তিনটি অনুগল্প দিয়ে মুক্তমনায় লেখার বৌনি করলাম। নামে গল্প হলেও এগুলো গল্প নয়। নির্জলা সত্য। এ জন্যই বলে না – ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন?
পাঠকদের ভাল লাগলে মাঝে সাঝে এই রকম অনুগল্প নিয়ে হাজির হব ভাবছি। তাই কারো ভাল লাগলে আওয়াজ দিয়েন। না ভাল লাগলেও বইলেন। তাইলে আর আপনাদের অযথা ডিস্টার্ব দিমু না।
১
গে পাদ্রী সমাচার
দুই বিয়ে, চার ছেলেমেয়ে এবং কয়েক দশক ধরে কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ খৃষ্টান বান্দাকে হেদায়েত করার পর পাদ্রী জিম সুইলি ৫২ বছর বয়সে এসে কি অনুধাবণ করলেন? নাহ, তিনি গে। আমেরিকা জুড়ে হইচই পরে গেল, এত বড় চার্চের পাদ্রী কিনা গে ! টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন, তাকে এক দর্শক প্রশ্ন করে বসলো, খুবই ভালো কথা উনি গে হয়ে গেছেন, কিন্তু বাইবেলে কোথায় গেদেরকে সমর্থন করা হয়েছে, কোথায় বলা আছে যে চার্চের পাদ্রী গে হতে পারে? বাইবেলে সমকামীদের প্রতি কি পরিমাণ ঘৃণা ছড়ানো আছে সেটা তো আর নতুন করে বলার দরকার নেই! বেচারা সুইলি তো পারলে কেঁদেই ফেলেন, কাচু মাচু হয়ে বললেন, আরে ভাই বাইবেলে তো বহু কিছুই আছে। সেন্ট পলের স্লেভারি সমর্থন করা থেকে শুরু করে লোভ বেশি করলে গলায় চাকু চালানো, কিংবা নিজের সন্তান কাজকর্ম না করলে ধরে নিয়ে মেরে ফেলার কথা কি নেই পবিত্র বাইবেলে। আরে আজকের যুগে এসব কিছুই কি আর মানা যায় নাকি।
২
জোকারের বিবর্তন
কোরান হাদিস বিকৃত করলে মোল্লারা ফতোয়া দেয়। ফতোয়া না দিয়ে কি উপায় আছে? আল্লাহতালার গ্রন্থ বলে কথা। জোর গুজব – জাকির নায়েক, যিনি বাংলা ব্লগসাইটে জোকার নায়েক নামেই বেশি পরিচিত, তিনি নাকি এবার ফতোয়ার শিকার হয়েছেন। শোনা যায় এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, দাসীদের সাথে যৌনসম্পর্ক থাকার আয়াতগুলো নাকি আধুনিক যুগে অচল! কি? কোরাণ না সর্ববকালের জন্য প্রযোজ্য আসমানী কিতাব, এর না দাড়ি কমাও কোনদিন বদলানো যাবে না? জোকার নায়েকের তো সাহস কম না, কোরান বিকৃত করে! কোরানের কোনটা অচল আর কোনটা সচল, তা জোকার নায়েক নির্ধারণ করার কে? ফতোয়া তো তিনি খেতেই পারেন, আমি বলি খাওয়াই উচিত। এর আগে আরেকবার ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করার দায়ে তিনি কাফির হিসেবে ফতোয়া পেয়েছিলেন। জাকির নায়েকের নাম জাকির নায়েক থেকে শুরু করে জোকার নায়েক হয়ে ক্রমবিবর্তনের ধারায় কাফির নায়েকে এসে ঠেকেছে। একেই বলে জোকারের বিবর্তন। এবার বোধ হয় মোল্লারা বিবর্তনেই বিশ্বাস করে বসবে।
৩
কাঠালের আমসত্ত্ব
এখন থেকে আম গাছ হচ্ছে আমাদের জাতীয় বৃক্ষ। মন্ত্রিসভার আয়োজিত বৈঠকে আম গাছকে বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ হিসাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই জানি কাঠাল হচ্ছে আমাদের জাতীয় ফল। কিন্তু আজ থেকে আমরা জানি কাঠাল জাতীয় ফল হলেও, ফলের গাছটি জাতীয় হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। জাতীয় গাছ হইলো গিয়া আম গাছ। আম গাছে কাঠাল ফলিয়ে আমরা এখন থেকে কাঠালের আমসত্ত্ব খাব।
জিম সুইলি হইলো গে, জোকার নায়েক হইল কাফির আর কাঠাল দিয়া বানাইলাম আমসত্ত্ব! এই হইল গিয়া আজকের গল্প।
জোশিলা হৈছে। শাব্বাশ! :yes:
আমের জনপ্রিয়তা যে পরিমাণ, তাতে আমকেই নতুনভাবে জাতীয় ফল করা দরকার।
থাক সে কথা।
জাতীয় বৃক্ষ কি কি যুক্তিতে করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে, সংবাদপত্রেও তা প্রকাশিত হয়েছে। তাই, ভালো হত আপনি যদি সবগুলো যুক্তি খণ্ডন করতেন। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য অযৌক্তিক।
আমি যতদূর জানি ইসলাম ধর্মে নারীদেরকে পুরুষ জাতির দাসী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ একটু সুত্রোল্লেখপূর্বক বক্ত্যবের সত্যতা জানালে খুশি হব।
:coffee:
:yes:
:laugh: :laugh: :laugh: মজাদার পোস্ট হইছে এইটা, লেখালেখিতে স্বাগতম! কেমন যেনো একটা আভাষ দিলেন যে, একজন উন্নতমানের হিউমার সেন্সের অধিকারি মানুষ আপনি। এর আরও ভবিষ্যত স্বাক্ষর দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
🙂
হে: হে: হে: দারুন লাগল। কিন্তু একটা জিনিষ বাদ পড়েছে মনে হল। শুরু করেছিলেন খ্রীষ্টান পাদ্রী নায়ক দিয়ে। মধ্যে আনলেন মুসলিমদের জোকার নায়েক। শেষটা বোধ হয় হিন্দুদের পুরোহিত নায়ক দিয়ে শেষ করলে আরও মজা হত। ধন্যবাদ। :laugh:
@সুমিত দেবনাথ, খাড়ান ভাইজান, ওনারা শীঘ্রই আসিতেছেন। অনন্ত বিজয় তার পোষ্টে ইসকনের যে বর্ণনা দিলেন তাতে তো দেখা যাচ্ছে হিন্দু ফান্ডারা নায়েকের চেয়ে কোন অংশেই কম যায় না। আপনিই শুরু করে দেন না এদের নিয়ে একখান প্যারোডি।
সময়ের অভাবে সবাইকে আলাদা করে উত্তর দিতে পারছি না। বস ডাকাডাকি করতে শুরু করে দিয়েছে, আগে তো চাকরি বাঁচাই :-Y । চাকরি বাঁচলে বাপের নাম …
মুক্তমনার পাঠকেরা এ ধরণের চটুল লেখা পছন্দ করবেন কিনা এ নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। সাহস দেওয়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাল লাগল!
মুক্তমনার ভারী ভারী লেখার মাঝে এ ধরনের লেখা গুলো সত্যিই
আনন্দ বয়ে আনে!
:laugh: :yes:
আমসত্ত্বের ব্যাপারটা জবর লিখেছেন।
@ফাহিম রেজা,
জোকার নালায়েকের আশু বাংলাদেশ আগমনের পুর্বে তার এহেন বির্বতন জটিল বার্তা বহন করছে।
এই ব্লগ লেখা র্পযন্ত ৬৮৯০ জন বান্দা facebook-এ তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। বেচারাদের আয়োজন না, মাটি হয়ে যায়?
৩০ তারিখের সার্কাস, আপনার আগামী লেখার উপাদান হোক, এ শুভেচ্ছা রইল।
চালিয়ে যান। :rose:
@রুদ্র ফীরাখ, জোকার কয়দিন থাকবে দেশে?আহা আমাদের দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের বহুদিনের আশা পূরণ হতে যাচ্ছে ! দেশে থাকা অবস্থায় জোকার কি কি করবে জানেন কেউ? আশা করি এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে মুক্তমনায় কেউ একটা লেখা দিবেন।
এক প্রেসিডন্টের নাম বারাক ওবামা,আর তার দেশের নাম বাংলাদেশ(?) লেখক,আপনার লেখা অসাধারণ।তবে ছবিতে আমের সাথে আমপাতা না দিয়ে কাঁঠালপাতা দিলে আরও ভাল হত।আপনি চালিয়ে যান,পাঠকের অভাব হবে না। আর ধন্যবাদ না দিয়ে তো পারছিনা।
আপনার লেখার রসবোধ সত্যিই মজাদার এবং বাস্তবিক। :clap2:
আওয়াজ দিলাম :yes: এবং আরো বেশী বেশী করে আপনার উপস্থিতি এখানে কামনা করছি।
এক প্রেসিডেন্টের নাম বারাক ওবামা আর তার দেশের নাম বাংলাদেশ (?) লেখক আপনার লেখা অসাধারণ। তবে ছবিতে আমের সাথে কাঁঠাল পাতা দিলে gh বেশ ভাল হত। আপনি চালিয়ে যান,
আপনার সেন্স অফ হিউমার মারাত্মক।
গতকাল ব্রিটিশ সিট কম Ming Your Language দেখছিলাম। ঐখানে ক্যাথলিক আর গ্রীক অর্থোডক্স দুই ছাত্রের “কে সেরা” মারামারিতে দুইজনই প্যাঁচে পইড়া কইলো, বাইবেলের সব কি সত্য নাকি!! ঐ যে আদম হাওয়ার কেচ্ছা, ঐটা কিছু হইলো 😀
আপনার এই অংশ পড়ে সেটাই মনে পইড়া গেলো 🙂
জোকারের পোস্টারটায় খুব মজা পাইলাম =))
আরও লিখেন…
@রায়হান আবীর, ইশস, সুইলির চেহারাটা যদি দেখতেন, তাইলে আর এভাবে ওরে নিয়া হাসাহাসি করতেন না 😉 ।
@রায়হান আবীর,
ভাল উদাহরন দিলেন। Mind Your Language। জিয়োভানি কুপেলো(ইটালিয়ান) আর পাপান্দ্রেয় ম্যাক্সিমাস(গ্রীক) ঝগড়া করত ধর্ম নিয়ে। এক পর্যায়ে জিয়োভানি বলেই বসে- ‘those are all fairy tales in bible’.
আর টীচার জেরেমি বলে-” you r here to prove your english, not to disprove bible.” হা হা হা।
পরের পর্বগুলোতে এই ঝগড়াটা দুই ক্যাথলিকের মধ্যে শুরু হয়। স্পেনীয় আর ইতালিয়ান। লড়াই এজন্য যে কার ক্যাথলিসিজম শ্রেষ্ঠ!!
এক পর্বে তো ইতালিয়ান বলে বসে- ” I used to live in church too become a priest some day. one day our priest explained about girls,flesh and alcohol. then I found what I would be missing!!”
:hahahee: :hahahee:
তারপর থেকে ও চার্চ বাদ দিয়ে বাকি তিনটের পেছনে ঘোরা শুরু করে দিলো। :lotpot: :lotpot:
যদি সুইলির কথা জানত বেচারা তাহলে চার্চে থেকেই এইসব করতে পারত!
@ফাহিম রেজা,
পাকিস্তান আমলে জাতীয় ফল আমই (গ্রীষ্মকালীন) ছিলো , এর সাথে ছিলো পেয়ারা (শীতকালীন) , বৃক্ষ ছিলো দেবদারু। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কাঁঠাল করা হয়। ভারতের জাতীয় ফলও আম , বৃক্ষ বটগাছ। নিউ মেক্সিকোতে অবশ্য কাঁচা মরিচ।
যাহোক , আমার আগে আপনিই বউনি করে ফেললেন।
@সংশপ্তক,
কি আশ্চর্য আপনি এখনও বউনি করেন নাই? আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যগুলো দেখে তো আমি এতদিন ভাবতাম আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে অনেক লিখেছেন। এত বড় অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করবেন কিভাবে? বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার আগেই লেখা ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।
@ফাহিম রেজা,
আমার মত বিবর্তনবাদী নাস্তিককে ‘পাপের’ কথা বলে আমায় বড় বিপদে ফেলে দিলেন ! সুযোগ থাকলে আপনাকে সপরিবারে বিশ্বের সেরা চিলি কন কার্নে খাওয়ার দাওয়াত দিতাম।
যাহোক , এ পর্যন্ত পাওয়া সব উপাত্ত গবেষণা করে দেখা গেছে যে,মুক্তমনার কমপক্ষে ৬০% পাঠকের প্রথম পাঠের উপযোগী কোন লেখা তৈরী করা খুবই কঠিন কাজ । বিজ্ঞান আর কলাকে ঠিকমত মশলা দিয়ে না কষাতে পারলে পুরো পরিশ্রমটাই বৃথা। দু চারটা ” ভাল লাগলো” অথবা গোলাপ ফুল জাতীয় মন্তব্য পরলেও পরতে পারে। আর তারকা খ্যাতি না থাকলে তো সেটাও জুটবে কি না সন্দেহ। এজন্যই একটা কার্যকর ফর্মুলা তৈরীতে সময় লাগছে।
@সংশপ্তক, প্রথম আলোতে পড়লাম তারা নাকি তালকে জাতীয় বৃক্ষ বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তালগাছ সব জায়গায় পাওয়া যায়না বলে নাকি আম গাছকে জাতীয় বৃক্ষ করা হয়েছে। এদের তালগাছবাদিতার উৎকৃষ্ট প্রমান। :lotpot: :lotpot: :lotpot:
ধর্মের দিক থেকে সবাই কেমনা জানি না তবে পলিটিক্সের ক্ষেত্রে সবাই তালগাছ বগলের তলায় রেখে দেশ উদ্ধার করে। :-Y :-Y :-Y
@লীনা রহমান,
সুপারী গাছ কি দোষ করলো ? সাপ, শকুন, ব্যাঙ , বিচ্ছু সব কিছুকে জাতীয়করন করা বাংলাদেশের বহুমাত্রিক জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য মন্ত্রনা। জাতীয় বিষ হিসেবে আর্সেনিক , জাতীয় ভাইরাস হেপাটাইটিস – বি , জাতীয় রং ফর্মালিনের নাম প্রস্তাব করা যায়।
@সংশপ্তক, আমাদের কি আর জাতীয় বিষের দরকার আছে? দুর্ণীতি, কুসংষ্কার, অবিজ্ঞানমনষ্কতার কাছে তো আপনের আর্সেনিক দুধভাত।
@ফাহিম রেজা/
:clap2: :yes:
অনুগল্পের আড্ডাটা দারুণ লাগলো। এমন পোস্ট আরো চাই।
অণুগল্পের আইডিয়া দারুন। সিলেকশনটাও খুব ভাল লেগেছে।
সব থেকে ভাল লেগেছে –“কাঁঠালের আমসত্ত্ব”
:hahahee: :hahahee:
লিখে যান। প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পাবেন। :rose2:
চারদিকের এতোসব সিরিয়াস বিষয়, উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে এক চিলতে হাসির খোরাক বেশ ভাল লাগলো। আওয়াজ দিচ্ছি আরো লিখুন।
@আব্দুল হক, একদম ঠিক কথা বলেছেন। বিশেষ করে মুক্তমনায় সিরিয়াস সব লেখকদের ভিড় দেখে মাঝে মাঝে ভয়ই লাগে। লেখাটা দেওয়ার আগে একটু ভয়ে ভয়েই ছিলাম যে ওনারা না আবার ‘তুমি কোন জোকার আসছো মুক্তমনার পরিবেশ নষ্ট করতে’ বলে না ছুটে না আসে 😀
চমৎকার!! চমৎকার!!
ভাল লেগেছে।
“আ” তে আওয়ামী লীগ, তাই নাকি ‘আ” তে আমগাছকে জাতীয় বৃক্ষ বানানো হয়েছে :rotfl: । অনেকে দাবী তুলেছেন, বাঁশগাছকে জাতীয় গাছ ঘোষণা করার জন্য কারণ “ব” তে বি এন পি আর “ব” তে বাঁশ :lotpot: ।
@সৈকত চৌধুরী,
এতক্ষণে না বোঝা গেল আম্প্রীতির রহস্যটা :laugh: । তাই তো কই!!!
@সৈকত চৌধুরী,
😀
জাতীয় পশু বাঘেও ব আছে। কাজেই ওটা পালটে আফ্রিকান লায়ন না হয়তো আরবি অশ্ব করতে হবে। জাতীয় মাছ হবে ইলিশের বদলে আইর আর জাতীয় পাখি হবে দোয়েলের বদলে আরশোলা।
@ফরিদ আহমেদ,
জাতীয় পতঙ্গ আরশোলা হতে পারে। আর জাতীয় পাখি আবাবিল।
@ব্রাইট স্মাইল্,
ওয়া আরসালা আলাইহিম তোয়াইরান আবাবিল–
এই নেক প্রস্তাবটির সাথে আমার প্রস্তাবটিও উত্থাপন করলাম- ‘জাতীয় পশু উট করা হউক’। আফালা ইয়াংজুরুনা ইলাল ইবিলি কাইফা খুলিকাত?
এই দুইটা প্রস্তাবের কারণে আল্লাহ আমাদেরকে বেহেস্তে ঢুকার পারমিশন দিতেও পারেন। – আমিন।
@আকাশ মালিক,
উত্তম প্রস্তাব :guru: সোবহানাল্লাহ :rose: ।
বেহেস্তে ঢুকার পারমিশন পাওয়ার কথা জাইনা খুশী লাগ্তাসে। আলহামদুলিল্লাহ্ :rose2: ।
আমিন, ছুম্মা আমিন।
@ব্রাইট স্মাইল্,
এইটা একটা সেইরকম জোক্স হইছে :laugh: :lotpot: :laugh:
@আকাশ মালিক, আরবীরে জাতীয় ভাষা বানালে কেমন হয়? বাঙ্গালী বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষা না পারলেও আরবী ব্যাপক ভালবাসে, আমেরিকা নিবাসী বাঙ্গালী পোলার আরবী নাম দেখলে অন্তত তাই মনে হয়। প্রশাসনে বাংলা ভাষাকে প্রতিস্থাপন করা অসম্ভব, কিন্তু আরবীকে তো অন্তত জাতীয় ভাষা বানায়া সম্মান দেখানো যায় :-/
@ফরিদ আহমেদ,
আরশোলা জাতীয় পাখি হইলে তো মুশকিল। তখন তো জাতীয় পাখি মারার অপরাধে আমারে দিনে দশবার কইরা বেত্রাঘাত করা হবে। 😥 এই বিশিষ্ট জিনিসটিকে আমি এতই সমীহ করি যে নিজেকে তার সাথে এক ঘরে থাকার যোগ্য মনে হয়না 🙁
@ব্রাইট স্মাইল্,
:hahahee:
@আকাশ মালিক,
আমি এই প্রস্তাবদ্বয় অনুমোদন করিলাম। এর হাদিয়া হিসাবে বেহেস্তে ঢোকার আগে অনুগ্রহ করিয়া আপনার লেজের সাথে আমার লেজখানি বাধিয়া লইলে চিরকৃতজ্ঞ থাকিব :rotfl:
আমার একই গ্রামের মানুষ (মানে একই স্টেটের) জিম সুইলিরে নিয়ে মস্করা করাটা এক্কেবারেই পছন্দ হইলো না 🙁 . সেদিন টিভিতে ওর চেহারাটা দেখে এত্ত মায়া লাগতেসিল! আহারে বেচারা… ওর আগের বউ ওকে নাকি নেক আগেই ক্লজেট থেকে বের হয়ে আসতে বলেছিল, ও রাজি হয় নাই।আহা, কী বীরপুরু্ষ! বউটা নিশ্চ্য়ই এতদিনে পালায়া বাঁচছে! তাও তো এর নামে অন্য কোন স্ক্যন্ডাল বা মামলা নাই, বেচারা নিজেই হয়তো খ্রিষ্টানিটির ভয়ে এতদিন বের হয়ে আসতে পারে নাই। সুইলির পাশের চার্চের বিশপ এডি লং ব্যটার গর্দানের উপর তো এখন পেডোফিলিয়া আর সেক্সুয়াল আ্যসল্টের মামলা ঝুলতেছে। চারজন লোক তার নামে মামলা করেছে। ইনি নাকি আবার ভীষণভাবে সমকামিতা-বিরোধী মানুষ! হিপোক্রেসির একটা সীমা থাকে। এর পরে এডি বাবারে নিয়া একটা কেচ্ছা নামায়া ফালান।
@বন্যা আহমেদ, এডি লং এর কাহিনি তো এমন কিছুই না, পাদ্রীদের মধ্যে বাঘা বাঘা সব পেডোফাইলের গল্প আছে, তাদের কাছে তো এডি লং নিতান্তই বাচ্চা। এখনকার পোপ ব্যাটাই তো এক সময় ক্যাথলিক চার্চের পেডোফাইল পাদ্রীদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন নিয়ম কানুন প্রণয়ন করেছিলেন।
আসলেই মজার লেখা হয়েছে। নিয়মিত লিখবেন আশা করছি।
চমৎকার লেগেছে। নিয়মিত লেখা আসুক। 😀 । জাকিরের জন্য মায়াই লাগছে এখন।
গল্পগুলো পড়ে মজা পেলাম। সবচেয়ে মজা লেগেছে জোকারের বিবর্তন। ফতোয়া রচয়িতা জোকার এখন ফতোয়ার ফাঁদে পড়েছে। প্রতিসপ্তাহেই এরকম গল্প চলুক। :yes:
@ব্রাইট স্মাইল্,ধন্যবাদ। আচ্ছা, জোকার নায়েকের এই ফতোয়া খাওয়ার কাহিনিটা কি সত্যি? ব্লগে দেখেছিলাম খবরটা, এর সত্যতা যাচাই করা যায় কিভাবে? কেউ কি আসল খবরটা জানেন? আদিল মাহমুদ মনে হয় ক্রীতদাসীদের নিয়ে জাকির নায়েকের মন্তব্যটার কথা উল্লেখ করেছিলেন মুক্তমনায়।
@ফাহিম রেজা,
ঘটনা সত্য। তবে বলাই বাহুল্য ধর্ম জগতের এসব ভাঁড়ামীর কতটা গুরুত্ব তা আমি জানি না। ওনাকে মনে হয় বেশ কয়েকবারই কাফের ঘোষনা করেছেন। ভারতের দেওবন্দ থেকেও নাকি কাফের ঘোষনা করা হয়েছে, তবে এর সত্যতা জানি না। দেওবন্দ খুব সম্ভব তাকে একবার সতর্ক করেছিল। ধর্ম নিয়ে বেশী জ্ঞান চর্চার সম্ভাব্য পরিনতি এমন হওয়া খুবই স্বাভাবিক। ইউটিউবে শুধু জাকির নায়েক কাফির লিখে সার্চ দিন। বহু সূত্র পাবেন। একটি দিলাম।
এছাড়া ভারতেই মুসলমানেরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে তার ভিডিও দেখতে পাবেন।
http://www.kafirnaik.com নামে একটি সাইট ছিল যা আজ দেখি চলছে না। তার ক্যাশেতে গিয়ে দেখতে পারেন।
:rotfl:
:laugh:
বাংলাদেশের মন্ত্রিরা দেখি আবলামিতে তাদের আগের করা বিশ্ব রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যাবে। :-X
ওহহো বলতে ভুলে গেছিলাম, লেখা পড়তে গিয়া ডিস্টার্ব পাইনাই এইবার, ভালই লাগছে। স্যাম্পল দিতে থাকেন একের পর এক, যখন আর ভাল লাগবেনা আওয়াজ দিমুনে 😉
@লীনা রহমান, ধন্যবাদ।
তুখোর!! আপনার সেন্স অফ হিউমার দেখে মুগ্ধ হলাম। রসবোধ জিনিসটা ইদানিং লোকজনের মধ্যে দেখা যায় না বললেই চলে। এই রকম প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত হালকা চালের সাবলীল, কিন্তু গভীর অর্থবহ লেখাগুলোই বেশি টানে আমাকে।
মুক্তমনায় নিয়মিত এ ধরনের লেখা দেবেন সেই প্রত্যাশা রইলো।
@ফরিদ আহমেদ, ধন্যবাদ। আপনার ব্রুনেটের সিরিজটা চালিয়ে যাবেন তো? এর পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি।
ফাহিম রেজা,
আওয়াজ দিচ্ছি, ভাল লেগেছে। লিখে যান। আপনি পাঠক পাবেন।
@গীতা দাস, ধন্যবাদ, আপনাদের উৎসাহ পেলে ভবিষ্যতে আরও লিখব।