আমি ক্রমশ দেখেছি মিলন এবং হুমায়ূন দুজনই বিনোদনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। কারণ ওটি আর্থিক দিক দিয়ে অত্যন্ত চমৎকার। তারা টেলিভিশনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। টেলিভিশন এমন একটি ছোট পর্দা, যে পর্দায় জীবনধারণ করা সম্ভব নয়। শিল্পকলা ধারণ করা সম্ভব নয়। সপ্তাহের পর সপ্তাহে টেলিভিশনে যে নাটকগুলো প্রচার হয় এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে গৃহপরিচারিকারা। তাদের মেধার উপযুক্ত হতে হবে, নইলে এটি গ্রহণযোগ্য হবে না। আমি বিনোদনধারার উপন্যাসের নাম দিয়েছিলাম ‘অপন্যাস’।- আমাদের বইমেলা, হুমায়ুন আজাদ।
হুমায়ুন আজাদের এই কথাগুলি নিয়ে আমার কিছু কথা–
মানুষ বাতাস খেয়ে বাঁচতে পারে না, আকাশে বিনা খরচে ঘুমোতে পারে না। মানুষকে জীবিকা অর্জন করতে হয় নিজের ও পরিবারের অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ইত্যাদির ব্যবস্থা করার জন্য। আজাদ যে বললেন, হুমায়ূন আহমেদ ও মিলন বিনোদনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে অত্যন্ত চমৎকার অর্থ উপার্জনের জন্য, সেই আজাদ নিজেও কি শিক্ষকতা করে ও লিখে অর্থ উপার্জন করেন নি? তিনি কি ফ্রীতে পড়িয়েছেন? ফ্রীতে বই লিখেছেন? হুমায়ূন আহমেদের ব্যাপারে আমি বলতে পারি, তিনি শুধুই চমৎকার অর্থ উপার্জনের জন্য টেলিভিশনে আসেন নি। এ-কাজকে ভালবেসেই তিনি এসেছিলেন। এবং আমাদেরকে অনেক ভাল মানের কিছু নাটকও তিনি উপহার দিয়েছেন। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই।
টেলিভিশনে ব্যাপক জীবনের সবকিছুই ধারণ করা সম্ভব নয়। একথা তো সবক্ষেত্রেই সত্য, শুধু টেলিভিশনের বেলায় নয়। এমন কোনো ক্ষেত্রই তো নেই যেখানে জীবনের সবকিছু ধারণ করা সম্ভব! সবকিছু ধারণ করা সম্ভব না হলেও টেলিভিশনে অনেককিছু ধারণ করা সম্ভব। বাচ্চাদের জন্য শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, নিরপেক্ষ সত্য সংবাদ, ভাল মানের নাটক, ভাল মানের গানের অনুষ্ঠান, জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনুষ্ঠান, শিক্ষামূলক প্রামাণ্য চিত্র ইত্যাদি কতকিছুই তো সম্ভব টেলিভিশনে। উন্নত দেশের টিভিগুলিতে তো তাই হচ্ছে। কার্ল সেগানের কসমস এর একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমাদের টিভিতেও হচ্ছে। তবে মান নিয়ে কথা আরকি। ছোটবেলায় আমাদের টিভির নাটকগুলো অনেক ভাল মানের ছিল। আর এখন হয়ে গেছে যা তা। এসবের মান কীভাবে উন্নত করা যায় সে বিষয়ে কথা না বলে আজাদ বলে দিলেন, টেলিভিশনে শিল্পকলা ধারণ করা সম্ভব নয়! এটা খুবই বালখিল্য ও যা তা ধরণের কথা নয় কি?
তিনি একজন স্বঘোষিত নারীবাদী। তিনি যে বললেন, ‘টেলিভিশনে যে নাটকগুলো প্রচার হয় এগুলোর লক্ষ্য হচ্ছে গৃহপরিচারিকারা’– তাঁর এই কথাগুলি তাঁর স্বঘোষিত নারীবাদের ক্ষেত্রে কতটুকু বিপরীত, একবার ভাবুন আপনারা! শুধু নারী-বিরোধীই নয়, এই কথাগুলি মানবতাবিরোধীও জঘন্যভাবে। শিক্ষকতা ও লেখা যেমন তাঁর পেশা, তেমনি মানুষের বাসায় গৃহকর্মের কাজ করাও গৃহকর্মীদের পেশা। তাঁর নিজের পেশাদ্বয় তাঁর কাছে সম্মানের, আর গৃহকর্মীদের পেশা কেন অসম্মানের? গৃহপরিচারিকারা তাঁর কাছে এত নিচু মেধার কেন? কেন এত অসম্মান ও অশ্রদ্ধার? তাঁদের রুচি কেন তাঁর কাছে এত নিচু মানের? তাঁর নিজের রুচি ও মেধাকে কেন তিনি গৃহপরিচারিকাদের রুচি ও মেধার চেয়ে উন্নত মনে করেন? এই কি একজন ভাষাবিজ্ঞানীর ভাষাজ্ঞান? একজন নারীবাদীর লালিত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ? তাঁর নিজের বাসার পরিচারিকাদেরও কি তিনি একই দৃষ্টিতে দেখতেন? অথবা তাঁদের রুচি ও মেধার মান উন্নয়নের জন্য কি তিনি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? তাঁদের উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার কোনো তাগিদ কি বোধ করেছিলেন? কোনো উদ্যোগ কি তিনি নিয়েছিলেন? অন্তত তাঁর নিজের গৃহ থেকে, জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে চেয়েছিলেন কিনা সেই প্রশ্নে না হয় এখন না-ই-বা গেলাম! নাকি চেয়েছিলেন, ওঁরা ওঁদের নিচু রুচি ও মেধা নিয়ে সমাজের সবার পদতলে পড়ে থাকুন আজীবন? এবং তিনি তাঁর উন্নত মানের উপন্যাস ও লেখায় তাঁদের প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা ছড়িয়ে তাঁর হাত ও মনের বিনোদন লাভ করবেন?
আর ‘অপন্যাসের’ কথা তিনি যা বললেন– তাঁর বিবেচনায় সবাই অপন্যাস লিখেছে। উপন্যাস কি কেবল লিখেছেন তিনি? আনিসুল হক তাঁর ‘গদ্য কার্টুনে’ বেশ বলেছিলেন, উপন্যাস খালি লেখেন হুমায়ুন আজাদ, বাকিরা ‘অপন্যাস’ লেখে। কথাটি অবশ্য হুমায়ুন আজাদেরই। আজাদের বিবেচনায় অপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ অনেক ভাল উপন্যাসও রচনা করেছেন কিন্তু। মধ্যাহ্ন, বাদশাহ নামদার এসব কি ভাল উপন্যাস নয়? এ-উপন্যাসগুলি কি আজাদ পড়েছিলেন? নাকি পড়লেও দাম্ভিকতার কারণে উপন্যাস হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন নি?
কোনো নোবেল প্রাপ্ত লেখকেরও সব লেখা কালজয়ী নয়। রবীন্দ্রনাথ জীবনে যা যা লিখেছেন তার সবই কি কালজয়ী? আর আজাদ যা যা লিখেছেন তার সবই কি অসাধারণ? প্রবন্ধ তিনি ভাল লিখেন, তাঁর ভাষা অসামান্য। কিন্তু যাদের তিনি পছন্দ করেন না তাদের খুব তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন। খুব যা তা ভাষায় কথা বলে দেন তাদের সম্পর্কে। এটা একজন বিজ্ঞ প্রাজ্ঞ সাহিত্য-সমালোচক ও ভাষাবিদের কাজ নয়। একজন প্রাজ্ঞ ভাষাবিজ্ঞানীর সাহিত্য সমালোচনার ভাষা ও ধরণ এমন নয়। যিনি একজন ভাষাবিজ্ঞানী তিনিই কীভাবে স্থূলভাষী হন? আর তাঁর উপন্যাস আমার কাছে যা তা লাগে, তাঁর ভাষায় ‘অপন্যাস’!
এই যে এ-কথাগুলি তিনি বললেন গৃহকর্মীদের ব্যাপারে; এসব খুব বাজে কথা নয় কি? খুব বাজে রকমের অমানবিক কথা নয় কি? আমার তো পড়ে ঘেন্না লাগছে। আজাদ আজ বেঁচে থাকলে তাঁর এ-বাজে কথাগুলির জন্য ক্ষমা চাইতেন কি? নিজের অন্যায় বোঝার জন্য সমর্থ্য হতেন কি নিজের অপরিসীম দম্ভকে অতিক্রম করে?
হুমায়ুন আজাদের কোনো উপন্যাসই পাঠকপ্রিয়তা পায়নি যেভাবে হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস বহুল পঠিত এবং পাঠক-সমাদৃত; হুমায়ুন আজাদ মাত্র একটি রোমান্টিক উপন্যাস লিখেছিলেন যেটা ছিলো ২০০৪ সালে প্রকাশিত ‘একটি খুনের স্বপ্ন’ (আদতে এটা পুরোপুরি প্রেমের উপন্যাস নয়), উপন্যাসটি এক ছেলের একতরফা প্রেম নিয়ে। মানুষ হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস লেখা পড়ে প্রেমের বিরোধিতা করতে পারে, আজাদ ‘নারী’ বইতে প্রেমের বিরোধিতা করেছিলেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি হুমায়ুন আজাদকে তেমন একটা পছন্দ করিনা, ওনার কিছু কবিতা আমার ভালো লাগে তবে ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ কবিতার বই বাদে ওনার লেখা অন্যান্য কবিতার বই তেমন একটা ভালো না।
হুমায়ুন আজাদ ভক্ত সংখ্যা অনেক কম; কারণ বোধ হয় লেখকের নারী-স্বাধীনতা চাওয়া।
পর্ব ১ লেখা হয়েছে সেই ২২শে জুলাই, পর্ব ২ তে কি অপেক্ষা করছে কে জানে!
অবাক হলাম
পুনশ্চ//
@ বাবু, এ ক ম ত।
ভাবতে অবাক লাগছে, এতো মানহীন জগাখিচুড়ি লেখা একজন মুক্তমনা লেখক লিখছেন! একে কী বাগ বলবো না মানসিক বৈকল্য?
তার ওপর এই ধারাবাহিক অখাদ্য মাঝে মধ্যে আবারও গিলতে হবে নাকি? সাইবার স্পেসের কি গুচ্ছের অপচয়!
@ এডমিন ,
খুব স্পষ্ট জানাই, এখনই এই রুচিহীণ লেখা প্রথম পাতা থেকে সরানো হোক, আর এই ধারাবাহিক খুব বড়জোর লেখিকার নিজস্ব ব্লগে প্রকাশ হতে পারে, মুক্তমনার প্রথম পাতায় নয়।
এই আমার মত। লেখার প্রহসন লেখারও যোগ্যতা থাকা চাই। :পি
হুমায়ুন আহমেদ সম্পর্কে অমোঘ কথা বলেছেন আহমদ ছফা, তিনি জনপ্রিয়তায শপৎচন্দ্রকে ছাড়িয়ে গেছেন, কিন্তু মেরিটের দিক থেকে নিমাই ভট্টচার্য়ের সমান।
কাজেই হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে এতো গদ গদ হওয়ার কিছু নেই। তার দু-একটি ভাল কাজ নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু সেগুলো তার মূল্যায়নের মাপকাঠি হতে পারে না। পুরো হুমায়ুন আহমেদ প্যাকেজটি চানাচুর লেখক, খুবই মুচমুচে, সুস্বাদু; কিন্তু পুষ্টিগুন তেমন নেই।
এ কারণে হুমায়ুন আজাদ “অপন্যাস” লেখেক হিসেবে তাকে চিহ্নিত করে খুব ভুল করেন নি। এই্ আমার মত।
আমি পুরোপুরি জোর দিয়ে বলছিনা যে নব্বইয়ের দশকের বিটিভির নাটকগুলোর নারী চরিত্রগুলো একেবারেই পুরুষদের সাথে কথা বলতোনা, তবে একটা জিনিস নাটকগুলোতে ‘পারিবারিক মূল্যবোধ’ যেগুলো আবার রক্ষণশীল ধারার প্রচারিত হতো। রক্ষণশীল পারিবারিক বা পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ যেটা আমাদের সমাজে আজো চলমান (যেমনঃ নীলাঞ্জনা এই ওয়েবসাইটেই তার নিজের লেখাতেই পুরুষদের কথার উত্তর দিচ্ছেননা) সেটাই মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন হুমায়ুন আজাদ আর ‘গৃহপরিচারিকারা’ও তো রক্ষণশীল পারিবারিক মূল্যবোধই ধারণ করে, অনেক গৃহপরিচারিকা আবার বাসার বড় ছেলে দ্বারা ধর্ষিতও হয় যেটা আমি কোনোভাবেই সমর্থন করিনা আবার হুমায়ুন আজাদ তার উপন্যাস ‘সব কিছু ভেঙে পড়ে’তে গৃহপরিচারিকা ‘কদবান’ এর সঙ্গে যৌনসম্পর্কটাকে পজিটিভভাবেই উপস্থাপন করেছেন যদিও উপন্যাসটা আমার তেমন একটা ভালো লাগেনি। কদবান মেয়েটাকে পরে আর পাওয়া যায়না, সম্ভবত সে আত্মহত্যা করে বা গ্রাম ছেড়ে পালায়। হয়তোবা এখানে অনুমিত হতে পারে যে লেখক হুমায়ুন আজাদ গৃহপরিচারিকাকে ঋণাত্মক দৃষ্টিতে দেখতেন কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সে রকম নয়, উনি উপন্যাসে বাংলাদেশের সমাজে চলা গৃহপরিচারিকাদের উপর যে দৃষ্টিভঙ্গী চলে ওটাই বুঝিয়েছেন।
হুমায়ুন আজাদ ‘নারী’ বইটি লিখেছিলেন কেন? আর তার এই বইতে উনি খুব স্পষ্টভাবেই বুঝিয়েছেন যে উনি ‘বিয়ে’র বিরোধিতা করেন, তার ছেলে অনন্য আজাদও শাম্মী হক নামের এক মেয়ের সাথে খুব সম্ববত প্রেম করে এবং তারা কখনো বিয়ে করবেনা বলেই প্রতীয়মান হয়, হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস ‘শুভ্র গেছে বনে’ উপন্যাসে নীপা আর যুথি দুই বান্ধবী, নীপা সফিক নামের এক লোককে চেনে যে নারীদের নগ্ন ছবি আঁকে, নীপা যুথির কাছে জিজ্ঞেস করে যে সফিক নীপাকেও মডেল বানিয়ে ছবি আঁকতে চায় আর নীপার কি রাজি হওয়া উচিৎ কিনা, উত্তরে যুথি বলে বিয়ে করে নগ্ন হতে, বিয়ের আগে নয়, এই কথা দ্বারা হুমায়ুন আহমেদ নারীদেরকে শিখাচ্ছেন যে ছেলেদেরকে নিজেদের দেহ দেখানো যাবেনা, দেখাতে চাইলে বিয়ে করতে হবে, যেই মানুষ বিয়ের প্রচারণা চালান তিনি কিভাবে উদারপন্থী হতে পারেন? ঠিক আছে বিয়ে হুমায়ুন আজাদও করেছিলেন তারই সহপাঠিনী লতিফা কোহিনূরকে, অপরদিকে হুমায়ুন আহমেদ তার চেয়ে অনেক জুনিয়র একটা মেয়ে গুলতেকিন এবং পরে জুনিয়রের চেয়েও জুনিয়র মেয়ে শাওনকে বিয়ে করেন, যা আমাদের সমাজকে পুরুষতান্ত্রিক থেকে আরো পুরুষতান্ত্রিক করে তুলতে সাহায্য করে। হুমায়ুন আজাদ তার ছাত্রীদের সাথে কি কথা বলতেন তার একটা লিঙ্ক আমি দিচ্ছি যেটা তারই এক ছাত্রের লেখা https://arts.bdnews24.com/?p=132, https://arts.bdnews24.com/?p=1465, এই ছাত্রের নাম হচ্ছে চঞ্চল আশরাফ, তার আরো লেখা bdnews24.com সাইটেই পাওয়া যাবে, পর্ব আকারে দেওয়া আছে ওখানেই। হুমায়ুন আজাদ প্রথা ভাঙার চেষ্টা করতেন আর অপরদিকে হুমায়ুন আহমেদ তার মেয়ের বয়সী শাওনকে বিয়ে করলেন? শাওনের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করতে পারতেন কনডম দিয়ে, তাহলে আমরা ধরতে পারতাম যে সে প্রগতবাদী, প্রতিক্রিয়াশীলতাবাদী নয়। হুমায়ুন আহমেদের হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে একটি মন্তব্য দেখুন এখানে http://www.pbd.news/literature/5676/%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A6%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%A4-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%82%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A6 , মন্তব্যটা ঋণাত্মক। http://www.sachalayatan.com/himu/42232 এখানেও দেখুন।
লেখিকা ‘আমাদের বইমেলা’ গ্রন্থ থেকে গৃহপরিচারিকা’র কথা নিয়েছেন তা বুঝতে পেরেছি তবে এখানে হুমায়ুন আজাদ কি অর্থে কথাগুলো বলেছেন তা কি নীলাঞ্জনা বুঝতে পেরেছেন? হুমায়ুন আজাদ বুঝিয়েছেন যে টিভিতে যেসব নাটক দেখানো হয় ওগুলো ভালো রুচির নয় আর গৃহপরিচারিকার দ্বারা তিনি বুঝিয়েছেন যে নাটকগুলোর দর্শকরাও ভালো রুচি ধারণ করেনা, বাংলাদেশের গৃহপরিচারিকাদের মন-মানসিকতা কি রকম? তারা কি চলচ্চিত্র/নাটকের ভালো-মন্দ মান বোঝে? তারা শাড়ি-সালোয়ার কামিজ পরা মেয়ে বা ছেলেদের সাথে কথা বলতে চায়না বা তাদের সাথে বেয়াদবি করে এমন মেয়ে নাটকে দেখেই হয়তবা মজা পেত।
হুমায়ুন আজাদের লেখা কোনো উপন্যাসই আমার মন ছুঁয়ে যেতে পারেনি তবে তার লেখা ‘নারী’, ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’ এবং কবিতার বই ‘অলৌকিক ইস্টিমার’ আমার ভালো লাগে। আর নীলাঞ্জনা নামের এই ছদ্মনামের (নাও হতে পারে) লেখিকা যা বলছেন সেটা কোন্ বই থেকে উদ্ধৃত করা সেটা তিনি বলেননি। বাংলাদেশের টিভি-মিডিয়া সবই নারীদেরকে পুরুষের ভোগ্যবস্তু এবং মুখাপেক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে আসছে, আজ অবধি কোনো শক্তিশালী নারী ক্যারাক্টার বাংলাদেশের টিভি/মিডিয়াতে দেখা গেলোনা, হুমায়ুন আহমেদের কোনো নাটকে বা সিনেমায় কোনো নারীকে কি স্বাধীন-স্বকীয় ভাবে দেখানো হয়েছে? হয়নি। একজন নারী তার বেকার স্বামীর জন্য চাকরী বা ব্যবসা করবে বা করছে – এরকম কি আজ পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশী নাটক বা সিনেমা দেখাতে পেরেছে? ছদ্মনামী/সত্যনামী নীলাঞ্জনা যদি এসব ব্যাপারে কিছু জেনে থাকেন তাহলে বলুন।
এমন সস্তা, আবর্জনামূলক লেখা মুক্তমনার মতো ব্লগে প্রকাশ হচ্ছে ভেবে হতাশা বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ!!!! হুমায়ুন আজাদের সব বই তো দুরে থাক গুটিকয়েক বইও লেখিকা পড়েছেন কিনা সেটাই সন্দেহ!! পড়ে থাকলে এক গৃহপারিচারিকা শব্দ নিয়ে এত খিচুড়ি মার্কা লেখা লিখতেন বলে মনে করিনা!!! গৃহপারিচারিকা এখানে কি অর্থে বোঝানো হয়েছে সেটাই বোধকরি লেখিকা বুঝতে পারেন নি… তার ব্যক্তিগত পছন্দ, রুচি উগলে দিয়েছেন!!!
উনি ওনার মত জানিয়েছেন মে বি । সে দিক থেকে ব্যাপারটা মেনে নেওয়া যায় ঠিক আছে এট লিস্ট। কিন্তু প্রত্যেকটি বিশ্লেষণ কিংবা সমালোচনার তো কিছু ন্যূনতন যৌক্তিক জায়গা থাকে সেই জায়গাগুলিও আমি দেখতে পাই নি এই লেখায়।
হুমায়ুন আহমেদের সাহিত্যের কথা বাদ দেই। নাটক এবং চলচ্চিত্র শৈল্পিক এবং গুণমানের বিচারে ও তাঁর এইসব কর্মগুলি একেবারেই সমৃদ্ধ নয়। হুমায়ুন আজাদ আলোচ্য প্রবন্ধে বলেছেন “ওটি আর্থিক দিক দিয়ে অত্যন্ত চমৎকার।” এই কথাটি প্রকৃতপক্ষে সত্য ।কারণ টেলিভিশনে যে সকল সস্তা জিনিসগুলি হুমায়ুন আহমেদের বদান্যতায় প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির পেছনে হুমায়ুন আহমেদের মস্তিষ্কের কোনরূপ সমৃদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায় না। একের পর এক হুমায়ুন আহমেদের সস্তা এইসব কর্মকাণ্ড গুণগত মানের দিক থেকে যেমন যাচ্ছেতাই ই হোক না কেন কম পরিশ্রমে এরকম তৃতীয় শ্রেণীর আবর্জনা প্রসব করে এমন অর্থ উপার্জন করবার প্রচেষ্টা অবশ্যই ধিক্কারের যোগ্য এবং হুমায়ুন আজাদ সেটিই করেছেন।আর হুমায়ুন আজাদ এই প্রবন্ধে কখনও উল্লেখ করেন নি যে তিনি সব কাজ ফ্রিতে করেন আর অর্থ তাঁর কাছে গুরুত্ব বহন করেনা। বরং তিনি সস্তা আবর্জনা প্রসবের মাধ্যমে শর্টকাটে টাকা আয় করবার এই প্রচেষ্টাকে তুচ্ছ হিসেবে দেখেছেন। যেকোন যুক্তিবাদী সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ তাই করবেন। আর একথা অবশ্যই সত্য যে গৃহপরিচারিকা গোষ্ঠীর চিন্তা ভাবনা খুব একটা সমৃদ্ধ না হওয়ায় তাঁদের কাছে সস্তা আবেগের মোড়কে কিছু একটা বর্জ্য পদার্থ প্রদর্শন করলেও তার শৈল্পিক তাৎপর্য বিশ্লেষণের সামর্থ্য তাদের নেই । আমি আপনার এই বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধ টি পড়ে এটিকে একটি অকারণ আক্রমণাত্মক , প্রকৃত যুক্তিহীন,একপেশে এবং শস্তা তৃতীয় শ্রেণীর আবর্জনা প্রসবকারী লেখকদের পক্ষে সাফাই সমৃদ্ধ লেখা ছাড়া আর কিছু মনে করতে পারলাম না।
হুমায়ূন আহমেদের আগুনের পরশমণি, ঘেঁটুপুত্র কমলা এগুলি শৈল্পিক গুণ বিচারে খুবই সমৃদ্ধ। আমার কাছে তো অবশ্যই, অনেক শিল্প ও চলচ্চিত্রবোদ্ধার কাছেও এগুলি বেশ সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। যেকোনো কিছু ভাল লাগা বা মন্দ লাগা অবশ্যই আপেক্ষেক ব্যাপার। আমার ভাল লাগলেই যে আপনার বা আর কারুর ভাল লাগতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই।
হুমায়ূন আহমেদের বদান্যতায় টেলিভিশনে শুধু সস্তা জিনিসই প্রকাশিত হয়নি। এটা খুবই ভুল কথা। আমি বলছি না, হুমায়ূন যাই বানিয়েছেন তার সবই খুব ভাল। সেটা সব শিল্পী লেখক সবার ক্ষেত্রেই সত্য। অনেক কাজের মধ্যে অবশ্যই হুমায়ূনের মন্দ কাজও আছে। ভাল কাজও কম নেই কিন্তু। অয়োময়, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, একদিন হঠাৎ, প্রিয় পদরেখা, নিমফুল ইত্যাদি নাটকগুলিকে আবর্জনা বললে চরম বিদ্বেষপূর্ণ মিথ্যে বলা হবে। এবং নাটক সিনেমা তৈরি করে অর্থ উপাআর্জন করা মোটেও ধিক্কারের কাজ নয়। এটা বেআইনী কিছু নয়। অনেক কাজের মধ্যে কম ভাল বা মন্ধ কাজ থাকবেই, সেটাই স্বাভাবিক।
হুমায়ুন আজাদ ফ্রীতে কাজ করেন এমন কথা প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন বলে আমি দাবী ত করিনি। এটা আমার প্রশ্ন। তিনি লিখে ও শিক্ষকতা করে অর্থ উপার্জন করেছেন। অন্য কেউ নাটক সিনেমা বানিয়ে অর্থ উপার্জ করলে উনার বা অন্য কারুর সমস্যা কি?
গৃহপরিচারিকাগোষ্ঠীর চিন্তাভাবনা খুব একটা সমৃদ্ধ না–এই সিদ্ধান্তে আপনি কীভাবে এলেন? এটা কার অভিমত? কোন জরিপে বেরিয়েছে? ওঁরা আমাদের সমাজে সুবিধাবঞ্চিত নির্যাতিত। একটি দরিদ্র শিশু কিংবা একজন দরিদ্র মানুষ ভাতের অভাবে মানুষের বাসায় অন্নদাসত্ব করতে আসে, নির্যাতিত হয় প্রতিনিয়ত। স্কুলে যাবার সুযোগ নেই ওঁদের, ভাল ভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ নেই। এঁদের রুচি নিয়ে তাচ্ছিল্য করে কথা বলা কেমন মানসিকতার পরিচয় দেয়? এঁদের রুচির চেয়ে কেউ নিজের রুচি উন্নত মানের দাবি করে কোন যুক্তিতে? কোন মানসিকতায়?
গৃহকর্মীদের তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে তারে কেবলই আবর্জনাময় মানসিকতার মানুষেরা।
নীলাঞ্জনা আপু গৃহপরিচারিকা বা গৃহকর্মী অবমাননা সম্বন্ধে বলছেন? আপু আপনি কি আজাদের লেখা ‘সব কিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসটা পড়েছেন? ওখানে কদবান নামের একটা কাজের মেয়ে থাকে, এই কাজের মেয়ের সাথে হাসান নামের এক ভদ্র ঘরের ছেলে দৈহিক সম্পর্কে জড়ায় যেটা আজাদ ধনাত্মকভাবেই উপস্থাপন করেছেন, ‘নারীদেহ’ এবং ‘যৌনতা’ বাংলাদেশের সমাজে যেন নিষিদ্ধ আর গোপন না থাকে – আজাদের উদ্দেশ্য ছিলো এইটাই, হুমায়ুন আহমেদের নারী চরিত্রগুলো কি এরকম না যে – বুকে ওড়না থাকবে। আর একটা জিনিস আজাদ তার ‘নারী’ বইতে এরকম বলেছেন যে ‘আমি চাই নারী ও পুরুষের সার্বিক সাম্য’। আপু আমার কথার অর্থ অবশ্য এই নয় যে আজাদ সমালোচনার উর্ধ্বে, আমি কাউকেই সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করিনা, তবে আজাদ সাহেবের মতবাদ আমাদের সমাজে চালু হলে ছেলে আর মেয়ের মধ্যে বৈষম্য দূর হয়ে যাবে বলেই আমি বিশ্বাস করি।
তো তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন বাংলাদেশের গৃহপরিচারিকাগোষ্ঠীর একেকজন রজার এবের্ট কিংবা পিটার ব্র্যাডশ ?
দেখুন আমি বিনয়ের সাথে বলতে চাই , আপনি প্রসঙ্গ থেকে সরে এসেছেন। কথাটা হুমায়ুন আজাদের প্রবন্ধে এই গৃহপরিচারিকারা যে তেমন কোন উচ্চমানের শিল্পবোদ্ধা নয় এবং শস্তা কোন নাটক পেলে তারা সেটিকে গলধঃকরণ করে শৈল্পিক প্রেক্ষাপট থেকে তার গুণগত মান বিচারে সক্ষম নয় এরকম একটি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। আপনি এর মধ্যে সুবিধাবঞ্চিত , অন্নদাসত্ব টেনে নিয়ে এসেছেন। আমার কাছে এখন আপনার এই কথাগুলি পুরোপুরি অবান্তর মনে হচ্ছে।
নীলাঞ্জনা আপু আপনি হুমায়ুন আজাদের সঠিক উদ্দেশ্য হয়তবা বুঝতে পারেননি। আজাদ তার লেখা উপন্যাস আর প্রবন্ধ দ্বারা বাংলাদেশের সমাজে চলা বিভিন্ন ট্যাবু (যেমনঃ নারী-স্বাধীনতা, যৌনতা) ভাঙার চেষ্টা করেছেন, অপরদিকে হুমায়ুন আহমেদ হচ্ছেন (আমার মতে) একজন পুরুষতন্ত্রবাদী লেখক যিনি নারীদের ট্রেডিশনাল ভ্যালু’ই পছন্দ করতেন। আপনি আজাদের ‘ফালি ফালি ক’রে কাটা চাঁদ’ উপন্যাসটা যদি পড়ে থাকেন তাহলে সে ব্যাপারে কিছু বলুন আর এটার সঙ্গে তুলনা দিচ্ছি হুমায়ুন আহমেদের ‘পারুল ও তিনটি কুকুর’ উপন্যাসের সঙ্গে, দুটো উপন্যাসেই কিন্তু মূল চরিত্র নারী।
ফালি ফালি করে কাটা চাঁদ পড়েছি। ভাল লেগেছিল পড়ার সময়। পারুল ও তিনটি কুকুর পড়েছি কিনা জানি না। মনে পড়ছে না এখন। উপন্যাসে একজন ঔপন্যাসিক বিভিন্ন পাত্র-পাত্রির মাধ্যমে যা বলান তা সবসময় তার নিজের কথা নয়। কোনো সমাজের, কোনো সময়ের কথা। সমাজে নানান ধরনের মানুষ থাকে। অনেক উপন্যাসে লেখকের ব্যক্তিগত কোনো অভিমতই থাকে না, লেখক শুধু সমাজ ও সময়ের মানুষদের কথা ওদের মাধ্যমেই বলিয়ে নেন। মনে করুন, একটি খুন বা ধর্ণের সত্যি ঘটনা নিয়ে একটি উপন্যাস লিখলো কেউ। এখানে লেখক শুধু ঘটনাটা উপন্যাস আকারে লিখতে পারেন নিজের অভিমত ছাড়াও। তাই উপন্যাস দ্বারা কোনো লেখকের মানসিকতা বিচার করা ঠিক না। আবার অনেক উপন্যাসে লেখক নিজের কথাও পাত্রপাত্রির মুখে বলিয়ে নেন।
তাই বলে আমি বলছি না, হুমায়ূন আহমেদ যা যা লিখেছেন তার সবই খুব ভাল। আজাদের বেলায়ও তাই। ভাল ভাল কথার ভেতরে ভেতরে অনেক খারাপ কথাও তিনি বলেছেন।
নারীর স্বাধীনতা নিয়ে হুমায়ুন আজাদ অনেক লিখেছেন। তা তো অস্বীকার করছি না। এ-বিষয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লেখা আছে তাঁর। তিনি একজন নারীবাদীও, এবং এটা শুধু আমাদের কথাই নয়, নিজেকেও তিনি নারীবাদী বলে দাবি করেছেন। একজন নারীবাদী মানুষ অবশ্যই একজন মানবতাবাদী মানুষও, তাই না? একজন মানবতাবাদী মানুষ কীকরে গৃহপরিচারিকাদেরকে নিম্ন রুচির বলে হেয় করতে পারেন? অবজ্ঞা করে কথা বলতে পারেন?
আপু আর যাই হোক হুমায়ুন আজাদের উদ্দেশ্য আর আর হুমায়ুন আহমেদের উদ্দেশ্য এক ছিলোনা। ফালি ফালি ক’রে কাটা চাঁদ বা আজাদের লেখা অন্য কোনো উপন্যাস নিয়ে নাটক বা চলচ্চিত্র বানাতে গেলে নগ্ন দৃশ্যের অবতারণা করতে হবে, ২০০৮ সালের চলচ্চিত্র ‘দ্যা রিডার’তে কেইট উইন্সলেট নগ্ন হয়েছিলেন, তার ভূমিকার জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন, হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাস ‘কৃষ্ণপক্ষ’ অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্র যেটি শাওন পরিচালনা করেছেন দেখেছেন নিশ্চয়ই? কি মনে হয়েছে আপনার? হুমায়ুন আহমেদের প্রেমের উপন্যাস অনেকগুলোই তো আছে, হুমায়ুন আহমেদ যে প্রেমের প্রচারণা চালাতেন সেটা ছিলো রক্ষণশীলতাবাদী প্রেম আর আজাদ ফরাসী লেখিকা সিমোন দ্যা বোভোয়ারের আদর্শ অনুসরণ করতেন বলে মনে হয় যদিও তিনি তার বাস্তব জীবনে ওটার প্রয়োগ ঘটাতে পারেননি সামাজিক ভয়ে, আপু আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে সিমোন দ্যা বোভোয়ার আরেক বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক জ্যা পল সার্ত্রে’র সঙ্গে প্রেম করতেন, তিনি তাকে বিয়ে করেননি, আবার সিমোন অন্যান্য পুরুষদের সঙ্গেও মিশতেন, তাদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্তও হয়েছে তার, আজাদের লেখা ‘দ্বিতীয় লিঙ্গ’ বইয়ে আমি এসব পেয়েছি।
নীলাঞ্জনা আপু আপনি কি ‘যৌন-স্বাধীনতাবাদী নারীবাদ’ সমর্থন করেন? হুমায়ুন আজাদ কি এই মতবাদেরই সমর্থক এবং প্রচারক ছিলেননা? আপু আপনার কাছে জবাব চাই।