এবছরও আবারো আরেকটি বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে মুক্তমনা ও হেগ পিস প্রজেক্ট। আরেকটু বড় পরিসরে। ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি। হেগ শহরে। চারদিন। এবারের বইমেলার নামে “হেগ ফ্রিডম বুক ফেয়ার
ফেব্রুয়ারি মাস! এই মাসটি এলে কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়। বিদেশ বিভূঁইয়ে এসে আরো কিম্ভূত … যেন থমকে দাঁড়াই, ফেলে আসা দিন, ফেলে আসা দেশ, ফেলে আসা ও সাথে আনা আবেগ- সব মিলে কিম্ভূত ধরণের বিচিত্র অনুভূতি খেলা করে যায় মনের ভিতর … ফেব্রুয়ারি মাস- ঘটনাবহুল মাস, শোকের মাস, শক্তির মাস, বিদ্রোহের মাস, আক্রান্ত হওয়ার মাস, উৎসবের মাস, আনন্দের মাস, বইমেলার মাস, গণজাগরণের মাস, ভালোবাসার মাস, পরাজয়ের মাস, রক্তাক্ত মাস …
এই মাসের সাথে আমার প্রথম পরিচয়- একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গান, সালাম বরকত রফিক শফিকের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া মাতৃভাষা, ফুল হাতে খালি পায়ে শহীদ মিনারে পুষ্প অর্পন। ঢাকায় আসার পরে- পুরো মাসজুড়ে বইমেলার মাধ্যমে আবার পরিচয়, কাছাকাছি হওয়া … ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে পরিচয় স্বৈরাচারবিরোধী দিবসের সাথে- সেই মধ্য-ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা দিনকে প্রতিবছর স্মরণের মধ্য দিয়ে … তারো আগে- শফিক রেহমানের যাযাদি’র মাধ্যমে ভালোবাসার মাস হিসেবেও পরিচয় ঘটে … এরপরে পেলাম বসন্ত উৎসব … চোখের সামনে বসন্ত আর ভালোবাসার উৎসবের একেবারে মাখামাখি হওয়াটাও কিছুটা নির্লিপ্তভাবেই লক্ষ করলাম …
এরপরে- এই ফেব্রুয়ারিতেই- ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বইমেলা থেকে বের হওয়ার সময় টিএসসি’র কাছে সময়ের সাহসীতম লেখক হুমায়ুন আজাদের উপরে চাপাতি আক্রমণ! সেই প্রথম চাপাতি আক্রমণ! হুমায়ুন আজাদের রক্ত মাখা বীভৎস ছবি এখনো চোখে ভাসে! ঠিক পরদিনই- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল মিছিল হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের নেতৃত্বে সেই লম্বা লম্বা মিছিলগুলোতে যারা এসেছিলো- তারা সবাই নাস্তিক ছিল না নিশ্চয়ই, বাম কিছু ছাত্রসংগঠনের ছেলেমেয়েরা বাদে- বেশিরভাগই ছিল আস্তিক। হিন্দু ও অন্যান্য ধার্মিক কিছু ছিল- কিন্তু বেশি ছিল মুসলিম ধার্মিক। নাস্তিক হুমায়ুন আজাদ ইসলামের কতখানি অমর্যাদা করেছে- তার চাইতেও আসলে তারা উদ্বিগ্ন ছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাহানির ব্যাপারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে মেরে যাবে- এটি মেনে নিতে তারা নারাজ ছিল। হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ অনেকের অনুভূতিতে ঐ সময়েও আঘাত হেনেছিল- হলে হলে রুমে রুমে ক্যাম্পেইন করতে গিয়ে অনেকের সাথে কথা হতো বলেই জানি … কিন্তু প্রায় কাউকেই এইরকম হামলাকে সমর্থন করতে দেখিনি … বরং কালেভদ্রে কেউ যদি পাক সাদ জমিন সাদ বাদের কথা এনে হামলাকে জাস্টিফাই করতোও- পাশে বসা ধার্মিক বন্ধুটিকেই তার বিরুদ্ধে যুক্তি করতে দেখেছি এই বলে যে, ইসলাম এইরকম হামলা সমর্থন করে না, আল্লাহ নিজেই শাস্তির বিধান করবেন … ইত্যাদি। একই যুক্তি অবশ্য আজকের মডারেট মুসলিমরাও দেয়, কেবল পার্থক্য হচ্ছে এই যে- আজকের এরা হামলার প্রতিবাদে মিছিলে যায় না, এরা হামলার সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে যুক্তি করার চাইতেও নাস্তিকরা যখন ইসলামের নামে এইসব হত্যা- হামলার সমালোচনা করে- সেখানে গিয়ে এইসব বলে ইসলামকে ডিফেণ্ড করার চেস্টা করে।
যাইহোক, ফেব্রুয়ারি মাসটির সাথে পরিচয়ের কথায় ফিরি … ২০১৩ সালের সেই ফেব্রুয়ারি মাসে আবার ফেব্রুয়ারি ধরা দিল নতুন রূপে, নতুন আলোয়। নতুন প্রজন্মের নতুন বিপ্লব হিসেবে খ্যাত গণজাগরণ এই মাসেই! আশা- উৎসাহ- আগ্রহ নিয়ে যুক্ত হই। এবং কিছুদিনের মধ্যেই অনভিজ্ঞ নেতৃত্বের অবিচক্ষণতা, অদূরদর্শিতা টের পেয়ে আশাভঙ্গও ঘটে … ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আবার আক্রমণ। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে আহমেদ রাজীব হায়দারকে বাসার সামনের রাস্তায় চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়েই মারে। এরপরে সেই ফেব্রুয়ারি মাস জুড়েই ধর্মান্ধ মোল্লারা সংগঠিত হয়, হেফাজত সংগঠিত হয়- ওয়াজ মাহফিলে নাস্তিকের কল্লা দাবি করা হলেও অবশ্য প্রকাশ্য মিছিল সমাবেশে দাবি উত্তাপিত হয়- ফাঁসীর। অর্থাৎ রাষ্ট্রকে আইন করে সর্বোচ্চ সাজার বিধান করতে হবে এবং ধরে ধরে নাস্তিক ব্লগারদের বিচার করতে হবে। সরকার ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসে- আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়, প্রতিশ্রুতি দেয়, তালিকা গ্রহণ করে – যে তালিকা আবার মিডিয়ায় সয়লাব হয়ে যায় … হেফাজতের আক্রমণের মুখে গণজাগরণের নেতৃত্বও নিজেদের ঈমানদণ্ড দেখাতে ব্যতিব্যস্ত হওয়া শুরু করে … সরকারও হেফাজতে সওয়ার হওয়াকে রাজনৈতিক লাভজনক প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করে- সব মিলে হেফাজত পুষ্ট হতে থাকে- গণজাগরণ শুকাতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় হেফাজত ও ধর্মান্ধ মোল্লারা সারাদেশে নাস্তিক বিরোধী ঘৃণার চাষ করে প্রবলভাবে। ভিতরে ভিতরে আনসার বাংলা- জেএমবি- আইসিস – এদের প্রস্তুতিও চলতে থাকে, তারা নতুন ছক কষতে থাকে …
দুইবছর পরে- আবার সেই ফেব্রুয়ারি মাস! আরেকবার বইমেলা! শুরু হয় রোদেলা প্রকাশনীকে ধর্মবিরোধী বই প্রকাশের অভিযোগে নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে। তারপর ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। বইমেলা উপলক্ষেই অভিজিৎ দা আর বন্যা আপা এসেছিলেন বইমেলায়। ২৬ ফেব্রুয়ারিতে ঠিক টিএসসি মোড়েই দুজনের উপরে চাপাতি আক্রমণ, মূল টার্গেট ছিল অভিজিৎ দা। বন্যা আপার চিৎকার, খালি হাতে আঘাত ঠেকানোর চেস্টা- কোনকিছুই অভিজিৎ দাকে বাঁচাতে পারে না! বন্যা আপা কোনরকমে বেঁচে যান! ঐ বিএনপি জোটের হরতাল-অবরোধের রাতেই ঢাকা মেডিকেল থেকে টিএসসিতে মিছিল হয়! পরদিন টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল সমাবেশ … এই সমাবেশের উপস্থিতি দেখেই আঁচ করতে পারি- নিয়ম মাফিক কয়েকটি সমাবেশের বেশি কিছু হবে না; হুমায়ুন আজাদের সময় যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নেমেছিল- তার কানাকড়িও নামেনি … অবশ্য যুগ পাল্টেছে- আমাদের দেশের মডারেট মুসলিমের চেহারাও হয়ত পাল্টেছে বা পাল্টাচ্ছে … এরপরে তো পুরো ২০১৫ সাল জুড়ে নাস্তিক লেখক- ব্লগার- প্রকাশক হত্যার মহোৎসব চলতে থাকে। সেটা ২০১৬ সালেও অব্যাহত থাকে- ব্লগারের পাশাপাশি এলজিবিটি আন্দোলনের কর্মীও তাদের টার্গেটে পরিণত হয়। তালিকাভূক্ত নাস্তিক লেখকরা জীবন্মৃত হয়ে বেঁচে থাকি, কয়েকজন প্রাণের দায়ে দেশও ছাড়ি …
আমার জন্যে ২০১৬ সাল থেকেই ফেব্রুয়ারি মাসটি ভিন্ন অনুভূতির। বইপ্রেমী মানুষ হিসেবে- একুশে বইমেলা সবসময়ই ছিল খুব আগ্রহ- উদ্দীপনার। বিদেশ বিভূঁইয়ে এসে দারুনভাবে সেই একুশে বইমেলাকেই মিস করতে থাকি। ২০১৬ এর ফেব্রুয়ারিতে মিস করতে থাকি অভিজিৎ রায়কে। মিস করি, আহমেদ রাজীব হায়দার থাবা বাবাকে, নিলয় নীল, ওয়াশিকুর বাবু, অনন্ত বিজয়কে, দীপনকে, হুমায়ুন আজাদকে। এবছরে মিস করার তালিকাটি বেড়েছে- নাজিমুদ্দিন সামাদ, জুলহাস মান্নান, মাহবুব তনয়কে মিস করি। একেকটা তরজাতা জীবন, কিভাবে খুব অসময়ে প্রাণ দিল! কত কত সম্ভাবনার নির্মম মৃত্যু! থাবা বাবার হত্যার চারবছর হলো, অভিজিৎ দা’র ২ বছর হতে চললো, তারপরেও কোন মৃত্যুই যেন মেনে নিতে পারি না …
প্রবাস জীবনে একুশে বইমেলাকে যখন দারুণ মিস করছি, নতুন সব বই উলটে পালটে দেখার, গন্ধ শুকার, ব্যাগ ভর্তি বই কিনে বাসার ফেরার স্মৃতি যখন হাতড়ে ফিরছি- তখন বাংলাদেশ থেকে হাহাকার আর্তনাদ কানে ভেসে আসছে। বইমেলা আছে, বই উৎসবও হচ্ছে, নতুন নতুন বইয়ের হাস্যোজ্জ্বল মোড়ক উন্মোচনও হচ্ছে- কিন্তু বইমেলার প্রাণই হারিয়ে গিয়েছে। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা চেতনার ফলে যে বাংলা একাডেমির সৃষ্টি, যে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণ করে যে একুশে বইমেলা- সেই বাংলা একাডেমি সেই একুশে বইমেলায় সেই একুশের চেতনাকে পায়ে মাড়িয়ে মুক্ত বুদ্ধির- মুক্তচিন্তার বইয়ের উপরে সেন্সরশিপের খড়গ নামিয়েছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় আবারো ইসলাম বিরোধী বই প্রকাশের অভিযোগে ব-দ্বীপ প্রকাশনীকে কেবল নিষিদ্ধই করা হয়নি- এর প্রকাশক শামসুজ্জামান মানিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ২০১৭ সালের বইমেলা থেকে কেবলমাত্র আগের সেন্সরশিপের প্রতিবাদ করার অপরাধে শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করার চেস্টা হয়েছে। ২০১৬ সালের বইমেলায় শুদ্ধস্বরের প্রকাশক প্রবাসে থেকেও অনেক কষ্টে বইমেলায় স্টল দিয়েছিলেন, অভিজিৎ অনন্ত’র কিছু বই নতুন করে প্রিন্টও হয়েছিল, এবারের বইমেলায় শুদ্ধস্বর নেই। অন্যান্য প্রকাশনী যারা অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছিল- তারা তার বই রাখার সাহস পায়নি। একুশ মানে মাথা নত না করা- অথচ একুশের বইমেলা মানে হয়েছে মাথা নত করা। খোদ বাংলা একাডেমি মাথা নত করে বসে আছে- হেফাজতে ইসলামের কাছে। আইনগতভাবে অবশ্য সরকারের কাছে মাথা নত করে রাখার বিধান করা হয়েছে প্রায় শুরু থেকেই। ফলে- একুশে বইমেলায় একুশের চেতনাই যদি না থাকে- তাহলে প্রাণ আসবে কোত্থেকে?
এইসব মিলেই ২০১৬ সালে নেদারল্যাণ্ডের হেগ শহরে মুক্তমনা ও হেগ পিস প্রজেক্টস নামের এক ডাচ সংগঠন যৌথ উদ্যোগে ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখে “বাংলাদেশ অলটারনেটিভ বুক ফেয়ার” নামে এক বিকল্প বইমেলার আয়োজন করে। সেখানে ইউরোপ প্রবাসী অনেক বাঙালি ব্লগার- লেখক- প্রকাশক অংশ নেন, সাথে অংশ নেন- আইএইচইইউ, ডাচ হিউম্যানিস্ট এসোসিয়েশন, এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইউরোপিয়ান হিউম্যানিস্ট ফেডারেশন সহ বেশ কিছু সংগঠন। বাংলা বইয়ের প্রতীকি প্রদর্শনী হয়, হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে দুটো প্যানেল ডিসকাশন। সীমিত পরিসরে হলেও- আড্ডায়, আলোচনায়, ডকুমেন্টারিতে সফল আয়োজনই বলতে হবে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবছরও আবারো আরেকটি বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে মুক্তমনা ও হেগ পিস প্রজেক্ট। আরেকটু বড় পরিসরে। ২৪ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি। হেগ শহরে। চারদিন। এবারের বইমেলার নামে “হেগ ফ্রিডম বুক ফেয়ার”। দুনিয়ার দেশে দেশে ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের সংগ্রামকে তুলে ধরাই এই বইমেলার মূল উপজীব্য। এবারে কেবল প্রতীকি বই প্রদর্শনীই নয়, বাংলাদেশ – সোমালিয়া – তার্কি – নেদারল্যান্ডস থেকে বেশ কিছু প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের শুদ্ধস্বর- যারা এবারে একুশে বইমেলায় অংশ নিতে পারছে না, শ্রাবণ- যাদেরকে প্রতিবাদ করার অপরাধে অংশ নিতে বাঁধা দেয়ার চেস্টা হয়েছিল, অংকুর- যারা অভিজিৎ রায়ের বই একুশে বইমেলা তুলতে দেয়ার ব্যাপারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞায় মনোবেদনার সহিত জর্জরিত, এবং ইউপিএল, আদর্শ প্রকাশনী অংশ নিচ্ছে। তার্কির সমস্ত ব্যান হওয়া বই এই বইমেলায় উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়া চারদিনে পাচটি প্যানেল আলোচনাও হবে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে দুটো, তার্কি পরিস্থিত, মুসলিম সমাজে এলজিবিটি এক্টিভিজম প্রভৃতি বিষয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শিত হবে, সোমালিয়া এবং বাঙালি কবিতা সন্ধে অনুষ্ঠিত হবে, আর ২৬ ফেব্রুয়ারি অভিজিৎ দা’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকল নিহত লেখক- ব্লগার- প্রকাশক – এক্টিভিস্টদের স্মরণে আলোক প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত অনুষ্ঠান সূচি জানা যাবে- বইমেলার ওয়েবসাইটে (https://freedombookfair.com/) এবং ফেসবুক ইভেন্ট পেজে (https://www.facebook.com/freedombookfairthehague/)।
বইমেলা আমাদের সকলেই ভিতর যেন মুক্ত চেতনার জন্ম দিতে পারে এই আশা রাখি! খুব সুন্দর লাগলো আপনার লেখাটি।
এখনো অভিজিত্ দার কথা ভাবলে বুক কেপে ওঠে !
জয়তু মুক্তমনা, অভিজিৎ চেতনার বিনাশ নাই।
অবশ্যই ! আমার জীবনের অনেকটা’ই জুড়ে মুক্তমনা ।
চমৎকার উদ্যোগ! ধন্যবাদ নাস্তিকদের ধর্মকথা, হেগ পিস প্রজেক্ট সহ যারা বইমেলা আয়োজন করছেন। আশা করছি মেলা চলাকালীন সময়ে আরও লেখা পাবো।