(গত ১৮ জুলাই ২০১১ তারিখে আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিই। পরে স্ট্যাটাসটি “আমরা সত্য কথা বলি তাই আমরা বেয়াদপ” পেইজে পোস্ট করা হয় এবং সেখানে চমৎকার আলোচনা চলে। আলোচনাটিকে চমৎকার বলার কারণ হচ্ছে, সাধারণত ফেসবুকে মেয়েদের সমস্যা নিয়ে বেশি গলা ফাটাতে দেখা যায় পুরুষ নারীবাদীদের। স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজেদের “গোপন” সমস্যা নিয়ে কথা বলার মত মেয়ে পাওয়া মুশকিল।
সৌভাগ্যের বিষয়, আমরা এই আলোচনায় বেশ কয়েকজন মেয়েকে পেয়েছি যারা ফেসবুকীয় ভাবমূর্তির তোয়াক্কা না করে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আমাদের প্রতিক্রিয়াশীল সমাজের মধ্যে বেঁচে থেকে প্রগতিশীলতার চর্চা করা সকল মুক্তমনা নারীর প্রতি রইলো আমাদের শ্রদ্ধা।)
মেয়েরা দোকানে স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে গেলে ব্রাউন পেপারে মুড়িয়ে এমনভাবে দেয়া হয়, যেন কী না কী অবৈধ, অশ্লীল বস্তু দেয়া হচ্ছে । বয়ঃসন্ধির সময় পিরিয়ডের মত প্রাকৃতিক, সাধারণ ব্যাপার যদি অশ্লীল হয়, তবে ছেলেদের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে ধুমধাম করে অনুষ্ঠান করে, নিমন্ত্রণ করে লোক খাওয়ানোর ব্যাপারটি বোধ হয় ছাড়িয়ে যায় শালীনতার সকল মাত্রা ।
ফারিয়া নাজনীন প্রেমাঃ Agreed. Always this system used to make me feel unclean and ashamed without no fault of mine!
অ্যাডমিনঃ এটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা জরুরি । মেয়েদের মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়ার জন্যে যে কয়টি অস্ত্র পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করেছে, তার মধ্যে বয়সন্ধিকালীন এই অস্ত্রটি সবচেয়ে মোক্ষম । যেখানে আমাদের একজন মেয়েকে অভিনন্দন জানানো উচিত একটা প্রাণ সৃষ্টির ক্ষমতা অর্জনের জন্যে, সেখানে আমরা তার জন্যে সৃষ্টি করে রেখেছি অমানবিক মানসিক চাপ।
তনুজা বড়ুয়াঃ কথা সত্য ! আগে নিজেকে অপরাধী মনে হতো । এখন আর এসব নিয়ে ভাবি না । এটা অতি নরমাল ঘটনা , আমাদের চিন্তা গুলো এবনরমাল!
রেজওয়ানা হক পিয়ালঃ দোকানে গেলে মনে হয় মেয়েটা চুরি করতে গেছে,না জানি কত্ত বড় অপরাধ।
তাসনিয়া বুশরা মৌলিঃ ছোটবেলা থেকেই দেখছি আমার সহপাঠী মেয়েরা period হওয়া নিয়ে যতটা লজ্জিত, ছেলেরা ততটাই উৎফুল্ল, কত যে jokes কানে ভেসে আসলো তার হিসাব নেই। আমাদের ধর্মের শিক্ষক রোজার মাসে প্রতিদিন মেয়েদেরকেই জিজ্ঞেস করতেন তারা রোজা রেখেছে কিনা, না রাখলে কেন রাখেনি, এই question/answer session টা ছেলেরা খুব উপভোগ করতো, তখন লজ্জায় মাটিতে মিশে যেতে ইচ্ছা করতো। অনেক পরে বুঝলাম যে period হওয়া তো আমার কোন অপরাধ না, আমাকে কেন সারাজীবন এটা নিয়ে হিনমন্মতায় ভুগতে হবে? এটা তো আমার নিজের ইচ্ছায় হয়নি! বরং প্রতি মাসে যেই অবর্ণনীয় কষ্টটা নীরবে সহ্য করছি সেটার জন্য কি চারপাশের মানুষগুলোর থেকে একটু সহমর্মিতা পেতে পারিনা?
ফাহাদ জ্যাকসনঃ মুসলমানি করানো হয় নাবালক ছেলেদের, যাদের সেক্স সম্বন্ধে জ্ঞান থাকে না। কিন্তু ন্যাপকিন কিনতে যায় সাবালিকারা। পার্থক্যটা এখানেই। শুধুমাত্র মেয়েদের ক্ষেত্রেই যে এমন করা হয় তা তো না। আমি দোকানে কনডম কিনতে গেলে দেখেছি সেটাও প্যাকেটে মুড়িয়ে দেয়া হয়!
শামীম ফ্রেগেন্সিয়াঃ ফাহাদ, মোটেই না। আমাদের এখানে ১৮+ কারুরও মুসলমানি করানো হয়েছে, এমন ঢের নজির আছে।
অ্যাডমিনঃ ফাহাদ, আপনি কোন যুক্তিতে সেক্স আর পিরিয়ডকে এক করে দেখলেন পুরুষতান্ত্রিকতার বিচারে – ব্যাখ্যা করুন । এখানে সেক্স নিয়ে কথা হচ্ছে না, কথা হচ্ছে পিরিয়ড নিয়ে । একটা যুক্তিতে অন্য একটা অপ্রাসঙ্গিক যুক্তির অবতারণা কু- যুক্তির লক্ষণ-যেটা আপনি দিয়েছেন। আর পিরিয়ড এবং মুসলমানি- দুইটাই একজনের ব্যাপার । কিন্তু সেক্স দুইজনের । তাই সরাসরি আঘাতটা ছেলেদের উপর আসে না, আসে সেক্সের উপর । কিন্তু পিরিয়ড শুধু মেয়েদেরই হয়, ছেলেদের না ।
ফাহাদ জ্যাকসনঃ ভাই পিরিয়ড নামক ব্যপারটিকে আমি অশ্লীল বলছি না। কিন্তু সেটা একটা মেয়ের একান্ত ব্যপার। একটা সাবালিকার নির্দিষ্ট সময় পরপর পিরিয়ড হয় এটা সবাই জানে। কিন্তু একটা মেয়ে কখনোই সবাইকে বলে বেড়াবে না যে তার এখন পিরিয়ড চলছে। সেজন্য সবাইকে দেখিয়ে ন্যাপকিন কিনে নিয়ে যেতে সে বিব্রত বোধ করে। একারণেই দোকানদার কাগজে মুড়িয়ে দেয়। এখানে অশ্লীল বা অবৈধ কিছুই নেই, পুরোটাই সেন্টিমেন্টের ব্যপার।
অ্যাডমিনঃ আমি এটা মনে করি না কেউ যদি কনডম কিনতে যায়, তাঁকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেয়ার কোন যৌক্তিকতা আছে । কাম আমাদের জীবনের খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার । কাম আসলে কনডম দরকার হবেই, এটা না মেনে লুকিয়ে লুকিয়ে বাদাম ভাজা খাওয়ার কোন মানেই নেই ।
একান্ত এই ব্যাপারটাই যে কতোটা মেয়েকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে তা কী বুঝতে পারছেন না ?? আপনার দাঁত উঠলে কী আপনি লুকিয়ে রাখেন যে আপনার দাঁত উঠেছে ? বিব্রত কেন বোধ করে- তার কারণ সমাজ তাকে বিব্রত করে । কিন্তু এই বিব্রত করার পেছনে কোন কারণ নেই । আজকে সমাজ তাঁকে বিব্রত না করলে সে বিব্রত হবে না, এবং এটাই আমি বলার চেষ্টা করছি । পতিতার কাছে গিয়ে কারো যদি সিফিলিস হয়, তাহলে কেউ বিব্রত হতে পারে, আর না হলে সে বেহায়া । কিন্তু এই পিরিয়ড কোন রোগ না, এটা মেয়েদের একটা বায়োলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য- সেটা প্রত্যেকটা সুস্থ মেয়ের হয়ে থাকে ।
রেজওয়ানা হক পিয়ালঃ আজব ব্যাপার মায়েরাও শিখিযে দেন ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখতে আর তা শুরু হয় মেন্সট্রুয়েসন শুরু হওয়ার সাথে সাথে.মেয়েটাকে সব কাজ থেকে আর মানুষের সঙ্গ থেকেও আলাদা করে দেয়া হয় আর উদার ধর্মগুলো প্রার্থনা করার অধিকার ও কেড়ে নেয়।
রেড ব্লেডসঃ প্রশ্নটা আমি একবার তুলে ক্লাসমেটদের রসের স্বীকার হয়েছিলাম । আমি আজ পর্যন্ত স্যানিটারি প্যাড কেনার সাহস করে উঠতে পারি নি । মাসের ওই সময়ে মা’র কাছে গিয়ে গলা খাঁকারি দিলে মা কিনে এনে দেন । পিরিয়ডের মতো সুন্দর একটা বিষয়- যা একটা নারীর সুস্বাস্থ্যের পরিচায়ক- সেটাকে পঁচিয়ে ফেলা হয়েছে ।
মৌমিতা তৃষাঃ কেন নামাজ পড়া যাবে না, কেন পূজা দেয়া যাবে না । এটা গডেরই সৃষ্টি করে দেয়া । এটা এটা মেয়ের হওয়া কি পাপ ? যদি তাই হয় কেন শুধু মেয়েদের দিলেন ? কি দোষে ? কিন্তু বিধাতার এ কেমন বিচার জানি না ।
রেজওয়ানা হক পিয়ালঃ বিধাতাও পুরুষদের পক্ষে,তাই পুরুষরা এই ব্যাপার নিয়া রসাল আলোচনা করবে,মেয়েদের দোকানে দেখে টিজ করবে আর বিধাতা চুপচাপ তাদের পক্ষে থেকে যাবেন।
মেহেদী হাসানঃ আমি জাষ্ট এটা বলবো , ন্যাপকিন মুরিয়ে দেয়ার কারন শুধু মাত্র লোভী কিছু বিকৃত মনের পুরুষের জন্য । মেয়েরা যেখানে এই পবিত্র ধর্ম এর কাছে এমনি ই ছোট হয়ে আছে , যেখানে তাদের কে কোন মুল্যই দেয়া হচ্ছে না সেখানে একটা মেয়ে কিভাবে নিবে সহজ ভাবে এই ন্যাপকিন ? আপনি আমাকে বলতে পারবেন , এই সমাজের প্রেক্ষাপটে কয়জন কোন কটু কথা বলবে না তখন?? এই সব শুধু কিছু শুয়োরের বাচ্চা পুরুষের জন্য হয়ে আসছে । আর আপনি কি মনে করেন এর জন্য আমারা পুরুষেরাই কি দায়ী না ? দৃষ্টি ভঙ্গি অনেক বিশাল ব্যাপার । যে জিনিস টা ইসলামে হুজুর দের আর খাটি আস্তিক দের যে কিভাবে শেখানো হয়েছে আমার পেয়ারকা দোস্ত আল্লা ফাক ই জানেন । আমি আমার বড় আপুর কাছে , সমগ্র নারী জাতির কাছে এর জন্য সরি ।এই শব্দটা বলা ছারা আমার আসলেই কিছু করার নেই যতদিন না ধর্মের কুতসিত গোড়ামি থেকে আমি বের হতে পারছি ।
ইমা নায়েরাঃ I even found my friends hesitating to by their own napkin when i was in college, but I never hesitated. I buy my napkin wit our monthly household shopping. Most of the time my dad bought me napkin when I was sick (I get sick when I get period).
Whenever anyone asked me, “What happened ?” seeing me sick, I answered I have got period, even to my teachers. Since I started to understand (which I supposed to know long ago!!!!). I never faked my period or napkin.
শুভজিৎ ভৌমিকঃ কয়েকজন মেয়েকে দেখলাম পিরিয়ডের মত স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে বেশ খোলামেলা আলোচনা করতে, খুবই আশার সঞ্চার করলো ব্যাপারটা। অভিনন্দন আপনাদের, প্রতিক্রিয়াশীল সমাজে থেকেও মনটাকে মুক্ত রাখতে পারার জন্য।
ব্যাপার হচ্ছে, যেসব বিষয় সম্পর্কে মেয়েরা সাধারণত আলোচনা করতে চায় না, সেসব বিষয়ে আমরা যদি কোনও মেয়েকে আলোচনা করতে দেখি, তাহলেই মনে মনে একবার হস্তমৈথুন সেরে ভাবি “পাইছি একটা মাল, এ তো দেখতাছি পুরাই ওপেন।”
এরপর সেই মেয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে জমা হতে থাকে একের পর এক বন্ধুত্বের আহবান। যথারীতি সেক্স চ্যাটের আশা নিয়ে দন্ডায়মান পুরুষ বসে যান কী-বোর্ডে চটি সাহিত্য রচনা করতে।
মানে চিন্তাভাবনার কোন বিষাক্ত পর্যায়ে আছি আমরা ? খোলামনের মেয়ে হলেই যে সে যৌনতার জন্য “খাই-খাই” করছে, ব্যাপারটা তো এমন নয়। পুরুষের মধ্যে অদ্ভুত সব বিকৃত রুচির সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি দেখি, আর পুরুষ হওয়ার জন্য লজ্জায় মাথাটা হেঁট হয়ে যায়।
অর্বাচিন স্বাপ্নিকঃ একটা ব্যাপারে পুরুষরা সফল, আমার অনেক বান্ধবী আছে যারা নিজেদের মুক্তমনা, প্রগতিশীল মনে করে তারা-ও এই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে আমতা আমতা করে। মনে আছে ভার্সিটিতে এক বান্ধবী প্রছন্ড ঝামেলায় থাকা অবস্থায়-ও (থিসিস টাইম) আমাকে বলতে চায় নাই টয়লেটে লুকিয়ে একটার পর একটা বান্ধবীকে কল করে গেছে, কেউ ছিলো না। পরে আমি ওর জন্য ন্যাপকিন এনে দিয়েছিলাম। সেটা নিতে-ও ওর যথেষ্ট সঙ্কোচ ছিলো।
শুভজিৎ ভৌমিকঃ অর্বাচিন স্বাপ্নিক,
এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটতে সময় লাগবে। জ্বর আসলে মানুষ লজ্জা পায়না, কাশি হলে মানুষ লজ্জা পায়না, এমনকি ক্যান্সার হলেও কেউ লজ্জা পায়না। কিন্তু গাইনী প্রবলেম মানেই অপবিত্র ব্যাপার। “ধোন” ক্যান্সার অপবিত্র না, স্তন ক্যান্সার অপবিত্র।
কী বিচিত্র !!
লুৎফুন নাহারঃ পিরিয়ডটা একটা গোপন ব্যপার। খাৎনার মত লাফালাফির তো কিছু নাই। কিছু ব্যপার একটু রেখেঢেকে চললে শান্তিদায়ক ও সুন্দর। দোকানে তো ছেলেরা কনডম কিনে, অনেকে তো হর্স পাওয়ার টাইপ বটিকা কিনে, কই এগুলা তো ছেলেরা জোরে জোরে বলেনা আর দোকানদারও তো কোনমতে মুড়িয়ে দিলে বাঁচে। আসলে এ্যাডমিন, আপনিই সমান ভাবে দেখতে পারেন না। কোন ব্যপারে গোপন করা জিনিসটা যেন আপনার সহ্যই হয়না। দুনিয়াতে কি সব কিছু উন্মুক্ত রাখতেই হবে ???
অ্যাডমিনঃ লুৎফুন নাহার,
#পিরিয়ডটা একটা গোপন ব্যপার। খাৎনার মত লাফালাফির তো কিছু নাই। #
প্রশ্ন নাম্বার এক- আলোচ্য উক্তিটি ব্যাখ্যা করুন ( যুক্তির সাহায্যে )
প্রশ্ন নাম্বার দুই- সেক্স আর পিরিয়ড কীভাবে এক ব্যাখ্যা করুন । সেক্সের নামের প্রক্রিয়াটায় যদি ছেলে মেয়ে দুইজনেই অংশগ্রহণ করে, তাহলে পিরিয়ডের মতো নারীর একান্ত জৈবিক ব্যাপারের সাথে এটাকে কেন তুলনা করা হচ্ছে ?
লুৎফুন নাহারঃ এ্যাডমিন, মুখ খুলেই বলি,
১। পিরিয়ড হচ্ছে একটা শারীরিক ব্যপার যা একটা গোপন যায়গা থেকে বের হচ্ছে। এটা কাভার দিতে প্যাড লাগে। এই তরল আঠালো গন্ধযুক্ত ব্যাপারটার রেশ নিয়ে সবাইর সামনে নাড়াচাড়া করতে ভালো লাগার কথা না। কি লাভ মানুষকে জানিয়ে যা আমার লাল পানি পড়ছে?
দুটা ব্যাপারই জৈবিক। তাই একই গোত্রের বলা কি ভুল? সেক্স তখনই সার্থক যদি একটা মেয়ের ঠিকমত পিরিয়ড হয় আর সে একটা মা হয় ।
২। সেক্স একটা গোপন ব্যাপার। কেউ চায়না, তার গোপন মূহুর্ট নিয়ে অন্য কেউ জানুক, ভাবুক। না হলে মানুষ পথে ঘাটে করত। ঘর লাগতো না।
অনিন্দিতা দাশগুপ্তঃ maximum পোলাপাইনদের সবসময় মেয়েদের জিনিসপত্রের দিকে লোভ। এদের যে অবস্থা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্রাউন পেপারে মুড়িয়ে না দিলে খোলা ন্যাপকিন দেখে এরা অঙ্গে-অঙ্গে লোমে-লোমে উত্তেজিত হয়ে পড়বে। পারলে ন্যাপকিন চিবিয়ে খেয়ে দাঁতের কিড়মিড়ি কমাবে।আর ওই মেয়েরে নিয়ে রসালো আলাপ আর চিন্তা ভাবনা তো আছেই। পারলে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শরীরে একটা ধাক্কা দিয়ে কিছু শান্তি নিবে। আর মেয়েদের অস্বস্তিটা mainly এইসব কারণেই। দর্শকগুলাই অশ্লীল।
শুভজিৎ ভৌমিকঃ লুৎফুন নাহার এবং অনিন্দিতা দাশগুপ্ত,
কথাটা অবশ্যই সত্যি যে, ছেলেদের অতি আগ্রহ আপনাদের অস্বস্তির সৃষ্টি করে। কিন্তু এর কারণটা কী ? সঠিক শারীরিক শিক্ষা তো আমরা ছেলে-মেয়েদের দিতে পারছি না। নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি মানুষের চিরকালের আকর্ষণ। জ্বরের ওষুধ কিনতে গেলে তো মানুষ তাকিয়ে থাকে না, কারণ সেটা স্বাভাবিক। আমাদের বুঝতে হবে, পিরিয়ডও সেরকম স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। পিরিয়ডের মত সাধারণ ব্যাপারে ঊপর নিষিদ্ধ তকমা লাগিয়ে আকর্ষণ বাড়িয়েছি আমরাই।
যখন মানুষ বুঝতে পারবে যে এটা অদ্ভুত কিছু নয়, বরং খুবই স্বাভাবিক প্রাকৃতিক বিষয়, তখন থেকে সম্ভবত আর ট্যারা চোখে তাকাবে না।
অ্যাডমিনঃ কেউ চায় না, কারো ভালো লাগে না- এগুলা যুক্তি। তাই না ? আপনাকে মাইক ভাড়া করে কেউ বলতে বলে নি আপনার পিরিয়ড হয়েছে, কিন্তু এই ব্যাপারটাকে নিয়ে সামাজিক এবং ধর্মীয় কটাক্ষ করা হয় এবং হীনমন্যতা তৈরি করা হয়- সেটার বিরুদ্ধেই বলা হয়েছে । মানব জন্মের প্রক্রিয়াটা আপনাদের মতে খুবই অশ্লীল, কিন্তু কেউ জন্ম নিলে বুঝি সেই অশ্লীলতার লজ্জায় মিষ্টি বিতরণ করে ? আবার কন্সিভ করলে যে সবাইকে জানানো হয় সে কন্সিভ করেছে- কী উপায়ে যে করা হয় তা বুঝি কেউ বোঝে না ? না কী লাজ লজ্জার ভয়ে সব গোপন করে রাখেন ?
আর দুইটা জৈবিক ব্যাপার হলেও সেক্সে ছেলে মেয়ে উভয়কেই লাগে, তাঁদের দুইজনের সম্মতি লাগে, তারপর সেক্স হয় । আপনার পিরিয়ড বুঝি আপনার সম্মতি নিয়ে আসে ? অবশ্যই না । কোথায় কী বোঝানো হচ্ছে সেটা বুঝে কথা বলবেন । নারীদের যৌনাঙ্গ বিষয়ক যে সকল ট্যাবু আছে- সেটার বিরুদ্ধে কথা বলাই এর উদ্দেশ্য । আশ্চর্য, একজন মেয়ে হয়েও সেটা আপনার মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে, অ্যান্টেনা ক্যাচ করতে পারে নি ।
লুৎফুন নাহারঃ আমি আপনার কথা মানলাম এ্যাডমিন। কিন্তু প্যাড কিনতে গেলে কেউ আমার দিকে ট্যারা চোখে তাকাবে এটা আমার সহ্য হবেনা। খামাখা কিছু জন্তুরূপী লোলুপের সাথে একটা বিবাদ করার চেয়ে মনে হয় বাদামী প্যাকেটের সমাধানটা উত্তম ।
সৌরভ এসপিবিঃ যে সমাজ নারীর মনুষ্যত্ব অপেক্ষা নারীর নারীত্বকে বড় করিয়া দেখিয়াছে সে সমাজ সভ্য সমাজ হতে পারে না…শরৎচন্দ্র
আল্লামা শয়তানঃ যেই বিষয় নিয়া এখনকার এই আলোচনা ..এখানে মূলত কাদের স্বতস্ফুর্ততা দেখাবার কথা ছিল আর করা দেখাচ্ছে আসলে ? আমি আপনি ভৌমিক কি পারব এই সব ফালতু মেয়েলি ঘোমটা তুলে দিতে ? নাকি মুক্তমনা মেয়েদেরই এগিয়ে আসার কথা ?? কিন্তু তারা কি আদৌ সেরকম দল বেধে আসছেন ? যেকোনো ধরনের সংস্কার কাজের জন্য যুথবদ্ধতার একান্ত প্রয়োজন .. আমাদের মুক্তমনা মেয়েরা কি সেরকম যুথবদ্ধতার একটাও উধাহরণ দেখাতে পেরেছেন এ পর্যন্ত ??? একা একা একক প্রচেষ্ঠায় আর কত দিন ???
অ্যাডমিনঃ একটা পরিবর্তন কিন্তু ডেফিনিটলি আসছে, এবং আরও আসবে । কিন্তু হতাশার কথা হোল, মেয়েরা নাস্তিকতা কিংবা যুক্তিবাদীতার চর্চা করলেও তার নিজের দেহঘটিত ব্যাপারে সে কিছু বলতে চায় না, বা প্রথা ভাঙতে চায় না । কারণ হয়তো বেয়াদপ, নাস্তিক হওয়া আর চরিত্রহীন বেহায়া হওয়া আলাদা ব্যাপার । এখানেও মেয়েদের প্রতিবন্ধকতা বেশি । মেয়েদের সঙ্ঘবদ্ধ না হওয়ার আরেকটা বড় কারণ হোল তাদের অন্তর্মুখিতা । আমরা ছেলেরা একটা আড্ডায় দেখা যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা করে পার করে দিচ্ছি, আমাদের বাসায় কিছু বলছে না । কিন্তু একটা মেয়ে, তার সামাজিক নিরাপত্তা আর পারিবারিক মানসম্মনের দিকে লক্ষ রাখতে হয় । একটা মেয়েকে শুধু নিজেকে পরিবর্তন করলেই হয় না, তার সাথে তার পরিবারের মানসিকতাও পরিবর্তন করতে হয়- সেটা অসম্ভব । একটা প্রতিক্রিয়াশীল পরিবার থেকে একটা মুক্তচিন্তা করা ছেলে বের হতে পারে, যেটা মেয়েদের ক্ষেত্রে অসম্ভব । সেই জন্যেই তাঁদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া বেশি কষ্টের । আমার মেয়ে ফ্রেন্ডদের আমি দেখি, তারা যে স্বাধীনতা পায় তার সিকিভাগ যদি আমাদের দেশের ২৫ ভাগ মেয়েরা পেত, তাহলে এইসব ছাগুরা দৌড়ের উপর থেকেও কুল পেত না । তাই পরিবর্তনটা আগে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়েই আসুক, এক সময় বিস্ফোরণ হবেই ।
আজকে দেখেন কতোগুলো মেয়ে তাঁদের পক্ষে কথা বলছে, আমি সত্যি কল্পনাও করি এতোটা অকপটে তারা তাঁদের কথাগুলো বলতে পারবে । জানতাম এই স্ট্যাটাসে লাইক আসবে প্রচুর, কিন্তু এত তেজি কমেন্ট একেবারেই আশা করি নি । এটাই এখন অনেক কিছু ।
টেস্ট অফ চেরিঃ পারিপার্শ্বিক সমাজ ব্যবস্থা, ধর্মীয় কারন গোপনাঙ্গ থেকে নির্গত হয় বলে মেয়েদের ছোটবেলা থেকেই ব্রেন ওয়াশ হয়ে যায় ব্যাপারটা নিয়ে । কোরআন এর একটি আয়াত এ পড়েছিলাম ” লোকে তোমাকে রজস্রাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে , তুমি বোলো তা অশুচি । রজস্রাবকালে স্ত্রীলোক বর্জন করবে, আর যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয় তাদের কাছে সহবাস এর জন্য যেও না। ” ( ২ । ২২২ )
অর্থাৎ ধর্মীয় গ্রন্থে এটা এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন রজস্রাব একটি অপবিত্র, নোংরা, অশুচি জিনিশ । এমনকি অধিকাংশ ধরমাবলম্বী মেয়েরা রজস্রাব চলাকালীন ধর্মীয় উপবাস পালন করতে পারে না । এটা যদি যৌনাঙ্গ থেকে নির্গত না হয়ে চোখ দিয়ে নির্গত কোন body fluid হত তাহলে তখন হয়ত অনেকের চোখেই এটা এত অশুচি বা অপবিত্র কিছু হত না। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এ স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে রজস্রাব এর রক্ত অপরিস্কার, অপবিত্র বা unhealty বলার কোনও কারণ নেই । এটা সম্পূর্ণ একটি natural body fluid।
ধর্মীয় এসব গোঁড়ামি পারিপার্শ্বিক সমাজের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে । আর সমাজব্যবস্থা এই ব্যাপারটা নিয়ে মানষকে বাক্সবন্দী করে রাখে । রজস্রাব শুরু হবার সময়কালে মেয়েদের সবচেয়ে বেশী সাহায্য করে তার মা । তিনিই প্রধানত এই সম্পূর্ণ অক্ষতিকর প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেন। ফলে মেয়েটি একটি অদ্ভুত মানসিক দ্বিধায় ভুগতে থাকে যে, এটা আসলেই অপবিত্র নোংরা জিনিশ। পরবর্তীতে সমাজ আর ধর্ম এই বিশ্বাসটাকে সম্পূর্ণভাবেভাবে পাকাপোক্ত করে । রজঃস্রাব গোপনাঙ্গ ঘটিত ব্যাপার বলে মেয়েরাও স্বভাব অন্তর্মুখিতার কারণে এই সনাতনী চিন্তা থেকে বের হতে পারেনা । এই সনাতনী চিন্তাধারাকে আঁকড়ে ধরে কুয়োর ব্যাঙ হয়ে থাকার কোনও মানেই হয় না ।
অমিত খানঃ আসল সমস্যা আমাদের মানসিকতায় ও সমাজ ব্যবস্থায়। আমরা মেয়ে দেখলেই বলি “আহা” আর যদি দেখি সে ন্যাপকিন হাতে নিয়ে যাচ্ছে। তবে তো কথাই নেই। এর জন্য আমি একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করিঃ
আমরা কয়েকজন বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিলাম তখন একটা মেয়ে দৃশ্যমান পলিথিনে মুড়িয়ে ন্যাপকিন নিয়ে যাচ্ছিল সেখানেই আমার একটা বন্ধু বলে উঠলো। “মামা দেখ কি নিয়া যায়। এখন কিন্তু মেয়েটার সাথে সব কিছু করতে মজা…”
আজকে যদি আমরা উন্নত বিশ্ব গুলার দিকে তাকাই, সেখানে আমরা দেখছি বাচ্চা সময় থেকেই একটা মেয়ে ও ছেলের মধ্যে বন্ধুত্ব এতে করে একটা ছেলে বুঝতে শিখে বা জানতে শিখে একটা মেয়ের মনকে। কি করলে একটা মেয়ের মন কষ্ট পায় আর কি না করলে একটা মেয়ে আর সবার মতই নিজেকে মানুষ ভাবতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের সমাজ এটাকে এতটাই কঞ্জারবেটিভ করে দিচ্ছে যা আসলে বলার মতই না। আমাদের দেশের সমাজ এমন ভাবেই গড়িয়েছে, যেখানে একটা মেয়েকে নিয়ে রিক্সা করে ঘুরলে পাশের রিক্সার বৃদ্ধ মানুষটি বাঁকা চোখে তাকিয়ে থাকে। সেখানে কী করে বুঝবে আমাদের ছেলেরা একটা মেয়ের মনকে। আর এই বুঝতে না পারার ভুল গুলো যেমন ইভটিজিং, নারীর প্রতি সহিংসতাগুলোকে পর্দা বা ইসলাম সঠিক ভাবে পালন না করার অজুহাত দাঁড়া করিয়ে দেশের তরুণ মেধাবী সমাজকে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে।
সুরাইয়া ফারজানা শান্তাঃ একটা স্বাভাবিক ঘটনাকে অস্বাভাবিক ভীতিকর, লজ্জাকর রুপ দেওয়ার মূলে কাজ করে বৈষম্য তৈরীর নীল নকশা। এই সহজ সত্যটা যতদিন না আমরা বুঝতে পারবো, বৈষম্যের এই অবকাঠামো আমাদের বেড়ে উঠতে দেবে না।
অর্পিতা ভৌমিকঃ যেই নোংরা ধর্মগ্রন্থগুলো এবং যেই নোংরা সমাজ মেয়েদের পিরিয়ডকে অশুচি, নাপাক, লজ্জার, গোপনের ইত্যাদি নানাবিধ বিশেষণে আখ্যায়িত করে মেয়েদের ন্যাপকিন ব্রাউন পেপারে মুড়িয়ে নেবার অনুপ্রেরণা দেয়, মেয়েদের কাছে অনুরোধ, সেই নোংরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে এবং সেই নোংরা সমাজকে ব্রাউন পেপারে মুড়িয়ে নর্দমায় ফেলে দাও।
কন্ডম-পাওয়ার বটিকার সাথে পিরিয়ডের তুলনা দেখে অবাক হলাম। একটা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আর বাকিগুলো যৌনতার সাথে সম্পর্কিত। যৌনতা নিয়ে রাকঢাক বা সংকোচ এক জিনিস, আর স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া নিয়ে সংকোচ আরেক জিনিস। কিসের সাথে কিসের তুলনা?
আলোচনা বেশ লাগল। (Y)
মেয়েরা বেশী বেশী করে খোলামেলা ভাবে ধম্মবাদী পুরুষদের চাপিয়ে দেয়া মেয়েদের দাবিয়ে রাখার এই স্বার্থপর রায়কে আঘাত করতে থাকুক। যত স্পষ্ট ভাবে আর দৃঢ়ভাবে তা করা হবে ততই ভালো।
প্রায় না বলা অথচ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নিয়ে লেখা খুব দরকার ছিল। খুব ভালো কাজ হয়েছে। (Y)
@কাজী রহমান, মেয়েরা খোলা মেলা ভাবে চলুক যাতে আমরা ছেলেরা তাদের উপভোগ করতে পারি কি বলেন? যদি তারা ধর্ম মেনে দেহ অনাবৃত করে রাখে তাহলে দেখবো কিভাবে, ঠিক না, আপনার সহ আরও কয় একজনের লেখা অনুসারে একমত হয়ে মন্তব্য করলাম। 😉
গোটা পোস্ট এবং মন্তব্যসহ আলোচনাটা বেশ আকর্ষণীয়। তবে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা ভালোভাবে এখানে আসেনি তা হলো, মেয়েদের খুবই প্রাকৃতিক এই পিরিয়ডটাকে কেন এতোটা সংকোচের মনে করা হয় ? আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির যে ধারা তার পেছনে রয়ে গেছে হাজার বছরের ধর্মীয় কূপমণ্ডুকতার সুতীব্র প্রভাব। ধর্মীয় প্রথা বা নীতিশাস্ত্র থেকেই চলমান সংস্কৃতিতে অনেকগুলো নেতিবাচক বাই-প্রোডাক্ট তৈরি হয়েছে, যা ক্রমান্বয়ে খুব শক্ত প্রথায় পরিণত হয়ে গেছে। শুধু তাই নয় সেই প্রথা আমাদের মানসিক জগতটাকেও সেভাবেই তৈরি করে ফেলেছে। এরই বিকৃত রূপ হচ্ছে বর্তমান আলোচ্য সমস্যাটা।
এই পোস্টেই একজনের উদ্ধৃতি পড়লাম, কোরআনের আয়াতের, যেখানে বিষয়টাকে সম্মানজনক বিবেচনা করা হয় নি। অর্থাৎ মেয়েদের এই স্বাভাবিক ঘটনাটা যেন মস্ত এক অপরাধের ব্যাপার ! নিন্দার ব্যাপার ! এই উপমহাদেশের প্রাচীন সংস্কৃতি ঘাটলেও এর সুতীব্রতা আরো বেশি করেই চোখে পড়ে। এক্ষেত্রে বৈদিক সংস্কৃতির প্রতিভূ মনুসংহিতার উদাহরণ টানলেই বুঝা যায় কেন এই অঞ্চলে মেয়ের ঋতুবিষয়ক সাধারণ ঘটনাটা কুচক্রি পুরুষতন্ত্রের প্রভাবে ঐশীভাবে নিন্দনীয় হয়ে গেছে। যেমন মনুশাস্ত্রে বলা হচ্ছে-
হিন্দু সংস্কৃতির এই প্রাচীন ধারণাটা এখনো রক্ষণশীল পরিবারগুলোতে খুব নীতিনিষ্ঠভাবে শতকরা একশভাগই মান্য করা হয়। যেহেতু বিষয়টা বহুকাল ধরে এ অঞ্চলের সমাজ-সংস্কৃতির অংশ, তাই ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এই কুসংস্কার খুব গভীরে প্রোথিত হয়ে আছে। ফলে যে ঘটনা ধর্মের দৃষ্টিতে এতোটা নিন্দনীয় করা হয়েছে, সেই ঘটনা যখন একজন মেয়ের জীবনে প্রতিটা মাসেই স্বাভাবিকভাবে ঘটতে থাকে, তখন সেটা কি মেয়েটার মানসিক জগতটাকে প্রচণ্ড হীনম্মণ্যতায় ডুবিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয় ? কৌশলি পুরুষতন্ত্র এভাবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নারীদলনের যে প্রক্রিয়া চালু রেখেছে হাজার বছর ধরে, তারই ফায়দা তুলছি পুরুষতন্ত্রের প্রতিভূ আমরা। ধর্মীয় দৃষ্টিতে অপরাধবোধে আক্রান্ত মেয়েটা কী করে এই অবদমিত কামনায় আক্রান্ত পুরুষ-সমাজে প্রকাশ্যভাবে নিঃসঙ্কোচে ন্যাপকিন নিতে যাবে ! আর আমাদের কামনা-বর্বর চোখগুলো তো পুরুষতান্ত্রিক ধর্মেরই সৃষ্টি ! যে ধর্মের মূল অভিসন্ধিই হচ্ছে কাম আর ভোগ, সেই ধর্মীয় আবহটা যতক্ষণ পর্যন্ত না ছুড়ে ফেলা যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত একটা মেয়ে সেইসব বেজস্মা পুরুষ-লোলুপতা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে আড়াল রাখতেই হবে। সাহসী মেয়েটা প্রকাশ্যে নিঃসঙ্কোচে এসব তোয়াক্কা না করলেও আড়ালে ঠিকই ছেঁচরা পুরুষের কটাক্ষের শিকার হতে থাকবে। যে পর্যন্ত না মূল ধরে টান দেয়া যাবে, সে পর্যন্ত বিশেষ বিশেষ প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিপ্রতিবন্ধকতা ডিঙানো গেলেও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা রয়েই যাবে।
আর এখানে বলে রাখা বাহুল্য হবে না যে, যে যেভাবেই দেখি না কেন, জাকজমকপূর্ণ খতনা অনুষ্ঠান আসলে সেই অশ্লীল পুরুষতন্ত্রের একধরনের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণার নির্লজ্জ জয়গানেরই নামান্তর।
তবে মেয়েদের এসব সাহসী পদক্ষেপ যত বাড়বে, ততই এটি ক্রমান্বয়ে সহনীয় অবস্থায় চলে আসবে বৈকি। হুট করে যেহেতু ভোজবাজির মতো সবকিছু পাল্টে যাবে না, তাই অভিনন্দিত করছি সেইসব মেয়েদেরকে যারা আড়ালে-আবডালের কটাক্ষকে তোয়াক্কা না করে এই কুপ্রথাটাকে ভাঙতে সাহসের সাথে এগিয়ে আসছে। এভাবে এগিয়ে না এলে তা ভাঙবে কী করে !
সেক্স-এডুকেশন নিয়ে ইংল্যান্ডের কিছু আলোচনা দেখা যাক। বাংলাদেশে তো লজ্জাবোধ করেন নারীশিক্ষকেরা, এখানে পুরুষেরাও করেন। আমরা এ ব্যাপারে খুব একটা পিছিয়ে পড়েছি আর অন্যরা বহুদূর এগিয়ে গেছেন তেমনটা বোধ হয় নয়। অবাধ ও সহজলভ্য তথ্য-প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশও এগিয়ে চলেছে ধর্মের শক্ত-কঠিন বেড়াজাল ছিন্ন করে।
http://www.bbc.co.uk/news/education-10727656
http://www.bbc.co.uk/blogs/haveyoursay/2010/07/how_can_schools_improve_sex_ed.html
মানব প্রজাতিতে ধর্মের মতো লজ্জাও এসেছিল বিবর্তনের ধারায়, একদিন চলেও যাবে সেই ধারায়। সেদিন কক্সবাজারের বীচে উলঙ্গ নারী-পুরুষ দেখলেও কেউ ফিরে তাকাবেনা।
:guru: :guru: :guru:
সেদিনকার আলোচনা/ বিতর্কটা একটা গোটা পোস্ট হয়ে গেছে !!! তার উপর যেভাবে মেয়েরা অংশ নিয়েছেন তাতে আমার খুব স্বাস্থ্যকর ঠেকছে বাংলা ই-দুনিয়াটাকে !!! এই আমিও ছিলাম সেদিনকার আলোচনায় এটা এখানে দেখতে পেয়ে গায়ে কাঁটা দিচ্ছে, অবশ্য-ই আনন্দে এবং পুলকে!!! লেখক সহ এই সাহসী, যুক্তিবাদী বন্ধুদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই।
httpv://youtu.be/mILsx_c-vXw :guru: :guru: :guru:
@শামীম আহমেদ লস্কর,
আপনাকেও ধন্যবাদ এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
সত্যি কথা হল, আগে খুব লজ্জা লাগত। এখন পাত্তাও দেইনা :))
@কাক,
যেদিন থেকে সবাই বুঝতে পারবে যে এটা সাধারণ জৈবিক ব্যাপার, সেদিন থেকে কেউই পাত্তা দিবে না। আমরা সেই দিনটিরই স্বপ্ন দেখি 🙂
//যেসব বিষয় সম্পর্কে মেয়েরা সাধারণত আলোচনা করতে চায় না, সেসব বিষয়ে আমরা যদি কোনও মেয়েকে আলোচনা করতে দেখি, তাহলেই মনে মনে একবার হস্তমৈথুন সেরে ভাবি “পাইছি একটা মাল, এ তো দেখতাছি পুরাই ওপেন।”
এরপর সেই মেয়ের ফেসবুক প্রোফাইলে জমা হতে থাকে একের পর এক বন্ধুত্বের আহবান। যথারীতি সেক্স চ্যাটের আশা নিয়ে দন্ডায়মান পুরুষ বসে যান কী-বোর্ডে চটি সাহিত্য রচনা করতে।
মানে চিন্তাভাবনার কোন বিষাক্ত পর্যায়ে আছি আমরা ? খোলামনের মেয়ে হলেই যে সে যৌনতার জন্য “খাই-খাই” করছে, ব্যাপারটা তো এমন নয়। পুরুষের মধ্যে অদ্ভুত সব বিকৃত রুচির সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসি দেখি, আর পুরুষ হওয়ার জন্য লজ্জায় মাথাটা হেঁট হয়ে যায়।//
এটা সহ্য করা কঠিনই বটে, আমার নিজেরও খারাপ লাগত। কিন্তু কুসংস্কারকে সংস্কার করেই তো আগাতে হবে। আর সেই উদ্দেশ্যে এই পোস্টটা খুব ভাল প্রচেষ্টা ছিল (Y)
@লীনা রহমান,
ধন্যবাদ আপনাকে।
মানুষের জৈবিক দিক বা চাহিদা একটি বা দুটি নয়। অনেক। খাদ্য এবং পানিয় গ্রহন,ঘুমানো,মল মুত্র ত্যাগ,যৌন সঙ্গম,পুরুষের স্বপ্নদোষ (স্বপ্নে বীর্য খলন)এবং নারীর রজস্রাব সহ আরো অনেককিছু। মানুষ তাঁর সব ধরনের জৈবিক কাজেরই নান্দনিক রূপ দিয়েছে। ঘুম নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা,কবিতা আছে।খাদ্য এবং পানিয় ত রীতিমত গবেষনার বিষয়। মানুষ যেখানে মল মুত্র ত্যাগ করে যাকে ওয়াশ রুম বা টয়লেট বলা হয় তাঁর সাজসজ্জা এমন পর্যায়ও আছে যে দেখলে আক্কেল গুড়ুম হয়ে যায়।কিছুদিন আগে টিভি তে দেখলাম জাপান এ শুধুমাত্র একটি টয়লেট কমড যা ক্রিস্টাল দিয়ে মোড়ানো দাম ধরা হয়েছে লাখ ডলার এর ওপরে। এর অর্থ কি?। অর্থ এটাই যে জৈবিক ব্যপারগুলোকে স্বাভাবিক , সুন্দর ও নান্দনিক ভাবে গ্রহন ও প্রতিষ্টিত করা কারন এগুলো আমাদের জীবনের এবং দেহের অংশ।এগুলোকে বাদ দেয়া বা কটাক্ষ করা বা এড়িয়ে যাওয়া মানে নিজেদের সাথে নিজেরাই প্রতারনা করা। জৈবিক দিকগুলো মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত মানে এই নয় যে এটাকে অস্বস্তির সাথে মোকাবেলা করা। পশ্চিমের টিভি তে মাসিক এর প্যাড এর বিজ্ঞাপন দেখে বুঝা ই যায় না কিসের বিজ্ঞাপন এটা, কিন্তু খুব ই নান্দনিক ভাবে একে উপস্থাপন করা হয়। স্যনিটারি ন্যাপকিন এর মোড়ক ও এমন করা যেতে পারে শুধুমাত্র মেয়েরাই জানবে তারা কি কিনছে। মোড়ক দেখেই কেন বোঝা যাবে যে সেটা ন্যাপকিন?।ছেলেদের স্বপ্নদোষ ও অস্বস্তিকর কিন্তু যেহেতু তা শুধু ক্ষণিকের তাই হয়ত কম অসসস্তিকর,তারপরও অনেক সময় ছেলেদের বীর্য বিছানার চাদরে লেগে যাওয়ায় লজ্জায় পড়ে কিন্তু ছেলেরা!। এরপরে যে কথা থাকে তা হোল , ছেলেরা মেয়েদের সবকিছু নিয়েই উৎসুক প্রকাশ করে কিন্তু এই উৎসুক টা যেন হয় নান্দনি্ সেটাই সবাই আশা করে । সম্মান দিলে শুধু যে নারী খুশী হয় তা না , নারিকে সম্মান দিলে পুরুষের নিজেরও সম্মান বাড়ে এবং আত্মবিশ্বাস ও বাড়ে।
@ শুভজিৎ ভৌমিক
ভিন্ন প্রসঙ্গের প্রশ্ন – আপনি যে ব্যক্তিগণের মন্তব্য তাদের নামসহ প্রকাশ করেছেন, তা কি তাদের অনুমতি নিয়ে করা?
@প্রতিফলন,
হ্যাঁ, অনুমতি নিয়েই করা। এটা ফেসবুকে পূর্বপ্রকাশিত। সেখানে তাদের সবাইকে ট্যাগ করা আছে।
আলোচনাটা ভালো লাগলো।
শুভজিৎ ভৌমিকের কথাটা ঠিক,
@ব্রাইট স্মাইল্,
ধন্যবাদ আপনাকে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
আপনি একমত হয়েছেন শুভজিৎ ভৌমিকের সাথে-
আর আমি একমত হই লুৎফুন নাহারের সাথে-
এখানে অনেকেই বিষয়টাকে দাঁতের সাথে, জ্বরের ঔষধের সাথে তুলনা করেছেন, ভাগ্যিস তারা চুল কাটার সেলুনের উদাহরণ টেনে অন্য কিছু দাবী করেন নি।
ধর্মশিক্ষার ওস্তাদ যে মেয়েদেরই রোজা নিয়ে প্রশ্ন করবে তাতে আর অবাক হবার কী আছে? তবে দু একজন মোল্লাকে যদি জনসম্মুখে ঠাস ঠাস করে থাপ্পড় দেয়া যায়, তাদের বোঝতে খুব একটা সময় লাগবেনা।
একটি জৈবিক কারণ নিয়ে লিখতে গিয়েমেয়েলি সমস্যার শালীনতা-অশালীনতা শিরোনাম আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের আকর্ষণ এই কথাগুলোও ভাল লাগেনি।
@আকাশ মালিক,
১। ব্যক্তিগতভাবে আমিও লুৎফুন নাহারের সাথে একমত নই। অ্যাডমিন তার বিরোধিতাও করেছেন।
২।
আমার শব্দ চয়নের ব্যর্থতার জন্য এটা হতে পারে। আসলেই এটা সমস্যা নয়, জৈবিক ব্যাপার। কিন্তু পিরিয়ড ব্যাপারটিকে বাংলায় আর কীভাবে প্রকাশ করতে পারতাম বলুন ? আর কোনও শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা যায় কি আসলেও ? থাকলেও সেটি আমার জানা নেই। আমি দুঃখিত সেজন্য।
আর নারী ও নারীসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে আমাদের সমাজে নিষিদ্ধ করেই তো রাখা হয়েছে। এখানে দ্বিমতের কারণটা বুঝতে পারলাম না।
@শুভজিৎ ভৌমিক,
আমি মনে করি এ সবের পেছনে রয়েছে সুশিক্ষার অভাব, ও কুশিক্ষার প্রভাব। আর আমাদের অশিক্ষিত সমাজে বড় আপদটা হলো ধর্ম। শিশুরা ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছে আদমের হাড় দিয়ে সৃষ্ট হাওয়ার ঋতুস্রাব তার পাপের শাস্তি। যুগযুগ ধরে ওয়াজ করে শেখানো হচ্ছে, নারী অপদার্থ, অশুচী, অপবিত্র, পরজীবি, অসামর্থ, সেবিকা দাসী ইত্যাদি। আপনাদের এই আলোচনা থেকে কিছু মানুষ অবশ্যই উপকার পাবেন, তবে সম্পূর্ণভাবে এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হবে, স্কুলের ক্যারিকুলামে বিবির্তনবাদ ও সেক্স-এডুকেশন অন্তর্ভুক্ত করা। যদিও ধর্মের জঞ্জাল বা আবর্জনা এতো সহজে আমাদের সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব হবেনা।
@আকাশ মালিক,
অন্তর্ভুক্ত করলেই হবে না, আরও অন্তত একশো বছর লাগবে এসব বিষয়ের শিক্ষক খুঁজে পেতে। এখনও ঢাকা শহরের স্কুল-কলেজগুলোতে প্রজননের চ্যাপ্টারগুলো নারী শিক্ষকেরা পড়াতে চাননা, সেই জায়গায় পুরুষ শিক্ষকের সাহায্য নেন।
লজ্জার জায়গাটা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে সেটা কীভাবে সম্ভব ? জৈবিক ব্যাপারগুলো যে খুবই স্বাভাবিক সেটা আমরা কবে বুঝবো ? যৌনতা তো অপরাধ নয় ! সেজন্য কনডম কেনার সময় কেনই বা একজন পুরুষকে গোপনীয়তার আশ্রয় নিতে হবে বা প্যাড কেনার সময় কেনই বা একজন নারীকে ব্রাউন পেপারে মুড়িয়ে নিতে হবে ? আমার ব্যক্তিগত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে অন্যদের কাছ থেকে গোপন রাখতে পারি, কিন্তু এটা তো দিনের আলোর মত সত্য যে সেগুলো এক্সিস্ট করে এবং সেগুলোর কিছু চাহিদা আছে।
পেটের চাহিদা পূরণের জন্য চাল কেনা যদি গোপনীয় না হয়, টয়লেট পেপার কেনা যদি গোপনীয় কাজ না হয়, তবে যৌন চাহিদা পূরণের সামগ্রী কিংবা প্যাড কিনতে গেলেই বিব্রত হতে হবে কেন ?
আমার মনে হয়, এর কারণ নারীকে অপবিত্র ভাবা। কেউ কন্ডম কিনছেন ? নারী জড়িত এখানে, কারণ সেই পুরুষ নারীর কাছে যাবেন কন্ডম নিয়ে। ভাবটা এমন, তিনি কোনও অপবিত্র সত্ত্বার কাছে যাচ্ছেন, অতএব তিনি অপরাধী। প্যাডের সাথেও শুধুমাত্র নারীই জড়িত।
কিন্তু ছেলের লিঙ্গের অগ্রভাগ কর্তন করা হচ্ছে সেখানে লজ্জার কিছু নেই কেন ? রাস্তায় “অমুক ভাইয়ের মুক্তি চাই” লেখা দেয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে পুরুষ মনের আনন্দে প্রাকৃতিক কর্মটি সেরে ফেলতে পারে, সেখানে নারী পারে কি ? পুরুষ নারী যদি সমান-সমান হয়, তাহলে লজ্জার সীমারেখাটাও সবার জন্য এক হওয়া উচিত নয় কি ?
@শুভজিৎ ভৌমিক, পিরিয়ডের বাংলা হল ঋতুকাল।সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন।আসলে ধর্মের নামে মানসিক পীড়ন ও সভ্যতার নামে কিছু মনগড়া স্ট্যান্ডার্ডকে আমূল বদলে না ফেললে কিছুই হবে না।
@আকাশ মালিক,
কিন্তু রেখেঢেকে চলে শান্তিদায়ক ও সুন্দর করার এই প্রচেষ্টা কি বাস্তবে শান্তি দিচ্ছে? এতো গোপনীয়তা সত্বেও মেয়েদেরকে এগুলো নিয়ে দোকানে, রাস্তা-ঘাটে বিড়ম্বনা সহ্য করে যেতে হচ্ছে, এমনকি একটি স্পেশাল কাগজ নিয়ে চলা ফেরা করলেও তো রক্ষা হচ্ছেনা, সেই কাগজের ভিতর কি আছে সেটা নিয়েও গবেষনা। গোপনীয়তা আর রাখ-ঢাক, ঢাক গুড়-গুড় করার ফলেইতো ধর্মশিক্ষার ওস্তাদরা মেয়েদেরকে ক্লাসে রোজা নিয়ে প্রশ্ন করে নিজেরাও মজা পাচ্ছে আবার ছেলেদের সামনে মেয়েদেরকে অপদস্ত করার সুযোগ পাচ্ছে (শান্তি আর সুন্দরের বিরল উদাহরন সৃষ্টি করে চলছে বটে!)
@ব্রাইট স্মাইল্,
(Y) (Y) (Y) (Y)
মেয়েদের পিরিয়ড জিনিসটা আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া অন্যান্য আট দশটা জিনিসের মতই সাধারণ।
এটাকে ঘৃণ্য মনে করে গোপন করার যেমন কিছু নেই,তেমনি এটা এমন কিছু নয় যে এটাকে কোথাও মাইক লাগিয়ে বলে বেড়ালে সেটা হবে উদার সমাজ,অথবা গোঁড়ামিমুক্ত।
আমি বুঝিনা একটা জিনিস ভাল কি মন্দ সেটা বুঝার জন্য আমরা নিজের বিবেক না খাটিয়ে কে কি বলল অথবা জিনিসটাকে কোথায় কিভাবে ব্যাখ্যা করা হল সেটা নিয়ে বেশী মাথা ঘামায়।অদ্ভুত…।।
@নিয়নের আলো,
(Y) (Y) (Y) (Y) (Y)