশ্বমানব। তিনি যদি নাস্তিকই হয়ে থাকেন তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম আলোর পথ দেখাতে যেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন ভুলপথে বিশ্বাসী দ্বারা নিহত হলেন। যারা “সমতল পৃথিবী এবং সূর্য ঘোলা পানিতে প্রতিদিন ডুবে যায়” বাণীতে বিশ্বাস করে তাদেরকেই আমি ভুলপথগামী বলে সনাক্ত করছি।
হুমায়ূন আজাদ মরতে মরতে বেঁচে গিয়েছিলেন। আরজ আলী মাতব্বুরও পালিয়ে বেঁচেছিলেন। রাজীবের হাতে অনেক আলো ছিল। অকালে নিভে গেল। কিন্তু তিনি সঠিক পথ দেখিয়ে গেছেন। অনেক সময় লাগবে এই সত্য আত্মস্থ করতে।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
এরাই বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
রাজীব কি ছিল তা বোঝার জন্য আনোয়ার আর জোবায়ের সাহেবের আরো অনেক সময় লাগবে। সত্য বলেছেন।
@নৃপেন্দ্র সরকার,
(Y) (Y)
@Anwar,
ভাই আপনার মধুর কথা শুনে আমি যারপরনাই আমোদ পেলাম। আপনি আরো কিছু বলেন
মন দিয়া সুনতাসি (H)
@আফরোজা আলম, 😀 (Y)
@আফরোজা আলম,বৃদ্ধ মানুষের অতো কিছু বলার থাকে না।
Lancet Fluke!! শিশু পিঁপড়া Lancet Flukeএ বোধহয় আরো সংবেদী। লেখাটার জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম।
প্রথমেই অভিজিত’কে ধন্যবাদ এমন একলেখা সবাইকে উপহার দেবার জন্যে। আমরা অভিভাবকেরা সত্যি উদবিঘ্ন, এই সব খবরে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন কিছু নাই তাও হলফ করে বলা যায় না যত দিন না তারা ধরা না পড়ে।
ধর্মান্ধতা এমন এক প্যারাসাইট, মানুষ’কে কোথায় নিয়ে যায়-
অভিজিতের এই লেখা পড়ে
ভারতীয় সাধু রজনীশ এর কথা মনে পড়ে গেল।তাদের মতাদর্শ কী ছিল জানিনা, তবে এই মানুষের ক্ষপ্পরে পড়ে অনেকের জীবন ধংস হয়ে গেছে।উল্যেখ্য পারভিন বাবি, বিনোদ কুমার(নাকি মেহরা) আরো অনেকে।
অনেক আগে পত্রিকায় পড়েহিলাম সেই সময় হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছিল, পশ্চিমে এক সাধু নাকি কে যেন তার নির্দেশে বিষ পান করে প্রায় ৩০০ জন আত্মহত্যার মত পথ বেছে নিয়েছিল।
কী আশ্চর্য ব্যাপার!
ব্যক্তিগত ভাবে আমি প্রাতঃভ্রমনে বের হই। কারো কারো সাথে (খুব কম) হঠাৎ কথা হলে বিশ্রাম নেবার সময় আমাকেও বলে,
– আগামীকাল আমাদের এক ঘরোয়া আলোচনা আছে ধর্মের উপরে-আপনি আসবেন- আসবেন কিন্তু-
এই আহবান এক দিন নয় প্রায়শ করে। হাঁ সুচক মাথা নাড়ি। না বলিনা।
পরে আবার দেখা হলে –
কী আপা আসলেন না?
আমি বলি- খুব ব্যস্ত ছিলাম ভুলে গিয়েছি। এইবার আসব।
এমন করেই ওদের এড়িয়ে চলি। এখন এমন হয়ে গেছে। আমি হন হন করে হাটি। বিশ্রাম নিতে চাইলেও নেই না। সোজা বাসায় চলে আসি।
যে কথা বলার ছিল,
এরা সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এদের কোন সীমা-পরিসীমা নাই। বাচ্চাদের আগলে রাখি। সর্বদা খোঁজ নেই, কার সাথে মিশছে।
যদিও ওরা মোটামুটি বড় হয়ে গেছে। তথাপি,
সব শেষে সকলেরই সাবধান থাকা দরকার- আপনার , আমার সন্তান কার সাথে মিশছে কী করছে এই সব যেনো মা বাবার নজরে থাকে।
এবং আবার ও একটা ভালো ও সময়োপযোগী লেখা দেবার জন্যে অভিজিত’কে ধন্যবাদ (Y) (F)
@আফরোজা আলম,
আপু, আমাকে কেউ যাইতে বলেনি এ পর্যন্ত। যদি বলতো, তাহলে আমি একদিন গিয়ে দেখতাম যে ওরা মগজ ক্যমনে ধোলাই করে। তবে আমি এটা শুনেছি যে, এই ধরনের গ্রুপরা মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য প্রথমে জোগাড় করে। যেমন, কে কতটা বড়লোক, কতটা নিঃসঙ্গ, সন্তান সংক্রান্ত ঝামেলা আছে কিনা ইত্যাদি দূর্বল পয়েন্টগুলো জোগাড় করে। কারন, ঐ ধরনের মানুষগুলোকে সহজেই প্রভাবিত করা যায়।
@নাশিদ,
আহা কি যে বললেন। ধৈর্য ধরুন আপনার কাছেও দাওয়াত আসবে। কি মধুর তাদের ব্যবহার।
মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এমন মুগ্ধ যে মনে মনে আমাদের ই গালাগাল(ঠাট্টা) করবেন- (L)
@আফরোজা আলম,
হা হা হা……… ভালোই বলেছেন। বেশি ন্যাকামিকে আমার ভন্ডামি লাগে। ঐ যে কথায় আছে না? অতি ভক্তি চোরের লক্ষন। জাগগে, আমি যা জানিনা, তা নিয়ে বেশি কথা না বলাই ভাল। দাওয়াত পেলেই বোঝা যাবে।
@আফরোজা আলম, আপা আপ্নি কি মুসল্মান জদি হন তাহলে কি মরে জাবেন সেতা কি ভাবেন। ইস্লাম হল সান্তির ধরম । তাতে অনেক কিসু জানার আসে বজার আসে। আপ্নারা না জেনে ইস্লাম নিয়া কেন মন্তব্ব করসেন বুজলাম না।
@Jobayer,
ভাই, আমি ইসলাম বোঝার জন্যই কুর আন শরিফের বাংলা পড়া শুরু করেছি। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রাপ্ত অনুবাদ।
@নাশিদ, :guru: :guru: :guru:
@Jobayer,
বিশ্বাস করুন। আমি একজন খাটি মুসলমান, তাই তো বুখারী হাদিস, সহি মুসলিম, বাংলা সহ কুরান, তিরমিজি হাদিস। কোনটা ফেলে কোনটা পড়া বাকী রাখি বলুন। আমাকে
নাফরমান, বেঈমান, মুরতাদ ইত্যাদি মনে করার কারণ নাই, আপনি গোস্যা হইবেন না 🙁
@আফরোজা আলম, (F) :lotpot: :lotpot: :lotpot:
জঙ্গিবাদের প্রয়োজন পড়ে মগজ ধোলাইয়ের জন্য নানান ফ্যান্টাসি ও মিথের। এরমধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বোধহয়, ‘মরলে শহীদ, বাঁচলে গাজি’।
পর্যবেক্ষণে দেখেছি, জামাত আগেই দরিদ্রদের শিক্ষাব্যবস্থা [?] মাদ্রাসাগুলো কব্জা করার পর মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ট্রার্গেট গ্রুপ হিসেবে বেছে নেয়। আধুনা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিগ্রুপ কাজই শুরু করেছিলো বুয়েট, মেডিকেল কলেজ, প্রাইভেট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেছে নিয়ে। কারণ জামাতি গম্যতা সত্ত্বেও সেগুলোতে কর্মী রিক্রুটের ফিল্ড অনেকটাই ফাঁকা ছিলো, মাদ্রাসাগুলো ততোটা নয়। সেখানে জামাতসহ অন্য জেহাদী গ্রুপগুলো আগে থেকেই ঘাপটি মেরে ছিলো। …
আমার ভাবতে অবাক লাগে, একজন মানুষ উচ্চ শিক্ষা নিতে এসে কি করে বিজ্ঞানের সঙ্গে অবিজ্ঞানকে যুক্ত করে +জামাতি আদর্শে বেড়ে উঠতে থাকে! … 😕
অভি দা’কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।
** টাইপো> আধুনা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিগ্রুপ …হিযবুত তাহরীর।
@বিপ্লব রহমান,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্য।
লেখাটি খুবই দরকারী ও সময় উপযোগী হয়েছে। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তদের মধ্যে মৌলবাদী ইসলাম এর সংক্রমন, দেশজুড়ে জামাত-ইসলামী ঐক্যজোটের মাদ্রাসা ক্যাডারের বিস্তৃতির চেয়ে অনেক উদ্বেগজনক ডেভেলাপমেন্ট।
লেখাটি নিয়ে একটি মৃদু আপত্তি আছে। যতদূর জানি ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ একটি খুব উপযোগী উপমা, অনেক সামাজিক, মনস্ত্বাত্তিক ব্যাপারকে এই উপমার মাধ্যমে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়। কিন্তু বিশ্বাসের ভাইরাস কোনো বিজ্ঞানসম্মত ন্যাচারাল ফেনোমেনন নয়। এটি একটি ভাল উপমাই। এই ক্যাভিয়াট টি উল্লেখ না করলে অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারেন।
@সফিক,
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এই ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ব্যাপারটি নিয়ে পূর্বে প্রকাশিত প্রবন্ধ এবং আমার একটি বইয়ের ভুমিকাতেই বলেছিলাম। বিজ্ঞানসম্মত ন্যাচারাল ফেনোমেনন এর কোন টার্ম চাইলে অনেকে সেলফিশ জিনে ডকিন্সের উদ্ভাবন ‘মিম’ ব্যবহার করেন। পাঠকেরা উপলব্ধি করবেন যে, আমরা এই বইয়ে ডকিন্সের ‘মিম’ এর বদলে ভাইরাস শব্দটিই অনেক বেশি ব্যবহার করেছি। এর কারণ হচ্ছে, ভাইরাস ব্যাপারটির সাথে সাধারণ পাঠকেরা পরিচিত, ‘মিম’ এর সাথে তেমনটি নয় এখনো। যে কোনো গতানুগতিক ধর্মে বিশ্বাস যে মানুষের মনে একটি ভাইরাস হিসেবেই কাজ করে সেটা বিস্তৃতভাবে দেখানো হয়েছে এ লেখায়। মানবমনে প্রোথিত বিশ্বাসগুলো আসলে অনেকটাই ভাইরাস কিংবা প্যারাসাইটের মতো কাজ করে সেটা দেখানোই উদ্দেশ্য। শুধু আমি নই, সাম্প্রতিককালে বেশ কিছু গবেষক, বিজ্ঞানী এবং লেখক উগ্র ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে ‘ভাইরাস’ এবং ‘মেমপ্লেক্স’ এর সাযুজ্য খুঁজে পেয়েছেন। কিছু উদাহরণ দিলাম –
[img]http://mukto-mona.net/Articles/avijit/biswasher_virus/virus_books.jpg[/img]
@অভিজিৎ, Memeবা বিশ্বাসের ভাইরাস যেভাবেই বলুন, কোনটাই সাইন্টিফিক্যালি প্রুভেন ন্যাচারাল ফেনোমেনা নয়। এগুলি সুন্দর উপমা মাত্র। ডকিন্স মীম এর কথা ৭০ এর দশকে তোলার পরে এ নিয়ে ৯০ দশকে বেশ কিছু সমাজবিজ্ঞানী-বিবর্তন বিজ্ঞানী উৎসাহী হয়ে অনেক কিছু করতে চেয়েছিলেন। ২০০০ সাল থেকে এই বিষয়ে সবার উৎসাহ কমে আসে। ডকিন্স নিজেও বলেছেন এটি একটি উপমা মাত্র। অনেকে বলেন মীম ধারনাটিই একটি মীম এর উৎকৃষ্ট উদাহরন। ডকিন্স নিজেই বলেছিলেন,
“My enthusiasm for it was never, ever as a contribution to the study of human culture,” he said. “It was always intended to be a way of dramatizing the idea that a Darwinian replicator doesn’t have to be a gene. It can be a computer virus. Or a meme. The point is that a good replicator is just a replicator that spreads, regardless of its material form.”
http://www.slate.com/articles/arts/egghead/2004/12/the_man_behind_the_meme.2.html
মীম আিডিয়াটি নিজেই কেমন করে একটি মীম হয়ে উঠল, এটা নিয়ে একটি আর্টিকেল দেখতে পারেন,
The misunderstanding of memes: Biography of an unscientific object, 1976–1999
http://www.mitpressjournals.org/doi/pdf/10.1162/POSC_a_00057
@সফিক,
হ্যা মীমের সমালোচনাগুলো সম্বন্ধে আমি ওয়াকিবহাল। ‘মীম’ বলে সত্যিই কিছু আছে কিনা সেটা আমার প্রবন্ধের মূল অনুসন্ধান নয়। এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক লেখাই আছে। সুসান ব্ল্যাকমোর, ডেনিয়েল ডেনেটারা যেমন পক্ষে অনেক কিছু লিখেছেন, ঠিক তেমনি বিপক্ষেও অনেক লেখা আছে। নিঃসন্দেহে মিম ব্যাপারটি প্রমাণিত কিছু নয়। কিন্তু যেটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ তা হল, ধর্মীয় এবং উগ্রপন্থি ধ্যান ধারনাগুলো মানুষের মননকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, তাদের সংক্রমিত করে অনেকটা ভাইরাসের মতোই, সেটা আমরা স্বীকার করি আর নাই করি। অধ্যাপক ভিক্টর স্টেঙ্গর তার সাম্প্রতিক ‘গড – দ্য ফলি অব ফেইথ’ বইয়ে ডেরেল রে’র গবেষণা থেকে পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লিপিবদ্ধ করেছেন –
১) এটা মানুষকে সংক্রমিত করে
২) অন্য ধারণার (ভাইরাসের) প্রতি প্রতিরোধ এবং এন্টিবডি তৈরি করে
৩) কিছু বিশেষ মানসিক এবং শারীরিক ফাংশনকে অধিকার করে ফেলে, এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে এমনভাবে লুকিয়ে থাকে যে সেই ব্যক্তির পক্ষে তাকে সনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
৪) বিশেষ কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাইরাসের বিস্তারে।
৫) বাহককে অনেকটা ‘প্রোগ্রাম’ করে ফেলে ভাইরাসের বিস্তারে সহায়তা করতে।
এগুলো কমবেশি আমরা সমাজে তাকালে চোখের সামনেই দেখতে পাই। এর বাইরে কিছু ইম্পিরিকাল পরীক্ষার উপরেও কিছু জায়গায় কাজ চলছে। দেখা যাক…
@অভিজিৎ,
আমি আসলে হতাশ আপনার লেখা পড়ে । আপনি সুত্র হিসাবে জনকন্ঠের নাম উল্লেখ করেছেন। জনকন্ঠ, আমারদেশ, নয়াদিগন্ত এরা সবাই একপেশে লেখে। আপনি যখন সূত্র হিসাবে জনকন্ঠ, আমারদেশ, নয়াদিগন্ত এর নাম উল্লেখ করবেন তখন আপনি একটি নিদিষ্ট দলের ভাবধারায় বিশ্বাসি বলে পরিচিতি পাবেন। ২০০৫ থেকে আপনার লেখা পড়ছি এবং আপনার বিজ্ঞান বিষয়ক লেখার আমি একজন একনিষ্ঠ ভক্ত। কিন্তু ইদানিং আপনার লেখা গুলো একপেশে হয়ে যাচ্ছে। রাজীবের মৃত্যু কোন ভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু রাজীব যে ভাষায় ইসলামকে আক্রমণ করত সেটা ও অনেকের কাছে গ্রহণ যোগ্য ছিল না। সেই তুলনায় মুক্তমনায় ইসলাম বিষয়ক লেখাগুলো অনেক যুক্তি সম্পন্ন । জোর করে আপনি কারো বিশ্বাস একদিনে পরিবতন করতে পারবেন না। ৈধয্য নিয়ে , যুক্তি দিয়ে এদেরকে বুঝাতে হবে। আমি নিজে মুক্তমনার কিছু যুক্তি সম্পন্ন লেখা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করে অনেকের চিন্তা চেতনার পরিবতন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সবাই উগ্রবাদী হয়ে গেলে সামনে এগুবো কি করে। আমরা যদি মনে করি উগ্রবাদীরা ভাইরাসে আক্রান্ত তাহলে তারা ও তো আমাদের সমন্ধে একই ধারনা পোষণ করতে পারে। তাই যুক্তিই হতে পারে এদেরকে ফিরিয়ে আনার এক মাত্র পথ সংঘাত নয় ।