কালিয়াচকের দাঙ্গার এত ছবি-এত আস্ফালন চারিদিকে-এই প্রবন্ধটা লিখতে বাধ্য হলাম।
মালদহের ওই দাঙ্গা নিয়ে লিখছি না। লিখছি-কিশোর বয়সে নদীয়া মুর্শিদাবাদ বর্ডারে দাঙ্গার অভিজ্ঞতা নিয়ে। কারন এই পরজীবি কোলকাতাবাসীদের ন্যাকামো আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
সেটা বোধ হয় ১৯৮৬ বা ৮৭। আমি ক্লাস সেভেন এইটে পড়ি।
আমার বাড়ি ছিল করিমপুরে। এটা বর্ডার এরিয়ার স্মাগলিং টাউন। তুলো চিনি প্রতিদিন পাচার হত বাংলাদেশে। মুসলমানরা বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে মাল-এপার -ওপার করে । হিন্দুরা তাদের বিজনেসে টাকা খাটায়। এমনিতে স্মাগলাররা ভাই ভাই। কিন্ত বাটোয়ারা নিয়ে বাওয়াল হলে দুচার পিস লাশ থানায় ঢোকে।
এইভাবে এক হিন্দু ব্যবসায়ীর লাশ ফেলল একদিন। মোস্ট লাইকলি লোকটা স্মাগলিং এ টাকা খাটাত-আমাদের করিমপুরের খরে নদী পেরিয়েই মুর্শিদাবাদ। সেখানে ১০০% মুসলিমদের বাস। লোকটার বোধ হয় টাকা মার গেছিল-সে আদায় করতে গিয়ে ঝগড়া বা কিছু একটা গন্ডোগল হয়-এবং কিছুদিন বাদে বক্সীপুরের গ্রামগুলো থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার । ফলে প্রাথমিক ভাবে একটা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা কিছুদিন ধরে শহরে চলছিল। এদিকে করিমপুর শহরে যারা দিন মজুর, বিজনেসে ডেইলি লেবার-তারা সবাই মুসলমান এবং আসে ওপার থেকেই। করিমপুর শহরে আবার একটাও মুসলিম নেই। আমাদের সময় তিন হাজার দোকান ছিল-একটা মুসলমানের দোকান ও দেখি নি। ফলে শহরের মধ্যে মুসলিম লেবাররা ছিল ভালনারেবল। এই উত্তেজনা চলার তিন দিনের মাথায়-করিমপুর শহরে কোথাও জনাচারেক মুসলিম লেবারকে পেটানো হয়-ওই খুনের প্রতিশোধ হিসাবে। ওই সময় ওখানে আর এস এস বা হিন্দুদের কোন সংগঠন ছিল না।
সেই চারটে লোক কোন রকমে নদী পেরিয়ে পালিয়ে যায় প্রাণে বেঁচে। বাকী লেবারাও সেদিন পালিয়েছিল। কিন্ত পরের দিন পুরো উত্তেজনা হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার রূপ নেয়।
এদিকে আমাদের বাড়ি হচ্ছে নদীর ধারে। যেদিন প্রচুর গন্ডোগল হচ্ছে-বাড়ির তিনতালার ছাদের উঠে দেখি-যদ্দুর চোখ যায় নদী পেরিয়ে পাটক্ষেত্রে শুধু লোক আর লোক -লাঠি, হেঁসো নিয়ে নদীর ওপারে দাঁড়িয়। আমার ধারনা অন্তত দশ হাজার লোক লাঠি আর হেঁসো নিয়ে ওপারে আস্ফালন করছে। এপারে দুই জীপ পুলিশ। বলা বাহুল্য লোকগুলো নদী পার করা শুরু করলে-ওই কটা পুলিশে কিছু হত না। আমাদের পালাতে হত। বাড়ি পুড়ত। না পালালে, আমাদের লাশ পড়ত। আমি সাধারনত ভয় পাওয়ার পাবলিক না। তবে সেদিন বেদম ভয় পেয়েছিলাম। কারন নদীর ধারে বাড়ি হওয়াতে প্রথম কোপটা আমাদের বাড়ির ওপরেই আসত।
তবে সেই দাঙ্গা থামে সিপিএমের হস্তক্ষেপে। ততক্ষনে এপার আর ওপারের বিধায়করা এসে গেছেন। ডোমকল আর করিমপুরের বিধায়ক সিপিএম হওয়াতে লাভ হয় এই যে উনারা পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপরে অবশ্য এমন বাজে অবস্থা কোনদিন হয় নি। পার্টি ম্যানেজ করত দুই সাইড।
কিন্ত টেনশন ছিল পাক্কা একবছর । বাবার স্কুল ছিল মুর্শিদাবাদে-বাড়ি থেকে তিন মাইল দূরে । কিন্ত সাইকেলে যেতে হত মুসলিম অধ্যুশিত গ্রাম পেরিয়ে। এইপার থেকে তিনজন হিন্দু শিক্ষক যেতেন। তাদের লাশ হওয়ার সম্ভাবনা তখন প্রবল। সেই জন্যে বাবারা ১০ মাইল ঘুরে যেতেন স্কুলে। প্রায় একবছর । সব থেকে দুর্ভাগ্য-বাবা ওই জোনেই পার্টি করেছেন সিপিএমের জন্মদিন থেকে। কিন্ত বাবার সিপিএম বন্ধুরাই পরামর্শ দিয়েছিল ঘুরে যেতে। কারন একজন বদলোকই লাশ ফেলার জন্য যথেষ্ঠ। আবার প্রায় একমাস ধরে ওপার থেকে মুসলিম লেবারদের এপারে আসা বন্ধ ছিল। যা আস্তে আস্তে খোলে।
না। এসব ঘটনা কোনদিন কোন পেপারে আসে নি। সেকালে ফেসবুকও ছিল না।
তবে ওই দশ হাজার লোক লাঠি আর দা নিয়ে কোপাতে আসছে-সেই দৃশ্য ভুলবো না। সেই জন্য আমার কাছে দাঙ্গা বাস্তব-ভীষন রকমের বাস্তব।
কোলকাতার বাবুরা বা বুদ্ধিজীবিরা চিরকাল পরজীবি। তারা বামপন্থী? এগুলো ভুল্ভাল ধারনা। বৃটিশ আমলে তারা ছিল বৃটিশ অনুগ্রহের দাস। ১৯৭৭ সালে সিপিএম যখন জেতে গোটা রাজ্যে-কোলকাতায় সিপিএমের ফল ভাল হয় নি। কোলকাতা আস্তে আস্তে বাম হয়েছে যখন বামেরা ক্ষমতায় গিয়ে, অনুগ্রহ বিতরন শুরু করেছে। কোলকাতার বুদ্ধিজীবিরা শ্রেফ পাওয়ার আশাতে বাম ছিল। এখন পাওয়ার আশাতে মমোপন্থী। যেদিন বিজেপি আসবে ক্ষমতায়-কোলকাতার সংখ্যাগরিষ্ঠ বুদ্ধিজীবির আলখাল্লার রঙ গেরুয়া হবে। এখন যারা ” এই ইসলামফোবিয়া ভালো নয়” বলছেন ( ওই শান্তিনিকেতনী স্টাইলে এই গরু সরে যা না )-বিজেপি ক্ষমতায় এলে, তারাই দেখবেন বলছে-বাট আপনারা কি দেখতে পারছেন না শান্তির ধর্মের লোকেদের উৎপাত?
তাই এইসব কলকাতাবাসী বুদ্ধিজীবি পরচুলাগুলোকে ফেলে দিতে হবে সামনের দিকে তাকাতে গেলে। মোদ্দা কথা হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সমস্যা আছে স্বীকার করতে হবে। মুসলিম প্রধান এলাকাতে হিন্দুদের বাস করা অসম্ভব এবং হিন্দু প্রধান এলাকাতে মুসলিমদের ঘর ভাড়া দেওয়া হয় না-এগুলো করুন বাস্তব। সিপিএমের ৩৪ বছরে সাম্প্রদায়িকতা চাপা দেওয়া হয়েছিল । কমে নি। কারন ধর্মের ভিত্তিতে আঘাত হানতে ভয় পেতেন কমরেডরা । পাছে ভোটাটা হারন। এখন অবশ্য আম এবং ছালা-দুটোই হারিয়েছেন তারা।
ধর্মকে আঘাত না করতে পারলে কিছু হবে না। ইসলাম আরবদের ট্রাইবাল কালচার-আবার হিন্দু ধর্মের অতীত ও সেই ট্রাইবাল কালচার। ইসলাম ভাল মানলে, ইসলামের প্রফেটের লুঠতরাজ , ৮০ টি যুদ্ধ, যৌনদাসী রাখা-সব কিছুই ভাল হয়ে যায়। মানছি সেকালে ওগুলো ছিল আরবের প্রথা। কিন্ত একালের মুসলমানেরা যে সেই আদিম আরব সমাজের আইনে বিশ্বাস রাখে এটাও ত বাস্তব! যে ধর্মের নবীই ৮০টা যুদ্ধ করেছেন বিধর্মীদের বিরুদ্ধে, সেই ধর্মের লোকেরা অস্ত্র ধরবে না? ইয়ার্কি নাকি? ঠিক তেমন হিন্দু ধর্ম ভাল-এটা মানলে জাতপাতের অত্যাচার সহ আরো অনেক মনুবাদি সংস্কারকে ভাল বলে মানতে হয়। এবং এই যে লোকে এত বেদ বেদ করে। কোন হিন্দু ঋক বেদ পড়ে নি। ঋক বেদের অনেক ছত্রেই আর্য্যদের উস্কে দেওয়া হয়েছে অনার্য্যদের ওপরে লুঠপাট করার জন্য। দুই ধর্মের ভিত্তিতেই যেখানে দাঙ্গা, যুদ্ধ, হিংসা-সেখানে তারা পাশাপাশি থাকলে দাঙ্গাত হবেই। দুই ধর্মেই দাঙ্গা লাগানোতে এলাহি সমর্থন আছে। থামাবেন কি করে? এই ধরনের গোঁজামিল দিয়ে হিন্দু মুসলমানের ঐক্য হবে না।
বৈদিক হিন্দু ধর্ম এবং ইসলাম-এই দুটোই বাঙালীর জীবনে, বহিরাগত। বাঙালীরা যেদিন বুঝবে, তাদের পূর্বপুরুষদের একটা উন্নত ধর্ম ছিল-যা বৈদিক বা ইসলাম না। যা আউল বাউলে গানে মুখরিত করত বাংলার মাঠ, ঘাট, নদী-সেই সহজিয়া ধর্মের স্বাদ যেদিন প্রতিটা বাঙালী পাবে-অনুভব করবে, তারা হিন্দু বা মুসলমান না-গর্বিত বাঙালী-সেইদিন সাম্প্রদায়িকতার ভূত এই সমাজ থেকে নামবে। স্পেডকে স্পেড বলা শিখতে হবে। সিপিএমের ৩৪ বছরের ব্যর্থতা থেকে কবে শিখব আমরা? সাম্প্রদায়িকতা দূর করার একটাই রাস্তা-হিন্দুত্ব, ইসলামিৎ ছেড়ে শুধু ভাষাতে না-জীবন দর্শনেও বাঙালী হতে হবে।
@যুক্তিবাদী
আপনার এই ধারণা খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাস সমর্থন করে না। মধ্যযুগে খৃষ্টান ধর্ম অনেক অমানবিক কাজ করেছে, এবং তা হয়েছে খৃষ্টান ধর্মের পোপের মাধ্যমেই। মধ্যযুগে চার্চ অনেক বিজ্ঞানী বা মনীষীকে হত্যা এবং নির্যাতন করেছে। যেমন ব্রুনোকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা, গ্যালিলিওকে বন্দি করা। বর্তমানেও চার্চ কলুষিত শিশুকামিতার দূষণে। এছাড়াও রয়েছে ডাইনী হত্যা। মধ্যযুগে লাখ লাখ নিরপরাধ নারীকে হত্যা করা হয়েছে ডাইনী অপবাদ দিয়ে। এমনকি যেসব মহিলা প্রসবকালীন যন্ত্রণা কমিয়ে বাচ্চা প্রসব করাত তাদের খৃষ্টান ধর্মের পুরুহিতরা শাস্তি দিতেন। তাদের মতে এটা ঈশ্বর বিরোধী কাজ। ঈশ্বর নারীদের শাস্তি হিশেবে প্রসবকালীন যন্ত্রণা দিয়েছেন। এগুলো কোন মতেই সভ্য ধর্মের লক্ষন হতে পারে না।
শুধু খৃষ্টান ধর্মই না, ধর্ম মাত্রই আপনি প্রেম বিষয়ক বাণী পাবেন। কোন ধর্ম কি বলে প্রেম নিকৃষ্ট? বৌদ্ধ ধর্মের অন্যতম মূল বাণী, জীব হত্যা মহাপাপ। এই কথায় কি জীব প্রেমের প্রকাশ নেই? সব ধর্মেই ঈশ্বর এবং জীবপ্রেম সংক্রান্ত বাণী রয়েছে। শুধুমাত্র খৃষ্টান ধর্মে নয়।
নাস্তিকরা অনুমান করে যে পরলোক নেই। অনুমান একটা প্রমান। তার মানে কি পরলোক নেই এটা প্রমানিত? আশা করি আপনার যুক্তির দুর্বলতাটা বুঝতে পেরেছেন।
এই যুক্তিটিও খুব দুর্বল। পরলোক যে আছে সেটা কি করে জানা গেল? কেউ কি মরে গিয়ে দেখেছে যে পরলোক নেই? আর কেউ যদি দেখেও থাকে তাহলে আমরা জানলাম কি করে?
পরলোক যে আছে এর জোরাল প্রমাণ কি কি? আর জোরাল প্রমাণ যদি থাকে তাহলে আপনি কেন বললেন যে আস্তিকরা অনুমান করে পরলোক আছে? যার জোরাল প্রমাণ রয়েছে তাকে কেউ কি অনুমান করে? আমরা কি বলি যে সূর্যের অস্তিত্বে আমরা অনুমান করি?
এই ভারতবর্ষে মুসলমানরাই তো এসে আক্রমণ করেছে। হিন্দুরা তো আরবে আক্রমণ করতে যায়নি। তাহলে????
আপনার লেখা আমার ভালো লাগে। সমস্যা হলো আপনিও প্রায়শই ব্যালান্সিং লেখা লিখেন। আপনি যদি পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দিতেন কল্কতায় কটা দাঙ্গা হয়েছে এবং কোন পক্ষ প্রথম উস্কানি দিয়েছে তাহলে ভালো হত।
পৃথিবীতে অশান্তির কারণ যেমন যুদ্ধ, শান্তির কারণও যুদ্ধ। আধুনিক যুগে যুদ্ধ কাম্য নয় এবং কোন সমাধানও নয়। কিন্তু আপনারা যেটা ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন তাহল জ্ঞানের মাধ্যমে ইসলাম কে পরাজিত করা। এইটা বর্তমান যুগে অসম্ভব। অথচ এটা ছাড়া উপায়ও নেই। কিন্তু এটা করতে গেলে যে ঈমান্দার লোকেরা খালি মুখে কথা বলবে না তা তো নিশ্চিত। সেজন্য সংঘর্ষ আসন্ন এবং তা হোয়া উচিত। অফটপিক যাবার জন্য দুঃখিত।
ভাই,আপনার কথার সাথে আমি একমত।দারুন বলেছেন।
পড়লাম আপনার লেখা। আমরা এমন এক জামানায় বাস করছি যে মৌলবাদ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। একদিকে ধর্মীয় মৌলবাদ অন্যদিকে আধুনিক কুসংস্কার (কলেজে র্যাগিং, হোস্টেলে নোংরামি , আধুনিকতার নামে বেল্লেপানা , নির্লজ্জতা ইত্যাদি)। তা কেউ ধোয়া তুলসিপাতা নয় মেনে নিতে হবে। তাই একটা সহজ উপায় আছে , যদি সবাই মানতে পারেন। হিন্দু হিন্দুই থাক , মুসলিম মুসলিম ই থাক , খ্রিস্টান খ্রিস্টানই থাক আর নাস্তিক নাস্তিক ই থাক,
সবাই ভাল মানুষ হওয়া অভ্যাস করুক প্রতিদিন। আশা করি অনেক উপশম পাওয়া যাবে।
মহাশয় কি মৌলবাদের দোহাই দিয়ে পিছন ফিরে যেতে চান; এটা ক্ম্য নয়। আপনি কি মনবধর্মের উপর বিশ্বাসী নন? আপনি কি ঐসব ধর্মগুলির উপর নির্ভর করে চলবেন? যা বর্তমান যুগের উপযোগী কি? হাজার হাজার বছ্র আগের ধ্রমকে বাদ দিতে পারবেন না? ধর্ম রক্তে কনায় কনায় এমন ভাবে মিশে গেছে যে, তাকে ছাড়া বা ভুলা সম্ভব নয়। তারপ্রে ও বলবো, নিজ ধর্ম পালন করে অন্যদের ও সুস্থভাবে বাঁচ তে দিন। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। তারা যেন কন ধর্মের মানুষকে তোষামোদ না করে এবং ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলে।
ও দাদা , আমি পিছনে ফিরে যেতে বলছি না। বলছি সবাই ভাল মানুষ হন, মানে আমরা সবাই, এটা ধিরে ধিরে করলে হ্য় না কি , যার যেমন সামর্থ্য। আর আধুনিকতার কুসংস্কার (যেগুলো নিয়ে কথা বলাই হয় না) কলেজে কলেজে র্যাগিং , যা একটি ছাত্র বা ছাত্রীর জীবন শেষ করে দেয়,
তারপর পরিবেশ দূষণ, কর্পোরেট দুর্নীতি, চিটফান্ড কেলেঙ্কারি এগুলো কি খুব সমর্থন যোগ্য ? কুসংস্কার সেটা ধর্মের হোক বা আধুনিকতার , বর্জন করা কি মুক্তমনার কর্তব্য নয়? আমি চাই মানবধর্ম নিয়ে বাঁচতে (সবাই চায়) , কিন্তু সেটা তো একদিনে হবে না , step by step সকলে মিলেই করতে হবে। আমি এটাই সহজ ভাবে বলছিলাম। হাজার বছরের প্রাচিন ব্যাপার আজকে টেকে না সেটা আমি মানি।
আর একটা সাহায্য চাই , মুক্তমনায় আমি লেখা পাঠাতে চাই , কিভাবে পাঠাবো কেউ জানাবেন কি ?
উপরের মেনুর ডান দিকে সহায়িকা ট্যাবে লেখা পাঠানোর নিয়ম দেয়া আছে।
থ্যাঙ্কস , আমি শিগগিরি লেখা পাঠাবো।
মহাশয়কে আমার অনুরোধ, একটা বিষয়ের মধ্যে আন্য বিষয় এনে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। হিন্দু-মুস্লমানের দাঙ্গার সাথে আপনি কলেজ রিগিং, কর্পোরেট দুর্নীতি ও চিটফান্ড বিষয় এনে বিষয় টাকে অন্য মাত্রা দিয়েছেন, যা ঠিক নয় বলে মনে করি। আপনার কথা ও ঠিক এর দিকে ও সঠিক নজর দেওয়া উচিত, একে অবহেলা করা যায়না। এতে সমাজের ক্ষয় মাত্রা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এর উপর সরকারের নজর তীক্ষ্ণ ভাবে থাকা উচিত। কিন্তু হিন্দু-মুস্লমানের দাঙ্গা এর থেকে আলাদা। এজন্য একটা দেশ ও একটা জাতি শেষ হতে যাচ্ছে। আমার বক্তব্য এখানে যে, এখনই একে দমন করা উচিত। আমাদের একটাই পরিচয় হবে, আমরা বাঙালী, এখানে ধর্ম গৌন হওয়া দরকার। আমরা আর্য্য বা ইসলাম আগ্মনের পূর্বে যা ছিলাম, তাতেই আমাদের স্মবৃদ্ধি হবে।
আপনার কথা আমার ভাল লেগেছে, আমার উদ্দেশ্যটা কি সেটা বোঝাতে চাইছি, সাইট টার নাম যখন মুক্ত মনা তখন সব ব্যাপারেই কথা হোক , সে যে দুর্নীতি হোক না কেন , কিন্তু এত লেখায় আমি কোন এমন যায়গা পেলাম না যেখানে আধুনিক কুস্নকার এর বিরুদ্ধে কিছু আছে , যাকগে বাদ দিন। আপনার কথা আমার ভাল লেগেছে আলী আসমান মহাশয় , আমারা আমাদের capacity অনুযায়ী সমাজ কে মুক্ত মনা করবার চেষ্টা চালিয়ে যাই। একটা কথাই তো আছে “জীবে প্রেম করে জেই জন সেই জন সেবীছে ইশ্বর”। আপনার কথা ভাল লাগল, এইবার এক বাঙালি সমাজ বানাবার জন্য আমরা উঠে পড়ে লাগি যেখানে সব বাঙ্গালি এক হোক। আপনি বাঙালি আমিও বাঙালি , সব বাঙালি এক হোক ।
সাম্প্রতিক কালিয়াচকের যে হিন্দু-মুস্লমানের যে দাঙ্গা হয়ে গেল, সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় যে, কিছু মৌলবাদীরা ধর্মের নামে বেশ কিছু মানুষ্কে উস্কে ও সংঘটিত করে নিজেদের ফয়দা লুটে গেছে। এই ধর্মান্ধতা শুধু আজকের যুগের নয়, পূর্বেও ছিল। মুসলমান মৌলবাদীরা ইসলাম ধর্ম প্রসার করার জন্য সব রকমের প্নথা গ্রহণ করতো। যেহেতু তাদের হাতে শাসন ব্যবস্থা ছিল, সেইজন্য তারা জোর পূর্বক ও ধর্মান্তরিত করতো। তখন এর প্রতিবাদ করতে কেউ পারতো না বা করার ক্ষমতা ছিল না। চৈত্ন্য দেব যদি না সেই সময় আবিরভূত হতেন, তবে বাংলায় মুসলমানদের আধিক্য ৯০% শের উপর হতো। তখনো দাঙ্গা যে হতো না, তা নয়। তবে ইরেজ রাজত্বের শেষ পর্যায়ে ভারতের স্বাধীনতা প্রকালে রাজনৈতিক নেতাদের প্ররোচনায় হিন্দু-মুস্লমানের দাঙ্গা বহুবার হয়েছে বা এখনো হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানের রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এইসব দঙ্গা লাগায়, আর সাধারণ মানুষ মারা পড়ে। কিছু ধর্মান্ধ মানুষ এই ফাঁদে পা দিয়ে দেয়। এদের সংখ্যা বেশী নয়। হতো ২০ থেকে ২৫% হবে। শিক্ষিত লোকেরা ধর্ম নিয়ে বেশী মাথা ঘামায় না। তথাপি ঐ অল্প সংখ্যক লোকেরা বৃহৎ অংকের উপর তাদের মতবাদ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের শিক্ষিত লোকদের উচিত সমাজে শিক্ষাকে সঠিক ভাবে প্রচার করা।
লেখকের কথায় বলতে হয়, আরয্য ধর্ম ও ইসলাম ধর্ম কোন্টাই বাংলার নয়, রামায়ন -মহাভারতের যুগের সময় দেখলে বুঝা যায়, বাঙ্গালীরা তখনও হিন্দু ধর্ম পুরা পুরি গ্রহণ করেনি, প্রব্রতি যুগে, আরয্য ধর্ম প্রহ্ন করলে ও পড়ে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব আসে। বৌদ্ধ ধর্মের জম্ন ভারতের বিহার থেকে, যা বাংলার সীমান্ত, সেই দিকদিয়ে দেখলে এই ধর্ম স্থানীয়, আরয্য ও ইসলাম ধর্মের মত বৈদেশিক নয়। কিন্তু হিন্দুদের অত্যাচারে বৌদ্ধ্রা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। আউল, বাউল ও সহজিয়া প্রভ্রিতি আনেক পড়ে। বাংলার নিজস্ব কে আনতে হলে পরদেশিকে ত্যাগ করা উচিত।
কিন্তু বর্তমান সময়ে, অর্থাৎ এখন বিজ্ঞানের যুগ, বিজ্ঞানের চিন্তা ধারায়, ধর্মের স্থান কতটুকু, সুতরাং ধর্ম বাদ দিয়ে মানব ধর্মের জ্যগান কারা উচিত। এটা পারে একমাত্র শিক্ষিত মানুষেরাই। আশাকরে আছি কবে ঐদিন আসবে?
ধরুন হিন্দু মুসলিম দুই পরিবার।কিন্তু দুই ভাই।পরিবারে আছে বাবা মা।এখন একজন যদি অন্য জনের পরিবার কে গালি দেয়,তাহলে গালিটা কার গায়ে লাগবে?শুধু মুসলমানদের দোষ ধরলেই হয় না।কোন ধর্মই অন্য ধর্মকে গালি দেবার শিক্ষা দেয় না।অন্য ধর্মকে গালি দেওয়া এখনকার মানুষের ফেশন।সব হিংসাত্যক কর্মকান্ড।
সবাইকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
(১) বাংলার সহজিয়া বা দেহতত্ত্ব-সেই অর্থে ধর্ম না। লোকায়ত বিশ্বাস। যার কোন গাছ পাথর নেই। কিন্ত মানুষের প্রতি ভালোবাসা আছে
(২) নাস্তিকতা কোন ধর্ম না। মানবিকতা ধর্মের প্রতিস্থাপক হতে পারে, নাস্তিকতা না। বাঙালীর সহজিয়া সেই মানবিক ধর্ম।
(৩) বিজ্ঞান প্রযুক্তিত সব সময় দরকার। তার সাথে মানবিকতা না থাকলে, সভ্যতা ধ্বংস হবে। কারন জীবনে কি করিতে হইবে, তার সমাধান বিজ্ঞানে নেই।
আমার উদ্দেশ্য-সবাইকে বলা হিন্দু ইসলাম ছেড়ে মানবিক ধর্মে ফিরে আসুন।
বিপ্লব বাবুর সাথে একমত, বিশেষ করে কলকাতাবাসী পরজীবীদের নিয়ে যা লিখেছেন তা জন্য ধন্যবাদ
আপনি হিন্দু ধর্ম ও ইসলাম কে দাঙ্গাবাজ বলছেন। হয়ত ঠিকই বলছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে, বাংলার মাটিতে মানে দুই বাংলা মিলিয়ে দাঙ্গা বা ধর্মীয় ঝামেলায় কত হিন্দু ও মুসলমান মারা গেছেন (গত ৭০ বছরে) তার কিছু পরিসংখ্যান থাকলে ভাল হত। মনে হয় হিন্দুরাই বেশী, অনেকটাই বেশী ,আক্রান্ত হয়েছেন মুসলমানদের হাতে। যদি এ কথা ঠিক হয় তবে তা গুরুত্বপূর্ণ। দাদা, স্পেডকে স্পেড বলার মানে কিন্তু কোনটা বেশী সমস্যার আর কোনটা কম সেটাও বলা। দুটোকে সমান মর্যাদা দিলে কিন্তু যেটা বেশী সমস্যার তাকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়ে যায়। পশ্চিম বাংলায় হিন্দু- মুসলিম দাঙ্গা হয়, আর বাংলাদেশে এক তরফা হিন্দু নিধন হয়। দুটোই নিন্দনীয় কোন দ্বিমত নেই, কিন্তু দুটোকে একই গত্রে ফেলা যায় না। মুসলমানদের ভারত বা পশ্চিম বঙ্গ ছেড়ে যেতে হয়না, কিন্তু হিন্দুদের বাংলাদেশ ছাড়তে হয়। মুক্তমনাদের এই সহজ সত্য গুলকে আর অস্বীকার করা উচিত নয়।
দেখুন সহজিয়া ধর্মে কি আর ফিরে আসবে? আমার মনে হয় বাউলদের যুগে আমরা আর ফিরতে পারব না, হয়ত উচিত ও নয়। আমাদের আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি নিয়ে বাঁচতে হবে আর নতুন করে জীবন দর্শনের কথা ভাবতে হবে বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে যাতে আমরা সচেতন, উন্নত সমাজ ও মানুষ গড়তে পারি।
সংবাদ চেপে দেওয়া সত্যি একটি বড় সমস্যা । আপতকালীন অবস্থায় সংবাদ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ করতে হয় । কিন্তু এই ধরনের সংবাদ কোনদিন মানুষকে জানতে না দেওয়া হলে দীর্ঘকালীন সময়ে আরও বড় সমস্যা হিসাবে দেখা দেয় । সংবাদ চেপে দেওয়া হলে বিকৃত সংবাদ পরিবেশনকারীরাও সুযোগ পেয়ে যায় । পশ্চিমবঙ্গে বামাতিরা এই বিষয়ে অসাধারন পারদর্শিতা দেখিয়েছিল । সংবাদ চেপে দেওয়া এবং মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করাটাকে তারা আর্টের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল । এখনো সেই পরম্পরা চলছে । মিডিয়ার ভুমিকা কেন এমন কে জানে ?
দাদা,
বলতে গেলে তো নিরিহ হিন্দু রাই বেশী মার খেয়েছে। হিন্দু মেয়ে রেপ করা আর হিন্দু দের ঘর লুঠ করা তো নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে, আমার প্রশ্ন
হিন্দু বলে কে তারা মানুষ নয়? ধর্ম নিরপেক্ষতার দায় একা হিন্দু বাঙ্গালির নাকি? নিরপেক্ষ হতে গেলে আগে বাঙ্গালী হিন্দু দের ক্ষতিপূরণ দিতে লাগবে।
সারা পৃথিবী জুড়ে দেখা জাচ্ছে, মুসলিমদের সঙ্গে সবার দাঙ্গা বাধে, এদের না আছে কোনও কালচার না আছে কোনও চিন্তা ভাবনা, ইসলাম হল পৃথিবীর
অভিশাপ, প্রমান হচ্ছে দিনে দিনে। আগে মুসলিমরা নিজেদের ইমেজ ঠিক করুক নিরপেক্ষতা পরে হবে। আর……………………………
বর্ডার , বিদেশি এসব তো মানুষের তইরি , পৃথিবী তো একটাই, এটা প্রতিষ্ঠা পেতে দেরি আছে।
ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলী মহাশয়ের কথায় বলতে গেলে দেখা যায়, মুসলিম যুগে হিন্দুদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে, হিন্দু নারীর উপর বহু অত্যাচার হয়েছে, তাদের জোরপূরবক ধর্মান্তরিত করে বিবাহ করা হয়েছে। হিন্দু মেয়েরা যৌন শিকার হয়েছে। ইতিহাস এর সাক্ষী, একে ভুল বলা চলবেনা। স্বাধীনতা উত্তর যুগ থেকে বর্তমানে ও হিন্দু – মুসলমান দাঙ্গা ( সে যে নামেই হউক) ঘটে চলেছে। এরজন্য রাজনৈতিক নেতারা ও মৌলবাদীদের দায়ী বলে মনে করি। এরাই এই সব দঙ্গা সংঘটিত করে এবং নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করে। আমাদের এটা মনে রাখা উচিত যে, সাধারাণ মানুষ কখনো দাঙ্গা করেনা বা তাদের ম্নোবৃতবি সেইদিকে থাকে না। সুতরাং আমাদের জনসাধারণের উচিত ঐ সব স্বার্থ অন্বেষীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। তা নাহলে এই মার-দাঙ্গা কখনো বন্ধ হবেনা।
রাজনৈতিক নেতারা ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে মুসলমানদের তোয়াজ করে তদের মাথায় তুলে দিয়েছে। মুসলমানরা অনৈতিক কিছু করলে ও অনেক সময় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় সংখ্যা লঘু বলে। ভরতের মত সেকুলার রাষ্ট্রে, সংখ্যা লঘু বা সংখ্যা গুরু বলে থাকবে কেন? সবাই ভারতের নাগরিক, ভারতবাসী তাদের পরিচয়, আইন সবার জন্য এক, সেখানে বিভাজন কেন? এই বিভাজন রাজনৈতিক দলগুলি করে। কিছুদিন আগে সোনারপুর ও নদীয়ায় দাঙ্গার মত হয়েছে, যার খবর চেপে দেওয়া হয়েছে। এরজন্য দায়ী কারা? মৌলবাদীদের কখনই তোয়াজ করা ঠিক নয়। হিন্দুরা নিরহ কেন? তাদের ও হাত-পা আছে, তারা যোগ্য ভাবে বাঁধা দিতে পারে, তাহলে অপর জাতি ভয় পাবে। সরকার কতটুকু দেখবে, সরকারকে সর্বত ভাবে সাহায্য করতে হবে। সর্বোপরি শিক্ষিত মানুষেদের এগিয়ে আসতে হবে, এর কুফলের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে জাগ্রত করতে হবে। আসুন আমরা মানুষের জন্য মানবধর্ম প্রচার করার সুচনা করি।
যুক্তিবাদীর মতোই যৌক্তিক মন্তব্য করেছেন। এবার যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিন বাঙালিকে ধার্মিকই হতে হবে কেন? নাস্তিক নয় কেন?
নাস্তিক শব্দটা খুব গ্ল্যামারাস তাই না ? শুনলেই কেমন একটা রোমাঞ্চ জাগে | সবকিছুকে ভেঙ্গে ফেলা বদলে ফেলার অনুভুতি জাগে | কিন্তু নাস্তিকতাটাকে তলিয়ে দেখলে সমস্ত গ্ল্যামার উবে যায় | তখন সেটা রিক্ত আর নিঃস্ব বলে মনে হয় | সেটা কেমন ভাবে হয় দেখাচ্ছি |
১] নাস্তিক কে ? যে ঈশ্বরকে মানে না , যে বলে ঈশ্বর নেই | ঠিক আছে মানলাম ঈশ্বর নেই | তাহলে মানুষই নিজের ভুত ভবিষ্য বর্তমানের নিয়ন্তা | এইবারে নাস্তিকের দুঃসময়ে নাস্তিক কিভাবে সুস্থ থাকবে ? কার উপর নির্ভর করবে ? নিজের ওপরে যখন আস্থা হারিয়ে ফেলে মানুষ তখন সে কার উপর নির্ভর করবে ? অর্থাৎ বিপদে নাস্তিককে রক্ষা করার কেউ নাই | আস্তিকের ঈশ্বর আছে | তার উপর ভরসা করে আস্তিক ভয়ানক বিপদেও অবিচল থাকে | কিন্তু নাস্তিকের রক্ষাকর্তা কে ? যদি বলেন নাস্তিক নিজেই , তাহলে বলি মানুষের আত্মরক্ষার একটা সীমা আছে | যখন মানুষ কোনো কুল না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে তখন সে নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখতে পারে না | সেই সময় মানুষের একজন ভরসার জায়গা প্রয়োজন | এটা আমিও অনুভব করেছিলাম | এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার | বহু নার্ভাস ব্রেক ডাউন-এর কেস আছে | গিয়ে দেখতে পারেন | এরা ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করলে হয়ত বেঁচে যেত |
২] এছাড়া পরলোক | নাস্তিক বলে পরলোক বলে কিছু নেই | কিন্তু সে কি করে জানলো ? সে কি মরে গিয়ে দেখেছে যে পরলোক নেই ? এমনকি বিজ্ঞানও বলতে পারে না পরলোক আছে কি নেই সেখানে ওই নাস্তিক কি করে জানলো পরলোক নেই ? সে কতগুলি কুযুক্তির ওপরে নির্ভর করে আছে | যদি আজ মৃত্যুর পর সে দেখে যে পরলোক আছে তখন সেখানে তার কি হবে ? তার কি মনে হয় না যে পরলোক যে নেই এবিষয়ে জোরালো প্রমান দরকার | এটা অজ্ঞানতা |
৩] এছাড়া যদি ধরেও নেয়া যায় যে পরলোক নেই তাহলে তো নাস্তিকের জীবন খুবই ছোট | মানবজীবন কতটুকু ? অর্ধেক জীবন লাগে পড়াশুনা করতে আর বাকি অর্ধেক লাগে বেঁচে থাকার রুটির জোগার করতে | তারপরে ? নাস্তিকের জীবন শেষ | সেও শেষ | আস্তিকের তার পরেও জীবন আছে | আস্তিকের জীবন অনেক বড় |
তাহলে নাস্তিকের জীবন কি হলো ? জীবন ছোট, অল্পেই শেষ, অজ্ঞান, অরক্ষিত : এই হলো নাস্তিকের প্রোফাইল | এটা কি নিঃস্ব রিক্ত জীবন নয় ? কিছু নাস্তিক মরণোত্তর দেহদানের মত কাজ করে থাকে বটে তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম | আর এস এসকে অনেকে গৈরিক শিক্ষা দিচ্ছে বলে ট্যাগ দেয় কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছে যে আজকের কস্টলি শিক্ষার দিনে প্রত্যন্ত গরিবদের জন্য অন্তত কিছুটা শিক্ষার তো ব্যবস্থা তাদের স্বরস্বতী বিদ্যাপীঠ করেছে যদিও আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে নি | নাস্তিকেরা এইরকম কত গরিবদের শিক্ষার ব্যবস্থা করেছে ? মাদার টেরেসাকে অনেক নাস্তিক ভন্ড বলে কিন্তু তেরেসা নিজের দেশ ছেড়ে এসে এদেশের অসহায় লোকেদের জন্য যা করেছে নাস্তিকেরা তার কতটা কি করেছে ? তেরেসা নিজের সাধ্যমত , কখনো সাধ্যের বেশি কাজ করেছে | নাস্তিকেরা কিন্তু অসহায় মানুষদের জন্য কিছুই করেনি |
আমি খ্রিষ্ট ধর্মের কথা বিশেষ করে এজন্য বলছি যে এই ধর্মে চ্যারিটির কাজ বেশি আছে | চ্যারিটির তুল্য মহৎ কাজ আর নাই , সে যে ধর্মই করুক না কেন | বামপন্থীরাও হয়ত অতটা চ্যারিটি করতে পারে না | আর খ্রিষ্ট ধর্ম ওপেনলি বলে প্রেমই সর্বশ্রেষ্ঠ যা আর কোনো ধর্ম বলে না | খ্রিষ্ট ধর্মে ঈশ্বর পূজার জন্য কোনো নিরীহ পশুবলির দরকার পরে না , হিন্দু-ইসলাম দুটো ধর্মে পড়ে | সুতরাং আমার বিচারে এটাই ভালো ধর্ম |
আমার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কেউ কোন ধর্ম পালন করবেন, না কি ধর্ম পালন থেকে বিরত থাকবেন, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মপালন কেবল নিজ-নিজ ঘরে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজ বা দেশের কাজ-কর্মে হস্তক্ষেপ করে। সমস্যা তখনই হয়, যখন একজন ধার্মিকের ধর্ম-পালন ভিন্নধর্মী বা নিধর্মীদের বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে দাঁড়ায়, এবং যখন একজন ধর্ম-পালনকারী অযাচিতভাবে তাঁর ধর্মের বিধি-নিষেধ অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চান।
এটা ঠিক যে, অনেকেই স্রষ্টায় বিশ্বাস করে, আপদে-বিপদে স্রষ্টার উপর নির্ভর করে মানসিক শান্তি খুঁজে পান; এক্ষেত্রে বিরূপ মন্তব্য করার কিছু নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে এমন অনেক মানুষও আছেন যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস না করেও নিজ-নিজ জীবনে সুখী, বিপদে-আপদে স্থির, অবিচল। অন্যদিকে ধর্মে-বিশ্বাস করেন এমন মানুষকেও আত্নহত্যা করতে দেখেছি।
একই প্রশ্ন তো একজন নাস্তিকও করতে পারে! একজন নাস্তিক যদি প্রশ্ন করে, আস্তিক কি করে জানলো যে পরলোক আছে তার জবাব কি হবে?
নাস্তিক যদি তাঁর ছোট জীবন নিয়েই খুশী থাকে তাহলে কার কি বলার আছে? এই ছোট জীবনেই অনেক নাস্তিক এমন বড় কাজ করে গেছেন যার জন্য মানুষ তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমাদের অভিজিত রায়ের কথাই ধরুন। তাঁর জীবন সংক্ষিপ্ত হতে পারে, কিন্তু তাঁর লেখা, তাঁর মুক্তমনা, কত মানুষকে যুক্তির সাথে চিন্তা করতে শেখাচ্ছে, যুগযুগের কুসংস্কারের শেকল ছিড়ে বন্ধনহীন মুক্তচিন্তা করতে উৎসাহিত করছে……এগুলো কোন মতেই ছোট কাজ নয়।
যে কোন ধর্ম-ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা এই যে তা মুক্তভাবে চিন্তা করতে শেখায় না, বরং প্রশ্ন না করে বিশ্বাস করতে শেখায়। একজন শিশু যদি মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে যে কুমারী মাতা কোন পুরুষের সংস্পর্শে না এসেও স্বাভাবিকভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারে, বরাকে চেপে সশরীরে পরলোকে যাওয়া যায়, বা জ্বীন-দৈত্য-রাক্ষস আসলেই আছে, কিংবা ভিন্নধর্মের অনুসারীরা সবসময়ই শঠ ও পরিতাজ্য, ইত্যাদি, ইত্যাদি, তাহলে সে কিভাবে যৌক্তিক চিন্তা-ভাবনা করতে শিখবে? এই ধরনের শিক্ষায় মঙ্গলের চেয়ে অনিষ্টের সম্ভাবনাই বেশী।
ধর্মীয়ভাবে যে চ্যারিটি বা দান করা হয়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তার আসল উদ্দেশ্য থাকে কোন বিশেষ ধর্মের প্রচার। নাস্তিকতা কোন ধর্ম নয়, তাই নাস্তিকতার নামে চ্যারিটির প্রশ্ন উঠে না। অনেক মানুষ কোন বিশেষ ধর্ম পালন না করেও অনেক জনহিতকর কাজ করছেন (যেমন, বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফে)। আর খ্রীষ্ট ধর্মের ইতিহাস কিন্তু কেবল প্রেমপূর্ণ নয়, অনুসারীরা তো বটেই, চার্চও যেসব ভয়াবহ অত্যাচারের সাথে জড়িত ছিল, তা শিউরে ওঠার মতো; অন্তর্জালে, বা এই মুক্তমনাতেই তার অনেক উদাহরণ পাবেন।
নীচে বিপ্লব পাল যেমন বলেছেন, মানব ধর্মই আসল ধর্ম; আর সেজন্য কোন বিশেষ ধর্মের উপাসক বা পূজারী হওয়ার দরকার পড়ে না।
আমি কারো ধর্ম নিয়ে সংঘর্ষ করছি না বা কারো উপর নিজের মত চাপিয়ে দিছি না | বিপ্লব পাল সর্বপ্রথম হিন্দু আর ইসলাম ধর্মকে খারাপ বলেছিলেন এই পোস্টে, আমি নই | আমি আমার মতটা দিয়েছিলাম , যে কোন ধর্মটা আমার মতে ভালো | মুক্তমনারাই মুক্তচিন্তা আর ধর্মের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায় |
আস্তিক অনুমান করে যে পরলোক আছে | অনুমান একটা প্রমান | বিজ্ঞানও অনুমানের ওপর চলে | সেই অনুমানটা এমন : এই জগত কখনই প্রানিশুন্য হয় না | যদি পরলোক না থাকত , প্রাণীরা মরেই শেষ হয়ে যেত , তাহলে এই জগতে প্রাণী আর আসত না | যেমন একটা ঘরে অনেক লোক আছে তারা ঘর থেকে বেরোচ্ছে আর ঘরে ঢুকছে | তাই ঘর জনশূন্য হচ্ছে না | যদি একেবারেই তারা চলে যেত , কখনই ফিরত না তাহলে ঘর জনশূন্য হয়ে যেত | তো এই যে সাময়িকভাবে তারা বাইরে আছে , তারা নিশ্চই কোনো স্থানে থাকছে | এই স্থানটাকেই পরলোক বলছে | অনেকে হয়ত বলবে যে শুক্রানু আর ডিম্বানুর মিলনে প্রাণী সৃষ্টি হয় | এটা যদি ধ্রুব সত্য হত তাহলে বন্ধ্যা নারী ও পুরুষ বলে কিছু থাকত না | যেহেতু তারা আছে তাই এই কারনটা স্ববিরোধী |
নাস্তিকরা অনুমান প্রমাণকে স্বীকার করে না | তারা প্রত্যক্ষ প্রমানে বিশ্বাসী | তারা হয়ত বলবে শুক্রানু ডিম্বানুর গপ্প বিজ্ঞান বলেছে | কিন্তু বিজ্ঞান ধ্রুব সত্য বলে না | বিজ্ঞান একটা চলমান সত্য , কখনই অ্যাবসলিউট ট্রুথ নয় |
অনুমান কখনই প্রমান নয়, অনুমান সত্য হতে পারে আবার মিথ্যাও হতে পারে। একসময় ধর্ম অনুমান করেছিল পৃথিবীই জগতের কেন্দ্র, কিন্তু সেই অনুমান মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। আপনার যুক্তি অনুযায়ী নাস্তিকও অনুমান করতে পারে যে পরলোক নেই; তাহলে কার অনুমান সঠিক আপনার না নাস্তিকের? আপনি পরলোক যে আছে তার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন, যার ভিত্তি জন্মান্তরবাদ। যদিও এর স্বপক্ষে কোন বাস্তব প্রমান নেই, তবুও আপনি এই ব্যাখ্যাকে সত্যি মনে করছেন, বিশ্বাস করছেন। অন্য ধর্মের একজন হয়তো পরলোকের অস্তিত্বের স্বপক্ষে অন্য ব্যাখ্যা দেবেন, আবার একজন নাস্তিক হয়তো বলবেন এর কোনটাই সত্য নয়। যেহেতু পরলোকের অস্তিত্ব আছে কি নেই তা কোন পরীক্ষাযোগ্য অনুমান নয়, তাই বিজ্ঞান এ সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। এক্ষেত্রে একজন মানুষ, ধার্মিক বা নিধার্মি্ক নিজ নিজ বিশ্বাস বা যুক্তিবোধের উপর বিশ্বাস করে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন, তাই তার জন্য চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ডিম্বানু আর শুক্রানুর মিলনে যে নতুন প্রানীর সৃষ্টি হয় তা আজ বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত তথ্য। সব না হলেও বন্ধ্যাত্বর অনেক কারনও চিকিৎসাশাস্ত্রের জানা (যেমন শুক্রানুর সংখ্যা বা সজীবতা হ্রাস, ডিম্বানু নিষিক্ত না করতে পারা, বা কোন ব্যাধি-সম্পর্কিত কারন)। বন্ধ্যাত্বের সব কারন আমরা জানি না, কিন্তু তার অর্থ এই না যে শুক্রানু আর ডিম্বানুর মিলনে নুতন প্রানীর জন্ম হয়, এই ধারনা স্ববিরোধী। আবার আপনি যদি প্রমান করতে পারেন যে শুক্রানু আর ডিম্বানুর মিলন ছাড়াও প্রানীর জন্ম হতে পারে, বিজ্ঞান তাও মেনে নেবে (মানুষে না হলেও ক্ষেত্র-বিশেষে মৌমাছিতে এমন হয়)। বিজ্ঞানে এই নমনীয়তা আছে যে কোন তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ভুল প্রমানিত হলে বিজ্ঞান তা স্বীকার করে নতুন সত্যকে মেনে নেয়। তবে এক্ষেত্রে প্রমানহীন বিশ্বাসের কোন মূল্য নেই, বিজ্ঞান তা বিবেচনায় নেয় না।
আরেকটু যোগ করছিঃ আপনি বলেছেন যে, ‘বিজ্ঞানও অনুমানের ওপর চলে | সেই অনুমানটা এমন : এই জগত কখনই প্রানিশুন্য হয় না |’ একথাটা ঠিক নয়, বরং বিজ্ঞানের মতে এই জগত (পৃথিবী) আদিতে প্রাণীশূণ্যই ছিল। একইভাবে প্রাণীর বসবাসের উপযোগী না থাকলে একসময় আবার এটি প্রাণীশূণ্য হয়ে যেতে পারে। সময়ের সাথে নূতন নূতন প্রাণীর যেমন আবির্ভাব ঘটেছে, তেমনি আবার অনেক প্রাণীও লোপ পেয়ে গেছে।
ধর্ম মানুষের সৃষ্টি৷ তাই, একাধিক ধর্ম দেখায়ায়। ঈশ্ৱর/আল্লা/ভগবান এক এবং অদ্বিতীয়। যত গণ্ডগোল সবি এই ধর্মের মধ্যে। ধর্ম রাজনিতির অঙ্গ। ধর্ম ছাড়াও ঈশ্ৱর/আল্লা/ভগবান আরধনা করা যায়। যাকে, Agnostic মত বলা হয়। এই মতে সারাসরি ঈশ্ৱর/আল্লা/ভগবান আরধনা করা যায়। এটাই সবচেয়ে ভাল মত।
জিতেনবাবু কথাটা ১০০% ভাগ সত্য যে, ধর্ম মানুষের দ্বারা সৃষ্ঠি হয়েছে, সে অবতারই হউক বা ভগবান নিজে হউন, তারা কিন্তু প্রথমে মানুষ হিসাবে এই পৃথিবীর মাটিতে জন্ম গ্রহণ করেছেন, তারপর আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করে নিজের মতবাদ ম্নুষ্য সমাজে প্রচার করেছেন, যা পরবর্তী ক্ষেত্রে বা সময়ে লোকে ধর্ম রূপে মানে। সনাতন ধর্মে মতবাদ অনুযায়ী আনেক শখা-প্রশাখা আছে, তেমনি ইস্লাম,খৃষ্ট, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মগুলির ও শাখা-প্রশাখা আছে। সব ধ্রমেই ঈশ্বর বা ভগবানের কথা বলা হয়েছে, তাহলে পারথক্য কোথায়? এ বলে আমার ধর্ম ভালো, ও বলে আমার ধর্ম ভালো। কেন এই বিভেদ? কেউ বলে হিন্দুরা পুতুল পূজা করে এবং তাদের বহু দেবতা, ইসলামে এক আল্লা ছাড়া কেউ নেই, অথচ নবীকে কেন আগে স্মরণ করে? খৃষ্ঠ ধর্মে যীশু খৃষ্ঠকে সামনে রেখে ভগবানের ভজনা করে। এই ধর্ম মতবাদ্গুলি হাজার হাজার বছর পূর্বে সৃষ্ঠ হয়েছিল। হিন্দু ধর্মে সময় সময়ে অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে, সেই অনুযায়ী আন্য ধর্মে সেই রকম পরিবর্তন হয়নি। তাহলে হাজার হাজার বৎসর পূর্বে সৃষ্ঠ ধর্ম মতবাদ্গুলি ব্রমান সময়ে অর্থাৎ বিজঙ্গানযুগে কতখানি উপযুক্ত তা বিচারয্য বিষয়। তথাপি মানুষ শিক্ষিত হয়ে ও জ্ঞান অর্জন করে অন্ধ বিশবাসে এই ধ্রমগুলিকে অনুসরণ করে চলে। সুতরাং এর মধ্যে কি চুম্বকের টান আছে যে, মানুষ এর পিছনে অন্ধের মত ছুটে? বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে মানুষ জল পরা, মন্দির/ মসজিদ/ গির্জা প্রভৃতি স্থানে পীর স্থানে মানত করা বা কবচ/মাদুলি নেয়- কেন? এর উত্তর কি? ধর্ম নামের এই নেশা মানুষকে বিকার গ্রস্থ করে রাখে। এর গ্নডীর বাইরে পা দেবার ক্ষমতা থাকেনা। খুব অল্পসংখ্যক মানুষ (শতকরা হিসাবে পড়েনা) এই ধ্রম্নামক নিয়মকে বিশ্বাস বা মানে না। তাদের নাস্তিক বলে গ্ন্য করে। রাজনীতিবিদগন সেইজন্য ধর্ম মানা লোকদের কথা বেশী শুনে বা তদের দাবীকে বেশী গুরুত্ব দেয়। কেন না তারা সংখ্যায় বেশী। তাছাড়া আবার কোন ধর্মের লোকের কত ভোট -তা মিলিয়ে দেখে নেয়। সুতরাং এই ধর্মীয় মতবাদগুলির শেষ নেই বা হবেনা। এ মানুষের রক্তে একবারে মিশে গেছে। যদি শিক্ষিত লোকেরা যদি সঠিক ভাবে প্রচার করতে পারে, তবে মানুষ বুঝবে,। তথাপি মানুষের ভুল ভাঙতে অনেক সময় নেবে। মানুষ নিজের স্বার্থে জন্য ধর্মের জালে জড়িয়ে আছে। নিজে বাস্তববাদী হলেও, পরিবারের লোকেরা বাস্তববাদী হবে কি, সেখানে পরশন থেকে যায়। ধর্ম ছাড়া ভগবানের আরাধনা করা মানে সেই মতবাদে আসা। পরশন হচ্ছে, ভগবান আছে কি নেই? থাকলে তার অস্তিত্ব কোথায়? তার ক্ষ্মতার প্রিসীমা কি? এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড (সকল গ্রহগুলি) সৃষ্ঠিকারী কে বা কিভাবে সৃষ্ঠি হয়েছে? এই সবের উত্তর কোথায়। বিজ্ঞানও কি সঠিক উত্তর দিতে পেরেছে? এসবের গোল্ক ধাঁধায়, আমরা ঘুরে মরছি। আর কিছু মানুষ নিজেদের ফয়দা তুলতে ধর্মে ধর্মে দাঙ্গা, মারপিট লাগিয়ে দেয়। কেননা এই রাস্তাটা সোজা, মানুষ নেশা গ্রস্তের মত দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে দাঙ্গায় লেগে যায়। সুতরাং যতক্ষণ সরকার ও শিক্ষিতলকেরা এর রাশ ভাল ভাবে না ধরবে, ততদিন ধর্মের নামে দাঙ্গা লেগে থাকবে। একে কেউ রুক্ষতে পারবেনা।
আর বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা কোনো কিছু অনুগ্রহ পাবার আশা করে না | তারা আওয়ামী লিগ বা বিএনপি-জামাতের অনুগ্রহ চায় না | বিনা অনুগ্রহে কাজ করে , তাইত ? তারা মোটেই পার্টির ক্রীতদাস নয়, তাই না ?
নিশ্চয় বলবে | যে দল বেশি ক্ষমতায় থাকে বুদ্ধিজীবিরা তাদের বিরোধিতা করলে বিপদে পড়ে | বাংলাদেশের কোনো বুদ্ধিজীবী কি শেখ হাসিনার কোনো বিরোধিতা করবে বর্তমানে ?
সহজিয়া বাউলদের মানতে গেলে দেহতত্ব মানতে হবে | ধর্মের নামে নারীদেহ উপভোগ মানতে হবে | পুতুল মেহমুদের কসমিক সেক্স বলে একটা বাংলা মুভি ২০১৫ সালে বেরিয়েছে তাতে বাউলদের দেহতত্বের সাধনার পুন্খানুপুন্খ বর্ণনা আছে | সেটা দেখে যদি ভালো লাগে তাহলে বলতে হবে যে বৌদ্ধ বজ্রযানিরাও বাঙালিদের আসল ধর্ম কারণ তারাও ধর্মের নামে নারীদেহ ভোগ করে |
কিন্তু দাদা হিন্দু,ইসলাম সহজিয়া কোনটাই বাঙালির ধর্ম হওয়া উচিত নয় | উচিত খ্রীষ্ট ধর্ম | পৃথিবীতে এই একটি ধর্ম আছে যা ওপেনলি বলে যে প্রেমই সর্বশ্রেষ্ঠ | হ্যা বহু লোক ধর্মের অপব্যাখ্যা করে হিংসা চালাচ্ছে ঠিকই কিন্তু ধর্মটা ওপেনলি বলে যে ঈশ্বরকে ও মানুষকে প্রেম করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ | বহু সাধু বহু চ্যারিটির কাজ করেছেন ও করছেন | পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি চ্যারিটির কাজ খ্রীষ্ট ধর্মেই হয় , হিন্দু, ইসলাম বা বাউল ধর্মে হয় না | বৌদ্ধ ধর্ম শুধু মুখে দয়ার কথা বলে , কাজে কিছুই করে না | সুতরাং খ্রিষ্ট ধর্মটাই মনে হয় একমাত্র সভ্য ধর্ম |
যতদূর জানি খ্রিস্ট ধর্মই একমাত্র ধর্ম যেখানে ধর্মগুরু (পোপ) স্বীকার করেছে বাইবেলের একটি অংশে অন্তত ভুল আছে ( পৃথিবী কে কেন্দ্র করে সব গ্রহ, সূর্য ঘুরছে ) । অন্য কোনও ধর্মে এই ধরনের স্বীকার করাটার কোনও নজির নেই । তা যদি হয় তা হলে মানতে হয় এই ধর্মে অন্তত সংস্কার শুরু হয়েছে
এই ধর্ম সবাইকে মিলে মিশে থাকতে বলে | কাউকে বিরোধ করতে বলে না | এতে জাতপাত নেই | প্রচুর আড়ম্বর আর খরচাপাতি নেই | নিরীহ পশুবলি নেই | শুধু ভালবাসা আছে |
বাংলাদেশে হিন্দু জন সংখ্যা কমতে কমতে ৭.৯%এ এসে ঠেকেছে। আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশ হিন্দুশুণ্য হয়ে যাবে। পশ্চিমবংগে মুসলিম জনসংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, মসজিদ/মাদ্রাসা বাড়ছে। আগামী ২০-২৫ বছরে পশ্চিমবংগ মুসলিম মেজরিটি স্টেট হয়ে যাবে।
আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা মুর্শিদাবাদে, মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার শিকার আমি নিজে।
কালিয়াচকে যা হয়েছে, গোটা পশ্চিমবংগে হবে আগামীদিনে।
ঠিকই বলেছেন দাদা | বামাতিরা তো এখনো মুসলিমদের তোয়াজ করে চলেছে | কবে যে এদের হুঁশ ফিরবে কে জানে ?