আমি গিয়েছিলাম তোমাদের আলোকিত উঠোনে
যেন বসেছিল মেলা উদ্বাস্তু নক্ষত্রের
এখানে সেখানে জ্বলছিল শিশু নক্ষত্রেরা
এক একটা নিঃসঙ্গ খদ্যোতের মত
সাঁই সাঁই করে যাচ্ছিল ধুমকেতু
বিরামহীন নিষ্ঠাবান রানার যেন এক
রেখে যাচ্ছিল টুকরো আগুনের চিঠি
ঝাঁক বাধা উড়ন্ত জোনাকির মত।
আমার বেদনার ক্লান্ত অধ্যায়গুলো
একে একে শেষ হতে লাগল
সহস্র বছরের অনাহারীর মত আমি
সমস্ত সুখদৃশ্যগুলোকে ভরে রাখছিলাম
কাঁধে ঝুলতে থাকা স্বপ্নের থলিতে
ছড়াচ্ছিল কিরণ উঠোনে মধ্যমণি চাঁদ বাকা
তাই দেখে আবেগে কেঁপেছি থরথর
আমি আর আমার ব্যক্তিগত ধুম্রশলাকা।।
কবিতাটি ভাল লাগল আপনাকে ধন্যবাদ আমরা আপনার আরো কবিতা আশা করবো। তবে মন্তব্যকারীদের ধুম্রশলাকা নিয়ে মাথা ব্যাথাটা বেশী মনে হল। ওটার প্রতি বোধ হয় তাদের টান বেশী। :lotpot:
@সুমিত দেবনাথ,
তাহাই বোধ করিতেছি। 😀
ধন্যবাদ কবিতা পড়ার জন্য।
ভাল লেগেছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
@
হা হা হা……
জটিল হৈসে।
কথাটায় মান্ড খাইলাম।
@আসরাফ,
ধন্যবাদ আসরাফ ভাইকে কবিতাটা পড়ার জন্য।
আমিও তীব্র পেরতিবাদ জানাইলাম। 😀
@সাইফুল ইসলাম,
আপনাকে দেখে কবিতা লেখার অনুপ্রেরনা পাই কিন্তু মুক্তমনায আমার কবিতা প্রকাশ করতে পারি না,তাই আপনার এই অসাধারন কবিতার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমার এক খানা কবিতা-
৫ ইন্চি দৈর্ঘ্য হলেই চলে
না পারলেন না, বিধাতাও পারলেন না
শত বিধি নিষেধেও তোমাদের আটকে রাখতে পারলেন না।
তোমরা চলেই আসলে আমার কাছে
বিধাতাকে ফাকি দিয়ে কিংবা বিধাতাই হয়ত দেখিয়ে দিলেন পথ,
তোমরা তর্ক করলে পথ নিয়ে,আমাকে নিয়ে নয় ।
যে তুমি,ভরা পুর্নিমার সৌন্দর্য সহ্য করতে না,পেরে
আমার কাছে চাইলে আশ্রয়
যে তুমি আবছা আলোয় আমার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে লিখলে কবিতা
সম্বোধন করলে আমায় বনলতা বলে
সে,তুমি সুর্যালোকে আমায় চিনতেই চাইলে না।
শুনেছি সাহসি এক লেখক আমাকে নিয়ে লিখে ফেলেছেন আস্ত এক উপন্যাস,
জানিয়ে দিয়েছেন তার জীবণের সত্য সকল কথা।
না,তিনিও আসলেন না,
দিনের আলোয় এই হাতটি ধরে তিনিও কখনও বললেণ ণা,মাণষী আমার।
এক দিন এক মহা জ্ঞানী কঠিন সব কথা বলে
বুঝিয়ে দিলেন আমরা সবাই সমান
তোমরা আনন্দে,সমতার কথা বলতে ,বলতে ঝাপিয়ে পড়লে আমার উপর
এবার আর দিন রাতের তোয়াক্কা টূকূও করলে না,দিনকেও বানিয়ে দিলে রাত।
জানি, যে সন্তান আজ শুধুই আমার
সেও এক দিন খুজে বেড়াবে তোমাদের্ ,
আশ্রয় চাইবে তোমাদেরই কাছে আর ঘৃনা করবে আমায়।
তাই ভাবি,কি ছিল প্রয়োজন ৬ ইন্চি দৈর্ঘ্যের এই মস্তিষ্ক
বা ,সোয়া পাচ ইন্চি দৈর্ঘ্যের এই হৃদয়ের।
কীংবা কিইবা প্রয়োজ়ন, ৬৩ ইন্চি দৈর্ঘ্যের এই পুরো দেহটার,
তোমাদেরতো শুধু ৫ ইন্চি দৈর্ঘ্য হলেই চলে।
বলবে কি আজ, বার বার ব্যাবহারে আমি যদি নোংরা হই,পতিত হই,
তবে তোমরা কেন তা হওনা????
(বানান ভুল মার্জনা করবেন,plz)
@রনি,
তুমি শালা মজা মারো না?? 😀
চিন্তা করিস না। কমেন্টস করতে থাক, মডারেটর সাহেব তোকে একাউন্ট খুলে দেবে একসময়।
@রনি,
সন্তানকে সত্য শিক্ষা দিন। তাকে অন্যদের মত ব্রেইন ওয়াশ হতে দিবেন না। সন্তান আপনাকে ঘৃণাও করবে না, কুপথেও যাবে না। সে তার নিজ কক্ষপথের গ্রহ-তারা ঠিকই চিনে নেবে।
@নিশাচর,
আপনি যা বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু কবিতার টোন ঠিক এইটা ছিল না মনে হয়।
@সাইফুল ইসলাম,
দারূণ বলেছেন ভাই।
@নিশাচর,
অলস, মূর্খ অভিভাবকেরা সব সময় নতুন প্রজন্মকে, আপন সন্তানকে দোষারোপ করে, নিজের অপকর্ম, অপারগতা অক্ষমতা ঢাকতে গিয়ে।
সাইফুল ভাই, এবার এ নিয়ে আপনার কাছ থেকে একটা কবিতা চাই।
“খদ্যোতের” কথাটার মানে কি?
@লীনা রহমান,
জোনাকি পোকা।
ধন্যবাদ কবিতাটা পড়ার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম,
ও বাবা রে………………।
সামনের বই মেলায় আপনার একখানা কবিতার বই চাই।
@সৈকত চৌধুরী,
এটা বড়ই অন্যায়!! বাবা বাবা ডেকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পক্ষে সায় দিলেন!!! 😉
আমি তো মা মা করে চিল্লাই। 😥
হ্যাঁ, বইমেলায় বের হোক কবিতার বই, যেটা খদ্যোতের ন্যায় জ্বলে উঠবে।
@সৈকত চৌধুরী,
মামার বাড়ির আবদার নাকি মিয়া? ফাইযলামি হ্যা???? 😀
@সাইফুল ইসলাম, নতুন একটা শব্দ শিখলাম। কবিতা পড়লে মনে হয় অনেক শব্দ শেখা যায় আর অনেক শব্দ নতুনভাবে উপলব্ধি করা যায়। ইদানীং কবিতা পড়ছি। সুধীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, হূমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহমানের কবিতার বই ঘরে রেখেছিলাম। এখন হূমায়ুন আজাদ আর সুধীন্দ্রনাথকে নিয়ে পড়ে থাকি যকঝন সময় পাই। কবিতার মত আসাধারণ জিনিস সত্যিই আর কিছু হতে পারেনা। আপনার কবিতার কিছু কিছু লাইন খুব সুন্দর হয়। আমি কবিতা লিখতে পারলে দারুণ হত। কিন্তু আমারগুলো অকবিতাও যদি না হয় এই ভয়ে লিখিনা।
@লীনা রহমান,
এটাই হল আসল কথা। 😀
ভালো লাগলো। মনকে নাড়া দিলো।
উরন্ত > উড়ন্ত
কিরন > কিরণ
সতর্কীকরণ: ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। ক্যান্সারও হতে পারে।
@মাহফুজ,
দিলাম ঠিক করিয়া। 🙂
নাও হইতে পারে। 😀
@সাইফুল ইসলাম, “নাও হইতে পারে” তবে ভারতে যদি আসেন তা হইলে প্রকাশ্য স্থানে ধুম্রশলাকা ধরাইবেন না ২০০ টাকা ফাইন হইয়া যাইবে। অবশ্য ঝোপে আড়ালে খাইলে অপরাধ নাই। 😥
@সুমিত দেবনাথ, আমার কলকাতায় আসার খুব ইচ্ছা। কিন্তু টাকা অনেক কম লাগে তাই আসতে পারতেছি না। 😀
প্রবীর ঘোষের সাথে দেখা করার আমার খুবই ইচ্ছা আছে। কিন্তু হতিছে না। 🙁
@মাহফুজ,
কেন দশ বছর পর কিছু হইতে মৃত্যু হইতে পারে বলিয়া আশঙ্কা করিতেছেন যখন এই মুহুর্তে প্রান সংহার করিতে সক্ষম এমন বস্তু আমাদের চারপাশে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ? এমন মর্তমান মৃত্যু কি তবে সামান্য ক্যান্সার অপেক্ষা অধিক ভীতিকর নহে ?
@সংশপ্তক,
বিলক্ষন, বিলক্ষন সত্য কহিয়াছেন জনাব। এই কথাগুলোই আমি কাউকে বুঝাইতে সক্ষম হইনা। তাহারা শুধু শুধু ধুম্রশলাকাকে ঘৃনা করে বলিয়াই বোধ হয় আমার নিকট। কেন দাদা, যদি এই ধোঁয়াতে এত সহজেই মনুষ্য মারা যাইবে তাহা হইলে কিভাবে এত মনুষ্য দিবানিশি ধুমপান করিয়া বাঁচিয়া রহিয়াছে?
তাহাদিগকে বোঝানো বড়ই দুঃসাধ্য।
@সাইফুল ইসলাম,
অমরত্বের মরীচিকার পেছনে ছুটে বর্তমানকে বিসর্জন দিতে আমি রাজী নই । বেদনায় যেখানে অরুচি , সুখের আস্বাদন সেখানে সুদূর পরাহত । মৃত্যুকে না হোক , মৃত্যুভয়কে পরাজিত করার আনন্দ কেবল সংশপ্তকই জানে ।
@সাইফুল ইসলাম,
কবিতা তো একবারে জমাট। খুব মন ছুঁয়ে গেল।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ জানাই কবিতা পড়ার জন্য।
@সাইফুল ইসলাম ও সংসপ্তক,
তামাক পড়িয়া দেখুন, ইহাতে কোনো কাজে লাগিলে, লাগিতেও পারে।
@মাহফুজ,
দেখিয়া লইবেক। 😀
কবিতাটা পড়ার পর এখনও শরীরে বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ অনুভব করছি । আপনি লা জাওয়াব । সুবহানআল্লাহ ! ‘নিকটবর্তি দুরুত্বের’ কারনে এই মুহুর্তে ইনাম দেবার ক্ষমতা নেই , থাকলে তাও দিতাম । :rose:
@সংশপ্তক,
ধইন্যা ধইন্যা। 😀