লিখেছেন: অতনু চক্রবর্ত্তী
কেনিয়ার নাইরোবি শহরে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে মার্চ রিচার্ড ডকিন্সের জন্ম। তার পিতা ক্লিনটন জন ডকিন্স সেই সময়কার ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার অধীনে একজন কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন। তার কর্মক্ষেত্র ছিল নায়াসাল্যান্ড ( বর্তমান মালাউয়ি)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিংস আফ্রিকান রাইফেলসে যোগ দেওয়ার জন্যে তার যখন ডাক পড়ে তখন রিচার্ডের মাত্র ৮ বছর বয়স। তাই বাবার সাথে রিচার্ড ও ইংল্যান্ডে ফিরে অক্সফোর্ডশায়ারের ওভারনর্টন পার্কে নিজেদের পৈতৃক বাড়িতে ফিরে আসেন। ছোট বোনের সাথে সেখানেই তিনি তার ছেলেবেলা কাটান।
তার বাবা মা দু’জনেই বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই ডকিন্সের কৌতূহলী মনের উত্তরগুলি বাবা মায়ের কাছ থেকে বিজ্ঞানের আলোকেই পেতে শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই বই পড়ার প্রতি ডকিন্সের অন্যরকম আগ্রহ ছিল। মহাবিশ্বের বিচিত্র বিষয় সম্বন্ধে পড়তে তার খুব ভাল লাগত। কিন্তু ছেলেবেলার একটা বিরাট সময় পর্যন্ত তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন এবং নিজেকে পরিচয় দিতেন “এঞ্জেলিক্যান ক্রিশ্চিয়ান” হিসেবে। কিন্তু একটু বেড়ে ওঠবার পর স্কুলের উঁচু ক্লাসে উঠে তিনি যখন ডারউইনের বিবর্তনবাদ পড়তে সুযোগ পান তখন থেকেই তার ঈশ্বরে বিশ্বাস ফিকে হতে শুরু করে।
ডকিন্স বলেছেন,
“এই মহাবিশ্বের বিস্ময় দেখে আমার এক সময় একজন মহানির্মাতার ছবি মনে আসত। ডারউইনের বিজ্ঞান পড়ার পর, সেই ছবি মন থেকে উধাও হয়ে যায়।”
স্কুলে পড়ার সময় তিনি বার্ট্রান্ড রাসেলের লেখা “ আমি কেন ক্রিশ্চিয়ান নই ” বইটি পড়েছিলেন। এই বই ছোটবেলা থেকেই তার মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। অক্সফোর্ডের ব্যালিয়ল কলেজ থেকে ১৯৬২ সালে তিনি প্রাণিবিদ্যায় স্নাতক অর্জন করেন। এখানে থাকার সময়ই নোবেল বিজয়ী প্রাণী আচরণতত্ত্ববিদ নিকোলাস টিনবার্জেন এর ব্যক্তিত্ব তাকে অনুপ্রাণিত করে। তাই টিনবার্জেনের অধীনে এখানেই তিনি তার এম এ এবং পি এইচ ডি সমাপ্ত করেন।
কর্মজীবনের শুরুতে ডকিন্স বার্কলের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন বছর অধ্যাপনা করেন। ঠিক এরকম সময়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছিল। সেই যুদ্ধের প্রতিবাদে তিনি সামিল হন। ১৯৭০ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকাচারার পদে যোগ দেন। ১৯৯০ সালে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের রিডার এবং ১৯৯৫ সালে তিনি “বিজ্ঞান এর সার্বজনীন প্রচার ও প্রসার” বিষয়ে সিমোনয়ি অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখানেই তিনি তার অবশিষ্ট অধ্যাপনা জীবন ব্যয় করেন।
একটি বাস্তব সত্য হচ্ছে , বিজ্ঞান গবেষণায় পেশাগত দক্ষতা থাকলেই সবসময় তার বিজ্ঞান সংস্কৃতি সঠিক পথের অনুসারী হয়না। তাই ডকিন্সের ধর্ম ও বিজ্ঞান দর্শন সম্পর্কিত যে মতবাদ সেটি কয়েকজনের কাছে যেমন মেনে নিতে কষ্ট হয় তেমন ই বিজ্ঞান জগতের অনেক উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমর্থন পেয়েছেন তিনি। হ্যারল্ড ক্রোটো, জেমস ওয়াটসন, স্টিভেন ভেইনবার্গের নাম ও রয়েছে এই তালিকায়।
ছোটবেলায় যে “মহানির্মাতা” র ধারণা তার মনে ছিল সেই ধারণা নস্যাৎ করতে তিনি পরিণত বয়সে এসে কলম ধরেছেন। কলম ধরেছেন সকল ধরণের ধর্মীয় বিশ্বাস, অন্ধভাবে চলতে থাকা আইন কানুনের বিরুদ্ধে। তার লেখনী অসম্ভব তীব্র।
রিচার্ড ডকিন্স নেচার, সায়েন্স প্রভৃতি বিখ্যাত গবেষণা পত্রিকায় একের পর এক সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র প্রকাশকারী বিজ্ঞানীই শুধু নন। তিনি সমসাময়িক কালের একজন অসাধারণ সাহিত্যিক ও। ২০০৫ সালে তাই তিনি শেক্সপিয়র পুরস্কার লাভ করেন। তার লেখায় বিবর্তনের বিভিন্ন খুঁটিনাটি জটিল বিষয়ও ফুটে উঠেছে অপূর্ব সহজবোধ্যতায়। তিনি যেন বিজ্ঞানের সৌন্দর্যকে সকলের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতেই আবির্ভূত হয়েছেন। তাই পাশাপাশি তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিবর্তনবাদ থেকে শুরু করে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দিয়েছেন বক্তৃতা। ধর্মের অসারতা প্রমাণ করতে রচনা করেছেন দুর্দান্ত কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র। ছুটে গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। নাস্তিকতা ও যুক্তিবাদকে তিনি মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন স্পষ্ট ভাষায়, বিজ্ঞান ও যুক্তির মেলবন্ধনে , প্রকৃতিবিজ্ঞানের সৌন্দর্যের মিশেলে। তিনি তার লেখায় নাস্তিকতার সংজ্ঞাকে রূপায়িত করেছেন এভাবে,
“ একজন নাস্তিক ব্যক্তি এই অর্থে দার্শনিক প্রকৃতিবাদী যিনি মনে করেন প্রকৃতি ও পার্থিব জগতের বাইরে কিছু নেই, দৃশ্যমান মহাবিশ্বের অন্তরালে ওৎপেতে থাকা অতিপ্রাকৃত সৃষ্টিশীল কোন বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব নেই, দেহাতীত আত্মা নেই এবং নেই কোন অলৌকিকতা – ব্যত্যয় কেবল যে এমন কিছু প্রাকৃতিক প্রতিভাস রয়েছে যা আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারি নি। যদি এমন কোন অবোধ্য ঘটনা থাকে যা আমাদের কাছে এখনও ব্যখ্যাতীত, আমরা মনে করি অদূর ভবিষ্যতে এর রহস্য উন্মোচিত হবে, এবং তা প্রাকৃতিক ব্যখ্যার পরিমণ্ডল থেকেই। আমরা যখন রংধনুর রহস্য ভেদ করি, এর অপার সৌন্দর্য -চমৎকারিত্ব কিন্তু বিন্দুমাত্র হ্রাস পায় না।”
রোমান ক্যাথলিকেরা পরিবার পরিকল্পনায় বিশ্বাসী নন। এরকম হাস্যকর ধারণা নিয়ে বিভিন্ন মধ্যযুগীয় মানুষ আজ ও বেঁচে আছেন ও তাদের সেই বিষাক্ত চিন্তা ভাবনার প্রসার ঘটাচ্ছেন বিভিন্ন সমাজে। এরকম অনেকে আছেন নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না , অনেকে অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ধর্মান্ধ গোঁড়া মধ্যযুগীয় এইসব মানুষদের বিরুদ্ধে ডকিন্স তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের বিরোধী ছিলেন তিনি। ইরাকে মার্কিনীদের অন্যায় আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে রিচার্ড ডকিন্স জর্জ বুশ জুনিয়রকে একাধিক চিঠি লেখেন। সেই চিঠি সাম্রাজ্যবাদী , বীরপুরুষের মোড়কে লুকিয়ে থাকা এক কাপুরুষতার প্রতিভূ বুশকে কে সারা বিশ্বের সামনে আরেকবার মাথা নত করতে বাধ্য করেন। সেই চিঠিতে যেরকম স্পষ্ট উচ্চারণ ছিল আজকে বিভিন্ন টেলিভিশনে আসা বিভ্রান্ত বুদ্ধিজীবী যারা মিনিটে মিনিটে নানা রকমের যুক্তিহীন ও ইনিয়ে বিনিয়ে ভণ্ডামো ও ভাঁড়ামোর বিভিন্ন বক্তব্য প্রসব করেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না ।
সেলফিশ জিন নামের বৈপ্লবিক গ্রন্থ দিয়ে শুরু। তারপরে একে একে রিচার্ড ডকিন্সের হাত ধরে এই বিশ্ব পেয়েছে অনবদ্য কয়েকটি গ্রন্থ। গড ডিল্যুশন, ম্যাজিক অফ রিয়েলিটি , ব্লাইন্ড ওয়চমেকার, আনইভিং দ্য রেইনবো, এক্সটেণ্ডেড ফিনোটাইপ – এগুলি তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। পাশাপাশি তার আত্মজীবনী বের হয়েছে দুটি খণ্ডে- “ এপেটাইট ফর ওয়ান্ডার” এবং “ ব্রিফ ক্যান্ডেল ইন দ্য ডার্ক”। গড ডিল্যুশন ও ম্যাজিক অফ রিয়েলিটি বই দুইটি বাঙলা ভাষায় অনূদিত হয়েছে । কাজী মাহবুব হাসানের অনুবাদে গড ডিল্যুশন প্রকাশ পেয়েছে অনার্য প্রকাশনী থেকে। ম্যাজিক অফ রিয়েলিটি সিরাজাম মুনির শ্রাবণ অনুবাদ করেছেন “বাস্তবতার যাদু” শিরোনামে। এটি প্রকাশিত হয়েছে রোদেলা প্রকাশনী থেকে।
২০০৬ সালে গড ডিল্যুশন বইটির জনপ্রিয়তা তাকে “রিচার্ড ডকিন্স ফাউন্ডেষন ফর রিজন এন্ড সায়েন্স” সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রেরণা যোগায়। যুক্তি ও বিজ্ঞান চিন্তার প্রসার এই সংগঠনের প্রধান কাজ। আমেরিকার অনেক স্থানে আজও বিবর্তনবাদ পড়ানো হয় না। কোথাও কোথাও সৃষ্টিবাদীদের কুচক্রান্তে পড়ানো হয় ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন নামের তৃতীয় শ্রেণির আবর্জনা। এই আবর্জনা যেন বিজ্ঞান পিপাসু শিক্ষার্থীদের কোনভাবেই প্রভাবিত না করতে পারে সেজন্যে এই সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে নিরন্তর।
রিচার্ড ডকিন্স আরও অনেক দিন বেঁচে থাকুন । সুস্থ থাকুন । কাজ করে যান নিরন্তর। সকল ধরণের ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার কে ধ্বংস করতে থাকুন নিয়ত। শুভ জন্মদিন বিজ্ঞানের জাদুকর। এক সাধারণ গুণমুগ্ধের বিনয়াবনত নমস্কার গ্রহণ করুন। পাশাপাশি শ্রদ্ধা গ্রহণ করুণ হুমায়ুন আজাদ, অনন্ত বিজয় দাশ, অভিজিত রায়ের মত বাঙালি মুক্তচিন্তক ও যুক্তিবাদী চেতনার পথিকৃতেরা যাদের আমরা বড্ড অসময়ে হারিয়ে ফেলেছি।
রেফারেন্সঃ
১। ঈশ্বর বিভ্রান্তি ও প্রবঞ্চনা – রিচার্ড ডকিন্স ( অজয় রায় কর্তৃক অনুবাদকৃত )
২। Hattenstone, Simon (10 February 2003). “Darwin’s child”. The Guardian. London. Retrieved 22 April 2008.
-অতনু চক্রবর্ত্তী, শিক্ষার্থী, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ , পুসান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
আচ্ছা, ব্য়াপারটা পরিষ্কার হল। আপনি তাহলে আমার পূর্বপরিচিত অতনু নন। আসলে আমার পরিচিত অতনু বায়োলজিস্ট, তাই ভেবেছিলাম তারই লেখা। যাকগে, মুক্তমনায় আপনাকে স্বাগত। অভিজিতদা বেঁচে থাকলে খুব আনন্দিত হতেন আপনার মত নুতন লেখকদের লেখা মুক্তমনায় দেখে। আর হ্যাঁ, হিচেন্স, হ্য়ারিস, ডেনেট-কে নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। লিস্টে ভিক্টর স্টেঙ্গার-এর নামটাও ঢুকিয়ে নেওয়া যায়।
রোমান ক্যাথলিকেরা এখনও পৃথিবীতে বেঁচে আছে। মেডিকেল সাইন্সের ক্রমাগত উন্নতির কারণে আগের থেকে এ ধারনা অনেক মুক্ত হয়েছে। ধর্মীয় এক হুজুর আমাকে বলেছেন ১ হাজার ছেলে মেয়ে হলেও নাকি কোনো সমস্যা নাই। অন্যান্য ধর্মীয়লম্বীরা নাকি চাচ্ছেন মুসলমানদের সংখ্যা কমে যাক, তাই তারা পরিবার পরিকল্পনার ভূত মানুষের মাথায় চেপে দিচ্ছেন। এসব ধর্মীয়লম্বীরা এখনও জন্ম নিয়ন্ত্রণ মানেনা। প্রেগন্যান্সির সময় স্ত্রীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে দেয়না কারণ এগুলো খৃষ্টান বা ইহুদীরা বানিয়েছেন। জন্মের পরপর বাচ্চাদের যে ইপি আই টিকাগুলো দেওয়ার কথা সেগুলোও দেয়না, কারণ এগুলোও ইহুদি, খৃষ্টান বা নাস্তিকদের দ্বারা তৈরী বলে। তারা নিজেদেরকে অনেক মহা পন্ডিত মনে করে। আশা করি সকল মুক্ত চিন্তকদের লেখা বাংলায় অনুবাদ হবে। কুসংস্কারগুলো দুর হবে।
ধর্মান্ধ সবগুলি গোষ্ঠীর অবস্থা এক ই। হেঁটমুণ্ড উর্ধ্বপোঁদ আর মাথাটা নিরেট খাজা কাঁটাল। ডকিন্সের দুটো বই বাঙলায় পাওয়া যায়। এছাড়া আর কোন বই এখনো আসেনি। কোন প্রকাশক ই বা ছাপবে বলুন তো ।
মশায় কি শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করা অতনু চক্রবর্ত্তী নাকি? লেখা ভালো হয়েছে। রিচার্ড ডকিন্সের মত মানুষের চিন্তাভাবনা তথা দর্শন ছড়িয়ে দেওয়ার খুব প্রয়োজন এখন। শিরোণামে এই লেখাটিকে লেখক যেহেতু ১ নাম্বার দিয়ে সূচিত করেছেন, তাই আশা করি লেখাটি সিরিজ আকারে প্রকাশিত হবে মুক্তমনায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রশংসার জন্যে। আমি শান্তিনিকেতনে কখনও যাইনি। তবে যাওয়ার খুব ইচ্ছে। শিরোনামে এক দিয়েছি কারণ আমার ইচ্ছে ফোর হর্সমেনের বাদবাকি তিন জনকেও নিয়ে আসব এই লেখায়। সাথে থাকবেন।
আচ্ছা, ব্য়াপারটা পরিষ্কার হল। আপনি তাহলে আমার পূর্বপরিচিত অতনু নন। আসলে আমার পরিচিত অতনু বায়োলজিস্ট, তাই ভেবেছিলাম তারই লেখা। যাকগে, মুক্তমনায় আপনাকে স্বাগত। অভিজিতদা বেঁচে থাকলে খুব আনন্দিত হতেন আপনার মত নুতন লেখকদের লেখা মুক্তমনায় দেখে। আর হ্যাঁ, হিচেন্স, হ্য়ারিস, ডেনেট-কে নিয়ে আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম। লিস্টে ভিক্টর স্টেঙ্গার-এর নামটাও ঢুকিয়ে নেওয়া যায়।
মধ্যযুগের চিন্তা চেতনা নিয়ে এখনো মানুষ বেচে আছে বিশ্বের আনাচেকানাচে। তারা বেচে থাকুক তাদের মত করে। তাতে আমাদের কারো সমস্যা হবার কথা না।সমস্যা তখনই বাধে যখন তাদের আদি চিন্তা চেতনা সভ্যতাকে টেনে ধরে। তাদের আদি চিন্তা চেতনা মানুষের উপর প্রয়োগ করে মানতে বাধ্য করে তখনই সমস্যা বাধে।সময় ঘনিয়ে আসছে মানুষ যখন ঈশ্বরে পরিণত হবে তখন ঈশ্বরের গল্প শেষ হয়ে যাবে।ডকিন্স সহ অন্যান্য সব মুক্ত চিন্তক লেখকের বই বাংলায় অনুবাদ করা হোক।
ডকিন্সের দুটো বই আপাতত বাংলাভাষায় পাওয়া যায়।