পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকগণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই দেশটির মুসলিম পরিচয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করে। কিন্তু এতদিন পরে এসে দেখা যাচ্ছে সর্বাত্মক ইসলামী পরিচয় দেশটির জন্য বিপর্যয় ডেকে এনেছে। যখনই পাকিস্তান নামক দেশটির কথা মাথায় আসে প্রথমেই কিসের কথা মনে পড়ে? যেখানে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিপণি বিতানে, হাটে বাজারে, জনারণ্যে, মসজিদে, মাজারে, খেলার মাঠে খই ভাজার মত হঠাৎ সশব্দে বোমা ফাটে? যেখানে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের পলাতক আসামি, ডন মাফিয়া নিশ্চিন্তে বছরের পর বছর ব্যাপী আত্মগোপনে, জামাই আদরে বসবাস করে? মনে হয় পাকিস্তানের মধ্যে আর একটা আফগানিস্তান? আমেরিকার সাথে পাকিস্তানের এমন সম্পর্ক যেটা আমেরিকা পরিত্যাগ করতে পারে না হয়ত তার পারমানবিক শক্তির জন্য। পাকিস্তানের নাম শুনলেই মনে পড়ে এইতো সন্ত্রাসের সেই পুণ্যভূমি যেখানে স্কুলগামী শিশুদের বাসে গোলা বর্ষণ করা হয়? মনে হয় উগ্রবাদের তীর্থস্থান? পাকিস্তান সম্পর্কে উপরের সব কথায় সত্যি। কিন্তু পাকিস্তানের ১৮২ মিলিয়ন নাগরিকদের আরও অনেককিছুই জানতে বাকি আছে।

পাকিস্তান সম্পর্কিত অধ্যয়নে আমাদের বুঝতে হবে পাকিস্তানের পশ্চিমের প্রতিবেশী আফগানিস্তানের চেয়ে পূর্বদিকের ভারতের সাথে ইতিহাসের গভীরতা অনেক বেশি। ভারত ভাগের প্রত্যক্ষ ফলাফল পাকিস্তানের জন্ম। ব্রিটিশদের কাছ থেকে দেশভাগের প্রাথমিক কারণই ছিল পাকিস্তানের সামরিক শক্তি এবং অভিজাত শ্রেণির জন্য ধর্মের ভিত্তিতে নিজেদের জন্য একটা পৃথক দেশের প্রত্যাশা। পাকিস্তানের ভাগ্য নিয়ন্তাগণ ইসলামকে সকল ধর্মমতের উপরে স্থান দিয়ে একটা দেশের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্ব ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে দেখা যায় ব্রিটিশ উপনিবেশের শাসনামলে ভারতীয় উপমহাদেশের বিশাল অঞ্চলে হিন্দু মুসলমান সুদূর অতীতকাল থেকে পাশাপাশি তাদের স্বকীয়তা এবং নিজস্ব ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে মিলেমিশে বসবাস করত। কিন্তু পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে সেই ইতিহাস বেমালুম গায়েব। বাস্তবতা হল এই অঞ্চলের হিন্দু মুসলমানের ধর্মীয় পরিচয়ের অন্তঃসলিলে জাতিগত মিল আছে। ধর্মীয় পরিচয় ছাপিয়ে প্রথমেই প্রকাশ পায় এই অঞ্চলের মানুষের অভিন্ন সামাজিক রীতিনীতি এবং সংস্কৃতি। প্রকৃতপক্ষে ব্রিটিশ উপনিবেশামলের ১৮৮১ সালে অনুষ্ঠিত আদমশুমারির আগ পর্যন্ত কেউ জানতই না দক্ষিণ এশিয়ায় কতজন হিন্দু এবং মুসলমান বাস করে।

পাকিস্তানের সরকার লিখিত ইতিহাসের পাতায় পাতায় শুধু মুসলিম বীরদের বিজয়গাঁথা সেখানে কোন শিখের স্থান নেই, সেখানে কোন হিন্দুর নাম নেই, এমনকি নেই কোন আহমদিয়া। সবাই শুধু সুন্নি মুসলিম। সেখানে মুঘল সম্রাট আকবরের নাম আছে যিনি ছিলেন অপেক্ষাকৃত সহনীয় ইসলামের পক্ষে। তার রাজদরবারে, মন্ত্রী পরিষদে গুরুত্বপূর্ণ পদে হিন্দু জ্ঞানী গুণী এবং পণ্ডিতদের নিয়োগ দিয়েছিলেন। পক্ষান্তরে আওরঙ্গজেব ছিলেন ছিলেন ধর্মগ্রন্থ নিষ্ঠুর মুঘল সম্রাট। ক্ষমতার জন্য তিনি নিজের ভাইকেও খুন করতে দ্বিধা করেননি। ১৫৬৮ থেকে ১৭০৭ সালের শাসনামলে তিনি অসংখ্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অলক্ষ্যে সরিয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের ইতিহাস বইতে পাঞ্জাবের সূর্যসন্তান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে জীবনদানকারী ভগত সিংয়ের নাম নেই। এমনকি তার কোন স্মৃতি চিহ্নও নেই কোথাও কোন-খানে। স্বাধিকার আন্দোলনের দায়ে ১৯৩১ সালে লাহোরের ট্রাফিক চত্বরে যেখানে ভগত সিংকে ফাঁসি দেয়া হয় সেখানের নাম হয়ত ভুলে গেছিল সবাই। অনেক আন্দোলন করে পাকিস্তানের সুধী সমাজ লাহোরে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ ভগত সিংয়ের ফাঁসির ঐতিহাসিক স্থানকে “ভগত মেমোরিয়াল চক” নামকরণ করেন। এই আন্দোলনের বিপরীতে জেগে ওঠে উগ্রপন্থীরা। তারা ভগত সিংয়ের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। শেষ পর্যন্ত উগ্রপন্থীরা ভগত সিংয়ের নামাঙ্কিত ধাতব ফলক উপড়ে ফেলে সেখানে “রহমত আলী চক” ঘোষণা করে। পাকিস্তানীদের কি দুর্ভাগ্য! শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে যার নামে ফলক স্থাপন করা হল ইতিহাস ঘেঁটে দেখা গেল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রহমত আলী স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পাকিস্তান ছেড়ে ইংল্যান্ড চলে যায়।

পাকিস্তান তার অতীত পরিচয় ভুলে গেছে। তাই হয়ত প্রতিদিন সন্ত্রাসের সাথে এক-পাক্ষিক যুদ্ধে মারা যাচ্ছে কত শত নিরীহ প্রাণ। খুব কম পাকিস্তানীই আছেন যিনি দেশটির অতীত জানেন। খুব কম পাকিস্তানীই প্রশ্ন করতে পারেন পাকিস্তান সত্যি কি অবস্থানে আছে। উদ্যানের শহর লাহোরের ইতিহাস বেশীরভাগ নাগরিক জানে না। কেউ জানে না শহরটির ঐতিহাসিক সুফি মাজারের কথা, বাদশাহি মসজিদের কথা, লাহোর দুর্গের কথা, দুর্গের পাশে জাঁকজমকপূর্ণ শিখদের প্রার্থনালয় গুরুদুয়ারা নানকশাহীর কথা। পাকিস্তানের নাগরিক না হলে এসব দর্শনীয় স্থানে যেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়, নিরাপত্তার অজুহাতে অলিখিত সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয়। পাকিস্তান যখন রাষ্ট্রীয়ভাবেই তার প্রাচীন ঐতিহ্য ভুলতে চায় তখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলেই বা কয়জন পাকিস্তানী নাগরিক দেশটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানতে চাইত? প্রাচীন ইতিহাস মুছে ইসলামী পরিচয়ে দেশ গড়তে গিয়ে দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা তলানিতে ঠেকেছে।

পাকিস্তানের সামরিক শক্তি সমর্থিত অভিজাত শ্রেণি ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কাছে ভরাডুবির পর দেশটির উপর চাপিয়ে দিলো ধর্মীয় মৌলবাদের ভূত। শাসকশ্রেণি সব জাতি গোষ্ঠীর ধর্মীয় বিশ্বাসকে পাশ কাটিয়ে সুন্নি মুসলিম পরিচয়কে উৎসাহিত করল। মরমীবাদের সহজিয়া ইসলামকে হটিয়ে ১৯৮০ সালে পাকিস্তানের হাত ধরে উপমহাদেশের দক্ষিণ এশিয়ার শান্ত জনপদে প্রবেশ করল সৌদি থেকে আমদানি করা উগ্র ও রক্ষণশীল ওয়াহাবিজম। মৌলবাদের পথ একদিনে তৈরি হয় না। ধর্মের ঘুণ পোকা অলক্ষ্যে কেটে যায় ঘরের মূল খুঁটি। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দ আহমদিয়া সম্প্রদায়কে অমুসলিম ঘোষণা করে। এছাড়া ১৯৫৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবে জামাতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে লাহোরে হামলা শুরু করেন। এর ফলে কয়েক হাজার আহমদিয়া হত্যার শিকার হয়। এর জন্য মওদুদীকে গ্রেফতার করে বিচার হোল এবং ফাঁসির আদেশ দেয়া হোল। পরে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপে তার ফাঁসি রদ করা হয়। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হল; ১৯৫৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একজন আহমদিয়ার করব দেওয়াকে কেন্দ্র করে আহমদিয়াদের উপর অত্যাচারের সূত্রপাত হয় এবং আহমদিয়াদের হত্যা, তাদের বাড়িঘরে আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে লুটপাটের মতো ভয়াবহ রূপ লাভ করলে ৪ মার্চ পাকিস্তানে প্রথম আঞ্চলিক মার্শাল ল জারি হয়। মূলত এই দাঙ্গার কারণেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রথম দেশ শাসনের স্বাদ গ্রহণ করে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যে হত্যা শুরু হয় যা চলে ১১ মে পর্যন্ত। এবং তাতে নিহত হয় কম করে পাঁচ হাজার।

উপনিবেশিক শাসনামলে প্রণীত ব্লাসফেমি আইন ১৯৮০ সালে পাকিস্তানে তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে মাত্র সাত বছরে ১৩৩৫ জনকে ইসলাম অবমাননার দায়ে প্রহসনের বিচার করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। অতি উৎসাহী কিছু মানুষ আইনের ও বিচারের তোয়াক্কা না করে অভিযুক্তদের উপর হামলা শুরু করে। আদালত প্রাঙ্গণে ব্লাসফেমি মামলার আসামীকে গুলি করে মেরে ফেলছে এরকম উদাহরণ অনেক দেয়া যায়। উগ্রপন্থীদের কারণে পাকিস্তানের মুক্তচিন্তার মানুষেরা নিজ দেশেই পরবাসী জীবন কাটায়। পাকিস্তানের ধর্মগ্রন্থ সম্প্রদায়ের কাছে সভ্যতার উল্টো-গতির স্রোত মুসলিমদের জন্য পৃথক বাসভূমি সৃষ্টি করেই ক্ষান্ত হয় নি। তারা অনার কিলিঙয়ের নামে আপন বোন, সন্তানকে খুন করতেও পিছপা হয় না। অথচ এই পাকিস্তানে একসময়ে গড়ে উঠেছিল শক্তিশালী উন্নত সভ্যতা, শিক্ষা ও গবেষণার সূতিকাগার। স্থাপিত হয়েছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় পাকিস্তানের এমন অধঃপতনে যাওয়ার কোন কারণ ছিল না। পাকিস্তানের স্থপতি ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট জাতীয় পরিষদের এক ভাষণে বলেন মুসলিম প্রধান পাকিস্তান দ্বিজাতি-তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হলেও এটা কোন ইসলামী প্রজাতন্ত্র নয় সেখানে সব ধর্ম-মতের মানুষকে স্বাগত। কিন্তু ৪৭ এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রমাণ করে হিংসার বীজ কত গভীরে পরিণত হয়েছে বিষবৃক্ষে। আজ পাকিস্তানের স্থপতির সেই স্বপ্নের মত ভাষণ আজ দুঃস্বপ্ন। সেখানে বিরাজ করছে উগ্রপন্থী মুসলিমদের এক-পাক্ষিক চূড়ান্ত আধিপত্য, ক্ষমতার কেন্দ্রে তারা। এখন পাকিস্তান এমন এক দেশ যাকে মানুষ চেনে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে। পাকিস্তানকে মানুষ চেনে লাদেনের মত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে। পাকিস্তানকে মানুষ চেনে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের প্রশিক্ষক হিসেবে।

কিন্তু সব আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই জেগে উঠছে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা, সৃষ্টিশীল কাজ চলছে অন্দরে অন্তরে। পাকিস্তানের নাগরিকেরা বই লিখছে, সেখানে সাহিত্য উৎসব হচ্ছে, নাটক সিনেমা নির্মিত হচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গীত বিশ্ববিখ্যাত এবং পৃথিবীব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।

পতনের খাঁদে দাঁড়ানো পাকিস্তানের উচিৎ এখনই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখা। কল্যাণমুলক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে না পারলে বহির্বিশ্বের কাছে পাকিস্তানীরা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত হবে। পাকিস্তানের প্রাচীন ঐতিহ্য ও ইতিহাস, নান্দনিক ভূ-প্রাকৃতিক ও বৈচিত্র্য, বহুমুখী আচরণ ও জীবনসংগ্রাম বিশ্বের দরবারের কাছে পরিচিত করাতে হবে। এবং দক্ষিণ এশিয়ার শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চাইলে দেশটির সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি বিশ্লেষকগণ মনে করেন পাকিস্তানের প্রধান সমস্যা দেশটির নীতিনির্ধারকগণ। তারা জনগণকে ধর্মের আফিম খাইয়ে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চায়। সৌদি আরব থেকে আমদানি করা ওয়াহাবিজম দেশটির উচ্ছন্নে যাবার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। সেই সাথে যুক্ত হয়েছে মওদুদির উগ্র ধর্ম বয়ান। দেশটির উচিৎ ইসলাম পূর্ব আলোকিত ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে যত্নবান হওয়া। যেমন ৪৫০০ বছর আগে নির্মিত (বর্তমানে সিন্ধু প্রদেশে) প্রাচীন নগর সভ্যতা মহেঞ্জোদারো অব্যবস্থাপনার কারণে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। অতীতকে অস্বীকার করার মধ্যে হীনমন্যতা ছাড়া কোন কৃতিত্ব নেই। প্রাচীন ইতিহাসকে গর্বের সাথে প্রচার করা মধ্যেই ঐতিহ্য হোক সেটা ইসলাম কিংবা ইসলাম পূর্ব। পাঠ্যপুস্তকে এই অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী, তাদের ধর্ম, জীবনাচরণ, সভ্যতায় উত্তরণ, রাজা, সম্রাটদের শাসনামল অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। পাকিস্তান ভূখণ্ডে বসবাসরত যত নৃগোষ্ঠী আছে তাদের দক্ষিণ এশিয়ার নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ইতিমধ্যেই চাপিয়ে দেয়া বিদেশি সংস্কৃতি যার সাথে স্থানীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বৈচিত্র্যের সাথে কোন সম্পর্ক নেই পাকিস্তানের সমূহ ক্ষতি করে ফেলেছে।

মূল প্রবন্ধ-Pakistan’s Identity Problem