ছবি: সিএনএন
ইসলামি স্টেট নামক ধর্মীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মতাদর্শে বিশ্বাসী ২৯ বছর বয়সী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, আফগান মা বাবার সন্তান ওমর সিদ্দিকী মতিন আজ ধর্ম শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত সমকামীদের প্রতি ঘৃণাকে অস্ত্র হাতে পরিণত করেছে এক অমানবিক, নৃশংস হত্যাযজ্ঞে। ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরতলীতে রাত দুইটায় সমপ্রেমীদের একটি ক্লাবে হামলা করে গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে সে হত্যা করেছে ৫০ জন মানুষকে। আহত হয়েছে পঞ্চাশের বেশি মানুষ। ছেলেটিকে ধার্মিক হতে উদ্বুদ্ধ করা মগজধোপা মা বাবা, ইসলাম ধর্ম কেউই এই ঘটনার দায় নেবে না। অকালে, অযথা, নিরীহ এই মানুষগুলোকে হারিয়ে তাদের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, কাছের মানুষেরা আজ যেই তীব্র বেদনার সম্মুখীন তার ভাগ নিতে মুক্তমনার পক্ষ থেকে পাশে দাঁড়ালাম আমরাও।
ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে পৃথিবীময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো আরেক গ্রুপ আল-কায়েদার বাংলাদেশ প্রতিনিধি আনসার বাংলাও নির্মমভাবে গত এপ্রিলে হত্যা করেছিলো সমপ্রেমীদের পত্রিকা রূপবান এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে। বিশ্বাসের ভাইরাসে আজ আক্রান্ত সারাবিশ্ব; ঢাকা থেকে অরল্যান্ডো।
অরল্যান্ডো হত্যাকান্ড নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
মুক্তমনার পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বর্তমান বিশ্বের অগ্রগতিতে প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলির ঘৃণাপূর্ণ বাণী যে প্রগতি, শান্তি, সহিষ্ণু পৃথিবী গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে যাচ্ছে কামনা করি আমরা সবাই তা অনুধাবনে করতে সক্ষম হবো।
Every human should hear the voice of his mind not voice of religion. Everybody think religion makes peace but actually it does not make peace.
এখানে ইংরেজি মন্তব্য দেয়া হয় না। বাংলা ব্লগে মন্তব্য বাংলায় লিখুন।
আমার যানা মেধা আমি মুক্তমনা তে প্রকাশ করতে চাই ।।
সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে যে হামলা কারী ওমর মতিনকে একাধিকবার ঐ নাইট ক্লাবে দেখা গেছে। এমন কি সে সমকামীদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ডেটিং এপও ব্যবহার করতো। তার স্ত্রীও তার যৌন পরিচয় নিয়ে সন্দিহান। এই জাতীয় চরম ধবংসাত্নক কাজে জড়ানোর পিছনে ধর্মীয় বিশ্বাসের একটা ভূমিকা থাকতে পারে তবে আত্নপরিচয়ের সংকটই প্রধান কারণ বলে মনে হচ্ছে। এই দিক দিয়ে দেখলে কেসটা বেশ ইউনিক এবং এ নিয়ে আরো বিস্তারিত সামাজিক মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনের প্রয়োজন আছে।
সন্ত্রাসবাদে শিক্ষিত এরা, এরাতো সন্ত্রাস ক্রবেই। এই সন্ত্রাসের জন্মদাতা আমেরিকা। এরাই লাদেনের মত মানুষকে আসুর বানিয়ে রাশিয়া ও ভারতকে শিক্ষা দিতে মধ্য এশিয়ায় ছেড়ে ছিল। সেটাই বুমেরাং হয়ে আজ নিজেদের কাঁধে পড়ছে। এইতো পরিহাস। আর নিরীহ জনসাধারণ মারা পড়ছে।
এসব দেশ ইসলামী সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে। ব্যাঙের ছাতার মতো মসজিদ মাদ্রাসা বানাতে দেয়। মসজিদ মাদ্রাসায় এসব শিক্ষাই তো দেয়া হয়। জার্মানি সুইডেন ইত্যাদি দেশগুলি সিরিয়া আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী মোসলমানদের ঢুকতে দিচ্ছে, তাদের সমস্ত দায় দায়িত্ব নিচ্ছে। আর বিনিময়ে এসকল মোসলমানরা তাদের আসল রূপ দেখিয়ে দিচ্ছে। যৌন হয়রানি করছে মেয়েদের, বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে নানা ভাবে। বিষ ও বিষাক্তের লালন পালন করার এইই-ই তো পুরস্কার হবে, তাই না?
মানুষকে ভালো বসতে না পারলে, মতের মিল না হলে মেরে ফেলতে হবে নাকি? এ কোন অসুস্থতা? পুরো পৃথিবীতে এত মতের মানুষ, এত ধরনের সংস্কৃতি, এত রূপের আচরণ; একটার সাথে অন্যটা না মিললে মেরে ফেলতে হবে নাকি? এ কেমন জীবন ভাবনা? আজকের নতুন মা বাবারা কি দায় দ্বায়িত্ব নেবে না মোটেও? বাচ্চারা বড় হলে না হয় তারাই ঠিক করে নেবে কোন ধর্মটর্ম ওদের দরকার কি না। কেন মিছে চাপিয়ে দেওয়া? কেন মেরে ফেলা? আর কত?
কি বলব , ভাষা খুজে পাচ্ছি না , শুধু বলব যে
কত মতবাদ কাকে দিই বাদ
অলক্ষ্যে দেখি সবই জল্লাদ
রুখো মৌলবাদ রুখে দাও জল্লাদ
রুখে দিতে ওদের যুদ্ধে যাবো ফের
——- মুক্ত চিন্তা বিপ্লব দীর্ঘ জীবী হোক , সবাইকে জানাই লাল সেলাম।