বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ড শামসুজ্জানাম খান প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাঁরা যেন এবারের বইমেলায় উস্কানিমূলক বই প্রকাশ না করেন। আর এতেই অনলাইনে শুরু হয়েগেল নাস্তিকদের লেখার ঝড়, প্রতিবাদের টর্নেডো। আরে বাপুরা, মহাপরিচালক সাব উস্কানিমূলক লেখা বইমেলায় প্রকাশ করতে মানা করেছেন জাতির স্বার্থে, মানবতার স্বার্থে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা রক্ষার স্বার্থে। এতে এত তুমুল প্রতিবাদের ঝড়-বাদল কেন? উস্কানি কি কোনো ভালো জিনিস হলো?
মহাপরিচালক সাব শামসুজ্জামান খান কী বলতে চেয়েছেন তা কি নাস্তিককুল একবারও বোঝার চেষ্টা করেছে? তিনি বলতে চেয়েছেন, যেসব বইতে উস্কানিমূলক কথাবার্তা লেখা আছে সেসব বই যেন বাংলার বুকে বইমেলায় আর প্রকাশ করা না হয়। যেমন কিছু কিছু বইতে লেখা আছে,
নারীরা ঋতুকালে নাপাক (২;২২২), স্ত্রীরা পুরুষদের শস্যক্ষেত্র (২;২২৩),
দুজন নারী একজন পুরুষের সমান সাক্ষীর ক্ষেত্রে (২;২৮২), পুরুষগণ, বিয়ে করো দুই তিন চার (৪;৩),
কন্যাসন্তানদের পুত্রসন্তানের অর্ধেক সম্পদ দাও (৪;১১),
কোন নারী ধর্ষিত হলে সেই ধর্ষণের দৃশ্য উপভোগ করেছে এমন চারজন পুরুষকে যোগাড় করো। তারপর ধর্ষণ প্রমাণিত হলে ধর্ষিতাকে আমৃত্যু কোনো ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখো। অর্থাৎ ধর্ষিতাকে মৃত্যুদণ্ড দাও (৪;১৮), অবাধ্যতার আশংকা দেখলে বৌদের শয্যা ত্যাগ করো, তারপর পিটাও (৪;৩৪)
কাজের মেয়েদের সম্ভোগ করো। ওরা তোমাদের জন্য হালাল (৪;২৪), (২৩;৫,৬), (৩৩;৫০), (৭০;২৯,৩০),
চোরের হাতগুলি কেটে ফেলে দাও (৫;৩৮), বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব করো না কখনো (৫;৫১,৫৫),
বিধর্মীদের হত্যা করো (৯;৫), কেউ প্রেম করলে তাদের ১০০ দোররা মারো (২৪;২) ইত্যাদি।
ইত্যাকার উস্কানিমূলক, ধ্বংসাত্মক, ভয়াবহ খারাপ কথায় পরিপূর্ণ বইগুলিই তিনি প্রকাশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রকাশকদের প্রতি। এটা তো ভালো কাজের আহ্বান! খারাপ কাজ বন্ধে আহ্বান! নাস্তিকরা এজন্য উনার বিরুদ্ধে খেয়ে-না খেয়ে, কোমর বেঁধে লেগে গেল কেন?
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আপনার পোস্ট বেশ সময়োপযোগী। পোস্ট অব্যাহত থাকুক।
উস্কানিমূলক লেখার উদাহরণ বেশ পছন্দ হয়েছে।
পরিবর্তনকামী প্রতিটা মুক্তমনা নাগরিককে একটা রাজনৈতিক প্লাটফর্মে এসে সমাজ বিশ্লেষণের সাথে সাথে অপরাপর অন্যান্য বিষয়ে কিভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে সম্পৃক্ত করা যায় সেটা ভাবার বিকল্প আছে কি ?
আসাধারন লাগল।।।।
ধন্যবাদ
মদিনা সনদ অনুযায়ী বাংলাস্তান চলছে উটের পিঠে করে। কতিপয় শামসু মাওলানার দোষ কিকরে দিই? ওরা তো কলের পুতুল।
এ লোকটা আসলেই একটা ভাড়, আর বয়েসের সাথে সাথে মস্তিস্কেরও ভীমরতি ধরেছে, আর এদের মত শিক্ষিত শ্রেণীর কারণেঅকারণেই পুরো জাতি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে, আর আফিম- ইয়াবার নেশায় বুদবুদ হয়েছে।
:rose:
কণ্ঠরোধের খেলাটাকে বাড়াবড়ি রকমভাবে দীর্ঘায়িত করা হচ্ছে, যারা করছেন তারা নিজেদের সর্বনাশই ডেকে আনছেন। এটা সাধারনত তখনই করা হয় যখন ক্ষমতাবানরা আর সময়ের সাথে ক্ষাপ খাইয়ে নিতে পারেনা, হয়তো মৃত্যুঘন্টা বেজে গেছে অচলায়তনের।
ক্ষমতাবানদের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নাই। সব সময় ক্ষতিগ্রস্ত আমরাই ওদের দ্বারা।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে শফি হুজুরকে নিয়োগ দিলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়।
শফি হুজুরের চেয়ে শামসু হুজুর কম কীসে?
এই লোকটা একটা ভাঁড়।
“উস্কানিমুলক বই”- এর কোন সংজ্ঞা দেয়নি। কোন লেখক-প্রকাশক কি চাপাতি হাতে কাউকে বাধ্য করছে যে, আমার উস্কানিমুলক বইটি কিনেন।
এই লোক যতদিন বংলা একাডেমিতে থাকবে-ততদিন লেখক প্রকাশকদের শান্তি নেই। তাকে আমার সেই মধ্যযুগের ইউরোপের কোন গীর্জার পাদ্রী পদে থাকা ফতোয়াবাজ বলে মনে হয়।
রাষ্ট্রপ্রধান যেখানে ফতোয়া দেন সেখানে তার নাচের পুতুলরা আর কী দেবে?