(১)
২৭ শে অক্টবর ১৯৬২। কিউবান মিসাইল ক্রাইসিস চূড়ান্ত লগ্নে। আমেরিকার ৪০ টি ডেস্ট্র্যয়ার এবং ৪ টি ক্যারিয়ার ঘিরে রেখেছে গোটা কিউবাকে। নেভাল ব্লকেড। খাবার এবং মেডিসিন ছাড়া অন্যকোন জাহাজকে কিউবাতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ক্রশ্চেভ মস্কো রেডিওতে বলছেন কেনেডি নেভাল ব্লকেডের মাধ্যমে কমিনিউস্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন। অন্যদিকে আমেরিকা বলছে সোভিয়েত ইউনিয়ান কিউবাতে এস এস -৪ ইন্টারমিডিয়েট নিউক্লিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইল স্মাগল করে বসিয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি টার্গেট এখন মস্কোর বাটন থেকে দশ মিনিট দূরে। সুতরাং সোভিয়েত ইউনিয়ানকে কিউবা থেকে নিউক্লিয়ার মিসাইল তুলতে হবে আগে। নইলে আমেরিকান নেভি সম্পূর্ন প্রস্তুত কিউবা আক্রমন করতে। আর তার জন্য যদি সোভিয়েত ইউনিয়ান নিউক্লিয়ার যুদ্ধে যায়-আমেরিকাও পালটা মার দিতে রেডি। বিশেষত তার হাতে ৫০০০ নিউক্লিয়ার ব্যালাস্টিক মিসাইল যেখানে সোভিয়েতের হাতে সেই ৬২ সালে মোটে শ তিনেক মিশাইল । এবং তাদের লক্ষ্যভেদের ক্ষমতাও দুর্বল।
কিউবার পতন প্রায় আসন্ন। সেই দিনই ফিদেল ক্যাস্ত্রো ক্রসচেভের কাছে নিবেদন পাঠিয়েছেন, কিউবাতে জমা করা নিউক্লিয়ার মিসাইলগুলি দিয়ে ক্যাপিটালিজমের পিতৃভূমি আমেরিকা ধ্বংস করুক।
I believe the imperialists’ aggressiveness is extremely dangerous and if they actually carry out the brutal act of invading Cuba in violation of international law and morality, that would be the moment to eliminate such danger forever through an act of clear legitimate defense, however harsh and terrible the solution would be,–Castro , Telegram to Khruschev , Oct 26
কিউবার প্রতিটি সক্ষম নাগরিককে অস্ত্র তুলে দেওয়া হল কাস্ত্রোর নির্দেশে। আমেরিকান নৌবহর আস্তে আস্তে এগিয়ে আসছে কিউবার দিকে। কিউবার দাবী তত প্রবল হচ্ছে যাতে সোভিয়েত ইউনিয়ান নিউক্লিয়ার মিশাইল ছুঁড়ে প্রতিহত করে, বাঁচিয়ে রাখে এই নবীন কমিনিউস্ট রাষ্ট্রকে
Direct aggression against Cuba would mean nuclear war. The Americans speak about such aggression as if they did not know or did not want to accept this fact. I have no doubt they would lose such a war. —Ernesto “Che” Guevara, October 1962
নিউক্লিয়ার যুদ্ধে আসন্ন ধরে নিয়ে আমেরিকার স্কুল কলেজে নিউক্লিয়ার এটাক হলে কি কি করতে হবে তার মহড়া শুরু গোটা আমেরিকা জুরে। কেনেডি বারংবার ভাষন দিচ্ছেন কিভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ান গোটা বিশ্বকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ানে ক্রশ্চেভের হোলদোল নেই। তারকাছে ফিদেল এবং কিউবা তার মাস্টার চালের বোরে। কিউবাতে নিউক্লিয়ার মিশাইল পাচার করার একটাই উদ্দেশ্য। কিউবাকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকার সাথে দরাদরি করা-যাতে ইটালি এবং তুরস্কে বসানো আমেরিকান মিসাইল তুলে নিতে বাধ্য করা যায়।
যুদ্ধ প্রায় শুরু, এমন অবস্থায় চারটে সোভিয়েত সাবমেরিনের উদয় হল ক্যারিবিয়ান সমুদ্রে। এগুলো ডিজেল সাবমেরিন, কিন্ত সাথে নিউক্লিয়ার টর্পেডো। উদ্দেশ্য, যুদ্ধ শুরু হলে, আমেরিকার নেভাল ব্লকেডকে আক্রমন করা।
কিন্ত ডিজেল সাবমেরিন লুকিয়ে রাখা মুশকিল বিশেষত যেখানে আমেরিকার ১১ টি ডেস্ট্রয়ার সাবমেরিনগুলোকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। ডিজেল প্রযুক্তির সমস্যা এই যে, সাবমেরিনগুলোর ব্যাটারি চার্জ করার জন্য জলের ওপরে তিনদিনে একবার উঠতেই হয়। এই নয় যে সোভিয়েত ইউনিয়ানের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন ছিল না তখন। কিন্ত কিছু দিন আগেই তাদের প্রথম প্রজন্মের নিউক্লিয়ার সাবমেরিন কে-১৯ এ ঘটেছে বিপুল এক্সিডেন্ট। নিউক্লিয়ার রিয়াক্টর ব্ল্যাস্ট হওয়া থেকে বেঁচে গেছে। কিন্ত নিয়ে গেছে ৩০ টি সাবমেরিনার সেনার প্রাণ। ফলে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন তখন কিছুদিনের জন্য ডিকমিশনড।
ওই চারটি সাবমেরিনের একটি বি-৫৯। দুদিন জলের তিনশো ফুট নিচে। অসহ্য গরম। এই সাবমেরিনগুলো আর্টিক সাগরের প্রবল ঠান্ডায় অভ্যস্থ। ফলে এদের এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম বাজে। দুদিন ধরে জলের তলায় প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেন্ট্রিগেড তাপমাত্রায় ভাজা হচ্ছেন সাবমেরিন সেনারা। জলের রেশন শেষ হয়ে আসছে। কিন্ত ওপরে উঠলেই ধরা পরে যাবে আমেরিকার নেভির কাছে। এদিকে ব্যাটারি চার্জ মাত্র ২০% বাকি।
আমেরিকান ডেস্ট্রয়ারগুলো ক্রমাগত ডেপথ চার্জ করে চলেছে। এর যেকোন একটা লাগলেই পঞ্চাশজন সেলরের সলিল সমাধি নিশ্চিত।
আমেরিকান নেভির হাতে মৃত্যু নিশ্চিত-সাবের ভেতরে সাব হিউমান কন্ডিশন, এমন অবস্থায় সাবের ক্যাপ্টেন ঠিক করলেন, এবার নিউক্লিয়ার টর্পেডো ছাড়া উপায় নেই। সোভিয়েত প্রোটোকল অনুযায়ী নিউক্লিয়ার মিশাইল সাব থেকে ছাড়ার জন্য তিনজনের সহমত দরকার–ক্যাপ্টেন, পলিটিক্যাল অফিসার এবং সেকন্ড অফিসার ভ্যাসিলি আর্কিপভ। ভ্যাসি আর্কিপভ সেকন্ড অফিসার হলেও, গোটা ফ্লিটের সর্বাধিনায়ক-এবং সেই সূত্রে তিনি ক্যাপ্টেনের বস।
ক্যাপ্টেন এবং পলিটিক্যাল অফিসার একমত-এত যখন ডেপথ চার্জ মারছে আমেরিকান নেভি, যুদ্ধ নিশ্চয় শুরু হয়ে গেছে। ফলে নিউক্লিয়ার মিসাইল ছাড়া যাক।
ভ্যাসিলি একমত হলেন না। নিউক্লিয়ার পাওয়ার এবং রেডিয়েশন কি ভয়ংকর হতে পারে, তা সাক্ষাত দেখেছেন ভ্যাসিলি কে-১৯ বিস্ফোরনে-যাতে হারিয়েছেন ৩০জন কমরেড। মস্কোর সাথে কথা না বলে, নিউক্লিয়ার ট্রিগারে হাত দিতে চাইলেন না ভ্যাসিলি।
এবং পৃথিবী বেঁচে গেল এক মহাযুদ্ধ থেকে, যার ফলে পৃথিবীর মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত ছিল।
কিন্ত নিউক্লিয়ার টেনশন শুরু হলে সর্বত্র পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য ভ্যাসিলি আর্কিপভ থাকবেন না । বরং ফিদেল, চে বা রুজভেল্টের মতন রাজনৈতিক লোকজনই ক্ষমতায় সর্বত্র-যারা তাদের রাজনৈতিক গোলকে মানুষের জীবনের থেকেও বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এটা ইম্পিয়ারিলিস্টিক, কমিনিউস্ট, হিন্দু এবং ইসলামিক রাজনীতির হলমার্ক। এবং সেইজন্যই নিউক্লিয়ার যুদ্ধের আবহ শুরু হওয়া বেশ ভয়ংকর।
(২)
অনেকেই দেখছি লেখা লেখি করছে নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে, ভারতে খুব বেশী হলে কিছু লোক মারা যাবে, কিন্ত পাকিস্তান সম্পূর্ন ধ্বংস হবে।
খুব ভুল ভাবছেন জনগণ। পাকিস্তান নিজেও জানে নিউক্লিয়ার যুদ্ধে তাদের এডভ্যান্টেজ নেই। এবং নেই বলেই এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাটা বেশ ভয়ংকর -বিশেষত শক্র রাষ্ট্রের নাম যদি হয় পাকিস্তান।
এর কারন স্যুটকেস নিউক। নিউক্লিয়ার মিশাইল ছুঁড়বে না পাকিস্তান-কারন তাতে তাদের নিজের দেশই ধ্বংস হবে। ভারতের হাতে কোনঠাসা হলে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার সন্ত্রাসবাদকে কাজে লাগাবে।
সুটকেস নিউক বহু পুরাতন প্রযুক্তি। এটোমিক ডিমোলিশন মিউনিশন বলে মিনি এট্মিক বম্ব প্রযুক্তি নিয়ে আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়ান কোল্ড ওয়ারের সময় বহু আকারে ছোট ছোট এটমিক বম্ব বানিয়েছিল। এর মধ্যে সব থেকে ভয়ংকর সোভিয়েতের তৈরী সুটকেস বম্ব । এগুলোর ওজন মোটে ত্রিশ কিলো-একটা ২০ বাই ২০ ইঞ্চির স্যুটকেস বা ল্যাপটপের সমান সাইজ। ১ কিলোটনের কাছাকাছি ক্ষমতা। ব্ল্যাস্ট রেডিয়াস তিনশো ফুট।
এগুলো শহরের মধ্যে ফাটালে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ মিটারের বিল্ডিং ধ্বসে যাবে। এক স্কোয়ার কিলোমিটারের মতন জায়গা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। ধরুন এটা নিউমার্কেট বা হাওড়া স্টেশনে ফাটল। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক লাখ লোকের মৃত্যু অবধারিত। এবং এই বোম ফাটানো কোন ব্যাপার না। কারন একটা হ্যান্ড সুটকেস স্মাগল করা এক দেশ থেকে অন্যদেশে খুবই সহজ।
যার জন্য ২০০৮ সালে ইউ এনএর ভাষনে এটমিক এনার্জি কমিশনের চেয়ারম্যান এল বারাদি জানিয়েছিলেন, নিউক্লিয়ার যুদ্ধের সম্ভাবনা প্রায় নেই। কিন্ত নিউক্লিয়ার টেটরিজম সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যদি নিউক্লিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়, তা নিউক্লিয়ার টেটরিজম দিয়েই হবে।
কতটা বাস্তব স্যুটকেস নিউক? আমেরিকাতে ১৫ টা এমার্জেন্সি কোড আছে। যেমন সাইক্লোন, প্লেগ এপিডেমিক ইত্যাদি। এর মধ্যে নাম্বার -১ কোড নিউক্লিয়ার টেটরিজম। আমেরিকা এই নিয়ে একটা ইন্টালিজেন্স কমিটি বসিয়েছিল। তারা জানিয়েছে স্যুটকেস নিউক স্মাগল আটকানো কঠিন। ফলে স্যুটকেস নিউক কোন না কোন দিন টেররিস্টরা ফাটাবে এটা ধরে নিয়েই, আমেরিকা প্রস্তুতি নিয়েছে।
ভারতের এই ধরনের কোন প্রস্তুতি নেই। ভারত বিপুল খরচ করেছে মিসাইল ডিটারেন্টে। এগুলো ফালতু খরচ। পাকিস্তান মিশাইল ছুঁড়বে না-কারন তাহলে তাদের মৃত্যুও নিশ্চিত। তারা স্যুটকেস নিউক বানিয়ে টেররিস্টদের দেবে। এদ্দিন দেয় নি, তার কারন সম্ভবত একটাই যে মিলিটান্টরা পাকিস্তানে তা উলটে ফাটাবে না, তার নিশ্চয়তা সম্ভবত নেই। কিন্ত কোনঠাসা হলে এসব বদলাবে।
শান্তির কোন বিকল্প নেই। ভারত এবং পাকিস্তানের সাধারন লোকজন যাতে নিউক্লিয়ার অস্ত্র মুক্ত, ধর্মের জঞ্জাল মুক্ত , মিলিটারী মুক্ত একটা ভবিষ্যত পায়, সেটাই কাম্য হওয়া উচিত।
পাকিস্তান রেগুলার ভারতে টেররিষ্ট পাঠিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করে
এবং জাল নোট পাঠিয়ে ভারতের অর্থনীতিকে বির্পযস্ত করে।
পাকিস্তান ৪ বার ভারতকে আক্রমণ করেছে এবং ৪ বারই হেরেছে।
যতোদিন পাকিস্তান রাষ্ট্র থাকবে ততোদিন ভারতের ক্ষতি করবে।
ভারত কি করে পাকিস্তানকে আটকাবে যুদ্ধ করে
ধ্বংস করা ছাড়া?
প্রিয় সম্পাদক ,
মন্তব্য মুছে দেওয়ার দরকার নেই। আহসান হাবিব ভুল স্বীকার করেছেন সুতরাং ব্যাপারটা এখানেই শেষ হোক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যা, অন্যের লেখা কপি পেস্ট মারা অপরাধ বটে কিন্তু এত সুন্দর একটা লেখা মুক্তমনায় দেখায় আমি শ্রেয় মনে করি। বাবুরাম সাপুড়ে ভাই সেটা সামুতে দিয়েছেন যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে সামুকে ভালবাসি। আমি জানতাম এজন্য আমাকে জবাবদিহি করতে হবে তবুও ভয় পাইনি, লেখাটা সাপুড়ে ভাইয়ের এটা লিখলে হয়তো মডারেড কমেন্টেই যোগ করত না। ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ ভাই আন্তরিকভাবে আপনার এবং ‘মুক্তমনা’র কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
@আহসান হাবীব
somewherein ব্লগে কিছুদিন আগে আমার লেখার কপি পেস্ট মেরে দিলেন !
যাইহোক লিংক টা দিলাম পুরোটা না হয় পড়ে নেবেন :http://www.somewhereinblog.net/blog/BaburamSanpure/30158906
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত ৭০-৭৫ বছরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে অনেকবার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে ,ছোটোখাটো যুদ্ধও হয়েছে কিন্তু কোথাও দুটো সার্বভৌম দেশের মধ্যে মরা -বাঁচার যুদ্ধ হয়নি। কোল্ড -ওয়ার চলাকালীন আমেরিকা এবং সোভিয়েত-রাশিয়া অনেকবারই প্রায় যুদ্ধ বাঁধিয়ে ফেলেছিলো কিন্তু দুটো দেশকেই যা পিছনে টেনে রেখে ছিল সেটা হোল নিউক্লিয়ার বোম্ব ।
একদিক থেকে এই নিউক্লিয়ার বোম্ব এর আবিস্কার সাধারন মানুষের কাছে এক আশীর্বাদ স্বরূপ ,পৃথিবীকে অনেক যুদ্ধের হাত থেকে বাঁচিয়েছে। প্রথমে এই বোম্ব আমেরিকা, সোভিয়েত রাশিয়া এবং আরো দু -চারটে দেশের হাতে থাকলেও গত ২০-২৫ বছরে অন্তত ১৫-২৫ টি দেশের হাতে এই অস্ত্র মজুদ। কোন দেশ নিজেরা বানিয়েছে আবার কোন দেশ অন্যের থেকে টেকনোলজি চুরি করে বানিয়েছে।ভারত পাকিস্তান দু-দেশের কাছেই এই নিউক্লিয়ার বোম্ব মজুদ, দরকারের চেয়ে বেশী পরিমানেই মজুদ।
যদি কনভেনশনাল যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের পুরোপুরি হেরে যাওয়ার সম্ভবনা আসে এবং ১৯৭১ এর মতো পাকিস্তানের টুকরো হবার পরিস্থিতি তৈরী হয় তাহলে পাকিস্তান নিউক্লিয়ার বোম্ব ব্যবহার করবে। ভারতের ব্যাপক ক্ষতি হবে, দু-চারটে শহর ধংস হবে , কয়েক কোটি লোক মারা যাবে কিন্তু উল্টোদিকে পাকিস্তান সম্পূর্ণ ভাবে ধংস হয়ে যাবে। পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে এটা আর ভারত -পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না আমেরিকা ,রাশিয়া ,চীন সবাই যুক্ত হয়ে যাবে ,শুরু হবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ। ভারত এবং পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলো পারমানবিক যুদ্ধে নিরপেক্ষ থাকলেও পরমাণু তেজস্ক্রিতার প্রভাবে ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত,পাকিস্তান তো বরবাদ হবেই সেই সাথে বিশ্বের ইকোনোমিও পঙ্গু হয়ে শুয়ে যাবে।
আহসান হাবীব,
অন্যের লেখাকে নিজের মন্তব্য বলে চালিয়ে দেওয়া অপরাধ বটে। নীচে বাবুরাম সাঁপুড়ে’র মন্তব্য দেখুন এবং আপনার নিজের পক্ষে কিছু বলবার থাকলে তা বলবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
বাবুরাম সাঁপুড়ে’র মন্তব্য এখানেও তুলে দেওয়া হচ্ছে: