লেখকঃ অজ্ঞাত
একাত্তর-পূর্ব পাকিস্তান নামক দানব রাষ্ট্রের মিলিটারি শাহেনশাহ – হুজুরে আউয়ুব – আমাদের এক অদ্ভুধ রাজনৈতিক দর্শন দিয়েছিলেন | “মৌলিক গণতন্ত্র” নামী পাঁচ-স্তর বিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো দিয়ে হুজুরে আলা গনতন্ত্রের প্রথম খুতবা দিয়ে আমাদের মত হার্জির্জিরে, ভেতো বাঙালিকে তাক লাগিয়ে দিলেন ! আমরা দেখলাম হুজুরের কত বুদ্ধি (!)আর চকচকে বুটের (মিলিটারীজাত) কত শক্তি | হুজুরে আইয়ুবী গণতন্ত্রের মূল লক্ষ্য ছিল কিন্তু নষ্ট মিলিটারিকে ক্ষমতায় রাখা | শুধু তাই নয়, নষ্ট মিলিটারি যে আতরাফ আমজনতা, “ভ্রষ্ট রাজনীতিক”, এবং “হুজুর-তুষা আমলা” দের চেয়ে যে কত “শৌর্য” ও “বীর্যবান”, এবং অখন্ড পাকিস্তানের একমাত্র রক্ষাকর্তা, সেটি আমাদের উঠতে, বসতে, শুতে, বুঝিয়ে দিয়েছেন | সেসময়ের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলির ভেতর-বাইরের নাজুক দশা এর পক্ষে সাক্ষ্য দিবে | আইয়ুবী গণতন্ত্রের মূল মসলা ছিল ইসলামি-পাকিস্তানি-জাতীয়তাবাদের আড়ালে একমুঠ মিলিটারি-সর্বসেরা-তন্ত্র, একমুঠ পশ্চিমা গণতন্ত্র, আর দুইমুট মৌলবাদ এর মিশেল | কেন আইয়ুব হুজুর কয়েকমুঠ মৌলবাদ আনেননি তার ব্যাখ্যা আছে | মুশকিলটা হলো আইয়ুব হুজুরের মত মিলিটারি কর্তাদের ট্রেনিং হয়েছিল Sandhurst এ, যেটি ছিল ব্রিটিশ আর্মির অধীনে | ওখানে সেক্যুলার ধারার আর্মি ট্রেনিং এ হুজুরের মৌলবাদ খুব বেশি যুত করতে পারেনি | কিন্তু আলিগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের প্রথম আনুষ্ঠানিক শিক্ষা আর খাইবারের সংস্কৃতিতে বড় হওয়ার প্রভাব তো আর হুজুর অস্বীকার করতে পারবেন না | তাছাড়া পাকিস্তান নামক ভ্রষ্ট রাষ্ট্র এবং এর ইসলামী রাজনীতির জনকদের তুষ্ট করা হুজুরে আইয়ুবের ঈমানী দায়িত্ব ছিলনা? তাই যখনি দেখলেন ইসলামকে রাজনীতিক ব্যাবহারে নগদ প্রাপ্তি অনেক, এবং কোনো ঝুঁকি নাই (কেননা পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ধর্মের খোড়া যুক্তির উপর পত্তন হয়েছিল এবং ধর্মকে ব্যাবহার না করা নাজায়েজের সামিল ছিল), হুজুর ধর্ম ব্যাবহারে হামলে পড়লেন |
আইয়ুবী গণতন্ত্রের ধামাধরা, শিরনি-ভোগী করা ছিল? তারাই, যারা হিন্দু “বাবুদের” কলকাতামুখী-মুক্তকচ্ছ-দৌড়ে ফেলে যাওয়া ভূ-সম্পত্তি দখল করে “ইসলামী বাবু” হওয়ার চেষ্টা করছিল | এদের রাজনৈতিক চরিত্রে ইসলাম কতটুকু দাগ ফেলেছিল সে নিয়ে তর্ক হতে পারে | কেননা আমরা দেখি এরা অনেকে সরাসরি ইসলামী তরিকার ছিল না এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আশ্রয়ে ছিল | অনেকে আমজনতার আড়ালে লুকিয়ে ছিল। কিন্তু শ্রেণী চরিত্রে এরা ইসলামের ব্যাবহারে নগদ-প্রাপ্তির বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ সজাগ এবং সতর্ক | পাঠক লক্ষ্য করুন, ব্যাক্তিগত ধর্মচর্চা ও ধর্মের রাজনৈতিক ব্যাবহার-প্রসূত-ব্যাক্তিগতলাভ-চর্চা দুটি ভিন্ন বিষয় | আমরা এখানে দ্বিতীয় বিষয়টিতে আলোকপাত করছি | যাই হোক, এরাই হুজুরে আইয়ুবের কালে সামরিক পদলেহন ও ধর্ম ব্যাবহারে নগদ প্রাপ্তির বিষয়ে অভিজ্ঞ হয় এবং তাদের রাজনৈতিক চরিত্র ক্রমশ প্রকাশ হয় | এরাই রবীন্দ্রনাথ যে হিন্দু কবি এবং “তাদের” (হিন্দুদের) এবং নজরুল যে মুসলমানদের কবি এবং “আমদের”(মুসলমানদের)তা নিয়ে আলোচনায় গড়গড়ায় সজোরে টান দিয়ে তার চেয়ে নিচু শ্রেনীর (আতরাফ কৃষক)মানুষকে বুঝানোর চেষ্টায় জান পহেচান করে দিয়েছিল | বাংগালি জাতিয়তা বিরোধী এদেরকে আমরা বলতে পারি অপক্ক/অর্ধ-পক্ক মৌলবাদী গুষ্ঠি| এদের কার কারও লালসালুর “মজিদায়ন” হয়েছিল, তার বেশি নয় | কেউ কেউ ছিল কাচা, এবং কেউ কেউ ছিল অর্ধ-পাকা । এদের অনেকেই পরে বাংলাদেশের নষ্ট মিলিটারিতন্ত্রের ঔরেশে গোঁড়া মৌলবাদী হয়েছে |
ভারত বিভাজনে রোপিত, পাকিস্তানের রাষ্ট্রকাঠামোর লালনে অঙ্কুরিত, এবং হুজুরে আইয়ুব ও হুজুরে ইয়াহিয়ার পরিচর্যায় অপক্ক-অর্ধপক্ক মৌলবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তিন ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে | একটা অংশ, মূলত আমলা-মুত্সুদ্ধিরা, পাকিস্তানের নিরব সমর্থক থেকেছে | পাকিস্তান রাষ্ট্র ভেঙ্গে বিজাতীয় “হিন্দু-নিয়ন্ত্রিত” ভারতের সহয়তায় বাংলাদেশের অভ্যুদয় এদের কাছে ক্রুসেড-উন্মুখ খ্রীষ্টান মৌলবাদীদের জেরুজালেম জয়ের মতোই বজ্রাঘাত ছিল | কিন্তু এরা বাইরে কোনো প্রকাশ দেখায়নি কেননা সারাদেশ তখন মুক্তিযুদ্ধ জ্বরে কাঁপছে | ঘরোয়া আড্ডায় কিংবা যেখানে নিরাপদ, সেখানে বাংলাদেশ হলে মসজিদে মসজিদে যে ঊলূধনি বয়ে যাবে, “বাবুরা” এসে আমাদের সবকিছু দখল করবে, সেটা নিয়ে তাদের মাতম ছিল আশুরার মতোই তীব্র | এই বর্ণচোরা মৌলবাদী গোষ্ঠী মনস্তাত্বিক ভাবে বাংলাদেশ কখনো মেনে নেয়নি কিন্তু তাদের শ্রেণী অবস্থানের ফলে বাংলাদেশের প্রকাশ্য বিরোধিতা করার সাহস পায়নি | কিন্তু এরা পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার শোক ভুলতে পারেনি কোনদিন | আমরা দেখেছি, শোক-মত্ত এরা পাকিস্তানের নস্টালজিয়া টেনে আনে একধরনের আত্মপ্রসাদ লাভ করত | যেমন বাংলাদেশের অনেক আমলাদের কাছে শোনা যেত সি এস পি (পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস) কর্মকর্তা ভজন | সি এস পি কর্মকর্তারা যে জ্ঞানে, গুনে, শিক্ষায়, বিচক্ষনতা, প্রশাসনিক দক্ষতায় ভুবনসেরা এবং তিনারা (আমাদের আমলারা)যে সে তুলনায় চুনোপুটি, তা জপতে জপতে গলা শুকিয়ে ফেলত | আমরা আরো দেখেছি, এই ভাবনার প্রান্তিক প্রকাশ গ্রামে গঞ্জের অপক্ক মৌলবাদীর হা-পিত্তেশে -“পাকিস্তান আমলে জিনিস পত্রও পানির মত সস্তা ছিল” ; “আইয়ুব খান ব্যাডাডার মত (পৌরষ বোঝাতে) মত দেখতে ছিল”! মূলত, শ্রেণীচরিত্রে এরা ছিল ভীতু, স্বার্থপর, এবং পর-চোষা | ধর্মকে ব্যাবহারে, গোপনে মৌলবাদী, কিন্তু প্রকাশ্যে ছিল “নিরপেক্ষতার অবতার”!
অপক্ক-অর্ধপক্ক মৌলবাদীরা দ্বিতীয় অংশটি ছিল প্রান্তিক অপরিপক্ক মৌলবাদী | এরা মূলত গ্রাম সমাজে পাকিস্তানপন্থী পালের গোদাটার গড়গড়াতে হাওয়া দিত, কর্তার হয়ে গেলে শেষ টানটা দিতে পারবে এই আশায় | এদের ধর্ম-জ্ঞান ছিল সামান্য, ধর্ম চর্চার বালাই ছিল না, কিন্তু কর্তা যে ধর্মের অধর্মায়নের নগদভোগী সে জ্ঞান ছিল টনটনে| মূলত এরা ছিল শহিদুল্লা কায়সারের সংশপ্তক এর রমজান চরিত্র | এরা ধর্ম ব্যাবহার করে বস্তুস্বার্থ অর্জন করতে চাইত, কিন্তু রাস্তা খুঁজে পেত না কেননা কর্তা সেই রাস্তাটা আগলে বসে ছিলেন | মুক্তিযুদ্ধে এরা প্রান্তিক এবং “ঘোড়ামারা রাজাকার” ছিল(!)(পাঠক, একটা সত্যি গল্প হচ্ছে যে নেত্রকোনায় মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিজ পাহারারত এক রাজাকার বন্দুক দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি করতে গিয়ে বেদিশ হয়ে, মাঠে চরতে থাকা একটা ঘোড়া মেরে ফেলেছিল! কিন্তু উৎকট সত্য হচ্ছে যে এই গল্প তাদের দক্ষতা এবং শ্রেণী-চরিত্রের উদাহরণ দেয়)| তাদের কেও কেও ঘোড়া না মেরে সাধারণ মানুষ মেরে পরবর্তিতে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল এবং রেডিক্যাল মৌলবাদিতে পরিনত হয়েছিল | এমন একটা উদাহরণ হচ্ছে মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লা |
অপক্ক-অর্ধপক্ক মৌলবাদের তৃতীয় অংশটি ছিল সবেচেয়ে সুসংবদ্ধ, হিংস্র, এবং প্রতিক্রিয়াশীল | এরা ভ্রষ্ট পাকিস্তানের ইসলামী গুরু, হুজুরে আলা, কুল শিরোমনি, মউদুদীর অসহিবাদে আসক্ত হয়ে তখনি মোটামুটি সেমি-পক্ক মৌলবাদিতে পরিনত হয়েছিল | পাঠক, মউদুদী কিন্তু প্রথমে ইসলামের রাজনীতিকরণে(Politcization of Islam) এ বেশি আগ্রহী ছিল না | সে রাজনীতিতে তখনও বেশি যুতও করতে পারেনি | কিন্তু গবেষকেরা বলেন হায়েদ্রাবাদে এবং ভারতে secularism এর প্রভাব এবং মুসলিম নারীদের পর্দা ভেঙ্গে বেরিয়ে আসাতে হুজুরের শিরপীড়া চাগিয়ে উঠেছিল | আলা হুজুর মুসলমানদের খিলাফিতিয় এবং ততপরবর্তী প্রাগ্রসর সভ্যতারতথা ইসলামী রিভাইবেলের স্বপ্ন দেখতেন (এটি কিন্তু দুষের না, মানব সভ্যতার ইতিহাসে ইসলামের অবদান অনেক টুকু, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে পথে তারা যেতে চান সেটি বর্তমান সময়ের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ নয় | তাছাড়া পলিটিকাল ইসলামের ব্যাখ্যা নিয়ে হুজুররা নিজেদের মাঝে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিতে কসুর করেন না) | পরবর্তিতে, আলা হুজুরের দিল-পেরেশানিতে এবং বিবাহ-উত্তর বিবির সম্পত্তি প্রাপ্তি তার রাজনৈতিক স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে গেল | তরিকার পর তরিকা দিয়ে তিনি নিজের কট্টর-পন্থার বিশদ বয়ান করলেন | আলা হুজুরের ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিতে তিনি ছিলেন না-আপোষকামী | দলের নেতাদের তাড়িয়ে তিনি নিজে হয়ে যান dictator | কিন্তু কাজের কাজ করলেন “আহমেদিবাদিদের অমুসলিম ঘোসনা করে”!(চিন্তা করুন মুর্খতার সীমা !)| যাই হোক, আমরা দেখলাম সেসময়ে আলা হুজুরের বশংবদ একটা গুষ্ঠি আমাদের বাংলায় মোটামুটি জেকে বসেছিল | বাঙালির জাতীয়তবাদের আগুনে এদের ইসলামী জোশ, এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা দমে যায় | কিন্তু যখনি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বাঙালি ঝাপিয়ে পড়ল, তখনি হুজুরে ইয়াহিয়ার পদতলে লুটিয়ে জিহাদি-জঙ্গের উন্মাদনায় এই মউদুদিগুষ্ঠি “হিন্দু-ভারতের উস্কানিতে-জন্মনেয়া-নাসারা-মুক্তিযোদ্ধাদের” রাজনৈতিক এবং সামরিকভাবে কতলের যোশে দিল পহেচান করে দিল | পাঠক, এদের আপনারা চেনেন । এরা ছিল (এবং আছে) আমাদের “গো-আজম এন্ড গং” এবং জমিয়তে ইসলামী নামক জিহাদি-Frankenstein |
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল নতুন স্বপ্নের, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল নবীনের, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল লালন-জালাল সহ মিলিয়ন বাউলের সেক্যুলার ভূমি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন | আমদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল নতুন আলোর, যা আমাদের প্রতিজ্ঞা করিয়েছিল যে জাত-ভেদের কাঠিন্য, আমরার-তোমরার আলাদকরন আর জাতি গঠনে বাধা হবে না | আমদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল pluralism যার মাধ্যমে হিন্দুর পূজায় মুসলমানের, আর মুসলমানের ঈদে হিন্দুর আনন্দ অবগাহনের শত বছরের চলে আসা অংশগ্রহনের সমতা-ভিত্তিক পুনর্বিন্যাস হবে | আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, আদিবাসীদের রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক অংশগ্রহনের নিশ্চয়তায় জনমনের অঙ্গীকারের প্রকাশ | আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল ৪৭-৭১ পর্যন্ত ইসলামী মৌলবাদের, আর মৌলবাদীদের প্রতি অনাস্থার, ঘৃণার রাজনৈতিক এবং সামজিক মেনিফেস্টোর মানবীয় প্রকাশ | এই অমিত শক্তির চেতনা আর প্রতিরোধে ১৯৭১ এ মৌলবাদের বীজ এবং এর হেফাজতকারী অপক্ক-অর্ধপক্ক মৌলবাদীরা শুকিয়ে গিয়েছিল, তাদের রাজনৈতিক চেতনার সাময়িক বিনাশ হয়েছিল | তারা পথ-সারমেয়ের মত লেজটাকে গুটিয়ে নিয়ে আড়ালে আবডালে হা-পিত্তেশ করছিল | তারা আবার হায়েনার হাসি হাসে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু-পরবর্তী নষ্ট সামরিকতন্ত্রের উত্থানে|
সে গল্প না হয় আরেকদিন |
[পাঠক: পূর্বের অংশে বানান বিভ্রাটসহ অন্যান্ন ভুল ক্ষমার্হ | এটি এই অকিঞ্চিতের বাংলা টাইপিং এ অদক্ষতার প্রকাশ | আর গত পর্বের শিরোনাম হবে: “মৌলবাদী (ইসলামি) বিষবৃক্ষের স্বরূপ সন্ধানঃ পাকিস্তান পর্ব” – “পাকিস্তানি পর্ব নয় “]
এবারের লেখা মৌলবাদ বিরোধী সকল কলম সৈনিককে উৎসর্গিত ।
যতোই দিন যাচ্ছে আমরা বাঙ্গালীরা ততোই পাকিস্তানী ধ্যান ধারনার ধারক ও বাহক হয়ে যাচ্ছি। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা মানুষও গ্রামের অল্প শিক্ষিত হুজুরের পাকিস্তানপ্রেমী বয়ানে উম্মাদ হয়ে যায়। সত্য মিথ্যা যাচাই করার তোয়াক্কা করেনা অনেকেই। আর এগুলোই আমাকে খুব বেশী ভাবিয়ে তোলে।