বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বী অনেক তরুণ-তরুণীকে ইদানীং থলের ভেতর হাত ঢুকিয়ে মালা জপতে দেখা যাচ্ছে। হাতে ভাগ্য-ফেরানোর পাথর বসানো আংটির সংখ্যা আঙুলের চেয়ে বেশি হয়ে যাচ্ছে। লাল-কালো-গোলাপী সুতার পাহাড় জমে যাচ্ছে কব্জিতে। অনেকেই নাকি নিয়মিত ‘একাদশী’ পালন করে। উপবাস আর নিরামিষ খাবারের ব্যাপারে এরা এতটাই উগ্র যে কিছু কিছু পরিচিত পরিবারে দেখলাম এ নিয়ে একটা নতুন ধরনের পারিবারিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। মা-বাবা মাছ-মাংস খেতে অভ্যস্ত ছিলেন। সেখানে ছেলে মেয়েরা ঘোষণা দিচ্ছে তারা অমুক অমুক ‘বাবা’র অনুসারী, সুতরাং অমুক অমুক বারে তারা বিশুদ্ধ নিরামিষ খাবে। মাছ-মাংস তারা নিজেরা তো খাবেই না, বাড়িতেও ঢুকতে দেবে না। যদিও তারা নিজেরা উপার্জন করে না, সংসারও নিজেদের নয়, কিন্তু বাবা-মা তো নিজের। বাংলাদেশের সব মা-বাবাই তো সন্তানের মঙ্গলের জন্য উৎসর্গীকৃত। তা ছাড়া ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাপারে বিশ্বাসী মাত্রেই দুর্বল। এই দুর্বলতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
অন্ধবিশ্বাস আমাদের সমাজের সকল অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় অবস্থানের মধ্যেই উপস্থিত আছে। এক্ষেত্রে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসকে মোটামুটি সর্বজনীন বলা চলে। কয়েকটি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছাড়া অনেক তথাকথিত “প্রগতিশীল” ব্যক্তিও অন্ধবিশ্বাসের ডোবায় আটকে আছেন অনেক ব্যাপারে। সোজা সাপ্টা কথায় বললে তো বলতেই হয় যে, যাঁরা সৃষ্টিকর্তার বা সৃষ্টিকর্ত্রীর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন – তাঁরা সবাই কোন না কোন বিশ্বাসের ব্যাপারে অন্ধ। এবং মজার ব্যাপার হলো এই – অনেক ব্যাপারে তাঁরা যে স্ববিরোধীতায় ভোগেন তা নিজেরাই বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান না।
২০০৮ সালের মার্চ মাসের দিকে অভিজিৎ রায় মুক্তমনায় একটা প্রবন্ধ লিখেছিলেন “যুক্তিবাদীর বিজয় – রিজন হ্যাজ ওন দ্যা ডে” শিরোনামে। ইন্ডিয়া টিভির একটা প্রোগ্রামের ভিডিও লিংক দিয়েছিলেন তিনি। সেই লেখাটি মুক্তমনার বর্তমান পাতায় খুঁজে পেলাম না। তাই ভিডিও লিংকটি ইউটিউব থেকে এখানে আবারো দিলাম।
তান্ত্রিক শক্তি বনাম বিজ্ঞান। পন্ডিত সুরিন্দর শর্মা বনাম Rationalist International এর প্রেসিডেন্ট সানাল অ্যাডমারাকু। যুক্তি যদি সঠিক হয় – তাহলে ফল কী হবে তা দেখার জন্য বসে থাকতে হয় না। জানাই ছিল যে সুরিন্দর শর্মা’র মন্ত্রশক্তি কিছুই করতে পারবে না স্যান্যালকে। যেরকম হওয়া স্বাভাবিক – সেরকমই হলো শেষ পর্যন্ত। কিন্তু কয়েকটি ব্যাপার এখানে অবশ্যই উল্লেখ করার দরকার আছে। ব্যাপারগুলো আপাত দৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও – আসলে এখানেই লুকিয়ে থাকে মারাত্মক সব প্রতারণার কৌশল।
সুরিন্দর শর্মা তান্ত্রিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য যে চ্যালেঞ্জটি দিয়েছিলেন তা হলো তিন মিনিটেই তিনি সানালকে মেরে ফেলতে পারবেন শুধুমাত্র মন্ত্র উচ্চারণ করে। তারপর তিন মিনিটের জায়গায় প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে যা করলেন তা নিছক ভাওতাবাজীর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাতে যে মন্ত্রগুলো তিনি উচ্চারণ করলেন – তার কয়েকটি হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ “শ্রী শ্রী চন্ডী” থেকে নেয়া। “যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তি রূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ” এ মন্ত্রটি উচ্চারিত হয়েছে অনেকবার। বাকি যেগুলো তার বেশির ভাগই অর্থহীন কিছু সংস্কৃতরূপ শব্দাংশ।
“যা দেবী সর্বভূতেষু …” মন্ত্রটি আসলে অনেকবার করে লেখা আছে চন্ডীতে। দেবদেবীরা ভীষণ আত্মপ্রেমী। তাঁদের খুব করে প্রশংসা না করলে তারা সন্তুষ্ট হন না। তাই এই মন্ত্রগুলোতে দেবী দুর্গার নানারকম প্রশংসা করা হয়েছে। বলা হয়েছে তিনি শক্তিরূপে বিরাজ করেন, তিনি মাতৃরূপে বিরাজ করেন, তিনি দেবী রূপে বিরাজ করেন ইত্যাদি। এখানে পন্ডিত সুরিন্দর শর্মা সেই শক্তিরূপী দেবীর প্রশংসা সূচক মন্ত্র পাঠ করে যুক্তিবাদী সানালকে খুন করতে চেয়েছেন। পন্ডিতের সাহস আছে বটে। কিন্তু আসলেই কি তিনি নিজে শুধুমাত্র মন্ত্রশক্তির উপর বিশ্বাস রাখেন? মোটেই না। মন্ত্র হলো সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য। আসল খুন করার জন্য সুরিন্দর শর্মারা বস্তুজগতেরই আশ্রয় নেন। তাঁরা বিষ প্রয়োগ করেন, সুযোগ পেলে ছুরি চাপাতি বন্দুক বোমা সবই ব্যবহার করেন।
আলোচ্য অনুষ্ঠানটি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা লক্ষ্য করেছেন যে সুরিন্দর শর্মার একটি হাত সবসময় স্যান্যালের মাথায় চোখে কপালে ঘুরছিল। সানাল বাধা দেয়াতে সুরিন্দর এটাকেই তার মন্ত্রের নিস্ফলতার কারণ হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছে। হাতে ক্লোরোফর্ম ইত্যাদি নিয়ে আক্রমণ করেন অনেক সময় এই সব তান্ত্রিকরা – অনেকটা আমাদের দেশের অজ্ঞানপার্টির মতো।
আবার রাতের বেলা যে যজ্ঞ করা হলো তাতে যে ধোঁয়া তৈরি করা হলো তাও বিপজ্জনক। যেকোনো বিষাক্ত গ্যাস তৈরি করে নেয়া অসম্ভব নয়। আবার সে ধোঁয়া একটি পাখার মত জিনিস দিয়ে সানালের নাকের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছিলো। টিভি স্টুডিওতে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে সানাল যে সুযোগ পেয়েছেন সবকিছু পরীক্ষা করে নেয়ার – বাইরের সুরিন্দর শর্মাদের পরিবেশে তা সম্ভব নয়। সেখানে সুরিন্দর শর্মারা যে কী কৌশল অবলম্বন করতে পারে তার জন্য প্রস্তুত না থাকলে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
সুরিন্দর শর্মারা যুক্তিবাদীর চেয়ে অনেক বেশি সংগঠিত। এবং তারা নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী। অনুষ্ঠানেই তো দেখলেন কত অজুহাত দেখালেন। তিন মিনিটের জায়গায় কয়েক ঘন্টা চেষ্টা করেও কিছু করতে না পেরে বললেন যে সানাল নিশ্চয়ই কোন দেবতায় বিশ্বাস করেন – এবং সেই দেবতা সানালকে রক্ষা করছেন। শেষ পর্যন্তও কিন্তু সুরিন্দর স্বীকার করেননি যে তার মন্ত্রের কোন জোর নেই। এক্ষেত্রে তাদের অজুহাতের শেষ নেই। কিছুদিন পর হয়তো বলা হবে – ঈশ্বর চান না যে তাঁর সৃষ্টির কোন ক্ষতি করা হোক। তাই ক্ষতি করতে গেলে তা কাজে লাগে না। কিন্তু উপকার করতে – যেমন রোগমুক্তি, লটারিতে ভাগ্য ফেরানো ইত্যাদি – মন্ত্রশক্তির তুলনা নেই।
স্বামীর নপুংশকতার কারণে যাদের সন্তান হয় না তারা অনেক সময় তান্ত্রিক সাধকদের দ্বারা সন্তান লাভ করেন। কীভাবে করেন তা না বোঝার কোন কারণ নেই। তান্ত্রিকরা বেশির ভাগ দাড়িগোঁফের জঙ্গলে নিজেদের চেহারা আড়াল করে রাখেন শুধুমাত্র ধরা পড়ার ভয়ে।
আট বছর আগের ভিডিও এটা। ইউটিউবে দেখলাম এই ভিডিওগুলো দেখা হয়েছে মাত্র পঁচাশি হাজার বার। অথচ দু’বছর আগে আপলোড করা “জয় বাবা লোকনাথ” দেখা হয়েছে প্রায় এক লক্ষ বার, সাঁই বাবার ভজন দেখা হয়েছে বায়ান্ন লক্ষ বার। কিছু কিছু মানুষ সমস্ত প্রমাণ দিয়ে অন্ধবিশ্বাসের অসারতা দেখানোর পরেও অন্ধবিশ্বাসেই আগ্রহী।
পরিস্থিতি যখন এই – আমরা কীভাবে এগোব? বা আমাদের কী করা দরকার? আসলে এর সোজা কোন উত্তর আমার জানা নেই। আমাদের লেখাপড়া করা দরকার। মুক্তবুদ্ধির চর্চা করা দরকার। আমাদের নতুন প্রজন্মকে অন্ধবিশ্বাসের কালো ছায়া থেকে রক্ষা করা দরকার। কীভাবে? আমার নিজের ভেতর অন্ধবিশ্বাসের বীজ রেখে কি তা সম্ভব? আসলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজের ভেতরের বিশ্বাস অবিশ্বাসকে আবিষ্কার করা একেবারেই অসম্ভব। একমাত্র সঠিক জানার মধ্য দিয়েই অজানাকে জয় করা সম্ভব। অলৌকিক ভাবে কিছু ঘটতে পারে না এ ব্যাপারটা বোঝাতে পারলেই হয়ে যায়। কিন্তু বড়ই কঠিন এ কাজ, বড়ই সময় সাপেক্ষ। কিন্তু তাতে কী? আমাদের কি হাল ছাড়লে চলে? আমরা যে আলোর পথের যাত্রী, আমরা যে মুক্তমনা।
মানুষ নিজে বিবেকের প্রতি আবিচার করে। তাই ত অদম।হুশ ছাড়া মানুষ
যেকোন পীর বা সাধুর কার্যকলাপ দেখলে ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না, সৃষ্টিকর্তার আরাধনা ই যদি তাদের জন্য মুখ্য হয়,তবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার কি দরকার! অন্ধবিশ্বাসী কে সহজে ঠকানো যায়,আর তারা সেটার সুযোগ টা নিয়ে যাচ্ছে।
এ দেশে ক্রিয়েটিভ প্রশ্ন নামে এক বিশেষ ধরনের প্রশ্নপত্র এবং তার মূল্যায়ন শুরু হয়েছে শিক্ষার সব স্তরে ।যেটা কিনা বেনজামিন ব্লুমের টেক্সনমির উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে ।প্রশ্ন হল কতটা সফল এটা? যেখানে মূল কথাই হল অনবরত প্রশ্নের মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়া । বিচার – বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন কিছু তৈরি করা ।কিন্তু আমরা সে দিক দিয়ে কতটা এগিয়েছি তা একটু চোখ মেললেই দেখতে পাওয়া যাবে । নৈতিকতা শিক্ষার নামে যে ধর্মের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তাতে কারো কোনো প্রশ্ন নেই দেখে অবাক হই : এই আমাদের ক্রিয়েভিটির দেশ!
স্যার ব্লগের সংকলনে লেখা আপনার লেখা গুলোর সাথে আগেই পরিচয় ছিল । বিশেষ করে যুবক যুবতিদের এই পথ বেচে নেওয়ার ভিতরে একটা আলাদা গর্ব আছে । যেখানে সমাজের সবাই সমীহ করে চলে ।কি ডাক্তার , কি ইনজিনিয়ার, কি ফিজিক্স টিচার, কি ম্যাথ মাস্টার :প্রায় সবাই তো মন্দিরের গুরুদেব বা মসজিদের ইমামকে মেনে চলে ।তাহলে কেনই বা সে তেমন হতে পারে না ।তাছাড়া অত শত প্রশ্নের মুখোমুখি তো হতে হয় না এখানে ! তাই বেশ চলে জীবন! তবে জৈবিকতা কিন্তু বেরিয়েই আসে!
খুবই সঠিক পর্যবেক্ষণ যুক্তি পথিক। খুব কাছ থেকে এই তরুণদের দেখছি। আমার এক ভাইপো আছে যে বিএসসি পাস করে কোন চাকরি না পেয়ে এখন একটা বড় মন্দিরের বড় গুরু। যেসব প্রতিষ্ঠানে সে ইন্টারভিউ দিয়েছিল সেখানকার কিছু বড় অফিসারও নাকি তার সান্ধ্যকালীন ধর্মীয় বক্তৃতা শোনার জন্য হাতজোড় করে বসে থাকে। একেবারে বিনা পরিশ্রমে বিনা মূলধনে ধর্মের চেয়ে বড় কোন ব্যবসা হয় না।
টিভিতে পীর বাবাদের এড দেখি, পেপারেও দেখি তাদের এড। মোহনা টিভিতে একটা গানের অনুষ্ঠান হয় কোনো এক গণক বাবার সৌজন্যে। তাবিজ পাথর ইত্যাদি বিক্রি করে সে বাবা। বিজ্ঞাপন বিরতিতে দেখায়, বড় বড় অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীও জীবনের কঠিন সংকটের সময় তার শরণাপন্ন হয় পাথর ও তাবিজের জন্য। এবং এই পাথর ও তাবিজের গুণে তারা কতটা উপকৃত হয়েছে তার বর্ণনা করে নিজ মুখে। আমি যেখানে থাকি সেখানকার মসজিদগুলিতে হুজুরেরা মহিলাদের ব্লাউজ-পড়া, ও অন্তর্বাস-পড়া দেয়। এতে নাকি মহিলাদের চরিত্র ঠিক থাকে। পুরুষেরা দলে দলে লাইনে দাঁড়িয়ে নিজ নিজ স্ত্রীর ব্লাউজ ও অন্তর্বাস হুজুরের কাছ থেকে পড়িয়ে নিয়ে যায়।
অভিনেতা অভিনেত্রী, খেলোয়াড় এরা অনেক বেশি সংস্কারাচ্ছন্ন হন। কেন সেটা জানি না। মমতাশংকরকে আমি খুবই মুক্তমনের মানুষ বলে মনে করতাম। কিন্তু তিনি নাকি মনের শান্তি পান সাঁই বাবার কাছ থেকে।
যুক্তির কথা নিয়ে শক্তিশালী আর একটি চমৎকার লেখা উপহার দেবার জন্য প্রদীপ দেব’কে অনেক ধন্যবাদ।
অভিজিৎ ‘এর পুরোনো “যুক্তিবাদীর বিজয় – রিজন হ্যাজ ওন দ্যা ডে” লিঙ্ক’টা এখানে
অনেক ধন্যবাদ কাজী ভাই, লিংকটার জন্যও।
অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান নাকি একবার বলেছিলেন, মানুষকে যদি কোনভাবে বোঝানো যায় যে ব্রেন আসলে একটা মোবাইল অ্যাপ তাহলেই দেখবেন সবাই এটা ব্যবহার করতে শুরু করেছে। আপনার লেখাটা পড়ে আবারও ঐ মজার কথাটা মনে পড়ল। আসলেই, এগোনোর সহজ কোন পথ নেই। তাই সম্ভাব্য সব পথই ব্যবহার করা উচিত। ফ্রিম্যান সাহেবের পথটাও।
কমবয়েসী ছেলেমেয়েদের সাথে যখনই ইন্টার্যাকশন হবে- অভিভাবক হিসাবে পরিবারের কারো সাথে বা শিক্ষক হিসাবে কোন ছাত্রের সাথে এমনকি সহযাত্রী হিসাবে অচেনা কারো সাথে- ফান করে হোক, তাচ্ছ্বিল্য করে হোক, মানে সিরিয়াস না হয়ে অন্য যে কোন ফন্দি করে যদি তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া যায় যে অলৌকিকে বিশ্বাস খুবই খ্যাত একটা ব্যাপার, ধর্মকর্ম করা আসলে একরকম বুড়োটেপনা, সামাজিকতার নামে ধর্মীয় উৎসবে যোগ দেয়াও আসলে একটা ফালতু আদিখ্যেতা, তাহলে বোধহয় একটু একটু করে দিন পাল্টাতে থাকবে।
পদ্ধতিটা খুবই স্লো অবশ্য। কিন্তু স্টেডিলী করে যেতে পারলে মন্দ কী। তরুনরা সবসময় চলতি হাওয়ার পন্থী। নিউ ট্রেন্ড এর সাথে থাকতে চায় সবাই। প্রয়োজন শুধু ট্রেন্ডটা সেট করে দেয়া। সিরিয়াস লেখালেখি করে যে এটা করা যাচ্ছে না সেটা তো মোটামুটি পরিস্কার। বাঁকা পথ ধরা ছাড়া উপায় কী?
এখানে আরো একটা ব্যাপার আছে। যারা ধর্মের আচরণগুলো পালন করছে তাদের বেশিরভাগই এগুলোর ব্যুৎপত্তি জানে না।
যাঁরা সৃষ্টিকর্তার বা সৃষ্টিকর্ত্রীর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন – তাঁরা সবাই কোন না কোন বিশ্বাসের ব্যাপারে অন্ধ। এবং মজার ব্যাপার হলো এই – অনেক ব্যাপারে তাঁরা যে স্ববিরোধীতায় ভোগেন তা নিজেরাই বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান না।
অতি র্ধামিকেরা বিজ্ঞান বিশ্বাস করে এভাবে ,অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছ যাও রোগ সাড়াও । আর ডাক্তার হলো সৃষ্টি র্কতার ওছিলা । ডাক্তারকে রোগ ভালো করার কৈাশল-জ্ঞান দিয়েছে সৃষ্টি র্কতা। আর রোগ হচ্ছে কোন না কোন পাপের শাস্তি।
অনেক মানুষ বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করে, কিন্তু কৃতিত্ব দেয় অলৌকিক শক্তিকে।