আসলেই নাই
আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর অসাম্প্রদায়িকতার লেবাস পরে এর উল্টোটা করার জন্য আওয়ামী লীগের বিকল্প নাই। আবার আওয়ামী লীগেও কোন বিকল্প নাই। শেখ হাসিনা ৩৬ বছর ধরে দলের সভাপতি। আজ পর্যন্ত তার বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, কোন এমপি মারা গেলে ওই আসনে প্রার্থী দেয়ার মত বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। নিহতের স্ত্রী, সন্তান, ভাই, ভাতিজা, ভাগিনাকে প্রার্থী করতে হয়। মেয়র হানিফ মারা যাওয়ার পর ঢাকা শহরে মেয়র প্রার্থী দেয়ার মত বিকল্প খুঁজে পাওয়া যায় না। দক্ষিণে তার ইমেজ ব্যবহার করে তার ছেলেকে প্রার্থী করতে হয়। উত্তরে প্রার্থী ভাড়া করতে হয়। এখন সেই ভাড়াটে প্রার্থীর আকস্মিক মৃত্যুতে সংকটে পড়েছে আওয়ামী লীগ। প্রার্থী নেই। আবার ভাড়া করতে হবে।
কেউ একজন কোনভাবে নেতা হতে পারলে ওই এলাকা খোজা হয়ে যায়। আর কোন নেতার জন্ম হয় না। ডজন ডজন চামচার জন্ম হয়। তাই আওয়ামী লীগে কোন বিকল্প নাই।
শেখ হাসিনা না থাকলে কী হবে?
কেয়ামত হবে। কারণ শেখ হাসিনাই শেষ হাসিনা। তারপর আর কোন হাসিনা নেই। তিনিই সর্বশেষ হাসিনা। এটা ঘোরতর বিপদ। তিনি না থাকলে আমাদের কী হবে? একবার ভাবুন, ভেবে মরে যান। তবুও আওয়ামী লীগে কেন তার পরে আর কোন হাসিনা নেই, এটা নিয়ে কথা বলবেন না। এটা নিয়ে কথা বলা রিস্কি। ভীষণ রিস্কি। তারচেয়ে বরং হাসিনার অমরত্বের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। যেন পৃথিবী ও হাসিনার আয়ু সমান হয়। যেন কখনো হাসিনাবিহীন পৃথিবী না দেখতে হয়।
হাসিনার বিকল্প নেই। এখানে হাসিনার কোন ব্যর্থতা নেই। থাকলেও বিশ্বাস করতে নেই। বিশ্বাস করলেও বলতে নেই। বললেও খুব জোরে বলতে নেই।
– জোরে বললে কী হয়?
– চুপ!
– ওকে, চুপ। কিন্তু হাসিনার বিকল্প যদি না থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগও নেই। তো, আপনারা কিসের জন্য চুপ থাকেন এবং চুপ থাকতে বলেন?
– কারণ হাসিনার কোন বিকল্প নেই।
– কেন নেই?
– চুপ!
– কেন চুপ?
– চুপ না থাকলে খালেদার হাত শক্তিশালী হয়।
– কিন্তু চুপ থাকলে কি হাসিনার হাত শক্তিশালী হয়?
– চুপ!
হাসিনার আমলে মরতে পারলে বেহেশতে যাবেন
– সিরিয়াসলি?
– হ্যাঁ, সিরিয়াসলি। খালেদার আমলে মারা গেলে নিশ্চিত দোযখে যাবেন।
– কী বলছেন এসব?
– ঠিকই বলছি। এই যে ডজনখানেক নাস্তিক ব্লগার মারা গেছে, এরা সবাই বেহেশতে যাবে। হাসিনার আগে বেহেশতে যাবে। কারণ এরা হাসিনার আমলে মারা গেছে।
– কিন্তু নাস্তিকরাতো বেহেশত দোযখ বিশ্বাস করে না।
– জোর করে নিয়ে যাওয়া হবে।
এভাবে করে যত সংখ্যালঘুর ঘর পুড়েছে সবাই বেহেশতে স্বর্ণের দেয়ালযুক্ত, হীরার জানালাযুক্ত ঘর পাবে। ঘরের একপাশে থাকবে সুমিষ্ট ফলের বাগান, অন্য পাশে সুগন্ধি ফুলের বাগান। যত সংখ্যালঘু দেশ ছেড়েছে, সবাই বেহেশতে একটি করে দেশ পাবে। যাদের কারণে দেশ ছেড়েছে তারা হবে সেসব দেশের অনুগত অতন্দ্র প্রহরী। কিন্তু খালেদার আমলে যদি এরা মারা যেত, ঘর পুড়তো, দেশ ছাড়তো, তাহলে সবাই দোযখে যেত। এটা হচ্ছে আসল সত্য, যদিও অনেকে বুঝতে পারে না।
ও হ্যাঁ! ভাস্কর্য নিয়ে সমস্যা? বেহেশতে সবার একটি করে নিজস্ব একান্ত ব্যক্তিগত ভাস্কর্য থাকবে। এই দুনিয়ায় যা পাবে না, বেহেশতে তা পাবে। আর খালেদার আমলে মারা গেলে ভাস্কর্য ঠিকই পাবে, কিন্তু বিষাক্ত সাপের। সেটা দোযখে পাবে। এটাই চিরন্তন সত্য, যদিও অনেকে বিশ্বাস করে না।
– আলাদা করে ভাস্কর্যের কথা বললেন যে!
– কারণ দেশের ভাস্কর্যগুলোয় ক্রুটি আছে। এটা আমার পছন্দ না।
একটি বুলেট হাসিনাকে তাড়া করে ফিরছে
– একটি বিষ মাখানো তীর হাসিনাকে তাড়া করে ফিরছে। একটি অপশক্তি হাসিনাকে তাড়া করে ফিরছে। একটি পারমানবিক বোমা হাসিনাকে তাড়া করে ফিরছে। এরকম একটি আরো অনেক কিছু হাসিনাকে তাড়া করে ফিরছে।
– তো?
– তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য যা যা করার তার সবই করছেন।
– আর দেশ?
– দেশ হচ্ছে মা। মা মারা গেলে কবর দিবে, কুলখানির আয়োজন করবে, প্রতি শুক্রবার কবর জেয়ারত করবে, মনে পড়লে মন খারাপ করবে। এটা ঝামেলার কিছু না। জাস্ট রুটিন মেনে চললেই হয়ে যাবে।
এই একটি বুলেট শেয়ার বাজার লুট করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকে টাকা চুরি করেছে। এই বুলেটটি জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ঘুরে ফার্মার্স ব্যাংকে গিয়ে কর্মচারীদের বেতনের টাকাও খেয়ে ফেলেছে। এই একটি বুলেট মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে নারী ফিগারকে পুরুষ ফিগার বানিয়ে দিচ্ছে, জাস্টিসিয়াকে সরিয়ে দিয়েছে, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি মুছে ফেলছে। একবিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বুলেটটি হাসিনাকে ফুলটাইম তাড়া করে ফিরছে। পার্টটাইম ফ্লাইওভারের নকশা বদলে দিচ্ছে, নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে, পদ্মা সেতুর নির্মাণে ক্রুটি ঢুকিয়ে দিচ্ছে, রাস্তার পাশে ধানের জমিতে ব্রিজ বানিয়ে দিচ্ছে, নির্মাণ শেষ হতে না হতে কালভার্ট, দালান ধ্বসিয়ে দিচ্ছে। তারপর এই বুলেটটি প্রশ্ন ফাঁস করছে, প্রশ্নে ভুল করছে, পাঠ্য বইয়ে ভুলভাল জিনিস ঢুকিয়ে দিচ্ছে, ছাগলকে আম গাছে তুলে দিচ্ছে, শিশুর গলায় ওড়না জড়িয়ে দিচ্ছে, মাথায় হিজাব তুলে দিচ্ছে, ছাত্রলীগ নেতাকে পাঠিয়ে দিচ্ছে নারী ধর্ষণ করতে। এই বুলেট জাতির শত্রু, দেশের শত্রু। এই বুলেটটি চাপাতি হয়ে কয়েকজন মানুষকে ফ্রেমের ছবি বানিয়ে দিয়েছে, অনেকের হাতে বিমানের টিকিট ধরিয়ে দিয়েছে।
এই একটি বুলেট শফি হুজুরকে দাওয়াত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গেছে, তাকে জাতীয় আধ্যাত্মিক মুরুব্বী বানিয়েছে। এমন কী বাকি আছে, যা এই বুলেট করেনি? সাঁওতাল পাড়ায় আগুন দেয়া, হিন্দুদের জমি দখল করা, পাহাড়ে কাটাকাটি থেকে শুরু করে রাস্তার উল্টোপাশে গাড়ি চালানো পর্যন্ত সবই করেছে। কিন্তু বুলেটটি যাকে তাড়া করে ফিরছে, তিনি বেঁচে আছেন, দলের প্রধান আছেন, দেশের প্রধান আছেন এবং স্ব-গর্বে বলে বেড়ান দেশটা নাকি খুউব ভালো আছে। অবশ্যই দেশটা ভালো আছে। ফ্যানাটিক মুসলমানদের জন্য ভালো আছে। অত্যন্ত ভালো আছে।
শেখ হাসিনা ওয়ানওমেন আর্মি
এটা কিন্তু সত্য।
হাসিনার দলের বেশিরভাগ নেতা আইএসআইর এজেন্ট, প্রায় সব কর্মী সিআইএর এজেন্ট, বেশিরভাগ সমর্থক ডিজিএফএআই’র এজেন্ট, প্রশাসনের কর্মকর্তারা আইএস এর মুজাহিদ, বিরোধী দলের সবাই আল কায়েদার এজেন্ট। শুধু তিনি একমাত্র জাতীয়তাবাদী, দেশপ্রেমিক, সত্যের সৈনিক। বাকিরা সবাই উনার দিকে পিস্তল, তীর ধনুক, মিসাইল তাক করে রেখেছে। এরাই দুর্নীতি করছে, এরাই সন্ত্রাস করছে, এরাই লুটপাট করছে, লেখক ব্লগার শিল্পী হত্যা করছে, কিন্তু ক্ষমতা নিতে পারতেছে না। শেখ হাসিনা সেটা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন।
– সেজন্যইতো বলি, আপনারা চুপ কেন? আপনারা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বললে শেখ হাসিনা সাহস পাবেন। তিনি রুখে দাঁড়াতে পারবেন। ক্ষমতাও থাকবে, সুন্দরভাবে দেশও চালাতে পারবেন।
– না, কথা বলা যাবে না। কথা বললে খালেদা জিয়ার হাত শক্তিশালী হবে।
– হাসিনা সাহস পেলে খালেদার হাত কিভাবে শক্তিশালী হয়?
– চুপ!
ফ্যানাটিক মুসলিম শেখ হাসিনা
গর্বের বিষয়। তিনি মুসলিম বিশ্বের খলিফা। ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব তার হাতে। আল্লাহকে রক্ষার দায়িত্ব তার হাতে। কারণ আরবে যুদ্ধ চলছে। সেখানে নিরাপত্তা নাই। নিরাপত্তার অভাবে জনাব আল্লাহ বাংলাদেশে এসাইলাম নিয়েছেন। তাকে দেশের মানুষ বরণ করে নিয়েছে। তিনি এখন সর্বত্র বিরাজমান। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে উপমন্ত্রী, ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্স, প্রকৌশলী থেকে শুরু করে নির্মাণ শ্রমিক, সম্পাদক থেকে শুরু করে কন্ট্রিবিউটর, কমরেড থেকে শুরু করে ভাই বেরাদার… এভাবে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ছাএলীগ, সবার মুখে আল্লাহ আল্লাহ।
আল্লাহ ও মুহম্মদকে নিয়ে কিছু বললে শেখ হাসিনার সেন্টিমেন্টে লাগে। একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সেনানী ও অসাম্প্রদায়িকতার পরাকাষ্ঠা হওয়ার পরও যেহেতু তার সেন্টিমেন্টে লাগে, তাহলে সাম্প্রদায়িক লোকজনের কী অবস্থা হয়? নিশ্চয় মাথায় খুন চাপে! খুন চাপলে খুন করতে হয়। তাই তারা ব্লগারসহ অনেককে খুন করেছে। এসব খুনের জন্য দায়ী যারা খুন হয়েছে তারা। খুনীর কোন দায় নেই। কারণ খুনীরা শেখ হাসিনার মাসতুতো ভাই।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে এভাবে বলা যাবে না
কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তার নিজস্ব কোন যোগ্যতা নাই, পিতৃ পরিচয় ছাড়া আর কোন পরিচয় নাই। আর কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে দিইনি। তাকে নিয়ে বাঁকা ত্যাড়া কিছু বললে তার পিতার অবমাননা হয়, মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা হয়। তিনি যা খুশি করতে পারবেন, বলতে পারবেন। এটা তার অধিকার।
তিনি যা কিছু করছেন, সব দেশের ভালোর জন্য। একটি গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, জাতীয়তাবাদী দেশ গঠনের লক্ষ্যে তিনি এসব করছেন। দেশ এখন ধীরে ধীরে মুসলিম গণতান্ত্রিক, মুসলিম সমাজতান্ত্রিক, ইসলাম ধর্মনিরপেক্ষ, মুসলিম জাতীয়তাবাদী হয়ে উঠছে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ হারিয়ে যায়নি। ধর্মীয় নেতাদের সাথে নিয়ে এসব স্তম্ভ এখনো টিকে আছে। কারণ দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিপিবির অস্তিত্ব নাই
জানি, নাই। কারণ আওয়ামী লীগ ঠিক করে দিবে কার অস্তিত্ব আছে, কার নেই। যেমন হেফাজতের অস্তিত্ব আছে, কিন্তু কমিউনিস্ট পার্টির অস্তিত্ব নেই। দেশ জুড়ে কমিটি, সাংগঠনিক কর্মসূচী, জাতীয় দিবসগুলো ঠিকমত পালন, নিয়মিত কাউন্সিল করার পরও রাজনীতিতে তাদের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু একটি অনিবন্ধিত সংগঠন হয়েও হেফাজতের রাজনৈতিক অস্তিত্ব আছে। কারণ এই অস্তিত্বের স্বীকৃতি আওয়ামী লীগ দিয়েছে।
ব্লগারদের দেশপ্রেম নাই
একদম নাই। অথচ তাদেরকে অবশ্যই দেশপ্রেমিক হতে হবে। এটা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। তাই আসাদ নূর নামের একজন ব্লগার দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
– কিসের নিরাপত্তার অভাব?
– দেশে থাকলে জঙ্গিরা মেরে ফেলবে।
– কই, শফি হুজুর জাতির আধ্যাত্মিক মুরুব্বী হওয়ার পর জঙ্গিদের হাতে কোন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছে?
– না, হারায়নি।
– তাহলে নিরাপত্তার অভাব কোথায় পেলে? দেশে কোন নিরাপত্তার অভাব নাই।
হ্যাঁ, নাই। কিন্তু সেজন্য দিনের পথ ছেড়ে দ্বীনের পথে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যদি শফি হুজুরকে মুরুব্বী মেনে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েদেয়ে দিব্যি চালিয়ে যেতে পারে, নাস্তিক ব্লগাররা কেন পারবে না? কই, লীগের কর্মীরাতো দেশ ছেড়ে যায়নি!
– ফার্মার্স ব্যাংক লুটেরা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম গেছে না?
– সে কি নিরাপত্তার অভাবে গেছে? সেতো ব্রিটেনে বাংলাদেশের কলোনী বানাতে গেছে।
তো যেটা বলছিলাম, দেশে থাকো। চুরি করলেও দেশে করো, মরলেও দেশে মরো। দেশের প্রতি সবার একটা কমিটমেন্ট থাকা উচিত। একটা টান থাকা উচিত। সামান্য হলেও ভালোবাসা থাকা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নাস্তিক সবাই মিলেমিশে থাকবে। একই সমাজে বসবাস করবে। একই ঘরে ঘুমাবে। একই প্লেটে খাবে।
হ্যাঁ, একটু আধটু ঝামেলা হতেই পারে। কিন্তু হায়াত মউত আল্লাহর হাতে। তার ইচ্ছায় সবকিছু হয়। এখানে সরকারের কী দোষ!
এখন হাসতেও আওয়ামী চেতনা লাগে! ?
বুকে চিনি-চিনি ব্যথা নিয়েও হঠাৎ করে ধমকা হাসি, এটা আপনার লেখা পড়েই সম্ভব।