একটি দিন নয়
দুটি দিন নয়
দীর্ঘ একটি মাস
কেন এ নিষ্ঠুর-উপবাস?
এই অনাহার
এই তৃষ্ণার হাহাকার
দেখে কে করে অনন্দ
কে করে উল্লাস,
কার বয়ে যায় উচ্ছ্বাস?
গ্রীষ্মের দাবানলে শুকিয়ে যায় জলাশয়
পুড়ে চৌচির মাঠ-ঘাট,
লূ-হাওয়ায় তপ্ত হয় শ্বাস।
জলের তীব্র তৃষায়
আকণ্ঠ শুকিয়ে যায়।
মানুষের এ হেন কষ্ট দেখে
কে ফেলে শান্তির নিশ্বাস?
এ উপবাস কোন মহাঅপরাধের শাস্তি!
ক্ষুধায়-তৃষায় কাতর মানুষের
যন্ত্রণা দেখে কোন পাষাণ পায়
তার পাষণ্ড-হৃদয়ে স্বস্তি?
কেন এ কষ্ট ভোগ ক্ষুধার-তৃষায়
কীসের লোভে
কোন পুরষ্কারের আশায়?
পুরষ্কার যদি থেকেও থাকে
তবে তা পাবার আগে
কেন এ নিষ্ঠুর শাস্তি, বিনা অপরাধে?
সূর্যোদয়ের আগ থেকে সূর্যাস্তের পর পর্যন্ত
মনে হয় একটি দিন অফুরন্ত,
এ দীর্ঘ দিনমান
অধীর প্রতীক্ষা উপবাসীদের,
কবে হবে দিবসের অবসান।
খুদার জ্বালায় ম্রিয়মান মুখ
ক্ষীণ কণ্ঠস্বর
তৃষিত বক্ষখানি করে ধরফর।
এ কোন্ নিঠুরতার ধরন
কেন শুধু শুধু নিজেকে নিজে পীড়ন?
কেন এ না খেয়ে মরা
উপবাস থেকে কাকে খুশী করা?
একবিন্দু জলও নয়
একটি অন্নের ক্ষুদ্র কণাও নয়
কিছুই পারিবেনা করিতে পান
কিছুই পারিবেনা করিতে ভক্ষণ!
মানুষের এ কষ্ট দেখে
পিশাচের হাসি হাসে কোন নির্দয়-জন?
সত্যিই যদি থেকে থাকে
অদৃশ্য কোন মহাশক্তি
তবে কেন সে পারেনা দিতে
হাভাতের মুখে অন্ন
কেন সে মহাশক্তি এত সামান্য?
কেন সে সবকিছুতেই সর্বদা নির্বিকার?
তাকে ধিক্কার
যে বধিরশক্তি পায়না শুনিতে
ক্ষুধার্ত মানুষের চিৎকার।
কেন সে ব্যর্থ স্বৈরাচারী শাসকের প্রতি
বৃথা এত ভক্তি?
যে পারেনা করিতে
জগতের সমস্ত বিশৃঙ্খলার অবসান
ক্ষুধিত-তৃষিত মানুষের যন্ত্রণা দেখে
জুড়ায় যার নিষ্ঠুর-প্রাণ,
সে তো হৃদয়হীন
সে নিজেও হীন
কীসের সে সর্বশক্তিমান?
কোথায় তার শক্তির প্রমাণ?
এটা মনে হচ্ছে গন্ধম খাবার সাজা।
“ওরে পেটুক মানবসম্প্রদায়, বেহেশতে ত সব নেয়ামতই ছিল, শুধু মান করেছিলাম গন্ধম খেতে।এবার ৩০ দিন করে বছরে, খাবার এবং পানি বন্ধ। একটা দিন খাবি অথবা পান করবি তবে ৬০ দিনের কাফফারা।আমি আল্লাহ মহান।”
এ জন্যই মনে হয় এই নিষ্ঠুর উপবাস।যতই গরম লাগুক না কেন, আপনি খেলেই মাইর। :-s
@অচেনা,
গন্দম খাওয়া যদি পাপ হয় তাহলে তিনি গন্দম বানিয়েছিলেন কেন?
@তামান্না ঝুমু, সরি আপু একটু ভুল টাইপ করেছিলাম। লিখেছিলাম যে আপনি খেলেই মাইর, আসলে লিখতে চেয়েছিলাম যে পানি খেলেই মাইর 🙂 । যাহোক আল্লাহ কেন যে গন্ধম বানিয়েছে। এটা সেই ভাল জানে।আমি কি করে বলব। আমি ত পোস্ট করলাম আল্লাহ কে বিদ্রুপ করে।
@ তামান্না রুমু: রিয়ন সাহেবকে ছেড়ে দিন। বেচারা নয়তো আল্লার কাছে আপনাদের নামে বিচার দিয়ে বসবে। 😀
পুরো আলোচনাটাই অসাধারণ লেগেছে।কি জানেন এই ধরনের লোকেদের সাথে সামনা সামনি কখা বলতে ভীষণ লাগে, যদি কামড়ে দেয়।।
@অর্ক রায় চৌধুরী,
ইসলামের বিরুদ্ধে কথা ব’লে শুধু কামড় খেয়ে নিস্তার পাওয়া যাবেনা।ইসলাম বিরোধীতা যারা করবে তাদের হত্যার আইন মোহাম্মদ করে গিয়েছেন। কোরানেই লেখা আছে “নবীর কথার উপরে কথা নেই।” আমরা তো কোরান-হাদিসে যা লেখা আছে তার আলোকে কথা বলছি। এগুলো কারো বানানো কথা নয়। আলোচনা এবং বিতর্কও সে ভিত্তিত হবে।
@রিয়ন,
আপনার দীর্ঘ মন্তব্যটি পড়ে উত্তর দেয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। আপনার কথাগুলো বেশীরভাগই কোরান বিরোধী বা স্ববিরোধী। আসুন আমরা মিলিয়ে দেখিঃ
আপনি নিজেই স্বীকার করছেন আপনি সম্পূর্ণ কোরান এখনও পড়েননি অথচ না পড়েই কোরান সম্পর্কে আপনি শুধু বেশী জানেনই না বরং সুনিশ্চিতও।
আপনি লিখেছেনঃ
আপনার লিংক দেয়া কোরান এর বাংলা অনুবাদ বলছেঃ
(২৩) আল মুমিনুন
৫. এবং যারা নিজের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে।
৬. তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভূক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরষ্কৃত হবেন না।
এছাড়া আপনার হয়তো জানা নেই দাসী মারিয়ার গর্ভেই নবী মোহাম্মদের পুত্র কাশেমের জন্ম। দ্বিতীয় খলিফা ওমরের সময় পর্যন্ত দাসী মা ও মেয়েকে একই সাথে ভোগ করা যেত।
আপনি লিখেছেনঃ
আর আপনার কোরান বলছেঃ
(৪) আন নিসা
৩৪. আর যাদের অবাধ্যতার আশংকা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর।
আপনি লিখেছেনঃ
কোরানে ‘মা মালাকাত আইমানুকুম’ কথাটা চোদ্দবার এসেছে এবং সমস্ত তফসীরকারগণ একমত যে, এটা যুদ্ধ-বন্দ্বিনী সম্পর্কেই বলা হয়েছে।
সকল সাবালক পুরুষকে হত্যা করে সকল নারী ও শিশুকে মালে গণিমত হিসেবে ভাগ করে নেয়া হয়েছে যুদ্ধগুলিতে, এটাই সত্য, হাদীস ও সিরা বা নবীর জীবনি তাই সাক্ষ্য দেয়।
এরকম উদাহরণের আর শেষ নেই।
আপনি হয়তো বলবেন, হ্যাঁ, কোরানে লেখা আছে বটে কিন্তু এর ব্যাখ্যা অন্যরকম, আপনারা বুঝতে পারবেন না, শুধুমাত্র আলেম উলামারাই বুঝতে পারবেন, সেক্ষেত্রেও আপনার কোরান থেকেই উদ্ধিৃতি দেইঃ
(৫৪) আল ক্বামার
১৭.আমি কোরানকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্য।অতএব কোন চিন্তাশীল ব্যক্তি আছে কী ?
(১২) সুরা ইউসুফ
১.আলিফ-মিম-রা। এগুলো সুস্পষ্ট গ্রন্থের আয়াত।
(“Alif. Laam. Ra. ! These are the ayaat of a Book that
is clearly apparent to understand)
জনাব রিয়ন, এখন আপনার ভাষাতেই বলিঃ
দেখছেন তো অন্ধ বিশ্বাস কে করছে। সচচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনার দেয়া কোরান এর বাংলা অনুবাদটি আমার ইতোমধ্যে একবার পড়া হয়ে গেছে। অথচ আপনিই কিনা বলছেনঃ
রিয়ন সাহেব, স্খলিত পানি না হয় তরল বীর্য্য, জনন কোষ। কিন্তু তা’ কক্ষণোই কিডনী বা মূত্রাশয় বা বৃক্ক থেকে মূত্রের মতো নির্গত হয় না, এটা আসে শুক্রাশয় বা অণ্ডকোষ থেকে যা থাকে অণ্ডথলিতে। কোরান থেকে আপনার আহরিত জ্ঞান তো এমনই হওয়ার কথা।
বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত নতুন জিনিস আবিষ্কার করছে, তাই বলে যদি আপনি নতুন করে আবার কোরানের দেয়া তথ্য-তত্ত্ব অনুসারে দাবী করতে থাকেন বীর্য বা শুক্র মেরুদন্ড ও পাঁজরের মধ্যবর্তী কিছু একটা থেকে (বৃক্ক) আসে তা’হলে সত্যিই বলার কিছু নেই।
আমার বিনীত পরামর্শ, দয়া করে আপনার দেয়া লিংকটি থেকেই কোরান ভাল করে পড়ুন, তারপর জ্ঞান বিতরণ করতে আসুন।
@রিয়ন,
আসলে কথাটা হবে দাসী মারিয়ার গর্ভেই নবী মোহাম্মদের পুত্র ইব্রাহীমের জন্ম। কাশেম মোহাম্মদের প্রথম পুত্র যার জননী হচ্ছেন খাদিজা। এজন্য নবী মোহাম্মদের আরেক নাম হচ্ছে আবুল কাশেম।
ভুলের জন্য দুঃখিত।
@সফ্টডক,
রিয়ন সাহেবের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে কেয়ামত কাছে এসে গিয়েছে। কারণ কেয়ামতের আগে নাকি কোরানের হরফ উঠে যাবে। কোরানে যা যা লেখা আছে তিনি সুনিশ্চিতভাবে বলছেন তা কোরানে নেই । কোরানের কিছু কিছু হরফ উঠে গেল নাকি?
@তামান্না ঝুমু, (Y)
আপনারা যারা ইসলাম ধর্মের অবমাননা করছেন তারা কোন ধর্মের অধিকারী আমি জানি না । আমার জানার কোন ইচ্ছাও নেই । আমি একজন মুসলমান । একজন মুসলিম হিসেবে আমি শিখেছি , কখনও কোন ধর্মকে ছোট করে কিছু বলা ঠিক না । আমি আমার ধর্মকে অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি । কারণ ইসলাম ধর্মের কোন দিক আমার কাছে খারাপ মনে হয়নি । বরঞ্চ আমার কাছে মনে হয়েছে একজন মানুষের ভাল ভাবে বেচে থাকার জন্য এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ বিধান । আমরা সকলেই জানি একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে বেচে থাকলে হলে একটি সঠিক নিয়মকে সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হয়। এবং আমরা প্রায় সময় তাই করি । স্কুল-কলেজ , অফিস-আদালত থেকে শুরু করে সাধারণ খাওয়া-দাওয়া এবং হাটা-চলায় ও আমরা নিয়ম মেনে চলি । কারণ আমরা জানি নিয়ম-কানুন মেনে চলা ছাড়া একটি সুন্দর জীবন আশা করা যায় না । হতে পারে সেটা কঠিন । আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘটা সব কিছুই আমাদের কাছে কঠিন মনে হয় । তাই বলে যে তা অনুচিত বা ভুল, এটা বলা ঠিক কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আপনারা এটা নিয়ে কিছুটা ভাবলেই ধরতে পারবেন । নিজেদের মেধা আর প্রতিভাকে ভাল পথে এবং ভাল চিন্তা ধারায় এগিয়ে নেবার চেষ্টা করুন । তাহলে অবশ্যই এর খুব ভাল প্রতিদান পাবেন । এই আমরা যারা স্টুডেন্ট তারা পরীক্ষা দেই এবং ভাল ফলাফল করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও করি । আপার দৃষ্টিতে তা বেশি লাভজনক মনে হলে ও সেটা শুধু আমাদের ৬৫ বছরের জীবনেই কাজে আসবে । তার পর আর আসবে না । কিন্তু দেখা যায় এর জন্য আমরা অনেক রাত অনিদ্রা যাপন করি । অনেক শিক্ষকের কাছে দৌড়াদৌড়ি করি । আবার সকালের কাচা ঘুম ভেঙে কলেজ এ যেতে ও দ্বিধাবোধ করি না । আমরা সবাই জানি এগুলো আমরা যা করি তা আমাদের জন্য ভাল । কারণ নিয়ম মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা আনে । মানুষকে ভাল খারাপ আলাদা করতে শিখায় । আমরা এও জানি কিছু অর্জন করতে হলে কিছু বিসর্জন করতে হয় । সব কিছুই যদি খুব সহজে অর্জন করা যেত তাহলে তার কোন মুল্য আমাদের কাছে থাকত না । আমরা এটা খুব ভালভাবেই জানি …। মানুষ পারে না এরকম কাজ খুব কম আছে । আর একজন মানুষকে যদি সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে থাকতে দেয়া হয় । তাহলে সে উশৃঙ্খল হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক । তাই আমরা নিজেরাই নিজেদের বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করি । ধর্মও সেই কাজটিই করে । আর এক্ষেত্রে ইসলাম ধর্মকেই আমার কাছে পরিপূর্ণ ও শাশ্বত একটি জীবন ব্যবস্থা মনে হয় । আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের জন্য ইসলাম ধর্মকে অনেক সহজ করে দিয়েছেন । আবার সেই সাথে এটি অনেক কঠিনও । কারণ মানুষের ধর্মই হল নিষিদ্ধ জিনিশের পিছনে ছোটা । আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, “যে মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র ঈমান থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে ।” আবার তিনি এই কথাও বলেছেন যে , হাতের মধ্যে জ্বলন্ত কয়লা ধরে রাখা যতটা কঠিন ঈমান ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন কাজ । তবে এই কঠিন কাজটি যে করতে পারবে সে তার কাঙ্খিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে । কঠিন কিছু পেতে হলে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে এটাই স্বাভাবিক । আর আপনারা যে সামান্য খুদার জ্বালা সহ্য করতে পারেন না । তা সত্যিকার অর্থে হাস্যকর । তবে আপনারা হয়ত জানেন না যে আল্লাহ্ তায়ালা ৭ টি কারণে রোজা ভাঙ্গা জায়েজ করে দিয়েছেন । এর মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরবর্তীতে কাযা করতে হয় আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কাফ-ফারা দিতে হয় । আমি আপনাদের বলব যদি ইসলাম সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে চান তবে বাংলায় কুরআন তেলওয়াত করুন । ইসলাম সম্পর্কে জানুন বুঝুন তারপর তার সম্পর্কে মতামত দিন । তাহলে শুনতে ভাল লাগবে । আমি বাংলা কুরআন এর পিডিএফ ফাইল এর লিঙ্ক দিচ্ছি । আপনাদের কারও ইচ্ছে থাকলে নামিয়ে নিয়ে পরবেন । কিন্তু দয়া করে এর কোন প্রকার অমর্যাদা করবেন না । আল্লাহ্ তায়ালা নিজে কুরআনের রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব নিয়েছেন ।
কুরআন ডাউনলোড
@রিয়ন,
আমার ধর্ম মানবতার ধর্ম। কোন অলৌকিক ঐশী বাণীতে বিশ্বাস স্থাপন করা মানে অন্ধবিশ্বাস। ইসলাম ধর্মের কোন কোন বিষয় আপনার কাছে ভাল লাগে জানালে ভাল হয়। বাল্যবিবাহ, বহুবিবাহ, দাসীর সাথে বিবাহ ছাড়া সহবত, যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে বিবাহ ছাড়া সহবত, দোররা মারা, চোরের হাত কেটে দেয়া,কাফের হত্যা, কাফেরদেরকে যুদ্ধে পরাজিত করে তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ ও নারীদেরকে গনীমতের মাল হিসাবে দখল করে নেয়া, পত্নী প্রহারের লাইসেন্স দেয়া,অমুসলিমদের উপর জিজিয়া কর ধার্য করা, আল্লাহর সন্তুস্টি লাভের জন্য নিরপরাধ নিরীহ প্রাণী হত্যা করা আপনার কাছে শাশ্বত জীবন ব্যবস্থা মনে হয়েছে? আমার কাছে তো একটার চেয়ে আরেকটা জঘন্য মনে হয়।
মুক্তমনার কোন লেখক কোরানের অনুবাদ না পড়ে আছে বলে তো মনে হয়না। আমি নিজে অনেকবার পড়েছি। যত পড়ি তত ঘেন্না লাগে। সব পচাকথা।
@তামান্না ঝুমু, আপনার ধর্ম মানবতার ধর্ম শুনে ভাল লাগলো । আপনাকে আমি বলি নাই যে অলৌকিক ঐশী বাণীতে অন্ধবিশ্বাস করতে । কোন কিছুতেই অন্ধবিশ্বাস করা ঠিক না । সেটা যাই হোক । এতে একজন মানুষের নির্বুদ্ধিতার প্রকাশ পায় । আপনি একটি বিষয় সম্পর্কে জানবেন বুঝবেন তারপর তা যদি আপনার কাছে সঠিক মনে হয় তবে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করবেন । আসলে আমরা বেশির ভাগ সময় কিন্তু তাই করি । এক্ষেত্রে আমাদের যে ভুলটা হয় তা হল আমরা বেশির ভাগ সময় সঠিক জিনিশটাকে চিনতে ভুল করি । আর হা ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিষয়ই আমার ভাল লাগে । আপনি বাল্যবিবাহের কথা বলেছেন । এখন কথা হল বাল্যবিবাহ বলতে আপনি কি বুঝেন ? ১৮ বছর এর কম বয়সের মেয়ে আর ২১ বছরের কম বয়সের ছেলে বিয়ে করলেই তাকে বাল্যবিবাহ বলে ? আমাদের দেশের নিয়ম এটা হতে পারে । কিন্তু আসলেই কি তাই ? সে সময়টাতে এরকম কি ঘটে যে এর অন্যথা হলেই তাকে বাল্যবিবাহ বলতে হবে ? বিজ্ঞান বলে ১৮ বছর বয়স মেয়েদের জন্য মা হবার জন্য অনেকটাই সুবিধাজনক সময় । এর আগে মা হওয়া তার জন্য ঝুকি হতে পারে । কিন্তু এই বয়সে মা হয়ে কি মেয়েরা কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় না ? আবার ১০ বছরের মেয়ে কি সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারে না ? আর আমরা ভালভাবেই জানি বিজ্ঞান খুব দ্রুত উন্নতি করছে । অনেক নতুন নতুন তথ্য আসছে এবং পুরনো তথ্য গুলো ভুল প্রমানিত হচ্ছে । যেমন আজ থেকে কয়েক যুগ পূর্বে এক গবেষণায় বলেছিল যে মায়ের দুধ সন্তানের জন্য ক্ষতিকর । পরবর্তীতে তা ভুল প্রমানিত হয় । আবার আরেকটি তথ্য এসেছিল তা হল মানুষ বানর থেকে এসেছে । যা এখন অনেকটা ঝুলন্ত পর্যায়ে রয়েছে । অনেক বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ এটা বিশ্বাস করে আবার অনেকে করে না ।(আমিও বিশ্বাস করি না) দুঃখিত আমি অন্য টপিক এ চলে গেছি । এখন কথা হল আমাদের নিজস্ব চিন্তা ধারা কি বলে ? আমরা যখন বয়ঃসন্ধি কালে প্রবেশ করি তখনি আমাদের শরীর বিয়ের জন্য উপযুক্ত হয়,তার আগে নয় । আর যদি মানসিক প্রস্তুতির কথা বলেন মানে ম্যাচুরিটির কথা বলেন তাহলে বলতে হবে যে মানসিক প্রস্তুতিটা অনেকাংশে আপেক্ষিক একটা জিনিস । একে বয়স দ্বারা বিবেচনা করা যায় না । কিন্তু এক্ষেত্রে ইসলাম বলেছে একজন পুরুষ যতদিন না পর্যন্ত স্বাবলম্বী হবে ততদিন পর্যন্ত সে বিবাহ করতে পারবে না । কিন্তু আমাদের রাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী ২১ বছরের একজন তরুণ স্বাবলম্বী নাও হতে পারে ।(বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হয়ও না) কিন্তু তার পর ও সে বিয়ের উপযুক্ত !!! আর বহুবিবাহের কথা আপনি বলেছেন । ইসলাম সম্পর্কে যদি আপনি অবগত থাকেন তবে এটাও জেনে থাকবেন শুধুমাত্র হযরত মোহাম্মদ (সঃ) চারটি বিয়ে করেছিলেন বলেই সর্বাধিক চারটি বিয়ে করা মুসলমানের জন্য আল্লাহ্ তায়ালা জায়েজ করে দিয়েছেন । আর আপনি হয়ত এটাও জানেন হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর চারটি বিয়ে করার পিছনে যথেষ্ট কারণ ও ছিল । সেটা আপনি হাদিস পড়লে জানতে পারবেন । এবং আল্লাহ্র নির্দেশেই তিনি এটা করেছেন । তাই বলে কোন কারণ ছাড়া একজন মানুষের একাধিক বিয়ে করার কোন মানে হয় না । আর এই একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক শর্তও আছে । বিয়ে করলেই হবে না সেই শর্তগুলো পালন করতে হবে এবং তাদের হক সঠিকভাবে পালন করতে হবে । যা আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট কঠিন । আর এই ব্যপারে প্রথমেই যে জিনিশটা চলে আসে তা হল অবশ্যই একাধিক বিবাহ করার সময় তার বর্তমান স্ত্রীর অনুমতি থাকতে হবে । তা না হলে তা জায়েজ হবে না । আর দাসীর সাথে বিবাহ ছাড়া সহবাস করার কোন নিয়ম ইসলাম ধর্মে নেই । যদিও এই রীতিটা আরবে অনেক আগে থেকে প্রচলিত ছিল এবং আছে । এবং এই কাজটা ঐ দেশের অনেক মুসলিম মানুষই করে । কিন্তু তাই বলে যে এ কাজ করার অনুমদন ইসলাম ধর্মে আছে তা চিন্তা করা নেহায়েত ভুল একটা কাজ হবে আপনার জন্য । যেমন কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম আরবে ৬ মাস গ্রীষ্মের ছুটি দেয় । এবং এই ছুটির মধ্যে অনেক মুসলমান বিভিন্ন যায়গায় ভ্রমণ করে এবং ভ্রমণ কালে তারা সেখানকার মেয়েদের সাথে চুক্তিবদ্ধ বিবাহও করে । তাই বলে কি এইটা জায়েজ ? তা কিন্তু না । আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন কোন সাহাবী তার দাসীর সাথে বিবাহ ছাড়া সহবাস করেছে এরকম কোন দিন শুনেছেন ? শুনেন নি কারণ এরকম কখন ও হয় নি । হে যুদ্ধে জয়ী দল বিজিত দলের সকল সম্পদ ভোগ করতে পারবে তবে যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে বিবাহ ছাড়া সহবত করার কোন বিধান ইসলামে নেই । আপনি ভালভাবেই জানেন ইসলাম অশ্লীলতা,ব্যভিচার পছন্দ করে না । এমনকি আমাদের সাধারণ চিন্তা ধারা কি বলে ? যুদ্ধ বন্দীদের মেরে ফেলা অন্যায় কোন কাজ নয় । কারণ তারা আমাদের শত্রু এবং আমরা যদি তাদের না মেরে ফেলি তবে তারাই পরবর্তীতে আমাদের হত্যা করবে । কিন্তু তা সত্ত্বেও মহানবী (সঃ) যুদ্ধবন্দীদের মাধ্যমে তিনি মুসলিমদের শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করেন । এবং পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেন । এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে । হুম ইসলাম ধর্মে দোররা মারার বিধান আছে । তবে তা অবশ্যই নিরীহ মানুষের জন্য নয় । উপযুক্ত ভুলের উপযুক্ত শাস্তি হিসেবেই এর প্রচলন । যেমন মদ্য পান বা স্ত্রী নির্যাতন কিংবা এরকম অনেক খারাপ কাজের শাস্তি স্বরূপ দোররা মারা হয় । আর এই শাস্তির বিধান সবার জানা । সবাই জানা সত্ত্বেও যদি এই ধরণের ঘৃণিত কাজ করতে পারে । তবে শাস্তি দিতে দোষ কোথায় ? আপনি বলতে পারেন যে শাস্তিটা আরও একটু সহজ হতে পারত । কিন্তু স্ত্রীকে নির্মম প্রহারের শাস্তি যদি হয় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড তাতে তার সেই স্ত্রীর ও সন্তানেরই ক্ষতি । কারণ তাদেরকে এই পাঁচটি বছর দেখার মত কেউ থাকবে না,আবার সেই অপরাধের কাছে এই শাস্তি খুবই সামান্য । সে দেখা যাবে ছাড় পাবার পর একই কাজ আবার করবে । কিন্তু দোররার মত কঠিন শাস্তি ভোগ করার পর একি রকম ভুল পুনরায় করার সম্ভাবনা খুব কম । আর আমি এই পর্যন্ত অনেক চোর দেখেছি যে ধরা খেয়ে প্রচুর গণধোলাই খেয়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণধোলাইয়ে মৃত্যুবরণও করে কিন্তু তাদের মধ্যে যারা বেচে যায় তাদের অভ্যাস এর কোন পরিবর্তন দেখা যায় না । কারণ সুস্থ হবার পর সে তার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা ভুলে যায় । কিন্তু কোন চোরের যদি হাত কেটে দেওয়া হয় তবে তার সেই অভ্যাস নিশ্চিত চলে যাবে । কারণ তার সেই পঙ্গুত্ব আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে । আর যে মানুষটার সম্বল চুরি হয় সেই বুঝে যে সে কি পরিমাণ ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে । এভাবেই প্রতিনিয়ত চোরের জন্য আমাদের অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় । আর একজন চোর যদি এই কঠিন শাস্তির বিধান জেনেও এই কাজ করতে পারে তাহলে এই শাস্তিই তার প্রাপ্য । মহানবী (সঃ) এর সময়কালে এক মহিলা চুরিতে ধরা পড়ে এবং মহানবী (সঃ) তার বাম হাত কেটে দেবার শাস্তি দেন । তারপর মহানবী (সঃ) এর একজন সাহাবী তিনি মহিলা বলে তার শাস্তি কিছুটা সহজ করে দিতে বললেন । তখন মহানবী (সঃ) বললেন এই মহিলার যায়াগায় আমার মেয়ে ফাতেমা (রাঃ) যদি এই কাজটা করত,আমি তাকেও একই শাস্তি দিতাম । আপনি কি বুঝতে পেরেছেন মহানবী (সঃ) কতটা বেদনা নিয়ে কথাটা বলেছেন ? কারণ হযরত ফাতেমা (রাঃ), মহানবী (সঃ) এর নিকট অত্যন্ত প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন । আপনি খেয়াল করে দেখবেন এই কঠিন শাস্তির বিধান আছে বলেই মুসলিম দেশগুলোতে চুরির ঘটনা খুব কম হয় । আর কাফের হত্যার কথা বলেছেন । আপনি ভালভাবেই জানেন মহানবী (সঃ) যখন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করেন তখন কাফেররা নানাভাবে মুসলমানদের ইসলাম প্রচারে বাধা দেয় । আমাদের মহানবী (সঃ) চেষ্টা করেছেন তাদের সঠিক এবং শান্তির পথ দেখাতে ও ভাল পথে ধাবিত করতে । মুসলমানদের উদ্দেশ্য ছিল না কাফেরদের সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করার বা তাদের হত্যা করার । কাফেররাই তাদের শক্তিবলে মুসলমানদের নিধন করতে চেয়েছিল । আপনি যদি হাদিস পড়ে থাকেন তবে সেই সময়কার মুসলমানদের বীরত্ব,আত্মত্যাগ ও ক্ষমাশীলতা সম্পর্কে জেনে থাকবেন । তো সে ক্ষেত্রে নিজেদের আত্মরক্ষার্থে ও সম্ভ্রম রক্ষা করতে মুসলমানরা কাফেরদের সাথে একাধিকবার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কারণ বশত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ……। আর যুদ্ধে পরাজিত হবার পর তাদের স্থাবর-অস্থাবর দখল করার কথা বলেছেন । যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এবং এতে জয়লাভ করা কিন্তু মুখের কথা নয় । এর পিছনে থাকে অনেক মানুষের বীরত্ব গাথা ও আত্মত্যাগ । আর যা না বললেই নয় তা হলো দুই দলেরই প্রচুর ক্ষতি । খাদ্য,বস্র,বাসস্থান,চিকিৎসা এই সব চাহিদা মেটানোর পর এবং তার সাথে প্রিয় মানুষ হারানোর ব্যথা যুক্ত হয়ে যখন একটি দল তার শত্রু পক্ষকে পরাজিত করবে তখন তাদের শত্রু পক্ষের সকল সম্পদ তাদের হয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক । আরেক ভাবে চিন্তা করা যায় । সেটা হল দুটি দল যুদ্ধ করে কেন ? অবশ্যই তাদের উদ্দেশ্য থাকে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা । আর এই যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের সকল ক্ষয়-ক্ষতির ক্ষতিপূরণ স্বরূপ জয়ী দল বিজিত দলের সকল সম্পদ দখল করবে এটা যুদ্ধের এক চুক্তিস্বরূপ । এক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় জয়ী দলকে দেখা যায় যুদ্ধবন্দীদের নিশংসভাবে হত্যা করে । কিন্তু মুসলিমরা তা করেনি …। নারীদের গনিমতের মাল হিসেবে দখল করে নেয়া হয়,এটা আপনি ইসলাম ধর্মের কোথায় পেয়েছেন আমার জানা নেই । এরকম কোন নিয়ম ইসলাম ধর্মে যে নেই আমি সে ব্যপারে সুনিশ্চিত । পুরুষদের তার পত্নী প্রহারের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে এই কথাটি আপনি ঠিক কিসের থেকে বলেছেন ? আপনি ভালভাবেই জানেন ইসলাম ধর্মে স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর পরস্পরের হক পালন এর ক্ষেত্রে কঠিন বিধান আছে । যারা এই পালন করবে না তাদের জন্য কঠিন শাস্তির বিধান ও দেওয়া আছে । ইসলাম ধর্মের কোথাও পত্নীকে প্রহার করার কোন অধিকার পুরুষদের দেওয়া হয়নি । যদিও এই কাজটি এখনকার সমাজে অনেক প্রচলিত । কিন্তু সকল ধর্মের মানুষই কাজটার সাথে জড়িত । এবং এর জন্য তাদের কঠিন শাস্তিও পেতে হবে । আমি বইয়ে পড়েছি ইসলামের দ্বিতীয় খলীফা হযরত ওমর (রাঃ) এর সময়ে পৃথিবীর অর্ধেক এলাকা জুড়ে মুসলিম জাহান স্থাপিত হয়েছিল । কিন্তু এইটা শুনি নাই যে মুসলমানরা অমুসলমানের উপর জিজিয়া নামক কোন কর ধার্য করেছিল । কিন্তু এইটা শেনেছি যে ব্রিটিশ আমলে মুসলমানদের দাঁড়ি রাখার উপর কর ধার্য করা হয়েছিল । আর আপনি এখন বলছেন আল্লাহর সন্তুস্টি লাভের জন্য নিরপরাধ নিরীহ প্রাণী কেন হত্যা করা হয় । কাল আরেকজন নিরামিষ ভোজী মানুষ প্রশ্ন করবেন যে, “নিরীহ প্রাণী ভক্ষণ করা ইসলাম ধর্মে কেন জায়েজ করা হয়েছে ?”। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় প্রশ্নটার উত্তরটা আগে দেই । খেয়াল করলে লক্ষ্য করবেন যে মাংসাশী প্রাণীদের দাঁত ধারালো হয় আর তৃণভোজীদের দাঁত সমান । এক্ষেত্রে আমাদের সমান এবং ধারালো দুই ধরনের দাঁতই আছে । আমার মনে হয় আমি কি বলতে চাচ্ছি আপনি বুঝতে পেরেছেন । এখন আপনার প্রশ্নের দিকে আশা যাক । আপনার প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে প্রথমে এরকম একজনের কথা চিন্তা করতে হবে যে মনে প্রাণে আস্তিক এবং সে বিশ্বাস করে যে আমাদের খাবার,জীবন,ধন-সম্পদ সবই আল্লাহ্র দান । এবং এই নিয়ামত এর বিনিময়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের আল্লাহ্র ইবাদাত করতে হবে । আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারও উপাসনা করা যাবে না । আর এই পশু কোরবানি সেই ইবাদাতের একটি অংশ । পশু কোরবানির ক্ষেত্রেও আল্লাহ্ তায়ালা অনেক গুলো নিয়ম দিয়ে দিয়েছেন । কোরবানির ক্ষেত্রে এই নিয়মের অন্যথা হলে তার কোরবানি কবুল হবে না । কোরবানির সময় পশু যেন সর্বাপেক্ষা কম কষ্ট পায় সেইদিকে ও লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়েছে । আপনি হয়ত জেনে থাকবেন এই পশু কোরবানির এই রীতির পিছনে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর কাহিনী জড়িয়ে আছে । বিস্তারিত আর বললাম না । হযরত ইব্রাহিম (আঃ) কে আল্লাহ্ তায়ালা কঠিন এক পরীক্ষায় নেন । এবং সেই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহ্ তায়ালার মন জয় করে নেন । আর আমরা সেই ঘটনার সূত্র ধরেই ইব্রাহিম (আঃ) এর সম্মানে ও আল্লাহ্ তায়ালার উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করে থাকি । পশু কোরবানির আরও একটি মহৎ উদ্দেশ্য আছে । পশু কোরবানির মাংসের এক তৃতীয়াংশ গরীবদের মধ্যে দান করার মাধ্যমে ধনী-গরীবদের ভেদাভেদ কমে । গরীব মানুষেরা ভাল আহারের সুযোগ পায় । আমরা যদি পশুর মাংস খেতে পারি,তবে আমাদের সৃষ্টিকর্তার নামে সুষ্ঠু ভাবে পশু কোরবানি করে তার এক তৃতীয়াংশ গরীবদের দান করা এবং এক তৃতীয়াংশ আত্মীয়দের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার যে রীতি তাতে তো আমি খারাপ কিছু দেখি না ।
আপনার নাম দেখে মনে হচ্ছে যে জন্ম সুত্রে আপনি একজন মুসলিম । যেহেতু মুসলিম সেহেতু ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অনেক কিছুই হয়ত জানেন । কিন্তু অবশ্যই আপনার জানার মধ্যে অনেক ভুল ছিল বা আছে । তা নাহলে এতটা অবিশ্বাসী হয়ে যাবেন কেন ? আপনার যদি আরও ভুল ধারণা থেকে থাকে তবে তার সমাধান খুজুন । ইচ্ছে থাকলে অবশ্যই সফল হবেন । মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক বড় দুর্বলতা হল যে আমরা খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হই । সেটা ঠিক কতটুকু সত্যি বা কতটুকু মিথ্যা তা খুব বেশি যাচাই করার চেষ্টা করি না । কারণ আমরা আমাদের নিজেকে সব সময় অনেক বেশি সঠিক মনে করি । অন্য কারও দ্বারস্থ হবার প্রয়োজন মনে করি না । আমারা যখন আমাদের এই ব্যর্থতা ও ভুলগুলো সম্পর্কে অবগত হব এবং সচেতন হবার চেষ্টা করব তখনি কেবল আমরা আমাদের এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করতে পারব । আমার জ্ঞানের পরিধি অনেক ছোট তবুও চেষ্টা করেছি এর মাধ্যমে আপনার প্রশ্নগুলোর সঠিক জবাব দিয়ে যেতে । আপনার হাতে এখনও সময় আছে কারণ আপনি এখনও বেচে আছেন । মৃত্যুর পর এই সুযোগটুকু আর কখন ও পাবেন না । আপনি আপনার ভুলগুলো খুব দ্রুত শুধরে নিবেন ইনশাআল্লাহ্ । একজন মানুষ মুসলমান হিসেবে জন্ম গ্রহণ করবে কিন্তু কাফের হিসেবে মৃত্যু বরণ করবে এটা সত্যিই অনেক কষ্টদায়ক ।
আপনি বলেছেন যে আপনি মানবতার ধর্মে বিশ্বাস করেন । আপনি একজন সত্যিকার মুমিন মুসলমান এর সানিধ্যে আসুন । আপনার মানবতা আর অনার মানবতার মধ্যে আপনি স্পষ্ট পার্থক্য দেখতে পাবেন । দেখা যাবে,আপনি নিজে স্থির থেকে নিপীড়িত মানুষ ও ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে শুধু বলে যাবেন । আর সেই মুমিন ব্যক্তিটি মুখে কিছু বলবে না কিন্তু তিনি সেই গরীব দুঃখীদের জন্য জীবন বাজি দিয়ে লড়ে যাবেন । মুমিন ব্যক্তিটি যদি ধনী হয় তবে দেখবেন তার অর্থের বেশির ভাগ অংশ সে গরীবদের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু কাউকে তেমন বুঝতেও দেননি । আর যদি মধ্যবিত্ত হয় তখন দেখবেন কষ্টের উপার্জিত টাকার বেশির ভাগ অংশ তিনি গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন । আর যদি সেই মুমিন ব্যক্তিটি গরীব হয় সে ক্ষেত্রে গরীব প্রতিবেশীর অন্ন জোগাড় করতে না পারায় তার অশ্রুসজল চোখই আপনার চোখে পড়বে । যদিও সে নিজেও খায়নি । তখন আপনি আপনার মানবতাকে বিচার করতে পারবেন । আর আপনি যদি সত্যিকার ভাবে মানবদরদী হয়ে থাকেন । সেক্ষেত্রে আপনার কাছে তখন নিজেকে অনেক বেশি অসহায় আর ছোট মনে হবে । আরও মনে হবে, “তারা(মুমিনরা) পারে কিন্তু আমি কেন পারি না ? তাহলে কি আমার আদর্শেই ভুল ছিল ?”
@রিয়ন,
ইসলামে দাসী ও যুদ্ধবন্দিনী সম্ভোগ হালাল, আর মুসলিম হয়ে আপনি সেটা জানেন না! কয়েকটি আয়াত দেখুন দয়া ক’রে।
সূরা নিসা আয়াত ২৪, সূরা আহযাব আয়াত ৫০( হে নবি, আমি তোমার জন্য হালাল করে দিয়েছি তোমার মোহর প্রদত্ত বিবিগণকে,তোমায় গনীমতরূপে আল্লার প্রদত্ত তোমার আয়ত্তাধীন দাসীগণকে—-
সূরা মাআরিজ্ব আয়াত ৩০।
মোহাম্মদ নিজে ১৪ বিয়ে করেছিল। আর সাধারণ মুসলিম পুরুষের জন্য চার বিয়ে জায়েজ করা হয়েছে। আর বিয়ে করতে বর্তমান পত্নীর অনুমতির কথা বলছেন! সেটা ইসলামী আইন নয়। এ আইন ১৯৬১ সনে আইয়ুব খানের আমলে পাস করা হয়েছিল মুসলিম পারবারিক আইন হিসাবে। এবং এ আইন সম্পূর্ন ইসলাম বিরোধী তাই এ আইন পাস করানো খুবই কষ্টসাধ্য ছিল। কোরান হাদিস পড়ে দেখুন কোথাও বিয়ে করতে বিবির অনুমতির কথা বলা হয়নি।
একটি মানুষ যেমন শারিরীক ব্যথা অনুভব করতে পারে, একটি পশুও পারে। অপেক্ষাকৃত কম কষ্ট দিয়ে হত্যা মানে কি? হত্যা
তো হত্যাই। একজনকে হত্যা করে তার মাংস গরিবদের মাঝে বিতরন করাকে আপনি মহত ব্যাপার বলছেন! হত্যাকান্ড কীভাবে মহান ব্যাপার হতে পারে? ইব্রাহীমকে আল্লাহ প্রিয় বস্তু কোরবানী দিতে বললেন, মানে প্রিয় বস্তু হত্যা করলেন। আর সে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু নিজের পুত্রকে আল্লাহকে খুশি করার জন্য হত্যা করল, চোখ মেলে দেখল তার পুত্র তার পাশে অক্ষত দাঁড়িয়ে আছে হত্যা হয়েছে একটি পশু। সে নিরীহ প্রাণীটির কেমন লেগেছিল যখন সে খুন হয়! আর তার পুত্রের চেয়ে তার নিজের জীবনটি কি তার কাছে বেশি প্রিয় ছিলনা, সে নিজেও তো নিজের জান দিয়ে দিতে পারত আল্লার জন্য। আল্লা কাউকে ছেলে খুন করে তার কাছে পরীক্ষা দিতে বলে কেন আল্লাহ কি পাগল? ধাড়ালো দাঁত থাকলেই কি নিরপরাধ প্রাণীদেরকে কামড়ে কামড়ে খেয়ে ফেলতে হবে,বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে কি মানুষের কোন বিবেক বুদ্ধি নেই, কোন দয়ামায়া, কোন মনুষয়ত্ববোধ নেই? তাহলেতো মানুষও মানুষকে খেয়ে ফেলতে পারে।
হ্যাঁ আমি মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছি এবং কোরানের অনুবাদ পড়ার আগে মনে প্রাণে মুসলিম ছিলাম। কোরান পড়ে বুঝেছি আমি, আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে এটি জঘন্যতম। তাই কোরান পড়েই আমি ইসলাম ছেড়েছি।ইসলাম ছাড়ার পরেই আমি মানুষের কষ্টে কষ্ট পাই,ইসলাম ছাড়ার পরেই ্নিরীহ প্রাণীদের হত্যা হতে দেখলে আমার প্রাণ কাঁদে(যা দেখে মুমিন মুসলিমদের আনন্দ হয়)।
আপনি লিখেছেন বিভিন্ন কারণে মোহাম্মদ বহুবিবাহ করেছে। কি কারণে ৬ বছর বয়সী আয়েশাকে সে ৫১ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল,কি কারণে সে নিজের পালিত পুত্রের বধু জয়নাবকে বিয়ে করেছিল?(সুরা আহযাব আয়াত ৩৭)
@রিয়ন,
আপনি লিখেছেন বৌ পেটানোর কথা কোরানে লেখা নেই। সূরা নিসা আয়াত ৩৪ পড়ে দেখুন।স্ত্রঈ অবাধ্য হলে তাকে প্রহার করত বলা হয়েছে কিন্তু স্বামীজি অন্যায় করলে তার কি সাস্তি হওয়া উচিত তাতো বলা হয়নি! আপনি আরো বলেছেন আপনি পুরো কোরনের অনুবাদ পড়েননি। তাহলে কোরানে কি লেখা আছে কি লেখা নেই সে বিষয়ে সুনিশ্চিত ভাবে মন্তব্য করছেন কিভাবে?
চোরের হাত কেটে দেয়াকে আপনি সুবিচার মনে করছেন। লিখেছেন চোরের ৫ বছরের জেল হলে তার পরিবার কিকরে চলবে? একজন সুস্থ মানুষের হাত কেটে ফেলে তাকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিলে সে নিজে কিভাবে চলবে!তার পরিবার দেখাশোনা তো দূরের কথা। তাকে দেখার জন্যও তো তখন মানুষের দরকার। ব্যাভিচারের শাস্তি হিসাবে দোররা মারতে বলা হয়েছে। ব্যাভিচার মানে বিবাহ বহির্ভূত শারিরীক সম্পর্ক। মানে প্রেম। দুজন নর-নারী কারো উপর বল প্রয়োগ না করে যদি সেচ্ছায় শারিরীক ভাবে মিলিত(অবশ্যই নিজের পার্টনারকে ধোঁকা না দিয়ে) হতে চায় সেটা দোষের কছু নয়। এ জন্য দোররা মারতে হবে কেন, তাও জনসমক্ষে! এক জায়গায় বলা হয়েছে দোররা মার, আরেক জায়গায় বলা হয়েছে আমৃত্যু গৃহবন্দী করে রাখ কোন প্রকারের পানাহার ছাড়া। একজন কয়েদীকে পানাহার দেয়া যাবেনা এ কেমন বর্বরতা! শারিরীক আঘাত কোন অপরাধের শাস্তি হতে পারেনা অন্তত সভ্য পৃথিবীর সভ্য সমাজে। অপরাধ অনুযায়ী জেল জরিমানা হতে পারে। লুট তরাজ ও নিত্য নতুন নারী সম্ভোগের জন্যই মোহাম্মদ অমুসলিমদের অতর্কিত হামলা করত। ৮ ও ৯ নাম্বার সূরা পড়ে দেখুন।
@রিয়ন,
সর্বশক্তিমান আল্লাহ যখন কোরান রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন মানুষ এর অমর্য্যাদা করবে কি করে বা এটা কি করেই বা সম্ভব মাথায় ঢুকছেনা। :-Y
মানুষের দ্বারা যদি কোরানের অমর্য্যাদা হয় তা হলেতো আল্লাহর থেকে মানুষের ক্ষমতা বেশী আছে বলে মানতে হয়। 😕
@রিয়ন,
কোরানে যতসব আজেবাজে কথা লেখা আছে, মানবতা বিরোধী কথা লেখা আছে এসব বলা যাবেনা?এ কেমন স্বৈরাচার? এসব তো আমাদের বানানো কথা নয়। কোরানের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ নিয়েছেন সেটা কোরানে লেখা আছে। কিন্তু আসলেই কি আল্লাহ কোরান সংরক্ষণ করেছিলেন? কোরান সংরক্ষণ করেছিলেন ওসমান আঃ। তিনি কি আল্লাহ নাকি আল্লাহর অবতার, নাকি নবী-রসুল?
@তামান্না ঝুমু ,উসমান (আঃ) কুরআন সংকলনকারী,সংরক্ষণকারী নয় । উসমান (আঃ) কিন্তু আল্লাহ্ এবং কুরআন এর প্রতি সম্মান দেখিয়েই সংকলনের কাজটি করেছেন । উসমান (আঃ) একই সাথে মহানবী (সঃ) এর সাহাবী এবং উম্মত । আর আমরা উম্মত আর সাহাবীদের দায়িত্ব হল ইসলামকে যথাযথ সুষ্ঠু ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া । আর কোরআনের সংরক্ষণের দায়িত্ব আল্লাহ্ তায়ালা নিজে নিয়েছেন এর কারণ এর গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে বুঝানো এবং অন্য কেই যে এর কোন রূপ ক্ষতি করতে পারবে না তা বুঝানোর জন্য । আমার মনে হয় আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন ।
@রিয়ন,
আপনার দেয়া কোরানের বঙ্গানুবাদের পিডিএফ ফাইল থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছিঃ
৮৬ আত্ব-তারিক্ব
৫. অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃষ্ট হয়েছে।
৬. সে সৃষ্ট হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
৭. এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বুকের পাজরের মধ্যে থেকে।
জনাব রিয়ন, সত্যি আফসোস ! আপনার মতো শিক্ষিত লোকজনও এসব তত্ত্ব-তথ্য পবিত্র জ্ঞানে তেলওয়াত করেন এবং অন্যকে তা করার উপদেশ দেন।
@সফ্টডক,
রিয়ন সাহেব আমাদেরকে কোরানের অনুবাদের লিঙ্ক দিয়েছেন, কিন্তু উনি নিজে পড়েছেন কিনা সন্দেহ।
মেরুদন্ড ও বুকের পাজরের মধ্যে থেকে কি ধরনের পানি নির্গত হয় যা থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়? শুক্রানু কি বুকের পাজর থেকে নির্গত হয়? আর ডিম্বানুর কি কোন ভূমিকা নেই? পুরো কোরানে কি ডিম্বানুর কোন উল্লেখ আছে?
@তামান্না ঝুমু,
আর এসব বাণীও নাকি এসেছে সাত আসমানের ওপর থেকে, ছয়শত ডানা দিয়ে জিব্রাইল ফেরেস্তা কত কষ্ট করেই না উড়ে উড়ে এসে নবীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মহামূল্যবান সব তত্ত্ব-তথ্য আর আদেশ-নির্দেশ দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে।
রিয়ন সাহেবরা কোরান তেলওয়াত করেন ঠিকই, তখন মস্তিষ্কটা মধ্যযুগের বর্বর আরব নবীর কাছে জিম্মা দেয়া থাকে।
সাইফুল ইসলাম যেমন বলেছেনঃ
@সফ্টডক, কোন মানুষের ডায়াবেটিস যদি অনেক প্রকট হয় তবে তার জন্য রোজা রাখা অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হতে পারে । কিন্তু ডায়াবেটিস কমে গেলে কিন্তু রোজা কঠিন হয় না । আমার দাদী ডায়াবেটিস এর রোগী তাই আমি তাকে সুস্থ এবং অসুস্থ দুই অবস্থায়ই দেখেছি । ডায়াবেটিস যদি একদম কন্ট্রোল এ থাকে সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে রোজা রাখা কঠিন হবার কথা না । এখন আসল কথা হল রোজা রাখতে সমর্থ নন এরকম অসুস্থ মানুষের রোজা ভাঙ্গা আল্লাহ্ তায়ালা জায়েজ করে দিয়েছেন । কিন্তু এক্ষেত্রে যদি সে পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে যায় মানে রোজা রাখতে সমর্থ হয় তখন তার সেই রোজা গুলো কাযা করতে হবে । আর রোগী যদি এরকম কোন রোগে আক্রান্ত হয় যে তার পক্ষে আর কখনও রোজা রাখা সম্ভব নয়,মানে সে আর কখন ও সুস্থ হবে না তবে তাকে দৈনিক একশত টাকা হারে (বর্তমান সময়ের ক্ষেত্রে) একজন গরীব রোজাদার ব্যক্তিকে কাফফারা স্বরূপ দিতে হবে । উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস এর রোগীরা অনেক অসুস্থ অবস্থায় বছর বছর রোজা রেখে খুব দ্রুত কিডনি বৈকল্যের শিকার হন বুঝলাম,আবার দয়া করে এটা বলবেন না যে রোজা রেখে সুস্থ মানুষেরা উচ্চরক্তচাপ,ডায়াবেটিস এবং কিডনি বৈকল্যের শিকার হন ।
@রিয়ন,
না, তা’ বলবো কেন? তথাকথিত কোন ঐশী গ্রন্থ’র ওপর অন্ধ বিশ্বাস থাকলেই শুধু বাস্তব বিবর্জিত কথা বলা সম্ভব। বিজ্ঞান সতত পরিবর্তনশীল অথবা পরিবর্তনশীলতাই বিজ্ঞান। কিন্তু আমরা জানি, এ পরিবর্তন সভ্যতার অব্যহত উন্নতি, অগ্রগতি নিশ্চিত করছে। এতকাল ইসলামের বর্বর ও মধ্যযুগীয় চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ ছিল কম এখন অন্তর্জালে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সে সুযোগটি সৃষ্টি করেছে । আসুন আমরা সে সুযোগটি গ্রহণ করি, আমাদের চিন্তা-চেতনাকে সমৃদ্ধ করি।
রিয়ন, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আপনার ভাবনা আর বিশ্বাসের সাথে আপনার দেয়া কোরানের বাণীর অমিলগুলো? এসব ব্যাপারে তো আপনি কিছু বলছেন না।
আল্লাহ্ তায়ালা কত কিছু যে সময় বিশেষে জায়েজ করে দিতে পারেন তা’ মহামানব পয়গম্বরটির জীবনি না পড়লে জানতে পারবেন না। আমার ধারণা আপনি যদি ভাল করে খোলা মন নিয়ে কোরান-হাদীস আর নবীর জীবনি পড়েন সহজেই বুঝতে পারবেন পবিত্র ধর্মের নামে কত বড় জালিয়াতি আর বর্বরতা এ চোদ্দশ’ বছর ধরে চলে আসছে!
ব্যাপারটা আরো সহজ হবে মুক্তমনার এ সংক্রান্ত পোষ্টগুলোর ওপর যদি একটু চোখ বুলান।
@তামান্না ঝুমু, হা আমি সম্পূর্ণ কোরআন বাংলায় এখন ও পড়িনি ঠিক । কিন্তু আমি কোরআন এবং ইসলাম সম্পর্কে আপনাদের চেয়ে বেশি জানি । এই ব্যপারে আমি এখন সুনিশ্চিত । আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর কোরআনেই দেওয়া আছে । কিন্তু তা উপলব্ধি করার মত ক্ষমতা আপনাদের নেই ।
@রিয়ন,
আবার,
আপনি যদি সম্পূর্ণ কোরান বাংলায় না পড়ে থাকেন তা হলে কি করে বুঝলেন যে সকল প্রশ্নের উত্তর কোরানে দেওয়া আছে। আপনি কি বুঝতে পারছেন যে আপনি যা কিছু বলছেন সমস্ত কিছুই অন্ধ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বলছেন।
আর এই আপনি বলে যাচ্ছেন যে……
বুঝুন কতো self-contradiction.
@ব্রাইট স্মাইল্, সম্পূর্ণ কোরআন পড়ি নি ঠিক তাই বলে যে একদম পড়ি নি তা কিন্তু বলি নাই । আর যতটুকু পড়েছি তা থেকেই জানতে পেরেছি যে আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর কোরআনে দেওয়া আছে । আপনারা খুব দ্রুত একজন মানুষের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন । যা স্পষ্ট বোকামি ছাড়া কিছুই না । আপনারা আমার ভুল গুলো খুজে বের করার চেষ্টা করছেন । কিন্তু আপনারা কি আপনাদের নিজেদের ভুল গুলো দেখেছেন ? আমি ইতিমধ্যে একটা মন্তব্য এর মাধ্যমে তামান্না ঝুমু এর অনেক গুলো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি । তা কি আপনি দেখেছেন ? আমার বলা কথা গুলো কি আপনার যুক্তি সংগত মনে হয় ? মনে হলে বলুন আর না মনে হলেও বলুন তবে যুক্তি সহকারে ।
@রিয়ন,
আমিও কিন্তু বলিনি যে আপনি কোরান একদম পড়েন নি। কথা হলো আপনি সম্পূর্ণ কোরান পড়েন নি অথচ বলছেন কোরানে সব প্রশ্নের উত্তর দেয়া আছে। মানে কোন কিছু সম্পুর্ন বুঝার আগেই আপনি আপনার নিজের পছন্দমত উপসংহারে উপনিত হচ্ছেন। এটা কি আপনার কোরানের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের প্রতিফলন নয়? আপনার যুক্তিতে কি বলে?
মুশকিল হলো যে আমি যুক্তি দিয়ে কিছু বললে সেটা কি আপনার কাছে কোন অর্থ বহন করবে? আমার সব কথাইতো আপনার কাছে ভুল মনে হবে। দুর্ভাগ্যবশতঃ আমার কথাগুলোর ভুল আপনি ধরতে পারছেন খালি আপনার নিজেরটা ছাড়া। আসলে আপনাকেও দোষ দেয়া যায়না, মানুষ যখন অন্ধ বিশ্বাসে আবদ্ধ থাকে তখন সাধারনতঃ এমনটিই হয়। ভবিষ্যতে যখন সম্পুর্ন করার জন্য কোরান পড়বেন তখন একটু খোলা মন নিয়ে পড়বেন অনুরোধ রইলো। 🙂
@তামান্না ঝুমু, কোথায় ডিম্বাণু আছে এবং কীভাবে নির্গত হয় এগুলোর বলার কি কোন প্রয়োজন আছে ? এটা যদি দেওয়া থাকত তবে আপনি বলতেন “আমাদের দেহে কয়টা হার আছে তা কি কোরআনে দেওয়া আছে ? সন্তান মায়ের গর্ভে কয়দিন থাকে তা কি দেওয়া আছে ?” এগুলো সম্পূর্ণ অহেতুক প্রশ্ন । আল্লাহ্ তায়ালা কোরআনের মধ্যে মানুষের সামর্থ্য,দায়িত্ব,কর্তব্য,জীবন যাপনের নিয়ম এবং আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে ধরেছেন । আপনার কথামত যদি হত তাহলে তো দেখা গেছে ডিএনএ এর মধ্যে কতরকম এবং কি কি তথ্য আছে সবই ধর্মগ্রন্থে দিতে হত । আর তাহলে তো আর আমাদের কোরআনই তেলয়াত করতে হত না ।
@রিয়ন,
শুক্রানু নির্গত হয় শুক্রাশয় থেকে। এবং শুক্রাশয় নিশ্চই মেরুদন্ড ও বুকের পাজরের মধ্যে নয়। সাধারণ মানুষ ওহী ছাড়া যা আবিষ্কার করে ফেলল আর আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেও তা জানেন না!কোরানে কেন কোরানকে বারম্বার বিজ্ঞানময় কিতাব ও আল্লাহকে বিজ্ঞানী বলা হয়েছে? কোরানে পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে কি আছে, রসায়ন সম্পর্কে কি আছে,গণিত শাস্ত্র সম্পর্কে, চিকিৎসা শাস্ত্র সম্পর্কে কি আছে? মানুষের দেহে কয়টা হাড় থাকে, মাতৃগর্ভে শিশু কতদিন থাকে এবং বিজ্ঞানের আরো অন্যান্য বিষয়ে কোরানে বিস্তারিত সঠিক তথ্য লেখা থাকা উচিত ছিল যদি কোরান আল্লাহর বাণী হয়ে থাকে। যে বইয়ে বিজ্ঞানের বও লেখা নেই সে বই কিভাবে বিজ্ঞানময় হয়, আর যে বিজ্ঞনের বও জানেনা সে কিকরে নিজেকে মহাবিজ্ঞানী দাবী করে? আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হয় আপনি বিজ্ঞান পড়েছেন। পৃথিবীকে পাহাড় দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এজন্য পৃথিবী হেলে পড়ে যায়না। এটা কি সত্যি? এটাও তো কোরানের আয়াত!পরীক্ষায় যদি প্রশ্ন আসে জলযান পানিতে কেন ভাসে? আপনি কি উত্তর দেবেন”আল্লাহর হুকুমে জলযান পানিতে ভাসে” নিশ্চই না। কিন্তু বিজ্ঞানময় কিতাবে মহাবিজ্ঞানী সাহেব তাই বেশ কয়েকবার লিখেছেন।” বেহেস্তের পাদদেশে নদনদী প্রবাহিত” এ কথাটি মাত্র চল্লিশ বার লেখা আছে আমার গনা মতে।’ আকাশ পৃথিবীর ছাদ’ আল্লাহপাক খুঁটিবিহীন ছিদ্রবিহীন আকাশ সুউচ্চে স্থাপন করেছেন, আকাশ সাততলা বিশিষ্ট এগুলো কি সত্য?? অথচ কোরানে তাই লেখা আছে। আল্লাহ বলেছেন কোরন বিজ্ঞান, আল্লাহ বিজ্ঞানী কিন্তু কোরান পড়ে আজ পর্যন্ত কাউকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বা বিজ্ঞানী হতে দেখেছেন? কোরানের অর্থ না বুঝে কোরান তেলাওয়াতের মানে কি? দুর্বোদ্ধ কথা কতগুলো তোতাপাখির মত আউড়ে যাওয়ার মানে কি? আর অর্থও তো ধ্বংসাত্বক। মার মার কাট কাট, হিটলারী ভাষা। নামাজ পরা তো আরো হাস্যকর। হুমায়ুন আজাদ কোথায় যেন লিখেছিলেন “বারবার একই কথা বলে বলে উঠ বস করা খুবই হাস্যকর ব্যাপার।” কোটি কোটি মানুষ মিলে একই কথা কত শতাব্দী ধরে কয় বার বলবে? আর কথাগুলো বলে বলে উঠ বস করতে হবে কেন? আল্লাহ থেকে থাকলে ও সুস্থ সবল থাকলে তো অনেক আগেই এজন্য বিরক্তি প্রকাশ করে এসব বন্ধ করতে বলতো!
@তামান্না ঝুমু,
হ্যাঁ, উনি দাবী করে যাচ্ছেন কোরানের সাথে সুর মিলিয়ে,
আর আপনি ঠিকই অনুমান করেছেন,
একদম সত্যিকারের মমিন মুসলমানের আদর্শ আমাদের রিয়ন সাহেব।
@তামান্না ঝুমু, কোথায় ডিম্বাণু আছে এবং কীভাবে নির্গত হয় এগুলোর বলার কি কোন প্রয়োজন আছে ? এটা যদি দেওয়া থাকত তবে আপনি বলতেন “আমাদের দেহে কয়টা হার আছে তা কি কোরআনে দেওয়া আছে ? সন্তান মায়ের গর্ভে কয়দিন থাকে তা কি দেওয়া আছে ?” এগুলো সম্পূর্ণ অহেতুক প্রশ্ন । আল্লাহ্ তায়ালা কোরআনের মধ্যে মানুষের সামর্থ্য,দায়িত্ব,কর্তব্য,জীবন যাপনের নিয়ম এবং আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে ধরেছেন । আপনার কথামত যদি হত তাহলে তো দেখা গেছে ডিএনএ এর মধ্যে কতরকম এবং কি কি তথ্য আছে সবই ধর্মগ্রন্থে দিতে হত । আর তাহলে তো আর আমাদের কোরআনই তেলয়াত করতে হত না । লক্ষ্য করে দেখবেন সূরাটিতে আল্লাহ্ তায়ালা শুক্রাণুর কথা বলেছেন আমরা যারা ভূমিষ্ঠ হতে পেরেছি অন্যান্য শুক্রাণুদের মধ্য থেকে তারা যে একরূপ জয়ী হয়েই পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন করেছি তা বুঝানোর জন্য । এবং এই প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা যে শুক্রাণু থেকে সৃষ্টি হয়েছি তা যে অপর শুক্রাণুগুলো হতে অবশ্যই ক্ষমতাবান ছিল এবং সেই সূত্র ধরে আমরাও যে স্পষ্ট ক্ষমতাবান তাই আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন ।
@সফ্টডক, এখানে “স্খলিত পানি ” বলতে আমরা এখন যাকে জনন কোষ বলি তাকে বুঝানো হয়েছে । আর তা আমাদের বুকের পাঁজর ও মেরুদণ্ডের মধ্য হতে নির্গত হয় । আর আপনি ভাল ভাবেই জানেন অসংখ্য শুক্রাণুর মধ্য থেকে শুধুমাত্র একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে । এবং অপর শুক্রাণুগুলো ব্যর্থ হয় । অতএব অবশ্যই ঐ শুক্রাণু থেকে যে মানুষের সৃষ্টি তিনি তার প্রত্যাবর্তনে ক্ষমতাবান । আর আপনি হয়ত এও জেনে থাকবেন আমরা শিক্ষিত মানুষেরা যে বিজ্ঞান অনুসরণ করি তাতে শুক্রাণুর প্রত্যাবর্তন হয় কোরআন নাযিলের এক হাজারেরও বেশি বছর পর । Antony Van Leeuwenhoek (১৬৩২-১৭২৩) সর্বপ্রথম শুক্রাণু আবিষ্কার করেন । আর আপনি ভালভাবেই জানেন বিজ্ঞানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জিনিসের আগমন হয় । এবং পুরানো অনেক তথ্য ভুল প্রমানিত হয় । আবার কখন ও কখন ও দেখা যায় একই সাথে দুটি বিতর্কিত জিনিস পাশাপাশি দাড়িয়ে আছে । কেউ এইটা বিশ্বাস করে তো কেউ অন্যটা । কিন্তু আসলেই কোনটা ঠিক কেউ জানে না । যেমন রাদারফোর্ড এর পরমাণু মডেল,বোর এর পরমানু মডেল দ্বারা ভুল প্রমানিত হয় । ডাল্টনের পরমাণুবাদ এর অনেক অংশ পরবর্তীতে ভুল প্রমানিত হয় । আপনি জানেন যে প্রায় আঠারোশ সালের দিকে পদার্থবিদরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে পদার্থবিজ্ঞান এর সকল আবিষ্কার শেষ । কিন্তু পরবর্তীতে যা ভুল প্রমানিত হয় । দেখা যায় পদার্থবিজ্ঞানের অনেক কিছুর সমাধান সেই তথ্য দিয়ে সম্ভব নয় । তারপর একে একে কোয়ান্টাম থিয়োরি এবং থিয়োরি অব রিলেটিভিটি আসে । যা দিয়ে এখন পদারথবিজ্ঞানের অনেক কিছুই বিশ্লেষণ করা যায় । এবং তারা এখন বিশ্বাস করে বিজ্ঞান এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে । এবং তারা বিশ্বাস করে এরকম একটা সময় আসবে যখন একই থিয়োরি দিয়ে সব কিছুর বিশ্লেষণ করা সম্ভব হবে । কিন্তু কোরআন কখন ও পরিবর্তন হবার নয় । কারণ এর প্রতিটি কথা সত্য ও বিজ্ঞানসম্মত । তা হয়তোবা এখনও আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি । কিন্তু চেষ্টা করলে পারব । ইতিমধ্যে কোরআনের অনেক তথ্যের সাথে বিজ্ঞান একমত পোষণ করেছে । ভবিষ্যতে বাকি বিষয় গুলোতেও করবে ইনশাআল্লাহ্ ।
@রিয়ন,
“স্খলিত পানি” হচ্ছে শুক্রনু মানে বীর্য যা নির্গত হয় শুক্রাশয়(অন্ডকোশ) থেকে। আর তা নিশ্চই মেরুদন্ড বা পাজরের হাড়ের মাঝে থাকেনা। মোহাম্মদের শুক্রাশয় কি মেরুদন্ডে বা পাজরের হাড়ের মধ্যে ছিল? হতেও পারে, কারণ তিনি তো কোন সাধারন মানুষ ছিলেননা! ছিলেন অসাধারন । তাই তার সবকিছু অসাধারন ও অস্বাভাবিক হওয়াটাই স্বাভাবিক।
@রিয়ন,
কোরানের যেসব তথ্যের সাথে বিজ্ঞান একমত পোষণ করেছে সেগুলো কি কি? তাহলে তো কোরান পড়েই বিজ্ঞানী হওয়া যায়। এ পর্যন্ত কোরান মুখস্তকারীরা কেউ বিজ্ঞানী হলোনা কেন? মাদ্রাসার শিক্ষক ও কোরানে হাফেজদের কখনো বিজ্ঞানী হতে শুনিনি। তাদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে বালক-বালিকা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়।
@apps, ভাইজান, আপনার মাথা টা কি কেবলমাত্র রমজান মাসে অস্থিত হইয়া যায়? বাকি মাসগুলাতে রোজা করেন না ক্যান? নাকি বাকি মাস গুলাতে মানসিক বিকারগ্রস্থ হইয়া পাবনায় থাকতে ভালবাসেন?
কবিতার ভাষ্য আরও জ্বালাময়ী হওয়া উচিত ছিল
@মাসুদ রানা,
পরবর্তীতে চেষ্টা করবো , ধন্যবাদ।
তাকে ধিক্কার
যে বধিরশক্তি পায়না শুনিতে
ক্ষুধার্ত মানুষের চিৎকার। (Y)
@মিতু,
ধন্যবাদ কবিতাটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্য।
@তামান্না ঝুমু,
‘এক্কে বারে ফাটা ফাটি’! দারুন লিখেছেন!
খুব ভাল লাগলো। (Y) (F)
@গোলাপ,
ধন্যবাদ ফাটাফাটি রকমের (F) (F)
কেউ যদি এক মাসের পরিবর্তে এক বছর রোজা রাখে বা একবারের পরিবর্তে দশবার নামাজ পড়ে তাতে কোন অপত্তি নেই। কিন্তু এতে করে যদি দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর আঘাত হানে, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়–তাহলে তা মেনে নেয়া য়ায় না। কেউ রোজা রেখে বেহস্তে যেতে চায় যাক, আমি এই পৃথিবীতে সদ্ভাবে, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে চাই। আমার এ অধিকার ক্ষুণ্ণ হতে দিতে পারি না।
@মৌনমনা,
বাল্যবিবাহ, সতীদাহ প্রথা, দোররা মারা ইত্যাদি ধর্মীয় আইনগুলো আইন করে বন্ধ করা হয়েছে। কারণ এগুলো এসব বর্বর প্রথা মানব সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। এসব প্রথা যখন চালু ছিল, যারা এসব মেনে চলত তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করে কখনো নিজের ক্ষতি বুঝতে পারেনি। কারণ ধর্ম মানুষকে অন্ধ করে দেয়, মুক্ত ভাবে চিন্তার স্বাধীনতা দেয়না। এখনো যেসব ধর্ম ও ধর্মীয় প্রথা পৃথিবীতে চালু আছে তা মানুষের জন্য মোটেও কল্যাণকর নয়। ধর্মগ্রন্থ পড়লে যে কারোই বোঝার কথা যে ধর্ম ঈশ্বরের নয় মানুষের সৃষ্টি। নিজের মাঝে ভালমন্দের বিচারবোধ ও নৈতিকতা থাকলে মানুষ অন্যায় করতে পারেনা। যে ধর্মগ্রন্থগুলো বর্বরতায় ভরা সেখানে মানবাধিকার খুঁজতে যাওয়া বৃথা।
যারা অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে তাদের একটা দায়িত্ব আছে, যারা এখনো অন্ধকারে আছে তাদের প্রতি। তাই অন্য কাউকে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়তে দেখেও কি আমরা স্বার্থপরের মত তাদের তামাশা দেখবো?
হায়রে অবিশ্বাসীর দল। অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী এই কথাটি আবারো প্রমানিত হলো ।শুধুমাত্র গরীবের কষ্ট বুঝার জন্য সিয়াম সাধনা বা সাওম একথা কোত্থেকে শুনেছেন আল্লাহ্ তাআলাই ভালো জানেন। সাওম একটি আরবি শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হলো সংযম ফার্সিতে রোজা। এর সংগা হলো আল্লাহ্ রব্বুল আলামীনের ইবাদতের উদ্দ্যেশে সুব্হ সাদিক থেকে সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ হতে বিরত থাকা, ষড়রিপুর সংযম, অন্যান্য ফরজ ইবাদত সুষ্ঠুভাবে পালন করা, এ গুলোর সমন্বিত রূপই হলো সাওম। বুজতে পেরেছেন কিনা জানিনা ! আপনারা বলেছেন রোজা রাখলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে, ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য খুবই খারাপ। সফটঠককে বলছি তিনি কোথায় এই উপাত্ত পেয়েছেন উত্স বলেন। তার উর্বর মষ্তিস্ক হতে পারে উত্সটি! পারলে কষ্ট করে একটু একজন ভালো ডাক্তারের কাছ থেকে শুনে আসুন তিনি কি বলেন। বিদেশী গবেষকগণ বের করেছে যে উপবাসের ফলে মষ্তিস্ক তার স্থিতাবস্থা ফিরে পায়। যে কারণে তারা মানসিক রোগী বা আপনাদের মত বিকারগ্রস্তদের উপবাস তথা রোজার রাখানোর পদ্ধতি চালু করেছেন। সময় কম তাই বাকিটা অন্যদিন হবে।
@apps,
আমরা অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী। কিন্তু মোহাম্মদ তো ছিল বিদ্যাহীন, একেবারেই শূন্য। তার মানে সে কতো ভয়ংকরী ছিল চিন্তা করে দেখুন। আপনি কি বেশিবিদ্যা অভয়ংকরী? যদি তাই হয়ে থাকেন তাহলে রোজা ও ইসলামের অন্যান্য বিষয়গুলোর পক্ষে কিছু যুক্তি দেখান, আমরা অল্পবিদ্যাধারীরা আপনার কাছ থেকে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পারি কিনা দেখি।
উপোস করলে মানুষ দুর্বল হবেনা! মানুষ কি জড়পদার্থ নাকি? সব মানুষকেই নিত্যদিন সময়মত পরিমিত পরিমানে সুসম খাদ্য গ্রহন করতে হয় ও ব্যায়াম করতে হয়। এটা যে কোন পুষ্টিবিদ এবং ডাক্তার বলে থাকেন। এটা একটা সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি, যে কেউই জানে। ডায়াবেটিস রোগীদেরক্র আরো বেশি স্বাস্থ্যসচেতন হতে হয়। আপনি কোন ডাক্তারের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন।
কোন দেশের কোন গবেষক উপবাস থ্যারাপী আবিষ্কার করেছেন বলরেন কি? আপনি লিখেছেন মানসিক রোগী বা বিকারগ্রস্তদের চিকিৎসার জন্য গবেষকরা উপবাস পদ্ধতি চালু করেছেন। তার মানে আপনার মতে যারা রোজা রাখে তারা বিকার গ্রস্ত?
@তামান্না ঝুমু,
@apps ভাইজানও কি রোজা রাখেন!?
:lotpot: :lotpot: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
@ডারউইনের ভুত,
উনার মন্তব্য পড়েতো তাই মনে হচ্ছে। 😀
@apps,
আপনি যে একজন মমিন মুসলমান তাতে কোন সন্দেহ নেই। একজনের নাম বিকৃত করে সফ্টডককে সফ্টঠক বলা আপনার মতো ঈমানদার রোজাদার মুসলমান এর পক্ষেই সম্ভব। আসলে মহাঠক আর সর্বকালের সর্বনিকৃষ্ট প্রতারক যে আপনার গুরু বর্বর আরব মোহাম্মদ বিশ্ববাসীর এতদিনে তা’ বুঝতে বাকী নেই।
আপনারা সবসময়ই ‘সবাত্তে বেশী বুজেন’ !
জী, আেেজ্ঞ। আমি নিজেই ডাক্তার আর আমার কর্মক্ষেত্র হাসপাতালটির জরুরী বিভাগ এবং ইন্টার্নাল মেডিসিন বিভাগরে তথ্য উপাত্ত থেকে আমার সাধারণ মস্তিষ্ক দিয়ে এই সিদ্ধান্ত টানতে বাধ্য হয়েছি।
এখানে দেখুন।
@অভিজিত
প্রিয় অভিজিত,
হ্যাঁ ভাই,
রোজার মাসে কম খাওয়া হলে তো খাদ্যের মুল্য কয়েক গুন বৃদ্ধি পাওয়ার চাইতে বরং কয়েক ভাগ কমিয়া যাইবার কথা ছিল এবং খাদ্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দা ঘটিত। পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যের অত্যধিক চাহিদা না হইলে
কি করিয়া ব্যবসায়ীগন খাদ্যের বেশী মুনাফা লুটিতে পারে?
তাহলে কি আমরা রোজার কি অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশী ভোজন করে থাকি?
ধন্যবাদান্তে,
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
ব্যবসায়ী গণ কিভাবে যে রমজানের মত পবিত্র মাসে সব কিছু ভুলিয়া অধিক মুনাফা লুটিতে ব্যস্ত হইয়া পড়ে তাহা আজিও আমার মোটা মাথায় ঢুকিল না। কোন ইমানদার বান্দা আছেন কি আমাকে একটু বুঝাইতে পারেন?
@ভবঘুরে, ইমানদার গণ তো বিশ্বাস ই করিয়া লইয়াছেন, তাহাদের তো আর বুঝিবার বা বুঝাইবার অবকাশ নাই। মহহহহহা পবিত্র কুরআন নাজিলের সহিত বুঝিবার ও বুঝাইবার ক্ষমতা যে রহিত হইয়া গিয়াছে, তাহা কি আপনার জানিবার এখনও বাকি?? নাকি পরম করুণাময় আপনার অন্তরে মোহোর মারিয়া দিয়াছেন??
@ভবঘুরে,
আপনি জেনে আরো অবাক হবেন( হয়তো বা জানেন) ধনবানরা বেশির ভাগ রজার মাসে আরবে , মক্কায় ওমরাহ্ করতে যায়, সেখানে ১ মাস রোজা শেষে
দেশে আসে। এবং যথারীতি মদ্যপান করে, নারী সঙ্গ নাই বা উল্লেখ করলাম। ওটা তো জায়েজ 😕 আছে ইসলামে। জিজ্ঞেস করলে বলে -কোথাও মদ্দপান নিষেধ আছে? মদ্দ পান অবশ্য লুকিয়ে চুরিয়ে করে। তবে আমার নিজ চোখে দেখা। আহা – ইদানীং বেহেশ্তে জায়গা কেনার ধুম পড়ে গেছে। বিল্ডার্সরা বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। ভাবছি- একটা কিনে — :-s কিন্তু রোজা করিনা যে- 🙁
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
শুধু ব্যাবসায়ীগণ বেশী মুনাফ লুটিলেই কি হইবে? দ্রব্যমূল্য যে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীনের একেবারে নাগালের বাহিরে চলিয়া যায় সেই দিকটা ভাবিতে হইবেনা? মুনাষ দিনের বেলা না খাইয়া থাকিবে , রাত্রিতে তো কিছুনা কিছু তাহাদেরকে খাইতে হইবে; নাকি দিবস-যামিনী সকলে মিলিয়া নাখাইয়া কাটাইবে?
@আব্দুল হাকিম চাকলাদা,
ভাগ্যিস, ইসলাম একটি পবিত্র মাস মুসলমানদেরকে উপহার দিয়াছে যে মাসে খাদ্যের অত্যধিক চাহিদা বৃদ্ধির কারনে ইমানদার ব্যবসায়ীগণ বেশী মুনাফা লুটিবার সুযোগ লাভ করিয়াছে। :guru:
@ তামান্না ঝুমু
হ্যাঁ ভাই, আপনি তো আমার মনের মত উত্তরটাই দিয়েছেন।
এজন্য আপনাকে ধনবাদ।
আঃ হাকিম চাকলাদার
নিউ ইয়র্ক
হোদল কুৎকুতে, শব্দটি পড়ে না হেসে :lotpot: আর পারলাম না।
(Y)
একটা কথা বলা দরকার – আমার মতে রোজার মাসে খানাপিনা বরং আরো বৃদ্ধি পায়। সেহেরী আর ইফতারের কী রমরমা অবস্থা! আমার রোজা রাখা বন্ধুদের দেখতাম ছোটবেলায়, একমাস রোজা রেখেও ওজন দশ পাউন্ড বাড়িয়ে হোদল কুৎকুতে হয়ে ঈদের আনন্দ করতো।
@অভিজিৎ,
রোজাদারেরা সারাদিন না খেয়ে থাকার ব্যাপারটা ইফতারিতে সুদে-আসলে মিটিয়ে নেন। আর সেহেরী তো খুবই হাস্যকর জিনিস। শেষরাতে ঘুম থেকে উঠে খানাপিনার মহাধুমধাম! অবশ্য ” ঘুম হইতে নামায উত্তম” তাই হতে পারে ঘুম হইতে সেহেরী উত্তম সেজন্যে এ আয়োজন। সারাদিন উপোস, উপোস ভাঙার পরে দীর্ঘ-নামায। তারাবির নামায রোজার মাসে বাধ্যতামূলক। তার পরে বাড়তি সওয়াবের জন্য রাত জেগে বিভিন্ন প্রকারের এবাদত। তার পর দিনভর উপবাসী ও রাতভর এবাদতক্লান্ত মানুষের যখন চোখে একটু তন্দ্রা আসে তখনই ধরফর করে উঠে যেতে হয় সেহেরীর জন্য। তাদের কি একটু ঘুম অথবা বিশ্রামেরও সুযোগ নেই? কখন করবে বিশ্রাম দিনে? দিনের বেলা কাজ কর্ম আছেনা! রাতে ভাল ঘুম না হলে তারা সকালে উঠে কাজে যাবে কীকরে, স্কুল-কলেজে যবে কীকরে? ঘুমে চোখ ঢুলু ঢুলু হলে, ক্ষুধায়-তৃষায় কাতর হলে যেকেউ কাজে বা পড়াশোনায় মনোযোগ দেবে কীকরে? ১৪০০ বছর আগেতো অফিস-আদালত বা স্কুল-কলেজ ছিলনা, তাই নবিজীর মাথায় এ স্বাভাবিক ব্যাপারগুলো আসেনি।
চমৎকার!
ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগের রোগীদের জন্য রোজা সাংঘাতিক বিপদজনক। এমনিতেই এসব রোগীরা নিজেদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খান। সেখানে প্রতিদিন একটা বিশাল সময়ের ব্যবধানে ‘ইফতার-সেহরি’ রক্তের শর্করার অনিয়ম আরো বাড়িয়ে দেয়, পরিণতিতে বড় রকমের শারিরীক জটিলতা তৈরী হয়। মুসলাম প্রধান দেশগুলোতে রমজান মাসে হাসপাতালের জরুরী বিভাগগুলোতে শতকরা চল্লিশ ভাগ রোগী আসেন রোজা-জনিত জটিলতা নিয়ে। বছর-বছর রোজা রেখে উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এর রোগীরা খুব দ্রুত কিডনী-বৈকল্যের শিকার হয়ে পড়েন। শিশু, কিশোর, গর্ভবতী নারী, কায়িক পরিশ্রমী নারী-পুরুষ, বয়স্ক ব্যক্তি – এদের জন্যও রোজা রাখা যারপরনাই ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতা ছাড়াও এমাসে সামগ্রিক কর্মবিমুখতা রাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বড় রকমের চাপ সৃষ্টি করে।
আমাদের উচিত সর্বোতোভাবে এ ধর্মীয় কুপ্রথাটির বিরুদ্ধে নেমে পড়া।
তামান্না ঝুমুকে আবারও ধন্যবাদ।
@সফ্টডক,
ইন্টারনেটেতো আমরা ধর্মীয় বর্বরতার কথা লিখতে পারছি, আলোচনা করতে পারছি। সংবাদপত্র ও টিভিতে তো ধর্মের বর্বরতার গুণগান গাওয়া হয় নিয়মিতভাবে। সংবাদপত্রে ও টিভিতে ধর্মের জঘন্যতা নিয়ে কাউকে কথা বলতে দেয়া হয়না। যদি যুক্তিবাদীদের একটি টিভি চ্যানেল থাকত! তাতে যদি ধর্ম বনাম বিজ্ঞান-মানবতা-যুক্তি , বিতর্কের আয়োজন কর যেত তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যেত ধর্ম মানুষেরই তৈরী। জনসমক্ষেতো ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবেনা। তাহলে মুমিন বান্দারা সাথে সাথে আল্লাহর নামে খুন করে ফেলবে।ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
তা করতে পারলেতো কথাই ছিলোনা, কিন্তু দেশে ঐ রকম টিভি চ্যানেল খুলে ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু বললে একদিনেই দেশের মুমিন বান্দারা টিভি চ্যানেলের বারোটা বাজিয়ে ছাড়বে।
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
@ডারউইনের ভুত,
আপনাকেও গোলাপের শুভেচ্ছা। (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) ।
রোজা না থাকতে থাকতে ভুলেই গিয়েছিলাম এটা রোজার মাস।
যা হোক, খুব ভাল লেগেছে আপনার কবিতাটি।
পাঠকদের সুন্দর একটা কবিতা উপহার দেয়ার জন্য- (F)
রোজা কিম্বা যে কোন ক্ষুধার জন্য মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। যা মানুষের চিন্তা শক্তিকে বিকৃত করতে পারে। এবং তা বিভিন্ন নিষ্ঠুর কাজ (ইসলামি জিহাদ/জঙ্গী) করার জন্য সাহায্য করতে পারে।
@ডিজিটাল আসলাম,
রোজা আসার আগে আমি অনেক ধর্মভীরুকে বলতে শুনেছি, ” রোজা এসে গেল! রোজা খুব তাড়াতাড়ি এসে যায়।” মানুষ আসলে ভয়ে রোজা রাখে, ভক্তিতে নয়। ধন্যবাদ আপনাকেও। (F)
ভাল লাগল কবিতাটি। এই রোজার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক কোন কার্য কারণ সম্পর্ক নেই। এটিও ধর্মীয় নিষ্টুরতার একটা জলজ্যান্ত প্রমান। হিন্দু ধর্মেও এই ধরণের নিষ্টুরতা দেখা যায় যেমন বিধবার নির্জলা উপবাস। আর কিছু অন্ধবাদীরা এর পক্ষ্যে যুক্তি খাড়া করে দেন উপবাস নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এই সেই। এখানে একটা কথা থাকে। পৃথিবীতে এমন কোটী কোটী মানুষ আছে যারা রোজা রাখে না বা উপবাস করে না। তারা কি অসুস্থ? বিশ্বাসীদের এটা বোঝানো দায়। তবে আশা করি ধীরে ধীরে এই কুসংস্কারগুলি সমাজ থেকে উঠে যাবে। ধন্যবাদ।
@সুমিত দেবনাথ,
বিশ্বাসীরা যার যার ধর্মের সবকিছুতেই বিজ্ঞান খুঁজে পান। উপবাসব্রততেও পেয়েছেন। উপবাস করা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল স্বাস্থ্যবিজ্ঞান সম্মত! দী্র্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যে বিশ্বাসী অবিশ্বাসী সবার জন্যই ক্ষতিকর তা তাদেরকে কে বোঝাবে? আপনাকেও ধন্যবাদ।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার কবিতার বক্তব্য খুব ভালো লেগেছে। তাই- (F)
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ (F)
@তামান্না ঝুমু, (N)
@shuvo,
যেকোন লেখা সকলের ভাল লাগবে এমন কোন কথা নেই। কারো কারো ভাল লাগবে, কারো কারো মন্দ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার কাছে লেখাটি কেন মন্দ লেগেছে জানালে ভাল হতো।
কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগল ।আসলে ধর্মের দোহাই মানুষ তখনি দেয় যখন মানুষের করার কিছুই থাকে না । ধর্ম কর্ম,বেহেশত দোযক,স্বর্গ নরক এ সবই মিথ্যে সান্ত্বনা ।সবচেয়ে বড় ধর্ম হচ্ছে মানব ধর্ম।
@মহাশূন্য,
ঠিক বলেছেন।
কেন তুমি, হে দুঃখিনী মেয়ে, এবার বিদ্রোহী হও এর মতোই এটিও খুবই সুন্দর হয়েছে, বরাবরের মতোই একেবারে মনকাড়া। মুশকিল একটাই আমার কিছু খরচ বাড়ল। এটিকেও প্রিন্ট করতে হবে, এরপর ফটোকপি তারপর বিলি করতে হবে। আমি কিছু ছাত্রছাত্রী তৈরী করেছি, যাদের ইন্টারনেট একেসেজ নাই, নাই কোনভাবেই মুক্তমনা হওয়ার কোন সুবর্ন আলোর রেখা দেখার সুযোগ।
আপনার লেখনী অবিরত থাকুক নিরন্তর এই কামনা, ভাল থাকুন।
@আব্দুল হক,
আপনি একটি চমৎকার কাজ করছেন। আমরা শুধু নিজেরা অন্ধবিশ্বাসমুক্ত হয়ে বসে থাকলে হবেনা। সবাই যাতে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সে চেষ্টাও করতে হবে। মানুষ আমাদেরকে গালি দেবে, মন্দ বলবে, অভিশাপ দেবে ্তবুও আমরা পিছপা হবোনা। এমন একটি মহৎ উদ্যোগের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। (F) (F) (Y)
(Y)
ভাল হয়েছে, নতুন লেখা পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
@সীমান্ত ঈগল,
ধন্যবাদ।
বাসায় যে মেয়েটা রান্না করে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম রোজা কেন রাখ। সে পাল্টা প্রশ্ন করে পরকালে কি জবাব দিব? আমি বললাম গরিবের আবার কিসের উপবাস আর কিসের সংযম। গরিবের চেয়ে বেশী ক্ষুধার জ্বালা কে বোঝে? আর বিলাস করারই সুযোগ নেই যার তার আবার কিসের সংযম? এবার উত্তর দেয়, ধম্মে আছে তাই পালন করতে হবে। আমি বলি, দেখ আমি তো রোজা রাখিনা। সে উত্তর দেয় আপনে আর মানুষ নাই, হিন্দু হয়ে গেছেন। আমি বলি, হিন্দুরা কি মানুষনা? সে বলে, হিন্দু তো হিন্দুই। আবার বলি, হিন্দুদের মধ্যে কি ভাল লোক নেই? সে ই উত্তর দেয়, অবশ্যই আছে, মুসলমানের চেয়ে বেশী আছে, তয় তারা সব ভাল ফল দুনিয়ায় পাইয়া যায়, আর আমরা পাব পরকালে।
এইটা একটা উদহারন দিলাম যে কিভাবে ডমিনেন্ট ধর্মমত গরিব মানুষকে ধোকা দেয় আর মিসগাইড করে।
@সাইফ জুয়েল,
ধর্ম শুধু গরিব মানুষকে ধোঁকা দেয়না , সর্বস্তরের মানুষকে দেয়। নিরোপেক্ষ মুক্তচিন্ত করতে না পারলে এ ধোঁকাচক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়।
@সাইফ জুয়েল,
ভাই এটাই তো আসল সমস্যা।
গরীবরা পরকালে বেহেস্তে যাওয়ার লোভেই তো বেশী করে ধর্ম কর্ম পালন করে।
@ভবঘুরে,
ধনীদের মাঝেও তো ধর্ম পালনের প্রতিযোগীত দেখা যায়। কোন ধনী কতবার হজ্জ করল, কোন ধনী কতবড় ও বেশি মূল্যের গরু বা উটকে নির্মমভাবে হত্যা করে আল্লাহকে কতবেশি খুশি করল এসব প্রতিযোগীতাতো চলছেই।
অধিকাংশ মানুষ অনিচ্ছায় সারা বছর উপবাসে দিন যাপন করেন। মহাশক্তিধর ঈশ্বরের ক্ষমতা নেই, তাদের মুখে আহার যোগাবার। তাই অনেক ভেবেচিন্তে উপবাস ব্রত চালু হলো যাতে তারা (যাদের সামর্থ্য আছে) গরীবের দুঃখ বুঝতে পারে। চালু হলো যাকাত, যাতে তারা কিছু পায়। কিন্তু ঈশ্বর মনে হয় হিসাবে একটু ভুল করে ফেলেছিলেন, ভাবতে পারেননি, এ মাসে জিনিস-পত্রের দাম আরো বেড়ে যাবে অধিক আহার জনিত কারণে। ফলে অনাহারী মানুষগুলোর দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে।
সংযমের মাসে উপবাস ব্রতধারীদের সংযম এমন এক মাত্রা পেল, যে স্বয়ং মন্ত্রি, প্রধানমন্ত্রির অনুরোধেও বাজার আর মধ্যবিত্তের নাগালে থাকলো না। আর যারা সারা বছর সংযম করতে করতে করতে কেউ কেউ শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেন, তাদের একটা অংশ এ মাসে কিছুটা আহারের মুখ দেখেন।
কারণ তিনি মহান, সর্বজ্ঞ, ক্ষমাশীল এবং দ্য়ালু। যার অসীম দয়ায় যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আবার মারা যায় তাদের অনেকে।
@স্বপন মাঝি,
যাকাত, ফিতরা নামের ইসলামী সাহায্যগুলো কিন্তু শুধুমাত্র ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের জন্য। অমুসলিমদের জন্য কোন ইসলামী সাহায্যের ব্যবস্থা আল্লাহপাক রাখেননি। যারা সর্বশক্তিমান আল্লাহকেই মানেনা তাদেরকে তিনি সাহায্য করতে বলবেন কেন, অত্যন্ত যুক্তিসংগত কথা। মুমিন মুসলিমদেরও তো বিভিন্ন সমস্যার অন্ত নেই। সর্ব শক্তিমান হলেও তিনি একা আর কতদিক সামলাবেন? তাছাড়া তার বয়সও তো কম হলোনা। বৃদ্ধ আল্লাহর পক্ষে আর কতটুকুইবা শৃংখলা রক্ষা করা সম্ভব। অবশ্য তার যৌবনেও পৃথিবীতে বিশৃংখলা ছিল।
@তামান্না ঝুমু, আপনি ভুল বললেন । ইসলাম ধর্মে যে সাত প্রকার মানুষকে যাকাত দেওয়ার বিধান আছে । তার মধ্যে অমুসলিমও আছে । কিন্তু অন্য ধর্মের দিকে তাকিয়ে দেখুন তারা নিজ নিজ সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে এই ধরনের সাহায্যের কোন বিধান দেয়নি । আর আল্লাহ্র কোন বয়স নেই । তাই শেষের কথাগুলোর উত্তর দেবার কোন প্রয়োজন মনে করলাম না ।
@স্বপন মাঝি, আল্লাহ্ তায়ালা কাউকে কোন কিছু নিজ হাতে দিয়ে দেন না । যদি সেটা সে না চায় । আর তার নিকট চাওয়ারও একটা মাধ্যম আল্লাহ্ তায়ালা দিয়ে দিয়েছেন । আর আল্লাহ্ তায়ালা মানুষের ইহকালের জীবনে খুব বেশি হস্তক্ষেপও করেন না । তাই তারা তাদের নিজ নিজ কর্মের ফলসরূপ জীবন অতিবাহিত করেন । আর আল্লাহ্ তায়ালা যে তাদের জন্য কোন পথ খোলা রাখেন নি তাও না । আল্লাহ্ তায়ালা ধনীদের উপর যাকাত ফরয করে দিয়েছেন অর্থাৎ এটি তাদের অবশ্য পালনীয় । এবং সকল উপার্জনকারী মানুষের উপর ফিতরা দেওয়ার বিধান করে দিয়েছেন । তারপর ও আপনারা ইসলাম সম্পর্কে এসকল অযৌক্তিক কথা বলেন …। আপনি যে কথাগুলো বলেছেন তার অধিকাংশই আমাদের দেশের প্রক্ষাপেটে ঘটে থাকে । কারণ আমাদের দেশের অনেক মানুষই ইসলাম কে ব্যবহার করে লাভবান হতে চায় । অন্য রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ঘটনা ঘটে না ।
এই নিষ্ঠুর-উপবাস যে কত রোগাক্রান্ত লোকজনকে, অশীতিপর বৃদ্ধ লোককে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তার কোন হিসাব নাই। সাধারনতঃ রোগাক্রান্ত লোক, অশীতিপর বৃদ্ধ লোকজন পরকালের ভয়ে ভীত হয়ে এক বিন্দু পানি পান না করে ১২/১৪ ঘন্টা উপবাস করছেন যা তাঁদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ।
@ব্রাইট স্মাইল্,
জীবন ক্ষণস্থায়ী । তাই পৃথিবীর কষ্টও সাময়িক। তাছাড়া কষ্ট ছাড়া তো কেষ্ট মেলেনা। দুনিয়ায় এতটুকু কষ্ট করতে না পরলে আখেরাতে অনন্ত সুখ ভোগ করবে কীকরে? আল্লাহ নিজেইতো সারা জীবন ধরে উপোস করে আছেন। উ্নারতো পানাহার নিদ্রা নেই। আর মানুষ একটা মাস না খেয়ে থাকতে পারবেনা!
ভাল লেগেছে, (F)
আমার দুটি বিষয় এই রোজার মাসে কেমন যেন লাগে।
১. অনেক মা-বাবা দের দেখেছি তারা গর্ব করে বলে আমার ছেলে সব রোজা রাখে। যদিও ছেলের বয়স ০৯ বা তারও কম। এই গর্ব দেখলে আমার মনে হয় তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ। নিজের সন্তান না খেয়ে কষ্টে আছে, যা আসলে ঐ শিশুটির মনের জেদ বা মা-বাবার গর্ব নিজের মধৈ অবচেতন মনে বসে যাওয়ার ফসল। আসুন সবাই মিলে এই না খেয়ে থাকার সংস্কৃতি বন্ধ করি।
২. ছোট বেলায় বিকেলে খেলাধুলার পর আমার খুব খুধা লাগত। সন্ধ্যার সময় যখন বাসায় ফিরতাম তখন খাবার পেতাম না। খাবার চাইলেই মা রাগারাগি করতেন। বলতেন সন্ধ্যের সময় খেতে হয় না। আবার সেই মা ইফতার করত সন্ধ্যা। বিশ্বাস কেমন…………
@নোথেইষ্ট,
আল্লাহকে খুশি করার জন্য মা বাবারা নিজেরাও উপোস করেন , নিজেদের সন্তানদেরকেও উপোস রাখেন। যেকারো কষ্ট দেখলেই আল্লাহপাক খুশি হন। সোবহানাল্ললাহ।
জানতে চান , কেন এ নিষ্ঠুর-উপবাস? তাহলে পড়ুন –
The Truth About Soum
By
Dr. Qamar Zaman
http://www.aastana.com/books/16_E.PDF
@ফারুক,
রোজার পক্ষে ইসলামী চিন্তাবিদেরা কিছু যুক্তি দেখাতে চেষ্টা করেন। যেমন, রোজা শরীরের জন্য ভাল, রোজা রাখলে অনাহারীদের কষ্ট বুঝা যায় এতে করে তাদেরকে সাহায্য করা হয় ইত্যাদি।
রোজা শরীরের জন্য ভাল কীভাবে? প্রটি মানুষের তার শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী সুসম খাদ্য গ্রহন করা উচিত পরিমান মত। প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত। প্রিতিটি সুস্থ্য মানুষের দৈনিক ৫/৬ বার খাদ্য গ্রহন
@তামান্না ঝুমু,
দুঃখিত আগের বার পুরো মন্তব্য আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থাকা সবার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এত গরমের মাঝে মানুষ পানি পর্যন্ত পান করতে পারবেনা! মানুষ ডিহাইড্রেড হয়ে যাবেনা?
অনাহারীর দুঃখ বুঝার জন্য যদি রোজা হয়ে থাকে তাহলেত দরিদ্র জনসাধারণের উপর রোজা যরজ করা উচিত হয়নি। কিন্তু তাদের উপরেও তো রোজা যরজ! যারা সারা বছরই উপোস করে তাদেরকে আবার ধর্মীয়ভাবে উপোস করার মানে কী? যারা ইঁট ভাঙে, মাটী কাটে, রিক্সা চালায় বিভিন্ন কঠিন পরিশ্রমের কাজ করে তারা সারাদিন কীভাবে উপোস করবে? যুগে যুগে খাদ্যাভাবে মানুষ মরেছে এখনো মরছে, আর অন্য প্রাণীতো মরছেই। নিজের সৃষ্টি জীবের মৌলিক অধিকারগুলো অন্তত খাদ্যের ব্যাবস্থাও যদি আল্লাহ না করতে পারেন তাহলে তিনি কেমন স্রষ্টা? তিনিতো ব্যার্থ। তিনি নাকি এত দয়ালু কিন্তু কারো দুঃখ দুর্দশায় তিনি সাহায্য করেছেন এমন প্রমাণ আছে নাকি?
ইসলামে সংযমের নামে উপবাস রীতিটি নতুন কিছু নয়। এটাও অনান্য প্রথার মত প্রাচীন এক ধর্মীয় প্রথা। মূল বিষয়টি ঠিক রেখে ইসলাম কেবল নাম ও কিছু পালনীয় আচার নীতির সংযোজন করেছে মাত্র।
Moses fasted for forty days and forty nights while he was on the mountain with God. (Exodus 34:28)
Jesus fasted for forty days and forty nights while in the desert, prior to the three temptations (Matthew 4:2, Luke 4:2)
এছাড়াও হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈণ ধর্মের মধ্যে উপবাস প্রথাটি দেখা এখনো বিদ্যমান। তবে তাদের আচার ও পালনের প্রচেষ্টা ইসলামের মত এত তীব্র নয়। মা-বাবা ও তাদের ছেলে মেয়েদের তা পালনে বাধ্য করতে খুব একটা উৎসাহি নয়।
ধন্যবাদ তামান্না। (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
ইসলামের প্রায় সবকিছুই পূর্ববর্তী ধর্মগু্লো থেকে ধার করা। রোজাও তাই। প্রতিটি বিধি বিধানই একটার চেয়ে একটা অমানবিক ও নিষ্ঠুর।
ঈসা এবং মুসা চল্লিশ দিন অনাহারে থেকে বেঁচে ছিলেন কীকরে? :-s
@তামান্না ঝুমু,
আল্লাহ কাউকে বাঁচাতে চাইলে সারা জীবন না খেলেও সে বেঁচে থাকবে। তার কাছে অক্ষমতা বলে কোন শব্দ নেই। এ সহজ কথাটাও জানেন না ? 😛
@ভবঘুরে,
তিনি নিজেও তো না খেয়েই বেঁচে আছেন অনন্তকাল ধরে। এটাও তো তার শক্তির একটা নমুনা।
@ভবঘুরে,
‘আস্তিক্তা বনাম নাস্তিকতা’ র প্রতি উত্যুরে
অভিজিৎ রায়
@ডারউইনের ভুত,
ভুত ভাইজান, আমার এতদিন আগের মরিয়া ভুত হইয়া যাওয়া লেখা থেকে উধৃতি কৈত্থন খুইঁজা বাইর করলেন? 🙂
@অভিজিৎ, বেশি দূরে যেতে হয়নি মুক্তমনার ওয়েব সাইটেই পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে ও মুক্তমনার লেখক দের কে।তবে আপনার লেখা ” মরিয়া ভুত হইয়া যাওয়া” ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।
@ডারউইনের ভুত,
‘মরিয়া ভুত হইয়া যাওয়া’ লেখা মানে অনেকদিন আগেকার লেখা আর কি! 🙂 তবে ‘আস্তিকতা বনাম নাস্তিকতা’ র প্রত্যুত্তরে লেখাটি অনেক দিন আগের হলেও আমার (আর রায়হানের) সাম্প্রতিক বই ‘অবিশ্বাসের দর্শন‘ এর একটা অংশেও এই কথাগুলো আছে। আমি ঠিক নিঃসংশয় ছিলাম না ঠিক কোন জায়গা থেকে আপনি সেটা পড়েছেন – সেই কবেকার ভুত হয়ে যাওয়া লেখাটা থেকে নাকি তরতাজা বইটা থেকে। মনে হচ্ছে, ভুতই আপনার পছন্দ :))
মুক্তমনায় লিখুন এবং আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ বজায় রাখুন।
@অভিজিৎ,
ভুতের মত ক্ষমতা চাই কিনা তাই!
@অভিজিৎ,
বিবর্তনবাদের বইয়ে বিলুপ্ত প্রায় অঙ্গ পুরুষের স্তন বৃন্ত আমাদের পূর্ব পুরুষের ঠিক কি কাজে লাগত তার ব্যাক্ষা পাইনি, এর ব্যাক্ষা কি বা কোথায় পাবো জানালে খুশি হবো।
@ডারউইনের ভুত,
পুরুষের স্তনবৃন্ত আমাদের পূর্বপুরুষের কাজে লাগতো তা নয়, এটিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে (মেয়েদের ক্ষেত্রে নয়) বিলুপ্তপ্রায় অঙ্গ বলা হচ্ছে, কারণ পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি উপযোগিতা হারিয়েছে। এ ধরণের অনেক কিছুই আছে দেহজ বৈশিষ্ট হিসেবে যেগুলো নারী পুরুষের ক্ষেত্রে সাধারন বৈশিষ্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও কোনটি নারীদেহে অধিকতর কর্মক্ষম হিসেবে থেকে গেছে, কোনটা হয়তো পুরুষে। যেমন, অর্গাজম বা চরম পুলকের কথা বলা যায়, যেটির পুরুষদেহে সরাসরি উপযোগিতা আছে, কারণ পুরুষদের ক্ষেত্রে অর্গাজম সরাসরি শুক্র প্রক্ষেপণের সাথে যুক্ত, কিন্তু নারীদেহে অর্গাজমের কোন উপযোগিতা সম্ভবত নেই, অন্ততঃ গর্ভধারণ এবং এ সংক্রান্ত বায়োলজিকাল দিক বিবেচনা করলে। অর্গাজম ছাড়াও নারীর পক্ষে গর্ভধারণ করা সম্ভব এবং করছেও। স্টিফেন জ়ে গুল্ড এবং ডোনাল্ড সিমন্ডস অভিমত দিয়েছেন যে পুরুষের দেহে অর্গাজমের ভূমিকা থাকলে নারীদের জন্য এটা বিবর্তনের র্যামনেন্ট। ঠিক একই কথা খাটে পুরুষদের স্তনবৃন্তের জন্যও। নারীদের ক্ষেত্রে স্তন এবং স্তনবৃন্তের ভুমিকা আছে (শিশুদের স্তন্য পান করাতে এর ফাংশন আছে), কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি কেবল বিবর্তনের চিহ্ন।
এর বেশি জানতে চাইলে এই লিঙ্কটি দেখতে পারেন, অথবা এটি।
@অভিজিৎ,
ভুতদেরও প্রচুর ক্ষমতা থাকে জানেন না বুঝি! :))
@রাজেশ তালুকদার,
ভাই রাজেশ আমার কোন ক্ষমতা নেই হাত পা বাধা।একটু ভুল বললাম মুখও বাধা ,আমি যাদের মাঝে থাকি সেখানে আমার মত,চিন্তা,বিশ্বাস কোনটাই প্রোকাশ করতে পারিনা,আমার দেহে মাত্র একটাই মাথা কিনা! ,ওটাকে হারাতে চাইনা।আপনি আমাকে কাভুত(কাপুরুষ)বলতে পারেন।মাঝে মাঝে মনে হয় যদি ভুতের মত ক্ষমতা থাকত! তাহোলে……
যাই হোক আপনার হাসি টা বেশ সুন্দর কোন পেস্ট ব্যাবহার করেন? 😕
@অভিজিৎ,
আজ আমরা অনেকে বিভিন্ন ফোরামে আপনার বিভিন্ন লেখা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করে চলেছি প্রতিনিয়ত আপনার অজান্তেই। কিছু কিছু ইসলামী ব্লগে (সুবহানাল্লাহ) বন্যার বইয়ের উদৃতিও মেলে, অবশ্যই ব্যাঙ্গার্থে এবং খন্ডভাবে। মানবতার শত্রুদের সাথে মুক্তমনার বই, আমাদের সামনা সামনি সমরযুদ্ধের অস্ত্র।
@ডারউইনের ভুত, এত বুদ্ধি নিয়ে ঘুমান কি করে ? ভয় করে না যদি কেউ চুরি করে গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে! পাথর নিয়ে আপনি যে যুক্তিটি দেখিয়ছেন এত হাস্যকর কিছু আমার জীবনে প্রথম পড়লাম। বিষয়টা অনেকটা এমন যে কেউ আপনাকে বলল আপনি নড়াচড়া না করে বসে থেকেই প্রমাণ করুন যে আপনি হাঁটতে পারেন। এগুলো সম্পূর্নই অবান্তর কোন যুক্তিই নেই। আল্লাহ্ তাআলা হলেন সর্বশক্তিমান। যে কিনা নিজের সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে না সে তো আর স্রষ্ঠা হবে না। স্রষ্ঠা হবেন তিনিই যিনি তাঁর সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন করার সম্পূর্ন ক্ষমতা রাখেন। আর তিনি একমাত্র আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন।জানি না আপনার অঢেল বুদ্ধিবলে আমার কথা বুঝতে পেরেছেন কিনা। কারণ, একটা প্রবাদ আছে যে, উল্টো করা কলসির উপর থেকে এর ওপর যতই পানি ঢালা হোক না কেন তা কখনোই পূর্ণ হবে না।
@apps,
আমার বুদ্ধি তে যদি আল্লাহ্ সন্তুষ্টি না হয়ে গরুর পুষ্টি হয় আমি তাতেই খুশি।তবে আপনার ভয় পাওয়ার কারন নেই, আপনার টা গরু খাবেনা, কারন গরু হলেও ওদের রুচি বোধ আছে।
যুক্তি আছে উত্তর নেই,আপনার কাছেও নেই আপনার আল্লার কাছেও নেই।
আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেনা কেন?আরব দেশ গুলর নিয়ন্ত্রন আমেরিকার হাতে কেন?
উল্টো কলসির উপর থেকে পানি ঢালা কতটা বুদ্ধি মানের কাজ?
ভয় করে না, করিত না ,কিন্তু এখন করি তেছে যদি ইনটারনেট এর ভিতর দিয়ে :guli: অথবা বোমা ফাটে ,আল্লা চাইলে কি না পারে?
@apps,
বুদ্ধির চোটে ঘুম এসেনা একলা জেগে রই। :lotpot:
@apps,
গরু বুদ্ধি খেতে পারে এ তথ্যটি আগে জানা ছিলনা। কোথাও কোন পাহাড়ের গুহায় আসমানী গরুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে নাকি যারা ঘাস না খেয়ে বুদ্ধি খায়?
হাস্যকর হলে প্রাণ ভরে হেসে নিন। কারণ কোরানের অমানবিকতা পড়েতো মন শুধু বিষদে ভরে যায়।এ যুক্তিটি আপনার কাছে যেমন অবান্তর মনে হয়েছে কোরানের প্রতিটি কথায় এ রকম অবান্তর। যেমন জিনেরা আগুনের তৈরী, আগুন দৃশ্যমান কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কখনো জিন দেখেছে কি? ফেরেস্তা নূরের তৈরী, নূর মানে আলো দৃশ্যমান কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ ফেরেস্তা দেখেছে কি? পৃথিবী সৃষ্টির আগে আল্লাহ পানিতে বাস করত, আল্লাহ কি আগে মাছ ছিল?
সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা তার কোথায়? পৃথিবীতে এত বিশৃংখলা কেন, এত অভাব অনটন কেন, এত যুদ্ধ হানাহানি কেন?
এ প্রবাদটা তো অন্ধবিশ্বাসীদের জন্য প্রযোজ্য। যতই বিজ্ঞান দেখানো হোক, যতই যুক্তি দেখানো হোক, যতই প্রমাণ দেখানো হোক তারা চোখ খুলতে রাজি নন।
অনেক ভাল লেগেছে
@রানা ফারুক,
কবিতাটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো ধন্যবাদ।
ভালো লেগেছে। (Y)
@মাহবুব সাঈদ মামুন,
ধন্যবাদ।